নোবেল পুরস্কার


নোবেল পুরস্কার বিশ্বের অন্যতম সম্মানজনক পুরস্কার। এটি ১৮৯৫ সালে সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের উইল অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত হয়। আলফ্রেড নোবেল ছিলেন ডিনামাইটের আবিষ্কারক এবং এক বিশাল সম্পত্তির মালিক। মৃত্যুর আগে তিনি তাঁর সম্পত্তির একটি বড় অংশ নোবেল পুরস্কারের জন্য রেখে যান। প্রথম নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয় ১৯০১ সালে।

 নোবেল পুরস্কার

নোবেল পুরস্কারের ইতিহাস

সারা পৃথিবীর বিভিন্ন ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানকে সফল এবং অনন্য সাধারণ গবেষণা ও উদ্ভাবন এবং মানবকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য প্রতি বছর নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়। নোবেল পুরস্কারের প্রবর্তক আলফ্রেড নোবেল ১৮৩৩ সালে সুইডেনের স্টকহোমে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন একাধারে রসায়নবিদ, প্রকৌশলী এবং উদ্ভাবক। ডাইনামাইট (উন্নত মানের বিস্ফোরক) আবিষ্কার করে তিনি বিশাল সম্পত্তির মালিক হয়ে যান। কিন্তু শেষ জীবনে নিজের সবচেয়ে বড় আবিষ্কার ডিনামাইটের ধ্বংসাত্মক ব্যবহার দেখে খুবই অনুতপ্ত হন। এ কারণে মৃত্যুর পূর্বে তিনি তাঁর সম্পত্তির ৯৪% উইল করে যান। উইল মোতাবেক, ১৯০১ সালে প্রবর্তিত হয় 'নোবেল পুরস্কার'। ১৯০১ সাল থেকে পাঁচটি বিষয়ে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হতো। বর্তমানে মোট ৬টি বিষয়ে পুরস্কার প্রদান করা হয়। যথা-পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাহিত্য, শান্তি এবং অর্থনীতি। অর্থনীতি ছাড়া অন্য বিষয়গুলোতে ১৯০১ সাল থেকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। অর্থনীতির জন্য আলফ্রেড নোবেল তাঁর উইলে কোনো অর্থ অনুমোদন করে যাননি। পরবর্তীতে, সুইডেনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক 'Sveriges Riksbank' এর অর্থায়নে ১৯৬৯ সাল থেকে নোবেলের স্মরণে অর্থনীতিতেও এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যু দিবস ১০ ডিসেম্বরে নরওয়ের রাজধানী অসলোতে শান্তি পুরস্কার এবং সুইডেনের স্টকহোমে বাকি পুরস্কারগুলো তুলে দেওয়া হয় বিজয়ীদের হাতে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে ১৯৪০ থেকে ১৯৪২ সাল পর্যন্ত পুরস্কার প্রদান বন্ধ ছিল।

নোবেল পুরস্কার মনোনয়ন পদ্ধতি

  • প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসে নোবেল কমিটি বিশ্বব্যাপী যোগ্য মনোনয়নকারীদের কাছে গোপনে মনোনয়ন ফর্ম প্রেরণ করে ।
  • মনোনয়ন জমার শেষ সময় সাধারণত ৩১ জানুয়ারি (পরের বছর)।
  • ফেব্রুয়ারি-মার্চে কমিটি জমা পড়া নামগুলো যাচাই-বাছাই করে প্রাথমিক তালিকা তৈরি করে। প্রতি বিভাগে গড়ে ২০০-৩০০ জন মনোনীত হন ।
  • মার্চ-আগস্টে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের (নোবেল কমিটির সদস্য, বাইরের বিশেষজ্ঞ) মাধ্যমে মনোনীতদের কাজের গভীর মূল্যায়ন করা হয়। চিকিৎসা বা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে গবেষণার প্রভাব, সৃষ্টির মৌলিকত্ব, মানবকল্যাণে অবদান ইত্যাদি যাচাই করা হয় ।
  • সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে কমিটি আলোচনা ও গোপন ভোটের মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয়ী নির্ধারণ করে। ভোটের ফলাফল অবিলম্বে ঘোষণা করা হয় (অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ) ।
  • পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণার পর ১০ ডিসেম্বর (আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকী) সুইডেন ও নরওয়েতে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার দেওয়া হয় ।
ক্ষেত্রপ্রার্থী বাছাইচূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ও ঘোষণা
চিকিৎসা (Physiology or Medicine)প্রত্যেক ক্ষেত্রের জন্য ১টি করে কমিটি অর্থাৎ মোট ৬টি কমিটি কাজ করে।ক্যারোলিন্সকা ইনস্টিটিউট
পদার্থবিদ্যা (Physics)রয়েল সুইডিস একাডেমি অব সায়েন্সেস
রসায়ন (Chemistry)
অর্থনীতি (Economics)
সাহিত্য (Literature)সুইডিস একাডেমি
শান্তি (Peace)নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি

সর্বপ্রথম নোবেল পুরস্কার বিজয়ী

মার্কিনিদের মধ্যে অর্থনীতিতে প্রথম নোবেল পুরস্কার (১৯৭০ খ্রি.) লাভ করেন পল অ্যান্থনি স্যামুয়েলসন।

ক্ষেত্রনোবেল বিজয়ীদেশ
পদার্থউইলহেম কনরাড রন্টগেন (১৯০১)জার্মানি
রসায়নজ্যাকবস হেনরিকাস ভ্যান্ট হফ (১৯০১)নেদারল্যান্ডস
চিকিৎসাএমিল ভন বিহরিং (১৯০১)জার্মানি
সাহিত্যসুলি প্রুধোম (১৯০১)ফ্রান্স
শান্তিহেনরি ডুনান্ট (১৯০১)সুইজারল্যান্ড
ফ্রেডারিক পাসি (১৯০১)ফ্রান্স
অর্থনীতিরাগনার ফ্রিশ (১৯৬৯)নরওয়ে
জান টিনবার্গেন (১৯৬৯)নেদারল্যান্ডস

বিভিন্ন ক্ষেত্রে নোবেলজয়ী প্রথম নারী

ক্ষেত্রবিজয়ীর নামদেশ
পদার্থবিজ্ঞানমেরি কুরি (১৯০৩)পোল্যান্ড-ফ্রান্স
রসায়নমেরি কুরি (১৯১১)পোল্যান্ড-ফ্রান্স
চিকিৎসাগার্টি কুরি (১৯৪৭)যুক্তরাষ্ট্র
সাহিত্যসেলমা লাগারলফ (১৯০৯)সুইডেন
শান্তিবার্থাভন সুটনার (১৯০৫)অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরি
অর্থনীতিইলিনর অস্ট্রম (২০০৯)যুক্তরাষ্ট্র

নোবেলজয়ী মুসলিম মনীষী

নোবেলজয়ীর নামদেশক্ষেত্র
আনোয়ার সাদাতমিশরশান্তি (১৯৭৮)
আব্দুস সালামপাকিস্তানপদার্থ (১৯৭৯ )। প্রথম মুসলিম নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী। পাকিস্তানে আহমদী সম্প্রদায়ের সদস্য হওয়ায় রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃত হননি।
নাগিব মাহফুজমিশরসাহিত্য (১৯৮৮) । নোবেলজয়ী প্রথম আরব সাহিত্যিক ।
ইয়াসির আরাফাতফিলিস্তিনশান্তি (১৯৯৪)
আহমেদ জেবাইলমিশররসায়ন (১৯৯৯)
শিরিন এবাদিইরানশান্তি (২০০৩) । নোবেলজয়ী প্রথম মুসলিম নারী।
আল বারাদিমিশরশান্তি (২০০৫)। IAEA এর প্রধান ছিলেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসবাংলাদেশশান্তি (২০০৬)
ওরহান পামুকতুরস্কসাহিত্য (২০০৬)। উপন্যাস'The White Castle'
তাওয়াক্কুল কারমানইয়েমেনশান্তি (২০১১) । আরবিয় বসন্তের অগ্রদূত নেত্রী।
মালালা ইউসুফজাইপাকিস্তানশান্তি(২০১৪)। সর্বকনিষ্ঠ নোবেলজয়ী (১৭ বছর বয়সে শান্তিতে নোবেল)।
আজিজ সানজারতুরস্করসায়ন (২০১৫)
আব্দুল রাজাক গুরনাহতাঞ্জানিয়াসাহিত্য (২০২১)। সাহিত্যের বিষয়বস্তু শরণার্থীদের দুঃখ-দুর্দশা ।

উপমহাদেশের নোবেলজয়ী ব্যক্তিত্ব

নোবেলজয়ীর নামদেশক্ষেত্র
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরভারতসাহিত্য (১৯১৩)
স্যার চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রমন (সিভি রমন)ভারতপদার্থ (১৯৩০)
এইচ জি খোরানাভারতচিকিৎসা (১৯৬৮)
আব্দুস সালামপাকিস্তানপদার্থ (১৯৭৯)
মাদার তেরেসাভারতশান্তি (১৯৭৯)
সুব্রামানিয়ান চন্দ্রশেখরভারতপদার্থ (১৯৮৩)
অমর্ত্য সেনভারতঅর্থনীতি (১৯৯৮)
ড. মুহাম্মদ ইউনূসবাংলাদেশশান্তি (২০০৬)
ভি. রামকৃষ্ণভারতরসায়ন (২০০৯)
মালালা ইউসুফজাঈপাকিস্তানশান্তি (২০১৪)
কৈলাস সত্যার্থীভারতশান্তি (২০১৪)
অভিজিত ব্যানার্জীভারতঅর্থনীতি(২০১৯ )

মাদার তেরেসা (Mother Teresa) ১৯১০ সালের ২৬ আগস্ট তৎকালীন অটোমান সাম্রাজ্যে (বর্তমান স্কোপেজ, রিপাবলিক অব নর্থ মেসিডোনিয়ার অন্তর্ভুক্ত) জন্মগ্রহণ করেন। তিনি জাতিতে ছিলেন আলবেনীয়। তিনি ১৯৪৮ সালে ভারতের নাগরিকত্ব লাভ করেন। দুঃস্থ মানবতার সেবার জন্য তিনি ১৯৫০ সালে ভারতের কলকাতায় Missionaries of Charity (মিশনারিজ অফ চ্যারিটি) প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৫২ সালে তিনি কলকাতার কালীঘাটে পুরানো পরিত্যক্ত হিন্দু মন্দিরে নিঃস্ব ও মুমূর্ষু ব্যক্তিদের বিনামূল্যের সেবাসদন 'নির্মল হৃদয়' প্রতিষ্ঠা করেন। মানব সেবায় অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৭৯ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন এবং ১৯৮০ সালে ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক 'ভারতরত্ন' লাভ করেন। তিনি ছিলেন এশিয়ার প্রথম নোবেলজয়ী নারী। তাঁকে বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ মানুষ বলা হয়। মাদার তেরেসাকে 'Living Saint' নামে ডাকা হয়। ১৯৯৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর কলকাতায় ইহলোক ত্যাগ করেন।

মালালা ইউসুফজাই (Malala Yousafzai) ১২ জুলাই, ১৯৯৭ পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যাকার মিনগোরায় জন্মগ্রহণ করেন। পাকিস্তানে নারীদের শিক্ষার অধিকার নিয়ে প্রচারাভিযানে কাজ করায় ২০১২ সালে তালেবানরা তাঁকে গুলিতে আহত করে। ২০১৪ সালে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসাবে তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। শিশুর শিক্ষার অধিকারের পক্ষে তাঁর সাহসী আন্দোলনের স্বীকৃতি হিসাবে তাঁকে ওই পুরস্কার দেয়। মালালা ইউসুফজাই জাতীয় যুবশান্তি পুরস্কার (২০১১), শাখারভ পুরস্কার (২০১৩), ক্লিনটন গ্লোবাল সিটিজেন অ্যাওয়ার্ডস (২০১৩), আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার (২০১৩) সহ বহু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৭ সালে তাঁকে কানাডার সম্মানসূচক নাগরিকত্ব সনদ প্রদান করা হয়। 'I Am Malala: How One Girl Stood Up for Education and was Shot by the Taliban' তাঁর আত্মজীবনী মূলক গ্রন্থ।

নোবেলজয়ী বাঙালি

নোবেলজয়ী বাঙালি মনীষী ৪ জন। তাঁরা হলেন- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, অমর্ত্য সেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং অভিজিত ব্যানারর্জী।

অমর্ত্য সেন (Amartya Sen) ১৯৩৩ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস বাংলাদেশের মানিকগঞ্জ জেলায়। তাঁর বাবা আশুতোষ সেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। অমর্ত্য সেন জনকল্যাণ অর্থনীতি, দুর্ভিক্ষ ও দারিদ্র্যের অন্তর্নিহিত কারণ নিয়ে গবেষণা করেন। সামাজিক চয়ন তত্ত্ব বা কল্যাণ অর্থনীতিতে অবদানের জন্য ১৯৯৮ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তিনি ট্রিনিটি কলেজ (ক্যামব্রিজ), অক্সফোর্ড এবং হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। তিনি ভারতের বর্তমান নালন্দা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম আচার্য ছিলেন। নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির দিক থেকে তিনি দ্বিতীয় বাঙালি, অর্থনীতিতে এশিয়ার প্রথম, উপমহাদেশে সপ্তম। তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ 'Poverty and Famine', 'The Idea of Justice', 'Identity and Violence: The illusion of destiny', Home in the World: A Memoir প্রভৃতি।

শান্তিতে নোবেলজয়ী জাতিসংঘের অঙ্গসংগঠন

সালজাতিসংঘের অঙ্গসংগঠন
২০২০বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (WFP)
২০১৩রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংস্থা (OPCW)
২০০৭আবহাওয়া পরিবর্তন সংক্রান্ত আন্তঃসরকার প্যানেল (IPCC)
২০০৫আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি এজেন্সি (IAEA)
২০০১জাতিসংঘ
১৯৮৮জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী
১৯৮১, ১৯৫৪জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশন (UNHCR)
১৯৬৫জাতিসংঘ শিশু তহবিল (UNICEF)
১৯৬৯আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ILO)

শান্তিতে নোবেলজয়ী অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংগঠন

সালআন্তর্জাতিক সংগঠন
১৯৭৭অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল (মানবাধিকার সংস্থা)
২০১২ইউরোপীয় ইউনিয়ন
২০১৭পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ প্রচারণা গ্রুপ (ICAN)

একাধিকবার নোবেলজয়ী সংগঠন ও ব্যক্তি

নোবেলজয়ীর নামপুরস্কার জয়ের বর্ষ (বিষয়)
আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটি (ICRC)১৯১৭, ১৯৪৪, ১৯৬৩ (শান্তি)
জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশন (UNHCR)১৯৫৪, ১৯৮১ (শান্তি)
মেরী কুরি১৯০৩ (পদার্থ), ১৯১১ (রসায়ন)
লিনাস পাউলিং১৯৫৪ (রসায়ন), ১৯৬২ (শান্তি)
জন বার্ডিন১৯৫৬ (পদার্থ), ১৯৭২ (পদার্থ)
ফ্রেডরিক স্যাঙ্গার১৯৫৮ (রসায়ন), ১৯৮০ (রসায়ন)

মরণোত্তর নোবেল বিজয়ী

নোবেল বিজয়ীদেশক্ষেত্র ও সাল
এরিক এক্সেল কার্লফেল্টসুইডেনসাহিত্য (১৯৩১)
দ্যাগ হ্যামারশোল্ডসুইডেনশান্তি (১৯৬১)
রালফ এম স্টেনম্যানকানাডাচিকিৎসা (২০১১)

নোবেল পুরস্কার প্রত্যাখ্যান

ক) স্বেচ্ছায়: এ পর্যন্ত দুইজন নোবেলজয়ী স্বেচ্ছায় নোবেল পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেন। যথা-

  1. জ্যঁ পল সার্ত্র | ফ্রান্স | সাহিত্য | ১৯৬৪
  2. লি ডাক থো | ভিয়েতনাম | শান্তি | ১৯৭৩

খ) সরকারের চাপে :

  1. কার্ল ভন অসিসকাই | জার্মানি | শান্তি | ১৯৩৫
  2. রিচার্ড কুহান | জার্মানি | রসায়ন | ১৯৩৮
  3. এডলফ বুটেনঅ্যান্ড | জার্মানি | রসায়ন | ১৯৩৯
  4. জারহর্দ ডোমাগক | জার্মানি | চিকিৎসা | ১৯৩৯
  5. বরিস পেরেসত্রোনক | রাশিয়া | সাহিত্য | ১৯৫৮
  6. লিউ জিয়াবো | চীন | শান্তি | ২০১০

ফ্যাক্টস অব নোবেল প্রাইজ :

  • রাজনীতিবিদ কিন্তু সাহিত্যে নোবেল পেয়েছেন - ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টোন চার্চিল (১৯৫৩ খ্রি)
  • বিজ্ঞানী কিন্তু শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন - লিনাস পাউলিং (১৯৬২ খ্রি.)
  • মনোবিজ্ঞানী কিন্তু অর্থনীতিতে নোবেল জয় করেন -ড্যানিয়েল ক্যানেম্যান (২০০২ খ্রি.)
     
Premium By Raushan Design With Shroff Templates
Link copied to clipboard.