Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Test link

বাংলাদেশের সরকার ব্যবস্থা

বাংলাদেশের সরকার ব্যবস্থা : স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল প্রথম বাংলাদেশের সরকার গঠিত হয়। বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। এই রাষ্ট্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ। প্রকৃতির দিক থেকে বাংলাদেশ একটি এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র। এর কোন প্রদেশ নেই। আমাদের দেশে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা চালু রয়েছে। এ ব্যবস্থায় রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তি। তবে দেশের প্রকৃত শাসন ক্ষমতা প্রধান মন্ত্রী ও তার মন্ত্রিপরিষদের উপর ন্যস্ত। মন্ত্রিপরিষদই এখানে প্রকৃত শাসন ক্ষমতার অধিকারী এবং প্রধানমন্ত্রী হলেন সরকার প্রধান। তাঁর নেতৃত্বে মন্ত্রিপরিষদ দেশের শাসনকার্য পরিচালনা করে। বাংলাদেশের মন্ত্রিপরিষদ তাদের কাজকর্মের জন্য জাতীয় সংসদের ( আইনসভা ) কাছে দায়ী । আইনসভায় প্রণীত আইনের আলোকে মন্ত্রিসভা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকারের নীতি ও সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে এবং সম্পাদিত কার্যাবলীর জন্য সম্মিলিতভাবে জাতীয় সংসদের নিকট দায়বদ্ধ থাকে।

বাংলাদেশের প্রশাসনিক অঞ্চল

বাংলাদেশকে ৮টি বিভাগে এবং ৬৪টি জেলায় বিভক্ত করা হয়েছে, যদিও জননীতিতে এগুলোর ভূমিকা সীমিত। স্থানীয় সরকার এর উদ্দেশ্যে দেশটিকে উপজেলা, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন এবং ইউনিয়ন পরিষদ এ বিভক্ত করা হয়েছে।

বিভাগ

১৯৭১ সালে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ ৪টি বিভাগ নিয়ে যাত্রা শুরু করলে ও বর্তমানে দেশে ৮ টি বিভাগ রয়েছে যথাঃ

  1. ঢাকা বিভাগ : বাংলাদেশের প্রথম বিভাগ । এটি ১৮২৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় । ঢাকা বিভাগে জেলার সংখ্যা ১৩টি। যথাঃ ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর ও রাজবাড়ী।
  2. চট্টগ্রাম বিভাগ : ১৮২৯ সালে এই বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয় । চট্টগ্রাম বিভাগে জেলার সংখ্যা ১১ টি। যথা- চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, বান্দরবান , খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, চাঁদপুর, কুমিল্লা ও ব্রাহ্মনবাড়িয়া।
  3. রাজশাহী বিভাগ : পাক-ভারত বিভাজনের পর ১৯৪৭ সালে এই বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয় । রাজশাহী বিভাগে জেলার সংখ্যা ৮টি। যথা- রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, বগুড়া, জয়পুরহাট।
  4. খুলনা বিভাগ : ১৯৬০ সালে খুলনা বিভাগের যাত্রা শুরু হয়। এটি ১০ টি জেলা নিয়ে গঠিত যথাঃ খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, যশোর, মাগুড়া, ঝিনাইদহ, নড়াইল, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা।
  5. বরিশাল বিভাগ : ১৯৯৩ সালে খুলনা বিভাগ থেকে আলাদা করে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ছয়টি জেলা যথাঃ বরিশাল জেলা , পটুয়াখালী জেলা , ভোলা জেলা , বরগুনা জেলা , ঝালকাঠি জেলা , পিরোজপুর জেলা নিয়ে এই বিভাগের যাত্রা শুরু হয়।
  6. সিলেট বিভাগ : ১৯৯৫ সালে সিলেটকে বাংলাদেশের ৬ষ্ঠ বিভাগ হিসাবে ঘোষণা করা হয়। এটি সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার এই চারটি জেলা নিয়ে গঠিত ।
  7. রংপুর বিভাগ : এটি বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের ৮টি জেলা যথাঃ রংপুর , দিনাজপুর , পঞ্চগড় , ঠাকুরগাঁও , গাইবান্ধা , কুড়িগ্রাম , নীলফামারী , লালমনিরহাট নিয়ে গঠিত। ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ জানুয়ারিতে বাংলাদেশের সপ্তম বিভাগ হিসেবে ঘোষিত হয়।
  8. ময়মনসিংহ বিভাগ : বাংলাদেশের সর্বশেষ বিভাগ । ২০১৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর ও নেত্রকোণা নিয়ে ময়মনসিংহ বিভাগ গঠিত হয়।

উল্লেখ্য, ফরিদপুরকে সদর দপ্তর করে 'পদ্মা' নামে দেশের প্রস্তাবিত নবম বিভাগ হয় এবং প্রস্তাবিত ১৩ তম সিটি কর্পোরেশন। ঢাকা বিভাগ থেকে আলাদা হয়ে ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, রাজবাড়ী ও শরীয়তপুর এই পাঁচটি জেলা নিয়ে পদ্মা বিভাগ নামে প্রতিষ্ঠিত হবে।

জেলা

স্বাধীনতা লগ্নে বাংলাদেশের জেলা ছিল ৩২টি । বর্তমানে বাংলাদেশে জেলার সংখ্যা ৬৪ টি । তবে ভৈরব ৬৫তম জেলা হিসেবে প্রস্তাবিত রয়েছে যা এখন ও প্রক্রিয়াধীন । বাংলাদেশের বৃহত্তর জেলা ১৯ টি। প্রতিষ্ঠাকালের দিক থেকে যশোর বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরাতন জেলা। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম উল্লেখযোগ্য এ জেলাটির সৃষ্টি হয়েছিল আজ থেকে প্রায় দুইশত বৎসর পূর্বে ১৭৮৬ সালে।

  • সর্বউত্তরের জেলা পঞ্চগড়
  • সর্বউত্তরের উপজেলা তেতুলিয়া
  • সর্বউত্তরের স্থান বাংলাবান্ধা / জায়গীরজোত
  • সর্বপশ্চিমের জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ
  • সর্বপশ্চিমের উপজেলা শিবগঞ্জ
  • সর্বপশ্চিমের স্থান মনাকশা
  • সর্বপূর্বের জেলা বান্দরবান
  • সর্বপূর্বের উপজেলা থানচি
  • সর্বপূর্বের স্থান আখানইঠং
  • সর্ব দক্ষিণের জেলা কক্সবাজার
  • সর্ব দক্ষিণের উপজেলা টেকনাফ
  • সর্ব দক্ষিণের স্থান ছেঁড়াদ্বীপ / সেন্টমার্টিন

উপজেলা

উপজেলা ব্যবস্থা : স্থানীয় সরকার কাঠামোর অন্যতম একটি স্তর উপজেলা পরিষদ। বাংলাদেশের ভূখন্ডে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সূচনা ঘটে ১৮৭০ সালে। পাকিস্তান আমলে ১৯৫৯ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান 'মৌলিক গণতন্ত্র অধ্যাদেশ' জারির মাধ্যমে বিভাগীয় কাউন্সিল, থানা বা তহসিল কাউন্সিল এবং ইউনিয়ন কাউন্সিল নামে চার স্তরবিশিষ্ট স্থানীয় সরকার কাঠামো প্রবর্তন করেন। ১৯৭২ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির ৭ নং আদেশ দ্বারা উক্ত থানা কাউন্সিল-এর নাম পরিবর্তন করে থানা উন্নয়ন কমিটি করা হয়। ১৯৭৬ সালের স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন অধ্যাদেশ অনুযায়ী এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় থানা। ↓ ২৮ এপ্রিল ১৯৮২ প্রশাসনিক সংস্কারের লক্ষ্যে গঠিত কমিটির সুপারিশের ওপর ভিত্তি করে ১৯৮২ সালে স্থানীয় সরকার (থানা পরিষদ ও থানা প্রশাসন পুনর্গঠন) অধ্যাদেশ জারি করা হয়। ১৯৮২ সালের ৭ নভেম্বর থেকে কার্যকরী অধ্যাদেশ বলে প্রথমে উন্নীত থানা পরিষদ গঠন করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৮৫ সালে উন্নীত থানা পরিষদকে উপজেলা পরিষদে রূপান্তর করা হয়। ১৯৮৫ সালের মে মাসে সর্বপ্রথম উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় সংসদে 'উপজেলা বাতিল' বিল পাস হয় ২৬ জানুয়ারি, ১৯৯২ । জাতীয় সংসদে 'উপজেলা পরিষদ (রহিতকরণ) আইন পুনঃপ্রচলন ও সংশোধন বিল' পাস হয় ৬ এপ্রিল, ২০০৯ । বাংলাদেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি । সর্বশেষ গঠিত উপজেলাগুলি হল মাদারীপুরের ডাসার উপজেলা, কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলা ও সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলা ( ৪৯৫ তম ) । 'তিতাস উপজেলা' কুমিল্লা জেলার অন্তর্ভুক্ত একটি উপজেলা। এই উপজেলাটি গঠন করা হয় ২০০৪ সালে। উপজেলা শব্দটি সংস্কৃত ও আরবি ভাষার সংমিশ্রণে সৃষ্টি হয়েছে।

  • বাংলাদেশে বর্তমানে থানার সংখ্যা - ৬৪৮টি
  • বাংলাদেশে বর্তমানে নৌথানা - ১৭টি
  • বাংলাদেশে বর্তমানে রেলওয়ে থানা - ২৪টি
  • ঢাকা মহানগরীর বর্তমান থানার সংখ্যা - ৫০টি: সর্বশেষ হাতিরঝিল (ঢাকা)
  • হাইওয়ে পুলিশের থানা - ৩৬টি

ইউনিয়ন

  • বাংলাদেশে বর্তমানে ইউনিয়নের সংখ্যা :
    ৪৫৩৬ টি [ সূত্র: বাংলাদেশ প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি- নিকার ]
    ৪৫৫০ টি; [ জাতীয় তথ্য বাতায়ন ]
    ৪৫৫২ টি; [ ৫ম আদমশুমারি ]
    ৪৫৭১ টি; [ বাংলাদেশ পকেট পরিসংখ্যান ]
  • ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিনিধির সংখ্যা : ১৩ জন: ১জন চেয়ারম্যান ও ১২ জন সদস্য (৯জন সাধারন আসনের সদস্য ও ৩জন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য)
  • বাংলাদেশে বর্তমানে গ্রামের সংখ্যা : ৮৭,১৯১ টি

সিটি কর্পোরেশন

বাংলাদেশে সিটি কর্পোরেশনের সংখ্যা ১২টি। যথা- ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, রংপুর, গাজীপুর এবং ময়মনসিংহ। বাংলাদেশের সর্বশেষ সিটি কর্পোরেশন ময়মনসিংহ । ঢাকা সিটি কর্পোরেশনকে উত্তর ও দক্ষিণ দুইভাগে ভাগ করা হয় ২৯ নভেম্বর, ২০১১ তারিখে । সিটি এলাকায় ক্ষুদ্রতম প্রশাসনিক একক ওয়ার্ড । ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ওয়ার্ড সংখ্যা ৫৪টি । ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে ওয়ার্ড সংখ্যা ৭৫টি । চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে ওয়ার্ড সংখ্যা ৪১টি । ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনে ওয়ার্ড সংখ্যা ৩৩টি ।

ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়রের নাম মোহাম্মদ হানিফ। তিনি জনগণের ভোটে ১৯৯৪ সালের ১২ মার্চ মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০০২ সালের ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ৮ বছর ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের পিতা।

বৃহত্তম-ক্ষুদ্রতম

নামআয়তনে
 বৃহত্তমক্ষুদ্রতম
বিভাগচট্টগ্রামময়মনসিংহ
জেলারাঙামটিনারায়ণগঞ্জ
উপজেলাশ্যামনগর। (সাতক্ষীরা)বন্দর (নারায়ণগঞ্জ)
থানাশ্যামনগর (সাতক্ষীরা)ওয়ারী (ঢাকা)
সিটি কর্পোরেশনগাজীপুরসিলেট
পৌরসভাবগুড়া সদরভেদরগঞ্জ (শরীয়তপুর)
ইউনিয়নসাজেক (বাঘাইছড়ি, রাঙামাটি)হাজীপুর (দৌলতখান, জেলা )
নামজনসংখ্যায়
 বৃহত্তমক্ষুদ্রতম
বিভাগঢাকাবরিশাল
জেলাঢাকাবান্দরবান
উপজেলাগাজীপুর সদরথানচি (বান্দরবান)
থানাগাজীপুর সদরবিমানবন্দর (ঢাকা)
সিটি কর্পোরেশন-কুমিল্লা
পৌরসভাবগুড়া সদর-
ইউনিয়নথামসানি (সাভার, ঢাকা)হাজীপুর (দৌলতখান, জেলা )
  • সিলেট : সাইবার সিটি
  • ঢাকা : ক্লিন সিটি
  • চট্টগ্রাম : হেলদি সিটি
  • রাজশাহী : সিল্ক সিটি বা গ্রিন সিটি
  • বরিশাল : ইডিয়োপলিশ (সৃজনশীল আদর্শ শহর)

বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামো

বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামোর দুটি ধারা রয়েছে। প্রথমটি হল নাতি নির্ধারণী কেন্দ্র বা সচিবালয়, অপরটি হল স্থানীয় প্রশাসন বা মাঠ প্রশাসন । বাংলাদেশের প্রশাসন হলো শাসন বিভাগ। বাংলাদেশের সকল প্রশাসন নির্বাহী বিভাগের অধীনে দুই ভাগে বিভক্ত যথাঃ কেন্দ্রীয় প্রশাসন ও মাঠ প্রশাসন ।

১. কেন্দ্রীয় প্রশাসন

কেন্দ্রীয় প্রশাসনের চারটি শাখা যথাঃ

  1. সচিবালয়
  2. মন্ত্রণালয়
  3. অধিদপ্তর
  4. পরিদপ্তর

১. সচিবালয় : সকল মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় অফিসকে বলে সচিবালয়। সচিবালয়ের অধীনস্ত মন্ত্রণালয় সমন্বয়ের জন্য পৃথক যে Unit আছে তাকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বলা হয় এবং এর প্রধান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। বাংলাদেশে ৫টি সচিবালয় রয়েছে -

  1. রাষ্ট্রপতি সচিবালয়
  2. কর্মকমিশন সচিবালয়
  3. নির্বাচন কমিশন সচিবালয়
  4. জাতীয় সংসদ সচিবালয়
  5. বাংলাদেশ সচিবালয়

২. মন্ত্রণালয়: সচিবালয়ের অধীন একটি প্রশাসনিক ইউনিট হলো মন্ত্রণালয় যার নির্বাহী মন্ত্রী এবং প্রশাসনিক প্রধান সচিব। মন্ত্রীপরিষদের প্রধান হলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি সরকারের প্রধান। মন্ত্রীপরিষদ তাদের কাজকর্মের জন্য জাতীয় সংসদের নিকট দায়ী থাকেন। গুরুত্বপূর্ণ দুটি মন্ত্রণালয় হলো খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

৩. অধিদপ্তর : মন্ত্রণালয়ের অধীন এক বা একাধিক ইউনিট যার প্রধান মহাপরিচালক বা Director General. যে অফিসের প্রধানের পদবী মহাপরিচালক অর্থাৎ সরকারের যুগ্মসচিব মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তি সেই অফিসকে বলা হয় অধিদপ্তর।

৪. পরিদপ্তর: অধিদপ্তরের অধীন এক বা একাধিক ইউনিট যার প্রধান পরিচালক বা Director. যে অফিসের পদবী পরিচালক অর্থাৎ সরকারের উপসচিব মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তি সেই অফিসকে বলা হয় পরিদপ্তর।

কর্পোরেশন; যে অফিসের প্রধানের পদবী চেয়ারম্যান অর্থাৎ সরকারের অতিরিক্ত সচিব মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তি সেই অফিসকে বলা হয় কর্পোরেশন। কর্পোরেশনগুলো সাধারণত বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পরিচালিত হয়।

কেন্দ্রীয় প্রশাসনের কাজ:

  1. নীতিমালা তৈরি (Policy Making)
  2. আইন প্রণয়ন করা (Law Formation)
  3. তদারকি ও পর্যবেক্ষণ (Supervision & Monitoring)

২. মাঠ প্রশাসন

বিভাগীয় প্রশাসন , জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন এই তিনটি প্রশাসনিক স্তরকে মাঠ প্রশাসন বলে।

  1. বিভাগীয় প্রশাসন : প্রধান বিভাগীয় কমিশনার (যিনি Joint Secretary মর্যাদা সম্পন্ন ) কেন্দ্রের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি বিভাগের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জেলা প্রশাসকদের কাজের তত্ত্বাবধান করেন, জেলা প্রশাসকদের তিনি বদলী করতে পারেন।
  2. জেলা প্রশাসন : প্রধান জেলা প্রশাসক। তিনি জেলার প্রধান নির্বাহী। তাকে কেন্দ্র করে জেলার সকল কাজ পরিচালিত হয়। তিনি জেলার প্রশাসনিক কাজ, রাজস্বসংক্রান্ত ও আর্থিক কাজ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসংক্রান্ত কাজ, উন্নয়নমূলক কাজ ও স্থানীয় শাসনসংক্রান্ত কাজ করে থাকেন।
  3. উপজেলা প্রশাসন : উপজেলা নির্বাহী অফিসার (UNO) উপজেলার সকল উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তদারক এবং সরকারি অর্থের ব্যয় তত্ত্বাবধান করেন। তিনি উপজেলা কোষাগারের রক্ষক ।

মাঠ প্রশাসনের মূল কাজ দুই ধরনের-

  1. আইন ও নীতিমালার বাস্তবায়ন (Implementation of the law)
  2. পর্যবেক্ষণ ও তদারকি (Supervision & Monitering)

বাংলাদেশের শাসন বিভাগ

শাসন বিভাগকে নির্বাহী বিভাগও বলা হয়ে থাকে। এটি মূলত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদ নিয়ে গঠিত।

রাষ্ট্রপতি : বাংলাদেশের শাসন বিভাগের সর্বোচ্চ ব্যক্তি হলেন রাষ্ট্রপতি। তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান। তবে রাষ্ট্রপ্রধান হলেও তিনি আসলে নামমাত্র প্রধান। দু-একটি ব্যতিক্রম ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে তিনি বাষ্ট্রের সকল কাজ পরিচালনা করেন। রাষ্ট্রপতি জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের ভোটে নির্বাচিত হন। তাঁর কার্যকাল ৫ বছর। রাষ্ট্রপতি পুননির্বাচিত হতে পারেন। তবে কোন ব্যক্তি দুই মেয়াদ অর্থাৎ ১০ বছরের বেশি রাষ্ট্রপতি পদে থাকতে পারেন না। রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন কালে তার বিরুদ্ধে আদালতে কোন অভিযোগ আনা যায় না। তবে সংবিধান লঙ্ঘন বা গুরুতর কোনো অভিযোগে জাতীয় সংসদ অভিশংসনের (অপসারণ পদ্ধতি) মাধ্যমে তাকে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই অপসারণ করতে পারে। রাষ্ট্রপতি হতে হলে কোন ব্যক্তিকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক এবং কমপক্ষে ৩৫ বছর বয়স্ক হতে হবে। এছাড়া তাঁর জাতীয় সংসদ নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতা থাকতে হবে। যদি কেউ রাষ্ট্রপতি পদ থেকে অপসারিত হন তাহলে তিনি আর রাষ্ট্রপতি হতে পারবেন না।

প্রধানমন্ত্রী : প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিপরিষদের কেন্দ্রবিন্দু ও সরকারপ্রধান। তাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের শাসনকার্য পরিচালিত হয়। প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রিসভা দেশের প্রকৃত শাসক। জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের আস্থাভাজন ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন। কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি নিজের বিচার-বিবেচনা অনুযায়ী জাতীয় সংসদের যে কোন সদস্যকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করবেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যকাল পাঁচ বছর। তবে তার আগে কোনো কারণে সংসদ তার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনলে এবং তা সংসদে গৃহীত হলে প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হয়। প্রধানমন্ত্রী স্বেছায়ও পদত্যাগ করতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে তার মন্ত্রিসভা ভেঙ্গে যায়। তাই প্রধানমন্ত্রীকে সরকারের স্তম্ভ বলা হয়। তিনি একসাথে সংসদের নেতা, মন্ত্রিসভার নেতা এবং সরকারপ্রধান।

মন্ত্রিপরিষদ : সরকার পরিচালনার জন্য দেশে একটি মন্ত্রিপরিষদ আছে। প্রধানমন্ত্রী এর নেতা। তিনি যেরূপ সংখ্যক প্রয়োজন মনে করেন সেরূপ সংখ্যক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীকে নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ গঠন করেন। মন্ত্রিপরিষদের মন্ত্রীগণ সাধারণত সংসদের সদস্যদের মধ্য থেকে নিযুক্ত হন । সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য কিন্তু সংসদ সদস্য নন এমন ব্যক্তিও মন্ত্রী হতে পারেন। তবে তার সংখ্যা মন্ত্রিপরিষদের মোট সদস্যসংখ্যার এক দশমাংশের বেশি হবে না।

বাংলাদেশের আইনসভা ( জাতীয় সংসদ )

বাংলাদেশের সংবিধানের ৬৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয় যে, আইনানুযায়ী বাংলাদেশের জন্য একটি আইন পরিষদ থাকবে যার নাম "জাতীয় সংসদ (House of the Nation), এটি এক কক্ষবিশিষ্ট। প্রজাতন্ত্রের আইন প্রণয়নের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের উপর ন্যস্ত। রাজধানী ঢাকায় সংসদের স্থায়ী আসন রয়েছে। সংরক্ষিত ৫০টি মহিলা আসনসহ বর্তমানে জাতীয় সংসদ ৩৫০ জন সদস্য নিয়ে গঠিত। ৫০টি মহিলা আসনের সদস্যগণ নির্বাচিত ৩০০ জান সদস্যের দ্বারা পরোক্ষভাবে নির্বাচিত হবেন। সংসদের কার্যকাল ৫ বছর। সংসদ সদস্য হতে হলে কোন ব্যক্তিকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক এবং কমপক্ষে ৩৫ বছর বয়স্ক হতে হবে।

জাতীয় সংসদ ভবন : ঢাকার শেরে বাংলা নগরে ২০৮ একর জমির উপর ৯ তলা বিশিষ্ট জাতীয় সংসদ ভবন অবস্থিত। ১৯৫৯ সালে ঢাকায় জাতীয় সংসদ ভবন কমপ্লেক্সের পরিকল্পনা গৃহীত হয়। মার্কিন স্থপতি লুই আই কান ১৯৬২ সালে এর মূল নকশা প্রস্তুত করেন। ১৯৬৪ সালে মূল নকশায় কিছুটা পরিবর্তন এনে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ১৯৭১ সালে নির্মাণ কাজ বন্ধ হয় এবং ১৯৭৪ সালে কোন পরিবর্তন ছাড়াই নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ১৯৮২ সালের ২৮ জানুয়ারি তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আবদুস সাত্তার এর উদ্বোধন করেন। একই বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি এখানে প্রথম সংসদ অধিবেশন বসে। সংসদ ভবনের উচ্চতা ১৫৫ ফুট ৮ ইঞ্চি ৪৬.৫ মিটার। এটি ৯ তলা বিশিষ্ট।

জাতীয় সংসদের স্থপতি লুই আই কান : বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবন মার্কিন স্থপতি লুই আই কানের সৃষ্টিশীল নিদর্শন। ১৯০১ সালে তিনি এস্তোনিয়ার এক ইহুদী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতামাতার সাথে তিনি আমেরিকায় অভিবাসী হন। ১৯৬২ সালের মার্চে তিনি সংসদ ভবনের নকশা তৈরির দায়িত্ব পান এবং এ বছরই মূল নকশা প্রস্তুত করেন। তাঁর মৃত্যুর পর ১৯৬৪ সালে তাঁর সহকারী হেনরী উইলকট কমপ্লেক্সটির পরিবর্তিত নকশা সম্পাদনা করেন। হেনরী এম প্যামব্যাম ভবনটির কাঠামো ডিজাইন করেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন

  • নির্বাচনের তারিখ : ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি
  • মোট প্রার্থী : ১ হাজার ৯৭০ জন
  • মোট ভোটার : ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৮৯ হাজার ২৮৯ জন।
  • অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দল : ২৮ টি
  • নির্বাচনের ফলাফল :
    ● আওয়ামী লীগ ২৬৩ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ২২৪ টি আসনে জয়ী হয় ।
    ● জাতীয় পার্টি (এরশাদ) ২৮৬ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ১১ টি আসনে জয়ী হয় ।
    ● বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি ২ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ১ টি আসনে জয়ী হয় ।
    ● জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল ৩ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ১ টি আসনে জয়ী হয় ।
    ● বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি ২০ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ১ টি আসনে জয়ী হয় ।
    ● স্বতন্ত্র প্রার্থী মোট ৬২ টি আসনে জয়লাভ করে ।
  • এই নির্বাচনই প্রথম যেখানে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক দেখাতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের মধ্য থেকে ডামি প্রার্থী রাখার নির্দেশ দেন। এছাড়া দলের ভেতর থেকে কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে অনাপত্তি জানানো হয়। ফলে দেখা যায় , একই দলের প্রার্থীদের মধ্যে ভিন্ন প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় ।
  • এই নির্বাচনে ৯৬ জন নারী প্রার্থীর মধ্যে ২০ জন নির্বাচিত হয়েছেন।
  • সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন ৫০টি ।
  • সংসদে সংরক্ষিত আসনসহ মোট নারী সদস্য ৭০ জন ।
সংসদ নির্বাচনসময়কালNote
প্রথম৭ মার্চ, ১৯৭৩বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম নির্বাচন।
দ্বিতীয়১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৯বহুদলের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
তৃতীয়৭ মে, ১৯৮৬-
চতুর্থ৩ মার্চ, ১৯৮৮-
পঞ্চম২৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯১তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
ষষ্ঠ১৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৬-
সপ্তম১২ জুন, ১৯৯৬তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দ্বিতীয় নির্বাচন
অষ্টম১ অক্টোবর, ২০০১তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে তৃতীয় নির্বাচন
নবম২৯ ডিসেম্বর, ২০০৮তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে চতুর্থ নির্বাচন
দশম৫ জানুয়ারি, ২০১৪ 
একাদশ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮১৫৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়।
দ্বাদশ৭ জানুয়ারি , ২০২৪একই দলের ডামি প্রার্থী রাখার প্রথম ইতিহাস ।

বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের আসন :

  • জাতীয় সংসদের নির্বাচিত আসন : ৩০০ টি
  • সংরক্ষিত মহিলা আসন : ৫০ টি
  • জাতীয় সংসদের সর্বমোট আসন : ৩৫০টি
  • সবচেয়ে বেশি সংসদীয় আসন : ঢাকা জেলায় - ২০টি
  • সবচেয়ে কম সংসদীয় আসন : রাঙামাটি-১টি, খাগড়াছড়ি-১টি এবং বান্দরবান-১টি
  • মাত্র একটি সংসদীয় আসন : রাঙামাটি জেলায়
  • জাতীয় সংসদের ১ নং আসন : পঞ্চগড় জেলায়
  • জাতীয় সংসদের ৩০০ নং আসন : বান্দরবান জেলায়
  • সর্বাধিক ভোটার : জাতীয় সংসদের ১৯২ নং আসন (ঢাকা-১৯ আসন)
  • সবনিম্ন ভোটার : জাতীয় সংসদের ১২৫ নং আসন (ঝালকাঠি-১ আসন)
  • ঢাকা সিটি কর্পোরেশনে সংসদীয় আসন : ১৫টি। (ঢাকা দক্ষিণ-৮ টি এবং ঢাকা উত্তর- ৭ টি)
  • বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্ব চালু হয় : সপ্তম জাতীয় সংসদে
  • সংরক্ষিত মহিলা আসন :
    ১৯৭২ সালের → ১৫টি অতিরিক্ত আসন ছিল
    ১৯৭৯ সালে গৃহীত পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে → ৩০টি
    চতুর্দশ সংশোধনী → ৪৫টি
    ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনী → ৫০ টি
    ২০১৮ সালে সপ্তদশ সংশোধনী → ৫০ টি (বর্তমান) ও এটি ২৫ বছর মেয়াদে বৃদ্ধি ।
  • জাতীয় সংসদে সরকারি দলের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করেন : প্রধানমন্ত্রী
সংসদপ্রথম অধিবেশন শুরু হয়সংসদ বিলুপ্ত হয়মেয়াদ
প্রথম৭ এপ্রিল, ১৯৭৩৬ নভেম্বর, ১৯৭৫২ বছর ৭ মাস
দ্বিতীয়২ এপ্রিল, ১৯৭৯২৪ মার্চ, ১৯৮২২ বছর ১১ মাস
তৃতীয়১০ এপ্রিল, ১৯৮৬৬ ডিসেম্বর, ১৯৮৭১ বছর ৫ মাস
চতুর্থ১৫ এপ্রিল, ১৯৮৮৬ ডিসেম্বর, ১৯৯০২ বছর ৭ মাস
পঞ্চম৫ এপ্রিল, ১৯৯১২৪ নভেম্বর, ১৯৯৫৪ বছর ৮ মাস
ষষ্ঠ১৯ মার্চ, ১৯৯৬৩০ মার্চ, ১৯৯৬১২ দিন
সপ্তম১৪ জুলাই, ১৯৯৬১৩ জুলাই, ২০০১৫ বছর
অষ্টম২৮ অক্টোবর, ২০০১২৭ অক্টোবর, ২০০৬৫ বছর
নবম২৫ জানুয়ারি, ২০০৯২৪ জানুয়ারি, ২০১৪৫ বছর
দশম২৯ জানুয়ারি, ২০১৪২৯ জানুয়ারি, ২০১৯৫ বছর
একাদশ৩০ জানুয়ারি, ২০১৯২৯ জানুয়ারি , ২০২৪৫ বছর
দ্বাদশ৩০ জানুয়ারি , ২০২৪--

বাংলাদেশের বিচার বিভাগ

বাংলাদেশে বিচার বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল দন্ড প্রদান এবং সংবিধানের ব্যাখ্যা দান। রাষ্ট্র দোষী ও অপরাধীদের শাস্তি বিধানের জন্য বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেছে। বাংলাদেশ সরকারের তিনটি বিভাগের মধ্যে বিচার বিভাগ অন্যতম । নাগরিকের মৌলিক অধিকার রক্ষা, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা, অপরাধীর শাস্তিবিধান এবং দুর্বলকে সবলের হাত থেকে রক্ষার জন্য নিরপেক্ষ বিচার বিভাগের গুরুত্ব অপরিসীম। বিচার বিভাগ আইনের অনুশাসন ও দেশের সংবিধানকে অক্ষুন্ন রাখে।

বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সুপ্রিম কোর্ট, অধস্তন আদালত এবং প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল নিয়ে গঠিত। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রীম কোর্ট। বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ আদালতের নাম সুপ্রীম কোর্ট। এর রয়েছে দুটি বিভাগ আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগ। সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের পৃথক কার্যের এখতিয়ার আছে। এ দুটি কোর্টের ক্ষমতা ও কাজ নিয়েই সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের একজন প্রধান বিচারপতি রয়েছেন, যাকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি বলা হয়। রাষ্ট্রপতি তাকে নিযুক্ত করেন। প্রত্যেক বিভাগের জন্য যতজন বিচারক প্রয়োজন ততজন বিচারককে নিয়ে সুপ্রীম কোর্ট গঠিত । সুপ্রিম কোটের আপিল বিভাগে বিচারপতির সংখ্যা ১১ (বর্তমানে ৭ জন বিচারক আছেন)। আপিল বিভাগে বেঞ্চের সংখ্যা ৩। বর্তমানে হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতির সংখ্যা ৭৮। প্রধান বিচারপতির সাথে পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের দুই বিভাগের বিচারপতিদের নিয়োগ দেন। প্রধান বিচারপতিও অন্যান্য বিচারকগণ বিচার পরিচালনার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ স্বাধীন। সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হতে হলে তাকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। সুপ্রিম কোর্টে ১০ বছর এডভোকেট হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে অথবা বাংলাদেশে বিচার বিভাগীয় পদে ১০ বছর বিচারক হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারকগণ ৬৭ বৎসর বয়স পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত স্বীয় পদে কর্মরত থাকতে পারেন। সুপ্রীম কোর্টের স্থায়ী আসন রাজধানী ঢাকায়। হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বেঞ্চ ১টি (ঢাকায়)।

অধস্তন আদালত সমূহ (Lower Courts) :

  • সংবিধানের ১১৪ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে অধস্তন আদালত সমূহ নিয়ে সুপ্রীম কোর্ট প্রতিষ্ঠিত হয়। সুপ্রীম কোর্টের অধীনে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় অধস্তন বা নিম্ন আদালত আছে।
  • জেলা জজের আদালত (The Court of the District Judge): জেলা আদালতের প্রধান বিচারক জেলা জজ। তিনি জেলার দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলার সর্বোচ্চ বিচারক। জেলা জজ যখন ফৌজদারী মামলার বিচার করেন তখন তাঁকে সেশন জজ বা দায়রা জজ বলে।
  • অতিরিক্ত জেলা জজ, যুগ্ম জজ এবং সহকারী জজ আদালত (The Court of the Additional district Judge, Joint District Judge and Assistant district Judge): জেলা জজ আদালতের অধীনে প্রত্যেক জেলায় অতিরিক্ত জেলা জজ, যুগ্ম জজ এবং সহকারী জজ আদালত আছে। অতিরিক্ত জেলা জজ যখন ফৌজদারী মামলার বিচার করেন, তখন তাঁকে অতিরিক্ত দায়রা জজ বলে। যুগ্ম জেলা জজ যখন ফৌজদারী মামলার বিচার করেন, তখন তাঁকে সহকারী দায়রা জজ বলে। ফৌজদারী মামলা নিষ্পত্তির জন্য প্রথম শ্রেণী, দ্বিতীয় শ্রেণী এবং তৃতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত আছে।
  • পারিবারিক আদালতঃ ১৯৮৫ সালে পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে পারিবারিক আদালত সৃষ্টি হয়। পারিবারিক আদালতের অধিক্ষেত্রসমূহঃ
    ১. বিবাহ বিচ্ছেদ
    ২. দাম্পত্য অধিকার পুনরুদ্ধার
    ৩. মোহরানা, ভরণ-পোষণ
    ৪. অভিভাবকত্ব ও শিশুদের তত্ত্বাবধান সংক্রান্ত মামলা ইত্যাদি।

প্রশাসনিক ট্রাইবুনাল (Administrative Tribunal): বাংলাদেশের সংবিধানের ১১৭ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোন কোন ক্ষেত্রে প্রশাসনিক ট্রাইবুনাল গঠন করা হয়। বর্তমানে কয়েকটি জেলায় প্রশাসনিক ট্রাইবুনাল আছে। ঢাকায় একটি প্রশাসনিক আপীল ট্রাইবুনাল আছে।

গ্রাম আদালত (Village Courts): বিচার বিভাগীয় কাঠামোর সর্বনিম্নে ইউনিয়ন পর্যায়ে গ্রাম আদালত আছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং বিবাদমান দুইপক্ষের দুইজন করে মনোনীত সদস্য- মোট পাঁচজন সদস্য নিয়ে গ্রাম আদালত গঠিত হয়। যেসব মামলা গ্রাম আদালতে বিচারের যোগ্য, তার বিচার অন্য আদালতে হয়না। দেওয়ানী ও ফৌজদারী দণ্ড সংক্রান্ত ছোট খাটো বিচারের নিষ্পত্তি গ্রাম আদালতে হয়। (গ্রাম আদালত আইন-২০০৬)

দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল : ২০০২ সালের ১০ নভেম্বর প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে দেশের ৬টি বিভাগীয় শহরে একটি করে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। আইনশৃঙ্খলার অবনতি রোধ এবং অপরাধের দ্রুত শাস্তি বিধানের জন্য এ আদালত গঠিত হয়। ৬ ধরনের অপরাধের বিচার এখানে দ্রুত পরিচালিত হবে-হত্যা, ধর্ষণ, আগ্নেয়াস্ত্র , বিস্ফোরক দ্রব্য, মাদক দ্রব্য এবং মজুদদারী।

সুপ্রীম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়ঃ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ ২১ জুন, ২০০৯ বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীনতার ঘোষক বলে রায় দেয়।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রথম নারী বিচারপতি:

  • সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের প্রথম নারী বিচারপতি হলেন নাজমুন আরা সুলতানা। একাধারে তিনি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগেরও প্রথম নারী বিচারপতি। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১১ থেকে ৬ জুলাই ২০১৭ পর্যন্ত তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি ছিলেন।
  • দেশের ১ম নারী সলিসিটর - জেসমিন আরা বেগম।
  • বর্তমানে আপিল বিভাগের বিচারপতির সংখ্যা - ৭ জন।
  • আপিল বিভাগের ১ম নারী বিচারপতি - নাজমুন আরা সুলতানা।
  • আপিল বিভাগের ২য় নারী বিচারপতি - জিনাত আরা।
  • আসামীর হাজতবাস কারাদন্ড ভোগের সময় থেকে বাদ দেয়ার সাম্প্রতিক নির্দেশটি দিয়েছেন - আপিল বিভাগ।

বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ : বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের জন্য মামলা করেন সাব জজ মোহাম্মদ মাজদার হোসেন ও ৪৪০ জন বিচারক , ১৯ নভেম্বর, ১৯৯৫। মামলাটির নাম মাজদার হোসেন বনাম বাংলাদেশ। ১ নভেম্বর, ২০০৭ স্বাধীন বিচার বিভাগের যাত্রা শুরু হয়। ২১৮ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে বিচার বিভাগ পৃথক হয় । বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের ফলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছ হতে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব নেন নিম্ন ফৌজদারী আদালতের । স্বাধীন বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় হচ্ছে সুপ্রীম কোর্টের অধীনে । নিম্ন আদালতে বিচারক নিয়োগের কার্যাবলী পরিচালিত হয় জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে ।

ধারাধারা বিবরণী
৫৪ ধারাবিনা ওয়ারেন্টে পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার করার ক্ষমতা
১৪৪ ধারামানুষের চলাচল, আচরণ এবং কর্মকাণ্ডের উপর বিধিনিষেধ বা নিয়ন্ত্রণ। যেমন-৪ জনের বেশি একত্রে চলাচল নিষিদ্ধ, আগ্নেয়াস্ত্র বহন এবং এক জায়গায় একত্র হওয়া বা করা নিষিদ্ধ।
১৫৪ ধারাএই ধারায় এজাহার রেকর্ড করা হয়।
১৬৪ ধারাএই ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
১৭৩ ধারাএই ধারায় চার্জশীট দাখিল করা হয়।
৪২০ ধারাপেনাল কোডের একটি ধারা যেখানে প্রতারণার জন্য শাস্তির বিধান রাখা আছে।
FIRFirst Information Report। এটি একটি প্রাথমিক তথ্য বিবরণী যা এজাহার নামে পরিচিত। পেনাল কোডের ১৫৪ ও ১৫৫ ধারা অনুযায়ী কোন অপরাধের বিষয়ে থানায় রিপোর্ট করাকে FIR বলে।
চার্জশীট ( Charge Sheet )চার্জশীট এক ধরনের অভিযোগপত্র। থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কোন অপরাধীর অপরাধ তদন্ত করে যদি অপরাধ সংঘটনে আসামির সংশ্লিষ্টতার তথ্য প্রমাণ পান, তখন তদন্তকারী কর্মকর্তা যে অভিযোগপত্র তৈরি করেন, তাই চার্জশীট।
ওয়ারেন্ট ( Warrant )ওয়ারেন্ট শব্দের অর্থ গ্রেপ্তারী পরোয়ানা। বিচারক কর্তৃক কাউকে গ্রেপ্তার করার উদ্দেশ্যে পুলিশের প্রতি লিখিত আদেশনামাই হলো ওয়ারেন্ট।
PPPublic Procecutor-যার মাধ্যমে সমস্ত ক্রিমিনাল মামলা কোর্টে যায়।
প্যারোলনির্বাহী আদেশে মুক্তি
Amicus Curiaeআদালতের বন্ধু
আইনপাসের সময়সংশোধিত হয়
দণ্ডবিধি (The Penal Code)১৮৬০ সালে-
পুলিশ আইন (The Police Act)১৮৬১ সালে 
সাক্ষ্য আইন (The Evidence Act)১৮৭২ সালে-
চুক্তি আইন (The Contract Act)১৮৭২ সালে-
সাবালকত্ব আইন (The Majority Act)১৮৭৫ সালে-
অস্ত্র আইন (The Arms Act)১৮৭৮ সালে-
সম্পত্তি হস্তান্তর আইন (The Transfer of Propery Act)১৮৮২ সালে-
ট্রাস্ট অ্যাক্ট (The Trusts Act)১৮৮২ সালে-
বিস্ফোরক আইন (The Explosives Act)১৮৮৪ সালে-
ফৌজদারী কার্যবিধি১৮৯৮ সালে-
তামাদি আইন১৯০৮ সালে-
সরকারি গোপনীয়তা আইন১৯২৩ সালে-
সাকসেশন অ্যাক্ট১৯২৫ সালে-
বাল্যবিবাহ আইন১৯২৯ সালে১৯৮৪ সালে
আরবিট্রেশন অ্যাক্ট১৯৩৭ সালে-
ট্রেড মার্কস অ্যাক্ট১৯৪০ সালে-
ভবঘুরে আইন১৯৪৩ সালে-
ট্রেজারি রুলস১৯৪৪ সালে-
আনসার আইন১৯৪৮ সালে-
মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ১৯৬১ সালে১৯৮৬ সালে
স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থা নিবন্ধীকরণ ও নিয়ন্ত্রণ আইন১৯৬১ সালে-
বিশেষ ক্ষমতা আইন১৯৭৪ সালে-
বিবাহ ও তালাক নিবন্ধীকরণ আইন১৯৭৪ সালে১৯৭৫ সালে
শিশু আইন (The Children Act)১৯৭৪ সালে-
স্থানীয় শাসন অধ্যাদেশ১৯৭৬ সালে-
যৌতুক নিরোধ আইন (The Dowry Prohibiion Act)১৯৮০ সালে১৯৮৬ সালে
ন্যায়পাল আইন১৯৮০ সালে-
বিসিএস নিয়োগ বিধিমালা১৯৮১ সালে-
ভূমি সংস্কার অধ্যাদেশ১৯৮৪ সালে-
পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ১৯৮৫ সালে-
বাংলা ভাষা প্রচলন আইন১৯৮৭ সালে-
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন১৯৯০ সালে-
প্রাথমিক শিক্ষা (বাধ্যতামূলককরণ) আইন১৯৯০ সালে-
ব্যাংক কোম্পানি আইন১৯৯১ সালে-
কোম্পানি আইন-১৯৯৪ সালে
সন্ত্রাসমূলক অপরাধ দমন (বিশেষ বিধান) আইন১৯৯৪ সালে-
নারী ও শিশু নির্যাতন আইন২০০০ সালে-
অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পন আইন২০০১ সালে-
সালিস আইন২০০১ সালে-
আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী (দ্রুত বিচার) আইন৯ এপ্রিল, ২০০২-
দ্রুতবিচার ট্রাইবুনাল আইন১ ডিসেম্বর, ২০০২-
পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রেগুলেশন২০০৩ সালে 
'যৌথ বাহিনীর দায়মুক্তির অধ্যাদেশ' জারি করা হয়৯ জানুয়ারি ২০০৩ 
দুর্নীতি দমন কমিশন আইন১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০০৪-
জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন আইন২ ডিসেম্বর, ২০০৪২ জুন, ২০০৬
ধূমপান ও তামাকজাতপণ্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন১৫ মার্চ, ২০০৫-
ভূমি রেজিস্ট্রেশন আইন কার্যকর হয়১ জুলাই, ২০০৫-
কর ন্যায়পাল আইন১০ জুলাই, ২০০৫-
বাংলাদেশ শ্রম আইন২৫ সেপ্টেম্বর, ২০০৬-
ভ্রাম্যমান আদালত অধ্যাদেশ১ নভেম্বর, ২০০৭-
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (সংশোধন) অধ্যাদেশ জারি করা হয়১৯ আগস্ট, ২০০৮-
তথ্য অধিকার আইন২৯ মার্চ, ২০০৯-
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন১ এপ্রিল, ২০০৯-
গ্রাম সরকার (রহিতকরণ) বিল৬ এপ্রিল, ২০০৯-
জাতির পিতার পরিবার সদস্যগণের নিরাপত্তা বিল১৩ অক্টোবর, ২০০৯-
জাতীয় পরিচয় পত্র নিবন্ধন আইন২০১০-
কর ন্যায়পাল (রহিতকরণ) আইন২০১১-
সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন২০১১-
স্থানীয় সরকার আইন২০১১-
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল২০১২-
আদালত অবমাননা আইন২০১৩-
শিশু আইন২০১৩-
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন আইন২০১৩-
পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ আইন২০১৩-
নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন২০১৩-
বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আইন২০১৩-
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড আইন২০১৪-
সংবিধান (ষোড়শ সংশাধেন) আইন২০১৪-
বাংলাদেশ হোটেল ও রেস্তোরা আইন২০১৪-
মেট্রোরেল আইন২০১৫-
বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিল আইন২০১৫-
ফরমালিন নিয়ন্ত্রণ আইন২০১৫-
সরকারি যানবাহন (ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ)২০১৫-
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো আইন২০১৫-
ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স কর্পোরেশন আইন২০১৫-
পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র আইন২০১৫-

বাংলাদেশের আইন অনুযায়া ১৪ বছরের নিচে শিশুদের শ্রমে নিয়োগ করা যাবে না।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন

১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ জাতীয় সংসদে পাস হয় ডিজিটাল নিরাপত্তা বিল ২০১৮। বহুল আলোচিত এ বিলে ৮ অক্টোবর ২০১৮ স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের মাধ্যমে বিলটি আইন হিসেবে কার্যকর হয়। আইনে ডিজিটাল মাধ্যমে আক্রমণাত্মক, মিথ্যা বা ভীতি প্রদর্শক তথ্য উপাত্ত প্রকাশ; মানহানিকর তথ্য প্রকাশ; ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত: আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানো, অনুমতি ছাড়া ব্যক্তি তথ্য সংগ্রহ ও ব্যবহার ইত্যাদি বিষয়ে অপরাধে জেল জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। বিভিন্ন পক্ষের আপত্তি, উদ্বেগ ও মতামত উপেক্ষা করে প্রণীত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের উল্লেখযোগ্য বিষয়সমূহ-

  • বাংলাদেশ বা বিশ্বের যে কোনো দেশে বসে বাংলাদেশের কোনো নাগরিক যদি এ আইন লঙ্ঘন করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে এ আইনে বিচার করা যাবে।
  • ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিচার হবে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে। অভিযাগে গঠনের ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে। তবে এর মধ্যে করা সম্ভব না হলে সর্বোচ্চ ৯০ কার্যদিবস পর্যন্ত তা বাড়ানো যাবে।
  • ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপরাধ ও শান্তি সংক্রান্ত প্রায় ২০টি ধারার মধ্যে ১৪টি জামিন অযোগ্য, ৫টি জামিন যোগ্য ও একটি সমঝোতা সাপেক্ষ।
  • ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ন্যূনতম শাস্তির মেয়াদ এক বছর কারাদন্ড ও সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদন্ড। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে শাস্তির মেয়াদ ৪-৭ বছর কারাদন্ড।

বাংলাদেশের মন্ত্রণালয়

বাংলাদেশে বর্তমানে ৭০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ রয়েছে। এর মধ্যে মন্ত্রণালয়ের সংখ্যা ৪৩টি এবং বিভাগ ২৭টি। ৪৩টি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে তিনটি মন্ত্রণালয় ভেঙ্গে গঠিত হচ্ছে নতুন করে ৭টি বিভাগ। প্রতিটি বিভাগে দায়িত্ব পালন করবেন একজন করে সচিব।

  • বাংলাদেশের মোট মন্ত্রণালয়ের সংখ্যা : ৪৩টি (রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ)
  • বাংলাদেশের সর্বশেষ মন্ত্রণালয় : (৪ ডিসেম্বর, ২০১১ গঠিত হয়)
    ১) রেলপথ মন্ত্রণালয়
    ২) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়
  • দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রণালয় : বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
  • অধিদপ্তরের প্রধান- মহাপরিচালক
  • খাদ্য অধিদপ্তর- খাদ্য ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অধীন
  • বাংলাদেশ পুলিশ : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন
  • বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ব্যবস্থায় মন্ত্রীদের দপ্তর বন্টন করেন প্রধানমন্ত্রী।
  • জেলা প্রশাসক পদমর্যাদা : যুগ্মসচিব সমতুল্য
  • মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী প্রধান : মন্ত্রী
  • প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের প্রধান : মুখ্য সচিব
  • মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক প্রধান : সচিব বা জ্যেষ্ঠ সচিব
  • রাষ্ট্রপতির সচিবালয়ের প্রধান : মুখ্য সচিব
  • মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কাঠামোর সর্বনিম্নে আছেন : সহকারী সচিব
মন্ত্রণালয়ের বর্তমান নামমন্ত্রণালয়ের পূর্বনামগঠিত হয়েছিল
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়তথ্য মন্ত্রণালয় 
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়২০ জুন, ২০১৮
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয় 
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ২৩ অক্টোবর, ২০০১
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ২ জানুয়ারি, ২০০৩
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ২০ ডিসেম্বর, ২০০১
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ১৫ জুলাই, ১৯৯৮
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ১৯৯৪ সালে
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ১৯৭২ সালে শ্রম সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় নামে গঠিত হয় এবং ১৯৮৯ সালে একক মন্ত্রণালয় হিসেবে গঠন করা হয়।
মন্ত্রণালয়ের নামগঠিত হয়েছিলপুনর্গঠন হয়
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়এপ্রিল ১৯৭১(১৯ জানুয়ারি ২০১৭)
১. জননিরাপত্তা বিভাগ (Public Security Division)
২. সুরক্ষা সেবা বিভাগ (Security Services Division)
শিক্ষা মন্ত্রণালয়১৯৭২ সালে৩০ নভেম্বর ২০১৬
১. মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।
২. কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ ।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়-(১৬ মার্চ ২০১৭)
১. স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ (Health Services Division)
২. স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ (Medical Education and Family Welfare Division)
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়১৯৮৬ সালে১. একটি বিমানের সাথে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলো পরিচালনা করবে।
২. আর অন্য বিভাগটি পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে কাজ করবে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়-১. স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং
২. পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ। কাজের পরিধি বাড়ায় এখন স্থানীয় সরকার বিভাগকেও আবার দুই ভাগ করা হচ্ছে- একটি বিভাগ করা হবে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর ও তদারকি করার জন্য। আর অন্য বিভাগটি এলজিইডি, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, ওয়াসাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর পরিচালনায় থাকবে।
অর্থ মন্ত্রণালয় বিভাগ ৪টি।
১. অর্থ বিভাগ
২. অভ্যন্তরীণ সম্পদ
৩. অর্থনৈতিক সম্পর্ক
৪. আর্থিক প্রতিষ্ঠান

বিলুপ্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকার

গণঅভ্যুত্থানে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচারী সরকার লে. জেনারেল হুসাইন মুহম্মদ এরশাদের পতনের পর বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও তত্ত্ববধায়ক সরকারের প্রধান হিসাবে নিযুক্ত হন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম তত্ত্ববধায়ক সরকারের প্রধান। সাংবিধানিকভাবে প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয় ৩০ মার্চ, ১৯৯৬। সাংবিধানিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রথম প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান। ১১/১/২০০৭ এ সামরিক সমর্থনপুষ্ট ড. ফকরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার নীরব সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে যা 'ওয়ান ইলেভেন' নামে পরিচিত। ৩০ জুন ২০১১ (রাষ্ট্রপতি অনুমোদন ৩ জুলাই'১১) পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে এটি বিলুপ্ত করা হয়।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টাদের তালিকা :

  • বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদ (০৬.১২.৯০-০৯.১০.৯১ )
  • বিচারপতি হাবিবুর রহমান (৩০.০৩.৯৬-২৩.০৬.৯৬)
  • বিচারপতি লতিফুর রহমান (১৫.০৭.০১-১০.১০.০১)
  • ড. ইয়াজউদ্দিন আহমদ (২৯.১০.০৬-১১.০১.০৭ )
  • ড. ফকরুদ্দিন আহমদ (১১.০১.০৭-০৬.০১.০৯)

বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচন

  • জনগণের প্রত্যক্ষ/সরাসরি ভোটে প্রথম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ৩ জুন, ১৯৭৮
  • প্রথম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ৮ এপ্রিল, ১৯৭৩
  • প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ৭ এপ্রিল, ১৯৭৩
  • প্রথম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ৩০ জানুয়ারী, ১৯৯৪
  • প্রথম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ১৬-২০মে, ১৯৮৫
  • প্রথম পৌরসভা নির্বাচন ৩১ ডিসেম্বর, ১৯৭৩
  • প্রথম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ১১-৩০ডিসেম্বর, ১৯৭৩

বাংলাদেশের গণভোট :

  • প্রথম গণভোট : ৩০ মে, ১৯৭৭ । প্রশাসনিক লক্ষ্য প্রেসিডেন্ট জিয়ার নিজ শাসন বৈধকরণ
  • দ্বিতীয় গণভোট : ১ মার্চ, ১৯৮৫ । প্রশাসনিক জেনারেল এরশাদের সমর্থন যাচাই
  • তৃতীয় গণভোট : ১৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৯১ । সাংবিধানিক সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনীর আইন প্রস্তাব

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিগণের তালিকা

নামপদ গ্রহণপদ পরিত্যাগমেয়াদকাল
শেখ মুজিবুর রহমান১৭ এপ্রিল ১৯৭১১২ জানুয়ারি ১৯৭২২৭০ দিন
সৈয়দ নজরুল ইসলাম (ভারপ্রাপ্ত)১৭ এপ্রিল ১৯৭১১২ জানুয়ারি ১৯৭২২৭০ দিন
আবু সাঈদ চৌধুরী১২ জানুয়ারি ১৯৭২২৪ ডিসেম্বর ১৯৭৩১ বছর, ৩৪৬ দিন
মোহাম্মদউল্লাহ২৪ ডিসেম্বর ১৯৭৩২৭ জানুয়ারি ১৯৭৪১ বছর, ৩২ দিন
২৭ জানুয়ারি ১৯৭৪২৫ জানুয়ারি ১৯৭৫
শেখ মুজিবুর রহমান২৫ জানুয়ারি ১৯৭৫১৫ আগস্ট ১৯৭৫২০২ দিন
খন্দকার মোশতাক আহমেদ১৫ আগস্ট ১৯৭৫৬ নভেম্বর ১৯৭৫৮৩ দিন
আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম৬ নভেম্বর ১৯৭৫২১ এপ্রিল ১৯৭৭১ বছর, ১৬৬ দিন
জিয়াউর রহমান২১ এপ্রিল ১৯৭৭৩০ মে ১৯৮১৪ বছর, ৩৯ দিন
আবদুস সাত্তার৩০ মে ১৯৮১২০ নভেম্বর ১৯৮১২৯৮ দিন
২০ নভেম্বর ১৯৮১২৪ মার্চ ১৯৮২
আ ফ ম আহসানউদ্দিন চৌধুরী২৭ মার্চ ১৯৮২১০ ডিসেম্বর ১৯৮৩১ বছর, ২৫৮ দিন
হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ১১ ডিসেম্বর ১৯৮৩৬ ডিসেম্বর ১৯৯০৬ বছর, ৩৬০ দিন
শাহাবুদ্দিন আহমেদ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০১০ অক্টোবর ১৯৯১৩০৮ দিন
আবদুর রহমান বিশ্বাস১০ অক্টোবর ১৯৯১৯ অক্টোবর ১৯৯৬৪ বছর, ৩৬৫ দিন
শাহাবুদ্দিন আহমেদ৯ অক্টোবর ১৯৯৬১৪ নভেম্বর ২০০১৫ বছর, ৩৬ দিন
একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী১৪ নভেম্বর ২০০১২১ জুন ২০০২২১৯ দিন
জমির উদ্দিন সরকার২১ জুন ২০০২৬ সেপ্টেম্বর ২০০২৭৭ দিন
ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ৬ সেপ্টেম্বর ২০০২১২ ফেব্রুয়ারি ২০০৯৬ বছর, ১৫৯ দিন
জিল্লুর রহমান১২ ফেব্রুয়ারি ২০০৯২০ মার্চ ২০১৩৪ বছর, ৩৬ দিন
আবদুল হামিদ (২১তম)২৪ এপ্রিল ২০১৩২৪ এপ্রিল ২০১৮১০ বছর, ৪১ দিন
২৪ এপ্রিল ২০১৩২৪ এপ্রিল ২০১৮
২৪ এপ্রিল ২০১৮২৪ এপ্রিল ২০২৩
মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন (২২তম)২৪ এপ্রিল ২০২৩বর্তমান-

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীগণের তালিকা

নামদায়িত্ব গ্রহণদায়িত্ব হস্তান্তর
তাজউদ্দীন আহমেদ১১ এপ্রিল ১৯৭১১২ জানুয়ারি ১৯৭২
শেখ মুজিবুর রহমান১২ জানুয়ারি ১৯৭২২৫ জানুয়ারি ১৯৭৫
মোঃ মনসুর আলী২৫ জানুয়ারি ১৯৭৫১৫ আগস্ট ১৯৭৫
শাহ আজিজুর রহমান১৫ এপ্রিল ১৯৭৯২৪ মার্চ ১৯৮২
আতাউর রহমান খান৩০ মার্চ ১৯৮৪৯ জুলাই ১৯৮৬
মিজানুর রহমান চৌধুরী৯ জুলাই ১৯৮৬২৭ মার্চ ১৯৮৮
মওদুদ আহমেদ২৭ মার্চ ১৯৮৮১২ আগস্ট ১৯৮৯
কাজী জাফর আহমেদ১২ আগস্ট ১৯৮৯৬ ডিসেম্বর ১৯৯০
খালেদা জিয়া২০ মার্চ ১৯৯১৩০ মার্চ ১৯৯৬
শেখ হাসিনা২৩ জুন ১৯৯৬১৫ জুলাই ২০০১
খালেদা জিয়া১০ অক্টোবর ২০০১২৯ অক্টোবর ২০০৬
শেখ হাসিনা৬ জানুয়ারি ২০০৯বর্তমান

বাংলাদেশের স্পিকারগণ :

  • গণপরিষদের প্রথম স্পীকার : শাহ আব্দুল হামিদ
  • জাতীয় সংসদের প্রথম স্পীকার : মোহাম্মদ উল্ল্যাহ
  • জাতীয় সংসদের স্পিকার পরবর্তীকালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন : মোহাম্মদ উল্ল্যাহ
  • জাতীয় সংসদের স্পিকার দায়িত্ব পালনকালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন : আব্দুর রহমান বিশ্বাস
  • জাতীয় সংসদের স্পিকারের দায়িত্ব মৃত্যুবরণ করেন : হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী

বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানের বর্তমান ও পুরাতন নাম

বর্তমান নামপুরাতন নাম
বাংলাদেশপূর্ব পাকিস্তান
মহাস্থানগড়পুণ্ড্রবর্ধন
ময়নামতিরোহিতগিরি
সোনারগাঁওসুবর্ণ গ্রাম
মুজিবনগরবৈদ্যনাথ তলা
প্রধানমন্ত্রী ভবনগণভবন (করতোয়া)
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়পুরাতন সংসদ ভবন
সুপ্রীম কোর্ট ভবনগভর্নরের বাসভবন
বঙ্গভবনগভর্নর হাউজ
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন-মেঘনাহানিফ আদমজীর বাসভবন
জিরো পয়েন্টনূর হোসেন স্কোয়ার
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়রমনা হাউজ
সিরডাপ কার্যালয়চামেলি হাউজ
রাজউকডি. আই. টি
শেরে বাংলা নগরআইয়ুব নগর
আসাদ গেইটআইয়ুব গেইট
বাহাদুর শাহ পার্কভিক্টোরিয়া পার্ক
লালবাগ দুর্গআওরঙ্গবাদ কেল্লা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়পি.জি হাসপাতাল
নাটক সরণিবেইল রোড
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন-পদ্মাগুল মোহাম্মদ আসমজীর বাসভবন
-বর্তমান নামআদি-প্রাচীন-পূর্বনাম
বরিশাল বিভাগভোলাশাহবাজপুর
বরিশালচন্দ্রদ্বীপ, বাঙাল, বাংলাবাদ, বাকলা ও ইসমাইলপুর।
পিরোজপুরফিরোজপুর
চট্টগ্রাম বিভাগনোয়াখালীকলিন্দা, ভুলুয়া ও সুধারাম
চট্টগ্রামচাতগাঁও, চৈত্যগ্রাম, চট্টল, চট্টলা, শ্যাগাঙ্গ, চিৎ- তৌৎ-গৌং, চাটিগ্রাম, চাটিগাঁ, চতকাও, চার্টিগান, সপ্তগ্রাম, শ্রীচট্টল, চিতাগঞ্জ ও ইসলামাবাদ
কুমিল্লাত্রিপুরা, কমলাঙ্ক
ফেনীশমসের নগর
কক্সবাজারপ্যানোয়া, পালংকি ও বাকুলিয়া
খাগড়াছড়িতারক ও রামগড়
রাঙামাটিকার্পাস মহাল
বান্দরবানবোমাং থং
ঢাকা বিভাগঢাকাঢাক্কা, ডবাকই ও জাহাঙ্গীরনগর
মাদারীপুরইদিলপুর
মুন্সিগঞ্জইদ্রাকপুর ও বিক্রমপুর
কিশোরগঞ্জকাটখালী
গাজীপুরজয়দেবপুর
শরীয়তপুরপালং
ফরিদপুরফাতেহাবাদ
খুলনা বিভাগসাতক্ষীরাসাতঘরিয়া ও বুড়ন দ্বীপ
বাগেরহাটখলিফাবাদ
যশোরখলিফাতাবাদ
কুষ্টিয়ানদীয়া ও কাকদ্বীপ
খুলনাজাহানাবাদ
ময়মনসিংহ বিভাগময়মনসিংহমোমেনশাহী, নসরতশাহী ও নাসিরাবাদ
জামালপুরসিংহজানী
নেত্রকোণানাটেরকোণা
শেরপুরদশকাহনিয়া
রাজশাহী বিভাগরাজশাহীমহাস্থানগড়, রামপুর বোয়ালিয়া
চাপাইনবাবগঞ্জনবাবগঞ্জ
বগুড়াবরেন্দ্রভূমি ও পুণ্ড্রবর্ধন
সিলেট বিভাগসিলেটশ্রীহট্ট, জালালাবাদ
সুনামগঞ্জষোলশহর
রংপুর বিভাগগাইবান্ধাভবানীগঞ্জ
রংপুররঙ্গপুর ও জঙ্গপুর
দিনাজপুরগন্ডোয়ানাল্যান্ড
রাজবাড়ীগোয়ালন্দ
ঠাকুরগাঁওনিশ্চিন্তপুর
 জেলাইংরেজি নাম
 পূর্ববর্তমান
চট্টগ্রামChittagongChattogram
বগুড়াBograBogura
বরিশালBarisalBarishal
কুমিল্লাComillaCumilla
যশোরJessoreJashore

জেলা-শহরের নাম-বানান পরিবর্তন এর সময়কাল :

  • কুমিল্লা : ১৯৬০ সালে ত্রিপুরা জেলার নামকরণ করা হয় কুমিল্লা।
  • Dhaka : ৫ অক্টোবর ১৯৮২ রাজধানী ঢাকার ইংরেজি বানান Dacca পরিবর্তন করে করা হয় Dhaka।
  • চাপাইনবাবগঞ্জ : ১ আগস্ট ২০০১ নবাবগঞ্জ জেলার নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় চাপাইনবাবগঞ্জ।

বাংলাদেশের ভৌগোলিক উপনাম

নামউপনাম
বাংলাদেশনদীমাতৃক দেশ
বাংলাদেশভাটির দেশ
বাংলাদেশসোনালী আঁশের দেশ
ঢাকামসজিদের শহর
ঢাকারিক্সার নগরী
সিলেট৩৬০ আউলিয়ার দেশ
চট্টগ্রামবারো আউলিয়ার দেশ
চট্টগ্রামবাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী
ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়াবাংলাদেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী
চট্টগ্রাম বন্দরবাংলাদেশের প্রবেশ দ্বার
বগুড়াউত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার
চাকতাই খালচট্টগ্রামের দুঃখ
টেকেরঘাট, তাহিরপুর, সুনামগঞ্জবাংলাদেশের সুইজারল্যান্ড
ডাকাতিয়া বিলপশ্চিমাবাহিনীর নদী
বরিশালবাংলার শস্য ভান্ডার
বরিশালবাংলার ভেনিস
পঞ্চগড়হিমালয়ের কন্যা
কুয়াকাটা, পটুয়াখালিসাগর কন্যা
ভোলাসাগর দ্বীপ
গোমতীকুমিল্লার দুঃখ
কক্সবাজারবাংলাদেশের পর্যটন রাজধানী
সেন্টমার্টিননারকেল জিঞ্জিরা
নারায়ণগঞ্জপ্রাচ্যের ডান্ডি
খুলনা অঞ্চল (চিংড়ি চাষের জন্য)বাংলাদেশের 'কুয়েত সিটি'
ভবদহ বিলযশোরের দুঃখ
যশোরডিজিটাল জেলা
Full Stack Web Developer & Content Creator

Post a Comment

NextGen Digital Welcome to WhatsApp chat
Howdy! How can we help you today?
Type here...