Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Test link

পরাগায়ন | Pollination

পরাগায়নকে পরাগসংযোগও বলা হয়। পরাগায়ন ফল ও বীজ উৎপাদন প্রক্রিয়ার পূর্বশর্ত। একটি ফুলের পুংস্তবকের পরাগধানীতে তোমার আঙুলের ডগা ঘষে দেখ। তোমার হাতে নিশ্চয়ই হলুদ বা কমলা রঙের গুঁড়ো লেগেছে। এই গুঁড়ো বস্তুই পরাগরেণু।

ফুলের পরাগধানী হতে পরাগরেণু একই ফুলে অথবা একই জাতের অন্য ফুলের গর্ভমুণ্ডে স্থানান্তরিত হওয়াকে পরাগায়ন বলে। পরাগায়ন দু'প্রকার, যথা- স্ব-পরাগায়ন ও পর-পরাগায়ন।

 পরাগায়ন

স্ব-পরাগায়ন: একই ফুলে বা একই গাছের ভিন্ন দুটি ফুলের মধ্যে যখন পরাগায়ন ঘটে তখন তাকে ব-পরাগায়ন বলে। শিম, টমেটো, কানশিরা , সরিষা, কুমড়া, ধুতুরা ইত্যাদি উদ্ভিদে ব-পরাগায়ন ঘটে।

পর-পরাগায়ন: একই প্রজাতির দুটি ভিন্ন উদ্ভিদের ফুলের মধ্যে যখন পরাগায়ন ঘটে তখন তাকে পর-পরাগায়ন বলে। ধান, গম, ভূট্টা, সরিষা, শিমুল, পেঁপে ইত্যাদি গাছের ফুলে পর-পরাগায়ন হতে দেখা যায়।

পরাগায়নের মাধ্যম: পরাগরেণু স্থানান্তরের কাজটি অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোনো না কোনো মাধ্যমের দ্বারা হয়ে থাকে। যে বাহক পরাগরেণু বহন করে গর্ভমুণ্ড পর্যন্ত নিয়ে যায় তাকে পরাগায়নের মাধ্যম বলে।

বায়ু, পানি, কীট-পতঙ্গ, পাখি, বাদুড়, শামুক এমনকি মানুষ এ ধরনের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে থাকে। মধু খেতে অথবা সুন্দর রঙের আকর্ষণে পতঙ্গ বা পাখি ফুলে ফুলে ঘুরে বেড়ায়। এ সময়ে পরাগরেণু বাহকের গায়ে লেগে যায়। এই বাহকটি যখন একই প্রজাতির অন্য ফুলে গিয়ে বসে তখন পরাগরেণু ঐ ফুলের গর্ভমুণ্ডে লেগে যায়। এভাবে তাদের অজান্তে পরাগায়নের কাজটি হয়ে যায়।

পরাগায়নের মাধ্যমগুলোর সাহায্য পেতে ফুলের গঠনে কিছু পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। একে অভিযোজন বলা হয়। বিভিন্ন মাধ্যমের জন্য অভিযোজনগুলোও আলাদা। অভিযোজনগুলো নিম্নরূপ:

পতঙ্গপরাগী ফুলের অভিযোজন : ফুল বড়, রঙিন, মধুগ্রন্থিযুক্ত। পরাগরেণু ও গর্ভমুন্ড আঠালো এবং সুগন্ধযুক্ত, যেমন- সরিষা, তুলশী, অর্কিড, গোলাপ, কুমড়া , জবা , ইত্যাদি।

বায়ুপরাগী ফুলের অভিযোজন : ফুল বর্ণ, গন্ধ ও মধুগ্রন্থিহীন। পরাগরেণু হালকা, অসংখ্য ও আকারে ক্ষুদ্র। এদের গর্ভমুন্ড আঠালো, শাখান্বিত, কখনো পালকের ন্যায়, যেমন- ধান।

পানিপরাগী ফুলের অভিযোজন: এরা আকারে ক্ষুদ্র, হালকা এবং অসংখ্য। এরা সহজেই পানিতে ভাসতে পারে। এসব ভূলে সুগন্ধ নেই। স্ত্রীফুলের বৃত্ত লম্বা কিন্তু পুং ফুলের বৃত্ত ছোট। পরিণত পুং ফুল বৃত্ত থেকে খুলে পানিতে ভাসতে থাকে, যেমন- পাতাশ্যাওলা , ঝাউঝাঁঝি ইত্যাদি ।

প্রাণিপরাগী ফুলের অভিযোজন: এসব ফুল মোটামুটি বড় ধরনের হয়। তবে ছোট হলে ফুলগুলো পুষ্পমঞ্জরিতে সজ্জিত থাকে। এদের রং আকর্ষণীয় হয়। এসব ফুলে গন্ধ থাকতে পারে বা নাও থাকতে পারে। যেমন- মাদার , কদম, শিমুল, কচু ইত্যাদি ।

ডুমুরের ফুলের পরপরাগায়নের মাধ্যম কি: কাল পিঁপড়া। বাদুড়ের দ্বারা পরাগায়ন ঘটে- কদম ফুলের।

দিনে ও রাতে ফোটা পতঙ্গপরাগী ফুলের মধ্যে পার্থক্য:
পতঙ্গকে আকৃষ্ট করার জন্য দিনে ফোটা পতঙ্গ পরাগী ফুল উজ্জ্বল বর্ণের এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে সুগন্ধযুক্ত হয়, যেমনঃ গোলাপ। কিন্তু রাতে ফোটা পতঙ্গপরাগী ফুল তীব্র গন্ধযুক্ত হলেও এদের বর্ণ হয় সাদা কারণ অন্ধকারে আলোর স্বল্পতার জন্য কীটপতঙ্গ রঙিন ফুলকে কালো দেখে।

বায়ু পরাগী ফুলের বৈশিষ্ট্য:

  • সাধারণ. অনাকর্ষণীয় ও অনুজ্জ্বল বর্ণের হয়।
  • মিষ্টিগন্ধ ও মধু থাকেনা।
  • পরাগরেণু খুব হালকা ও সংখ্যায় অনেক বেশি হয়।
  • গর্ভমুণ্ড পক্ষল, বৃহৎ ও আঠালো হয় যাতে বাতাসে ভেসে আসা পরাগরেণু সহজেই আটকে যায়।
  • বায়ু পরাগী ফুলের উদাহরণ: ধান, গম, ভূট্টা, ইক্ষু, তাল ইত্যাদি।
  • কোন কোন প্রাণী পরাগায়নে সহায়তা করে: অনেক প্রাণী পরাগায়নে সহায়তা করে যেমন. পাখি, বাদুড়, শামুক ইত্যাদি।

নিষেকের পর -
* ডিম্বাণু পরিণত হয় ভ্রুণে
* গর্ভাশয় পরিণত হয় ফলে
* ডিম্বক পরিণত হয় বীজে

Full Stack Web Developer & Content Creator

Post a Comment

NextGen Digital Welcome to WhatsApp chat
Howdy! How can we help you today?
Type here...