Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Test link

জেনারেশনগুলোর নামকরণ হলো যেভাবে…!

 জেনারেশনগুলোর নামকরণ হলো যেভাবে…

❐ ১ জানুয়ারি ২০২৫ যে শিশুটা জন্মগ্রহণ করেছে, সে জেনারেশন বিটার সদস্য। এই যে জেনারেশন বিটা নামটা কোত্থেকে এলো? কে বা কারা প্রজন্মের এমন নামকরণ করলো? কিসের ভিত্তিতে বা এই নামকরণ হলো? – তা নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা। বিষয়গুলো সম্পর্কে তথা জেনারেশনগুলোর নামকরণ, সময়কাল ও বৈশিষ্ট্যগুলো তুলে ধরেছেন- মোনাব্বের স্যার
১. জেনারেশন বেবি বুমার্স( Gen Boomers):
▣ সময়কাল: ১৯৪৬ – ১৯৬৪ সালের মধ্যে যাদের জন্ম।
▣ নামকরণ: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সারা বিশ্বের জন্মহার ছিল ঊর্ধ্বমুখি। জন্মহারের তীব্র বৃদ্ধির সময়ে জন্ম হয়েছে বিধায় তাঁদেরকে বেবি বুমার্স নামকরণ করা হয়েছে।
▣ বৈশিষ্ট্য:
❐ বেবি বুমার্সদের বয়স এখন ৬০ থেকে ৭৮ বছর।
❐ পশ্চিমে ১৯৫০ ও ১৯৬০-এর দশকে বুমারদের শৈশবকালে শিক্ষার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সংস্কার হয়েছিল।
❐ এ প্রজন্মের সদস্যরা স্পষ্ট নির্দিষ্ট বক্তব্য ও সামাজিক আন্দোলন তৈরি করতে পেরেছিল। ১৯৬০-এর দশকের কাউন্টারকালচার ও এর প্রতিক্রিয়া তারই স্বাক্ষর বহন করে।
❐ এ প্রজন্মের সদস্যরা প্রযুক্তির তেমন ছোঁয়া পায় নি। তাই তারা বিজ্ঞান-প্রযুক্তি সম্পর্কে অনভিজ্ঞ।
২. জেনারেশন এক্স (Gen X):
▣ সময়কাল: ১৯৬৫–১৯৮০ সালের মধ্যে যাদের জন্ম
▣ নামকরণ: কানাডিয়ান লেখক ডগলাস কুপল্যান্ড তাঁর ১৯৯১ সালের বই ‘জেনারেশন এক্স: টেলস ফর অ্যান অ্যাক্সিলারেটেড কালচার’-এ ১৯৬৫ থেকে ১৯৮০ সালের মধ্যে জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তিদের ‘জেন এক্স’ বলেন। আর এই নাম পরবর্তীতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়।
▣ বৈশিষ্ট্য:
❐ জেনারেশন এক্স সরাসরি বেবি বুমার্স প্রজন্মকে অনুসরণ করে।
❐ জেনারেশন এক্সের বয়স এখন ৪৪ থেকে ৫৯ বছর।
❐ বুমার্সদের মতো একই রকম অর্থনৈতিক, প্রযুক্তিগত ও রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বেড়ে উঠেছে। কেননা, এ সময় বৈশ্বিক রাজনীতি, অর্থনীতি বা ইতিহাসে খুব একটা রদবদল ঘটেনি।
❐ সামাজিক নিয়ম এবং অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সময়ে বড় হলেও তাঁরা স্বাধীন, বাস্তববাদী এবং উদ্ভাবনীশক্তিসম্পন্ন ছিল।
❐ তাঁরা কিছুটা পার্সোনাল কম্পিউটার এবং এমটিভি-র উত্থান প্রত্যক্ষ করেছে।
❐ জেনারেশন এক্স মূলত তাদের আগে জন্মানো বেবি বুমার্স ও জেনারেশন ওয়াইয়ের মাঝখানে পড়ে যাওয়া ‘স্যান্ডউইচ’।
৩. জেনারেশন ওয়াই বা মিলেনিয়াল(Gen y/ Millenial):
▣ সময়কাল: ১৯৮১–১৯৯৬ সালের মধ্যে যাদের জন্ম
▣ নামকরণ: এ প্রজন্ম জেনারেশন এক্সের পরে জন্মগ্রহণ করেছে বিধায় ইংরেজি এক্স বর্ণের পরের বর্ণানুসারে তাঁদের নামকরণ করা হয়েছে জেনারেশন ওয়াই।
❐ এ ছাড়া এ প্রজন্ম মিলেনিয়াল(সহস্রাব্দ) হিসেবে পরিচিত। তাঁদের সবচেয়ে বয়স্ক সদস্যরা দ্বিতীয় সহস্রাব্দের দিকে প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে ওঠেন বিধায় লেখক উইলিয়াম স্ট্রস ও নিল হাউ এমন নামকরণ করেন। পরবর্তীতে তা সবার নিকট জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
❐ ২০১৪ সালে নিল হাউ মার্কিন রেডিও এনপিআরকে (ন্যাশনাল পাবলিক রেডিও) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম, এ প্রজন্ম যেহেতু ২০০০ সালে জীবনের সেরা সময়, অর্থাৎ তরুণ্যে পৌঁছাবে, তাই তাদের বোঝানোর জন্য চট করে সহস্রাব্দ (মিলেনিয়াল) নামটি মাথায় এসেছিল।’
▣ বৈশিষ্ট্য:
❐ জেনারেশন ওয়াই বা মিলেনিয়ালদের বর্তমান বয়স ২৮ থেকে ৪৩ বছর(তাদের ‘নাইন্টিজ কিডস’ বা নব্বইয়ের সন্তানও বলা হয় )।
❐ তাদের মা-বাবারা বুমার্স ও জেনারেশন এক্সের সদস্য।
❐ তাঁরা ইন্টারনেটের প্রসার এবং বিশ্বায়নের সময়ে বড় হয়েছে।
❐ এ প্রজন্ম সোশ্যাল মিডিয়া এবং মোবাইল প্রযুক্তির দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত।
❐ তাঁরা প্রযুক্তি দক্ষ, সামাজিকভাবে সচেতন এবং অভিজ্ঞতাকে মূল্য দেয়।
৪. জেনারেশন জেড(Gen Z):
▣ সময়কাল: ১৯৯৭ – ২০১২ সালের মধ্যে যাদের জন্ম
▣ নামকরণ: এ প্রজন্ম যেহেতু জেনারেশন ওয়াই-পরবর্তী সময়ে জন্মেছে, তাই তাদের ডাকা হয় ‘জেনারেশন জেড’ বা জেন–জি নামে।
▣ বৈশিষ্ট্য:
❐ বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত এ প্রজন্মের মা-বাবারা মূলত জেনারেশন এক্স ও ওয়াইয়ের সদস্য।
❐ এ প্রজন্মের বর্তমান বয়স ১২ থেকে ২৭ বছর।
❐ এ প্রজন্মের সদস্যরা প্রথম স্মার্টফোনের সঙ্গে তাদের বয়ঃসন্ধিকাল কাটিয়েছে।
❐ বৈচিত্র্যময়, সামাজিকভাবে সচেতন এবং উদ্যোক্তা মনোভাবসম্পন্ন এ প্রজন্ম পুরোপুরি ডিজিটাল যুগে জন্মেছে এবং বড় হয়েছে।
❐ এ প্রজন্ম প্রযুক্তি ব্যবহারে স্বচ্ছন্দবোধ করে এবং নতুন প্রবণতা দ্রুত গ্রহণ করতে আগ্রহী।
৫. জেনারেশন আলফা (Gen Alpha):
▣ সময়কাল: ২০১৩ – ২০২৪ সালের মধ্যে যাদের জন্ম।
▣ নামকরণ: পূর্ববর্তী জেনারেশন জেডের সঙ্গে সঙ্গে ইংরেজি বর্ণমালার অক্ষর শেষ হয়ে যাওয়ায় এ প্রজন্মের নামকরণে গ্রিক বর্ণমালার অক্ষর দিয়ে শুরু হয়। সামাজিক বিশ্লেষক ও জনসংখ্যাবিদ মার্ক ম্যাকক্রিন্ডল বলেন, ‘এ প্রজন্ম সত্যিকার অর্থে সবচেয়ে কম বয়স থেকে ডিজিটাল। অনিশ্চিত ও দ্রুত পরিবর্তনশীল সময়ে বেড়ে উঠছে। এটি একটি সম্পূর্ণ নতুন বাস্তবতার সূচনা। তাই আমি শুধু “লেটস গো উইথ দ্য সায়েন্টিফিক নেমিং” ধারণা সামনে রেখেছি। আর এ ক্ষেত্রে গ্রিক বর্ণমালা ব্যবহার করেছি।’
❐ আলফার পরবর্তী প্রজন্মগুলোর নাম হতে পারে ‘বিটা’, ‘গামা’ ইত্যাদি।
▣ বৈশিষ্ট্য:
❐ এ প্রজন্মের মা-বাবারা আবার জেনারেশন ওয়াই বা জেড এর সদস্য।
❐ এ প্রজন্মের বর্তমান বয়স ০ থেকে ১২ বছর।
❐ সবচেয়ে কম বয়সী প্রজন্ম, বর্তমানে বড় হচ্ছে।
❐ আধুনিক প্রযুক্তি যেমন এআই এবং স্মার্ট ডিভাইসের সঙ্গে বেড়ে উঠছে।
❐ এ প্রজন্ম সবচেয়ে শিক্ষিত এবং প্রযুক্তি-বিশেষজ্ঞ প্রজন্ম হতে পারে।
৬. জেনারেশন বিটা (Gen Beta):
▣ সময়কাল: ১ জানুয়ারি ২০২৫ এর পর জন্মগ্রহণকারী (সময়কাল এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে নির্ধারণ করা না হলেও কেউ কেউ এর সীমা হিসেবে ২০৩৯ সালকে উল্লেখ করছেন।)।
▣ নামকরণ: জনসংখ্যাবিদ মার্ক ম্যাকক্রিন্ডল এর “লেটস গো উইথ দ্য সায়েন্টিফিক নেমিং” ধারণা থেকে গ্রিক বর্ণমালা আলফার পরে জেনারেশন বিটার নামকরণ করা হয়েছে।
▣ বৈশিষ্ট্য:
❐ এ প্রজন্ম আলফা প্রজন্মের পরবর্তী প্রজন্ম হিসেবে বিবেচ্য।
❐ আরও উন্নত প্রযুক্তি এবং এআই-চালিত বিশ্বের সঙ্গে বড় হবে।
❐ এই প্রজন্ম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অজানা অনেক কিছু অবলোকন করবে।
❐ সর্বপরি কথা হচ্ছে, আজকের শিশু আগামিদিনের শিশুর তুলনায় যেমন ব্যাকডেটেট, তেমনি আবার আগামিদিনের শিশুর তুলনায় তার পরবর্তী শিশু আরো আপডেটেড। সুতরাং বিটা পরবর্তী সম্ভাব্য ‘গামা’ প্রজন্ম আরো উৎকৃষ্ট, উন্নত ও আরো শক্তিশালী প্রযুক্তিগত বিশ্বের সাথে পরিচিত হবে।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গ্রাফিতি ও স্থাপনা
❐ ক্র. নং ➺ শিল্পকর্ম ও স্থাপনার নাম ➺ তারিখ ➺ অবস্থান
❐ ০১ ➺ জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর ➺ ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ➺ গণভবন
❐ ০২ ➺ জুলাই স্মৃতি উদ্যান ➺ ০১ জানুয়ারি ২০২৫ ➺ চট্টগ্রাম
❐ ০৩ ➺ শহীদ ওয়াসিম আকরাম উড়াল সড়ক ➺ ০১ জানুয়ারি ২০২৫ ➺ চট্টগ্রাম
❐ ০৪ ➺ অদম্য-২৪ (স্মৃতিস্তম্ভ) ➺ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
❐ ০৫ ➺ জুলাই-২৪ (শহীদ চত্বর) ➺ ফেনী
❐ ০৬ ➺ উন্নত মম শির (গ্রাফিতি) শিল্পী- শহীদ কবির

Full Stack Web Developer & Content Creator

Post a Comment

NextGen Digital Welcome to WhatsApp chat
Howdy! How can we help you today?
Type here...