উপমহাদেশে ও বাংলায় ইউরোপীয়দের আগমন
পর্তুগিজদের আগমন : পর্তুগালের লোকদের পর্তুগিজ বলে। উপমহাদেশে ইউরোপীয় বণিকদের মধ্যে প্রথম বাণিজ্য কুঠি স্থাপন করে পর্তুগিজরা। ১৫০২ খ্রিষ্টাব্দে কেরালার কোচিন নামক স্থানে সর্বপ্রথম বাণিজ্য কুঠি স্থাপন করে। ভারতে পর্তুগিজ উপনিবেশগুলোর প্রথম গভর্নর ছিলেন আলবুকার্ক। বাংলায় ইউরোপীয় বণিকদের মধ্যে প্রথম এসেছিল পর্তুগিজরা ১৫১৬ খ্রিষ্টাব্দে। পর্তুগিজগণ বাংলাদেশে ফিরিঙ্গি (ফারসি শব্দ) নামে পরিচিত। ১৫১৮ খ্রিষ্টাব্দে পর্তুগিজরা চট্টগ্রামে আসতে শুরু করে। পর্তুগিজদের অধীনে চট্টগ্রামের সমৃদ্ধি ঘটে এবং একটি বাণিজ্যিক কেন্দ্রে পরিণত হয়ে 'পোর্টো গ্রান্ডে' বা বিশাল বন্দর নামে পরিচিত হয়। শেরশাহ ১৫৩৮ খ্রিষ্টাব্দে পর্তুগিজদের চট্টগ্রাম হতে বিতাড়িত করেন। ১৫৮১-১৬৬৬ খ্রিষ্টাব্দ সময়ে চট্টগ্রাম আরাকানদের অধীনে ছিল। বাণিজ্যের চেয়ে পর্তুগিজদের মধ্যে জলদস্যুতার বিষয়টি প্রবল ছিল। এ সময় বাংলার দক্ষিণাঞ্চলে আরাকান জলদস্যু (মগ) এবং পতুর্গিজ জলদস্যুদের দৌরাত্ম্য ব্যাপক বৃদ্ধি পায়। আরাকান ও পর্তুগিজ জলদস্যুদের একসাথে 'হার্মাদ' বলা হতো। মুঘল সম্রাট শাহজাহানের আমলে বাংলার সুবাদার কাসিম খান জুয়িনী পর্তুগিজদের হুগলি থেকে উচ্ছেদ করেন। ১৬৬৬ সালে মুঘল সুবাদার শায়েস্তা খান মগ ও পর্তুগিজ জলদস্যুদের চট্টগ্রাম হতে বিতাড়িত করেন। শায়েস্তা খান চট্টগ্রাম দখল করে এর নাম রাখেন 'ইসলামাবাদ'।
ওলন্দাজদের আগমন : হল্যান্ডের (নেদারল্যান্ডের) অধিবাসীদের ডাচ বা ওলন্দাজ বলে। ডাচরা 'ইউনাইটেড ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি' গঠন করে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ১৬০২ সালে এই উপমহাদেশে আসে। ইংরেজদের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে তারা এদেশ থেকে চলে যায়।
দিনেমারদের আগমন : ডেনমার্কের লোকদের বলা হয় ডেনিশ বা দিনেমার। তারা এদেশে বাণিজ্য করার জন্য 'ডেনিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি' গঠন করে। কিন্তু তারা বাণিজ্যে তেমন সুবিধা করতে পারেনি।
ইংরেজদের আগমন : ইংল্যান্ডের রানি প্রথম এলিজাবেথ এবং দিল্লির সম্রাট আকবরের রাজত্বকালে প্রাচ্যের সাথে বাণিজ্য করার জন্য ২১৮ জন ইংরেজ বণিকদের প্রচেষ্টায় ১৬০০ খ্রিষ্টাব্দে 'ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি' গঠিত হয়। ক্যাপ্টেন হকিন্স ১৬০৮ সালে ইংল্যান্ডের রাজা প্রথম জেমসের সুপারিশপত্র নিয়ে বাণিজ্য কুঠি স্থাপনের উদ্দেশ্যে সম্রাট জাহাঙ্গীরের দরবারে আসেন। ক্যাপ্টেন হকিন্সের আবেদনক্রমে সম্রাট জাহাঙ্গীর সুরাটে বাণিজ্য কুঠি নির্মাণের অনুমতি দেন। ১৬১২ সালে ইংরেজরা উপমহাদেশের প্রথম কুঠি স্থাপন করে সুরাটে। ১৬১৫ খ্রি. প্রথম ইংরেজ দূত হিসেবে স্যার টমাস রো সম্রাট জাহাঙ্গীরের দরবারে আগমন করেন। সম্রাট শাহজাহানের শাসনামলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলায় প্রথম বাণিজ্য কুঠি স্থাপন করে। ১৬৩৩ সালে হরিহরপুরে তারা এ কুঠি নির্মাণ করে। দীর্ঘকাল পরে ১৬৫১ সালে হুগলী শহরে তারা দ্বিতীয় কুঠি নির্মাণ করে। ইংরেজরা ১৬৫৮ সালে কাশিম বাজারে বাণিজ্যকুঠি স্থাপন করে। ১৬৯০ সালে কোম্পানির এজেন্ট জব চার্নক সুতানটি গ্রামে একটি নগর প্রতিষ্ঠা করেন। পরে কলকাতা ও গোবিন্দপুর গ্রাম কিনে নগরটিকে আরও বড় করা হয়। এভাবে হুগলি নদীর তীরে গড়ে উঠে বিখ্যাত কলকাতা শহর। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনকেন্দ্র ছিল কলকাতা। কলকাতায় ইংল্যান্ডের রাজা উইলিয়ামের নামানুসারে 'ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গ' (নির্মাণকাল: ১৬৯৬ - ১৭০২ খ্রি.) নির্মিত হয়।
ফরাসিদের আগমন : ইউরোপীয় বণিক সম্প্রদায়ের মধ্যে ফরাসিগণ সর্বশেষে উপমহাদেশে আগমন করেন। ফরাসিগণ কালক্রমে সুরাট, মসলিপট্টম, পণ্ডিচেরী, চন্দনগর (পশ্চিমবঙ্গ), কাসিমবাজার, কালিকটে শক্তিশালী বাণিজ্য কুঠি গড়ে তোলে। কিন্তু বন্দীবাসের যুদ্ধ (১৭৬০ খ্রি.) এ ইংরেজদের নিকট পরাজিত হলে উপমহাদেশে ফরাসি প্রভাব ও প্রতিপত্তি ধূলিসাৎ হয়ে যায়।
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন প্রতিষ্ঠা
১৭৫৬ সালের ১০ এপ্রিল বাংলার নবাব আলিবর্দি খানের মৃত্যু হয়। এরপর তাঁরই দৌহিত্র সিরাজউদ্দৌলা মুর্শিদাবাদের সিংহাসনে আরোহণ করেন। সিংহাসনে আরোহণের অল্পকাল পরেই ইংরেজদের সঙ্গে তাঁর চরম বিরোধ দেখা দেয়। এর কারণের মধ্যে ছিল: প্রথমত, নবাবের অনুমতি ছাড়াই ইংরেজদের দ্বারা দুর্গ নির্মাণ ও পরিখা খনন, দ্বিতীয়ত, কোম্পানির কর্মচারীদের নবাব প্রদত্ত বিশেষ বাণিজ্যিক সুবিধার যথেচ্ছা ব্যবহার ও সরকারি রাজস্বের বিপুল ক্ষতিসাধন এবং তৃতীয়ত, ইংরেজদের কলকাতা জমিদারিকে 'সার্বভৌম অঞ্চল' হিসেবে গণ্য করা এবং নবাবের প্রতি অনুগত নয় এমন ব্যক্তিদেরকে আশ্রয় দান। এ নিয়ে নবাবের সঙ্গে ইংরেজ বাহিনীর কয়েক দফা সংঘর্ষ এবং শান্তিচুক্তি হয়। বস্তুত কোম্পানির কর্মচারীরা পূর্ব থেকে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে ব্যবসা বিস্তারে মন স্থির করে। এর সঙ্গে মুর্শিদাবাদ রাজপ্রাসাদের দ্বন্দ্ব-ষড়যন্ত্র যুক্ত হয়। নবাবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের মধ্যে তাঁর নিকট আত্মীয় ঘষেটি বেগম, শওকত জঙ্গ, অত্যন্ত প্রভাব ও বিত্তশালী জগৎশেঠ, উমি চাঁদ, সামরিক কর্মকর্তা মীর জাফর, ইয়ার লতিফ, রায়দুর্লভ প্রমুখ ছিলেন। এরা ইংরেজদের সঙ্গে হাত মেলায়। অবশেষে ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন মুর্শিদাবাদের কাছে পলাশির প্রান্তরে রবার্ট ক্লাইভের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ বাহিনীর সঙ্গে নবাব সিরাজউদ্দৌলার সৈন্যদের চূড়ান্ত যুদ্ধ বাধে। যুদ্ধে নবাবের সৈন্যদের একটি ক্ষুদ্র অংশ অংশগ্রহণ করে। প্রধান সেনাপতি মীর জাফরের ইঙ্গিতে অধিকাংশ সৈন্য নিষ্ক্রিয় দাঁড়িয়ে থাকে। পরাজয় ঘটে নবাব সিরাজউদ্দৌলার। বন্দি অবস্থায় নির্মমভাবে হত্যা করা হয় বাংলার শেষ স্বাধীন নবাবকে। এরপর মীর জাফরসহ আরও কয়েকজন নবাব বাংলার মসনদে আসীন হলেও তারা ছিলেন কার্যত ইংরেজদের হাতের পুতুল। তা সত্ত্বেও নবাব মীর কাসিমের সঙ্গে ১৭৬৪ সালে ইংরেজদের যুদ্ধ বাধে। ১৭৬৫ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার দিউয়ানি বা রাজস্ব আদায়ের একচ্ছত্র আইনগত অধিকার লাভ করে। ১৭৯৩ সালে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মাধ্যমে নবাবি শাসন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়ে ইংরেজ শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। এভাবে ১৮৫৭ সাল পর্যন্ত বাংলায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন অব্যাহত থাকে এবং ভারতের অন্যত্র তা বিস্তার লাভ করে।
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দেওয়ানি লাভ ও দ্বৈত শাসন (১৭৬৫-১৭৭২ খ্রি.)
১৭৬৫ খ্রিষ্টাব্দে রবার্ট ক্লাইভ বক্সারের যুদ্ধে জয়লাভের পর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি দিল্লী দখল না করে দিল্লীর সম্রাটের নিকট হতে ১৭৬৫ সালে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানি লাভ করে বার্ষিক ২৬ লক্ষ টাকার বিনিময়ে। প্রকৃতপক্ষে দিল্লীর সম্রাট শাহ আলম বার্ষিক ২৬ লক্ষ টাকা খাজনার বিনিময়ে বাংলার মুঘল অধিকার ইংরেজদের নিকট বিক্রয় করে। লর্ড ক্লাইভ বাংলার নবাবের প্রকৃত শাসনক্ষমতা লোপ করে বাংলার রাজনৈতিক ক্ষমতার অধিকারী হন। সম্রাটের সাথে ক্লাইভের এ চুক্তি এলাহাবাদের সন্ধি (আগস্ট, ১৭৬৫ খ্রি.) নামে পরিচিত। বাংলার নেজামত (বিচার ও শাসন) ক্ষমতা নবাবের হাতে এবং রাজস্ব আদায়ের ক্ষমতা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির উপর ন্যস্ত হয়। ইতিহাসে এটি 'দ্বৈতশাসন' (Dual Government) নামে পরিচিত। দ্বৈতশাসন এবং ইংরেজ কর্মচারীদের অত্যাচার, উৎপীড়ন ও শোষণের ফলে বাংলার জনসাধারণের অবস্থা ক্রমেই শোচনীয় হয়ে পড়ে। দ্বৈত শাসনের চরম ব্যর্থতায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৭৭২ খ্রিষ্টাব্দে এ ব্যবস্থার অবসান ঘটিয়ে প্রত্যক্ষভাবে রাজস্ব শাসনের দায়িত্ব হাতে নেয়।
লর্ড ক্লাইভ (১৭৬৫-১৭৬৭)
বাংলার নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে পলাশীর যুদ্ধে পরাজয়ের পর লর্ড ক্লাইভ বাংলার প্রকৃত প্রভু হয়ে বসেন। বক্সারের যুদ্ধে মীর কাশিমের পরাজয়ের পর লর্ড ক্লাইভ বাংলার গভর্নর নিযুক্ত হন। তিনি ভারতবর্ষে ইংরেজ সাম্রাজ্যের গোড়াপত্তন করেন।
দ্বৈত শাসন : ক্ষমতালোভী নবাব বংশধর ও অনুচরদের তুষ্ট রেখে কোম্পানীর আয় বৃদ্ধির জন্য লর্ড ক্লাইভ বাংলায় দ্বৈত শাসনব্যবস্থা প্রচলন করেন। এ নীতি অনুযায়ী রাজস্ব আদায় ও দেশরক্ষার ভার কোম্পানির হাতে রাখা হয় এবং শাসন বিভাগের ক্ষমতা নবারের হাতে দেয়া হয়। এর মাধ্যমে রাজস্ব ব্যবস্থা হতে নবাবের কর্তৃত্ব খর্ব করা হয় এবং জনগণের উপর বিভিন্ন ধরনের কর আরোপের ফলে জনগণের দুর্ভোগ বৃদ্ধি পায়। এর প্রভাব হিসেবে পরবর্তীতে বাংলায় 'ছিয়াত্তরের মন্বন্তর ' সংঘটিত হয়। লর্ড ক্লাইভ বাংলার প্রথম ব্রিটিশ গভর্নর। গভর্নর নিযুক্ত হওয়ার পর ১৭৬৭ সালে তিনি বীরবেশে দেশে ফিরে যান।
লর্ড ক্লাইভের আত্মহত্যা : ১৭৫৭ সালে সংঘটিত পলাশীর যুদ্ধে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের মধ্য দিয়ে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়। আর উত্থান ঘটে লর্ড ক্লাইভ তথা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের । পলাশীর যুদ্ধের দশ বছর পর ক্লাইভ ইংল্যান্ড ফিরে যান। কিন্তু ভারতে রেখে যান, ঘুষ, দুর্নীতি, আত্মসাৎ, প্রাসাদ ষড়যন্ত্র, দুর্বত্তায়ন এবং অপরাজনীতির এক জঘন্য ইতিহাস। তার দুর্নীতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যে ১৭৭২ সালে ইংল্যান্ডের পার্লামেন্ট তার দুর্নীতির তদন্ত শুরু করতে বাধ্য হয়। তদন্ত বন্ধ করতে তার অনুরোধ সত্ত্বেও চলতে থাকে তদন্ত। লর্ড ক্লাইভ অপমানের জ্বালা সহ্য করতে না পেরে ১৭৭৪ সালের ২২ নভেম্বর আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।
গভর্নর কার্টিয়ার (১৭৬১-১৭৭২)
১৭৬৯ সালে কার্টিয়ার ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী কর্তৃক বাংলার গভর্নর নিযুক্ত হন। এ সময়ে সমগ্র বাংলায় দ্বৈত শাসনের প্রভাব পড়তে থাকে । দ্বৈত শাসনের প্রভাবে জনগণ ব্যাপক অর্থকষ্টের সম্মুখীন হয়। ১৭৭০ খ্রিষ্টাব্দে অনাবৃষ্টি ও খরার কারণে ফসল নষ্ট হয়ে গেলে বাংলায় প্রচণ্ড খাদ্যাভাব দেখা দেয়। সমগ্র দেশে এক ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ নেমে আসে। এ দুর্ভিক্ষে প্রায় ১ কোটি লোক মৃত্যুবরণ করে। বাংলা ১১৭৬ সালের (ইংরেজি ১৭৭০ সালে) এই দুর্ভিক্ষ ইতিহাসে 'ছিয়াত্তরের মন্বন্তর' বা মহাদুর্ভিক্ষ নামে পরিচিত। 'ছিয়াত্তরের মন্বন্তর' এর সময় বাংলার গভর্নর ছিলেন কার্টিয়ার।
বাংলার গভর্নর জেনারেলের শাসন (১৭৭৩-১৮৩৩ খ্রি.)
দ্বৈত শাসনের নানা কুফল এবং নির্যাতন ও নিপীড়নের কারণে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে নিয়ন্ত্রণের জন্য রেগুলেটিং অ্যাক্ট-১৭৭৩ ( নিয়ামক আইন-১৭৭৩ ) পাস করে এবং গভর্নর পদকে গভর্নর জেনারেল পদে উন্নীত করে। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ওয়ারেন হেস্টিংসকে ১৭৭৪ সালে গভর্নর জেনারেল পদে উন্নীত করেন । ওয়ারেন হেস্টিং-এর শাসনামলে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট রেগুলেটিং অ্যাক্টের দোষত্রুটি দূর করে ১৭৮৪ সালে ভারত শাসন আইন পাস করে। আইনটি প্রণয়নকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন উইলিয়াম পিট। ১৮৫৮ সাল পর্যন্ত পিটের ভারত শাসন আইন কার্যকর ছিল।
ওয়ারেন হেস্টিংস (১৭৭৩ - ১৭৮৫ খ্রি.)
১৭৭২ সালে তিনি বাংলার গভর্নর নিযুক্ত হন। কোম্পানির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনি প্রথমেই দ্বৈত শাসনব্যবস্থা বিলুপ্ত করেন। তিনি মারাঠা, নিয়াম ও হায়দার আলীর শক্তির বিরুদ্ধে ইংরেজদের শক্তি সমুন্নত রাখেন। ভারতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ বিস্তারের প্রথম সূচনা করেন ।
রাজস্ব বোর্ড গঠন : কোম্পানির রাজস্ব আদায়ে গতি সৃষ্টি এবং রাজস্ব উদ্বৃত্ত দেখানোর জন্য তিনি রাজন বোর্ড গঠন করেন। উপমহাদেশে তিনি প্রথম রাজস্ব বোর্ড গঠন করেন। তিনি মুঘল সম্রাটের কর্তৃত্ব অস্বীকার করে মুঘল সম্রাটকে বার্ষিক ২৬ লক্ষ টাকা কর প্রদান বন্ধ করে দেন। তিনি বাংলার নবাবের বৃত্তি অর্ধেক করে দেন। প্রজাসাধারণের উপর জুলুম-নির্যাতনের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় জোরদার করেন এবং ১৭৭৪ সালের মধ্যে কোম্পানির রাজস্ব উদ্বৃত্ত দেখাতে সক্ষম হলেন।
পাঁচশালা বন্দোবস্ত : রাজকোষের শূন্যতা পূরণের উদ্দেশ্যে হেস্টিংস ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থা পাঁচ বছরের জন্য ইজারা দেওয়ার নিয়ম প্রবর্তন করেন । এটি ‘পাঁচশালা বন্দোবস্ত ’নামে পরিচিত ছিল ।
লর্ড কর্নওয়ালিস (১৭৮৬-১৭৯৩)
১৭৮৬ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী লর্ড কর্নওয়ালিসকে বাংলার গভর্নর জেনারেল নিযুক্ত করেন। তিনি মারাঠা, নিয়াম ও টিপু সুলতানের শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে সফল হন।
দশশালা পরিকল্পনা ও চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রথা : রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি এবং স্থায়ী অনুরক্ত শ্রেণী সৃষ্টির মানসে তিনি ১৭৬১ সালে দশশালা ভূমি বন্দোবস্ত প্রথা চালু করেন। ১৭৯৩ সালের ২২ মার্চ তিনি দশশালা বন্দোবস্তকে 'চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত' ঘোষণা করেন।। নিয়মিত খাজনা আদায়ের জন্য তিনি 'সূর্যাস্ত আইন' বলবৎ করেন । চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ব্যবস্থায় কোম্পানির রাজস্ব একটি নির্দিষ্ট দিনে সূর্যাস্তের পূর্বে দিতে অসমর্থ হলে কোম্পানী জমিদারি নিলামে বিক্রি করতো। এটিই সূর্যাস্ত আইন।
ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস : তিনি সরকারি কর্মচারীদের জন্য যে বিধিবিধান চালু করেন পরবর্তীকালে তা 'ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস' নামে প্রচলিত হয়।
লর্ড ওয়েলেসলী (১৭৯৮-১৮০৫)
ব্রিটিশ সাম্রাজ্য বিস্তারে উগ্র প্রচেষ্টার জন্য তিনি সবিশেষ পরিচিতি লাভ করেন। তিনি ছিলেন প্রথম সাম্রাজ্যবাদী বড়লাট।
অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি : "অধীনতামূলক মিত্রতা' নীতি প্রবর্তন করে তিনি হায়দ্রাবাদের নিযাম ও পেশোয়া দ্বিতীয় বাজীরাওকে বশীভূত করেন। অধীনতামূলক নীতির মাধ্যমে তিনি তাঞ্জোর, সুরাট, কর্নাটক, ও অযোধ্যার স্বাধীনতা হরণ করেন।
টিপু সুলতানের সংগ্রাম : এ সময় মহীশূর (অধুনা ভারতের কর্ণাটক রাজ্য) এর শাসনকর্তা ছিলেন টিপু সুলতান। টিপু অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি গ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে কোম্পানির সঙ্গে কয়েক দফা যুদ্ধ হয়। চতুর্থ মহীশূরের যুদ্ধ (১৭৯৯ খ্রি.) এ টিপু পরাজিত ও নিহত হলে মহীশূর ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত হয়। টিপুর বিরুদ্ধে এ যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন লর্ড ওয়েলেসলির ভ্রাতা আর্থার ওয়েলেসলি। টিপু বীরের ন্যায় যুদ্ধ করে নিহত হন। এভাবে বিভিন্ন প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তি বিনষ্ট করে তিনি ব্রিটিশকে উপমহাদেশে প্রধান শক্তিতে পরিণত করেন।
লর্ড হেস্টিং (১৮১৩-১৮২৩)
প্রায় দশ বছর তিনি বাংলার গভর্নর জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন। এ সময়ে বিভিন্ন গোত্র ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে খণ্ডযুদ্ধে লিপ্ত হয়। তার শাসনামলে বিভিন্ন আঞ্চলিক ও দেশীয় শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তিনি ২০টি দুর্গ দখল করেন। তিনি মারাঠা শক্তি সম্পূর্ণ ধধ্বংস করে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সীমা বৃদ্ধি করেন। এ সময়ে রাজা রামমোহন রায় কলকাতায় 'হিন্দু কলেজ' প্রতিষ্ঠা করেন ।
ভারতের গভর্নর জেনারেলের শাসন (১৮৩৩ - ১৮৫৮ খ্রি.)
১৮৩৩ সালের চার্টার অ্যাক্ট গভর্নর-জেনারেল এবং ফোর্ট উইলিয়ামের কাউন্সিলকে গভর্নর-জেনারেল এবং কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার সাথে প্রতিস্থাপন করে। অর্থাৎ ১৮৩৩ সালে বড়লাটের পদবী 'বাংলার গভর্নর জেনারেল' এর পরিবর্তে 'ভারতবর্ষের গভর্নর জেনারেল' করা হয়।
লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক (১৮২৮-১৮৩৫)
তিনি বড়লাট হয়ে এসে ভারতে বিভিন্ন সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা। করেন। বেন্টিং-এর শাসনামল উপমহাদেশে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও শিক্ষা সংস্কারের জন্য বিখ্যাত। সংস্কারের অংশ হিসেবে তিনি ভারতীয়দের জন্য 'সাব জজ' ও 'মুন্সেফ' পদ সৃষ্টি করেন। রাজা রামমোহন ও দ্বারকানাথ ঠাকুরের সহায়তায় ১৮২৯ সালের ৪ ডিসেম্বর তিনি 'সতীদাহ প্রথা’ বাতিল করেন। ১৮৩৫ সালে তিনি কলকাতা মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। একই সালে তিনি। 'ম্যাকলে শিক্ষানীতি' প্রণয়ন করেন। যদিও পরবর্তীকালে এটিকে কেরানী তৈরির প্রজেক্ট হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়। তার শাসনামলে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট স্পষ্টভাবে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনকার্যে হস্তক্ষেপ করে।
লর্ড হেনরি হার্ডিঞ্জ (১৮৪৪-১৮৪৮)
ভারতবর্ষের যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিশেষত রেল যোগাযোগে তিনি ব্যাপক অবদান রাখেন। মূলত রাজস্ব আদায় ও প্রশাসনিক কাজের সুবিধার জন্য ব্রিটিশরা ভারতে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটায়। তিনি শিখদের যুদ্ধে পরাজিত করেন এবং এক কোটি টাকা জরিমানা আদায়ের জন্য গোলাপ সিং নামে এক ব্যক্তির নিকট ৭৫ লক্ষ টাকায় জম্মু ও কাশ্মীর বিক্রয় করেন। সেই থেকে ভারত বিভাগ পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীরে ব্রিটিশ শাসনাধীন বিশেষ শাসিত অঞ্চলের মর্যাদা ভোগ করছিল।
লর্ড ডালহৌসি (১৮৪৮-১৮৫৬ খ্রি.)
সাম্রাজ্যবাদী গভর্নর হিসেবে তিনি ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছিলেন। স্বত্ব বিলোপ নীতির প্রয়োগ করে ভারতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটান। ১৮৫০ সালে তিনি উপমহাদেশের প্রথম টেলিগ্রাফ লাইন (কলকাতা হতে ডায়মন্ড হারবার পর্যন্ত) স্থাপন করেন।
- স্বত্ব বিলোপ নীতি : তিনি স্বত্ব বিলোপ নীতির কঠোর প্রয়োগ করেন। এর মাধ্যমে তিনি সাঁতারা, ঝাঁসি, নাগপুর, সম্বলপুর রাজ্য ব্রিটিশদের অধীনে আনেন। তার উগ্র সাম্রাজ্যবাদী নীতির কারণে দেশীয় বিভিন্ন গোত্র ও আঞ্চলিক শক্তি ইংরেজদের উচ্ছেদ করার সংকল্প করতে থাকেন যা পরবর্তীতে সিপাহী বিপ্লবের দিকে ভারতবর্ষকে ঠেলে দেয়।
- রেল যোগাযোগ চালু : ১৮৫৩ সালে তিনি উপমহাদেশে প্রথম রেল যোগাযোগ চালু করেন।
- ডাক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা : তিনি টেলিগ্রাফ ও ডাকটিকিটের মাধ্যমে ভারতের বিভিন্ন স্থানে চিঠিপত্র আদানপ্রদানের ব্যবস্থা করেন।
- বিধবা বিবাহ আইন প্রণয়ন : ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সহায়তায় ১৮৫৪ সালে তিনি বিধবা বিবাহ আইন প্রণয়ন করেন। ১৮৫৬ সালের ২৬ জুলাই বিধবা বিবাহ আইন পাস হয়।
ভারতের গভর্নর জেনারেল ও ভাইসরয়ের শাসন (১৮৫৮ - ১৯৪৭ খ্রি.)
সিপাহি বিদ্রোহের পর ২ আগস্ট, ১৮৫৮ ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ভারত শাসন আইন পাশ হয়। সরকার ভারতের শাসনভার ইংল্যান্ডের রানি ভিক্টোরিয়ার হস্তে অর্পণ করেন। ইংল্যান্ডের মহারানির প্রতিনিধি অর্থাৎ রাজপ্রতিনিধি হিসাবে গভর্নর জেনারেলকে বড়লাট (Viceroy) উপাধি দেওয়া হয়। এর ফলে ভারতে ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন (১৭৫৭-১৮৫৮ খ্রি.) এর অবসান ঘটে।
লর্ড ক্যানিং (১৮৫৬ - ৬২ খ্রি.)
ভারতবর্ষের প্রথম ভাইসরয় নিযুক্ত হন। উপমহাদেশে তিনিই প্রথম পুলিশ ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন। তিনি পুলিশ আইন, ১৮৬১ প্রবর্তনের মাধ্যমে ভারতীয় উপমহাদেশে আধুনিক পুলিশ ব্যবস্থা চালু করেন। বাংলাদেশের পুলিশ এখনও এই আইন দ্বারা পরিচালিত হয়। ১৮৬১ সালে তিনি উপমহাদেশে প্রথম কাগজের মুদ্রা চালু করেন। জমিদারদের হাত থেকে রায়তদের রক্ষার্থে ক্যানিং বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইন চালু করেন।
লর্ড মেয়ো (১৮৬৯-৭২)
ভারতবর্ষে প্রথম আদমশুমারি হয় ১৮৭২ সালে লর্ড মেয়োর শাসনামলে। লর্ড মেয়ো আদমশুমারি ছাড়াও কৃষি ও বাণিজ্য বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন।
লর্ড লিটন (১৮৭৬-৮০)
- তিনি একজন খ্যাতনামা সাহিত্যিক ছিলেন।
- অস্ত্র আইন (The Arms Act): তিনি ১৮৭৮ সালে অস্ত্র আইন পাস করে বিনা লাইসেন্সে অস্ত্র রাখা নিষিদ্ধ করেন।
- সংবাদপত্র আইন (Vernacular Press Act): তিনি ১৮৭৮ সালে সংবাদপত্র আইন পাস করে দেশীয় ভাষায় প্রচারিত সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করেন।
লর্ড রিপন (১৮৮০-৮৪)
- সংবাদপত্রগুলোর পূর্ণ স্বাধীনতা প্রদান: তিনি সংবাদপত্র আইন রহিত করে দেশীয় ভাষায় প্রকাশিত সংবাদপত্রগুলোর পূর্ণ স্বাধীনতা প্রদান করেন।
- হান্টার কমিশন (Hunter Commision): তিনি ১৮৮২ সালে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার সংস্কারের জন্য হান্টার কমিশন গঠন করেন।
- ইলবার্ট বিল: লর্ড রিপন 'ইলবার্ট বিল' প্রণয়ন করে ভারতীয় বিচারকদের ইউরোপীয় অপরাধীদের বিচার করার ক্ষমতা প্রদান করেন। কিন্তু ইলবার্ট বিলের বিরুদ্ধে ইউরোপীয়দের মধ্য তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়।
- বেঙ্গল মিনিসিপাল অ্যাক্ট (Bengal Municipal Act): লর্ড রিপনের সেরা কীর্তি বেঙ্গল মিউনিসিপ্যাল অ্যাক্ট আইন প্রণয়ন। এর মাধ্যমে তিনি স্থানীয় সরকার কাঠামো তৈরি করেন। অর্থাৎ তিনি ভারতে প্রথম স্থানীয় শাসন ব্যবস্থার প্রবর্তক।
- ফ্যাক্টরি আইন: লর্ড রিপন শ্রমিক কল্যাণের জন্য ১৮৮১ সালে 'ফ্যাক্টরি আইন' পাস করে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। এ আইনের দ্বারা শিল্প শ্রমিকদের দিনে ৮ ঘন্টা কাজ করার নিয়ম চালু করা হয় এবং শিশুশ্রমকে নিষিদ্ধ করেন।
লর্ড কার্জন (১৮৯৯ - ১৯০৫ খ্রি.)
১৯০৫ সালে ১৬ অক্টোবর বাংলা প্রদেশকে দুইভাগে ভাগ করেন। এ ঘটনা বঙ্গভঙ্গ (Partition of Bengal) নামে পরিচিত। বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যা নিয়ে বাংলা প্রদেশ গঠিত ছিল। এটি ছিল তৎকালীন ভারতের সবচেয়ে বড় প্রদেশ। প্রদেশটির প্রশাসনকার্য পরিচালনার সুবিধার্থে বাংলা প্রদেশকে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত ছিল অত্যন্ত সময়োপযোগী। বঙ্গভঙ্গের ফলে পশ্চিম বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যা নিয়ে গঠিত হয় পশ্চিম বাংলা প্রদেশ যার রাজধানী ছিল কলকাতা। অন্যদিকে বাংলাদেশের ঢাকা, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগ এবং আসাম নিয়ে গঠিত হয় 'পূর্ববঙ্গ ও আসাম' প্রদেশ যার রাজধানী ছিল ঢাকা। পূর্ব বাংলা ও আসামের প্রথম লেফটেন্যান্ট গভর্নর ছিলেন ব্যামফিল্ড ফুলার । 'পূর্ববঙ্গ ও আসাম' প্রদেশ মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সুবিধাভোগী হিন্দু সম্প্রদায় বঙ্গভঙ্গের রিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলে। তিনি কলকাতায় ভারতের বৃহত্তম গ্রন্থাগার ইম্পেরিয়াল লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠা করে । মর্লি-মিন্টু সংস্কার আইন (১৯০৯): এ মুসলমানদের পৃথক নির্বাচনের অধিকার দেওয়া হয়। বাংলা এ পর্যন্ত ২ বার বিভক্ত হয়। যথা-
১. ১৯০৫ সালে (বঙ্গভঙ্গের ফলে)
২. ১৯৪৭ সালে (ভারত বিভাগের ফলে)
লর্ড হার্ডিঞ্জ (১৯১০-১৬)
বঙ্গভঙ্গ রদ: 'পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশে মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সুবিধাভোগী বর্ণহিন্দু সম্প্রদায় বঙ্গভঙ্গের রিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরামর্শে 'রাখিবন্ধন' অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। বাঙালির ঐক্যের আহবান জানিয়ে রবীন্দ্রনাথ 'বাংলার মাটি, বাংলার জল' গানটি রচনা করেন।
হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিবাদের মুখে ১৯১১ সালে দিল্লীর দরবারে রাজা পঞ্চম জর্জ 'বঙ্গভঙ্গ' রদ করেন। বঙ্গভঙ্গ রদের সুপারিশ করেন ভারতের ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জ (দ্বিতীয়)। ১৯১২ সালে বঙ্গভঙ্গ রদের পর পূর্ব ও পশ্চিম বাংলাকে একত্রিত করে কলকাতাকে রাজধানী করে 'বেঙ্গল প্রদেশ' সৃষ্টি করা হয়
রাজধানী কলকাতা হতে দিল্লীতে স্থানান্তর: বঙ্গভঙ্গ রদের ফলে মুসলমানদের মধ্য চরম অসন্তোষ দেখা দেয়। মুসলমানদের খুশি করার জন্য ১৯১২ সালে ব্রিটিশ ভারতীয় রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লিতে হস্তান্তর করা হয়।
লর্ড চেমসফোর্ড (১৯১৬-২১)
মন্টেও-চেমসফোর্ড সংস্কার আইন (১৯১৯): এটি ভারত শাসন আইন নামেও পরিচিত। এই আইন অনুযায়ী, কেন্দ্রে দুইকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা ছিল কিন্তু প্রকৃত ক্ষমতা ছিল বড়লাটের হাতে। প্রাদেশিক দ্বৈতশাসন নীতি কার্যকর ছিল কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো ছিল গভর্নরের হাতে। ফলে জনগণের স্বায়ত্তশাসনের দাবি অপূর্ণই থেকে যায়।
লর্ড মাউন্টব্যাটেন (১৯৪৭ খ্রি.)
লর্ড মাউন্টব্যাটেন (১৯৪৭ খ্রি.) ছিলেন ভারতের শেষ গভর্নর জেনারেল ও ভাইসরয় (বড়লাট)। ১৯৪৭ সালের ৩ জুন মাউন্টব্যাটেন ভারতবর্ষকে দ্বি-জাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি সার্বভৌম রাষ্ট্রে বিভক্ত করার সরকারি পরিকল্পনা ঘোষণা করেন এবং স্যার সিরিল জন র্যাডক্লিফকে সীমানা নির্ধারণকারী কমিশনের চেয়ারম্যান নিযুক্ত করেন। ১৯৪৭ সালের ১৮ জুলাই ব্রিটিশ পার্লামেন্টে 'ভারত স্বাধীনতা আইন, ১৯৪৭' প্রণীত হয়। এ সময় ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ক্লিমেন্ট এটলি। র্যাডক্লিফ ভারত বিভাগ, নতুন দুটি রাষ্ট্র ভারত ও পাকিস্তানের মানচিত্র এবং আন্তর্জাতিক সীমা নির্দেশ করে তাঁর রিপোর্ট পেশ করেন। মাউন্ট ব্যাটেন ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট করাচিতে পাকিস্তান গণপরিষদের হাতে এবং ১৫ আগস্ট ভারতীয় গণপরিষদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। জন্ম নেয় ভারতীয় ইউনিয়ন ও পাকিস্তান নামক দুটি রাষ্ট্র। র্যাডক্লিফের নেতৃত্বাধীন কমিশন সীমানা চিহ্নিতকরণের কাজ সমাপ্ত করে ১৯৪৭ সালের ১৭ আগস্ট। তাঁর নামানুসারে ভারত-পাকিস্তানের সীমান্তরেখার নামকরণ করা হয় র্যাডক্লিক লাইন। লর্ড মাউন্টব্যাটেন ছিলেন স্বাধীন ভারেতের প্রথম গভর্নর জেনারেল। এখানে উল্লেখ্য যে, অবিভক্ত বাংলার শেষ গভর্নর ছিলেন স্যার ফ্রেডরিক জন বারোজ।
| শাসক | অবদান |
|---|---|
| লর্ড ক্লাইভ | • দ্বৈত শাসন |
| ওয়ারেন হেস্টিংস | • দ্বৈত শাসন রহিত |
| লর্ড কর্নওয়ালিস | • চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত |
| লর্ড ওয়েলসলি | • অধীনতা মূলক মিত্রতা |
| লর্ড বেন্টিংক | • সতীদাহ প্রথা রহিত |
| লর্ড মেয়ো | • আদমশুমারী |
| লর্ড লিটন | • অস্ত্র আইন, সংবাদ পত্র |
| লর্ড কার্জন | • বঙ্গভঙ্গ (১৯০৫) |
| লর্ড হার্ডিঞ্জ | • বঙ্গভঙ্গ রদ (১৯১১) |
| লর্ড চেমসফোর্ড | • ভারত শাসন আইন |
| লর্ড মাউন্ট ব্যাটন | • ভারত বিভাগ |
| লর্ড ডালহৌসি | • রেল যোগাযোগ, বিধাব বিবাহ রহিত, স্বত্ব বিলোপনীতি |
| লর্ড ক্যানিং | • সিপাহী বিদ্রোহ, মুদ্রা ব্যবস্থার সংস্কার, পুলিশ ব্যবস্থা প্রবর্তন |
| লর্ড রিপন | • হান্টার কমিশন, বেঙ্গল মিনিসিপাল অ্যাক্ট, ফ্যাক্টরী আইন |
ব্রিটিশ শাসন আমল MCQ MCQ প্রশ্ন উত্তর অনুশীলন
মোট প্রশ্ন: (৭০)
১. ইউরোপীয় বণিকদের মধ্যে বাংলায় প্রথম এসেছিলেন—/ কোন ইউরোপীয় জাতি সর্বপ্রথম ভারতবর্ষে আসে ? [৪০তম বিসিএস/ ১৬তম বিসিএস/ ১০ম বিসিএস| রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, মানবিক বিভাগ, ইউনিট- A (গ্রুপ-২) প্রথম বর্ষ (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষা ২০২০-২০২১/ খাদ্য অধিদপ্তরের উপ-খাদ্য পরিদর্শক-২০১২ ]
- পর্তুগীজরা
- ইংরেজরা
- ওলন্দাজরা
- ফরাসিরা
২. দিল্লির কোন সম্রাট বাংলা থেকে পর্তুগিজদের বিতাড়িত করেন ? [বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সহকারী সচিব/ সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ২০১৬ ]
- শের শাহ
- আকবর
- জাহাঙ্গীর
- আওরঙ্গজেব
৩. কোন ইউরোপীয় জাতি সর্বপ্রথম ভারতবর্ষে আসে ? [জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা ( আন্তর্জাতিক সম্পর্ক) : ১৩-১৪/ ৭ম শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন পরীক্ষা- ২০১১/মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষকঃ ০৯ ]
- ইংরেজরা
- ওলন্দাজরা
- ফরাসিরা
- পর্তুগিজরা
৪. কারা সর্বপ্রথম ভারতে আসার সমুদ্র পথ আবিষ্কার করেন ? [ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (চ ইউনিট): ১৩-১৪]
- ওলন্দাজ
- ব্রিটিশ
- পর্তুগিজ
- ফরাসি
৫. In which year did the Portuguese arrive at Chittagong and receive trade permit for the first time ? / পর্তুগীজ কত খ্রিষ্টাব্দে প্রথম চট্টগ্রামে আসে এবং বাণিজ্য করার অনুমতি পায় ? [BASIC Bank Ltd. Assisant Manager:12 ]
- ১৪৯৮
- ১৫৩৪
- ১৬৫০
- ১৭৫৭
- কোনোটিই নয়
৬. কত সালে ইউরোপ হতে আফ্রিকার উত্তমাশা অন্তরীপ হয়ে সমুদ্রপথে পূর্বদিকে আসার জলপথ আবিষ্কৃত হয় ? [ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক: ১০ ]
- ১৪৮৭ সালে
- ১৪৯০ সালে
- ১৪৯৮ সালে
- ১৫০২ সালে
৭. ইউরোপ থেকে সমুদ্রপথে ভারতবর্ষে আসার পথ আবিষ্কৃত হয় কোন সালে ? [প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক: ১০ ]
- ১৪৮৭ সালে
- ১৩৮৭ সালে
- ১৫৮৭ সালে
- ১৬৮৭ সালে
৮. ভাস্কো-দা-গামা ছিলেন- [রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (ক ইউনিট);১৩-১৪ ]
- পর্তুগিজ
- ফরাসি
- ওলন্দাজ
- ব্রিটিশ
৯. কোন সালে ইউরোপ হতে ভারতে আসার জলপথ আবিষ্কৃত হয়েছে ? [জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা, (খ ইউনিট): ১৪-১২/পিএসসি কর্তৃক নির্ধারিত ১২টি পদঃ ০১ অথবা,পর্তুগিজ নাবিক ভাসকো দা গামা কত সালে ভারতে পৌঁছেন? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা, ঘ ইউনিটঃ ০৪-০৫ ]
- ১৪৯৮ সালে
- ১৪৯২ সালে
- ১৫১৭ সালে
- ১৬৪৮ সালে
১০. কোন ইউরোপীয় ভারতে আসার জলপথ আবিস্কার করেন ? / কোন ইউরোপীয় নাবিক সর্বপ্রথম সমুদ্রপথে ভারতে আসেন ? [ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা, ঘ ইউনিটঃ ০৬-০৭/ দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা বুরো সহকারী পরিচালকঃ ০১ / রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা (ইতিহাস) : ০৭-০৮ ]
- ফার্ডিন্যান্ড ম্যাগেলান
- ফ্রান্সিস ড্রেক
- ভাস্কো ডা গামা
- ক্রিস্টোফার কলম্বাস
১১. ওলন্দাজরা কোন দেশের নাগরিক ? [খাদ্য অধিদপ্তরের সহকারী উপ-খাদ্য পরিদর্শকঃ ০৯ ]
- হল্যান্ড
- ফ্রান্স
- পর্তুগাল
- ডেনমার্ক
১২. 'ছিয়াত্তরের মন্বন্তর' নামক ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ কত সালে ঘটে?/ বাংলার “ছিয়াত্তরের মনন্তর এর সময় কাল: [ ৩৬তম বি.সি.এস/ বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (এরোড্রাম কর্মকর্তা (এটিএম)/উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল)/অন্যান্য)-২১/ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ঃ সহকারী শিক্ষক ২০১৯/রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (এ ইউনিট) আইন অনুষদ (গ্রুপ-২) ২০১৮-১৯/ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তরের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (সাধারণ) ২০১৮/ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (ক ইউনিট) ২০১৭-১৮/ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ইউনিট F) ব্যবসায় শিক্ষা ২০১৭-১৮/ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীনে পিএসসি'র সহকারী পরিচালক ২০১৬/আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাব-রেজিস্ট্রর ২০১৬/ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (ইউনিট-১) জীব ও ভূ বিজ্ঞান অনুষদ ২০১৫-১৬ ]
- ১৭৭০ সালে
- ১৭৭৬ সালে
- ১৮৭৬ সালে
- ১৯৭৬ সালে
১৩. বাংলা ১১৭৬ সন কোনটির সাথে সংশ্লিষ্ট ? [বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন পদের নামঃ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা: ২০১৯ ]
- সিপাহী বিদ্রোহ
- বঙ্গভঙ্গ
- ছিয়াত্তরের মন্বন্তর
- দেশভাগ
১৪. 'ছিয়াত্তরের মন্বন্তর' নামক ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ কত সালে ঘটে ? [ ১৪তম বিসিএস/ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়: সহকারী শিক্ষক ২০১৯/১৫তম প্রভাষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন পরীক্ষা (কলেজ/সমপর্যায়) ২০১৯/ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (চতুর্থ ধাপ) ২০১৯ ]
- বাংলা ১০৭৬ সালে
- বাংলা ১১৭৬ সালে
- বাংলা ১৩৭৬ সালে
- ইংরেজী ১৮৭৬ সালে
১৫. ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কখন বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানী লাভ করেন ? [বাতিলকৃত ২৪ তম বিসিএস/ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ইতিহাস বিভাগঃ ০৮-০৯/ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা, খ ইউনিটঃ ০৩-০৪ ]
- ১৬৯০
- ১৭৬৫
- ১৭৯৩
- ১৮২৯
১৬. ইংলিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি যে মুঘল সম্রাটের কাছ থেকে বাংলার দিওয়ানি লাভ করে – [ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (খ ইউনিট) ২০১৮-১৯/ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা (ইতিহাস) : ০৭-০৮ ]
- দ্বিতীয় শাহ আলম
- আলীবর্দি খান
- ফররুখ শিয়ার
- বাহাদুর শাহ জাফর
১৭. লর্ড ক্লাইভ আত্মহত্যা করেন— [১১তম বিজেএস (সহকারী জজ) প্রাথমিক পরীক্ষা ২০১৭ ]
- ১৭৫৭ সালে
- ১৭৭৪ সালে
- ১৭৬৭ সালে
- ১৭৭৬ সালে
১৮. 'ছিয়াত্তরের মন্বন্তর' বাংলা কোন সনে হয়েছিল ? [ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-খ ইউনিট: ১৫-১৬/ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (খ ইউনিট), ১৪-১৫/প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০১২- খুলনা/২০১২- সিলেট/ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা, খ ইউনিটঃ ০৩-০৪ ]
- ১০৭৬ সনে
- ১৩৭৬ সনে
- ১১৭৬ সনে
- ১২৭৬ সনে
১৯. বক্সার যুদ্ধের পরের ঘটনা - [জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (সি ইউনিট) কলা ও মানবিক অনুষদ ২০১৬-১৭ ]
- ইংরেজদের বিতাড়ন
- ছিয়াত্তরের মন্বন্তর
- পলাশীর ষড়যন্ত্র
- বাংলায় ইংরেজদের আগমন
২০. বাংলাদেশে দ্বৈত শাসন কে প্রবর্তন করেন ? [রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (ক ইউনিট);১৩-১৪/জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় মানবিক : ০৮-০৯/শ্রম অধিদপ্তরে অফিসারঃ ৯৪ ]
- লর্ড কর্নওয়ালিস
- লর্ড ক্লাইভ
- নবাব মীর কাশেম
- ওয়ারেন হেস্টিংস
২১. ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ‘ভারত শাসন আইন' পাস হয়- [রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা (আইন) : ০৭-০৮ ]
- ১৭৮৪
- ১৭৮৬
- ১৭৭৩
- ১৭৯০
২২. সরকারী ভাষা হিসেবে এদেশের ইংরেজীর ব্যবহার শুরু হয় কোন সন থেকে ? [প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষাঃ ২০১২-সুরমা ]
- ১৭৬৫
- ১৮২৪
- ১৮৩৫
- ১৮৫৭
২৩. বঙ্গভঙ্গের ফলে কোন নতুন প্রদেশ সৃষ্টি হয়েছিল ? [ ৪২তম বিসিএস/ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (খ ইউনিট); ১৪-১৫/ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়(ইতিহাস): ১২-১৩ [ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা (সমাজকর্ম বিভাগ): ০৪-০৫ ]
- পূর্ববঙ্গ
- পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা
- পূর্ববঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গ
- পূর্ববঙ্গ ও আসাম
২৪. বঙ্গভঙ্গ রদ কে ঘোষণা করেন [৪১তম বিসিএস/ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় - ই ইউনিট (সামাজিক বিজ্ঞান) ২০১৮-১৯ ]
- লর্ড কার্জন
- রাজা পঞ্চম জর্জ
- লর্ড মাউন্টব্যাটেন
- লর্ড ওয়াভেল
২৫. বঙ্গভঙ্গ কালে ভারতের ভাইসরয় কে ছিলেন ? [ ৪০তম বিসিএস/ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, A-ইউনিট (গ্রুপ-৩) ২০-২১/ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঘ-ইউনিট ভর্তি-পরীক্ষা ২০১৯-২০২০/ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রাথমিক শিক্ষা অধি পিটিআই ইন্ট্রাক্টর (সাধারণ) ২০১৯/ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (ইউনিট AL) ২০১৭-১৮ ]
- লর্ড কার্জন
- লর্ড ওয়াভেল
- লর্ড মাউন্ট ব্যাটেন
- লর্ড লিনলিথগো
২৬. বঙ্গভঙ্গ রদ হয় কোন সালে ? [৩৯তম বিসিএস/ বাতিলকৃত ২৪ তম বিসিএস/ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, A-ইউনিট (গ্রুপ-৩)-২০-২১/ তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের ক্যামেরাম্যান ২০১৯/ স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের এস্টিমেটর ২০১৮/ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঘ ইউনিট-বাতিলকৃত) ২০১৮-১৯/ পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারী ২০১৭/সমাজসেবা অধিদপ্তরের ইউনিয়ন সমাজকর্মী নিয়োগ ২০১৬/দ্বাদশ বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যায়ন পরীক্ষা (স্কুল পর্যায়) ২০১৫/পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের হিসাব সহকারী -২০১৪ / জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা (নৃ-বিজ্ঞান) : ১৩-১৪/আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাব-রেজিস্টার ২০১২/সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী ২০১০/ উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসার ২০০৮/ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী: ২০১০ ]
- ১৯১১ সালে
- ১৯১২ সালে
- ১৯০৮ সালে
- ১৯০৯ সালে
২৭. পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশ গঠনকালে বৃটিশ ভারতের গভর্ণর জেনারেল ও ভাইসরয় ছিলেন : [৩৭তম বিসিএস ]
- লর্ড রিপন
- লর্ড কার্জন
- লর্ড মিন্টো
- লর্ড হার্ডিঞ্জ
২৮. সতীদাহ প্রথা কত সালে রহিত হয় ? / সতীদাহ প্রথা কত সালে বিলুপ্ত হয় ? / কত সালে সতীদাহ প্রথা উচ্ছেদ আইন পাস হয় ? [২২তম বিসিএস/ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, মানবিক বিভাগ, ইউনিট-A (গ্রুপ-২) প্রথম বর্ষ (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষা ২০২০-২০২১/ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (এ ইউনিট) আইন অনুষদ (গ্রুপ-১) ২০১৮-১৯/ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়-ডি ইউনিট (অ-বিজ্ঞান গ্রুপ-১) ২০১৮-১৯/ পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের ফিল্ড সুপারভাইজার ২০১৮/ ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সহকারী প্রোগ্রামার ২০১৭/সঞ্চয় পরিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ২০০৭/ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা (ব্যবস্থাপনা) : ০৭-০৮ / ১১তম বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন পরীক্ষা (স্কুল/সমপর্যায়)-২০১৪ / জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ব্যক্তিগত সহকারী ২০১৩ ]
- ১৮১৯
- ১৮২৯
- ১৮৩৯
- ১৮৪৯
২৯. বাংলায় চিরস্থায়ী ভূমি ব্যবস্থা (চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রথা) কে প্রবর্তন করেন ? [২২তম বিসিএস/ এনএসআই জুনিয়র ফিল্ড অফিসার-২১/ সহকারী পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ২০১৬/ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (ঙ ইউনিট): ১৩-১৪। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়(ইতিহাস): ১২-১৩/৮ম বেসরকারি প্রভাষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন পরীক্ষা ২০১২/ পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সহকারী পরিকল্পনা কর্মকর্তা ২০১২ / জাতীয় সঞ্চয় পরিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ২০০৯ ]
- লর্ড কর্নওয়ালিস
- লর্ড বেন্টিংক
- লর্ড ক্লাইভ
- লর্ড ওয়াভেল
৩০. ‘বাংলায় চিরস্থায়ী বন্দোবস্তু' প্রবর্তন করা হয় কোন সালে ? [১০তম বিসিএস/ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরঃ ক্রেডিট সুপাভাইজার ২০১৯/রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (এ ইউনিট) আইন অনুষদ (গ্রুপ-১) ২০১৮-১৯/ মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ইউনিট উ) ২০১৭-১৮/ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সেকশন অফিসার ২০১৭/বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সহকারী সচিব/ সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ২০১৬/ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (খ ইউনিট);১৪-১৫। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (নৃবিজ্ঞান): ১৩-১৪/১০ম বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন পরীক্ষা (স্কুল/সমপর্যায়) - ২০১৪/জাতীয় সঞ্চয় পরিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ২০০৯ ]
- ১৭০০
- ১৭৬২
- ১৯৬৫
- ১৭৯৩
৩১. সতীদাহ প্রথা কে বিলুপ্ত করেন ? [ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর অধীনে পরিসংখ্যান সহকারী পদে নিয়োগ পরীক্ষা ২০২০/পরিবেশ অধিদপ্তরের অধীনে কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ পরীক্ষা-২০২০]
- লর্ড বেন্টিংক
- ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
- রাজা রামমোহন রায়
- হান্টার
৩২. ভারতের সর্বশেষ বৃটিশ গভর্নর কে ছিলেন ? [ পরিবেশ অধিদপ্তরের অধীনে কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ পরীক্ষা-২০২০ ]
- লর্ড হার্ডিঞ্জ
- মাউন্টব্যাটেন
- এলান অক্টোভিয়ান
- লর্ড কার্জন
৩৩. ‘বঙ্গভঙ্গ' রদ হয় কোন সালে ? [দুর্নীতি দমন কমিশনঃ ডাটা এন্ট্রি/ কন্ট্রোল অপারেটর ২০১৯/বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড-২০১৭ ]
- ১৯০৭ খ্রি.
- ১৯১১ খ্রি.
- ১৯১৮ খ্রি.
- ১৯২২ খ্রি.
৩৪. বাংলাদেশে স্থানীয় শাসন ব্যবস্থার প্রবর্তন করেন কে ? [ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তরের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (সাধারণ) ২০১৮ ]
- লর্ড রিপন
- লর্ড কার্জন
- লর্ড ডালহৌসী
- লর্ড লিটন
৩৫. ভারতে স্বাধীনতা আইন পাস হয় কবে ? [ ১১তম বিজেএস (সহকারী জজ) প্রাথমিক পরীক্ষা ২০১৭]
- ১৮ জুলাই ১৯৪৭ সালে
- ১৪ আগস্ট ১৯৪৭ সালে
- ১৫ আগস্ট ১৯৪৭ সালে
- ২৩ মার্চ ১৯৪০ সালে
৩৬. লর্ড ক্যানিং ভারত উপমহাদেশের প্রথম কোন ব্যবস্থা চালু করেন ? [বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সহকারী সচিব/সহকারী পরিচালক (প্রশাসন)-২০১৭ ]
- চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ব্যবস্থা
- সতীদাহ নিবারণ ব্যবস্থা
- দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা
- পুলিশ ব্যবস্থা
৩৭. ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটে কোন সালে ? [ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-খ ইউনিট: ১৫-১৬ ]
- ১৮৫৮
- ১৯০৫
- ১৯১১
- ১৯৪৭
৩৮. কার সময়ে ‘বঙ্গ ভঙ্গ' হয় ? [সহকারী উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার (ATEO) ২০১৫ ]
- লর্ড কার্জন
- লর্ড ক্লাইভ
- লর্ড ডালহৌসি
- বড় লাট
৩৯. বঙ্গভঙ্গ আইন পাস করা হয় কত সালে ? [ কন্ট্রোলার জেনারেল ডিফেন্স-এর কার্যালয়ের অধীন অডিউটর ২০১৪/ইসলামী ব্যাংক প্রবেশনারী অফিসারঃ ০৫ ]
- ১৯০৫
- ১৯০৬
- ১৯১১
- ১৯১৪
৪০. বঙ্গভঙ্গের সময় ভারত বর্ষের গভর্নর জেনারেল কে ছিলেন ? / কার সময়ে বঙ্গভঙ্গ ঘোষিত হয় ? [টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সহকারী পরিচালক (আইন) ২০১৩ / ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (এইচ ইউনিট): ১৩-১৪/চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা, খ ইউনিটঃ ০৬-০৭]
- লর্ড কার্জন
- লর্ড মাউন্টব্যাটেন
- লর্ড ডালহৌসি
- লর্ড ওয়েলসলি
৪১. কত সালে হিন্দুসমাজ বিধবা বিবাহ প্রথা আইন চালু হয় ? [ ১০ম বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন পরীক্ষা (স্কুল/সমপর্যায়-২)-২০১৪ ]
- ১৭৫৬
- ১৮৫৬
- ১৮৮৫
- ১৮৯৫
৪২. চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কবে প্রবর্তন করা হয় ? [শ্রম অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রার : ০০ ]
- ২২-৩-১৮৯৩
- ২২-৩-১৮০৫
- ২২-৩-১৭৯৩
- ১৬-৩-১৭৯৬
৪৩. অধীনতামূলক মিত্রতা নীতির প্রবর্তক- [ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা (ইতিহাস) : ০৭-০৮ ]
- লর্ড ক্লাইভ
- লর্ড ওয়েলেসলি
- লর্ড মিন্টো
- লর্ড বেন্টিঙ্ক
৪৪. মহীশূরের টিপু সুলতান সর্বশেষ কোন ইংরেজ সেনাপতির সঙ্গে যুদ্ধ করেন ? [রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়,ইতিহাস বিভাগঃ ০৮-০৯ ]
- ওয়েলেসলি
- ওয়ারেন হেস্টিংস
- কর্নওয়ালিস
- ডালহৌসি
৪৫. সতীদাহ প্রথার বিলোপ সাধন করেন কে ? [শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ইউনিট এ) ২০১৭-১৮/ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (এ ইউনিট) জোড় ২০১৫-১৬/ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ইন্সপেক্টর/ এপ্রেইজার/প্রিভেন্টিভ অফিসার/গোয়েন্দা কর্মকর্তা, ২০১০ ]
- লর্ড কর্নওয়ালিস
- রাজা রামমোহন রায়
- ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
- লর্ড বেন্টিঙ্ক
৪৬. স্বত্ববিলোপ নীতি প্রয়োগ করে লর্ড ডালহৌসি কোন রাজ্যটি অধিকার করেন ? [রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা (ইতিহাস) : ০৭-০৮ ]
- অযোধ্যা
- পাঞ্জাব
- নাগপুর
- হায়দ্রাবাদ
৪৭. ভারতে সর্বপ্রথম কার সময় রেলপথ ও টেলিগ্রাফ লাইন স্থাপিত হয়- [রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ইতিহাস বিভাগঃ ০৮-০৯ ]
- লর্ড ওয়েলেসলি
- লর্ড বেন্টিংক
- লর্ড ক্যানিং
- লর্ড ডালহৌসি
৪৮. ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন কাল- [রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা (ইতিহাস) : ০৭-০৮ ]
- ১৭৫৭-১৯৪৭
- ১৮৭৫-১৯৪৭
- ১৭৫৭-১৮৫৭
- ১৭৬৫-১৮৮৫
৪৯. ভারতীয় উপমহাদেশে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান হয় কোন সালে ? [চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (ঘ ইউনিট);১৩-১৪/রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ইতিহাস বিভাগঃ ০৮-০৯/ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা, খ ইউনিটঃ ০৬-০৭ ]
- ১৮৫৭
- ১৮৫৮
- ১৮৫৯
- ১৮৬০
৫০. ভারতের শাসনভার ইংল্যান্ডের রানী ও পার্লামেন্টের হাতে অর্পিত হয়... [চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, খ ইউনিটঃ ০৮-০৯/ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপজেলা সমাজসেবা অফিসারঃ ০৬ ]
- ১৭৫৮ সালে
- ১৮৫৮ সালে
- ১৭৯২ সালে
- ১৮৬২ সালে
৫১. ব্রিটিশ ভারতীয় রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লিতে হস্তান্তর করা হয়- [ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষাঃ ০৫-০৬ ]
- ১৯১২ সালে
- ১৮১২ সালে
- ১৮৫৭ সালে
- ১৮৬৫ সালে
৫২. Who is the last Viceroy of British India ? / বৃটিশ ভারতের শেষ ভাইসরয় বা বড়লাট বা গভর্নর জেনারেল কে ছিলেন ? [জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা (জন - প্রশাসন) : ১৩-১৪/Pubali Bank Ltd. Senior Officer: 12 / ২৯তম বিসিএস/ ১৬তম বিসিএস/ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, অ-বিজ্ঞান (গ্রুপ-১)-২০-২১ ]
- লর্ড ওয়াভেল
- লর্ড কার্জন
- লর্ড বেন্টিক
- লর্ড মাউন্টব্যাটেন
৫৩. কোন ব্রিটিশ শাসকের সময়ে ভারত উপমহাদেশ স্বাধীন হয় ? [মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নিয়োগ পরীক্ষা, ১৩/ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা, খ ইউনিটঃ ০৫-০৬ ]
- লর্ড মাউন্টব্যাটেন
- লর্ড কর্নওয়ালিস
- লর্ড বেন্টিং
- লর্ড ডালহৌসি
৫৪. ১৯৪৭ সালের সীমানা কমিশন যে নামে পরিচিত- [মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের অধীন অডিটর - ২০১১/ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঘ ইউনিট: ০৮-০৯ ]
- র্যাডক্লিফ কমিশন
- সাইমন কমিশন
- লরেন্স কমিশন
- ম্যাকডোনাল্ড কমিশন
৫৫. অবিভক্ত বাংলার সর্বশেষ গভর্নর ছিলেন- [ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা, ঘ ইউনিটঃ ০৬-০৭]
- স্যার জন হাবার্ট
- এন্ডারসন
- স্যার এফ বারোজ
- আর জি কেসি
৫৬. ঢাকায় ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহের স্মৃতিজড়িত স্থান- [ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা, খ ইউনিটঃ ০৭-০৮ ]
- রমনা পার্ক
- ন্যাশনাল পার্ক
- গুলশান পার্ক
- বাহাদুরশাহ পার্ক
৫৭. ভারতবর্ষে প্রথম আদমশুমারি হয কোন সালে ? [সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকঃ ৯৭ ]
- ১৯৭২
- ১৮৫০
- ১৮৭২
- ১৯০১
৫৮. ভারতে প্রথম স্থানীয় শাসন ব্যবস্থার প্রবর্তক - [ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা (ইতিহাস) : ০৭-০৮]
- লর্ড কার্জন
- লর্ড রিপন
- লর্ড ডাফরিন
- লর্ড লিটন
৫৯. লর্ড লিটন কতসালে 'আর্মস অ্যাক্ট' প্রবর্তন করেন ? [থানা নির্বাচন অফিসার: ০৮ ]
- ১৮৭৬ সালে
- ১৮৭৮ সালে
- ১৮৮০ সালে
- ১৮৮২ সালে
৬০. ১৯০৫ সাল কোন ঘটনার সঙ্গে জড়িত ? [জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর উপ-সহকারী পরিচালকঃ ০১ ]
- মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠা
- বঙ্গভঙ্গ
- গান্ধী হত্যা
- ভারত বিভক্তি
৬১. বঙ্গ প্রদেশকে বঙ্গ ও আসাম প্রদেশে বিভক্ত করেন- [সঞ্চয় পরিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ২০০৭ ]
- লর্ড হার্ডিঞ্জ
- লর্ড কার্জন
- লর্ড ক্যানিং
- সম্রাট পঞ্চম জর্জ
৬২. ১৯০৫ সালে ঢাকা যে নতুন প্রদেশটির রাজধানী হয়েছিল, সে প্রদেশটির নাম কি ? [ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষাঃ ০৭-০৮]
- পূর্ব পাকিস্তান
- পূর্ববঙ্গ ও আসাম
- বঙ্গপ্রদেশ
- পূর্ববঙ্গ
৬৩. ব্রিটিশ শাসনামলে কোন সালে ঢাকাকে প্রাদেশিক রাজধানী করা হয় ? [ পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের জেলা সমন্বয়কারী ২০১৭/পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের জেলা সমন্বয়কারী ২০১৭]
- ১৭৫৭
- ১৯০৫
- ১৮৭৫
- ১৯১১
৬৪. ব্রিটিশ ভারতের কোন ভাইসরয় বাংলা ভাগ (১৯০৫ খ্রিঃ) করেন ? [চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা, খ ইউনিট-০৯-১০ ]
- লর্ড কার্জন
- লর্ড লিটন
- লর্ড হার্ডিঞ্জ
- লর্ড মিন্টো
৬৫. বঙ্গভঙ্গের সুপারিশ করেন— [জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীনে পিএসসি'র সহকারী পরিচালক ২০১০ ]
- লর্ড কার্জন
- লর্ড রিপন
- লর্ড হার্ডিঞ্জ
- লর্ড মাউন্ট ব্যাটেন
৬৬. ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের সময় ভারতের ভাইসরয় বা গভর্নর জেনারেল কে ছিলেন ? [২৯তম বিসিএস/ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাইফার অফিসার ২০১২/ বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিস্ফোরক পরিদর্শকঃ ০৩ ]
- লর্ড মিন্টো
- লর্ড চেমসফোর্ড
- লর্ড কার্জন
- লর্ড মাউন্টব্যাটেন
৬৭. প্রথম বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সময় ভারতের গভর্নর জেনারেল কে ছিলেন ? [ডাক ও টেলিফোন মন্ত্রণালয়ের টেলিফোন বোর্ডের সহকারী পরিচালকঃ ৯৫ ]
- হেস্টিংস
- কার্জন
- কর্নওয়ালিস
- ডালহৌসি
৬৮. ১৯০৫ সালে নবগঠিত প্রদেশের প্রথম লেফটেনেন্ট গভর্নর কে ছিলেন ? [১৫তম বিসিএস ]
- ব্যামফিল্ড ফুলার
- লর্ড মিন্টো
- লর্ড কার্জন
- ওয়ারেন হেস্টিংস
৬৯. পূর্ব বাংলার ও আসামের প্রথম লেফটেন্যান্ট গভর্নর কে ছিলেন ? [ সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকঃ ৯৭ ]
- ফুলার
- কার্জন
- মিন্টো
- হেসটিংস
৭০. বঙ্গভঙ্গ ব্যবস্থা রহিত করেন- [৬ষ্ঠ বিজেএস (সহকারী জজ) প্রাথমিক পরীক্ষা ২০১১ ]
- লর্ড বেন্টিং
- লর্ড ডালহৌসি
- লর্ড হার্ডিঞ্জ
- লর্ড ক্যানিং