জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের নির্বাহী কমিটি (ECNEC) : ECNEC-এর পূর্ণরূপ হল Executive Committee of National Economic Council। এই কমিটি প্রকল্প অনুমোদনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত প্রণয়নকারী পরিষদ। এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮২ সালে। কমিটির প্রধান হচ্ছে সরকার প্রধান (প্রধানমন্ত্রী)। আর প্রধানমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে এর সভাপতি হলেন অর্থমন্ত্রী।
বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি
প্রতিষ্ঠাকাল: ১৭৮৪ সালের ১৫ জুলাই স্যার উইলিয়াম জোন্স কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামে এশিয়াটিক সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন। ভারত বিভাগের পর ১৯৫২ সালের ৩ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয় 'পাকিস্তান এশিয়াটিক সোসাইটি'। স্বাধীনতার পর এর নামকরণ করা হয় 'বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি'। এটি সোসাইটি অ্যাক্ট-এর অধীনে নিবন্ধিত একটি অরাজনৈতিক, বেসরকারি ও অলাভজনক সংস্থা।
উদ্দেশ্য: উন্নততর গবেষণা, মানুষ ও প্রকৃতি সম্বন্ধে গভীর জ্ঞান ইত্যাদি অনুসন্ধান। ১৯৫২ সালে এশিয়ার মানুষ ও প্রকৃতি বিষয়ে গবেষণার লক্ষ্যে বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
অবদান : ২০০৩ সালে 'বাংলা পিডিয়া' নামে দশখণ্ডের একটি 'এনসাইক্লোপিডিয়া' বের করে। এতে সুদূর অতীতকাল হতে বর্তমান পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সমাজ, দর্শন, অর্থনীতি প্রভৃতি বিষয় স্থান পেয়েছে। 'বাংলা পিডিয়া' এর সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম। এই প্রতিষ্ঠানটি ২০০৩ সালে প্রকাশ করে 'বাংলাপিডিয়া' নামের ১০ খন্ডের জ্ঞানকোষ গ্রন্থ সিরিজ। ২০১৩ সালে দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয় ১৪ খন্ডে।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান
উপাদান
তথ্য
অবস্থান
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে
প্রতিষ্ঠাকাল
৩ ডিসেম্বর, ১৯৫৫
প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট
ভাষা আন্দোলন
বাংলা একাডেমি ভবনের পুরাতন নাম
বর্ধমান হাউস
বাংলা একাডেমির প্রথম সভাপতি
মওলানা আকরাম খা
বাংলা একাডেমির প্রথম পরিচালক
ডঃ মুহম্মদ এনামূল হক
বাংলা একাডেমির প্রথম মহাপরিচালক
ডঃ মাযহারুল ইসলাম
স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা লাভ
১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল পূর্ব পাকিস্তান আইন পরিষদে "The Bengali Academy Act 1957' গ্রহণের মাধ্যমে।
বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বইমেলা চালু হয় ১৯৭৮ সালে। বাংলা একাডেমি ২০১৫ সালে হীরকজয়ন্তী উদযাপন করেছিল।
উপাদান
তথ্য
অবস্থান
সেগুন বাগিচা, ঢাকা
ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন
২০০১ সালের ১৫ মার্চ জাতিসংঘের সপ্তম মহাসচিব কফি আনানকে সাথে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
উদ্বোধন
২১ ফেব্রুয়ারি ২০১০ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন।
উদ্দেশ্য
বাংলা সহ বিশ্বের সব ভাষার (৬০৬০টি) গবেষণা, উন্নয়ন, সংরক্ষণ ও সমন্বয় সাধন
উপাদান
তথ্য
সংক্ষিপ্ত নাম
বার্ড (BARD)
অবস্থান
কোর্টবাড়ী, কুমিল্লা
প্রতিষ্ঠাকাল
১৯৫৯ সাল
প্রতিষ্ঠাতা
আখতার হামিদ খান
উদ্দেশ্য
পল্লী এলাকার দারিদ্র বিমোচন
উপাদান
তথ্য
সংক্ষিপ্ত নাম
আর.ডি.এ (RDA)
অবস্থান
শেরপুর, বগুড়া
প্রতিষ্ঠাকাল
১৯৭৪ সালে
উদ্দেশ্য
পল্লী এলাকার দারিদ্র বিমোচন ।
বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী ৩টি।
উপাদান
তথ্য
অবস্থান
শাহবাগ, ঢাকা
প্রতিষ্ঠাকাল
১৯৮০ সাল
প্রতিষ্ঠাতা
ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহীম
উদ্দেশ্য
ডায়বেটিস ও অন্যান্য হরমোনজনিত রোগের চিকিৎসা প্রদান
উপাদান
তথ্য
অবস্থান
মহাখালী, ঢাকা
প্রতিষ্ঠাকাল
১৯৭৮ সালে
প্রতিষ্ঠানের সাফল্য
খাবার স্যালাইন ও বেবি জিঙ্ক আবিষ্কার
বাংলাদেশে পরিচিত
কলেরা হাসপাতাল নামে।
কার্যক্রম
চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলায় এই কেন্দ্র পরিচালিত মাঠ পর্যায়ের একটি গবেষণা স্টেশন রয়েছে। এখানে বসবাসকারী প্রায় ২ লক্ষ মানুষের স্বাস্থ্যের উপর সমীক্ষা পরিচালনা এবং পর্যবেক্ষণই এই স্টেশনের উদ্দেশ্য। ১৯৬৩ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত এই স্থানে কলেরা রোগের বিভিন্ন টিকার কার্যকারিতার উপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা পরিচালনা করা হয়। এখানে ঔষধ, পুষ্টি এবং জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের উপরও গবেষণা পরিচালিত হয়। সম্প্রতি ICDDRB এর গবেষণা কার্যক্রমের বিস্তার আরও দীর্ঘায়িত হয়েছে। নতুন অন্তর্ভুক্ত গবেষণার ক্ষেত্রগুলির মধ্যে রয়েছে শ্বাসরোগ, যৌনরোগ, এইডস, হেপাটাইটিস, মা ও শিশু স্বাস্থ্য, টিকার কার্যকারিতা পরীক্ষা ও বিভিন্ন সংক্রামক ব্যাধি।
উপাদান
তথ্য
সংক্ষিপ্ত নাম
BKSP
অবস্থান
জিরানী, সাভার, ঢাকা।
প্রতিষ্ঠাকাল
১৯৮৬ সালে
উদ্দেশ্য
জাতীয় পর্যায়ে খেলাধুলার মান উন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে বাংলাদেশের অবস্থানকে সম্মানজনক অবস্থায় উন্নীত করা।
উপাদান
তথ্য
PATC এর পূর্ণনাম
Public Administration Training Centre
অবস্থান
সাভার, ঢাকা।
প্রতিষ্ঠাকাল
১৯৮৪ সালে
প্রতিষ্ঠানের প্রধানের পদবী
সরকারের একজন সচিব এর প্রধান কর্মকর্তা। তার পদবী রেক্টর।
উদ্দেশ্য
বাংলাদেশ সরকারী কর্মকমিশন কর্তৃক বাছাইকৃত ক্যাডার ও উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মকর্তাদের জ্ঞান ও দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে সাধারণ ও মৌলিক বিষয়ে প্রশিক্ষণ।
উপাদান
তথ্য
NIPORT এর পূর্ণনাম
National Institute of Population Research & Training
অবস্থান
আজিমপুর, ঢাকা
প্রতিষ্ঠাকাল
১৯৭৭ সালে
উদ্দেশ্য
● জনসংখ্যা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান । ● এটি একটি জনসংখ্যা বিষয়ক গবেষণা মূলক স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। ● এটি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত।
উপাদান
তথ্য
FBCCI এর পূর্ণরূপ
Federation of Bangladesh Chamber of Commerce and Industry
FBCCI প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯৭৩ সালে
FBCCI এর সদস্য
● Chamber of Commerce and Industry ● Trade and Industrial Association
উপাদান
তথ্য
প্রতিষ্ঠাকাল
২৬ মার্চ, ১৯৭২
পেট্রোবাংলার অধীনস্ত কোম্পানি
১১ টি। যথা: বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন কোম্পানি লিমিটেড, বাংলাদেশ গ্যাসফিল্ড কোম্পানি লিমিটেড, সিলেট গ্যাসফিল্ড কোম্পানি লিমিটেড, গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিসট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিসট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড বাখরাবাদ গ্যাস সিস্টেমস লিমিটেড, পশ্চিমাঞ্চলীয় গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড, বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড, মধ্যপাড়া হার্ডরক মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড, রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লি.
উপাদান
তথ্য
NAEM এর পূর্ণরূপ
National Academy for Educatioal Management
অবস্থান
ঢাকা।
প্রতিষ্ঠাকাল
১৯৭২ সাল
উদ্দেশ্য
শিক্ষা বিভাগের ট্রেনিং এর শীর্ষ প্রতিষ্ঠান।
উপাদান
তথ্য
NAPEএর পূর্ণরূপ
National Academy for Primary Education
অবস্থান
ময়মনসিংহ
প্রতিষ্ঠাকাল
১৯৭৮ সাল
উদ্দেশ্য
প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করা
উপাদান
তথ্য
প্রতিষ্ঠাকাল
২৯ অক্টোবর, ১৯৬৮ (২০১৮ ছিল এর প্রতিষ্ঠার সুবর্ণজয়ন্তী)
প্রতিষ্ঠাতা
সত্যেন সেন
উপাদান
তথ্য
প্রতিষ্ঠাকাল
১৯৮২
প্রতিষ্ঠাতা
অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সাঈদ
শ্লোগান
আলোকিত মানুষ চাই
উপাদান
তথ্য
BRRI এর পূর্ণরূপ
Bangladesh Rice Research Institute
অবস্থান
জয়দেবপুর, গাজীপুর
প্রতিষ্ঠাকাল
১৯৭০ সালে
উপাদান
তথ্য
BINA এর পূর্ণরূপ
Bangladesh Institute of Nuclear Agriculture
অবস্থান
ময়মনসিংহ
প্রতিষ্ঠাকাল
১৯৬১ সালে
পুরষ্কার
২০১৯ সালে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছে।
আইন ও সালিশ কেন্দ্র : আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) মানবাধিকার ও আইন সহায়তাকারী বেসরকারি সংগঠন। প্রতিষ্ঠা ১৯৮৬। শুরুতে আসক ঢাকা শহরের সুবিধাবঞ্চিত ও দরিদ্র নারী, কর্মজীবী শিশু এবং শ্রমিকদের বিনামূল্যে আইনি সহায়তা প্রদান করে। এরপর গত পঁচিশ বছরে প্রতিষ্ঠানটি মানবাধিকার সংরক্ষণ ও উন্নয়নে অনেক কর্মকৌশল রচনা করে। এই কর্মকৌশলগুলোর মধ্যে রয়েছে মানবাধিকার বিষয়ে সচেতনতা তৈরি, সালিশ ও মামলার মাধ্যমে আইনি সহায়তা প্রদান, মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও মানবাধিকার গবেষণা, জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট মামলার সাহায্যে আইন ও নীতি সংস্কারের প্রয়াস এবং গণমাধ্যম ও নিজস্ব প্রকাশনার মাধ্যমে বিস্তারিত তথ্য প্রদান। বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার, বিচারের অপেক্ষায় কারাবাস, রাষ্ট্রীয় হেফাজতে মৃত্যু ও নির্যাতনের ঘটনা, বন্ধি উচ্ছেদ, বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড, পুলিশী নির্যাতন ও রাজনৈতিক নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া ও রাষ্ট্রের উপর চাপ সৃষ্টি করা আসক-এর কাজ। এছাড়া আসক মানবাধিকার লঙ্ঘন-এর শিকার ব্যক্তিদের সহায়তা প্রদান করে থাকে।