বারিমণ্ডল | Hydrosphere


পৃথিবীর পৃষ্ঠে ভূত্বকের নিচের অংশগুলো জলে পূর্ণ রয়েছে । ভূ-পৃষ্ঠ থেকে চুইয়ে চুইয়ে এসব পানি নিচে গিয়ে সঞ্চিত হয় । তাছাড়া ভূ-পৃষ্ঠের উপরে সাগর , মহাসাগর , উপসাগর , হ্রদ , নদী-নালা , খালবিলে রয়েছে বিশাল জলরাশি । এসব নিয়েই বারিমন্ডল গঠিত । বলা হয়ে থাকে পৃথিবীর ৭১ ভাগ জল এবং ২৯ ভাগ স্থল । পৃথিবীর সমগ্র বারিমন্ডলের মোট ভর ১.৪ × ১০১৮ টন, যেটা পৃথিবীর সমগ্র ভরের ০.০০০০২৩ শতাংশ। কিন্তু এ বিপুল জলরাশির মানুষের ব্যবহারযোগ্য কতটুকু? কতটুকু জল মানুষের জন্য নিরাপদ ? বা

বারিমণ্ডল কি

'Hydrosphere'-এর বাংলা প্রতিশব্দ বারিমন্ডল। 'Hydro' শব্দের অর্থ পানি এবং 'Sphere' শব্দের অর্থ ক্ষেত্র। পৃথিবীর সর্বত্র রয়েছে পানি; এ বিশাল জলরাশি পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থায় থাকে। যেমন- কঠিন (বরফ), গ্যাসীয় (জলীয়বাষ্প) এবং তরল। বায়ুমন্ডলে পানি রয়েছে জলীয়বাষ্প হিসেবে, ভূপৃষ্ঠে রয়েছে তরল ও কঠিন অবস্থায় এবং ভূপৃষ্ঠের তলদেশে রয়েছে ভূগর্ভস্থ তরল পানি। সুতরাং বারিমন্ডল বলতে বোঝায় পৃথিবীর সকল জলরাশির অবস্থানভিত্তিক বিস্তরণ। পৃথিবীর সকল জলরাশির শতকরা ৯৭ ভাগ পানি রয়েছে সমুদ্রে (মহাসাগর, সাগর ও উপসাগর)। মাত্র ৩ ভাগ পানি রয়েছে নদী, হিমবাহ, ভূগর্ভস্থ, হ্রদ, মৃত্তিকা, বায়ুমন্ডল ও জীবমন্ডলে। বারিমণ্ডল ভূপৃষ্ঠের প্রায় ৭১% ভাগ দখল করে রয়েছে। এর আয়তন প্রায় -- ৩৬ কোটি ২৫ লক্ষ বর্গকিলোমিটার বা ১৩ কোটি ৯৮ লক্ষ বর্গমাইল। পৃথিবীর সমস্ত পানিকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন লবণাক্ত ও মিঠা পানি। পৃথিবীর সকল মহাসাগর, সাগর ও উপসাগরের জলরাশি লবণাক্ত এবং নদী, হ্রদ ও ভূগর্ভস্থ পানি মিঠা পানির উৎস।

জলবিভাগের নামপরিমাণ (ঘনকিলোমিটার ৩ × ১,০০,০০০)শতকরা হার (%)
সমুদ্র১৩৭০৯৭.২৫
হিমবাহ২৯২.০৫
ভূগর্ভস্থ পানি৯.৫০.৬৮
হ্রদ০.১২৫০.০১
মাটির আর্দ্রতা০.০৬৫০.০০৫
বায়ুমণ্ডল০.০১৩০.০০১
নদী০.০০১৭০.০০০১
জীবমণ্ডল০.০০০৬০.০০০০৪
রিমন্ডল নিয়ে সম্যক ধারণা নিতে হলে আমাদের জানতে হবে বারিমণ্ডলের সাগর , মহাসাগর , উপসাগর , হ্রদ , নদ-নদী এবং সকল পানির উৎস ও গতিবিধি সম্বন্ধে ।

Premium By Raushan Design With Shroff Templates
Link copied to clipboard.