বড়ু চণ্ডীদাস (১৩৭০-১৪৩৩)
মধ্যযুগের প্রথম ও শ্রেষ্ঠ কাব্য ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ এর রচয়িতা বড়ু চণ্ডীদাস। তিনি শ্রীচৈতন্যদেবের ১০০/১২৫ বছর পূর্বে জীবিত ছিলেন । তিনি বাসলী দেবীর আরাধনা করেই কবি প্রতিভা অর্জন করেছিলেন। দেবী বরে তিনি কবিত্বশক্তি লাভ করেন, এটি তাঁর সহজাত প্রতিভা নয়।
| সাহিত্যিক উপাদান | সাহিত্যিক তথ্য |
|---|---|
| জন্ম ও মৃত্যু | বড় চণ্ডীদাস জন্মগ্রহণ করেন আনুমানিক ১৩০৯ সালে (বসন্তরঞ্জন রায়ের মতে) এবং ড. শহীদুল্লাহর মতে, ১৩৭০ সালে ছাতনার বাঁকুড়ায়; মতান্তরে বীরভূমের নানুর গ্রামে । বসন্তরঞ্জন রায়ের মতে, তিনি মারা যান আনুমানিক ১৩৯৯ সালে এবং ড. শহীদুল্লাহর মতে, ১৪৩৩ সালে । |
| প্রকৃত নাম | তাঁর প্রকৃত নাম অনন্ত। তাঁর কৌলিন্য উপাধি বড়ু। গুরু প্রদত্ত নাম চণ্ডীদাস । |
| অন্য নাম | ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' কাব্যে বড়ু চণ্ডীদাসের তিনটি নাম পাওয়া যায় যথা: অনন্ত চণ্ডীদাস, চণ্ডীদাস, বড়ু চণ্ডীদাস। |
| বিশেষত্ব | তিনি মধ্যযুগের আদি কবি। বৈষ্ঞব পদাবলীর আদি রচয়িতা। |
| কাব্যগ্রন্থ | শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ -বাংলা সাহিত্যের প্রথম একক রচনা বাংলা সাহিত্যের দ্বিতীয় গ্রন্থ। |
| ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' কাব্য | অপর নাম: ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যের অপর নাম শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ। 'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' নামটি রাখেন বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ । খন্ড সংখ্যা: ১৩টি খণ্ড। চরিত্র: রাধা (জীবাত্মা বা প্রাণিকূল), কৃষ্ণ (পরমাত্মা বা ঈশ্বর), বড়ায়ি ( রাধাকৃষ্ণের প্রেমের দূতি) । প্রকাশকাল: বসন্তরঞ্জন রায়ের সম্পাদনায় ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' কাব্য ১৯১৬ সালে (১৩২৩ বঙ্গাব্দ) ‘বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ' থেকে এটি প্রকাশিত হয়। আবিষ্কার: ১৯০৯ সালে (১৩১৬ ব.) পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরের নিকটবর্তী কাঁকিল্যা (কালিয়া) গ্রামের শ্রীনিবাস আচার্যের দৌহিত্র বংশীয় দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় নামক এক ব্রাহ্মণের বাড়ির গোয়ালঘরের মাচার ওপর থেকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক এবং পুঁথিশালার অধ্যক্ষ বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ এটি উদ্ধার করেন। বসন্তরঞ্জন রায়ের উপাধি- ‘বিদ্বদ্বল্লভ' । |
চণ্ডীদাস
পূর্ব বাংলার বৈষ্ণব কবি চণ্ডীদাস ছিলেন জাতিতে ব্রাহ্মণ। তাঁর আরাধ্য দেবতার নাম বাশুলী বা বিশালাক্ষী । তিনি চৈতন্যপূর্ব যুগের কি অর্থাৎ চৌদ্দ শতকের শেষার্ধ থেকে পনের শতকের প্রথমার্ধ সময়ের কবি ছিলেন। তিনি বড়ু চণ্ডীদাস থেকে পৃথক কবি ছিলেন এ কথা নিশ্চিত।
| সাহিত্যিক উপাদান | সাহিত্যিক তথ্য |
|---|---|
| রবীন্দ্রনাথের মন্তব্য | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, “চণ্ডীদাস সহজ ভাষায় সহজ ভাবের কবি- এই গুণে তিনি বঙ্গীয় প্রাচীন কবিদের মধ্যে প্রধান কবি।' এছাড়াও তিনি চণ্ডীদাসকে ‘দুঃখবাদী কবি' বলেছেন । |
| কবিত্ব / পাণ্ডিত্য | চণ্ডীদাস ছিলেন বৈষ্ণব কবি , সহজিয়াপন্থী ও বাশুলি দেবী ভক্ত। তিনি বাংলা ভাষায় বৈষ্ণব পদাবলির আদি কবি। শিক্ষিত বাঙালি বৈষ্ণব সাহিত্যের রস ও আনন্দের সংবাদ পেয়েছে চণ্ডীদাসের পদাবলি থেকে। চৈতন্যদেব তাঁ পদাবলি শুনে বিমোহিত হয়েছিলেন। তিনি পূর্বরাগ পর্যায়ে পদ রচনায় পাণ্ডিত্য দেখিয়েছেন। |
| শ্রীকৃষ্ঞের স্বরুপ | চণ্ডীদাস শ্রীকৃষ্ণকে সম্পূর্ণ পৌরাণিক ভূমিকায় স্থাপন করেছেন। তিনি রাধার চরিত্রে মিলনের আনন্দের চেয়ে বিচ্ছেদের বেদনাকে তীব্রতর করে রূপায়িত করেছেন। |
| মানবতাবাদী কবি | তিনি ‘শুনহ মানুষ ভাই / সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপর নাই।' বলে জাত-পাতযুক্ত সমাজে প্রথম মানবতার বাণী কাব্যে ধারণ করেছেন। তাছাড়া ব্যক্তিজীবনেও তিনি জাত-সংস্কারের ঊর্ধ্বে ছিলেন। এজন্য তাকে বাংলা ভাষার প্রথম মানবতাবাদী বলা হয়। |
| বিখ্যাত উক্তি | ১. ‘সই কেমনে ধরিব হিয়া / আমার বঁধূয়া আন বাড়ী যায় আমার আঙিনা দিয়া।' ২. ‘সই কেবা শুনাইল শ্যাম নাম ।’ ৩. “শুনহ মানুষ ভাই / সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপর না ”। এটি বাংলা ভাষার প্রথম মানবতা বাণী। |
বিদ্যাপতি (১৩৮০-১৪৬০)
মিথিলার রাজসভার কবি, বৈষ্ণব কবি ও পদসঙ্গীত ধারার রূপকার বিদ্যাপতি। তিনি বাঙালি না হয়েও বাংলা সাহিত্যে স্বতন্ত্র স্থান দখল করে আছেন। বিদ্যাপতির রচিত পদ চৈতন্যদেব বিশেষভাবে শ্রবণ করতেন। তাঁর কৌলিক উপাধি ঠক্কর বা ঠাকুর।
| সাহিত্যিক উপাদান | সাহিত্যিক তথ্য |
|---|---|
| জন্ম ও মৃত্যু | বিদ্যাপতি আনুমানিক ১৩৮০ খ্রিস্টাব্দে মিথিলার দ্বারভাঙা জেলার সীতাময়ী মহকুমার বিসফী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ।তিনি আনুমানিক ১৪৬০ খ্রিস্টাব্দে মারা যান । |
| কবিত্ব | তিনি পদাবলির প্রথম কবি । তিনি মিথিলার রাজা কীর্তি সিংহ কর্তৃক সভাপণ্ডিত নিযুক্ত হন এবং রাজা দেব সিংহ ও শিব সিংহের রাজসভার কবি ছিলেন। |
| উপাধি | বিদ্যাপতির উপাধি 'কবিকণ্ঠহার' (রাজা শিবসিংহ কর্তৃক), ‘মৈথিল কোকিল’, ‘অভিনব জয়দেব’।তাঁর রচিত কাব্যকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘রাজকন্ঠের মণিমালা' হিসেবে অভিহিত করেছেন। |
| শ্রেষ্ঠ কীর্তি | তিনি মৈথিলি, অবহটঠ ও সংস্কৃত ভাষায় পদ রচনা করেন । তাঁর শ্রেষ্ঠ কীর্তি ব্রজবুলিতে রচিত রাধাকৃষ্ণ বিষয়ক পদ রচনা। বৈষ্ণব পদাবলির অধিকাংশ পদ ব্রজবুলি ভাষায় রচিত । |
| ব্রজবুলি | ব্রজবুলি হলো বাংলা ও মৈথিলি ভাষার সংমিশ্রণে তৈরি এক প্রকার কৃত্রিম কবিভাষা। মিথিলার কবি বিদ্যাপতি এ ভাষার স্রষ্টা। এ ভাষা কখনো মানুষের মুখের ভাষা ছিল না; সাহিত্যকর্ম ব্যতীত অন্যত্র এর ব্যবহার নেই। এতে কিছু হিন্দি শব্দ আছে। এ ভাষায় চণ্ডীদাস, বিদ্যাপতি, গোবিন্দ দাস, জ্ঞানদাস বিভিন্ন বৈষ্ণব পদ রচনা করেন । |
| ‘মৈথিল কোকিল' | মিথিলার কবি বিদ্যাপতিকে ‘মৈথিল কোকিল' বলা হয়। তিনি পদাবলির আদি বৈষ্ণব কবি এবং পদসঙ্গীত ধারার রূপকার। তিনি বাংলা সাহিত্যে একটি পঙ্ক্তি না লিখেও বাংলায় স্মরণীয় কবি। তিনি ব্রজবুলি ভাষায় রাধা-কৃষ্ণ বিষয়ক পদ রচনা করেন । |
| সাহিত্যকর্মসমূহ | ‘কীর্তিলতা’, ‘কীর্তিপতাকা', ‘পুরুষপরীক্ষা’, ‘শৈবসর্বস্বসার’, ‘গঙ্গাবাক্যাবলী’,‘লিখনাবলী’, ‘ভাগবত', ‘দুর্গাভক্তিতরঙ্গিণী’, ‘বিভাগসার’ । |
| বিদ্যাপতির উক্তি | ‘এ সখি হামারি দুঃখের নাহি ওর । এ ভরা বাদর মাহ ভাদর শূন্য মন্দির মোর।' |
কৃত্তিবাস ওঝা (১৩৮১-১৪৬১)
মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের পনের শতকের প্রধান কবি ও বাংলা রামায়ণের আদি কবি কৃত্তিবাস ওঝা। তিনি বাল্মীকির রামায়ণের প্রথম ও শ্রেষ্ঠ অনুবাদক । মৈথিলি ব্রাহ্মণদের অসমিয়া ভাষায় ওঝা বলা হয়। ওঝা শব্দটি এসেছে ‘উপাধ্যায়’ থেকে।
| সাহিত্যিক উপাদান | সাহিত্যিক তথ্য |
|---|---|
| জন্ম ও মৃত্যু | কৃত্তিবাস ওঝা আনুমানিক ১৩৮১ সালে রাজশাহী জেলার প্রেমতলীতে | পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার নবদ্বীপের অন্তর্গত ফুলিয়া গ্রামের মুখুটি বংশে জন্মগ্রহণ করেন।তিনি আনুমানিক ১৪৬১ সালে মারা যান । |
| পদবী | কৃত্তিবাসের পদবী মুখোপাধ্যায় । পিতামহ প্রদত্ত নাম কৃত্তিবাস । |
| মধুসূদন দত্তের মন্তব্য | কৃত্তিবাস সম্পর্কে মাইকেল মধুসূদন দত্ত বলেছেন, “কৃত্তিবাস ‘কীর্তিবাস কবি’, এ বঙ্গের অলঙ্কার।” |
| কৃত্তিবাসের রামায়ণের পরিচয় | গৌড়েশ্বরের আদেশে কৃত্তিবাস ওঝা প্রথম ‘রামায়ণ সহজবোধ্য বাংলা ভাষায় অনুবাদ করেন। তিনি রামায়ণের প্রথম ও শ্রেষ্ঠ অনুবাদক।এটি পয়ার ছন্দে রচিত। তাঁর রচিত রামায়ণের অন্য নাম ‘শ্রীরাম পাঁচালী । এটি ‘কৃত্তিবাসী রামায়ণ' নামেও পরিচিত। এর মাধ্যমে অনুবাদ সাহিত্যের সূচনা হয়। ১৮০২ সালে উইলিয়াম কেরির সহায়তায় শ্রীরামপুর মিশনের প্রেস থেকে এটি পাঁচখণ্ডে মুদ্রিত হয়। কৃত্তিবাসের রামায়ণ সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ বলেন, ‘প্রাচীন বাঙালি সমাজই আপনাকে ব্যক্ত করিয়াছে। |
শাহ মুহম্মদ সগীর
শাহ মুহম্মদ সগীর মধ্যযুগের প্রথম মুসলমান কবি। তাছাড়া মধ্যযুগের কবিদের মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন বলে তাঁকে প্রাচীন কবিও বলা হয়। তিনি মূলত প্রাকৃত ভাবাপন্ন কবি। তাঁর কবিতায় আরবি ও ফারসি ভাষার ব্যবহারও লক্ষণীয়।
| সাহিত্যিক উপাদান | সাহিত্যিক তথ্য |
|---|---|
| জন্ম | শাহ মুহম্মদ সগীর আনুমানিক ১৪ শতকের শেষ থেকে ১৫ শতকের শুরুতে জন্মগ্রহণ করেন। |
| বিশেষত্ব | তিনি বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম কবি । তিনি রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান ধারার প্রথম বাঙালি মুসলিম কবি । |
| কাব্যগ্রন্থ | ‘ইউসুফ জোলেখা’। গৌড়ের সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের রাজত্বকালে সগীর এটি রচনা করেন। |
| ‘ইউসুফ জোলেখা’ কাব্য | শাহ মুহম্মদ সগীর গৌড়ের সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের রাজত্বকালে (১৩৮৯-১৪০৯ খ্রি.) পারসি কবি আবদুর রহমান জামী রচিত ‘ইউসুফ ওয়া জুলায়খা' থেকে বাংলায় ‘ইউসুফ জোলেখা' নামে অনুবাদ করেন। কোরআন ও বাইবেলের নৈতিক উপাখ্যান হিসেবে ‘ইউসুফ জোলেখা’র কাহিনি বর্ণিত আছে। তৈমুস বাদশার কন্যা জোলেখার আজিজের সাথে বিবাহ হলেও ক্রীতদাস ইউসুফের (নবী) প্রতি প্রেমাসক্ত হয়ে পড়েন। কিন্তু ইউসুফ (আঃ) তা এড়িয়ে যান। বিভিন্ন ঘটনার পরিক্রমায় ইউসুফ মিশরের অধিপতি হন এবং জোলেখার প্রতি তার মনোভাবের পরিবর্তন ঘটে। শেষে ধর্মান্তরের মাধ্যমে ইউসুফ-জোলেখার মিলন ঘটে। সুফিবাদীরা ইউসুফকে পরমাত্মা এবং জোলেখাকে জীবাত্মা হিসেবে উপস্থাপন করেন । |
চন্দ্রাবতী (১৫৫০-১৬০০)
মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের প্রধান বাঙালি ও প্রথম মহিলা কবি চন্দ্রাবতী। ষোড়শ শতাব্দীর সামাজিক-অর্থনৈতিক অবস্থা তাঁর রচনায় প্রতিফলিত হয়েছে। তাঁর রচিত রামায়ণে লৌকিক, মানবিক ও কিছু মৌলিক উপাদান সংযোগের ফলে বিশেষ মর্যাদা লাভ করেছে ।
| সাহিত্যিক উপাদান | সাহিত্যিক তথ্য |
|---|---|
| জন্ম ও মৃত্যু | চন্দ্রাবতী ১৫৫০ সালে ময়মনসিংহের কিশোরগঞ্জ জেলার মাইজকাপন ইউনিয়নের পাতোয়ারি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।তাঁর পিতা মনসামঙ্গলের কবি দ্বিজ বংশীদাস ।তিনি আনুমানিক ১৬০০ সালে কিশোরগঞ্জে মারা যান। |
| মহিলা কবি | বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা কবি চন্দ্রাবতী। মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে ৩ জন মহিলা কবির নাম পাওয়া যায়। এরা হলেন: চন্দ্রাবতী, চৈতন্যদেবের সময়ের মাধবী এবং চণ্ডীদাসের সাধনসঙ্গীনী রামী বা রজকিনী । ড. আহমদ শরীফের মতে, চন্দ্রাবতী বাংলা সাহিত্যের ২য় মহিলা কবি । প্রথম মহিলা কবি চৈতন্যদেবের সময়ের মাধবী। |
| উপাধি | চন্দ্রাবতীকে মহিলা রামায়ণকার বলা হয়। তিনি রামায়ণের প্রথম মহিলা অনুবাদক। |
| কাব্যসমূহ | ‘রামায়ণ’ (অনূদিত), ‘মলুয়া’, ‘দস্যু কেনারামের পালা'। তার রচনাসমূহ ২১টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। |
গোবিন্দদাস (১৫৩৪-১৬১৩)
কবি বিদ্যাপতির ভাবাদর্শে উদ্বুদ্ধ চৈতন্যোত্তরকালে খ্যাতি অর্জনকারী কবিদের একজন গোবিন্দদাস। গোবিন্দদাসের কবিত্বগুণের সাথে বিদ্যাপতির ভাবের বিশেষ মিলের কারণে কবি বল্লভদাস তাকে ‘বিদ্যাপতির ভাবশিষ্য' অভিধা প্রদান করেন। তাঁর পদাবলিতে রাধা চরিত্রের সুষ্ঠু বিকাশ ও পরিণতি লক্ষ করা যায়। প্রথম জীবনে তিনি শাক্ত ধর্মে দীক্ষিত ছিলেন। ৪০ বছর বয়সে বৈষ্ণবগুরু শ্রীনিবাস আচার্যের কাছ থেকে বৈষ্ণব ধর্মে দীক্ষা নেন।
| সাহিত্যিক উপাদান | সাহিত্যিক তথ্য |
|---|---|
| জন্ম ও মৃত্যু | গোবিন্দদাস মুর্শিদাবাদ জেলার ভগবানগোলার নিকটবর্তী তেলিয়াবুধুরি গ্রামে আনুমানিক ১৫৩৪ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আনুমানিক ১৬১৩ সালে মারা যান । |
| ভাবাদর্শ | গোবিন্দদাস বিশেষভাবে প্রভাবিত হয়োছিলেন বিদ্যাপতির ভাবাদর্শে।এজন্য তাঁকে ‘বিদ্যাপতির ভাবশিষ্য' বলা হয়। |
| পদবি | গোবিন্দদাসের আসল পদবি ‘সেন’। |
| উপাধি | তাঁর পদাবলিতে মুগ্ধ হয়ে জীব গোস্বামী তাকে ‘কবিন্দ্ৰ’ উপাধি প্রদান করেন । |
| পদাবলি | ‘গীতগোবিন্দ' তার বিখ্যাত পদাবলি । তার নামে প্রায় সাড়ে চারশত বৈষ্ণবপদ পাওয়া যায়। |
| সংস্কৃত নাটক | গোবিন্দদাস রচিত সংস্কৃত নাটকের নাম ‘সংগীতমাধব’ । তিনি এটি রচনা করেন রাজা সন্তোষদত্তের অনুরোধে । এ গ্রন্থে তার পারিবারিক পরিচিতি পাওয়া যায় । |
| বিখ্যাত পক্তি | ‘যাঁহা যাঁহা নিবসয়ে তনু তনু জ্যোতি, তাঁহা তাঁহা বিজুরি চমকময় হোতি।’ ঢল ঢল কাঁচা অঙ্গের লাবণি অবনী বহিয়া যায়। ঈষত হাসির তরঙ্গ-হিল্লোলে মদন মুরুছা পায় । |
জ্ঞানদাস
চৈতন্যোত্তর বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি জ্ঞানদাস। তিনি চণ্ডীদাসের ভাবশিষ্য ছিলেন। চণ্ডীদাস ও জ্ঞানদাসের পদের মধ্যে যথেষ্ট সাদৃশ্য আছে। জ্ঞানদাস ছিলেন শিল্পী এবং চণ্ডীদাস ছিলেন সাধক । তিনি বাংলা ও ব্রজবুলি ভাষায় রাধাকৃষ্ণ বিষয়ক প্রায় দুইশ পদ রচনা করেন।
| সাহিত্যিক উপাদান | সাহিত্যিক তথ্য |
|---|---|
| জন্ম | আনুমানিক ১৫৬০ খ্রিস্টাব্দে বর্ধমান জেলার কাঁদড়া গ্রামে কবি জ্ঞানদাসের জন্ম । |
| অন্য নাম | তিনি শ্রীমঙ্গল, মঙ্গল ঠাকুর বা মদনমঙ্গলা নামেও পরিচিত ছিলেন। |
| বৈষ্ঞব গীতিকাব্য | জ্ঞানদাস রচিত দুটি বৈষ্ণব গীতিকাব্য যথা: ‘মাথুর’ ও মুরলীশিক্ষা' । |
| কবিতার বিষয় | তিনি শ্রীকৃষ্ণের বাল্যলীলা, নৌকাবিলাস ও দানখণ্ড প্রভৃতি বিষয়ে কবিতা লিখতেন। পদ রচনার সময় তিনি রাধা- কৃষ্ণের কিশোর-কিশোরী বয়সকে প্রাধান্য দিতেন । |
| বিখ্যাত পক্তি | ১. ‘রূপ লাগি আঁখি ঝুরে গুণে মন ভোর।’ প্রতি অঙ্গলাগি কান্দে প্রতি অঙ্গ মোর ২. ‘সুখের লাগিয়া এ ঘর বাঁধিনু অনলে পুড়িয়া গেল।' |
দৌলত উজির বাহরাম খান
ষোল শতকের রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান ধারার মুসলিম কবি দৌলত উজির বাহরাম খান। তিনি আরবি ও ফারসি ভাষা এবং ইসলামী ধর্মশাস্ত্রের মতো হিন্দু ধর্মশাস্ত্র ও সংস্কৃত ভাষায় পারদর্শী ছিলেন। ‘লায়লী-মজনু' কাব্যের মতো বিশ্বখ্যাত বিরহকথা নিয়ে মানবিক প্রেমবোধকে প্রাধান্য দিয়ে বাংলা ভাষায় প্রথম কাব্য তিনি রচনা করেন।
| সাহিত্যিক উপাদান | সাহিত্যিক তথ্য |
|---|---|
| জন্ম | দৌলত উজির বাহরাম খান চট্টগ্রামের ফতেহবাদ / জাফরাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা চট্টলাধিপতির উজির মোবারক খান । |
| প্রকৃত নাম | তাঁর প্রকৃত নাম আসাউদ্দীন / বাহরাম খান। |
| উপাধি | তার উপাধি দৌলত উজির । |
| কাব্যসমূহ | ১. ‘জঙ্গনামা’ বা ‘মক্তুল হোসেন’: এটি তার রচিত প্রথম কাব্য । কারবালার বিষাদময় কাহিনি অবলম্বনে এটি রচনা করেন। ২. ‘লায়লী-মজনু' (১৫৪৩-৫৩)। ৩. ‘ইমাম-বিজয়’। |
| ‘লায়লী-মজনু' কাব্য | বাংলা ভাষায় প্রথম লায়লী মজনু কাব্য রচনা করেন দৌলত উজির বাহরাম খান। তিনি পারসিয়ান কবি নিজামির ‘লায়লা ওয়া মজনুন' থেকে বাংলায় অনুবাদ করেন। এর উৎস আরবি লোকগাঁথা । |
আরো জানতে পড়ুনঃবাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগ || ( ১২০১ থেকে ১৮০০ খ্রি. )
শেখ ফয়জুল্লাহ
১৬ শতকের মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি শেখ ফয়জুল্লাহ । তিনি মর্সিয়া সাহিত্যের আদি কবি এবং নাথ সাহিত্যের প্রধান কবি।মুসলমান হয়েও তিনি নাথ সাহিত্য রচনা করেন। তাঁর নাথ ধর্মবিষয়ের আখ্যানকাব্যের নাম ‘গোরক্ষ বিজয়’। এ কাব্যটি আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ আবিষ্কার করেন ।
| সাহিত্যিক উপাদান | সাহিত্যিক তথ্য |
|---|---|
| জন্ম | শেখ ফয়জুল্লাহ পশ্চিমবঙ্গের বারাসাত / দক্ষিণ রাঢ় / কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন । |
| নাথ সাহিত্য | ‘গোরক্ষ বিজয়’। |
| প্রথম মর্সিয়া | তাঁর রচিত প্রথম মর্সিয়া কাব্য ‘জয়নাবের চৌতিশা’ (১৫৭০)। এটি কারবালার কাহিনির একটি ছোট অংশ অবলম্বনে রচিত। এ কাব্যের মূল বিষয় ইমাম হোসেনের পত্নী জয়নাবের বিলাপ । |
| অন্যান্য রচনাবলি | ‘গাজী বিজয়’: রংপুরের খোঁট দুয়ারের পীর ইসমাইল গাজীর বিজয় এ কাব্যের মূল বিষয়। ‘সত্যপীর’ (১৫৭৫), ‘সুলতান জমজমা’ (নীতিকথা বিষয়ক), ‘রাগনামা’ (সঙ্গীত সম্পর্কিত), ‘পদাবলী’ । |
| ফয়জুল্লাহ বিভ্রান্তি | উনিশ শতকে ফয়জুল্লাহ নামে একজন দোভাষী শায়ের ছিলেন । তিনি পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার পাঁচনা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার কাব্যের নাম ‘সত্যপীর’। |
সৈয়দ সুলতান (১৫৫০-১৬৪৮)
বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগীয় কবি, বাংলা সুফী সাহিত্য ধারায় উল্লেখযোগ্য কবি, শাস্ত্রবিদ ও পীর সৈয়দ সুলতান। তিনি কাহিনিকাব্য ও শাস্ত্রকাব্য রচয়িতা হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন।
| সাহিত্যিক উপাদান | সাহিত্যিক তথ্য |
|---|---|
| জন্ম ও মৃত্যু | সৈয়দ মিনা ওরফে সৈয়দ সুলতান ১৫৫০ সালে হবিগঞ্জ জেলার লস্করপুর (প্রাচীন তরফ রাজ্যের রাজধানী) গ্রামে/ চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার চক্রশালা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।তিনি আনুমানিক ১৬৪৮ সালে মারা যান । |
| ‘সুলতানশী হাবেলী’ | তিনি লস্করপুর গ্রাম থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে ‘সুলতানশী হাবেলী’ নামে একটি বাড়ি নির্মাণ করেন এবং এ বাড়িতে বসেই সাহিত্যচর্চা করেন । সৈয়দ সুলতানের রচনাবলি সম্পাদনা করেন ড. আহমদ শরীফ । |
| রচিত গ্রন্থসমূহ | ‘নবীবংশ’ (১৫৮৪): এটি ফারসি ‘কাসাসুল আম্বিয়া' কাব্যের অনুসরণে রচিত। এটি দুটি খণ্ডে হযরত মুহম্মদ (স.) এর জীবনীকাব্য। এ কাব্যে হিন্দু দেবদেবীর (ব্রহ্মা, বিষ্ণু, হরি, শিব, মহেশ্বর, বামন, রাম, কৃষ্ণ) উল্লেখ থাকলেও ইসলামের মাহাত্ম্য বর্ণনাই কবির উদ্দেশ্য ছিল। এ কাব্যের ২য় খণ্ডের নাম ‘রসুল চরিত’। মধ্যযুগে রচিত হযরত মুহম্মদ (স.) এর পূর্ণাঙ্গ জীবনী হিসেবে ‘রসুল চরিত’ই শ্রেষ্ঠ কাব্য। এ কাব্যের শেষাংশে উল্লেখ আছে শবে মিরাজের ইতিহাস । ‘শব-ই-মিরাজ’, ‘রসুল বিজয়', “জ্ঞানপ্রদীপ”, ‘জ্ঞানচৌতিশা’, ‘জয়কুম রাজার লড়াই', ‘ইবলিশনামা’, ‘মারফতী গান’, ‘পদাবলি’, ‘ওফাৎ-ই-রসুল'। |
দৌলত কাজী (১৬০০-১৬৩৮)
সপ্তদশ শতকের আরাকান রাজসভার প্রথম বাঙালি কবি এবং লৌকিক কাহিনির আদি রচয়িতা দৌলত কাজী। তিনি বাংলা, সংস্কৃত, হিন্দি ও ব্রজবুলি ভাষায় বিশেষ পাণ্ডিত্য অর্জন করেন। তিনি তাঁর রচনায় রামায়ণ, মহাভারত ও বৈষ্ণব পদাবলি থেকে অনুষঙ্গ ব্যবহারে কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। তিন ক্ল্যাসিক ও রোমান্টিক রীতির সংমিশ্রণের মাধ্যমে রূপকথাকে রোমান্টিক কাহিনিতে পরিণত করেছিলেন।
| সাহিত্যিক উপাদান | সাহিত্যিক তথ্য |
|---|---|
| জন্ম ও মৃত্যু | দৌলত কাজী আনুমানিক ১৬০০ খ্রিস্টাব্দে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের কাজী পাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন । তিনি ১৬৩৮ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তাকে আরাকানের আকিয়াবে সমাহিত করা হয়। |
| বিশেষত্ব | আরাকান রাজসভার প্রথম বাঙালি কবি এবং লৌকিক কাহিনির আদি রচয়িতা। তিনি বাংলা কাব্যে ধর্মনিরপেক্ষ প্রণয়কাহিনির পথিকৃৎ। |
| কাব্য | ‘সতীময়না ও লোরচন্দ্রানী’ |
| ‘সতীময়না ও লোরচন্দ্রানী” | তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যের নাম ‘সতীময়না ও লোরচন্দ্রানী'। এটি হিন্দি কবি সাধনের ‘মৈনাসত' কাব্য অবলম্বনে তিন খণ্ডে রচিত। আরাকানের রাজা সুধর্মের সমর সচিব আশরাফ খানের উৎসাহ ও পৃষ্ঠপোষকতায় তিনি এটি রচনা করেন। এ কাব্যের ৩য় খণ্ড রচনাকালে তিনি মৃত্যুবরণ করলে প্রায় ২০ বছর পর ১৬৫৯ সালে মহাকবি আলাওল এটির রচনা সমাপ্ত করেন। |
কোরেশী মাগন ঠাকুর (১৬০০-১৬৬০)
রোসাঙ্গ রাজসভার বাঙালি কবি ও সিদ্দিক বংশজাত কোরেশী মাগন ঠাকুর মধ্যযুগের অন্যতম কবি। তিনি রোসাঙ্গরাজ সাদ উমাদার ও তাঁর পুত্র চন্দ্র সুধর্মার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
| সাহিত্যিক উপাদান | সাহিত্যিক তথ্য |
|---|---|
| জন্ম ও মৃত্যু | কোরেশী মাগন ঠাকুর আনুমানিক ১৬০০ খ্রিস্টাব্দে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার চক্রশালা (মতান্তরে আরাকান) গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন । তিনি ১৬৬০ সালে মারা যান। |
| পিতা | তাঁর পিতা বড়াই ঠাকুর আরাকান রাজসভার মন্ত্রী ছিলেন |
| ডাকনাম ও উপাধি | ডাকনাম: মাগন। উপাধি: ঠাকুর (আরাকানি রাজাদের সম্মানিত উপাধি) । |
| কাব্যগ্রন্থ | ‘চন্দ্রাবতী’ : এটি লোককাহিনি আশ্রিত কোরেশী মাগন ঠাকুর রচিত রোমান্টিক প্রণয়কাব্য। |
| পৃষ্ঠপোষকতা | মহাকবি আলাওল তাঁর পৃষ্ঠপোষকতায় ‘পদ্মাবতী” ও ‘সয়ফুলমূলক বদিউজ্জামাল' কাব্য রচনা করেন। |
আলাওল (১৬০৭-১৬৮০)
মহাকবি আলাওল ছিলেন বাঙালি পণ্ডিত কবি। বাংলা সাহিত্যে মধ্যযুগের ধর্মীয় বিষয়বস্তুর গতানুগতিক পরিসীমায় রোমান্টিক প্রণয়কাব্যধারা প্রবর্তনকারী হিসেবে মুসলমান কবিদের অবদান সর্বজনস্বীকৃত। তিনি রাজসভার কবি হিসেবে আবির্ভূত হলেও মধ্যযুগের সকল বাঙালি কবির মধ্যে ‘শিরোমণি আলাওল' রূপে আরবি, ফারসি ও হিন্দি সাহিত্যের বিষয়বস্তু ও ভাববৈচিত্র্য অবলম্বনে কাব্য রচনায় এক নতুন যুগের সূচনা করেন ।
| সাহিত্যিক উপাদান | সাহিত্যিক তথ্য |
|---|---|
| জন্ম ও মৃত্যু | আলাওল ১৬০৭ সালের দিকে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর জোবরা গ্রাম / ফরিদপুরের ফতেয়াবাদ পরগনায় জন্মগ্রহণ করেন।তিনি ১৬৮০ খ্রিস্টাব্দে মারা যান। |
| পিতা | আলাওলের পিতা ফতেয়াবাদের শাসনকর্তা মজলিস কুতুবের অমাত্য ছিলেন। জলপথে ফতেয়াবাদ থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার পথে আলাওল ও তাঁর পিতা পর্তুগিজ জলদস্যুদের দ্বারা আক্রান্ত হন এবং ঘটনাস্থলে তাঁর পিতা মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ভাগ্যক্রমে বেঁচে গিয়ে আরাকান রাজ্যে উপস্থিত হন । |
| পৃষ্ঠপোষকতা | আলাওল আরাকানে প্রথমে রাজদেহরক্ষী অশ্বারোহী পরে সেনাবাহিনীর চাকরিতে নিয়োজিত ছিলেন।আরাকানের প্রধান অমাত্য মাগন ঠাকুর আলাওলকে কাব্য রচনায় উৎসাহিত করেন।তিনি দৌলত কাজী রচিত ‘সতীময়না ও লোরচন্দ্রানী' (১৬৫৯) কাব্যের ৩য় খণ্ড রচনা করেন। |
| “পদ্মাবতী” | ‘পদ্মাবতী' (১৬৪৮) মহাকবি আলাওলের প্রথম রচনা, যা ইতিহাস আশ্রিত রোমান্টিক প্রেমকাব্য। মালিক মুহম্মদ জায়সীর হিন্দি ভাষায় রচিত ‘পদুমাবৎ’ অবলম্বনে মধ্যযুগের শ্রেষ্ঠ মুসলিম কবি আলাওল মাগন ঠাকুরের অনুপ্রেরণায় ‘পদ্মাবতী' কাব্য রচনা করেন। পদ্মাবতী কাব্য দুটি পর্বে বিভক্ত। প্রথম পর্ব হচ্ছে সিংহলের রাজকন্যা পদ্মাবতীকে লাভ করার জন্য চিতোররাজ রত্নসেনের সফল অভিযান এবং দ্বিতীয় পর্বে আছে রানি পদ্মাবতীকে লাভ করার জন্য দিল্লির সুলতান আলাউদ্দিন খিলজীর ব্যর্থ সামরিক অভিযানের বিবরণ। এ কাব্যে হিরামন নামে একটি শুকপাখির ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। এ কাব্যে কবির নাগরিক শিক্ষা, রুচির বৈদগ্ধ্য রূপ, ভাবের গভীরতা, ভাষা ও অলংকার প্রয়োগে বুদ্ধিদীপ্ততার পরিচয় পাওয়া যায় বলে ‘পদ্মাবতী’কে আলাওলের শ্রেষ্ঠ রচনা বলা হয়। এ কাব্যের বিখ্যাত পঙ্ক্তি- “তাম্বুল রাতুল হৈল অধর পরশে।' |
| মহাকবি | আলাওলের অসাধারণ প্রতিভা এবং বিভিন্ন ভাষার যথোপযুক্ত প্রয়োগ দক্ষতার জন্য তাকে মহাকবি বলা হলে ও আসলে তিনি মহাকবি ছিলেন না।কারণ মহাকবি তারাই যারা জাত / মেীলিক মহাকাব্য রচনা করেন।কিন্তু আলাওল এরকম কোন মহাকাব্য রচনা করেন নি।তাই প্রচলিত মতে আলাওলকে মহাকবি বলা হলে ও তিনি তেমনটি নন। |
আলাওলের কাব্যসমূহ
| গ্রন্থ ও প্রকাশকাল | উৎস | পৃষ্ঠপোষক |
|---|---|---|
| পদ্মাবতী (১৬৪৮ ) : প্রথম ও শ্রেষ্ঠ কাব্য। | পদুমাবৎ (মালিকমুহম্মদজায়সী) | কোরেশী মাগন ঠাকুর |
| রত্তনকলিকা আনন্দবর্মা ( ১৬৫৯ ) | মৌলিক (সতীময়না ও লোরচন্দ্রানীর উত্তরাংশ) | শ্রীমন্ত সোলেমান |
| তোহফা (নীতিকাব্য)-(১৬৬৪) | তুহফ-ই নসাঈহ (ইউসুফ গদা) | শ্রীমন্ত সোলেমান |
| হপ্তপয়কর ( ১৬৬৫ ) | হফত্ পয়কর (নিজামী) | সৈয়দ মুহম্মদ খান |
| সয়ফুলমুলুক বদিউজ্জামাল (১৬৬৯) | সয়ফুলমুলুক বদিউজ্জামাল (গাওয়াসী) | মাগন ঠাকুর |
| সিকান্দরনামা (১৬৭৩) | সিকান্দরনামা (নিজামী) | নবরাজ মজলিস |
| রাগতালনামা | মৌলিক | - |
| পদাবলী | মৌলিক | - |
| শিরী খসরু | মৌলিক | - |
আবদুল হাকিম (১৬২০-১৬৯০)
সপ্তদশ শতকের মুসলিম কবি আবদুল হাকিম। মধ্যযুগে মুসলমানগণ বাংলাকে নিজেদের ভাষা মনে না করে ফারসি-আরবি-উর্দুকে আপন ভাষা মনে করতো। এই পরভাষা প্রীতিকে আঘাত করার জন্য তিনি বিভিন্ন শ্লেষমূলক কবিতা রচনা করেন। তিনি সমাজের সার্বিক কল্যাণে বিশ্বাসী ছিলেন এবং সে লক্ষ্যে বিভিন্ন গ্রন্থে আদর্শ জীবন গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন।
| সাহিত্যিক উপাদান | সাহিত্যিক তথ্য |
|---|---|
| জন্ম ও মৃত্যু | আবদুল হাকিম ১৬২০ খ্রিস্টাব্দে সন্দ্বীপের সুধারাম/ নোয়াখালি জেলার বাবুপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৬৯০ খ্রিস্টাব্দে মারা যান। |
| বিখ্যাত কবিতা | তাঁর বিখ্যাত কবিতা ‘বঙ্গবাণী' । |
| কাব্যগ্রন্থ | তাঁর ৮টিকাব্য পাওয়া গেছে যথা: ‘ইউসুফ জোলেখা’, ‘নূরনামা’, ‘দোররে মজলিশ’, ‘লালমতী সয়ফুলমূলক’, ‘হানিফার লড়াই’, ‘শিহাবুদ্দীন নামা’, ‘নসীহত্নামা’, ‘কারবালা ও শহরনামা' । |
| ‘নূরনামা’ | ‘নূরনামা’ ফারসি নীতিকাব্য ‘নূরনামাহ’ অবলম্বনে রচিত। “যে সবে বঙ্গেত জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী। সে সব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।” পঙ্ক্তিটি এ কাব্যের অন্তর্ভুক্ত। বাংলা ভাষার প্রতি এরূপ শ্রদ্ধাপূর্ণ বক্তব্যের জন্য কবির ‘নূরনামা’ কাব্যটি বিশেষ প্রশংসিত । |
| বিখ্যাত পক্তি | ১. ‘যে সবে বঙ্গেত জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী। সে সব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।' ২. ‘তে কাজে নিবেদি বাংলা করিয়া রচন। নিজ পরিশ্রমে তোষি আমি সর্বজন।' ৩. ‘দেশি ভাষা বিদ্যা যার মনে ন জুয়ায়, নিজ দেশ ত্যাগী কেন বিদেশ ন যায়।’ |
শাহ মুহম্মদ গরীবুল্লাহ (১৬৭০-১৭৭০)
অষ্টাদশ শতাব্দীর পুঁথি সাহিত্যের প্রাচীনতম লেখক ফকির গরীবুল্লাহ (শাহ মুহম্মদ গরীবুল্লাহ)। তিনি দোভাষী পুঁথি সাহিত্যের আদি, শ্রেষ্ঠ ও সার্থক কবি। [উল্লেখ্য, পুঁথি সাহিত্যের আদি কবি ফকির গরীবুল্লাহ না থাকলে উত্তর হবে সৈয়দ হামজা]
| সাহিত্যিক উপাদান | সাহিত্যিক তথ্য |
|---|---|
| জন্ম ও মৃত্যু | ফকির গরীবুল্লাহ আনুমানিক ১৬৭০ সালে হুগলীর বালিয়া পরগনার হাফিজপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন । তিনি আনুমানিক ১৭৭০ সালে মারা যান । |
| প্রকৃত নাম | ফকির গরীবুল্লাহর প্রকৃত নাম শাহ মুহম্মদ গরীবুল্লাহ। |
| বিশেষত্ব | পুঁথি সাহিত্যের আদি কবি এবং মর্সিয়া সাহিত্য ধারার প্রধান কবি। |
| সাহিত্যকর্মসমূহ | ‘জঙ্গনামা’, ‘সোনাভান’, ‘সত্যপীরের পুঁথি’, ‘ইউসুফ জোলেখা’, ‘আমীর হামজা' (তিনি এ কাব্যটি জীবদ্দশায় শেষ করে যেতে পারেন নি । এটি শেষ করেন সৈয়দ হামজা)। |
ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর (১৭১২-১৭৬০)
অষ্টাদশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ বাঙালি কবি ও মঙ্গলকাব্যের সর্বশেষ শক্তিমান কবি ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর। সংস্কৃত, আরবি, ফারসি ও হিন্দুস্তা ভাষার সংমিশ্রণে আশ্চর্য নতুন এক বাভঙ্গি ও প্রাচীন সংস্কৃত ছন্দের অনুকরণে বাংলা কবিতায় নিপুণ ছন্দপ্রয়োগ ছিল তাঁর কাব্যের বৈশিষ্ট্য।
| সাহিত্যিক উপাদান | সাহিত্যিক তথ্য |
|---|---|
| জন্ম ও মৃত্যু | ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর ১৭১২ খ্রিস্টাব্দে হাওড়া জেলার ভুরশুট পরগণার পেঁড়ো (পাওয়া) গ্রামে ব্রাহ্মণ বংশে জন্মগ্রহণ করেন । তিনি ১৭৬০ খ্রিস্টাব্দে মারা যান। তাঁর মৃত্যুর মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে মধ্যযুগের সমাপ্তি ঘটে। |
| উপাধি | তিনি নবদ্বীপের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সভাকবি ছিলেন। তাঁর কবিত্ব শক্তিতে মুগ্ধ হয়ে নবদ্বীপের রাজা কৃষ্ণচন্দ্র তাকে ‘রায়গুণাকর' উপাধি দেন। তিনি বাংলা সাহিত্যের প্রথম নাগরিক কবি এবং মঙ্গলযুগের শেষ কবি হিসেবে পরিচিত। ভারতচন্দ্র রায়গুণাকরকে মধ্যযুগের ‘শেষ বড় কবি' বলা হয়। |
| বিশেষত্ব | তিনি মাত্র ১৫ বছর বয়সে ‘সত্যনারায়ণের পাঁচালী' (১৭২৭) রচনা করেন। তিনি অন্নদামঙ্গল ধারার প্রধান কবি। |
| সাহিত্যকর্মসমূহ | ‘অন্নদামঙ্গল কাব্য' (১৭৫২-৫৩): এটি তিনি নবদ্বীপের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের আদেশে রচনা করেন। এটি তাঁর শ্রেষ্ঠ কীর্তি। অন্নদামঙ্গল কাব্য ৩টি খণ্ডে বিভক্ত । এতে দেবী অন্নদার বন্দনা আছে । এ কাব্যের দ্বিতীয় অংশ ‘বিদ্যাসুন্দর’। ‘সত্য পীরের পাঁচালী' (১৭৩৭-৩৮): এটি তাঁর রচিত অন্যতম গ্রন্থ । ‘রসমঞ্জরী’, ‘নাগাষ্টক’, ‘গঙ্গাষ্টক’, ‘চণ্ডীনাটক’ (নাটক)। |
| বিখ্যাত উক্তি | ১. ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে।' ২. ‘নগর পুড়িলে দেবালয় কি এড়ায় ?” ৩. ‘মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন।' ৪. “হাভাতে যদ্যপি চায় সাগর শুকায়ে যায়।’ ৫. ‘বড়র পিরীতি বালির বাঁধ! ক্ষণে হাতে দড়ি, ক্ষণেকে চাঁদ। ৬. ‘না রবে প্রাসাদগুণ না হবে রসাল অতএব কহি ভাষা যাবনী মিশাল ।’ |
বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশ্নোত্তর
১. মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের প্রথম কাব্য/ নিদর্শন কোনটি ? [মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক : ১৯ ]
- শূণ্য পুরাণ
- ডাকার্ণব
- গীতি গোবিন্দ
- শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
২. 'শ্রী কৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যের রচয়িতা কে ? [২৯ তম বিসিএস ]
- জ্ঞান দাস
- দীন চণ্ডীদাস
- দীনহীন চণ্ডীদাস
- বড়ু চণ্ডীদাস
৩. মধ্যযুগের প্রথম কবি হচ্ছেন- [শ্রম মন্ত্রণালয়ের সহকারী পরিচালক : ০৫ ]
- কাহ্নপা
- বিদ্যাপতি
- বড়ু চণ্ডীদাস
- মালাধর বসু
৪. “চন্ডীদাস”কোন যুগের কবি ? [সোনালী ব্যাংক সিনিয়র অফিসার : ১৪ ]
- আধুনিক যুগের
- মধ্যযুগের
- অন্তমধ্যযুগের
- আদি যুগের
৫. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য কে আবিষ্কার করেন ? [ সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা : ১২ ]
- বসন্তরঞ্জন সাহা
- হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
- রাজা রাজেন্দ্রলাল মিত্র
- শ্রী বসন্তরঞ্জন রায়
৬. বাংলা ভাষার বৈষ্ণব পদাবলীর আদি রচয়িতা কে ? [ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার : ০৫ ]
- চণ্ডীদাস
- বিদ্যাপতি
- জ্ঞানদাস
- আলাওল
৭. “সই কেমনে ধরিব হিয়া, আমার বঁধুয়া আনবাড়ী যায় আমার আঙ্গিনা দিয়া। “ কার রচনা ? [সহকারী পরিসংখ্যান কর্মকর্তা: ৯৮ ]
- চিত্তরঞ্জন দাশ
- চন্ডীদাস
- কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার
- মাইকেল মধুসূদন দত্ত
৮. বৈষ্ণব পদকর্তা ‘চণ্ডীদাস’ কত জন ? [ কারা তত্ত্বাবধায়ক : ১০]
- ৩ জন
- ২ জন
- ৪ জন
- ৫ জন
৯. 'সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই।' কে বলেছেন ? [২১তম বিসিএস ]
- বিদ্যাপতি
- গোবিন্দ দাস
- জ্ঞানদাস
- চণ্ডীদাস
১০. 'সই কে শুনাইল শ্যাম নাম' পদটির রচয়িতা কে ? [৪র্থ বিজেএস:০৯ ]
- চন্ডীদাস
- জ্ঞানদাস
- গোবিন্দ দাস
- দ্বিজ চন্ডীদাস
১১. পদাবলীর প্রথম কবি হচ্ছেন- [ ২২তম বিসিএস]
- কাহ্নপা
- বিদ্যাপতি
- বড়ু চণ্ডীদাস
- মালাধর বসু
১২. ‘মৈথিল’ কোকিল খ্যাত কে ? [পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক : ১৪ ]
- জ্ঞানদাস
- গোবিন্দদাস
- বিদ্যাপতি
- চন্ডীদাস
১৩. কোন কবির উপাধি কবিকন্ঠহার ? [ সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রবেশন অফিসার : ১৩]
- চন্ডীদাস
- বিদ্যাপতি
- মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
- ভারতচন্দ্র
১৪. বৈষ্ণব পদাবলীর অবাঙালি কবি কে ? [ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহকারী অফিসার : ০৫ ]
- গোবিন্দদাস
- জ্ঞানদাস
- চণ্ডীদাস
- বিদ্যাপতি
১৫. ‘বিদ্যাপতি’ কোন রাজসভার কবি ছিলেন ? [ ২৮তম এবং ৩৮তম বিসিএস]
- রোসাঙ্গ
- মিথিলা
- কৃষ্ণনগর
- বিক্রমপুর
১৬. বিদ্যাপতি কোন ভাষায় পদ রচনা করেন ? [ ৭ম বিজেএস : ১২]
- বাংলা
- সংস্কৃত
- মৈথিলী
- পালি
১৭. কোন কবি বাঙালী না হয়েও বাংলা সাহিত্যে স্বতন্ত্র স্থান দখল করে আছে ? [ যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা : ০৬]
- বিদ্যাপতি
- চণ্ডীদাস
- জয়দেব
- চৈতন্যদেব
১৮. ‘ব্রজবুলি’ বলতে কী বোঝায় ? [ ২১ তম বিসিএস]
- ব্রজধামে কথিত ভাষা
- এক রকম কৃত্রিম কবিভাষা
- বাংলা ও হিন্দির যোগফল
- মৈথিলি ভাষার একটি উপাভাষা
১৯. বাংলা এবং মৈথিলী ভাষার সমন্বয়ে যে ভাষার সৃষ্টি হয়েছে, তার নাম কী ? [জনশক্তি,কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর উপ-পরিচালক : ০৭]
- মাগধী
- অসমিয়া
- ব্রজবুলি
- জগাখিচুড়ি
২০. ব্রজভাষা কী ? [সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক : ০৬ ]
- বালার ভাষা
- ব্রজভূমির ভাষা
- বৃন্দাবনের ভাষা
- মিথিলা ও বাংলার মিশ্র ভাষা
২১. ব্রজবুলি’র প্রবর্তক/স্রষ্টা কে ? [ সাব রেজিস্ট্রার : ১৬ ]
- চন্ডীদাস
- বিদ্যাপতি
- আলাওল
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
২২. ব্রজবুলি’র কোন স্থানের ভাষা ? [মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক : ১৩ ]
- আসাম
- মিথিলা
- গেীড়
- পশ্চিমবঙ্গ
২৩. ব্রজবুলিতে কোন কবি পদাবলি রচনা করেন ? [ সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার : ১২]
- চন্ডীদাস
- বিদ্যাপতি
- গোবিন্দদাস
- জ্ঞান দাস
২৪. “এ ভরা বাদর মাহ ভাদর শূন্য মন্দির মোর।” -কে লিখেছেন ? [ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের চিফ ইন্সট্রাক্টর : ০৩ ]
- চণ্ডীদাস
- বিদ্যাপতি
- রবীন্দ্রনাথ
- কাজী নজরুল ইসলাম
২৫. বাংলা রামায়ণের আদি কবি কে ? [ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক (চট্রগ্রাম) : ০৩ ]
- বাল্মীকি
- কৃত্তিবাস ওঝা
- বেদব্যাস
- বিজয়পণ্ডিত
২৬. কৃত্তিবাস কোন শতকের কবি ? [ পাসপোর্ট এন্ড ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক :১৫]
- পনের
- ষোল
- সতের
- আঠার
২৭. বাংলা ভাষায় প্রথম কে ‘রামায়ণ’ রচনা করেন ? [ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক (চট্রগ্রাম) : ০৩ ]
- বাল্মীকি
- কৃত্তিবাস ওঝা
- বেদব্যাস
- বিজয়পণ্ডিত
২৮. কৃত্তিবাস ওঝার অনূদিত রামকাহিনির নাম কী ? [ আবাসন পরিদপ্তরের সহকারী পরিচালক : ০৬]
- পথের পাঁচালী
- শ্রীরাম পাঁচালী
- শ্রী শ্রী চন্ডীমঙ্গল
- শ্রীকৃষ্ঞকীর্তন
২৯. কৃত্তিবাসী রামায়ণের প্রথম পাঁচ খন্ড কার প্রচেষ্টায় মুদ্রিত হয় ? [প্রাথমিক প্রধান শিক্ষক ( পদ্ম ) :০৯ ]
- উইলিয়াম কেরি
- উইলিয়াম জোনস
- কৃত্তিবাস ওঝা
- কোরেশী মাগন ঠাকুর
৩০. কৃত্তিবাসী রামায়ণের প্রথম পাঁচ খন্ড কত সালে মুদ্রিত হয় ? [ সোনালী ব্যাংক অফিসার (ক্যাশ) : ১৫]
- ১৮০০
- ১৮০১
- ১৮০২
- ১৮০৩
৩১. রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান ধারার প্রথম কবি-/ বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে প্রাচীনতম মুসলমান কবি/ প্রাচীনতম বাঙালি কবি কে ? [ ১২ তম বিসিএস/ ২৯ তম বিসিএস]
- দৌলত কাজী
- দৌলত উজির বাহরাম খান
- মুহম্মদ কবীর
- শাহ মুহম্মদ সগীর
৩২. মুসলমান কবি রচিত প্রাচীনতম বাংলা কাব্য- [ ১২ তম বিসিএস ]
- ইউসুফ জুলেখা
- রসুল বিজয়
- নূরনামা
- শবে মেরাজ
৩৩. শাহ মুহম্মদ সগীর ‘ইউসুফ জোলেখা’ রচনা করেন কার শাসনামলে ? [ আইসিবি ব্যাংক : ০১]
- রুকনউদ্দিন বারবক শাহ
- ফিরোজ শাহ
- আলাউদ্দিন হোসেন শাহ
- গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ
৩৪. শাহ মুহম্মদ সগীরের ‘ইউসুফ জোলেখা’ কোনটি অবলম্বনে রচিত ? [সাব রেজিস্ট্রার : ০১ ]
- কুরআন ও বাইবেল
- আরবীয় লোককাহিনী
- জামীর কাব্য
- নিজামীর কাব্য
৩৫. শাহ মুহম্মদ সগীরের কবি প্রতিভা কোন শতকে বিকাশ লাভ করে ? [ এনএসআই এর ওয়াচার কনস্টেবল : ১৯]
- চতুর্দশ
- পঞ্চদশ
- ষোড়শ
- সপ্তদশ
৩৬. শাহ মুহম্মদ সগীরের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ কোনটি? শাহ মুহম্মদ সগীর অনূদিত বিখ্যাত কাব্য কোনটি ? [ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহকারী পরিচালক : ১৬]
- সয়ফুলমূলক বদিউজ্জামাল
- নূরনামা
- ইউসুফ জোলেখা
- সিকান্দারনামা
৩৭. 'ইউসুফ-জুলেখা' কাব্যে কোন ধর্মগ্রন্থের নৈতিক উপাখ্যান বিধৃত হয়েছে ? [ সাব রেজিস্ট্রার : ০১]
- কুরআন
- বাইবেল
- কুরআন ও বাইবেল
- গীতা
৩৮. ‘ইউসুফ-জোলেখা’ প্রণয়কাব্য অনুবাদ/রচনা করেছেন- [ ২৩ তম বিসিএস]
- দৌলত উজির বাহরাম খান
- মাগন ঠাকুর
- আলাওল
- শাহ মুহম্মদ সগীর
৩৯. ‘ইউসুফ জুলেখা’ কোন জাতীয় রচনা ? [ ১৬ তম প্রভাষক নিবন্ধন : ১৯]
- নাটক
- উপন্যাস
- রোমান্টিক প্রণয়কাব্য
- রম্যরচনা
৪০. শাহ মুহম্মদ সগীর রচিত গ্রন্থ কোনটি ? [ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিভিলিয়ান স্টাফ অফিসার এবং সহকারী পরিচালক : ১৬]
- ইউসুফ-জুলেখা
- লায়লী-মজনু
- শিরী-ফরহাদ
- পদ্মাবতী
৪১. কবি শাহ মুহম্মদ সগীরের ‘শাহ’ উপাধি থেকে অনুমান করা যায় যে , ............ [ সমন্বিত ৭ ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার : ২১]
- তিনি সুলতানি আমলের কবি
- তিনি দরবেশ-বংশ জাত
- তিনি রাজকর্মচারি ছিলেন
- তিনি পারস্যের অধিবাসী ছিলেন
৪২. 'চন্দ্রাবতী' হলেন- [ খাদ্য অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী: ২২/ স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নকশাকার: ২২/ সিএজি এর অডিটর: ২১]
- বাংলা নাটকের রচয়িতা
- একটি কাব্যগ্রন্থ
- বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা কবি
- বনলতা সেন কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা
৪৩. প্রথম বাঙালি নারী কবি কে ? [ বার্ড এর সহকারী পরিচালক: ২২]
- তুলসি দেবী
- স্বর্ণকুমারী দেবী
- কামিনী রায়
- চন্দ্রাবতী
৪৪. চন্দ্রাবতী কে ছিলেন ? [ ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের হিসাব রক্ষক: ২৩]
- প্রথম বাঙালি নারী ঔপন্যাসিক
- প্রথম বাঙালি নারী প্রকাশক
- বাংলা সাহিত্যের প্রথম বাঙালি নারী কবি
- প্রথম বাঙালি নাট্যকার
৪৫. বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা কবি কে ? [ সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রবেশন অফিসার : ১৩]
- বেগম সুফিয়া কামাল
- মহাশ্বেতা দেবী
- পদ্মাবতী
- চন্দ্রাবতী
৪৬. রামায়ণের প্রথম মহিলা অনুবাদকের নাম কি ? [ জেলা নির্বাচন অফিসার : ০৪]
- চন্দ্রকলাবতী চন্দ্রাবতী
- চন্দ্রাবতী
- পদ্মাবতী
- কামিনী রায়
৪৭. 'চন্দ্রাবতী' কাব্যের রচয়িতা কে ? [ ২৪ তম বিসিএস]
- আলাওল
- মরদন
- মাগন ঠাকুর
- দৌলত কাজী
৪৮. ‘চন্দ্রাবতী’ কী ? [ ৩৮তম বিসিএস]
- নাটক
- পালাগান
- পদাবলী
- কাব্য
৪৯. মধ্যযুগের মহিলা কবি চন্দ্রবতীর পিতার নাম কি ? [ কারা তত্ত্বাবধায়ক :১৩]
- বিদ্যাপতি
- মুকুন্দরাম
- দ্বিজ বংশীদাস
- দ্বিজ চন্ডীদাস
৫০. কবি চন্দ্রাবতী কোন অঞ্চলের মানুষ ছিলেন ? [রুপালী ব্যাংক জুনিয়র অফিসার : ১৩ ]
- হবিগঞ্জ
- নেত্রকোনা
- সুনামগঞ্জ
- কিশোরগঞ্জ
৫১. মধ্যযুগের মহিলা কবি চন্দ্রাবতী নিচের কোনটি রচনা করেন ? [ ৯ম বিজেএস: ১৪ ]
- মহাভারত
- ভাগবত
- গীতা
- রামায়ণ
৫২. গীতগোবিন্দ কোন ভাষায় রচিত ? [ আইসিবি ব্যাংক সিনিয়র অফিসার : ১৪]
- প্রাচীন বাংলা
- সংস্কৃত
- ব্রজবুলি
- অবহট্হ
৫৩. জয়দেবের 'গীতগোবিন্দ' রচিত হয় কোন শাসনের সময় ? [প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক : ১৯ ]
- পাল শাসন
- সেন শাসন
- সুলতানী শাসন
- মুঘল শাসন
৫৪. গোবিন্দ দাস কতগুলো পদ রচনা করেছেন ? [ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক : ১৯]
- প্রায় পাঁচশত
- প্রায় ছয়শত
- প্রায় সাতশত
- প্রায় আটশত
৫৫. গোবিন্দদাসের কাব্যগুরু কে ছিলেন ? [ সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার : ১০]
- বিদ্যাপতি
- জ্ঞানদাস
- বলরাম দাস
- মনোহর দাস
৫৬. ‘গীতগোবিন্দ’ কার রচনা ? [সোনালী ব্যাংকের অফিসার : ১৯ ]
- জ্ঞানদাস
- বিদ্যাপতি
- গোবিন্দ দাস
- বলরাম দাস
৫৭. গোবিন্দদাসের উপাধি কি ছিল ? [ সমাজ সংগঠক : ০৫ ]
- কবিকঙ্কণ
- কবিরাজ
- অনন্ত
- বড়ু
৫৮. নিচের কোনটি গোবিন্দ দাস রচিত একটি সংস্কৃত নাটক ? [ বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক : ১৬]
- গীতগোবিন্দ
- মদনামঙ্গল
- সংগীতমাধব
- বিদ্যাসুন্দরী
৫৯. নিচের কোন জন বাংলা ভাষার কবি ? [ আইসিবি ব্যাংক সিনিয়র অফিসার : ১৪]
- সুরদাস
- কালিদাস
- জ্ঞানদাস
- জয়দেব
৬০. জ্ঞান দাস কী নামে পরিচিত ছিলেন ? [চবি (ঘ) : ০০-০১ ]
- শ্রীমঙ্গল
- মঙ্গলঠাকুর
- মদনামঙ্গল
- সবগুলো
৬১. কবি জ্ঞানদাসের জন্মস্থান- [ সহকারী অফিসার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় : ০৫ ]
- বগুড়া
- সিরাজগঞ্জ
- বর্ধমান
- আসাম
৬২. জ্ঞানদাস কোন সময়ের কবি ছিলেন ? [ পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা: ০৯]
- পনের শতাব্দী
- ষোড়শ শতাব্দী
- সতের শতাব্দী
- আঠার শতাব্দী
৬৩. ‘রুপ লাগি আঁখি ঝুরে গুণে মন ভোর’ কার রচনা ? [ ২৬ তম বিসিএস ]
- চন্ডীদাস
- জ্ঞানদাস
- বিদ্যাপতি
- লোচনদাস
৬৪. “সুখের লাগিয়া এ ঘর বাধিনু অনলে পুড়িয়া গেল।”- পদটির রচয়িতা কে ? [ সিজিএর অডিটর : ২২]
- জ্ঞানদাস
- বিদ্যাপতি
- চন্ডীদাস
- গোবিন্দদাস
৬৫. বাংলা অনুবাদ কাব্যের সূচনা কোন যুগে হয় ? [ তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে তথ্য অফিসার : ০৫ ]
- প্রাচীন যুগ
- মধ্যযুগ
- অন্তমধ্য যুগ
- আধুনিক যুগ
৬৬. মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে মুসলমানদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অবদান কোনটি ? [ সাব রেজিস্ট্রার : ১৬]
- নাথ সাহিত্য
- রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান
- জীবনী সাহিত্য
- মঙ্গলকাব্য
৬৭. হিন্দি ও ফারসি কাব্য থেকে কোন কাব্য ধারার প্রচলন হয়েছে ? [ আইন,বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব : ০৫]
- নাথ সাহিত্য
- রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান
- জীবনী কাব্য
- মঙ্গলকাব্য
৬৮. ‘লাইলী-মজনু’ কাব্যের অনুবাদক হলেন- [ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর - অফিস - সহায়ক : ২১]
- সাবিরিদ খান
- সৈয়দ সুলতান
- দৌলত উজির বাহরাম
- আলাওল
৬৯. ‘লাইলী-মজনু’ কাব্যের উপাখ্যান কোন দেশের ? [থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা : ১৫ ]
- সৌদি আরব
- ইরাক
- ইরান
- মিশর
৭০. দৌলত উজির বাহরাম খান কোন অঞ্চলের অধিবাসী ছিলেন ? [ ৩৮ তম বিসিএস ]
- ফরিদপুর
- সিলেট
- চট্টগ্রাম
- কৃষ্ণনগর
৭১. দৌলত কাজী কোন কাব্য অবলম্বনে 'সতীময়না ও লোরচন্দ্রানী' (প্রথম অংশ) রচনা করেন ? [ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক : ১৯]
- ফারসি কবি জামীর 'লাইলী মজনু'
- হিন্দি কবি পচ্চিসীর 'বৈতাল পঞ্চবিংশতি'
- হিন্দি কবি সাধনের 'মৈনাসত'
- উর্দু কবি আল্লামা ইকবালের 'শিকওয়াহ'
৭২. দৌলত উজির বাহরাম খান সাহিত্যসৃষ্টিতে কার পৃষ্টপোষকতা লাভ করেন ? [ ৪৩ তম বিসিএস ]
- সুলতান গিয়াস উদ্দিন আজম শাহ
- কোরেশী মাগন ঠাকুর
- সুলতান বরবক শাহ
- জমিদার নিজাম শাহ
৭৩. কে বাহরাম খানকে ‘দৌলত উজির’ উপাধি প্রদান করেন ? [ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক : ১৯]
- মহারাজ কৃষ্ণকান্ত রায়
- জমিদার রঘুনাথ সিং
- নৃপতি নেজাম শাহ সুর
- মালিক মুহম্মদ জায়সী
৭৪. মধ্যযুগে ‘লায়লী মজনু’ কাব্য কে অনুবাদ করেছিলেন ? [ তথ্য মন্ত্রণালয়ের সহকারী তথ্য অফিসার : ২২]
- শাহ মুহম্মদ সগীর
- আলাওল
- দৌলত উজীর বাহরাম খান
- সৈয়দ সুলতান
৭৫. মর্সিয়া সাহিত্যের আদি কবি কে ? [ ৬ষ্ঠ সহকারী জজ :১১]
- শেখ ফয়জুল্লাহ
- মুহম্মদ খান
- হায়াৎ মামুদ
- সৈয়দ সুলতান
৭৬. মর্সিয়া শব্দের অর্থ কি ? [ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের অফিস সহকারী : ১৯]
- শোক বা আহাজারি
- দুঃখ
- শোক কাব্য
- বেদনামিশ্রিত কাব্য
৭৭. 'মর্সিয়া' শব্দের উৎপত্তি কোন ভাষা থেকে ? [ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের অধীনে সহকারী রসায়নবিদ : ০১]
- উর্দু
- ফারসি
- আরবি
- তুর্কি
৭৮. শেখ ফয়জুল্লাহ রচিত কয়টি কাব্যের সন্ধান পাওয়া গেছে ? [ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক : ১৯ ]
- তিনটি
- চারটি
- পাঁচটি
- সাতটি
৭৯. শেখ ফয়জুল্লাহ রচিত নাথ সাহিত্য গ্রন্থ কোনটি ? [ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক : ১৯ ]
- মীন চেতন
- গোরক্ষ বিজয়
- ময়নামতির গান
- গোর্খ বিজয়
৮০. 'গোরক্ষ বিজয়' কাব্য কোন ধর্মমতের কাহিনি অবলম্বনে লেখা ? [ ৩৭ তম বিসিএস]
- শৈবধর্ম
- বৌদ্ধ সহজযান
- নাথধর্ম
- কোনোটি নয়
৮১. 'গোরক্ষ বিজয়' কে রচনা করেন ? [ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক : ১৯]
- মীননাথ
- মৎস্যেন্দ্রনাথ
- শেখ ফয়জুল্লাহ
- গোরক্ষনাথ
৮২. গোরক্ষ বিজয়ের কাহিনীতে চার সিদ্ধার মধ্যে আদর্শচ্যুত হননি কে ? [প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক : ১৯ ]
- মীননাথ
- গোরক্ষনাথ
- হাড়ি পা
- কানু পা
৮৩. 'গোরক্ষ বিজয়' কাব্যটি কে সম্পাদনা করেন ? [ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক : ১৯]
- নলিনীকান্ত ভট্টশালী
- পঞ্চানন মণ্ডল
- আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ
- দীনেশচন্দ্র সেন
৮৪. মর্সিয়া সাহিত্য বাংলা সাহিত্যের কোন যুগের ধারা ? [প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক : ১৯ ]
- সেন যুগ
- প্রাচীন যুগ
- মধ্য যুগ
- আধুনিক যুগ
৮৫. মর্সিয়া ধারার হিন্দু কবি কে ? [ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক : ১৯]
- রামরাম বসু
- রাধারমন গোপ
- সাধন রায়
- পাঁচু ঝাড়বিশিলা
৮৬. শেখ ফয়জুল্লাহর প্রথম মর্সিয়া কাব্য কোনটি ? [নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা : ১৩ ]
- সুলতান জমজমা
- জয়নাবের চেীতিশা
- গাজী বিজয়
- রাগনামো
৮৭. কোনটি শেখ ফয়জুল্লাহর নীতিকথা বিষয়ক কাব্য ? [ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা : ১৩]
- গাজী বিজয়
- সুলতান জমজমা
- জয়নাবের চেীতিশা
- জঙ্গনামা
৮৮. শেখ ফয়জুল্লাহর 'গোরক্ষ বিজয়' গ্রন্থটি আবিষ্কার করেন কে ? [থানা সহকারী শিক্ষা অফিসার : ০৪ ]
- আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ
- ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
- ড. সুনীতিকুমার চট্রোপাধ্যায়
- হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
৮৯. ‘নবীবংশ’ পুস্তকটি কে রচনা করেছেন ? [ ভূমি ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা: ১৩]
- গোলাম মোস্তফা
- হাজী মোহাম্মিল
- মীর মশাররফ হোসেন
- সৈয়দ সুলতান
৯০. সৈয়দ সুলতানের জন্মস্থান কোথায় ? [ আল. আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক প্রবেশনারী অফিসার : ১৫]
- ফরিদপুর
- হবিগঞ্জ
- নরসিংদী
- মাদারীপুর
৯১. ব্রহ্মা,বিষ্ঞু,শিব ও হরির কথা কোন কাব্য গ্রন্থে উল্লিখিত- [ তুলা উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তা :০৩]
- শবে মিরাজ
- নবীবংশ
- ইবলিশনামা
- জ্ঞান প্রদীপ
৯২. ”নবীবংশ” কোন কবির রচনা ? [ বাংলাদেশ রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী: ১৩]
- শাহ মুহম্মদ সগীর
- সৈয়দ সুলতান
- মুহম্মদ খান
- শৈখ পরান
৯৩. নবীবংশ কাব্যটি কার জীবনীর উপর ভিত্তি করে রচিত ? [ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক : ১৩]
- হযরত মুহম্মদ (স.)
- হযরত আদম (আ.)
- হযরত ইব্রাহিম (আ.)
- হযরত মুসা (আ.)
৯৪. নবীবংশ কাব্যের শেষাংশে উল্লেখ আছে- [ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ( বুড়িগঙ্গা) : ০২ ]
- শবে কদর
- শবে বরাত
- শবে মিরাজ
- সবগুলোই
৯৫. দৌলত কাজী কোন কাব্য অবলম্বনে 'সতীময়না ও লোরচন্দ্রানী' (প্রথম অংশ) রচনা করেন ? [ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক : ১৯]
- ফারসি কবি জামীর 'লাইলী মজনু'
- হিন্দি কবি পচ্চিসীর 'বৈতাল পঞ্চবিংশতি'
- হিন্দি কবি সাধনের 'মৈনাসত'
- উর্দু কবি আল্লামা ইকবালের 'শিকওয়াহ'
৯৬. আরাকান রাজসভার প্রথম বাঙালি কবি- [ সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার : ০৫]
- কোরেশী মাগন ঠাকুর
- দৌলত কাজী
- আলাওল
- মরদন
৯৭. কোন দুজন আরাকান রাজ্যসভার কবি ? [ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক : ১৯ ]
- সৈয়দ সুলতান ও মুহম্মদ কবির
- মহাকবি আলাওল ও দৌলত কাজী
- কাশীরাম দাস ও মহাকবি আলাওল
- মহাকবি আলাওল ও সৈয়দ সুলতান
৯৮. বাংলা সাহিত্যে আরাকানকে কি নামে অভিহিত করা হত ? [প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক : ১৯ ]
- সরন্দীপ
- গৌড়
- রোসাঙ্গ
- বার্মা
৯৯. লৌকিক কাহিনীর প্রথম রচয়িতা কে ? [২৭ তম বিসিএস ]
- আলাওল
- কোরেশী মাগন
- দৌলত কাজী
- সৈয়দ সুলতান
১০০. হিন্দি কবি সাধন রচিত ‘মৈনাসত’ অবলম্বনে সতীময়নালোর চন্দ্রানী কাব্য রচনা করেন কে ? [ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক : ১৯ ]
- দৌলত কাজী
- মাগন ঠাকুর
- সৈয়দ সুলতান
- আলাওল
১০১. 'সতীময়না ও লোরচন্দ্রানী' কাব্য কোন কাব্য অবলম্বনে রচিত ? [ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক : ১৯]
- হিন্দি কাব্য পদুমাবৎ
- হিন্দি কাব্য মৈনাসত
- আলেফ লায়লা
- মৌলিক রচনা
১০২. 'সতীময়না ও লোরচন্দ্রানী' কাব্যটির রচয়িতা ? [ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক : ১৯ ]
- আলাওল
- দৌলত কাজী
- মাগন ঠাকুর
- মরদন
১০৩. দৌলত কাজীর জন্মস্থান কোথায় ? [ সহকারী জজ নিয়োগ : ০৮ ]
- বগুড়া
- চট্রগ্রাম
- ময়মনসিংহ
- সিরাজগঞ্জ
১০৪. 'সতীময়না ও লোরচন্দ্রানী' কত খন্ডে বিভক্ত ? [পরিবার কল্যাণ সহকারী : ১১ ]
- দুই খন্ডে
- তিন খন্ডে
- চার খন্ডে
- পাঁচ খন্ডে
১০৫. ক্ল্যাসিক ও রোমান্টিক রীতির সংমিশ্রণ কোন লেখকের কৃতি- [সমাজকল্যাণ সংগঠক : ১০ ]
- দৌলত কাজী
- মুহম্মদ সগীর
- আব্দুল হাকিম
- আলাওল
১০৬. দেীলত কাজী মারা যান ? [ বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সহ. পরিচালক : ১১]
- ১৫৩৮
- ১৬৩৮
- ১৭৩৮
- ১৮৩৮
১০৭. ‘দেষী ভাষে কহ তাকে পাঞ্চালীর ছন্দে । সকলে শুনিয়া যেন বুঝয় সানন্দে । “ এই কাব্যাংশের কবি কে ? [ সহকারী জজ : ২২]
- দৌলত কাজী
- সৈয়দ আব্দুল হাকিম
- কোরেশী মাগন ঠাকুর
- শেখ আব্দুল করীম
১০৮. কোরেশী মাগন ঠাকুর নামের কোন অংশ আরাকান রাজাদের দেয়া সম্মানিত উপাধি ? [ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক : ১৯]
- কোরেশী
- মাগন
- ঠাকুর
- মাগন ঠাকুর
১০৯. মাগন ঠাকুর কে ছিলেন ? [প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক : ১৯ ]
- রোসাঙ্গ রাজের সভাকবি
- একজন মুসলিম কবি
- রোসাঙ্গ রাজের প্রধানমন্ত্রী
- রোসাঙ্গ রাজের সমর কবি
১১০. কোরেশী মাগন ঠাকুর কোন শতকের কবি ? [খাদ্য পরিদর্শক : ১৪ ]
- পনের শতক
- ষোল শতক
- সতের শতক
- আঠার শতক
১১১. কোন কাব্যটি কোরেশী মাগন ঠাকুর রচিত ? [ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সহকারী পরিচালক : ১৪]
- লায়লী মজনু
- তোহফা
- হপ্তপয়কর
- চন্দ্রাবতী
১১২. কোরেশী মাগন ঠাকুরের জন্মস্থান কোথায় ? [ কর্মসংস্থান ব্যাংক অফিসার : ১৩]
- চট্রগ্রাম
- রাজশাহী
- রংপুর
- যশোর
১১৩. মাগন ঠাকুরের পিতার নাম কী ? [ মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা : ০৮ ]
- বড়ু চন্ডীদাস
- আল কোরেশী
- বড়াই ঠাকুর
- কোনটি নয়
১১৪. মাগন ঠাকুরের কাব্যের উপজীব্য বিষয়- [উপজেলা সমাজসেবা অফিসার : ০২]
- সামাজিক কাহিনি
- রাজনৈতিক কাহিনি
- রুপকথার কাহিনী
- পারিবারিক কাহিনী
১১৫. কোরেশী মাগন ঠাকুরের মৃত্যু তারিখ উল্লেখ করুন- [ সহকারী আবহাওয়াবিদ : ০৩ ]
- ১৬৪৮
- ১৬৫৬
- ১৬৫৮
- ১৬৬০
১১৬. ‘চন্দ্রাবতী’ কী ? [ ৩৮তম বিসিএস]
- নাটক
- পালাগান
- পদাবলী
- কাব্য
১১৭. কার কাব্য অবলম্বনে আলাওল পদ্মাবতী কাব্য রচনা করেন ? [ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক : ১৯]
- মনঝন
- সাধন
- সাবিরিদ খান
- মালিক মুহম্মদ জায়সী
১১৮. মহাকবি আলাওল কোন যুগের কবি ? [ পূবালী ব্যাংক সিনিয়র অফিসার : ১১]
- প্রাচীন যুগ
- আদি মধ্য যুগ
- মধ্য যুগ
- আধুনিক যুগ
১১৯. মহাকবি আলাওল রচিত গ্রন্থ- [ সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার : ১০]
- পদ্মাবতী
- লাইলী মজনু
- ইউসুফ জুলেখা
- গোরক্ষ বিজয়
১২০. কার পৃষ্ঠপোষকতায় কবি আলাওল 'পদ্মাবতী' কাব্য রচনা করেন ? [ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক : ১৯]
- চন্দ্র সুধর্মা
- সমর সচিব আশরাফ খান
- শ্রী সুধর্মা
- মাগন ঠাকুর
১২১. আলাওল কোন রাজসভার কবি ছিলেন ? [রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী : ১৭ ]
- দিল্লীর
- হোসেন শাহীর
- ফরিদপুর রাজসভার
- আরাকান রাজসভার
১২২. কবি আলাওল রচিত দ্বিতীয় কাব্য কোনটি ? [ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক : ১৯]
- পদ্মাবতী
- সতীময়না ও লোরচন্দ্রানী
- সয়ফুলমুলুক-বদিউজ্জামান
- সপ্তপয়কর
১২৩. ‘পদ্মাবতী’ কাব্যের নায়ক ও নায়িকা কে ? [ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক : ১৯]
- রত্নসেন ও পদ্মাবতী
- মরদান ও পদ্মাবতী
- সাধন ও পদ্মাবতী
- অসীম ও পদ্মাবতী
১২৪. ‘পদ্মাবতী’ কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা কে ? [বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা : ১৯ ]
- শাহ মুহম্মদ সগীর
- আলাওল
- শেখ ফয়জুল্লাহ
- বাহরাম খান
১২৫. 'পদ্মাবতী' কাব্য কোন কাহিনী অবলম্বনে লেখা ? [প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক : ১৯ ]
- লঙ্কার
- চিতোরের রানীর
- চন্দ্রাবতীর
- রাধাকৃষ্ণের
১২৬. হিন্দি ‘পদুমাবৎ’ এর অবলম্বনে ‘পদ্মাবতী’ কাব্যের রচয়িতা ? [ ১৭ তম বিসিএস ]
- দৌলত উজির বাহরাম খান
- সৈয়দ সুলতান
- আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ
- আলাওল
১২৭. কবি আলাওলের 'তোহফা' কাব্যটি কোন কাব্যের অনুবাদ ? [প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক : ১৯ ]
- পদুমাবৎ
- মৈনাসত
- তোহফাতুন নেসায়েহ
- সেকান্দরনামা
১২৮. কবি আলাওলের জন্মস্থান কোনটি ? [ ২৯ তম বিসিএস]
- সিলেট
- চট্টগ্রাম
- ফরিদপুর
- বরিশাল
১২৯. আলাওলের হপ্তপয়কর কোন ভাষার কাব্যের অনুবাদ ? [ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক : ১৯]
- হিন্দি
- ফারসি
- ইংরেজি
- উর্দু
১৩০. মধ্যযুগের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য মুসলমান কবি কে ? [ দুর্নীতি দমন ব্যুরো পরিদর্শক : ০৪]
- নাসির মাহমুদ
- আলাওল
- সৈয়দ সুলতান
- শাহ গরীবউল্লাহ
১৩১. কবি আলাওলের প্রথম রচনা কোনটি ? [প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা : ১৩ ]
- পদ্মাবতী
- সয়ফুলমুলুক-বদিউজ্জামান
- সপ্তপয়কর
- তোহফা
১৩২. কবি আলাওলের সময়কাল- [ রাবি: ০৯-১০ ]
- ষোড়শ শতক
- সপ্তদশ শতক
- পঞ্চদশ শতক
- অষ্টাদশ শতক
১৩৩. আলাওলের ‘তোহফা’ কোন ধরনের কাব্য ? [ ৩১তম বিসিএস ]
- আত্নজীবনী
- প্রণয়কাব্য
- নীতিকাব্য
- জঙ্গনামা
১৩৪. ‘তোহফা’ কাব্যটি কে রচনা করেন ? [৩৬ তম বিসিএস ]
- দৌলত কাজী
- মাগন ঠাকুর
- সাবিরিদ খান
- আলাওল
১৩৫. ‘পদ্মাবতী’ একটি- [ বাংলাদেশ ব্যাংক (ক্যাশ ) : ১৬ ]
- অনুবাদ গ্রন্থ
- মেীলিক গ্রন্থ
- ভ্রমণকাহিনি
- কোনোটিই নয়
১৩৬. ‘পদ্মাবতী’ কাব্যগ্রন্থের অনুবাদক কে ? [সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা : ১৫ ]
- আলাওল
- শাহ মুহম্মদ সগীর
- আবদুল হাকিম
- সৈয়দ সুলতান
১৩৭. 'পদ্মাবতী' কাব্য মহাকবি আলাওল কোন ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় অনুবাদ করেন ? [বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক : ১৪ ]
- আরবি
- ফারসি
- উর্দু
- হিন্দি
১৩৮. কোন গ্রন্থটি আলাওল কর্তৃক রচিত নয় ? [ বিভিন্ন মিন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা : ১৯ ]
- ইউসুফ জোলেখা
- তোহ্ফা
- পদ্মাবতী
- হপ্তপয়কর
১৩৯. সপ্তদশ শতকের কবি আলাওলের প্রধান কাব্য কোনটি ? [ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা : ১৯]
- পদ্মবতী
- সয়ফুলমূলক -বদিউজ্জামাল
- হপ্তপয়কর
- তোহ্ফা
১৪০. মধ্যযুগের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য মুসলমান কবি কে ? [ বিদ্যুৎ,জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সহকারী বিস্ফোরক পরিদর্শক : ০৩]
- নাসির মাহমুদ
- আলাওল
- সৈয়দ সুলতান
- শাহ গরীবউল্লাহ
১৪১. মহাকবি আলাওল রচিত কাব্য - [ ৪২তম বিসিএস]
- চন্দ্রাবতী
- পদ্মাবতী
- মধুমালতী
- লাইলী মজনু
১৪২. ‘নূরনামা, নসীয়তনামা, শহরনামা’ -কাব্যগুলোর রচয়িতা কে ? [ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক : ১৯ ]
- মুহম্মদ কবীর
- মুক্তল হোসেন
- আবদুল হাকিম
- ফকীর গরীবুল্লাহ
১৪৩. যে সব বঙ্গেত জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী। সে সব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি ॥ -এ পঙ্ক্তি দুটি কোন কবির কবিতা হতে উদ্ধৃত করা হয়েছে ? [ অগ্রণী ব্যাংক সিনিয়র অফিসার : ১৫]
- অতুল প্রসাদ সেন
- রামনিধি গুপ্ত
- আবুদল হাকিম
- আলাওল
১৪৪. আবদুল হাকিম কোন শতকের কবি ছিলেন ? [ রেজিস্ট্রার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় : ১১]
- পঞ্চদশ
- একাদশ
- সপ্তদশ
- অষ্টাদশ
১৪৫. ‘বঙ্গবাণী’ কবিতার রচয়িতা কে ? [ সিজিডিএফ এর জুনিয়র অডিটর : ১৯]
- আবদুল হাকিম
- সুফিয়া কামাল
- শামসুর রহমান
- জহির রায়হান
১৪৬. আবদুল হাকিম জন্মগ্রহণ করেন ? [ জনশক্তি,কর্মসংস্থান ব্যুরোর উপ-সহকারী পরিচালক : ০১]
- ১৬২০ খ্রি.
- ১৬৩০ খ্রি.
- ১৭২০ খ্রি.
- ১৭৩০ খ্রি.
১৪৭. ‘কারবালা ও শহরনামা’ -কাব্যগুলোর রচয়িতা কে ? [ রূপালী ব্যাংক অফিসার ( ক্যাশ ) : ১৮ ]
- মুহম্মদ কবীর
- মুক্তল হোসেন
- আবদুল হাকিম
- ফকীর গরীবুল্লাহ
১৪৮. “দেশি ভাষা বিদ্যা যার মনে ন জুয়ায় নিজ দেশ ত্যাগী কোন বিদেশ ন যায়।” -কবিতাংশটি কার ? [ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানি-রপ্তানি অধিদপ্তরের নির্বাহী অফিসার: ০৭]
- কবি আব্দুল হাকিম
- মোজাম্মেল হক
- কামিনী রায়
- রজনীকান্ত সেন
১৪৯. ’তে কাজে নিবেদি বাংলা করিয়া রচন। নিজ পরিশ্রম তোষি আমি সর্বজন।’- কোন কবির রচনা ? [ সাব-রেজিস্ট্রার:১২]
- আলাওল
- সৈয়দ সুলতান
- আবদুল হাকিম
- দৌলত কাজী
১৫০. ‘ইউসুফ জুলেখা’ মর্সিয়া সাহিত্যের লেখক কে ? [এনএসআই এর ওয়্যারলেস অপারেটর : ২১ ]
- শেখ ফয়জুল্লাহ
- দৌলত খাঁ
- আব্দুল হাকিম
- আব্দুল করিম
১৫১. শাহ মুহম্মদ গরীবুল্লাহ কোন শতকের কবি ? [প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক : ০০ ]
- সতের
- আঠার
- উনিশ
- ষোল
১৫২. শাহ মুহম্মদ গরীবুল্লাহ কী ছিলেন ? [ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা: ০২ ]
- পুঁথি সাহিত্যের দোভাষী কবি
- চর্যাপদকর
- চিত্রশিল্পী
- সঙ্গীত শিল্পী
১৫৩. আমির হামজা’ গ্রন্থটির রচয়িতা কে ? [ শ্রম কর্মকর্তা : ০৪]
- শাহ মুহম্মদ গরীবুল্লাহ
- রামপ্রসাদ
- মানিকদত্ত
- মালাধর বসু
১৫৪. পুঁথি সাহিত্যের প্রাচীনতম লেখক কে ? [ সোনালী ব্যাংক অফিসার : ১৮]
- আমীর হামজা
- দেীলত কাজী
- ফকির গরীবুল্লাহ
- আলাওল
১৫৫. পুঁথি সাহিত্যের প্রথম সার্থক ও জনপ্রিয় কবি কে ? [কারা তত্ত্বাবধায়ক : ১৩ ]
- সৈয়দ হামজা
- ফকির গরীবুল্লাহ
- শাহ মুহম্মদ সগীর
- আলাওল
১৫৬. 'জঙ্গনামা' গ্রন্থটি রচনা করেছেন ? [ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক : ১৯]
- সৈয়দ হামজা
- ফকির গরীবুল্লাহ
- শাহ মুহম্মদ সগীর
- দৌলত কাজী
১৫৭. দো-ভাষী পুঁথি সাহিত্যের প্রথম ও সার্থক কবি- [তথ্য মন্ত্রণালয়ের গণযোগাযোগ প্রশিক্ষণ সহকারী পরিচালক: ০১ ]
- সৈয়দ সুলতান
- ফকির গরীবুল্লাহ
- হায়াত মাহমুদ
- শেখ ফয়জুল্লাহ
১৫৮. ভারতচন্দ্র রায়গুনাকর নবদ্বীপের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের আদেশে কোন গ্রন্থ রচনা করেন ? [প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক : ১৯ ]
- মনসামঙ্গল
- ধর্মমঙ্গল
- অন্নদামঙ্গল
- সারদামঙ্গল
১৫৯. ‘মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন’-উক্তিটি কার ? [ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক : ১৯]
- ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর
- অতুল প্রসাদ সেন
- মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
- রামনিধি গুপ্ত
১৬০. মঙ্গলযুগের সর্বশেষ কবির নাম কি ? [ ২৮ তম বিসিএস ]
- বিজয়গুপ্ত
- ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর
- মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
- কানাহরি দত্ত
১৬১. মধ্যযুগের শেষ কবি কে ? [ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা : ১৯]
- ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
- ভারতচন্দ্র রায়
- রামরাম বসু
- শাহ মুহম্মদ সগীর
১৬২. ‘মানসিংহ ভবানন্দ উপাখ্যান’ কার রচনা ? [ কারা তত্ত্বাবধায়ক : ১০]
- কানাহরি দত্ত
- বিজয় গুপ্ত
- মুকুন্দ রাম
- ভারতচন্দ্র রায় গুণাকর
১৬৩. মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি কে ? [ বাংলাদেশ ব্যাংক সহকারী পরিচালক : ০৪ ]
- মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
- ভারতচন্দ্র রায়
- বিদ্যাপতি
- বডু চন্ডীদাস
১৬৪. কবি ভারতচন্দ্রকে ‘রায় গুণাকর’ উপাধি দেন কে ? [ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) : ১৭ ]
- জমিদার রঘুনাথ
- মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র
- বল্লাল সেন
- সম্রাট আকবর
১৬৫. ভারতচন্দ্র রায়গুনাকর কোন রাজসভার কবি ? [ ২৬তম বিসিএস]
- আরাকান রাজসভা
- কৃষ্ণনগর রাজসভা
- রাজা গণেশের রাজসভা
- লক্ষণসেনের রাজসভা
১৬৬. কবি ভারতচন্দ্র সভাকবি ছিলেন- [ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক : ২০১১]
- রাজা বিক্রমাদিত্যের
- রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের
- রাজা ঈশ্বরচন্দ্রের
- রাজা চন্দ্রগুপ্তের
১৬৭. অন্নদামঙ্গল কাব্যের রচয়িতা কে ? [ সহকারী পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা : ১৬]
- ভারতচন্দ্র
- মুকুন্দরাম
- রামপ্রসাদ সেন
- ময়ূর ভট্ট
১৬৮. মধ্যযুগের শেষ কবি ভারতচন্দ্র রায়গুনাকর কত সালে মৃত্যুবরণ করেন ? [ ৩৬ তম বিসিএস ]
- ১৭৫৬
- ১৭৫২
- ১৭৬০
- ১৭৬২
১৬৯. ভারতচন্দ্রের শ্রেষ্ঠ প্রতিভার নিদর্শন কোনটি ? [প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক : ১৯ ]
- চণ্ডীমঙ্গল
- ধর্মমঙ্গল
- মনসামঙ্গল
- অন্নদামঙ্গল
১৭০. ভুরশুট পরগনার পান্ডুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ? [ পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক : ১৪ ]
- মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
- ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর
- ময়ূর ভট্র
- কানাহরি দত্ত
১৭১. কোনটি কবি ভারতচন্দ্রের উপাধি ? [ প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ( ডেলটা ) : ১৪ ]
- রায়গুণাকর
- কবিকন্ঠহার
- কবিকঙ্কন
- কবিরঞ্জন
১৭২. ‘রায়গুণাকর’ কার উপাধি ? [তথ্য মন্ত্রণালয়ের সহকারী পরিচালক : ০১ ]
- মালাধর বসু
- মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
- ভারত চন্দ্র রায়গুণাকর
- ময়ূর ভট্র
১৭৩. 'আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে'- এই প্রার্থনা কার ? [২৩তম বিসিএস/গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল):১১ ]
- ভাড়ু দত্ত
- চাঁদ সওদাগর
- ঈশ্বর পাটনী
- নল্কুবে
১৭৪. 'আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে’ - এই বিখ্যাত পঙক্তিটি কার রচনা ? [ উপ-খাদ্য পরিদর্শক: ১১ ]
- বড় চন্ডীদাস
- ভারতচন্দ্র
- ময়ূরভট্ট
- ভাড়ু দত্ত
১৭৫. ' আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে' লাইনটি নিম্নোক্ত একজনের কাব্যে পাওয়া যায় ----- [১৭তম বিসিএস ]
- মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
- ভারতচন্দ্র রায়
- মদনমোহন তর্কালঙ্কার
- কামিনী রায়
১৭৬. '“আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে” চরণটি কোন কাব্যের ? [ বহিরাগমন ও পার্সপোর্ট অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক: ১১]
- মনসামঙ্গল
- ধর্মমঙ্গল
- অন্নদামঙ্গল
- চন্ডীমঙ্গল
১৭৭. 'বড়র পিরীতি বালির বাঁধ! ক্ষণে হাতে দড়ি , ক্ষণেক চাঁদ’ --- চরণ দুটি কার লেখা ? [ সহকারী আবহাওয়াবিদ-২০০৪]
- আলাওল
- ভারতচন্দ্র রায়
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
- শেখ ফজলল করিম
১৭৮. 'বড়র পিরিতি বালির বাঁধ ক্ষণে হাতে দড়ি, ক্ষণেক চাঁদ' ---প্রবাদটি কি অর্থে ব্যবহৃত হয় ? [ জনতা ব্যাংক সহকারী এক্সিকিউটিভ অফিসার :১১]
- ঝামেলার উপর ঝামেলা
- নিশ্চিত সাফল্য হাতছাড়া করে দেয়া
- যোগ্য শাসনে বাদী বিবাদী উভয়ে ভীত
- প্রয়োজনীয় কাজে যথাযথ খরচ
১৭৯. বাংলা সাহিত্যের প্রথম নাগরিক কবি কে ? [ সিজিএ এর অডিটর: ২২]
- ভারতচন্দ্র রায়
- নরহরি চক্রবর্তী
- বিজয়গুপ্ত
- মুকুন্দরাম
১৮০. কোন কবির মৃত্যুর মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে মধ্যযুগের সমাপ্তি ঘটে ? [বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিসার: ২২ ]
- ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর
- মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
- নারায়ন সেন
- মানিক দত্ত
১৮১. ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর কোন কাব্য রচনা করেছেন ? [ টিটিসি'র ইন্সট্রাক্টর: ২২]
- অভয়ামঙ্গল
- শিবমঙ্গল
- অন্নদামঙ্গল
- চন্ডীমঙ্গল