Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Test link

বাংলা ভাষা ও সাহিত্য (১৩৭৫ টি) -১ম অংশ

১. সন্ধি বিচ্ছেদ করুন- 'ক্ষুৎপিপাসা'  [DPE ২০১৪ (তৃতীয় পর্যায়) পদ : সহকারী শিক্ষক তারিখ: ২৬.০৫.১৮]

ব্যাখ্যাঃ দ্ ও ধ্ এরপরে ক, চ, ট, ত, প, খ, ছ, ঠ, থ, ফ থাকলে দ্ ও ধ্ স্থলে অঘোষ অল্পপ্রাণ ধ্বনি হয়। যেমন:

ক্ষুৎপিপাসা = ক্ষুধ্ + পিপাসা;  তৎকাল = তদ্ + কাল প্রভৃতি। এরূপ হৃৎকম্প, তৎপর, তত্ত্ব, তৎসম ইত্যাদি৷

২. 'সন্ন্যাসী' এর বিপরীত শব্দ কোনটি? [DPE ২০১৪ (তৃতীয় পর্যায়) পদ : সহকারী শিক্ষক তারিখ: ২৬.০৫.১৮]

ব্যাখ্যাঃ 'সন্ন্যাসী' বলতে বোঝায় যারা গৃহ ত্যাগ করে সন্ন্যাস গ্রহণ করেছেন। তাই এর বিপরীত হবে-গৃহী ।

৩. নিচের শুদ্ধ বানানটি নির্দেশ করুন [DPE ২০১৪ (তৃতীয় পর্যায়) পদ : সহকারী শিক্ষক তারিখ: ২৬.০৫.১৮ 📖 ৩য় বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস প্রিলিমিনারী পরীক্ষা, .০৭ 📖 ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়2005C ইউনিট]

ব্যাখ্যাঃ শুদ্ধ বানান হলো বুদ্ধিজীবী । এইরূপ আরো কিছু শুদ্ধ বানান : অশরীরী, অশীতিতম, অশ্বত্থ, অসমীচীন, অসূয়া, অসূর্যম্পশ্যা, অহ্ন, অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া।

৪. নিচের কোনটি যৌগিক স্বরধ্বনির চিহ্ন? [DPE ২০১৪ (তৃতীয় পর্যায়) পদ : সহকারী শিক্ষক তারিখ: ২৬.০৫.১৮ 📖 DPE ২০১৪(তৃতীয় পর্যায়) - সহকারী শিক্ষক -২৬.০৫.১৮]

ব্যাখ্যাঃ বাংলা বর্ণমালায় যৌগিক স্বরজ্ঞাপক দুটো বর্ণ রয়েছে : ঐ এবং ঔ। উদাহরণ : কৈ, বৌ। অন্য যৌগিক ঘরের চিহ্ন স্বরূপ কোনো বর্ণ নেই।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ একাধিক স্বরধ্বনি মিলে যে ধ্বনি সৃষ্টি হয় তাকে যৌগিক স্বরধ্বনি বা দ্বিস্বরধ্বনি বলে। বাংলা ভাষায় যৌগিক স্বরধ্বনি মোট ২৫টি। এর মধ্যে মাত্র ২টি যৌগিক স্বরধ্বনির নিজস্ব বর্ণ আছে। যথাঃ (অ+ই) ঐ, (অ+উ) ঔ। বাকি ২৩ টি যৌগিক স্বরধ্বনির নিজস্ব বর্ণ বা প্রতীক নেই।

৫. নিচের কোনটি মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি সমাসের উদাহরণ নয়? [DPE ২০১৪ (তৃতীয় পর্যায়) পদ : সহকারী শিক্ষক তারিখ: ২৬.০৫.১৮]

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ সমাসে ব্যাখ্যামূলক যে কোন পদ যদি সমস্তপদে লোপ পায় তাকে মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি সমাস বলে। 

যেমন- বিড়ালচোখী, হাতেখড়ি, গায়ে হলুদ, মেনিমুখো ইত্যাদি। 'বেতার' নঞ্ বহুব্রীহি সমাসের উদাহরণ।

৬. 'রাবণের চিতা' বাগধারটির অর্থ কী? [DPE ২০১৪ (তৃতীয় পর্যায়) পদ : সহকারী শিক্ষক তারিখ: ২৬.০৫.১৮]

ব্যাখ্যাঃ রাবণের চিতা - চির অশান্তি।  শাখের করাত - উভয় সংকট।  অগস্ত্য যাত্রা - শেষ বিদায়।  রাবণের গোষ্ঠী - বড় পরিবার।   শাপে বর - অনিষ্টে ইষ্ট লাভ।  শাঁখের করাত অর্থ উভয় সংকট।  নজর লাগা অর্থ অশুভ দৃষ্টিতে পড়া। অনন্ত শয্যা - শেষ শয্যা।

৭. 'কপোল' এর প্রতিশব্দ কী? [DPE ২০১৪ (তৃতীয় পর্যায়) পদ : সহকারী শিক্ষক তারিখ: ২৬.০৫.১৮ 📖 DPE ২০১৪(তৃতীয় পর্যায়) - সহকারী শিক্ষক -২৬.০৫.১৮ 📖 পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর-২৪.০৬.১১]

 স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ কপোল (বিশেষ্য) - গণ্ড; গাল।  কপাল - ললাট; ভাগ্য; অদৃষ্ট; নিয়তি; দৈব।

৮. 'এবার আমি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি'- বাক্যটি কোন কালের?  [DPE ২০১৪ (তৃতীয় পর্যায়) পদ : সহকারী শিক্ষক তারিখ: ২৬.০৫.১৮ 📖 DPE ২০১৪(৪র্থ পর্যায়) - সহকারী শিক্ষক -০১.০৬.১৮ 📖 DPE ২০১৪(তৃতীয় পর্যায়) - সহকারী শিক্ষক -২৬.০৫.১৮]

ব্যাখ্যাঃ ক্রিয়া পূর্বে শেষ হলে এবং তার ফল এখনও বর্তমান থাকলে, পুরাঘটিত বর্তমান কাল ব্যবহৃত হয়। যেমন:

এবার আমি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি; বুকের রক্তে লিখেছি একটি নাম, এতক্ষণ আমি অঙ্ক করেছি ইত্যাদি।

৯. 'ডাক্তার ডাক ' বাক্যটিতে 'ডাক্তার' শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি? [DPE ২০১৪ (তৃতীয় পর্যায়) পদ : সহকারী শিক্ষক তারিখ: ২৬.০৫.১৮]

ব্যাখ্যাঃ যাকে আশ্রয় করে ক্রিয়া সম্পন্ন হয় তা কর্মকারক। যেমন: ডাক্তার ডাক। আর ডাক্তার এর সাথে কোনো বিভক্তি না থাকায় শূন্য বিভক্তি। তাই উত্তর কর্মে শূন্য বিভক্তি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ যাকে আশ্রয় করে কর্তা ক্রিয়া সম্পন্ন করে তাকে কর্মকারক বলে।  বাক্যটিতে “ডাক্তার” শব্দটিকে আশ্রয় করেই কর্তার কাজ। তাই এটি কর্মকারকের উদাহরণ।  প্রথমা বা শূন্য বা অ বিভক্তিঃ ‘ডাক্তার’ ডাক৷ আমাকে একখানা ‘বই’ দাও।

১০. 'যা দীপ্তি পাচ্ছে' - এক কথায় প্রকাশ করুন । [DPE ২০১৪ (তৃতীয় পর্যায়) পদ : সহকারী শিক্ষক তারিখ: ২৬.০৫.১৮]

ব্যাখ্যাঃ যা দীপ্তি পাচ্ছে- দেদীপ্যমান। দেদীপ্যমান শব্দের অর্থ- অতিশয় তেজ বা প্রভা নিয়ে জ্বলছে এমন, জাজ্বল্যমান। প্রদত্ত শব্দটি একটি বিশেষণ পদ। যা পুনঃ পুনঃ দীপ্তি পাচ্ছে - দেদীপ্যমান।  দীপ্তিমান (বিশেষণ)- দীপ্তিযুক্ত; উজ্জ্বল।

১১. ঐতিহাসিক 'একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলা কত তারিখে ছিল? [DPE ২০১৪ (তৃতীয় পর্যায়) পদ : সহকারী শিক্ষক তারিখ: ২৬.০৫.১৮]

ব্যাখ্যাঃ ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ছিল বাংলায় ৮ ফাল্গুন, ১৩৫৮ বঙ্গাব্দ, দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার। ১৯৫২ সালের এই দিনে (৮ ফাল্গুন, ১৩৫৮) বাংলাকে পূর্ব পাকিস্থনের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণে কয়েকজন তরুণ শহীদ হন। তাদের মধ্যে অন্যতম হলো রফিক, জব্বার, শফিউল, সালাম, বরকত সহ অনেকেই।

একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সহ পশ্চিমবঙ্গ তথা সমস্ত বাংলা ভাষা ব্যবহারকারী জনগণের গৌরবোজ্জ্বল একটি দিন। এটি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবেও সুপরিচিত। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে দিবসটি জাতিসংঘের সদস্যদেশ সমূহে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হচ্ছে ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি রফিক, সালাম ও বরকতসহ অনেকেই মাতৃভাষার জন্য রক্ত দেন; প্রাণ দেন। ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো এই দিনকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি দেয়। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ছিলো ৮ ফাল্গুন, ১৩৫৮ বঙ্গাব্দ।

১২. 'বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই পৃথিবীর রুপ খুঁজিতে যাই না আর'_ কার লেখা?  [DPE ২০১৪ (তৃতীয় পর্যায়) পদ : সহকারী শিক্ষক তারিখ: ২৬.০৫.১৮]

ব্যাখ্যাঃ আলোচ্য লাইনটি জীবনানন্দ দাশের লেখা। চরণটি তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ 'রূপসী বাংলা' থেকে নেয়া হয়েছে তার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ: রূপসী বাংলা, বনলতা সেন, মহাপৃথিবী, বেলা অবেলা কালবেলা প্রভৃতি।

১৩. "এই বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি" _ পঙক্তিটির রচয়িতা কে?  [DPE ২০১৪ (তৃতীয় পর্যায়) পদ : সহকারী শিক্ষক তারিখ: ২৬.০৫.১৮]

ব্যাখ্যাঃ উক্ত চরণটির রচয়িতা সুকান্ত ভট্টাচার্য। তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ গুলোর মধ্যে অন্যতম: ঘুম নেই, পূর্বাভাস, হরতাল, অভিমান প্রভৃতি তিনি মাত্র ২০ বছর ৬ মাস জীবিত ছিলেন। তাকে কিশোর কবি বলা হয়।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

ছাড়পত্র

(সুকান্ত ভট্টাচার্য)

এসেছে নতুন শিশু, তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান

জীর্ণ পৃথিবীতে ব্যর্থ, মৃত আর ধ্বংসস্তূপ-পিঠে

চলে যেতে হবে আমাদের।

চলে যাব - তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ

প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল,

এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি

নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।

১৪. 'যার দুই হাত সমান চলে' তাকে এক কথায় কী বলে? [DPE ২০১৪ (তৃতীয় পর্যায়) পদ : সহকারী শিক্ষক তারিখ: ২৬.০৫.১৮ 📖 DPE ২০১৪(তৃতীয় পর্যায়) - সহকারী শিক্ষক -২৬.০৫.১৮]

ব্যাখ্যাঃ যার দুই হাত সমান চলে = সব্যসাচী; দুই বার জন্মে যা = দ্বিজ

১৫. সন্ধি বিচ্ছেদ করুন : কথাচ্ছলে  [DPE ২০১৪ (তৃতীয় পর্যায়) পদ : সহকারী শিক্ষক তারিখ: ২৬.০৫.১৮]

ব্যাখ্যাঃ স্বরধ্বনির পর ছ থাকলে উক্ত ব্যঞ্জনধ্বনিটি দ্বিত্ব (চ্ছ) হয়। যেমন: কথাচ্ছলে = কথা + ছলে। পরিচ্ছদ = পরি + ছদ। মুখচ্ছবি = মুখ + ছবি প্রভৃতি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ স্বরধ্বনির পর 'ছ' থাকলে উক্ত ব্যঞ্জনধ্বনিটি দ্বিত্ব (চ্ছ) হয়৷  যথা- কথা + ছলে = কথাচ্ছলে; আ + ছন্ন = আচ্ছন্ন; পরি + ছদ = পরিচ্ছদ৷

১৬. চারটি বিরাম চিহ্নের মধ্যে পূর্ণচ্ছেদ কোনটি?  [DPE ২০১৪ (তৃতীয় পর্যায়) পদ : সহকারী শিক্ষক তারিখ: ২৬.০৫.১৮ 📖 ১০ম বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন পরীক্ষা-(স্কুল/সমপর্যায়-২)-৩০.০৫.১৪ 📖 ১৪তম বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন পরীক্ষা-(স্কুল/সমপর্যায়-২)-২৫.০৮.১৭]

ব্যাখ্যাঃ পূর্ণচ্ছেদ চিহ্ন বাক্যের সমাপ্তি নির্দেশ করে। যেমন: দাঁড়ি, প্রশ্নচিহ্ন প্রভৃতি পূর্ণচ্ছেদ চিহ্ন।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ দাঁড়ি (।) পূর্ণচ্ছেদ চিহ্ন, এর ব্যবহারের ফলে এক সেকেন্ড বিরতি দিতে হয়৷ 

দাড়ি, জিজ্ঞাসা চিহ্ন (?) এবং বিস্ময়চিহ্ন (!) বাক্যের শেষে ব্যবহৃত হয়৷  হাইফেন (-) চিহ্নে থামার প্রয়োজন নেই, সেমিকোলন (;) চিহ্নে বিরতি-কাল হবে ১ বলার দ্বিগুণ সময়৷  ড্যাস (–) চিহ্নে এক সেকেন্ড থামতে হয়৷

১৭. 'লাজওয়াব' শব্দটির 'লা' কোন ধরনের উপসর্গ?  [DPE ২০১৪ (তৃতীয় পর্যায়) পদ : সহকারী শিক্ষক তারিখ: ২৬.০৫.১৮ 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়2016A ইউনিট 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়2012B ইউনিট]

ব্যাখ্যাঃ বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত আরবি উপসর্গ যথা: আম, খাস, গর, লা।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ লাজওয়াব, লাখেরাজ, লাওয়ারিশ, লাপাত্তা এই শব্দগুলোতে ‘না অর্থে’ আরবি উপসর্গ 'লা' ব্যবহৃত হয়৷ 

এছাড়াও, ‘আম্, খাস, গর্’ এগুলোও আরবি উপসর্গ৷

১৮. 'আগুনের পরশমণি' উপন্যাসের উপজীব্য বিষয় কী ? [DPE ২০১৪ (তৃতীয় পর্যায়) পদ : সহকারী শিক্ষক তারিখ: ২৬.০৫.১৮ 📖 40th BCS General May, 2019 40th 📖 DPE ২০১৪(তৃতীয় পর্যায়) - সহকারী শিক্ষক -২৬.০৫.১৮]

ব্যাখ্যাঃ 'আগুনের পরশমনি' হুমায়ূন আহমেদ রচিত একটি বিখ্যাত মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক উপন্যাস। এটি প্রকাশিত হয় ১৯৮৬ সালে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ হুমায়ূন আহমেদ রচিত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাসঃ জোছনা ও জননীর গল্প, শ্যামল ছায়া, আগুনের পরশমণি, সূর্যের দিন ও অনিল বাগচীর একদিন।

১৯. "সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপর নাই"- উক্তিটি কার?  [DPE ২০১৪ (তৃতীয় পর্যায়) পদ : সহকারী শিক্ষক তারিখ: ২৬.০৫.১৮ 📖 যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ক্রেডিট সুপারভাইজার ২০.১২.১৯]

ব্যাখ্যাঃ "সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই" - এই অমর উক্তিটি করেছেন মধ্যযুগের বাংলা ভাষায় বৈষ্ণব পদাবলির আদি রচয়িতা চণ্ডীদাস। তাঁর রাধা-কৃষ্ণ বিষয়ক পদাবলি যুগ যুগ ধরে বাঙালির হৃদয়কে সীমাহীন রসমাধুর্যে পরিপূর্ণ করে তুলেছে। স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ বাংলা সাহিত্যের প্রথম মানবতাবাদী কবি বলা হয় চণ্ডীদাসকে। তিনি 'শুনহ মানুষ ভাই / সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই' বলে জাত-পাতযুক্ত সমাজে প্রথম মানবতার বাণী কাব্যে ধারণ করেন।

২০. 'কৈশোর ' শব্দের প্রকৃতি ও প্রত্যয় কোনটি? [DPE ২০১৪ (তৃতীয় পর্যায়) পদ : সহকারী শিক্ষক তারিখ: ২৬.০৫.১৮ 📖 DPE ২০১৪(তৃতীয় পর্যায়) - সহকারী শিক্ষক -২৬.০৫.১৮]

ব্যাখ্যাঃ কিশোর + ষ্ণ = কৈশোর (তদ্ধিত প্রত্যয় সাধিত)। 'ষ্ণ (অ)' প্রত্যয় যোগে গঠিত কতিপয় শব্দ: মনু + ষ্ণ = মানব,

শিব + ষ্ণ = শৈব, শিশু + ষ্ণ = শৈশব, পৃথিবী + ষ্ণ = পার্থিব।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ ষ্ণ (অ) প্রত্যয় এর 'ভাব' অর্থে ব্যবহারঃ শিশু + ষ্ণ = শৈশব; কিশোর + ষ্ণ = কৈশোর; গুরু + ষ্ণ = গৌরব।

২১. যে ক্রিয়া কিছু আগে শেষ হয়েছে কিন্তু তার ফল এখনো রয়েছে তাকে বলে-

DPE ২০১৪(৪র্থ পর্যায়) - সহকারী শিক্ষক -০১.০৬.১৮ 📖 DPE ২০১৪ (তৃতীয় পর্যায়) পদ : সহকারী শিক্ষক তারিখ: ২৬.০৫.১৮ 📖 DPE ২০১৪(তৃতীয় পর্যায়) - সহকারী শিক্ষক -২৬.০৫.১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖যে ক্রিয়া কিছু আগে শেষ হয়েছে কিন্তু তার ফল এখনো রয়েছে তাকে বলে পুরাঘটিত বর্তমান কাল। যেমন: এবার আমি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖ক্রিয়া পূর্বে শেষ হলেও তার ফল এখনও বর্তমান থাকলে পুরাঘটিত বর্তমানকাল হয়। 

যেমন- এবার আমি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি, এতক্ষণ আমি অঙ্ক করেছি। 

যে ক্রিয়া বর্তমানে সাধারণভাবে ঘটে তার কালকে সাধারণ বর্তমানকাল বলে। যেমন- সন্ধ্যায় সূর্য অস্ত যায়। 

যে কাজ শেষ হয়নি এখনও চলছে সে কাজ বোঝানোর জন্য ঘটমান বর্তমান কাল ব্যবহৃত হয়। যেমন- স্বপন বই পড়ছে।

২২. শুদ্ধ বানান কোনটি?

DPE ২০১৪(৪র্থ পর্যায়) - সহকারী শিক্ষক -০১.০৬.১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖শুদ্ধ বানান ভবিষ্যৎ। অন্যদিকে দীর্ঘজীবি, সমীচিন, ও আশির্বাদ এর শুদ্ধরূপ যথাক্রমে দীর্ঘজীবী সমীচীন ও আশীর্বাদ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖শুদ্ধ বানান - ভবিষ্যৎ, দীর্ঘজীবী, সমীচীন, আশীর্বাদ।

২৩. "এ জগতে হায়, সেই বেশি চায় আছে যার ভুরি ভুরি। রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি"- চরণদ্বয় রবীন্দ্রনাথের কোন কবিতার অংশ-

DPE ২০১৪(৪র্থ পর্যায়) - সহকারী শিক্ষক -০১.০৬.১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'চিত্রা' কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত দুই বিঘা জমি কবিতার একটি বিখ্যাত চরণ এ জগতে হায় সেই বেশি চায় যার আছে ভুরি ভুরি রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖এ জগতে হায়, সেই বেশি চায় আছে যার ভুরি ভুরি 

 রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি-

 চরণদ্বয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘চিত্রা’ কাব্য গ্রন্থের অন্তর্গত “দুই বিঘা জমি” কবিতার অংশ।

২৪. 'ব‍্যষ্টি' এর বিপরীতার্থক শব্দ কোনটি ?

DPE ২০১৪(৪র্থ পর্যায়) - সহকারী শিক্ষক -০১.০৬.১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖সৃষ্টি, বৃদ্ধি ও ভবিষ্যৎ শব্দের বিপরীত শব্দ যথাক্রমে ধ্বংস, হ্রাস ও ভূত।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖'ব্যাষ্টি' শব্দের বিপরীত শব্দ সমষ্টি।

সৃষ্টি শব্দের বিপরীত শব্দ ধ্বংস।

স্মৃতি শব্দের বিপরীত শব্দ বিস্মৃতি।

২৫. মন না মতি বাগধারাটির অর্থ কী ?

DPE ২০১৪(৪র্থ পর্যায়) - সহকারী শিক্ষক -০১.০৬.১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'মন না মতি' বাগধারার অর্থ অস্থির মানব মন। আমড়া কাঠের ঢেঁকি ও মগের মুল্লুক বাগধারার অর্থ যথাক্রমে অপদার্থ ও অরাজক দেশ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖মন না মতি - অস্থির মানব মন। 

মন উচাটন হওয়া - অস্থির হওয়া। 

মগের মুল্লুক - অরাজক দেশ। 

কায়েতের ঘরের ঢেঁকি - অপদার্থ লোক।

২৬. সর্বাঙ্গে ব্যথা, ওষুধ দিব কোথা -এখানে সর্বাঙ্গে শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি ?

DPE ২০১৪(৪র্থ পর্যায়) - সহকারী শিক্ষক -০১.০৬.১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖ক্রিয়ার আঁধারকে অধিকরণ কারক বলে। অর্থাৎ যে স্থানে বা যে বিষয়টি আশ্রয় করে ক্রিয়া নিষ্পন্ন হয়, সে বিষয়, সময় বা স্থানকে বলা হয় অধিকরণ কারক। এখানে 'সর্বাঙ্গে' শব্দটি আধিকরণে সপ্তমী বিভক্তি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖ক্রিয়া সম্পাদনের কাল এবং আধারকে অধিকরণ কারক বলে। এ কারকে সপ্তমী অর্থ্যাৎ ‘এ’, ‘য়’ ‘তে’ ইত্যাদি বিভক্তি যুক্ত হয়।

কতিপয় অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তির উদাহরণঃ 

তিলে তৈল আছে,

নদীতে মাছ আছে,

বনে বাঘ আছে,

আকাশে চাঁদ উঠেছে,

সর্বাঙ্গে ব্যথা, ঔষধ দিব কোথা।

২৭. শব্দ ও ধাতুর মূলকে বলে-

DPE ২০১৪(৪র্থ পর্যায়) - সহকারী শিক্ষক -০১.০৬.১৮ 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৮.০৮.১৫ 📖 সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক .০১

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖শব্দ ও ধাতুর মূলকে বলে প্রকৃতি। প্রকৃতি মূলত দুই প্রকার। যথা: নাম প্রকৃতি ও ক্রিয়া প্রকৃতি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖প্রকৃতিঃ

যে শব্দকে বা কোনো শব্দের যে অংশকে আর কোনো ক্ষুদ্রতর অংশে ভাগ করা যায় না, তাকে প্রকৃতি বলে।

প্রকৃতি দুই প্রকার। যথা -

১. নাম প্রকৃতি; উদাহরণ - হাত + ল = হাতল (বাঁট)। এখানে, হাত - নাম প্রকৃতি।

২. ক্রিয়া প্রকৃতি; উদাহরণ - √চল্ + অন্ত = চলন্ত (চলমান)। এখানে, চল্ - ক্রিয়া প্রকৃতি।

ক্রিয়া প্রকৃতি বা ক্রিয়া মূলের অন্য নাম - ধাতু।

২৮. সংবিধান শব্দের সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি ?

DPE ২০১৪(৪র্থ পর্যায়) - সহকারী শিক্ষক -০১.০৬.১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖ম্ এরপর অন্তঃস্থ ধ্বনি য, র, ল, ব কিংবা স, শ, ষ, হ থাকলে ম্ স্থলে অনুস্বার হয়। যেমন: সম্ +বিধান = সংবিধান, সম্+ বাদ = সংবাদ, সম্+ সার = সংসার।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖বিশেষ নিয়মে সাধিত কতগুলো সন্ধি হচ্ছে- সম্ + কার = সংস্কার, সম্ + বিধান = সংবিধান, উৎ + স্থাপন = উত্থাপন, সম্ + কৃত = সংস্কৃত ইত্যাদি।

২৯. লোকসাহিত্য কাকে বলে ?

DPE ২০১৪(৪র্থ পর্যায়) - সহকারী শিক্ষক -০১.০৬.১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ


গ্রাম বাংলার সহজ-সরল সাধারণ মানুষের সৃজন ও লালনে গড়ে ওঠা মৌখিক সাহিত্যই হচ্ছে লোকসাহিত্য। সৃজন-বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে লোকসাহিত্য সামাজিক সৃষ্টি, কারণ কালপরম্পরায় বহুজনের সংযোজন, সংশোধন ও পরিমার্জনায় গড়ে ওঠে লোকসাহিত্য। এই বিচারে লোকসাহিত্য হলে- \"collective creation of the folk.

ব্যাখ্যাকারী : 

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖লোকসাহিত্য মৌখিক ধারার সাহিত্য যা অতীত ঐতিহ্য ও বর্তমান অভিজ্ঞতাকে আশ্রয় করে রচিত হয়। একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক পরিমন্ডলে একটি সংহত সমাজমানস থেকে এর উদ্ভব। সাধারণত অক্ষরজ্ঞানহীন পল্লিবাসীরা স্মৃতি ও শ্রুতির ওপর নির্ভর করে এর লালন করে। মূলে ব্যক্তিবিশেষের রচনা হলেও সমষ্টির চর্চায় তা পুষ্টি ও পরিপক্কতা লাভ করে। এজন্য লোকসাহিত্য সমষ্টির ঐতিহ্য, আবেগ, চিন্তা ও মূল্যবোধকে ধারণ করে।

লোকসাহিত্য লোকসংস্কৃতির একটি জীবন্ত ধারা; এর মধ্য দিয়ে জাতির আত্মার স্পন্দন শোনা যায়। তাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একে ‘জনপদের হৃদয়-কলরব’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। লোকসাহিত্যকে প্রধানত লোকসঙ্গীত, গীতিকা, লোককাহিনী, লোকনাট্য, ছড়া, মন্ত্র, ধাঁধা ও প্রবাদ এই আটটি শাখায় ভাগ করা যায়।

৩০. বাড়ি থেকে নদী দেখা যায়- কোন কারকে কোন বিভক্তি ?

DPE ২০১৪(৪র্থ পর্যায়) - সহকারী শিক্ষক -০১.০৬.১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖ক্রিয়ার আধারকে অধিকরণ কারক বলে। অর্থাৎ যে স্থান বা যে বিষয়টি আশ্রয় করে ক্রিয়া সম্পন্ন হয়, সে বিষয়, সময় বা স্থানকে বলা হয় অধিকরণ কারক। যেমন: বাড়ি থেকে নদী দেখা যায় এ বাক্যে রেখা চিহ্নিত অংশটি অধিকরণ কারকে পঞ্চমী বিভক্তি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖বাড়ি থেকে নদী দেখা যায় - অধিকরণ কারকে পঞ্চমী বিভক্তি। 

বাবা বাড়ি নেই - অধিকরণে শূন্য। 

বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে - অধিকরণে শূন্য।

৩১. 'সার্বভৌম' শব্দের সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি ?

DPE ২০১৪(৪র্থ পর্যায়) - সহকারী শিক্ষক -০১.০৬.১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖সার্বভৌম শব্দটি তদ্ধিত প্রত্যয় সাধিত শব্দ। এর সঠিক প্রকৃতি প্রত্যয় সর্বভূমি+ ষ্ঞ= সার্বভৌম।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖সার্বভৌম শব্দটি সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয় সাধিত শব্দ।

দুটি শব্দের দ্বারা গঠিত সমাসবদ্ধ শব্দের অথবা উপসর্গযুক্ত শব্দের সঙ্গে তদ্ধিত প্রত্যয় যুক্ত হয়ে উপসর্গসহ শব্দের বা শব্দ দুটির মূল স্বরের বৃদ্ধি হয়। 

যথা - পরলোক + ষ্ণিক = পারলৌকিক; সুভগ + ষ্য = সৌভাগ্য; সর্বভূমি + ষ্ণ = সার্বভৌম।

৩২. 'নাটিকা' কোন অর্থে স্ত্রীবাচক শব্দ ?

DPE ২০১৪(৪র্থ পর্যায়) - সহকারী শিক্ষক -০১.০৬.১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖নাটক থেকে নাটিকা ক্ষুদ্রার্থে স্ত্রীবাচক শব্দ। আরো কয়েকটি ক্ষুদ্রার্থে স্ত্রীবাচক শব্দ: মালা- মালিকা, গীত- গীতিকা, পুস্তক- পুস্তিকা।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖ক্ষুদ্রার্থে ‘ইকা’ প্রত্যয় যুক্ত হয়ে গঠিত শব্দ - নাটিকা, মালিকা, পুস্তিকা ইত্যাদি। (এগুলো স্ত্রী প্রত্যয় নয়, ক্ষুদ্রার্থক প্রত্যয়)।

৩৩. 'শ্বশ্রু' এর অর্থ কি ?

DPE ২০১৪(৪র্থ পর্যায়) - সহকারী শিক্ষক -০১.০৬.১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖শ্বশ্রূ (বিশেষ্য) - স্বামী বা স্ত্রীর মা; শ্বশুরের স্ত্রী; শাশুড়ি। 

শ্মশ্রু - দাড়িগোফ।

৩৪. Subconscious শব্দটির বাংলা পারিভাষিক শব্দ হলো-

DPE ২০১৪(৪র্থ পর্যায়) - সহকারী শিক্ষক -০১.০৬.১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖Subconscious শব্দটির বাংলা পারিভাষিক শব্দ অবচেতন বা যেসব মানসিক ক্রিয়া-কলাপ সম্বন্ধে মানুষ (পুরোপুরি) সচেতন থাকে না। চেতনাহীন শব্দটির ইংরেজি unconscious.

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖Subconscious - যেসব মানসিক ক্রিয়াকলাপ সম্বন্ধে মানুষ (পুরাপুরি) সচেতন থাকে না, তার সম্বন্ধীয়; অবচেতন।

৩৫. কোন বাক্যে ভাববাচ্যে কর্তার উদাহরণ দেওয়া হয়েছে ?

DPE ২০১৪(৪র্থ পর্যায়) - সহকারী শিক্ষক -০১.০৬.১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖বাক্যের বাচ্য বা প্রকাশভঙ্গি অনুসারে কর্তা ৩ রকম হতে পারে।

যেমন-

১/ কর্মবাচ্যের কর্তা (পুলিশ দ্বারা চোর ধৃত হয়েছে),

২/ ভাববাচ্যের কর্তা (আমার যাওয়া হবে না) এবং

৩/ কর্ম-কর্তৃবাচ্যের কর্তা (কলমটা লেখে ভালো)।

৩৬. যার জ্যোতি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না তাকে বলে-

DPE ২০১৪(৪র্থ পর্যায়) - সহকারী শিক্ষক -০১.০৬.১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖ক্ষণদ্যুতি - বিদ্যুৎ, দামিনী, ক্ষণপ্রভা

সূত্রঃ বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান

এই শব্দগুলি দ্বারা বিদ্যুত, বিজলি ইত্যাদি বোঝানো হয়, যার জ্যোতি ক্ষণস্থায়ী

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖যার জ্যোতি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না = ক্ষণপ্রভা।

ক্ষণপ্রভা শব্দের অন্যান্য অর্থ - বিদ্যুৎ; বিজলি, শমী ইত্যাদি।

৩৭. কোনটিতে মধ্যস্বরলোপ ঘটেছে

DPE ২০১৪(৪র্থ পর্যায়) - সহকারী শিক্ষক -০১.০৬.১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖শব্দের মধ্যস্থ স্বরধ্বনি লোপ পেলে তাকে মধ্যস্বরলোপ বলে । নাতিনীনাতনী, ভগিনিভগ্নি, জানালাজানলা, গামোছাগামছা, বসতিবস্তি, কলিকাতাকলকাতা, ডাকাইতডাকাত, সুবর্ণসর্ণ, তৈয়ারিতৈরি ইত্যাদি ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖শব্দের মধ্যে স্বরধ্বনি লোপ পেলে তাকে মধ্যস্বরলোপ বলে। 

যেমনঃ গামোছা  গামছা; সুবর্ণ  স্বর্ণ; বসতি  বস্‌তি; তৈআরি  তৈরি।

৩৮. "সব ঝিনুকে মুক্তা মেলে না" এই বাক্যে ঝিনুকে শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি ? দানে সপ্তমী

DPE ২০১৪(৪র্থ পর্যায়) - সহকারী শিক্ষক -০১.০৬.১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

যা থেকে কোন কিছু গৃহীত,বিচ্যুত,জাত,বিরত,আরম্ভ,দূরীভূত,রক্ষিত,ভীত হয় তাই অপাদান।সহজ কথা, যা থেকে কোন কিছু বের হয়ে আসে,উৎপত্তি লাভ করে,অভ্যুদয় ঘটে সেটাই অপাদান কারক।যেমনঃ শুক্তি থেকে মুক্তি মেলে,গাছ থেকে পাতা পড়ে ইত্যাদি

ব্যাখ্যাকারী : 

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖যা থেকে কিছু বিচ্যুত, জাত, বিরত, আরম্ভ, উৎপন্ন, দূরীভূত ও রক্ষিত হয় এবং যা দেখে কেউ ভীত হয়, তাকেই অপাদান কারক বলে। 

প্রশ্নোক্ত বাক্যে ঝিনুক থেকে মুক্তা উৎপন্ন হওয়ার কথা বলা হয়েছে। তাই তা অপাদান কারক।

এতে 'এ' বিভক্তি যুক্ত আছে, তাই এটি অপাদানে সপ্তমী বিভক্তি।

৩৯. সন্ন্যাসী এর বিপরীত শব্দ কোনটি?

DPE ২০১৪(তৃতীয় পর্যায়) - সহকারী শিক্ষক -২৬.০৫.১৮ 📖 DPE ২০১৪ (তৃতীয় পর্যায়) পদ : সহকারী শিক্ষক তারিখ: ২৬.০৫.১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'সন্ন্যাসী’ বলতে বোঝায় যারা গৃহ ত্যাগ করে সন্ন্যাস গ্রহণ করেছেন। তাই এর বিপরীত হবে-গৃহী ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖সন্ন্যাসী শব্দের বিপরীত শব্দ গৃহী৷

৪০. সন্ধি বিচ্ছেদ করুন - " ক্ষুৎপিপাসা 

DPE ২০১৪(তৃতীয় পর্যায়) - সহকারী শিক্ষক -২৬.০৫.১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ০

ব্যাখ্যাঃ

🔖দ্ ও ধ্ এরপরে ক, চ, ট, ত, প, খ, ছ, ঠ, থ, ফ থাকলে দ্ ও ধ্ স্থলে অঘোষ অল্পপ্রাণ ধ্বনি হয়। যেমন:

ক্ষুৎপিপাসা = ক্ষুধ্ + পিপাসা;

তৎকাল = তদ্ + কাল প্রভৃতি।

৪১. নিচের শুদ্ধ বানানটি নির্দেশ করুন

DPE ২০১৪(তৃতীয় পর্যায়) - সহকারী শিক্ষক -২৬.০৫.১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖শুদ্ধ বানান হলো বুদ্ধিজীবী । এইরূপ আরো কিছু শুদ্ধ বানান : অশরীরী, অশীতিতম, অশ্বত্থ, অসমীচীন, অসূয়া, অসূর্যম্পশ্যা, অহ্ন, অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖বাংলা একাডেমী আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে ‘বুদ্ধিজীবী’ বানানটি সঠিক।

৪২. নিচের কোনটি যৌগিক স্বরধ্বনির চিহ্ন?

DPE ২০১৪(তৃতীয় পর্যায়) - সহকারী শিক্ষক -২৬.০৫.১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖বাংলা বর্ণমালায় যৌগিক স্বরজ্ঞাপক দুটো বর্ণ রয়েছে : ঐ এবং ঔ। উদাহরণ : কৈ, বৌ। অন্য যৌগিক ঘরের চিহ্ন স্বরূপ কোনাে বর্ণ নেই।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖একাধিক স্বরধ্বনি মিলে যে ধ্বনি সৃষ্টি হয় তাকে যৌগিক স্বরধ্বনি বা দ্বিস্বরধ্বনি বলে।

বাংলা ভাষায় যৌগিক স্বরধ্বনি মোট ২৫টি। এর মধ্যে মাত্র ২টি যৌগিক স্বরধ্বনির নিজস্ব বর্ণ আছে।

যথাঃ (অ+ই) ঐ, (অ+উ) ঔ।

বাকি ২৩ টি যৌগিক স্বরধ্বনির নিজস্ব বর্ণ বা প্রতীক নেই।

৪৩. নিচের কোনটি মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি সমাসের উদাহারণ নয়?

DPE ২০১৪(তৃতীয় পর্যায়) - সহকারী শিক্ষক -২৬.০৫.১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖বহুব্রীহি সমাসের ব্যাখ্যার জন্য ব্যবহৃত বাক্যাংশের কোনো অংশ যদি সমস্তপদে লোপ পায়, তবে তাকে মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি বলে। যেমন: বিড়ালের চোখের ন্যায় চোখ যে নারীর = বিড়ালচোখী, হাতে খড়ি দেওয়া হয় যে অনুষ্ঠানে= হাতেখড়ি , মেনিমুখো ।

বিশেষ্য পূর্বপদের আগে নঞ্ (না অর্থবোধক) অব্যয় যোগ করে বহুব্রীহি সমাস কিরা হলে তাকে নঞ্ বহুব্রীহি বলে। যেমন: বে (নাই) তার = বেতার ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖সমাসে ব্যাখ্যামূলক যে কোন পদ যদি সমস্তপদে লোপ পায় তাকে মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি সমাস বলে। 

যেমন- বিড়ালচোখী, হাতেখড়ি, গায়ে হলুদ, মেনিমুখো ইত্যাদি। 'বেতার' নঞ্▫ বহুব্রীহি সমাসের উদাহরণ।

৪৪. রাবণের চিতা বাগধারাটির অর্থ কী ?

DPE ২০১৪(তৃতীয় পর্যায়) - সহকারী শিক্ষক -২৬.০৫.১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ০

ব্যাখ্যাঃ

🔖রাবণের চিতা - চির অশান্তি।

শাখের করাত - উভয় সংকট।

অগস্ত্য যাত্রা - শেষ বিদায়।

৪৫. কপোল এর প্রতিশব্দ কী?

DPE ২০১৪(তৃতীয় পর্যায়) - সহকারী শিক্ষক -২৬.০৫.১৮ 📖 DPE ২০১৪ (তৃতীয় পর্যায়) পদ : সহকারী শিক্ষক তারিখ: ২৬.০৫.১৮ 📖 পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর-২৪.০৬.১১

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ১

ব্যাখ্যাঃ

🔖'কপোল' এর প্রতিশব্দ বা সমার্থক শব্দ: গাল বা গণ্ড (গণ্ডদেশ)।

৪৬. এবার আমি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি - বাক্যটি কোন কালের ?

DPE ২০১৪(তৃতীয় পর্যায়) - সহকারী শিক্ষক -২৬.০৫.১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ০

ব্যাখ্যাঃ

🔖ক্রিয়া পূর্বে শেষ হলে এবং তার ফল এখনও বর্তমান থাকলে, পুরাঘটিত বর্তমান কাল ব্যবহৃত হয়। যেমন:

এবার আমি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি;

এতক্ষণ আমি অঙ্ক করেছি ইত্যাদি।

৪৭. ডাক্তার ডাক - বাক্যটিতে ' ডাক্তার ' শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?

DPE ২০১৪(তৃতীয় পর্যায়) - সহকারী শিক্ষক -২৬.০৫.১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ১

ব্যাখ্যাঃ

🔖যাকে আশ্রয় করে ক্রিয়া সম্পন্ন হয় তা কর্মকারক। যেমন: ডাক্তার ডাক। আর ডাক্তার এর সাথে কোনো বিভক্তি না থাকায় শূন্য বিভক্তি। তাই উত্তর কর্মে শূন্য বিভক্তি।

৪৮. অহ্ন শব্দের বিপরীত শব্দ -

DPE ২০১৮- সহকারী লাইব্রেরিয়ান কাম ক্যাটালগার এবং উচ্চমান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক -২২.০৬.১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ১০

৪৯. ' যা দীপ্তি পাচ্ছে ' এক কথায় প্রকাশ করুন

DPE ২০১৪(তৃতীয় পর্যায়) - সহকারী শিক্ষক -২৬.০৫.১৮ 📖 কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়➟2013➯C ইউনিট 📖 রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -জবা- ০৯.১২.১১

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ০

ব্যাখ্যাঃ

🔖যা দীপ্তি পাচ্ছে- দেদীপ্যমান।

দেদীপ্যমান শব্দের অর্থ- অতিশয় তেজ বা প্রভা নিয়ে জ্বলছে এমন, জাজ্বল্যমান। প্রদত্ত শব্দটি একটি বিশেষণ পদ।

৫০. বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, পৃথিবীর মুখ দেখিতে চাই না আর - কার লেখা?

DPE ২০১৪(তৃতীয় পর্যায়) - সহকারী শিক্ষক -২৬.০৫.১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ০

ব্যাখ্যাঃ

🔖আলোচ্য লাইনটি জীবনানন্দ দাশের লেখা। চরণটি তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ 'রূপসী বাংলা' থেকে নেয়া হয়েছে তার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ: রূপসী বাংলা, বনলতা সেন, মহাপৃথিবী, বেলা অবেলা কালবেলা প্রভৃতি।

৫১. " এই বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি " এর রচয়িতা কে?

DPE ২০১৪(তৃতীয় পর্যায়) - সহকারী শিক্ষক -২৬.০৫.১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ২

ব্যাখ্যাঃ

🔖উক্ত চরণটির রচয়িতা সুকান্ত ভট্টাচার্য। তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ গুলোর মধ্যে অন্যতম: ঘুম নেই, পূর্বাভাস, হরতাল, অভিমান প্রভৃতি তিনি মাত্র ২০ বছর ৬ মাস জীবিত ছিলেন। তাকে কিশোর কবি বলা হয়।

৫২. ' যার দুই হাত সমান চলে ' এক কথায় কি বলে?

DPE ২০১৪(তৃতীয় পর্যায়) - সহকারী শিক্ষক -২৬.০৫.১৮ 📖 DPE ২০১৪ (তৃতীয় পর্যায়) পদ : সহকারী শিক্ষক তারিখ: ২৬.০৫.১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ০

ব্যাখ্যাঃ

🔖যার দুই হাত সমান চলে/ উভয় হস্তে সমান ভাবে পারদর্শী, তাকে এক কথায় সব্যসাচী বলা হয়।

৫৩. সন্ধি বিচ্ছেদ করুন - কথাচ্ছলে

DPE ২০১৪(তৃতীয় পর্যায়) - সহকারী শিক্ষক -২৬.০৫.১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖স্বরধ্বনির পর ছ থাকলে উক্ত ব্যঞ্জনধ্বনিটি দ্বিত্ব (চ্ছ) হয়। যেমন:

কথাচ্ছলে = কথা + ছলে।

পরিচ্ছদ = পরি + ছদ।

মুখচ্ছবি = মুখ + ছবি প্রভৃতি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖স্বরধ্বনির পর 'ছ' থাকলে উক্ত ব্যঞ্জনধ্বনিটি দ্বিত্ব (চ্ছ) হয়৷ 

যথা- কথা + ছলে = কথাচ্ছলে; আ + ছন্ন = আচ্ছন্ন; পরি + ছদ = পরিচ্ছদ৷

৫৪. চারটি বিরাম চিহ্নের মধ্যে পূর্ণচ্ছেদ কোনটি?

DPE ২০১৪(তৃতীয় পর্যায়) - সহকারী শিক্ষক -২৬.০৫.১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖পূর্ণচ্ছেদ চিহ্ন বাক্যের সমাপ্তি নির্দেশ করে। যেমন: দাঁড়ি, প্রশ্নচিহ্ন প্রভৃতি পূর্ণচ্ছেদ চিহ্ন।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖দাঁড়ি (।) পূর্ণচ্ছেদ চিহ্ন, এর ব্যবহারের ফলে এক সেকেন্ড বিরতি দিতে হয়৷ 

দাড়ি, জিজ্ঞাসা চিহ্ন (?) এবং বিস্ময়চিহ্ন (!) বাক্যের শেষে ব্যবহৃত হয়৷ 

হাইফেন (-) চিহ্নে থামার প্রয়োজন নেই, সেমিকোলন (;) চিহ্নে বিরতি-কাল হবে ১ বলার দ্বিগুণ সময়৷ 

ড্যাস (–) চিহ্নে এক সেকেন্ড থামতে হয়৷

৫৫. লাজওয়াব শব্দটির " লা " কোন ধরনের উপসর্গ?

DPE ২০১৪(তৃতীয় পর্যায়) - সহকারী শিক্ষক -২৬.০৫.১৮ 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2016➯A ইউনিট 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2012➯B ইউনিট

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ০

ব্যাখ্যাঃ

🔖বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত আরবি উপসর্গ মূলত যথা: আম, খাস, গর, লা।

৫৬. নোবেল পুরষ্কার প্রবর্তকের মূল আবিষ্কার প্রধানত কী কাজে ব্যবহৃত হয়?

DPE ২০১৪(তৃতীয় পর্যায়) - সহকারী শিক্ষক -২৬.০৫.১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ০

ব্যাখ্যাঃ

🔖আলফ্রেড নোবেল ডিনামাইট আবিষ্কার করেছিলেন। ১৯০১ সাল থেকে ৫টি বিষয়ে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়। বর্তমানে ৬ টি বিষয়ে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়।

৫৭. আগুনের পরশমনি - উপন্যাসের উপজীব্য বিষয় কি?

DPE ২০১৪(তৃতীয় পর্যায়) - সহকারী শিক্ষক -২৬.০৫.১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ০

ব্যাখ্যাঃ

🔖'আগুনের পরশমনি' হুমায়ূন আহমেদ রচিত একটি বিখ্যাত মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক উপন্যাস। এটি প্রকাশিত হয় ১৯৮৬ সালে।

৫৮. কৈশোর - শব্দের প্রকৃতি ও প্রত্যয় কোনটি?

DPE ২০১৪(তৃতীয় পর্যায়) - সহকারী শিক্ষক -২৬.০৫.১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ১

ব্যাখ্যাঃ

🔖কিশোর + ষ্ণ = কৈশোর (তদ্ধিত প্রত্যয় সাধিত)। 'ষ্ণ (অ)' প্রত্যয় যোগে গঠিত কতিপয় শব্দ:

মনু + ষ্ণ = মানব,

শিব + ষ্ণ = শৈব,

শিশু + ষ্ণ = শৈশব,

পৃথিবী + ষ্ণ = পার্থিব।

৫৯. একই সময়ে - এর সমার্থক কী?

DPE ২০১৮- সহকারী লাইব্রেরিয়ান কাম ক্যাটালগার এবং উচ্চমান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক -২২.০৬.১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ৩

ব্যাখ্যাঃ

🔖যুগপৎ: (অব্যয় পদ , ক্রিয়া বিশেষণ পদ) একই সময়ে, একসঙ্গে।

৬০. বাংলা বর্নমালায় অর্ধমাত্রার বর্ন কয়টি?

DPE ২০১৮- সহকারী লাইব্রেরিয়ান কাম ক্যাটালগার এবং উচ্চমান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক -২২.০৬.১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ১

ব্যাখ্যাঃ

🔖বাংলা বর্ণমালায় অর্ধমাএার বর্ণ ৮ টি

৬১. কোন বাগধারাটি ভিন্নার্থক?

DPE ২০১৮- সহকারী লাইব্রেরিয়ান কাম ক্যাটালগার এবং উচ্চমান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক -২২.০৬.১৮ 📖 শিক্ষা অফিসার-১৯.০৩.০৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ১

ব্যাখ্যাঃ

🔖সাপে - নেউলে, আদায়-কাচঁকলা, অহি - নকুল এই তিনটি বাগধারার অর্থ একই ভীষণ শত্রুতা ।

উত্তম-মধ্যম বাগধারাটি ভিন্নার্থক।

উত্তম-মধ্যম (প্রহর) – উত্তম-মধ্যম দিয়ে গ্রামবাসীরা চোরটাকে ছেড়ে দিল।

৬২. দ্বৈপায়ন - শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি ?

DPE ২০১৮- সহকারী লাইব্রেরিয়ান কাম ক্যাটালগার এবং উচ্চমান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক -২২.০৬.১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ০

ব্যাখ্যাঃ

🔖দ্বৈপায়ন - শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ = দ্বীপ + অয়ন

৬৩. কোনটি বাংলা উপসর্গ?

DPE ২০১৮- সহকারী লাইব্রেরিয়ান কাম ক্যাটালগার এবং উচ্চমান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক -২২.০৬.১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ০

ব্যাখ্যাঃ

🔖বাংলা ভাষায় খাঁটি বাংলা উপসর্গ রয়েছে ২১ টি। এগুলো হচ্ছে- অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আব, আন, ইতি, উন, কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা। এবং সংস্কৃত উপসর্গের সংখ্যা ২০ টি।

৬৪. বাঘে মহিষে এক ঘাটে জল খায়। এখানে বাঘে মহিষে কোন ধরনের কর্তা?

DPE ২০১৮- সহকারী লাইব্রেরিয়ান কাম ক্যাটালগার এবং উচ্চমান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক -২২.০৬.১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ১

ব্যাখ্যাঃ

🔖কোনো বাক্যে যে দুটো কর্তা একত্রে একজাতীয় ক্রিয়া সম্পাদন করে, তাদের ব্যতিহার কর্তা বলে।

যেমন- বাঘে-মহিষে এক ঘাটে জল খায়।

৬৫. যিনি স্মৃতি শাস্ত্র জানেন - এক কথায় কি বলে ?

DPE ২০১৮- সহকারী লাইব্রেরিয়ান কাম ক্যাটালগার এবং উচ্চমান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক -২২.০৬.১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ২

ব্যাখ্যাঃ

🔖স্মৃতিশাস্ত্রে পণ্ডিত যিনি=শাস্ত্রজ্ঞ।

স্মৃতি শাস্ত্র রচনা করেন যিনি=শাস্ত্রকার।

যিনি স্মৃতি শাস্ত্র জানেন=স্মার্ত।

৬৬. কুশীলব কোন সমাসের উদাহারণ?

DPE ২০১৮- সহকারী লাইব্রেরিয়ান কাম ক্যাটালগার এবং উচ্চমান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক -২২.০৬.১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ২

ব্যাখ্যাঃ

🔖যে সমাসে প্রতিটি সমস্যমান পদের অর্থের সমান প্রাধান্য থাকে এবং ব্যাসবাক্যে একটি সংযোজক অব্যয়(কখনো বিয়োজক)দ্বারা যুক্ত থাকে, তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে।

উদাহরণ

কুশীলব = কুশ ও লব,

দম্পতি = জায়া ও পতি,

আমরা = তুমি, আমি ও সে,

জন মানব = জন ও মানব,

সত্যাসত্য = সত্য ও অসত্য,

ক্ষুৎপিপাসা = ক্ষুধা ও পিপাসা,

হিতাহিত = হিত ও অহিত,

অহি নকুল = অহি ও নকুল,

তরু লতা = তরু ও লতা,

সাত সতের = সাত ও সতের,

লাভালাভ = লাভ ও অলাভ।

৬৭. সর্বভূক শব্দের সমার্থক শব্দ কোনটি ?

DPE ২০১৮- সহকারী লাইব্রেরিয়ান কাম ক্যাটালগার এবং উচ্চমান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক -২২.০৬.১৮ 📖 Pubali Bank Ltd - Junior Officer/Junior Officer(Cash) - 18.07.14

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ২

ব্যাখ্যাঃ

🔖সর্বভূক এর সমার্থক শব্দ- অগ্নি, অনল, পাবক, আগুন, দহন, শিখা, হুতাশন, বহ্নি, বৈশ্বানর, কৃশানু, বিভাবসু, সর্বশুচি।

৬৮. নিচের কোন বাক্যটি সঠিক?

DPE ২০১৮- সহকারী লাইব্রেরিয়ান কাম ক্যাটালগার এবং উচ্চমান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক -২২.০৬.১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

আমার কথাই প্রমাণিত হলো বাক্যটি সঠিক কারণ এটি কর্মবাচ্যের সঠিক প্রয়োগ। কর্মবাচ্যে সাধারণত কর্তার পরে বিশেষণ বসে। এখানে প্রমাণিত বিশেষণ।

৬৯. যা কষ্টে নিবারন করা যায় - বাক্য সংকোচন করুন

DPE ২০১৮- সহকারী লাইব্রেরিয়ান কাম ক্যাটালগার এবং উচ্চমান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক -২২.০৬.১৮ 📖 খাদ্য অধিদপ্তরে সহকারী উপখাদ্য পরিদর্শক/সহকারী অপারেটর/সাঁট মুদ্রাক্ষরিক/সাঁট লিপিকার-২৪.০৪.০৯ 📖 Pubali Bank Ltd - Junior Officer (Cash) - 17.05.13

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ২

ব্যাখ্যাঃ

🔖যা কষ্টে নিবারণ করা যায় - দুর্নিবার

যা নিবারণ করা যায় না - অনিবার্য

নির্বাণ বা মুক্তিলাভ হয়নি এমন - অনির্বাণ

৭০. কোন বানানটি শুদ্ধ?

DPE ২০১৮- সহকারী লাইব্রেরিয়ান কাম ক্যাটালগার এবং উচ্চমান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক -২২.০৬.১৮ 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - হোয়াংহো- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖শুদ্ধ বানান উন্মীলন । এরূপ আরো কয়েকটি সঠিক বানান হলো সমীচীন, নিশীথিনী, মুহুর্মুহু, মধ্যাহ্ন, স্বায়ত্তশাসন, মুমূর্ষু, পিপীলিকা ইত্যাদি ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖উন্মীলন (বিশেষ্য) -

১. চোখ মেলে চাওয়া; চোখ খোলা।

২. বিকাশ।

৩. উদ্‌ঘাটন; উন্মোচন।

৭১. হাতেম তায়ী - গ্রন্থটির রচয়িতা কে?

DPE ২০১৮- সহকারী লাইব্রেরিয়ান কাম ক্যাটালগার এবং উচ্চমান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক -২২.০৬.১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ০

ব্যাখ্যাঃ

🔖হাতেম তায়ী গ্রন্থ টি ফররুখ আহমদ রচিত এটি ১৯৬৬ সালে প্রকাশিত হয়

৭২. ব্যাঘাত এর বিশেষণ -

DPE ২০১৮- সহকারী লাইব্রেরিয়ান কাম ক্যাটালগার এবং উচ্চমান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক -২২.০৬.১৮ 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2003➯খ ইউনিট

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ০

ব্যাখ্যাঃ

🔖ব্যাঘাত : (বিশেষ্য পদ) বিঘ্ন, প্রতবিন্ধ।

ব্যাহত : (বিশেষণ পদ) বাধাপ্রাপ্ত, নিবারিত, প্রতিরুদ্ধ, নিষিদ্ধ, বিকলীকৃত।

৭৩. খেচর কোন সমাস -

DPE ২০১৮- সহকারী লাইব্রেরিয়ান কাম ক্যাটালগার এবং উচ্চমান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক -২২.০৬.১৮ 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟1992➯গ ইউনিট 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2008➯E ইউনিট

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ২

ব্যাখ্যাঃ

🔖উপপদ তৎপুরুষ সমাস :যে পদের পরবর্তী ক্রিয়ামূল এর সাথে কৃৎ প্রত্যয় যুক্ত হয় সে পদকে উপপদ বলে। আর কৃদন্ত পদের সাথে উপপদের যে সমাস হয় তাকে বলে উপপদ তৎপুরুষ সমাস।

যেমন:আকাশে চরে যা-খেচর।

৭৪. কোনটি অপিনিহিতির উদাহরণ ?

DPE ২০১৮- সহকারী লাইব্রেরিয়ান কাম ক্যাটালগার এবং উচ্চমান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক -২২.০৬.১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ০

ব্যাখ্যাঃ

🔖পরের ই-কার আগে উচ্চারিত হলে বা যুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনির আগে ই-কার বা উ-কার উচ্চারিত হলে তাকে অপিনিহিতি বলে। অর্থাৎ পরের 'ই' কার ও 'উ' কার আগেই উচ্চারিত হওয়ার রীতিকে অপিনিহিতি (Apenthesis) বলে।

যেমন- আজি  আইজ, সাধু  সাউধ, রাখিয়া  রাইখ্যা, বাক্য  বাইক্য, সত্য  সইত্য, চারি  চাইর, মারি মাইর।

৭৫. We mean business. বাক্যটির যথার্থ অনুবাদ

DPE ২০১৮- সহকারী লাইব্রেরিয়ান কাম ক্যাটালগার এবং উচ্চমান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক -২২.০৬.১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ০

ব্যাখ্যাঃ

🔖We mean business. বাক্যটির যথার্থ অনুবাদ- আমরা কাজ নিয়ে থাকি।

৭৬. অধিত্যকা শব্দের বিপরীত শব্দ কোনটি ?

DPE ২০১৮- সহকারী লাইব্রেরিয়ান কাম ক্যাটালগার এবং উচ্চমান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক -২২.০৬.১৮ 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - গামা- ১৮.০৪.১৪ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -ঢাকা বিভাগ- ১৮.০৪.০৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ০

ব্যাখ্যাঃ

🔖অধিত্যকা এর বিপরীত শব্দ উপত্যকা।

অন্ধকার - আলো

তিরোভাব - আবির্ভাব

হালকা - ভারী

৭৭. কোনটি বাংলা উপসর্গ ? 

DPE ২০১৮- সহকারী লাইব্রেরিয়ান কাম ক্যাটালগার এবং উচ্চমান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক -২২.০৬.১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ০

ব্যাখ্যাঃ

🔖বাংলা ভাষায় খাঁটি বাংলা উপসর্গ রয়েছে ২১ টি। এগুলো হচ্ছে- অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আব, আন, ইতি, উন, কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা। এবং সংস্কৃত উপসর্গের সংখ্যা ২০ টি।

৭৮. ”বিকৃত” শব্দের প্রকৃতি ও প্রত্যয় নির্ণয় কর?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ১৬.১০.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”বিকৃত” শব্দের প্রকৃতি ও প্রত্যয় নির্ণয় হচ্ছে বি+কৃ+ত।

সূত্র : বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধান পৃষ্ঠা ৮৬৭ নং অনুযায়ী বিকৃত এর সঠিক প্রকৃতি ও প্রত্যয় হলো বি+√কৃ+ত(ক্ত)।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖‘বিকৃত’ শব্দের সঠিক প্রকৃতি ও প্রত্যয় - বি + √কৃ + ত(ক্ত)।

প্রশ্নে সঠিক উত্তর না থাকায় বাতিল করা হল।

৭৯. ”সন্ধি” ব্যাকরণের কোন অংশের আলোচ্য বিষয়?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ১৬.১০.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”সন্ধি” ব্যাকরণের ধ্বনিতত্ত্ব অংশের আলোচ্য বিষয়।

সব ভাষার ব্যাকরণের প্রধানত চারটি বিষয়ের আলোচনা হয় ধ্বনিতত্ত্ব, শব্দতত্ত্ব বা রূপতত্ত্ব, বাক্যতত্ত্ব এবং অর্থতত্ত্ব। সন্ধি ব্যাকরণের ধ্বনিতত্ত্ব অংশে আলোচিত হয়। ধ্বনির উচ্চারণ প্রণালী, উচ্চারণের স্থান, বর্ণ বিন্যাস, ধ্বনি সংযোগ বা সন্ধি, ধ্বনির পরিবর্তন ও লোপ, ণত্ব ও ষত্ব বিধান ইত্যাদি ধ্বনিতত্ত্বের আলোচ্য বিষয়।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖ব্যাকরণের আলোচ্য বিষয় চারটি। ১. ধ্বনিতত্ত্ব, ২. রূপতত্ত্ব বা শব্দতত্ত্ব, ৩. বাক্যতত্ত্ব এবং ৪. অর্থতত্ত্ব। 

এরমধ্যে 'সন্ধি' ব্যাকরণের ধ্বনিতত্ত্বে আলোচিত হয়। 

এছাড়াও ধ্বনির উচ্চারণ প্রণালী, উচ্চারণের স্থান, বর্ণের বিন্যাস, যুক্ত-ব্যঞ্জন, ণ-ত্ব ও ষ-ত্ব বিধানও ধ্বনিতত্ত্বের আলোচ্য বিষয়ের অন্তর্ভূক্ত।

৮০. কোনটি খাঁটি বাংলা উপসর্গ?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ১৬.১০.১৫ 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৭.০৬.১৫ 📖 প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖অজানা খাঁটি বাংলা উপসর্গ।

বাংলা ভাষায় এমন কতগুলো অব্যয়সূচক শব্দাংশ রয়েছে, যা স্বাধীন পদ হিসেবে বাক্যে ব্যবহৃত হতে পারে না। এগুলো অন্য শব্দের আগে বসে। বাংলা উপসর্গ সাধারণত বাংলা শব্দের পূর্বে যুক্ত হয়ে থাকে। বাংলা উপসর্গ মোট 21 টি। জানা শব্দের পূর্বে অ উপসর্গ যুক্ত হয় শব্দ সৃষ্টি হয়েছে অজানা।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖প্রশ্নে বোঝানো হয়েছে খাঁটি বাংলা উপসর্গ যোগে গঠিত শব্দ। 

খাঁটি বাংলা উপসর্গ হলো ২১টি৷ যথা: অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, ঊন, কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু এবং হা। 

'অ' উপসর্গটি ''না অর্থে, নিন্দিত অর্থে এবং ক্রমাগত অর্থে ব্যবহৃত হতে পারে৷ 

যেমনঃ অকাজ, অকেজো, অপয়া, অকাট, অকাল, অগোছালো (নিন্দিত অর্থে)। 

অচিন, অচেনা, অজানা, অথৈ, অখুশি, অদেখা, অবাঙালি, অমিল (না অর্থে)। 

অঝোর, অঝোরে, অঘোরে (ক্রমাগত অর্থে)৷

৮১. ”সূর্য” এর সমার্থক প্রতিশব্দ--

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ১৬.১০.১৫ 📖 জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়➟2007➯খ ইউনিট 📖 ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়➟2009➯C ইউনিট

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”সূর্য” এর সমার্থক প্রতিশব্দ-- মিহির।

হিরণ শব্দের সমার্থক শব্দ স্বর্ণ, সোনা, সুবর্ণ ইত্যাদি। দ্যুলোক শব্দের সমার্থক শব্দ হচ্ছে স্বর্গ, স্বর্গলোক, অমরাবতী ইত্যাদি। মিহির শব্দের সমার্থক শব্দ রবি, আফতাব, ভানু, আদিত্য ইত্যাদি। ধরিত্রী শব্দের সমার্থক শব্দ ধরা, ধরণী, বসুন্ধরা ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖সূর্য শব্দের সমার্থক শব্দ মিহির, আদিত্য, দিবাকর, ভাস্কর, ভানু, মার্তণ্ড, রবি, সবিতা, অর্ক, বিভাকর দিবাবসু, অরুণ, দ্যুমণি, প্রভাকর ইত্যাদি৷ 

হিরণ - স্বর্ণ, হেম, সুবর্ণ। 

দ্যু, দ্যুলোক - স্বর্গ, আকাশ।

৮২. কোন বাক্যটি শুদ্ধ?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ১৬.১০.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖সংশয় শব্দটি একটি বিশেষ্যপদ, যার বিশেষণ হলো সংশয়াপূর্ণ। সংশয়াপূর্ণ শব্দটির অর্থ সন্দেহপূর্ণ বা দ্বিধাপূর্ণ। 

উপরিউক্ত বাক্যে তাহার জীবন সংশয়াপূর্ণ দ্বারা গভীর অনিশ্চয়তা প্রকাশ করা হয়েছে।

৮৩. ”পঞ্চম স্বর”-এর অর্থ কী?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ১৬.১০.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”পঞ্চম স্বর”-এর অর্থ কোকিলের সুরলহরী।

পঞ্চম স্বর বা পঞ্চম রাগ এর অর্থ স্বরগ্রামের পঞ্চম স্বর; 'পা' নাম স্বর বা কোকিলের স্বর। উপরিউক্ত কোকিলের সুরলহরীই সঠিক।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖পঞ্চম স্বর, পঞ্চম রাগ (বিশেষ্য) - স্বরগ্রামের পঞ্চম স্বর; ‘পা’ নাম স্বর; কোকিলের স্বর।

৮৪. ”ব্যর্থ” শব্দটির সন্ধি বিচ্ছেদ হলো--

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ১৬.১০.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”ব্যর্থ” শব্দটির সন্ধি বিচ্ছেদ হলো-- বি+অর্থ।

ব্যর্থ শব্দের অর্থ বৃথা, বিফল, নিষ্ফল। সংস্কৃত বি এর সাথে অর্থযক্ত হয়ে শব্দটি গঠিত।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖'ব্যর্থ' শব্দটি হলো তৎসম স্বরসন্ধির উদাহরণ। 'ই' বা 'ঈ' ধ্বনির সঙ্গে অন্য স্বরধ্বনি মিললে ই বা ঈ–র জায়গায় য–ফলা (্য) হয়৷ বানানে বা লেখার সময় তা পরের স্বরধ্বনির সঙ্গে যুক্ত হয়৷ 

যেমনঃ বি + অর্থ = ব্যর্থ, 

অতি + অন্ত = অত্যন্ত, 

প্রতি + অক্ষ = প্রত্যক্ষ, 

ইতি + আদি = ইত্যাদি, 

বি + অবস্থা = ব্যবস্থা ইত্যাদি৷

৮৫. A beggar must not be a chooser-এ বাক্যের যথার্থ অনুবাদ--

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ১৬.১০.১৫ 📖 সহকারী শিক্ষা অফিসার-১৫.০৪.০৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖A beggar must not be a chooser-এ বাক্যের যথার্থ অনুবাদ-- ভিক্ষার চাল কাঁড়া আর আকাঁড়া।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖Don’t look a gift horse in the mouth.

ভিক্ষার চাল, কাঁড়া আর আকাঁড়া।

Beggars must not be choosers. 

ভিক্ষার চাল, কাঁড়া আর আকাঁড়া।

৮৬. কোন দুটি মূল স্বরধ্বনি নয়?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ১৬.১০.১৫ 📖 সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা-১৩.০১.০৭

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖ঐ, ঔ দুটি মূল স্বরধ্বনি নয়।

বাংলা ভাষায় মৌলিক স্বরধ্বনি সাতটি। যথা- অ, আ, ই, উ, এ, অ্যা, ও। অপরদিকে বাংলা ভাষার যৌগিক স্বরধ্বনির সংখ্যা ২৫ টি। বাংলা বর্ণমালায় যৌগিক স্বর জ্ঞাপক দুটি বর্ণ ঐ এবং ঔ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖একাধিক স্বরধ্বনি মিলে যে ধ্বনি সৃষ্টি হয় তাকে যৌগিক স্বরধ্বনি বা দ্বিস্বরধ্বনি বলে।

বাংলা ভাষায় যৌগিক স্বরধ্বনি মোট ২৫টি। এর মধ্যে শুধু ২টি যৌগিক স্বরধ্বনির নিজস্ব বর্ণ আছে। যথাঃ অ + ই = ঐ, অ + উ = ঔ।

বাকি ২৩ টি যৌগিক স্বরধ্বনির নিজস্ব বর্ণ বা প্রতীক নেই।

৮৭. কোনটি সঠিক?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ১৬.১০.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖প্রদত্ত অপশন গুলোর মধ্যে পথের দাবি (উপন্যাস) এটি সঠিক।

'পথের দাবী' শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের একটি উপন্যাস। 'একাত্তরের দিনগুলি' জাহানারা ইমামের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক স্মৃতিচারণ মূলক গ্রন্থ। 'গোরা' রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রাজনৈতিক উপন্যাস। 'বিদ্রোহী' হলো কাজী নজরুল ইসলামের একটি কবিতা।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖জাহানারা ইমাম রচিত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একটি শিহরণমূলক ও মর্মস্পর্শী ঘটনাবৃত্তান্ত হলো 'একাত্তরের দিনগুলি'। 

❏ 'গোরা' রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত বৃহত্তম এবং অনেকের মতে তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠ উপন্যাস৷ 

❏ 'বিদ্রোহী' কবিতাটি কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত একটি কবিতা যা তার প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ 'অগ্নি-বীণা'র অন্তর্গত। 

❏'পথের দাবী' শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত একটি রাজনৈতিক উপন্যাস। এক গুপ্ত বিপ্লবী দলের নায়ক 'সব্যসাচী' এই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র৷ গ্রন্থটি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে নিষিদ্ধ হয়।

৮৮. নিচের কোন শব্দে “ণ”-এর ভুল প্রয়োগ রয়েছে?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ১৬.১০.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖ক্রন্দণ শব্দে “ণ”-এর ভুল প্রয়োগ রয়েছে।

বাংলা ভাষায় বহুৎ তৎসম বা সংস্কৃত শব্দে মর্ধান্য-ণ এবং দন্তন্য-ন এর ব্যবহার আছে। তা বাংলায় অবিকৃতভাবে রক্ষিত হয়। সংস্কৃত ক্রন্দন শব্দটি গঠিত হয়েছে √ক্রন্দ + অন। চাণক্য মাণিক্য গণ শব্দের স্বভাবতই মূর্ধন্য-ণ হয়।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖চাণক্য, মাণিক্য, গণ শব্দগুলোতে ‘ণ’ এর সঠিক প্রয়োগ ঘটেছে৷ কিন্তু ‘ক্রন্দণ’ শব্দে ‘ণ’ এর ভুল প্রয়োগ রয়েছে৷ এর সঠিক বানান হলো 'ক্রন্দন'।

৮৯. ”মরি মরি! কি সুন্দর প্রভাতের রূপ” -বাক্যে ”মরি মরি” কোন শ্রেণির অব্যয়?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ১৬.১০.১৫ 📖 18th BCS General Oct, 1996

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”মরি মরি! কি সুন্দর প্রভাতের রূপ” -বাক্যে ”মরি মরি” অনন্বয়ী শ্রেণির অব্যয়।

যে সকল অব্যয় বাক্যের অন্যদের সঙ্গে কোন সম্বন্ধ না রেখে স্বাধীনভাবে নানাবিধ ভাব প্রকাশে ব্যবহৃত হয়, তাদের অনন্বয়ী অব্যয় বলে। যেমন উচ্ছাস প্রকাশের মরি মরি! কি সুন্দর প্রভাতের রূপ! এছাড়া স্বীকৃতি বা অস্বীকৃতি সম্মতি প্রকাশে, যন্ত্রণা প্রকাশে, সম্ভাবনায় ইত্যাদিতে অনন্বয়ী অব্যয় হয়।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖যে সকল অব্যয় বাক্যের অন্য পদের সঙ্গে কোন সম্বন্ধ না রেখে স্বাধীনভাবে নানাবিধ ভাব প্রকাশের ব্যবহৃত হয়, তাদের অনন্বয়ী অব্যয় বলে। 

বাক্যে ‘মরি মরি’ অনন্বয়ী অব্যয়। এর দ্বারা উচ্ছ্বাস অর্থ প্রকাশ পেয়েছে।

৯০. ”বিদিত” শব্দটির বিপরীত শব্দ কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ১৬.১০.১৫ 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - রাইন- ০৮.১১.১৩ 📖 Two Combined Bank Recruitment Test Post: Officer - 28/09/2018

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”বিদিত” শব্দটির বিপরীত শব্দ অজ্ঞাত।

বিদিত শব্দটি বিশেষণ পদ যার অর্থ পরিজ্ঞাত, অবগত, জেনেছে এমন। এর বিপরীত শব্দ অজ্ঞাত।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖বিদিত - অবগত বা জানা আছে এমন, জ্ঞাত। অবিদিত - অজ্ঞাত, অজানা। 

অর্থাৎ, বিদিত শব্দের বিপরীত শব্দ অজ্ঞাত বা অবিদিত৷

৯১. ”অপমানের চেয়ে মৃত্যু শ্রেয়” -কোনটি সঠিক অনুবাদ?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ১৬.১০.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”অপমানের চেয়ে মৃত্যু শ্রেয়” বাক্যটির সঠিক অনুবাদ হচ্ছে Death is preferable to dishonour.

Preferable শব্দটি comparative এর meaning বহন করে বলে এর পূর্বে more শব্দটির প্রয়োজন নেই। আবার preferable এরপর then না বসে 'to' হয়। সুতরাং Death is preferable to dishonour বাক্যটির সঠিক।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖Preferable এর সাথে to হয় এবং preferable একটি comparative quantifier বলে এর আগে more ব্যবহার করতে হয় না। 

যেমনঃ Surely a diplomatic solution is preferable to war. Death is preferable to dishonour.

৯২. ”জায়া ও পতি” সমাস করলে কি হয়?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ১৬.১০.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”জায়া ও পতি” সমাস করলে হয় দম্পতি।

দম্পতি দ্বন্দ্ব সমাসের উদাহরণ। আবার যে সমাসে অন্যান্য পদের বিলুপ্তি ঘটে প্রথম পদটির সঙ্গে শেষ পদটির সামঞ্জস্য রচিত হয় তাকে বলা হয় একশেষ দ্বন্দ্ব। সুতরাং এটি একটি একশেষ দ্বন্দ্ব সমাস।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖যে সমাসে প্রত্যেকটি সমস্যমান পদের অর্থের প্রাধান্য থাকে এবং সংযোজক অব্যয় লোপ পায় তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে।

যেমন- জায়া ও পতি = দম্পতি, পিতা ও পুত্র = পিতাপুত্র, আয় ও ব্যয় = আয়-ব্যয়।

৯৩. ”মান্দারিন” কোন দেশের ভাষা?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ১৬.১০.১৫ 📖 ১০ম বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন পরীক্ষা-(স্কুল/সমপর্যায়-২)-৩০.০৫.১৪ 📖 ৯ম বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন পরীক্ষা-২৩.০৮.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”মান্দারিন” চীন দেশের ভাষা।

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মানুষের মুখের ভাষা মান্দারিন। এটি চীনের ভাষা। জাপান, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের ভাষার যথাক্রমে জাপানিজ, থাই ও ভিয়েতনামিজ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖চীনের ভাষা - মান্দারিন। 

থাইল্যান্ডের ভাষা - থাই৷ 

ভিয়েতনামের ভাষা - ভিয়েতনামিজ৷ 

জাপানের ভাষা - জাপানিজ৷

৯৪. ”মৃন্ময়” শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ --

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ১৬.১০.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”মৃন্ময়” শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ -- মৃৎ + ময়।

মৃন্ময় শব্দটির অর্থ মাটির তৈরি, মৃত্তিকা নির্মিত বা মেটে। সংস্কৃত √মৃদ্ এর সাথে ক্বিপ যুক্ত হয়ে মৃন্ময় শব্দটি গঠিত।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖ত্ [ৎ] কিংবা দ্ –এর পরে ম্ থাকলে সন্ধিতে ত্ বা দ্ এর জায়গায় ন্ হয়৷ 

মৃন্ময়-এর সন্ধি বিচ্ছেদ হলো মৃৎ + ময়৷ এটি একটি তৎসম ব্যঞ্জনসন্ধির উদাহরণ৷

৯৫. ”সুরঞ্জনা ওইখানে যেয়নাকো তুমি” -কোন কবি এ কথা বলেছিলেন?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ১৬.১০.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖কবি জীবনানন্দ দাশ

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖সুরঞ্জনা, ওইখানে যেয়ো নাকো তুমি

বোলোনাকো কথা ওই যুবকের সাথে;

ফিরে এসো সুরঞ্জনা:

নক্ষত্রের রূপালি আগুন ভরা রাতে; 

ফিরে এসো এই মাঠে, ঢেউয়ে; 

ফিরে এসো হৃদয়ে আমার;

➝ কবিতা - আকাশলীনা (১৯৪৮) 

 — লিখেছেন - জীবনানন্দ দাশ

কবিতাটি 'সাতটি তারার তিমির' কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত।

৯৬. "The spirit of Islam" বইটির লেখক কে?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ১৬.১০.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖"The spirit of Islam" বইটির লেখক সৈয়দ আমীর আলী।

সৈয়দ আমির আলী (জন্ম: ৬ই এপ্রিল, ১৮৪৯-মৃত্যু: ৩রা আগস্ট, ১৯২৮) ছিলেন একজন ভারতীয় মুসলিম আইনজ্ঞ যিনি কলকাতা হাইকোর্টের প্রথম মুসলিম বিচারপতি ছিলেন। এছাড়াও তিনি ছিলেন একাধারে একজন আইনজ্ঞ, সমাজ সংস্কারক এবং লেখক। তিনি ইসলামের ইতিহাস নিয়ে কয়েকটি বিখ্যাত বই লিখেছিলেন। তার বইগুলোর মধ্যে অন্যতম হল "দ্যা স্প্রিট অফ ইসলাম"। এই বইটিই পরবর্তীকালে ব্রিটিশ রাজের সময় ভারতের আইনে মুসলিম আইন প্রবর্তন করার পেছনে ভূমিকা রেখেছিল। সৈয়দ আমীর আলী অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। উনিশ শতকের আশির দশকে তিনি ভারতীয় মুসলমানদের রাজনৈতিক জাগরণের উদ্যোক্তা ছিলেন।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖'The Spirit of Islam' এবং 'A History of Saracens' সৈয়দ আমীর আলী রচিত দুটো বিখ্যাত বই।

 উনিশ ও বিশ শতকে যে কজন মুসলিম মনিষী বাংলার মুসলমানদের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন, তাদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম। তিনি ১৮৭৭ সালে কলকাতায় সেন্ট্রাল মোহামেডান অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠা করেন। 

সৈয়দ আমির আলি প্রথম ভারতীয় হিসেবে ১৯০৯ সালে লন্ডনের প্রিভি কাউন্সিলের সদস্য হন। ১৯১২ সালে মুসলিম লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।

৯৭. ”দম্পতি” কোন সমাস?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ১৬.১০.১৫ 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2009➯C ইউনিট 📖 মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়➟2011➯D ইউনিট

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”দম্পতি” দ্বন্দ্ব সমাস।

যে সমাসে অন্যান্য পদের বিলুপ্তি ঘটে প্রথম পদটির সঙ্গে শেষ পদটির সামঞ্জস্য রচিত হয় তাকে বলে একশেষ দ্বন্দ্ব। সুতরাং দম্পতি একশেষ দ্বন্দ্ব সমাস।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖যে সমাসে প্রত্যেকটি সমস্যমান পদের অর্থের প্রধান্য থাকে এবং সংযোজক অব্যয় লোপ পায় তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে।

যেমন- জায়া ও পতি = দম্পতি, পিতা ও পুত্র = পিতাপুত্র, আয় ও ব্যয় = আয়-ব্যয়।

৯৮. ”একাদশে বৃহস্পতি” এর অর্থ কী?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ১৬.১০.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”একাদশে বৃহস্পতি” এর অর্থ সৌভাগ্যের বিষয়।

একাদশে বৃহস্পতি বাগধারাটির অর্থ- সৌভাগ্যের বিষয়, সৌভাগ্য পূর্ণ। পোয়াবারো বাগধারাটির অর্থ- সৌভাগ্য।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖'একাদশে বৃহস্পতি' একটি বাগধারা। এর অর্থ - সৌভাগ্যের বিষয়।

৯৯. ”ঠাকুর” পরিবারের আসল পদবি ছিল--

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ১৬.১০.১৫ 📖 ৬ষ্ঠ বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস প্রিলিমিনারী পরীক্ষা, .১১

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”ঠাকুর” পরিবারের আসল পদবি ছিল-- কুশারী।

বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ প্রতিভা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম ঠাকুর পরিবারের। তাদের পরিবারটি পিরালী ব্রাহ্মণ বংশের ছিল। তবে ঠাকুর পরিবারের আসল পদবি ছিল কুশারী।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতৃপুরুষের আবাসভূমি খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার অন্তর্গত ঘাটভোগ ইউনিয়নের পিঠাভোগ গ্রামে। 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বংশধরের মধ্যে দ্বীননাথ কুশারীর অষ্টম পুরুষ তারানাথ কুশারী ভৈরব-তীরবর্তী পিঠাভোগ গ্রামে বসতি স্থাপন করেন। তারানাথ কুশারীর দুই পুত্র রামগোপাল ও রামনাথ। রামগোপালের পুত্র জগন্নাথ কুশারীই ছিলেন ঠাকুর বংশের আদি পুরুষ। 

অর্থাৎ, ঠাকুর পরিবারের আসল পদবি ছিলো কুশারী। 

তবে নিম্নবর্গের মানুষেরা তাদেরকে ‘ঠাকুরমশায়’ বলে সম্বোধন করতেন। এভাবেই আস্তে আস্তে মহেশ্বরের পুত্র পঞ্চানন ‘কুশারী’ একসময় হয়ে যান জয়রাম ঠাকুর। পঞ্চানন থেকেই কলকাতার পাথুরিয়াঘাটা, জোড়াসাঁকো ও কয়লাঘাটার ঠাকুর গোষ্ঠীর উৎপত্তি। পঞ্চানন ঠাকুরের অধস্তন সপ্তম পুরুষ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

১০০. "The baby is always smiling" এর বাংলা অনুবাদ হলে--

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৭.০৬.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖"The baby is always smiling" এর বাংলা অনুবাদ হলো- শিশুটির মুখে হাসি লেগেই আছে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖‘The baby is always smiling’ এর সঠিক বাংলা অনুবাদ - শিশুটির মুখে হাসি লেগেই আছে।

১০১. ভাষার ক্ষুদ্রতম একক কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৭.০৬.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖ভাষার ক্ষুদ্রতম একক 'ধ্বনি' । শব্দের একক বর্ণ । শব্দের ক্ষুদ্রতম অংশ 'অক্ষর'। মুখনিঃসৃত অর্থবোধক আওয়াজ হলো ধ্বনি। ধ্বনির প্রতীক বা চিহ্ন হলো বর্ণ । অর্থবোধক বর্ণ ও বর্ণসমষ্টি হলো শব্দ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖ভাষার মূল ভিত্তি - ধ্বনি।

ভাষার ক্ষুদ্রতম একক - ধ্বনি।

ভাষার মূল উপকরণ - বাক্য।

ভাষার প্রাণ - অর্থবোধক বাক্য।

১০২. "He was taken to task"-এর বাংলা হলো-

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৭.০৬.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖"He was taken to task"-এর বাংলা হলো- তাকে তিরস্কার করা হয়েছিল।

Take one to task একটি idiom যার অর্থ কাউকে তীব্রভাবে তিরস্কার করা। বাক্যটি passive sentence এ রয়েছে যার অর্থ তাকে তিরস্কার করা হয়েছিল।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖Cambridge ডিকশনারি অনুযায়ী Take someone to task for something এর অর্থ হলো to criticize someone বা কাউকে তিরস্কার করা। 

সুতরাং, ‘He was taken to task'- এর সঠিক বাংলা হবে - 'তাকে তিরস্কার করা হয়েছিলো'।

১০৩. কোনটি “ক্ষুধার্ত” শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৭.০৬.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖“ক্ষুধার্ত” শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ ক্ষুধা + ঋত।

অ/আ এরপরে ঋ কার থাকলে উভয়ে মিলে অর হয় এবং তা ‘অ/আ’-র আগের ব্যঞ্জনের সঙ্গে যুক্ত হয়।

যেমন:

দেব+ঋষি = দেবর্ষি,

অধম +ঋণ = অধমর্ণ,

উত্তম+ঋণ = উত্তমর্ণ,

মহা+ঋষি = মহর্ষি,

রাজা+ঋষি = রাজর্ষি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖সন্ধির নিয়ম অনুযায়ী ‘আ + ঋ = আর’ হয়। 

সুতরাং, তৃষ্ণা + ঋত = তৃষ্ণার্ত; 

ক্ষুধা + ঋত = ক্ষুধার্ত।

এরূপ, শীতার্ত, ভয়ার্ত।

১০৪. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থের নাম--

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৭.০৬.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থের নাম--অসমাপ্ত আত্মজীবনী।

অসমাপ্ত আত্মজীবনী শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মজীবনী সংকলন। ২০১২ সালের জুনে এ বইটি প্রকাশিত হয়। এ পর্যন্ত ক্রমান্বয়ে ইংরেজি, উর্দু, জাপানি, চিনা, আরবি, ফরাসি, হিন্দি, তুর্কি, নেপালি, স্পেনীয়, অসমীয়া ও রুশ ভাষায় বইটির অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖অসমাপ্ত আত্মজীবনী শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মজীবনী সংকলন। ২০১২ সালে বইটি প্রকাশিত হয়। 

এই বইটি ইংরেজি, উর্দু, জাপানি, চীনা, আরবি, ফরাসি ও হিন্দী ভাষায় অনূদিত হয়েছে। 

২০০৪ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা চারটি খাতা আকস্মিকভাবে তাঁর কন্যা শেখ হাসিনার হস্তগত হয়। খাতাগুলি ছিল অতি পুরানো, পাতাগুলি জীর্ণপ্রায় এবং লেখা প্রায়শ অস্পষ্ট। সেই খাতায় শেখ মুজিব ১৯৬৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্তরীণ অবস্থায় লেখা শুরু করেছিলেন। 

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খানের সম্পাদনায় এই আত্মজীবনীমূলক লেখাকে গ্রন্থে রূপান্তরিত করা হয়।

১০৫. নিচের কোন শব্দটি ভুল?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৭.০৬.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖প্রদত্ত অপশন গুলোর মধ্যে ভুল বানানটি হল মুহর্মুহূ।

বানানটি শুদ্ধ রূপ হল মুহুর্মুহু। অন্যান্য বানানগুলো শুদ্ধ রয়েছে যেমন: স্বায়ত্তশাসন, শ্রদ্ধাঞ্জলি, অভ্যন্তরীণ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖বাংলা একাডেমি অভিধান অনুযায়ী স্বায়ত্তশাসন, শ্রদ্ধাঞ্জলি, অভ্যন্তরীণ বানানগুলো সঠিক৷ 

তবে ‘মুহর্মুহূ’ এর সঠিক বানান - মুহুর্মুহু।

১০৬. ”শশাঙ্ক” শব্দের সঠিক অর্থ কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৭.০৬.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”শশাঙ্ক” শব্দের সঠিক অর্থ চাঁদ।

এর আরো কিছু প্রতিশব্দ: চন্দ্রা, চন্দ্র, শশধর, শশাংক, শশী, চন্দ্রিমা, ইন্দু, নিশাকর, নিশাপতি, নিশানাথ, নিশাকান্ত, কলানিধি, হিমকর, সুধাকর, সোম, সুধাংশু, হিমাংশু, শীতাংশু, বিধু, তারাপতিক, কলানিধি

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖শশাঙ্ক শব্দটি একটি বিশেষ্য। 

এর অর্থ হলো - চন্দ্র; চাঁদ; শশধর ইত্যাদি৷

১০৭. মৃতের মত অবস্থা যার-

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৭.০৬.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖মৃতের মত অবস্থা যার- মুমূর্ষু।

মরার মত- মৃতবৎ, জীবিত থেকেও মৃতের মতো- জীবন্মৃত, অন্যমনস্ক থাকে যে- আনমনা।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖মৃতের মত অবস্থা যার - মুমূর্ষু। 

জীবিত থেকেও যে মৃত - জীবন্মৃত৷

১০৮. ”উত্তম পুরুষ” উপন্যাসের রচয়িতা কে?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৭.০৬.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”উত্তম পুরুষ” উপন্যাসের রচয়িতা রশীদ করিম।

রশীদ করিমের উল্লেখযোগ্য উপন্যাস - উত্তম পুরুষ, আমার যত গ্লানি এবং প্রসন্ন পাষাণ। এর মধ্যে উত্তম পুরুষ প্রথম রচনা।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖উত্তম পুরুষ (১৯৬১) উপন্যাসটির রচয়িতা হলেন রশীদ করিম (১৯২৫-২০১১)। 

তার অন্যান্য উপন্যাসঃ আমার যত গ্লানি, প্রসন্ন পাষাণ, সোনার পাথর বাটি, বড়ই নিঃসঙ্গ।

১০৯. ”আদালত” শব্দটি কোন ভাষার শব্দ?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৭.০৬.১৫ 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2013➯A ইউনিট 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2009➯D ইউনিট

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”আদালত” শব্দটি আরবি ভাষার শব্দ ।

আরবি ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় বহু শব্দ এসেছে । কিছু আরবি শব্দ হলাে আল্লাহ , ওযু , হজ , যাকাত , হালাল , হারাম , দোয়াত , নগদ , বাকি , মহকুমা , মােক্তার , তারিখ , খবর , খাজনা , জনাব , দলিল , নবাব , মসজিদ , লেবু , মন ইত্যাদি ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖বাংলায় ব্যবহৃত আরবি শব্দগুলোকে দুটি প্রধান ভাগে ভাগ করা যায়।

যথা-

১. ধর্মসংক্রান্ত শব্দ : আল্লাহ্, ইসলাম, ঈমান, ওজু, কোরবানি, কুরআন, কিয়ামত, গোসল, জান্নাত, জাহান্নাম, তওবা, তসবি, জাকাত, হজ, হাদিস, হারাম, হালাল ইত্যাদি।

২. প্রশাসনিক ও সাংস্কৃতিক শব্দ: আদালত, আলেম, ইনসান, ঈদ, উকিল, ওজর, এজলাস, এলেম, কানুন, কলম, কিতাব, কেচ্ছা, খারিজ, গায়েব, দোয়াত, নগদ, বাকি, মহকুমা, মোক্তার, রায় ইত্যাদি।

১১০. বজ্রে তোমার বাজে বাঁশী? কোন কারকে কোন বিভক্তি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৭.০৬.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖অপাদান কারকঃ

যা থেকে কিছু বিচ্যুত, গৃহীত, জাত, বিরত, আরম্ভ, দূরীভূত ও রক্ষিত হয় এবং যা দেখে কেউ ভীত হয়, তাকে অপাদান কারক বলে।

 যেমন - গাছ থেকে পাতা পড়ে। পাপে বিরত হও। বুধবার থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। ইত্যাদি।

অনুরূপভাবে, বজ্রে তোমার বাজে বাঁশি। এখানে ‘বজ্রে’ শব্দটিতে ৭মী বিভক্তি ‘এ’ থাকায় তা অপাদানে ৭মী।

এরকম আরো উদাহরণ (৭মী বিভক্তি) -

বিপদে মোরে করিবে ত্রাণ, এ নহে মোর প্রার্থনা।

লোকমুখে শুনেছি। তিলে তৈল হয়। ইত্যাদি।

অপাদান কারকে বিভিন্ন বিভিক্তি ছাড়াও হইতে, হতে, থেকে, দিয়া, দিয়ে ইত্যাদি অনুসর্গ ব্যবহৃত হয়।

১১১. মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৭.০৬.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস শওকত ওসমান রচিত জাহান্নাম হইতে বিদায়।

শওকত ওসমান (১৯১৭-৯৮) বাংলাদেশের কথাসাহিত্যের সমকালমনস্ক এক জীবনবাদী কথাশিল্পী। সমাজ ও সময়ের কাছে দায়বদ্ধ থেকে তিনি আমৃত্যু লিখে গেছেন। তাঁর রচনায় আমাদের জাতীয় আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ ভিন্ন এক শিল্পমাত্রা লাভ করেছে। মুক্তিযুদ্ধকে পটভূমি করে তিনি লিখেছেন চারটি উপন্যাস – জাহান্নাম হইতে বিদায় (১৯৯১)১, দুই সৈনিক (১৯৭৩)২, নেকড়ে অরণ্য (১৯৭৩)৩ ও জলাংগী (১৯৭৪)৪।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖'জাহান্নাম হইতে বিদায়' শওকত ওসমানের মুক্তিযুদ্ধভিক্তিক উপন্যাস। 

একজন নারীর জননী জীবনের নানা স্তর নিয়ে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ‘জননী’ উপন্যাস রচনা করেন। 

'কর্ণফুলী' উপন্যাসের রচয়িতা আলাউদ্দিন আল আজাদ।

 আবু ইসহাক রচনা করেন 'সূর্য দীঘল বাড়ী' (১৯৫৫) যা বাংলাদেশের গ্রামজীবনের বিশ্বস্ত দলিল।

১১২. তালব্যবর্ণ কোনগুলো?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৭.০৬.১৫ 📖 শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন শ্রম পরিদপ্তরের সহকারী শ্রম পরিচালক-৯.০৬ 📖 বাংলাদেশ রেলওয়ে ☞সহকারী স্টেশন মাস্টার ➺06-08-22

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖তালব্য বর্ণ - ই, ঈ, চ, ছ, জ, ঝ, ঐ, ষ, শ

সূত্র- অষ্টম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ বোর্ড বই।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖স্বরবর্ণের মধ্যে তালব্য বর্ণ হচ্ছে - ই, ঈ।

ব্যঞ্জণ বর্ণে তালব্য ধ্বনি - চ, ছ, জ, ঝ, ঞ, স, শ।

এ, ঐ - কণ্ঠ তালব্য ধ্বনি।

উ, ঊ - ওষ্ঠ্য ধ্বনি।

ও, ঔ - কণ্ঠৌষ্ঠ ধ্বনি।

১১৩. কোনটি খাঁটি বাংলা উপসর্গ?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৭.০৬.১৫ 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ১৬.১০.১৫ 📖 প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖অজানা খাঁটি বাংলা উপসর্গ।

খাঁটি বাংলা উপসর্গ ২১ টি। যথা: অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, ঊন (ঊনা), কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖প্রশ্নে বোঝানো হয়েছে খাঁটি বাংলা উপসর্গ যোগে গঠিত শব্দ। 

খাঁটি বাংলা উপসর্গ হলো ২১টি৷ যথা: অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, ঊন, কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু এবং হা। 

'অ' উপসর্গটি '' না অর্থে, নিন্দিত অর্থে এবং ক্রমাগত অর্থে'' ব্যবহৃত হতে পারে৷ 

যেমনঃ অকাজ, অকেজো, অপয়া, অকাট, অকাল, অগোছালো (নিন্দিত অর্থে)৷ 

অচিন, অচেনা, অজানা, অথৈ, অখুশি, অদেখা, অবাঙালি, অমিল (না অর্থে)। 

অঝোর, অঝোরে, অঘোরে (ক্রমাগত অর্থে)৷

১১৪. ”গবেষণা”-এর সন্ধি-বিচ্ছেদ কি হবে?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৭.০৬.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖গো + এষণা = গবেষণা এটি স্বরসন্ধি সাধিত শব্দ।

এ, ঐ, ও, ঔ কারের পর এ, ঐ স্থানে যথাক্রমে অয়, আয় এবং ও, ঔ স্থানে যথাক্রমে অব ও আব হয়।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖এ, ঐ, ও, ঔ-কারের পর এ, ঐ স্থানে অয়, আয় এবং ও, ঔ স্থানে যথাক্রমে অব ও আব হয়। 

যেমনঃ নে + অন = নয়ন, নৈ + অক = নায়ক, শে + অন = শয়ন;

 পো + অন = পবন, গো + এষণা = গবেষণা, নৌ + ইক = নাবিক, পো + ইত্র = পবিত্র, গো + আদি = গবাদি ইত্যাদি।

১১৫. শেষ মোগল সম্রাট বাহাদুর শাহের কবর কোথায়?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৭.০৬.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖শেষ মোগল সম্রাট বাহাদুর শাহের কবর ইয়াংগণে অবস্থিত।

বাহাদুর শাহ জাফর (২৪ অক্টোবর ১৭৭৫–৭ নভেম্বর ১৮৬২) ছিলেন মুঘল সাম্রাজ্যের ১৯তম এবং শেষ সম্রাট। তিনি পূর্বসূরি ও তার বাবা মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় আকবরের ২য় সন্তান। সিপাহী বিপ্লবের শেষে ১৮৫৮ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশ শাসকেরা তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে ও রেঙ্গুনে নির্বাসনে পাঠায়, এবং সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖শেষ মুঘল সম্রাট ছিলেন সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ জাফর। 

১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ ব্যর্থ হলে দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে মিয়ানমারের রেঙ্গুনে নির্বাসন দেওয়া হয়। সেখানেই ১৮৬২ সালে তার ‍মৃত্যুর পর তাকে সমাধিস্থ করা হয়।

১১৬. ”নির্মল” শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৭.০৬.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

'নির্মল' শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ পঙ্কিল।

নির্মল শব্দের অর্থ- স্বচ্ছ, অমলিন, নিষ্পাপ, অকলঙ্ক, নির্দোষ, বিশুদ্ধ, পবিত্র, পাক।

পঙ্কিল শব্দের অর্থ- কর্দমাক্ত, কাদা পূর্ণ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖নির্মল শব্দের অর্থ - মলিনতাশূন্য; ময়লাহীন; অমলিন; বিশুদ্ধ। 

এবং পঙ্কিল শব্দের অর্থ - মলিন; কর্দমাক্ত; কলুষিত। অর্থাৎ নির্মল শব্দের বিপরীত শব্দ হলো মলিন/পঙ্কিল৷

১১৭. নিচের কোন বানানটি শুদ্ধ?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৭.০৬.১৫ 📖 ১৪তম বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন পরীক্ষা-(স্কুল/সমপর্যায়)-২৫.০৮.১৭

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖প্রদত্ত শব্দ গুলির মধ্যে মুহূর্ত বানানটি শুদ্ধ।

অন্যান্য অপশনগুলোর বানান ব্যাকরণগত ভুল রয়েছে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖বাংলা একাডেমি অভিধান অনুসারে 'মুহূর্ত' বানানটি সঠিক৷

১১৮. কর্ম সম্পাদনে পরিশ্রমী- কোনটি বাক্যের সংক্ষিপ্ত রূপ--

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৭.০৬.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'কর্ম সম্পাদনে পরিশ্রমী' বাক্যের সংক্ষিপ্ত রূপ-- কর্মঠ।

যিনি কাজ করে- কর্মী, যিনি কাজে উদ্যমী- কর্মোদ্যমী।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖কর্ম সম্পাদনে পরিশ্রমী - কর্মঠ৷ 

কর্মনিষ্ঠ - কর্মে নিষ্ঠা আছে এমন।

১১৯. ”আটকপালে” এর অর্থ কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৭.০৬.১৫ 📖 খাদ্য অধিদপ্তরে সহকারী উপখাদ্য পরিদর্শক/সহকারী অপারেটর/সাঁট মুদ্রাক্ষরিক/সাঁট লিপিকার-২৪.০৪.০৯ 📖 স্বাস্থ্য অধিদপ্তর➺কম্পাউন্ডার☞19.08.22

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”আটকপালে” শব্দের অর্থ হতভাগ্য।

আট কপালে শব্দের অর্থ হতভাগ্য এবং একাদশে বৃহস্পতি শব্দের অর্থ সৌভাগ্যবান বা সৌভাগ্যের বিষয়।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖আটকপাল - হতভাগ্য

অষ্টকপাল - হতভাগ্য

ইঁদুর কপালে - মন্দভাগ্য

একাদশে বৃহস্পতি - সৌভাগ্যের বিষয়

অদৃষ্টের পরিহাস - ভাগ্যের নিষ্ঠুরতা।

১২০. কোনটি বাংলা ধাতু?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৭.০৬.১৫ 📖 তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ টেলিভিশনের অডিয়েন্স রিসার্স অফিসার-৬.০৬

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖কাট্ বাংলা ধাতু।

যেসব ধাতু সংস্কৃত থেকে প্রাকৃত অপভ্রংশ মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়ে বাংলা ভাষায় এসেছে সে গুলোকে বাংলা ধাতু বলে। যেমন কাদ্, জান্, নাচ্ ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖বাংলা ধাতু - কাট্, আঁক, কহ্, কর, কাঁদ, কেন্, ঘষ্, দেখ্, ধর্, পড়্, শুন্, থাক্, হাস্ ইত্যাদি 

এবং সংস্কৃত ধাতু- কৃ, মাগ্, গম্, ধৃ, গঠ্‌, স্থা ইত্যাদি।

 ফির্‌, চাহ্‌, ঠেল্‌, ডাক্‌, ভিজ্‌ ইত্যাদি বিদেশি ধাতু।

১২১. ”জায়া ও পতি” সমাস করলে কি হয়?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৭.০৬.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖জায়া ও পতি = দম্পতি, এটি দ্বন্দ্ব সমাস।

যে সমস্যায় প্রত্যেকটি সমস্যমান পদের অর্থের প্রাধান্য থাকে তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে। যেমন তাল ও তমাল = তাল তমাল, দোয়াত ও কালি = দোয়াত কালি ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖যে সমাসে প্রত্যেকটি সমস্যমান পদের অর্থের প্রধান্য থাকে এবং সংযোজক অব্যয় লোপ পায় তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে।

যেমন- জায়া ও পতি = দম্পতি, পিতা ও পুত্র = পিতাপুত্র, আয় ও ব্যয় = আয়-ব্যয়।

১২২. কোন বানানটি শুদ্ধ?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৭.০৬.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে 'শুশ্রূষা' বানানটি সঠিক৷ এর অর্থ - পরিচর্যা বা সেবা করা।

১২৩. উয়ারী-বটেশ্বর কোথায় অবস্থিত?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৭.০৬.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖উয়ারী-বটেশ্বর অবস্থিত নরসিংদীতে।

উয়ারী-বটেশ্বর ঢাকা শহর থেকে ৭০ কিমি উত্তরে পূর্বে নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলার উয়ারী বটেশ্বর গ্রামে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক ধ্বংসাবশেষ। ধারণা করা হয় এ দুর্গ শহরটি খ্রিস্টপূর্ব ৪৫০ থেকে ৩০০ অব্দের মধ্যে নির্মিত।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖বাংলাদেশের প্রাচীনতম নগরী ছিলো উয়ারি-বটেশ্বর। আনুমানিক প্রায় আড়াইহাজার বছর আগে নরসিংদী জেলার উয়ারি-বটেশ্বরে নগর সভ্যতার বিকাশ ঘটে।

 এটি দ্বিতীয় ভারতীয় সভ্যতার অন্তর্গত। উয়ারি-বটেশ্বর ছিলো একটি নদীবন্দর ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকেন্দ্র।

১২৪. ”জঙ্গম”-এর বিপরীতার্থক শব্দ কি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৭.০৬.১৫ 📖 এসিস্ট্যান্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার (ক্যাশ) ০১. ১১. .১৯ 📖 মৎস্য অধিদপ্তর কর্মচারী নিয়োগ➺কম্পিউটার অপারেটর🖎১৭.১২.২১

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”জঙ্গম”-এর বিপরীতার্থক শব্দ: স্থাবর।

জঙ্গম বিশ্লেষণ বাচক শব্দটির অর্থ: গতিশীল, অস্থাবর; যার বিপরীত শব্দ স্থাবর।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖জঙ্গম (বিশেষণ) - গতিশীল; স্থাবরের বিপরীত; চলমান; সচল। 

জঙ্গম এর বিপরীত শব্দ - স্থাবর (বিশেষণ), যার অর্থ - নিশ্চল; স্থানান্তরিত করার অযোগ্য।

১২৫. ”না” কোন জাতীয় শব্দ?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৮.০৮.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'না' অব্যয় জাতীয় শব্দ।

যে পথ সর্বদা অপরিবর্তনীয় থেকে কখনো বাক্যের শোভাবর্ধন করে কখনো একাধিক পদের বাক্যাংশের বা বাক্যের সংযোগ বা বিয়োগ সম্বর্ধনা ঘটায় তাকে অব্যয় পদ বলে। বাংলা ভাষায় তিন প্রকার অব্যয় শব্দ রয়েছে। যেমন : বাংলা অব্যয় শব্দ, তৎসম অব্যয় শব্দ এবং বিদেশি অব্যয় শব্দ। বাংলা অব্যয় জাতীয় শব্দ হলো: না, আর, আবার, ও, হা ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖ন ব্যয় = অব্যয়। যার ব্যয় বা পরিবর্তন হয় না, অর্থাৎ যা অপরিবর্তনীয় শব্দ তাই অব্যয়। যেমন- হ্যাঁ, না, এবং, জন্য, আর, সহসা, হঠাৎ, সুতরাং, কিন্তু, ও, আবার ইত্যাদি।

১২৬. শব্দ ও ধাতুর মূলকে বলে--

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৮.০৮.১৫ 📖 DPE ২০১৪(৪র্থ পর্যায়) - সহকারী শিক্ষক -০১.০৬.১৮ 📖 সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক .০১

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖শব্দ ও ধাতুর মূলকে বলে-- প্রকৃতি।

প্রকৃতি মূলত দুই প্রকার। যথা : নাম প্রকৃতি ও ক্রিয়া প্রকৃতি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖প্রকৃতিঃ

যে শব্দকে বা কোনো শব্দের যে অংশকে আর কোনো ক্ষুদ্রতর অংশে ভাগ করা যায় না, তাকে প্রকৃতি বলে।

প্রকৃতি দুই প্রকার। যথা -

১. নাম প্রকৃতি; উদাহরণ - হাত + ল = হাতল (বাঁট)। এখানে, হাত - নাম প্রকৃতি।

২. ক্রিয়া প্রকৃতি; উদাহরণ - √চল্▫ + অন্ত = চলন্ত (চলমান)। এখানে, চল্▫ - ক্রিয়া প্রকৃতি।

ক্রিয়া প্রকৃতি বা ক্রিয়া মূলের অন্য নাম - ধাতু।

১২৭. ”সন্ধ্যা” শব্দের বিশেষণটি নির্দেশ করুন?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৮.০৮.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”সন্ধ্যা” শব্দের বিশেষণটি হচ্ছে সান্ধ্য।

বাংলা ব্যাকরণ মতে– বাক্যে ব্যবহৃত যে প্রকার পদ বিশেষ্য, সর্বনাম ও ক্রিয়াপদকে বিশেষিত করে, তাকেই বিশেষণ বলে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖সান্ধ্য (বিশেষণ) - ১) সন্ধ্যাকালীন; সন্ধ্যাবেলার।

২) সন্ধ্যাসম্পর্কিত।

{(তৎসম বা সংস্কৃত) সন্ধ্যা+অ(অণ্▫)}

১২৮. ”ভাষা প্রকাশ বাংলা ব্যাকরণ” কে রচনা করেন?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৮.০৮.১৫ 📖 24th BCS General Aug, 2003 📖 22nd BCS General Feb, 2001

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”ভাষা প্রকাশ বাংলা ব্যাকরণ” সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় রচনা করেন।

সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় (জন্ম : ২৬শে নভেম্বর, ১৮৯০— মৃত্যু : ২৯শে মে, ১৯৭৭) একজন বাঙালি ভাষাতাত্ত্বিক পণ্ডিত, সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ।

অধ্যাপক তারাপুরওয়ালা'র কাছে আবেস্তা অধ্যয়ন করেন। বাংলা ভাষার উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ সম্পর্কে ৩ খণ্ডের দি অরিজিন এন্ড ডেভেলপম্যান্ট অব দ্য বেঙ্গলি ল্যাঙ্গুয়েজ গ্রন্থখানি রচনা করে অসাধারণ বিদ্যাবত্তার পরিচয় প্রদান করেন।

অন্যান্য রচনাবলি হলো: বেঙ্গলি ফোনেটিক রিডার, কিরাত জনকৃতি, ভারত-সংস্কৃতি(১৯৪৪), বাঙ্গালা ভাষাতত্ত্বের ভূমিকা(১৯২৯), পশ্চিমের যাত্রী(১৯৩৮), ইউরোপ ভ্রমণ, জাতি সংস্কৃতি সাহিত্য(১৯৩৮), ভারতের ভাষা ও ভাষা সমস্যা(১৯৪৪), সংস্কৃতি কী, দ্বীপময় ভারত(১৯৬৫), রবীন্দ্র সঙ্গমে(১৯৬৫), শ্যামদেশ(১৯৬৫) ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় রচিত বিখ্যাত গ্রন্থ - বেঙ্গলি ফোনেটিক রিডার্স, অরিজিন এন্ড ডেভেলপমেন্ট অফ বেঙ্গলি ল্যাঙ্গুয়েজ, সরল ভাষা প্রকাশ বাঙ্গালা ব্যাকরণ, বাংলা ভাষাতত্ত্বের ভূমিকা।

১২৯. ব্যাকরণ শব্দটি হলো--

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৮.০৮.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖ব্যাকরণ শব্দটি হলো-- তৎসম।

যেসব শব্দ সংস্কৃত ভাষা থেকে কোন রূপ পরিবর্তন ছাড়াই সরাসরি বাংলা ভাষায় গৃহীত হয়েছে, সেসব শব্দকে বলা হয় তৎসম শব্দ। যেমন : ব্যাকরণ, চন্দ্র, সূর্য, নক্ষত্র, ভুবন, ধর্ম, অন্ন, বস্ত্র, গৃহ, আকাশ ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖ব্যাকরণ শব্দটি তৎসম বা সংস্কৃত ভাষার শব্দ।

১৩০. ”আশীবিষ”-এর অর্থ কি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৮.০৮.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖আশীবিষ  /বিশেষ্য পদ/ দন্তে বিষ আছে যাহার-সর্প।

ভুজঙ্গ - [বিশেষ্য পদ] সর্প।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖সাপ এর সমার্থক শব্দ - সর্প, ফণী, ভুজঙ্গ, অহি, পন্নগ, নাগ, উরগ, আশীবিষ, ভুজঙ্গম, ফণাধর, বিষধর, বায়ুভুক।

১৩১. ”কান পাতলা” অর্থ কী?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৮.০৮.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”কান পাতলা” অর্থ বিশ্বাসপ্রবণ।

কান পাতলা শব্দটির অর্থ সব কথায় বিশ্বাস করা। উদাহরণ: কান পাতলা বন্ধুরা অনেক সময় বিপদের কারন হয়ে দাঁড়ায়।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖কানপাতলা (বিশেষণ) - নির্বিচারে অন্যের লাগানো কথায় বিশ্বাস করে এমন। 

কানকাটা (বিশেষণ) নির্লজ্জ; বেহায়া।

১৩২. ”এমন ছেলে আর দেখিনি” বাক্যে ”ছেলে” শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৮.০৮.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”এমন ছেলে আর দেখিনি” বাক্যে ”ছেলে” শব্দটি কর্ম কারকে শূন্য বিভক্তি।

যাকে আশ্রয় করে কর্তা ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকে কর্ম কারক বলে।

ক্রিয়ার সঙ্গে 'কী' বা 'কাকে' দ্বারা প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, তা-ই কর্ম কারক।

যেমন: ডাক্তার ডাক। তাকে বলো। ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖বাক্যে যাকে আশ্রয় করে কর্তা ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকে কর্মকারক বলে। “এমন ছেলে আর দেখিনি” বাক্যে দেখার কাজটি ছেলেকে অবলম্বন করে হয়েছে তাই এটা কর্মকারক এবং ‘ছেলে’র সাথে শূন্য বিভক্তি যুক্ত হয়েছে।

১৩৩. কোনটি স্বরসন্ধির উদাহরণ?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৮.০৮.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖বিদ্যালয় স্বরসন্ধির উদাহরণ।

স্বরধ্বনির সাথে স্বরধ্বনির যে সন্ধি হয় তাকে স্বরসন্ধি বলে।

যেমন, সিংহাসন = সিংহ + আসন,

বিদ্যালয় = বিদ্যা + আলয়,

হিমালয় = হিম + আলয়,

দেখা যাচ্ছে 'অ' এবং 'আ' মিলে স্বরসন্ধিতে 'আ' হয়।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖বিদ্যালয় = বিদ্যা + আলয়, এটি তৎসম স্বরসন্ধি। নরাধম, হিমালয়, হস্তান্তর, সিংহাসন, হিতাহিত, কথামৃত, দেবালয়, শুভেচ্ছা, যথেষ্ট, মহার্ঘ এগুলোও সংস্কৃত স্বরসন্ধি।

১৩৪. ”অক্ষির সমীপে”র সংক্ষেপ হলো--

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৮.০৮.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”অক্ষির সমীপে”র সংক্ষেপ হলো-- সমক্ষ।

এক কথায় প্রকাশ: অক্ষির সমীপে = সমক্ষ, অক্ষির অগোচরে = পরোক্ষ, অক্ষির অভিমুখে = প্রত্যক্ষ। অন্যদিকে 'নিরপেক্ষ' শব্দের অর্থ হলো: পক্ষপাত শূন্য; কোন পক্ষই গ্রহণ না করা (নিরপেক্ষ বিচার)।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖অক্ষির সমীপে - সমক্ষ

অক্ষির অভিমুখে - প্রত্যক্ষ

অক্ষির অগোচরে - পরোক্ষ

১৩৫. ”কালান্তর” শীর্ষক প্রবন্ধ গ্রন্থের রচয়িতা কে?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৮.০৮.১৫ 📖 বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়➟2014➯C ইউনিট 📖 জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়➟2010➯D ইউনিট

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”কালান্তর” শীর্ষক প্রবন্ধ গ্রন্থের রচয়িতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

তার আরো কয়েকটি প্রবন্ধ গ্রন্থ হল: বিবিধ প্রসঙ্গ (প্রথম প্রকাশিত), সভ্যতার সংকট, পঞ্চভূত, মানুষের ধর্ম, শব্দতত্ত্ব, বিশ্বপরিচয়, শিক্ষা, সাহিত্য, সাহিত্যের স্বরূপ ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖কালান্তর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষ জীবনে রচিত একটি রাজনৈতিক প্রবন্ধ সংকলন। এছাড়াও সভ্যতার সংকট, পঞ্চভূত ইত্যাদি তার প্রবন্ধ গ্রন্থ। তার প্রথম প্রবন্ধগ্রন্থ - বিবিধ প্রসঙ্গ।

১৩৬. ”সূর্য” -এর প্রতিশব্দ--

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৮.০৮.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”সূর্য” -এর প্রতিশব্দ-- আদিত্য।

এছাড়াও সূর্য শব্দের আরো কিছু প্রতিশব্দ হলো : দিবাকর, রবি, প্রভাকর, মিহির, ভাস্কর, বিভাকর, সবিতা, তপন, দীনেশ, ভানু, বিভাবসু ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖সূর্য শব্দের সমার্থক শব্দ - অর্ক, আফতাব, আদিত্য, মিহির, অরুণ, রবি, তপন, মার্তণ্ড, দিবাকর, ভাস্কর, ভানু, সবিতা ইত্যাদি।

১৩৭. ”অপর্ণা” রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোন নাটকের নায়িকা?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৮.০৮.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”অপর্ণা” রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিসর্জন নাটকের নায়িকা।

অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত বিসর্জন নাটকটি তার মঞ্চসফল এবং জনপ্রিয় নাটক গুলির মধ্যে অন্যতম। রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং এ নাটকের প্রধান দুটি চরিত্র রঘুপতি ও জয়সিংহের ভূমিকায় বিভিন্ন সময়ে অভিনয় করেন। এ নাটকের প্রধান চরিত্র হলো অর্পনা, রঘুপতি, জয়সিংহ, গুণবতী, গোবিন্দমাণিক্য।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖বিসর্জন (১৮৯০) নাটকটি রবীন্দ্রনাথের মঞ্চসফল ও জনপ্রিয় নাটকগুলোর অন্যতম। 

প্রধান প্রধান চরিত্রঃ রঘুপতি, জয়সিংহ, অপর্ণা, গুণবতী, গোবিন্দমানিক্য। 

রঘুপতি ও জয়সিংহ দুটি প্রধান চরিত্রে রবীন্দ্রনাথ নিজে অভিনয় করেছিলেন।

১৩৮. কোন শব্দটি ভুল?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৮.০৮.১৫ 📖 সহকারী শিক্ষা অফিসার-২০.0৯.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖প্রদত্ত অপশনে 'পরিপক্ক' শব্দটি ভুল।

পরিপক্ক শব্দের শুদ্ধ রূপ হল- পরিপক্ব। অন্যান্য শব্দগুলো মরূদ্যান, কটুক্তি, অঞ্জলি সবগুলি সঠিক।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖পরিপক্ব (বিশেষণ) - সুপক্ব; সম্পূর্ণ পাকা; বিচক্ষণ; সুদক্ষ; পারদর্শী।

১৩৯. কোনটি শুদ্ধ বানান?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৮.০৮.১৫ 📖 জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়➟2014➯C ইউনিট 📖 জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়➟2013➯C ইউনিট

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖প্রদত্ত অপশন গুলোর মধ্যে 'তিতিক্ষা' শব্দটির বানান সঠিক।

অন্যান্য শব্দগুলোর বানান ব্যাকরণগত ভুল দৃশ্যমান।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖তিতিক্ষা (বিশেষ্য) - সহনশীলতা; সহিষ্ণুতা; ক্ষমা; অপরাধ মার্জনা; ক্ষমার ভাব।

১৪০. ”হযরত মুহম্মদ (স) ছিলেন একজন আদর্শ মানব” বাক্যটি নিম্নোক্ত কোন শ্রেণীর বাক্য?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৮.০৮.১৫ 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2011➯খ ইউনিট 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2018➯ইউনিট : D

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖হযরত মুহম্মদ (স) ছিলেন একজন আদর্শ মানব” বাক্যটি একটি সরল বাক্য।

যে সুবিন্যাস্ত পদের সমষ্টি দ্বারা কোন বিষয়ে বক্তার মনোভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশিত হয় তাকে বাক্য বলে। গঠনের দিক থেকে বাক্য তিন প্রকার। যথা : সরল বাক্য, জটিল বাক্য ও যৌগিক বাক্য। যে বাক্যে একটি মাত্র উদ্দেশ্য (কর্তা) ও একটি মাত্র বিধেয় (সমাপিকা ক্রিয়া) থাকে তাকে সরল বাক্য বলে। যেমন : হযরত মুহাম্মদ সঃ ছিলেন একজন আদর্শ মানব।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖যে বাক্যে একটি মাত্র কর্তা এবং একটি মাত্র সমাপিকা ক্রিয়া থাকে তাকে সরল বাক্য বলে। “হযরত মুহম্মদ (স) ছিলেন একজন আদর্শ মানব” এই বাক্যে একটি মাত্র কর্তা এবং একটি মাত্র সমাপিকা ক্রিয়া থাকায় বাক্যটি সরল বাক্য।

১৪১. কোনটি খাটি বাংলা উপসর্গ?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৮.০৮.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖অজ খাটি বাংলা উপসর্গ।

বাংলা উপসর্গ : বাংলা ভাষায় বাংলা উপসর্গ মোট ২১ টি। বাংলা উপসর্গ সবসময় খাঁটি বাংলা শব্দ বা তদ্ভব শব্দের পূর্বে ব্যবহৃত হয়। বাংলা উপসর্গগুলো হলো-

অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, ঊন (ঊনা), কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖খাঁটি বাংলা উপসর্গ হলো ২১টি৷ যথা: অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, ঊন, কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু এবং হা।

১৪২. ”রান্না” -এর সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৮.০৮.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”রান্না” -এর সন্ধি বিচ্ছেদ রাঁধ্‌ + না।

স্বরে আর ব্যঞ্জনে অথবা ব্যঞ্জনে‬ ও ব্যঞ্জনে অথবা ব্যঞ্জনে ও স্বরে যে সন্ধি হয় তাকে ব্যঞ্জন সন্ধি বলে। ব্যঞ্জনসন্ধি মূলত কথ্য রীতিতে সীমাবদ্ধ। প্রকৃত বাংলা ব্যঞ্জন সন্ধি মূলত সমীভবন এর নিয়মে হয়ে থাকে। যেমন : রাঁধ্‌ + না = রান্না।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖আগে ৎ, দ্‌, ধ্‌ এবং পরে ন্‌/ম্‌ থাকলে ৎ, দ্‌ বা ধ্‌ স্থানে ন্‌ হয়, এবং পরের ন-এর সঙ্গে মিলে ন্ন কিংবা ম এর সঙ্গে মিলে ন্ম হয়।

যেমনঃ উৎ + নতি = উন্নতি; ক্ষুধ্‌ + নিবৃত্তি = ক্ষুন্নিবৃত্তি; রাধ্‌ + না = রান্না; মৃৎ + ময় = মৃন্ময়।

১৪৩. কোনটি ধনাত্মক দ্বিরুক্তির উদাহরণ?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৮.০৮.১৫ 📖 Krishi Bank - Officer - 04.09.15

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖ঝম-ঝম ধনাত্মক দ্বিরুক্তির উদাহরণ।

কোন কিছুর স্বাভাবিক বা কাল্পনিক অনুকৃতি বিশিষ্ট শব্দের রুপকে ধনাত্মক শব্দ বলে। এজাতীয় ধনাত্মক শব্দের দুইবার প্রয়োগের নাম ধনাত্মক দ্বিরুক্তি। ধনাত্মক দ্বিরুক্তি দ্বারা বহুত্ব, আধিক্য ইত্যাদি বোঝায়। ধনাত্মক দ্বিরুক্তি এর কয়েকটি উদাহরণ হল: ঝম ঝম, হু হু, কুহু কুহু, মর মর ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖ধ্বন্যাত্মক দ্বিরুক্তি - ঝমঝম, ঘেউ ঘেউ, ভেউ ভেউ, হি হি, ঘচাঘচ, মড়মড় ইত্যাদি।

১৪৪. নীল যে আকাশ = নীলাকাশ কোন সমাস?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৮.০৮.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖নীল যে আকাশ = নীলাকাশ কর্মধারয় সমাস।

যে সমাসে বিশেষণ বা বিশেষণভাবাপন্ন পদের সাথে বিশেষ্য বা বিশেষ্যভাবাপন্ন পদের সমাস হয় এবং পরপদের অর্থই প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন: নীল যে পদ্ম= নীলপদ্ম, শান্ত অথচ শিষ্ট= শান্তশিষ্ট, কাঁচা অথচ মিঠা= কাঁচামিঠা।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖যেখানে বিশেষণ বা বিশেষণভাবাপন্ন পদের সাথে বিশেষ্য বা বিশেষ্যভাবাপন্ন পদের সমাস হয় এবং পরপদের অর্থই প্রধান রূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন - নীল যে আকাশ = নীলাকাশ।

নীল যে পদ্ম = নীলপদ্ম।

রক্ত যে কমল = রক্তকমল।

কাঁচা অথচ মিঠা = কাঁচামিঠা।

যিনি জজ তিনিই সাহেব = জজ সাহেব।

১৪৫. ”অর্ঘ্য” শব্দের অর্থ কি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ৩০.১০.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖অর্ঘ্য [ arghya ] বি. পূজার উপকরণ ('রচেনি পূজার অর্ঘ্য': রবীন্দ্র); সম্মানিত ব্যক্তিকে বরণের জন্য মালা চন্দন ইত্যাদি উপচার।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖অর্ঘ্য (বিশেষ্য) - হিন্দুদের পূজার উপকরণ; সম্মানিত ব্যক্তিকে সংবর্ধনার জন্য প্রদত্ত মালা ইত্যাদি উপচার। 

অর্ঘ (বিশেষ্য) - মূল্য; হিন্দুদের পূজার উপকরণ।

১৪৬. ”জীবনতরী” কি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ৩০.১০.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖উপকূলীয় এলাকা এবং চরাঞ্চলের মানুষের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য ‘জীবন খেয়া’ নামে একটি ভাসমান হাসপাতাল চালু হয়েছে। মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপরে খুলনার দাকোপ উপজেলার বানীশান্ত পল্লীতে চিকিৎসা প্রদানের মাধ্যমে এ হাসপাতালের যাত্রা শুরু হয়।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖'জীবনতরী' একটি ভাসমান হাসপাতাল। এটি আজ ২১ বছর ধরে মানুষজনকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে।

১৪৭. ”গম্ভীর ধ্বনী” এর বাক্যসংকোচন করুন

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ৩০.১০.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”গম্ভীর ধ্বনী” এর বাক্যসংকোচন হলো মন্দ্র।

অন্যদিকে 'মন্ত্র' শব্দের অর্থ- হিন্দুদের দেব পূজা প্রভৃতি তে ব্যবহৃত পবিত্র বাক্য বা শব্দ (বিবাহের মন্ত্র, সাপের মন্ত্র ইত্যাদি)।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖মন্দ্র (বিশেষ্য) -গম্ভীর শব্দ; বাদ্যযন্ত্র; মৃদঙ্গ 

মন্দ্র (বিশেষণ) গম্ভীর; গাম্ভীর্যপূর্ণ।

১৪৮. ”বাগধারা” কোথায় আলোচিত হয়?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ৩০.১০.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖বাক্যের সঠিক গঠণ প্রণালী, পদক্রম, পদের স্থান, পদ পরিবর্তন, বাগধারা, বাক্য সংযোজন, বাক্য সংকোচন, প্রবাদ-প্রবচন, বিরামচিহ্ন ইত্যাদি বাক্যতত্ত্বের আলোচ্য বিষয়।

১৪৯. ”মহা পৃথিবী” কাব্যগ্রন্থ কার লেখা?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ৩০.১০.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”মহা পৃথিবী” কাব্যগ্রন্থ জীবনানন্দ দাশের লেখা।

জীবনানন্দ দাশ (১৭ ফেব্রুয়ারি, ১৮৯৯ - ২২ অক্টোবর, ১৯৫৪; ৬ ফাল্গুন, ১৩০৫ - ৫ কার্তিক, ১৩৬১ বঙ্গাব্দ) ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রধান আধুনিক বাঙালি কবি, লেখক ও প্রাবন্ধিক। তিনি বাংলা কাব্যে আধুনিকতার পথিকৃতদের মধ্যে অন্যতম। গ্রামবাংলার ঐতিহ্যময় নিসর্গ ও রূপকথা-পুরাণের জগৎ জীবনানন্দের কাব্যে হয়ে উঠেছে চিত্ররূপময়, তাতে তিনি ‘রূপসী বাংলার কবি’ অভিধায় খ্যাত হয়েছেন। জীবনানন্দ দাশের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থগুলোর মাঝে রয়েছে রূপসী বাংলা, বনলতা সেন, মহাপৃথিবী, বেলা অবেলা কালবেলা, শ্রেষ্ঠ কবিতা ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖জীবনানন্দ দাশ রচিত কাব্যগ্রন্থ গুলো হচ্ছে- ধূসর পাণ্ডুলিপি, রুপসী বাংলা, সাতটি তারার তিমির, বনলতা সেন, মহাপৃথিবী, বেলা অবেলা কালবেলা ইত্যাদি।

১৫০. ”প্রকৃতি” বলতে কি বুঝায়?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ৩০.১০.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”প্রকৃতি” বলতে শব্দ ও ধাতুর মূল বুঝায় ।

প্রকৃতি মূলত দুই প্রকার। যথা : নাম প্রকৃতি ও ক্রিয়া প্রকৃতি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖প্রকৃতিঃ

যে শব্দকে বা কোনো শব্দের যে অংশকে আর কোনো ক্ষুদ্রতর অংশে ভাগ করা যায় না, তাকে প্রকৃতি বলে।

প্রকৃতি দুই প্রকার। যথা -

১. নাম প্রকৃতি; উদাহরণ - হাত + ল = হাতল (বাঁট)। এখানে, হাত - নাম প্রকৃতি।

২. ক্রিয়া প্রকৃতি; উদাহরণ - √চল্▫ + অন্ত = চলন্ত (চলমান)। এখানে, চল্▫ - ক্রিয়া প্রকৃতি।

ক্রিয়া প্রকৃতি বা ক্রিয়া মূলের অন্য নাম - ধাতু।

১৫১. ”অক্টোপাস” উপন্যাসের লেখক কে?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ৩০.১০.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”অক্টোপাস” উপন্যাসের লেখক শামসুর রাহমান।

তার মোট ৪টি উপন্যাস রয়েছে। উপন্যাস - ৪টি হলো: ‘অক্টোপাস’ (১৯৮৩), ’অদ্ভুত আঁধার এক’ (১৯৮৫), ‘নিয়ত মন্তাজ’ (১৯৮৫), ‘এলো সে অবেলায়’ (১৯৯৪)।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖শামসুর রহমান ৪ টি উপন্যাস লিখেছেন। তার রচিত উপন্যাস - অক্টোপাস, অদ্ভুত আঁধার এক, নিয়ত মন্তাজ, এলো সে অবেলায়।

১৫২. কোন বানানটি শুদ্ধ?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ৩০.১০.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖প্রদত্ত বানান গুলোর মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বানানটি শুদ্ধ।

এছাড়াও আরো কিছু শুদ্ধ বানান হলো: মনিষী - মনীষী, মন্ত্রনালয় - মন্ত্রণালয়, ঐক্যতান - ঐকতান, উপচার্য - উপাচার্য, উপরোক্ত - উপরিউক্ত, উপলক্ষ্য - উপলক্ষ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে “মন্ত্রিপরিষদ” শব্দটি সঠিক৷

১৫৩. গুণহীনে ত্যাগ কর। -বাক্যে ”গুণহীনে” কোন কারকে কোন বিভক্তি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ৩০.১০.১৫ 📖 রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়➟2017➯D ইউনিট 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -যমুনা- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖গুণহীনে ত্যাগ কর। -বাক্যে ”গুণহীনে” কর্ম কারকে সপ্তমী বিভক্তি।

যাকে আশ্রয় করে কর্তা ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকে কর্মকারক বলে।

কর্ম দুই প্রকার: মুখ্য কর্ম ও গৌণ কর্ম। যেমন: ছেলেটিকে বিছানায় শোয়াও। গুনহীনে ত্যাগ করো।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖যাকে আশ্রয় করে কর্তা ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকে কর্মকারক বলে৷

ক্রিয়ার সঙ্গে 'কী' বা 'কাকে' যোগ করে প্রশ্ন করলে কর্মকারক পাওয়া যায়৷ 

উল্লেখিত বাক্যটিতে 'কী' বা 'কাকে' প্রশ্ন করলে পাওয়া যায় 'গুণহীনে'৷ অর্থাৎ বাক্যে 'গুণহীনে' একটি কর্মকারক।

আর শব্দের শেষে ''এ, (য়), য়, তে, এতে'' থাকলে তা সপ্তমী বিভক্তি হয়। অতএব, বাক্যটিতে ''গুণহীনে'' কর্মকারকে সপ্তমী বিভক্তি।

১৫৪. ”উচাটন”-এর বিপরীতার্থক শব্দ কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ৩০.১০.১৫ 📖 খাদ্য অধিদপ্তরের উপ-খাদ্য পরিদর্শক-২৫.০৫.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”উচাটন”-এর বিপরীতার্থক শব্দ প্রশান্ত।

একটি শব্দের বিপরীত অর্থবাচক শব্দকে বিপরীতার্থক শব্দ বা বিপরীত শব্দ বলে । যেমন ঊর্ধ্বটান- অধঃটান, উচাটন- প্রশান্ত।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖উচাটন (বিশেষণ)

ব্যাকুল; অস্বস্তিপূর্ণ; উৎকণ্ঠিত

উচাটন (বিশেষ্য)

ব্যাকুলতা; উৎকণ্ঠা।

উচাটন শব্দটির বিপরীতার্থক শব্দ = প্রশান্ত।

১৫৫. ”দ্যুলোক” শব্দের যথার্থ সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ৩০.১০.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”দ্যুলোক” শব্দের যথার্থ সন্ধি বিচ্ছেদ হচ্ছে দিব্‌ + লোক।

নিপাতনে সিদ্ধ ব্যঞ্জন সন্ধি 'দ্যুলোক' এর যথার্থ সন্ধি বিচ্ছেদ হল : দিব্‌ + লোক। আরো কয়েকটি নিপাতনে সিদ্ধ ব্যঞ্জন সন্ধি হল : এক্+দশ= একাদশ, ষট্+দশ= ষোড়শ, মনস্+ঈশা= মনীষা, বৃহৎ+পতি= বৃহস্পতি, গো+পদ = গোষ্পদ, দিব্+লোক= দ্যুলোক, বন্+পতি= বনস্পতি, পর্+পর= পরস্পর, আ+চর্য= আশ্চর্য, তৎ+কর = তস্কর

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖কতোকগুলো সন্ধি কোন নিয়ম অনুসরণ করে না। এগুলোকে নিপাতনে সিদ্ধ বলে।

দ্যুলোক নিপাতনে সিদ্ধ ব্যঞ্জন সন্ধি। এর যথার্থ সন্ধিবিচ্ছেদ হলোঃ দিব্ + লোক = দ্যুলোক।

এছাড়াও, ষট্‌ + দশ = ষোড়শ; পর + পর = পরস্পর; গো + পদ = গোস্পদ।

১৫৬. Diamond cuts Diamonds-এর অনুবাদ কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ৩০.১০.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖Diamond cuts Diamonds-এর অনুবাদ মানিকে মানিক চেনে।

Diamond cuts Diamonds- একটি proverb যার সঠিক বাংলা অর্থ হচ্ছে- মানিকে মানিক চেনে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖Diamond cuts diamond. - রতনে রতন চিনে; মানিকে মানিক চেনে।

১৫৭. ”আফতাব” শব্দের সমার্থ কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ৩০.১০.১৫ 📖 30th BCS General Jul, 2010 📖 জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা-২৩.০৬.১৬

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”আফতাব” শব্দের সমার্থ হচ্ছে অর্ক।

'আফতাব' শব্দের আরো কিছু সমার্থক শব্দ হলো : সূর্য, দিবাকর, প্রভাকর, ভাস্কর, রবি, সবিতা, আদিত্য, মিহির, ভানু প্রভৃতি। অন্যদিকে জলদি ও অর্ণব শব্দের সমার্থক শব্দ- সাগর এবং রাতুল শব্দের অর্থ হলো- রক্তবর্ণ বা লাল।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖'আফতাব' শব্দের সমার্থক অর্ক। এরূপ- সূর্য, রবি, তপন, সবিতা, প্রভাকর ইত্যাদি শব্দগুলো আফতাব শব্দের সমার্থক।

১৫৮. ঈষৎ পাংশুবর্ণ - এর বাক্য সংকোচন -

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ৩০.১০.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖ঈষৎ পাংশুবর্ণ-এর বাক্য সংকোচন-- কয়রা।

ঈষৎ পাংশুবর্ণ = কয়রা।

ঈষৎ পান্ডুবর্ণ = ধূসর।

ঈষৎ রক্তবর্ণ = আরক্ত।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖প্রদত্ত অপশনগুলোর মধ্যে,

পীত = হরিদ্রাবর্ণ; হলুদ রং; পিঙ্গল, হলদে ইত্যাদি।

ধূসর = পাংশু; ছাই রং; সাদাকালো মিশ্রিত রং; পাংশুটে ইত্যাদি।

আরক্ত =  ঈষৎ রক্তবর্ণ; অল্প লাল; রক্তাভ ইত্যাদি।

সুতরাং এখানে প্রদত্ত অপশনগুলোর অর্থ বিশ্লেষণ করে, ঈষৎ পাংশুবর্ণ = ধূসর সবচেয়ে বেশি যুক্তিযুক্ত।

উল্লেখ্য, বাংলা একাডেমি অভিধানে 'কয়রা' কোন শব্দের অস্তিত্ব নেই। "কয়ড়া" শব্দটির অর্থ = কড়া; লোহার বেড়ি।

তাছাড়া, ড. হায়াৎ মামুদ - এর ভাষা শিক্ষা বই অনুসারে, ঈষৎ পাণ্ডুবর্ণ = ধূসর।

বাংলা একাডেমির অভিধান অনুসারে, পাণ্ডুবর্ণ = ফ্যাকাশে; পাংশুটে; পাংশুবর্ণবিশিষ্ট।

সুতরাং, এখানে 'ধূসর' সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য উত্তর।

১৫৯. উপসর্গের কাজ কী?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ৩০.১০.১৫ 📖 রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়➟2016➯B ইউনিট

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖উপসর্গের কাজ হচ্ছে নতুন শব্দ গঠন করা।

বাংলা ভাষায় উপসর্গ মূলত তিন প্রকার। যথা : খাঁটি বাংলা উপসর্গ, তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গ, বিদেশি উপসর্গ। এরমধ্যে খাঁটি বাংলা উপসর্গ ২১ টি এবং সংস্কৃত উপসর্গ ২০ টি ও বিদেশি উপসর্গ ১৯ টি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖যে সকল অব্যয় শব্দের পূর্বে বসে নতুন নতুন শব্দ গঠন করে বাক্যের অর্থ সম্প্রসারণ ঘটায় বা সংকোচন বা অন্য কোন পরিবর্তন ঘটায় সে গুলোকে উপসর্গ বলে।

যেমন - 'কাজ' শব্দের আগে 'অ' অব্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ 'অকাজ' গঠিত হয়। এতে আগের শব্দটির সাথে অর্থেরও পরিবর্তন ঘটেছে।

এই উপসর্গগুলোর নিজস্ব কোন অর্থবাচকতা নেই, কিন্তু অন্য শব্দের আগে যুক্ত হলে এদের অর্থদ্যোতকতা বা নতুন শব্দ সৃজনের ক্ষমতা থাকে।

অর্থ্যাৎ, অর্থদ্যোতকতা বা নতুন শব্দ সৃষ্টিই - উপসর্গের কাজ।

উপসর্গের প্রভাবে একটি শব্দের কয়েক ধরনের পরিবর্তন সাধিত হয়। যেমন -

১) নতুন অর্থবোধক শব্দ তৈরি করা

২) শব্দের অর্থের পূর্ণতা দান করা

৩) শব্দের অর্থের সম্প্রসারণ করা

৪) শব্দের অর্থের সংকোচন করা

৫) শব্দের অর্থের পরিবর্তন করা

এইসকল পরিবর্তন সাধনের মাধ্যমে উপসর্গ নতুন শব্দ সৃষ্টি করে থাকে।

১৬০. ”নানান দেশের নানান ভাষা বিনে স্বদেশী ভাষা, পুরে কি আশা” - পঙক্তিটির রচয়িতা কে?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ৩০.১০.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”নানান দেশের নানান ভাষা বিনে স্বদেশী ভাষা, পুরে কি আশা” - পঙক্তিটির রচয়িতা রামনিধি গুপ্ত।

অন্যদিকে আব্দুল হাকিম অতুলপ্রসাদ সেন ও শেখ ফজলুল করিমের বিখ্যাত উক্তি হল যথাক্রমে "দেশী ভাষা বিদ্যা যার মনে ন জুয়ায়/ নিজ দেশ তেয়াগী কেন বিদেশ ন যায়", "মোদের গরব মোদের আশা / আ মরি বাংলা ভাষা", ও "সুন্দর হে দাও দাও সুন্দর জীবন / হোক দূর অকল্যাণ সকল অশোভন"।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖বাংলা টপ্পা সংগীতের প্রবর্তক - রামনিধি গুপ্ত। তাঁর ডাকনাম নিধু বাবু।

রামনিধি গুপ্তের টপ্পা সঙ্গীত সংকলনের নাম 'গীতরত্ন'।

তাঁর রচিত টপ্পা সঙ্গীতের বিখ্যাত পঙক্তিঃ

❏ 'নানান দেশের নানান ভাষা, বিনে স্বদেশী ভাষা, পুরে কি আশা?

❏ কত নদী সরোবর কিবা ফল চাতকীর, ধারা জল বিনে কভু, মিটে কি তৃষ্ণা?' ।

১৬১. বাংলা ভাষায় যতি চিহ্ন প্রচলন করেন কে?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ৩০.১০.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖বাংলা ভাষায় যতি চিহ্ন প্রচলন করেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (২৬ সেপ্টেম্বর ১৮২০ – ২৯ জুলাই ১৮৯১) উনবিংশ শতকের একজন বিশিষ্ট বাঙালি শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক ও গদ্যকার। তাঁর প্রকৃত নাম ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যে অগাধ পাণ্ডিত্যের জন্য প্রথম জীবনেই তিনি বিদ্যাসাগর উপাধি লাভ করেন। তার প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ বেতাল পঞ্চবিংশতি। এ গ্রন্থে তিনি জ্যোতিবা বিরাম চিহ্নের সফল ব্যবহার করেন।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖বাংলা ভাষায় যতি চিহ্ন প্রচলন করেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। তাকে বাংলা গদ্যের জনক ও বলা হয়।

বেতাল পঞ্চবিংশতি (১৮৪৭) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ। এই গ্রন্থেই তিনি প্রথম যতি বা বিরাম চিহ্ন ব্যবহার করেন।

১৬২. ”কর্বুর” শব্দের অর্থ--

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ৩০.১০.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”কর্বুর” শব্দের অর্থ-- রাক্ষস।

বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধান অনুযায়ী 'কবুর' শব্দের কোন অর্থ নেই। তবে 'কবুর' এর স্থলে 'কর্বুর' হলে সঠিক উত্তর হবে রাক্ষস।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖কবুর - শব্দটি বাংলা একাডেমির অভিধানে নেই।

তবে, বাংলা একাডেমি অনুসারে,

❏ কর্বূর = ব্রহ্মার আদেশে সৃষ্ট রক্ষী (পরবর্তীতে রাক্ষস নামে খ্যাত)।

❏ কর্বুর = চিত্রবিচিত্র, বিচিত্র বর্ণযুক্ত।

১৬৩. ”ভূষন্তীর কাক” বাগধারাটির অর্থ---

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ৩০.১০.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”ভূষন্তীর কাক” বাগধারাটির অর্থ---দীর্ঘকালের অভিজ্ঞ ব্যক্তি।

বাগধারা শব্দের আভিধানিক অর্থ কথার বচন ভঙ্গি বা ভাব বা কথার ঢং। বাক্য বা বাক্যাংশের বিশেষ প্রকাশভঙ্গিকে বলা হয় বাগধারা। বিশেষ প্রসঙ্গে শব্দের বিশিষ্টার্থক প্রয়োগের ফলে বাংলায় বহু বাগধারা তৈরী হয়েছে।

আরো কিছু বাগধারা হলো : অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করী- সামান্য বিদ্যার অহঙ্কার, ইঁদুর কপালে- নিতান্ত মন্দ ভাগ্য।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖ভূষ্ণণ্ডির কাক - অভিজ্ঞ ব্যাক্তি। কাক ভেজা - সম্পূর্ণ ভেজা।

১৬৪. কোনটি সন্ধিজাত শব্দ?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ৩০.১০.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖উন্মনা হচ্ছে সন্ধিজাত শব্দ।

প্রদত্ত অপশনে সন্ধিজাত শব্দ হলো উন্মনা। উন্মনা শব্দের সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ হচ্ছে : উৎ + মনস্' ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖উন্মনা শব্দের সন্ধিবিচ্ছেদ হচ্ছে - উৎ+মনস্।

আবার এটি বহুব্রীহি সমাসেরও উদাহরণ।

১৬৫. তার বয়স বেড়েছে, কিন্তু বুদ্ধি বাড়েনি। -কোন ধরনের বাক্য?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ৩০.১০.১৫ 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2011➯খ ইউনিট 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2018➯ইউনিট : D

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖তার বয়স বেড়েছে, কিন্তু বুদ্ধি বাড়েনি। এটি একটি যৌগিক বাক্য।

যৌগিক বাক্যঃ পরস্পর নিরপেক্ষ দুই বা দুয়ের অধিক বাক্য যখন কোনো সংযোজক অব্যয় দ্বারা যুক্ত হয়ে একটি সম্পূর্ণ বাক্য তৈরি করে, তখন তাকে যৌগিক বাক্য বলে। যেমন- সে দরিদ্র, কিন্তু সুখী।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖পরস্পর নিরপেক্ষ দুই বা ততোধিক সরল বা মিশ্র বাক্য মিলিত হয়ে একটি সম্পূর্ণ বাক্য গঠন করলে তাকে যৌগিক বাক্য বলে।

যৌগিক বাক্যের অন্তর্গত নিরপেক্ষ বাক্যগুলো এবং, ও, কিন্তু, অথবা, অথচ, কিংবা, বরং, তথাপি প্রভৃতি অব্যয় যোগে সংযুক্ত বা সমন্বিত থাকে।

যেমন:

❏ নেতা জনগণকে উৎসাহিত করলেন বটে কিন্তু কোনো পথ দেখাতে পারলেন না।

❏ তার বয়স হয়েছে, কিন্তু বুদ্ধি হয়নি।

১৬৬. নিচের কোনটি শুদ্ধ?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - আলফা- ১৮.০৪.১৪ 📖 বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়➟2016➯B ইউনিট 📖 Rupali Bank Ltd - Officer 28.05.10

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖শব্দগুলোর মধ্যে 'সৌজন্যে' শব্দটির বানান শুদ্ধ।

আর অন্যান্য অপশন গুলোর মধ্যে কিছু ব্যাকরন জনিত ভুল রয়েছে। তাই সঠিক উত্তর সৌজন্যে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖সৌজন্যতা শব্দটি ব্যাকরণগত ভাবে ভুল বানান। এর সঠিক বানান হচ্ছে- সৌজন্য।

সৌজন্য (বিশেষ্য পদ): ভদ্রতা, অমায়িকতা, শিষ্ট-ব্যবহার।

১৬৭. ”বাগাড়ম্বর” শব্দের সন্ধি-বিচ্ছেদ ---

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - আলফা- ১৮.০৪.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”বাগাড়ম্বর” শব্দের সন্ধি-বিচ্ছেদ -- বাক্‌ + আড়ম্বর।

স্বরবর্ণ পড়ে থাকলে বর্গের প্রথম বর্ণ স্থানে সেই বর্গের তৃতীয় বর্ণ হয়। অর্থাৎ ক, চ, ট, ত, প স্থানে যথাক্রমে গ, জ, ড, দ, ব হয়।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖ক, চ, ট, ত, প থাকলে এবং তাদের পরে স্বরধ্বনি থাকলে সেগুলো যথাক্রমে গ, জ, ড (ড়), দ, ব হয়।

ক্ + অ = গ + অ

দিক্ + অন্ত = দিগন্ত

ক্ + আ = গ + আ

বাক্ + আড়ম্বর = বাগাড়ম্বর

ক্ + ঈ = গ + ঈ

বাক্ + ঈশ = বাগীশ

১৬৮. সন্ধির উদ্দেশ্য কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - আলফা- ১৮.০৪.১৪ 📖 মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (সিপাই) 29-01-2021

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖সন্ধির উদ্দেশ্য হলো : ধ্বনিগত মাধুর্য সৃষ্টি।

শনির উদ্দেশ্য স্বাভাবিকভাবে উচ্চারণের সহজ প্রবণতা এবং ধ্বনিগত মাধুর্য সম্পাদন। যেমন: আশা ও অতীত উচ্চারণে যে আয়াশ প্রয়োজন আশাতীত তার চেয়ে অল্প উচ্চারিত হয় এবং শ্রুতিমধুর।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖সন্নিহিত দুটি ধ্বনির মিলনের নাম সন্ধি।

সন্ধির উদ্দেশ্য হলঃ

❏(ক) স্বাভাবিক উচ্চারণে সহজপ্রবণতা।

❏(খ) ধ্বনিগত মাধুর্য সম্পাদন।

যেমন- হিম ও আলয়কে একত্রে হিমালয় উচ্চারণ করা হয়।

১৬৯. বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম নাটক কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - আলফা- ১৮.০৪.১৪ 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2010➯C ইউনিট 📖 পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের জেলা সমন্বয়কারী - 22.12.17

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম নাটক ভদ্রার্জুন।

বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম নাটক তারাচরণ শিকদার রচিত ভদ্রার্জুন। এটি ইংরেজি ও সংস্কৃতির যুক্ত আদর্শে রচিত প্রথম মৌলিক নাটক।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖১৮৫২ সালে বাংলা সাহিত্যের প্রথম মৌলিক নাটক 'ভদ্রার্জুন' প্রকাশিত হয়।

নাটকটির রচয়িতা - তারাচরণ শিকদার। এটি একটি কমেডি নাটক।

১৮৫২ সালেই প্রকাশিত হয় প্রথম ট্রাজেডি নাটক। এর নাম - কীর্তিবিলাস।

কীর্তিবিলাসের রচয়িতা - যোগেন্দ্রচন্দ্র গুপ্ত।

১৮৬১ সালে প্রকাশিত হয় - বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ট্রাজেডি।

এর নাম - কৃষ্ণকুমারী। রচয়িতা - মাইকেল মধুসূদন দত্ত।


১৭০. ঐতিহাসিক নাটক কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - আলফা- ১৮.০৪.১৪ 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ভলগা- ০৮.১১.১৩ 📖 সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের  সমাজসেবা অফিসার (হাসপাতাল)-১.০৭

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖নুরজাহান দ্বিজেন্দ্রলাল রায় রচিত ঐতিহাসিক নাটক।

তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিক নাটক হল: তারাবাঈ, প্রতাপ সিংহ, দুর্গাদাস, সাজাহান, মেবার পতন।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖'নূরজাহান' দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ঐতিহাসিক নাটক, 

'সধবার একাদশী' দীনবন্ধু মিত্র রচিত প্রহসন, 

'রাবণবধ' গিরিশচন্দ্র ঘোষের পৌরাণিক নাটক 

এবং 'ডাকঘর' রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নাটক।

১৭১. ”সব ঝিনুকে মুক্তা মিলে না” বাক্যে “ঝিনুকে” কোন কারকে কোন বিভক্তি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - আলফা- ১৮.০৪.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”সব ঝিনুকে মুক্তা মিলে না” বাক্যে “ঝিনুকে” অপাদান কারকে সপ্তমী বিভক্তি।

যা থেকে কিছু বিচ্যুত গৃহীত জাত বিরত আরম্ভ দূরীভূত ও রক্ষিত হয় এবং যা দেখি কেউ ভীত হয় তাকেই অপাদান কারক বলে। যেমন: সব ঝিনুকে মুক্তা মিলেনা বাক্যে ঝিনুক শব্দটি অপাদান কারক আর 'এ' থাকায় এটি সপ্তমী বিভক্তি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖প্রশ্নোক্ত বাক্যে ঝিনুক থেকে মুক্তা উৎপন্ন হওয়ার কথা বলা হয়েছে। তাই তা অপাদান কারক।

এতে 'এ' বিভক্তি যুক্ত আছে, তাই এটি অপাদানে সপ্তমী বিভক্তি।

যা থেকে কিছু বিচ্যুত, জাত, বিরত, আরম্ভ, উৎপন্ন, দূরীভূত ও রক্ষিত হয় এবং যা দেখে কেউ ভীত হয়, তাকেই অপাদান কারক বলে। যেমনঃ

বাবাকে বড্ড ভয় পাই,

ট্রেন স্টেশন ছেড়েছে,

গাছ হতে ফলটি পড়ল।

১৭২. ”কান্নায় শোক কমে” বাক্যে “কান্নায়” কোন কারক?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - আলফা- ১৮.০৪.১৪ 📖 জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়➟2009➯G ইউনিট 📖 43th BCS General Oct, 2021

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”কান্নায় শোক কমে” বাক্যে “কান্নায়” অধিকরণ কারক।

ক্রিয়া সম্পাদনের কাল এবং আধার কে অধিকরণ কারক বলে। যেমন : সূর্যদয়ে অন্ধকার দূরীভূত হয়। কান্নায় শোক কমে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖যদি কোনো ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য অন্য ক্রিয়ার কোনোরূপ ভাবের অভিব্যক্তি প্রকাশ করে, তবে তাকে ভাবাধিকরণ বলে। ভাবাধিকরণে সর্বদাই সপ্তমী বিভক্তির প্রয়োগ হয় বলে একে ‘ভাবে সপ্তমী’ বলা হয়। যেমন-

সূর্যোদয়ে অন্ধকার দূরীভূত হয়।

কান্নায় শোক মন্দীভূত হয়।

হাসিতে মুক্তা ঝরে।

জলে কুমির, ডাঙায় বাঘ।

১৭৩. ”ক্রীতদাসের হাসি” উপন্যাসের লেখক--

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - আলফা- ১৮.০৪.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”ক্রীতদাসের হাসি” উপন্যাসের লেখক- শওকত ওসমান।

তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাস গুলো হল : জননী, জাহান্নাম হইতে বিদায়, দুই সৈনিক, নেকড়ে অরণ্য।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖শওকত ওসমান রচিত কয়েকটি উপন্যাস -

ক্রীতদাসের হাসি, সমাগম, রাজা উপাখ্যান, জাহান্নাম হইতে বিদায়, দুই সৈনিক, নেকড়ে অরণ্য, পতঙ্গ পিঞ্জর, রাজসাক্ষী, জলাঙ্গী, পুরাতন খঞ্জর, বনি আদম, জননী, চৌরসন্ধি, ইত্যাদি।

শওকত ওসমান রচিত নাটক -

তস্কর নস্কর, পূর্ণ স্বাধীনতা চূর্ণ স্বাধীনতা, আমলার মামলা।

শওকত ওসমান রচিত গল্পগ্রন্থ -

ঈশ্বরের প্রতিদ্বন্দী, পিঁজরাপোল, জন্ম যদি তব বঙ্গে ইত্যাদি।

১৭৪. ”ঝাঁকের কই” বাগধারাটির অর্থ-

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - আলফা- ১৮.০৪.১৪ 📖 হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়➟2017➯ইউনিট : C 📖 Krishi Bank - Senior Officer - 25.03.11

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”ঝাঁকের কই” বাগধারাটির অর্থ- একই দলের লোক।

এখানে ঝাঁকের কই বোঝাতে সবাই একই প্রকৃতির লোক অর্থ প্রকাশ পায়।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖ঝাঁকের কৈ- এক দলভুক্ত / একই দলের লোক।

ঝড়ো কাক- বিপর্যস্ত।

ঝিকে মেরে বউকে বোঝানো- একজনের মাধ্যমে দিয়ে অন্যজনকে শিক্ষাদান।

ঝোপ বুঝে কোপ মারা- সুযোগ মত কাজ করা।

১৭৫. ”অপরাজিত” উপন্যাসের লেখক--

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - আলফা- ১৮.০৪.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”অপরাজিত” উপন্যাসের লেখক- বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

অপরাজিত বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত দ্বিতীয় উপন্যাস। ‘প্রবাসী’ মাসিকপত্রে ১৩৩৬ সালের পৌষ সংখ্যা থেকে ১৩৩৮- এর আশ্বিন সংখ্যা পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল। উপন্যাসের স্ফীতির কারণে দু খণ্ডে বিভক্ত হয়ে প্রথম বের হয়ঃ প্রথম ভাগের প্রকাশকাল মাঘ ১৩৩৮ [এপ্রিল ১৯৩২], দ্বিতীয় ভাগের প্রকাশকাল ফাল্গুন ১৩৩৮ [মে ১৯৩২]। এবারেও প্রকাশক ছিলেন সজনীকান্ত দাস, বের করা হয়েছিল রঞ্জন প্রকাশালয় থেকে এবং দাম ছিল যথাক্রমে দু টাকা চার আনা ও দু টাকা। পরে ‘অপরাজিত’ দু খণ্ডের জায়গায় এক খণ্ডে মুদ্রিত হয়, এখনও তাই হচ্ছে। বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায় এ উপন্যাসটি উৎসর্গ করেছিলেন ‘মাতৃদেবীকে’।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের রচিত প্রথম উপন্যাস হলো পথের পাঁচালী (১৯২৯)। 

অপরাজিত (১৯৩১) হলো পথের পাঁচালীর দ্বিতীয় খন্ড। 

ইছামতী (১৯৪৯) উপন্যাসের জন্য তিনি রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন।

১৭৬. ”কবর” কবিতায় কতটি পংক্তি রয়েছে?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - আলফা- ১৮.০৪.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”কবর” কবিতায় ১১৮টি পংক্তি রয়েছে।

এটি জসিম উদ্দিনের বিখ্যাত কবিতা। প্রথম 'কল্লোল' পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এবং পরবর্তীতে 'রাখালী' কাব্য গ্রন্থে সংকলিত হয়।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖''রাখালী'' পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের প্রথম কাব্যগ্রন্থ। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২৭ সালে।

বইটিতে মোট ১৯টি কবিতা আছে। তাঁর বিখ্যাত কবর কবিতাটি এই কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।

'কবর' কবিতাটি প্রথম প্রকাশিত হয় কল্লোল পত্রিকায়। এটি মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত যাতে ১১৮টি পঙক্তি আছে। 

এটি কবি জসীম উদ্দীনের বহুল পঠিত ও নন্দিত কবিতা। এটি একটি শোক-প্রকাশক কবিতা।

১৭৭. জসীমউদ্‌দীনের শ্রেষ্ঠ কাহিনী কাব্য কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - আলফা- ১৮.০৪.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖জসীমউদ্‌দীনের শ্রেষ্ঠ কাহিনী কাব্য 'নকশী কাঁথার মাঠ'।

নকশী কাঁথার মাঠ ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত বাংলা সাহিত্যের একটি অনবদ্য আখ্যানকাব্য। বাংলা ভাষায় রচিত এই আখ্যানকাব্যের লেখক বাংলাদেশের পল্লীকবি জসীম উদ্ দীন। বাংলা কবিতার জগতে যখন ইউরোপীয় ধাঁচের আধুনিকতার আন্দোলন চলছিল তখন প্রকাশিত এই কাব্যকাহিনী ঐতিহ্যগত ধারার শক্তিমত্তাকে পুনঃপ্রতিপন্ন করে। এটি জসীমউদদীনের একটি অমর সৃষ্টি হিসাবে বিবেচিত। কাব্যগ্রন্থটি ইংরেজিতে অনুবাদিত হয়ে বিশ্বপাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছিল। নকশী কাঁথার মাঠ কাব্যোপন্যাসটি রূপাই ও সাজু নামক দুই গ্রামীণ যুবক-যুবতীর অবিনশ্বর প্রেমের করুণ কাহিনী। এই দুজনই ছিলেন বাস্তব চরিত্র।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖কবি জসীম উদদীন রচিত 'নকশী কাঁথার মাঠ' কাব্যগ্রন্থটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২৯ সালে। 

এটি বাংলা সাহিত্যের একটি অনবদ্য আখ্যানকাব্য বা কাহিনী কাব্য। 

রূপাই ও সাজু নামক দুই গ্রামের যুবক যুবতীর অবিনশ্বর প্রেমের করুন কাহিনী এই কাব্যে রচিত হয়েছে। 

এই দুজনই ছিলেন বাস্তব চরিত্র।।

১৭৮. কোন শব্দটি তৎপুরুষ শব্দ?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - আলফা- ১৮.০৪.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'মধুমাখা' শব্দটি তৎপুরুষ শব্দ।

পূর্ব পদের বিভক্তি লোপ পেয়ে যে সমাস হয় এবং যে সমাসে পরপদের অর্থ প্রধান ভাবে বোঝায় তাকে তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন : মধু দিয়ে মাখা = মধু মাখা, শ্রম দ্বারা লব্ধ = শ্রম লব্ধ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাসঃ

পূর্বপদে তৃতীয়া বিভক্তির (দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক ইত্যাদি) লোপে যে সমাস হয়, তাকে তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস বলে। 

যথা-

মন দিয়ে গড়া = মনগড়া, 

শ্রম দ্বারা লব্ধ = শ্রমলব্ধ, 

মধু দিয়ে মাখা= মধুমাখা,

রব(শব্দ) দ্বারা আহুত(ডাকা হয়েছে এমন) =রবাহুত, 

রক্ত দ্বারা অক্ত(মাখানো)=রক্তাক্ত।

ক) উন, হীন, শূন্য প্রভৃতি শব্দ উত্তরপদ হলেও তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস হয়।

যথা- 

এক দ্বারা উন = একোন, 

বিদ্যা দ্বারা হীন = বিদ্যাহীন, 

জ্ঞান দ্বারা শূন্য = জ্ঞানশূন্য, 

পাঁচ দ্বারা কম = পাঁচ কম।

খ) উপকরণবাচক বিশেষ্য পদ পূর্বপদে বসলেও তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস হয়। 

যথা- স্বর্ণ দ্বারা মণ্ডিত = স্বর্ণমণ্ডিত। এরূপ-হীরকখচিত, চন্দনচর্চিত, রত্নশোভিত ইত্যাদি।

১৭৯. সমাসের রীতি কোন ভাষা থেকে আগত?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - আলফা- ১৮.০৪.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖সমাসের রীতি সংস্কৃত ভাষা থেকে আগত।

বাক্যে শব্দের ব্যবহার সংক্ষেপ করার উদ্দেশ্যে সমাসের সৃষ্টি। সমাস দ্বারা দু বা ততোধিক শব্দের সমন্বয়ে নতুন অর্থবোধক পদ সৃষ্টি হয়।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖'সমাস' শব্দের অর্থ সংক্ষেপ, মিলন ও একাধিক পদের একপদীকরণ।

অর্থ সম্বন্ধ আছে এমন একাধিক শব্দের এক সঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি বড় শব্দ গঠনের প্রক্রিয়াকে সমাস বলে। 

সমাসের রীতি সংস্কৃত থেকে বাংলায় এসেছে।

১৮০. ”কাকনিদ্রা” শব্দটির অর্থ কি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - আলফা- ১৮.০৪.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”কাকনিদ্রা” শব্দটির অর্থ : অগভীর সতর্ক নিদ্রা।

কাকনিদ্রা শব্দটির আরো কিছু অর্থ হলো: কাকতন্দ্রা, অগভীর সতর্ক ঘুম, কপট ঘুম ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖কাকতন্দ্রা, কাকনিদ্রা (বিশেষ্য) - অগভীর সতর্ক ঘুম। 

নাবুড়ি - কুপরামর্শ; অনিষ্ট চিন্তা। 

মটকা - কপট নিদ্রা; ঘুমের ভান।

১৮১. বাগধারা যুগলদের মধ্যে কোন জোড়া সর্বাধিক সমার্থক বাচক?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - আলফা- ১৮.০৪.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'বকধার্মিক' ও 'বিড়াল তপস্বী' বাগধারার অর্থ যথাক্রমে : কপট সাধু, ভন্ড ধার্মিক।

তাই বাগধারা যুগলদের মধ্যে বকধার্মিক ও বিড়াল তপস্বী বাগধারা সর্বাধিক সমর্থক বাচক।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖বক ধার্মিক, বিড়াল তপস্বী ও তুলসী বনের বাঘ বাগধারাগুলোর অর্থ - ভন্ড।

ভিজে বিড়াল অর্থ - কপট ব্যক্তি।

অমাবস্যার চাঁদ অর্থ - দুর্লভ বস্তু।

আকাশ কুসুম অর্থ - অসম্ভব কল্পনা। 

রুই-কাতলা অর্থ = পদস্থ বা নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি। 

কেউ কেটা অর্থ - সামান্য।

১৮২. শুদ্ধ বানানের শব্দ গুচ্ছ-

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - আলফা- ১৮.০৪.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖শুদ্ধ বানানের শব্দ গুচ্ছ হলো-- যশলাভ, সদ্যোজাত, সম্বর্ধনা।

অন্যান্য বানান শব্দগুচ্ছের মধ্যে কিছু শব্দ ভুল রয়েছে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖 বানানটি ভুল। সঠিক বানান- জন্মবার্ষিকী।

ভবিষ্যত বানানটি ভুল। সঠিক বানান- ভবিষ্যৎ।

ভৌগলিক বানানটি ভুল। সঠিক বানান- ভৌগোলিক।

তৃতীয় অপশনে সব বানান ঠিক - সংবর্ধনা।

কেবলমাত্র বানানটি ভুল। সঠিক বানান- কেবল/মাত্র।

১৮৩. অশুদ্ধ শব্দ কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - আলফা- ১৮.০৪.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖সঠিক হল বীণাপাণি

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖বীণাপানি বানানটি ভুল। সঠিক বানান- বীণাপাণি।

১৮৪. সঠিক উত্তর কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - আলফা- ১৮.০৪.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖হত্যা করার ইচ্ছা = জিঘাংসা এবং হয়ত হবে = সম্ভাব্য এ দুটি সঠিক।

আর অন্য দুটি হবে : গম্ভীর ধ্বনি মন্দ্র, এবং যা লাফিয়ে চলে = প্লবগ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖অপশন (ক) এবং (গ) উভয়ই সঠিক উত্তর। তাই প্রশ্নটি বাতিল করা হলো।

বধ/হত্যা/হনন করার ইচ্ছা = জিঘাংসা,

হয়ত হবে = সম্ভাব্য,

গম্ভীর ধ্বনি = মন্দ্র,

যা লাফিয়ে চলে = প্লবগ।

১৮৫. ”ঋজু” শব্দের বিপরীত শব্দ কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - আলফা- ১৮.০৪.১৪ 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2010➯ক ইউনিট 📖 খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়➟2016➯B ইউনিট

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”ঋজু” শব্দের বিপরীত শব্দ বঙ্কিম।

ঋজু শব্দের অর্থ : অবক্র, সোজা। তাই সঠিক উত্তর হবে বঙ্কিম।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖‘ঋজু’ শব্দের সমার্থক শব্দ সোজা, অকপট।

এর বিপরীত শব্দ বঙ্কিম, কুটিল, আঁকাবাঁকা ইত্যাদি।

১৮৬. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ”কৃষ্ণকান্তের উইল” উপন্যাসের প্রধানদুটি চরিত্রের নাম---

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - গামা- ১৮.০৪.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖বঙ্কিমচন্দ্রের কৃষ্ণকান্তের উইল উপন্যাসের চরিত্রঃ রোহিনী, গোবিন্দলাল, ভ্রমর।

এতে ত্রিভুজ প্রেমের গল্প ফুটে উঠেছে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖কৃষ্ণকান্তের উইল (১৮৭৮) বঙ্কিমচন্দ্রের একটি সামাজিক উপন্যাস।

এটি তার সর্বশ্রেষ্ঠ উপন্যাস হিসেবে বিবেচিত।

এই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র গুলোর নাম গোবিন্দলাল, রোহিনী এবং ভ্রমর।

১৮৭. ”ইসলামের ইতিহাস ও ঐতিহ্য” কোন কাব্যের উপজীব্য?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - গামা- ১৮.০৪.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖সাত সাগরের মাঝি কবি ফররুখ আহমদের একটি কাব্যগ্রন্থ। এতে স্থান পাওয়া একটি কবিতার নামও সাত সাগরের মাঝি। ১৯৪৪ সালের ডিসেম্বর মাসে বইটি প্রকাশিত হয়। এই বইয়ের ১৯টি কবিতার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে পাঞ্জেরী, সিন্দবাদ, আকাশ-নাবিক, ডাহুক, এই সব রাত্রি ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖'ইসলামের ইতিহাস ও ঐতিহ্য' সাত সাগরের মাঝি কাব্যগ্রন্থের উপজীব্য।

'সাত সাগরের মাঝি' কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা ফররুখ আহমদ। 

এটি প্রকাশিত হয় ১৯৪৪ সালে।

১৮৮. ”কাশবনের কন্যা” কোন জাতীয় রচনা?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - গামা- ১৮.০৪.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖"কাশবনের কন্যা" আবুল কালাম শামশুদ্দিন রচিত উপন্যাস।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖'কাশবনের কন্যা' উপন্যাসের রচয়িতা- শামসুদ্দিন আবুল কালাম। 

তাঁর রচিত অন্যান্য উপন্যাস- দুই মহল, আলমনগরের উপকথা, নবান্ন, জায়জঙ্গল, সমুদ্রবাসর, কাঞ্চনগ্রাম ও কাঞ্চনমালা ইত্যাদি। এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

১৮৯. বাংলা ভাষায় প্রথম সাময়িকপত্র কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - গামা- ১৮.০৪.১৪ 📖 28th BCS General Nov, 2008

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ০

ব্যাখ্যাঃ

🔖বাংলা ভাষার প্রথম সাময়িক পত্র দিকদর্শন ১৮১৮ খ্রিষ্টাবের এপ্রিল মাসে জন ক্লার্ক মার্শম্যানের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়৷

১৯০. কোন বানানটি শুদ্ধ?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - গামা- ১৮.০৪.১৪ 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2015➯A ইউনিট 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ডেলটা- ১৮.০৪.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖শুদ্ধ বানানঃ অভ্যন্তরীণ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖অভ্যন্তরীণ (অভ্যন্তর + ঈন):

১. মধ্যবর্তী

২. অভ্যন্তরে আছে এমন, ভেতরের

৩. মানসিক

১৯১. সঠিক বানান কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - গামা- ১৮.০৪.১৪ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -ডালিয়া- ১২.১০.১২ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -যমুনা- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖শুদ্ধ বানানঃ দধীচি। দধীচি অর্থ মুনি বিশেষ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖ঈই - কার যোগে গঠিত শব্দঃ শারীরিক, মরীচিকা।

ইঈ - কার যোগে গঠিত শব্দঃ গৃহিনী, মালিনী, বাঘিনী।

বিশেষ ব্যক্তিত্বের নামের বানানঃ পাণিনি, কৃত্তিবাস, দধীচি, বাল্মীকি।

১৯২. ”রাত্রির শেষ ভাগ” এক কথায়--

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - গামা- ১৮.০৪.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖রাত্রির শেষ ভাগ - পররাত্র

রাত্রির মধ্য ভাগ - মহানিশা।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖রাত্রির শেষ ভাগ- পররাত্র,

রাত্রির মধ্যভাগ- মহানিশা, 

গভীর রাত্রি- নিশীথ, 

রাত্রির তিন ভাগ একত্রে- ত্রিযামা,

রাতের শিশির- শবনম।

১৯৩. কোনটি “অধিত্যকা” শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - গামা- ১৮.০৪.১৪ 📖 DPE ২০১৮- সহকারী লাইব্রেরিয়ান কাম ক্যাটালগার এবং উচ্চমান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক -২২.০৬.১৮ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -ঢাকা বিভাগ- ১৮.০৪.০৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖মূলশব্দ - বিপরীত শব্দ

অধিত্যকা- উপত্যকা

হালকা - ভারী

আর্বিভাব - তিরোভাব

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖‘অধিত্যকা’ শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ ‘উপত্যকা’;

‘আলো’ শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ ‘অন্ধকার’;

‘আবির্ভাব’ শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ ‘তিরোভাব’;

এবং ‘ভারী’ শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ ‘হালকা’।

১৯৪. ”ঐহিক” শব্দের বিপরীত শব্দ কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - গামা- ১৮.০৪.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”ঐহিক” শব্দের বিপরীত শব্দ- পারত্রিক।

অবনতি শব্দের বিপরীত শব্দ উন্নতি। অদৃশ্য শব্দের বিপরীত শব্দ দৃশ্য। অকৃতজ্ঞ শব্দের বিপরীত শব্দ কৃতজ্ঞ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖‘ঐহিক’ শব্দের বিপরীত শব্দ ‘পারত্রিক’;

‘উন্নতি’ শব্দের বিপরীত শব্দ ‘অবনতি’;

‘দৃশ্য’ শব্দের বিপরীত শব্দ ‘অদৃশ্য’;

এবং ‘কৃতজ্ঞ’ শব্দের বিপরীত শব্দ ‘অকৃতজ্ঞ’

১৯৫. সমাসের রীতি কোন ভাষা থেকে আগত?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - গামা- ১৮.০৪.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖বর্ণনাঃ সমাসের রীতি সংস্কৃত ভাষা হতে এসেছে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖'সমাস' শব্দের অর্থ সংক্ষেপ, মিলন ও একাধিক পদের একপদীকরণ।

অর্থ সম্বন্ধ আছে এমন একাধিক শব্দের এক সঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি বড় শব্দ গঠনের প্রক্রিয়াকে সমাস বলে।

সমাসের রীতি সংস্কৃত থেকে বাংলায় এসেছে।

১৯৬. নীল যে অম্বর = নীলাম্বর - কোন সমাস?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - গামা- ১৮.০৪.১৪ 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2005➯A ইউনিট 📖 বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়➟2014➯B ইউনিট

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖নীল যে অম্বর = নীলাম্বর। কর্মধারয় সমাস।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖সঠিক উত্তরঃ কর্মধারয় সমাস।

যেখানে বিশেষণ বা বিশেষণভাবাপন্ন পদের সাথে বিশেষ্য বা বিশেষ্যভাবাপন্ন পদের সমাস হয় এবং পরপদের অর্থই প্রধান রূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন-

নীল যে অম্বর = নীলাম্বর। 

নীল যে আকাশ = নীলাকাশ।

নীল যে পদ্ম = নীলপদ্ম।

রক্ত যে কমল = রক্তকমল।

অতিরিক্ত আলোচনাঃ

যে সমাসে পূর্ব বা পর কোন পদের অর্থ না বুঝিয়ে তৃতীয় কোন অর্থ প্রকাশ করে তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে।

যেমনঃ

নীল অম্বর যার = নীলাম্বর।

দশ আনন যার = দশানন।

পদ্ম নাভিতে যার = পদ্মনাভ।

১৯৭. ”তিনি ব্যকরণে পন্ডিত” -বাক্যে “ব্যকরণে” শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - গামা- ১৮.০৪.১৪ 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2015➯ঘ ইউনিট 📖 ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়➟2011➯C ইউনিট

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”তিনি ব্যকরণে পন্ডিত” -বাক্যে “ব্যকরণে” শব্দটি অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি।

ক্রিয়ার আঁধারকে অধিকরণ কারক বলে। অর্থাৎ যে স্থানে বা যে বিষয়টি আশ্রয় করে ক্রিয়া সম্পাদন হয় সে বিষয়ে সময় বা স্থানকে অধিকরণ কারক বলে। যেমন পুকুরে মাছ আছে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖কোনো বিশেষ গুণে কারও দক্ষতা বা ক্ষমতা থাকলে সেখানে বৈষয়িক অধিকরণ হয়।

যেমনঃ রাকিব অঙ্কে কাচা কিন্তু ব্যাকরণে ভালো।

তেমনিভাবে, তিনি ব্যাকরণে পণ্ডিত।

এবং, অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি অর্থাৎ 'এ' 'য়' 'তে' ইত্যাদি যুক্ত হয়।

সুতরাং, 'ব্যাকরণে' শব্দটি অধিকরণে সপ্তমী৷

১৯৮. ”জগতে কীর্তিমান হও সাধনায়”--বাক্যে “সাধনায়” শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - গামা- ১৮.০৪.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”জগতে কীর্তিমান হও সাধনায়”--বাক্যে “সাধনায়” শব্দটি করণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি।

করণ শব্দটির অর্থ যন্ত্র, সহায়ক বা উপায়। অতএব ক্রিয়া সম্পাদনের যন্ত্র, উপকরণ বা সহায়ক এই করণ কারক বলে। যেমন- যে বরশি দিয়ে মাছ ধরা হয়।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖করণ শব্দটির অর্থ - যন্ত্র, সহায়ক, উপায়।

ক্রিয়া সম্পাদনের যন্ত্র, উপকরণ বা সহায়ককেই বলে করণ কারক।

কীসের দ্বারা বা কী উপায়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায় তাই করণ কারক।

যেমন - “জগতে কীর্তিমান হও সাধনায়” - এই বাক্যে কিসের দ্বারা বা কী উপায়ে কীর্তিমান হওয়া যাবে প্রশ্ন করলে উত্তর পাওয়া যায় ‘সাধনায়’।

এবং এর সাথে সপ্তমী বিভক্তি ‘এ’ যুক্ত হয়েছে।

১৯৯. কোনটি “নিরাময়” শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - গামা- ১৮.০৪.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖নিরাময় শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ হচ্ছে নিঃ + আময়।

বিসর্গের পরে 'আ' ধ্বনি থাকলে সন্ধি করতে 'আ' এর প্রভাবে বিসর্গ স্থানে 'র' হয়। যেমন- নিরাকার = নিঃ + আকার, নিরাকরণ = নিঃ + আকরণ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖অ ও আ ভিন্ন অন্য স্বরের পরে বিসর্গ থাকলে এবং তার সাথে অ, আ, বর্গীয় ঘোষ অল্পপ্রাণ ও মহাপ্রাণ ব্যঞ্জনধ্বনি, নাসিক্যধ্বনি বা অন্তস্থ য, ব, র, ল, হ থাকলে বিসর্গ স্থানে র হয়। 

যথা- 

নিরাময় = নিঃ + আময়,

আশীর্বাদ = আশীঃ + বাদ, 

নিরাকার = নিরঃ + আকার, 

নিরাকরণ = নিঃ + আকরণ, 

নির্জন = নিঃ + জন, 

দুর্যোগ = দুঃ + যোগ, 

দুরন্ত = দুঃ + অন্ত।

২০০. ”সাহচর্য” শব্দের শুদ্ধ গঠন কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - গামা- ১৮.০৪.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”সাহচর্য” শব্দের শুদ্ধ গঠন সহচর + য।

সাহচর্য শব্দটি সংস্কৃত সহচর + য যোগে গঠিত। এ শব্দটির অর্থ হল সঙ্গ ,সান্নিধ্য ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖সাহচর্য (বিশেষ্য) 

১) সংস্রব (সাধু সাহচর্য)।

২) সহায়তা (কাজে সাহচর্য দান)।

৩) সঙ্গ (সাহচর্য দান)।

{(তৎসম বা সংস্কৃত) সহচর+য(ষ্যঞ্▫)}

২০১. ”সাক্ষী গোপাল” এর অর্থ কী?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - গামা- ১৮.০৪.১৪ 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ডেলটা- ১৮.০৪.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖সাক্ষী গোপাল বাগধারার অর্থ "নিষ্ক্রিয় দর্শক।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖সাক্ষীগোপাল (বিশেষ্য) নিষ্ক্রিয় দর্শক (তাহার সহধর্মিণী, তৎকালে, সাক্ষীগোপালস্বরূপ ছিলেন-ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর)

২০২. ”বড়র পীরিতি বালির বাঁধ” বাগধারাটির সঠিক অর্থ---

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - গামা- ১৮.০৪.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”বড়র পীরিতি বালির বাঁধ” বাগধারাটির সঠিক অর্থ--- ভঙ্গুর।

একতরফা শব্দের অর্থ: আংশিক, দৈশিক, অপূর্ণ, আসক্ত, অর্ধ, আধো, অসম্পূর্ণ, পক্ষপাতপূর্ণ, খণ্ডিত, পক্ষপাতী, একদেশদর্শী, একপার্শ্বিক, একচক্ষু, পক্ষপাতদুষ্ট, একতরফা।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖'বড়র পিরিতি বালির বাঁধ' বাগধারাটির অর্থ ভঙ্গুর।

বাগধারাটি ভারতচন্দ্র রায়গুণাকরের একটি বিখ্যাত উক্তি থেকে নেওয়া হয়েছে।

'বড়র পিরিতি বালির বাঁধ, ক্ষণে হাতে দড়ি ক্ষণেকে চাঁদ।'

অর্থাৎ যতই পিরিতি কর না কেন, দিন ফুরালে বালির বাঁধের মতো সব ভেঙে যায়। 

সামান্য একটু ঢেউ ও ধসিয়ে দিতে পারে বালির প্রেম।

তবুও ক্ষণেক চাঁদের জন্যই সমাজ দড়িকে মেনে নিতে বাধ্য হয়।

২০৩. ”সবুজপত্র” কি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - গামা- ১৮.০৪.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖বিংশ শতাব্দির প্রথম ভাগে বাংলা ভাষায় অন্যতম প্রধান সাময়িক পত্রিকা ছিলো সবুজ পত্র। প্রমথ চৌধুরীর সম্পাদনায় এটি প্রকাশিত হতো। এর প্রথম প্রকাশ বাংলা ১৩২১ সালে (ইংরেজি: ১৯১৪ খ্রি.)। সবুজ পত্রে কখনো কোনো বিজ্ঞাপন এবং ছবি প্রকাশিত হয় নি। প্রমথ চৌধুরী সাময়িকীটিকে বাণিজ্যিকভাবে আকর্ষনীয় রূপ প্রদানের জন্যে কোনো চেষ্টা করেননি বরং তিনি এর মান এবং আদর্শ সমুন্নত রাখার প্রতি অত্যন্ত সতর্ক ছিলেন। তাই সবুজ পত্র সাধারণ পাঠক ও লেখকদের কাছে জনপ্রিয় হতে পারেনি। প্রথম পর্যায়ে এটি ১৩২৯ বঙ্গাব্দ(১৯২২ সাল)পর্যন্ত প্রকাশিত হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে সবুজ পত্রের প্রকাশনা শুরু হয় ১৩৩২ বঙ্গাব্দ থেকে। সাময়িকীটি শেষ পর্যন্ত ১৩৩৪ বঙ্গাব্দে (১৯২৭ সালে) বন্ধ হয়ে যায়।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖সবুজপত্র বিংশ শতাব্দীর বাংলায় আধুনিকতার বাহন বাংলা সাময়িকী। 

প্রমথ চৌধুরীর সম্পাদনায় সবুজপত্র প্রথম প্রকাশিত হয় ১৩২১ বঙ্গাব্দের (১৯১৪ সালে) ২৫ বৈশাখ।

বাংলা গদ্যরীতির বিকাশে এই পত্রিকার গুরুত্ব অপরিসীম। 

সাধু গদ্যরীতির বদলে চলিত গদ্যরীতি এই পত্রিকা ব্যবহার ও প্রতিষ্ঠা করে।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজেও এই পত্রিকায় লেখার সুবাদে চলিত গদ্যরীতির স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব এবং পরে তা চর্চা করেন।

২০৪. ”কিরণ” এর সমার্থক শব্দ নয়-----

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - গামা- ১৮.০৪.১৪ 📖 রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়➟2011➯A5 ইউনিট 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -গোলাপ- ১১.০৯.০৯

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖রবি শব্দের অর্থ সূর্য৷

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖কিরণ শব্দের সমার্থক শব্দ- ময়ূখ, কর, প্রভা, দীপ্তি, জ্যোতি, অংশু, রশ্মি, আলো, আলোক, বিভা প্রভৃতি।

রবি শব্দের সমার্থক শব্দ- অর্ক, আফতাব, আদিত্য, মিহির, অরুণ, সূর্য।

২০৫. সমাসবদ্ধ পদের পরবর্তী অংশকে কি বলা হয়?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - গামা- ১৮.০৪.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖সমাসবদ্ধ পদের পরবর্তী অংশকে পরপদ বলা হয় ।

সমাসের প্রক্রিয়ায় সমাসবদ্ধ বা সমাস নিষ্পন্ন পদটির নাম সমস্ত পদ। সমস্ত বা সমাসবদ্ধ পদটির অন্তর্গত পদগুলোকে সমস্যমান পদ বলে। সমাস যুক্ত পদ এর প্রথম অংশকে বলা হয় পূর্বপদ এবং পরবর্তী অংশকে বলা হয় উত্তর পদ বা পরপদ। সমস্ত পথকে ভেঙ্গে যে বাক্যাংশ করা হয় তার নাম ব্যাসবাক্য।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖ম সঠিক উত্তর দুইটি - উত্তর পদ ও পর পদ।

❖সমাসের জন্য প্রয়োজনীয় কয়েকটি সংজ্ঞাঃ 

ব্যাসবাক্যঃ যে বাক্যাংশ থেকে সমাসের মাধ্যমে নতুন শব্দ তৈরি হয়, তাকে বলা হয় ব্যাসবাক্য। একে সমাসবাক্য বা বিগ্রহবাক্যও বলা হয়।

সমস্ত পদঃ ব্যাসবাক্য থেকে সমাসের মাধ্যমে যে নতুন শব্দ তৈরি হয়, তাকে বলা হয় সমস্ত পদ।

সমস্যমান পদঃ ব্যাসবাক্যের যে সব শব্দ সমস্ত পদে অন্তর্গত থাকে, সমস্ত পদের সেই সব শব্দকে সমস্যমান পদ বলে।

পূর্বপদঃ সমস্ত পদের প্রথম অংশ/ শব্দকে পূর্বপদ বলে। অর্থাৎ, সমস্ত পদের প্রথম সমস্যমান পদই পূর্বপদ।

পরপদ/ উত্তরপদঃ সমস্ত পদের শেষ অংশ/ শব্দকে পরপদ/ উত্তরপদ বলে। অর্থাৎ, সমস্ত পদের শেষ সমস্যমান পদই পরপদ।

যেমন, সিংহ চিহ্নিত আসন = সিংহাসন।

এখানে ব্যাসবাক্য হলো- ‘সিংহ চিহ্নিত আসন’। 

আর সমস্ত পদ হলো ‘সিংহাসন’। সমস্যমান পদ হলো ‘সিংহ’ আর ‘আসন’। এদের মধ্যে ‘সিংহ’ পূর্বপদ, আর ‘আসন’ পরপদ।

২০৬. ”লালসালু” উপন্যাসের লেখক কে?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ঝিলাম- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”লালসালু” উপন্যাসের লেখক সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ।

লালসালু সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ রচিত একটি উপন্যাস। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৪৮ সালে। এটি বাংলা সাহিত্যের একটি ধ্রুপদী সৃষ্টি। সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ এই উপন্যাসের জন্যে বাংলা একাডেমী পুরস্কার পান।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖'লালসালু' উপন্যাসের রচয়িতা সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ। ধর্ম নিয়ে ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থকারীদের স্বরূপ উন্মোচন এবং নারী জাগরণের প্রেক্ষাপটে সমাজচেতনা এই উপন্যাসের মূল বিষয়। সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর 'লালসালু' একটি বহুমাত্রিক ও কালোত্তীর্ণ উপন্যাস। এই উপন্যাসের উল্লেখযোগ্য চরিত্র- মজিদ, জমিলা, আমেনা, খালেক ব্যাপারী, রহিমা, আক্কাস, তাহেরের বাপ, হাসুনির মা ইত্যাদি।

২০৭. ”মরণ রে, তুঁহুঁ মম শ্যাম সমান।”-- পঙ্‌ক্তিটির রচয়িতা কে?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ঝিলাম- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”মরণ রে, তুঁহুঁ মম শ্যাম সমান।”-- পঙ্‌ক্তিটির রচয়িতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (৭ মে ১৮৬১ - ৭ আগস্ট ১৯৪১; ২৫ বৈশাখ ১২৬৮ - ২২ শ্রাবণ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ) ছিলেন অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক।

তাকে বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক মনে করা হয়। রবীন্দ্রনাথকে “গুরুদেব”, “কবিগুরু” ও “বিশ্বকবি” অভিধায় ভূষিত করা হয়।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖“মরণ রে, তুঁহুঁ মম শ্যাম সমান” এই উক্তিটি রবীন্দ্রনাথের ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী থেকে নেওয়া।

২০৮. ”জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন” নাটকটির রচয়িতা কে?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ঝিলাম- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন” নাটকটির রচয়িতা সেলিম আল দীন।

সেলিম আল দীন নাটকের আঙ্গিক ও ভাষার উপর গবেষণা করেছেন। বাংলা নাটকের শিকড় সন্ধানী এ নাট্যকার ঐতিহ্যবাহী বাংলা নাট্যের বিষয় ও আঙ্গিক নিজ নাট্যে প্রয়োগের মাধ্যমে বাংলা নাটকের আপন বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেছেন। সর্প বিষয়ক গল্প ও অন্যান্য নাটক, জণ্ডিস ও বিবিধ বেলুন, প্রাচ্য, কিত্তনখোলা, হাত হদাই, চাকা ইত্যাদি নাটকের রচয়িতা বাংলা নাটকের শিকর সন্ধানী নাট্যকার সেলিম আল দীন।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖'জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন' সেলিম আল দীন রচিত একটি নাটক। যা ১৯৭২ সালে ডাকসু মঞ্চস্থ করে এবং নাট্য প্রতিযোগিতাতেও প্রথম পুরস্কার পায়।

২০৯. ”বিটপী” শব্দের সমার্থক শব্দ কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ঝিলাম- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖বিটপী শব্দের সমার্থক শব্দ হলো বৃক্ষ, গাছ, পাদপ, দ্রুম, তরু, বিটপী, শাখী, পণী, শৃঙ্গী, শিখরী ইত্যাদি।

২১০. ”কুটিল” শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ঝিলাম- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”কুটিল” শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ সরল।

'কুটিল' শব্দটির অর্থ হলো : অসরল, বক্র, জটিল, কুট ইত্যাদি। 'কুটিল' শব্দটির বিপরীতার্থক শব্দ হলো 'সরল'।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖কুটিল শব্দের অর্থ অসরল, বক্র, জটিল, শঠ, কপট। এর বিপরীত শব্দ হলো সরল।

২১১. বাক্যের প্রতিটি শব্দের সাথে অন্বয় সাধনের জন্য যে সকল বর্ণ যুক্ত হয় তাদের কী বলে?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ঝিলাম- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖বাক্যের প্রতিটি শব্দের সাথে অন্বয় সাধনের জন্য যে সকল বর্ণ যুক্ত হয় তাদের বিভক্তি বলে।

বিভক্তির সাধারণত সাত প্রকার হয়ে থাকে। যথা : শূন্য বা প্রথমা, দ্বিতীয়া, তৃতীয়া, চতুর্থী, পঞ্চমী, ষষ্ঠী ও সপ্তমী।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖বাক্যস্থিত একটি শব্দের সঙ্গে অন্য শব্দের অন্বয় সাধনের জন্য শব্দের সঙ্গে যে সকল বর্ণ যুক্ত হয়, তাদের বিভক্তি বলে।

বিভক্তি প্রধানত ২ প্রকার।

যথা- ক্রিয়া বিভক্তি(পড়+তে=পড়তে) এবং নাম বিভক্তি।

২১২. কোনটি করণ কারকে সপ্তমী বিভক্তির উদাহরণ?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ঝিলাম- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'টাকায় কি না হয়' বাক্যটি করণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি।

করণ শব্দটির অর্থ যন্ত্র, সহায়ক বা উপায়। বাক্যের ক্রিয়াপদের সঙ্গে 'কিসের দ্বারা' বা 'কিসের উপায়' প্রশ্ন করলে উত্তর পাওয়া যায় তাকে করণ কারক বলে। এখানে ক্রিয়াকে কিসের দ্বারা প্রশ্ন করলে উত্তর পাওয়া যায় টাকা এবং টাকার সাথে সপ্তমী বিভক্তি য় যুক্ত হয়েছে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖করণ কারকে সপ্তমী বিভক্তির কয়েকটি উদাহরণঃ

টাকায় কিনা হয় 

টাকায় বাঘের দুধ মেলে

❖তাস খেলে কত ছেলে পড়া নষ্ট করে - এটি করণে শুন্য।

২১৩. ”আমাকে যেতে হবে”-- বাক্যে ”আমাকে” শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ঝিলাম- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারক ও বিভক্তির উদাহরণঃ

আমারে তুমি করিবে ত্রাণ, এ নহে মোর প্রার্থনা - কর্মে ২য়া

আমাকে যেতে হবে - কর্তায় ২য়া

আমারে লহ তুমি করুণা করে - কর্মে ২য়া

২১৪. কোন বানানটি শুদ্ধ?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ঝিলাম- ০৮.১১.১৩ 📖 ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়➟2009➯C ইউনিট 📖 ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়➟2006➯C ইউনিট

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖মুহুর্মুহু বানানটি শুদ্ধ।

শুদ্ধ বানান টি হল মুহুর্মুহু। যার অর্থ : বারবার, পুনঃপুন, ঘনঘন ইত্যাদি। এরূপ আরো কিছু শুদ্ধ বানান হলো মুহূর্ত, মুমূর্ষু ইত্যাদি। প্রশ্ন পর্যন্ত অন্য বানানগুলো ভুল রয়েছে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖মুহুর্মুহু (অব্যয়) - বারে বারে; পুনঃপুন; ঘনঘন।

২১৫. কোন বানানটি শুদ্ধ?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ঝিলাম- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖ছান্দসিক বানানটি শুদ্ধ।

শুদ্ধ বানান টি হল ছান্দসিক। ছান্দ শব্দটির অর্থ হলো বন্ধন, বাঁধন ইত্যাদি। এরূপ আরো কিছু শুদ্ধ বানান হলো ছন্দ, দ্বন্দ্ব, শ্রদ্ধা ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖সঠিক বানান - ছান্দসিক

ছান্দসিক [সংস্কৃত - ছন্দঃ + ইক]

অর্থ - ছন্দ বিষয়ে জ্ঞানসম্পন্ন; ছন্দবিষয়ক

২১৬. ”যে উপকারীর উপকার স্বীকার করে”- এক কথায় কী হবে?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ঝিলাম- ০৮.১১.১৩ 📖 বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়➟2012➯B ইউনিট 📖 ১৩তম বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন পরীক্ষা-(স্কুল/সমপর্যায়)-১২.০৬.১৬

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”যে উপকারীর উপকার স্বীকার করে”- এক কথায় কৃতজ্ঞ বলা হয়।

যে উপকারীর উপকার স্বীকার করে না তাকে অকৃতজ্ঞ বলে। যে উপকারীর অপকার করে তাকে কৃতঘ্ন বলে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖উপকারীর উপকার স্বীকার করে যে - কৃতজ্ঞ

যে উপকারীর অপকার করে - কৃতঘ্ন

যে উপকারীর উপকার স্বীকার করে না - অকৃতজ্ঞ

২১৭. ”কোনোভাবেই যা নিবারণ করা যায় না”- এক কথায় কী হবে?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ঝিলাম- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”কোনোভাবেই যা নিবারণ করা যায় না”- এক কথায় অনিবার্য বলে।

যা দমন করা যায় না তাকে অদম্য বলে। যা হতে পারেনা তাকে অসম্ভব বলে। যা থেকে কিছু নিবারণ করা যায় না তাকে অনিবারিত বলে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖নিবারণ করা যায় না এমন ➝ অনিবার্য।

যা দমন করা যায় না- অদম্য।

যা সহজে দমন করা যায় না ➝ দুর্দম।

অতি কষ্টে যা নিরাবরণ করা যায় - দুর্নিবার।

২১৮. ”আট কপালে” কোন বাগধারা দিয়ে প্রকাশ করা হবে?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ঝিলাম- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖আট কপালে (হতভাগ্য):আট কপালে লোকের ক্ষেত্রে চাকরি জোটা মুশকিল।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖আটকপাল - হতভাগ্য

অষ্টকপাল - হতভাগ্য 

একাদশে বৃহস্পতি - সৌভাগ্যের বিষয় 

অদৃষ্টের পরিহাস - ভাগ্যের নিষ্ঠুরতা।

২১৯. ”বইপড়া” কোন সমাস?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ঝিলাম- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ১

ব্যাখ্যাঃ

🔖”বইপড়া” তৎপুরুষ সমাস।

পূর্ব পদের বিভক্তি লোপ পেয়ে যে সমাস হয় তাকে তৎপুরুষ সমাস বলে। পূর্বপদের কে রে ব্যাপিয়া বিভক্তি লোপ পেলে দ্বিতীয়া তৎপুরুষ সমাস হয়। যেমন : বইকে পড়া = বইপড়া, ক্ষণকাল ব্যাপিয়া স্থায়ী = ক্ষণস্থায়ী ইত্যাদি।

২২০. ”উপকথা” কোন সমাস?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ঝিলাম- ০৮.১১.১৩ 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2005➯A ইউনিট 📖 বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়➟2009➯B ইউনিট

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ২

ব্যাখ্যাঃ

🔖”উপকথা” অব্যয়ীভাব সমাস।

পূর্বপদ অব্যয়যোগে নিষ্পন্ন সমাসে যদি অব্যয় অর্থ প্রাধান্য থাকে তবে তাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে। সামীপ্য, পর্যন্ত, অভাব, সদৃশ্য, যোগ্যতা, প্রভৃতি নানা অর্থে অব্যয়ীভাব সমাস হয়। যেমন: কথার সদৃশ্য = উপকথা একটি অব্যয়ীভাব সমাস।

২২১. “সুবর্ণ” কোন সমাস?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ঝিলাম- ০৮.১১.১৩ 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2005➯A ইউনিট 📖 বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়➟2014➯B ইউনিট

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖যে বহুব্রীহি সমাসে পূর্বপদ বিশেষণ এবং পরপদ বিশেষ্য হয়ে থাকে তাকে সমানাধিকরণ বহুব্রীহি সমাস বলে। যেমন - কালো বরণ যার - কালোবরণ; সুন্দর বর্ণ যার - সুবর্ণ; পোড়া কপাল যার - পোড়াকপাল ইত্যাদি।

২২২. ”ষোড়শ” শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ঝিলাম- ০৮.১১.১৩ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -বসন্ত- ১৩.০৮.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”ষোড়শ” শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ ষট + দশ।

ষট্ + দশ = ষোড়শ নিপাতনে সিদ্ধ ব্যঞ্জন সন্ধি। যেসব সন্ধি নিয়ম সিদ্ধ নয় সেগুলোই নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি। যেমন : পর + পর = পরস্পর, বন + পতি = বনস্পতি ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖কতকগুলো সন্ধি কোন নিয়ম অনুসরণ করে না। এগুলোকে নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি বলে। যেমনঃ ষট্‌ + দশ = ষোড়শ; পর + পর = পরস্পর; গো + পদ = গোস্পদ ইত্যাদি।

২২৩. “গায়ক” শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ঝিলাম- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖“গায়ক” শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ গৈ + অক।

এ, ঐ, ও, ঔ কারের পর এ, ঐ স্থানে যথাক্রমে অয় আয় এবং ও, ঔ স্থানে যথাক্রমে অব্ ও আব্ হয়। গৈ + অক = গায়ক, নৈ + অক = নায়ক ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖এ, ঐ, ও, ঔ এরপরে অন্য কোন স্বরধ্বনি আসলে ‘এ’ এর জায়গায় ‘অয়’, ‘ঐ’ এর জায়গায় ‘আয়’, ‘ও’ এর জায়গায় ‘অব’ এবং ‘ঔ’ এর জায়গায় ‘আব’ হয়। যেমনঃ গায়ক - গৈ + অক; নায়ক - নৈ + অক; নাবিক - নৌ + ইক; ভাবুক - ভৌ + উক; পবিত্র - পো + ইত্র; গবাদি - গো + আদি; গবেষণা - গো + এষণা।

২২৪. ”গবেষণা” শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ঝিলাম- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”গবেষণা” শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ গো + এষণা।

এ, ঐ, ও, ঔ কারের পর এ ঐ স্থানে যথাক্রমে অয় আয় এবং ও ঔ স্থানে যথাক্রমে অব্ ও আব্ হয়। যেমন : গো + এষণা = গবেষণা, গৈ + অক = গায়ক।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖এ, ঐ, ও, ঔ এরপরে অন্য কোন স্বরধ্বনি আসলে ‘এ’ এর জায়গায় ‘অয়’, ‘ঐ’ এর জায়গায় ‘আয়’, ‘ও’ এর জায়গায় ‘অব’ এবং ‘ঔ’ এর জায়গায় ‘আব’ হয়। যেমনঃ গায়ক - গৈ + অক; নায়ক - নৈ + অক; নাবিক - নৌ + ইক; ভাবুক - ভৌ + উক; পবিত্র - পো + ইত্র; গবাদি - গো + আদি; গবেষণা - গো + এষণা।

২২৫. ”ভাবুক” শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ঝিলাম- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”ভাবুক” শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ ভৌ + উক।

এ, ঐ, ও, ঔ কারের পর এ, ঐ স্থানে যথাক্রমে অয়, আয় এবং ও, ঔ স্থানে যথাক্রমে অব্ ও আব্ হয়। যেমন : ভৌ + উক = ভাবুক, গো + এষণা = গবেষণা ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖এ, ঐ, ও, ঔ এরপরে অন্য কোন স্বরধ্বনি আসলে ‘এ’ এর জায়গায় ‘অয়’, ‘ঐ’ এর জায়গায় ‘আয়’, ‘ও’ এর জায়গায় ‘অব’ এবং ‘ঔ’ এর জায়গায় ‘আব’ হয়। যেমনঃ গায়ক - গৈ + অক; নায়ক - নৈ + অক; নাবিক - নৌ + ইক; ভাবুক - ভৌ + উক; পবিত্র - পো + ইত্র; গবাদি - গো + আদি; গবেষণা - গো + এষণা।

২২৬. মনীষা শব্দের বিপরীত অর্থ--

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ডেলটা- ১৮.০৪.১৪ 📖 বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়➟2017➯C ইউনিট 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - বিটা- ১৮.০৪.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖মনীষা শব্দের বিপরীত অর্থ 'নির্বোধ'।

মনীষা শব্দের অর্থ: প্রজ্ঞা, তীক্ষ্ণ বুদ্ধি, প্রতিভা।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖''মনীষা'' শব্দের বিপরীত শব্দ ''নির্বোধ''।

মনীষাঃ প্রজ্ঞা; তীক্ষ্ণবুদ্ধি; প্রতিভা।

নির্বোধঃ বোধহীন; অজ্ঞান; মূর্খ; বুদ্ধিশূন্য।

২২৭. কোনটি শুদ্ধ বানান?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ডেলটা- ১৮.০৪.১৪ 📖 শ্রম পরিদপ্তরের জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর উপসহকারী পরিচালক-১২.০১

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖উপরিক্ত অপশন গুলোর মধ্যে শুদ্ধ বানান ব্যতীত।

এছাড়া অন্য সকল বানান গুলোতে ভুল রয়েছে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖ব্যতীত (বিশেষণ) অতীত; বিগত; অবিবাহিত।

ব্যতীত (অব্যয়) বিনা; ছাড়া; ভিন্ন; বাদে।

২২৮. কোন শব্দটি সঠিক?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ডেলটা- ১৮.০৪.১৪ 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2015➯A ইউনিট 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - গামা- ১৮.০৪.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖শব্দগুলোর মধ্যে সঠিক বানান টি হল অভ্যন্তরীণ।

এবং অন্যান্য সকল অপশন গুলোর মধ্যে কিছু ভুল রয়েছে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖অভ্যন্তরীণ (অভ্যন্তর + ঈন):

১. মধ্যবর্তী

২. অভ্যন্তরে আছে এমন, ভেতরের

৩. মানসিক

২২৯. ”সাক্ষী গোপাল” অর্থ কি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ডেলটা- ১৮.০৪.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”সাক্ষী গোপাল” অর্থ নিষ্ক্রিয় দর্শক।

এর আরো কিছু অর্থ হলো কর্তৃত্বহীন দর্শকমাত্র, ব্যক্তিত্বহীন লোক।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖সাক্ষীগোপাল (বিশেষ্য) নিষ্ক্রিয় দর্শক (তাহার সহধর্মিণী, তৎকালে, সাক্ষীগোপালস্বরূপ ছিলেন-ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর)

২৩০. ”সংশয়” এর বিপরীতার্থক শব্দ কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ডেলটা- ১৮.০৪.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”সংশয়” এর বিপরীতার্থক শব্দ প্রত্যয়।

সংশয় শব্দের অর্থ: সন্দেহ, দ্বিধা। তাই সংশয় শব্দের বিপরীত শব্দ হচ্ছে প্রত্যয়।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖সংশয় শব্দের যথাযথ বিপরীত শব্দ হলো প্রত্যয়।

ভয় শব্দের যথাযথ বিপরীত শব্দ হলো নির্ভয়।

২৩১. কোনটি সমার্থক শব্দ নয়---

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ডেলটা- ১৮.০৪.১৪ 📖 নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে থানা/উপজেলা নির্বাচন অফিসার০৮.০৮.০৮ 📖 বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ➺ সহকারী প্রকৌশলী ☞24-05-22

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖গুজব সমার্থক শব্দ নয়।

সংবাদ, সমাচার, সন্দেশ, বার্তা, খবর একই অর্থ প্রকাশ করে। অন্যদিকে গুজব শব্দের অর্থ: রটনা, জনশ্রুতি, জনরব। সুতরাং সঠিক উত্তর গুজব।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖গুজব শব্দটি অন্যান্য শব্দগুলোর সমার্থক শব্দ নয়।

গুজবঃ রটনা; জনশ্রুতি; জনরব (গুজব ছড়ানো; গুজব ওঠা; গুজব রটা)।

খবর শব্দের সমার্থক শব্দ- সংবাদ, বার্তা, ফরমান, সন্দেশ, তথ্য, সন্ধান, সমাচার ইত্যাদি।

২৩২. সত্ত্ব শব্দের অর্থ---

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ডেলটা- ১৮.০৪.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'সত্ত্ব' শব্দের অর্থ 'অস্তিত্ব'।

এর আরো কিছু অর্থ হল: সত্তা, নিত্যতা ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖সত্ত্ব (বিশেষ্য)

১) সত্তা; নিত্যতা; অস্তিত্ব (অর্থ থাকা সত্ত্বেও অভাবগ্রস্ত)।

২) প্রাণ; আত্মা; চৈতন্য (তার মধ্যে সত্ত্ব নেই)।

৩) বল; শক্তি; তেজ; পরাক্রম।

৪) স্বভাব; প্রকৃতি।

৫) উৎসাহ।

৬) ভ্রূণ (অন্তঃসত্ত্বা)।

৭) সত্ত্ব; রজঃ; তমঃ-প্রকৃতির এই গুণত্রয়ের মধ্যে শ্রেষ্ঠ গুণ।

৮) ধন; ঐশ্বর্য।

২৩৩. ”লাঠালাঠি” কোন সমাস?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ডেলটা- ১৮.০৪.১৪ 📖 26th BCS General Dec, 2000 📖 কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়➟2016➯B ইউনিট

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖লাঠালাঠি ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস।

ক্রিয়ার পারস্পরিক অর্থে ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস হয়। এ সমাসে পূর্বপদে 'আ' এবং উত্তর পদে 'ই' যুক্ত হয়। যেমন: হাতে হাতে যে যুদ্ধ = হাতাহাতি, লাঠিতে লাঠিতে যে লড়াই = লাঠালাঠি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖ক্রিয়ার পারস্পরিক অর্থে ব্যতিহার বহুব্রীহি হয়। এ সমাসে পূর্বপদে 'আ' এবং পরপদে 'ই' যুক্ত হয়।

যেমন: 

লাঠিতে লাঠিতে যে যুদ্ধ = লাঠালাঠি,

হাতে হাতে যে যুদ্ধ = হাতাহাতি, 

কানে কানে যে কথা = কানাকানি।

এরূপ- চুলাচুলি, কাড়াকাড়ি, গালাগালি, দেখাদেখি, কোলাকুলি, হাসাহাসি, গুঁতাগুঁতি, ঘুষাঘুষি ইত্যাদি।

২৩৪. ”কালির দাগ দাও” বাক্যে “কালির” শব্দটির কোন সমাসে কোন বিভক্তি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ডেলটা- ১৮.০৪.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”কালির দাগ দাও” বাক্যে “কালির” শব্দটি করণে ষষ্ঠী বিভক্তি।

করণ শব্দটির অর্থ যন্ত্র, সহায়ক বা উপায়। ক্রিয়া সম্পাদনের যন্ত্র, উপকরণ বা সহায়কেই করণ কারক বলে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖করণ শব্দটির অর্থ - যন্ত্র, সহায়ক, উপায়।

ক্রিয়া সম্পাদনের যন্ত্র, উপকরণ বা সহায়ককেই বলে করণ কারক।

কীসের দ্বারা বা কী উপায়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায় তাই করণ কারক।

যেমন - “কালির দাগ দাও” - এই বাক্যে কিসের দ্বারা বা কী উপায়ে দাগ দেওয়া যাবে প্রশ্ন করলে উত্তর পাওয়া যায় ‘কালির’।

এবং এর সাথে ষষ্ঠী বিভক্তি ‘র’ যুক্ত হয়েছে।

২৩৫. ”কাঁদুনি” শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ ---

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ডেলটা- ১৮.০৪.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'কাঁদুনি' শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ- কাঁদ + উনি।

সন্ধিতে দুটি সন্নিহিত স্বরের একটির লোপ হয়। যেমন: মিথ্যা + উক্ত = মিথ্যুক, কাঁদ + উনি = কাঁদুনি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖সন্ধিতে দুটি সন্নিহিত স্বরের একটির লোপ হয়।

যেমন-

কাঁদ + উনি = কাঁদুনি

মিথ্যা + উক = মিথ্যুক

হিংসা + উক = হিংসুক

নিন্দা + উক = নিন্দুক

২৩৬. কোন সন্ধিটি নিপাতনে সিদ্ধ?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ডেলটা- ১৮.০৪.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি হচ্ছে পর + পর = পরস্পর।

নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধির ক্ষেত্রে ব্যাকরণের সাধারণ নিয়ম অনুসরণ করা হয় না। যেমন : পর + পর = পরস্পর, বন + প্রতি = বনস্পতি, ষট্ + দশ = ষোড়শ। সুতরাং সঠিক উত্তর (ক)।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖কতগুলো সন্ধি কোন নিয়ম অনুসরণ করে না। এগুলোকে নিপাতনে সিদ্ধ বলে।

ষট্ + দশ = ষোড়শ;

পর্‌ + পর = পরস্পর;

গো + পদ = গোস্পদ।

তৎ + কর = তস্কর

বৃহৎ + পতি = বৃহস্পতি

মনস্‌ + ঈষা = মনীষা ইত্যাদি।

২৩৭. কোনটি কবি ভারতচন্দ্রের উপাধি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ডেলটা- ১৮.০৪.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖কবি ভারতচন্দ্রের উপাধি 'রায়গুণাকর'।

তিনি ছিলেন রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সভাকবি। তার কবিত্ব সবথেকে মুগ্ধ হয়ে কৃষ্ণচন্দ্র তাকে 'রায়গুণাকর' উপাধি প্রদান করেন। 'অন্নদামঙ্গল' কাব্য তার শ্রেষ্ঠ কীর্তি। বিদ্যাপতির উপাধি 'কবি কন্ঠহার', 'কবিরঞ্জন'। মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর উপাধি 'কবিকঙ্কন'।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖বাংলা মঙ্গলকাব্য ধারার ও সর্বোপরি মধ্যযুগের সর্বশেষ কবি ভারতচন্দ্র রায় (১৭১২-১৭৬০)। 

তিনি নবদ্বীপের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সভাকবি ছিলেন। 

রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের পৃষ্ঠপোষকতায় 'অন্নদামঙ্গল' কাব্য রচনা (১৭৫২) করেন। 

এ কাব্যের জন্য মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র তাকে 'গুণাকর' (সকল গুনের আধার) উপাধি দেন।▫

২৩৮. জহির রায়হানের “আরেক ফাল্গুন” উপন্যাসটির পটভূমিকা হল----

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ডেলটা- ১৮.০৪.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖জহির রায়হানের “আরেক ফাল্গুন” উপন্যাসটির পটভূমিকা হল- একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলন।

জহির রায়হানের 'আরেক ফাল্গুন' উপন্যাসের পটভূমি কাহলো একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলন। বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলন ও ১৯৫৫ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি পালনের অভিজ্ঞতা এ তিনি এ উপন্যাস রচনা করেন। তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাস হলো : শেষ বিকেলের মেয়ে, হাজার বছর ধরে, বরফ গলা নদী।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖ভাষা আন্দোলন নিয়ে বাংলা সাহিত্যের প্রথম উপন্যাস - আরেক ফাল্গুন। 

প্রকাশকাল - ১৯৬৮ সাল। 

এটি ১৯৫৫ সালের ভাষা দিবস ২১ ফেব্রুয়ারি পালন নিয়ে লেখা। 

পুলিশ ভাষা দিবস পালনকারী অনেককে গ্রেপ্তার করলে একজন বলে - ‘আসছে ফাল্গুনে আমরা দ্বিগুন হবো’ যা প্রণিধানযোগ্য।

২৩৯. ”বিষাদ সিন্ধু” উপন্যাসের নায়ক-

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ডেলটা- ১৮.০৪.১৪ 📖 পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের রিসার্স অফিসার-২২.০৯.০৬ 📖 মৎস্য অধিদপ্তর -২০১৮ ~ অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক ~ ০৯.০৬.১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖ডক্টর আবুল আহসান চৌধুরীর একটা কলাম থেকে -

"এজিদই ‘বিষাদ-সিন্ধু’র প্রধান চরিত্র। তার কামনা-বাসনাকে কেন্দ্র করেই এই উপন্যাসের সূচনা এবং তার শোচনীয় বিপর্যয়েই এই কাহিনীর সমাপ্তি। তার কর্মকাণ্ডকে অবলম্বন করেই ‘বিষাদ-সিন্ধু’র কাহিনী পল্লবিত হয়ে উঠেছে। লেখক এজিদ চরিত্র-চিত্রণে যতটা আন্তরিক ও মনোযোগী, অন্য চরিত্র অঙ্কনে ততখানি নিবিষ্ট হতে পারেননি। রিপুশাসিত রক্ত-মাংসের একজন মানুষের প্রকৃতি, প্রবণতা ও বাস্তবতা নিয়ে এজিদ চরিত্রটি উপস্থাপিত। এ-প্রসঙ্গে মুনীর চৌধুরীর বিশ্লেষণ স্মরণীয় : ‘গ্রন্থের সর্বাপেক্ষা স্পষ্ট এবং প্রদীপ্ত চরিত্র এজিদের। তার চিন্তায়-আচরণে, আবেগে-অভিব্যক্তিতে এমন একটা দৃঢ় গাঢ় ঔজ্জ্বল্য আছে যে অন্যান্য চরিত্র তার পাশে নিতান্ত মর্যাদাহীন বলে মনে হয়। নীতিবিদের দৃষ্টিতে এজিদের ক্রিয়াকর্ম যত গর্হিত ও অভিশপ্ত বিবেচিত হোক না কেন, চরিত্র বিচারের সাহিত্যিক মানদণ্ডে এজিদের মতো প্রাণময় পূর্ণাবয়ব পুরুষ সমগ্র উপন্যাসে দ্বিতীয়টি নেই। এজিদ পাপী, ধর্মদ্রোহী এবং ইন্দ্রিয়পরবশ। কিন্তু এজিদের পাপের প্রকৃতি অসামান্য, তার বিকাশ প্রলয়ঙ্করী, তার পরিণাম যেমন ভয়াবহ, তেমনি শোকাবহ।’"

❖ইমাম হোসেন প্রথম পর্ব তথা মহরম পর্বেই মৃত্যুবরণ করেন। পরবর্তী দুই পর্বের নাম - উদ্ধার পর্ব এবং এজিদ বধ।

❖বিষাদ সিন্ধুর - কাহিনীতে এন্টি-এস্টাবলিশমেন্টের চেতনা মূলত মাইকেল মধুসূদনের মেঘনাদবধ কাব্যের অনুকরণে করেছেন।

ইতিহাস মিশ্রিত এই উপন্যাসের রচয়িতা মীর মশাররফ হোসেন।

২৪০. বিদ্রোহী বালিকা বধু ’জমিলা’ কোন উপন্যাসের চরিত্র?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ডেলটা- ১৮.০৪.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖বিদ্রোহী বালিকা বধূ জামিলা চরিত্রটি 'লালসালু' উপন্যাসের।

সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ বিখ্যাত উপন্যাস লালসালু ধর্মের নামে মানুষকে শোষণ করার চিত্র ফুটে উঠেছে। এই উপন্যাসের উল্লেখযোগ্য চরিত্র : মজিদ, খালেক বেপারী, রহিমা, আমেনা, আক্কাস, তাহেরের বাপ, হাসুনির মা ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖'লালসালু' উপন্যাসের রচয়িতা সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ। 

ধর্ম নিয়ে ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থকারীদের স্বরূপ উন্মোচন এবং নারী জাগরণের প্রেক্ষাপটে সমাজ চেতনা এই উপন্যাসের মূল বিষয়। 

সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর 'লালসালু' একটি বহুমাত্রিক ও কালোত্তীর্ণ উপন্যাস।

এই উপন্যাসের উল্লেখযোগ্য চরিত্র- মজিদ, জমিলা, আমেনা, খালেক ব্যাপারী, রহিমা, আক্কাস, তাহেরের বাপ, হাসুনির মা ইত্যাদি।

২৪১. কোনটি রবীন্দ্রনাথের রচনা?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ডেলটা- ১৮.০৪.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'চতুরঙ্গ' রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত উপন্যাস।

এটি সামাজিক মনস্তত্ত্বমূলক উপন্যাস। তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাস হলো: চোখের বালি, গোরা, ঘরে বাইরে, শেষের কবিতা, চার অধ্যায়।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত উপন্যাস- চতুরঙ্গ (১৯১৬)। 

এটি সাধু ভাষায় লিখিত রবীন্দ্রনাথের সর্বশেষ উপন্যাস। 

উল্লেখ্য,

❏ হুমায়ুন কবির ‘চতুরঙ্গ' নামে একটি সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা ও প্রকাশ করতেন। 

❏ বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় রচিত কাব্য ‘চতুর্দশী' (১৯৪৭),

❏ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস ‘চতুষ্কোণ' (১৯৪৮)।

২৪২. জসীমউদ্‌দীনের নাটক কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ডেলটা- ১৮.০৪.১৪ 📖 36th BCS General Jan, 2016 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - বিটা- ১৮.০৪.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖জসীমউদ্‌দীনের নাটক 'বেদের মেয়ে'।

তাঁর রচিত অন্যান্য নাটক হল : পদ্মাপার, মধুমালা, পল্লীবধূ , গ্রামের মেয়ে। রাখালী, মাটির কান্না তার কাব্যগ্রন্থ। জসিম উদ্দিনর একমাত্র উপন্যাস 'বোবা কাহিনী'।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖'বেদের মেয়ে' (১৯৫১) জসীমউদ্▫দীনের রচিত নাটক।

'রাখালী' এবং 'মাটির কান্না' তার অন্যতম জনপ্রিয় খন্ডকবিতা।

'বোবা কাহিনী'(১৯৬৪) তার রচিত ও জীবিতাবস্থায় প্রকাশিত একমাত্র উপন্যাস।

২৪৩. সৌভাগ্যের বিষয় কোন বাগধারাটি দ্বারা বোঝানো হয়েছে?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ডেলটা- ১৮.০৪.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖একাদশে বৃহস্পতি বাগধারাটির দ্বারা বুঝায় সৌভাগ্যের বিষয়।

একাদশে বৃহস্পতি বাগধারাটির অর্থ : মহা সৌভাগ্য, অত্যন্ত সুসময়। সুতরাং সঠিক উত্তর হবে একাদশে বৃহস্পতি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖'একাদশে বৃহস্পতি' বাগধারাটির অর্থ - সৌভাগ্যের বিষয়।

'কেউকাটা' বাগধারাটির অর্থ - সামান্য।

'গোঁফ-খেজুরে' বাগধারাটির অর্থ - নিতান্তই অলস।

‘এলাহী কাণ্ড’ বাগধারাটির অর্থ - বিরাট আয়োজন।

২৪৪. গঠন অনুসারে বাক্য কত প্রকার?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ডেলটা- ১৮.০৪.১৪ 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2000➯ক ইউনিট 📖 প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [১ম পর্যায়] ২৪. ০৫.১৯

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖গঠন অনুসারে বাক্য তিন প্রকার।

যথা : সরল বাক্য, মিশ্র বাক্য, বা জটিল বাক্য এবং যৌগিক বাক্য।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖গঠন অনুসারে বাক্য তিন প্রকার। 

যথা- 

১) সরল বাক্য,

২) মিশ্র বা জটিল বাক্য এবং

৩) যৌগিক বাক্য।

২৪৫. ধাতু বা শব্দের শেষে প্রত্যয় যুক্ত করার উদ্দেশ্য কি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ডেলটা- ১৮.০৪.১৪ 📖 তথ্য মন্ত্রনালয়ের সহকারী পরিচালক (গ্রেড-২)-৪.০৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖ধাতু বা শব্দের শেষে প্রত্যয় যুক্ত করার উদ্দেশ্য হলো- নতুন শব্দ গঠন করা।

যেমন পৃথিবী শব্দের সাথে 'অ' প্রত্যয় যুক্ত হয় পার্থিব শব্দটি গঠিত হয়েছে। শব্দের সাথে যেসব প্রত্যয় যোগে নতুন শব্দ গঠন হয় তাকে তদ্ধিত প্রত্যয় বলে। ক্রিয়া প্রকৃতির সাথে যে ধ্বনি বা ধ্বনি সমষ্টিকে যুক্ত হয় তাকে কৃৎ প্রত্যয় বলে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖প্রত্যয়ঃ

মূলশব্দ বা মৌলিক শব্দের সঙ্গে যে অতিরিক্ত শব্দাংশ যুক্ত হয়ে নতুন নামপদ গঠন করে, তাকে প্রত্যয় বলে।

অর্থাৎ, প্রাতিপদিক ও ধাতুর সঙ্গে যেই শব্দাংশ যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে, তাদেরকেই প্রত্যয় বলে।

যেমন,

পড় + উয়া = পড়ুয়া

এখানে, ‘√পড়’-এর সঙ্গে কৃৎ প্রত্যয় 'উয়া' যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ 'পড়ুয়া' গঠন করেছে।

লাজ + উক = লাজুক

এখানে, ‘লাজ’-এর সঙ্গে তদ্ধিত প্রত্যয় 'উক' যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ 'লাজুক' গঠন করেছে।

২৪৬. ”সহোদর” কোন সমাস?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দাজলা- ০৮.১১.১৩ 📖 বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়➟2014➯B ইউনিট 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2017➯খ ইউনিট

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”সহোদর” বহুব্রীহি সমাস।

সহ কিংবা সহিত শব্দের সঙ্গে অন্য পদের বহুব্রীহি সমাস হলে সহ ও সহিত এর স্থলে স হয়। যেমন- সহ উদর তার = সহোদর, বান্ধব সহ বর্তমান = সবান্ধব ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 

▣ সমানাধিকরণ বহুব্রীহি সমাস:

❐ যে বহুব্রীহি সমাসে পূর্বপদ বিশেষণ এবং পরপদ বিশেষ্য হয়ে থাকে, তাকে সমানাধিকরণ বহুব্রীহি সমাস বলে।

❐ যেমন:-  কালো বরণ যার = কালোবরণ;

▣ পোড়া কপাল যার = পোড়াকপালে,

❐ - সমান উদর যার = সহোদর,

▣ বদ রাগ যার = বদরাগী,

▣ সুন্দর বর্ণ যার = সুবর্ণ।

❐ উৎসঃ ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ

২৪৭. কাজী নজরুল ইসলামের উপন্যাস কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দাজলা- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖কাজী নজরুল ইসলাম রচিত তিনটি উপন্যাস হলো বাঁধনহারা, মৃত্যুক্ষুধা ও কুহেলিকা।

নাট্যগ্রন্থ হল ঝিলিমিলি, মধুমালা, আলেয়া, পুতুলের বিয়ে। গল্পগ্রন্থ গুলো হল ব্যথার দান, রিক্তের বেদনা, শিউলিমালা। তার কয়েকটি কাব্যগ্রন্থ হল অগ্নিবীণা, বিষের বাঁশি, সিন্ধু-হিন্দোল, মরুভাস্কর, সাম্যবাদী, ছায়া নট, দোলনচাঁপা ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 কাজী নজরুল ইসলাম রচিত উপন্যাস:

▣ বাঁধন-হারা।

▣ মৃত্যুক্ষুধা ।

▣ কুহেলিকা। 

❐ 

▣ 'মৃত্যুক্ষুধা' উপন্যাস: 

▣ কাজী নজরুল ইসলাম রচিত 'মৃত্যুক্ষুধা' উপন্যাসটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় ১৯৩১ সালে। 

▣ নারী জীবনের দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা এবং সমাজের বাস্তবচিত্র এই উপন্যাসে তুলে ধরা হয়েছে।

▣ দারিদ্য, ক্ষুধা, দুর্ভিক্ষের পরিপ্রেক্ষিতে সপরিবারে মেজ-বৌয়ের মুসলিম থেকে খ্রিষ্ট ধর্মান্তর গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হয়ে ওঠে গল্পে। অন্যদিকে গল্পের নায়কা রুবি আনসারকে ভালোবাসালেও রুবির পিতা তাকে বিয়ে দেয় আইসিএস পরীক্ষার্থী মোয়াজ্জেমের সঙ্গে। মোয়াজ্জেমের মৃত্যুর পর বিধবা রুবির জীবনে নেমে আসে সমাজের বিধিনিষেধ।

❐ 

▣ ‘বাঁধন-হারা' উপন্যাস: 

▣ কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম উপন্যাস ‘বাঁধন-হারা' (১৯২৭)।

▣ এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম পত্রোপন্যাস।

▣ এতে ১৮টি পত্র রয়েছে।

▣ কাজী নজরুল ইসলাম করাচীতে অবস্থানকালে ‘বাধন-হারা' উপন্যাস রচনা শুরু করেন।

▣ এটি মুসলিম ভারত পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়।

▣ উপন্যাসের নায়ক নুরুল হুদা।

▣ অন্যান্য চরিত্রের মধ্যে রয়েছে - রবিউল, রাবেয়া, সোফিয়া, মাহবুবা প্রমুখ।

❐ 

▣ 'কুহেলিকা' উপন্যাস: 

▣ ১৯৩৪ বঙ্গাব্দে 'নওরোজ' পত্রিকায় 'কুহেলিকা' উপন্যাস প্রকাশ আরম্ভ হয়। 

▣ গ্রন্থাকারে প্রথম প্রকাশ পায় ১৩৩৮ বঙ্গাব্দে(১৯৩১)।

▣ এ উপন্যাসে রাজনৈতিক প্রসঙ্গ এসেছে অত্যন্ত বড় ক্যানভাসে।

▣ কুহেলিকা উপন্যাসের নায়ক জাহাঙ্গীর। 

▣ এই উপন্যাসের বিখ্যাত উক্তি, ''ইহারা মায়াবিনীর জাত। ইহারা সকল কল্যাণের পথে মায়াজাল পাতিয়া রাখিয়াছে। ইহারা গহন পথের কণ্টক, রাজপথের দস্যু।''

❐ অন্যদিকে,

▣ কাজী নজরুল ইসলাম রচিত নাটকের সংকলন 'ঝিলিমিলি', মধুমালা । 

▣ অগ্নি-বীণা কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম কাব্যগ্রন্থ।

২৪৮. ”দেখিনু সেদিন রেলে, কুলি ব’লে এক বাবু সা’ব তারে ঠেলে দিল নীচে ফেলে!” পংক্তিটির রচয়িতা কে?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দাজলা- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”দেখিনু সেদিন রেলে, কুলি ব’লে এক বাবু সা’ব তারে ঠেলে দিল নীচে ফেলে!” পংক্তিটির রচয়িতা কাজী নজরুল ইসলাম।

পংক্তি দুটি সাম্যবাদী কাব্যগ্রন্থের কুলি মজুর কবিতার অন্তর্গত। সাম্যবাদী কাব্যগ্রন্থ ১১ টি কবিতা রয়েছে। যথা- সাম্যবাদী, ঈশ্বর, মানুষ, পাপ, চোর ডকাত, বীরাঙ্গনা, মিথ্যাবাদী, নারী, রাজা প্রজা, সাম্য এবং কুলি মজুর।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 কাজী নজরুল ইসলামের 'মানুষ' কবিতাটি- 'সাম্যবাদী' কাব্যগ্রন্থে সংকলিত হয়েছে। 

▣ পঙ্‌ক্তিটি কাজী নজরুল ইসলামের 'কুলি- মজুর' কবিতা থেকে নেয়া হয়েছে। কবিতাটি- 'সাম্যবাদী' কাব্যগ্রন্থে সংকলিত হয়েছে। 

❐ 

▣ 'সাম্যবাদী' কাব্যগ্রন্থ:

❐ ‘সাম্যবাদী’ কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৯২৫ সালের ডিসেম্বরে।

❐ গ্রন্থটিতে মোট কবিতা রয়েছে ১১টি।

▣ সবগুলোতেই মানুষের সমতা নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে।

❐ 

▣ এ গ্রন্থের কবিতাগুলো হলো:

▣ সাম্যবাদী,

▣ ঈশ্বর,

▣ মানুষ,

▣ পাপ,

▣ চোর-ডাকাত,

▣ বারাঙ্গনা,

▣ মিথ্যাবাদী।

▣ নারী,

▣ রাজা-প্রজা।

▣ সাম্য,

▣ কুলি-মজুর। 

❐ কুলি-মজুর- কবিতা,

❐ কাজী নজরুল ইসলাম। 

❐ দেখিনু সেদিন রেলে,

❐ কুলি বলে এক বাবু সা’ব তারে ঠেলে দিলে নীচে ফেলে!

❐ চোখ ফেটে এল জল,

❐ এমনি করে কি জগৎ জুড়িয়া মার খাবে দুর্বল?

❐ যে দধীচিদের হাড় দিয়ে ঐ বাষ্প-শকট চলে,

❐ বাবু সা’ব এসে চড়িল তাহাতে, কুলিরা পড়িল তলে।

❐ বেতন দিয়াছ?-চুপ রও যত মিথ্যাবাদীর দল!

❐ কত পাই দিয়ে কুলিদের তুই কত ক্রোর পেলি বল্‌?

❐ রাজপথে তব চলিছে মোটর, সাগরে জাহাজ চলে,

❐ রেলপথে চলে বাষ্প-শকট, দেশ ছেয়ে গেল কলে,

❐ বল ত এ-সব কাহাদের দান! তোমার অট্টালিকা

❐ কার খুনে রাঙা? -ঠুলি খুলে দেখ, প্রতি ইটে আছে লিখা।

❐ তুমি জান নাকো, কিন্তু পথের প্রতি ধূলিকণা জানে,

❐ ঐ পথ, ঐ জাহাজ, শকট, অট্টালিকার মানে!

❐                          আসিতেছে শুভদিন,

❐ দিনে দিনে বহু বাড়িয়াছে দেনা, শুধিতে হইবে ঋণ!

২৪৯. ”অপরাহ্ন” নাটকটির রচয়িতা কে?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দাজলা- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”অপরাহ্ন” নাটকটির রচয়িতা হুমায়ূন আহমেদ।

'অপরাহ্ন' নাটকটির রচয়িতা হুমায়ূন আহমেদ। তার উল্লেখযোগ্য টিভি নাটক এইসব দিনরাত্রি, বহুব্রীহি, কোথাও কেউ নেই, অয়োময়, আজ রবিবার, চন্দ্রগ্রহণ ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 'অপরাহ্ন' নাটকটির রচয়িতা হুমায়ূন আহমেদ। 

❐ ❖হুমায়ূন আহমেদ-

▣ কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চলচ্চিত্র নির্মাতা, গীতিকার, শিক্ষক।

▣ হুমায়ূন আহমেদের জন্ম ১৯৪৮ সালে নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জে তাঁর মাতামহের বাড়িতে।

▣ তাঁর পৈত্রিক বাড়ি নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রাম।

▣ তাঁর পিতা ফয়জুর রহমান আহমেদ এবং মা আয়েশা আখতার খাতুন (বর্তমানে আয়েশা ফয়েজ নামে পরিচিত)।

▣ তিনি ২০১২ সালে মৃত্যুবরণ করেন।

❐ হুমায়ূন আহমেদ রচিত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস -

▣ জোছনা ও জননীর গল্প,

▣ আগুনের পরশমণি,

▣ শ্যামল ছায়া,

▣ সৌরভ,

▣ ১৯৭১,

▣ অনীল বাগচীর একদিন।

২৫০. ”কিরণ” শব্দের সমার্থক শব্দ কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দাজলা- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”কিরণ” শব্দের সমার্থক শব্দ অংশু।

কিরণ শব্দটির সমার্থক শব্দ হলো অংশু, কর, আলো, রশ্মি, প্রভা, দীপ্তি, বিভা, ময়ূখ। শিখা শব্দটির সমার্থক হচ্ছে অনল, অগ্নি, দহন।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 

▣ ‘কিরণ’ শব্দের সমার্থক শব্দ: 

▣ কর,

▣ প্রভা, 

▣ দীপ্তি,

▣ জ্যোতি,

❐ - অংশু,

▣ রশ্মি, 

▣ আলোকচ্ছটা, 

▣ বিভা,

▣ ভাতি। 

২৫১. ”স্মরণ” শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দাজলা- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”স্মরণ” শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ বিস্মরণ।

'স্মরণ' শব্দটির অর্থ স্মৃতি ধ্যান চিন্তা। 'স্মরণ' শব্দটির বিপরীতার্থক শব্দ হচ্ছে বিস্মরণ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে,

❐ ‘স্মরণ’  শব্দের অর্থ- স্মৃতি, ধ্যান, চিন্তা, কল্পনা।

▣ ‘স্মরণ’ এর বিপরীত শব্দ- 'বিস্মরণ'। 

২৫২. ”কারক” শব্দটির অর্থ?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দাজলা- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”কারক” শব্দটির অর্থ- যা ক্রিয়া সম্পাদন করে।

'কারক' শব্দটির অর্থ ক্রীড়া সম্পাদক বা যা ক্রিয়া সম্পাদন করে। যার সাহায্যে কোন বাক্যের ক্রিয়া সম্পাদন করা হয় তাকে কারক বলা হয়।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 

▣ কারক: 

▣ কারক (কৃ+ণক) শব্দটির অর্থ- যা ক্রিয়া সম্পাদন করে। 

▣ বাক্যস্থিত ক্রিয়াপদের সঙ্গে নামপদের যে সম্পর্ক, তাকে কারক বলে।

❐ 

▣ কারক ছয় প্রকার :

▣ কর্তা কারক,

▣ কর্ম কারক, 

▣ করণ কারক,

▣ অপাদান কারক, 

▣ অধিকরণ কারক ও

▣ সম্বন্ধ কারক।

২৫৩. কর্ম কারকের উদাহরণ কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দাজলা- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖কর্ম কারকের উদাহরণ তোমাকে অনেক কথা শুনতে হবে।

যাকে আশ্রয় করেই কর্তা ক্রিয়া সম্পাদন করে তাকে কর্মকারক বলে। ক্রিয়ার সঙ্গে কি বা কাকে যোগ করে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায় তাই কর্মকারক। যেমন- তোমাকে অনেক কথা শুনতে হবে, তোমাকে আজই যেতে হবে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 কর্ম কারক:

▣ যাকে আশ্রয় করে কর্তা ক্রিয়া সম্পাদন করে, তাকে কর্ম কারক বলে।

▣ বাক্যের মুখ্য কর্ম ও গৌণ কর্ম- উভয় ধরনের কর্মই কর্ম কারক হিসেবে গণ্য হয়।

▣ সাধারনত মুখ্য কর্ম কারকে বিভক্তি হয় না, তবে গৌণ কর্ম কারকে- 'কে' বিভক্তি হয়।

❐ যেমন,

▣ শিক্ষককে জানাও।

▣ অসহায়কে সাহায্য করো। 

২৫৪. ”সকলকে মরতে হবে”-বাক্যে ”সকলকে” শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দাজলা- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 

▣ কর্মকারক: 

❐ কর্তা যাকে আশ্রয় করে বা অবলম্বন করে ক্রিয়া সম্পাদন করে তাকে বলা হয় কর্মকারক।

❐ কর্মকারকের বিভিন্ন বিভক্তির ব্যবহার।

❐ ক) প্রথমা বা শূন্য অ বিভক্তি: ডাক্তার ডাক।

▣ আমাকে এক খানা বই দাও। (দ্বিকর্মক ক্রিয়ার মূখ্য কর্ম) 

▣ রবীন্দ্রনাথ পড়লাম, নজরুল পড়লাম, এর সুরাহা খুঁজে পেলাম না।(গ্রন্থ অর্থে বিশিষ্ট প্রয়োগ)।

❐ খ) দ্বিতীয়া বা কে বিভক্তি: তাকে বল।

❐ অনুরূপভাবে, 'সকলকে মরতে হবে'।

▣ রে বিভক্তি: ‘আমারে তুমি করিবে ত্রাণ, এ নহে মোর প্রার্থনা।

❐ গ) ষষ্ঠী বা র বিভক্তি: তোমার দেখা পেলাম না।

❐ ঘ) সপ্তমীর এ বিভক্তি: জিজ্ঞাসিবে জনে জনে।' (বীপ্সায়)।

২৫৫. “চক্ষুদান করা” বাগধারাটির অর্থ কি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দাজলা- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖“চক্ষুদান করা” বাগধারাটির অর্থ চুরি করা।

চক্ষুদান (বিশেষ্য পদ) শব্দ টির অর্থ- দেবপ্রতিমার চক্ষু অঙ্কন।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 'চক্ষুদান করা' বাগধারাটির অর্থ - 'চুরি করা'। 

▣ আরো কিছু গুরুতপূর্ণ বাগধারা:  

▣ 'চক্ষুলজ্জা' বাগধারাটির অর্থ - 'সংকোচ'। 

▣ 'চোখের বালি' বাগধারাটির অর্থ - চক্ষুশূল। 

▣ চোখের পর্দা' বাগধারাটির অর্থ - লজ্জা। 

▣ 'চক্ষু চড়ক গাছ' বাগধারাটির অর্থ - বিস্ময়ে চোখ বড় হয়ে যাওয়া।

▣ 'চোখ কপালে তুলা' বাগধারাটির অর্থ - বিস্মিত হওয়া। 

২৫৬. কোন বানানটি শুদ্ধ?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দাজলা- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖পসারিণী বানানটি শুদ্ধ।

পসারিণী শব্দটি পসারি শব্দের স্ত্রীবাচক রূপ। পসারি শব্দটির অর্থ হচ্ছে দোকানদার, পণ্য বিক্রেতা।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে,

❐ 'পসারি' শব্দের অর্থ- 'পণ্যবিক্রেতা'।

▣ 'পসারি' এর স্ত্রীলিঙ্গ- 'পসারিণী'।

২৫৭. কোনটি শুদ্ধ বানান?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দাজলা- ০৮.১১.১৩ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -বরিশাল বিভাগ- ১৮.০৪.০৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖একান্নবর্তী বানানটি শুদ্ধ।

একান্নবর্তী শব্দটির অর্থ হচ্ছে যৌথ পরিবার ভুক্ত, এক গৃহস্থালির অন্তর্ভুক্ত।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে,

▣ একান্নবর্তী বানানটি শুদ্ধ। 

▣ একান্নবর্তী শব্দের অর্থ- যৌথ পরিবারভুক্ত'। 

২৫৮. ”মধ্যাহ্ন” কোন সমাস?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দাজলা- ০৮.১১.১৩ 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2005➯A ইউনিট 📖 বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়➟2014➯B ইউনিট

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖অহ্নের (দিনের) মধ্যভাগ = ৬ষ্ঠী তৎপুরুষ

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 ‘মধ্যাহ্ন’- যষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস।  

❐ ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস : 

❐ পূর্বপদে ষষ্ঠী বিভক্তির (র, এর) লোপ হয়ে যে সমাস হয়, তাকে ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস বলে।

▣ কালের কোনো অংশবোধক শব্দ পরে থাকলে তা পূর্বে বসে

❐ মধ্যাহ্ন এর ব্যাসবাক্য = অহ্নের মধ্য ভাগ; এটি যষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস।

২৫৯. ”নিরামিষ” কোন সমাস?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দাজলা- ০৮.১১.১৩ 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2005➯A ইউনিট 📖 বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়➟2014➯B ইউনিট

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”নিরামিষ” অব্যয়ীভাব সমাস।

সামীপ্য, বীপ্সা, পর্যন্ত, অভাব, যোগ্যতা প্রভৃতি বোঝালে অব্যয়ীভাব সমাস হয়। যেমন- আমিষের অভাব = নিরামিষ, জলের অভাব = নির্জল, কুলের সমীপে = উপকূল ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 'আমিষের অভাব= নিরামিষ': অব্যয়ীভাব সমাস এর উদাহরণ। 

❐ 

▣ অব্যয়ীভাব সমাস: 

❐ পূর্বপদে অব্যয়যোগে নিষ্পন্ন সমাসে যদি অব্যয়েরই অর্থ প্রাধান্য থাকে, তবে তাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে। 

❐ অব্যয়ীভাব সমাসে কেবল অব্যয়ের অর্থযোগে ব্যাসবাক্যটি রচিত হয়।

▣ সামীপ্য (নৈকট্য), বিপ্‌সা (পৌনঃপুনিকতা), পর্যন্ত, অভাব, অনতিক্রম্যতা, সাদৃশ্য, যোগ্যতা প্রভৃতি নানা অর্থে অব্যয়ীভাব সমাস হয়।

❐ যেমন:

❐ নির্বিঘ্ন = বিঘ্নের অভাব, 

❐ নিরামিষ = আমিষের অভাব, 

❐ গরমিল = মিলের অভাব,  

❐ জানু পর্যন্ত লম্বিত ('পর্যন্ত' শব্দের অব্যয় 'আ')= আজানুলম্বিত (বাহু),

২৬০. ”যে ব্যক্তির দুহাত সমান চলে”- এক কথায় কি হবে?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দাজলা- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”যে ব্যক্তির দুহাত সমান চলে”- এক কথায় বলে- সব্যসাচী।

যার দুবার জন্ম হয়েছে- দ্বিজ। যে নারী অপরের দ্বারা প্রতিপালিতা- পরভতৃর্কা

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 ‘দুই হাত সমানে চলে যার’ এর এক কথায় প্রকাশ ‘সব্যসাচী’।

❐ এছাড়া,

❐ দুবার জন্ম হয় যার - দ্বিজ।

▣ গুরুত্বপূর্ণ কিছু এক কথায় প্রকাশ:

▣ ‘যার কোন কিছু থেকেই ভয় নেই’ এক কথায় প্রকাশ - অকুতোভয়৷

▣ ‘যা সাধারণের মধ্যে দেখা যায়না এমন’ এক কথায় প্রকাশ - অনন্যসাধারণ।

▣ ‘কি করতে হবে যে স্থির করতে পারে না’ এক কথায় প্রকাশ - কিংকর্তব্যবিমূঢ়।

▣ ‘দু’হাতে সমান কাজ করতে পারে যে/ দু হাত সমান চলে যার’ এক কথায় প্রকাশ - সব্যসাচী।

২৬১. ”ইহলোকে যা সামান্য নয়”- এক কথায় কি হবে?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দাজলা- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”ইহলোকে যা সামান্য নয়”- এক কথায় বলে- অলোকসামান্য।

আলোকসমান্য শব্দের অর্থ মনুষ্যলোকে সামান্য নয় এমন, অসামান্য, অসাধারণ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 'ইহলোকে যা সামান্য নয়' এর এক কথায়- 'অলোকসামান্য'।

❐ 

▣ আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ এক কথায় প্রকাশ:  

▣ ‘যা সাধারণের মধ্যে দেখা যায়না এমন’ এর এক কথায় - অনন্যসাধারণ।

▣ 'ইন্দ্রিয়কে জয় করেছে যে' এর এক কথায়- 'জিতেন্দ্রিয়'।

▣ 'অগ্রসর হয়ে অভ্যর্থনা এর এক কথায়- 'প্রত্যুদ্‌গমন'।

▣ 'উপস্থিত বুদ্ধি আছে যার' এর এক কথায়- 'প্রত্যুৎপন্নমতি'। 

২৬২. ”অহরহ” শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দাজলা- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”অহরহ” শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ অহঃ+অহ।

অহঃ+অহ = অহরহ একটি বিশেষ বিসর্গ সন্ধি। এরকম কয়েকটি উদাহরণ হল বাচঃ + পতি = বাচস্পতি, ভাঃ + কর = ভাস্কর ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 'অহরহ' শব্দটির সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ- 'অহঃ + অহ'।   

❐ 

▣ সন্ধির নিয়ম:

❐ অ- কারের পরস্থিত র্‌-জাত বিসর্গের পর উপর্যুক্ত ধ্বনিসমূহের কোনটি থাকলে বিসর্গ স্থানে 'র' হয়।

❐ যেমন: অন্তঃ + গত= অন্তর্গত, অহঃ + অহ= অহরহ, পুনঃ + উক্ত= পুনরুক্ত ইত্যাদি। 

২৬৩. ”নীরস” শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দাজলা- ০৮.১১.১৩ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -পদ্মা- ২৪.০২.১২ 📖 আমদানি ও রপ্তানি (অফিস সহায়ক) 06-03-2020

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”নীরস” শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ নিঃ + রস।

ই কিংবা উ ধোনির পরের বিসর্গের সঙ্গে র এর সন্ধি হলে বিসর্গের লোভ হয় এবং বিসর্গের পূর্ববর্তী হ্রস্ব স্বর দীর্ঘ হয়। যেমন নিঃ + রস = নিরস, নিঃ + রব = নীরব।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 'নীরস' শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ: 'নিঃ + রস'। 

❐ 

▣ 'নীরস' এর সন্ধি বিচ্ছেদের নিয়ম: 

❐ ই কিংবা উ ধ্বনির পরের বিসর্গের সাথে ‘র’ এর সন্ধি হলে বিসর্গের লোপ হয় ও বিসর্গের পূর্ববতী হ্রস্ব স্বর দীর্ঘ হয়।

❐ যেমন-

❐ নিঃ + রস = নীরস।

❐ নিঃ + রব = নীরব, 

❐ নিঃ + রোগ = নীরোগ,

২৬৪. ”নাবিক” শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দাজলা- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”নাবিক” শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ নৌ + ইক।

এ, ঐ, ও, ঔ কারের পর এ, ঐ স্থানে যথাক্রমে অয়, আয় এবং ও ঔ স্থানে যথাক্রমে অব্ ও আব্ হয়। যেমন- নৌ + ইট = নাবিক, বৌ + অক = ভাবুক, গৈ + অক = গায়ক ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 ‘নায়ক' শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ- 'নৈ + অক'।  

❐ 

▣ ‘নায়ক' শব্দের সন্ধির নিয়ম: 

❐ এ, ঐ, ও, ঔ-কারের পর এ, ঐ স্থানে অয়, আয় এবং ও, ঔ স্থানে যথাক্রমে অব ও আব হয়। 

❐ যেমন-

▣  গৈ + অক = গায়ক,

▣  নে + অন = নয়ন, 

▣ নৈ + অক = নায়ক, 

▣ পো + অন = পবন, 

▣ গো + এষণা = গবেষণা,

❐ -  নৌ + ইক = নাবিক, 

▣ পো + ইত্র = পবিত্র, 

▣ গো + আদি = গবাদি ইত্যাদি।

২৬৫. ”সদাশয়” শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দাজলা- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”সদাশয়” শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ সৎ + আশয়।

এরকম আরো কয়েকটি উদাহরণ হল সৎ + উপদেশ = সদুপদেশ, তৎ + ছায়া = তচ্ছায়া।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 'সদাশয়' শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ- 'সৎ + আশয়'।

▣ কয়েকটি নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি বিচ্ছেদ:

❐ বন + পতি = বনস্পতি,

❐ আ + চর্য = আশ্চর্য,

❐ গো + পদ = গোস্পদ,

❐ পর + পর = পরস্পর,

❐ ষট্ + দশ = ষোড়শ,

❐ এক + দশ = একাদশ,

❐ পতৎ + অঞ্জলি = পতঞ্জলি ইত্যাদি।

২৬৬. ”জনৈক” শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দাজলা- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”জনৈক” শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ জন + এক।

অ- কার কিংবা আ কার এরপর এ কার কিংবা ঐ কার থাকলে উভয় মিলে ঐ কার হয়; ঐ কার পূর্ববর্তী ব্যঞ্জন এর সাথে যুক্ত হয়। যেমন : জন + এক = জনৈক, মত + ঐক্য = মতৈক্য ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 'জনৈক' শব্দের সন্ধি- বিচ্ছেদ: 'জন + এক'।  

❐ 

▣ সন্ধির নিয়ম: 

❐ অ কার কিংবা আ কারের পর এ কার কিংবা ঐ কার হয়।

❐ ঐ কার পূর্ববর্তী ব্যঞ্জনের সাথে যুক্ত হয়। 

❐ যেমন: 

❐ জন + এক = জনৈক। 

❐ সদা + এব = সদৈব। 

২৬৭. কোনটি শুদ্ধ বানান?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দানিয়ুব- ০৮.১১.১৩ 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2011➯খ ইউনিট 📖 ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়➟2011➯B ইউনিট

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝শুদ্ধ বানানে লেখা হয়েছে = শিরশ্ছেদ

'শিরশ্ছেদ' এর অর্থ দেহ থেকে মাথা ছিন্ন করা।

২৬৮. সঠিক শব্দ কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দানিয়ুব- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖সঠিক শব্দ টি হল চলাকালে।

অন্য শব্দগুলো কালীন এবং সময়ে একসাথে ব্যবহার করা হয়েছে, যা ব্যাকরণের নিয়ম অনুসারে বাহুল্য বা ভুল।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝'কাল' শব্দের বিশেষণ হলো 'কালীন' ; এর অর্থ - সময়ে।

যেমন: মৃত্যুকালীন প্রার্থনা, যুদ্ধকালীন অর্থনৈতিক মন্দা।

❐ তাই 'চলাকালীন' শব্দের অর্থ চলার সময়ে, চালু থাকার কালে।

ফলে, 'চলাকালীন সময়ে' মানে দাঁড়াবে - চলার সময়ে সময়ে। তাই 'চলাকালীন' এর পরে 'সময়ে' লেখা বাহুল্য ও অর্থহীন।

❐ সুতরাং, সঠিক শব্দটি - 'চলাকালে'


২৬৯. যে বিষয়ে কোনো বিতর্ক নেই-

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দানিয়ুব- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖যে বিষয়ে কোনো বিতর্ক নেই- অবিসংবাদী।

যে অগ্রপশ্চাৎ চিন্তা না করে কাজ করে তাকে অবিমৃষ্যকারী বলে। এবং যে বিষয়ে কোন বিতর্ক নেই তাকে অবিসংবাদী বলে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝'যে বিষয়ে কোনো বিতর্ক নেই' _ এক কথায় প্রকাশ হলো - অবিসংবাদী।

অবিসংবাদী শব্দের অর্থ - মতানৈক্যশূন্য।

❐ অন্যদিকে,

অবিমৃষ্যকারী অর্থ হলো - 'যে ভবিষ্যৎ না ভেবেই কাজ করে'।

২৭০. যে জমিতে ফসল জন্মায় না-

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দানিয়ুব- ০৮.১১.১৩ 📖 15th BCS General Apr, 1993 📖 জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়➟2012➯F ইউনিট

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖যে জমিতে ফসল জন্মায় না- ঊষর।

যে জমি চাষ যোগ্য নয়- পতিত। যে জমি উর্বর নয়- অনুর্বর।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝ঊষর - যে জমিতে ফসল জন্মায় না।

বন্ধ্যা - যে নারীর সন্তান হয় না।

পতিত - পড়ে আছে এমন।

অনুর্বর - উর্বর নয় এমন।

২৭১. কোন বাগধারাটি স্বাতন্ত্র্য অর্থ প্রকাশ করে?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দানিয়ুব- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖সাতেও না পাঁচেও না বাগধারাটি স্বাতন্ত্র্য অর্থ প্রকাশ করে।

'সাতেও না পাঁচেও না' বাগধারাটির অর্থ নির্লপ্ত অন্যান্য বাগধারা গুলোর অর্থ শত্রুতা।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝'সাতেও না পাঁচেও না' অর্থ = নির্লিপ্ত।

❐ অন্যদিকে,

আদায় কাঁচকলায় = ঘোর শত্রুতা।

দা-কুমড়া = শত্রুতা।

অহি নকুল (সাপে-নেউলে) = ভীষণ শত্রুতা।

২৭২. ”সৌম্য”-এর বিপরীত শব্দ-

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দানিয়ুব- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖সৌম্য এর সমার্থক শব্দ, শান্ত, বা সরল, স্থির

বিপরীত শব্দ উগ্র, তেজী, অস্থির। কম্পেয়ার করলেই আসা করি বুঝবেন।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝'সৌম্য' শব্দের বিপরীত শব্দ - উগ্র।

❐ দুরন্ত এর বিপরীত শব্দ - শান্ত।

❐ 'কোমল' শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ - কঠিন/কঠোর।

❐ 'বিনীত' এর বিপরীত শব্দ- উদ্ধত।

❐ 

২৭৩. ”অর্বাচীন” এর বিপরীত শব্দ-

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দানিয়ুব- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”অর্বাচীন” এর বিপরীত শব্দ- প্রাচীন।

অর্বাচীন শব্দটির অর্থ হচ্ছে নবীন, আধুনিক, অপ্রবীণ। সুতরাং এর বিপরীত শব্দ হচ্ছে প্রাচীন।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝অর্বাচীন শব্দটির অর্থ হলো নবীন, নতুন ইত্যাদি৷ 

এর বিপরীত শব্দ হলো - প্রাচীন।

২৭৪. সাদা মেঘে বৃষ্টি হয় না- এখানে মেঘে কোন কারক?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দানিয়ুব- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖সাদা মেঘে বৃষ্টি হয় না- এখানে মেঘে অপাদান কারক।

যা থেকে কিছু বিচ্যুত, গৃহীত, জাত, বিরত, আরম্ভ, দূরীভূত ও রক্ষিত হয় এবং যা দেখে কেউ ভীত হয় তাদের অপাদান কারক বলে। যেমন সাদা মেঘে বৃষ্টি হয় না এখানে 'মেঘে' হল অপাদান কারকে সপ্তমী বিভক্তি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝সাদা মেঘে বৃষ্টি হয় না- এখানে মেঘ অপাদান কারক।

▣ অপাদান কারক:

যা থেকে কোনো কিছু উৎপত্তি, বিচ্যুত, জাত, গৃহীত, আরম্ভ, দূরীভূত ও রক্ষিত হয়, তাকে বলা হয় অপাদান কারক।

❐ বাক্যের ক্রিয়াপদকে কোথা হতে, কি থেকে, কিসের থেকে ইত্যাদি প্রশ্ন করলে উত্তরে যে কারক পাওয়া যায়, তা-ই হলো অপাদান কারক।

▣ অপাদান কারকে বিভিন্ন বিভক্তির প্রয়োগ -

❐ এ বনে বাঘের ভয় = অপাদান কারকে ৭মী বিভক্তি

❐ মেঘ থেকে বৃষ্টি হয় = অপাদান কারকে ৫মী বিভক্তি

❐ তিলে তৈল হয় = অপাদান কারকে ৭মী বিভক্তি

❐ তিথির চেয়ে বিথী বড় = অপাদান কারকে ষষ্ঠী বিভক্তি

❐ পরাজয়ে ডরে না বীর = অপাদান কারকে ৭মী বিভক্তি

❐ বিপদে মোর রক্ষা কর = অপাদান কারকে ৭মী বিভক্তি

❐ লোভে পাপ পাপে মৃত্যু = অপাদান কারকে ৭মী বিভক্তি

❐ ছাদ থেকে পানি পড়ে = অপাদান কারকে৫মী বিভক্তি

২৭৫. ”সমাস” এর অর্থ-

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দানিয়ুব- ০৮.১১.১৩ 📖 রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়➟2014➯A ইউনিট 📖 প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [১ম পর্যায়] ২৪. ০৫.১৯

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'সমাস' এর অর্থ সংক্ষেপণ।

সমাস শব্দের অর্থ হচ্ছে সংক্ষেপ, মিলন, একাধিক পদের একপদীকরণ ইত্যাদি। সংক্ষেপন শব্দটির শুদ্ধরূপ সংক্ষেপণ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝'সমাস' শব্দের অর্থ সংক্ষেপ, মিলন ও একাধিক পদের একপদীকরণ।

অর্থ সম্বন্ধ আছে এমন একাধিক শব্দের এক সঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি বড় শব্দ গঠনের প্রক্রিয়াকে সমাস বলে।

সমাসের রীতি সংস্কৃত থেকে বাংলায় এসেছে।

২৭৬. ”মাঠে ধান ফলেছে” বাক্যে- “মাঠে” কোন কারক?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দানিয়ুব- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”মাঠে ধান ফলেছে” বাক্যে- “মাঠে” স্থানাধিকরণ কারক।

ক্রিয়া সম্পাদনের কাল এবং আঁধারকে অধিকরণ কারক বলে। মাঠে ধান ফলে সেখানে 'মাঠে' হলো আধারাধিকরণ বা স্থানাধিকারী কারক।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝অধিকরণ কারক:

ক্রিয়ার আধারকে বলা হয় অধিকরণ কারক। আধার বলতে ক্রিয়া নিষ্পন্ন হওয়ার স্থান, কাল ও ভাবকে বোঝায়।

অর্থাৎ ক্রিয়া সম্পাদনের কাল এবং আধারকে বলা হয় অধিকরণ কারক।

আর এখানে মাঠ দ্বারা যেহেতু স্থান বুঝাচ্ছে তাই এটি স্থানাধিকরণ বা আধারাধিকরণ।

যে স্থানে বা যে সময়ে ক্রিয়া সম্পাদন হয় তাকে বলে অধিকরণ কারক।

অধিকরণ কারক তিন প্রকার।

যথা-

❖ ১. আধারাধিকরণ,

❖ ২. কালাধিকরণ এবং

❖ ৩. ভাবাধিকরণ।

❐ আধারাধিকরণ:

আধারাধিকরণ বা স্থানাধিকরণ কোন কোন স্থানকে বুঝায়। যেমন: তিলে তৈল আছে। ছেলেটি অঙ্কে কাচা। নদীতে পানি আছে।

এটি তিন ভাগে বিভক্ত। যথা : - ১. ঐকদেশিক, ২. অভিব্যাপক এবং ৩. বৈষয়িক।

❐ ১. ঐকদেশিক:

বিশাল স্থানের যে কোনো এক অংশে ক্রিয়া সংঘটিত হলে তাকে ঐকদেশিক আধারাধিকরণ বলে। যেমন-

পুকুরে মাছ আছে। (পুকুরের যে কোনো একস্থানে)

বনে বাঘ আছে। (বনের যে কোনো এক অংশে)

আকাশে চাঁদ উঠেছে। (আকাশের কোনো এক অংশে)

❐ ২. অভিব্যাপক:

উদ্দিষ্ট বস্তু যদি সমগ্র আধার ব্যাপ্ত করে বিরাজমান থাকে, তবে তাকে অভিব্যাপক আধারাধিকরণ বলে। যেমন-

তিলে তৈল আছে। (তিলের সারা অংশব্যাপী)।

নদীতে পানি আছে। (নদীর সমস্ত অংশ ব্যাপ্ত করে)।

কলসটি কানায় কানায় পূর্ণ। (কলসের সম্পূর্ণ অংশ জুড়ে আছে) ।

❐ ৩. বৈষয়িক:

বিষয় বিশেষে বা কোনো বিশেষ গুণে কারও কোনো দক্ষতা বা ক্ষমতা থাকলে সেখানে বৈষয়িক অধিকরণ হয়। যেমন-

সফিক অঙ্কে কাঁচা।

আমাদের সেনারা সাহসে দুর্জয়, যুদ্ধে অপরাজেয়।

❐ কালাধিকরণ:

যে কালে ক্রিয়া সম্পন্ন হয়, তাকে কালাধিকরণ কারক বলে। উদাহরণ-

ছেলেবেলায় আমি খুব দুষ্টু ছিলাম।

শরতে শাপলা ফোটে।

সকালে সে চলে যাবে।

প্রভাতে উঠিল রবি লোহিত বরণ।

❐ ভাবাধিকরণ:

যদি কোনো ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য অন্য ক্রিয়ার কোনোরূপ ভাবের অভিব্যক্তি প্রকাশ করে, তবে তাকে ভাবাধিকরণ বলে। ভাবাধিকরণে সর্বদাই সপ্তমী বিভক্তির প্রয়োগ হয় বলে একে ‘ভাবে সপ্তমী’ বলা হয়। যেমন-

রাতটা দু:খে কাটলো।

সে ফুর্তিতে আছে।

❐ 

২৭৭. কোন দুজন আরাকান রাজসভার কবি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দানিয়ুব- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖মহাকবি আলাওল ও দৌলত কাজী আরাকান রাজসভার কবি।

আরাকানের অধিবাসী না সাধারণভাবে বাংলাদেশ মগ নামে পরিচিত। আরাকান রাজসভার পৃষ্ঠপোষকতায় যেসকল প্রতিভাবান কবি সাহিত্যিক এর আবির্ভাব ঘটেছিল তাদের মধ্যে দৌলত কাজী, আলাওল, কোরেশী মাগন ঠাকুর, আব্দুল করিম খন্দকার বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝আরাকানে বাংলা সাহিত্য মধ্যযুগের অন্তিম পর্বে বঙ্গদেশের সীমান্তবর্তী স্বাধীন ও অর্ধস্বাধীন রাজাদের রাজসভায় বাংলা সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য চর্চা হয়। - আরাকানি রাজগণ বাংলা ভাষা ও বাঙালি সংস্কৃতিদ্বারা প্রভাবিত ছিলেন।

❐ তাই বাংলা ভাষা ও সাহিত্য উল্লেখযোগ্যভাবে তাঁদের পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করে।

❐ আরাকান রাজসভার উৎসাহ ও পৃষ্ঠপোষকতায় যাঁরা কাব্যচর্চা করেন তাঁদের মধ্যে দৌলত কাজী (আনু. ১৬০০-১৬৩৮) প্রাচীনতম।

❐ বাঙালি মুসলমান কবিদের মধ্যে আলাওল সর্বাধিক প্রসিদ্ধ। তাঁর মতো বহুগ্রন্থ প্রণেতা ও পন্ডিত কবি মধ্যযুগে বিরল। তিনি আরাকানের প্রধানমন্ত্রী কোরেশী মাগন ঠাকুরের (আনু. ১৬০০-১৬৬০) আশ্রয়ে থেকে কাব্যচর্চা শুরু করেন।

❐ আরাকানের অন্যান্য কবি হচ্ছেন:

❐ মরদন (আনু. ১৬০০-১৬৪৫),

❐ মাগন ঠাকুর।

❐ শমশের আলী

❐ আবদুল করীম খোন্দকার

২৭৮. রবীন্দ্রনাথ নাইট উপাধি ত্যাগ করেন কোন সালে?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দানিয়ুব- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖রবীন্দ্রনাথ নাইট উপাধি ত্যাগ করেন ১৯১৯ সালে।

১৯১৫ সালে তৎকালীন ভারত সরকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে স্যার বা নাইট উপাধিতে ভূষিত করেন। ১৯১৯ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জালিয়ান ওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে নাইট উপাধি ত্যাগ করেন।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝রাওলাট আইনের বিরুদ্ধে ১৯১৯ সালের ১৩ এপ্রিল পাঞ্জাবের অমৃতসরে আয়োজিত এক সভায় জেনারেল (অব.) ডায়ারের নির্দেশে ইংরেজ বাহিনীর গুলিবর্ষণে বহু নিরস্ত্র লোক মারা যায়।

❐ এই হত্যাকাণ্ড ইতিহাসে 'জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড' নামে পরিচিত।

❐ জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৯ সালে ব্রিটিশ সরকার প্রদত্ত (১৯১৫ সালে প্রদত্ত) ‘নাইট উপাধি’ ত্যাগ করেন।

❐ উল্লেখ্য - ব্রিটিশ সরকার ১৯১৫ সালের ৩রা জুন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নাইটহুড বা 'স্যার' উপাধি প্রদান করে৷

২৭৯. বাংলা সাহিত্যে “ভোরের পাখি” বলা হয কাকে?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দানিয়ুব- ০৮.১১.১৩ 📖 2017 - বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) - 19.06.17 📖 পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ ~ সহকারী সাব-ইন্সপেক্টর ~ ২৩.০৩.১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖বাংলা সাহিত্যে “ভোরের পাখি” বলা হয় বিহারীলাল চক্রবর্তীকে।

বাংলা সাহিত্যের আধুনিক গীতি কবিতার স্রষ্টা হলেন বিহারীলাল চক্রবর্তী। তিনিই প্রথম বাংলায় ব্যক্তির আত্মলীনা ব্যক্তিগত অনুভূতি ও গীতোচ্ছাস সহযোগে কবিতা রচনা করেন বাংলা কবিতাকে নতুন এক প্রেরণা দান করেন। তাই তাকে ভোরের পাখি বলা হয়। তাকে এই উপাধি দিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝বাংলা সাহিত্যে 'ভোরের পাখি' হিসেবে খ্যাত বিহারীলাল চক্রবর্তী।

❐ গীতিকবিতার ক্ষেত্রে তিনি রবীন্দ্রনাথের গুরু হিসেবে খ্যাত।

❐ রবীন্দ্রনাথ তাকে বাঙলা গীতি কাব্য-ধারার 'ভোরের পাখি' বলে আখ্যায়িত করেন।

❐ বাংলা সাহিত্যের প্রথম গীতি-কবি হিসেবে সুপরিচিত বিহারীলাল চক্রবর্তী এর জন্ম ১৮৩৫ সালের ২৫ মে কলকাতায়।

❐ তাঁর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থগুলোর নাম-

❐ স্বপ্নদর্শন,

❐ সংগীত শতক,

❐ বঙ্গসুন্দরী,

❐ নিসর্গ সন্দর্শন,

❐ বন্ধু বিয়োগ,

❐ প্রেম প্রবাহিনী,

❐ সারদামঙ্গল, ইত্যাদি।

২৮০. প্রথম বাংলা সমার্থক শব্দের অভিধান সংকলন করেন-

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দানিয়ুব- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝১৯৭৪ সালে বাংলা একাডেমি প্রকাশ করে মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান প্রণীত বাংলা ভাষার 'থিসরাস' বা সমার্থক শব্দের অভিধান যথাশব্দ।

❐ ১৯৭৬ সালে কলকাতায় বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ-এর বার্ষিক সম্মিলনীর সভাপতির ভাষণে সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘বাঙ্গলা ভাষা, শব্দকোষ, সাহিত্য প্রভৃতি সব দিকেই বহু অনুসন্ধান ও গবেষণা হইয়াছে, ভালো অভিধানও বাহির হইয়াছে এবং আরও হইতেছে। কিন্তু ইংরেজি Roget's Thesaurus-এর মত বৈজ্ঞানিক ও দার্শনিক বিচারশৈলী অনুসারে, বিভিন্ন প্রকারের দ্যোতনার শব্দের বিশেষ কার্য্যকর অভিধান ছিল না। বাঙ্গালি সাহিত্যিক ও সাহিত্যরসিকের পক্ষে “যথাশব্দ” অভিধানখানি এইরূপ একখানি অপরিহার্য্য পুস্তকরূপে এখন দেখা দিল।’

❐ উল্লেখ্য, যথাশব্দ সংকলনটি প্রথম ভাব অভিধান সংকলনও বটে।

এছাড়াও তিনি বাংলা ভাষার প্রথম ধর্ম অভিধান 'যার যা ধর্ম' সংকলন করেন।

❐ 

‘‘রজে-র থিসরাসের বিষয় এবং শব্দবিন্যাসের ধরনকে প্রায় অবিকল ব্যবহার করে, বাংলা ভাষায় প্রথম থিসরাস ছাপা হয়েছে ‘যথাশব্দ’।

❐ ১৯৭৪ সালে ঢাকার বাংলা একাডেমী থেকে প্রকাশিত এই অভিধানের সঙ্কলক মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান।

❐ মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের আগে প্রাণতোষ ঘটক একটি ছোট আকারের সমার্থশব্দ-সঙ্কলন করেছিলেন⇢ নাম ‘রত্নমালা’ (আশ্বিন ১৩৬২; ১৯৫৫)। এই গ্রন্থের বিন্যাস বিষয়ভিত্তিক নয়⇢ বর্ণনাক্রমিক।

❐ আরও একটি বাংলা-ইংরেজি দ্বিভাষিক থিসরাস তথা ‘অভিধান’ প্রকাশিত হয়েছে⇢ মণিমঞ্জুষা ( বৈশাখ ১৩৯৩; ১৯৮৬), সঙ্কলক ড. জগন্নাথ চক্রবর্তী। এই অভিধানের বিন্যাস বিষয়ানুযায়ী নয়⇢ বর্ণানুক্রমিক।’’

❐ এ সব তথ্য স্বয়ং অশোক মুখোপাধ্যায় তাঁর ‘সংসদ সমার্থশব্দকোষ’ (ডিসেম্বর ১৯৮৬)-এর ভূমিকায় জানিয়েছিলেন।

❐ 

২৮১. কোন সন্ধিটি নিপাতনে সিদ্ধ?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দানিয়ুব- ০৮.১১.১৩ 📖 Janata Bank Ltd - Asst. Executive Officer - 04.08.17

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖পর+পর=পরস্পর সন্ধিটি নিপাতনে সিদ্ধ।

যেসব সন্ধি ব্যাকরণের নিয়ম সিদ্ধ নয় সেগুলোই নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি। কয়েকটি নিপাতনে সিদ্ধ ব্যঞ্জন সন্ধি হল পর + পর = পরস্পর, আ + চর্য = আশ্চর্য, দিব্ + লোক = দ্যুলোক ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝কতকগুলো সন্ধি কোন নিয়ম অনুসরণ করে না। এগুলোকে নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি বলে। 

যেমন:

ষট্∘ + দশ = ষোড়শ; 

পর + পর = পরস্পর; 

গো + পদ = গোস্পদ ইত্যাদি;

মনস্∘ + ঈষা = মনীষা;

পতৎ + অঞ্জলি = পতঞ্জলি;

তৎ + কর = তস্কর;

বন + পতি = বনস্পতি;

বৃহৎ + পতি = বৃহস্পতি;

আ + চর্য = আশ্চর্য;

এক + দশ = একাদশ

২৮২. পর্যালোচনা শব্দের সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ-

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দানিয়ুব- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖পর্যালোচনা শব্দের সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ- পরি+আলোচনা।

স্বরধ্বনির সঙ্গে স্বরধ্বনি মিলে যে সন্ধি হয় তাকে স্বরসন্ধি বলে। যেমন- পরি + আলোচনা = পর্যালোচনা, গো + এষণা = গবেষণা, মনু + অন্তর = মন্বন্তর ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝ই-কার কিংবা ঈ-কারের পত ই ও ঈ ভিন্ন অন্য স্বর থাকলে ই বা ঈ স্থানে 'য' বা য-ফলা হয়।

যেমন -

অতি + উক্তি = অত্যুক্তি

ইতি + আদি = ইত্যাদি

প্রতি + ঊষ = প্রত্যূষ

❐ অনুরূপভাবে,

পরি+ আলোচনা = পর্যালোচনা

২৮৩. যে ধাতু বা শব্দের শেষে প্রত্যয় যুক্ত হয় তার নাম কি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দানিয়ুব- ০৮.১১.১৩ 📖 DPE ২০১৪(৪র্থ পর্যায়) - সহকারী শিক্ষক -০১.০৬.১৮ 📖 সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক .০১

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖যে ধাতু বা শব্দের শেষে প্রত্যয় যুক্ত হয় তার নাম প্রকৃতি।

যে ধাতু বা শব্দের শেষে প্রত্যয় যুক্ত হয় তাকে নাম প্রকৃতি বলে। যেমন- √চল্ (ক্রিয়াপ্রকৃতি) + অন (কৃৎ প্রত্যয়) = চলন, √পড় + উয়া = পড়ুয়া। এখানে, চল্ ও পড় হলো প্রকৃতি এবং অন ও উয়া হলো প্রত্যয়।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝ক্রিয়া মূলকে বলা হয় ধাতু, আর ধাতুর সঙ্গে পুরুষ ও কালবাচক বিভক্তি যোগ করে গঠন করা হয় ক্রিয়াপদ।

ধাতু সঙ্গে যখন কোনো ধ্বনি বা ধ্বনি-সমষ্টি যুক্ত হয়ে বিশেষ্য বা বিশেষণ পদ তৈরি হয়, তখন

❖ ১. ক্রিয়ামূল বা ধাতুকে বলা হয় ক্রিয়া প্রকৃতি বা প্রকৃতি আর

❖ ২. ক্রিয়া প্রকৃতির সঙ্গে যে ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টি যুক্ত হয়, তাকে বলে কৃৎ- প্রত্যয়।

যেমন-

❐ চল্ (ক্রিয়া প্রকৃতি) + অন (কৃৎ প্রত্যয়) = চলন(বিশেষ্যপদ)

❐ চল্ (ক্রিয়া প্রকৃতি) + অন্ত (কৃৎ- প্রত্যয়) = চলন্ত (বিশেষণ পদ)।

২৮৪. ”যত্ন করলে রত্ন মিলে”- এখানে “করলে” কোন ক্রিয়ার উদাহরণ?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দানিয়ুব- ০৮.১১.১৩ 📖 প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯ 📖 সমাজসেবা অধিদপ্তর  ~ ফিল্ড সুপারভাইজার -৯.১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”যত্ন করলে রত্ন মিলে”- এখানে “করলে” অসমাপিকা ক্রিয়ার উদাহরণ।

ধাতুর সঙ্গে কাল নিরপেক্ষ ইয়া(য়) ইতি(তে) অথবা ইলে(লে) বিভক্তি যুক্ত হয় অসমাপিকা ক্রিয়া গঠিত হয়। যেমন- যত্ন করলে রত্ন মিলে, দরিদ্র পাইলে ধন হয় গর্বস্ফিত।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝অসমাপিকা ক্রিয়া: যে ক্রিয়া ভাব সম্পূর্ণ করতে পারে না, তাকে অসমাপিকা ক্রিয়া বলে।

যেমন ➞ ভালো করে পড়াশোনা করলে ভালো ফল হবে।

এখানে 'ভালো করে পড়াশোনা করলে' বললে ভাব সম্পূর্ণ প্রকাশিত হয় না। তাই এটি অসমাপিকা ক্রিয়া।

❐ একইভাবে, 'যত্ন করলে রত্ম মিলে'- এখানে 'করলে' অসমাপিকা ক্রিয়া।

❐ অসমাপিকা ক্রিয়া তিন ধরনের:

❖ ১. ভূত অসমাপিকা,

❖ ২. ভাবী অসমাপিকা এবং

❖ ৩. শর্ত অসমাপিকা।

যথা:

❐ ভূত অসমাপিকা: সে গান করে আনন্দ পায়।

ভাবী অসমাপিকা: সে গান শিখতে রাজশাহী যায়।

শর্ত অসমাপিকা: গান করলে তার মন ভালো হয়।

২৮৫. কোনটি শুদ্ধ বানান?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দানিয়ুব- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖সঠিক বানানটি হল 'নিমীলিত'।

সঠিক শব্দ হচ্ছে 'নিমীলিত' যার অর্থ মুদিত (চোখ বোজা অবস্থা প্রাপ্ত)। এবং প্রশ্নে উল্লেখিত অন্যান্য বানানগুলো ভুল রয়েছে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📌📝

২৮৬. ”যা কষ্টে লাভ করা যায়” তাকে এক কথায় বলে-

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দানিয়ুব- ০৮.১১.১৩ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”যা কষ্টে লাভ করা যায়” তাকে এক কথায় বলে- দুর্লভ।

যা জয় করা কঠিন তাকে দুর্জয় বলে। যা কষ্ট করে লাভ করা যায় না তাকে অলভ্য বলে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝যা কষ্টে জয় করা যায়- দুর্জয়।

যা কষ্টে লাভ করা যায়- দুর্লভ।

২৮৭. ভুল বানান কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - বিটা- ১৮.০৪.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖জ্যামিতি (বিশেষ্য) - ভূমির পরিমাপ বিষয়ক শাস্ত্র; ক্ষেত্রতত্ত্ব।

প্রতীতি (বিশেষ্য) - জ্ঞান; বোধ; উপলব্ধি।

২৮৮. "দৃষ্টিহীন” কার ছদ্মনাম?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - বিটা- ১৮.০৪.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖"দৃষ্টিহীন” কার ছদ্মনাম মধুসূদন মজুমদার।

বিহারীলাল চক্রবর্তী এর ছদ্মনাম ''ভোরের পাখি" এবং প্যারীচাঁদ মিত্রের ছদ্মনাম "টেকচাঁদ ঠাকুর"।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖মধুসূদন মজুমদারের ছদ্মনাম ছিলো- দৃষ্টিহীন। 

আবার, দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারের ছদ্মনামও ছিলো- দৃষ্টিহীন। 

প্যারীচাঁদ মিত্রের ছদ্মনাম- টেকচাঁদ ঠাকুর।

মধুসূদন দত্তের ছদ্মনাম- এ নেটিভ।

বিহারীলাল চক্রবর্তীর উপাধি- ভোরের পাখি।

২৮৯. "A search for identity"- বইটি কার লেখা?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - বিটা- ১৮.০৪.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖এম এ জলিল যিনি মেজর জলিল নামেই বেশি পরিচিত, বাংলাদেশের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ছিলেন একজন রাজনীতিক ও সামরিক কর্মকর্তা৷ তিনি ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ৯নং সেক্টরে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তার প্রকাশিত গ্রন্থ:

i. সীমাহীন সময় (১৯৭৬)

ii. দৃষ্টিভঙ্গি ও জীবনদর্শন, সূর্যোদয় (১৯৮২)

iii. অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা (১৯৮৯)

iv.Bangladesh Nationalist Movement for Unity: A Historical Necessity

v. A search for identity

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖'A Search for identity' বইটির লেখক মেজর আব্দুল জলিল। 

'প্রতিরোধের প্রথম প্রহর', 'লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে', ‘শেখ মুজিব ও স্বাধীনতা সংগ্রাম’ মেজর রফিকুল ইসলাম রচিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গ্রন্থ।

২৯০. জসীমউদ্‌দীনের নাটক--

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - বিটা- ১৮.০৪.১৪ 📖 36th BCS General Jan, 2016 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ডেলটা- ১৮.০৪.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖জসীমউদ্‌দীনের নাটক-- বেদের মেয়ে।

তার অন্যান্য নাটক : পদ্মাপার (১৯৫০), বেদের মেয়ে (১৯৫১), মধুমালা (১৯৫১), পল্লীবধূ (১৯৫৬) গ্রামের মেয়ে (১৯৫৯) ওগো পুস্পধনু (১৯৬৮) আসমান সিংহ (১৯৮৬)।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖'বেদের মেয়ে'(১৯৫১) জসীমউদ্▫দীনের রচিত নাটক।

'রাখালী' এবং 'মাটির কান্না' তার অন্যতম জনপ্রিয় খন্ডকবিতা।

'বোবা কাহিনী'(১৯৬৪) তার রচিত একমাত্র উপন্যাস।

২৯১. ”প্রতিদিন ঘরহীন ঘরে” কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা--

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - বিটা- ১৮.০৪.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”প্রতিদিন ঘরহীন ঘরে” কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা--শামসুর রহমান।

শামসুর রাহমানের প্রথম কাব্য গ্রন্থ প্রথম গান, দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে প্রকাশিত হয় ১৯৬০ সালে।

বন্দী শিবির থেকে (১৯৭২): এ কাব্যে স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন আবেগ ও প্রত্যাশা প্রাধান্য পেয়েছে। এ কাব্যের মাধ্যমে তিনি কবি খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি ‘মজলুম আদিব’ ছদ্মনামে কাব্যগ্রন্থটি রচনা করেন। এ কাব্যের অধিকাংশ কবিতা মুক্তিযুদ্ধকালে অবরুদ্ধ সময়ে রচিত। এ কাব্যটি ১৯৭১ সালের শহিদদের প্রতি উৎসর্গ করা হয়। এ গ্রন্থে ৩৮ টি কবিতার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: ‘তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা’, ’স্বাধীনতা তুমি’।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖বাংলা সাহিত্যের আধুনিক কবিদের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি - শামসুর রাহমান।

তার রচিত উল্লেখযোগ্য কয়েকটি কাব্যগ্রন্থ হচ্ছে -

প্রথম গান দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে, রৌদ্র করোটিতে, বিধ্বস্ত নীলিমা, বন্দী শিবির থেকে, নিরালোকে দিব্যরথ, নিজ বাসভূমে, দুঃসময়ের মুখোমুখি, ফিরিয়ে নাও ঘাতক কাঁটা, এক ধরনের অহংকার, শূন্যতার শোকসভা, বাংলাদেশ স্বপ্ন দ্যাখে, প্রতিদিন ঘরহীন ঘরে, ইকারুসের আকাশ, উদ্ভট উটের পিঠে চলছে স্বদেশ, এক ফোঁটা কেমন অনল, দেশদ্রোহী হতে ইচ্ছে করে, অবিরল জলাভূমি, বুক তাঁর বাংলাদেশের হৃদয় ইত্যাদি।

তাঁর রচিত আত্মস্মৃতি - কালের ধুলোয় লেখা ও স্মৃতির শহর।

শামসুর রাহমানের উপন্যাস - অক্টোপাস, অদ্ভূত আঁধার এক, নিয়ত মন্তাজ, এলো সে অবেলায়।

তার রচিত কয়েকটি শিশু-কিশোর সাহিত্য - এলাটিং বেলাটিং, ধান ভানলে কুঁড়ো দেব, গোলাপ ফুটে খুকীর হাতে, আমের কুঁড়ি জামের কুঁড়ি ইত্যাদি।

[]

২৯২. বাংলাদেশের প্রথম সংবাদপত্র-

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - বিটা- ১৮.০৪.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ৫

ব্যাখ্যাঃ

ভারতবর্ষের প্রথম মুদ্রিত সংবাদপত্র বেঙ্গল গেজেট (১৭৮০)। সমাচার দর্পণ প্রকাশিত হয় ১৮১৮ সালে।চট্টগ্রাম থেকে ১৭ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রকাশিত প্রথম পত্রিকা "আজাদ"।

ব্যাখ্যাকারী : 

২৯৩. ”মহর্ষি” কোন সমাস?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - বিটা- ১৮.০৪.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”মহর্ষি” হলো কর্মধারয় সমাস।

বিশেষণ ও বিশেষ্য পদ মিলে যে সমাস হয় এবং বিশেষ্যর বা পরপদের অর্থ প্রধান রূপে প্রতীয়মান হয় তাকে কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন: মহান যে ঋষি = মহর্ষি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖মহর্ষি [মহোর্▫শি] (বিশেষ্য) ঋষিশ্রেষ্ঠ; বড় ঋষি।

{(তৎসম বা সংস্কৃত) মহান+ঋষি; বা, মহান যে ঋষি (কর্মধারয় সমাস)}

২৯৪. প্রত্যক্ষ কোনো বস্তুর সাথে পরোক্ষ কোনো বস্তুর তুলনা করলে প্রত্যক্ষ বস্তুটিকে বলা হয়---

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - বিটা- ১৮.০৪.১৪ 📖 27th BCS General Nov, 2005 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2018➯খ ইউনিট

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖প্রত্যক্ষ কোনো বস্তুর সাথে পরোক্ষ কোনো বস্তুর তুলনা করলে প্রত্যক্ষ বস্তুটিকে বলা হয় উপমেয়।

যেমন : ভ্রমরের ন্যায় কৃষ্ণকেশ = ভ্রমরকৃষ্ণ কেশ, এখানে 'কেশ' উপমেয়।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖প্রত্যক্ষ কোন বস্তুর সাথে পরোক্ষ কোন বস্তুর তুলনা করলে প্রত্যক্ষ বস্তুটিকে বলা হয় উপমেয়।

যেমন- 

ভ্রমরের ন্যায় কৃষ্ণ কেশ = ভ্রমরকৃষ্ণকেশ। 

এখানে 'ভ্রমর' উপমান এবং 'কেশ' উপমেয়। 

কেননা 'কেশ' প্রত্যক্ষ বস্তু।

২৯৫. ”পয়জার” এর সমার্থক শব্দ কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - বিটা- ১৮.০৪.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”পয়জার” এর সমার্থক শব্দ পাদুকা।

আরো কিছু অর্থ হলো: সম্পাদনা, জুতো, সেন্ডেল, স্যান্ডেল, চটি, খড়ম, ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖পয়জার, পায়যার (বিশেষ্য)

১) জুতা; পাদুকা (সখিনা বিবির পয়জারের বাড়ি আর খেতে পারিনে-জোবেদা; এখনই ঘর থেকে বেরিয়ে যা, নইলে পয়জার দিয়ে তোকে সোজা করব-শাহাদাত হোসেন)।

২) পাপোশ।

{(ফারসি) পায়জার }

২৯৬. ”বামেতর” শব্দটির অর্থ

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - বিটা- ১৮.০৪.১৪ 📖 23rd BCS General Mar, 2001 📖 কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়➟2013➯B ইউনিট

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”বামেতর” শব্দটির অর্থ "ডান"।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖বামেতর (বিশেষণ):

অর্থ - ডান; ডাহিন; দক্ষিণ

কবিতায় ব্যবহারঃ প্রমীলার বামেতর নয়ন নাচিল - মাইকেল মধুসূদন দত্ত।

২৯৭. ”মনীষা” শব্দের বিপরীত অর্থ---

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - বিটা- ১৮.০৪.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”মনীষা” শব্দের বিপরীত অর্থ-- নির্বোধ।

মনীষা শব্দের অর্থ হলো: প্রজ্ঞা, তীক্ষ্ণ বুদ্ধি, প্রতিভা। তাই "মনীষা" শব্দটির বিপরীত অর্থ হবে নির্বোধ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖''মনীষা'' শব্দের বিপরীত শব্দ ''নির্বোধ''।

মনীষাঃ প্রজ্ঞা; তীক্ষ্ণবুদ্ধি; প্রতিভা।

নির্বোধঃ বোধহীন; অজ্ঞান; মূর্খ; বুদ্ধিশূন্য।

২৯৮. নির্মল-এর বিপরীতার্থক শব্দ কি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - বিটা- ১৮.০৪.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖নির্মল-এর বিপরীতার্থক শব্দ পঙ্কিল।

নির্মল শব্দটির অর্থ: স্বচ্ছ, ময়লাহীন, অমলিন ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖''নির্মল'' শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ - পঙ্কিল বা মলিন।

২৯৯. ”গুড়ে বালি” কথাটির অর্থ কি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - বিটা- ১৮.০৪.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”গুড়ে বালি” কথাটির অর্থ আশায় নৈরাশ্য।

গুড়ে বালি শব্দটির আরো কিছু অর্থ হলো আশায় নিরাশ হওয়া, মনোবল হারানো ইত্যাদি। গোবরে পদ্মফুল কথাটির অর্থ: নীচ বংশে মহৎ ব্যক্তি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖“গুড়ে বালি” অর্থ- আশায় নিরাশ হওয়া, আশায় নৈরাশ্য।

“গোবরে পদ্মফুল” অর্থ- নীচবংশে মহৎ ব্যক্তি।

তাই সঠিক উত্তর অপশন (খ)।

৩০০. ”মুখ তোলা” বাক্যাংশের বিশিষ্ট অর্থ কি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - বিটা- ১৮.০৪.১৪ 📖 আমদানি ও রপ্তানি (অফিস সহায়ক) 06-03-2020 📖 দুর্নীতি দমন কমিশন (উপ-সহকারী পরিচালক) 07-02-2020

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”মুখ তোলা” বাক্যাংশের বিশিষ্ট অর্থ প্রসন্ন হওয়া।

মুখ তোলা শব্দের আরো কিছু অর্থ হয় পদ্ম ফুলের মত মুখ, মুখ উজ্জ্বল হওয়া ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖‘মুখ তোলা’ অর্থ অনুগ্রহ লাভ করা, প্রসন্ন হওয়া।

খোদা মুখ তুলে চাইলে অবশ্যই ব্যবসায় লাভ হবে।

৩০১. “যার বাসস্থান নেই”- বাক্যের এক কথায় প্রকাশ কি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - বিটা- ১৮.০৪.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖গৃহ নেই এমন- অনিকেতন।

নিজের বাস্তুভিটা বা বসতবাড়ি ত্যাগ করতে বাধ্য-উদ্বাস্তু।

পরে জন্ম হয়েছে এমন- অনুজ।

সারা দিনে-রাতে একবারমাত্র ভোজনকারী-একাহারী।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖যার বাসস্থান নেই - অনিকেত।

যাদের নির্দিষ্ট কোন বাসস্থান নেই - যাযাবর।

বাসভূমি থেকে বিচ্যুত বা বিতাড়িত - উদ্বাস্তু।

দিনে একবার আহার করে যে - একাহারী।

অনুজ - অনুজন্মা (বিশেষ্য) কনিষ্ঠ ভ্রাতা; ছোটভাই।

৩০২. যা নিন্দার যোগ্য নয়---

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - বিটা- ১৮.০৪.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖যা নিন্দার যোগ্য নয় - অনিন্দ্য।

যা প্রশংসার যোগ্য - প্রশংসনীয়। সঠিক উত্তর হবে "অনিন্দ্য"।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖'অনিন্দ্য' শব্দের অর্থ নিন্দার অযোগ্য বা নিন্দার যোগ্য নয়। 

‘নিন্দনীয়’ শব্দের অর্থ নিন্দার যোগ্য।

৩০৩. কোন বানানটি শুদ্ধ?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - বিটা- ১৮.০৪.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖শব্দগুলোর মধ্যে "নিরীহ" বানানটি শুদ্ধ।

প্রশ্নে অন্য অপশন গুলোর মধ্যে কিছু ব্যাকরণগত ভুল রয়েছে। শুধুমাত্র শুদ্ধ বানান নিরীহ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖নিরীহ (বিশেষণ)

১) শান্ত; গোবেচারা।

২) অহিংস্র।

৩) নিরুপদ্রব; নির্বিরোধ।

৪) নিশ্চেষ্ট; অচেষ্ট।

৫) নিঃস্পৃহ; নির্লোভ।

৩০৪. ”বুলবুলিতে ধান খেয়েছে”--এই বাক্যের “বুলবুলিতে” শব্দে কোন কারকে কোন বিভক্তি রয়েছে?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - বিটা- ১৮.০৪.১৪ 📖 জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়➟2013➯F ইউনিট 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -করতোয়া- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”বুলবুলিতে ধান খেয়েছে”--এই বাক্যের “বুলবুলিতে” শব্দে কর্তৃ কারকে সপ্তমী বিভক্তি।

বাক্যস্থিত যে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদ ক্রিয়া সম্পন্ন করে তা, ক্রিয়ার কর্তা বা কর্তৃকারক।

ক্রিয়ার সঙ্গে 'কে' বা 'কারা' যোগ করে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, তা-ই কর্তৃকারক। যেমন:- খোকা বই পড়ে। (কে পড়ে? খোকা - কর্তৃকারক)। মেয়েরা ফুল তোলে। (কে তোলে? মেয়েরা - কর্তৃকারক)।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖বাক্যস্থিত যে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদ ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকে ক্রিয়ার কর্তা বা কর্তৃকারক বলে।

ক্রিয়াকে ‘কে/ কারা’ দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, সেটিই কর্তৃকারক। 

❏(কর্মবাচ্য ও ভাববাচ্যের বাক্যে এই নিয়ম খাটবে না। সেক্ষেত্রে একটু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।)

উদাহরণ-

গরু ঘাস খায়। (কে খায়) : কর্তৃকারকে শূণ্য বিভক্তি

বুলবুলিতে ধান খেয়েছে (কে খেয়েছে) : কর্তৃকারকে সপ্তমী বিভক্তি

৩০৫. ”পদ্ধতি”-এর সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - বিটা- ১৮.০৪.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”পদ্ধতি”-এর সন্ধি বিচ্ছেদ : পদ্‌ + হতি।

এটি ব্যঞ্জন + ব্যঞ্জন সাধিত সন্ধি। ব্যঞ্জন + ব্যঞ্জন সন্ধির ত ও দ এর পর হ থাকলে ত ও দ এর স্থলে দ এবং হ স্থলে ধ হয়।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖ত্▫ ও দ্▫ এর পর হ থাকলে ত্▫ ও দ্▫ এর স্থলে দ এবং হ এর স্থলে ধ্▫ হয়।

যেমন - পদ্▫ + হতি = পদ্ধতি;

উৎ + হার = উদ্ধার।

৩০৬. ”মনস্তাপ”-এর সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - বিটা- ১৮.০৪.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”মনস্তাপ”-এর সন্ধি বিচ্ছেদ মনোঃ + তাপ।

বিসর্গের পর অঘোষ অল্পপ্রাণ কিংবা মহাপ্রাণ তালব্য ব্যঞ্জন থাকলে বিসর্গের স্থলে তালব্য শিসধ্বনি হয়। অঘোষ অল্পপ্রাণ কিংবা মহাপ্রাণ মূর্ধন্য ব্যঞ্জন থাকলে বিসর্গ স্থলে মূর্ধন্য শিস ধ্বনি হয়, অঘোষ অল্পপ্রাণ কিংবা মহাপ্রাণ দন্ত্য ব্যঞ্জন এর স্থলে দন্ত্য শিস ধ্বনি হয়।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖বিসর্গের পর অঘোষ অল্পপ্রাণ কিংবা মহাপ্রাণ তালব্য ব্যঞ্জন থাকলে বিসর্গের স্থলে তালব্য শিসধ্বনি হয়। অঘোষ অল্পপ্রাণ কিংবা মহাপ্রাণ মূর্ধন্য ব্যঞ্জন থাকলে বিসর্গ স্থলে মূর্ধন্য শিস ধ্বনি হয়, অঘোষ অল্পপ্রাণ কিংবা মহাপ্রাণ দন্ত্য ব্যঞ্জন এর স্থলে দন্ত্য শিস ধ্বনি হয়।

যেমন,

দুঃ + থ = দুস্থ।

ইতঃ + তত = ইতস্তত।

মনঃ + তাপ = মনস্তাপ।

৩০৭. সামাজিক নাটক কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ভলগা- ০৮.১১.১৩ 📖 সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের  সমাজসেবা অফিসার (হাসপাতাল)-১.০৭ 📖 মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপজেলা মহিলা কর্মকর্তা-১৪.০১.০৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'সধবার একাদশী' একটি সামাজিক নাটক বা প্রহসন। উনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে সুরাপান ও বেশ্যাবৃত্তি যুবকদের জীবনে বিপর্যয় সৃষ্টি করেছিল। এই সামাজিক বিপর্যয় এর কাহিনী নিয়ে দীনবন্ধু মিত্র ১৮৬৬ সালে রচনা করেন 'সধবার একাদশী' প্রহসনটি। তার আরো দুটি প্রহসন হল জামাই বারিক ও বিয়ে পাগলা বুড়ো।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 'সধবার একাদশী' নাটক:

❏ এই নাটকের রচয়িতা দীনবন্ধু মিত্র।

❏ প্রকাশিত হয় ১৮৬৬ খ্রিষ্টাব্দে।

❏ সধবার একাদশী বিখ্যাত সামাজিক নাটক।

❏ উনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে সুরাপান ও বেশ্যাবৃত্তি যুবকদের জীবনে বিপর্যয় সৃষ্টি করেছিল।

❏ এই সামাজিক বিপর্যয় এর কাহিনী নিয়ে নাটকটির রচিত।

❏ নাটকটির উল্লেখযোগ্য চরিত্র: নিমচাঁদ, কেনারাম, সৌদামিনী, গিন্নী, কাঞ্চন ইত্যাদি।

▢দীনবন্ধু মিত্র:

❏ ১৮৩০ খ্রিষ্টাব্দ জন্মগ্রহণ করেন।

❏ তাঁর সাহিত্য জীবনের শুরু কবিতা দিয়ে।

❏ দীনবন্ধু মিত্র কবিতা দিয়ে সাহিত্যজীবনের শুরু করলেও নাট্যকার রুপে সমাধিক খ্যাত।

❏ ইংরেজি শিক্ষিত নব্য যুবকদের মদ্যপান ও বারবণিতা সঙ্গকে ব্যঙ্গ করে তাঁর রচিত প্রহসন সধবার একাদশী।

❏ দীনবন্ধু মিত্র ১লা নভেম্বর ১৮৭৩ মৃত্যবরণ করেন।

▢দীনবন্ধু মিত্রের উল্লেখযোগ্য নাটক:

❏ নীল দর্পন,

❏ নবীন তপস্বিন,

❏ লীলাবত,

❏ কমলে কামিনী।

▢অন্যদিকে,

❏ 'ডাকঘর' রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত নাটক।

❏ 'নূরজাহান' দ্বিজেন্দ্রলাল রায় রচিত নাটক।


৩০৮. বাংলা সাহিত্যে সর্বপ্রথম প্রচুর পরিমাণ আরবি ও ফারসি শব্দের ব্যবহার করেন-

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ভলগা- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖বাংলা সাহিত্যে প্রথম প্রচুর আরবি ও ফারসি শব্দের ব্যবহার করেন মোহিতলাল মজুমদার। তারপরে কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্যে আরবি ফারসি শব্দের ব্যবহার করেন।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 মোহিতলাল মজুমদার:

❏ ১৮৮৮ সালের ২৬ অক্টোবর নদীয়ার কাচঁড়াপাড়া গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।

❏ বঙ্গদর্শন পত্রিকা তৃতীয় পর্যায়ে মোহিতলালের সম্পাদনায়ই প্রকাশিত হয়।

❏ মোহিতলাল মজুমদারের সাহিত্যচর্চার শুরু মানসী পত্রিকার মাধ্যমে।

❏ বাংলা কাব্যে বিদেশী শব্দ, বিশেষ করে আরবি-ফারসি শব্দ প্রয়োগে মোহিতলালের বিশেষ কৃতিত্ব ছিল। 

❏ তিনি ইংরেজি সাহিত্যেও সুপন্ডিত ছিলেন।

▢উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধ ও সমালোচনা গ্রন্থ হলো:

❏ আধুনিক বাংলা সাহিত্য,

❏ কবি শ্রীমধুসূদন,

❏ বিচিত্র কথা,

❏ সাহিত্য কথা।

▢কাব্যগ্রন্থ হলো:

❏ স্বপন পসারী,

❏ স্মরগরল,

❏ বিস্মরনী,

❏ হেমন্ত গোধূলি (গ্রন্থটি বাংলা ১৩৪৮ সালে প্রকাশিত হয়)।


৩০৯. ”গৃহদাহ”উপন্যাসের প্রধান দুটি চরিত্রের নাম কি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ভলগা- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ত্রিভুজ প্রেমের চিত্র সম্বলিত উপন্যাস 'গৃহদাহ'। এই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র গুলো হলো- সুরেশ অচলা ও মহিম। নগেন্দ্রনাথ ও কোন দিনে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বিষবৃক্ষ এবং গোবিন্দলাল ও রোহিনী কৃষ্ণকান্তের উইল উপন্যাসের চরিত্র। মধুসূদন ও কুমুদিনী চরিত্র দুটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের যোগাযোগ উপন্যাসের চরিত্র।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 'গৃহদাহ' উপন্যাস:

❏ 'মহিম ও সুরেশ' শরৎচন্দ্রের গৃহদাহ উপন্যাসের দুইটি প্রধান চরিত্র।

❏ ১৯২০ সালে রচিত এই উপন্যাসটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর একটি শ্রেষ্ঠ উপন্যাস।

❏ এটি মাসিক 'ভারতবর্ষে' প্রকাশিত হয়।

❏ মহিম ও সুরেশ দুই পুরুষের প্রতি অচলার আকর্ষণ - বিকর্ষণ এই উপন্যাসের কেন্দ্রীয় উপকরণ।

❏ বিবাহ - বহির্ভূত কথিত অসামাজিক প্রেমের কাহিনিটি নিপুণ ঘটনা সংস্থানে ও বর্ণনার মনস্তাত্ত্বিক সুক্ষ্মতার দ্বারা সমস্যায়িত হয়ে উঠেছে।

❏ এই উপন্যাসে শরৎচন্দ্র হিন্দু বিধবা মৃণালকে আদর্শ হিসেবে রূপায়িত করেছেন।

▢শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়:

❏ ১৮৭৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর হুগলি জেলার দেবানন্দপুরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।

❏ শরৎচন্দ্রের প্রথম উপন্যাস বড়দিদি (১৯০৭) ভারতী পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

❏ তাঁঁর প্রথম প্রকাশিত গল্পের নাম 'মন্দির'।

❏ তিনি 'মন্দির' গল্পের জন্য ১৯০৩ সালে কুন্তলীন সাহিত্য পুরষ্কার লাভ করেন।

▢তাঁর অন্যান্য উপন্যাস:

❏ দেনা-পাওনা,

❏ বড়দিদি,

❏ বিরাজবৌ,

❏ পন্ডিতমশাই,

❏ পরিণীতা,

❏ চন্দ্রনাথ,

❏ দেবদাস,

❏ চরিত্রহীন,

❏ পথের দাবী,

❏ শেষ প্রশ্ন,

❏ শেষের পরিচয় ইত্যাদি।


৩১০. বাংলা সাহিত্যধারার প্রতিষ্ঠাতা পুরুষ হলেন-

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ভলগা- ০৮.১১.১৩ 📖 25th BCS General Sep, 2004 📖 কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়➟2012➯B ইউনিট

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

বাংলা সাহিত্য ধারার প্রতিষ্ঠিতা পুরুষ হলেন প্যারীচাঁদ মিত্র। তিনি বাংলা সাহিত্যে "আলালের ঘরের দুলাল" নামে প্রথম উপন্যাসটি রচনা করেন । 

ব্যাখ্যাকারী : 

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 প্যারীচাঁদ মিত্র:

❏ ১৮১৪ সালের ২২ জুলাই কলকাতায় তাঁর জন্ম।

❏ তিনি ছিলেন লেখক, সাংবাদিক, সংস্কৃতিসেবী, ব্যবসায়ী।

❏ তাঁর ছন্দনাম “টেকচাঁদ ঠাকুর”।

❏ ১৮২৭ সালে তিনি হিন্দু কলেজে ভর্তি হন এবং খ্যাতিমান শিক্ষক হেনরি ডিরোজিওর তত্ত্বাবধানে থেকে শিক্ষা সম্পন্ন করেন।

❏ বাংলা উপন্যাস রচনার পথিকৃৎ প্যারীচাঁদ মিত্র।

❏ সাহিত্যক্ষেত্রে প্যারীচাঁদের সর্বশ্রেষ্ঠ কৃতিত্ব আলালের ঘরের দুলাল যা বাংলা সাহিত্যের প্রথম উপন্যাস হিসেবে খ্যাত।

❏ রচনারীতি ও ভাষাগত দিক থেকে এ উপন্যাস বাংলা সাহিত্যে নতুন ধারার সূচনা করে।

❏ প্যারীচাঁদ মিত্রকে বাংলা সাহিত্যের প্রথম ঔপন্যাসিক বলা হয়ে থাকে।

❏ তাই তাকে, বাংলা সাহিত্যধারার প্রতিষ্ঠাতা পুরুষ বলা হয়।

▢তাঁর উপন্যাস সমূহ:

▢আলালের ঘরে দুলাল,

❏ আধ্যাত্নিকা,

❏ অভেদী।

▢তাঁর একমাত্র প্রহসন:

❏ মদ খাওয়া বড় দায়-জাত থাকার কি উপায়।


৩১১. বহ্ন্যুৎসব শব্দটির সন্ধি বিচ্ছেদ করলে পাই-

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ভলগা- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖ই-কার কিংবা ঈ-কারের পর ই ও ঈ ভিন্ন অন্য স্বর থাকলে ই বা ঈ স্থানে 'য' ফলা হয়। য-ফলা লেখার সময় পূর্ববর্তী ব্যঞ্জন এর সাথে লেখা হয়। যেমন বহ্নি + উৎসব = বহ্নু্ৎসব, মসী + আধার = মস্যাধার, প্রতি + এক্ = প্রত্যেক।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 ই-কার কিংবা ঈ-কারের পর ই ও ঈ ভিন্ন অন্য স্বর থাকলে ই বাঈ স্থানে 'য' বা য (্য) ফলা হয়। 

❏ য-ফলা লেখার সময় পূর্ববর্তী ব্যঞ্জনের সাথে লেখা হয়। 

▢যেমন:

❏ অতি + অন্ত = অত্যন্ত।

❏ ইতি + আদি = ইত্যাদি।

❏ অতি + উক্তি = অত্যুক্তি।

❏ প্রতি + ঊষ = প্রত্যূষ।

❏ মসী + আধার = মস্যাধার।

❏ প্রতি + এক = প্রত্যেক।

❏ নদী + অম্মু = নদ্যম্পু।

▢- বহ্নি + উৎসব = বহ্ন্যুৎসব।

❏ অতি + ঊর্ধ্ব = অত্যূর্ধ্ব ইত্যাদি।


৩১২. নাবিক শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ হল--

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ভলগা- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖এ, ঐ, ও, ঔ-কারের পর এ, ঐ স্থানে যথাক্রমে অয়, আয় এবং ও, ঔ স্থানে যথাক্রমে অব্ ও আব্ হয়। যেমন- নৌ + ইক = নাবিক, গো + এষণা = গবেষণা।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 'নাবিক' শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ = নৌ + ইক।

▣ এ, ঐ, ও, ঔ-কারের পর এ, ঐ স্থানে অয়, আয় এবং ও, ঔ স্থানে যথাক্রমে অব ও আব হয়।

▢যেমন-

❏ গৈ + অক = গায়ক,

❏ নে + অন = নয়ন,

❏ নৈ + অক = নায়ক,

❏ পো + অন = পবন,

❏ গো + এষণা = গবেষণা,

▢- নৌ + ইক = নাবিক,

❏ পো + ইত্র = পবিত্র,

❏ গো + আদি = গবাদি ইত্যাদি।


৩১৩. সাপের খোলসকে এক কথায় বলা হয়?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ভলগা- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖অজিন বলতে ছাগচর্ম, মৃগচর্ম অথবা বাঘছালকে বোঝায়। আঁইস বলতে মাছের শল্ককে বোঝায়। নির্মোক হচ্ছে সাপের পরিত্যক্ত গাত্র চর্ম।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 'সাপের খোলস' এর এক কথায় প্রকাশ = নির্মোক।

▢অন্যদিকে,

❏ হরিণের চামড়া - অজিন।

▢গুরুত্বপূর্ণ কিছু এককথায় প্রকাশ:

❏ যা পূর্বে ছিল এখন নেই এক কথায় প্রকাশ - ভূতপূর্ব।

❏ যা পূর্বে দেখা যায় নি এমন এক কথায় প্রকাশ - অদৃষ্টপূর্ব।

❏ যা অধ্যয়ন করা হয়েছে এক কথায় প্রকাশ - অধীত।

❏ যা বলা হয় নি এক কথায় প্রকাশ - অনুক্ত।

❏ যা বলার যোগ্য নয় এক কথায় প্রকাশ - অকথ্য।

❏ যা পূর্বে শোনা যায় নি এক কথায় প্রকাশ - অশ্রুতপূর্ব।

❏ যা কখনো নষ্ট হয় না এক কথায় প্রকাশ - অবিনশ্বর।


৩১৪. খেয়াপার করে যে তাকে বলা হয়--

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ভলগা- ০৮.১১.১৩ 📖 পোস্টমাস্টার জেনারেলের রাজশাহী ➺উচ্চমান সহকারী ☞10.9.22

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖মাঝি হচ্ছে নৌচালক, কর্ণধার, নৌকার চালনাকারী। ঘাটাল বলতে এবড়ো থেবড়ো বা অসমতল জায়গাকে বুঝায়। পাটনি হলো খেয়া ঘাটের মাঝি। অপরদিকে কর্ণধার বলতে নৌকার প্রধান মাঝি বা কান্ডারী কে বোঝায়।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 'পাটনি'

❏ দেশি শব্দ।

❏ বিশেষ্য পদ।

▢অর্থ:

▢- খেয়াঘাটের মাঝি।

▣ 'মাঝি'

❏ বাংলা শব্দ।

❏ বিশেষ্য পদ।

▢অর্থ:

❏ নৌকার দাঁড় বাওয়া যার পেশা;

❏ মৎস্যব্যবসায়ী।

▣ 'ঘাটাল'

❏ বাংলা শব্দ।

❏ বিশেষণ পদ।

▢অর্থ: 

❏ বন্ধুর;

❏ অসমতল।

▢বিশেষ দ্রষ্টব্য: অপশন বিবেচনায় সঠিক উত্তর - পাটনি।


৩১৫. ”পলাতক দাসে দাও স্বাধীনতা”- এখানে “দাসে” কোন কারকে কোন বিভক্তি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ভলগা- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖যাকে স্বত্ব ত্যাগ করে দান অর্চনা সাহায্য ইত্যাদি করা হয় তাকে সম্প্রদান কারক বলে। যেমন 'পলাতক দাসে দাও স্বাধীনতা' 'অন্ধজনে দেহ আলো'। এখানে 'দাসে' এবং 'অন্ধজনে' সম্প্রদান কারকে সপ্তমী বিভক্তি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝  ‘পলাতক দাসে দাও স্বাধীনতা’ - এখানে  ‘দাসে’ সম্প্রদানে কারকে সপ্তমী বিভক্তি।

▢সম্প্রদান কারক:

❏ যাকে স্বত্ব ত্যাগ করে কে কোনো কিছু দান বা সাহায্য করা হয়, তাকে বলা হয় সম্প্রদান কারক।

❏ দানের সঙ্গে সম্প্রদানের একটি সম্পর্ক রয়েছে।

❏ তবে কোনো কিছু দিয়ে যদি আবার ফেরত নেয়া হয় তবে তা সম্পদান কারক হয় না।

▢যেমন:

❏ ভিখারীকে ভিক্ষা দাও। (সম্প্রদানে ৪র্থী)।

❏ সৎপাত্রে কন্যা দান কর। (সম্প্রদানে সপ্তমী)।

❏ সমিতিতে চাঁদা দাও। (সম্প্রদানে সপ্তমী)।

❏ অন্ধজনে দেহ আলো। (সম্প্রদানে সপ্তমী)।


৩১৬. কর্তা যা দ্বারা ক্রিয়া সম্পাদন করেন তাকে বলে-

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ভলগা- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖কর্তা য দ্বারা ক্রিয়া সম্পাদন করে তাকে বলা হয় কোন কারক। করণ শব্দটির অর্থ যন্ত্র সহায়ক বা উপায়। যেমন 'নীরা কলম দিয়ে লেখা' এখানে 'কলম' হলো করণ কারক।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 করণ কারক:

❏ যার দ্বারা বা যে উপায়ে কর্তা ক্রিয়া সম্পাদন করে তাকে, করণ কারক বলে। 

❏ এই কারকে সাধারণত দ্বারা, দিয়ে, কর্তৃক ইত্যাদি অনুসর্গ যুক্ত হয়।

❏ ক্রিয়াপদকে 'কীসের দ্বারা', 'কী উপায়ে' দ্বারা প্রশ্ন করলে করণ কারক পাওয়া যায়।

▢অন্যদিকে,

▢কর্মকারক:

❏ যাকে আশ্রয় করে কর্তা ক্রিয়া সম্পাদন করে, তাকে ক্রিয়ার কর্ম বা কর্মকারক বলে।

❏ ক্রিয়ার সঙ্গে 'কী' বা 'কাকে' যোগ করে প্রশ্ন করলে কর্মকারক পাওয়া যায়৷

▢কর্তৃকারক:

❏ বাক্যস্থিত যে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদ ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকে ক্রিয়ার কর্তা বা কর্তৃকারক বলে।

❏ ক্রিয়াকে  ‘কে/ কারা’ দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, সেটিই কর্তৃকারক।

▢অপাদান কারক:

❏ যা থেকে কিছু বিচ্যুত, জাত, বিরত, আরম্ভ, উৎপন্ন, দূরীভূত ও রক্ষিত হয় এবং যা দেখে কেউ ভীত হয়, তাকেই অপাদান কারক বলে।


৩১৭. কোনটি হঠাৎ অর্থে অব্যয়ীভাব সমাস?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ভলগা- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖ঈষৎ রক্তিম = আরক্তিম। এটি হঠাৎ অর্থে অব্যয়ীভাব সমাসের দৃষ্টান্ত। লজ্জায় মুখ রাঙ্গা হয়েছে এমন ভাব কে আরক্তিম শব্দ দ্বারা প্রকাশ করা হয়।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 অব্যয়ীভাব সমাস:

❏ পূর্বপদে অব্যয়যোগে নিষ্পন্ন সমাসে যদি অব্যয়েরই অর্থের প্রাধান্য থাকে, তবে তাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে। 

❏ অব্যয়ীভাব সমাসে কেবল অব্যয়ের অর্থযোগে ব্যাসবাক্যটি রচিত হয়। 

▢যেমন: 

❏ জানু পর্যন্ত লম্বিত (পর্যন্ত শব্দের অব্যয় 'আ') = আজানুলম্বিত (বাহু), 

❏ মরণ পর্যন্ত = আমরণ।

▣ সামীপ্য (নৈকট্য), বিস্সা (পৌনঃপুনিকতা), পর্যন্ত, অভাব, অনতিক্রম্যতা, সাদৃশ্য, যোগ্যতা প্রভৃতি নানা অর্থে অব্যয়ীভাব সমাস হয়।

▢যেমন:

▣ 'অভাব' অর্থে:

❏ নিরামিষ = আমিষের অভাব,

▢- আলুনী = লুনের অভাব,

▣ 'ঈষৎ (আ)' অর্থে:

❏ আনত = ঈষৎ নত,

▢- আরক্তিম = ঈষৎ রক্তিম।

▣ 'পর্যন্ত (আ)' অর্থে:

▢- আজীবন = জীবন পর্যন্ত,

❏ আসমুদ্র = সমুদ্র পর্যন্ত।

▢অন্যদিকে,

❏ 'আগাছা' হচ্ছে নঞ্ তৎপুরুষ সমাস।

▢বিশেষ দ্রষ্টব্য: প্রদত্ত অপশনে সঠিক উত্তর না থাকায় প্রশ্নটি বাতিল করা হলো।


৩১৮. ক্ষুধিত পাষাণ কোন সমাস?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ভলগা- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖ক্ষুধিত পাষাণ = ক্ষুধিত যে পাষাণ। এটি কর্মধারয় সমাস।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 কর্মধারয় সমাস:

❏ বিশেষ্য ও বিশেষণ পদে বা বিশেষ্য ও বিশেষণ ভাবাপন্ন পদে যে সমাস হয় এবং যেখানে পরপদের অর্থ প্রাধান্য পায় তাকে কর্মধারয় সমাস বলে।

▢যেমন,

▢- ক্ষুধিত-পাষাণ = ক্ষুধিত যে পাষাণ।

❏ অক্ষয়কীর্তি = অক্ষয় যে কীর্তি।

❏ অর্ধপথ = অর্ধ যে পথ।

❏ খাসমহল = খাস যে মহল।

❏ নবান্ন = নব যে অন্ন।


৩১৯. ”শীকর” শব্দের অর্থ কি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ভলগা- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'শীকর' শব্দের অর্থ বাতাসে বাহিত জলকণা বা পানির বিন্দু।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 'শীকর'•

❏ সংস্কৃত শব্দ।

❏ বিশেষ্য পদ।

▢অর্থ:

▢- বাতাসে ভাসমান জলকণা।

▢অন্যদিকে,

▣ 'শিশির'

❏ সংস্কৃত শব্দ।

❏ বিশেষ্য পদ।

▢অর্থ:

❏ নীহার; 

❏ হিম;

❏ তুষার।

▣ 'পদ্মফুল'

❏ বিশেষ্য পদ।

▢অর্থ:

❏ জল,

❏ উৎপল।

▣ 'নীহারিকা'

❏ সংস্কৃত শব্দ।

❏ বিশেষ্য পদ।

▢অর্থ:

❏ মহাকাশে দৃশ্যমান মেঘসদৃশ নক্ষত্র পুঞ্জ।


৩২০. ”ইনকিলাব” শব্দের অর্থ কি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ভলগা- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖ইনকিলাব একটি আরবী শব্দ এর অর্থ বিপ্লব, বিদ্রোহ, আন্দোলন। সুতরাং এখানে ক এবং ঘ দুটি সঠিক উত্তর।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে,

▣ ইনকিলাব, (বিশেষ্য)

▢অর্থ -

❏ বিপ্লব;

❏ বিদ্রোহ,

❏ আন্দোলন।

▢আবার,

▢- বিপ্লব: দেশের শাসনব্যবস্থা বা সমাজব্যবস্থায় দ্রুত ও আমূল পরিবর্তন, কোনো সমাজ ব্যবস্থার সার্বিক পরিবর্তন।

▢- আন্দোলন: বিক্ষোভ; আলোড়ন, বিশেষ উদ্দেশ্য সিদ্ধির জন্য প্রচার বা আলোচনা দ্বারা উত্তেজনা সৃষ্টি করা (যেমন - ভাষা আন্দোলন)।

===================

▢ফার্সি ভাষার "ইনকিলাব জিন্দাবাদ” শব্দ দু'টির অর্থ হল, “বিপ্লব দীর্ঘজীবি হোক”।

▢[প্রশ্নটি যেহেতু জব সলুশনের তাই অধিক গ্রহণযোগ্য উত্তর হিসেবে  ‘বিপ্লব’ নেওয়া হয়েছে।]

▢সূত্র: বঙ্গদর্শন পত্রিকা ও বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান।

৩২১. ”চপল” এর বিপরীত শব্দ-

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ভলগা- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'চপল' শব্দটির অর্থ হলো চঞ্চল । আর 'চপল' এর বিপরীত শব্দ হলো গম্ভীর ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 'চপল' এর বিপরীত শব্দ - গম্ভীর।

▢অন্যদিকে,

❏ 'তাতা' শব্দের বিপরীত শব্দ - ঠাণ্ডা।

▢গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিপরীত শব্দ:

❏ 'অনুরক্ত' এর বিপরীত শব্দ - বিরক্ত।

❏ 'নিয়ত' এর বিপরীত শব্দ - বিরত।

❏ 'প্রবিষ্ট' এর বিপরীত শব্দ - প্রস্থিত।

❏ 'দরদি' এর বিপরীত শব্দ - নির্দয়।


৩২২. ”কাকনিদ্রা” শব্দটির অর্থ কি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ভলগা- ০৮.১১.১৩ 📖 জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়➟2016➯G ইউনিট 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - আলফা- ১৮.০৪.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖কাকনিদ্রা বাগধারাটির অর্থ অগভীর সতর্ক নিদ্রা।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 'কাকনিদ্রা'

❏ সংস্কৃত শব্দ।

❏ বিশেষ্য পদ।

▢অর্থ:

▢- কাকের ঘুমের মতো সতর্ক ও অগভীর ঘুম,

❏ কপট ঘুম।


৩২৩. ”নিরানব্বইয়ের ধাক্কা” বাগধারাটির অর্থ--

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ভলগা- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖‘নিরানব্বইয়ের ধাক্কা’ বাগধারাটি অর্থ টাকা জমানোর লোভ, অর্থাৎ সঞ্চয়ের প্রবৃত্তি । [সূত্র : বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধান । ]

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝  ‘নিরানব্বইয়ের ধাক্কা’ বাগধারাটির অর্থ - সঞ্চয়ের প্রবৃত্তি।

▢তাছাড়া,

❏ 'শিরে সংক্রান্তি' বাগধারাটির অর্থ- আসন্ন বিপদ।

❏ যখন তখন অবস্থা=মুমূর্ষু অবস্থা।


৩২৪. বাংলা বানান রীতি অনুযায়ী কোন দুটি বানানই শুদ্ধ?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ভলগা- ০৮.১১.১৩ 📖 13th BCS General Apr, 1992 📖 ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়➟2013➯B ইউনিট

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖হাতি, হাতী - [বিশেষ্য পদ] হস্তী, বারণ, কুঞ্জর, (ব্যঙ্গে) অতিশয় স্থূলকায় ব্যক্তি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 বাংলা একাডেমি বানান অভিধান অনুসারে,

❏ নারি, নারী, নাড়ি - বানানগুলো শুদ্ধ।

▢অন্যদিকে,

❏ হাতি, জাতি ও দাদি - বানানগুলো শুদ্ধ হলেও হাতী, জাতী ও দাদী বানানগুলো অশুদ্ধ।

৩২৫. কোন বানানটি শুদ্ধ?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ভলগা- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖শুদ্ধ বানান টি হল 'সংশপ্তক'। এটি একটি তৎসম শব্দ এর অর্থ নির্ভীক জয়লাভে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা। যে সৈন্যরা মৃত্যুপণ লড়াই করে পালিয়ে আসে না।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 শুদ্ধ বানান 'সংশপ্তক' 

❏ বিশেষ্য পদ।

❏ সংস্কৃত শব্দ

❏ প্রকৃতি প্রত্যয় = সংসপ্ত+ক।

▢অর্থ:

❏ যুদ্ধে জয়লাভ বা মৃত্যু এমন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ সৈনিক।

❏ মহাভারতোক্ত শ্রীকৃষ্ণের নারায়ণী সেনা।

❏ নির্ভীক।


৩২৬. শওকত ওসমানের রচনা কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ভলগা- ০৮.১১.১৩ 📖 তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ টেলিভিশনের অডিয়েন্স রিসার্স অফিসার-৬.০৬

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖শওকত ওসমানের প্রথম উপন্যাস 'জননী'। শওকত ওসমানের উল্লেখযোগ্য উপন্যাস হলো: ক্রীতদাসের হাসি, বনী-আদম, চৌরসন্ধি, দুই দৈনিক, জাহান্নাম হইতে বিদায়, নেকড়ে অরণ্য।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 'জননী' শওকত ওসমান রচিত উপন্যাস।

▢শওকত ওসমান:

❏ তিনি কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক।

❏ ১৯১৭ সালের ২ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার সবলসিংহপুর গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।

❏ তাঁর প্রকৃত নাম শেখ আজিজুর রহমান;  ‘শওকত ওসমান’ তাঁর সাহিত্যিক নাম।

❏ উপন্যাস ও গল্প রচয়িতা হিসেবেই শওকত ওসমানের মুখ্য পরিচয়; তবে প্রবন্ধ, নাটক, রম্যরচনা, স্মৃতিকথা ও শিশুতোষ গ্রন্থও তিনি রচনা করেছেন।

❏ তাঁর সাহিত্য কর্ম:

▢উপন্যাস:

▢- জননী,

❏ ক্রীতদাসের হাসি,

❏ সমাগম,

❏ চৌরসন্ধি,

❏ জাহান্নাম হইতে বিদায়,

❏ দুই সৈনিক,

❏ নেকড়ে অরণ্য ইত্যাদি।

▢গল্পগ্রন্থ: 

❏ জুনু আপা ও অন্যান্য গল্প,

❏ মনিব ও তাহার কুকুর,

❏ ঈশ্বরের প্রতিদ্বন্দ্বী।

▢অন্যদিকে,

❏ 'উত্তম পুরুষ' উপন্যাসটি রচনা করেন - রশীদ করিম।

❏ আবদুল গাফফার চৌধুরীর রচিত উপন্যাস- শেষ রজনীর চাঁদ।

❏ আবুল ফজল রচিত উপন্যাস- চৌচির।


৩২৭. কোনটি শওকত ওসমান রচিত?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মিসিসিপি- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖শওকত ওসমান রচিত উপন্যাস ক্রীতদাসের হাসি।

ক্রীতদাসের হাসি শওকত ওসমানের একটি প্রতীকাশ্রয়ী উপন্যাস। তার অন্যান্য উপন্যাস গুলো হল- জননী, বনী-আদম, চৌরসন্ধি, রাজা উপাখ্যান। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস- জাহান্নাম হইতে বিদায়, নেকড়ে অরণ্য, দুই সৈনিক।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝'ক্রীতদাসের হাসি' উপন্যাসটি রচনা করেন শওকত ওসমান।


'ক্রীতদাসের হাসি'

❐ শওকত ওসমানের 'ক্রীতদাসের হাসি' (১৯৬২) উপন্যাসটিতে প্রতীকাশ্রয়ে তৎকালীন পাকিস্তানিদের বিরূপ শাসনের সমালোচনা করা হয়েছে।

❐ বাগদাদের বাদশা হারুন অর রশিদ অত্যাচারী। সে ক্রীতদাস তাতারি ও বাঁদি মেহেরজানের প্রণয়ে বাধা সৃষ্টি এবং তাতারিকে গৃহবন্দি ও অত্যাচার করে । 

❐ তাতারি আমৃত্যু বাদশা হারুনের নির্যাতনের প্রতিবাদ করে যায়।

❐ এখানে তাতারি বাঙালি জনতার এবং বাদশা হারুন আইয়ুব খানের প্রতীক।

❐ তাতারির হাসি উপন্যাসে বাঙালির স্বাধীনতার প্রতীক হয়ে উঠেছে। এটি শওকত ওসমানের সর্বশ্রেষ্ঠ উপন্যাস বলে স্বীকৃত।


শওকত ওসমান

❐ তিনি ১৯১৭ সালের ২ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার সবলসিংহপুর গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।

❐ তাঁর প্রকৃত নাম শেখ আজিজুর রহমান; ‘শওকত ওসমান’ তাঁর সাহিত্যিক নাম।

তাঁর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি রচনা হলো:

❐ জননী 

❐ ক্রীতদাসের হাসি 

❐ সমাগম

❐ চৌরসন্ধি

❐ রাজা উপাখ্যান

❐ জাহান্নাম হইতে বিদায়

❐ দুই সৈনিক 

❐ নেকড়ে অরণ্য 

❐ পতঙ্গ পিঞ্জর

❐ আর্তনাদ 

❐ রাজপুরুষ 

❐ গল্পগ্রন্থ

৩২৮. বাংলা ভাষার প্রথম কবিতা সংকলন-

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মিসিসিপি- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖বাংলা ভাষার প্রথম কবিতা সংকলন- চর্যাপদ।

বাংলা ভাষার প্রথম কবিতা সংকলন চর্যাপদ। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজ দরবারের গ্রন্থাগার হতে ১৯০৭ সালে 'চর্যাচর্যবিনিশ্চয়' নামক পুঁথি টি আবিষ্কার করেন। ১৯১৬ সালে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে চর্যাপদ আধুনিক লিপিতে প্রকাশিত হয়।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝বাংলা ভাষায় কবিতা সংকলন হিসেবে 'চর্যাপদ' কে বিবেচনা করা হয়।


চর্যাপদ

❐ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্∘র মতে, ৬৫০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এবং সুনীতিকুমার চট্টোপাধায়ের মতে ৯৫০-১২০০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে পদগুলো রচিত।

❐ কারো মতে গ্রন্থটির নাম, 'আশ্চর্য চর্যাচয়'

❐ সুকুমার সেনের মতে, গ্রন্থটির নাম 'চর্যাশ্চর্যবিনিশ্চয়'।

❐ আধুনিক পণ্ডিতদের মতে এর নাম, চর্যাগীতিকোষ'।

❐ গ্রন্থটি নেপালের রাজ দরবার থেকে ১৯০৭ সালে আবিষ্কার করা হয় এবং বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে ১৯১৬ সালে প্রকাশিত হয়।

৩২৯. ব্যাকরণের কোন অংশে কারক সম্বন্ধে আলোচনা করা হয়?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মিসিসিপি- ০৮.১১.১৩ 📖 ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়➟2007➯B ইউনিট 📖 খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়➟2016➯B ইউনিট

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝'কারক' ব্যাকরণের বাক্যতত্ত্বে আলোচিত হয়ে থাকে।


বাক্যতত্ত্ব:

❐ বাক্যতত্ত্বে বাক্য নিয়ে আলোচনা করা হয়। বাক্যের নির্মাণ ও গঠন বাক্যতত্ত্বের মূল আলোচ্য।

❐ বাক্যের মধ্যে পদ ও বর্গ কিভাবে বিন্যস্ত থাকে বাক্যতত্ত্বে তা বর্ণনা করা হয়।

❐ এছাড়া বাক্যের রূপান্তর, বাক্যের বাচ্য, উক্তি ইত্যাদি এই অংশের আলোচ্য বিষয়।

❐ কারক বিশ্লেষণ, বাক্যের যোগ্যতা, বাক্যের উপাদান লোপ, যতিচিহ্ন ইত্যাদি বাক্যতত্ত্ব অংশে আলোচিত হয়।

৩৩০. কোনটি শুদ্ধ বানান?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মিসিসিপি- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖শুদ্ধ বানান টি হল- 'মুহুর্মুহু'।

মুহুর্মুহু শব্দটির অর্থ- বারে বারে, পুনঃপুনঃ, ঘনঘন ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝সঠিক বানান = মুহুর্মুহু

▣ মুহুর্মুহু (অব্যয়, ক্রিয়াবিশেষণ)

❐ সংস্কৃত শব্দ

❐ প্রকৃতি প্রত্যয় = মুহুঃ+মুহুঃ

অর্থ - বারবার, ঘনঘন

৩৩১. ব্যাঙের সর্দি বলতে কি বোঝায়?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মিসিসিপি- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖ব্যাঙের সর্দি বলতে বোঝায় অসম্ভব ঘটনা।

ব্যাঙ শব্দের অর্থ ভেক বা মন্ডুক। ব্যাঙ উভচর (জলে ও স্থলে বিচরণ কারী) প্রাণী, সেই কারণেই ব্যাঙের সর্দি দ্বারা বোঝানো হয়েছে অসম্ভব ব্যাপার।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝'ব্যাঙের সর্দি' বাগধারাটি দ্বারা বুঝায় অসম্ভব ঘটনা।

❐ এছাড়াও আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাগধারা হলো:


▣ ‘বড়ো মুখ’ বাগধারাটির অর্থ = বড়ো আশা করা।

❐ বাক্য: বড়ো মুখ করে তোমাকে চাকরিটা দিয়েছি, আমার সম্মান যেন থাকে সেটা খেয়াল রেখ।

▣ ‘বসন্তের কোকিল’ বাগধারাটির অর্থ = সুসময়ের বন্ধু। 

❐ বাক্য: তুমি ভাই বসন্তের কোকিল, তোমায় দিয়ে আমার কাজ হবে না।

▣ ‘বাঁ হাতের ব্যাপার’ বাগধারাটির অর্থ = ঘুষগ্রহণ।

❐ বাক্য: বাঁ হাতের ব্যাপারে এদেশের বেশিরভাগ কর্মকর্তারাই সিদ্ধহস্ত।

▣ ‘বাঘের দুধ’ বাগধারাটির অর্থ = দুষ্প্রাপ্য বস্তু।

❐ বাক্য: টাকা থাকলে বাঘের দুধেরও অভাব হয় না।

▣ ‘বালির বাঁধ’ বাগধারাটির অর্থ = ক্ষণস্থায়ী।

❐ বাক্য: করিম ও রহিমের বন্ধুত্ব যেন বালির বাঁধ, একটু আঘাতেই ভেঙে গেল ।

৩৩২. দস্ত-ব-দস্ত কথার অর্থ কি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মিসিসিপি- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖দস্ত-বস্ত কথার অর্থ হাতে-হাতে।

দস্ত বস্ত শব্দটি ফারসি দসত বসতহ শব্দ থেকে এসেছে। [তথ্যসূত্র: বাংলা একাডেমি, বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান। ]

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖দস্তখত হলো বিশেষ্য, যার অর্থ হাতের স্বাক্ষর।

দস্ত শব্দটি হাতের সাথে সংশ্লিষ্ট। 

এখানে দস্ত-ব-দস্ত কথার অর্থ হাতে-হাতে।

৩৩৩. ”কূপমন্ডুক” বাগধারাটির দ্বারা কি বোঝায়?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মিসিসিপি- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”কূপমন্ডুক” বাগধারাটির দ্বারা বোঝায়- সীমিত জ্ঞানের মানুষ।

'কূপমন্ডুক' বাগধারাটির অর্থ কুয়োর ব্যাঙ বা সীমিত জ্ঞানের মানুষ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝কূপমণ্ডূক বাগধারাটির অর্থ হলো 'সীমিত জ্ঞানের মানুষ' বা 'সীমাবদ্ধ জ্ঞান'।

❐ এছাড়াও আরও কিছু বাগধারা হলো:

▣ `কথার তুবড়ি' বাগধারাটির অর্থ = ফাঁকা বুলি।

❐ বাক্য: কথার তুবড়ি তো বেশ, কাজে কতখানি তা-ই দেখবার বিষয়।

▣ ‘কলুর বলদ’ বাগধারাটির অর্থ = পরিশ্রমী কিন্তু ফলভোগী নয়।

❐ বাক্য: সংসারের আবর্তে পড়ে কেবল কলুর বলদের মতো খেটেই গেলাম, বিনি পেলাম না।

▣ ‘কপাল ফেরা’ বাগধারাটির অর্থ = সৌভাগ্য লাভ)।

❐ বাক্য: লটারির টাকা পেয়ে অভাবী করিমের কপাল ফিরেছে।

▣ ‘কড়ায় গণ্ডায় ’বাগধারাটির অর্থ = পুরোপুরি।

❐ বাক্য: আমার পাওনা আমি কড়ায় গণ্ডায় বুঝে নেব।

৩৩৪. নিচের কোনটি সমার্থক শব্দ নয়?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মিসিসিপি- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖ঢেউ শব্দটি সমার্থক শব্দ নয়।

পুকুর, জলাশয় এবং দিঘি শব্দ তিনটি সমার্থক। ঢেউ এর সমার্থক শব্দ- উর্মি, তরঙ্গ, লহরী, বীচি, হিল্লোল।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝অপশনে প্রদত্ত শব্দগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র ঢেউ শব্দটি আলাদা অর্থ ধারণ করে।

❐ তাই এখানে সঠিক উত্তর হবে 'ঢেউ'।

❐ এছাড়াও আরও কিছু সমার্থক শব্দ হলো-

❐ তরঙ্গ

❐ কল্লোল

❐ ঊর্মি

❐ বীচি

❐ হিল্লোল

❐ লহরী

৩৩৫. সংশয় -এর বিপরীত শব্দ-

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মিসিসিপি- ০৮.১১.১৩ 📖 সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক .১১ 📖 বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সহকারী এনফোর্সমেন্ট কো-অর্ডিনেটর - 31.03.17

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖সংশয় -এর বিপরীত শব্দ- প্রত্যয়।

সংশয় শব্দটির অর্থ সন্দেহ, দ্বিধা, অনিশ্চয়তা বোধ। তাই সংশয় শব্দটির বিপরীতার্থক শব্দ হলো প্রত্যয়।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝সংশয় এর বিপরীত শব্দ হবে 'প্রত্যয়'।

❐ এছাড়া বিপরীত শব্দ হিসেবে নিশ্চয়/নিঃসংশয় শব্দগুলো ব্যবহৃত হতে পারে।


সংশয় শব্দের অর্থ-

❐ সন্দেহ; দ্বিধা; দ্বৈধবোধ (সংশয় চিত্তের দুর্বলতা প্রকাশক)।

❐ ভবিষ্যতের ব্যাপারে ভয় (জীবন সংশয়)।

❐ এর স্ত্রীলিঙ্গ হবে সংশয়িতা।

৩৩৬. পথ শব্দের সমার্থ শব্দ কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মিসিসিপি- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖পথ শব্দের সমার্থক শব্দ: রাস্তা, মার্গ, সরণি, সড়ক, রাহা, নিগম, বাট, অয়ন ইত্যাদি।

তাই সঠিক উত্তর : সরণি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝প্রশ্নে উল্লেখিত 'পথ' এর সমার্থক শব্দ হলো সরণি।

এছাড়াও আরও কিছু সমার্থক শব্দ হলো:

❐ রাস্তা

❐ মার্গ

❐ সড়ক

❐ রাহা

❐ নিগম

❐ বাট

❐ অয়ন।

৩৩৭. ”বেসাতি” শব্দের প্রকৃত অর্থ কি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মিসিসিপি- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”বেসাতি” শব্দের প্রকৃত অর্থ কেনাবেচা।

বেসাতি শব্দের আরো কিছু অর্থ হলো : কেনাবেচা, দোকানদারি, দোকানদার, পসারি, বেনে, ফেরিওয়ালা ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝'বেসাতি' শব্দের অর্থ হলো: কেনাবেচা।

❐ এছাড়াও➞

বেসাতি, বেসাতী (বিশেষ্য)

❐ এটি হলো বিশেষ্য পদ।

❐ এটি আরবি শব্দ বসাত থেকে বাংলা ভাষায় এসেছে।

বাংলা অর্থ:

১ ব্যবসায়ে; কেনাবেচা; দোকানদারি (মিছার বেসাতি করি ভবের নদিতে ফিরিছে কতই ভাগ্যবানের তরী-জসীমউদ্∘দীন)।

২ দোকানদার; পসারি; বেনে; ফেরিওয়ালা।

৩ খরিদ; ক্রয়।

৪ বিক্রয়।

৫ পণ্য।

৩৩৮. ”কলুর বলদ” কোন সমাস?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মিসিসিপি- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”কলুর বলদ” অলুক তৎপুরুষ সমাস।

যে তৎপুরুষ সমাসের পূর্ব পদের বিভক্তি লোপ পায় না, তাই অলুক তৎপুরুষ সমাস। যেমন কুলুর বলদ = কলুর বলদ, ঘোড়ার ডিম = ঘোড়ার ডিম, সোনার বাংলা = সোনার বাংলা ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝প্রশ্নে উল্লেখিত ‘কলুর বলদ’ হলো অলুক তৎপুরুষ সমাস এর অন্তর্গত।

❐ এর বাসবাক্য হবে- কুলুর বলদ = কলুর বলদ।

অলুক তৎপুরুষ সমাস

যে তৎপুরুষ সমাসে পূর্বপদের দ্বিতীয়াদি বিভক্তি লোপ হয় না, তাকে অলুক তৎপুরুষ সমাস বলে।

যেমন-

▣ গায়ে পড়া=গায়েপড়া

▣ ঘিয়ে ভাজা= ঘিয়ে ভাজা

▣ কলের গান= কলের গান

▣ গরুর গাড়ি= গরুর গাড়ি

৩৩৯. ”সোনামুখী” কোন সমাস?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মিসিসিপি- ০৮.১১.১৩ 📖 ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়➟2016➯B ইউনিট 📖 ১২তম বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন পরীক্ষা-(স্কুল/সমপর্যায়-২)-১২.০৬.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”সোনামুখী” উপমিত কর্মধারয় সমাস।

সাধারণ গুণের উল্লেখ না করে উপমেয় পদের সাথে উপমান পদের যে সমাস হয়, তাকে উপমিত কর্মধারয় সমাস বলে। এক্ষেত্রে সাধারণ গুণটি ব্যাসবাক্য বা সমস্তপদে থাকে না, বরং অনুমান করে নেওয়া হয়। এ সমাসে উপমেয় পদটি পূর্বে বসে। যেমন: মুখ চন্দ্রের ন্যায়= চন্দ্রমুখ, পুরুষ সিংহের ন্যায়= সিংহপুরুষ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝উল্লেখিত ‘সোনামুখী’ হলো উপমিত কর্মধারয় সমাসের অন্তর্গত।

❐ এর বাসবাক্য হলো 'সোনার মত মুখ যার'।

❐ উপমিত কর্মধারয় সমাস:

 উপমান ও উপমেয় পদের মধ্যে যে কর্মধারয় সমাস হয় তাকে উপমিত কর্মধারয় সমাস বলে। অন্যভাবে বলা যায়, সাধারণ গুণের উল্লেখ না করে উপমান ও উপমেয় পদের মধ্যে যে সমাস হয় তাকে উপমিত কর্মধারয় সমাস বলা হয়।

যেমন⇢ 

চাঁদের মতো মুখ = চাঁদমুখ

কর কমলের ন্যায় = করকমল


তেমনই⇢ 

রক্তকমল, ফুলবাবু, মুখচন্দ্র, চরণতল, চন্দ্রমুখ, পদ্মচক্ষু, হাঁড়িমুখ, চাঁদবদন প্রভৃতি।

❐ উপমিত কর্মধারয় সমাসের বৈশিষ্ট্য :

❖ ১. এ সমাসের ব্যাসবাক্যের দুটি পদই বিশেষ্য হয়।

❖ ২. সাধারণ গুণের উল্লেখ না করে উপমান ও উপমেয় পদের মধ্যে সমাস হয়।

❖ ৩. উপমেয় পদটি সাধারণত পূর্বে বসে।

❖ ৪. এ সমাসে সাধারণ ধর্মবাচক পদের উল্লেখ থাকে না।

৩৪০. ”কান্নায় শোক কমে” বাক্যে “কান্নায়” কোন কারক?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মিসিসিপি- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”কান্নায় শোক কমে” বাক্যে “কান্নায়” অধিকরণ কারক।

ক্রিয়া সম্পাদনের কাল (সময়) এবং আধারকে অধিকরণ কারক বলে। অধিকরণ কারকে সপ্তমী অর্থাৎ 'এ' 'য়' 'তে' ইত্যাদি বিভক্তি যুক্ত হয়। যেমন-

আধার (স্থান): আমরা রোজ স্কুলে যাই। এ বাড়িতে কেউ নেই।

কাল (সময়): প্রভাতে সূর্য ওঠে। বসন্তে কোকিল ডাকে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝উল্লেখিত ‘কান্নায় শোক কমে” বাক্যে বাক্যে ‘কান্নায়’ হলো অধিকরণ কারক।

❐ - এটি হলো অধিকারণ কারকের মধ্যে ভাবাধিকরণ কারকের অন্তর্গত।


ভাবাধিকরণ অধিকরণ কারক

যদি কোন ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য অন্য ক্রিয়ার কোনরূপ ভাবের অভিব্যক্তি প্রকাশ করে, তবে তাকে ভাবাধিরকরণ বলে। ভাবাধিকরণে সর্বদাই সপ্তমী বিভক্তির প্রয়োগ হয় বলে একে ভাবে সপ্তমী বলা হয়।

যেমন⇢

সূর্যোদয়ে অন্ধকার দূরীভূত হয়।

৩৪১. ”দর্শনীয়” শব্দের সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মিসিসিপি- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”দর্শনীয়” শব্দের সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ হচ্ছে দৃশ + অনীয়।

স্বরধ্বনির সাথে স্বরধ্বনির যে সন্ধি হয় তাকে স্বরসন্ধি বলে। যেমন : দর্শনীয় = দৃশ + অনীয়, সিংহাসন = সিংহ + আসন, বিদ্যালয় = বিদ্যা + আলয়, হিমালয় = হিম + আলয়, ইত্যাদি। দেখা যাচ্ছে 'অ' এবং 'আ' মিলে স্বরসন্ধিতে 'আ' হয়।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝‘দর্শনীয়’ শব্দের সঠিক সন্ধি-বিচ্ছেদ হলো দৃশ+অনীয়

দর্শনীয় (বিশেষণ)

❐ এটি সংস্কৃত শব্দ

❐ শব্দটির প্রকৃতি প্রত্যয় = √দৃশ্ + অনীয়

অর্থ:

❐ দেখার যোগ্য, দেখা উচিত এমন।

❐ সুন্দর।

৩৪২. কোন বাংলা পদের সাথে সন্ধি হয় না?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মিসিসিপি- ০৮.১১.১৩ 📖 36th BCS General Jan, 2016 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2003➯ক ইউনিট

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖ক্রিয়া পদের সাথে সন্ধি হয় না।

যে পদের দ্বারা কাজ করা বোঝায়, তাকে ক্রিয়া বলে। অথবা ধাতুর উত্তর বিভক্তি যোগে ধাতু ক্রিয়াপদে পরিনিত হয়। আর এই ক্রিয়া পদের সাথে সন্ধি হয় না।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝বাংলা 'ক্রিয়াপদ' এর সাথে সন্ধি হয় না।

এছাড়াও-

▣ খাঁটি বাংলা শব্দের সাথে বিসর্গ সন্ধি করা যায় না।

▣ খাটি বাংলা শব্দের সাথে তৎসম শব্দের সন্ধি করা যায় না।

▣ এতে গুরুচণ্ডালী দোষ হয়।

❐ 'সন্ধি'

সন্ধির কতিপয় উদ্দেশ্য :

❐ সন্ধি মাধ্যমে ধ্বনির মিলন হয়।

❐ নতুন শব্দ তৈরি করা হয়।

❐ উচ্চারণে সহজতা আসে।

৩৪৩. ”নীল লোহিত” কার ছদ্মনাম?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মিসিসিপি- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”নীল লোহিত” সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ছদ্মনাম।

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় (৭ সেপ্টেম্বর ১৯৩৪ - ২৩ অক্টোবর ২০১২) বিশ শতকের শেষভাগে সক্রিয় একজন প্রথিতযশা বাঙালি সাহিত্যিক। বাংলাভাষী এই ভারতীয় সাহিত্যিক একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, ছোটোগল্পকার, সম্পাদক, সাংবাদিক ও কলামিস্ট হিসাবে অজস্র স্মরণীয় রচনা উপহার দিয়েছেন। তিনি আধুনিক বাংলা কবিতার জীবনানন্দ-পরবর্তী পর্যায়ের অন্যতম প্রধান কবি। একই সঙ্গে তিনি আধুনিক ও রোমান্টিক। তার কবিতার বহু পঙ্‌ক্তি সাধারণ মানুষের মুখস্থ। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় "নীললোহিত", "সনাতন পাঠক", "নীল উপাধ্যায়" ইত্যাদি ছদ্মনাম ব্যবহার করেছেন।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝‘নীল লোহিত’ হলো লেখক 'সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়' এর ছদ্মনাম


এছাড়াও তিনি পরিচিত ছিলেন-

❐ নীল উপাধ্যায়

❐ সনাতন পাঠক

▣ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় রচিত উপন্যাস:

❐ পূর্ব-পশ্চিম

❐ আত্মপ্রকাশ

❐ সেই সময়

❐ প্রথম আলো

❐ অরণ্যের দিনরাত্রি

❐ একা এবং কয়েকজন

৩৪৪. ”ময়নামতি চর” কাব্যটির রচয়িতা কে?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মিসিসিপি- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”ময়নামতি চর” কাব্যটির রচয়িতা বন্দে আলী মিয়া।

বন্দে আলী মিয়া (১৫ ডিসেম্বর ১৯০৬ - ১৭ জুন ১৯৭৯) ছিলেন একজন স্বনামধন্য বাংলাদেশি কবি, ঔপন্যাসিক, শিশু-সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও চিত্রকর।

কাব্যগ্রন্থ সম্পাদনা: ময়নামতির চর (১৯৩২), অনুরাগ (১৯৩২), অনুরাগ (১৯৩২), পদ্মানদীর চর (১৯৫৩), মধুমতীর চর (১৯৫৩), ধরিত্রী (১৯৭৫)।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝”ময়নামতির চর” কাব্যটি রচনা করেন বন্দে আলি মিয়া।

▣ বন্দে আলী মিয়া:

❐ তিনি ছিলেন সাহিত্যিক, সাংবাদিক, চিত্রকর।

❐ ১৯০৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর পাবনা জেলার রাধানগর গ্রামে তাঁর জন্ম।

❐ বন্দে আলী মিয়া শিক্ষকতা ও সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি পত্রপত্রিকায় চিত্রকর ও ব্লক কোম্পানির ডিজাইনার হিসেবেও কাজ করেন।

❐ শিশুসাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমী পুরস্কার, প্রেসিডেন্ট পুরস্কার এবং উত্তরা সাহিত্য মজলিস পদক লাভ করেন।

▣ তাঁর রচিত কাব্য:

❐ ময়নামতির চর,

❐ অনুরাগ ইত্যাদি।

❐ পদ্মানদীর চর,

❐ মধুমতীর চর,

❐ ধরিত্রী ইত্যাদি।

▣ তাঁর রচিত শিশুসাহিত্য:

❐ চোর জামাই,

❐ মেঘকুমারী,

❐ বাঘের ঘরে ঘোগের বাসা,

❐ সোনার হরিণ,

❐ শিয়াল পন্ডিতের পাঠশালা,

❐ কুঁচবরণ কন্যা,

❐ সাত রাজ্যের গল্প।

৩৪৫. ”পদ্মা নদীর মাঝি” কি ধরনের রচনা?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মিসিসিপি- ০৮.১১.১৩ 📖 মৎস্য অধিদপ্তর .১৮ ~ হিসাবরক্ষক 📖 স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ~ অফিস সহকারী কাম- কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক ~ ১১.০১.১৯

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”পদ্মা নদীর মাঝি” মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি উপন্যাস যা ১৯৩৬ সালে প্রকাশিত হয়।

তার অন্যান্য উপন্যাস গুলো হলো:

জননী (১৯৩৫), দিবারাত্রির কাব্য (১৯৩৫), পদ্মানদীর মাঝি(১৯৩৬), পুতুলনাচের ইতিকথা (১৯৩৬), জীবনের জটিলতা (১৯৩৬), অমৃতস্য পুত্রাঃ (১৯৩৮), শহরতলি (প্রথম খণ্ড) (১৯৪০), শহরতলি (দ্বিতীয় খণ্ড) (১৯৪১), অহিংসা (১৯৪১), ধরাবাঁধা জীবন (১৯৪১), চতুষ্কোণ (১৯৪২), প্রতিবিম্ব (১৯৪৩), দর্পণ (১৯৪৫)

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝'পদ্মা নদীর মাঝি' হলো একটি উপন্যাস।

❐ এটি রচনা করেন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়।

❐ 'পদ্মা নদীর মাঝি' উপন্যাসটি ১৯৩৪ সাল থেকে ‘পূর্বাশা’ পত্রিকায় ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হতে থাকে।

❐ এটি গ্রন্থাকারে প্রকাশ ১৯৩৬ সালে।

❐ কুবের ‘পদ্মা নদীর মাঝি' উপন্যাসের প্রধান চরিত্র। 


উল্লেখযোগ্য চরিত্র:

- কপিলা

❐ মালা,

❐ হোসেন মিয়া,

❐ ধনঞ্জয়,

❐ শীতলবাবু।

৩৪৬. ”ওয়ারিশ” উপন্যাসটির লেখক হচ্ছেন--

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মিসিসিপি- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”ওয়ারিশ” উপন্যাসটির লেখক হচ্ছেন-- শওকত আলী।

তার অন্যান্য উপন্যাস গুলো হল: পিঙ্গল আকাশ (১৯৬৩), যাত্রা (১৯৭৬), প্রদোষে প্রাকৃতজন (১৯৮৪), অপেক্ষা (১৯৮৪), দক্ষিণায়নের দিন (১৯৮৫), কুলায় কালস্রোত (১৯৮৬), পূর্বরাত্রি পূর্বদিন (১৯৮৬), সম্বল (১৯৮৬), গন্তব্যে অতঃপর (১৯৮৭), ভালোবাসা কারে কয় (১৯৮৮), যেতে চাই (১৯৮৮), ওয়ারিশ (১৯৮৯), বাসর ও মধুচন্দ্রিমা (১৯৯০), উত্তরের খেপ (১৯৯১), প্রেম কাহিনী (১৯৯১)।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝‘ওয়ারিশ’ উপন্যাসটির লেখক হচ্ছেন- শওকত আলী

শওকত আলী

❐ বাংলা কথাসাহিত্যে শওকত আলীই বোধহয় একমাত্র শক্তিমান সাহিত্যিক যিনি কথাসাহিত্যে একরকমের নীরব বিপ্লব ঘটিয়েও অনেকাংশেই অনালোচিত ছিলেন।

❐ তিনি ১৯৩৬ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর দিনাজপুর জেলার থানা শহর রায়গঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন।

❐ শওকত আলীর রচিত উপন্যাস-

❐ ওয়ারিশ

❐ প্রদোষে প্রাকৃতজন

❐ দক্ষিণায়নের দিন

❐ পিঙ্গল আকাশ

❐ কুলায় কালস্রোত

❐ পূর্বরাত্রি পূর্বদিন

❐ যেতে চাই, 

❐ বাসর মধুচন্দ্রিমা

❐ উত্তরের ক্ষেপ,

❐ যাত্রা

❐ দলিল

৩৪৭. ”যা সহজে অতিক্রম করা যায় না” - এ বাক্যাংশের সংক্ষিপ্ত রূপ কী?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মুক্তিযোদ্ধা কোটা- .১৬

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

 অনতিক্রম্য : যা অতিক্রম করা যায় না; অলঙ্ঘ্য : যা লঙ্ঘন করা যায় না ; দূরতিক্রম্য : যা সহজে অতিক্রম করা যায় না; দুর্গম : যেখানে সহজে গমন করা যায় না।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖যা সহজে অতিক্রম করা যায় না = দুরতিক্রম্য,

যা অতিক্রম করা যায় না = অনতিক্রম্য,

যা সহজে লঙ্ঘন করা যায় না = অলঙ্ঘ্য,

যেখানে গমন করা কষ্টকর = দুর্গম।

৩৪৮. কোনটি আদি স্বরাগম?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মুক্তিযোদ্ধা কোটা- .১৬

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖উচ্চারণের সুবিধার জন্য শব্দের আদিতে স্বরধ্বনির আগমন ঘটে। যেমন স্ত্রী  ইস্ত্রী।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖উচ্চারণের সুবিধার জন্য শব্দের আদিতে স্বরধ্বনি এলে তাকে আদি স্বরাগম বলে।

যেমন- স্কুল  ইস্কুল, স্টেশন ˃ ইস্টিশন, স্পর্ধা ˃ আস্পর্ধা।

স্ত্রী ˃ ইস্ত্রী ও আদি স্বরাগমের উদাহরণ।

৩৪৯. বাক্য সংকোচন : হাতির বাসস্থান

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মুক্তিযোদ্ধা কোটা- .১৬

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖হাতির সমার্থক শব্দ হস্তি, গজ ইত্যাদি। 'গজ''গৃহ' সংস্কৃত শব্দের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে গজগৃহ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖গজ শব্দের অর্থ হাতি।

হাতির বাসস্থান - গজগৃহ

হাতি রাখার স্থান; হাতির আস্তাবল - পিলখানা।

৩৫০. কোন দুটি রচনা একই শ্রেণির?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মুক্তিযোদ্ধা কোটা- .১৬

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত গীতাঞ্জলি এবং বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থ। অন্যদিকে ডাকঘর নাটক ও শ্রীকান্ত উপন্যাসের লেখক হলেন যথাক্রমে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। নীলদর্পণ নাটক ও বিষাদ সিন্ধু উপন্যাসের লেখক হলেন যথাক্রমে দীনবন্ধু মিত্র ও মীর মশাররফ হোসেন।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖অপশন-(ক):

গীতাঞ্জলি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা একটি কাব্যগ্রন্থ।

অগ্নিবীণা কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম কাব্যগ্রন্থ।

অর্থ্যাৎ উল্লেখিত দুটি গ্রন্থই কাব্যগ্রন্থ।

অপশন-(খ):

ডাকঘর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নাটক।

শ্রীকান্ত শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত একটি জীবনচরিত মূলক উপন্যাস।

অপশন-(গ):

নীল দর্পণ হল দীনবন্ধু মিত্র রচিত একটি বাংলা নাটক।

বিষাদ-সিন্ধু মীর মশাররফ হোসেনের ঐতিহাসিক উপন্যাস।

অপশন-(ঘ):

লালসালু সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ রচিত একটি উপন্যাস।

বলাকা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গতিচেতনা বিষয়ক কাব্য।

৩৫১. অনাদর -এর সঠিক ব্যাসবাক্য কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মুক্তিযোদ্ধা কোটা- .১৬

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖বাংলা সমাস নঞ তৎপুরুষ সমাস এবং নঞ বহুব্রীহি সমাসে 'অ' নাবোধক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। নঞ তৎপুরুষে অ- নং, নয় ব্যবহৃত হয় আর নঞ বহুব্রীহিতে নেই, নাই, নয় ইত্যাদি ব্যবহৃত হবার পর যা যার ব্যবহৃত হয়। অনাদর নঞ তৎপুরুষ সমাস তাই এর ব্যাসবাক্য হবে ন আদর।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖‘অনাদর’ এর সঠিক ব্যাসবাক্য ‘ন আদর’। এটি নঞ তৎপুরুষ সমাস।

না বাচক নঞ অব্যয় (না, নেই, নাই, নয়) পূর্বে বসে যে তৎপুরুষ সমাস হয়, তাকে নঞ তৎপুরুষ সমাস বলে।

৩৫২. বাংলা বর্ণমালায় মাত্রাবিহীন বর্ণের সংখ্যা কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মুক্তিযোদ্ধা কোটা- .১৬ 📖 17th BCS General Apr, 1995 📖 ১২তম বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন পরীক্ষা-(স্কুল/সমপর্যায়-২)-১২.০৬.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖বাংলা বর্ণমালায় মাত্রাহীন বর্ণ মাত্রা অর্ধমাত্রা ও মাত্রাহীন বর্ণ রয়েছে। মাত্রাহীন বর্ণ রয়েছে দশটি। যথা- এ, ও, ও, ও, ঙ, ও, ৎ, ঁঁ, ং, ঃ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖পূর্ণমাত্রার বর্ণ ৩২ টি, অর্ধ্মাত্রার বর্ণ ৮ টি এবং মাত্রাহীন বর্ণের সংখ্যা ১০ টি।

৩৫৩. কোন দুটি মহাপ্রাণ ধ্বনি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মুক্তিযোদ্ধা কোটা- .১৬

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖বাংলা বর্ণমালায় অল্পপ্রাণ ও মহাপ্রাণ বর্ণ রয়েছে। অল্পপ্রাণ বর্ণ উচ্চারণ অ-যোগ করতে হয় আর মহাপ্রাণ বর্ণে অ+হ উচ্চারণ করতে হয়।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় বাতাস জোরে বের হয়ে যায়, বাতাসের চাপ বেশি থাকে তাকে মহাপ্রাণ ধ্বনি বলে। বর্গের ২য় ও ৪র্থ ধ্বনি হচ্ছে মহাপ্রাণ ধ্বনি। যথা- (খ,ঘ), (ছ,ঝ), (ঠ,ঢ), (থ,ধ), (ফ,ভ) এবং 'হ' ইত্যাদি।

৩৫৪. কোন শব্দটি পুত্র শব্দের সমার্থক নয়?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মুক্তিযোদ্ধা কোটা- .১৬

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖পুত্র শব্দের সমার্থক শব্দ নয়- শৈলজ। শৈলজ এর সমার্থক শব্দ পর্বতজাত, পর্বতীয়। পুত্র শব্দের সমার্থক শব্দ- আত্মজ, নন্দন, তনয়।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖পুত্র শব্দের সমার্থক শব্দ ছেলে, সুত, তনয়, নন্দন।❃👉 পৃষ্ঠা নং ১৮৭, বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি।

পুত্র এর সমার্থক শব্দ আত্মজ, দুলাল, নন্দন, তনয়, ছেলে, পোলা, বেটা।

৩৫৫. কোনটি মূল ধ্বনি নয়?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মুক্তিযোদ্ধা কোটা- .১৬ 📖 যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ রেলওয়ের সহকারী কমান্ডেন্ট-০৭.০২.০৭

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖বাংলা ভাষায় মূল ধ্বনি বা মৌলিক ধ্বনি হল- অ, এ, উ। মূল ধ্বনি নয় ঔ। ও যৌগিক ধ্বনি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖বাংলা ভাষায় স্বরবর্ণ এগারটি। যথা - অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, ঋ, এ, ঐ, ও, ঔ।

তবে বাংলা ভাষা ও ব্যাকরণবিদদের মতে, মৌলিক স্বরধ্বনি মোট - ৭টি।

যথা - অ, আ, ই, উ, এ, অ্যা, ও।

অন্যদিকে, ঐ (অ + ই) এবং ঔ (অ + উ) - এই দুটি যৌগিক স্বরধ্বনির চিহ্ন।

৩৫৬. ঐশ্বর্য এর বিপরীত শব্দ কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মুক্তিযোদ্ধা কোটা- .১৬

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖ঐশ্বর্য বিশেষ্য শব্দের অর্থ: ধন, সম্পত্তি, বিভব। ঐশ্বর্য এর বিপরীত- নিঃস্ব।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖ঐশ্বর্য - (বিশেষ্য) ধন; সম্পত্তি; বিভব।

নিঃস্ব - (বিশেষণ) কিছুই নেই এমন; দরিদ্র।

পারত্রিক - (বিশেষণ) পালৌকিক; পরলোক সম্বন্ধীয়; আখেরাতের।

৩৫৭. রাজর্ষি এর ব্যাসব্যাক্য কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মুক্তিযোদ্ধা কোটা- .১৬

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖বিশেষণ ও বিশেষ্য পদ মিলেছ সমাস হয় এবং বিশ্বেশ্বর বা পরপদের অর্থ প্রধান রূপে প্রতীয়মান হয় তাকে বলা হয় কর্মধারায সমাস। যেমন- যিনি রাজা তিনিই ঋষি = রাজর্ষি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖কর্মধারয় সমাসের কয়েকটি বিশেষ নিয়ম-

১) দুইটি বিশেষণ একই বিশেষ্য বোঝালে সেটি কর্মধারয় সমাস হয়। যেমন, যে চালাক সেই চতুর = চালাক-চতুর। এখানে পরবর্তী বিশেষ্যটি অপেক্ষাকৃত বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে বলে এটি দ্বন্দ্ব সমাস হবে না।

২) দুইটি বিশেষ্য একই ব্যক্তি বা বস্তুকে বোঝালে সেটিও কর্মধারয় সমাস হয়। যেমন, যিনি জজ তিনিই সাহেব = জজসাহেব। যিনি রাজা তিনিই ঋষি = রাজর্ষি।

৩) কার্যে পরম্পরা বোঝাতে দুটি কৃদন্ত বিশেষণ বা ক্রিয়াবাচক বিশেষণ পদেও কর্মধারয় সমাস হয়। যেমন, আগে ধোয়া পরে মোছা = ধোয়ামোছা। এখানে ‘মোছা’ কাজটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

৪) পূর্বপদে স্ত্রীবাচক বিশেষণ থাকলে তা পুরুষবাচক হয়ে যাবে। যেমন, সুন্দরী যে লতা = সুন্দরলতা

৫) বিশেষণবাচক মহান বা মহৎ শব্দ পূর্বপদ হলে মহা হয়। মহৎ যে জ্ঞান = মহাজ্ঞান

৬) পূর্বপদে ‘কু’ বিশেষণ থাকলে এবং পরপদের প্রথমে স্বরধ্বনি থাকলে ‘কু’, ‘কৎ’ হয়। যেমন, কু যে অর্থ = কদর্থ।

৭) পরপদে ‘রাজা’ থাকলে ‘রাজ’ হয়। যেমন, মহান যে রাজা = মহারাজ।

৮) বিশেষণ ও বিশেষ্য পদে কর্মধারয় সমাস হলে কখনো কখনো বিশেষ্য আগে এসে বিশেষণ পরে চলে যায়। যেমন, সিদ্ধ যে আলু = আলুসিদ্ধ।

৩৫৮. কোনটি খাঁটি বাংলা উপসর্গ?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মুক্তিযোদ্ধা কোটা- .১৬ 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৮.০৮.১৫ 📖 পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সহকারী পরিকল্পনা কর্মকর্তা-৫.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖বাংলা ব্যাকরণের তৎসম খাঁটি বাংলা বিদেশি উপসর্গ রয়েছে। তৎসম উপসর্গ অতি। খাঁটি বাংলা উপসর্গ আজ। বিদেশি উপসর্গ ফি, খাস।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত উপসর্গসমূহ তিনভাগে বিভক্ত। এগুলো হলো: খাটি বাংলা উপসর্গ, তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গ এবং বিদেশি উপসর্গ।

এর মধ্যে খাটি বাংলা উপসর্গ হলো একুশটি। এগুলো হলো: অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, ঊন, কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু এবং হা।

৩৫৯. ষোলকলা অর্থ--

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মুক্তিযোদ্ধা কোটা- .১৬

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖ষোলোকলা একটি বাগধারা, যার অর্থ সম্পূর্ণ, পুরোপুরি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖ষোলো, ষোল: (ক্রিয়াবিশেষণ) (আলঙ্কারিক) সম্পূর্ণ; পুরোপুরি।

বাপের স্বভাব একেবারে ষোলকলায় পেয়েছে -শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।

৩৬০. বাংলা বর্ণমালায় কটি “ব” আছে?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মুক্তিযোদ্ধা কোটা- .১৬ 📖 30th BCS General Jul, 2010 📖 36th BCS General Jan, 2016

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖বাংলা বর্ণমালায় দুটি ব ছিল। প্রথমটি বর্গীয় ব যা ২৩ তম ব্যঞ্জনবর্ণ। দ্বিতীয় টি অন্তঃস্থ ব এটি অন্য বর্ণের সাথে যুক্ত হয়ে অনুচ্চারিত বা ওয়া ধ্বনিতে উচ্চারিত হয়। কিন্তু বর্তমানে বর্ণমালায় দ্বিতীয় ব এর স্থান নেই।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖বাংলা বর্ণমালায় ১টি “ব” আছে। এটি প - বর্গের অন্তর্গত ওষ্ঠধ্বনি।

বাংলা বর্ণমালায় মোট বর্ণ = ৫০টি (স্বরবর্ণ - ১১ ও ব্যঞ্জনবর্ণ - ৩৯টি)।

তারমধ্যে,

❏ পূর্ণমাত্রার বর্ণ - ৩২টি (স্বরবর্ণ - ৬ ও ব্যঞ্জনবর্ণ - ২৬টি)

❏ অর্ধমাত্রার বর্ণ - ৮টি (স্বরবর্ণ - ১ ও ব্যঞ্জনবর্ণ - ৭টি) ও

❏ মাত্রাহীন বর্ণ - ১০টি (স্বরবর্ণ - ৪ ও ব্যঞ্জনবর্ণ - ৬টি)

৩৬১. বাংলা ভাষার প্রথম মুসলমান কবির নাম কি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মুক্তিযোদ্ধা কোটা- .১৬

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖বাংলা ভাষায় প্রথম মুসলমান কবির নাম শাহ মুহাম্মদ সগীর। তিনি মধ্যযুগের সবচেয়ে প্রাচীন কবি। তিনি বাংলা সাহিত্যের প্রথম রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান ইউসুফ জুলেখা রচনা করেন।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলমান কবি শাহ মুহম্মদ সগীর। তাঁর রচিত একটি রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান 'ইউসুফ জুলেখা'।

গৌড়ের সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের রাজত্বকালে এ কাব্য রচনা করেন। পরবর্তীতে মধ্যযুগের আরো অনেক কবি ইউসুফ জুলেখা নাম দিয়ে কাব্য রচনা করেছেন।

৩৬২. বাক্য সংকোচন কী?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মুক্তিযোদ্ধা কোটা- .১৬

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖একটি মাত্র শব্দ ভাবকে প্রকাশ করাই হল বাক্য সংকোচন। অন্যভাবে বলা যায় একাধিক পথ বা উপবাক্য কে একটি শব্দে প্রকাশ করা হলে তাকে বাক্য সংকোচন বলে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖একাধিক পদ একত্রে মিলিত হয়ে বক্তার মনের ভাব প্রকাশ করলে তাকে আমরা বাক্য বলি।

আবার কখনো কখনো এই একাধিক পদ বা উপবাক্যের সমষ্টি অর্থাৎ বাক্যের মনের ভাব বা অর্থকে অক্ষুণ্ন রেখে তাকে একটি শব্দেও প্রকাশ করা যায়। তাহলে পুরো একটি বাক্য না বলে তার বিকল্প ঐ শব্দটি বলাই ভালো। এতে সময়ও কম লাগে, আর বাক্যটিও শ্রুতিমধুর হয়।

এভাবে পুরো একটি বাক্যের বা উপবাক্যের অর্থকে সংকোচন করে বা সংক্ষিপ্ত করে একটি শব্দে প্রকাশ করাই হলো - এক কথায় প্রকাশ।

যেহেতু এতে বাক্যের অর্থ সংকুচিত বা সংক্ষিপ্ত হয় সেজন্য একে আমরা বাক্য-সংকোচন বা বাক্য-সংক্ষেপণও বলতে পারি।

৩৬৩. কোন বানানটি শুদ্ধ?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মুক্তিযোদ্ধা কোটা- .১৬

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖সঠিক বানান-অসমীচীন। অসমীচীন শব্দের অর্থ- অশোভন,অসুন্দর,রুচিবিরোধী,কুদর্শন ইত্যাদি।প্রদত্ত শব্দটি একটি বিশেষণ পদ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শুদ্ধ বানান - পিপীলিকা, মুমূর্ষু, নিশীথিনী, মনঃক্ষুণ্ণ, অসমীচীন, বিভীষিকা, দুশ্চরিত্র।

৩৬৪. মনমাঝি-এর সঠিক ব্যাসবাক্য কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মুক্তিযোদ্ধা কোটা- .১৬

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖উপমিত ও উপমানের অভেদ কল্পনামূলক সমাস কি বলা হয় রূপক কর্মধারয় সমাস। যেমন মন রূপ মাঝি = মন মাঝি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖রূপক কর্মধারয় সমাস:

উপমান ও উপমেয় পদের মধ্যে অভিন্নতা কল্পনা করা হলে, তাকে রূপক কর্মধারয় সমাস বলে। এটির ব্যাসবাক্যে উপমেয় ও উপমান পদের মাঝে ‘রূপ’ শব্দটি অথবা ‘ই’ শব্দাংশটি ব্যবহৃত হয়। যেমন, ‘মন রূপ মাঝি = মনমাঝি’। এখানে ‘মন’ উপমেয় ও ‘মাঝি’ উপমান। কিন্তু এখানে তাদের কোন নির্দিষ্ট গুণের তুলনা করা হয়নি। মনকেই মাঝি হিসেবে কল্পনা করা হয়েছে।

৩৬৫. কোন বানানটি শুদ্ধ?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মুক্তিযোদ্ধা কোটা- .১৬ 📖 21st BCS General Dec, 1999 📖 রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়➟2011➯A-1 ইউনিট

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖সঠিক বানান- মুমূর্ষু। মুমূর্ষু শব্দের অর্থ- মরণাপন্ন,মরতে বসেছে এমন।প্রদত্ত শব্দটি একটি বিশেষণ পদ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শুদ্ধ বানান - পিপীলিকা, মুমূর্ষু, নিশীথিনী, মনঃক্ষুণ্ণ, অসমীচীন, বিভীষিকা, দুশ্চরিত্র।

৩৬৬. বাংলা ভাষার মধ্যযুগ--

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মুক্তিযোদ্ধা কোটা- .১৬

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖বাংলা ভাষার ভাষাবিদ গত বাংলা ভাষাকে তিনটি যুগে ভাগ করেছেন। যেমন প্রাচীন যুগ ৬৫০-১২০০, মধ্যযুগ ১২০১-১৮০০ ও আধুনিক যুগ ১৮০১ থেকে বর্তমান পর্যন্ত।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖বাংলা সাহিত্যের হাজার বছরের ইতিহাস প্রধানত তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত।

আদিযুগ বা প্রাচীন যুগ (আনুমানিক ৬৫০ খ্রি. মতান্তরে ৯৫০ খ্রি.➝১২০০ খ্রি.)

মধ্যযুগ (১২০১ খ্রি.➝১৮০০ খ্রি.)

আধুনিক যুগ (১৮০১ খ্রি.➝বর্তমান কাল)

তবে মধ্যযুগের প্রথম অংশ (১২০১ - ১৩৫০ পর্যন্ত)-তে তেমন কোন সাহিত্যিক নিদর্শন পাওয়া যায় নি। তাই এই সময়কে বাংলা সাহিত্যের 'অন্ধকার যুগ' নামে অভিহিত করা হয়।

৩৬৭. ”কলসটি কানায় কানায় পূর্ণ” কোন কারকে কোন বিভক্তি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মুক্তিযোদ্ধা কোটা- .১৬

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖ক্রিয়া সম্পাদনের কান এবং আঁধারকে অধিকরণ কারক বলে। অধিকরণ কারক তিন প্রকার যথা কালাধিকরণ, আধারাধিকরণ ও ভাবাধিকরণ। প্রদত্ত বাক্যে ভাবের অভিব্যক্তি প্রকাশ করায় কলসট কানায় কানায় পূর্ণ ভাবাধিকরণ কারক। আর কানাই শব্দটিতে য় থাকায় এটি সপ্তমী বিভক্তি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖অধিকরণ কারকের প্রকারভেদ

অধিকরণ কারক তিন প্রকার। যথা-

১. কালাধিকরণ,

২. আধারাধিকরণ এবং

৩. ভাবাধিকরণ।

কালাধিকরণঃ

যে কালে ক্রিয়া সম্পন্ন হয়, তাকে কালাধিকরণ কারক বলে। উদাহরণ-

শরতে শাপলা ফোটে।

সকালে সে চলে যাবে।

প্রভাতে উঠিল রবি লোহিত বরণ।

ভাবাধিকরণঃ

যদি কোনো ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য অন্য ক্রিয়ার কোনোরূপ ভাবের অভিব্যক্তি প্রকাশ করে, তবে তাকে ভাবাধিকরণ বলে। ভাবাধিকরণে সর্বদাই সপ্তমী বিভক্তির প্রয়োগ হয় বলে একে ‘ভাবে সপ্তমী’ বলা হয়। যেমন-

সূর্যোদয়ে অন্ধকার দূরীভূত হয়।

কান্নায় শোক মন্দীভূত হয়।

হাসিতে মুক্তা ঝরে।

জলে কুমির, ডাঙায় বাঘ।

আধারাধিকরণঃ

আধারাধিকরণ বা স্থানাধিকরণ কোন কোন স্থানকে বুঝায়। এটি তিন ভাগে বিভক্ত। যথা:- ১. ঐকদেশিক, ২. অভিব্যাপক এবং ৩. বৈষয়িক।

১. ঐকদেশিকঃ

বিশাল স্থানের যে কোনো এক অংশে ক্রিয়া সংঘটিত হলে তাকে ঐকদেশিক আধারাধিকরণ বলে। যেমন-

পুকুরে মাছ আছে। (পুকুরের যে কোনো একস্থানে)

বনে বাঘ আছে। (বনের যে কোনো এক অংশে)

আকাশে চাঁদ উঠেছে। (আকাশের কোনো এক অংশে)

সামীপ্য(নৈকট্য) অর্থেও ঐকদেশিক অধিকরণ হয়। যেমন-

ঘাটে নৌকা বাঁধা আছে। (ঘাটের কাছে)

‘দুয়ারে দাঁড়ায়ে প্রার্থী, ভিক্ষা দেহ তারে। (দুয়ারের কাছে)

রাজার দুয়ারে হাতি বাঁধা।

২. অভিব্যাপকঃ

উদ্দিষ্ট বস্তু যদি সমগ্র আধার ব্যাপ্ত করে বিরাজমান থাকে, তবে তাকে অভিব্যাপক আধারাধিকরণ বলে। যেমন-

তিলে তৈল আছে। (তিলের সারা অংশব্যাপী)

নদীতে পানি আছে। (নদীর সমস্ত অংশ ব্যাপ্ত করে)

৩. বৈষয়িকঃ

বিষয় বিশেষে বা কোনো বিশেষ গুণে কারও কোনো দক্ষতা বা ক্ষমতা থাকলে সেখানে বৈষয়িক অধিকরণ হয়। যেমন-

রাকিব অঙ্কে কাঁচা, কিন্তু ব্যাকরণে ভালো।

আমাদের সেনারা সাহসে দুর্জয়, যুদ্ধে অপরাজেয়।

৩৬৮. শশব্যস্ত কোন সমাস?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মুক্তিযোদ্ধা কোটা- .১৬

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖যে কর্মধারয় সমাসে সাধারণ কর্ম বাচক পদের সঙ্গে উপমান বাচক পদের মিলন হয় তাকে বলে উপমান কর্মধারয় সমাস। যেমন শশকের ন্যায় ব্যস্ত = শশব্যস্ত।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖উপমান এবং উপমিত কর্মধারয় সমাস হতে হলে বাধ্যতামূলক তুলনা বুঝাবে। যদি প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ বস্তুর সাধারণ ধর্ম, গুণ, মিল থাকে বা বাস্তবসম্মত মনে হয় তাহলে তো উপমান আর তা মনে না হলে উপমিত কর্মধারয় সমাস।

কর পল্লবের ন্যায় =করপল্লব ➝ উপমিত কর্মধারয় সমাস। শশকের ন্যায় ব্যস্ত = শশব্যস্ত, হরিণের ন্যায় চপল =হরিণচপল, ইস্পাতের ন্যায় কঠিন= ইস্পাতকঠিন (উপমান কর্মধারয় সমাস)।

৩৬৯. লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু” এর ইংরেজী অনুবাদ কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মুক্তিযোদ্ধা কোটা- .১৬ 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মুক্তিযোদ্ধা কোটা- .১৬ 📖 পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের জেলা সমন্বয়কারী - 22.12.17

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ২

ব্যাখ্যাঃ

🔖'লােভে পাপ , পাপে মৃত্যু ' এর সঠিক ইংরেজি অনুবাদ Greed leads to sin and sin to death । কিন্তু প্রদত্ত option এ রকম দেয়া না থাকলেও ( ঘ ) অপশনে প্রদত্ত Greed leads to sin and to death সঠিক উত্তর হিসেবে গ্রহণ করা যায় ।

৩৭০. "নীলদর্পণ” নাটকটি কার লেখা?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - রাইন- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖নীলদর্পণ নাটকটি লিখেছেন দীনবন্ধু মিত্র। ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রথম গ্রন্থ; যা ১৮৬০ সালে ঢাকার বাংলাপ্রেস থেকে প্রকাশিত হয়।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 'নীলদর্পণ':

▣ দীনবন্ধু মিত্রের প্রথম ও সর্বশ্রেষ্ঠ নাটক নীলদর্পণ।

❐ এটি বাংলা সাহিত্যে একটি বিখ্যাত নাটক।

❐ ১৮৬০ সালে নাটকটি প্রথম ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয়।

❐ এটি ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রথম এবং নাটকটি ঢাকায় প্রথম মঞ্চস্থ হয়।

❐ তাই এটিকে বাংলাদেশের নাটক বলা হয়।

❐ A Native ছদ্মনামে মাইকেল মধুসূদন দত্ত এর ইংরেজি অনুবাদ করেন।

❐ অনুবাদটি ১৮৬১ সালে Nil Darpan or The Indigo Planting Mirror নামে প্রকাশিত হয়।

▣ দীনবন্ধু মিত্র:

❐ পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার চৌবেড়িয়া গ্রামে এক দরিদ্র পরিবারে ১৮৩০ সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।

❐ তাঁর পিতৃদত্ত নাম গন্ধর্বনারায়ণ।

❐ ১৮৭১ সালে লুসাই যুদ্ধের সময় দীনবন্ধু কাছাড়ে সফলভাবে ডাক বিভাগ পরিচালনা করেন, যার জন্য সরকার তাঁকে ‘রায়বাহাদুর’ উপাধিতে ভূষিত করে।

❐ নীলদর্পণ তাঁর শ্রেষ্ঠ নাটক এবং শ্রেষ্ঠ রচনাও। 

৩৭১. মধুসূদন দত্তের “মেঘনাদবধ” কাব্যের উৎস কি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - রাইন- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖মাইকেল মধুসূদন দত্তের 'মেঘনাদবধ' মহাকাব্যের কাহিনীর উৎস সংস্কৃত মহাকাব্য রামায়ণ। বাংলা সাহিত্যের সর্বপ্রথম এবং সর্বশ্রেষ্ঠ মহাকাব্য টি অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত। এ কাব্যে স্বর্গ রয়েছে নাটি। এটি একটি বীররসের কাব্য।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 মেঘনাদবধ কাব্য:

❐ মধুসূদনের দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ 'মেঘনাদবধ কাব্য' বাংলা সাহিত্যের প্রথম এবং শ্রেষ্ঠ মহাকাব্য।

❐ মাইকেল মধুসূদন দত্তের অমর মহাকাব্য 'মেঘনাদবধ কাব্য'

❐ এটি তাঁর রচিত দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ।

▣ সংস্কৃত মহাকাব্য 'রামায়ণ'র ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ কাহিনী অবলম্বন করে মধুসূদন দত্ত ১৮৬১ সালের জুন মাসে 'মেঘনাদবধ কাব্য' রচনা করেন।

❐ ১৮৫৭ সালের সংঘটিত সিপাহি বিপ্লবের স্বাধীনতামন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে রাবণকে নায়ক এবং রামকে খলনায়ক করে মধুসূদন দত্ত এটি রচনা করেন।

❐ নয় সর্গে রচিত 'মেঘনাদবধ কাব্যে মোট তিন দিন দুই রাতের ঘটনা বর্ণিত আছে।

❐ কাব্যের কয়েকটি প্রধান চরিত্র: রাবণ, মেঘনাদ, লক্ষ্মণ, রাম, প্রমীলা, বিভীষণ, সীতা, সরমা ইত্যাদি।

▣ মাইকেল মধুসূদন দত্ত:

❐ মধুসূদন দত্ত ১৮২৪ খ্রিষ্টাব্দের ২৫শে জানুয়ারি যশোর জেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

❐ স্কুলজীবনের শেষে তিনি কলকাতার হিন্দু কলেজে ভর্তি হন।

❐ এই কলেজে অধ্যয়নকালে ইংরেজি সাহিত্যের প্রতি তাঁর তীব্র অনুরাগ জন্মে।

❐ ১৮৪৩ খ্রিষ্টাব্দে তিনি খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষিত হন। তখন তাঁর নামের প্রথমে যোগ হয় 'মাইকেল'।

❐ পাশ্চাত্য জীবনযাপনের প্রতি প্রবল আগ্রহ এবং ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যের প্রতি তীব্র আবেগ তাঁকে ইংরেজি ভাষায় সাহিত্যরচনায় উদ্‌বুদ্ধ করে। পরবর্তীকালে জীবনের বিচিত্র কষ্টকর অভিজ্ঞতায় তাঁর এই ভুল ভেঙেছিল।

❐ বাংলা ভাষায় কাব্যরচনার মধ্য দিয়ে তাঁর কবিপ্রতিভার যথার্থ স্ফূর্তি ঘটে।

▣ তাঁর অন্যান্য কাব্য:

⇒ তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য,

⇒ বীরাঙ্গনা কাব্য,

⇒ ব্রজাঙ্গনা কাব্য ও

⇒ চতুর্দশপদী কবিতাবলী।

৩৭২. কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিতি লেখা কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - রাইন- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত লেখা 'বাউণ্ডুলের আত্মকাহিনী'। এটি কোভিদ রিক্তের বেদনা গল্পগ্রন্থের অন্তর্গত গল্প। গল্পটি ১৯১৯ সালের মে মাসে সওগাত পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 - কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত লেখা বা গল্প বাউণ্ডুলের আত্মকাহিনী।

❐ এটি ১৯১৯ সালের মে মাসে সওগাত পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

▣ কাজী নজরুল ইসলাম:

❐ কাজী নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশের জাতীয় কবি এবং অবিভক্ত বাংলার সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব।

❐ তিনি ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে ১৮৯৯) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

❐ তাঁর ডাক নাম ছিল ‘দুখু মিয়া’। 

❐ কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত কবিতার নাম ‘মুক্তি’।

❐ 'মুক্তি' কবিতাটি বঙ্গীয় মুসলিম সাহিত্য পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

❐ ‘অগ্নি-বীণা’ কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ।

❐ কাজী নজরুলের রচিত প্রথম উপন্যাস ‘বাঁধন-হারা’।

❐ কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত প্রবন্ধের নাম তুর্কিমহিলার ঘোমটা খোলা।

❐ কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত নাটক - ঝিলিমিলি।

▣  কাজী নজরুল ইসলামের কাব্যগ্রন্থ:

❐ অগ্নিবীণা,

❐ বিষের বাঁশি,

❐ ভাঙার গান,

❐ সাম্যবাদী,

❐ সর্বহারা,

❐ ঝিঙে ফুল,

❐ ফণি-মনসা,

❐ জিঞ্জির,

❐ সন্ধ্যা,

❐ নতুন চাঁদ,

❐ প্রলয় শিখা ইত্যাদি।

▣ কাজী নজরুল ইসলাম রচিত প্রবন্ধগ্রন্থ:

❐ রাজবন্দীর জবানবন্দি,

❐ দুর্দিনের যাত্রী,

❐ যুগবাণী,

❐ রুদ্র মঙ্গল,

❐ মন্দির ও মসজিদ,

❐ আমি সৈনিক।

৩৭৩. ”বাঙ্গালীর ইতিহাস” বইটির লেখক কে?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - রাইন- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'বাঙালির ইতিহাস' গবেষণাধর্মী গ্রন্থ। এই ইতিহাস গ্রন্থের লেখক নীহাররঞ্জন রায়। তিনি 'বাঙালির ইতিহাস' গ্রন্থটির জন্য রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন ১৯৪৮ সালে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 নীহাররঞ্জন রায়: 

❐ তিনি ভারতের শেষ বহুশাস্ত্রজ্ঞদের মধ্যে অন্যতম একজন।

❐ মানব অভিজ্ঞতার রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক দিকগুলির মধ্যে সমন্বয় সাধনে নীহাররঞ্জন রায় এর প্রয়াস পরিণতি লাভ করেছে তাঁর প্রধান সাহিত্যকর্ম বাঙ্গালীর ইতিহাস গ্রন্থে।

▣ তাঁর রচিত গ্রন্থ:

❐ Maurya and Sunga Art,

▣ বাঙ্গালীর ইতিহাস,

❐ Nationalism in India,

❐ Idea and Image of Indian Art.

❆ তাঁর অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ রচনা হচ্ছে:

❐ Mughal Court Painting,

❐ The Sikh Gurus and the Sikh Society,

❐ Dutch Activities in the East,

❐ An Approach to Indian Art।

৩৭৪. পিত্রালয় শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ হচ্ছে---

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - রাইন- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖অ-কার কিংবা আ-কারের পর অ-কার কিংবা আ-কার থাকলে উভয় মিলে আ-কার হয়। আ-কার পূর্ববর্তী ব্যঞ্জন এর সঙ্গে যুক্ত হয়। যেমন পিতৃ + আলয় = পিত্রালয়, হিম + আলয় = হিমালয়।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 'পিত্রালয়' শব্দের সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ = পিতৃ + আলয়।

❆ এটি স্বরসন্ধির উদাহরণ।

❆ সূত্র - ঋ+অন্য স্বর = র্‌+স্বর।

৩৭৫. ”বিদিত” শব্দের বিপরীত শব্দ কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - রাইন- ০৮.১১.১৩ 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ১৬.১০.১৫ 📖 Two Combined Bank Recruitment Test Post: Officer - 28/09/2018

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖বিদিত শব্দের অর্থ পরিজ্ঞাত, জানা আছে এমন, অবগত। সুতরাং বিদিত এর বিপরীতার্থক শব্দ হলো অজ্ঞাত।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝  'বিদিত' শব্দের বিপরীত শব্দ- 'অজ্ঞাত'।

▣ অন্যদিকে:

❐ 'গৃহিত' এর বিপরীত শব্দ- বর্জিত।

❐ 'বিসর্জন' এর বিপরীত শব্দ- আবাহন।

৩৭৬. নিচের কোন শব্দটিতে কর্তায় শূন্য বিভক্তি রয়েছে?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - রাইন- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖সঠিক উত্তর কোনোটিই নয়।

বাবাকে ভয় পাই- অপাদানে দ্বিতীয়া,

বাঁশি বাজে- কর্তায় শূন্য,

ফলে বৃক্ষের পরিচয়- করণে সপ্তমী,

পাপে বিরত হও- অপাদানে সপ্তমী।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 কর্ম কারক:

❐ যাকে আশ্রয় করে কর্তা ক্রিয়া সম্পাদন করে, তাকে কর্ম কারক বলে। 

❐ যাকে আশ্রয় করে কর্তা ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকে কর্মকারক বলে।

❐ বাক্যের মুখ্য কর্ম ও গৌণ কর্ম- উভয় ধরনের কর্মই কর্ম কারক হিসেবে গণ্য হয়।

❐ সাধারণত মুখ্য কর্ম কারকে বিভক্তি হয় না, তবে গৌণ কর্ম কারকে- 'কে' বিভক্তি হয়।

যেমন:-

❐ অসহায়কে সাহায্য করো।

❐ শিক্ষককে জানাও।

▣ বাঁশি বাজে। ( কর্মকারকে প্র্রথমা বা শূন্য বিভক্তি)।

৩৭৭. ”বুলবুলিতে ধান খেয়েছে” বাক্যের “বুলবুলিতে” কোন কারক ও বিভক্তি রয়েছে?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - রাইন- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖বাক্যস্থিত যে বিশেষ্য ও সর্বনাম পদ ক্রিয়া সম্পন্ন করে তা ক্রিয়ার কর্তা বা কর্তৃ কারক। যেমন- বুলবুলিতে ধান খেয়েছে এ বাক্যে 'বুলবুলিতে' কর্তৃ কারকে সপ্তমী বিভক্তি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝  'বুলবুলিতে ধান খেয়েছে' বাক্যে 'বুলবুলিতে' শব্দটি কতৃকারকে সপ্তমী বিভক্তি।

▣ বাক্যস্থিত যে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদ ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকে ক্রিয়ার কর্তা বা কর্তৃকারক বলে।

❆ ক্রিয়াকে ‘কে/ কারা’ দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, সেটিই কর্তৃকারক।

❆ (কর্মবাচ্য ও ভাববাচ্যের বাক্যে এই নিয়ম খাটবে না। সেক্ষেত্রে একটু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।)

▣ উদাহরণ-

❐ গরু ঘাস খায়। (কে খায়) : কর্তৃকারকে শূণ্য বিভক্তি

❐ বুলবুলিতে ধান খেয়েছে (কে খেয়েছে) : কতৃকারকে সপ্তমী বিভক্তি।

৩৭৮. ”নন্দিত” শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - রাইন- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'নন্দিত' এর সঠিক বিপরীতার্থক শব্দ হলো নিন্দিত।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝  'নন্দিত' এর বিপরীতার্থক শব্দ = নিন্দিত।

❆ কিছু বিপরীতার্থক শব্দযুগল সমূহ-

❐ হলাহল-সুধা/ অমৃত,

❐ হর্ষ/হরিষ - বিষাদ,

❐ প্রসন্ন - বিষণ্ণ,

❐ সন্নিকৃষ্ট - বিপ্রকৃষ্ট,

❐ সন্ধি - বিগ্রহ/বিবাদ।

৩৭৯. ”কুল কাঠের আগুন” এর প্রকৃত অর্থ কি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - রাইন- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'কুল কাঠের আগুন' বাগধারা টির প্রকৃত অর্থ 'তীব্র জ্বালা'।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝  কুল কাঠের আগুন - তীব্র জালা।

▣ অন্যদিকে:

❐ 'কাঠের পুতুল' বাগধারাটির অর্থ - ব্যক্তিত্বহীন মানুষ।

❐ 'কূপমণ্ডূক' বাগধারাটির অর্থ - সীমাবদ্ধ জ্ঞান।

❐ 'কেতাদুরস্ত' বাগধারাটির অর্থ পরিপাটি।

৩৮০. নিচের বাগধারা যুগলদের মধ্যে কোন জোড়া সর্বাধিক সমার্থবাচক?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - রাইন- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'অহি-নকুল সম্বন্ধ' এবং 'আদায়-কাঁচকলায়' বাগধারাটির অর্থ শত্রুতা। সুতরাং এই বাগধারা দুটি সর্বাধিক সামাচ্যবাচক।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝  অহিনকুল সম্বন্ধ ও আদায় কাচকলায় বাগধারার অর্থ- ভীষন শত্রুতা/ঘোর শত্রুতা।

❆ অন্যদিকে:

❐ অমাবস্যার চাঁদ বাগধারার অর্থ- দুর্লভ বস্তু বা বিরল বস্তু।

❐ আকাশ কুসুম বাগধারার অর্থ- অবাস্তব কল্পনা।

❐ আষাঢ়ে গল্প বাগধারার অর্থ- আজগুবি কাহিনি।

❐ 'অগ্নি পরীক্ষা' বাগধারাটির অর্থ - কঠিন পরীক্ষা।

❐ অদৃষ্টের পরিহাস বাগধারাটির অর্থ- ভাগ্যের নিষ্ঠুরতা।

৩৮১. ”ঘোটক” শব্দের অর্থ কি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - রাইন- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'ঘোটক' শব্দটির অর্থ ঘোড়া, অশ্ব।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 'অশ্ব' শব্দের সমার্থক শব্দ:

▣ ঘোড়া, ঘোটক, হয়, বাহ, বাজী, তুরঙ্গ, মতুরগ, সৈন্ধব, বাহনশ্রেষ্ঠ, হ্রেষী, মরুদ্রথ, ঘোটকী, তুরঙ্গ, বামী, টাঙ্গন, বড়বা ইত্যাদি।

▣ গুরুত্বপূর্ণ কিছু সমার্থক শব্দ:

❐ 'অর্ক' শব্দের সমার্থক শব্দ- সূর্য, তপন, আদিত্য, দিবাকর, ভাস্কর, ভানু, মার্তণ্ড, রবি, সবিতা ইত্যাদি।

❐ 'তিমির' শব্দের সমার্থক শব্দ- অন্ধকার, আঁধার, তমসা ইত্যাদি।

❐ 'অম্বর' শব্দের সমার্থক শব্দ- আকাশ, গগন, নভঃ, ব্যোম ইত্যাদি।

❐ কুঞ্জর সমার্থক শব্দ- হস্তী- হাতি, গজ, নাগ, মাতঙ্গ, কুঞ্জর, বারণ, দন্তী, দ্বিপ, দ্বিরদ।

৩৮২. পূর্ব পদে উপসর্গ বসে যে সমাস হয়, তাকে বলে--

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - রাইন- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖পূর্বপদ এর উপসর্গ বসে যে সমাস হয় তাকে বলে প্রাদি সমাস। যেমন- প্র (প্রকৃষ্ট) যে বচন = প্রবচন, পড়ি (চতুর্দিকে) যে ভ্রমণ = পরিভ্রমণ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 প্রাদি সমাস:

❆ প্র, প্রতি, অনু প্রভৃতি অব্যয়ের সঙ্গে যদি কৃৎপ্রত্যয় সাধিত বিশেষ্যের সমাস হয়, তবে তাকে প্রাদি সমাস বলে।

যেমন:-

❐ প্র (প্রকৃষ্ট) যে বচন = প্রবচন,

❐ পরি (চতুর্দিকে) যে ভ্রমণ = পরিভ্রমণ,

❐ অনুতে (পশ্চাতে) যে তাপ = অনুতাপ।

৩৮৩. ”অর্ধম” শব্দের সমস্যমান পদ কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - রাইন- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'অধর্ম' শব্দটি নযঞ তৎপুরুষ সমাস। এর সমান সমান পথ হল নয় ধর্ম = অধর্ম। আরো কয়েকটি এরকম উদাহরণ- ন ক্লান্ত = অক্লান্ত, নয় আচার = অনাচার ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 নঞ্‌ তৎপুরুষ সমাস:

❐ না বাচক নঞ অব্যয় (না, নেই, নাই, নয়) পূর্বে বসে যে তৎপুরুষ সমাস হয়, তাকে নঞ্‌ তৎপুরুষ সমাস বলে।

যথা- 

❐ ন আচার = অনাচার, 

❐ ন কাতর= অকাতর।

❐ ন কাল = অকাল বা আকাল।

❐ নয় ধর্ম = অধর্ম।

৩৮৪. ”চাঁদ মুখ” কোন সমাস?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - রাইন- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖সাধারণ গণিত উল্লেখ না করে উপমেয় পদের সাথে উপপদের যে সমাস হয় তাকে উপমিত কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন- চাঁদ মুখ = মুখ চাঁদের ন্যায়, পুরুষসিংহ = পুরুষ সিংহের ন্যায় ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 'চাঁদমুখ' এর ব্যাসবাক্য হলো = চাঁদের ন্যায় মুখ।

❐ এটি একটি কর্মধারয় সমাস।

▣ যাকে তুলনা করা হয়, তা উপমেয়। কিছু কর্মধারয় সমাসে উপমেয় পদের সাথে উপমান পদের সমাস হয়। এগুলোকে উপমিত কর্মধারয় সমাস বলে।

যেমন:- 

❐ পুরুষ সিংহের ন্যায় = সিংহপুরুষ।

❐ আঁখি পদ্মের ন্যায় = পদ্মআঁখি।

❐ মুখ চন্দ্রের ন্যায় = চন্দ্রমুখ।

৩৮৫. কোন বানানটি শুদ্ধ?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - রাইন- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 শুদ্ধ বানান 'অহংকার, অহঙ্কার'

❐ বিশেষ্য পদ।

❐ সংস্কৃত শব্দ।

❐ প্রকৃতি প্রত্যয়: অহম্ + √কৃ + অ।

❆  অর্থ:

❐ অহমিকা; গর্ব।

❐ আত্মচেতনা; অহংজ্ঞান।

৩৮৬. বিশুদ্ধ বানান কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - রাইন- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖উদ্ধৃতাংশ শুদ্ধ বানান টি হল দূষণীয়।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 শুদ্ধ বানান 'দূষণীয়'

❐ বিশেষণ পদ।

❐ সংস্কৃত শব্দ।

❐ প্রকৃতি প্রত্যয়: √দূষি + অনীয়।

❆  অর্থ:

❐ নিন্দনীয়,

❐ দূষ্য,

❐ দোষযুক্ত।

৩৮৭. কোন ভাষার সাহিত্যে গম্ভীর্য ও আভিজাত্য প্রকাশ পায়?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - রাইন- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖সাধু ভাষা গুরুগম্ভীর ও তৎসম শব্দ বহুল এবং এ ভাষা ব্যাকরণের সুনির্ধারিত নিয়ম অনুসরন কর চলে এবং এর পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও সুনির্দিষ্ট। তাই সাধু ভাষায় সাহিত্যে গাম্ভীর্য ও আভিজাত্য প্রকাশ পায়।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 সাধু ভাষারীতির বৈশিষ্ট্য:

❐ সাধু ভাষার রূপ অপরিবর্তনীয়। অঞ্চলভেদে বা কালক্রমে এর কোনো পরিবর্তন হয় না।

▣ সাধু ভাষারীতিতে তৎসম বা সংস্কৃত শব্দের ব্যবহার বেশি বলে এ ভাষায় এক প্রকার আভিজাত্য ও গাম্ভীর্য আছে।

❐ এ ভাষারীতি ব্যাকরণের সুনির্ধারিত নিয়ম অনুসরণ করে চলে। এর পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও সুনির্দিষ্ট।

❐ সাধু ভাষারীতি শুধু লেখায় ব্যবহার হয়। তাই কথাবার্তা, বক্তৃতা, ভাষণ ইত্যাদির উপযোগী নয়।

❐ সাধু ভাষারীতিতে সর্বনাম ও ক্রিয়াপদের পূর্ণরূপ ব্যবহৃত হয় ।

৩৮৮. বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা কবি কে?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - রাইন- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা কবি হলেন- চন্দ্রাবতী। মনসামঙ্গলের কবি দ্বিজ বংশীদাসের কন্যা চন্দ্রাবতী ১৫৫০ সালে কিশোরগঞ্জের জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর রচিত কাব্য- মলুয়া, দস্যু কেনারামের পালা, রামায়ণ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 - মধ্যযুগ তথা বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা কবি চন্দ্রাবতী।

❐ তিনি পিতার আদেশে 'রামায়ণ' অনুবাদে হাত দেন।

❐ কিন্তু তা সমাপ্ত করার পূর্বেই তিনি মারা যান।

৩৮৯. ”তাসের ঘর” এর অর্থ কি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - রাইন- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'তাসের ঘর' বাগধারাটির অর্থ ক্ষণস্থায়ী।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝  'তাসের ঘর' বাগধারার অর্থ = ক্ষণস্থায়ী।

৩৯০. ”ইউসুফ জোলেখা” কাব্য লেখেন কে?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - হোয়াংহো- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'ইউসুফ জুলেখা' কাব্যটির লেখ হলেন শাহ মুহাম্মদ সগীর।

বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলমান কবি শাহ মুহাম্মদ সগীর। তিনি গৌড়ের সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের রাজত্বকালে ইরানের মহাকবি ফেরদৌসী সুফি কবি জামীর মূল কাহিনী অবলম্বনে 'ইউসুফ জুলেখা' কাব্য রচনা করেন।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖শাহ মুহম্মদ সগীরের হাতে রচিত হয় রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান ধারার প্রথম কাব্য ‘ইউসুফ-জুলেখা’।

এবং, এ কারণে  শাহ মুহম্মদ সগীরকে বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম কবি হিসেবে অভিহত করা হয়।

৩৯১. কোথায় স্বর্গ? কোথায় নরক? কে বলে তা বহুদূর? মানুষেরই মাঝে স্বর্গ-নরক মানুষেতে সুরাসুর পংক্তিটির রচয়িতা কে?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - হোয়াংহো- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖কোথায় স্বর্গ? কোথায় নরক? কে বলে তা বহুদূর? মানুষেরই মাঝে স্বর্গ-নরক মানুষেতে সুরাসুর পংক্তিটির রচয়িতা- শেখ ফজলুল করিম।

তার স্বর্গ নরক কবিতার চরণ এটি। তার কয়েকটি কাব্যগ্রন্থ : সরল পদ্য বিকাশ, তৃষ্ণা ভক্তি পুষ্পাঞ্জলি, গাঁথা প্রভৃতি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖বাঙালি মুসলমানের ভাষা নিয়ে সঙ্কটের সময় ''বাসনা'' পত্রিকা বাংলা ভাষার স্বপক্ষে দাঁড়িয়েছিল। হিন্দু-মুসলমান মিলনাকাঙ্ক্ষা ছিল এ পত্রিকার প্রধান লক্ষ্য।

হিন্দু-মুসলমান সঙ্কটের সময় শেখ ফজলল করিম রচনা করেন:

কোথায় স্বর্গ কোথায় নরক, কে বলে তা বহু দূর,

মানুষের মাঝে স্বর্গ-নরক, মানুষেতে সুরা-সুর।

রিপুর তাড়নে যখনই মোদের বিবেক পায় গো লয়,

আত্মগ্লানির নরক অনলে তখনি পুড়িতে হয়।

প্রীতি-প্রেমের পুণ্য বাঁধনে যবে মিলি পরস্পরে,

স্বর্গ আসিয়া দাঁড়ায় তখন আমাদেরই কুঁড়ে ঘরে।

৩৯২. কোন নাটকটি সেলিম আল দীনের?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - হোয়াংহো- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖মুনতাসীর ফ্যান্টাসী নাটকটি সেলিম আল দীনের রচিত।

তাঁর বিখ্যাত কিছু নাটক হল: জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন (১৯৭৫), বাসন (১৯৮৫), মুনতাসির ফ্যান্টাসী( তন্ময় দাস ), শকুন্তলা, কীত্তনখোলা (১৯৮৬), কেরামতমঙ্গল (১৯৮৮), যৈবতী কন্যার মন (১৯৯৩), চাকা (১৯৯১), হরগজ (১৯৯২), প্রাচ্য (২০০০), হাতহদাই (১৯৯৭), নিমজ্জন (২০০২), ধাবমান, স্বর্ণবোয়াল (২০০৭)

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖সেলিম আল দীন রচিত নাটকগুলো হলোঃ সর্প বিষয়ক গল্প ও অন্যান্য, জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন, কীর্তন খোলা, হাতহদাই, বাসন, শকুন্তলা, মুনতাসীর ফ্যান্টাসি, কেরামতমঙ্গল, চাকা, হরগজ, নিমজ্জন, একটি মারমা রূপকথা ইত্যাদি।

অন্যদিকে আমলার মামলা হলো শওকত ওসমান রচিত নাটক।

৩৯৩. ”প্রভাত সূর্যের” সমার্থক শব্দ কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - হোয়াংহো- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”প্রভাত সূর্যের” সমার্থক শব্দ অরুণ।

'সূর্য' শব্দের সমার্থক শব্দ হল রবি দিনমণি ভানু। অন্যদিকে 'অরুণ' শব্দের অর্থ প্রভাতসূর্য ঊষাকালীন সূর্যের দীপ্তি ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖অরুণ - সূর্য।

২ - তরুণ সূর্য; বালার্ক; নবোদিত সূর্য।

৩ - উষা বা সন্ধ্যাকালীন সূর্যের দীপ্তি।

উল্লেখ্য যে, দিনমণি, রবি, ভানু এরা সূর্যের সমার্থক শব্দ। তবে অরুণ দ্বারা নতুন সূর্য বা ভোরের সূর্যকেই বুঝায়।

৩৯৪. ”হরণ” শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - হোয়াংহো- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”হরণ” শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ- পূরণ।

হরণ শব্দের অর্থ- লুণ্ঠন, চুরি, মোচন, দূরীকরণ। সুতরাং হরণ এর বিপরীত শব্দ হলো পূরণ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖হরণ - লুন্ঠন; চুরি; মোচন; অপনোদন; দূরীকরণ। 

পূরণ - পরিপূর্ণ করা বা পূর্ণ হওয়া (ইচ্ছাপূরণ); সমাধান; নিরসন (সমস্যাপূরণ); বৃদ্ধি 

 হরণের বিপরীত শব্দ - পূরণ।

৩৯৫. বাক্যস্থিত ক্রিয়াপদের সাথে কোন পদের সম্পর্ককে কারক বলে?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - হোয়াংহো- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖বাক্যস্থিত ক্রিয়াপদের সাথে নাম পদের সম্পর্ককে কারক বলে।

সুতরাং বাক্যে ক্রিয়া পদের সাথে নাম পদের সম্পর্কে হল কারক।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖কারক শব্দটির অর্থ - যা ক্রিয়া সম্পাদন করে। 

বাক্যস্থিত ক্রিয়াপদের সঙ্গে নামপদের যে সম্পর্ক তাকে কারক বলে।

৩৯৬. অধিকরণ কারকের উদাহরণ কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - হোয়াংহো- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖অধিকরণ কারকের উদাহরণ হচ্ছে তিলে তৈল আছে।

ক্রিয়া সম্পাদনের কাল এবং আঁধারকে অধিকরণ কারক বলে। অর্থাৎ স্থান সময় বিষয় বুঝান অধিকরণ কারক হয়। যেমন : তিলে তৈল আছে, পৃথিবীতে কে কাহার।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖ক্রিয়া সম্পাদনের কাল এবং আধারকে অধিকরণ কারক বলে। 

অধিকরণ কারকের উদাহরণঃ 

তিলে তৈল আছে 

নদীতে মাছ আছে 

বনে বাঘ আছে 

আকাশে চাঁদ উঠেছে।

৩৯৭. ”তিনি ব্যাকরণে পন্ডিত”- বাক্যে ”ব্যাকরণে” শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - হোয়াংহো- ০৮.১১.১৩ 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2012➯গ ইউনিট 📖 কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়➟2013➯C ইউনিট

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”তিনি ব্যাকরণে পন্ডিত”- বাক্যে ”ব্যাকরণে” শব্দটি অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি।

ক্রিয়া সম্পাদনের কাল এবং আঁধারকে অধিকরণ কারক বলে। যেমন : তিনি ব্যাকরণে পন্ডিত, কাননে কুসুমকলি সকলি ফুটিল।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖কোনো বিশেষ গুণে কারও দক্ষতা বা ক্ষমতা থাকলে সেখানে বৈষয়িক অধিকরণ হয়। 

যেমনঃ রাকিব অঙ্কে কাচা কিন্তু ব্যাকরণে ভালো। 

তেমনিভাবে, তিনি ব্যাকরণে পণ্ডিত। 

এবং, অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি অর্থাৎ 'এ' 'য়' 'তে' ইত্যাদি যুক্ত হয়। 

সুতরাং, 'ব্যাকরণে' শব্দটি অধিকরণে সপ্তমী৷

৩৯৮. কোন বানানটি শুদ্ধ?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - হোয়াংহো- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖শুদ্ধ বানান টি হল উন্মীলন।

উন্মীলন শব্দটির অর্থ: চোখ মেলে চাওয়া, চোখ খোলা, বিকাশ, উদঘাটন, উন্মোচন। আর অন্যান্য শব্দগুলোর বানান ভুল রয়েছে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖উন্মীলন (বিশেষ্য) -

১. চোখ মেলে চাওয়া; চোখ খোলা।

২. বিকাশ।

৩. উদ্‌ঘাটন; উন্মোচন।

৩৯৯. কোনটি শুদ্ধ বানান?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - হোয়াংহো- ০৮.১১.১৩ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -হেমন্ত- ১৩.০৮.১০ 📖 স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন ~ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ~ এস্টিমেটর ~ ০২.০২.১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖শুদ্ধ বানান টি হল রূপায়ণ।

রূপায়ণ শব্দটির অর্থ হলো : রূপ দান, রচনা প্রকাশ, অভিনয়ে ভূমিকা গ্রহণ। আর অন্যান্য শব্দগুলোর বানান ব্যাকরণগত ভুল রয়েছে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖বাংলা একাডেমি বাংলা বানান অভিধান অনুসারে, ‘রূপায়ণ’ বানানটি শুদ্ধ।

রূপায়ণ শব্দটির অর্থ -

১. মূর্তি বা আকার দান, রূপদান।

২. বাস্তবে পরিণতকরণ।

৪০০. ”যিনি অধিক কথা বলেন না”-- এক কথায় কী হবে?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - হোয়াংহো- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”যিনি অধিক কথা বলেন না”-- এক কথায় হবে- মিতভাষী।

'অল্প কথা বলেন যিনি' অথবা 'অধিক কথা বলেন না যিনি' এক কথায় মিতভাষী বা স্বল্পভাষী বলে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖অল্পভাষী, মিতভাষী - অল্প কথা বলে এমন; মিতবাক।

অপশনে দুটি একই রকম শব্দ থাকায় বাতিল করা হয়েছে।

৪০১. ”সাপের খোলস” বাক্য সংকোচন কী হবে?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - হোয়াংহো- ০৮.১১.১৩ 📖 ১২তম বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন পরীক্ষা-(স্কুল/সমপর্যায়)-১২.০৬.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”সাপের খোলস” বাক্য সংকোচন হবে- নির্মোক।

কৃত্তি এর বিশেষ্য পদ হলো বাঘছাল, চর্ম, পশুচর্ম, ভুর্জ গাছের ছাল। প্লাবক এর বিশেষ্য পদ- প্লাবনকারী। এবং বিশেষণ পদ- প্লাবনকর।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖নির্মোক (বিশেষ্য) - সাপের খোলস। 

উরগ, উরঙ্গ, উরঙ্গম - (বিশেষ্য) বুকে ভর দিয়ে চলে যে; সর্প যা সাপের সমার্থক শব্দ।

কৃত্তি - পশুর চামড়া বা ত্বক এবং প্লাবক - প্লাবী

৪০২. ”সৌভাগ্যের বিষয়” কোন বাগধারা দিয়ে প্রকাশ করা হবে?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - হোয়াংহো- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”সৌভাগ্যের বিষয়" বাগধারা দিয়ে প্রকাশ করা হয়- একাদশে বৃহস্পতি।

'একাদশে বৃহস্পতি' বাগধারাটির অর্থ সৌভাগ্যের বিষয়। 'গোঁফ খেজুরে' বাগধারাটির অর্থ 'নিতান্ত অলস'।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖একাদশে বৃহস্পতি বাগধারাটির অর্থ - সৌভাগ্যের বিষয়, 

অদৃষ্টের পরিহাস বাগধারাটির অর্থ - ভাগ্যের নিষ্ঠুরতা। 

'গোঁফ-খেজুরে' বাগধারাটির অর্থ নিতান্তই অলস।

৪০৩. ”নীলাকাশ” কোন সমাস?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - হোয়াংহো- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”নীলাকাশ” কর্মধারয় সমাস।

যেখানে বিশেষণ বা বিশেষণ ভাবাপন্ন পদের সাথে বিশেষ্য বা বিশেষ্য ভাবাপন্ন পদে সমাস হয় এবং পরপদের অর্থ প্রাধান রূপে প্রতীয়মান হয় তাকে কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন : নীল যে আকাশ = নীলাকাশ ‌

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖যেখানে বিশেষণ বা বিশেষণভাবাপন্ন পদের সাথে বিশেষ্য বা বিশেষ্যভাবাপন্ন পদের সমাস হয় এবং পরপদের অর্থই প্রধান রূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন - নীল যে আকাশ = নীলাকাশ। 

নীল যে পদ্ম = নীলপদ্ম। 

রক্ত যে কমল = রক্তকমল। 

কাঁচা অথচ মিঠা = কাঁচামিঠা। 

যিনি জজ তিনিই সাহেব = জজ সাহেব।

৪০৪. ”বিষবৃক্ষ” কোন সমাস?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - হোয়াংহো- ০৮.১১.১৩ 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2005➯A ইউনিট 📖 বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়➟2014➯B ইউনিট

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ০

ব্যাখ্যাঃ

🔖”বিষবৃক্ষ" কর্মধারয় সমাস।

যেখানে বিশেষণ বা বিশেষণ ভাবাপন্ন পদের সাথে বিশেষ্য বা বিশেষ্য ভাবাপন্ন পদের সমাস হয় এবং পরপদের অর্থ প্রধান রূপে প্রতীয়মান হয় তাকে কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন : নিল যে পদ্ম = নীল পদ্ম।

৪০৫. ”শতাব্দী” কোন সমাস?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - হোয়াংহো- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ০

ব্যাখ্যাঃ

🔖”শতাব্দী” দ্বিগু সমাস। শত অব্দের সমাহার = শতাব্দী।

সমাহার বা মিলন অর্থে সংখ্যাবাচক শব্দের সঙ্গে বিশেষ্য পদে সমাস হয় তাকে দ্বিগু সমাস বলে। যেমন : তিন মাথার সমাহার = তেমাথা ইত্যাদি।

৪০৬. ”স্বাগত” শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - হোয়াংহো- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”স্বাগত” শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ = সু + আগত।

উ-কার কিংবা ঊ-কারের পর উ-কার ও ঊ-কার ভিন্ন অন্য থাকলে উ বা এ স্থানে ব ফলা হয় এবং লেখার সময় ব ফলা পূর্ববর্তী বর্ণের সাথে লেখা হয়। যেমন : তনু + ঈ = তন্বী, অনু + এষণ= অন্বেষণ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖স্বাগত - সু + আগত। স্বাগত - শুভাগত; অভ্যর্থিত অতিথি।

৪০৭. ”বিচ্ছেদ” শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - হোয়াংহো- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”বিচ্ছেদ” শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ = বি + ছেদ।

স্বরধ্বনির পর ছ থাকলে উক্ত ব্যঞ্জনধ্বনি দ্বিত্ব (চ্ছ) হয়। যেমন : বি + ছেদ = বিচ্ছেদ, পরি + ছদ = পরিচ্ছদ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖“বিচ্ছেদ” শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ হচ্ছে - বি + ছেদ। এরূপ, পরিচ্ছেদ - পরি + ছেদ।

৪০৮. ”উন্নত” শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - হোয়াংহো- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”উন্নত” শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ- উৎ + নত।

ব্যঞ্জন + ব্যঞ্জন সাধিত সন্ধি। ব্যঞ্জন + ব্যঞ্জন সন্ধির নিয়ম যুক্তবর্ণ থাকলে প্রথমটির জন্য ৎ হয় এবং যুক্তবর্ণের পরেরটি পরে বসে। যেমন: উন্নত = উৎ + নত।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖উৎ + নত = উন্নত 

উৎ + নীত = উন্নীত 

উৎ + নয়ন = উন্নয়ন 

উৎ + যোগ = উদ্যোগ

৪০৯. ”বৃষ্টি” শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?

প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - হোয়াংহো- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”বৃষ্টি” শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ বৃষ + তি।

ষ-এর পরী ত্ বা থ্ থাকলে যথাক্রমে ত্ ও থ্ স্থানে ট ও ঠ হয়। যেমন : বৃষ + তি = বৃষ্টি, কৃষ + তি = কৃষ্টি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖ষ্‌ এর পরে ত্‌ বা থ্‌ থাকলে ত্‌ ও থ্‌ স্থানে যথাক্রমে ট ও ঠ হয়। যেমন- 

বৃষ্টি - বৃষ্‌ + তি 

 কৃষ্টি - কৃষ্‌ + তি 

 ষষ্ঠ - ষষ্‌ + থ

৪১০. হে বঙ্গ, ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন;- তা সবে, (অবোধ আমি!) অবহেলা করি, পর-ধন-লোভে মত্ত, করিনু ভ্রমণ পরদেশে, ভিক্ষাবৃত্তি কুক্ষণে আচরি। এই পঙ্‌ক্তিটি কোন কবির রচনা?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -বসন্ত- ১৩.০৮.১০ 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2012➯C ইউনিট 📖 জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী(সিভিল)-২৪.০৪.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ০

ব্যাখ্যাঃ

🔖মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত ঊনবিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাঙালি কবি ও নাট্যকার এবং প্রহসন রচয়িতা। তাকে বাংলার নবজাগরণ সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব গণ্য করা হয়। ব্রিটিশ ভারতের যশোর জেলার এক সম্ভ্রান্ত কায়স্থ বংশে জন্ম হলেও মধুসূদন যৌবনে খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করে মাইকেল মধুসূদন নাম গ্রহণ করেন এবং পাশ্চাত্য সাহিত্যের দুর্নিবার আকর্ষণবশত ইংরেজি ভাষায় সাহিত্য রচনায় মনোনিবেশ করেন। জীবনের দ্বিতীয় পর্বে মধুসূদন আকৃষ্ট হন নিজের মাতৃভাষার প্রতি। এই সময়েই তিনি বাংলায় নাটক, প্রহসন ও কাব্যরচনা করতে শুরু করেন। মাইকেল মধুসূদন বাংলা ভাষায় সনেট ও অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 ▣ আলোচ্য পঙ্কতিটি মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত 'বঙ্গভাষা' কবিতা থেকে নেয়া হয়েছে।

❏ 'বঙ্গভাষা' কবিতাটি একটি সনেট এবং এটি কবির ''চতুর্দশপদী কবিতাবলী''র অন্তর্ভূক্ত।

▣ বঙ্গভাষা

মাইকেল মধুসূদন দত্ত

▣ "হে বঙ্গ, ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন;--

তা সবে, (অবোধ আমি!) অবহেলা করি,

পর-ধন-লোভে মত্ত, করিনু ভ্রমণ

পরদেশে, ভিক্ষাবৃত্তি কুক্ষণে আচরি।

কাটাইনু বহু দিন সুখ পরিহরি।

অনিদ্রায়, নিরাহারে সঁপি কায়, মনঃ,

মজিনু বিফল তপে অবরেণ্যে বরি;--

কেলিনু শৈবালে; ভুলি কমল-কানন!

▣ স্বপ্নে তব কুললক্ষ্মী কয়ে দিলা পরে--

“ওরে বাছা, মাতৃকোষে রতনের রাজি,

এ ভিখারী-দশা তবে কেন তোর আজি?

যা ফিরি, অজ্ঞান তুই, যা রে ফিরি ঘরে!”

পালিলাম আজ্ঞা সুখে; পাইলাম কালে

মাতৃ-ভাষা-রূপে খনি, পূর্ণ মণিজালে॥"

৪১১. 'শ্রীকান্ত' শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত একটি --

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -বসন্ত- ১৩.০৮.১০ 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2007➯E ইউনিট

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ০

ব্যাখ্যাঃ

🔖শ্রীকান্ত শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত একটি জীবনচরিত মূলক উপন্যাস। তিনি এই উপন্যাসটি মোট চার খণ্ডে সমাপ্ত করেন। চারটি খণ্ড একসাথে লেখেন নি। যথাক্রমে ১৯১৭, ১৯১৮, ১৯২৭ এবং ১৯৩৩ সালে চারটি খণ্ড লেখা শেষ করেন। শ্রীকান্ত উপন্যাসে প্রধান চরিত্র শ্রীকান্ত। এছাড়া এখানে অসংখ্য নরনারীর সমাবেশ ঘটেছে। উপন্যাসের মূল চরিত্র শ্রীকান্ত-রাজলক্ষ্মী। শ্রীকান্ত-রাজলক্ষ্মীর পাশাপাশি শ্রীকান্তের সঙ্গে সম্পর্কিত প্রথম পর্বের ইন্দ্রনাথ ও অন্নদাদিদি, দ্বিতীয় পর্বের অভয়া, তৃতীয় পর্বের ব্রজানন্দ ও সুনন্দা এবং চতুর্থ পর্বের গহর ও কমললতার হার্দিক ও সামাজিক সম্পর্কের বহু বর্ণিল বিষয় এতে চিত্রিত হয়েছে। সেই সঙ্গে তৎকালীন বাংলার আর্থ-সামাজিক অবস্থারও একটি বাস্তবানুগ চিত্র এতে অঙ্কিত হয়েছে। শ্রীকান্ত চরিত্রটির মধ্য দিয়ে লেখকের ব্যক্তিজীবন বহুলাংশে প্রতিফলিত হয়েছে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝  'শ্রীকান্ত' উপন্যাস:

❏ 'শ্রীকান্ত' শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের আত্মজৈবনিক উপন্যাস।

❏ শ্রীকান্ত উপন্যাসটি ৪টি খণ্ডে প্রকাশিত হয়।

❏ প্রথম খণ্ড মাসিক 'ভারতবর্ষে' (১৯১৬-১৭) 'শ্রীকান্তের ভ্রমণ কাহিনী নামে প্রকাশ পায়।

❏ লেখকের নাম মুদ্রিত হয় 'শ্রীশ্রীকান্ত শর্মা'।

❏ ২য় ও ৩য় খণ্ডও মাসিক 'ভারতবর্ষে' প্রকাশিত হয়।

❏ তবে ৪র্থ খণ্ড প্রকাশিত হয় 'বিচিত্র' পত্রিকায়।

❏ উল্লেখযোগ্য চরিত্র - শ্রীকান্ত, ইন্দ্রনাথ, রাজলক্ষ্মী, অন্নদিদি।

▣ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত অন্যান্য উপন্যাস:

❏ চরিত্রহীন,

❏ পণ্ডিতমশাই,

❏ পল্লীসমাজ,

❏ দেবদাস,

❏ শ্রীকান্ত,

❏ পরিণীতা,

❏ বিরাজবৌ,

❏ দত্তা,

❏ চরিত্রহীন,

❏ বামুনের মেয়ে,

❏ শেষ প্রশ্ন,

❏ দেনাপাওনা,

❏ পথের দাবী,

❏ বিপ্রদাস ইত্যাদি।

৪১২. 'পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়' নাটকটির রচয়িতা কে?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -বসন্ত- ১৩.০৮.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖কবিতা এবং কথাসাহিত্যে খ্যাতি অর্জন করলেও নাটকে বিশেষ করে কাব্যনাটকে সৈয়দ শামসুল হকের আগ্রহ ও সাফল্য ঈর্ষণীয়।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানপন্থিদের বিশ্বাসে ও আস্থায় একসময় ফাটল ধরে; ভাঙনের শব্দ কানে আসে তাদের। চোখের সামনে দেখতে পায় মুক্তিকামী মানুষের জয়বারতার ইশারা। চারিদিকে স্বাধীনতার হাতছানি। নাট্যনির্মাতা ও কবি সৈয়দ শামসুল হক ওই শব্দের আওয়াজ তাঁর পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় গ্রন্থে ধারণ করেছের শিল্পীর অনুভবের উদারতায়। পাত্রপাত্রীর সত্য-উপলব্ধির মধ্য দিয়ে তা প্রকাশ করেছেন। নাটকে বিবৃত সমাজের অধিপতি ও সুবিধাভোগী-পাকিস্তানপন্থী মাতবর যেন শুনতে পায় ওই ভাঙনের আওয়াজ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 ▣ পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় সৈয়দ শামসুল হক রচিত একটি কাব্যনাট্য |

❏ এখানে মুক্তিযুদ্ধকে মহাকাব্যিক ব্যঞ্জনায় তুলে ধরা হয়েছে।

❏ নাটকটিতে ১৯৭১ সালের বাংলাদেশ শত্রু মুক্ত হওয়ার সময়কালে একটি প্রত্যন্ত গ্রামের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে |

❏ পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় মূলত মুক্তিযোদ্ধাদের আগমনের পদধ্বনি |

▣ তাঁর রচিত অন্যান্য কাব্যনাট্য:

❏ নুরুলদীনের সারাজীবন,

❏ এখানে এখন,

❏ গণনায়ক,

❏ বাংলার মাটি বাংলার জল ইত্যাদি।

৪১৩. "বুলবুলিতে" ধান খেয়েছে ---বাক্য নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -বসন্ত- ১৩.০৮.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ০

ব্যাখ্যাঃ

🔖বাক্যস্থিত যে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদ ক্রিয়া সম্পন্ন করে তা, ক্রিয়ার কর্তা বা কর্তৃকারক। ক্রিয়ার সঙ্গে 'কে' বা 'কারা' যোগ করে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, তা-ই কর্তৃকারক। যেমন:- খোকা বই পড়ে। (কে পড়ে? খোকা - কর্তৃকারক)। মেয়েরা ফুল তোলে। (কে তোলে? মেয়েরা - কর্তৃকারক)।

সপ্তমী বা এ বিভক্তি: গাঁয়ে মানে না, আপনি মোড়ল। দশে মিলে করি কাজ।

বাপে না জিজ্ঞাসে, মায়ে না সম্ভাষে। পাগলে কিনা বলে, ছাগলে কিনা খায়।

বাঘে-মহিষে খানা একঘাটে খাবে না। দশে মিলে করি কাজ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 ▣ পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় সৈয়দ শামসুল হক রচিত একটি কাব্যনাট্য |

❏ এখানে মুক্তিযুদ্ধকে মহাকাব্যিক ব্যঞ্জনায় তুলে ধরা হয়েছে।

❏ নাটকটিতে ১৯৭১ সালের বাংলাদেশ শত্রু মুক্ত হওয়ার সময়কালে একটি প্রত্যন্ত গ্রামের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে |

❏ পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় মূলত মুক্তিযোদ্ধাদের আগমনের পদধ্বনি |

▣ তাঁর রচিত অন্যান্য কাব্যনাট্য:

❏ নুরুলদীনের সারাজীবন,

❏ এখানে এখন,

❏ গণনায়ক,

❏ বাংলার মাটি বাংলার জল ইত্যাদি।

৪১৪. "ডাক্তার" ডাক ---বাক্য নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -বসন্ত- ১৩.০৮.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ০

ব্যাখ্যাঃ

🔖ডাক্তার ডাকো। প্রদত্ত বাক্যে ডাক্তার কর্মকারকে শূণ্য। কারণ,

যাকে আশ্রয় করে কর্তা ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকে কর্মকারক বলে। বাক্যের ক্রিয়াকে "কী/ কাকে" দিয়ে প্রশ্ন করলে কর্মকারক পাওয়া যায়। এখানে কী বা কাকে দিয়ে প্রশ্ন করলে উত্তর পাওয়া যায় ডাক্তার। তাই কর্মকারক - ডাক্তার এবং কোন বিভক্তি যুক্ত নাই বলে শূণ্য বিভক্তি। তাই সঠিক উত্তর : কর্মকারকে শূণ্য।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 যাকে আশ্রয় করে কর্তা ক্রিয়া সম্পন্ন করে তাকে কর্মকারক বলে।

বাক্যটিতে “ডাক্তার” শব্দটিকে আশ্রয় করেই কর্তার কাজ। তাই এটি কর্মকারকের উদাহরণ।

❏ প্রথমা বা শূন্য বা অ বিভক্তি: ‘ডাক্তার’ ডাক৷

❏ আমাকে একখানা ‘বই’ দাও।

৪১৫. পাপমুক্ত (পাপ হতে মুক্ত) কোন সমাস?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -বসন্ত- ১৩.০৮.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ১

ব্যাখ্যাঃ

🔖পাপমুক্ত এর সঠিক ব্যাসবাক্য হলোঃ পাপ হতে মুক্ত। যা তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাসকে নির্দেশ করে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 পঞ্চমী তৎপুরুষ সমাস:

যে সমাসে পূর্বপদে পঞ্চমী বিভক্তির (হইতে, থেকে, চেয়ে) লোপ পায় তাকে বলা হয় পঞ্চমী তৎপুরুষ সমাস।

❏ সাধারণত পুত, জাত, আগত, ভীত, গৃহীত, নিয়ত, মুক্ত, উত্তীর্ণ, চালানো, ভ্রষ্ট ইত্যাদি পরস্পরের ফলে পঞ্চমী তৎপুরুষ সমাস হয়।

যেমন-

❏ বিলাত থেকে ফেরত = বিলাতফেরত,

❏ প্রাণের চেয়ে অধিক = প্রাণাধিক,

❏ সত্য থেকে ভ্রষ্ট = সত্যভ্রষ্ট,

❏ প্রাণের চেয়ে প্রিয় = প্রাণপ্রিয়,

❏ জেল থেকে মুক্ত= জেলমুক্ত,

❏ জেল থেকে খালাস = জেলখালাস,

- পাপ হতে মুক্ত = পাপমুক্ত,

❏ আগা থেকে গোড়া = আগাগোড়া,

❏ পদ থেকে চ্যুত = পদচ্যুত প্রভৃতি।

▣ কোনো কোনো সময় পঞ্চমী তৎপুরুষের ব্যাসবাক্য এর চেয়ে ইত্যাদি অনুসর্গের ব্যবহার হয়।

যেমন- প্রাণের চেয়ে প্রিয় = প্রাণপ্রিয়,

পরাণের চেয়ে প্রিয় = পরাণপ্রিয় ইত্যাদি।

৪১৬. অহিনকুল (অহি ও নকুল) কোন সমাস?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -বসন্ত- ১৩.০৮.১০ 📖 35th BCS General Mar, 2015 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟1992➯গ ইউনিট

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ০

ব্যাখ্যাঃ

🔖যে সমাসে প্রতিটি সমস্যমান পদের অর্থের সমান প্রাধান্য থাকে এবং ব্যাসবাক্যে একটি সংযোজক অব্যয় (কখনো বিয়োজক) দ্বারা যুক্ত থাকে, তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে। যেমন: তাল ও তমাল= তাল-তমাল, দোয়াত ও কলম= দোয়াত-কলম। এখানে তাল ও তমাল এবং দোয়াত ও কলম- প্রতিটি পদেরই অর্থের প্রাধান্য সমস্ত পদে রক্ষিত হয়েছে।

দ্বন্দ্ব জন্য ব্যাসবাক্যে এবং, ও, আর - এই অব্যয় পদগুলো ব্যবহৃত হয়। যেমন: মাতা ও পিতা= মাতা-পিতা, অহি ও নকুল= অহিনকুল।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 পূর্বপদ ও পরপদের বিপরীত শব্দ মিলিত হয়ে যে দ্বন্দ্ব সমাস হয় তাকে বিরোধার্থক বা বিপরীতার্থক দ্বন্দ্ব সমাস বলে।

যেমন: 

❏ হিতাহিত = হিত ও অহিত,

- অহিনকুল = অহি ও নকুল, 

❏ মরাবাঁচা = মরা ও বাঁচা, 

❏ ছোটোবড়ো = ছোটো ও বড়ো, 

❏ ভালো-মন্দ = ভালো ও মন্দ,

❏ দাকুমড়া = দা ও কুমড়া, 

❏ সুখদুঃখ = সুখ ও দুঃখ, 

❏ ভোরণপোষণ = ভরণ ও পোষণ ইত্যাদি।

▣ উৎস : বাংলা একাডেমি ব্যাবহারিক ব্যাকরণ, ভাষা-শিক্ষা ও নবম-দশম শ্রেণির ব্যাকরণ।

৪১৭. 'ষোড়শ' শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -বসন্ত- ১৩.০৮.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ০

ব্যাখ্যাঃ

🔖ষোড়শ' শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ = ষট্‌ + দশ ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 ▣ 'ষোড়শ' একটি নিপাতনে সিদ্ধ ব্যঞ্জন সন্ধি।

▣ এর সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ- ষট্ + দশ = ষোড়শ।

▣ কিছু নিপাতনে সিদ্ধ ব্যঞ্জন সন্ধি হলো:

❏ মনীষা,

❏ বৃহস্পতি,

❏ আশ্চর্য,

❏ পতঞ্জলি,

❏ তস্কর,

❏ বনস্পতি,

❏ পরস্পর,

❏ একাদশ ইত্যাদি।

৪১৮. 'অধোগতি' শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -বসন্ত- ১৩.০৮.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ০

ব্যাখ্যাঃ

🔖অ- কারের পরস্থিত স্- জাত বিসর্গ এর পর ঘোষ অল্পপ্রাণ ও ঘোষ মহাপ্রাণ ব্যঞ্জনধ্বনি, নাসিক্য ধ্বনি, কিংবা অন্তস্থ য, অন্তস্থ ব, র, ল, হ থাকলে অ- কার ও স্- জাত বিসর্গ উভয়স্থলে ও- কার হয়। যেমন:

অধঃ + গতি= অধোগতি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝  বিসর্গ সন্ধির নিয়্ম:

অ - কারের পরস্থিত স্ - জাত বিসর্গ এর পর ঘোষ অল্পপ্রাণ ও ঘোষ মহাপ্রাণ ব্যঞ্জনধ্বনি, নাসিক্য ধ্বনি, কিংবা অন্তস্থ য, অন্তস্থ ব, র, ল, হ থাকলে অ - কার ও স্ - জাত বিসর্গ উভয়স্থলে ও - কার হয়। 

যেমন:

তিরঃ + ধান- তিরোধান,

তপঃ + বন= তপোবন,

অধঃ + গতি = অধোগতি ইত্যাদি।

৪১৯. কোন বানানটি শুদ্ধ?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -বসন্ত- ১৩.০৮.১০ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -করতোয়া- ২৪.০২.১২ 📖 প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে,

মরীচিকা (বিশেষ্য)

❏ সংস্কৃত শব্দ।

❏ প্রকৃতি প্রত্যয় = মরীচি+কন্‌+আ।

অর্থ: গ্রীষ্মকালের মরুভূমির তপ্ত বায়ুর ভিন্ন ভিন্ন স্তর থেকে ভিন্ন ভিন্ন মাত্রায় সূর্যরশ্মির প্রতিসরণজনিত দৃষ্টিভ্রম।

❏ মৃগতৃষ্ণিকা।

৪২০. কোনটি শুদ্ধ বানান?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -বসন্ত- ১৩.০৮.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ০

ব্যাখ্যাঃ

🔖এখানে দুইটায় শুদ্ধ হবে নিপীড়িত।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে,

নিপীড়িত (বিশেষণ)

❏ সংস্কৃত শব্দ।

অর্থ: 

❏ নির্যাতিত।

❏ নিগৃহীত।

৪২১. 'পালের গোদা'-- অর্থ কী?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -বসন্ত- ১৩.০৮.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ০

ব্যাখ্যাঃ

🔖পালের গোদা (দলের চাঁই, সর্দার): পুলিশ পালের গোঁদোকে কোর্টে চালান দিয়েছে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 ▣ 'পালের গোদা' এক কথায় প্রকাশ - সর্দার।

▣ গুরত্বপূর্ণ এক কথায় প্রকাশ:

ভূষণ্ডির কাক এক কথায় প্রকাশ - দীর্ঘজীবী।

বুদ্ধির ঢেঁকি এক কথায় প্রকাশ - নিরেট মূর্খ।

বক ধার্মিক/ বিড়াল তপস্বী এক কথায় প্রকাশ - ভণ্ড সাধু।

৪২২. 'যে উপকারীর উপকার স্বীকার করে' ---এক কোথায় কী হবে?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -বসন্ত- ১৩.০৮.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ০

ব্যাখ্যাঃ

🔖উপকারীর উপকার স্বীকার করে যে কৃতজ্ঞ।

উপকারীর অপকার করে যে কৃতঘ্ন।

উপকারীর উপকার স্বীকার করে না যে অকৃতজ্ঞ ।

অকৃতার্থ এর বাংলা অর্থ হলো - বিফলমনোরথ, অসফল।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 উপকারীর উপকার স্বীকার করে যে - কৃতজ্ঞ।

▣ এছাড়া,

যে উপকারীর অপকার করে এক কথায় প্রকাশ - কৃতঘ্ন।

যে উপকারীর উপকার স্বীকার করে না এক কথায় প্রকাশ - অকৃতজ্ঞ।

৪২৩. 'শিষ্টাচার' --এর সমার্থক শব্দ কোনটি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -বসন্ত- ১৩.০৮.১০ 📖 11th BCS General Oct, 1991 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -নাগালিঙ্গম- ১২.১০.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ০

ব্যাখ্যাঃ

🔖শিষ্টাচার শব্দটির সমার্থক শব্দ : সদাচার, আদব, ভদ্রতা, আদব কায়দা। ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 শিষ্টাচার (বিশেষ্য)

❏ ভদ্র ব্যবহার; নম্র আচরণ।

সদাচার - সদাচারণ।

৪২৪. 'সূর্য' --এর সমার্থক শব্দ কোনটি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -বসন্ত- ১৩.০৮.১০ 📖 ১৪তম বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন পরীক্ষা-(স্কুল/সমপর্যায়)-২৫.০৮.১৭ 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৮.০৮.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ০

ব্যাখ্যাঃ

🔖সূর্য : রবি, সবিতা, দিবাকর, দিনমনি, দিননাথ, দিবাবসু, অর্ক, ভানু, তপন, আদিত্য, ভাস্কর, মার্তণ্ড, অংশু, প্রভাকর, কিরণমালী, অরুণ, মিহির, পুষা, সূর, মিত্র, দিনপতি, বালকি, অর্ষমা

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 - 'আদিত্য' শব্দের সমার্থক শব্দ সূর্য । 

▣ এরূপ- অর্ক, রবি, তপন, সবিতা, প্রভাকর ইত্যাদি শব্দগুলোর 'সূর্য' শব্দের সমার্থক শব্দ।

❏ চন্দ্র এর অন্য সমর্থক শব্দগুলো হল: চাঁদ, সুধাংশু, সুধাকর, শশাঙ্ক, শশধর, শশী, বিধু হিমাংশু, সুধানিধি,কলানিধি ইত্যাদি।

৪২৫. 'দুশ্চরিত্র' এর সন্ধি বিচ্ছেদ ----

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖বিসর্গের পরে চ /ছ থাকলে বিসর্গের স্থানে “শ” আর ট/থ থাকলে স হয়, যেমন- দুঃ + চরিত্র = দুশ্চরিত্র।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝❐ 'দুশ্চরিত্র'-এর সন্ধি বিচ্ছেদ- 'দুঃ + চরিত্র'।

❐ 'দুশ্চরিত্র'-এর সন্ধি বিচ্ছেদ এর নিয়ম:

আগে বিসর্গ ও পরে চ্ বা ছ্ থাকলে বিসর্গ স্থানে শ্ হয়। শ্ পরের বর্ণে যুক্ত হয়।

যেমন:

❐ দুঃ + চরিত্র = দুশ্চরিত্র,

❐ নিঃ + চয় = নিশ্চয়,

❐ নিঃ + চল = নিশ্চল,

❐ নিঃ + চিহ্ন = নিশ্চিহ্ন,

❐ নিঃ + চুপ = নিশ্চুপ,

❐ দুঃ + চিন্তা = দুশ্চিন্তা,

❐ দুঃ + চেষ্টা = দুশ্চেষ্টা,

❐ নভঃ + চর = নভশ্চর,

❐ মনঃ + চক্ষু = মনশ্চক্ষু,

❐ শিরঃ + ছেদ = শিরশ্ছেদ।

৪২৬. 'চাঁদের অমাবস্যা' উপন্যাসটির রচয়িতা কে?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖কথানির্মাতা, নাট্যকার ও চিত্রশিল্পী সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ বাংলাসাহিত্যে নিজের জন্য একটি বিশেষ মনোযোগের অবস্থান তৈরি করে নিয়েছেন তাঁর প্রজ্ঞা আর সমাজনিবিড় জীবন-অভিজ্ঞানের প্রতিফলনের ভেতর দিয়ে। দেশ, আমাদের চারপাশের পরিচিত বলয়, রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় ও ঐতিহ্যিক অনুষঙ্গ তাঁর সৃজনভুবনকে শক্ত এক ভিতে দাঁড়াবার উপাদান যুগিয়েছে। তাঁর তিনটি বহুল আলোচিত উপন্যাস (‘লালসালু’, ১৯৪৮; ‘চাঁদের অমাবস্যা’, ১৯৬৪; ‘কাঁদো নদী কাঁদো’, ১৯৬৮)।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝'চাঁদের অমাবস্যা' উপন্যাসটির রচয়িতা- 'সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ'।

❐ সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ:

❐ ১৯২২ সালের ১৫ আগস্ট চট্টগ্রামের ষোলশহরে সৈয়দ বাড়িতে তাঁর জন্ম।

❐ পিতা সৈয়দ আহমদউল্লাহ ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা।

❐ ফরাসি নাগরিক এ্যান মেরির সঙ্গে ওয়ালীউল্লাহ পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন।

❐ মিসেস মেরি ওয়ালীউল্লাহ'র প্রথম উপন্যাস 'লালসালু' ফরাসি ভাষায় অনুবাদ করেন।

❐ পরবর্তীতে এটি Tree Without Roots নামে ইংরেজিতেও অনূদিত হয়।

❐ তাঁর রচিত উপন্যাস:

❐ লালসালু।

❐ চাঁদের অমাবস্যা।

❐ কাঁদো নদী কাঁদো।

❐'চাঁদের অমাবস্যা' উপন্যাস:

❐ এটি একটি মনোসমীক্ষণ মূলক রচনা |

❐ চাঁদের অমাবস্যা উপন্যাসে আরেফ আলী নামের একজন স্কুল মাস্টারকে অবলম্বন করে মানুষের অন্তর জীবনের জটিলতা উল্লেখ প্রসঙ্গে সামন্ত-সমাজ প্রভাবিত গ্রামীণ জীবনের নানা অসঙ্গতি তুলে ধরেছেন। 

❐ একটি অপরাধমূলক কাজের প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে আরিফের মনোগত ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া এই উপন্যাসের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ।

❐চাঁদের অমাবস্যা উপন্যাসের কাহিনী সংক্ষেপ:

❐ উপন্যাসে কোপন নদীর তীরবর্তী চাঁদপাড়া গ্রামের জনৈক যুবক শিক্ষিত আরেফ আলী শীতের এক উজ্জ্বল জ্যোৎস্না রাতে ঘর ছেড়ে বেরিয়েছিল প্রকৃতির প্রয়োজনে। প্রয়োজন মিটিয়ে ঘরে ফিরে না গিয়ে সে। চন্দ্রলোকিত রজনীর রূপরাশিতে মোহাবিষ্ট হয়। হঠাৎ ছায়া শরীরের আকর্ষণে সে গ্রামের পথে বেরিয়ে পড়ে।

❐ বাঁশঝাড়ে নিহত এক রমণীর লাশ দেখে সে ঘটনাটি আরেফ আলীর মনোলোকে আলোড়ন তোলে।

❐ প্রকৃত ব্যাপরটি ছিল আরেফ আলী গ্রামের যে বড়বাড়িতে আশ্রিত গৃহশিক্ষক সেই বড়বাড়িরই অন্যতম কর্তাপুরুষ কাদের আলী নিম্ন শ্রেণির এক রমণীকে সম্ভোগের উদ্দেশ্যে বাঁশঝাড়ে যায়; আরেফ সেই কাদেরকেই অনুসরণ করেছিল। আরফের পদশব্দে ভয় পেয়ে কাদের রমণীটিকে গলাটিপে হত্যা করে।

❐ উপন্যাসের সিংহভাগ ব্যয়িত হয়েছে আরেফ আলীর মনে উক্ত ঘটনার প্রতিক্রিয়া বর্ণনায়। শেষ পর্যন্তই ঘটনাটি সে প্রথমে দাদাসাহেবকে এবং পরে পুলিশকে জানায়।

❐ তাঁর রচিত গল্পগ্রন্থ:

❐ নয়নচারা।

❐ দুই তীর ও অন্যান্য গল্প।

❐ তাঁর রচিত নাটক:

❐ বহিপীর।

❐ তরঙ্গভঙ্গ।

❐ সুড়ঙ্গ।

৪২৭. 'দোলন চাপা' কাব্যগ্রন্থটির রচয়িতা কে?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖"দোলনচাঁপা "বিংশ শতাব্দির প্রথমার্ধের অন্যতম জনপ্রিয় বাঙালি কবি কাজী নজরুল ইসলামের দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ। এটি ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে (আশ্বিন, ১৩৩০ বঙ্গাব্দ) আর্য পাবলিশি হাউস থেকে প্রকাশিত হয়। ১৯২২ খ্রিস্টাব্দের দুর্গাপূজোর আগে ধুমকেতু পত্রিকায় নজরুলের ‘আনন্দময়ীর আগমনে’ নামে বিদ্রোহাত্মক কবিতাটি প্রকাশের জন্য তাঁকে রাজদ্রোহের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। অভিযুক্ত কবিকে ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দের ১৬ জানুয়ারি এক বৎসর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে প্রেসিডেন্সি জেলে রাখা হয়। এই সময় দোলনচাঁপা কাব্যের কবিতাগুলি রচিত হয়। জেল কর্তৃপক্ষের অগোচরে পবিত্র গঙ্গোপাধ্যায় ওয়ার্ডারদের সাহায্যে তাঁর সব কবিতাই বাইরে নিয়ে আসেন। কবির নির্দেশমত আর্য পাবলিশি হাউস এ কবিতাগুলো দিয়ে দোলনচাঁপা প্রকাশ করে। প্রথম সংস্করণ এই কাব্যগ্রন্থে ১৯টি কবিতা ছিল। সূচিপত্রের আগে মুখবন্ধরূপে সংযোজিত কবিতা "আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে" ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ খ্রিস্টাব্দ) জ্যৈষ্ঠ মাসের কল্লোল পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। দোলনচাঁপা কাব্যগ্রন্থের পরবর্তী সংস্করণে ৫০ টি কবিতা সংকলিত হয়।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝❐ 'দোলন-চাঁপা'- কাজী নজরুল ইসলামের একটি কাব্যগ্রন্থ।

❐ 'দোলন-চাঁপা' কাব্যগ্রন্থ:

❐ অক্টোবর, ১৯২৩ সালে এটি প্রকাশিত হয়। কবি তখন রাজবন্দী ছিলেন।

❐ এতে ২১টি কবিতা আছে। প্রথম কবিতা- আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে। 

❐ ১৩৩০ বঙ্গাব্দের আশ্বিনে (অক্টোবর ১৯২৩) এটি প্রকাশিত হয়।

❐ দোলন-চাঁপা কাব্য গ্রন্থের প্রথম কবিতা আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে।  

❐ দোলন-চাঁপা কাব্য গ্রন্থটি ২১টি কবিতার সংকলন।

❐ দোলন-চাঁপা কাব্য গ্রন্থটি মূলত প্রেম - প্রধান কবিতার বই।

❐ তাঁর রচিত অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ:

❐ অগ্নি-বীণা,

❐ বিষের বাঁশি,

❐ ভাঙার গান,

❐ সাম্যবাদী,

❐ সর্বহারা,

❐ ফণি-মনসা,

❐ জিঞ্জির,

❐ সন্ধ্যা,

❐ প্রলয় শিখা ইত্যাদি।

৪২৮. 'রক্তকরবী' নাটকটির রচয়িতা কে?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০ 📖 রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়➟2011➯A6 ইউনিট 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -বসন্ত- ১৩.০৮.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖“রক্তকরবী” রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাংকেতিক নাটক। নাটকটি বাংলা ১৩৩০ সনের শিলং-এর শৈলবাসে রচিত। তখন এর নামকরণ হয়েছিল যক্ষপুরী। ১৩৩১ সনের আশ্বিন মাসে যখন প্রবাসীতে প্রকাশিত হয় তখন এর নাম হয় রক্তকরবী। মানুষের অসীম লোভ কীভাবে জীবনের সব সৌন্দর্য ও স্বাভাবিকতাকে অস্বীকার করে মানুষকে নিছক যন্ত্র ও উৎপাদনের প্রয়োজনীয় উপকরণে পরিণত করেছে এবং এর ফলে তার বিরুদ্ধে মানুষের প্রতিবাদ কীরূপ ধারণ করেছে এরই প্রতিফলন ঘটেছে এ নাটকটিতে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত নাটক। এটি ১৯২৬ সালে প্রকাশিত হয়।

৪২৯. কোনটি শুদ্ধ বানান?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০ 📖 কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়➟2013➯C ইউনিট 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -জবা- ১১.০৯.০৯

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖অভ্যন্তরীণ - [বিশেষণ পদ] ভিতরে আছে এমন, মানসিক, মধ্যবর্তী।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖বাংলা একাডেমী অভিধান অনুসারে অভ্যন্তরীণ বানানটি সঠিক।

৪৩০. কোনটি শুদ্ধ বানান?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -ড্যাফোডিল- ১২.১০.১২ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -রাজশাহী বিভাগ- ১৮.০৪.০৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖গৃহিণী - [বিশেষ্য পদ] গৃহকর্ত্রী, গিন্নী, পত্নী, ভার্যা। [গৃহ+ইন্‌+ঈ]। ,

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖গৃহিণী (বিশেষ্য) 

১ গৃহকর্ত্রী।

২ পত্নী; স্ত্রী।

❏(পুংলিঙ্গ) গৃহী।

গৃহিণীপনা (বিশেষ্য) 

১ গৃহিণীর দায়িত্ব পালনে দক্ষতা।

২ গৃহিণীর আচরণ।

৩ (ব্যঙ্গার্থ) অল্পবয়স্কা বালিকার পাকামি অথবা গৃহিণীসুলভ ব্যবহার; অল্পবয়সীর প্রবীণার ন্যায় আচরণ।

৪৩১. 'নাবিক'এর সন্ধি বিচ্ছেদ ----

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖ঔ + অন্য স্বরবর্ণ = আব্‌[ , উদাহরণ: নাবিক = নৌ + ইক

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝❐'নাবিক'-এর সন্ধি-বিচ্ছেদ- 'নৌ + ইক'।  

❐ 'নাবিক'-এর সন্ধি-বিচ্ছেদ এর নিয়ম:

এ, ঐ, ও, ঔ-কারের পর এ, ঐ স্থানে অয়, আয় এবং ও, ঔ স্থানে যথাক্রমে অব ও আব হয়।

যেমন-

গৈ + অক = গায়ক,

নে + অন = নয়ন,

নৈ + অক = নায়ক,

পো + অন = পবন,

গো + এষণা = গবেষণা,

নৌ + ইক = নাবিক,

পো + ইত্র = পবিত্র,

গো + আদি = গবাদি ইত্যাদি।

৪৩২. যে যে পদে সমাস হয় তাদের প্রত্যেকটির নাম কি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০ 📖 ৭ম বেসরকারি প্রভাষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন পরিক্ষা-০২.১২.১১ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -পদ্মা- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত অর্থসম্বন্ধযুক্ত একাধিক পদের একটি পদে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়াকে সমাস বলে। বাংলা ভাষায় যে সকল প্রক্রিয়ায় নতুন পদ বা শব্দ তৈরি হয় সমাস তার একটি। সমাসের রীতি সংস্কৃত থেকে বাংলায় এসেছে। যেমন: দোয়াত ও কলম = দোয়াতকলম, পীত অম্বর যার = পীতাম্বর (শ্রীকৃষ্ণ)।

সমাসের প্রক্রিয়ায় সমাসবদ্ধ বা সমাসনিষ্পন্ন পদটিকে বলে সমস্ত পদ। যেমন: এখানে দোয়াতকলম, পীতাম্বর হলো সমস্ত পদ।

সমস্ত পদ কতগুলো পদের মিলিত রুপ, এই প্রতিটি পদকে বলে সমস্যমান পদ।

সমস্ত পদকে বিস্তৃত করে যে বাক্যাংশ পাওয়া যায় তাকে বলে সমাসবাক্য, ব্যাসবাক্য বা বিগ্রহবাক্য।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖সমাসের জন্য প্রয়োজনীয় কয়েকটি সংজ্ঞাঃ

ব্যাসবাক্যঃ যে বাক্যাংশ থেকে সমাসের মাধ্যমে নতুন শব্দ তৈরি হয়, তাকে বলা হয় ব্যাসবাক্য। একে সমাসবাক্য বা বিগ্রহবাক্যও বলা হয়।

সমস্ত পদঃ ব্যাসবাক্য থেকে সমাসের মাধ্যমে যে নতুন শব্দ তৈরি হয়, তাকে বলা হয় সমস্ত পদ।

সমস্যমান পদঃ ব্যাসবাক্যের যে সব শব্দ সমস্ত পদে অন্তর্গত থাকে, সমস্ত পদের সেই সব শব্দকে সমস্যমান পদ বলে। অর্থাৎ যে যে পদে সমাস হয় তাদের প্রত্যেকটির নাম সমস্যমান পদ।

পূর্বপদঃ সমস্ত পদের প্রথম অংশ/ শব্দকে পূর্বপদ বলে। অর্থাৎ, সমস্ত পদের প্রথম সমস্যমান পদই পূর্বপদ।

পরপদ / উত্তরপদঃ সমস্ত পদের শেষ অংশ / শব্দকে পরপদ / উত্তরপদ বলে। অর্থাৎ, সমস্ত পদের শেষ সমস্যমান পদই পরপদ।

যেমন, সিংহ চিহ্নিত আসন = সিংহাসন।

এখানে ব্যাসবাক্য হলো- ‘সিংহ চিহ্নিত আসন’।

আর সমস্ত পদ হলো ‘সিংহাসন’। সমস্যমান পদ হলো ‘সিংহ’ আর ‘আসন’। এদের মধ্যে ‘সিংহ’ পূর্বপদ, আর ‘আসন’ পরপদ।

৪৩৩. যে সমাসে পূর্ব পদের বিভক্তির লোপ হয় না তাকে বলে---

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০ 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2013➯গ ইউনিট 📖 জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়➟2009➯G ইউনিট

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖যে সমাসে সমস্যমান পদ দ্বারা সমাস-বাক্য হয় না, অন্য পদের দ্বারা সমস্ত পদের অর্থ প্রকাশ করতে হয়, তাকে নিত্য সমাস বলে। তদর্থবাচক ব্যাখ্যামূলক শব্দ বা বাক্যাংশ যোগে এগুলোর অর্থ বিশদ করতে হয়। যেমন: কেবল তা = তন্মাত্র, অন্য গ্রাম = গ্রামান্তর।

প্র[, পরা প্রভৃতি ২০টি উপসর্গের সাথে কৃৎ প্রত্যয়সাধিত বিশেষ্য পদের সমাস হলে, তাকে প্রাদি সমাস বলে। যেমন: সম্ (সম্যক্) যে আদর = সমাদর, প্র (প্রকৃষ্ট) যে বচন = প্রবচন।

যে সমাসে প্রতিটি সমস্যমান পদের অর্থের সমান প্রাধান্য থাকে এবং ব্যাসবাক্যে একটি সংযোজক অব্যয় (কখনো বিয়োজক) দ্বারা যুক্ত থাকে, তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে।

যে সমাসে সমস্যমান পদের বিভক্তি লোপ পায় না, তাকে অলুক সমাস বলে। যেমন: দুধে-ভাতে, জলে-স্থলে, দেশে-বিদেশে, হাতে-কলমে, ঘোড়ার ডিম, মাটির মানুষ, মামার বাড়ি, গায়ে পড়া, গায়ে হলুদ, হাতেখড়ি, মুখে-ভাত, কানে-কলম ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝❐ অলুক অর্থ হলো বিভক্তি লোপ পাবে না অর্থাৎ ব্যাসবাক্যে এবং সমস্ত পদে বিভক্তি বজায় থাকবে।

❐যে দ্বন্দ্ব সমাসে কোনো সমস্যমান পদের বিভক্তি লোপ পায় না, তাকে অলুক দ্বন্দ্ব বলে। 

যেমন: দুধে-ভাতে, জলে-স্থলে, দেশে-বিদেশে, হাতে-কলমে।

❐যে তৎপুরুষ সমাসে পূর্বপদের দ্বিতীয়া বিভক্তি লোপ হয় না, তাকে অলুক তৎপুরুষ সমাস বলে। 

যেমন- গায়ে পড়া = গায়েপড়া, ঘিয়ে ভাজা = ঘিয়েভাজা, কলে ছাঁটা = কলেছাঁটা, কলের গান = কলেগান, গরুর গাড়ি = গরুগাড়ি ইত্যাদি।

❐যে বহুব্রীহি সমাসে পূর্ব বা পরপদের কোনো পরিবর্তন হয় না তাকে অলুক বহুব্রীহি বলে। অলুক বহুব্রীহি সমাসে সমস্ত পদটি বিশেষণ হয়। 

যথা- মাথায় পাগড়ি যার = মাথায়পাগড়ি, গলায় গামছা যার = গলায়গামছা।

৪৩৪. 'ঢাকের কাঠি' বাগধারার অর্থ ---

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০ 📖 22nd BCS General Feb, 2001 📖 ৫ম বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস প্রিলিমিনারী পরীক্ষা, .১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖ঢাকের কাঠি (খোশামোদকারী, চাটুকার):-ক্ষমতাসীনদের চারপাশে ঢাকের কাঠি লোকদের ভিড় জমে যায়।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝❐ 'ঢাকের কাঠি' বাগধারার অর্থ- 'তোষামুদে'।

❐ গুরুত্বপূর্ণ কিছু বাগধারা:

'কচু বনের কালাচাঁদ' বাগধারার অর্থ- 'অপদার্থ'।

'ঢাকের বাঁয়া' বাগধারার অর্থ- 'যার কোন মূল্য নেই'।

'নারকের ঢেঁকি' বাগধারার অর্থ- 'বিবাদের বিষয়'।

'সোনার কাঠি রূপার কাঠি' বাগধারার অর্থ- 'বাঁচামরার লড়াই'।

'তাসের ঘর' বাগধারার অর্থ- 'ক্ষণস্থায়ী'।

'চোখের বালি' বাগধারার অর্থ- 'চক্ষুশূল'।

'গুড়ে বালি' বাগধারার অর্থ- 'আশায় নৈরাশ্য'।

৪৩৫. নীল আকাশের নিচে আমি "রাস্তা " চলেছি একা---বাক্যে উদ্ধত শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖করণ' শব্দের অর্থ: যন্ত্র, সহায়ক বা উপায়। ক্রিয়া সম্পাদনের যন্ত্র, উপকরণ বা সহায়ককেই করণ কারক বলা হয়।

বাক্যস্থিত ক্রিয়াপদের সঙ্গে 'কিসের দ্বারা' বা 'কী উপায়ে' প্রশ্ন করলে যে উত্তরটি পাওয়া যায়, তা-ই করণ কারক। যেমন-নীরা কলম দিয়ে লেখে। (উপকরণ - কলম)'জগতে কীর্তিমান হয় সাধনায়। ' (উপায় - সাধনা)

প্রথমা বা শূণ্য বা অ বিভক্তি: ছাত্ররা বল খেলে। (অকর্মক ক্রিয়া)

ডাকাতেরা গৃহস্বামীর মাথায় লাঠি মেরেছে।

কৃষক লাঙ্গল চষছে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝❐ করণ কারক:

❐ যার দ্বারা বা যে উপায়ে কর্তা ক্রিয়া সম্পাদন করে, তাকে করণ কারক বলে। 

❐ এই কারকে সাধারণত দ্বারা’, “দিয়ে, কর্তৃক ইত্যাদি অনুসর্গ যুক্ত হয়।

❐ বাক্যের ক্রিয়াপদকে ‘কার দ্বারা' বা 'কী উপায়ে' জিজ্ঞাসা করলে যে উত্তর পাওয়া যায় তা-ই করণ কারক।

যেমন ⇢

- নীল আকাশের নিচে আমি রাস্তা চলেছি একা।

৪৩৬. "নৌকায়" নদী পার হলাম---বাক্যে নৌকায় শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖করণ' শব্দের অর্থ: যন্ত্র, সহায়ক বা উপায়। ক্রিয়া সম্পাদনের যন্ত্র, উপকরণ বা সহায়ককেই করণ কারক বলা হয়।

বাক্যস্থিত ক্রিয়াপদের সঙ্গে 'কিসের দ্বারা' বা 'কী উপায়ে' প্রশ্ন করলে যে উত্তরটি পাওয়া যায়, তা-ই করণ কারক। যেমন-নীরা কলম দিয়ে লেখে। (উপকরণ - কলম)'জগতে কীর্তিমান হয় সাধনায়। ' (উপায় - সাধনা)

প্রথমা বা শূণ্য বা অ বিভক্তি: ছাত্ররা বল খেলে। (অকর্মক ক্রিয়া)

ডাকাতেরা গৃহস্বামীর মাথায় লাঠি মেরেছে।

কৃষক লাঙ্গল চষছে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝নৌকায় নদী পার হলাম'

❐ করণ কারক:

❐ করণ শব্দটির অর্থ - যন্ত্র, সহায়ক, উপায়। 

❐ ক্রিয়া সম্পাদনের যন্ত্র, উপকরণ বা সহায়ককেই বলে করণ কারক। কীসের দ্বারা বা কী উপায়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায় তাই করণ কারক।

যেমন - 

‘নৌকায় নদী পার হলাম’ - এই বাক্যে কিসের দ্বারা বা কী উপায়ে প্রশ্ন করলে উত্তর পাওয়া যায় ‘নৌকায়’। এবং এর সাথে সপ্তমী বিভক্তি ‘য়’ যুক্ত হয়েছে।

৪৩৭. 'আনন্দ' এর সমার্থক শব্দ নয় ---

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖আনন্দ শব্দটির সমার্থক শব্দ : পুলক, হর্ষ , হরষ , আহ্লাদ, সুখ, স্ফূর্তি, ফুর্তি , সন্তোষ, পরিতোষ , উৎফুল্লতা, প্রফুল্লতা , প্রসন্নতা , আমোদ, প্রমোদ , হাসি, উল্লাস , হৃষ্টতা , মজা

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝'আনন্দ'-এর সমার্থক শব্দ- উচ্ছ্বাস, উল্লাস, স্ফুরণ।

❐'আনন্দ'-এর সমার্থক শব্দ নয়- 'শ্রান্তি'।

'শ্রান্তি' শব্দের অর্থ- বিরাম, পরিশ্রমজনিত অবসাদ, নিবৃত্তি।

❐'আনন্দ'-এর আরো কিছু সমার্থক শব্দ: 

খুশি, আমোদ, মজা, পুলক, হর্ষ, আহ্লাদ, স্ফূর্তি, সন্তোষ, পরিতোষ, প্রমোদ, উল্লাস, উচ্ছ্বাস।

৪৩৮. 'অমৃত' এর বিপরীতার্থক শব্দ ---

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০ 📖 জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়➟2010➯E ইউনিট

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖তিক্ত এর বিপরীতার্থক শব্দ- মধুর

বিরল এর বিপরীত শব্দ-বহুল

অমৃত এর বিপরীতার্থক শব্দ-গরল

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝'অমৃত'-এর বিপরীতার্থক শব্দ- 'গরল'।

❐ আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিপরীতার্থক শব্দ:

'তিক্ত' শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ - মধুর।

'অবিরল' এর বিপরীতার্থক শব্দ - বিরল।

'কুটিল' এর বিপরীতার্থক শব্দ - সরল।

'জীবিত' এর বিপরীতার্থক শব্দ - মৃত।

'হর্ষ' এর বিপরীতার্থক শব্দ - বিষাদ।

৪৩৯. যা কষ্টে লাভ করা যায় ----

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖লাভ করা বা পাওয়া যায় না এমন - অলভ্য .

যা কষ্টে লাভ করা যায় - দুর্লভ

যাকে সহজে জয় করা বা দমন করা যায় না এমন – দুর্জয়

যা শ্রমসাধ্য - কষ্টসাধ্য

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝❐ 'যা কষ্টে লাভ করা যায়' এর এক কথায় প্রকাশ- 'দুর্লভ'।

❐কিছু গুরুত্বপূর্ণ এক কথায় প্রকাশ:

❐ 'যা কষ্টে জয় করা যায়' এর এক কথায় প্রকাশ- দুর্জয়,

❐ 'প্রবেশ করার ইচ্ছা' এর এক কথায় প্রকাশ- বিবিক্ষা,

❐ 'বলার ইচ্ছা' এর এক কথায় প্রকাশ - বিবক্ষা,

❐ 'বমন করার ইচ্ছা' এর এক কথায় প্রকাশ - বিবমিষা,

❐ 'বাস করার ইচ্ছা' এর এক কথায় প্রকাশ - বিবৎসা,

❐ 'পাওয়ার ইচ্ছা' এর এক কথায় প্রকাশ- ঈপ্সা,

❐ 'জয় করার ইচ্ছা' এর এক কথায় প্রকাশ- জিগীষা,

❐ 'ভোজন করার ইচ্ছা' এর এক কথায় প্রকাশ- বুভুক্ষা,

❐ 'লাভ করার ইচ্ছা' এর এক কথায় প্রকাশ- লিপ্সা,

❐ 'দেখবার ইচ্ছা' এর এক কথায় প্রকাশ- দিদৃক্ষা,

❐ 'মুক্তি লাভে/পেতে ইচ্ছুক এর এক কথায় প্রকাশ- মুমুক্ষা।

৪৪০. 'কথা' এর সমার্থক শব্দ কোনটি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -হেমন্ত- ১৩.০৮.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖কথা শব্দটির সমার্থক শব্দ ভাষা, বচন, উক্তি, প্রসঙ্গ, বিষয়, খবর, তথ্য, বিবরণ, বৃত্তান্ত ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝উল্লেখিত প্রশ্নে 'কথা'- এর সমার্থক শব্দ বচন।

❐ অন্যান্য অপশন:

নন্দিনী' এর সমার্থক তনয়া'।

কোকিল শব্দের সমার্থক - পিক।

৪৪১. 'উত্তম' এর সমার্থক শব্দ কোনটি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -হেমন্ত- ১৩.০৮.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖উত্তম শব্দটির সমার্থক শব্দ- ভালো, হিতকর, কল্যাণকর, শ্রেষ্ঠ, উৎকৃষ্ট, প্রধান ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে,


▣ প্রধান = মুখ্য, সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ, অগ্রে গণ্য, নেতা, মোড়ল।

▣ 'দৈন্য' (বিশেষ্য) এর অর্থ = দীনতা।

▣ বিকাশ' (বিশেষ্য) এর সমার্থক: প্রকাশ, আবির্ভাব, প্রসার, বিস্তার , প্রস্ফুটন।

▣ বিভু (বিশেষ্য): আল্লাহ, ঈশ্বর, বিধাতা, আকাশ, ব্যাপক, সর্বব্যাপী।

❐ সুতরাং এখানে

৪৪২. যার আগমনের কোনো তিথি নেই ---- এক কোথায় কী?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -হেমন্ত- ১৩.০৮.১০ 📖 রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -হাসনাহেনা- ০৯.১২.১১

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖অতিথি হলো যার আগমনের কোন তিথি নেই। ভিখারি হলো যে ভিক্ষা করে এবং শরণার্থী হলো আশ্রয়ের জন্য আবেদন করে এমন। অন্যদিকে একাদশে বৃহস্পতি একটি বাগধারা যার অর্থ সৌভাগ্যের বিষয়।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝যার আগমনের কোনো তিথি নেই - এক কথায় 'অতিথি' বলে।

❐ বাকি অপশনগুলোর মধ্যে-

▣ 'একাদশে বৃহস্পতি' একটি বাগধারা।

'একাদশে বৃহস্পতি' বাগধারাটির অর্থ - সৌভাগ্যের বিষয় বা মহাসৌভাগ্য।

উদাহরণ: ব্যবসায়ে লাভ, ছেলের বিদেশ যাত্রা, এ বছর চৌধুরির একাদশে বৃহস্পতি।

৪৪৩. 'শিরে-সংক্রান্তি' --অর্থ কী?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -হেমন্ত- ১৩.০৮.১০ 📖 পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক/পরিবার কল্যাণ সহকারী-৬.১১

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝শিরে সংক্রান্তি - আসন্ন বিপদ, সামনেই বিপদ।

বাক্য গঠন: আমার এখন শিরে-সংক্রান্তি, কিভাবে সব সামলাবো তাই ভাবছি।

৪৪৪. কোন বানানটি শুদ্ধ?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -হেমন্ত- ১৩.০৮.১০ 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2008➯A ইউনিট 📖 14th BCS General Apr, 1992

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖প্রশ্নে উল্লেখিত শব্দগুলোর মধ্যে শুদ্ধ বানান বিভীষিকা; যার অর্থ- ভয় দেখানো, ভীতি প্রদর্শন ইত্যাদি।

৪৪৫. কোন বানানটি শুদ্ধ?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -হেমন্ত- ১৩.০৮.১০ 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - হোয়াংহো- ০৮.১১.১৩ 📖 স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন ~ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ~ এস্টিমেটর ~ ০২.০২.১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖প্রশ্নে উল্লেখিত শব্দগুলোর মধ্যে শুদ্ধ বানান টি হল: রূপায়ণ। এরু আরো কিছু শুদ্ধ বানান কৃপণ, হরিণ, অপর্ণ, ব্রাহ্মণ, দর্পণ, গ্রহণ ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖বাংলা একাডেমী অভিধান অনুসারে রূপায়ণ শুদ্ধ বানান।

৪৪৬. 'অত্যন্ত' এর সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -হেমন্ত- ১৩.০৮.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖সন্ধি বিচ্ছেদ এর নিয়ম অনুসারে, ই-কারের পর ই ও ঈ ভিন্ন অন্য স্বর থাকলে ই 'য' হয় এবং য-ফলা লেখার সময় পরবর্তী ব্যঞ্জন এর সাথে লেখা হয় সুতরাং অত্যন্ত = অতি + অন্ত।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝উল্লেখিত প্রশ্নের সঠিক সন্ধিবিচ্ছেদ হলো- অতি + অন্ত = অত্যন্ত।

▣ ই-কার বা ঈ-কার পর ই ও ঈ ভিন্ন অন্য স্বর থাকলে সন্ধির বেলায় পূর্ববর্তী ব্যঞ্জনবর্ণের সাথে য-ফলা লেখা হয়।

যেমন: অতি + অন্ত = অত্যন্ত, প্রতি + ঊষ = প্রত্যুষ;

৪৪৭. 'মনীষা' এর সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -হেমন্ত- ১৩.০৮.১০ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -কপোতাক্ষ- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖বাংলা ব্যাকরণে এমন কিছু সন্ধি রয়েছে যেগুলো নিয়মবহির্ভূত, কিন্তু প্রচলিত। এদেরকে নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি বলা হয়। যেমন আ + চর্য = আশ্চর্য, বৃহৎ + প্রতি = বৃহস্পতি; মনস + ঘষা = মনীষা; ষট্ + দশ = ষোড়শ ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝মনীষা একটি নিপাতনে সিদ্ধ ব্যঞ্জন সন্ধি।

এর সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ হলো- মনস্+ঈষা।

৪৪৮. বেমানান (মানানোর অভাব) কোন সমাস?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -হেমন্ত- ১৩.০৮.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖পূর্বপদে অব্যয় যোগে যে সমাস হয় এবং যাতে অব্যয়ের অর্থটিই প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে। যেমন— মানানোর অভাব= বেমানান, জলের অভাব = নির্জল ইত্যাদি। অব্যয়ীভাব সমাসে অব্যয় পদটি সমিপ্য, বীপ্সা, অভাব, যোগ্যতা, অতিক্রম, পশ্চাৎ, পর্যন্ত ইত্যাদি অর্থে ব্যবহূত হয়ে থাকে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝মানানের অভাব = বে-মানান- ইহা অব্যয়ীভাব সমাসের উদাহরণ।

❐ পূর্বপদ অব্যয়ের সাথে পরপদ বিশেষ্যের যে সমাস হয় , তাকে এই অব্যয়ীভাব সমাস বলে।

❐ অব্যয়ের অর্থই প্রধান এবং সমস্তপদটি অব্যয়ের ভাবপ্রাপ্ত হয়।

❐ নিচের উদাহরণগুলোতে কয়েকটি অব্যয়ীভাব সমাসের অব্যয় পদটি বন্ধনীর মধ্যে দেখানো হল- 

(১) সামীপ্য: কুলের সমীপে =উপকূল; নগরীর সমীপে = উপনগরী; কাঠের সমীপে = উপকণ্ঠ; অক্ষির সমীপে = সমক্ষ; দুপুরের কাছাকাছি = দুপুর নাগাদ; সকালের কাছাকাছি = সকালনাগাদ।

❐ (২) বীপ্সা (পুন: পুন: অর্থে): দিন দিন = প্রতিদিন; গৃহে গৃহে = প্রতিগৃহে; ক্ষণে ক্ষণে = অনুক্ষণ, প্রতিক্ষণ; মণে মণে = প্রতিমণ, মণপিছু; জনে জনে = জনপ্রতি, জনপিছু; জেলায় জেলায় = প্রতিজেলায়; বছর বছর = ফিবছর; রোজ রোজ= হররোজ; মাঠে মাঠে = মাঠকে-মাঠ, সনে সনে = ফি-সন. গাঁ-এ গাঁ-এ = গাঁকে-গাঁ।

❐ (৩) অনতিক্রমতা: বিধিকে অতিক্রম না করে = যথাবিধি ;উচিতকে অতিক্রম না করে = যথোচিত; এইরকম, যথাশক্তি, যথাসাধ্য, যথেচ্ছ, যথারীতি যথাযোগ্য, যথার্থ, সাধ্যমতো, যথাজ্ঞান, আয়মাফিক।

❐ (৪) অভাব: বিঘ্নের অভাব = নির্বিঘ্ন; মানানের অভাব = বে-মানান; বন্দোবস্তের অভাব = বে-বন্দোবস্ত; ভিক্ষার অভাব = দুর্ভিক্ষ; ভাতের অভাব = হাভাত; মিলের অভাব = গরমিল; ঝঞ্ঝাটের অভাব = নির্ঝঞ্ঝাট; লুনের (লবনের) অভাব = আলুনি; টকের অভাব মিষ্টির অভাব = না-টক-না-মিষ্টি; ঘরের অভাব = হা-ঘর; হায়ার অভাব = বেহায়া; মক্ষিকার অভাব = নির্মক্ষিক।

❐ (৫) পশ্চাৎ: গমনের পশ্চাৎ = অনুগমন; তাপের পশ্চাৎ = অনুতাপ; করণের পশ্চাৎ = অনুকরণ; ইন্দ্রের পশ্চাৎ = উপেন্দ্র; গৃহের পশ্চাৎ = অনুগৃহ। 

❐ (৬) সাদৃশ্য: দ্বীপের সদৃশ = উপদ্বীপ; কথার সদৃশ= উপকথা; ভাষার সদৃশ = উপভাষা; মুর্তির সদৃশ = প্রতিমুর্তি, বনের সদৃশ = উপবন; কিন্তু (হীন দেবতা = উপদেবতা); মন্ত্রীর সদৃশ = উপমন্ত্রী; রাষ্ট্রপতির সদৃশ = উপরাষ্ট্রপতি; দানের সদৃশ = অনুদান; ধ্বনির সদৃশ = প্রতিধ্বনি; লক্ষের সদৃশ = উপলক্ষ।

❐ (৭) ক্ষুদ্র অর্থে: উপ (ক্ষুদ্র) গ্রহ = উপগ্রহ; ক্ষুদ্র বিভাগ = উপবিভাগ, ক্ষুদ্র অঙ্গ = প্রত্যঙ্গ; ক্ষুদ্র শাখা = প্রশাখা; ক্ষুদ্র সাগর = উপসাগর; ক্ষুদ্র জাতি = উপজাতি; ক্ষুদ্র নদী = উপনদী।

৪৪৯. প্রাণভয় (প্রাণ যাওয়ার ভয়) কোন সমাস?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -হেমন্ত- ১৩.০৮.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖যেখানে বিশেষণ বা বিশেষণ ভাবাপন্ন পদের সাথে বিশেষ্য ব বিশেষ্য পদে সমাস হয় এবং পরপদের অর্থ প্রধান রূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে কর্মধারয় সমাস বলা হয়। এখানে প্রাণ যাওয়ার ভয় = প্রাণভয়। সুতরাং এটি কর্মধারয় সমাস।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝উল্লেখিত প্রশ্নের সঠিক সমাস হচ্ছে- প্রাণভয় = প্রাণ যাওয়ার ভয়।

❐ এটি মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস।

৪৫০. "পড়াশোনায়" মন দাও ---বাক্য নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -হেমন্ত- ১৩.০৮.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖ক্রিয়াপদকে ধরে কোথায় কোন স্থানে কখন কোন সময় কবে, কোন বিষয়ে বা ব্যাপারে এই প্রকার প্রশ্ন করলে তার উত্তরে অধিকরণ কারক পাওয়া যায়। এখানে 'পড়াশোনায় মন দাও' বাক্যে 'কোথায় বা কোন বিষয়ে মন দাও? এর উত্তরে পাওয়া যাবে 'পড়াশোনায়'। সুতরাং এটি অধিকরণ কারক। আবার এটির সাথে 'য়' থাকায় এটি সপ্তমী বিভক্তি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝উল্লেখিত বাক্যে 'পড়াশোনায়' অধিকরণ কারকে সপ্তমী।

▣ অধিকরণ কারক:

❐ ক্রিয়ার আধারকে বলা হয় অধিকরণ কারক। আধার বলতে ক্রিয়া নিষ্পন্ন হওয়ার স্থান, কাল ও ভাবকে বোঝায়।

❐ অর্থাৎ ক্রিয়া সম্পাদনের কাল এবং আধারকে বলা হয় অধিকরণ কারক।

❐ বাক্যের ক্রিয়াপদকে কোথায়, কখন ও কোনো বিষয় বোঝাতে অধিকরণ কারক হয়।

❐ অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি অর্থাৎ এ, য়, তে ইত্যাদি বিভক্তি যুক্ত হয়।

যেমন- আধার (স্থান) : আমরা প্রতিদিন কলেজে যাই। কাল (সময়) সকালে সূর্য উঠবে।

▣ 'পড়াশোনায় মন দাও' - বাক্যে অধিকরণ কারকে ৭মী বিভক্তির প্রয়োগ ঘটেছে।

বাক্যটি ক্রিয়া নিষ্পন্ন হওয়ার কালকে বোঝাচ্ছে।

এবং এতে এ বিভক্তি যুক্ত হয়েছে।

তাই বাক্যটি = অধিকরণে ৭মী প্রকাশ করেছে।

৪৫১. "টাকায়" অসাধ্য সাধন হয় ---বাক্য নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -হেমন্ত- ১৩.০৮.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖বাক্যস্থিত ক্রিয়াপদের সঙ্গে 'কি দিয়ে' 'কিসের দ্বারা' বা 'কি উপায়ে' প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায় তাই করণ কারক। সুতরাং নিম্নরেখ শব্দটি করণ কারক। আবার এটির সঙ্গে 'য়' থাকায় এটি সপ্তমী বিভক্তি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝'টাকায় অসাধ্য সাধন হয়' এখানে 'টাকায় করণে ৭মী বিভক্তি।

▣ করণ কারক:

❐ যার দ্বারা বা যার সাহায্যে ক্রিয়া সম্পাদিত হয় তাকে করণ কারক বলে।

❐ ‘করণ' শব্দের অর্থ উপায় বা সহায়।

❐ বাক্যের ক্রিয়াপদকে ‘কার দ্বারা' বা 'কী উপায়ে' জিজ্ঞাসা করলে যে উত্তর পাওয়া যায় তা-ই করণ কারক

৪৫২. 'বেদের মেয়ে' নাটকটির রচয়িয়া কে?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -হেমন্ত- ১৩.০৮.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'বেদের মেয়ে' নাটকটির রচয়িতা জসিম উদ্দিন।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝'বেদের মেয়ে' নাটকটির রচয়িতা পল্লিকবি জসীমউদ্∘দীন।

❐ এটি প্রকাশিত হয় ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দে।

▣জসীমউদ্∘দীন রচিত অন্যান্য নাটক:

❐ পদ্মাপার,

❐ বেদের মেয়ে,

❐ মধুমালা,

❐ পল্লীবধূ,

❐ গ্রামের মেয়ে ইত্যাদি।

৪৫৩. 'পদ্মানদীর মাঝি' মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত একটি ---

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -হেমন্ত- ১৩.০৮.১০ 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2007 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2003➯C ইউনিট

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖পদ্মা নদীর মাঝি (১৯৩৬) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি বিখ্যাত উপন্যাস । এটি ১৯৩৪ সাল থেকে পূর্বাশা পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। পদ্মা তীরবর্তী ধীবর জীবন উপন্যাসটির মূল উপজীব্য।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত 'পদ্মানদীর মাঝি' একটি উপন্যাস।

▣ পদ্মানদীর মাঝি:

❐ পদ্মা তীরবর্তী ধীবর- জীবন এর মূল কাহিনি।

❐ উল্লেখযোগ্য চরিত্র - কুবের, কপিলা, মালা, ধনঞ্জয়, গণেশ, শীতলবাবু, হোসেন মিঞা ইত্যাদি।

❐ উপন্যাসে "আমারে নিবা মাঝি লগে?"- বিখ্যাত সংলাপটি কপিলা, কুবের কে উদ্দেশ্য করে বলে ।

❐ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকৃত নাম প্রবোধকুমার বন্দোপাধ্যায়, ‘মানিক' তাঁর ডাকনাম।

৪৫৪. 'বৃথা ত্রাসে প্রলয়ের সিন্ধু ও দেয়া-ভার, ঐ হল পুণ্যের যাত্রীরা খেয়া পার।' ---এই উদ্ধৃতাংশটি কোন কবির রচনা?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -হেমন্ত- ১৩.০৮.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'বৃথা ত্রাসে প্রলয়ের সিন্ধু ও দেয়া ভার, ঐ হলো পণ্যের যাত্রীরা খেয়া পার'। উদ্ধৃতাংশ টি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচনা করেন।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝আলোচ্য পঙক্তিটি কাজী নজরুল ইসলামের 'অগ্নিবীণা' কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত 'খেয়া পারের তরণী' কবিতার অন্তর্গত-

❐ কবিতাটি নিম্নরূপ-

❐ খেয়া পারের তরণী

❐ কাজী নজরুল ইসলাম

❐ যাত্রীরা রাত্তিরে হতে এল খেয়া পার,

বজ্রেরি তূর্যে এ গর্জেছে কে আবার?

প্রলয়েরি আহ্বান ধ্বনিল কে বিষাণে!

ঝন্∘ঝা ও ঘন দেয়া স্বনিল রে ঈশানে!

❐ নাচে পাপ-সিন্ধুতে তুঙ্গ তরঙ্গ!

মৃত্যুর মহানিশা রুদ্র উলঙ্গ!

নিঃশেষে নিশাচর গ্রাসে মহাবিশ্বে,

ত্রাসে কাঁপে তরণীর পাপী যত নিঃস্বে।

❐ তমসাবৃতা ঘোরা ‘কিয়ামত’ রাত্রি,

খেয়া-পারে আশা নাই ডুবিল রে যাত্রী!

দমকি দমকি দেয়া হাঁকে কাঁপে দামিনী,

শিঙ্গার হুঙ্কারে থরথর যামিনী!

❐ লঙ্ঘি এ সিন্ধুরে প্রলয়ের নৃত্যে

ওগো কার তরী ধায় নির্ভীক চিত্তে➞

অবহেলি জলধির ভৈরব গর্জন

প্রলয়ের ডঙ্কার ওঙ্কার তর্জন!

❐ পুণ্য-পথের এ যে যাত্রীরা নিষ্পাপ,

ধর্মেরি বর্মে সু-রক্ষিত দিল্ সাফ!

নহে এরা শঙ্কিত বজ্র নিপাতেও

কাণ্ডারী আহ্∘মদ তরী ভরা পাথেয়।

❐ আবুবকর উস্∘মান উমর আলি হায়দর

দাঁড়ি যে এ তরণীর, নাই ওরে নাই ডর!

কাণ্ডারী এ তরীর পাকা মাঝি মাল্লা,

দাঁড়ি-মুখে সারি-গান ➞লা-শরিক আল্লাহ!

❐ ‘শাফায়ত’-পাল-বাঁধা তরণীর মাস্তুল,

‘জান্নাত্’ হতে ফেলে হুরি রাশ্ রাশ্ ফুল।

শিরে নত স্নেহ-আঁখি মঙ্গল দাত্রী,

গাও জোরে সারি-গান ও-পারের যাত্রী।

বৃথা ত্রাসে প্রলয়ের সিন্ধু ও দেয়া-ভার,

ঐ হলো পুণ্যের যাত্রীরা খেয়া পার।

৪৫৫. 'অনুগ্রহ'এর বিপরীতার্থক শব্দ -----

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -ইছামতি- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖অনুগ্রহ এর সমার্থক শব্দ দয়া, কৃপা, করুণা, সহায়তা প্রভৃতি। এর বিপরীত অর্থ নিগ্রহ, যার অর্থ শাস্তি, শাসন, দমন।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝'অনুগ্রহ' এর বিপরীতার্থক শব্দ 'নিগ্রহ'।

❐ আরও কিছু বিপরীত শব্দের উদাহরণ-

▣ ভিতর - বাহির

▣ স্বাধীন - পরাধীন

▣ ঐহিক - পারত্রিক

▣ মহত্মা - দুরাত্মা

▣ নিন্দিত - প্রশংসিত

▣ লিপ্ত - নির্লিপ্ত

▣ ভূত - ভবিষ্যৎ

▣ ধৃষ্ট - নম্র/ বিনয়ী

৪৫৬. 'অর্বাচীন'এর বিপরীতার্থক শব্দ -----

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -ইছামতি- ০৮.০১.১০ 📖 রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়➟2016➯F ইউনিট 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দানিয়ুব- ০৮.১১.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖অবার্চীন এর সমার্থক শব্দ হালের, নবীন, আধুনিক, অপরিপক্ক। এর বিপরীত শব্দ প্রাচীন, যার অর্থ পুরাতন।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝অর্বাচীন শব্দটির অর্থ হলো নবীন, নতুন ইত্যাদি৷

এর বিপরীত শব্দ হলো - প্রাচীন।

৪৫৭. 'চন্দ্র'এর সমার্থক শব্দ নয় ----

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -ইছামতি- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖চন্দ্র এর সমার্থক শব্দ- চাঁদ, নিশাকর, শশধর, হিমাংশু। অদ্রি এর সমার্থক শব্দ- পর্বত, অচল, গিরি, পাহাড়।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝চন্দ্র এর অন্য সমর্থক শব্দগুলো হল: চাঁদ, সুধাংশু, সুধাকর, শশাঙ্ক, শশধর, শশী, হিমাংশু, সুধানিধি, নিশাকর, হিমকর ইত্যাদি।

▣ অদ্রি হচ্ছে পাহাড় এর সমার্থক শব্দ।

৪৫৮. 'কেশ'এর সমার্থক শব্দ নয় ----

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -ইছামতি- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'কেশ' এর সমার্থক শব্দ- চুল, কুন্তল, অলক, চিকুর। 'ললাট' এর সমার্থক শব্দ- কপাল, ভাগ্য, অদৃষ্ট, নিয়তি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝'কেশ' এর অন্যান্য সমার্থক শব্দ: চুল, কুন্তল, অলক, চিকুর, কেশপাশ, কেশদাম, কবরী।

▣ ললাট হচ্ছে 'কপাল' এর সমার্থক শব্দ।

৪৫৯. 'আকাশ'এর সমার্থক শব্দ নয় ----

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -ইছামতি- ০৮.০১.১০ 📖 পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের ডাটা প্রসেসিং অপারেটর-১৮.১১.০২ 📖 Bangladesh Bank - Assistant Director - 2010

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'আকাশ' এর সমার্থক শব্দ- অম্বর, গগন, নভ, অন্তরীক্ষ। ভুবন এর সমার্থক শব্দ- বিশ্বজগৎ, পৃথিবী, আবাস, দেশ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝আকাশ এর কিছু সমার্থক শব্দ - অম্বর, ব্যোম, খ, গগণ, অন্তরিক্ষ, শূণ্যলোক, আসমান, দ্যূলোক, অভ্র, নীলিমা, শূণ্য নভঃ, অনন্ত, সুরপথ, অম্বরতল,খলোক, ইত্যাদি।

অন্যদিকে,

ভুবন = 'পৃথিবী' এর সমার্থক শব্দ

'পৃথিবী' এর অন্যান্য সমার্থক শব্দ- বসুন্ধরা, ক্ষিতি, অখিল, অবনী, ধরা, ধরণী, ভূ, মেদিনী ইত্যাদি।

৪৬০. কোনটি শুদ্ধ বানান?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -ইছামতি- ০৮.০১.১০ 📖 ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়➟2004➯C ইউনিট 📖 ১৩তম বেসরকারি প্রভাষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন পরিক্ষা-১৩.০৫.১৬

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖ষত্ব বিধি অনুসারে ই-স্বর ও উ-স্বরের পর ইচ্ছা অর্থে সন প্রত্যয়ের স পরিবর্তিত হয়ে প্রত্যয়ান্ত শব্দে 'ষ' হয়। যেমন- মুমূর্ষু।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝শুদ্ধ বানান - মুমূর্ষু

❐ মুমূর্ষু (বিশেষণ)

❐ সংস্কৃত শব্দ

❐ প্রকৃতি প্রত্যয় = √ম্+সন্∘+উ

❐ অর্থ: মৃত্যুকাল আসন্ন এমন, মরণাপন্ন, মৃতপ্ৰায়

৪৬১. কোনটি শুদ্ধ বানান?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -ইছামতি- ০৮.০১.১০ 📖 বাংলাদেশ রেলওয়ে ☞সহকারী স্টেশন মাস্টার ➺06-08-22

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖নিরহংকার (বিশেষণ) 

❏সংস্কৃত শব্দ।

❏প্রকৃতি প্রত্যয় = নির্▫+অহংকার

অর্থ: দাম্ভিক নয় এমন, অহংকারশূন্য। 

৪৬২. কোনটি শুদ্ধ বানান?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -ইছামতি- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖যুক্তব্যঞ্জন এ ম ফলার পর অন্য কোন ব্যঞ্জনবর্ণ যোগ হয় না। তবে স্বরবর্ণ যোগ হতে পারে। শব্দের মধ্যে ও শেষে ল্ম' এর ব্যবহার রয়েছে। এমন যুক্ত ব্যঞ্জন এ ম ফলার উচ্চারণ বজায় থাকে। যেমন বাল্মিকী, গুল্ম ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝শুদ্ধ বানান - বাল্মীকি

বাল্মীকি (বিশেষ্য)

❐ সংস্কৃত শব্দ

❐ প্রকৃতি প্রত্যয় = বাল্মীক+ই

অর্থ: রামায়ণের প্রণেতা কবি ও মুনি, আদিকবি।

৪৬৩. "আজকে" নগদ কালকে ধার ---বাক্য নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -ইছামতি- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖কোথায় কোন স্থানে কখন কোন সময়ে কবে কোন বিষয় বা ব্যাপারে এসব প্রশ্ন করলে তার উত্তরে অধিকরণ কারক পাওয়া যায়। বাক্যটিতে 'আজকে' দ্বারা ক্রিয়ার সময় উল্লেখ করা হয়েছে তাই এটি কালাধিকরণ এবং শব্দটির সাথে 'কে' থাকায় তা দ্বিতীয়া বিভক্তি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝অধিকরণ কারক:

ক্রিয়ার আধারকে বলা হয় অধিকরণ কারক। আধার বলতে ক্রিয়া নিষ্পন্ন হওয়ার স্থান, কাল ও ভাবকে বোঝায়।

অর্থাৎ ক্রিয়া সম্পাদনের কাল এবং আধারকে বলা হয় অধিকরণ কারক।

বাক্যের ক্রিয়াপদকে কোথায়, কখন ও কোনো বিষয় বোঝাতে অধিকরণ কারক হয়।

অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি অর্থাৎ এ, য়, তে ইত্যাদি বিভক্তি যুক্ত হয়।

যেমন- আধার (স্থান) : আমরা প্রতিদিন কলেজে যাই। কাল (সময়) সকালে সূর্য উঠবে।

❐ ‘আজকে নগদ কালকে ধার’- বাক্যে নিম্নরেখ শব্দটি অধিকরণ কারকে ২য়া বিভক্তির প্রয়োগ ঘটেছে। বাক্যটি ক্রিয়া নিষ্পন্ন হওয়ার কালকে বোঝাচ্ছে।

কিন্তু এতে ‘-কে’ বিভক্তি যুক্ত হয়েছে। তাই বাক্যটি অধিকরণ কারকে ২য়া বিভক্তি প্রকাশ করে।

৪৬৪. "প্রভাতে"উদিল রবি লোহিত বরণ ---বাক্য নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -ইছামতি- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖কোথায় কোন স্থানে কখন কোন সময়ে কবে কোন বিষয়ে প্রশ্ন করলে তার উত্তরে অধিকরণ কারক পাওয়া যায়। বাক্যটিতে 'প্রভাতে' দ্বারা ক্রিয়া সময় উল্লেখ করা হয়েছে তাই এটি অধিকরণ কারক এবং শব্দটিতে 'তে' থাকায় সপ্তমী বিভক্তি হয়েছে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝▣ অধিকরণ কারক:

ক্রিয়ার আধারকে বলা হয় অধিকরণ কারক। আধার বলতে ক্রিয়া নিষ্পন্ন হওয়ার স্থান, কাল ও ভাবকে বোঝায়।

অর্থাৎ ক্রিয়া সম্পাদনের কাল এবং আধারকে বলা হয় অধিকরণ কারক।

বাক্যের ক্রিয়াপদকে কোথায়, কখন ও কোনো বিষয় বোঝাতে অধিকরণ কারক হয়।

অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি অর্থাৎ এ, য়, তে ইত্যাদি বিভক্তি যুক্ত হয়।

যেমন- আধার (স্থান) : আমরা প্রতিদিন কলেজে যাই। কাল (সময়) সকালে সূর্য উঠবে।

▣ 'প্রভাতে উদিল রবি লোহিত বরণ' - বাক্যে অধিকরণ কারকে ৭মী বিভক্তির প্রয়োগ ঘটেছে।

বাক্যটি ক্রিয়া নিষ্পন্ন হওয়ার কালকে বোঝাচ্ছে।

এবং এতে এ বিভক্তি যুক্ত হয়েছে।

তাই বাক্যটি = অধিকরণে ৭মী প্রকাশ করেছে।

৪৬৫. নিচের কোনটি অলুক তৎপুরুষ সমাস?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -ইছামতি- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖যে তৎপুরুষ সমাসে পূর্বপদের দ্বিতীয়াদি বিভক্তি লোপ পায় না তাকে অলুক তৎপুরুষ সমাস বলে। মুখে ভাত = মুখেভাত। এটি অলুক তৎপুরুষ সমাস। এ সমাসে পূর্বপদ এর বিভক্তি লোপ পায় না।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝মুখে ভাত যার = মুখে-ভাত; অলুক তৎপুরুষ সমাস

❐ অলুক বহুব্রীহি সমাস:

❐ যে বহুব্রীহি সমাসে পূর্ব বা পরপদের কোনো পরিবর্তন হয় না, তাকে বলা হয় অলুক বহুব্রীহি সমাস।

❐ এ সমাসে সমস্ত পদটি বিশেষণ হয়।

যেমন-

❐ মাথায় পাগড়ি যার = মাথায় পাগড়ি,

❐ গলায় গামছা যার = গলায়গামছা,

❐ হাতে ছড়ি যার = হাতে-ছড়ি,

❐ কানে কলম যার = কানে-কলম,

❐ গায়ে পড়ে যে = গায়ে-পড়া,

❐ হাতে বেড়ি যার = হাতে-বেড়ি,

❐ মুখে ভাত যার = মুখে-ভাত,

❐ কানে খাটো যে = কানে-খাটো ইত্যাদি।

❐ অন্যদিকে,

গায়ে হলুদ দেয়া হয় যে অনুষ্ঠানে = গায়ে হলুদ - মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি সমাস

নাই হুশ যার= বেঁহুশ - নঞ্ বহুব্রীহি

খেচর = উপপদ তৎপুরুষ সমাস

৪৬৬. নিচের কোনটি নিত্য সমাস?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -ইছামতি- ০৮.০১.১০ 📖 ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়➟2016➯C ইউনিট 📖 ১১তম বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন পরীক্ষা-(স্কুল/সমপর্যায়)-১২.১২.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖অন্য দেশ = দেশান্তর। এটি নিত্য সমাস। যে সমাসে সমস্যমান পদ গুলো নিত্য সমাজবদ্ধ থাকে ব্যাসবাক্যের দরকার হয়না তাকে নিত্য সমাস বলে। যেমন- গ্রামান্তর, গৃহান্তর ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝নিত্য সমাস:

যে সমাসে সমস্যমান পদগুলো নিত্য সমাসবদ্ধ থাকে, ব্যাসবাক্যের দরকার হয় না, তাকে নিত্য সমাস বলে। শুধু সমস্তপদের ব্যাখ্যা দিতে হয়।

যেমন: অন্য গ্রাম = গ্রামান্তর, তুমি আমি ও সে = আমরা, দুই এবং নব্বই = বিরানব্বই।

❐ তেমনিভাবে, কালসাপ - নিত্য সমাসের উদাহরণ।

❐ সমস্তপদের শেষে ‘অন্তর’ থাকলে ব্যাসবাক্যে ‘অন্য’ হবে। যেমন: দেশান্তর = অন্য দেশ।

❐ সমস্তপদের শেষে ‘মাত্র/খানা’ থাকলে ‘কেবল’ হবে। যেমন: শয়নমাত্র = কেবল শয়ন।

❐ অনুতাপ, প্রবচন, প্রগতি - ইত্যাদি প্রাদি সমাসের উদাহরণ।

৪৬৭. 'মনস্তাপ' এর সন্ধি বিচ্ছেদ ----

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -ইছামতি- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖মনঃ + তাপ = মনস্তাপ।

পূর্বপদ এর শেষে বিসর্গ ( ঃ )থাকলে এবং পরপদের প্রথমে 'ত' থাকলে পূর্ববর্তী বিসর্গ ( ঃ) হয়। যেমন- ইতস্তত, নিস্তেজ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝'মনস্তাপ' শব্দের সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ - মনঃ + তাপ

(ত থাকলে পূর্বপদে বিসর্গ হয়)

❐ কয়েকটি বিসর্গ সন্ধি-

তিরঃ + ধান = তিরোধান,

মনঃ + রম = মনোরম,

মনঃ + যোগ = মনোযোগ,

মনঃ + হর = মনোহর,

তপঃ + বন = তপোবন ইত্যাদি।

৪৬৮. 'উল্লাস' এর সন্ধি বিচ্ছেদ ----

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -ইছামতি- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖উৎস + লাস = উল্লাস। এরূপ আরো কয়েকটি সন্ধি বিচ্ছেদ হচ্ছে: উল্লেখ, উল্লেখিত।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝

◻️ ▣ ব্যঞ্জনসন্ধিতে একটি ধ্বনির প্রভাবে পার্শ্ববর্তী ধ্বনি পরিবর্তিত হয়ে যায়।

যেমন-

❐ চলৎ+চিত্র = চলচ্চিত্র ( এখানে চ-এর প্রভাবে ত হয়েছে চ )

❐ বিপদ্+জনক = বিপজ্জনক ( এখানে জ-এর প্রভাবে দ হয়েছে জ )

❐ উৎ+লাস = উল্লাস ( এখানে ল-এর প্রভাবে ত হয়েছে ল )

৪৬৯. 'ওরা কদম আলী' নাটকটির রচয়িতা কে?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -ইছামতি- ০৮.০১.১০ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -পদ্মা- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖ওরা কদম আলী প্রকাশের পর মামুনুর রশিদ নাট্যকার হিসেবে আবির্ভূত হন। গরীব ও মেহনতী মানুষের ব্যক্তিক প্রতিবাদ সামষ্টিক রূপ কিভাবে পরীক্ষা করে এই নাটকটিতে একটি বোবা চরিত্রের মাধ্যমে তা দেখানো হয়েছে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖মামুনুর রশীদ মূলত নাট্যকার ছিলেন। 

তাঁর রচিত বিখ্যাত নাটকঃ

❏ ওরা কদম আলী,

❏ ওরা আছে বলেই,

❏ মে দিবস, ইবলিশ, 

❏ এখানে নোঙর,

❏ গিনিপিগি, 

❏ সমতট, 

❏ পাথর, 

❏ লেবেদেফ ইত্যাদি।

৪৭০. 'দুদিনের খেলাঘর' উপন্যাসটির রচয়িতা কে?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -ইছামতি- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖আকবর হোসেন একজন কথাশিল্পী। কাহিনীর উপাদেয়তা-ও বর্ণনায় তার রচিত উপন্যাস এ প্রেমের বিচিত্র কাহিনী বর্ণনা করা হয়েছে। সেগুলো হলো: দুদিনের খেলাঘর, অবাঞ্চিত, কি পাইনি, মোহমুক্তি, আলোছায়া প্রভৃতি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝’দুদিনের খেলাঘরে‘ উপন্যাসটির রচিয়তা - আকবর হোসেন। 

◻️ 

◻️ আকবর হোসেন রচিত অন্যান্য উপন্যাস-

❐ অবাঞ্ছিত,

❐ কি পাইনি,

❐ মোহমুক্তি,

❐ দুদিনের খেলাঘর ও

❐ নতুন পৃথিবী।

৪৭১. আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ রচিত কাব্যগ্রন্থ কোনটি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -ইছামতি- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ একজন বিশিষ্ট কবি। তার প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ 'সাতনরি হার'। অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ হল: আমি কিংবদন্তির কথা বলছি, কমলের চোখ, সহিষ্ণু প্রতীক্ষা, আমার সময় ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ (১৯৩৪-২০০১)

❐ তিনি পঞ্চাশ দশকের অন্যতম কবি হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন।

❐ পঞ্চাশের দশকে রচিত তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থঃ - সাতনরী হার (১৯৫৫)।

অন্যান্য কাব্যগ্রন্থঃ

❐ কখনো রং কখনো সুর (১৯৭০),

❐ কমলের চোখ (১৯৭৪),

❐ আমি কিংবদন্তির কথা বলছি (১৯৮১।

❐ ‘কোন এক মাকে’ তার একটি বিখ্যাত কবিতা।

৪৭২. 'সুবচন নির্বাসনে' নাটকটির রচয়িতা কে?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -ইছামতি- ০৮.০১.১০ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -নাগালিঙ্গম- ১২.১০.১২ 📖 পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার-১২.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'সুবচন নির্বাসনে' আবল্লাহ আল মামুন রচিত দ্বিতীয় প্রকাশিত নাটক। তার উল্লেখযোগ্য অন্যান্য নাটকগুলো হচ্ছে- এখনো ক্রীতদাস, এখন দুঃসময়, শপথ, কোকিলারা ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖সুবচন নির্বাসনে, এখন দুঃসময়, এখনও ক্রীতদাস, চারিদিকে যুদ্ধ, কোকিলারা ইত্যাদি নাটকের রচয়িতা আবদুল্লাহ আল মামুন।

৪৭৩. প্যারীচাঁদ মিত্র রচিত উপন্যাস কোনটি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -ইছামতি- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖প্যারীচাঁদ মিত্র রচিত উপন্যাস- আলালের ঘরের দুলাল। আলালের ঘরের দুলাল বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম সফল উপন্যাস। প্যারীচাঁদ মিত্র এর ছদ্মনাম টেকচাঁদ ঠাকুর। ১৮৫৮ সালে তিনি এই উপন্যাস রচনা করেন। কলকাতার ততৎকালীন সমাজ এর প্রধান বিষয় বস্তু। ঠকচাচা এর প্রধান চরিত্র।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝‘আলালের ঘরের দুলাল’ প্যারীচাঁদ মিত্রের প্রথম গ্রন্থ।

❐ আলালের ঘরের দুলাল উপন্যাসটি ১৮৫৮ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশ পায়।

❐ তার আগে ১৮৫৪ সাল থেকে ‘মাসিক পত্রিকা’তে ধারাবাহিকভাবে এটি প্রকাশিত হতে থাকে।

❐ তিনি টেকচাঁদ ঠাকুর ছদ্মনামে উপন্যাস রচনা করেন।

অন্যান্য চরিত্র-

❐ মতিলাল

❐ বাবুরাম

❐ ঠকচাচা

৪৭৪. 'সোনাভান' কাব্যগ্রন্থটির রচয়িতা কে?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -ইছামতি- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖পুঁথি সাহিত্যের প্রথম সার্থক ও জনপ্রিয় কবি শাহ মোহাম্মদ গরীবুল্লাহ। তাঁর রচিত 'সোনাভান' যুদ্ধ কাহিনী সম্মিলিত কাব্য। বীর হানিফার সঙ্গে সোনাভানের লড়াই এর কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। তবে প্রনয়ের কাহিনী ও বাদ পড়েনি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝‘সোনাভান' গ্রন্থের রচয়িতা ফকির গরীবুল্লাহ। 

▣ ফকির গরীবুল্লাহ রচিত কাব্য:

❐ আমীর হামজা,

❐ সোনাভান,

❐ জঙ্গনামা,

❐ সত্যপীরের পুঁথি ও

❐ ইউসুফ জোলেখা।

৪৭৫. 'পৃথিবী'এর সমার্থক শব্দ নয়----

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -কপোতাক্ষ- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'যামিনী' এর সমার্থক শব্দ হচ্ছে- রাত্রি, রজনী। অন্যদিকে পৃথিবী এর সমার্থক শব্দ হচ্ছে- বসুন্ধরা, ধরণী, অবনী, ধরা, ধরিত্রী, মেদিনী।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝'পৃথিবী' এর সমার্থক শব্দ- বসুন্ধরা, ক্ষিতি, অখিল, ভুবন, অবনী, ধরা, ধরণী, ভূ, মেদিনী ইত্যাদি।

❐ ‘রাত্রি’ এর সমার্থক শব্দ- নিশি, রাত, যামিনী, নিশা, শর্বরী, ক্ষণদা।

৪৭৬. 'জমীদার দর্পণ' নাটকটির রচয়িতা কে?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -কপোতাক্ষ- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖মীর মশাররফ হোসেন এর উল্লেখযোগ্য রচনাবলীঃ বসন্তকুমারী নাটক (১৮৭৩), জমিদার দর্পণ (১৮৭৩), এর উপায় কি (১৮৭৫), বিষাদ-সিন্ধু (১৮৮৫-১৮৯১)। জমিদার দর্পণ নাটকটিতে অত্যাচারী ও চরিত্রহীন জমিদার হাইওয়ান আলীর অত্যাচার এবং অধীনস্থ প্রজা আবু মোল্লার গর্ভবতী স্ত্রী নুরনেহার কে ধর্ষণ ও হত্যার কাহিনী ফুটে উঠেছে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝'জমিদার দর্পণ' নাটকটির রচয়িতা মীর মোশাররফ হোসেন।

❐ নাটকটি ১৮৭২-৭৩ সালে সিরাজগঞ্জে সংঘটিত কৃষক-বিদ্রোহের পটভূমিকায় রচিত।

▣ মীর মোশাররফ হোসেনের জন্ম ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলার লাহিনীপাড়ায়।

❐ গ্রামবার্তার সম্পাদক কাঙাল হরিনাথ ছিলেন তাঁর সাহিত্যগুরু।

❐ প্রথম উপন্যাস রত্নবতী (১৮৬৯)

❐ তাঁর অমর কীর্তি বিষাদ-সিন্ধু উপন্যাসে কারবালার বিষাদময় ঐতিহাসিক কাহিনী বিবৃত হয়েছে। তবে অনেক ঘটনা ও চরিত্র সৃষ্টিতে উপন্যাসসুলভ কল্পনার আশ্রয়ও নেওয়া হয়েছে।

▣ তাঁর অন্যান্য নাটক:

❐ বসন্তকুমারী (১৮৭৩)

❐ এর উপায় কি (১৮৭৫)

৪৭৭. 'দেনা পাওনা' উপন্যাসটি রচনা করেছেন?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -কপোতাক্ষ- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖বাংলা সাহিত্যের অপরাজেয় কথাশিল্পী হিসেবে সুপরিচিত শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৭৬-১৯৩৮)। তার সাহিত্য কর্মের স্বীকৃতি হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৩৬ সালে তাকে সম্মানসূচক ডি-লিট ডিগ্রি প্রদান করে। বাঙ্গালী নারীর প্রকৃতি অঙ্কনে তিনি যে দক্ষতা দেখিয়েছেন 'দেনাপাওনা' তার একটি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝'দেনা পাওনা' উপন্যাসটি রচনা করেছেন - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।

❐ উপন্যাসটি প্রকাশিত হয় ১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দে।

❐ তাঁর অন্যান্য উপন্যাসের মতোইনারী পুরুষের সম্পর্ক, নারীত্ব ও সতীত্বের ধারণার বিচার এই আখ্যানের মূলসূত্র।

❐ কাহিনির নায়ক, জীবনানন্দ।এই নাটক 'ষোড়শী' নামে নাট্যায়িত হয়।

৪৭৮. 'দোলনচাঁপা' কাব্যগ্রন্থটি রচনা করেছেন?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -কপোতাক্ষ- ০৮.০১.১০ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -ক্যামেলিয়া- ১২.১০.১২ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবি ও বাংলাদেশের জাতীয় কবি। 'দোলনচাঁপা' ১৯২৩ সালে রচিত কাজী নজরুল ইসলামের প্রধান কাব্যগ্রন্থ। এটি ২১টি কবিতার সংকলন। প্রথম কবিতা 'আজ সৃষ্টি সখের উল্লাসে'।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝'দোলন-চাঁপা' কাব্যগ্রন্থটি রচনা করেছেন - কাজী নজরুল ইসলাম।

❐ ১৩৩০ বঙ্গাব্দের আশ্বিনে(অক্টোবর ১৯২৩) এটি প্রকাশিত হয়।

❐ দোলন-চাঁপা কাব্য গ্রন্থের প্রথম কবিতা আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে।

❐ দোলন-চাঁপা কাব্য গ্রন্থটি ২১টি কবিতার সংকলন।

❐ দোলন-চাঁপা কাব্য গ্রন্থটি মূলত প্রেম - প্রধান কবিতার বই।

-এই কাব্যের কিছু উল্লেখযোগ্য কবিতা হলো ;

-বেলা শেষে ,

❐ পুবের চাতক

❐ পূজারিণী

❐ কবি-রানী

❐ অবেলার ডাক

৪৭৯. 'কালের যাত্রা' নাটকটির রচয়িতা ---

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -কপোতাক্ষ- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖বাংলা সাহিত্যে অতুলনীয় ও সর্বতোমুখী প্রতিভার অধিকারী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর । এশীয়দের মধ্যে প্রথম বিশ্বের শ্রেষ্ঠ কোভিদ মর্যাদা নিয়ে ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। বাংলা ছোটগল্পের পথিকৃৎ তিনি। এছাড়াও সাংকেতিক নাটক অভিনবত্ব দেখিয়েছেন। তিনি 'কালের যাত্রা' তার একটি সাংকেতিক নাটক।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝'কালের যাত্রা' নাটকটির রচয়িতা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

❐ শ্রী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ৫৭ বছরের জন্মোৎসব উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাকে নাটকটি উৎসর্গ করেন।

❐ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত অন্যান্য নাটক - 

❐ রাজা ও রাণী, 

❐ বিসর্জন,

❐ ডাকঘর, রাজা, 

- অচলায়তন, 

❐ তাসের দেশ, 

❐ বসন্ত, 

❐ নটীর পূজা, 

❐ চণ্ডালিকা, শ্যামা ইত্যাদি।

৪৮০. 'শেষের কবিতা' একটি ---

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -কপোতাক্ষ- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'শেষের কবিতা' (১৯২৯) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত উপন্যাস। অমিত, লাবণ্য, কেতকী, শোভনলাল প্রমুখ এই উপন্যাসের চরিত্র। 'কালের যাত্রার ধ্বনি শুনিতে কি পাও'- এই কবিতা দিয়ে উপন্যাসটির শেষ হয়েছে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত 'শেষের কবিতা' তাঁর একটি রোমান্টিক উপন্যাস।

❐ এটি প্রকাশিত হয় ১৯২৯ সালে।

❐ এটিকে কাব্যোপন্যাসও বলা হয়।

❐ শেষের কবিতা উপন্যাস বিংশ শতকের বাংলার নবশিক্ষিত অভিজাত সমাজের জীবনকথা।

▣ এই উপন্যাসের অন্যতম চরিত্রঃ

❐ অমিত,

❐ কেতকী ও

❐ লাবণ্য।

৪৮১. 'শিবমন্দির' কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা কে?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -কপোতাক্ষ- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'শিব মন্দির' কায়কোবাদ রচিত একটি কাব্যগ্রন্থ। উনিশ শতকের এ কবির আসল নাম মোহাম্মদ কাজেম আল কুরাইশী। তিনি একই সঙ্গে মহাকবি ও গীতিকবি। কুসুমকানন, অশ্রুমালা, অমিয়ধারা, মহরম শরীফ ইত্যাদি তাঁর কাব্যগ্রন্থ আর 'মহাশ্মশান' হচ্ছে মহাকাব্য।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝'শিবমন্দির' কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা কায়কোবাদ।

❐ এটি প্রকাশিত হয় ১৯২১ খ্রিষ্টাব্দে।

▣ আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম কবি কায়কোবাদ।

❐ তাঁর প্রকৃত নাম কাজেম আল কোরেশী।

❐ কায়কোবাদ তাঁর সাহিত্যিক ছদ্মনাম।

❐ তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ- বিরহ বিলাপ (১৮৭০)।

❐ মাত্র তের বছর বয়সে তাঁর এই কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয়।

▣ তাঁর রচিত অন্যান্য কাব্যগ্রন্থঃ

❐ মহাশ্মশান (মহাকাব্য),

❐ কুসুম কানন,

❐ অশ্রুমালা,

❐ শিবমন্দির,

❐ অমিয়ধারা,

❐ শ্মশানভষ্ম,

❐ মহররম শরীফ ইত্যাদি।

৪৮২. 'মনীষা'---এর সন্ধি -বিচ্ছেদ -----

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -কপোতাক্ষ- ০৮.০১.১০ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -হেমন্ত- ১৩.০৮.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖এটি নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধির নিয়ম হয়েছে। অর্থাৎ যেসব ক্ষেত্রে সন্ধি নিয়মানুসারে হয় না। সন্ধি বিচ্ছেদ হলো: মনস + ঘষা = মনীষা।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝'মনীষা'-এর সঠিক সন্ধি-বিচ্ছেদ- মনস্∘ + ঈষা।

নিপাতনের সিদ্ধ সন্ধির উদাহরণ।

❐ অনুরূপভাবে

পতৎ + অঞ্জলি = পতঞ্জলি, 

ষট্+দশ = ষোড়শ 

তৎ + কর = তস্কর

গো + পদ = গোষ্পদ

আ + চর্য = আশ্চর্য

বন্∘ + পতি = বনস্পতি ইত্যাদি।

৪৮৩. 'লবণ' এর সন্ধি বিচ্ছেদ ----

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -কপোতাক্ষ- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖স্বরবর্ণ পড়ে থাকলে 'এ' কারের স্থানে 'অয়', ঐ- কারের স্থানে আয়, ও- কারের স্থানে অব, এবং ঐ- কারের স্থানে 'আব' হয়। ও + অ = অব + অ অর্থাৎ লো + অন = লবণ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝'লবণ'-এর সন্ধি বিচ্ছেদ- লো + অন।

▣ এ, ঐ, ও, ঔ এর পর এ, ঐ এর স্থানে যথাক্রমে অয়, আয় এবং ও, ঔ এর স্থানে যথাক্রমে অব্∘ ও আব্∘ হয়।

অনুরূপভাবে-

নে + অন = নয়ন

নৈ + অক = নায়ক

পো + অন = পবন

পৌ + অক = পাবক ইত্যাদি।

৪৮৪. সমাস কত প্রকার?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -কপোতাক্ষ- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖অর্থ সম্বন্ধে আছে এমন একাধিক শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি বড় শব্দ গঠনের প্রক্রিয়াকে সমাস বলে। এটি প্রধানত ছয় প্রকার। যেমন: দ্বন্দ্ব, দ্বিগু, তৎপুরুষ, বহুব্রীহি, অব্যয়ীভাব, কর্মধারয়।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝সমাসের মাধ্যমে নতুন শব্দ গঠিত হয়। বাক্যের মধ্যে পরস্পর সম্পর্কিত একাধিক পদের এক শব্দে পরিণত হওয়ার নাম সমাস।

সমাস মূলত চার প্রকার। যথা:

❐ দ্বন্দ্ব, 

❐ কর্মধারয়, 

❐ তৎপুরুষ ও 

❐ বহুব্রীহি।

৪৮৫. 'হজ্জযাত্রা' কোন সমাসের উদাহরণ?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -কপোতাক্ষ- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖হজের জন্য যাত্রা = হজযাত্রা। এটি চতুর্থী তৎপুরুষ সমাস। কেননা, পূর্বপদে চতুর্থী বিভক্তি (কে, জন্য, নিমিত্ত ইত্যাদি) লোপে যে সমাস হয় তাকে চতুর্থী তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন: বিদ্যালয়, মুসাফিরখানা, রান্নাঘর, ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖হজের জন্য যাত্রা = হজ্জযাত্রা, ৪র্থী তৎপুরুষ এর উদাহরণ।

চতুর্থী তৎপুরুষ সমাস: পূর্বপদে চতুর্থ বিভক্তি (কে, রে, জন্য, তরে, নিমিত্ত) লোপের মাধ্যমে যে সমাস হয়, তাকে বলা হয় চতুর্থী তৎপুরুষ সমাস। 

যেমন- 

❏ গুরুকে ভক্তি = গুরুভক্তি, 

❏ আরামের জন্য কেদারা = আরামকেদারা, 

❏ বসতের জন্য বাড়ি = বসতবাড়ি, 

❏ বিয়ের জন্য পাগলা = বিয়েপাগলা, 

❏ হজের জন্য যাত্রা = হজ্বযাত্রা, 

❏ পাগলের নিমিত্তে গারদ = পাগলাগারদ, 

❏ মরণের নিমিত্তে কাঠি = মরণকাঠি, 

❏ শিশুর জন্য সাহিত্য = শিশুসাহিত্য, 

❏ শয়নের নিমিত্তে কক্ষ = শয়নকক্ষ প্রভৃতি।

৪৮৬. "বুলবুলিতে" ধান খেয়েছে ---বাক্যে নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -কপোতাক্ষ- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ০

ব্যাখ্যাঃ

🔖ক্রিয়ার সঙ্গে 'কে' বা 'কারা' যোগ করে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, তাই কর্তৃকারক। বাক্যটিতে 'বুলবুলি' কর্তা হিসেবে খাওয়া কাজটি সম্পাদন করা তা কর্তৃকারক এবং শব্দের শেষে 'তে' থাকায় তা সপ্তমী বিভক্তি।

৪৮৭. "হাতের" কাজ দেখাও ---বাক্যে নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -কপোতাক্ষ- ০৮.০১.১০ 📖 জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়➟2016➯C ইউনিট

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ০

ব্যাখ্যাঃ

🔖বাক্যের ক্রিয়াকে কি উপায় বা কিসের দ্বারা প্রশ্ন করলে উত্তর যা পাওয়া যায় তাকে করণ কারক বলে। এখানে প্রশ্নটিই হচ্ছে- কি দ্বারা কাজ? উত্তরে হাতের দ্বারা কাজ। তাই 'হাতের' করণ কারক এবং শব্দের শেষে 'র' থাকায় তা ষষ্ঠী বিভক্তি।

৪৮৮. কোনটি শুদ্ধ বানান?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -কপোতাক্ষ- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖বাংলা শব্দের শুরুতে ঊ-কারের ব্যবহার অনেক কম। তাই বানান মনে রাখার ক্ষেত্রে ঊ- কার যুক্ত শব্দ মনে রাখাই শ্রেয়। এক্ষেত্রে দু-একটি সূত্র: ১. বাংলা শব্দের প্রথম বর্ণে, খ ঙ ছ ঝ ঞ ট ঠ ড ঢ ণ থ ফ ষ এই ব্যঞ্জন গুলোর ওকার যুক্ত ব্যবহার দেখা যায় না। ২. শব্দের শেষে থাকলে তার অব্যবহৃত পূর্ববর্তী বর্ণের ঊ হয়। যেমন: রূঢ় গূঢ়।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝শুদ্ধ বানান ন্যূনাধিক।

❐ ন্যূনাধিক (বিশেষণ)

❐ সংস্কৃত শব্দ

❐ প্রকৃতি প্রত্যয় = ন্যূন+অধিক

অর্থ: কমবেশি।

৪৮৯. কোনটি শুদ্ধ বানান?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -কপোতাক্ষ- ০৮.০১.১০ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -রাজশাহী বিভাগ- ১৮.০৪.০৮ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖ঋ, র, ষ- এর পরে স্বরধ্বনি, ষ, য়, ব, হ এবং ক বর্গীয় ও প বর্গীয় থাকলে পরবর্তী ন মূর্ধন্য 'ণ' হয়। যেমন: গৃহিণী।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖গৃহিণী (বিশেষ্য) 

১ গৃহকর্ত্রী।

২ পত্নী; স্ত্রী।

❏(পুংলিঙ্গ) গৃহী।

গৃহিণীপনা (বিশেষ্য) 

১ গৃহিণীর দায়িত্ব পালনে দক্ষতা।

২ গৃহিণীর আচরণ।

৩ (ব্যঙ্গার্থ) অল্পবয়স্কা বালিকার পাকামি অথবা গৃহিণীসুলভ ব্যবহার; অল্পবয়সীর প্রবীণার ন্যায় আচরণ।

৪৯০. কোনটি শুদ্ধ বানান?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -কপোতাক্ষ- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📌📝শুদ্ধ বানান = ভবিষ্যদ্বাণী বাভবিষ্যদ্∘বাণী

❐ ভবিষ্যদ্বাণী (বিশেষ্য)

❐ সংস্কৃত শব্দ

❐ প্রকৃতি প্রত্যয়

অর্থ: ভবিষ্যতে কী ঘটবে সে বিষয়ে উক্তি।

❐ 

৪৯১. 'অন্ধকার'এর সমার্থক শব্দ নয় -----

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -কপোতাক্ষ- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'কাজল' এর সমার্থক শব্দ: অঞ্জন, সুরমা, মসি। আর 'অন্ধকার' এর সমার্থক শব্দ: আঁধার, তিমির, অমানিশা, তমসা, তম, তমিস্র।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝'অন্ধকার' শব্দেরসমার্থক শব্দ = আঁধার, আধারি, তমসা,তিমির, তমিস্র, শর্বর, তমঃ, তমিস্রা, আঁধিয়ার, তিমির ইত্যাদি।

❐ 'অমানিশা' শব্দের অর্থ = অমাবস্যার রাত, অমাবস্যা।

কিন্তু সাহিত্যে এটি অন্ধকার অর্থেই ব্যবহৃত হয়।

যেমন:

‘দিশি দিশি গেল মিশি অমানিশি দূরে দূরে’: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

চারিদিকে দুর্দিনের অমানিশা-মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান

❐ অন্যদিকে,

'কাজল' শব্দের অর্থ = কজ্জল, কাজল, অঞ্জন।

৪৯২. 'পর্বত'এর সমার্থক শব্দ নয় ----

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -কপোতাক্ষ- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'পর্বত' এর সমার্থক শব্দ: পাহাড়, গিরি, ভূধর, অচল, অদ্রি। আর শিলা এর সমার্থক শব্দ: পাথর, কাঁকর, শিলাবৃষ্টি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝পর্বত এরসমার্থক শব্দগুলো হলো: গিরি, নগ, শৈল, পাহাড়, অদ্রি, ভূধর, মহীধর, নগ, অচল, মৃঙ্গধর।

অন্যদিকে,

'শিলা' শব্দের অর্থ = পাথর।

৪৯৩. 'তিমির'এর বিপরীতার্থক শব্দ -----

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -কপোতাক্ষ- ০৮.০১.১০ 📖 জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়➟2011➯G ইউনিট 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -যমুনা- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'তিমির' শব্দের সমার্থক শব্দ: অন্ধকার, আঁধার, অমানিশা, তমসা, তম, তমিস্র। এর বিপরীত শব্দ আলো।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝'তিমির' শব্দের অর্থ = অন্ধকার।

সুতরাং 'তিমির'-এর বিপরীতার্থক শব্দ- আলো

❐ 'অন্ধকার' শব্দের সমার্থক শব্দ = আঁধার, আধারি, তমসা, তিমির, তমিস্র, শর্বর, তমঃ, তমিস্রা, আঁধিয়ার, তিমির ইত্যাদি।

❐ 'তিরস্কার' এর বিপরীতার্থক শব্দ- 'পুরস্কার/প্রশংসা'

৪৯৪. 'মুক্ত'এর বিপরীতার্থক শব্দ ----

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -কপোতাক্ষ- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'মুক্ত' এর সমার্থক শব্দ: খোলা, অবারিত, অবাধ, উন্মুক্ত, স্বাধীন, মুক্তি, বাহির। এর বিপরীত শব্দ: বন্দী, বদ্ধ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝'মুক্ত'-এর বিপরীতার্থক শব্দ -'বদ্ধ/যুক্ত/বন্দি/রুদ্ধ'

❐ অন্যদিকে,

ভেতর -বাহির

স্বাধীন - পরাধীন

৪৯৫. 'বিশ শতকের মেয়ে' উপন্যাসটির রচয়িতা কে?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -করতোয়া- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖"বিশ শতকের মেয়ে " - উপন্যাসটির রচয়িতা- ড.নীলিমা ইব্রাহীম। তিনি হলেন বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও সমাজকর্মী। তিনি ১৯৭৪-৭৫ সালে বাংলা একাডেমীর অবৈতনিক মহাপরিচালক ছিলেন। তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাস : বিশ শতকের মেয়ে, এক পথ দুই বাক, বহ্নিবলয় ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 নীলিমা ইব্রাহিম:

❐ নীলিমা ইব্রাহিমের ১৯২১ সালে বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। 

❐ তিনি মূলত শিক্ষাবিদ হিসেবে পরিচিত।

❐ তিনি বেশকিছু উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

❐ বহু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সমাজকল্যাণ ও নারী-উন্নয়সংস্থা এবং বুদ্ধিবৃত্তিক সংগঠনের সঙ্গে যু্ক্ত ছিলেন

❆ তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাস:

▣ বিশ শতকের মেয়ে,

❐ এক পথ দুই বাঁক,

❐ কেয়াবন সঞ্চারিণী,

❐ বহ্নিবলয়।

❆ তাঁর রচিত নাটক:

❐ দুয়ে দুয়ে চার,

❐ যে অরণ্যে আলো নেই,

❐ রোদ জ্বলা বিকেল,

❐ সূর্যাস্তের পর।

❆ কথানাট্য:

❐ আমি বীরাঙ্গনা বলছি (২ খন্ড)।

❆ ছোটগল্প:

❆ রমনা পার্কে।

❆ আত্মজীবনী:

❐ বিন্দু-বিসর্গ।

৪৯৬. শামসুর রাহমান রচিত কাব্যগ্রন্থ কোনটি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -করতোয়া- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖শামসুর রাহমান রচিত কাব্যগ্রন্থ 'বাংলাদেশ স্বপ্ন দেখে' ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 শামসুর রাহমান:

❐ তিনি ১৯২৯ সালের ২৩ অক্টোবর পুরান ঢাকার ৪৬ নম্বর মাহুতটুলীতে জন্মগ্রহণ করেন।

❐ তাঁর পৈত্রিক বাড়ি শামসুর রহমানে জেলার রায়পুর থানার পাড়াতলী গ্রামে।

❐ শামসুর রহমান বিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি হিসেবে খ্যাত।

❆ শামসুর রাহমান রচিত কিছু উপন্যাস:

❐ অক্টোপাস,

❐ নিয়ত মন্তাজ,

❐ এলো সে অবেলায়।

❆ শামসুর রাহমান রচিত কিছু উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ:

▣ 'বাংলাদেশ স্বপ্ন দ্যাখে'

❐ প্রথম গান দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে,

❐ রৌদ্র করোটিতে,

❐ বিধ্বস্ত নীলিমা,

❐ নিরালোকে দিব্যরথ,

❐ নিজ বাসভূমে,

❐ বন্দী শিবির থেকে,

❐ ফিরিয়ে নাও ঘাতক কাঁটা,

❐ আমি অনাহারী,

❐ প্রতিদিন ঘরহীন ঘরে,

❐ উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ,

❐ বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়,

❐ হরিণের হাড়,

❐ তুমি নিঃশ্বাস তুমি হৃদস্পন্দন ইত্যাদি। 

৪৯৭. 'মহাকবি আলাওল' নাটকটির রচয়িতা কে?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -করতোয়া- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖মহাকবি আলাওল - নাটকটির রচয়িতা সিকান্দার আবু জাফর। তিনি ছিলেন একজন বাঙালি কবি, নাট্যকার, সঙ্গীত রচয়িতা এবং সাংবাদিক। তিনি ভারত বিভাগোত্তর কালে প্রকাশিত সাহিত্য পত্রিকা "সমকাল" সম্পাদনার জন্য বিশেষভাবে খ্যাত। তার উল্লেখযোগ্য নাটক- মহাকবি আলাওল, সিরাজউদ্দৌলা, মাকড়সা, শকুন্ত উপাখ্যান ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 সিকান্‌দার আবু জাফর:

❐ তিনি ১৯১৯ সালে তেঁতুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন কবি, সঙ্গীতরচয়িতা, নাট্যকার ও সাংবাদিক।

❆ তাঁর রচিত গ্রন্থাবলি:

❆ নাটক:

❐ শকুন্ত উপাখ্যান ,

❐ সিরাজউদ্দৌলা ,

▣ মহাকবি আলাওল।

❆ কবিতা:

❐ প্রসন্ন প্রহর,

❐ বৈরীবৃষ্টিতে,

❐ তিমিরান্তক,

❐ কবিতা,

❐ বৃশ্চিকলগ্ন।

❆ উপন্যাস:

❐ মাটি আর অশ্রু,

❐ জয়ের পথে,

❐ পূরবী,

❐ নবী কাহিনী।

৪৯৮. 'বনি আদম' কাব্যগ্রন্থটির রচয়িতা কে?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -করতোয়া- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖"বনি আদম " - কাব্যগ্রন্থটির রচয়িতা গোলাম মোস্তফা। তিনি ছিলেন একজন বাঙালি কবি ও লেখক। তার কাব্যের মূল বিষয় ছিল ইসলাম ও প্রেম। তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ হলো রক্তরাগ। তার অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ - হাসনাহেনা, খোশরোজ, সাহারা, বনি আদম ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 গোলাম মোস্তফা:

❐ যশোর (বর্তমান ঝিনাইদহ) জেলার শৈলকুপা উপজেলার মনোহরপুর গ্রামে তাঁর জন্ম।

❐ তাঁর পিতা গোলাম রববানী এবং পিতামহ কাজী গোলাম সরোয়ার দুজনেই ছিলেন লোককবি।

❐ গোলাম মোস্তফা পাকিস্তানি আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন এবং ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় উর্দুর প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করেন।

❐ তিনি গীতিকার ও গায়ক হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। তাঁর গানের বিষয় ছিল ইসলামি সংস্কৃতি ও দেশপ্রেম।

❆ তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থ:

❐ রক্তরাগ,

❐ খোশরোজ,

❐ কাব্য-কাহিনী,

❐ সাহারা,

❐ হাসনাহেনা,

❐ বুলবুলিস্তান,

❐ তারানা-ই-পাকিস্তান,

▣ বনি আদম ইত্যাদি।

৪৯৯. 'ঢেউ' এর সমার্থক শব্দ নয় ----

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -করতোয়া- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖ঢেউ শব্দের প্রতিশব্দ: তরঙ্গ, বীচি, ঊর্মি, কল্লোল, হিল্লোল, লহর, লহরী ইত্যাদি।

বারিধি শব্দের প্রতিশব্দ : সমুদ্র, অর্ণব, জলধি, জলনিধি, পারাবার, রত্নাকর, সাগর, সিন্ধু ইত্যাদি।

তাই সঠিক উত্তর: বারিধি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 'রক্তকরবী' নাটক:

❐ এটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত নাটক।

❐ ১৩৩০ বঙ্গাব্দে নাটকটি প্রবাসী পত্রিকায় প্রকাশিত।

❐ রক্তকরবীতে ধনের উপর ধান্যের, শক্তির উপর প্রেমের ও মৃত্যুর উপর জীবনের জয়গান গাওয়া হয়েছে।

❐ চরিত্র - নন্দিনী, রঞ্জন।

❐ নাটকে 'নন্দিনী' চরিত্রটি নিপীড়িত মানুষের মাঝখানে দেখা দিয়েছে আনন্দের দূত রূপে।

❐ 'রঞ্জন' বিদ্রোহের বাণী বহন করে এনেছে।

❐ শেষপর্যন্ত জয়ী হয়েছে মানুষের প্রাণশক্তি।

▣ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:

❐ তিনি ছিলেন কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ ও সমাজ-সংস্কারক।

❐ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম ১৮৬১ সালের ৭ মে (১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ) কলকাতার জোড়াসাঁকোর অভিজাত ঠাকুর পরিবারে।

❐ তাঁর পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর।

❐ এশিয়ার বরেণ্য ব্যক্তিদের মধ্যে তিনিই প্রথম ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন।

❐ রবীন্দ্রনাথ ছিলেন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের চতুর্দশ সন্তান।

❐ ১৮৮৩ সালের ৯ ডিসেম্বর বেণীমাধব রায়চৌধুরীর মেয়ে মৃণালিনী দেবী রায়চৌধুরীকে বিয়ে করেন রবীন্দ্রনাথের ঠাকুর।

❐ তিনি ১৯১৫ সালে ইংরেজ প্রদত্ত ‘নাইট’ উপাধি পান এবং ১৯১৯ সালে পাঞ্জাবের জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের কারণে ‘নাইট’ উপাধি ফিরিয়ে দেন।

❐ ১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট (২২ শ্রাবণ ১৩৪৮) জোড়াসাঁকোর নিজ বাড়িতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

❆ রবীন্দ্রনাথ রচিত আরো নাটক:

❐ বিসর্জন,

❐ রাজা,

❐ অচলায়তন,

❐ চিরকুমার সভা,

❐ তাসের দেশ,

❐ বৈকুন্ঠের খাতা

❐ শারদোৎসব,

❐ প্রায়শ্চিত্ত,

❐ ডাকঘর,

❐ বসন্ত,

❐ চণ্ডালিকা।

৫০০. মোহাম্মদ নজিবুর রহমান রচিত উপন্যাস কোনটি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -করতোয়া- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖মোহাম্মদ নজিবর রহমান (১৮৬০ - ১৮ অক্টোবর, ১৯২৩) বাংলা ভাষার একজন ঔপন্যাসিক যিনি ঊনবিংশ শতাব্দীতে সাহিত্যের জগতে প্রবেশ করেছিলেন। তৎকালীন সময়ে একজন ঔপন্যাসিক হিসাবে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। তাঁর রচিত 'প্রেমের সমাধি' সামাজিক উপন্যাস। তাঁর রচিত আরো কিছু উপন্যাস হলো আনোয়ারা; চাঁদতারা বা হাসান গঙ্গা বাহমনি; পরিণাম; গরীবের মেয়ে, দুনিয়া আর চাই না; মেহেরউন্নিসা।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 মোহাম্মদ নজিবর রহমান সাহিত্যরত্ন:

❐ পাবনা জেলার শাহজাদপুরের চরবেলতৈল গ্রামে তাঁর জন্ম।

❐ নজিবর রহমান ইসমাইল হোসেন সিরাজীর প্রত্যক্ষ অনুপ্রেরণায় সাহিত্যকর্মে ব্রতী হন।

❐ প্রথম সামাজিক উপন্যাস আনোয়ারা (১৯১৪) লিখে তিনি বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।

❆ তাঁর রচিত উপন্যাস:

▣ প্রেমের সমাধি, 

❐ পরিণাম, 

❐ গরীবের মেয়ে, 

❐ দুনিয়া আর চাইনা ও

❐ মেহেরুন্নিসা।

৫০১. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত নাটক কোনটি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -করতোয়া- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ০

ব্যাখ্যাঃ

🔖রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত নাটক- রক্তকরবী। এটি একটি সাংকেতিক নাটক। নাটকটি বাংলা ১৩৩০ সনের শিলং এর শৈলবাসে রচিত। তখন এর নামকরণ করা হয়েছিল "যক্ষপুরী "। ১৩৩১ সনের আশ্বিন মাসে প্রবাসীতে যখন প্রকাশিত হয় তখন এর নামকরণ করা হয় " রক্তকরবী "।

৫০২. 'যদ্যাপি'এর সন্ধি বিচ্ছেদ---

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -করতোয়া- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖ই- কার কিংবা ঈ- কারের পর ই ও ঈ ভিন্ন অন্য স্বর থাকলে ই বা ঈ স্থানে য বা য- ফলা হয়। য- ফলা লেখার সময় আগের ব্যঞ্জনের সাথে লেখা হয়। যেমন:

ই + অ = য্ + অ ; যদি+ অপি=যদ্যপি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝  ই-কার বা ঈ-কারের পর ই বা ঈ ভিন্ন অন্য কোনো স্বর থাকলে ই বা ঈ স্থানে 'য' বা য-ফলা হয়, য-ফলা পূর্ববর্তী ব্যঞ্জনের সাথে লেখা হয়। 

যেমন:-

❐ ইতি + অন্ত = অত্যন্ত ,

❐ ইতি + আদি = ইত্যাদি,

❐ অতি + উক্তি = অত্যুক্তি,

▣ যদি + অপি = যদ্যপি,

❐ প্রতি + ঊষ = প্রত্যূষ ইত্যাদি।

৫০৩. 'সংসার' এর সন্ধি বিচ্ছেদ---

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -করতোয়া- ০৮.০১.১০ 📖 রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়➟2015➯B ইউনিট

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖ম্ - এর পর অন্তঃস্থ ধ্বনি য, র, ল, ব কিংবা শ, ষ, স, হ থাকলে ম্ স্থলে অনুস্বার (ং) হয়। যেমন:

সম্ + সার = সংসার

সম্ + যম = সংযম ; ইত্যাদি

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 - ম্-এর পর অন্তঃস্থ ধ্বনি য, র, ল, ব, কিংবা শ, ষ, স, হ থাকলে, ম্ স্থলে অনুস্বার (ং) হয় ৷

যেমন:-

❐ সম্ + যম = সংযম,

❐ সম্ + লাপ = সংলাপ,

❐ সম্ + হার = সংহার,

❐ সম্ + বাদ = সংবাদ,

❐ সম্ + শয় = সংশয়,

❐ সম্+ রক্ষণ = সংরক্ষণ,

▣ সম্ + সার = সংসার। 

৫০৪. নিচের কোনটি দ্বিগু সমাস?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -করতোয়া- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖সমাহার বা সমষ্টি বা মিলন অর্থে সংখ্যাবাচক শব্দের সঙ্গে বিশেষ্য পদের যে সমাস হয়, তাকে দ্বিগু সমাস বলে। দ্বিগু সমাসে সমাসনিষ্পন্ন পদটি বিশেষ্য পদ হয়। যেমন: সে (তিন) তারের সমাহার = সেতার।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস:

❐ ক্রিয়ার পারস্পরিক অর্থে ব্যতিহার বহুব্রীহি হয়।

❐ এ সমাসে পূর্বপদে 'আ' এবং পরপদে 'ই' যুক্ত হয়।

যেমন:-

▣ হাতে হাতে যে যুদ্ধ= হাতাহাতি,

▣ কানে কানে যে কথা= কানাকানি।

❆  ❆ সমানাধিকরণ বহুব্রীহি:

❐ পূর্বপদ বিশেষণ ও পরপদ বিশেষ্য হলে সমানাধিকরণ বহুব্রীহি সমাস হয়।

যেমন:-

❐ হত হয়েছে শ্রী যার = হতশ্রী,

❐ খোশ মেজাজ যার = খোশমেজাজ।

❐ এরকম: হৃতসর্বস্ব, উচ্চশির, পীতাম্বর, নীলকণ্ঠ, জবরদস্তি, সুশীল, সুশ্রী, বদবত, কমবত ইত্যাদি।

▣ অপশনে দ্বৈত উত্তর থাকায় প্রশ্নটি বাতিল করা হলো।

৫০৫. নিচের কোনটি বহুব্রীহি সমাস?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -করতোয়া- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ১

ব্যাখ্যাঃ

🔖ক্রিয়ার পারস্পারিক অর্থে ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস হয়। এ সমাসে পূর্বপদে আ এবং উত্তরপদে ই যুক্ত হয়। যেমন: কানে কানে যে কথা- কানাকানি।

তাই সঠিক উত্তর: কানাকানি।

৫০৬. 'চপল' এর বিপরীতার্থক শব্দ ----

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -করতোয়া- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖চপল শব্দের অর্থ-তরল, চঞ্চল, অস্থির ইত্যাদি। প্রদত্ত শব্দটি একটি বিশেষ্য পদ।

গম্ভীর শব্দের। অর্থ-অগাধ, গুরু, গভীর, ভারী ও নিম্ন স্বরযুক্ত, ভারভার ইত্যাদি। প্রদত্ত শব্দটি একটি বিশেষণ পদ।

তাই চপল শব্দের অর্থ- গম্ভীর।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 - চপল শব্দের অর্থ- চঞ্চল, অস্থির।

▣ চপল - এর বিপরীতার্থক শব্দ- গম্ভীর।

❐ রাশভারী (বিশেষণ) এর অর্থ- গম্ভীর প্রকৃতির।

❐ 'চাপল্য' শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ গাম্ভীর্য।

❐ ঔদার্য শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ কার্পণ্য।

❐ ঔদ্ধত্য শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ বিনয়।

৫০৭. "বাড়ী" ঘুরে এস---বাক্য নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -করতোয়া- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖বাড়ি ঘুরে এসো। এখানে বাড়ি অধিকরণে ১মা কারক। কারণ,

ক্রিয়া সম্পাদনের কাল বা সময় এবং আধারকে অধিকরণ কারক বলে। অধিকরণ কারকে বিভিন্ন ধরনের বিভক্তি যুক্ত হয়। যেমন:

আধার( স্থান) : বাড়ি ঘুরে এসো।

আর বাড়ি শব্দের সাথে কোন বিভক্তি নেই বলে এটি শূণ্য বিভক্তি বা ১মা বিভক্তি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝  অধিকরণ কারক:

❐ ক্রিয়া সম্পাদনের কাল (সময়) এবং আধারকে অধিকরণ কারক বলে।

❐ প্রথমা বা শূন্য বিভক্তি: আমি ঢাকা যাব।, বাড়ী ঘুরে এস।

❐ তৃতীয়া বিভক্তি: খিলিপান (এর ভিতরে) দিয়ে ওষুধ খাবে।

❐ পঞ্চমী বিভক্তি: বাড়ি থেকে নদী দেখা যায়৷

❐ সপ্তমী বা তে বিভক্তি: এ বাড়িতে কেউ নেই।

৫০৮. "আমাদের" একটি গল্প বলুন---বাক্য নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -করতোয়া- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖আমাদের একটি গল্প বলুন।

এখানে "আমাদের" কর্মকারকে ৬ষ্ঠী বিভক্তি। যাকে আশ্রয় করে কর্তা ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকে কর্মকারক বলে। বাক্যের ক্রিয়াকে " কাকে" দ্বারা প্রশ্ন করলে কর্মকারক পাওয়া যায়। এখানে, কাকে দিয়ে প্রশ্ন করলে আমাদের পাওয়া যায়। তাই "আমাদের" কর্মকারক। আমি থেকে আমাদের এর ক্ষেত্রে র, এর ৬ষ্ঠী বিভক্তি। তাই সঠিক উত্তর : কর্মকারকে ৬ষ্ঠী।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 কর্ম কারক:

❐ যাকে আশ্রয় করে কর্তা ক্রিয়া সম্পাদন করে, তাকে কর্ম কারক বলে।

❐ বাক্যের মুখ্য কর্ম ও গৌণ কর্ম- উভয় ধরনের কর্মই কর্ম কারক হিসেবে গণ্য হয়।

❐ সাধারনত মুখ্য কর্ম কারকে বিভক্তি হয় না, তবে গৌণ কর্ম কারকে- 'কে' বিভক্তি হয়।

যেমন:-

❐ শিক্ষককে জানাও।

❐ অসহায়কে সাহায্য করো।

▣ আমাদের একটি গল্প বলুন। (কর্মে ষষ্ঠী)। 

❆ 

৫০৯. কোনটি শুদ্ধ বানান?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -করতোয়া- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖সঠিক বানান: অদ্যাপি। অদ্যাপি শব্দের অর্থ- এখনও, আজও। প্রদত্ত শব্দটি একটি অব্যয় পদ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 শুদ্ধ বানান 'অদ্যাপি'

❐ অব্যয় পদ।

❐ সংস্কৃত শব্দ।

❐ অর্থ:-এখনও; আজও; একাল পর্যন্ত।

৫১০. কোনটি শুদ্ধ বানান?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -করতোয়া- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖সঠিক বানান: অভ্যন্তরীণ। অভ্যন্তরীণ শব্দ এর অর্থ- ভিতর, অন্তর, অভ্যন্তর, অন্তস্তল, অন্তর্দেশ ইত্যাদি। প্রদত্ত শব্দটি একটি বিশেষ্য পদ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 শুদ্ধ বানান 'অভ্যন্তরীণ'

❐ বিশেষণ পদ।

❐ সংস্কৃত শব্দ।

❐ প্রকৃতি প্রত্যয় = অভ্যন্তর+ঈন।

❐ অর্থ:-মধ্যবর্তী, অভ্যন্তরে আছে এমন, ভেতরের , মানসিক।

৫১১. কোনটি শুদ্ধ বানান?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -করতোয়া- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖সঠিক বানান: সদ্যোজাত। সদ্যোজাত শব্দের অর্থ- নবজাতক, যে সবেমাত্র জন্মেছে এমন। প্রদত্ত শব্দটি একটি বিশেষণ পদ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 শুদ্ধ বানান 'সদ্যোজাত'

❐ বিশেষণ পদ।

❐ সংস্কৃত শব্দ।

❆  অর্থ:

❐ এইমাত্র জন্মলাভ করেছে এমন।

৫১২. 'কিরণ' এর সমার্থক শব্দ নয় ----

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -করতোয়া- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'কিরণ' এর সমার্থক শব্দ নয় --- রবি।

কিরণ শব্দের সমার্থক শব্দ:

আলোক, আলো, জ্যোতি, কিরণ, দীপ্তি, প্রভা।

রবি শব্দের সমার্থক শব্দ:

সূর্য, রবি, সবিতা, দিবাকর, দিনমনি, দিননাথ, দিবাবসু, অর্ক, ভানু, তপন, আদিত্য, ভাস্কর, মার্তণ্ড, অংশু, প্রভাকর, কিরণমালী, অরুণ, মিহির, পুষা, সূর, মিত্র, দিনপতি, বালকি, অর্ষমা।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 'সূর্য' শব্দের সমার্থক শব্দ গুলো:

❐ রবি,

❐ তপন,

❐ ভানু,

❐ ভাস্কর,

❐ আদিত্য,

❐ সবিতা,

❐ প্রভাকর,

❐ দিবাকর,

❐ বিভাবসু,

❐ মার্তণ্ড ইত্যাদি।

▣ ‘কিরণ’ এর সমার্থক শব্দ:

❐ রশ্মি,

❐ শিখা,

❐ আলোকচ্ছটা,

❐ কর,

❐ প্রভা,

❐ দীপ্তি,

❐ জ্যোতি,

❐ অংশু ইত্যাদি।

৫১৩. 'চক্ষু' এর সমার্থক শব্দ নয় ----

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -করতোয়া- ০৮.০১.১০ 📖 স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক-৩.১৩

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖সলিল অর্থ পানি বাকীগুলোর অর্থ চোখ

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 'চোখ' শব্দের সমার্থক শব্দ:

❐ চক্ষু, নয়ন, আঁখি, অক্ষি, নেত্র, লোচন।

❆ 'সলিল' শব্দের সমার্থক শব্দ 

❆ - অম্বু, জল, জীবন, নীর, পানি ইত্যাদি।

❆  ❆ 

৫১৪. 'উগ্র' এর বিপরীতার্থক শব্দ ----

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -করতোয়া- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖উগ্র শব্দের অর্থ-প্রচন্ড, তীব্র, ভয়ানক রাগী, নিষ্ঠুর ইত্যাদি। প্রদত্ত শব্দটি একটি বিশেষণ পদ।

সৌম্য শব্দের অর্থ- শান্ত, সুন্দর ইত্যাদি। প্রদত্ত শব্দটি একটি বিশেষণ পদ।

তাই উগ্র শব্দের বিপরীত অর্থ- সৌম্য।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 - 'সৌম্য' শব্দের বিপরীত শব্দ - উগ্র।

❐ দুরন্ত এর বিপরীত শব্দ - শান্ত।

❐ 'কোমল' শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ - কঠিন/কঠোর।

❐ 'বিনীত' এর বিপরীত শব্দ- উদ্ধত।

৫১৫. খাঁচার পাখি ছিল সোনার খাঁচাটিতে বনের পাখি ছিল বনে। একদা কী করিয়া মিলন হল দোঁহে, কী ছিল বিধাতার মনে। পঙ্‌ক্তিটির রচয়িতা কে?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -করতোয়া- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖খাঁচার পাখি ছিল সোনার খাঁচাটিতে বনের পাখি ছিল বনে। একদা কী করিয়া মিলন হল দোঁহে, কী ছিল বিধাতার মনে। পঙ্‌ক্তিটির রচয়িতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (৭ই মে, ১৮৬১ - ৭ই আগস্ট ১৯৪১ ; ২৫শে বৈশাখ, ১২৬৮ - ২২শে শ্রাবণ, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ) ছিলেন অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক। তাকে বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক মনে করা হয়।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖খাঁচার পাখি ছিল সোনার খাঁচাটিতে

 বনের পাখি ছিল বনে।

একদা কী করিয়া মিলন হল দোঁহে,

 কী ছিল বিধাতার মনে।

❏ দুই পাখি (সোনার তরী), রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রকাশিত মোট কাব্যগ্রন্থ - ৫৬টি।

উল্লেখযোগ্য কয়েকটি কাব্যগ্রন্থ হচ্ছে - মানসী, সোনার তরী, চিত্রা, চৈতালী, ক্ষণিকা, গীতাঞ্জলি, বলাকা, পূরবী, পুনশ্চ, পত্রপুট, সেঁজুতি, শেষলেখা, প্রভাতসঙ্গীত, বনফুল, কবি-কাহিনী ইত্যাদি।

৫১৬. 'সূর্যদীঘল বাড়ি' উপন্যাসটির রচয়িতা কে?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -করতোয়া- ২৪.০২.১২ 📖 পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা(FWV) প্রশিক্ষণার্থী-১.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'সূর্যদীঘল বাড়ি' উপন্যাসটির রচয়িতা আবু ইসহাক।

আবু ইসহাক (জন্ম: ১ নভেম্বর, ১৯২৬ (১৫ কার্তিক, ১৩৩৩ বাংলা) তৎকালীন মাদারিপুর (বর্তমান শরীয়তপুর জেলা) নড়িয়া থানাধীন শিরঙ্গল গ্রামে, মৃত্যু: ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০০৩, ঢাকায়); তিনি একজন বাংলাদেশী গ্রন্থকার। তিনি ১৯৪৬ সালে, মাত্র বিশ বছর বয়সে রচনা করেন বিখ্যাত উপন্যাস 'সূর্য দীঘল বাড়ী' এবং এটি প্রকাশ করা হয় ১৯৫৫ সালে কলকাতা থেকে, এটি একটি সামাজিক উপন্যাস। সূর্য দীঘল বাড়ি (১৯৫৫)- চলচ্চিত্ররূপ - ১৯৭৯, পদ্মার পলিদ্বীপ (১৯৮৬, সামাজিক উপন্যাস), জাল (১৯৮৮, গোয়েন্দা উপন্যাস)

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖আবু ইসহাক (১৯২৬-২০০৩): ঔপন্যাসিক, কথাসাহিত্যিক। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ-

উপন্যাসঃ

❏ সূর্য দীঘল বাড়ি’(একটি সামাজিক উপন্যাস। বিশ্বযুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, দেশভাগ প্রভৃতি পরপর চারটি বড় ঐতিহাসিক ঘটনার পটভূমিতে রচিত হয়েছে সূর্যদীঘল বাড়ী উপন্যাস। জয়গুন এই উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র। উপন্যাসটি ১৯৫৫ সালে প্রকাশিত এবং এটি তার প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস।),

❏ ‘পদ্মার পলিদ্বীপ’(আবু ইসহাক রচিত দ্বিতীয় সামাজিক উপন্যাস। এটি পদ্মার বুকে জেগে উঠা চরে শ্রমজীবী মানুষের সংগ্রাম নিয়ে রচিত একটি উপন্যাস।),

❏ ‘জাল’(তাঁর রচিত গোয়েন্দা উপন্যাস)।

গল্পগ্রন্থঃ হারেম, মহাপতঙ্গ ইত্যাদি।

ছোটগল্পঃ জোঁক।

তাঁর রচিত একমাত্র নাটক - ‘জয়ধ্বনি’।

তাঁর স্মৃতিচারণমূলক রচনা ‘স্মৃতিবিচিত্রা’ প্রকাশিত হয় ২০০১ সালে। এবং বাংলাপিডিয়া।

৫১৭. 'রক্তাক্ত প্রান্তর' নাটকটির রচয়িতা কে?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -করতোয়া- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'রক্তাক্ত প্রান্তর' নাটকটির রচয়িতা মুনীর চৌধুরী।

আবু নয়ীম মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী (২৭ নভেম্বর ১৯২৫ - ১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১) ছিলেন একজন বাংলাদেশি শিক্ষাবিদ, নাট্যকার, সাহিত্য সমালোচক, ভাষাবিজ্ঞানী, বাগ্মী এবং বুদ্ধিজীবী। তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশী বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের অন্যতম একজন শিকার। রক্তাক্ত প্রান্তর (১৯৬২): পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধের কাহিনী এর মূল উপজীব্য। এতে তিনি যুদ্ধবিরোধী মনোভাব প্রকাশ করেন। নাটকটির জন্য তিনি ১৯৬২ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖'রক্তাক্ত প্রান্তর' নাটকটি মুনীর চৌধুরীর প্রথম পূর্ণাঙ্গ মৌলিক নাটক। 

পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধের (১৭৬১) ঘটনা অবলম্বনে তিন অঙ্কে বিশিষ্ট এই নাটকটি রচিত। 

চিঠি, কবর, দণ্ডকারণ্য ইত্যাদি তাঁর মৌলিক নাটক।

৫১৮. 'যিনি অধিক কথা বলেন না।' --এক কথায় কী হবে?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -করতোয়া- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'যিনি অধিক কথা বলেন না। ' --এক কথায় প্রকাশ হচ্ছে মিতভাষী।

একাধিক পদ বা উপবাক্যকে একটি শব্দে প্রকাশ করা হলে, তাকে বাক্য সংকোচন, বাক্য সংক্ষেপণ বা এক কথায় প্রকাশ বলে । যেমন: আয় অনুসারে ব্যয় করে যে- মিতব্যয়ী। যিনি অল্প কথা বলে- অল্পভাষী।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖অল্পভাষী, মিতভাষী - অল্প কথা বলে এমন; মিতবাক।

অপশনে দুটি একই রকম শব্দ থাকায় বাতিল করা হয়েছে।

৫১৯. 'যা কষ্টে জয় করা যায়।' --এক কথায় কী হবে?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -করতোয়া- ২৪.০২.১২ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -কর্ণফুলী- ২৪.০২.১২ 📖 মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (অফিস সহায়ক) 31-10-2020

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'যা কষ্টে জয় করা যায়। ' --এক কথায় প্রকাশ হবে- দুর্জয়।

একাধিক পদ বা উপবাক্যকে একটি শব্দে প্রকাশ করা হলে, তাকে বাক্য সংকোচন, বাক্য সংক্ষেপণ বা এক কথায় প্রকাশ বলে । যেমন : যা কষ্টে লাভ করা যায়- দুর্লভ। আয় অনুসারে ব্যয় করে যে- মিতব্যয়ী।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖যা কষ্টে জয় করা যায়- দুর্জয়।

যা কষ্টে লাভ করা যায়- দুর্লভ।

সহজ; অল্প মূল্যে মেলে এমন- সুলভ।

৫২০. কোন বানানটি শুদ্ধ?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -করতোয়া- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖প্রথমে ী কার পরে ি কার এ নিয়মে শব্দ গঠন হবে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖ঈই - কার যোগে গঠিত শব্দঃ শারীরিক, মরীচিকা।

ইঈ - কার যোগে গঠিত শব্দঃ গৃহিনী, মালিনী, বাঘিনী।

বিশেষ ব্যক্তিত্বের নামের বানানঃ পাণিনি, কৃত্তিবাস, দধীচি, বাল্মীকি।

৫২১. কোনটি শুদ্ধ বানান?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -করতোয়া- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖অন্বেষণ বানানটি শুদ্ধ।

এরূপ আরো কিছু শুদ্ধ বানান হচ্ছে : অন্বেষণ, মরীচিকা, নিশীথিনী ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖অন্বেষণ (বিশেষ্য) তালাশ; অনুসন্ধান; খোঁজ।

অন্বেষক ( বিশেষ্য) গবেষক।

৫২২. "আলোয়" আঁধার কাটে---বাক্যে উদ্ধৃত শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -করতোয়া- ২৪.০২.১২ 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2007➯C ইউনিট 📖 জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়➟2013➯F ইউনিট

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖"আলোয়" আঁধার কাটে---বাক্যে উদ্ধৃত শব্দটি করণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি‌।

'করণ' শব্দের অর্থ: যন্ত্র, সহায়ক বা উপায়। ক্রিয়া সম্পাদনের যন্ত্র, উপকরণ বা সহায়ককেই করণ কারক বলা হয়।

বাক্যস্থিত ক্রিয়াপদের সঙ্গে 'কিসের দ্বারা' বা 'কী উপায়ে' প্রশ্ন করলে যে উত্তরটি পাওয়া যায়, তা-ই করণ কারক। যেমন- নীরা কলম দিয়ে লেখে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖করণ শব্দটির অর্থ - যন্ত্র, সহায়ক, উপায়।

ক্রিয়া সম্পাদনের যন্ত্র, উপকরণ বা সহায়ককেই বলে করণ কারক।

কীসের দ্বারা বা কী উপায়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায় তাই করণ কারক।

যেমন - “আলোয় আঁধার কাটে।” - এই বাক্যে কিসের দ্বারা বা কী উপায়ে আঁধার কাটে প্রশ্ন করলে উত্তর পাওয়া যায় ‘আলোয়’।

এবং এর সাথে সপ্তমী বিভক্তি ‘য়’ যুক্ত হয়েছে।

৫২৩. "খনিতে" সোনা পাওয়া যায়---বাক্যে উদ্ধৃত শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -করতোয়া- ২৪.০২.১২ 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2007➯C ইউনিট 📖 জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়➟2013➯F ইউনিট

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖"খনিতে" সোনা পাওয়া যায়---বাক্যে উদ্ধৃত শব্দটি অপাদান কারকে সপ্তমী বিভক্তি।

যা থেকে কিছু বিচ্যুত, জাত, বিরত, আরম্ভ, উৎপন্ন, দূরীভূত ও রক্ষিত হয় এবং যা দেখে কেউ ভীত হয়, তাকেই অপাদান কারক বলে। অপাদান কারক মূলত বিশেষ্য পদ এবং এর সাথে সম্পর্কিত পদ যেমন বিশেষণ বা সর্বনামের উপর প্রযুক্ত হয়।

যেমন : গাছ থেকে পাতা পড়ে। মেঘ থেকে বৃষ্টি পড়ে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖যা থেকে কিছু বিচ্যুত, জাত, বিরত, আরম্ভ, উৎপন্ন, দূরীভূত ও রক্ষিত হয় এবং যা দেখে কেউ ভীত হয়, তাকেই অপাদান কারক বলে।

প্রশ্নোক্ত বাক্যে ‘খনি’ থেকে ‘সোনা’ উৎপন্ন হওয়ার কথা বলা হয়েছে। তাই তা অপাদান কারক।

এতে 'এ' বিভক্তি যুক্ত আছে, তাই এটি অপাদানে সপ্তমী বিভক্তি।

৫২৪. 'ক্ষুধার্ত' শব্দের সন্ধি-বিচ্ছেদ কোনটি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -করতোয়া- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'ক্ষুধার্ত' শব্দের সন্ধি-বিচ্ছেদ ক্ষুধা + ঋত।

স্বরধ্বনির সাথে স্বরধ্বনির যে সন্ধি হয় তাকে স্বরসন্ধি বলে। দেখা যাচ্ছে 'অ' এবং 'আ' মিলে স্বরসন্ধিতে 'আ' হয়।

উদাহরণ: সপ্তর্ষি = সপ্ত + ঋষি, ক্ষুধা + ঋত = ক্ষুধার্ত।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖সন্ধির নিয়ম অনুযায়ী ‘আ + ঋ = আর’ হয়। 

সুতরাং, 

তৃষ্ণা + ঋত = তৃষ্ণার্ত;

ক্ষুধা + ঋত = ক্ষুধার্ত।

এরূপ, শীতার্ত, ভয়ার্ত।

৫২৫. 'আমরণ' কোন সমাস (মরণ পর্যন্ত)?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -করতোয়া- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'আমরণ' অব্যয়ীভাব সমাস (মরণ পর্যন্ত)।

পূর্বপদে অব্যয়যোগে নিষ্পন্ন সমাসে যদি অব্যয়েরই অর্থের প্রাধান্য থাকে এবং যে সমাসের সমস্তপদ উপসর্গ দ্বারা শুরু হয় তাকে উপসর্গ তৎপুরুষ বা অব্যয়ীভাব সমাস বলে। অব্যয়ীভাব সমাসে কেবল অব্যয়ের অর্থযোগে ব্যাসবাক্যটি রচিত হয়। যেমন: জানু পর্যন্ত লম্বিত ('পর্যন্ত' শব্দের অব্যয় 'আ')= আজানুলম্বিত (বাহু), মরণ পর্যন্ত= আমরণ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖যে সমাসে পূর্বপদ অব্যয়ের সঙ্গে পরপদ বিশেষ্যের সমাস হয় এবং অব্যয় পদের অর্থই প্রধানরুপে প্রতীয়মান হয় তাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে।

জীবন পর্যন্ত = আজীবন;

সমুদ্র পর্যন্ত = আসমুদ্র;

মূল পর্যন্ত = আমূল;

মরণ পর্যন্ত = আমরণ;

পাদ (পা) থেকে মস্তক পর্যন্ত = আপাদমস্তক;

আদি থেকে অস্ত পর্যন্ত = আদ্যন্ত;

কণ্ঠ পর্যন্ত = আকণ্ঠ।

৫২৬. পূর্ব পদের বিভক্তি লোপ পেয়ে যে সমাস হয় তাকে বলে ---

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -করতোয়া- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖পূর্ব পদের বিভক্তি লোপ পেয়ে যে সমাস হয় তাকে বলে --- তৎপুরুষ সমাস।

পূর্বপদের বিভক্তি এর লোপে যে সমাস হয় এবং যে সমাসে পরপদের অর্থ প্রধানভাবে বোঝায় তাকে তৎপুরুষ সমাস বলে। তৎপুরুষ সমাসের পূর্বপদে দ্বিতীয়া থেকে সপ্তমী পর্যন্ত যে কোনো বিভক্তি থাকতে পারে এবং পূর্বপদের বিভক্তি অনুসারে এদের নামকরণ করা হয়। যেমন: বিপদকে আপন্ন= বিপদাপন্ন। এখানে দ্বিতীয়া বিভক্তি 'কে' লোপ পেয়েছে বলে এর নাম দ্বিতীয়া তৎপুরুষ সমাস।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖পূর্বপদের বিভক্তির লোপে যে সমাস হয় এবং যে সমাসে পরপদের অর্থ প্রধানভাবে বোঝায় তাকে তৎপুরুষ সমাস বলে।

যেমন-

বিপদকে আপন্ন = বিপদাপন্ন।

দেশের সেবা = দেশসেবা,

চায়ের বাগান = চাবাগান,

রাজার পুত্র= রাজপুত্র,

খেয়ার ঘাট = খেয়াঘাট।

৫২৭. 'উনপাঁজুরে' বাগধারাটির অর্থ কি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -করতোয়া- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'উনপাঁজুরে' বাগধারাটির অর্থ হতভাগ্য।

উড়নচণ্ডী- অমিতব্যয়ী। অদৃষ্টের পরিহাস- ভাগ্যের নিষ্ঠুরতা। ঊনপাঁজুরে- দুর্বল, মন্দভাগ্য।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖উনপাঁজুরে, উনপাঁজুরি (বিশেষণ) 

১) কমবখ্▫ত (পাড়াগেঁয়ে হলেই যে এমন উনপাঁজুরে হবে, এমন কোন কথা নাই-প্যারি)।

২) দুর্বল; অক্ষম।

৩) হতভাগ্য।

৫২৮. কোনটি 'মেঘ' শব্দের সমার্থক শব্দ?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -করতোয়া- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'মেঘ' শব্দের সমার্থক শব্দ বারিদ।

মেঘ শব্দের সমার্থক শব্দ হচ্ছে- বারিদ, জল শব্দের সমার্থক শব্দ- অম্বু, পর্বত শব্দের সমার্থক শব্দ- ভূধর, বাতাস শব্দের সমার্থক শব্দ- অনিল।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖মেঘ শব্দের সমার্থক শব্দ - বারিদ, জীমূত, জলধর, জলদ, পয়োধর, তোয়দ, পয়োদ, নীরদ ইত্যাদি।

অম্বু শব্দের সমার্থক শব্দ - জল, জীবন, নীর, পানি, সলিল ইত্যাদি।

অনিল শব্দের সমার্থক শব্দ - বায়ু, বাতাস, পবন, হাওয়া, সমীরণ, সমীর, মরুৎ প্রভৃতি।

‘ভূধর’ শব্দের সমার্থক শব্দ - অচল, অদ্রি, গিরি, পাহাড়, ভূধর, শৈল।

৫২৯. 'কুটিল' শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ কোনটি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -করতোয়া- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'কুটিল' শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ- সরল।

'কুটিল' শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ হচ্ছে- সরল, বাঁকা শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ হচ্ছে- সোজা।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖কুটিল শব্দের অর্থ অসরল, বক্র, জটিল, শঠ, কপট।

এর বিপরীত শব্দ হলো সরল।

৫৩০. আমি বেদুঈন, আমি চেঙ্গিস আমি আপনারে ছাড়া করি না কাহারে কুর্নিশ। পঙ্‌ক্তিটির রচয়িতা কে?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -কর্ণফুলী- ২৪.০২.১২ 📖 15th BCS General Apr, 1993 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -সুরমা- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖পঙক্তিটি কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী কবিতার অন্তর্ভুক্ত।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖আমি বেদুঈন, আমি চেঙ্গিস,

আমি আপনারে ছাড়া করি না কাহারে কুর্নিশ!

❏বিদ্রোহী, কাজী নজরুল ইসলাম।

'বিদ্রোহী' কবিতাটি কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'অগ্নিবীণা'র দ্বিতীয় কবিতা। 

এই কাব্যগ্রন্থে মোট ১২ টি কবিতা রয়েছে।

এর প্রথম কবিতা 'প্রলয়োল্লাস'।

৫৩১. 'বরফ গলা নদী' উপন্যাসটির রচয়িতা কে?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -কর্ণফুলী- ২৪.০২.১২ 📖 Karmasangsthan Bank - Data Entry Operator - 05.08.11

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'বরফ গলা নদী' উপন্যাসটির রচয়িতা জহির রায়হান।

জহির রায়হান (১৯ আগস্ট ১৯৩৫ - ৩০ জানুয়ারি ১৯৭২) একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশি চলচ্চিত্র পরিচালক, ঔপন্যাসিক, এবং গল্পকার। বাংলা সাহিত্যের গল্প শাখায় অবদানের জন্য তিনি ১৯৭২ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। তার রচিত প্রথম উপন্যাস শেষ বিকেলের মেয়ে ১৯৬০ সালে প্রকাশিত হয়। তার রচিত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য উপন্যাস হলো হাজার বছর ধরে ও আরেক ফাল্গুন। হাজার বছর ধরে উপন্যাসের জন্য ১৯৬৪ সালে আদমজী সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖জহির রায়হানের প্রকৃত নাম- মোহাম্মদ জহিরুল্লাহ। তার রচিত উপন্যাসগুলো হলো -

❏ বরফ গলা নদী

❏ তৃষ্ণা

❏ শেষ বিকেলের মেয়ে

❏ হাজার বছর ধরে,

❏ আরেক ফাল্গুন (ভাষা আন্দোলনের উপর রচিত প্রথম উপন্যাস)

❏ আর কত দিন

❏ কয়েকটি মৃত্যু।

৫৩২. 'রক্তকরবী' নাটকটি কার রচনা?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -কর্ণফুলী- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'রক্তকরবী' নাটকটির রচয়িতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত রক্তকরবী (১৯২৪) তার একটি অন্যতম বিখ্যাত নাটক। এছাড়াও তাঁর উল্লেখযোগ্য নাটক হল- চিত্রাঙ্গদা, প্রায়শ্চিত্ত, রাজা, অচলায়তন, ডাকঘর, তাসের দেশ, চণ্ডালিকা ইত্যাদি অন্যতম।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖'রক্তকরবী' রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত একটি সাংকেতিক নাটক। এটি ১৯২৬ সালে প্রকাশিত হয়।

তাঁর রচিত অন্যান্য নাটক- বসন্ত, ডাকঘর, অচলায়তন, মুক্তধারা, বিসর্জন, তাসের দেশ, কালের যাত্রা ইত্যাদি।

৫৩৩. 'যা কষ্টে লাভ করা যায়।' -এক কথায় কী হবে?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -কর্ণফুলী- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'যা কষ্টে লাভ করা যায়। ' -এক কথায় হবে দুর্লভ।

যা কষ্টে জয় করা যায় - দুর্জয়। যা কষ্টে অর্জন করা যায় - কষ্টার্জিত।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖যা কষ্টে লাভ করা যায়- দুর্লভ।

সহজ; অল্প মূল্যে মেলে এমন- সুলভ।

যা কষ্টে জয় করা যায়- দুর্জয়।

৫৩৪. 'আবক্ষ জলে নেমে স্নান।' -এক কথায় কী হবে?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -কর্ণফুলী- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'আবক্ষ জলে নেমে স্নান। ' -এক কথায় হবে অবগাহন।

প্রত্যুদ্‌গমন= অগ্রসর হয়ে অভ্যর্থনা।

অশ্রুসিক্ত= অশ্রুর দ্বারা সিক্ত।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖অবগাহ, অবগাহন (বিশেষ্য) পানিতে নেমে ডুব দিয়ে গোসল; শরীর ডুবিয়ে স্নান (সঙ্গীতের তরঙ্গময় সুরধারায় অবগাহন করার পরে – রাজিয়া খান)।

৫৩৫. কোন বানানটি শুদ্ধ?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -কর্ণফুলী- ২৪.০২.১২ 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দাজলা- ০৮.১১.১৩ 📖 দুর্নীতি দমন কমিশন (সহকারী পরিচালক) 28-02-2020

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖পসারিণী বানানটি শুদ্ধ।

প্রদত্ত অন্যান্য অপশন গুলোর বানান অশুদ্ধ।

আরো কিছু শুদ্ধ বানান হলো : দুর্জয়, পরীক্ষা, প্রতিশ্রুতি ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖পসারি, পশারী, পশারি (বিশেষ্য) 

১) দোকানদার; পণ্যবিক্রেতা।

২) মিছরি, মসলা, বিবিধ গাছগাছড়া, শুষ্ক ফল ইত্যাদি বিক্রেতা।

পসারিণী (বিশেষণ) (স্ত্রীলিঙ্গ)।

৫৩৬. কোনটি শুদ্ধ বানান?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -কর্ণফুলী- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖আনুষঙ্গিক বানানটি শুদ্ধ।

এ রুপ আরো কিছু শুদ্ধ বানান হলো আনুষ্ঠানিক, অনুপস্থিত, আন্তরিক ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖আনুষঙ্গিক, আনুষঙ্গ (বিশেষণ) 

১) সংশ্লিষ্ট; প্রাসঙ্গিক (আনুষঙ্গিক ব্যয়)।

২) গৌণ; অপ্রধান (আনুষঙ্গ ফল করে সংসারের ক্ষয়-কৃষ্ণদাস কবিরাজ)।

আনুষঙ্গিক, আনুষঙ্গ (বিশেষ্য) সংশ্লিষ্ট বিষয় বা বস্তু (আনুষঙ্গিকের তাড়নায় -বুদ্ধদেব বসু)।

৫৩৭. কোনটি 'পৃথিবী' শব্দের সমার্থক শব্দ?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -কর্ণফুলী- ২৪.০২.১২ 📖 মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (অফিস সহায়ক) 31-10-2020

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'পৃথিবী' শব্দের সমার্থক শব্দ হচ্ছে বসুধা।

পৃথিবী শব্দের আরো কিছু সমার্থক শব্দ হচ্ছে- ধরা, ধরণী, বসুন্ধরা, ভূমন্ডল, অবনী, মহি, বসুমতি, মেদিনি, জগৎ, ভুবন, সংসার।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖পৃথিবী শব্দের সঠিক প্রতিশব্দ - বসুধা।

এর আরো কয়েকটি প্রতিশব্দ - ধরা, ধরণী, ধরিত্রী, বসুন্ধরা, অবনি, ক্ষিতি, মহী, অখিল ইত্যাদি।

৫৩৮. খালেদ "বই" পড়ে ---বাক্যে উদ্ধৃত শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -কর্ণফুলী- ২৪.০২.১২ 📖 জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়➟2018➯F ইউনিট 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖খালেদ "বই" পড়ে ---বাক্যে উদ্ধৃত শব্দটি কর্ম কারকে শূন্য বিভক্তি।

যাকে আশ্রয় করে কর্তা ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকে কর্মকারক বলে। কর্ম দুই প্রকার: মুখ্য কর্ম ও গৌণ কর্ম। উদাহরণ : ঘোড়া গাড়ি টানে। আমাকে একখানা বই দাও।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖বাক্যে যাকে আশ্রয় করে কর্তা ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকে কর্মকারক বলে। 

“খালেদ বই পড়ে” বাক্যে পড়ার কাজটি বইকে অবলম্বন করে হয়েছে। 

তাই এটা কর্মকারক এবং ‘বই’ এর সাথে কোন বিভক্তি যুক্ত হয়নি অর্থাৎ এটি একটি শূন্য বিভক্তির উদাহরণ।

৫৩৯. "ব্যায়ামে" শরীর ভাল থাকে ---বাক্যে উদ্ধৃত শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -কর্ণফুলী- ২৪.০২.১২ 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2015➯ঘ ইউনিট 📖 ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়➟2011➯C ইউনিট

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖"ব্যায়ামে" শরীর ভাল থাকে ---বাক্যে উদ্ধৃত শব্দটি করণ কারকে ৭মী বিভক্তি।

করণ' শব্দের অর্থ: যন্ত্র, সহায়ক বা উপায়। ক্রিয়া সম্পাদনের যন্ত্র, উপকরণ বা সহায়ককেই করণ কারক বলা হয়।

বাক্যস্থিত ক্রিয়াপদের সঙ্গে 'কিসের দ্বারা' বা 'কী উপায়ে' প্রশ্ন করলে যে উত্তরটি পাওয়া যায়, তা-ই করণ কারক। যেমন- নীরা কলম দিয়ে লেখে। 'জগতেকীর্তিমান হয় সাধনায়।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖করণ শব্দটির অর্থ - যন্ত্র, সহায়ক, উপায়। 

ক্রিয়া সম্পাদনের যন্ত্র, উপকরণ বা সহায়ককেই বলে করণ কারক। 

কীসের দ্বারা বা কী উপায়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায় তাই করণ কারক।

যেমন - ‘ব্যায়ামে শরীর ভাল থাকে’ - এই বাক্যে কিসের দ্বারা বা কী উপায়ে শরীর ভাল থাকে প্রশ্ন করলে উত্তর পাওয়া যায় ‘ব্যায়ামে’। 

এবং এর সাথে সপ্তমী বিভক্তি ‘এ’ যুক্ত হয়েছে।

৫৪০. 'দ্যুলোক' শব্দের সন্ধি-বিচ্ছেদ কোনটি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -কর্ণফুলী- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'দ্যুলোক' শব্দের সন্ধি-বিচ্ছেদ হচ্ছে দিব্‌ + লোক।

স্বরে আর ব্যঞ্জনে অথবা ব্যঞ্জনে‬ ও ব্যঞ্জনে অথবা ব্যঞ্জনে ও স্বরে যে সন্ধি হয় তাকে ব্যঞ্জন সন্ধি বলে। ব্যঞ্জনসন্ধি মূলত কথ্য রীতিতে সীমাবদ্ধ। প্রকৃত বাংলা ব্যঞ্জন সন্ধি মূলত সমীভবন এর নিয়মে হয়ে থাকে। ব্যঞ্জন সন্ধিকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়।

যেমন, বিপজ্জনক = বিপদ + জনক। দ্যুলোক = দিব্‌ + লোক।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖কতগুলো সন্ধি কোন নিয়ম অনুসরণ করে না। এগুলোকে নিপাতনে সিদ্ধ বলে।

দ্যুলোক নিপাতনে সিদ্ধ ব্যঞ্জন সন্ধি। এর যথার্থ সন্ধিবিচ্ছেদ হলোঃ দিব্ + লোক = দ্যুলোক।

এছাড়াও, 

ষট্▫ + দশ = ষোড়শ; 

পর + পর = পরস্পর; 

গো + পদ = গোস্পদ।

৫৪১. 'মৌমাছি' কোন সমাস (মৌ সংগ্রহকারী মাছি)?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -কর্ণফুলী- ২৪.০২.১২ 📖 38th BCS General Dec, 2017 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2000➯ক ইউনিট

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'মৌমাছি' কর্মধারয় সমাস (মৌ সংগ্রহকারী মাছি)।

যে সমাসে বিশেষণ বা বিশেষণভাবাপন্ন পদের সাথে বিশেষ্য বা বিশেষ্যভাবাপন্ন পদের সমাস হয় এবং পরপদের অর্থই প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন: নীল যে পদ্ম= নীলপদ্ম, শান্ত অথচ শিষ্ট= শান্তশিষ্ট, কাঁচা অথচ মিঠা= কাঁচামিঠা।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖মৌ সংগ্রহ করে যে মাছি = মৌমাছি। এটি একটি মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস।

যেখানে বিশেষণ বা বিশেষণভাবাপন্ন পদের সাথে বিশেষ্য বা বিশেষ্যভাবাপন্ন পদের সমাস হয় এবং পরপদের অর্থই প্রধান রূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে কর্মধারয় সমাস বলে। 

এবং ব্যাসবাক্যের মাঝের পদ লোপ পেয়ে যে সমাস হয়, তাই মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস।

যেমন- হাসি মাখা মুখ = হাসিমুখ

ঝাল মিশ্রিত মুড়ি = ঝালমুড়ি

প্রাণ যাওয়ার ভয় = প্রাণভয়

স্মৃতি রক্ষার্থে সৌধ = স্মৃতিসৌধ।

এমনিভাবে, সিংহাসন, সাহিত্যসভা, গোবর গণেশ, সংবাদপত্র ইত্যাদি।

৫৪২. 'অসুখ' কোন সমাস ( নাই সুখ যার)?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -কর্ণফুলী- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'অসুখ' বহুব্রীহি সমাস ( নাই সুখ যার)।

যে সমাসে সমস্যমান পদগুলোর কোনোটির অর্থ না বুঝিয়ে, অন্য কোনো পদকে বোঝায়, তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে। যেমন: বহু ব্রীহি (ধান) আছে যার= বহুব্রীহি। এখানের 'বহু' কিংবা 'ধান' কোনোটিরই অর্থের প্রাধান্য নেই, যার বহু ধান আছে এমন লোককে বোঝাচ্ছে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖নাই সুখ যার = অসুখ।

এটি একটি নঞ্বহুব্রীহি সমাস।

বিশেষ্য পূর্বপদের আগে নঞ্ (না অর্থবোধক) অব্যয় যোগ করে বহুব্রীহি সমাস কিরা হলে তাকে নঞ্ বহুব্রীহি বলে। 

নঞ্ বহুব্রীহি সমাসে সাধিত পদটি বিশেষণ হয়। 

যেমন: ন (নাই) জ্ঞান যার= অজ্ঞান, 

বে (নাই) হেড যার= বেহেড, 

না (নাই) চারা (উপায়) যার= নাচার, 

নি (নাই) ভুল যার= নির্ভুল, 

না (নয়) জানা যা= নাজানা, অজানা ইত্যাদি। 

এরূপ- নাহক, নিরুপায়, নির্ঝঞ্ঝাট, অবুঝ, অকেজো, বে-পরোয়া, বেঁহুশ, অনন্ত, বেতার ইত্যাদি।

৫৪৩. 'মুখচোরা' বাগধারাটির অর্থ কি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -কর্ণফুলী- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'মুখচোরা' বাগধারাটির অর্থ লাজুক।

ঠোঁটকাটা বাগধারাটির অর্থ স্পষ্টভাষী।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖মুখচোরা (বিশেষণ)- লাজুক; অল্প কথা বলে এমন (বাহিরে সে বেজায় মুখচোরা-বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়)।

৫৪৪. 'ঔদ্ধত্য' শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ কোনটি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -কর্ণফুলী- ২৪.০২.১২ 📖 মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (অফিস সহায়ক) 31-10-2020

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'ঔদ্ধত্য' শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ হচ্ছে- বিনয়।

কুটিল শব্দের বিপরীত শব্দ সরল; ক্ষিপ্ত শব্দের বিপরীত শব্দ শান্ত এবং উদ্ধত শব্দের বিপরীত শব্দ বিনীত।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖'ঔদ্ধত্য' শব্দের সঠিক বিপরীতার্থক শব্দ 'বিনয়'।

৫৪৫. কোন বানানটি শুদ্ধ?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -তিতাস- ০৮.০১.১০ 📖 12th BCS General Apr, 1991 📖 খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়➟2008➯খ ইউনিট

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖তৎসম শব্দে কোথাও মূর্ধন্য-ষ থাকলে তার পরের ন- ধ্বনি মূর্ধন্য ণ হয়। যেমন পাষাণ, বিভীষণ, ভাষণ, ভীষণ, কর্ষণ ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖শুদ্ধরূপে লেখা বানান: পাষাণ

এটি সংস্কৃত ভাষার শব্দ।  

√পিষ্▫  + আন = পাষাণ

পাষাণ অর্থ: 

❏ হৃদয়হীন 

❏ নির্মম 

❏ নির্দয়

৫৪৬. "গগনে গরজে মেঘ, ঘন বরষা। কূলে একা বসে আছি, নাহি ভরসা।"--এ উদ্ধৃতাংশটি কোন কবির রচনা?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -তিতাস- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖উদ্ধৃতাংশ টি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'সোনার তরী' কবিতার প্রথম দুটি লাইন। কবিতাটি 'সোনার তরী' কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত। কবিতাটির মূল বক্তব্য হলো ক্ষুরধার বর্ষায় সোনার ধান কেটে নানা আশংকা নিয়ে একলা অপেক্ষামান কৃষক অন্য এক মাঝি দেখে আনন্দিত হয়।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝আলোচ্য চরণটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'সোনার তরী' কবিতা থেকে নেয়া হয়েছে।

▣ 'সোনার তরী' রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'সোনার তরী' কাব্যগ্রন্থের নাম-কবিতা।

❐ এ কবিতায় নিবিড়ভাবে মিশে আছে কবির জীবন দর্শন। সোনার তরী 'মাত্রাবৃত্ত' ছন্দে রচিত।

❐ এর অধিকাংশ পঙক্তি ৮+৫ মাত্রার পূর্ণপর্বে বিন্যস্ত।

❐ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'সোনার তরী' কাব্যগ্রন্থটি ১৮৯৪ সালে প্রকাশিত হয়।

❐ এই গ্রন্থের উল্লেখযোগ্য কবিতা কুষ্টিয়ার শিলাইদহে বসে লেখা হয়েছে।

❐ কবিতাটি নিম্নরূপ-

❐ সোনার তরী

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

❐ গগনে গরজে মেঘ, ঘন বরষা।

 কূলে একা বসে আছি, নাহি ভরসা।

রাশি রাশি ভারা ভারা

ধান কাটা হল সারা,

ভরা নদী ক্ষুরধারা

খরপরশা।

কাটিতে কাটিতে ধান এল বরষা।

একখানি ছোটো খেত, আমি একেলা,

চারি দিকে বাঁকা জল করিছে খেলা।

পরপারে দেখি আঁকা

তরুছায়ামসীমাখা

গ্রামখানি মেঘে ঢাকা

প্রভাতবেলা-- (সংক্ষিপ্ত)

৫৪৭. "হে কবি, নীরব কেন ফাগুন যে এসেছে ধরায়, বসন্তে বরিয়া তুমি লবে না কি তব বন্দনায়?" --এ উদ্ধৃতাংশটি কোন কবির রচনা?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -তিতাস- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖উদ্ধৃতাংশ টি বিশিষ্ট মহিলা কবি ও নারী আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ বেগম সুফিয়া কামালের অক্ষরবৃত্ত ছন্দে রচিত 'তাহারেই পড়ে মনে' কবিতার প্রথম দুটি লাইন। কবিতায় কোভিদ প্রধান সহায়ক ও সাহিত্য সাধনায় উৎসাহদাতা স্বামী সৈয়দ নেহাল হোসেনের আকস্মিক মৃত্যুতে বিষাদময় রিক্ততা তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে প্রকৃতিতে বসন্ত এলে ও গভীর বেদনার কারণে তার মনে বসন্ত স্পর্শ করতে পারেনি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝আলোচ্য উদ্ধৃতাংশটি বেগম সুফিয়া কামাল রচিত 'সাঁঝের মায়া' কাব্যগ্রন্থের 'তাহারেই পড়ে মনে' কবিতার অংশ।

❐ 'জননী সাহসিকা' হিসেবে খ্যাত সুফিয়া কামাল ছিলেন মূলত কবি।

❐ সুফিয়া কামাল বাংলাদেশের একজন প্রথিতযশা কবি, লেখিকা ও নারী আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ।

❐ তিনি বরিশালের শায়েস্তাবাদে মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।

❐ তার পৈতৃক নিবাস কুমিল্লায়।

❐ 'বেগম' (১৯৪৭) পত্রিকার প্রথম সম্পাদক ছিলেন তিনি।

❐ কবিতাটি নিম্নরূপ-

❐ তাহারেই পড়ে মনে

❐ সুফিয়া কামাল---সাঁঝের মায়া

❐ হে কবি! নীরব কেন-ফাল্গুন যে এসেছে ধরায়,

বসন্তে বরিয়া তুমি লবে না কি তব বন্দনায়?”

কহিল সে স্নিগ্ধ আঁখি তুলি-

“দখিন দুয়ার গেছে খুলি?

বাতাবী নেবুর ফুল ফুটেছে কি? ফুটেছে কি আমের মুকুল?

দখিনা সমীর তার গন্ধে গন্ধে হয়েছে কি অধীর আকুল?

❐ 

এখনো দেখনি তুমি?” কহিলাম “কেন কবি আজ

এমন উন্মনা তুমি? কোথা তব নব পুষ্পসাজ?”

কহিল সে সুদূরে চাহিয়া-

“অলখের পাথার বাহিয়া

তরী তার এসেছে কি? বেজেছে কি আগমনী গান?

ডেকেছে কি সে আমারে? -শুনি নাই,রাখিনি সন্ধান (সংক্ষিপ্ত)

৫৪৮. কোনটি শুদ্ধ বানান?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -তিতাস- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖সঠিক বানান: তিতিক্ষা। তিতিক্ষা শব্দের অর্থ- ক্ষমা, সহিষ্ণুতা, ধৈর্য ইত্যাদি। প্রদত্ত শব্দটি একটি বিশেষ্য পদ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖তিতিক্ষা (বিশেষ্য) - সহনশীলতা; সহিষ্ণুতা; ক্ষমা; অপরাধ মার্জনা; ক্ষমার ভাব।

৫৪৯. 'লাল সালু' উপন্যাসটি কে রচনা করেছেন?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -তিতাস- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖আধুনিক বাংলা সাহিত্যের রূপকার সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ রচিত উপন্যাস লালসালু। মাত্র ৪৯ বছরের জীবনে তিনটি উপন্যাস লিখে ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা লাভ করেন। বাঙালি মুসলিম সমাজের ধর্মান্ধতা, ধর্মের নামে স্বার্থ হাসিল ও আচার সর্বোচ্চ সমাজব্যবস্থাকে তিনি লালসালু উপন্যাসে উপস্থাপন করেছেন। কেন্দ্রীয় চরিত্র মজিদকে কেন্দ্র করে উপন্যাসের ঘটনা আবর্তিত হয়েছে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ রচিত উপন্যাস 'লালসালু।'

❐ এটি ১৯৪৮ সালে প্রকাশিত হয়।

❐ লালসালু উপন্যাসটি Tree Without Roots (১৯৬৭) নামে ইংরেজিতে অনূদিত হয়।

❐ 'লালসালু' একটি বহুমাত্রিক ও কালোত্তীর্ণ উপন্যাস।

❐ ধর্ম নিয়ে ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থকারীদের স্বরূপ উন্মোচন এবং নারী জাগরণের প্রেক্ষাপটে সমাজচেতনা এই উপন্যাসের মূল বিষয়।

❐ এই উপন্যাসের উল্লেখযোগ্য চরিত্র- মজিদ, জমিলা, আমেনা, খালেক ব্যাপারী, রহিমা, আক্কাস, তাহেরের বাপ, হাসুনির মা ইত্যাদি।

৫৫০. 'সঞ্চয়িতা' কোন কবির কাব্য সংকলন?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -তিতাস- ০৮.০১.১০ 📖 22nd BCS General Feb, 2001 📖 24th BCS (Cancelled) Feb, 2003

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতার সংকলন সঞ্চয়িতা। এ কাব্যগ্রন্থটি ১৯৩১ সালে প্রকাশিত হয়। এর কবিতাগুলো কালানুক্রমে সজ্জিত। প্রথমে সন্ধ্যাসংগীত কাব্যগ্রন্থ থেকে পড়ে শেষ লেখা কাব্যগ্রন্থের কবিতা এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি রবীন্দ্রনাথের অত্যাধিক জনপ্রিয় কাব্যগ্রন্থ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖সঞ্চয়িতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত নিজ কবিতার সংকলন। 

❏ রবীন্দ্রনাথের সব কাব্য থেকে কবিতা নিয়ে তৈরি হয়েছে এই বইটি। 

❏ সঞ্চিতা হলো কাজী নজরুল ইসলামের কাব্য সংকলন৷

৫৫১. 'সাজাহান' নাটকটির রচয়িতা কে?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -তিতাস- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖বাঙালি কবি, গীতিকার ও নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায় তার সাহিত্য জীবনে অনেক নাটক রচনা করেন। শ্রেণি বিভাগ এর দিক দিয়ে 'সাজাহান' নাটকটি ঐতিহাসিক নাটক। এ নাটকটি মুঘল সম্রাট সাজাহানের জীবন অবলম্বনে রচিত। নাটক টি ১৯১৯ সালে প্রকাশিত হয়।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝মোগল সম্রাট শাহজাহানের জীবনচরিত নিয়ে রচিত প্রথম নাটক ''সাজাহান'' - এর রচয়িতা - দ্বিজেন্দ্রলাল রায়।

এই নাটকে বিখ্যাত ''ধনধান্য পুষ্পে ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা.......।'' গানটি রয়েছে।

❐ তার অন্যান্য নাটক -

❐ তারাবাঈ

❐ রানাপ্রতাপসিংহ

❐ নূরজাহান

❐ মেবার পতন

❐ সোহরাব - রুস্তম

❐ চন্দ্রগুপ্ত

❐ সিংহল বিজয়

৫৫২. 'কাঁকর মনি' নাটকটি কে লিখেছেন?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -তিতাস- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖কথা সাহিত্যিক শওকত ওসমান রচিত কতিপয় নাটক হলো: আমলার মামলা, তস্কর ও লস্কর, বাগদাদের কবি ও কাঁকর মনি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝`কাঁকর মনি‘ নাটকটির রচয়িতা শওকত ওসমান।

❐ শওকত ওসমান- কথাসাহিত্যিক।

❐ তাঁর প্রকৃত নাম 'শেখ আজিজুর রহমান'।

❐ তাঁর রচিত নাটকঃ

❐ তস্কর লস্কর

❐ পূর্ণ স্বাধীনতা চূর্ণ স্বাধীনতা

❐ আমলার মামলা

❐ কাঁকর মণি

❐ বাগদাদের কবি

❐ তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বিখ্যাত উপন্যাসঃ

❐ জননী (প্রথম প্রকাশিত)

❐ চৌরসন্ধি,

❐ সমাগম,

❐ রাজা উপাখ্যান,

❐ পতঙ্গ পিঞ্জর,

❐ রাজসাক্ষী,

❐ পুরাতন খঞ্জর,

❐ বনি আদম ইত্যাদি।

❐ দুই সৈনিক

❐ নেকড়ে অরণ্য

❐ জলাঙ্গী

❐ জাহান্নাম হইতে বিদায়

❐ তাঁর রচিত গল্পগ্রন্থঃ

❐ ঈশ্বরের প্রতিদ্বন্দী,

❐ পিঁজরাপোল,

❐ জন্ম যদি তব বঙ্গে ইত্যাদি।

৫৫৩. "আমাকে" যেতে হবে। --- বাক্যে উদ্ধৃত শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -তিতাস- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖কাজটি যে করে সেই কর্তৃকারক। অপরের অধীনে না হয়ে নিচে ক্রিয়া সম্পাদন করলে সেই হয় কর্তা। কর্তৃ কারক নির্ণয়ের জন্য প্রশ্ন হচ্ছে 'কে বা কারা'? যেমন: আমাকে যেতে হবে। কাকে যেতে হবে? 'আমাকে'। এখানে আমাকে কর্তৃকারক। দ্বিতীয় বিভক্তি চিহ্ন কে, রে, । কাজেই কর্তায় ২য়া বিভক্তি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝“আমাকে যেতে হবে” বাক্যে নিম্নরেখ শব্দটি- কর্তৃকারকে/কর্তাকারকে ৭মী বিভক্তির প্রয়োগ ঘটেছে।

❐ বাক্যস্থিত যে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদ ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকে ক্রিয়ার কর্তা বা কর্তৃকারক বলে।

ক্রিয়াকে ‘কে/ কারা’ দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, সেটিই কর্তৃকারক। (কর্মবাচ্য ও ভাববাচ্যের বাক্যে এই নিয়ম খাটবে না। সেক্ষেত্রে একটু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।)

❐ কর্তৃকারকে বিভক্তির প্রয়োগের উদাহরণ-

❐ পাখি সব করে রব = কর্তৃকারকে শূন্য বিভক্তির

❐ আমার দ্বারা এ কাজ হবে না সাধন = কর্তৃকারকে তৃতীয়া বিভক্তির

❐ পাছে লোকে কিছু বলে = কর্তৃকারকে ৭মী বিভক্তির

❐ বুলবুলিতে ধান খেয়েছে = কর্তৃকারকে ৭মী বিভক্তির

❐ ঘোড়ায় গাড়ি টানে = কর্তৃকারকে ৭মী বিভক্তির

❐ মানুষ ভাবে এক হয় আর এক = কর্তৃকারকে শূন্য বিভক্তির

❐ সবাইকে একদিন মরতে হবে = কর্তৃকারকে দ্বিতীয়া বিভক্তির।

৫৫৪. কোন বানানটি শুদ্ধ?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -তিতাস- ০৮.০১.১০ 📖 21st BCS General Dec, 1999 📖 Agrani bank Ltd - Senior Officer (Re-exam) - 26.07.13

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖উল্লেখিত বানান গুলোর মধ্যে সুচিস্মিতা বানানটি শুদ্ধ। এরূপ আরো কিছু বানানো হলো পাষাণ, বিভীষিকা, সাম্পান ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖শুদ্ধ বানান হলো শুচিস্মিতা। এটি স্ত্রীবাচক শব্দ।

❏ অর্থ্যাৎ যে নারীর হাসি পবিত্র/শুদ্ধ।

❏ এর পুরুষবাচক শব্দ হলো শুচিস্মিত। অর্থাৎ, উজ্জ্বল বা বিশুদ্ধ হাস্যময়।

৫৫৫. "চোখ দিয়ে" জল পড়ে। --- বাক্যে উদ্ধৃত শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -তিতাস- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖অপাদান কারক নির্ণয়ের জন্য ক্রিয়াপদ ধরে কোথা থেকে কি থেকে কিসের থেকে এসব প্রশ্ন করতে হয় এবং তার উত্তরে অপাদান কারক জানতে পারা যায়। যেমন- চোখ দিয়ে জল পড়ে। কোথা থেকে বা দিয়ে- চোখ দিয়ে। কাজেই এটি অপাদান কারক এবং দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক বিভক্তি চিহ্ন থাকায় এটি তৃতীয় বিভক্তি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝অপাদান কারক সংজ্ঞা :

যা থেকে কোনো কিছু উৎপত্তি, বিচ্যুত, জাত, গৃহীত, আরম্ভ, দূরীভূত ও রক্ষিত হয়, তাকে বলা হয় অপাদান কারক।

❐ বাক্যের ক্রিয়াপদকে কোথা হতে, কি থেকে, কিসের থেকে ইত্যাদি প্রশ্ন করলে উত্তরে যে কারক পাওয়া যায়, তা-ই হলো অপাদান কারক।

উদাহরণ

বিচ্যুত : ছাদ থেকে পানি পড়ে। মেঘ থেকে বৃষ্টি হয় ইত্যাদি।

গৃহীত : দুধ থেকে দই হয়। বিশ্বাস থেকে বস্তু মেলে।

জাত : জমি থেকে আমরা ফসল পাই। খেজুর রসে গুড় হয়।

বিরত : পাপে বিরত হও। মিথ্যা বলা ছাড়।

দূরীভূত : দেশ থেকে পাপাচার দূর করতে হবে।

রক্ষিত : বিপদ থেকে আমায় বাঁচাও।

আরম্ভ : বুধবার থেকে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান চলবে।

ভীত : বাঘে ভীত হয়।

❐ অপাদান কারকে বিভিন্ন বিভক্তি ছাড়াও হইতে, হতে, থেকে, দিয়ে, দিয়া ইত্যাদি অনুসর্গ ব্যবহৃত হয়।

❐ অপাদান কারকে বিভিন্ন বিভক্তির প্রয়োগ

(ক) প্রথমা বা শূন্য বা অ বিভক্তি : বোঁটা-আলগা ফল গাছে থাকে না।

✰‘মনে পড়ে সেই জ্যৈষ্ঠ দুপুরে পাঠশালা পলায়ন

(খ) দ্বিতীয়া বা কে বিভক্তি : বাবাকে বড় ভয় পাই।

(গ) ষষ্ঠী বা এর বিভক্তি : যেখানে বাঘের ভয় সেখানে সন্ধ্যা হয়।

(ঘ) সপ্তমী বা এ বিভক্তি : বিপদে মোরে করিবে ত্রাণ, এ নহে মোর প্রার্থনা।

❐ অনুরূপভাবে, 'চোখ দিয়ে জল পড়ে।' - অপাদান কারকে ৩য়া বিভক্তির উদাহরণ।

৫৫৬. কোনটি অব্যয়ীভাব সমাসের উদাহরণ?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -তিতাস- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝যে সমাসে পূর্বপদ অব্যয়ের সঙ্গে পরপদ বিশেষ্যের সমাস হয় এবং অব্যয় পদের অর্থই প্রধানরুপে প্রতীয়মান হয় তাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে।

❐ জীবন পর্যন্ত = আজীবন;

সমুদ্র পর্যন্ত = আসমুদ্র;

মূল পর্যন্ত = আমূল;

মরণ পর্যন্ত = আমরণ;

পাদ (পা) থেকে মস্তক পর্যন্ত = আপাদমস্তক;

আদি থেকে অস্ত পর্যন্ত = আদ্যন্ত;

কণ্ঠ পর্যন্ত = আকণ্ঠ।

❐ অন্যদিকে,

অনুতে (পশ্চাতে) যে তাপ = অনুতাপ। = প্রাদি সমাস

আমরা = ( সে তুমি ও আমি) একশেষ দ্বন্দ সমাস।

৫৫৭. কোনটি কর্মধারয় সমাসের উদাহরণ?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -তিতাস- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖কর্মধারয় সমাস নির্ণয়ের সহজ উপায় হলো এ সমাজে প্রথম পদটি দ্বিতীয় পত্রের বিশেষণ রূপে অবস্থান করে এবং সমস্ত পদ দ্বিতীয় বা পরপদের অর্থ প্রাধান্য পায়।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝▣ কর্মধারয় সমাস:

কর্মধারয় শব্দটির ব্যুৎপত্তি হলো- কর্ম + ধৃ+ ণিচ + আ = কর্মধারয়। এতে সমান বিভক্তিযুক্ত বিশেষণ ও বিশেষ্য পদের মিলন হয় এবং পরপদে বিশেষ্যের অর্থ প্রধান থাকে। অর্থাৎ, যে সমাসে বিশেষণ বা বিশেষণ ভাবাপন্ন পদের সাথে বিশেষ্য বা বিশেষণভাবাপন্ন পদের সমাস হয় এবং পরপদের অর্থই প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয় তাকে বলা হয় কর্মধারয় সমাস।

❐ যেমন- নীল যে পদ্ম = নীলপদ্ম, যে শান্ত সেই শিষ্ট = শান্তশিষ্ট, যা কাঁচা তাই পাকা= কাঁচাপাকা ইত্যাদি।

অনুরূপভাবে, ঋষি যে কবি = ঋষিকবি।

৫৫৮. 'উচ্ছ্বাস' শব্দটির প্রতিশব্দ নয় কোনটি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -তিতাস- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖উচ্ছ্বাস শব্দের প্রতিশব্দ গুলো হল- প্রবল ভাবাবেগ, উল্লাস, বিকাশ, স্ফূরণ, নিঃশ্বাস ইত্যাদি। উদ্ভাসিত অর্থ উন্মোচিত, বিকশিত।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝`উচ্ছ্বাস‘ শব্দের প্রতিশব্দ: স্ফীতি, স্ফূর্তি, বিকাশ, উল্লাস, স্কূরণ, উদ্দামতা, উচ্ছলতা, প্রাণপাচুর্য, প্রাণাবেগ।

অন্যদিকে,

'উদ্ভাসিত', 'উজ্জ্বল' এর সমার্থক শব্দ।

৫৫৯. 'কুল' শব্দের সমার্থক শব্দ কোনটি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -তিতাস- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'কুল' অর্থ- বংশ, গোষ্ঠী, গোত্র, অভিজাত্য, বংশমর্যাদা, কৌলিন্য, সন্তান ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝'কুল' এর সমার্থক শব্দ বংশ,গোত্র, গোষ্ঠী, কৌলীন্য।

❐ অন্যদিকে,

কূলএর সমার্থক শব্দ সৈকত, তীর, তট, কিনার, ধার।

৫৬০. 'চপল' এর বিপরীতার্থক শব্দ কি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -তিতাস- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖চপল এর প্রতিশব্দ- চঞ্চল, অস্থির, তরল, লঘু। এর বিপরীত শব্দ গম্ভীর।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝চপল শব্দের অর্থ চঞ্চল, অস্থির।

চপল - এর বিপরীতার্থক শব্দ গম্ভীর।

রাশভারী (বিশেষণ) এর অর্থ = গম্ভীর প্রকৃতির।

❐ 'চাপল্য' শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ গাম্ভীর্য।

❐ ঔদার্য শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ কার্পণ্য।

❐ ঔদ্ধত্য শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ বিনয়।

৫৬১. 'তিমির' এর বিপরীতার্থক শব্দ কি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -তিতাস- ০৮.০১.১০ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -যমুনা- ২৪.০২.১২ 📖 নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অধীন আইডিইএ প্রকল্প (২য় পর্যায়)~ ডাটা এন্ট্রি অপারেটর এবং অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ~ 16.10.21

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖তিমির এর প্রতিশব্দ- অনুকার, আধার, তমঃ তমিস্র প্রভৃতি। এর বিপরীত শব্দ আলো।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝'তিমির' শব্দের অর্থ = অন্ধকার।

সুতরাং 'তিমির'-এর বিপরীতার্থক শব্দ- আলো

❐ 'অন্ধকার' শব্দের সমার্থক শব্দ = আঁধার, আধারি, তমসা, তিমির, তমিস্র, শর্বর, তমঃ, তমিস্রা, আঁধিয়ার, তিমির ইত্যাদি।

৫৬২. 'ধার' শব্দটির সন্ধি বিচ্ছেদ হচ্ছে ---

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -তিতাস- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'ধার' শব্দটির সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ হচ্ছে-

ধারি + অ = ধার।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ `ধার + অ‘

৫৬৩. 'বৈঠক' শব্দটির সন্ধি বিচ্ছেদ হচ্ছে ---

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -তিতাস- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'বৈঠক' শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ হচ্ছে- বৈঠ + ক = বৈঠক।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝‘বৈঠক‘ শব্দের সন্ধিবিচ্ছেদ = বৈঠ + ক

৫৬৪. বহুব্রীহি সমাসের উদাহরণ কোনটি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -তিতাস- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖বহুব্রীহি সমাস চেনার উপায় হলো এই সমাসে সমস্যমান পদ গুলোর কোনটির অর্থ প্রাধান্য না পেয়ে অন্য কোনো তৃতীয় পদের অর্থ প্রাধান্য পায়। ব্যাসবাক্য যে, যিনি, যার প্রভৃতি শব্দ থাকে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝বহুব্রীহি সমাসে পরপদে 'গন্ধ' শব্দ স্থানে 'গন্ধি' বা গন্ধা' শব্দ যুক্ত হয়।

যেমন:

সুগন্ধ যার = সুগন্ধি

পদ্মের ন্যায় গন্ধ যার = পদ্মগন্ধি

মৎস্যের ন্যায় গন্ধ যার = মৎস্যগন্ধা

৫৬৫. এতটুকু তারে ঘরে এনেছিনু সোনার মতন মুখ, পুতুলের বিয়ে ভেঙ্গে গেল বলে কেঁদে ভাসাইত বুক। --পংক্তিটি কোন কবির রচনা?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -তিস্তা- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖বাংলা সাহিত্যের পল্লী কবি নামে খ্যাত কবি জসীমউদ্দীনের 'কবর' কবিতা থেকে পঙক্তিটি নেওয়া হয়েছে। কবিতা টি ষান্মাসিক মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত। করুন রসাত্মক এই কবিতায় প্রধান হয়ে উঠেছে এই গ্রামীণ বৃদ্ধের জীবনের গভীর বেদনা গাথা। উন্মোচন করেছেন তার একমাত্র অবলম্বন নাতির কাছে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝এতটুকু তারে ঘরে এনেছিনু সোনার মত মুখ, পুতুলের বিয়ে ভেঙ্গে গেল বলে কেঁদে ভাষাইত বুক। - পংক্তিটি 'কবি জসীম উদ্দীন' এর 'কবর' কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।

▣ 'কবর' কবিতা

❐ 'কবর' কবিতাটি কবি জসীমউদ্দীনের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘রাখালী’ (১৯২৭) এর অন্তর্ভুক্ত।

❐ কবর কবিতাটি প্রথম প্রকাশিত হয় 'কল্লোল' পত্রিকায়।

❐ এটি মত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত যাতে ১১৮ টি পঙক্তি আছে।

▣ কবর- কবিতা

জসীমউদ্দীন

❐ এই খানে তোর দাদির কবর ডালিম-গাছের তলে,

তিরিশ বছর ভিজায়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে।

এতটুকু তারে ঘরে এনেছিনু সোনার মতন মুখ,

পুতুলের বিয়ে ভেঙে গেল বলে কেঁদে ভাসাইত বুক।

এখানে ওখানে ঘুরিয়া ফিরিতে ভেবে হইতাম সারা,

সারা বাড়ি ভরি এত সোনা মোর ছড়াইয়া দিল কারা!

সোনালি ঊষার সোনামুখ তার আমার নয়নে ভরি

লাঙল লইয়া খেতে ছুটিলাম গাঁয়ের ও-পথ ধরি।

যাইবার কালে ফিরে ফিরে তারে দেখে লইতাম কত

এ কথা লইয়া ভাবি-সাব মোরে তামাশা করিত শত।

এমনি করিয়া জানি না কখন জীবনের সাথে মিশে

ছোট-খাট তার হাসি ব্যথা মাঝে হারা হয়ে গেনু দিশে।

❐ 

৫৬৬. গাহি তাহাদের গান --- ধরণীর হাতে দিল যারা আনি ফসলের ফরমান। --পংক্তিটি কোন কবির রচনা?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -তিস্তা- ০৮.০১.১০ 📖 বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সহকারী বিস্ফোরক পরিদর্শক-২.০৩ 📖 শিক্ষা অফিসার-১৯.০৩.০৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖বাংলার বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত 'সন্ধ্যা' কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত জীবন-বন্দনা' কবিতার পংক্তি এটি। কবিতাটিতে কবি মানব মুক্তির উদাত্ত বাণী উচ্চারণ করেছেন। কবি তাদের জয়গান গেয়েছেন যারা কঠিন শ্রমিক পৃথিবী কে ভরিয়ে দেয় ফল ও ফসল, যারা মৃত্যু সময় পৃথিবী কে করে তুলেছে মনোরম ও সুন্দর, যারা মানব কল্যাণে আত্মহুতি দিয়েছে দেশে দেশে কালে কালে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝গাহি তাহাদের গান-

ধরণীর হাতে দিলো যারা আনি ফসলের ফরমান।- পংক্তিটি 'কাজী নজরুল ইসলাম' এর 'সন্ধ্যা' কাব্যগ্রন্থের 'জীবন-বন্দনা' কবিতার অংশ।

❐ বাংলাদেশের রণসঙ্গীতটিও এই কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত।

❐ 'জীবন-বন্দনা' কবিতা

কাজী নজরুল ইসলাম

❐ গাহি তাহাদের গান ➞

ধরণির হাতে দিল যারা আনি ফসলের ফরমান।

শ্রম-কিণাঙ্ক-কঠিন যাদের নির্দয় মুঠি-তলে

ত্রস্তা ধরণি নজরানা দেয় ডালি ভরে ফুলে ফলে।

বন্য-শ্বাপদ-সংকুল জরা-মৃত্যু-ভীষণা ধরা

যাদের শাসনে হল সুন্দর কুসুমিতা মনোহরা।

যারা বর্বর হেথা বাঁধে ঘর পরম অকুতোভয়ে

বনের ব্যাঘ্র মরুর সিংহ বিবরের ফণী লয়ে।

এল দুর্জয় গতিবেগ সম যারা যাযাবর-শিশু

তারাই গাহিল নব প্রেমগান ধরণি-মেরির জিশু

যাহাদের চলা লেগে

উল্কার মতো ঘুরিছে ধরণি শূন্যে অমিত বেগে !

❐ কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত কয়েকটি কাব্যগ্রন্থ:

❐ অগ্নিবীণা,

❐ মরুভাস্কর,

❐ সঞ্চিতা,

❐ চিত্তনামা,

❐ দোলনচাঁপা,

❐ সন্ধ্যা,

❐ চক্রবাক,

❐ চন্দ্রবিন্দু,

❐ ছায়ানট,

❐ বিষের বাঁশি,

❐ সর্বহারা,

❐ পুবের হাওয়া,

❐ সাম্যবাদী,

❐ ঝিঙ্গে-ফুল,

❐ ফনিমনসা,

❐ প্রলয়-শিখা,

❐ নতুন চাঁদ (শেষ কাব্য)

৫৬৭. 'বরফগলা নদী' উপন্যাসটির রচয়িতা কে?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -তিস্তা- ০৮.০১.১০ 📖 Mercantile Bank Ltd - Probationary Officer - 14.08.15

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖চলচ্চিত্র পরিচালক, উপন্যাসিক ও গল্পকার জহির রায়হান রচিত উপন্যাস 'বরফ গলা নদী'। উপন্যাসটি ১৯৬৯ সালে প্রকাশিত হয়। এটি প্রথমে উত্তরণ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। উপন্যাসের বিষয়বস্তু শহরে নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের কাহিনী নিয়ে আবর্তিত হয়েছে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝‘বরফগলা নদী’ উপন্যাসটির রচিয়তা- 'জহির রায়হান'।

❐ জহির রায়হান

❐ তিনি ১৯৩৫ সালে ফেনি জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।

❐ জহির রায়হান ছিলেন একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশি কথাশিল্পী এবং চলচ্চিত্র পরিচালক।

❐ জহির রায়হানের প্রকৃত নাম- মোহাম্মদ জহিরুল্লাহ।

▣ জহির রায়হান সৃষ্টি প্রথম রঙিন চলচ্চিত্র ‘সঙ্গম’।

❐ তাঁর পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘কখনো আসে নি’।

❐ তাঁর সৃষ্ট প্রথম সিনেমাস্কোপ ছবি ‘বাহানা’।

❐ তাঁর সৃষ্ট 'কাঁচের দেয়াল' চলচ্চিত্রটি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হিসেবে নিগার পুরস্কার লাভ করে।

❐ জহির রায়হান রচিত উপন্যাস:

❐ হাজার বছর ধরে

❐ বরফ গলা নদী

❐ আর কতদিন

❐ তৃষ্ণা

❐ শেষ বিকেলের মেয়ে

❐ কয়েকটি মৃত্যু

৫৬৮. 'সঞ্চিতা' কোন কবির কাব্য সংকলন?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -তিস্তা- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'সঞ্চিতা' কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিভিন্ন কাব্য থেকে বাছাইকৃত কবিতা নিয়ে প্রকাশিত কবিতা গ্রন্থের নাম। এটি ১৯২৮ সালে প্রকাশিত হয়। কবি ও কাব্য গ্রন্থটি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কে উৎসর্গ করেন।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖সঞ্চিতা হলো কাজী নজরুল ইসলামের কাব্য সংকলন।

সঞ্চয়িতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকৃত নিজ কবিতার সংকলন।

৫৬৯. 'ডাকঘর' নাটকটির রচয়িতা কে?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -তিস্তা- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖সমালোচকদের মতে, রবীন্দ্রনাথের 'ডাকঘর' পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ দশটি নাটকের অন্যতম। নাটকে নিঃসন্তান মাধব দত্তের সংসারে দূরসম্পর্কের বালক অমল ব্যধিতে শয্যাগত। ঘরের বন্ধন ছেড বাইরের সীমাহীনতায় ছড়িয়ে পড়তে চায় সে। কিন্তু কবিরাজের নিষেধ। তাই সে বন্ধ ঘরের খোলা জানালার পাশে বসে কল্পনায় কখনো দূরের গ্রামে দই বিক্রি করতে চায় কাজ খুঁজে বেড়াতে চায় আবার কখনো দূরবর্তী পাহাড় পার হয়ে চলে যেতে চায় নিরুদ্দেশে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝‘ডাকঘর’ নাটকটির রচয়িতা- 'রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর'।

❐ 'ডাকঘর' নাটক

▣ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত 'ডাকঘর' (১৯১২) রূপক সাংকেতিক নাটক।

❐ বালক অমল এই নাটকের নায়ক।

❐ রবীন্দ্রনাথ নিজে লিখেছেন- "এর মধ্যে গল্প নেই, এর গদ্য লিরিক।"

▣ নাটকের উল্লেখযোগ্য চরিত্র:

❐ অমল,

❐ সুধা,

❐ ঠাকুর্দা প্রমুখ।

▣ রবীন্দ্রনাথ রচিত অন্যান্য নাটক:

❐ বিসর্জন

❐ রাজা

❐ অচলায়তন

❐ চিরকুমার সভা

❐ তাসের দেশ

❐ শারদোৎসব,

❐ প্রায়শ্চিত্ত

❐ ডাকঘর

❐ বসন্ত

❐ চণ্ডালিকা

❐ নটীর পূজা

৫৭০. 'কিত্তনখোলা' নাটকটির রচয়িতা কে?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -তিস্তা- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖নাট্যকার সেলিম আল দীনের ব্যতিক্রমী নাটক 'কীত্তনখোলা'। গ্রামীণ মেলা কে কেন্দ্র করে নাটকটি রচিত। মেলার পরিবেশ রঙ্গ রস, আনন্দ-উল্লাস, কোলাহল, চিৎকার, যাত্রা, প্রাকৃতিক ঔষধের ক্যানভাস, ক্রেতা বিক্রেতাদের আচার-আচরণ ইত্যাদি নাটকে রূপায়িত হয়েছে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝কীর্তনখোলা নাটকটির রচয়িতা- 'সেলিম আল দীন'।

❐ কীর্তনখোলা নাটক অবলম্বনে চলচ্চিত্রকার আবু সাইয়ীদ চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন ২০০১ সালে।

❐ সেলিম আল দীন:

❐ তিনি ১৯৪৯ সালের ১৮ আগস্ট সীমান্তবর্তী ফেনি জেলার অন্তর্গত সোনাগাজী উপজেলার সেনেরখিল গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

❐ তিনি বাংলা ভাষার আধুনিককাল পর্বের অন্যতম নাট্যকার।

❐ ১৯৮১-৮২ সালে তিনি এবং নাট্য-নির্দেশক নাসির উদ্দিন ইউসুফ সারাদেশব্যাপী গড়ে তোলেন বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার।

❐ মুক্তিযুদ্ধ-উত্তর বাংলাদেশে তিনি অন্যান্যদের সঙ্গে গঠন করেন ঢাকা থিয়েটার ও বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার।

❐ তাঁর উল্লেখযোগ্য নাটকসমূহ:

❐ সর্প বিষয়ক গল্প ও অন্যান্য নাটক

❐ জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন

❐ বাসন

❐ মুনতাসির ফ্যান্টাসী

❐ শকুন্তলা

❐ কীত্তনখোলা

❐ কেরামতমঙ্গল

❐ যৈবতী কন্যার মন

❐ চাকা

❐ হরগজ

❐ হাতহদাই

❐ নিমজ্জন

❐ ধাবমান

❐ বনপাংশুল প্রভৃতি।

৫৭১. "অহঙ্কার" পতনের মূল ---বাক্যে নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -তিস্তা- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖করণ শব্দটির অর্থ- যন্ত্র, সহায়ক বা উপায়। কর্তা যা দিয়ে ক্রিয়া সম্পাদিত করে তাকে করণ কারক বলে। বাক্যে অহংকার পতনের মূল। এক্ষেত্রে যদি প্রশ্ন করা হয় কি উপায়ে পতনের মূল। তাহলে উত্তর আসে অহংকার দ্বারা। তাই এক্ষেত্রে অহংকার করণ কারক।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝‘অহংকার পতনের মূল’- নিম্নরেখ শব্দটি করণে কারকে শূন্য বিভক্তির উদাহরণ।

❐ করণ কারক

করণ শব্দটির অর্থ - যন্ত্র, সহায়ক, উপায়।

ক্রিয়া সম্পাদনের যন্ত্র, উপকরণ বা সহায়ককেই বলে করণ কারক।

কীসের দ্বারা বা কী উপায়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায় তাই করণ কারক।

❐ যেমন - 'অহঙ্কার পতনের মূল’ - এই বাক্যে কিসের দ্বারা বা কী উপায়ে পতন হবে প্রশ্ন করলে উত্তর পাওয়া যায় ‘অহংকার’।

এবং এর সাথে এর সাথে কোন বিভক্তি যুক্ত হয়নি অর্থাৎ এটি একটি শূন্য বিভক্তির উদাহরণ।

৫৭২. কি "সাহসে" ওখানে গেলে? ---বাক্যে নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -তিস্তা- ০৮.০১.১০ 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2005➯A ইউনিট 📖 ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়➟2011➯C ইউনিট

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝কি সাহসে ওখানে গেলে?- বাক্যে নিম্নরেখ শব্দটি কর্মকারকে ৭মী বিভক্তি।

❐ কর্ম কারক:

❐ যাকে অবলম্বন করে কর্তা ক্রিয়া সম্পাদন করে তাকে কর্ম বা কর্ম কারক বলে।

যেমন: কি সাহসে ওখানে গেলে?

❐ বাক্যে সাহস কে অবলম্বন করে যাওয়া কাজটি সম্পাদিত হয়েছে। 

অতএব, সাহস কর্ম কারক। এবং সাহস শব্দে ‘এ’ বিভক্তি যুক্ত হয়ে সাহসে হওয়ায় ‘সাহসে’ কর্ম কারকে সপ্তমী বিভক্তি।

৫৭৩. কোনটি দ্বন্দ্ব সমাসের উদাহরণ?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -তিস্তা- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖অহি-নকুল শব্দের ব্যাসবাক্য 'অহি ও নকুল'। দ্বন্দ্ব সমাসের পূর্বপদ ও পরপদ এর সম্বন্ধ বোঝানোর জন্য ব্যাসবাক্য সংযোজক অব্যয় 'ও', 'আর', 'এবং' ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়। প্রশ্নে প্রদত্ত অপর দুটি শব্দই নঞর্থক তৎপুরুষ সমাসের উদাহরণ। নয় ন্যায় = অন্যায়, নয় আসক্ত = অনাসক্ত। আমরণ এর ব্যাসবাক্য 'মরণ পর্যন্ত'। এটি অব্যয়ীভাব সমাস।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝অহি নকুল- দ্বন্দ্ব সমাসের উদাহরণ।

বিরোধার্থক শব্দযোগে গঠিত দ্বন্দ্ব সমাস: অহি - নকুল।

❐ দ্বন্দ্ব সমাস

যে সমাসে দুই বা ততোধিক পদের মিলন হয় এবং যে সমাসে প্রত্যেকটি সমস্যমান পদের অর্থের প্রাধান্য থাকে, তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে।

দ্বন্দ্ব সমাস কয়েক প্রকারে সাধিত হয় ।

❐ আরো কিছু দ্বন্দ্ব সমাসের উদাহরণ:

❐ মিলনার্থক শব্দযোগে: মা - বাপ

❐ বিরোধার্থক শব্দযোগে: দা - কুমড়া, অহি - নকুল

❐ প্রায় সমার্থক ও সহচর শব্দযোগে: ধুতি - চাদর ।

❐ সমার্থক দ্বন্দ্ব সমাস- হাট ও বাজার= হাটবাজার।

৫৭৪. কোনটি বহুব্রীহি সমাসের উদাহরণ?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -তিস্তা- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖ঊন (দুর্বল) পাঁজর যার, তাকে ঊনপাঁজুরে বলে। এটি বহুব্রীহি সমাসের উদাহরণ। ওলকপি = ওলের মতো কপি, উপমান কর্মধারয়, কবিগুরু = কবিদের গুরু, ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাসের উদাহরণ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝ঊনপাঁজুরে- প্রত্যয়ান্ত বহুব্রীহি সমাসের উদাহরণ।

❐ প্রত্যয়ান্ত বহুব্রীহি সমাস:

যে বহুব্রীহি সমাসের সমস্তপদে আ, এ, ও ইত্যাদি প্রত্যয়যুক্ত হয় তাকে বলা হয় প্রত্যয়ান্ত বহুব্রীহি সমাস।

যেমন -

❐ ঊন পাঁজর যার= ঊনপাঁজরে।

❐ এক দিকে চোখ যার = একচোখা (চোখ + আ)।

❐ ঘরের দিকে মুখ যার = ঘরমুখো (মুখ + ও)

এরকম,

❐ নি-খরচে, দোটানা, দোমনা, একগুঁয়ে, অকেজো, একঘরে, দোনলা, দোতলা ইত্যাদি।

৫৭৫. 'ইতি' শব্দের প্রতিশব্দ নয় কোনটি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -তিস্তা- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'ইতি' শব্দের প্রতিশব্দ হলো- শেষ, খতম, অবসান, বিরাম, প্রভৃতি। বরেণ্য এর প্রতিশব্দ হলো- বরণীয়, মান্য, শ্রেণি, উৎকৃষ্ট, প্রার্থনীয়। কাজেই ইতির প্রতিশব্দ নয় 'বরেণ্য'।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝‘ইতি’ শব্দের প্রতিশব্দ নয়- 'বরেণ্য'

❐ বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে,

'বরেণ্য' শব্দের অর্থ- বরণ করার যোগ্য যিনি; শ্রেষ্ঠ; প্রার্থনীয়।

৫৭৬. 'নদী' শব্দের সমার্থক শব্দ কোনটি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -তিস্তা- ০৮.০১.১০ 📖 Pubali Bank Ltd - Junior Officer (Cash) - 17.05.13

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖নদী শব্দের সমার্থক শব্দ- তটিনী, তরঙ্গিনী, দরিয়া, প্রবাহিণী, সরিৎ প্রভৃতি। অপরদিকে বারিধি এর সমার্থক শব্দ- সমুদ্র, উদক শব্দের সমার্থক শব্দ- পানি প্রভৃতি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝‘নদী’ শব্দের সমার্থক শব্দ- 'সরিৎ'।

❐ তাছাড়া,

▣ 'সমুদ্র' শব্দের সমার্থক শব্দ:বারিধি।

▣ 'পানি' শব্দের সমার্থক শব্দ: উদক, অম্বু ।

❐ 'নদী' শব্দের সমার্থক শব্দ:

❐ নদ

❐ নদনদী

❐ স্রোতস্বিনী,

❐ তটিনী,

❐ স্রোতস্বতী,

❐ শৈবলিনী,

❐ সরিৎ

❐ প্রবাহিণী,

❐ তরঙ্গিণী

❐ মন্দাকিনী

❐ কল্লোলিনী ইত্যাদি।

৫৭৭. 'উত্তপ্ত' শব্দটির বিপরীতার্থক শব্দ কি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -তিস্তা- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖উত্তপ্ত শব্দের অর্থ- অত্যন্ত তপ্ত, খুব গরম প্রভৃতি। উত্তপ্ত এর বিপরীতার্থক শব্দ শীতল। শীতল শব্দের অর্থ- ঠান্ডা, শান্ত, প্রভৃতি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝উত্তপ্ত- শব্দটির বিপরীতার্থক শব্দ: 'শীতল'।

▣ বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে,

শীতল (বিশেষণ) শব্দের অর্থ- শান্ত; ঠাণ্ডা; স্নিগ্ধ।

'উত্তপ্ত' (বিশেষণ) শব্দের অর্থ- অত্যন্ত তপ্ত; খুব গরম।

উত্তপ্ত শব্দটি বিশেষণ, সে হিসেবে এর বিপরীত শব্দও একটি বিশেষণ পদ হবে।

▣ তাপ শব্দটি বিশেষ্য, সে হিসেবে এর বিপরীত শব্দও একটি বিশেষ্য পদ হবে।

এখানে শৈত্য শব্দটি বিশেষ্য।

তাই তাপ এর বিপরীত শব্দ- শৈত্য।

৫৭৮. 'নন্দিত' শব্দটির বিপরীতার্থক শব্দ কি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -তিস্তা- ০৮.০১.১০ 📖 কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর (প্রধান সহকারী/হিসাবরক্ষক/কম্পিউটার অপারেটর) 4- 6- 2021

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝নন্দিত শব্দটির বিপরীতার্থক শব্দ- 'নিন্দিত'। 

▣ কিছু বিপরীতার্থক শব্দযুগল সমূহ-

❐ 'হলাহল' এর বিপরীত শব্দ-'সুধা/ অমৃত'

❐ 'হর্ষ/হরিষ' এর বিপরীত শব্দ- 'বিষাদ'

❐ 'প্রসন্ন' এর বিপরীত শব্দ- 'বিষণ্ণ'

❐ 'সন্নিকৃষ্ট' এর বিপরীত শব্দ- 'বিপ্রকৃষ্ট'

❐ 'সন্ধি' এর বিপরীত শব্দ- 'বিগ্রহ/বিবাদ'

৫৭৯. 'মোড়ক' শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ হবে ---

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -তিস্তা- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'মোড়ক' শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ হবে- মুড় + অক

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝‘মোরগ’ শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ হবে- 'মুড় + অক'।

▣ 'মোড়ক' শব্দটি বাংলা 'অক' প্রত্যয় যোগে গঠিত শব্দ।

❐ যার সঠিক প্রকৃতি ও প্রত্যয় হচ্ছে √মুড়্ + অক = মোড়ক।

❐ এরূপঃ √ঝল্ + অক = ঝলক ইত্যাদি।

৫৮০. 'কাঁদুনি'শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ হবে ---

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -তিস্তা- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖বাংলা সন্ধির নিয়ম অনুসারে অ-কার বা আ-কারের পর উ-কার বা ঊ-কার থাকলে উভয়ে মিলে উ-কার হয়। কাঁদুনি এর সন্ধি কাঁদ + উনি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝‘কাঁদুনি’ শব্দের সন্ধিবিচ্ছেদ হবে- 'কাঁদ +উনি'।


▣ ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য অর্থে অনি-প্রত্যয় হয়।

অনি প্রত্যয়ের বিকল্প হিসেবে উনি ব্যবহৃত হতে পারে।

❐ যেমন: অনি (বিকল্পে) উনি-প্রত্যয় -

অনি প্রত্যয়যোগে - √কাঁপ্∘ + অনি = কাঁপনি।

উনি প্রত্যয়যোগে - √কাঁপ্∘ + উনি = কাঁপুনি।

❐ তাছাড়া,

√ কাঁদ্∘ + অনি = কাঁদনি  কাঁদুনি

√ চির্∘ + অনি = চিরনি  চিরুনি

√ বাঁধ + অনি = বাঁধনি  বাঁধুনি

৫৮১. কোনটি শুদ্ধ বানান?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -তিস্তা- ০৮.০১.১০ 📖 রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়➟2010➯A5 ইউনিট 📖 ডাক বিভাগের পোস্টাল অপারেটর-৬.১৬

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖ই-স্বর এবং উ-স্বরের পর ইচ্ছা অর্থে- সন্ প্রত্যয়ের দন্ত্য স্ পরিবর্তিত হয়ে মূর্ধন্য-ষ হয়। যেমন: শুশ্রূষা, মুমূর্ষা, চিকির্ষা, প্রভৃতি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝শুশ্রূষা- বানানটি শুদ্ধ।

❐ বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে,

শুশ্রূষা (বিশেষ্য) শব্দের অর্থ- পরিচর্যা বা সেবা।

৫৮২. কোন বানানটি শুদ্ধ?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -তিস্তা- ০৮.০১.১০ 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2008➯A ইউনিট 📖 14th BCS General Apr, 1992

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖ই-কার কিংবা ঈ-কারের পর ই-কার কিংবা ঈ-কার থাকলে উভয়ে মিলে ঈ-কার হয়। যেমন- বিভীষিকা, দিল্লীশ্বর, সতীন্দ্র প্রভৃতি।

৫৮৩. কোনটি শুদ্ধ বানান?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -তিস্তা- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖সংস্কৃত/ইন/ প্রত্যয়ান্ত শব্দের বাংলা পুরুষবাচক রূপ ঈ-কারন্ত হয়। যেমন- উপকারী, দেশদ্রোহী, পারদর্শী, প্রতিদ্বন্দ্বী, প্রভৃতি শব্দ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝বাংলা একাডেমী আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে,

প্রতিদ্বন্দ্বী- বানানটি শুদ্ধ।

▣ 'প্রতিদ্বন্দ্বী' শব্দের অর্থ- শত্রু; প্রতিপক্ষ।

৫৮৪. কোনটি তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাসের উদাহরণ ---

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -তিস্তা- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖পূর্বপদে তৃতীয়া বিভক্তির (দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক ইত্যাদি) লোপে যে সমাস হয় তাকে তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন- তেল দিয়ে ভাজা = তেলেভাজা, মন দ্বারা গড়া = মনগড়া, মধু দিয়ে মাখা = মধু মাখা ইত্যাদি তৃতীয় তৎপুরুষ সমাসের উদাহরণ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝'তেলেভাজা'- তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাসের উদাহরণ।

❐ তৎপুরুষ সমাস

❐ সমাস্যমান পদের বিভক্তি ও সন্নিহিত অনুসর্গ লোপ পেয়ে যে সমাস হয়, তার নাম তৎপুরুষ সমাস।

❐ এই সমাসে পরপদের অর্থ প্রাধান্য পায়।

❐ অলুক তৎপুরুষ

▣ কিছু ক্ষেত্রে বিভক্তি লোপ পায় না, এসব তৎপুরুষ সমাসের নাম অলুক তৎপুরুষ।

যেমন ➞

তেলে ভাজা = তেলেভাজা।

গরুর গাড়ি = গরুরগাড়ি

৫৮৫. 'ওরা কদম আলী' নাটকটির রচয়িতা কে?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -পদ্মা- ২৪.০২.১২ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -ইছামতি- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'ওরা কদম আলী' নাটকটির রচয়িতা মামুনুর রশিদ। নাট্যকার মামুনুর রশিদ ১৯৪৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রকাশিত নাটকের মধ্যে উল্লেখযোগ্য: ওরা কদম আলী, ওরা আছে বলেই, মে দিবস, ইবলিশ, গিনিপিগ ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖মামুনুর রশীদ মূলত নাট্যকার ছিলেন। 

তাঁর রচিত বিখ্যাত নাটকঃ

❏ ওরা কদম আলী,

❏ ওরা আছে বলেই,

❏ মে দিবস, ইবলিশ, 

❏ এখানে নোঙর,

❏ গিনিপিগি, 

❏ সমতট, 

❏ পাথর, 

❏ লেবেদেফ ইত্যাদি।

৫৮৬. 'শিকওয়াহ ও জওয়াব-ই-শিকওয়াহ' অনুবাদ গ্রন্থটির রচয়িতা কে?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -পদ্মা- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'শিকওয়াহ ও জওয়াব ই শিকওয়াহ' অনুবাদ গ্রন্থ টির রচয়িতা ডঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ।

ডঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ ১০ জুলাই ১৮৮৫ সালে পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার পেয়ারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শিকওয়াহ ও জওয়াব ই শিকওয়াহ তার অন্যতম অনুবাদ গ্রন্থ। এছাড়াও তাঁর উল্লেখযোগ্য অনুবাদগ্রন্থ দিওয়ান-ই-হাফিজ, মহানবী, মহরম শরীফ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖ড. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ রচিত কিছু অনুবাদগ্রন্থ:

❏ দীওআন-ই-হাফিজ, 

- শিকওয়াহ ও জওয়াব-ই-শিকওয়াহ,

❏ রুবাইয়াত-ই-উমর খইয়ম, 

❏ মহানবী, 

❏ বাইআত নামা, 

❏ বিদ্যাপতি শতক, 

❏ অমর কাব্য কোরান শরীফ (অনুবাদ ও ভাষাসহ প্রকাশিত), 

❏ বুখারী শরীফ, 

❏ ঈদুল আযহা 

❏ কোরবানির আহকাম।

৫৮৭. 'সর্বহারা' কাব্যগ্রন্থটির রচয়িতা কে?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -পদ্মা- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'সর্বহারা' কাজী নজরুল ইসলামের একটি জীবনী মূলক কাব্য। সর্বহারা কাব্যটি ১৯২৬ সালে প্রকাশিত হয়। তার জীবনী মূলক কাব্যগ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো চিত্তনামা, সর্বহারা, ফনিমনসা, সিন্ধু হিন্দোল, প্রলয় শিখা।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖কাজী নজরুল ইসলামের কাব্যগ্রন্থঃ

❏ অগ্নি-বীণা,

❏ সঞ্চিতা, 

❏ চিত্তনামা, 

❏ মরুভাস্কর, 

- সর্বহারা,

❏ ফণি-মনসা, 

❏ চক্রবাক, 

❏ সাম্যবাদী, 

❏ ছায়ানট, 

❏ নতুন চাঁদ, 

❏ পুবের হাওয়া, 

❏ জিঞ্জির, 

❏ বিষের বাঁশি, 

❏ দোলনচাঁপা, 

❏ চন্দ্রবিন্দু, 

❏ সিন্ধু হিন্দোল, 

❏ ভাঙার গান, 

❏ সন্ধ্যা ইত্যাদি।

৫৮৮. কোনটি শুদ্ধ বানান?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -পদ্মা- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖সঠিক বানান- নিরীহ। নিরীহ শব্দের অর্থ- শান্ত,বোকা,হাবাগবা,মূর্খ, নির্দোষ, অর্থহীন ইত্যাদি।প্রদত্ত শব্দটি একটি বিশেষণ পদ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖নিরীহ (বিশেষণ)

১) শান্ত; গোবেচারা।

২) অহিংস্র।

৩) নিরুপদ্রব; নির্বিরোধ।

৪) নিশ্চেষ্ট; অচেষ্ট।

৫) নিঃস্পৃহ; নির্লোভ।

৫৮৯. কোনটি শুদ্ধ বানান?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -পদ্মা- ২৪.০২.১২ 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2001➯গ ইউনিট 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -বেলী- ১১.০৯.০৯

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖সঠিক বানান- নিশীথ।নিশীথ শব্দের অর্থ- গভীর রাত্রি,মধ্য রাত্রি, রাত দুপুর,দ্বিপ্রহর, মহানিশা ইত্যাদি। প্রদত্ত শব্দটি একটি বিশেষ্য পদ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖নিশীথ (বিশেষ্য) 

১) রাত্রি; রজনী।

২) মধ্যরাত্র; অর্ধরাত্রি।

৩) গভীর রাত্রি (নিশীথে কি কথা কয়ে গেলে-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)।

৫৯০. "পাগলে" কিনা বলে। ---বাক্যে উদ্ধৃত শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -পদ্মা- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖পাগলে কিনা বলে। বাক্যে 'পাগলে' হল কর্তৃ কারকে সপ্তমী বিভক্তি।

যে বিশেষ সভা সর্বনাম পদ ক্রিয়া সম্পাদন করে তাকে কর্তা বা কর্তৃকারক বলে। কে বা কারা দিয়ে প্রশ্ন করলে উত্তরে কর্তৃ কারক নির্ণয় করা যায়।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖বাক্যস্থিত যে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদ ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকে ক্রিয়ার কর্তা বা কর্তৃকারক বলে।

ক্রিয়াকে ‘কে/ কারা’ দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, সেটিই কর্তৃকারক।

❏(কর্মবাচ্য ও ভাববাচ্যের বাক্যে এই নিয়ম খাটবে না। সেক্ষেত্রে একটু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।)

সপ্তমী বিভক্তিঃ এ, য়, তে

উদাহরণ-

পাগলে কি না বলে (কে বলে) : কর্তৃকারকে সপ্তমী বিভক্তি।

বুলবুলিতে ধান খেয়েছে (কে খেয়েছে) : কর্তৃকারকে সপ্তমী বিভক্তি।

৫৯১. কোনটি শুদ্ধ বানান?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -মেঘনা- ২৪.০২.১২ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -রাজশাহী বিভাগ- ১৮.০৪.০৮ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖গৃহিণী বানানটি শুদ্ধ।

এরূপ আরো কিছু শুদ্ধ বানান হচ্ছে : গণনা, সন্ন্যাসী, গৃহিণী, গৃহান্তর ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖গৃহিণী (বিশেষ্য) 

১ গৃহকর্ত্রী।

২ পত্নী; স্ত্রী।

❏(পুংলিঙ্গ) গৃহী।

গৃহিণীপনা (বিশেষ্য) 

১ গৃহিণীর দায়িত্ব পালনে দক্ষতা।

২ গৃহিণীর আচরণ।

৩ (ব্যঙ্গার্থ) অল্পবয়স্কা বালিকার পাকামি অথবা গৃহিণীসুলভ ব্যবহার; অল্পবয়সীর প্রবীণার ন্যায় আচরণ।

৫৯২. এই "নদীর" মাছ বড়।---বাক্যে উদ্ধৃত শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -পদ্মা- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖এই নদীর মাছ বড়। বাক্যে নদীর শব্দটি অধিকরণ কারকে ষষ্ঠী বিভক্তি।

ক্রিয়া সময় বিষয় ও স্থানকে অধিকরণ কারক বলে। কোথায় কিসে কখন দিয়ে প্রশ্নের উত্তরে অর্থাৎ স্থান কাল পাত্র সময় বিষয় বোঝালে অধিকরণ কারক হয়।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖ক্রিয়া সম্পাদনের কাল এবং আধারকে (সময় এবং স্থানকে) অধিকরণ কারক বলে।

ক্রিয়াকে ‘কোথায়/ কখন/ কী বিষয়ে’ দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, তাই অধিকরণ কারক।

ষষ্ঠী বিভক্তি হচ্ছে - র, এর।

'এই নদীর মাছ বড়' বাক্যে 'নদী' স্থানকে বুঝায় এবং এর সাথে 'র' যুক্ত আছে;

তাই এটি অধিকরণ কারকে ষষ্ঠী বিভক্তি।

৫৯৩. যে যে পদে সমাস হয় তাদের প্রত্যেকটির নাম কি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -পদ্মা- ২৪.০২.১২ 📖 ৭ম বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন পরীক্ষা-০২.১২.১১ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖যে যে পদে সমাস হয় তাদের প্রত্যেকটির নাম সমস্যমান পদ।

সমাস এর পরিভাষা পাঁচটি। সমস্যমান পদ, ব্যাসবাক্য, সমস্তপদ, পূর্বপদ, পরপদ। সমাস যুক্তপ্রদেশ প্রথম অংশকে পূর্বপদ বলে। সমাস যুক্ত পদের পরবর্তী অংশকে পরপদ বলে। সমাসবদ্ধ বা সমাস নিষ্পন্ন পদটির নাম সমস্ত পদ। সমস্ত পদ কে ভাঙলে যে বাক্য পাওয়া যায় তাকে বলা হয় ব্যাসবাক্য।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖সমাসের জন্য প্রয়োজনীয় কয়েকটি সংজ্ঞাঃ

ব্যাসবাক্যঃ যে বাক্যাংশ থেকে সমাসের মাধ্যমে নতুন শব্দ তৈরি হয়, তাকে বলা হয় ব্যাসবাক্য। একে সমাসবাক্য বা বিগ্রহবাক্যও বলা হয়।

সমস্ত পদঃ ব্যাসবাক্য থেকে সমাসের মাধ্যমে যে নতুন শব্দ তৈরি হয়, তাকে বলা হয় সমস্ত পদ।

সমস্যমান পদঃ ব্যাসবাক্যের যে সব শব্দ সমস্ত পদে অন্তর্গত থাকে, সমস্ত পদের সেই সব শব্দকে সমস্যমান পদ বলে। অর্থাৎ যে যে পদে সমাস হয় তাদের প্রত্যেকটির নাম সমস্যমান পদ।

পূর্বপদঃ সমস্ত পদের প্রথম অংশ/ শব্দকে পূর্বপদ বলে। অর্থাৎ, সমস্ত পদের প্রথম সমস্যমান পদই পূর্বপদ।

পরপদ / উত্তরপদঃ সমস্ত পদের শেষ অংশ / শব্দকে পরপদ / উত্তরপদ বলে। অর্থাৎ, সমস্ত পদের শেষ সমস্যমান পদই পরপদ।

যেমন, সিংহ চিহ্নিত আসন = সিংহাসন।

এখানে ব্যাসবাক্য হলো- ‘সিংহ চিহ্নিত আসন’।

আর সমস্ত পদ হলো ‘সিংহাসন’। সমস্যমান পদ হলো ‘সিংহ’ আর ‘আসন’। এদের মধ্যে ‘সিংহ’ পূর্বপদ, আর ‘আসন’ পরপদ।

৫৯৪. কর্মধারয় সমাসে কোন পদ প্রধান?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -পদ্মা- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖কর্মধারয় সমাসে পরপদ প্রধান।

বিশেষ্য ও বিশেষণ পদ মিলে যে সমাস হয় এবং বিশেষ্য বা পরপদের অর্থ প্রধান রূপে প্রতীয়মান হয় তাকে বলা হয় কর্মধারয় সমাস। যেমন: নীল যে পদ্ম = নীল পদ্ম।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖যেখানে বিশেষণ বা বিশেষণভাবাপন্ন পদের সাথে বিশেষ্য বা বিশেষ্যভাবাপন্ন পদের সমাস হয় এবং পরপদের অর্থই প্রধান রূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন-

নীল যে অম্বর = নীলাম্বর।

নীল যে আকাশ = নীলাকাশ।

নীল যে পদ্ম = নীলপদ্ম।

রক্ত যে কমল = রক্তকমল।

৫৯৫. 'প্রসন্ন' এর বিপরীতার্থক শব্দ ----

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -পদ্মা- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'প্রসন্ন' এর বিপরীতার্থক শব্দ- বিষণ্ন।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖প্রসন্ন এর বিপরীত শব্দ বিষণ্ন।

প্রসন্ন (বিশেষণ) সন্তুষ্ট; সদয় ; নির্মল, পবিত্র।

বিষণ্ন (বিশেষণ) 

১) দুঃখিত; দুঃখপ্রাপ্ত; ক্ষুণ্ন।

২) ম্লান; মলিন (একাকী বিষণ্ন তরুচ্ছায়ে-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)।

৩) বিষাদযুক্ত; অপ্রসন্ন।

৫৯৬. 'পর্বত' এর সমার্থক শব্দ নয় ----

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -পদ্মা- ২৪.০২.১২ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -কপোতাক্ষ- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖পর্বত এর সমার্থক শব্দ- পাহাড়, অচল, গিরি, শৈল, ভূধর, অদ্রি, মহীধর।

শিলা শব্দের সমার্থক শব্দ- পাথর, প্রস্তর, পাষাণ, উপল, মনি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖শিলা অর্থ পাথর। এটি পর্বত এর সমার্থক শব্দ নয়।

পর্বত এর সমার্থক শব্দ শৈল, গিরি, অচল, পাহাড় ইত্যাদি।

৫৯৭. কুঁড়ে স্বভাব কোন বাগধারা দ্বারা বোঝানো হয়?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -পদ্মা- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖আঠারো মাসে বছর বাগধারা দ্বারা বুঝায়- কুঁড়ে স্বভাব।

ঊনপঞ্চাশ বায়ু দ্বারা বুঝায়- পাগলামি, অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী দ্বারা বুঝায়- অহেতুক গর্ব, অকালকুষ্মাণ্ড শব্দ দ্বারা বুঝায়- অপদার্থ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖আঠারো মাসে বছর- কুড়ে স্বভাব/দীর্ঘসূত্রতা।

ঊনপঞ্চাশ বায়ু- পাগলামি।

অকালকুষ্মাণ্ড- অপদার্থ।

অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করী- সামান্য বিদ্যা বড়ো ক্ষতিকর, তাতে জ্ঞান জন্মে না অথচ বিদ্বান বলে অহঙ্কার জন্মে।

৫৯৮. 'নীরস' এর সন্ধি বিচ্ছেদ ---

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -পদ্মা- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖নীরস এর সন্ধি বিচ্ছেদ= নিঃ+রস

পূর্বপদ এর শেষে র-জাত বিসর্গ যুক্ত ই-ধ্বনি বা উ-ধ্বনি এবং পরপদের গোড়ায় র থাকলে সন্ধিতে বিসর্গ লোপ পায় এবং ই বা ঈ-ধ্বনি দীর্ঘতা পেয়ে ঈ বা ঊ-ধ্বনি হয়।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖ই কিংবা উ ধ্বনির পরের বিসর্গের সাথে ‘র’ এর সন্ধি হলে বিসর্গের লোপ হয় ও বিসর্গের পূর্ববতী হ্রস্ব স্বর দীর্ঘ হয়। 

যেমন-

নিঃ + রব = নীরব,

নিঃ + রোগ = নীরোগ,

নিঃ + রস = নীরস।

৫৯৯. যে বর্ণ বা বর্ণ সমষ্টি ধাতু বা শব্দের পরে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে তাকে বলে ---

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -পদ্মা- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖যে বর্ণ বা বর্ণ সমষ্টি ধাতু বা শব্দের পরে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে তাকে প্রত্যয় বলে।

যেমন- পড় + উয়া = পড়ুয়া। এখানে 'উয়া' একটি প্রত্যয়।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖মূলশব্দ বা মৌলিক শব্দের সঙ্গে যে অতিরিক্ত শব্দাংশ যুক্ত হয়ে নতুন নামপদ গঠন করে, তাকে প্রত্যয় বলে।

অর্থাৎ, প্রাতিপদিক ও ধাতুর সঙ্গে যেই শব্দাংশ যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে, তাদেরকেই প্রত্যয় বলে।

যেমন,

পড় + উয়া = পড়ুয়া

এখানে, ‘√পড়’-এর সঙ্গে কৃৎ প্রত্যয় 'উয়া' যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ 'পড়ুয়া' গঠন করেছে।

লাজ + উক = লাজুক

এখানে, ‘লাজ’-এর সঙ্গে তদ্ধিত প্রত্যয় 'উক' যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ 'লাজুক' গঠন করেছে।

যে পদের দ্বারা কাজ করা বোঝায়, তাকে ক্রিয়া বলে।

যেমন- যাব, খাই, ঘুমাও।

বাংলা ভাষায় এমন কতগুলো অব্যয়সূচক শব্দাংশ রয়েছে, যা স্বাধীন পদ হিসেবে বাক্যে ব্যবহৃত হতে পারে না। এগুলো অন্যে শব্দের আগে বসে। এর প্রভাবে শব্দটির কয়েক ধরনের পরিবর্তন সাধিত হয়।

যেমন- নতুন অর্থবোধক শব্দ তৈরি হয়, শব্দের অর্থের পূর্ণতা সাধিত হয়, শব্দের অর্থের সম্প্রসারণ ঘটে, শব্দের অর্থের সংকোচন ঘটে এবং শব্দের অর্থের পরিবর্তন ঘটে।

ভাষায় ব্যবহৃত এসব অব্যয়সূচক শব্দাংশেরই নাম উপসর্গ।

যেমন- 

‘পাতি’ একটি বাংলা উপসর্গ। এটি ক্ষুদ্র বা ছোট অর্থে ব্যবহৃত হয়। 

'পাতি' যোগে কিছু শব্দঃ পাতিহাঁস, পাতিশিয়াল, পাতিলেবু, পাতকুয়ো ইত্যাদি।

বাক্যস্থিত একটি শব্দের সঙ্গে অন্য শব্দের অন্বয় সাধনের জন্য শব্দের সঙ্গে যে সকল বর্ণ যুক্ত হয়, তাদের বিভক্তি বলে।

বিভক্তি প্রধানত ২ প্রকার।

যথা- ক্রিয়া বিভক্তি(পড়+তে=পড়তে) এবং নাম বিভক্তি।

৬০০. 'সৌভাগ্যের বিষয়' কথাটি কোন বাগধারা দিয়ে বঝানো হয়েছে?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -পদ্মা- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖একাদশে বৃহস্পতি বাগধারাটির অর্থ সৌভাগ্যের বিষয়।

কেউকেটা বাগধারা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বোঝায়। শাপে বর বাগধারা দ্বারা অনিষ্টে ইস্ট লাভ, ব্যাঙের আধুলি বাগধারা দ্বারা গরিবের অতি সামান্য সময় কে বোঝায়।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖'একাদশে বৃহস্পতি' - সৌভাগ্যের বিষয়।

'কেউকাটা' - সামান্য।

'শাপে বর' - অনিষ্টে ইষ্ট লাভ।

‘ব্যাঙের আধুলি’- সামান্য সম্পদ।

৬০১. 'শিব মন্দির' কাব্যগ্রন্থটির রচয়িতা কে?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -মেঘনা- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'শিব মন্দির' কাব্যগ্রন্থটির রচয়িতা কায়কোবাদ।

কায়কোবাদ, মহাকবি কায়কোবাদ বা মুন্সী কায়কোবাদ (১৮৫৭ - ২১ জুলাই, ১৯৫১) বাংলা ভাষার উল্লেখযোগ্য কবি যাকে মহাকবিও বলা হয়। তার প্রকৃত নাম কাজেম আল কোরায়শী।

বিরহ বিলাপ (১৮৭০) (এটি তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ), কুসুম কানন (১৮৭৩), অশ্রুমালা (১৮৯৬); মহাশ্মশান (১৯০৪), এটি তার রচিত মহাকাব্য, শিব-মন্দির বা জীবন্ত সমাধি (১৯২১), অমিয় ধারা (১৯২৩)।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖কায়কোবাদ রচিত কাব্যগ্রন্থ- মহাশ্মশান, কুসুম কানন, বিরহ বিলাপ, অশ্রুমালা, শিব মন্দির, অমিয়ধারা, শ্মশানভষ্ম, মহররম শরীফ ইত্যাদি।

৬০২. 'দেবী চৌধুরানী' উপন্যাসটির রচয়িতা কে?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -মেঘনা- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'দেবী চৌধুরানী' উপন্যাসটির রচয়িতা বঙ্কিমচন্দ্র চট্রোপাধ্যায়।

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (২৬ জুন ১৮৩৮ - ৮ এপ্রিল ১৮৯৪) ছিলেন উনিশ শতকের বিশিষ্ট বাঙালি ঔপন্যাসিক। বাংলা গদ্য ও উপন্যাসের বিকাশে তার অসীম অবদানের জন্যে তিনি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে অমরত্ব লাভ করেছেন। তাকে সাধারণত প্রথম আধুনিক বাংলা ঔপন্যাসিক হিসেবে গণ্য করা হয়।

বাংলা ভাষার প্রথম সার্থক ঔপন্যাসিক ছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। দুর্গেশনন্দিনী ছিলো প্রথম সার্থক বাংলা উপন্যাস যেটা বাংলা সাহিত্যের দ্বার উন্মোচন করেছিলো। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মোট ১৫টি উপন্যাস লিখেছিলেন এবং এর মধ্যে বঙ্কিমচন্দ্র রচিত আনন্দমঠ (১৮৮২) উপন্যাসের কবিতা বন্দে মাতরম ১৯৩৭ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস কর্তৃক ভারতের জাতীয় স্তোত্র হিসেবে স্বীকৃতি পায়।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖বাংলা উপন্যাসের জনক বলা হয় বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে।

আনন্দমঠ, দেবী চৌধুরানী ও সীতারাম তাঁর ত্রয়ী উপন্যাস।

তাঁর রচিত অন্যান্য উপন্যাস- দুর্গেশনন্দিনী, মৃণালিনী, ইন্দিরা, যুগলাঙ্গুরীয়, চন্দ্রশেখর, রজনী, রাধারানী, বিষবৃক্ষ, কৃষ্ণকান্তের উইল, রাজসিংহ।।

৬০৩. 'তাসের দেশ' নাটকটির রচয়িতা কে?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -মেঘনা- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'তাসের দেশ' নাটকটির রচয়িতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (৭ই মে, ১৮৬১ - ৭ই আগস্ট ১৯৪১ ; ২৫শে বৈশাখ, ১২৬৮ - ২২শে শ্রাবণ, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ) ছিলেন অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক।

[ষগীতিনাট্য রচনার পর রবীন্দ্রনাথ কয়েকটি কাব্যনাট্য রচনা করেন। শেকসপিয়রীয় পঞ্চাঙ্ক রীতিতে রচিত তার রাজা ও রাণী (১৮৮৯) ও বিসর্জন (১৮৯০)। কাব্যনাট্য পর্বে রবীন্দ্রনাথের আরও দুটি উল্লেখযোগ্য নাটক হল চিত্রাঙ্গদা (১৮৯২) ও মালিনী (১৮৯৬)।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত নাটক - রাজা ও রাণী, বিসর্জন, কালের যাত্রা, ডাকঘর, রাজা, অচলায়তন, তাসের দেশ, বসন্ত, নটীর পূজা, চণ্ডালিকা, শ্যামা ইত্যাদি।

৬০৪. কোনটি শুদ্ধ বানান?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -মেঘনা- ২৪.০২.১২ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -ক্যামেলিয়া- ১২.১০.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖গণনা বানানটি শুদ্ধ।

আরো কিছু শুদ্ধ বানান হলো গৃহিণী, গিন্নি, সন্ন্যাসী, মুমূর্ষু ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖গণন, গণনা [গনোন্▫, গনোনা] (বিশেষ্য) 

১ সংখ্যা গণনার কাজ; অঙ্ক করা বা কষা।

২ অবধারণ; নিরূপণ; নির্ধারণ (বিচারে দোষী বলে গণনা)।

৩ হিসাব (বৎসর গণনা)।

৪ গ্রাহ্য বা স্বীকারকরণ (শ্রদ্ধেয় বলে গণনা)।

৫ উল্লেখ; বর্ণনা; নির্দেশ (শয়তান হিসাবে গণনা)।

৬ (জ্যোশা) রাশি-ক্ষেত্রের সাহায্যে ভবিষ্যৎ শুভাশুভ স্থিরীকরণ।

৬০৫. সে "তোমাকে" ভয় পায় --- বাক্যে উদ্ধৃত শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -মেঘনা- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖কোন কিছু থেকে, হতে, বুঝালে অপাদান কারক হয়

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖প্রশ্নের অংশটি অপাদানে দ্বিতীয়া বিভক্তি।

যা থেকে কিছু বিচ্যুত, জাত, বিরত, আরম্ভ, উৎপন্ন, দূরীভূত ও রক্ষিত হয় এবং যা দেখে কেউ ভীত হয়, তাকেই অপাদান কারক বলে। যেমনঃ 

বাবাকে বড্ড ভয় পাই, 

ট্রেন স্টেশন ছেড়েছে, 

গাছ হতে ফলটি পড়ল।

৬০৬. "তোমার" পূজার ছলে তোমায় ভুলেই থাকি --- বাক্যে উদ্ধৃত শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -মেঘনা- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖"তোমার" পূজার ছলে তোমায় ভুলেই থাকি --- বাক্যে উদ্ধৃত শব্দটি সম্প্রদান কারকে ২য়া বিভক্তি।

সংস্কৃত ব্যাকরণ অনুযায়ী, যাকে স্বত্ব ত্যাগ করে দান, অর্চনা, সাহায্য ইত্যাদি করা হয়, তাকে সম্প্রদান কারক বলে। এখানে লক্ষণীয় যে, বস্তু নয়, ব্যক্তিই সম্প্রদান কারক।

যেমন : দরিদ্রকে দান করো। ভিখারিকে ভিক্ষা দাও। দরিদ্রকে ধন দাও।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖যাকে স্বত্ব ত্যাগ করে দান, অর্চনা, সাহায্য ইত্যাদি করা হয় তাকে সম্প্রদান কারক বলে।

সাধারণত পূজা/অর্চনা স্বত্ব ত্যাগ করে করা হয়। প্রশ্নোক্ত বাক্যটিকে ''কার পূজার ছলে'' দিয়ে প্রশ্ন করলে উত্তর পাওয়া যায় তোমার! আবার ''তোমার'' শব্দটিতে ''র'' বিভক্তি আছে।

তাই ''তোমার'' শব্দটি এখানে সম্প্রদান কারকে ষষ্ঠী বিভক্তি।

৬০৭. কোন সমাসে ব্যাসবাক্য হয় না?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -মেঘনা- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖নিত্য সমাসে ব্যাসবাক্য হয় না।

যে সমাসে সমস্যমান পদ দ্বারা সমাস-বাক্য হয় না, অন্য পদের দ্বারা সমস্ত পদের অর্থ প্রকাশ করতে হয়, তাকে নিত্য সমাস বলে।

তদর্থবাচক ব্যাখ্যামূলক শব্দ বা বাক্যাংশ যোগে এগুলোর অর্থ বিশদ করতে হয়।

যেমন: কেবল তা = তন্মাত্র, অন্য গ্রাম = গ্রামান্তর, কেবল দর্শন = দর্শনমাত্র, অন্য গৃহ = গৃহান্তর, (বিষাক্ত) কাল (যম) তুল্য (কাল বর্ণের নয়) সাপ = কালসাপ, তুমি আমি ও সে = আমরা, দুই এবং নব্বই = বিরানব্বই।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖যে সমাসে সমস্যমান পদগুলো নিত্য সমাসবদ্ধ থাকে, ব্যাসবাক্যের প্রয়োজন হয় না, তাকে নিত্য সমাস বলে। তদর্থবাচক ব্যাখ্যামূলক শব্দ বা বাক্যাংশ যোগে এগুলোর অর্থ বিশদ করতে হয়।

যেমন-

অন্য গ্রাম = গ্রামান্তর, 

কেবল দর্শন = দর্শনমাত্র, 

অন্য গৃহ = গৃহান্তর, 

কাল তুল্য সাপ = কালসাপ, 

তুমি, আমি ও সে = আমরা, 

দুই এবং নব্বই = বিরানব্বই।

৬০৮. কোন সমাসে সমস্যমান পদের বিভক্তি লোপ পায় না?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -মেঘনা- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖অলুক সমাসে সমস্যমান পদের বিভক্তি লোপ পায় না।

যে সমাসে সমস্যমান পদের বিভক্তি লোপ পায় না, তাকে অলুক সমাস বলে।

যেমন: দুধে-ভাতে, জলে-স্থলে, দেশে-বিদেশে, হাতে-কলমে, ঘোড়ার ডিম, মাটির মানুষ, মামার বাড়ি, গায়ে পড়া, গায়ে হলুদ, হাতেখড়ি, মুখে-ভাত, কানে-কলম ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖অলুক অর্থ হলো বিভক্তি লোপ পাবে না অর্থাৎ ব্যাসবাক্যে এবং সমস্ত পদে বিভক্তি বজায় থাকবে।

যে দ্বন্দ্ব সমাসে কোনো সমস্যমান পদের বিভক্তি লোপ পায় না, তাকে অলুক দ্বন্দ্ব বলে।

যেমন: দুধে-ভাতে, জলে-স্থলে, দেশে-বিদেশে, হাতে-কলমে।

যে তৎপুরুষ সমাসে পূর্বপদের দ্বিতীয়া বিভক্তি লোপ হয় না, তাকে অলুক তৎপুরুষ সমাস বলে।

যেমন- ঘিয়ে ভাজা = ঘিয়েভাজা, কলে ছাঁটা = কলেছাঁটা, কলের গান = কলেগান, গরুর গাড়ি = গরুগাড়ি ইত্যাদি।

যে বহুব্রীহি সমাসে পূর্ব বা পরপদের কোনো পরিবর্তন হয় না তাকে অলুক বহুব্রীহি বলে। অলুক বহুব্রীহি সমাসে সমস্ত পদটি বিশেষণ হয়।

যেমন - মাথায় পাগড়ি যার = মাথায়পাগড়ি, গলায় গামছা যার = গলায়গামছা, গায়ে এসে পড়ে যে = গায়েপড়া।

৬০৯. 'কেশ' এর সমার্থক শব্দ নয় ---

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -মেঘনা- ২৪.০২.১২ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -ইছামতি- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'কেশ' এর সমার্থক শব্দ নয় --- ললাট।

কেশ শব্দের সমার্থক শব্দ হচ্ছে চুল, চিকুর, কুন্তল, কেশপাশ, কেশদাম, অলক।

ললাট শব্দের সমার্থক শব্দ হচ্ছে কপাল, ভাল, ভাগ্য, অলীক, অদৃষ্ট, নিয়তি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖কেশ এর সমার্থক শব্দ চুল, কুন্তল, অলক, চিকুর, কেশপাশ, কেশদাম, কবরী। 

অলিক এর সমার্থক শব্দ -কপাল, ভাগ্য, ললাট, নিয়তি, অদৃষ্ট।

৬১০. 'নিরাকার' এর বিপরীতার্থক শব্দ ---

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -মেঘনা- ২৪.০২.১২ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -জবা- ১১.০৯.০৯

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ০

ব্যাখ্যাঃ

🔖'নিরাকার' এর বিপরীতার্থক শব্দ -- সাকার।

দৃশ্য শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ হচ্ছে অদৃশ্য।

দৃশ্যমান শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ হচ্ছে অদৃশ্যমান।

৬১১. কোন বাগধারা দ্বারা 'ভনিতা' বোঝানো হয়?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -মেঘনা- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖গৌরচন্দ্রিকা বাগধারা দ্বারা 'ভনিতা' বোঝানো হয়।

গণেশ উল্টানো বাগধারার অর্থ- তুলে নেওয়া বোঝায়।

কূপমন্ডুক বাগধারার অর্থ- সীমাবদ্ধ জ্ঞান সম্পন্ন।

টইটুম্বুর শব্দের অর্থ- কানায় কানায় পূর্ণ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖গৌরচন্দ্রিকা বাগধারাটির অর্থ ভূমিকা, সূচনা, অনুবন্ধ, প্রবর্তনা, প্রারম্ভ।

ভণিতা : কবিতায় কবির আত্মপরিচয়সূচক পদ (তার কবি-নাম বা ভণিতা হচ্ছে-এ(তৎসম বা সংস্কৃত) ওয়াজেদ আলী)।

টইটম্বুর, টইটুম্বুর (বিশেষণ) পরিপূর্ণ; সম্পূর্ণ ভরা; কানায় কানায় ভর্তি (যৌবনের যে রসঘন মূর্তি টইটম্বুর হয়ে উঠেছে-আবুল ফজল)।

উঠান ১, উঠোন : (আলঙ্কারিক) ধর্মান্ধ, কুসংস্কারাচ্ছন্ন ও ভীরু; কূপমণ্ডূক।

কুনো, কুণো (অশুদ্ধ) : যে ব্যাঙ ঘরের কোণের গর্তে বাস করে এবং কোণের গণ্ডীর বাইরে কাদচিৎ যায়; কূপমণ্ডূক।

গণেশ উল্টানোঃ উঠে যাওয়া, ফেল মারা, তুলে নেওয়া বুঝায়।

৬১২. 'আশ্চর্য' এর সন্ধি বিচ্ছেদ ---

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -মেঘনা- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖আ+ চর্য = আশ্চর্য, এটা নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি। নবম, দশম শ্রেনীর বাংলা ব্যাকরণ ৪৪ পৃষ্ঠা।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖অপশনগুলোতে সঠিক উত্তর নেই।

যে সকল ব্যঞ্জনসন্ধি কোনো নিয়ম না মেনে, বরং নিয়মের ব্যতিক্রম করে সন্ধি হয়, তাদেরকে নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি বলে।

যেমনঃ

আ + চর্য = আশ্চর্য

গো + পদ = গোষ্পদ

বন্▫ + পতি = বনস্পতি

বৃহৎ + পতি = বৃহস্পতি

তৎ + কর = তস্কর

পর্▫ + পর = পরস্পর

ষট্▫ + দশ = ষোড়শ

এক্▫ + দশ = একাদশ

পতৎ + অঞ্জলি = পতঞ্জলি

মনস্▫ + ঈষা = মনীষা

মনে রাখতে ছন্দ আকারে পড়ুনঃ

আশ্চর্য, গোষ্পদ

বনস্পতি, বৃহস্পতি

তস্কর, পরস্পর

ষোড়শ, একাদশ

পতঞ্জলি, মনীষা

৬১৩. ক্রিয়া বা ধাতুর পরে যে প্রত্যয় যুক্ত হয় তাকে বলে ---

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -মেঘনা- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖ক্রিয়া বা ধাতুর পরে যে প্রত্যয় যুক্ত হয় তাকে বলে --- কৃৎ প্রত্যয়।

ক্রিয়া প্রকৃতির সঙ্গে যেই প্রত্যয় যুক্ত হয়, তাকে কৃৎ প্রত্যয় বলে।

যেমন, উপরের উদাহরণে, ‘√পড়’-এর সঙ্গে ‍যুক্ত হওয়া ‘উয়া’, ‘√নাচ’-এর সঙ্গে যুক্ত হওয়া ‘উনে’ এবং ‘√জিত’-এর সঙ্গে যুক্ত হওয়া ‘আ’ কৃৎ প্রত্যয়।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖ক্রিয়া প্রকৃতি বা ধাতুর সঙ্গে যেই প্রত্যয় যুক্ত হয়, তাকে কৃৎ প্রত্যয় বলে। 

যেমন, ‘√নাচ’-এর সঙ্গে যুক্ত হওয়া ‘অন’ কৃৎ প্রত্যয়।

৬১৪. 'কুল কাঠের আগুন' -এর প্রকৃত অর্থ কি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -মেঘনা- ২৪.০২.১২ 📖 অফিসার (ক্যাশ) [মুক্তিযোদ্ধা] ২২. ০২. .১৯

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'কুল কাঠের আগুন' -এর প্রকৃত অর্থ- তীব্র জ্বালা।

কাঠের পুতুল এর অর্থ- নির্জীব, অসার।

অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করী এর অর্থ- সামান্য বিদ্যার অহঙ্কার।

অগাধ জলের মাছ এর অর্থ- সুচতুর ব্যক্তি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖কুল কাঠের আগুন - তীব্র জালা।

কাঠের পুতুল - ব্যক্তিত্বহীন মানুষ।

কূপমণ্ডূক - সীমাবদ্ধ জ্ঞান।

এলাহী কাণ্ড - বিরাট আয়োজন।

৬১৫. 'মসনদের মোহ' নাটকটির রচয়িতা কে?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -যমুনা- ২৪.০২.১২ 📖 পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা(FWV) প্রশিক্ষণার্থী-১.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'মসনদের মোহ' নাটকটির রচয়িতা শাহাদৎ হোসেন।

শাহাদাৎ হোসেন (১৮৯৩ - ডিসেম্বর ৩০, ১৯৫৩) একজন বাঙালি সাহিত্যিক, সাংবাদিক এবং রেডিও ব্যক্তিত্ব। তিনি দীর্ঘদীন সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেন এবং পরবর্তী কালে ঢাকা বেতার কেন্দ্রের সাথে যুক্ত ছিলেন। তার কবিতায় মুসলিম ঐতিহ্য সচেতনতা ও নিসর্গপ্রীতি লক্ষ করা যায়। তার শব্দচয়ন ও ছন্দরীতি রবীন্দ্র প্রভাবিত হলেও বিষয় বৈশিষ্ট্যে তিনি ছিলেন স্বতন্ত্র। তিনি একজন খ্যাতিমান নাট্যকারও।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖শাহাদাৎ হোসেন (১৮৯৩-১৯৫৩) সাংবাদিক, সাহিত্যিক। পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগনা জেলার পন্ডিতপোল গ্রামে তাঁর জন্ম।

তিনি কবিতা রচনার মধ্য দিয়ে সাহিত্যজীবনে প্রবেশ করেন। তবে সাহিত্যের অন্য মাধ্যমেও তাঁর সহজ বিচরণ ছিল।

তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনা:

কাব্যঃ মৃদঙ্গ (১৯২৮), কল্পলেখা (১৯২৯), রূপচ্ছন্দা (১৯৫০); 

উপন্যাস ও নাটকঃ সরফরাজ খাঁ (১৯১৯), হিরণলেখা (১৯২০), পারের পথ (১৯২০), স্বামীর ভুল (১৯২১), সোনার কাঁকন (১৯২৩), যুগের আলো (১৯২৪), রিক্তা (১৯২৭), পথের দেখা (১৯২৯), কাঁটাফুল (১৯৩০), আনারকলি (১৯৪৫), মসনদের মোহ (১৯৪৬); 

গল্পঃ রূপায়ণ (১৯৩৩) এবং শিশুসাহিত্য ছেলেদের গল্প (১৯২৪), মোহন ভোগ (১৯২৪) ইত্যাদি।

এসব রচনায় তিনি মুসলমানদের ঐতিহ্য ও গৌরবময় কাহিনী তুলে ধরেন।

পঞ্চাশের দশকে রূপচ্ছন্দা ও মসনদের মোহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-এ বাংলা বিষয়ের পাঠ্যভুক্ত ছিল।

বসিরহাট বাণী সঙ্ঘ তাঁকে ‘কবিকুল শিরোমণি’ ও ‘পূর্ণেন্দু’ উপাধিতে ভূষিত করে।

১৯৫৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর কলকাতায় তাঁর মৃত্যু হয়।

৬১৬. 'ছায়া হরিণ' কাব্যগ্রন্থটির রচয়িতা কে?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -যমুনা- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'ছায়া হরিণ' কাব্যগ্রন্থটির রচয়িতা আহসান হাবীব।

আহসান হাবীব (২ জানুয়ারি ১৯১৭ - ১০ জুলাই ১৯৮৫) একজন খ্যাতিমান বাংলাদেশি কবি ও সাহিত্যিক। দীর্ঘ দিন দৈনিক বাংলা পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদক পদের দায়িত্ব পালন সূত্রে তিনি স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের সাহিত্য অঙ্গনে অভিভাবকের ভূমিকা রেখেছেন। তার কিছু কাব্যগ্রন্থ হল :

রাত্রিশেষ (১৯৪৭), ছায়াহরিণ (১৯৬২), সারা দুপুর (১৯৬৪), আশায় বসতি (১৯৭৪), মেঘ বলে চৈত্রে যাবো (১৯৭৬), দু'হাতে দুই আদিম পাথর (১৯৮০), প্রেমের কবিতা (১৯৮১)।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖আহসান হাবীব রচিত কাব্যগ্রন্থ- রাত্রিশেষ, ছায়াহরিণ, সারা দুপুর, আশায় বসতি, মেঘ বলে চৈত্রে যাবো, দুই হাতে দুই আদিম পাথর, প্রেমের কবিতা, বিদীর্ণ দর্পণে মুখ ইত্যাদি।

৬১৭. 'সীমানা ছাড়িয়ে' উপন্যাসটির রচয়িতা কে?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -যমুনা- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'সীমানা ছাড়িয়ে' উপন্যাসটির রচয়িতা সৈয়দ শামসুল হক।

সৈয়দ শামসুল হক (২৭ ডিসেম্বর ১৯৩৫ - ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬) বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে সক্রিয় একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশী সাহিত্যিক। কবিতা, উপন্যাস, নাটক, ছোটগল্প, অনুবাদ তথা সাহিত্যের সকল শাখায় সাবলীল পদচারণার জন্য তাকে 'সব্যসাচী লেখক' বলা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন ১৯৫৬ সালে প্রথম উপন্যাস দেয়ালের দেশ প্রকাশিত হয়। তার রচিত এক মহিলার ছবি (১৯৬১), অনুপম দিন (১৯৬২), সীমানা ছাড়িয়ে (১৯৬৪) উপন্যাসগুলো জনপ্রিয়তা লাভ করে। ষাটের দশকে তার রচিত উপন্যাসগুলো পূর্বাণী পত্রিকায় ঈদসংখ্যায় প্রকাশিত হত। তার রচিত খেলারাম খেলে যা উপন্যাসকে অনেকে যৌনআশ্রিত বলে আখ্যা দেন। তিনি উপন্যাসের ভূমিকায় এই উপন্যাসকে 'এদেশের সবচেয়ে ভুল বোঝা উপন্যাস' হিসেবে অভিহিত করেছেন।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖সৈয়দ শামসুল হক রচিত গল্পঃ তাস, শীত বিকেল, আনন্দের মৃত্যু, জলেশ্বরীর গল্পগুলো ইত্যাদি।

তার উপন্যাসঃ সীমানা ছাড়িয়ে, অনুপম দিন, এক মহিলার ছবি, নীল দংশন, খেলারাম খেলে যা, বৃষ্টি ও বিদ্রোহীগণ।

৬১৮. কোনটি শুদ্ধ বানান?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -যমুনা- ২৪.০২.১২ 📖 জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়➟2015➯F ইউনিট 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - গামা- ১৮.০৪.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖দধীচি বানানটি শুদ্ধ।

এরূপ আরো কিছু শুদ্ধ বানান হলো : দরিদ্র, নিশীথিনী, পবিত্র ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖ঈই - কার যোগে গঠিত শব্দঃ শারীরিক, মরীচিকা।

ইঈ - কার যোগে গঠিত শব্দঃ গৃহিনী, মালিনী, বাঘিনী।

বিশেষ ব্যক্তিত্বের নামের বানানঃ পাণিনি, কৃত্তিবাস, দধীচি, বাল্মীকি।

৬১৯. কোনটি শুদ্ধ বানান?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -যমুনা- ২৪.০২.১২ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -রাজশাহী বিভাগ- ১৮.০৪.০৮ 📖 বাংলাদেশ ব্যাংক ➺সহকারী পরিচালক ☞ 28.10.22

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖ভাগীরথী বানানটি শুদ্ধ।

এরূপ আরো কিছু শুদ্ধ বানান হলো : ভাগীরথী, নিশীথিনী, মুমূর্ষ, বহুব্রীহি ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖ভাগীরথী (বিশেষ্য) (হিন্দু পুরাণমতে ভগীরথ কর্তৃক আনীত বলে গঙ্গার একটি নাম ভাগীরথী) গঙ্গা; জাহ্নবী; গঙ্গানদীর শাখা নদীবিশেষ।

৬২০. "গুণহীনে" ত্যাগ কর --বাক্যে উদ্ধৃত শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -যমুনা- ২৪.০২.১২ 📖 রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়➟2017➯D ইউনিট 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ৩০.১০.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖"গুণহীনে" ত্যাগ কর --বাক্যে উদ্ধৃত শব্দটি কর্ম কারকে সপ্তমী বিভক্তি।

ক্রিয়াপদের সাথে কর্ম পদের সম্পর্ককে কর্মকারক বলে। তিনি বাগান দেখাশোনা করেন। কি বা কাকে দিয়ে প্রশ্নের উত্তরে কর্মকারক পাওয়া যায়।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖যাকে আশ্রয় করে কর্তা ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকে কর্মকারক বলে৷

ক্রিয়ার সঙ্গে 'কী' বা 'কাকে' যোগ করে প্রশ্ন করলে কর্মকারক পাওয়া যায়৷

উল্লেখিত বাক্যটিতে 'কী' বা 'কাকে' প্রশ্ন করলে পাওয়া যায় 'গুণহীনে'৷

অর্থাৎ বাক্যে 'গুণহীনে' একটি কর্মকারক।

আর শব্দের শেষে ''এ, (য়), য়, তে, এতে'' থাকলে তা সপ্তমী বিভক্তি হয়। 

অতএব, বাক্যটিতে ''গুণহীনে'' কর্মকারকে সপ্তমী বিভক্তি।

৬২১. আমি কি ডরাই সখি ভিখারী "রাঘবে"?--বাক্যে উদ্ধৃত শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -যমুনা- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖আমি কি ডরাই সখি ভিখারী "রাঘবে"?--বাক্যে উদ্ধৃত শব্দটি অপাদান কারকে সপ্তমী বিভক্তি।

অপাদান কারক বলতে এমন একটি উপায় বোঝায়, যার সাহায্যে বাক্যস্থিত কোন শব্দের রূপ পরিবর্তন করে বা অন্য কোন উপায়ে শব্দটির সাথে বাক্যের অন্যান্য অংশের সাথে বিশেষ এক ধরনের সম্পর্ক স্থাপন করা হয়। যা থেকে কিছু বিচ্যুত, জাত, বিরত, আরম্ভ, উৎপন্ন, দূরীভূত ও রক্ষিত হয় এবং যা দেখে কেউ ভীত হয়, তাকেই অপাদান কারক বলে। অপাদান কারক মূলত বিশেষ্য পদ এবং এর সাথে সম্পর্কিত পদ যেমন বিশেষণ বা সর্বনামের উপর প্রযুক্ত হয়।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖প্রশ্নের অংশটি (রাঘবে) অপাদানে সপ্তমী বিভক্তি।

রাঘব অর্থ পরের বা সরকারি সম্পদাদি অন্যায়ভাবে ভোগকারী প্রভাবশালী লোক, মস্ত বড় ধনী ব্যক্তি।

যেহেতু প্রশ্নোক্ত বাক্যে রাঘবকে দেখে ভীত হওয়ার কথা বলা হয়েছে, তাই তা অপাদান কারক।

আর 'রাঘবে' শব্দের সাথে 'এ' বিভক্তি যুক্ত আছে, তাই এটি অপাদানে সপ্তমী বিভক্তি।

যা থেকে কিছু বিচ্যুত, জাত, বিরত, আরম্ভ, উৎপন্ন, দূরীভূত ও রক্ষিত হয় এবং যা দেখে কেউ ভীত হয়, তাকেই অপাদান কারক বলে। যেমনঃ

বাবাকে বড্ড ভয় পাই,

ট্রেন স্টেশন ছেড়েছে,

গাছ হতে ফলটি পড়ল।

৬২২. বিশেষণের সাথে বিশেষ্যের যে সমাস হয় তার নাম কি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -যমুনা- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖বিশেষণের সাথে বিশেষ্যের যে সমাস হয় তার নাম কর্মধারয়।

যে সমাসে বিশেষণ বা বিশেষণভাবাপন্ন পদের সাথে বিশেষ্য বা বিশেষ্যভাবাপন্ন পদের সমাস হয় এবং পরপদের অর্থই প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন: নীল যে পদ্ম= নীলপদ্ম, শান্ত অথচ শিষ্ট= শান্তশিষ্ট, কাঁচা অথচ মিঠা= কাঁচামিঠা।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖যেখানে বিশেষণ বা বিশেষণ ভাবাপন্ন পদের সাথে বিশেষ্য বা বিশেষ্যভাবাপন্ন পদের সমাস হয় এবং পরপদের অর্থই প্রধান্য পায় তাকে কর্মধারয় সমাস বলে।

যেমন- 

নীল যে পদ্ম = নীলপদ্ম, 

নীল যে আকাশ = নীলাকাশ, 

রক্ত যে কমল = রক্তকমল, 

শান্ত অথচ শিষ্ট = শান্তশিষ্ট, 

কাঁচা অথচ মিঠা = কাঁচামিঠা, 

যিনি জজ তিনিই সাহেব = জজসাহেব ইত্যাদি।

৬২৩. পূর্বপদের বিভক্তি লোপ পেয়ে যে সমাস হয় তাকে বলে ----

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -যমুনা- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖পূর্বপদের বিভক্তি লোপ পেয়ে যে সমাস হয় তাকে বলে ---- তৎপুরুষ সমাস।

পূর্বপদের বিভক্তি এর লোপে যে সমাস হয় এবং যে সমাসে পরপদের অর্থ প্রধানভাবে বোঝায় তাকে তৎপুরুষ সমাস বলে। তৎপুরুষ সমাসের পূর্বপদে দ্বিতীয়া থেকে সপ্তমী পর্যন্ত যে কোনো বিভক্তি থাকতে পারে এবং পূর্বপদের বিভক্তি অনুসারে এদের নামকরণ করা হয়। যেমন: বিপদকে আপন্ন= বিপদাপন্ন। এখানে দ্বিতীয়া বিভক্তি 'কে' লোপ পেয়েছে বলে এর নাম দ্বিতীয়া তৎপুরুষ সমাস।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖পূর্বপদের বিভক্তির লোপে যে সমাস হয় এবং যে সমাসে পরপদের অর্থ প্রধানভাবে বোঝায় তাকে তৎপুরুষ সমাস বলে।

যেমন- 

বিপদকে আপন্ন = বিপদাপন্ন।

দেশের সেবা = দেশসেবা, 

চায়ের বাগান = চাবাগান, 

রাজার পুত্র= রাজপুত্র, 

খেয়ার ঘাট = খেয়াঘাট।

৬২৪. 'তিমির' এর বিপরীতার্থক শব্দ ---

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -যমুনা- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖তিমির শব্দের অর্থ হচ্ছে অন্ধকার। কিন্তু প্রশ্নে চাওয়া হয়েছে তিমির এর বিপরীত অর্থ কি, , , মানে অন্ধকারের বিপরীত অর্থ কি, , , , কাজেই অন্ধকার বা তিমির এর বিপরীত শব্দের অর্থ হচ্ছে আলো।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖'তিমির' এর সমার্থক শব্দ হলো আঁধার, তমসা, অন্ধকার, তমঃ, তমিস্র, আঁধিয়ার ইত্যাদি।

'তিমির' এর বিপরীতার্থক শব্দ হলো আলো বা আলোক।

৬২৫. 'পৃথিবী' এর সমার্থক শব্দ নয় --

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -যমুনা- ২৪.০২.১২ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -কপোতাক্ষ- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'পৃথিবী' এর সমার্থক শব্দ নয় -- যামিনী।

পৃথিবীর শব্দের সমার্থক শব্দ হচ্ছে : ধরা, ধরণী, বসুন্ধরা, বসুধা, ভূমন্ডল, অবনী ইত্যাদি।

যামিনী শব্দের সমার্থক শব্দ হচ্ছে : নিশি, রাত, রজনী, শর্বরী, নিশীথিনী ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖'পৃথিবী' এর সমার্থক শব্দ- বসুন্ধরা, ক্ষিতি, অখিল, ভুবন, অবনী, ধরা, ধরণী, ভূ, মেদিনী ইত্যাদি।

‘রাত্রি’ এর সমার্থক শব্দ- নিশি, রাত, যামিনী, নিশা, শর্বরী, ক্ষণদা।

৬২৬. কোন বাগধারা দ্বারা সুসময়ের বন্ধু বোঝানো হয়?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -যমুনা- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖সুখের পায়রা বাগধারা দ্বারা সুসময়ের বন্ধু বোঝানো হয়।

'সাত সতেরো' বাগধারা বিচিত্র রকমের বুঝায়। 'ষোল আনা' বাগধারা দ্বারা পুরোপুরি বোঝায়।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖শরতের শিশির - অর্থ সুসময়ের বন্ধু বা ক্ষণস্থায়ী;

এছাড়াও দুধের মাছি/ সুখের পায়রা/ লক্ষ্মীর বরযাত্রী/ বসন্তের কোকিল সবগুলো বাগধারার অর্থও সুসময়ের বন্ধু।

৬২৭. 'গবেষণা' এর সন্ধি বিচ্ছেদ ----

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -যমুনা- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'গবেষণা' এর সন্ধি বিচ্ছেদ ---- গো + এষণা।

স্বরে আর ব্যঞ্জনে অথবা ব্যঞ্জনে‬ ও ব্যঞ্জনে অথবা ব্যঞ্জনে ও স্বরে যে সন্ধি হয় তাকে ব্যঞ্জন সন্ধি বলে। ব্যঞ্জনসন্ধি মূলত কথ্য রীতিতে সীমাবদ্ধ। প্রকৃত বাংলা ব্যঞ্জন সন্ধি মূলত সমীভবন এর নিয়মে হয়ে থাকে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖এ, ঐ, ও, ঔ-কারের পর এ, ঐ স্থানে অয়, আয় এবং ও, ঔ স্থানে যথাক্রমে অব ও আব হয়। 

যেমন- 

নে + অন = নয়ন, 

নৈ + অক = নায়ক, 

পো + অন = পবন, 

গো + এষণা = গবেষণা,

নৌ + ইক = নাবিক, 

পো + ইত্র = পবিত্র, 

গো + আদি = গবাদি ইত্যাদি।

৬২৮. প্রত্যয় কত প্রকার?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -যমুনা- ২৪.০২.১২ 📖 এ‍্যাডভোকেটশিপ তালিকাভূক্তির নৈর্ব‍্যক্তিক পরীক্ষা, .১২ 📖 এ‍্যাডভোকেটশিপ তালিকাভূক্তির নৈর্ব‍্যক্তিক পরীক্ষা, .১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖প্রত্যয় দুই প্রকার।

শব্দ গঠনের উদ্দেশ্যে শব্দ বা নাম প্রকৃতির এবং ক্রিয়া প্রকৃতির পরে যে শব্দাংশ যুক্ত হয় তাকে প্রত্যয় বলে। বাংলা শব্দ গঠনে দুই প্রকার প্রত্যয় পাওয়া যায়। যেমন : তদ্ধিত প্রত্যয় ও কৃৎপ্রত্যয়।

তদ্ধিত প্রত্যয়: শব্দমূল বা নাম শব্দের সঙ্গে যে প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ তৈরি হয় তাকে বলে তদ্ধিত প্রত্যয়। যেমন : হাতল, ফুলেল ও মুখর শব্দের যথাক্রমে ল, এল ও র তদ্ধিত প্রত্যয়।

কৃৎপ্রত্যয়: ক্রিয়ামূল বা ধাতুর সঙ্গে যে প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ তৈরি হয় তাকে বলে কৃৎপ্রত্যয়। যেমন : চলন্ত, জমা ও লিখিত শব্দের যথাক্রমে অন্ত, আ ও ইত কৃৎপ্রত্যয়।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖প্রত্যয়ঃ

মূলশব্দ বা মৌলিক শব্দের সঙ্গে যে অতিরিক্ত শব্দাংশ যুক্ত হয়ে নতুন নামপদ গঠন করে, তাকে প্রত্যয় বলে। 

অর্থাৎ, প্রাতিপদিক ও ধাতুর সঙ্গে যেই শব্দাংশ যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে, তাদেরকেই প্রত্যয় বলে।

প্রত্যয় ২ প্রকার-

কৃৎ প্রত্যয়ঃ ক্রিয়া প্রকৃতির সঙ্গে যেই প্রত্যয় যুক্ত হয়, তাকে কৃৎ প্রত্যয় বলে। 

যেমন,

পড় + উয়া = পড়ুয়া

নাচ + উনে = নাচুনে

জিত + আ = জিতা

এখানে, ‘√পড়’-এর সঙ্গে যুক্ত হওয়া ‘উয়া’, ‘√নাচ’-এর সঙ্গে যুক্ত হওয়া ‘উনে’ এবং ‘√জিত’-এর সঙ্গে যুক্ত হওয়া ‘আ’ কৃৎ প্রত্যয়।

তদ্ধিত প্রত্যয়ঃ নাম প্রকৃতির সঙ্গে যেই প্রত্যয় যুক্ত হয়, তাকে তদ্ধিত প্রত্যয় বলে।

যেমন,

লাজ + উক = লাজুক

বড় + আই = বড়াই

ঘর + আমি = ঘরামি

এখানে, ‘লাজ’-এর সঙ্গে যুক্ত হওয়া ‘উক’, ‘বড়’-এর সঙ্গে যুক্ত হওয়া ‘আই’, ‘ঘর’-এর সঙ্গে যুক্ত হওয়া ‘আমি’ তদ্ধিত প্রত্যয়।

৬২৯. 'যার অনেক বুদ্ধি আছে' তাকে এক কথায় কি বলে?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -যমুনা- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'যার অনেক বুদ্ধি আছে' তাকে এক কথায় বলে গভীর জলের মাছ।

একটিমাত্র শব্দ দিয়ে যখন একাধিক পদ বা একটি বাক্যাংশের (উপবাক্য) অর্থ প্রকাশ করা হয়, তখন তাকে বাক্য সংকোচন বলে ।

যেমন- হীরক দেশের রাজা- হীরকরাজ

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖গভীর জলের মাছ- চালাক লোক; যার অনেক বুদ্ধি আছে।

বুদ্ধির ঢেঁকি- নিরেট মূর্খ, নির্বোধ।

বক ধার্মিক/বিড়াল তপস্বী- ভন্ড সাধু।

কাক ভেজা - সম্পূর্ণ ভেজা।

ভূষণ্ডির কাক/কাক ভূষণ্ডি - বিচক্ষণ ব্যক্তি।

৬৩০. 'নিঃশেষে নিশাচর, গ্রাসে মহাবিশ্বে, ত্রাসে কাঁপে ধরণীর পাপী যত নিঃস্বে।' কবিতাংশটি কোন কবির লেখা?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -সুরমা- ০৮.০১.১০ 📖 Bangladesh Gas Field Co - Asst. Manager - 08.04.11

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖কবিতাংশটির কবি নজরুল ইসলাম রচিত খেয়া পারের তরণী কবিতা অন্তর্ভুক্ত। এ কবিতাটি অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত। কবিতাটিতে ধর্মবিশ্বাস ও আধ্যাত্মিক অনুভূতিকে প্রকাশ করা হয়েছে ব্যঞ্জনাময় রূপ ধর্মী চিত্র এঁকে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 ‘নিঃশেষে নিশাচর, গ্রাসে মহাবিশ্বে, ত্রাসে কাঁপে তরণীর পাপী যত নিঃস্বে।’

▣ চরণটি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত খেয়া পারের তরণী জীবন কবিতার।

▣ এ কবিতাটি অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।

❐ খেয়া-পারের তরণী

▣ কাজী নজরুল ইসলাম

❐ যাত্রীরা রাত্তিরে হতে এল খেয়া পার,

❐ বজ্রেরি তূর্যে এ গর্জেছে কে আবার?

❐ প্রলয়েরি আহ্বান ধ্বনিল কে বিষাণে!

❐ ঝন্‌ঝা ও ঘন দেয়া স্বনিল রে ঈশানে!

❐ নাচে পাপ-সিন্ধুতে তুঙ্গ তরঙ্গ!

❐ মৃত্যুর মহানিশা রুদ্র উলঙ্গ!

❐ নিঃশেষে নিশাচর গ্রাসে মহাবিশ্বে,

❐ ত্রাসে কাঁপে তরণীর পাপী যত নিঃস্বে।

৬৩১. 'সুন্দর হে, দাও দাও সুন্দর জীবন। হউক দূর অকল্যাণ সকল অশোভন।' কবিতাংশটুকু কার লেখা?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -সুরমা- ০৮.০১.১০ 📖 ৩য় বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস প্রিলিমিনারী পরীক্ষা, .০৭ 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2012➯E ইউনিট

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 সুন্দর হে, দাও দাও সুন্দর জীবন।

❐ হউক দূর অকল্যাণ সকল অশোভন।- চরণদ্বয় কাজী নজরুল ইসলাম রচিত সুন্দর হে, দাও দাও সুন্দর জীবন কবিতার।

▣ কবিতাটি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত 'চন্দ্রবিন্দু' কাব্যের অন্তর্গত।

❐ সুন্দর হে, দাও দাও সুন্দর জীবন

❐ – কাজী নজরুল ইসলাম

❐ সুন্দর হে, দাও দাও সুন্দর জীবন।

❐ হউক দূর অকল্যাণ সকল অশোভন।

❐ এ প্রাণ প্রভাতি-তারার প্রায়

❐ ফুটুক উদয়-গগন-গায়,

❐ দুঃখ-নিশায় আনো পূর্ণ চাঁদের স্বপন॥

❐ সকল বিরস হৃদয় মন সরস করো হে,

❐ আশায় সূর্যে মৃত্যু-গহন বিষাদ হরো হে!

❐ কাঁটার ঊর্ধ্বে ফোটাও ফুল,

❐ ভোলাও পথের দুঃখ ভুল,

❐ এ বিশ্ব হোক পূজা-দেউল

❐ পবিত্র-মোহন॥

৬৩২. 'শেষের কবিতা' উপন্যাসটির রচয়িতা কে?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -সুরমা- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ১৯২৯ সালে প্রকাশিত উপন্যাস শেষের কবিতা। উপন্যাসটি রোমান্টিক এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি। উপন্যাসটি প্রধান চরিত্র অমিত রায়, লাবণ্য, শোভনলাল ও কেতকী। উপন্যাসটির শেষ হয়েছে 'কালের যাত্রার ধ্বনি শুনিতে কি পাও' কবিতা দিয়ে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 

▣ ‘শেষের কবিতা’ উপন্যাস:

❐ - 'শেষের কবিতা' (১৯২৯) সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত উপন্যাস।

▣ 'প্রবাসী' পত্রিকায় ছাপা হয় ১৯২৮ সালে।

▣ এই উপন্যাসের বিষয়বস্তু হচ্ছে 'কোন পুরুষ বা নারীর পক্ষে এক সঙ্গে দু জনকে অবিরোধে ভালবাসা সম্ভব না এবং সে ভালবাসা এক পাত্রসম্পর্কিত ( স্বামী বা স্ত্রী), অপর পাত্র নিঃসম্পর্ক হতে পারে'।

▣ অমিত, লাবণ্য, কেতকী, শোভনলাল প্রমুখ উপন্যাসের চরিত্র।

 =

❐ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:

▣  তিনি একাধারে কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ ও সমাজ-সংস্কারক ছিলেন।

▣ জন্ম ১৮৬১ সালের ৭ মে (১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ) কলকাতার জোড়াসাঁকোর অভিজাত ঠাকুর পরিবারে।

▣ তাঁর পিতা মহর্ষি  দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর]] এবং পিতামহ প্রিন্স  দ্বারকানাথ ঠাকুর।

▣ রবীন্দ্রনাথের আনুষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু হয় কলকাতার ওরিয়েন্টাল সেমিনারিতে।

৬৩৩. জসীমউদ্‌দীনের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ কোনটি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -সুরমা- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖বাংলা সাহিত্যে পল্লীর প্রতিনিধিত্বকারী কবি জসীম উদ্দীন রচিত প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ রাখালী। এই কাব্যগ্রন্থটি ১৯২৭ সালে প্রকাশিত হয়। এ কাব্যগ্রন্থটি কবি কে ভূয়সী প্রশংসা ও জনপ্রিয়তা দান করে। কাব্য গ্রন্থটি তে পল্লী প্রকৃতির রূপ রস এবং পল্লীর সহজ সরল মানুষের পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 

▣ 'রাখালী' কাব্যগ্রন্থ: 

▣ কাব্যগ্রন্থটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২৭ সালে।

▣ এই কাব্যে মোট ১৯ টি কবিতা আছে।

❐ জসীমউদ্দীন: 

❐ - ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি  ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে মাতুলালয়ে তাঁর জন্ম।

▣ জসীমউদ্দীনের কর্মজীবন শুরু হয় পল্লিসাহিত্যের সংগ্রাহক হিসেবে।

▣ কলেজজীবনে ‘কবর’ কবিতা রচনা করে তিনি বিপুল খ্যাতি অর্জন করেন।

❐ - তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ রাখালী প্রকাশিত হয় ১৯২৭ সালে।

❐ 

❐ তাঁর কাব্যগ্রন্থ গুলো:

▣   নক্সী কাঁথার মাঠ,

▣ সোজন বাদিয়ার ঘাট,

▣ মা যে জননী কান্দে ইত্যাদি।

৬৩৪. 'নুরুলদীনের সারা জীবন' নাটকটির রচয়িতা কে?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -সুরমা- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖নাটকটি রংপুর অঞ্চলের কৃষক বিদ্রোহের নেতা নুরুলদীন কে নিয়ে রচিত। সৈয়দ শামসুল হক রচিত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য নাটক হলো- পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়, ঈর্ষা, গণনায়ক, যুদ্ধ এবং যুদ্ধ প্রভৃতি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 'নরুলদীনের সারা জীবন' নাটক:

▣ ইতিহাসে প্রায় বিস্মৃত এই কৃষকনেতাকে বইয়ের পাতা থেকে কল্পনা মিশিয়ে বাঙ্গালির সামনে নতুন করে তুলে ধরেন সৈয়দ শামসুল হক।

▣ আর তাঁর নামেই লেখা হয় 'নরুলদীনের সারা জীবন কাব্যনাট্য (১৯৮২)।

▣ এই নাটকে দৃশ্য আছে ১৪ টি।

▣ এই নাটকে রংপুর শহর, গ্রাম ও বনাঞ্চল এর স্থান পাওয়া যায়।

❐ সৈয়দ শামসুল হক: 

❐ - তিনি মূলত একজন লেখক ছিলেন।

▣ ১৯৩৫ সালে ২৭ ডিসেম্বর; কুড়িগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

❐  

❐ তাঁর প্রকাশিত কাব্যনাট্য:

▣ পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়,

❐ - নরুলদীনের সারা জীবন,

▣ এখানে এখন।

৬৩৫. 'ঝিলিমিলি' নাটকটি কে লিখেছেন?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -সুরমা- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖১৯৩০ সালে প্রকাশিত কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম রচিত নাটক। নজরুলের নাটক লেখার উৎসাহ ও প্রেরণা যাত্রা থেকে। এছাড়া তার আরো দুটি বিখ্যাত নাটক হলো আলেয়া ও পুতুলের বিয়ে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 ‘ঝিলিমিলি’ নাটক:

❐ - তিনটি ছোট নাটকের গ্রন্থ হচ্ছে ঝিলিমিলি।

▣ ১৩৩৭ বঙ্গাব্দের (১৯৩০) অগ্রহায়ণে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।

▣ ঝিলিমিলি, সেতুবন্ধন, শিল্পী নামের তিনটি ছোট নাটক এ গ্রন্থভুক্ত।

❐ কাজী নজরুল ইসলাম:

▣  বাংলাদেশের জাতীয় কবি এবং অবিভক্ত বাংলার সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব।

▣ নজরুল ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ  (২৪ মে ১৮৯৯) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

▣ বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে তিনি ‘বিদ্রোহী কবি’ এবং আধুনিক বাংলা গানের জগতে ‘বুলবুল’ নামে খ্যাত।

▣ ভারত সরকারের অনুমতিক্রমে ১৯৭২ সালের ২৪ মে কবিকে সপরিবারে স্বাধীন বাংলাদেশে আনা হয়।

▣  বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে কবির অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এক বিশেষ সমাবর্তনে কবিকে সম্মানসূচক ডি.লিট উপাধিতে ভূষিত করে।

▣ ১৯৭৬ সালের জানুয়ারি মাসে নজরুলকে বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান এবং ২১ ফেব্রুয়ারি ‘একুশে পদকে’ ভূষিত করে।

▣ ২৯ আগস্ট ১৯৭৬ (১২ ভাদ্র ১৩৮৩) ঢাকার পিজি হাসপাতালে কবি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

৬৩৬. "আষাঢ়ে" বৃষ্টি নামে ---বাক্যে নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -সুরমা- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖ক্রিয়া সম্পাদনের কাল বা সময় এবং আঁধারকে অধিকরণ কারক বলে। বাক্যে 'আষাঢ়' বলতে একটি নির্দিষ্ট কাল বা সময়কে বোঝানো হয়েছে। মূলশব্দ আষাঢ় এর সাথে বিভক্তি যুক্ত হওয়ায় সপ্তমী বিভক্তি হয়েছে। সুতরাং সঠিক উত্তর অধিকরণে সপ্তমী।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 অধিকরণ কারক:

▣ ক্রিয়া সম্পাদনের কাল (সময়) এবং আধারকে অধিকরণ কারক বলে। 

▣ অধিকরণ কারকে সপ্তমী অর্থাৎ ‘এ’ ‘য়’ ‘তে’ ইত্যাদি বিভক্তি যুক্ত হয়। 

❐ যথা:

▣ আমরা রোজ স্কুলে যাই। 

▣ এ বাড়িতে কেউ নেই ।

▣ আষাঢ়ে বৃষ্টি নামে।

❐ অধিকরণ তিন প্রকার: 

❐ ১. কালাধিকরণ।

❐ ২. আধারাধিকরণ।

❐ ৩. ভাবাধিকরণ।

৬৩৭. শুক্রবার "স্কুল" বন্ধ ---বাক্যে নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -সুরমা- ০৮.০১.১০ 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2008➯C ইউনিট 📖 রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়➟2011➯A6 ইউনিট

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖যাকে আশ্রয় করে কর্তা ক্রিয়া সম্পাদন করে তাকে কর্মকারক বলে। বাক্যে শুক্রবার কে কেন্দ্র করে স্কুল বন্ধ থাকছে। কাজেই স্কুল কর্মকারক এবং মূল শব্দ স্কুলের সাথে কোন বিভক্তি যোগ না হওয়ায় শূন্য বিভক্তি। সুতরাং সঠিক উত্তর কর্মে শূন্য।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 কর্মকারক: 

▣ যাকে আশ্রয় করে কর্তা ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকে কর্মকারক বলে।

▣ কর্ম দুই প্রকার: 

❐ ১) মুখ্য কর্ম, 

❐ ২) গৌণ কর্ম।

❐ প্রথমা বা শূন্য বা অ বিভক্তি: 

▣ ডাক্তার ডাক। 

▣ আমাকে একখানা বই দাও।

▣ রবীন্দ্রনাথ পড়লাম।

▣ শুক্রবার স্কুল  বন্ধ।

৬৩৮. 'পাথর' শব্দটির প্রতিশব্দ নয় কোনটি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -সুরমা- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'পাথর' শব্দের প্রতিশব্দ গুলি হল- পাষান, মনি, শিলা, রত্ন, বাটখারা, প্রস্তর প্রভৃতি। কাজেই নংষগ পাথর এর প্রতিশব্দ নয়। নগ এর প্রতিশব্দ পাহাড়, পর্বত, গাছ প্রভৃতি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 'পাথর' সমার্থক শব্দ: 

▣ পাষাণ, 

▣ প্রস্তর, 

▣ শিলা, 

▣ উপল, 

▣ অশ্ম, 

▣ কঙ্কর।

❐ 'পর্বত' এর সমার্থক শব্দ: 

▣ পাহাড়, 

▣ অদ্রি, 

▣ ভূধর, 

▣ গিরি,

▣ নগ,

▣ শৈল, 

▣ অচল।

৬৩৯. 'ঢেউ' শব্দের প্রতিশব্দ কোনটি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -সুরমা- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'ঢেউ' শব্দের প্রতিশব্দ- তরঙ্গ, ঊর্মি, বীচি। 'বারিধি' শব্দের প্রতিশব্দ সমুদ্র, সাগর, সিন্ধু, জলদি, রত্নাকর প্রভৃতি। 'বারি' শব্দের প্রতিশব্দ হলো পালি, সলিল, বৃষ্টি, জলপাত্র, কলসি ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 'ঢেউ' এর সমার্থক শব্দ: 

▣ তরঙ্গ, 

▣ কল্লোল, 

▣ ঊর্মি, 

▣ বীচি, 

▣ হিল্লোল, 

▣ লহরী।

❐ অন্যদিকে:

❐ 'পানি' শব্দের সমার্থক শব্দ 'বারি, অম্বু'।

❐ 'সমুদ্র' শব্দের সমার্থক শব্দ 'বারিধি'।

৬৪০. 'অলীক' এর বিপরীতার্থক শব্দ কি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -সুরমা- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'অলীক' শব্দটির বিশেষ্য অর্থ অসত্য, মিথ্যা। এটি বিশেষণ হলে এর অর্থ অমূলক, অসার, বৃথা প্রভৃতি অর্থ প্রকাশ করে। কাজেই এর বিপরীতার্থক শব্দ 'সত্য'।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 অলীক:

▣ এটি একটি বিশেষ্য পদ।

▣ এর অর্থ - মিথ্যা, অসত্য।

▣ এর বিপরীত শব্দ - সত্য।

❐ অন্যদিকে:

❐ আশা:

▣ এটি একটি বিশেষ্য পদ।

▣ এর অর্থ - আশ্বাস; ভরসা।

▣ এর বিপরীত শব্দ - আশাতীত।

❐ অনীহা:

❐ - এটি একটি বিশেষ্য পদ।

▣ এর অর্থ - নিস্পৃহ, অনিচ্ছুক, নিরুদ্যম।

▣ এর বিপরীত শব্দ - ইচ্ছা।

৬৪১. 'বিশ্রী' এর বিপরীতার্থক শব্দ কি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -সুরমা- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'বিশ্রী' শব্দের অর্থ কদাকার, কুৎসিত, শ্রীহীন। এটি বিশেষণ হলে এর অর্থ প্রকাশ করে। আর যদি বিশ্বাস না হয় তবে এর অর্থ লজ্জাকর, জঘন্য, অশ্লীল। কাজেই বিশ্রী শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ হলো সুন্দর।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 বিশ্রী:

❐ - এটি একটি বিশেষণ পদ।

▣ এর সমার্থক শব্দ - লজ্জাকর, জঘন্য, অশ্লীল।

▣ এর বিপরীত শব্দ - সুন্দর।

৬৪২. মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাসের উদাহরণ কোনটি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -সুরমা- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖যে সমাসের সমাসবদ্ধ পদটির যে রূপ তাতে ব্যাসবাক্যের মধ্যে ব্যাখ্যামূলক পদগুলো থাকে না তাকে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস বলে। এরূপ কতিপয় সমাস হল সিংহাসন, মৌমাছি, জ্যোৎস্নারাত, বৌভাত, হাসিমুখ প্রভৃতি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 মধ্যপদলোপী কর্মধারয়:

▣ যে কর্মধারয় সমাসে ব্যাসবাক্যের মধ্যপদের লোপ হয়, তাকে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস বলে।

❐ যথা:

▣ সিংহ চিহ্নিত আসন = সিংহাসন,

▣ সাহিত্য বিষয়ক সভা = সাহিত্যসভা,

▣ স্মৃতি রক্ষার্থে সৌধ = স্মৃতিসৌধ,

▣ চালে আশ্রিত কুমড়া = চাল কুমড়া,

❐ - হাসি মাখা মুখ = হাসিমুখ।

❐ অন্যদিকে:

▣ ক্ষণকাল ব্যাপীয়া স্থায়ী = ক্ষণস্থায়ী- এটি ব্যাপ্তি অর্থে দ্বিতীয়া তৎপুরুষ সমাসের উদাহরণ।

▣ ঘর থেকে ছাড়া = ঘরছাড়া (পঞ্চমী তৎপুরুষ)।

৬৪৩. 'চিরুনি' শব্দটির সন্ধি বিচ্ছেদ হচ্ছে ---

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -সুরমা- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'চিরুনি' শব্দটির সন্ধি বিচ্ছেদ হচ্ছে --- চির + উনি।

ক, চ, ট, ত, প থাকলে এবং তাদের পরে স্বরধ্বনি থাকলে সেগুলো যথাক্রমে গ, জ, ড (ড়), দ, ব হয়।

অর্থাৎ অঘোষ অল্পপ্রাণ ধ্বনির (ক, চ, ট, ত, প) পরে স্বরধ্বনি থাকলে সেগুলো ঘোষ অল্পপ্রাণ ধ্বনি (গ, জ, ড (ড়), দ, ব) হয়ে যায়।

অর্থাৎ কোনো বর্গের প্রথম ধ্বনির (ক, চ, ট, ত, প) পরে স্বরধ্বনি থাকলে সেগুলো সেই বর্গের তৃতীয় ধ্বনি (গ, জ, ড (ড়), দ, ব) হয়ে যায়।

যেমন-

সৎ+উপায় = সদুপায়

সৎ+উপদেশ = সদুপদেশ

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 অনি, (বিকল্পে) উনি-প্রত্যয়: 

▣ √বাঁধ+অনি=বাঁধনি বাঁধুনি। 

❐ - √চির্+অনি=চিরনিচিরুনি।

▣ √আঁট+অনি=আঁটনি আঁটুনি।

❐ বি:দ্র: প্রশ্নে শব্দটির সন্ধি বিচ্ছেদ করার জন্য বলেছে। কিন্তু শব্দটি প্রত্যয় সাধিত শব্দ।

৬৪৪. 'জমানো' শব্দটির সন্ধি বিচ্ছেদ হচ্ছে ---

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -সুরমা- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'জমানো' শব্দটির সন্ধিবিচ্ছেদ হচ্ছে- জমা + আনো।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 আন (আনো) প্রত্যয়: 

▣ বিশেষ্য গঠনে প্রযোজক ধাতু ও কর্মবাচ্যের ধাতুর পরে ‘আন/আনো’ প্রত্যয় হয় । 

▣ যেমন:  

▣ √চাল্‌ = আন = চালান/চালানো। 

▣ √মান্ + আন = মানান/মানানো।

❐ - √জমা + আনো = জমানো।

❐ 

❐ বি:দ্র: প্রশ্নে শব্দটির সন্ধি বিচ্ছেদ করার জন্য বলেছে। কিন্তু শব্দটি প্রত্যয় সাধিত শব্দ।

৬৪৫. কোনটি কর্মধারয় সমাসের উদাহরণ?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -সুরমা- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖বিশেষ্য ও বিশেষণ পদে সমাস হয় এবং যেখানে পরপদের অর্থ প্রাধান্য পায় তাকে কর্মধারয় সমাস বলে। এ সমাসে যে, সে, যেই, সেই, যিনি, তিনি, যা, তা ইত্যাদি ব্যাসবাক্য ব্যবহৃত হয়। 'ইহকাল' এর ব্যাসবাক্য হলো ইহ যে কাল।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 কর্মধারয় সমাস:

▣ যেখানে বিশেষণ বা বিশেষণভাবাপন্ন পদের সাথে বিশেষ্য বা বিশেষ্যভাবাপন্ন পদের সমাস হয় এবং পরপদের অর্থই প্রধান রূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে কর্মধারয় সমাস বলে। 

❐ যেমন:  

▣ নীল যে পদ্ম = নীলপদ্ম। 

▣ শান্ত অথচ শিষ্ট = শান্তশিষ্ট। 

▣ কাঁচা অথচ মিঠা = কাঁচামিঠা।

❐ - ইহ যে কাল = ইহকাল।

৬৪৬. কোনটি মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাসের উদাহরণ?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -সুরমা- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖ব্যাসবাক্যের মাঝের পদ লোপ পেয়ে যে কর্মধারয় সমাস হয় তাকে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস বলে। চালে আশ্রিত কুমড়া = চাল কুমড়া।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 মধ্যপদলোপী কর্মধারয়:

▣ যে কর্মধারয় সমাসে ব্যাসবাক্যের মধ্যপদের লোপ হয়, তাকে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস বলে।

❐ যথা:

▣ সিংহ চিহ্নিত আসন = সিংহাসন,

▣ সাহিত্য বিষয়ক সভা = সাহিত্যসভা,

▣ স্মৃতি রক্ষার্থে সৌধ = স্মৃতিসৌধ,

▣ চালে আশ্রিত কুমড়া = চাল কুমড়া,

❐ - হাসি মাখা মুখ = হাসিমুখ।

❐ অন্যদিকে:

▣ ক্ষণকাল ব্যাপীয়া স্থায়ী = ক্ষণস্থায়ী- এটি ব্যাপ্তি অর্থে দ্বিতীয়া তৎপুরুষ সমাসের উদাহরণ।

▣ ঘর থেকে ছাড়া = ঘরছাড়া (পঞ্চমী তৎপুরুষ)।

৬৪৭. কোনটি শুদ্ধ বানান?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -সুরমা- ০৮.০১.১০ 📖 প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖তৎসম শব্দে কোথাও মূর্ধন্য-ষ থাকলে তার পরের ন ধ্বনি মূর্ধন্য হয়। কাজেই দূষণ সঠিক বা শুদ্ধ বানান। এ জাতীয় আরো কতিপয় শব্দ আকর্ষণ, ভাষণ, পাষাণ, ঘোষণা, শোষণ ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 সঠিক বানান 'দূষণ'

▣ এটি একটি সংস্কৃত শব্দ।

▣ এর প্রকৃত-প্রত্যয় = [√দুষ্‌+ণিচ্‌+অন(ল্যুট্‌]

❐ অর্থ: অশুচি বা অপবিত্রকরণ।

৬৪৮. কোন বানানটি শুদ্ধ?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -সুরমা- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖উল্লেখিত অপশন গুলোর মধ্যে 'সূদন' বানানটি শুদ্ধ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 সঠিক বানান 'সূদন'

▣ এটি একটি সংস্কৃত শব্দ।

▣ এর প্রকৃত-প্রত্যয় = [ নি+√সূদি+অন(ল্যুট্‌]

❐ অর্থ: বিনাশকারী, বধকারী।

৬৪৯. কোন বানানটি শুদ্ধ?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -সুরমা- ০৮.০১.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖সংস্কৃত প্রত্যন্ত শব্দ থেকে বাংলায় ঈ-কারান্ত শব্দ এসেছে। সংস্কৃত ব্যাকরণের নিয়ম এর প্রভাবে বাংলায় এসব মূল শব্দের সঙ্গে তৎসম প্রত্যয় বিভক্তি বা শব্দযক্ত হলে ঈ-কার না হয়ে মূলের ই-কার বজায় থাকে। যেমন শশী কিন্তু শশিকর, শশী কলা, শশীভূষণ প্রভৃতি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝 সঠিক বানান 'শশিভূষণ'। 

▣ সংস্কৃত শব্দ।

▣ এটি একটি বিশেষ্য পদ।

❐ অর্থ:  চন্দ্র যাঁর অলঙ্কার বা কিরীট।

৬৫০. আমারে ছাড়িয়া এত ব্যথা যার কেমন করিয়া হায়, কবর দেশেতে ঘুমায়ে রয়েছে নিঝ্‌ঝুম নিরালায়। পঙ্‌ক্তিটি কোন কবির রচনা?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -সুরমা- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖আমারে ছাড়িয়া এত ব্যথা যার কেমন করিয়া হায়, কবর দেশেতে ঘুমায়ে রয়েছে নিঝ্‌ঝুম নিরালায়।

পঙ্‌ক্তিটি জসীমউদ্‌দীন এর রচনা।

জসীম উদ্‌দীন (১ জানুয়ারি ১৯০৩ - ১৪ মার্চ ১৯৭৬) একজন বাঙালি কবি, গীতিকার, ঔপন্যাসিক ও লেখক।

'পল্লীকবি' উপাধিতে ভূষিত, জসীম উদ্‌দীন আবহমান বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে লালিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ আধুনিক কবি। ঐতিহ্যবাহী বাংলা কবিতার মূল ধারাটিকে নগরসভায় নিয়ে আসার কৃতিত্ব জসীম উদ্‌দীনের।

তার নকশী কাঁথার মাঠ ও সোজন বাদিয়ার ঘাট বাংলা ভাষার গীতিময় কবিতার উৎকৃষ্টতম নিদর্শনগুলোর অন্যতম। তার কবিতা বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖“আমারে ছাড়িয়া এত ব্যথা যার কেমন করিয়া হায়,

কবর দেশেতে ঘুমায়ে রয়েছে নিঝঝুম নিরালায়!

হাত জোড় করে দোয়া মাঙ দাদু, আয় খোদা! দয়াময়,

আমার দাদীর তরেতে যেন গো ভেস্ত নসিব হয়।”

পঙ্▫ক্তিগুলো কবি জসীমউদ্দিনের কবর কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। জসীমউদ্দিন কলেজজীবনেই ‘কবর’ কবিতাটি রচনা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালেই তাঁর এ কবিতাটি প্রবেশিকা বাংলা সংকলনের অন্তর্ভুক্ত হয়।

৬৫১. কোন উপন্যাসটি আখতারুজ্জামান ইলিয়াস রচিত?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -সুরমা- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖চিলেকোঠার সেপাই উপন্যাসটি আখতারুজ্জামান ইলিয়াস রচিত।

আখতারুজ্জামান ইলিয়াস (১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৩ - ৪ জানুয়ারি ১৯৯৭) বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক। তিনি একজন স্বল্পপ্রজ লেখক ছিলেন।

দুইটি উপন্যাস, গোটা পাঁচেক গল্পগ্রন্থ আর একটি প্রবন্ধ সংকলন এই নিয়ে তার রচনাসম্ভার।

তার উল্লেখযোগ্য দুটি উপন্যাস হলো : চিলেকোঠার সেপাই (১৯৮৭), খোয়াবনামা (১৯৯৬)

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖আখতারুজ্জামান ইলিয়াস রচিত প্রথম উপন্যাস - চিলেকোঠার সেপাই।

এই উপন্যাসের পটভূমি ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থান। উপন্যাসটি প্রকাশিত হয় ১৯৮৭ সালে।

খোয়াবনামা - তাঁর রচিত দ্বিতীয় উপন্যাস।

জাল স্বপ্ন, স্বপ্নের জাল ও দুধভাতে উৎপাত - তাঁর রচিত গল্পগ্রন্থ।

৬৫২. 'অয়োময়' নাটকটির রচয়িতা কে?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -সুরমা- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'অয়োময়' নাটকটির রচয়িতা হুমায়ুন আহমেদ।

হুমায়ূন আহমেদ (১৩ নভেম্বর ১৯৪৮–১৯ জুলাই ২০১২) ছিলেন একজন বাংলাদেশি ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার এবং গীতিকার, চিত্রনাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা।

তিনি বিংশ শতাব্দীর জনপ্রিয় বাঙালি কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম। তাকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখক বলে গণ্য করা হয়। বাংলা কথাসাহিত্যে তিনি সংলাপপ্রধান নতুন শৈলীর জনক। অন্য দিকে তিনি আধুনিক বাংলা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর পথিকৃৎ।

তার প্রকাশিত গ্রন্থ গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য নীল অপরাজিতা, জয়জয়ন্তী, দূরে কোথাও, এইসব দিনরাত্রি, নিশিকাব্য, বহুব্রীহি নীল পদ্ম ফেরা ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖হুমায়ুন আহমেদের প্রথম টেলিভিশন নাটক প্রথম প্রহর (১৯৮৩, পরিচালনা- নওয়াজেস আলী খান)। 

তাঁর প্রথম ধারাবাহিক নাটক এইসব দিনরাত্রি বাংলাদেশের দর্শকদের কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়। 

এ ছাড়া অন্যান্য জনপ্রিয় ধারাবাহিকের মধ্যে আছে: বহুব্রীহি (কমেডি), অয়োময় (সামাজিক-ঐতিহাসিক), কোথাও কেউ নেই (নাগরিক জীবনভিত্তিক), আজ রবিবার (পারিবারিক-সামাজিক), নক্ষত্রের রাত (আধুনিক জীবনসমস্যা) এবং অসংখ্য একক ও ধারাবাহিক নাটক।

৬৫৩. 'কোনোভাবেই যা নিবারণ করা যায় না।' --এক কথায় কী হবে?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -সুরমা- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'কোনোভাবেই যা নিবারণ করা যায় না। ' --এক কথায় হবে অনিবার্য।

অনিবার্য- নিবারণ করা যায় না এমন বা অপ্রতিরোধ্য।

অনন্যপায়- উপায়ন্তর বিহীন বা অন্যান্য গতি।

অদম্য- দমন করা যায় না; অদমনীয়।

অসম্ভব- সম্ভব নয় এমন; ঘটে না বা ঘটানো যায় না এমন।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖নিবারণ করা যায় না এমন ➝ অনিবার্য।

যা দমন করা যায় না- অদম্য।

যা সহজে দমন করা যায় না ➝ দুর্দম।

অতি কষ্টে যা নিরাবরণ করা যায় - দুর্নিবার।

৬৫৪. 'যা অধ্যয়ন করা হয়েছে।' --এক কথায় কী হবে?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -সুরমা- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'যা অধ্যয়ন করা হয়েছে' এক কথায় প্রকাশ হবে- অধীত।

পঠিত- পাঠ করা হয়েছে এমন। অধীত- পাঠ করা হয়েছে এমন।

পঠিত ও অধীত দুটি শব্দই একই অর্থ প্রকাশ করলেও বিভিন্ন ব্যাকরণ বইয়ে 'যা অধ্যায়ন করা হয়েছে' এই বাক্যটির এক কথায় প্রকাশ 'অধীত' উল্লেখ করা হয়েছে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖যা অধ্যয়ন করা হয়েছে - অধীত।

পাঠ করা হয়েছে এমন - পঠিত।

বাংলা একাডেমি অভিধানে 'পঠিত' শব্দটিকে 'অধীত' শব্দের অর্থ বা সমার্থক শব্দ হিসাবে দেখানো হয়েছে।

কিন্তু পাঠ ও অধ্যয়ন শব্দের মধ্যে অর্থগত ভিন্নতা রয়েছে। তাই, অধিক গ্রহণযোগ্য হিসাবে 'অধীত' শব্দটিকে গ্রহণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, নবম-দশম শ্রেনির বাংলা ভাষার ব্যাকরণ বইয়েও “যা অধ্যয়ন করা হয়েছে” এর এক কথায় প্রকাশ “অধীত” দেওয়া আছে।

৬৫৫. কোন বানানটি শুদ্ধ?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -সুরমা- ২৪.০২.১২ 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2000➯গ ইউনিট 📖 বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন(সহকারী পরিচালক) 19-06-2021

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖নিরীক্ষণ বানানটি শুদ্ধ।

এরূপ আরো কিছু শুদ্ধ বানান হচ্ছে পরীক্ষা, নিরীক্ষা, প্রতিষ্ঠান, পরিষ্কার ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖নিরীক্ষণ, নিরীক্ষা (বিশেষ্য) মনোযোগের সঙ্গে পরীক্ষা; যত্ন সহকারে অবলোকন; অভিনিবেশের সঙ্গে দর্শন।

৬৫৬. কোনটি শুদ্ধ বানান?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -সুরমা- ২৪.০২.১২ 📖 38th BCS General Dec, 2017 📖 বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ~ চেইনম্যান ~ 16.10.21

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖স্বায়ত্তশাসন বানানটি শুদ্ধ।

এরূপ আরো কিছু শুদ্ধ বানান হচ্ছে- স্বত্বাধিকার, সংশপ্তক, নিরীক্ষণ ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖স্বায়ত্তশাসন (বিশেষ্য) - স্বজাতীয়দের দ্বারা পরিচালিত শাসন; স্বদেশবাসী কর্তৃক রাজ্যশাসন; স্বশাসন।

৬৫৭. "অহঙ্কার" পতনের মূল -- বাক্যে উদ্ধৃত শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -সুরমা- ২৪.০২.১২ 📖 জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়➟2018➯F ইউনিট 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖"অহঙ্কার" পতনের মূল -- বাক্যে উদ্ধৃত শব্দটি করণ কারকে শূন্য বিভক্তি।

'করণ' শব্দের অর্থ: যন্ত্র, সহায়ক বা উপায়। ক্রিয়া সম্পাদনের যন্ত্র, উপকরণ বা সহায়ককেই করণ কারক বলা হয়।

বাক্যস্থিত ক্রিয়াপদের সঙ্গে 'কিসের দ্বারা' বা 'কী উপায়ে' প্রশ্ন করলে যে উত্তরটি পাওয়া যায়, তা-ই করণ কারক।

যেমন- নীরা কলম দিয়ে লেখে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖করণ শব্দটির অর্থ - যন্ত্র, সহায়ক, উপায়।

ক্রিয়া সম্পাদনের যন্ত্র, উপকরণ বা সহায়ককেই বলে করণ কারক।

কীসের দ্বারা বা কী উপায়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায় তাই করণ কারক।

যেমন - 'অহঙ্কার পতনের মূল’ - এই বাক্যে কিসের দ্বারা বা কী উপায়ে পতন হবে প্রশ্ন করলে উত্তর পাওয়া যায় ‘অহংকার’।

এবং এর সাথে এর সাথে কোন বিভক্তি যুক্ত হয়নি অর্থাৎ এটি একটি শূন্য বিভক্তির উদাহরণ।

৬৫৮. নেহাল "অঙ্কে" খুব কাঁচা-- বাক্যে উদ্ধৃত শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -সুরমা- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖নেহাল "অঙ্কে" খুব কাঁচা-- বাক্যে উদ্ধৃত শব্দটি অধিকরণ কারকে ৭মী বিভক্তি।

ক্রিয়া সম্পাদনের কাল (সময়) এবং আধারকে অধিকরণ কারক বলে। অধিকরণ কারকে সপ্তমী অর্থাৎ 'এ' 'য়' 'তে' ইত্যাদি বিভক্তি যুক্ত হয়।

যেমন- আধার (স্থান): আমরা রোজ স্কুলে যাই। এ বাড়িতে কেউ নেই।

কাল (সময়): প্রভাতে সূর্য ওঠে। বসন্তে কোকিল ডাকে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖কোনো বিশেষ গুণে কারও দক্ষতা বা ক্ষমতা থাকলে সেখানে বৈষয়িক অধিকরণ হয়।

যেমনঃ রাকিব অঙ্কে কাচা কিন্তু ব্যাকরণে ভালো।

তেমনিভাবে, নেহাল অঙ্কে খুব কাঁচা।

এবং, অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি অর্থাৎ 'এ' 'য়' 'তে' ইত্যাদি যুক্ত হয়।

সুতরাং, 'অঙ্কে' শব্দটি অধিকরণে সপ্তমী৷

৬৫৯. 'পদ্ধতি' শব্দের সন্ধি- বিচ্ছেদ কোনটি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -সুরমা- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'পদ্ধতি' শব্দের সন্ধি- বিচ্ছেদ পদ্‌ + হতি।

স্বরে আর ব্যঞ্জনে অথবা ব্যঞ্জনে‬ ও ব্যঞ্জনে অথবা ব্যঞ্জনে ও স্বরে যে সন্ধি হয় তাকে ব্যঞ্জন সন্ধি বলে।

ব্যঞ্জনসন্ধি মূলত কথ্য রীতিতে সীমাবদ্ধ। প্রকৃত বাংলা ব্যঞ্জন সন্ধি মূলত সমীভবন এর নিয়মে হয়ে থাকে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖ত্▫ ও দ্▫ এর পর হ থাকলে ত্▫ ও দ্▫ এর স্থলে দ এবং হ এর স্থলে ধ্▫ হয়।

যেমন - পদ্▫ + হতি = পদ্ধতি;

উৎ + হার = উদ্ধার।

৬৬০. 'ইত্যাদি' কোন সমাস (ইতি হতে আদি)?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -সুরমা- ২৪.০২.১২ 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2005➯A ইউনিট 📖 বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়➟2014➯B ইউনিট

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ০

ব্যাখ্যাঃ

🔖'ইত্যাদি' (ইতি হতে আদি) তৎপুরুষ সমাস।

পূর্বপদের বিভক্তি এর লোপে যে সমাস হয় এবং যে সমাসে পরপদের অর্থ প্রধানভাবে বোঝায় তাকে তৎপুরুষ সমাস বলে।

তৎপুরুষ সমাসের পূর্বপদে দ্বিতীয়া থেকে সপ্তমী পর্যন্ত যে কোনো বিভক্তি থাকতে পারে এবং পূর্বপদের বিভক্তি অনুসারে এদের নামকরণ করা হয়।

যেমন: বিপদকে আপন্ন= বিপদাপন্ন। এখানে দ্বিতীয়া বিভক্তি 'কে' লোপ পেয়েছে বলে এর নাম দ্বিতীয়া তৎপুরুষ সমাস।

৬৬১. 'ঈগল পাখী' কোন সমাস (ঈগল নামের যে পাখী)?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -সুরমা- ২৪.০২.১২ 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2005➯A ইউনিট 📖 বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়➟2014➯B ইউনিট

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ০

ব্যাখ্যাঃ

🔖'ঈগল পাখী' কর্মধারয় সমাস (ঈগল নামের যে পাখী)।

যে সমাসে বিশেষণ বা বিশেষণভাবাপন্ন পদের সাথে বিশেষ্য বা বিশেষ্যভাবাপন্ন পদের সমাস হয় এবং পরপদের অর্থই প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে কর্মধারয় সমাস বলে।

যেমন: নীল যে পদ্ম= নীলপদ্ম, শান্ত অথচ শিষ্ট= শান্তশিষ্ট, কাঁচা অথচ মিঠা= কাঁচামিঠা।

ষঅনেক ব্যাকরণবিদ কর্মধারয় সমাসকে তৎপুরুষ সমাসের অন্তর্ভুক্ত বলে মনে করেন।

৬৬২. 'শিরে-সংক্রান্তি' বাগধারাটির অর্থ কি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -সুরমা- ২৪.০২.১২ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -হেমন্ত- ১৩.০৮.১০ 📖 পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক/পরিবার কল্যাণ সহকারী-৬.১১

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'শিরে-সংক্রান্তি' বাগধারাটির অর্থ আসন্ন বিপদ।

শিরে সংক্রান্তি বাগধারাটির অর্থ- আসন্ন বিপদ ও উপস্থিত মহাবিপদ।

শিরঃপীড়া- শব্দের অর্থ মাথার যন্ত্রণা, মাথা ধরা।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖শিরে সংক্রান্তি - আসন্ন বিপদ, সামনেই বিপদ।

আমার এখন শিরে-সংক্রান্তি, কিভাবে সব সামলাবো তাই ভাবছি।

৬৬৩. কোনটি 'নদী' শব্দের সমার্থক শব্দ?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -সুরমা- ২৪.০২.১২

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'নদী' শব্দের সমার্থক শব্দ- শৈবলিনী।

নদী শব্দের সমার্থক শব্দ- তটিনী, স্রোতস্বিনী, শৈবলিনী, তরঙ্গিনী, প্রবাহিণী।

বাকি তিনটি সমুদ্র এর সমার্থক শব্দ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖নদী শব্দের সমার্থক শব্দঃ শৈবলিনী, তরঙ্গিনী, সরিৎ,স্রোতস্বিনী, তটিনী, প্রবাহিনী।

৬৬৪. 'নির্মল' শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ কোনটি?

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -সুরমা- ২৪.০২.১২ 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৭.০৬.১৫

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'নির্মল' শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ পঙ্কিল।

নির্মল শব্দের অর্থ- স্বচ্ছ, অমলিন, নিষ্পাপ, অকলঙ্ক, নির্দোষ, বিশুদ্ধ, পবিত্র, পাক।

পঙ্কিল শব্দের অর্থ- কর্দমাক্ত, কাদা পূর্ণ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖"নির্মল" শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ - পঙ্কিল বা মলিন।

৬৬৫. 'ইতর বিশেষ' বাগধারাটির অর্থ কী ?

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক ২০১৪(২০ জেলা) ;১১ মে .১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ৩

ব্যাখ্যাঃ

🔖"ইতর বিশেষ" বাগধারাটির অর্থ পার্থক্য। আমড়া কাঠের ঢেঁকি বাগধারার অর্থ অপদার্থ।

৬৬৬. সম্বোধনের পর কোন চিহ্ন বসে ?

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক ২০১৪(২০ জেলা) ;১১ মে .১৮ 📖 জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়➟2008➯খ ইউনিট 📖 ১০ম বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন পরীক্ষা-(স্কুল/সমপর্যায়)-৩০.০৫.১৪

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖বাংলা ভাষায় যতি বা বিরাম চিহ্ন বারোটি। সম্বোধনের পর কমা বসে। যেমন : রশিদ, এদিকে এসো। অন্যদিকে বাক্যের পরিসমাপ্তি বোঝাতে দাঁড়ি বসে। কমা অপেক্ষা বেশি বিরতির প্রয়োজন হলে সেমিকোলন বসে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝বাক্যে সম্বোধন পদের পর কমা বসাতে হয়।

যেমন: রশিদ, এদিকে এসো।

❐ দুই বা ততোধিক পদ, পদ্গুচ্ছ বা বাক্যাংশে কমা হয়।

যেমন: এলাম, দেখলাম, জয় করলাম।

৬৬৭. কোন বানাটি সঠিক ?

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক ২০১৪(২০ জেলা) ;১১ মে .১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖সঠিক বানান ষান্মাসিক। আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সঠিক বানান : পিপীলিকা, শিরশ্ছেদ, নিশীথিনী, সরস্বতী, ভাগীরথী, মনীষী, সমীচীন, মুহূর্ত ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝'সান্মাসিক'- বানানটি সঠিক নয়।

❐ বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে,

'ষাণ্মাসিক' শব্দটি সঠিক।

'ষাণ্মাসিক' শব্দের অর্থ- ছয় মাস পর পর ঘটে বা প্রকাশিত হয় এমন।

৬৬৮. কোনটি সঠিক বানান ?

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক ২০১৪(২০ জেলা) ;১১ মে .১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ১

ব্যাখ্যাঃ

🔖শুদ্ধ বানান, নিশীথিনী : (বিশেষ্য পদ) রাত্রি, রজনী।

৬৬৯. 'কপোত' শব্দটির সঠিক অর্থ কোনটি ?

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক ২০১৪(২০ জেলা) ;১১ মে .১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖"কপোত" শব্দের অর্থ -- কবুতর, পায়রা, পারাবত প্রভৃতি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝বাংলা একাডেমী আধুনিক বাংলা অভিধান,

'কপোত' শব্দটির সঠিক অর্থ

কপোত (বিশেষ্য) - কবুতর; পায়রা।

❐ 'কবুতর' এর সমার্থক শব্দ

❐ কপোত, 

❐ কবুতর, 

❐ পারাবত, 

❐ রেবতক, 

❐ নোটন, 

❐ লোটন ইত্যাদি।

৬৭০. সংশয় এর বিপরীত শব্দ কোনটি ?

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক ২০১৪(২০ জেলা) ;১১ মে .১৮ 📖 সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক .১১ 📖 বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সহকারী এনফোর্সমেন্ট কো-অর্ডিনেটর - 31.03.17

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖"সংশয়" এর বিপরীত শব্দ প্রত্যয় বা নিশ্চয়াত্নক ধারণা। আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিপরীত শব্দ : ভয়-নির্ভয়, দ্বিধা-নির্দ্বিধা, গৃহী-সন্ন্যাসী, অনুরাগ-বিরাগ, ক্ষীয়মান-বর্ধমান, অর্বাচীন-প্রাচীন।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝‘সংশয়'-এর বিপরীতার্থক শব্দ: 'প্রত্যয়'

❐ তাছাড়া,

❐ 'ভয়' শব্দের বিপরীত শব্দ 'নির্ভয়'।

❐ 'বিস্ময়' শব্দটির বিপরীত শব্দ স্বাভাবিক।

❐ 'দ্বিধা' এর বিপরীত শব্দ নির্দ্বিধা।

❐ 

৬৭১. 'দিবারাত্রির কাব্য' কার লেখা ?

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক ২০১৪(২০ জেলা) ;১১ মে .১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত উপন্যাস "দিবারাত্রির কাব্য"। তাঁর রচিত আরও কয়েকটি উপন্যাস : জননী, পুতুল নাচের ইতিকথা, পদ্মা নদীর মাঝি, শহরতলী, ইতিকথার পরের কথা।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উল্লেখযোগ্য উপন্যাস দিবারাত্রির কাব্য।

❐ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উল্লেখযোগ্য উপন্যাস হলো :

❐ জননী,

❐ পুতুল নাচের ইতিকথা,

❐ সহরতলী,

❐ অহিংসা,

❐ পদ্মা নদীর মাঝি,

❐ সোনার চেয়ে দামী,

❐ আরোগ্য।

৬৭২. সারাংশে নিচের কোনটির প্রয়োজন নেই ?

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক ২০১৪(২০ জেলা) ;১১ মে .১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖গদ্য বা কবিতার অংশবিশেষের অন্তর্নিহিত মূল ভাবকে সহজ - সরল ও প্রাঞ্জল ভাষায় সংক্ষেপে প্রকাশ করাই হল সারাংশ লিখন। সারাংশের ক্ষেত্রে অলঙ্কারের প্রয়োজন নেই।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝সারমর্ম বা সারাংশ

❐ কোনো কবিতা পদ্য রচনার মূল ভাব বা বক্তব্যকে অল্প কথায় প্রকাশ করার নাম সারমর্ম বা সারাংশ।

❐ সারমর্ম এবং সারাংশ যথাসম্ভব সহজ ভাষায় এবং সরল বাক্যে লিখতে হবে।

❐ বক্তব্যের বর্ণনায় মূল কথার বাইরে কোনো কথা লিখা যাবে না, বক্তব্যে কোনো প্রকার ছন্দ, অলঙ্কার, উপমা, রূপক, উদ্ধৃতির ব্যবহার করা যাবে না।

৬৭৩. 'অনিল বাগচীর একদিন' উপন্যসটির রচয়িতা কে ?

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক ২০১৪(২০ জেলা) ;১১ মে .১৮ 📖 ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়➟2005➯B ইউনিট

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖হুমায়ূন আহমেদ রচিত মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক উপন্যাস ' অনীল বাগচীর একদিন ' । তার রচিত আরো কয়েকটি উপন্যাস : জোছনা ও জননীর গল্প, সৌরভ, ১৯৭১, আগুনের পরশ মণি, শ্যামল ছায়া।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝'অনীল বাগচীর একদিন' উপন্যাসটির রচয়িতা- 'হুমায়ূন আহমেদ'

❐ হুমায়ূন আহমেদ রচিত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস -

❐ জোছনা ও জননীর গল্প,

❐ আগুনের পরশমণি,

❐ শ্যামল ছায়া,

❐ সৌরভ,

❐ ১৯৭১,

❐ অনীল বাগচীর একদিন।

৬৭৪. 'হাড় হাভাতে' - বাগধারাটির অর্থ কোনটি ?

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক ২০১৪(২০ জেলা) ;১১ মে .১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

 ১

ব্যাখ্যাঃ

🔖"হাড় হাভাতে" বাগধারার অর্থ হতভাগ্য। আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বাগধারা : ব্যাঙের আধুলি (সামান্য সম্পদ), ব্যাঙের সর্দি (অসম্ভব ঘটনা), নেই আঁকড়া (একগুঁয়ে), তাসের ঘর (ক্ষণস্থায়ী বস্তু)।

৬৭৫. বাংলাপিডিয়া প্রকাশের উদ্যোক্তা কে ?

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক ২০১৪(২০ জেলা) ;১১ মে .১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖বাংলাপিডিয়া বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় জ্ঞানকোষ। বাংলা পিডিয়া ২০০৩ সালের জানুয়ারিতে ১০ খন্ডে প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হয়। এ বিশ্বকোষের প্রধান সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝বাংলাপিডিয়া প্রকাশের উদ্যোক্তা - বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি।

▣ বাংলাপিডিয়া:

❐ বাংলাপিডিয়া বাংলাদেশের জাতীয় জ্ঞানকোষ। 

❐ এটি বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির উদ্যোগে ২০০৩ সালে প্রথম প্রকাশ করা হয়। 

❐ এরপর ২০১২ সালে এর দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়। 

❐ ১৪৫০ জন পণ্ডিত বাংলাদেশের প্রাচীন থেকে বর্তমান পর্যন্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলি এতে সংযোজন করেছেন।

৬৭৬. কাজী নজরুল ইসলামের বাল্য স্মৃতিবিজরিত ময়মনসিঙ্ঘের স্থানটির নাম কী ?

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক ২০১৪(২০ জেলা) ;১১ মে .১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖কাজী নজরুল ইসলামের বাল্য স্মৃতিবিজরিত ময়মনসিংহের স্থানটির নাম দরিরামপুর।

ত্রিশাল সরকারি নজরুল একাডেমী (সাবেক দরিরামপুর হাইস্কুল) বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিদ্যালয়টি ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে ১৯১৩ সালে দরিরামপুর হাইস্কুল নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এই বিদ্যালয়ের একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী। উনার নামেই ১৯৬৪ সালে বিদ্যালের নাম পরিবর্তন করে নজরুল একাডেমী করা হয়েছিল, যা ২০১৮ সালে সরকারিকরণ করা হলে বর্তমান নাম ধারণ করে।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝কাজী নজরুল ইসলামের বাল্য স্মৃতি বিজরিত ময়মনসিংহের স্থানটির নাম- 'দরিরামপুর'

❐ চা-রুটির দোকানে চাকরি করার সময় আসানসোলের দারোগা রফিজউল্লার সঙ্গে নজরুলের পরিচয় হয় 

এবং তাঁর সুবাদেই নজরুল ১৯১৪ সালে ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশালের দরিরামপুর স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হন।

❐ এক বছর পর তিনি পুনরায় নিজের গ্রামে ফিরে যান এবং ১৯১৫ সালে আবার রানীগঞ্জ সিয়ারসোল রাজস্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি হন। 

❐ এ স্কুলে নজরুল ১৯১৫-১৭ সালে একটানা অষ্টম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনা করেন। 

❐ প্রিটেস্ট পরীক্ষার সময় ১৯১৭ সালের শেষদিকে নজরুল সেনাবাহিনীতে যোগ দেন।

৬৭৭. 'ধীমান ' শব্দটির অর্থ কি? 

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক ২০১৪(২০ জেলা) ;১১ মে .১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖"ধীমান" বিশেষণ শব্দটির অর্থ বুদ্ধিমান; যার স্ত্রীবাচক শব্দ ধীমতি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান,

‘ধীমান' শব্দটির অর্থ: 'বুদ্ধিমান'

৬৭৮. বৃক্ষ শব্দের সমার্থক শব্দ নয় কোনটি?

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক ২০১৪(২০ জেলা) ;১১ মে .১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖"বৃক্ষ" শব্দের সমার্থক শব্দ- বিটপী, শিখরী, পাদপ, গাছ, দ্রুম, মহীরুহ, শাখী। অন্যদিকে বনানী শব্দের সমার্থক শব্দ: বন, অরণ্য, জঙ্গল, কানন।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝‘বৃক্ষ' শব্দের সমার্থক শব্দ নয়- 'বনানী'

'বনানী' হলো বন শব্দের সমার্থক শব্দ।


বৃক্ষ শব্দের সমার্থক শব্দ:

হলো গাছ, পাদপ, দ্রুম, তরু, বিটপী, শাখী, পণী, শৃঙ্গী, শিখরী, মহীরুহ ইত্যাদি।

❐ বন- শব্দের সমার্থক শব্দ:

অরণ্য, জঙ্গল, অটবি, কানন, বিপিন, গহন, কুঞ্জ, কান্তার, উপবন, বনানী ইত্যাদি।

৬৭৯. মনীষা শব্দের সঠিক সন্ধিবিচ্ছেদ কোনটি?

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক ২০১৪(২০ জেলা) ;১১ মে .১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖মনীষা শব্দের সঠিক সন্ধিবিচ্ছেদ মনস্ + ঈষা।

‘অ/আ’ এরপরে ‘ই/ঈ’ থাকলে উভয় মিলে ‘এ’ হয় এবং তা ‘অ/আ’-র আগের ব্যঞ্জনের সঙ্গে যুক্ত হয়।

আ+ঈ = এ

মহা+ঈশ = মহেশ,

রমা+ঈশ = রমেশ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝‘মনীষা' শব্দের সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ: 'মনস + ঈষা'

▣ মনীষা একটি নিপাতনে সিদ্ধ ব্যঞ্জন সন্ধি।

❐ নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি

কতগুলো সন্ধি কোনো নিয়মে সাধিত হয় না এমন সন্ধিকে নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি বলে।

❐ নিচে কতগুলো নিপাতনে সিদ্ধ ব্যঞ্জন সন্ধির উদাহরণ দেয়া হলো:

❐ পর্ + পর = পরস্পর

❐ আ + চর্য = আশ্চর্য,

❐ গো + পদ = গোষ্পদ,

❐ বন্ + পতি = বনস্পতি,

❐ ষট্ + দশ = ষোড়শ,

❐ বৃহৎ + পতি = বৃহস্পতি,

❐ মনস্ + ঈষা = মনীষা,

❐ এক + দশ = একাদশ।

৬৮০. লম্ফ প্রদান করিল' -এর চলিত রুপ কোনটি?

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক ২০১৪(২০ জেলা) ;১১ মে .১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖সাধু ভাষায় ক্রিয়া ও সর্বনাম পদগুলো সাধারণত দীর্ঘ হয়ে থাকে। যেমন—খাইতেছি, তাহারা , করিল ইত্যাদি। চলিত ভাষায় ক্রিয়া এবং সর্বনাম পদগুলো সংক্ষিপ্ত। যেমন—দিল, খাচ্ছি, তারা ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝'লক্ষ-প্রদান করিল'-এর চলিত রূপ: 'লাফ দিল'

❐ আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাধুরীতির চলিত রূপ:

▣ হাঁটিতে- হাঁটতে

▣ শুইয়াছে- শুয়েছে,

▣ জুতা- জুতো,

▣ শুকনা- শুকনো

▣ পরিহরি- পরিহার করে

▣ ভ্রমে- ভ্রমণ করে

▣ ল্ভিয়া- লাভ করে।

৬৮১. কর্মে যাহার ক্লান্তি নাই' এই বাক্যাংশের সংক্ষিপ্ত রুপ কি?

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক ২০১৪(২০ জেলা) ;১১ মে .১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖কর্মে যাহার ক্লান্তি নাই' একে এক কথায় বলে অক্লান্তকর্মী।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝‘কর্মে যার ক্লান্তি নাই' এর এক কথায় প্রকাশ- 'অক্লান্তকর্ম'।

❐ অন্যদিকে,

'যাহার কোন কিছুতে ক্লান্তি নাই' এর এক কথায় প্রকাশ- ক্লান্তিহীন।

'ক্লান্তিহীন ভাবে চলে যা' এর এক কথায় প্রকাশ- 'অক্লান্ত/অবিশ্রাম'।

৬৮২. সংযোগজ্ঞাপক সর্বনাম কোনটি?

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক ২০১৪(২০ জেলা) ;১১ মে .১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖দূরত্ববাচক : ঐ, ঐসব, সব

৫. সাকল্যবাচক : সব, সকল, সমুদয়, তাবৎ

৬. প্রশ্নবাচক : কে, কি, কী, কোন, কাহার, কার, কিসে

৭. অনির্দিষ্টতাজ্ঞাপক : কোন, কেহ, কেউ, কিছু

৮. ব্যতিহারিক : আপনা আপনি, নিজে নিজে, আপসে, পরস্পর

৯. সংযোগজ্ঞাপক : যে, যিনি, যাঁরা, যাহারা

১০. অন্যাদিবাচক : অন্য, অপর, পর

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝সংযোগজ্ঞাপক সর্বনাম পদ:

❐ যে, যিনি, যাঁরা, যারা, যাহারা।

❐ আত্মবাচক সর্বনাম পদ

❐ স্বয়ং, নিজে, খোদ, আপনি।

❐ অনির্দিষ্টতাজ্ঞাপক সর্বনাম পদ 

❐ কোন, কেহ, কেউ, কিছু ইত্যাদি।

❐ ব্যক্তিবাচক বা পুরুষবাচক সর্বনাম পদ

❐ আমি, তুমি, আমরা, তোমরা, সে, তারা, তাহারা, তিনি, এ, এরা, ও, ওরা ইত্যাদি।

❐ সাকুল্যবাচক সর্বনাম: 

❐ সব, সকল, তাবৎ।

৬৮৩. কোনটি সঠিক বানান?

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক ২০১৪(২০ জেলা) ;১১ মে .১৮ 📖 33rd BCS General Jun, 2012 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক ২০১৪(২০ জেলা) ;১১ মে .১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖নিশীথিনী শুদ্ধ: (বিশেষ্য পদ) রাত্রি, রজনী।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে,

'নিশীথিনী'- বানানটি সঠিক।

❐ 'নিশীথিনী' শব্দের অর্থ- গভীর রাত, রজনী।

৬৮৪. নিচের কোনটি চলিত রীতির শব্দ? 

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক ২০১৪(২০ জেলা) ;১১ মে .১৮

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖সাধু ভাষায় ক্রিয়া ও সর্বনাম পদগুলো সাধারণত দীর্ঘ হয়ে থাকে। যেমন—খাইতেছি, তাহারা, সহিত,তুলা,

পড়িল ইত্যাদি। চলিত ভাষায় ক্রিয়া এবং সর্বনাম পদগুলো সংক্ষিপ্ত। যেমন—খাচ্ছি, তারা,শুকনো ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📝'শুকনো'- চলিত রীতির শব্দ।

পড়িল, সহিত, তুলা- সাধু ভাষার শব্দ।

❐ তাছাড়া,

❐ 'তুলা' এর চলিত রূপ: 'তুলো'

❐ 'পড়িল' এর চলিত রূপ: 'পড়ল'

❐ 'সহিত' এর চলিত রূপ: 'সঙ্গে বা সাথে'

৬৮৫. কোন দুটি বর্ণের পর ণ ও ষ হয় ? 

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [১ম পর্যায়] ২৪. ০৫.১৯

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖ঋ,র বর্ণ দুটির পর ণ ও ষ হয়।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖ঋ, র, ষ এর পরে ণ হয়। যেমনঃ ঋণ, তৃণ, বর্ণ, বর্ণনা, ব্যাকরণ। 

'ঋ' এবং ঋ-কারের পর ষ হয়। যেমনঃ ঋষি, কৃষক৷ 

তৎসম শব্দে 'র' এর পর 'ষ' হয়। যেমনঃ বর্ষা, বর্ষণ।

৬৮৬. 'শর্বরী' এর বিপরীত শব্দ কোনটি? 

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [১ম পর্যায়] ২৪. ০৫.১৯

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖শর্বরী হলো রাতের প্রতিশব্দ। এর বিপরীত শব্দ হলো দিবস।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖শর্বরী - রাত্রি, রজনী; ক্ষণদা; নিশি

দিবস - দিন; সারাদিন; দিনমান; অহোরাত্র।

৬৮৭. 'গায়ক' এর সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি? 

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [১ম পর্যায়] ২৪. ০৫.১৯

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖গায়ক এর সন্ধি বিচ্ছেদ- গৈ+ অক.

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖এ/ঐ এরপরে অন্য কোন স্বরধ্বনি আসলে ‘এ’ এর জায়গায় ‘অয়’ এবং ‘ঐ’ এর জায়গায় ‘আয়’ হয়। যেমনঃ 'গায়ক' এর সন্ধি -বিচ্ছেদ “গৈ + অক”।

৬৮৮. শুদ্ধ বানান কোনটি? 

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [১ম পর্যায়] ২৪. ০৫.১৯ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -ইছামতি- ০৮.০১.১০ 📖 বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন -২০১৯ পদের নাম : বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ( ১৩. ০৯.১৯ )

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖মুমূর্ষু - [বিশেষণ পদ] মরতে বসেছে এমন, মরণাপন্ন।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖মুমূর্ষু (বিশেষণ) - মরণাপন্ন; মরণোন্মুখ; মৃত্যুকাল আসন্ন এমন।

মুমুর্ষা (বিশেষ্য) - মৃত্যুর ইচ্ছা; মরণেচ্ছা; মরণ কামনা।

৬৮৯. 'The Spirit of Islam ' বইটির লেখক কে? 

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [১ম পর্যায়] ২৪. ০৫.১৯

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖The spirit of ঈস্লাম গ্রন্থের লেখক সৈয়দ আমির আলী। তিনি ছিলেন কলকাতা হাইকোর্ট এর প্রথম মুসলিম বিচারপতি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖উনিশ ও বিশ শতকে যে কজন মুসলিম মনিষী বাংলার মুসলমানদের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন, তাদের মধ্যে সৈয়দ আমীর আলি অন্যতম। 'The Spirit of Islam' এবং 'A History of Saracens' তার রচিত দুটো বিখ্যাত বই। তিনি ১৮৭৭ সালে কলকাতায় সেন্ট্রাল মোহামেডান অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠা করেন। সৈয়দ আমির আলি প্রথম ভারতীয় হিসেবে ১৯০৯ সালে লন্ডনের প্রিভি কাউন্সিলের সদস্য হন। ১৯১২ সালে মুসলিম লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।

৬৯০. 'দেশে বিদেশে'র লেখক কে? 

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [১ম পর্যায়] ২৪. ০৫.১৯

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖'দেশে বিদেশে' ভ্রমণকাহিনীর লেখক সৈয়দ মুজতাবা আলী। তাঁর ছদ্মনাম "সত্যপীর"। সৈয়দ মুজতবা আলীর বিখ্যাত উক্তি " বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয় না"। 'দেশে বিদেশে' ভ্রমণকাহিনী সৈয়দ মুজতবা আলীর প্রথম গ্রন্থ। এ গ্রন্থে তিনি কাবুলের অবস্থান এবং ভ্রমণের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন। তার রচিত আরও কয়েকটি গ্রন্থ- চাচা কাহিনী, পঞ্চতন্ত্র, অবিশ্বাস্য, শবনম।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖সৈয়দ মুজতবা আলী বাংলা সাহিত্যের প্রথিতযশা রম্য লেখক।

তার বিখ্যাত গ্রন্থগুলো দেশে-বিদেশে, জলে ডাঙ্গায়, চাচা কাহিনী।

৬৯১. 'গবেষণা' শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি? 

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [১ম পর্যায়] ২৪. ০৫.১৯

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖গবেষণা শব্দটির আভিধানিক অর্থ হল- 'গরু খোঁজা'। বাংলা সন্ধি বিচ্ছেদ করলে, গো + এষণা = গবেষণা; অর্থাৎ 'গো' মানে গরু এবং 'এষণা' মানে খোঁজা। হারিয়ে যাওয়া কোন বস্তু বা গরু বা অজানা কোন কিছুর শ্রমসাধ্য অনুসন্ধানের বাংলা প্রতিশব্দ হল গবেষণা বা গরু খোঁজা।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖এ, ঐ, ও, ঔ-কারের পর এ, ঐ স্থানে অয়, আয় এবং ও, ঔ স্থানে যথাক্রমে অব ও আব হয়। যেমন- নে + অন = নয়ন, নৈ + অক = নায়ক, পো + অন = পবন, গো + এষণা = গবেষণা, নৌ + ইক = নাবিক, পো + ইত্র = পবিত্র, গো + আদি = গবাদি ইত্যাদি।

৬৯২. চাউল,চিনি,পানি এগুলাে কী বাচক বিশেষ্য? 

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [১ম পর্যায়] ২৪. ০৫.১৯

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖বস্তুবাচক বিশেষ্য: যে বিশেষ্য পদের সাহায্যে কোনো বস্তু বোঝায় এবং যার সংখ্যা নির্দেশ করা যায় না, শুধু পরিমাণ নির্দেশ করা যায়, তাকে বস্তুবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন: পানি, লবণ ইত্যাদি।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖যে পদে কোনো উপাদানবাচক পদার্থের নাম বোঝায় তাকে বস্তুবাচক বিশেষ্য বলে।

যেমন - বই, খাতা, কলম, থালা, বাটি, মাটি, চাল, চিনি, লবণ, পানি।

৬৯৩. 'সুনাম' শব্দের 'সু' কোন উপসর্গ ? 

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [১ম পর্যায়] ২৪. ০৫.১৯ 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟1998➯ঘ ইউনিট 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2003➯B ইউনিট

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖বাংলা উপসর্গ মোট ২১ টি। এগুলো হল- অ, অনা, অঘা, অজ, আ, আন, আব, আড়, ঊন, ইতি, পাতি, নি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা।

২১ টি খাটি বাংলা উপসর্গ :

(পাতি, অজ, অঘা, রাম, সা, হা, অনা, স, কু, উন, আ, কদ, আড়, আন, আব, ভর, ইতি, আ, সু, নি, বি)

★মনে রাখার চিঠি:

প্রিয় (সু)(হা)(স)

(আ)দর (নি) (বি)। তুই আমাদের (অজ)পাড়া গাঁয়ের আশা (ভর)(সা) । অন্যদের (অনা)চার (কু)কথা এবং (আ)ড় চোখে তাকানোকে একেবারেই পাত্তা দিবি না। তোর জন্য গাছের (আব) ডালের (উন)পঞ্চাশটি (পাতি)লেবু ও (কদ)বেল পাঠালাম। (অ)চেনা জায়গায় মন (আন)চান করলে এগুলো খাবি ।

ইতি

(অঘা)(রাম)।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖বাংলা ‘সু’ উপসর্গের অর্থ - উত্তম। বাংলা সু উপসর্গযোগে গঠিত শব্দ - সুনাম, সুনজর, সুখবর, সুদিন, সুকাজ।

৬৯৪. 'গাছপাথর' বাগধারাটির অর্থ কী? 

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [১ম পর্যায়] ২৪. ০৫.১৯

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖বর্ণনাঃ গাছ পাথর বাগধারাটির অর্থ 'হিসাব-নিকাশ'।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖গাছপাথর - হিসেবনিকেশ। যেমনঃ আমরা সেকেলে, আমাদের বয়সের কি কোনো গাছপাথর আছে!

 গৌড়চন্দ্রিকা - ভূমিকা 

 কাঠালের আমসত্ব - অসম্ভব বস্তু।

৬৯৫. প্রান্তিক বিরাম চিহ্ন কোনটি? 

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [১ম পর্যায়] ২৪. ০৫.১৯

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖প্রশ্নঃ যতি বা ছেদ চিহ্ন কয়টি? উত্তরঃ১২টি. প্রশ্নঃ প্রান্তিক বিরাম চিহ্ন কোনটি? উত্তরঃ প্রশ্নচিহ্ন প্রশ্নঃ ড্যাশ চিহ্ন ব্যবহৃত হয় না– উত্তরঃ সম্বোধন বোঝাতে. প্রশ্নঃ দাড়ি (পূর্ণচ্ছেদ) এ কত সময় থামতে হয়? উত্তরঃ এক সেকেন্ড প্রশ্নঃ দুটি বাক্যের মধ্যে অর্থের সম্বন্ধ থাকলে কোন বিরাম চিহ্ন বসবে? উত্তরঃ সেমিকোলন.

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖প্রান্তিক বিরামচিহ্ন বাক্যের শেষে বসে।

দাড়ি, প্রশ্নবোধক চিহ্ন, বিস্ময়সূচক চিহ্ন - বাক্যের শেষে ব্যবহৃত হয় বলে তারা প্রান্তিক বিরামচিহ্ন।

৬৯৬. 'উলুখাগড়া' শব্দটির অর্থ কী? 

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [১ম পর্যায়] ২৪. ০৫.১৯

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖উলুখাগড়া - গুরুত্বহীন লোক।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖উলুখাগড়া (বিশেষ্য) - উলুখড় ও নল;

❏(আলঙ্কারিক) গরিব বা অকিঞ্চিৎকর ব্যক্তি;

❏(আলঙ্করিক) নিরীহ প্রজা (রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয় উলুখাগড়ার প্রাণ যায় - প্রবচন)।

৬৯৭. 'সমাস' শব্দের অর্থ কী? 

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [১ম পর্যায়] ২৪. ০৫.১৯

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖”সমাস” শব্দের অর্থ - সংক্ষেপণ ।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖সমাস (বিশেষ্য) -একাধিক পদের একপদে সংকোচন; সংক্ষেপ; মিলন; সংগ্রহ। 

{(তৎসম বা সংস্কৃত) সম্‌+√অস্‌+অ(ঘঞ্‌)}

৬৯৮. জন্মহীন মৃত্যুহীন - 

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [১ম পর্যায়] ২৪. ০৫.১৯

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖অজ - (১)[বিশেষণ পদ] হীনজন্ম। (২) [বিশেষ্য পদ] ঈশ্বর, ব্রহ্মা, সূর্য বংশীয় নৃপতি, জীবাত্মা।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖অজ (বিশেষণ) - জন্মহীন; চির বর্তমান।

{(তৎসম বা সংস্কৃত) অ(নঞ্‌)+√জন্‌ (√জন্‌-উৎপন্ন হওয়া)+অ(ড)} 

অজ (বিশেষণ) - খাঁটি; পুরাদস্তুর। নিরেট (অজমূর্খ)।

৬৯৯. কষ্টে লাভ হয় যা- 

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [১ম পর্যায়] ২৪. ০৫.১৯

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖দুর্লভ - [বিশেষণ পদ] যা সহজে পাওয়া যায় না এমন, দুষ্প্রাপ্য।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖যা কষ্টে লাভ করা যায়- দুর্লভ। 

সুলভ - সহজ; অল্প মূল্যে মেলে এমন।

যা কষ্টে জয় করা যায়- দুর্জয়।

৭০০. শুদ্ধ বানান কোনটি? 

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [১ম পর্যায়] ২৪. ০৫.১৯

 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 

ব্যাখ্যাঃ

🔖বিভীষিকা - [বিশেষ্য পদ] ভয়জনক দৃশ্য, ভয়প্রদর্শন, ভীষণ ভয়, আতঙ্ক।

স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ

📖ড. সৌমিত্র শেখর রচিত বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা অনুযায়ী বিভীষিকা বানানটি শুদ্ধ।


Full Stack Web Developer & Content Creator

Post a Comment

NextGen Digital Welcome to WhatsApp chat
Howdy! How can we help you today?
Type here...