১০১. কোন আরব দেশ সর্বপ্রথম বাংলাদেশ কে স্বীকৃতি প্রদান করে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৭.০৬.১৫
সাধারণ জ্ঞান
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖ইরাক প্রথম আরব দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ৮ জুলাই ১৯৭২ সালে।
এটি মধ্যপ্রাচ্যের স্বীকৃতিদানকারী প্রথম দেশ ছিল।
লেবানন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ২৮ মার্চ, ১৯৭৩।
ইরান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৪।
সৌদি আরব ১৯৭৫ সালের ১৬ আগস্ট বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে।
১০২. ইতিহাসের জনক বা পিতা কে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৭.০৬.১৫
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖ইতিহাসের জনক বা পিতা হলেন হেরোডোটাস।
৪৮৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দে বর্তমান তুরস্কের হেলিকন আছে জন্মগ্রহণ করেন হেরোডোটাস। তিনি সক্রেটিসের সমসাময়িক ছিলেন। তিনি ৪২৫ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে মারা যান।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖গ্রিক ঐতিহাসিক হেরোডোটাসকে ইতিহাসের জনক বলা হয়। তিনি সর্বপ্রথম গ্রিক হিস্টরিয়া (Historia) শব্দটি ব্যবহার করেন। তার মতে ইতিহাস হলো যা সত্যিকার অর্থে ছিলো বা সংঘটিত হয়েছিলো তা অনুসন্ধান করা ও লেখা।
খুকুভাইডিসকে বৈজ্ঞানিক ইতিহাসের জনক বলা হয়। জার্মান ঐতিহাসিক লিওপোল্ড ফন র্যাংককে আধুনিক ইতিহাসের জনক বলা হয়।
১০৩. ”সবুজ গ্রহ” বলা হয় কাকে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৭.০৬.১৫ 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ৩০.১০.১৫ 📖 জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা-২৩.০৬.১৬
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖সবুজ গ্রহ বলা হয় ইউরেনাসকে।
বুদ হল সূর্যের সবচেয়ে নিকটতম গ্রহ। পৃথিবী হলো একমাত্র গ্রহ যেখানে মানুষ বাস করে। আর মঙ্গল গ্রহকে বলা হয় লাল গ্রহ বা গোলাপি গ্রহ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖ইউরেনাসের বায়ুমণ্ডলের উপরিভাগ অনেক শীতল। ইউরেনাসের নীলাভ সবুজ বর্ণ শীতল মিথেন গ্যাসের প্রভাবে হয়। তাই একে সবুজ গ্রহ বলে।
১০৪. ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোন দেশ এখনো “ইউরো” গ্রহণ করেনি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৭.০৬.১৫ 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2002➯খ ইউনিট 📖 খাদ্য অধিদপ্তরের উপ-খাদ্য পরিদর্শক-২৫.০৫.১২
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে এখনো 'ইউরো' গ্রহণ করেনি ইংল্যান্ড।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ২৮ টি দেশ মধ্যে ইউরো মুদ্রা গ্রহণ করেছে ১৯ টি দেশ। বাকি নয়টি দেশের মধ্যে ইংল্যান্ড অন্যতম যাদের মুদ্রার নাম পাউন্ড স্টার্লিং।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশসমূহের একক মুদ্রার নাম ইউরো। ইউরো মুদ্রার জনক হলেন রবার্ট মুন্ডেল। ইউরো মুদ্রা চালু হয় ১ জানুয়ারি ১৯৯৯ সালে। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর ১৯টি দেশে বর্তমানে ইউরো মুদ্রা চালু আছে।
ব্রিটেন কখনো ইউরো মুদ্রা গ্রহণ করে নি। ব্রিটেনের মুদ্রা - পাউন্ড স্টারলিং।
উল্লেখ্য যে, ব্রিটেন ১৯৭৩ সালের ১ জানুয়ারি এতে যোগ দেয়। ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি ৪৭ বছরের সম্পর্কের অবসান ঘটিয়ে ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করে।
১০৫. কোনটি কম্পিউটারের গ্রহণ মুখ নয়?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৭.০৬.১৫ 📖 পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের ডাটা প্রসেসিং অপারেটর-১৮.১১.০২
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖কম্পিউটারের গ্রহণ মুখ নয় মনিটর।
মনিটর একটি কম্পিউটারের আউটপুট ডিভাইস। অন্যদিকে কিবোর্ড, বারকোড ও এম আর হল ইনপুট ডিভাইস বা গ্রহণ মুখ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত আউটপুট ডিভাইস হচ্ছে মনিটর।
বারকোড রিডার, ওয়েবক্যাম, মাউস, ওএমআর, ওসিআর, স্ক্যানার, জয়স্টিক, ট্র্যাকবল, লাইটপেন, ডিজিটাইজার, পাঞ্চকার্ড ইত্যাদি কম্পিউটারের ইনপুট ডিভাইস বা গ্রহণ মুখ।
১০৬. CNG-এর অর্থ--
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৭.০৬.১৫
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖CNG-এর অর্থ--কমপ্রেস করা প্রাকৃতিক গ্যাস।
CNG-এর অর্থ হলো compressed natural gas অর্থাৎ কমপ্রেস করা প্রাকৃতিক গ্যাস।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖CNG এর পূর্ণরূপ Compressed Natural Gas। যার অর্থ - কমপ্রেস করা প্রাকৃতিক গ্যাস।
১০৭. কোন মুসলিম মনীষী সর্বপ্রথম নোবেল পুরস্কার পান?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৭.০৬.১৫ 📖 27th BCS General Nov, 2005 📖 বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার প্রশাসন/এইচআর) - 9.17
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖মুসলিম মনীষীদের মধ্যে সর্বপ্রথম নোবেল পুরস্কার পান আনোয়ার সাদাত।
আনোয়ার সাথে ছিলেন মিশরের তৃতীয় প্রেসিডেন্ট। তিনি ১৯৭০-১৯৮১ পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। ইসরাইলের সাথে একটি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের পর ১৯৭৮ সালে প্রথম মুসলিম হিসেবে যৌথভাবে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর সাথে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖মিশর ও ইসরায়েল - এর বিরোধপূর্ণ সম্পর্ক স্বাভাবিক করা ও শান্তিপূর্ণ মধ্যপ্রাচ্য গঠনের পরিকল্পনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ক্যাম্প-ডেভিড চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৭৮ সালে, যার ফলশ্রুতিতে মিশরের রাষ্ট্রপতি আনোয়ার সাদাত ও ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী মেনাহেন বেগিন ১৯৭৮ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
প্রফেসর আব্দুস সালাম ১৯৭৯ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরষ্কার লাভ করেন।
১৯৮৮ সালে নাগিব মাহফুজ সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার লাভ করেন।
মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইয়াসির আরাফাত ও শিমন পেরেজ যৌথভাবে ১৯৯৪ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
১০৮. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ বীরত্ব প্রদর্শনের জন্য কতজনকে বীরত্বসূচক খেতাব প্রদান করা হয়?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৭.০৬.১৫
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ বীরত্ব প্রদর্শনের জন্য ৬৭৬ জনকে বীরত্বসূচক খেতাব প্রদান করা হয়।
যার মধ্যে বীরশ্রেষ্ঠ, বীর উত্তম, বীর বিক্রম, বীর প্রতীক খেতাব যথাক্রমে ৭, ৬৮, ১৭৫ ও ৪২৬ জন।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান ও বীরত্বের জন্যে ১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু সরকার মোট ৬৭৬ জনকে চারটি বীরত্বসূচক খেতাব বা উপাধি প্রদান করে।
এগুলো হলো বীরশ্রেষ্ঠ, বীরউত্তম, বীরবিক্রম এবং বীরপ্রতীক।
এর মধ্যে সর্বোচ্চ বীরত্বসূচক খেতাব হলো বীরশ্রেষ্ঠ।
সর্বোচ্চ বীরত্বসূচক ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ উপাধি পান ৭ জন
দ্বিতীয় বীরত্বসূচক উপাধি ‘বীরউত্তম’ পান ৬৮ জন
তৃতীয় বীরত্বসূচক উপাধি ‘বীরবিক্রম’ পান ১৭৫ জন
এবং, চতুর্থ বীরত্বসূচক উপাধি ‘বীরপ্রতীক’ পান ৪২৬ জন।
১০৯. ”হ্যারি পটার” কি
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৭.০৬.১৫
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖'হ্যারি পটার' একটি শিশুতোষ বই।
হ্যারি পটার একটি মনমুগ্ধকর কাল্পনিক কিশোর উপন্যাসের লেখিকা হলেন ব্রিটিশ নাগরিক জে কে রাউলিং। এ পর্যন্ত এ সিরিজের সাতটি বই বেরিয়েছে। প্রথম ও শেষ উপন্যাস দুটির যথাক্রমে Harry potter and the philosopher's stone ও Harry potter and the deathly hallows.
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖‘হ্যারি পটার’ জে কে রাউলিং রচিত একটি শিশুতোষ ফ্যান্টাসি বইয়ের সিরিজ। এ বই অবলম্বনেই নির্মিত হয়েছে বিখ্যাত হ্যারি পটার চলচ্চিত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি।
১১০. সুইডেন এর মুদ্রার নাম কি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৭.০৬.১৫
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖সুইডেন এর মুদ্রার নাম ক্রোনা।
ক্রোনা নামে দুটি দেশের মুদ্রা একটি সুইডেন অন্যটি আইসল্যান্ড। গিলো বাস্তবে কোন দেশের মুদ্রা নয় এটি একটি কাল্পনিক মুদ্রা।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖সুইডেন এবং ডেনমার্কের মুদ্রা - ক্রোনা
যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা - ডোলার
ব্রিটেনের মুদ্রার নাম - পাউন্ড।
১১১. SIM নিচের কোনটির সংক্ষিপ্ত রূপ?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৭.০৬.১৫
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖SIM এর সংক্ষিপ্ত রূপ হল Subscriber Identity Module।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖'SIM'- এর পূর্ণরূপ হলো Subscriber Identity Module। গ্রাহকদেরকে জিএসএম মোবাইল ফোনের সার্ভিস প্রোভাইডার একটি সিম কার্ড সরবরাহ করে।
১১২. ”গ্রীনল্যান্ড” এর মালিকানা কোন দেশের?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৭.০৬.১৫
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖”গ্রীনল্যান্ড” এর মালিকানা ডেনমার্কের।
গ্রীনল্যান্ড পৃথিবীর বৃহত্তম দ্বীপ যার রাজধানী গডথ্যাব। দিপটি ভৌগোলিকভাবে উত্তর আমেরিকা মহাদেশে অবস্থিত আর রাজনৈতিকভাবে ইউরোপের অর্থাৎ ডেনমার্কের শাসনাধীন।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖গ্রিনল্যান্ড উত্তর আটলান্টিক ও আর্কটিক মহাসাগরের মধ্যে অবস্থিত একটি সুবৃহৎ দ্বীপ যা ডেনমার্কের একটি স্ব-নিয়ন্ত্রিত অংশ হিসেবে স্বীকৃত।
এটি পশ্চিম দিকে ডেভিস প্রণালী ও ব্যাফিন উপসাগর দ্বারা প্রাথমিকভাবে কানাডীয় আর্কটিক দ্বীপপুঞ্জ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে এবং পূর্ব দিকে ডেনমার্ক প্রণালী দ্বারা আইসল্যান্ড থেকে পৃথক হয়েছে।
১১৩. আমেরিকাকে এশিয়া থেকে পৃথক করেছে কোন প্রণালী?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৭.০৬.১৫ 📖 11th BCS General Oct, 1991 📖 বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানি-রপ্তানি অধিদপ্তরের নির্বাহী অফিসার-০২.০২.০৭
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖আমেরিকাকে এশিয়া থেকে পৃথক করেছে বেরিং প্রণালী।
এর প্রশস্ততা 42 কিমি। এটি উত্তর মহাসাগর এর চুকচি সাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরের বেরিং সাগরকে যুক্ত করেছে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বেরিং প্রণালী আর্কটিক মহাসাগরকে বেরিং সাগরের সাথে সংযুক্ত করে এবং এশিয়া থেকে উত্তর আমেরিকাকে পৃথক করেছে।
জিব্রাল্টার প্রণালী আটলান্টিক এবং ভূমধ্যসাগরকে সংযুক্ত করেছে এবং আফ্রিকা (মরক্কো) ও ইউরোপ (স্পেন) মহাদেশকে পৃথক করেছে।
১১৪. নিচের কোনটি সিস্টেম সফটওয়্যার?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৭.০৬.১৫
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖এমএস উইন্ডোজ হলো সিস্টেম সফটওয়্যার।
অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যার হলো উৎকৃষ্ট সিস্টেম সফটওয়্যার। এখানে এমএস উইন্ডোস হল সিস্টেম সফটওয়্যার। অন্যদিকে এমএস ওয়ার্ড হল এপ্লিকেশন সফটওয়্যার এবং ওরাকল হল ডাটাবেজ সফটওয়্যার।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖উবুন্টু, এমএস উইন্ডোজ, এন্ড্রয়েড, রেডহ্যাট, লিনাক্স - ইত্যাদি হচ্ছে সিস্টেম সফটওয়্যার।
১১৫. বাংলাদেশ সংবিধানে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল বিষয়টি কোন অনুচ্ছেদে সন্নিবেশ হয়েছে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৭.০৬.১৫ 📖 35th BCS General Mar, 2015
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বাংলাদেশ সংবিধানে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল বিষয়টি ১১৭ অনুচ্ছেদে সন্নিবেশ হয়েছে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ষষ্ঠ ভাগ এর তৃতীয় পরিচ্ছেদ এর ১১৭ নং অনুচ্ছেদে প্রশাসনিক ট্রাইবুনাল বিষয়টি সন্নিবেশিত হয়েছে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖সংবিধানের ১১৭ নং অনুচ্ছেদে বর্ণিত বিধান অনুসারে জাতীয় সংসদ প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করে থাকে।
ট্রাইব্যুনাল হলো কোন বিশেষ উদ্দেশ্যে স্থাপিত আদালত যা সাধারণত জনকল্যাণমূলক এবং নিয়ন্ত্রণমূলক বিভিন্ন কাজের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠা করা হয়। যেমনঃ শ্রম আদালত, ভাড়া নিয়ন্ত্রক ইত্যাদি।
১১৬. বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র কত তারিখে পঠিত হয়?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৭.০৬.১৫ 📖 রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়➟2011➯A3 ইউনিট 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৮.০৮.১৫
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র পঠিত হয় ১৭ এপ্রিল ১৯৭১।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র জারি করা হয় ১০ এপ্রিল ১৯৭১ সালে আর এটি পতিত হয় ওই বছরের ১৭ এপ্রিল। আর ঘোষণাপত্রটি পাঠ করেন অধ্যাপক এম ইউসুফ আলী।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ১০ এপ্রিল ১৯৭১ স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র খসড়া প্রণয়ন ও আনুষ্ঠানিকভাবে জারি করা হয় এবং ১৭ এপ্রিল অধ্যাপক ইউসুফ আলী আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র পাঠ করেন।
১১৭. নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসের একটি উদাহরণ হলো-----
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৭.০৬.১৫ 📖 10th BCS General Apr, 1989
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖নবায়নযোগ্য জ্বালানি বা রিনিউয়েবল এনার্জি হলো এমন শক্তির উৎস যা স্বল্প সময়ের ব্যবধানে পুনরায় ব্যবহার করা যায় এবং এর ফলে শক্তির উৎসটি নিঃশেষ হয়ে যায় না।
বিভিন্ন প্রাকৃতিক উৎস যেমন: সূর্যের আলো ও তাপ, বায়ু প্রবাহ, জলপ্রবাহ, জৈব শক্তি (বায়োগ্যাস, বায়োম্যাস, বায়োফুয়েল), ভূ-তাপ, সমুদ্র তরঙ্গ, সমুদ্র-তাপ, জোয়ার-ভাটা, শহুরে আবর্জনা, হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল ইত্যাদি নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖যে শক্তিকে নবায়ন করা যায়, যা ফুরিয়ে যাওয়ার আশংকা নেই তাকে নবায়নযোগ্য শক্তি বলে। নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস হলো বায়োমাস, বায়ুশক্তি, জলবিদ্যুৎ, জিওথার্মাল, সৌরশক্তি। তেল, গ্যাস, কয়লা, ইউরেনিয়াম এগুলো অনবায়নযোগ্য শক্তির উৎস।
১১৮. চাঁদ দিগন্তের কাছে অনেক বড় দেখায়, তার কারণ কি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৮.০৮.১৫
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖চাঁদ দিগন্তের কাছে অনেক বড় দেখায়, তার কারণ হলো বায়ুমন্ডলীয় প্রতিসরণ।
বায়ুমণ্ডলীয় প্রতিসরণের কারণে চাঁদ দিগন্তের কাছে বড় দেখায়। কেননা এই বায়ুমণ্ডলীয় প্রতিসরণের কারণে আলোকরশ্মি দিক পরিবর্তন করে। তার ফলে চাঁদ বড় দেখায়। অন্যদিকে আলোর বিচ্ছুরণ, অপবর্তন, দৃষ্টি বিভ্রম এর সাথে প্রাসঙ্গিক নয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖চাঁদ থেকে আলোক রশ্মি পৃথিবীপৃষ্ঠে আসার সময় বায়ুমণ্ডলে আলোর প্রতিসরণ ঘটে। দিগন্তের কাছে তা অধিক পরিমাণে বেঁকে যায় বলেই চাঁদ দিগন্তের কাছে অনেক বড় দেখায়।
১১৯. কোনো ই-মেইল-এ CC এর অর্থ কি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৮.০৮.১৫
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖কোনো ই-মেইল-এ CC এর অর্থ হলো Carbon Copy.
একই ইমেইল যখন একাধিক address এ প্রেরণ করা হয় তখন অন্য ব্যক্তিদের address ঐ CC (Carbon Copy) BOX এ উল্লেখ করতে হয়। Sent করার পর ইমেইলটি একই সাথে সব address এ চলে যায়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖Cc এর ঘরে সে সমস্ত ঠিকানা টাইপ করতে হয় যাদের বরাবর প্রেরক ই-মেইল কপি পাঠাতে চায়। এখানে ই-মেইল ঠিকানাগুলো পরপর কমা দিয়ে টাইপ করতে হয়। Cc দিয়ে Carbon Copy বুঝায়।
১২০. মো. জিল্লুর রহমান বাংলাদেশের কততম রাষ্ট্রপতি ছিলেন?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৮.০৮.১৫ 📖 মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের অধীন অডিটর-৬.১৪ 📖 পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারী - 17.11.17
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖মো. জিল্লুর রহমান বাংলাদেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি ছিলেন।
জিল্লুর রহমান (জন্ম: ৯ মার্চ, ১৯২৯ - মৃত্যু: ২০ মার্চ, ২০১৩) বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ। ১৯৫২ সালের বাংলা ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে এ যাবৎ দেশের সবকয়টি আন্দোলনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ২০০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি এম এম রহুল আমিন তাকে বাংলাদেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে বঙ্গভবনে শপথ বাক্য পাঠ করান।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖জিল্লুর রহমান বাংলাদেশের ১৯ তম রাষ্ট্রপতি। ২০ মার্চ ২০১৩ তারিখে রাষ্ট্রপতি জনাব জিল্লুর রহমান মৃত্যুবরণ করলে তিনি সে দিন থেকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২২ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন এবং ২৪ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে বাংলাদেশের ২০ তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।
জনাব আবদুল হামিদ ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে ধারাবাহিকভাবে দ্বিতীয় মেয়াদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন এবং ২৪ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে ২১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।
১২১. আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করা হয় কোন সালে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৮.০৮.১৫
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করা হয় ১৯৯৯ সালে।
১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে প্রস্তাব উত্থাপন করা হয় ও এতে ১৮৮টি দেশ সমর্থন জানালে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে দিবসটি জাতিসঙ্ঘের সদস্যদেশসমূহে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হচ্ছে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো তার ৩০তম সাধারণ সভায় ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। এর ফলে ২০০০ সাল থেকে ২১শে ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
১২২. কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম উপন্যাস কোনটি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৮.০৮.১৫ 📖 বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়➟2017➯B ইউনিট 📖 বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়➟2017➯B ইউনিট
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম উপন্যাস বাঁধনহারা।
তার উপন্যাস গুলো হল: বাঁধন হারা ১৯২৭, মৃত্যুক্ষুধা ১৯৩০, কুহেলিকা ১৯৩১, জীবনের জয়যাত্রা ১৯৩৯.
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ - ব্যথার দান এবং এটি একটি গল্পগ্রন্থ। গ্রন্থটি ১৯২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়।
এছাড়া অন্যান্য প্রথম প্রকাশিত সাহিত্যকর্ম-
প্রথম কাব্যগ্রন্থ - অগ্নি-বীণা (সেপ্টেম্বর, ১৯২২)
প্রথম প্রবন্ধগ্রন্থ - যুগবাণী (অক্টোবর, ১৯২২)
প্রথম উপন্যাস - বাঁধনহারা (১৯২৭) ও
প্রথম নাটক - ঝিলিমিলি (১৯৩০)।
১২৩. নিম্নের কোন ক্রিকেটার ইংল্যান্ডের নাগরিক?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৮.০৮.১৫
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖ক্রিকেটার নাসের হুসেইন ইংল্যান্ডের নাগরিক।
নাসের হুসেন, (জন্ম: ২৮ মার্চ, ১৯৬৮) ভারতের মাদ্রাজে জন্মগ্রহণকারী ব্রিটিশ-ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিখ্যাত ও সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের পক্ষে ১৯৮৭ থেকে ২০০৪ সাল মেয়াদে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রতিনিধিত্ব করেন। পাশাপাশি দলের অধিনায়কেরও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেছেন। এছাড়াও, ডানহাতে লেগ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন তিনি। কাউন্টি ক্রিকেটে এসেক্স দলে খেলেন।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖নাসের হুসেইন ইংল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার। এলান বোর্ডার অস্ট্রেলিয়ার, রিচার্ড হ্যাডলি নিউজিল্যান্ডের এবং গ্যারি কারস্টেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ক্রিকেটার।
১২৪. ফিফার কার্যালয় কোথায় অবস্থিত?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৮.০৮.১৫
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖ফিফার কার্যালয় সুইজারল্যান্ড অবস্থিত।
FIFA এর পূর্ণরূপ হল Federation of international football association. ফিফার সদর দপ্তর বা কার্যালয় সুইজারল্যান্ডের জুরিখে অবস্থিত। ফিফার জন্ম হয় ১৯০৪ সালের ২১ মে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖ফিফা হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থা। এটি ১৯০৪ সালে গঠিত হয়।
বর্তমানে এর সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জুরিখ শহরে অবস্থিত।
১২৫. GIS এর অর্থ কি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৮.০৮.১৫
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖GIS এর পূর্ণরূপ হলো : Geographic Information System.
ভৌগোলিক তথ্য ব্যবস্থা-র (ইংরেজি: Geographic Information System) মাধ্যমে দৈশিক তথা ভৌগোলিক উপাত্ত সংগ্রহ, সংরক্ষণ, বিশ্লেষণ ও উপস্থাপন করা হয়। এর ইংরেজি প্রতিশব্দ হল জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম (Geographic Information System) এবং একে সংক্ষেপে জি আই এস (GIS) বলা হয় । জি আই এস হল ভূতথ্যবিজ্ঞান -এর একটা বৃহত্তর অংশ।
সাধারণ ভাবে ভৌগোলিক তথ্যের সংহতি, সংরক্ষণ, সম্পাদনা, বিশ্লেষণ, বণ্টন ও প্রদর্শনে ব্যবহৃত তথ্য ব্যবস্থা প্রনালীকে এই পরিভাষিক শব্দটির প্রকাশ করা যেতে পারে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖GIS হচ্ছে এমন এক ব্যবস্থা যা ভৌগোলিক বা পারিসরিক তথ্য সমন্বয়, সংরক্ষণ, সম্পাদনা, বিশ্লেষণ এবং বিভিন্নভাবে তা উপস্থাপন করার কাজ করে থাকে। রোজার টমলিনসন সর্বপ্রথম ১৯৬৩ সালে Geographic Information System ডেভেলপ করা শুরু করেন। এইজন্য রোজার টমলিনসনকে GIS ব্যবস্থার জনক বলা হয়।
১২৬. বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র কবে গৃহীত হয়?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৮.০৮.১৫ 📖 রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়➟2011➯A3 ইউনিট 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৭.০৬.১৫
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র কবে গৃহীত হয় ১৭ এপ্রিল ১৯৭১।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র গৃহীত হয় ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল। আর স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র জারি করা হয় ১০ এপ্রিল ১৯৭১।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖১) স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র ১০ এপ্রিল থেকে জারিকৃত/বলবৎ ধরা হয়েছে। এটার পেছনে একটা বিশেষ কারণ আছে। ১০ এপ্রিল আসলে তেমন কিছুই হয়নি। তাজউদ্দীন আহমদ ১১ তারিখে শিলিগুড়ি থেকে বেতারে স্বাধীনতা যুদ্ধের মূলনীতি সম্বলিত যে ঘোষণা দিয়েছিলেন তার বৈধতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখার জন্য ১০ এপ্রিল ধরা হয়েছে। বিস্তারিত, মুল্ধারা ৭১ এর ৩য় অধ্যায়ে দেখুন।
২) স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র ১৭ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত হয়।
এখন আনুষ্ঠানিকতার কথা আসলে উত্তর অবশ্যই ১৭ এপ্রিল। ১৭ তারিখ গৃহীত হয় আর ১০ এপ্রিল থেকে এটাকে বলবৎ ধরা হয়।। উত্তর ১৭ এপ্রিল।
১২৭. পিথাগোরাসের জন্ম কোথায়?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৮.০৮.১৫
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖পিথাগোরাসের জন্ম গ্রিসে।
বিখ্যাত দার্শনিক ও অংক শাস্ত্রবিদ পিথাগোরাস খ্রীষ্টপূর্ব ৫৭০ অব্দে পূর্ব এজিয়ান সাগর দ্বীপ সামোসে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমান গ্রীস রাষ্ট্র তার জন্ম হয়েছিল। তার পিতার নাম ছিল চেসারচাস।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বিখ্যাত দার্শনিক ও অঙ্কশাস্ত্রবিদ পিথাগোরাস খ্রিস্টপূর্ব ৫৭০ অব্দে পূর্ব এজিয়ান সাগরে গ্রিক দ্বীপ সামোসে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমান গ্রিস রাষ্ট্রেই তাঁর জন্ম হয়েছিল। তাঁর পিতার নাম ছিল চেসারচাস।
১২৮. ভারত ও চীনের সীমান্ত রেখার নাম কি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৮.০৮.১৫
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖ভারত ও চীনের সীমান্ত রেখার নাম ম্যাকমোহন লাইন।
স্যার ম্যাকমোহন কর্তৃক ভারত ও চীনের মধ্যে চিহ্নিত সীমারেখায় হলো ম্যাকমোহন লাইন। ১৯১৪ সালে স্যার ম্যাকমোহন ভারত তিব্বত চুক্তির আওতায় ভারত ও তিব্বতের মধ্যে এ সীমারেখা চিহ্নিত করেন।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖এই ম্যাকমোহন লাইন ১৯১৪ সালে সিমলা চুক্তির মাধ্যমে ব্রিটেন ও তিব্বতের স্বীকৃত হয়। বর্তমানে এটি ভারত ও চিনের মধ্যে আইন স্বীকৃত সীমানা, যদিও চিন সরকার একে বিতর্কিত অংশ বলে মনে করে। এই লাইনের নামকরণ করা হয় স্যার হেনরি ম্যাকমোহনের নামে, যিনি ব্রিটিশ ভারত সরকারের পররাষ্ট্র সচিব ছিলেন এবং সিমলা আলোচনার প্রধান আলোচক।
১২৯. বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ডিজাইনার (মূল রূপকার বা নকশাকার) কে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৮.০৮.১৫
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ডিজাইনার (মূল রূপকার বা নকশাকার) হলেন- কামরুল হাসান।
প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী কামরুল হাসান বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার মূল রূপকার। তার প্রকৃত নাম আবু শরাফ মোহাম্মদ কামরুল হাসান। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার নকশা প্রথম তৈরি করেন শিব নারায়ন দাস।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ডিজাইনার কামরুল হাসান। ১৯৭২ সালে কামরুল হাসান সবুজের মাঝে লাল বৃত্তের জাতীয় পতাকার নকশা করেন। এর পূর্বে ব্যবহৃত মানচিত্র খচিত পতাকাটি ১৯৭০ সালের ৬ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান জহুরুল হক হলের ১১৬ নং কক্ষে শিবনারায়ণ দাস ও আরো কয়েকজন মিলে চূড়ান্ত করেন যা ১৯৭১ সালের ২রা মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় তৎকালীন ডাকসু ভিপি আ স ম রব প্রথম উত্তোলন করেন। ১৯৭১ সালের ২৩ শে মার্চ বাংলাদেশের সর্বত্র পাকিস্তানের পতাকা’র পরিবর্তে লাল-সবুজের পতাকা উড়ানো হয়।
১৩০. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৮.০৮.১৫ 📖 31st BCS General May, 2011 📖 সুন্দরবন গ্যাসফিল্ড (সহকারী কো-অর্ডিনেটর অফিসার) 11.20
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯২০ সালে ভারতীয় বিধানসভায় গৃহীত বিশ্ববিদ্যালয় আইন বলে ১৯২১ সালে ১ জুলাই আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয়। ঢাকার রমনা এলাকায় প্রায় ৬০০ একর জমি নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖১৯২১ সালের ১ জুলাই পূর্ববঙ্গের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয়। বঙ্গভঙ্গ রদের পর পূর্ব বাংলার অসন্তুষ্ট মুসলমানদের দাবীর প্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় নাথান কমিশন ও স্যাডলার কমিশন গঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য নিয়োগপ্রাপ্ত হন স্যার পি জে হার্টজ।
১৩১. গ্রিনিচ কোথায় অবস্থিত?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৮.০৮.১৫
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖গ্রিনিচ লন্ডনে অবস্থিত।
গ্রীনিচ ইংল্যান্ডের রাজধানী লন্ডনে অবস্থিত। এই স্থানের উপর দিয়ে মূল মধ্য রেখা অতিক্রম করেছে। এখানে পৃথিবীর স্টান্ডার্ড সময় গণনা করার মান মন্দির অবস্থিত।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖গ্রীনিচ মানমন্দির লন্ডন শহরে অবস্থিত। এর উপর দিয়ে মূল মধ্যরেখা বা শূন্য ডিগ্রী দ্রাঘিমারেখা গেছে। বাংলাদেশের সময় গ্রিনিচ সময়ের চেয়ে ছয়ঘন্টা এগিয়ে থাকে।
১৩২. নিচের কোনটি Operating system নয়?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৮.০৮.১৫
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖MS word Operating system নয়।
এখানে MS word হলো এপ্লিকেশন সফটওয়্যার। Windows 98, DOS, LINUX হলো Operating system .অর্থাৎ উত্তর হবে MS word.
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖MS WORD ডকুমেন্ট এবং রাইটিং সফটওয়্যার। Windows, লিনাক্স, ইউনিক্স, মাইক্রোসফট উইন্ডোজ, জেনিক্স, সিম্বিয়ান, এন্ড্রয়েড, ওএস/২, মেক ওএস, মাইক্রোসফট ডস, পিসি ডস ইত্যাদি অপারেটিং সিস্টেম।
১৩৩. BARD বলতে কি বুঝায়?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৮.০৮.১৫
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖BARD বলতে Bangladesh Academy for Rural Development কে বুঝায়।
BARD এর পূর্ণরূপ Bangladesh Academy for Rural Development. বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীনে পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক একটি স্বায়ত্বশাসিত জাতীয় প্রতিষ্ঠান। এটি আখতার হামিদ খান কুমিল্লার কোট বাড়িতে ১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠা করেন।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖BARD (Bangladesh Academy for Rural Development) বা বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ড. আখতার হামিদ খান। এটির অবস্থান কুমিল্লা জেলার কোটবাড়ীতে যা ১৯৫৯ সালের ২৭ মে প্রতিষ্ঠিত হয়।
বার্ড বর্তমানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি প্রতিষ্ঠান। এটির প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য হলো পল্লী উন্নয়নের ক্ষেত্রে গবেষণা ও প্রশিক্ষণ প্রদান।
১৩৪. ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অবস্থিত মোট ছিটমহলের সংখ্যা কতটি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৮.০৮.১৫ 📖 36th BCS General Jan, 2016 📖 বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সহকারী সচিব/সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) - 7.17
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অবস্থিত মোট ছিটমহলের সংখ্যা ১৬২ টি।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পূর্বে ১৬২টি ছিট মহল ছিল। কিন্তু ২০১৫ সালের ১ আগস্ট (৩১ জুলাই মধ্যরাতে) ছিট মহল বিনিময় বা বিলুপ্ত হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অবস্থিত মোট ছিটমহলের সংখ্যা ছিলো ১৬২ টি। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্থল সীমান্ত চুক্তি অনুযায়ী ২০১৫ সালের ৩১ জুলাই দুই দেশের মধ্যে ছিটমহল বিনিময় হয়। ফলে বাংলাদেশের মোট ভূখণ্ডে ১০০৪১.২৫ একর ভূমি যোগ হয়। এর ফলে বাংলাদেশের সীমানার মধ্যে ভারতের ১১১টি ছিটমহল বাংলাদেশের সাথে এবং ভারতের ভূখন্ডের ভিতর বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল ভারতের সাথে যুক্ত হয়।
১৩৫. কোন দেশ ব্রিকস গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত নয়
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৮.০৮.১৫ 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2014➯ঘ ইউনিট 📖 বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক-১২.১২.১৪
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖ব্রিটেন ব্রিকস গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত নয়।
ব্রিক্স হলো পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রের: ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা, আদ্যক্ষরের সমন্বয়ে নামকরণকৃত উদীয়মান জাতীয় অর্থনীতির একটি সঙ্ঘ। মূলত ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা অর্ন্তভূক্ত হবার পূর্বে এই সঙ্ঘটি "ব্রিক" নামে পরিচিত ছিল। ব্রিক্সে অন্তর্ভুক্ত সকল রাষ্ট্র উন্নয়নশীল অথবা সদ্য শিল্পোন্নত, কিন্তু তাদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে উচ্চ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ঘটনাবলীর উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব। পাঁচটি রাষ্ট্রই জি-২০-এর সদস্য।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖BRICS হলো ৫টি দেশের সমন্বয়ে গঠিত একটি অনানুষ্ঠানিক ফোরাম। দেশসমূহ হলো ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। দেশগুলোর আদ্যক্ষর দ্বারা BRICS শব্দটি গঠিত। ২০০১ সালে BRICS সম্পর্কে অর্থনীতিবিদ জিম ও'নিল প্রথম ধারনা দেন। ২০০৬ সালে ব্রিকস গঠনের প্রচেষ্টা শুরু হয় এবং ২০০৯ সালে রাশিয়ার ইকেতারিনবার্গে প্রথম BRICS Summit অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমে এর নাম ছিলো BRIC. ২০১১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা যোগ দিলে এর নাম হয় BRICS. সর্বশেষ ২০১৯ সালে ব্রাসিলিয়ায় BRICS Summit অনুষ্ঠিত হয়। ব্রিকস এর মূলমন্ত্র সদস্য দেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।
১৩৬. ঢাকা শহরের প্রধান মুঘল স্থাপত্য কোনটি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৮.০৮.১৫
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖ঢাকা শহরের প্রধান মুঘল স্থাপত্য লালবাগ দুর্গ।
লালবাগের কেল্লা (কিলা আওরঙ্গবাদ) ঢাকার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত একটি অসমাপ্ত মুঘল দুর্গ। এটির নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল ১৬৭৮ সালে, মুঘল সুবাদার মুহাম্মদ আজম শাহ কর্তৃক, যিনি ছিলেন সম্রাট আওরঙ্গজেবের পুত্র এবং পরবর্তীতে নিজেও সম্রাট পদপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। তার উত্তরসুরী, মুঘল সুবাদার শায়েস্তা খাঁ ১৬৮০ সালে নির্মাণকাজ পুনরায় শুরু করেন, কিন্তু শেষ করেননি।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বর্ধমান হাউজ এবং আহসান মঞ্জিল ঔপনিবেশিক আমলের। লালবাগ কেল্লা মুঘল আমলে নির্মিত হয়। বড় কাটারা নির্মিত হয় একাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে।
১৩৭. চিন্তার সঙ্গে মস্তিস্কের যে অংশের সম্পর্ক তাকে বলা হয়---
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৮.০৮.১৫ 📖 সহকারী শিক্ষা অফিসার-১৫.০৪.০৫
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
সেরিব্রামের কাজ : সংবেদী অঙ্গ থেকে আসা অনুভূতি গ্রহণ ও বিশ্লেষণ করে। চিন্তা, বুদ্ধি, ইচ্ছাশক্তি, উদ্ভাবনীশক্তি প্রভৃতি উন্নত মানসিক রোধের নিয়ন্ত্রণ করে।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖মস্তিষ্কের প্রধান অংশ হলো গুরুমস্তিষ্ক বা সেরিব্রাম। এটা ডান ও বাম খন্ডে বিভক্ত। এদের ডান ও বাম সেরিব্রাল হেমিস্ফিয়ার বলে। মানব মস্তিষ্কে সেরিব্রাল হেমিস্ফিয়ার অধিকতর উন্নত ও সুগঠিত। এই দুইখন্ড ঘনিষ্ঠভাবে স্নায়ুতন্তু দ্বারা সংযুক্ত।
স্নায়ুকোষগুলো গুরুমস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশে গুচ্ছ বেঁধে স্নায়ুকেন্দ্র সৃষ্টি করে। এগুলো বিশেষ বিশেষ কর্মকেন্দ্র হিসেবে কাজ করে।
দর্শন, শ্রবণ, ঘ্রাণ, চিন্তা-চেতনা, স্মৃতি, জ্ঞান, বুদ্ধি, বিবেক ও পেশি চালনার ক্রিয়াকেন্দ্র গুরুমস্তিষ্কে বা সেরিব্রামে অবস্থিত।
১৩৮. বারাক ওবামা যুক্ত রাষ্ট্রের কততম প্রেসিডেন্ট?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ৩০.১০.১৫
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
৪৪তম প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ৪৫তম প্রেসিডেন্ট রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম নারী অশেতাঙ্গ ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বারাক ওবামা যুক্তরাষ্ট্রের ৪৪ তম প্রেসিডেন্ট ছিলেন এবং বর্তমানে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫ তম প্রেসিডেন্ট।
১৩৯. FIFA প্রতিষ্ঠিত হয় কবে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ৩০.১০.১৫
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖FIFA প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯০৪ সালে।
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ১৯০৪ সালের ২১ মে ফিফা প্রতিষ্ঠিত হয়। ফিফার বর্তমান সদস্য সংস্থা ২১১ টি। সর্বশেষ সদস্য দেশ জিব্রাল্টার ১৩ মে ২০১৬।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖ফিফা হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থা। এটি ১৯০৪ সালে গঠিত হয়।
বর্তমানে এর সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জুরিখ শহরে অবস্থিত।
১৪০. প্রাণীজগতের উৎপত্তি ও বংশ সম্বন্ধীয় বিদ্যাকে বলে
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ৩০.১০.১৫
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖প্রাণীজগতের উৎপত্তি ও বংশ সম্বন্ধীয় বিদ্যাকে বলে জেনেটিক্স।
জীব বিজ্ঞানের যে শাখায় বংশগতির রীতিনীতি অর্থাৎ বংশানুক্রমিক, গুণাবলীর, উৎপত্তি, প্রকৃতি ও আচরণ সম্পর্কে আলোচিত হয়, সে শাখাকে বংশগতিবিদ্যা জেনেটিক্স বলে। ইভোলিউশন অর্থ অভিব্যক্তি বা বিবর্তন। এ শাখায় বিভিন্ন প্রাণীর উৎপত্তি, ধারাবাহিক পরিবর্তন ও বিকাশ সম্বন্ধে আলোচনা করা হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖জিন ও জীবের উৎপত্তি এবং বংশগতিধারা সম্বন্ধীয় আলোচনা হয় জেনেটিক্স বা বংশগতিবিদ্যায়।
জেনেটিক্স বা বংশগতির ভৌত ভিত্তি হলো ক্রোমোজোম।
১৪১. কোন গ্রহের তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে অধিক?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ৩০.১০.১৫
সাধারণ জ্ঞান
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖In general, the surface temperature decreases with increasing distance from the sun. Venus is an exception because its dense atmosphere acts as a greenhouse and heats the surface to above the melting point of lead, about 880 degrees Fahrenheit (471 degrees Celsius).
১৪২. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কর্তৃক ছয় দফা উত্থাপিত হয়--
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ৩০.১০.১৫
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কর্তৃক ছয় দফা উত্থাপিত হয়-- লাহোরে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে বিরোধী দলসমূহের জাতীয় সম্মেলনের নির্বাচনী বিষয় কমিটিতে ছয় দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এটি বাংলার মানুষের মুক্তির সনদ হিসেবে বিবেচিত।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক রচিত ছয় দফা দাবী কে বাঙালির মুক্তির সনদ বা ম্যাগনাকার্টা বলা হয়।
১৯৬৬ সালের ৫ - ৬ ফেব্রুয়ারী পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধীদলসমূহের সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু প্রথম ছয় দফা দাবী উত্থাপন করেন।
একই বছরের ১৮-১৯ মার্চ আওয়ামীলীগের ওয়ার্কিং কমিটির সভায় ছয়দফা গৃহিত হয় এবং ২৩শে মার্চ বঙ্গবন্ধু সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দফা উত্থাপন করেন।
৭ জুন ছয় দফা দিবস পালিত হয়।
১৪৩. ”আরব বসন্ত” বলতে কি বুঝায়?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ৩০.১০.১৫ 📖 34th BCS General May, 2013
সাধারণ জ্ঞান
১
ব্যাখ্যাঃ
🔖”আরব বসন্ত” বলতে আরবের বিভিন্ন দেশে গণজাগরণকে বুঝায়।
২০১০ সালের শেষের দিকে শুরু হওয়া আরব রাষ্ট্র সমূহের জনগণের বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ ও আন্দোলন সংগঠিত হয় তাই আরব বসন্ত বা আর রবিউল আরাবী নামে বিশ্বব্যাপী পরিচিত।
১৪৪. কবে থেকে দেশব্যাপী বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা চালু হয়েছে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ৩০.১০.১৫
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖১ জানুয়ারী ১৯৯৩ সাল থেকে দেশব্যাপী বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা চালু হয়েছে।
বাংলাদেশে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা প্রাথমিকভবে ৬৮ টি উপজেলায় শুরু হয় ১ জানুয়ারি ১৯৯২। দেশব্যাপী বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা চালু হয় ১ জানুয়ারি ১৯৯৩।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖স্বাধীনতা অর্জনের পর ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু সরকার প্রাথমিক শিক্ষা জাতীয়করণ করে।
১৯৭৪ সালে কুদরাত-এ-খুদা প্রণীত ‘বাংলাদেশ শিক্ষা কমিশন’ ১৯৮৩ সালের মধ্যে প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাকে সর্বজনীন, বাধ্যতামূলক ও অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষার সুপারিশ করে।
১৯৮১ সালে পৃথক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৯০ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা আইন পাস হয়। অন্যদিকে এ আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণের জন্য প্রথমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ২১ আগস্ট, ১৯৯০ইং ‘বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা আইন বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ কোস/সেল প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরবর্তীতে ৩১ নভেম্বর, ১৯৯২ ইং তারিখে এর নামকরণ করা হয় ‘বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ইউনিট’।
১ জানুয়ারী, ১৯৯৩ থেকে সারাদেশে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা আইন কার্যকর হয়।
তার পূর্বে ১৯৯২ সালে প্রাথমিকভাবে - ৬৮ টি উপজেলায় এই আইন চালু হয়।
১৪৫. কোনটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নয়?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ৩০.১০.১৫
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নয়।
বাংলাদেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান গুলো হচ্ছে : নির্বাচন কমিশন, মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের দপ্তর, সরকারি কর্ম কমিশন, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় ও রাষ্ট্রপতির কার্যালয়। অপরদিকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বাংলাদেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান গুলো হলো- নির্বাচন কমিশন, মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের দপ্তর, সরকারি কর্ম কমিশন, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়, পাবলিক সার্ভিস কমিশন ইত্যাদি। অপরদিকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা।
১৪৬. বাংলাদেশের শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানের নাম--
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ৩০.১০.১৫
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বাংলাদেশের শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানের নাম-- বিএসইসি।
বাংলাদেশের শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান নাম বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন সংক্ষেপে বিএসইসি। এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ৮ জুন ১৯৯৩। ডিএসসি হচ্ছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বাংলাদেশে শেয়ার বাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হলো BSEC - Bangladesh Securities and Exchange Commission.
এটি ১৯৯৩ সালের ৮ জুন প্রতিষ্ঠিত হয়।
বর্তমানে দেশে দুটি স্টক এক্সচেঞ্জ বা শেয়ারবাজার রয়েছে। এগুলো হলো: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ।
১৪৭. অমর্ত্য সেন কোন বিষয়ে গবেষণা করে নোবেল পুরস্কার পান?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ৩০.১০.১৫
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖অমর্ত্য সেন দুর্ভিক্ষ ও দারিদ্র বিষয়ে গবেষণা করে নোবেল পুরস্কার পান।
নোবেল বিজয়ী তিনবাঙালির একজন হচ্ছেন অর্থনীতিবীদ অমর্ত্য সেন। প্রথম বাঙালি হিসেবে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖প্রথম বাঙালি হিসেবে অর্থনীতিতে নোবেল পান - অমর্ত্য সেন।
১৯৯৮ সালে দুর্ভিক্ষ, মানব উন্নয়ন তত্ত্ব, জনকল্যাণ অর্থনীতি ও গণদারিদ্র্যের অন্তর্নিহিত কার্যকারণ বিষয়ে গবেষণা এবং উদারনৈতিক রাজনীতিতে অবদান রাখার জন্য স্টকহোমে দ্য রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেসের এই পুরস্কার লাভ করেন ভারতীয় এই অর্থনীতিবিদ।
১৪৮. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পার্ল হারবার আক্রমণ করেছিল কোন দেশ?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ৩০.১০.১৫ 📖 20th BCS General Dec, 1998 📖 ডেসকো সহকারী কমপ্লেইন সুপারভাইজার ২২. ০৩. .১৯
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পার্ল হারবার আক্রমণ করেছিল জাপান।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী জাপান-জার্মানি ও ইতালি শক্তিকে একত্রে অক্ষশক্তি বলা হয়। জাপান ১৯৪১ সালের ৭ ডিসেম্বর পার্ল হারবারে অবস্থিত মার্কিন নৌঘাঁটি আক্রমণ করে। এজন্য ১৯৪১ সালের ১ ডিসেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী 'জাপান, জার্মানি ও ইতালি' শক্তিকে একত্রে অক্ষশক্তি বলা হয়।
জাপান ৭ ডিসেম্বর, ১৯৪১ সালে পার্ল হারবারে অবস্থিত মার্কিন নৌঘাঁটি আক্রমণ করে। এজন্য ১৯৪১ সালের ৮ ডিসেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে।
১৪৯. এইচ. আই. ভি কি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ৩০.১০.১৫ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -সুরমা- ২৪.০২.১২
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖এইচ. আই. ভি হল একটি ভাইরাস।
HIV (এইচ. আই. ভি) এর পূর্ণরূপ হল : Human Immunodeficiency Virus। অর্থাৎ hiv-1 ধরনের ভাইরাস। শরীরে এইচআইভি ভাইরাস পজিটিভ হলে এইডস রোগ হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖AIDS রোগের সংক্রমণ করে থাকে এক ধরণের ভাইরাস, যার নাম Human Immunodeficiency Virus এবং একে সংক্ষেপে HIV বলা হয়।
১৫০. মুক্তিযুদ্ধের ছয় নম্বর সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার কে ছিলেন?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ৩০.১০.১৫
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖মুক্তিযুদ্ধের ছয় নম্বর সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন উইং কমান্ডার এম কে বাশার।
মোহাম্মদ খাদেমুল বাশার (জন্ম: নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার ছাতারদিঘি ১ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৫ - মৃত্যু: ১ সেপ্টেম্বর ১৯৭৬) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর উত্তম খেতাব প্রদান করে। তিনি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার পৈতিক নিবাস বগুড়ায়।
মোহাম্মদ খাদেমুল বাশার জুন মাস থেকে মুক্তিবাহিনীর ৬ নম্বর সেক্টরে অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বৃহত্তর রংপুর ও বৃহত্তর দিনাজপুর জেলার অংশবিশেষ নিয়ে ছিল এ সেক্টর।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖সমগ্র রংপুর জেলা এবং দিনাজপুর জেলার ঠাকুরগাঁও মহকুমা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ৬ নং সেক্টর গঠিত হয়েছিল। প্রধানত রংপুর ও দিনাজপুরের ইপিআর বাহিনী নিয়ে এই সেক্টর গঠিত হয়।
৬নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন উইং কমান্ডার এম খাদেমুল বাশার।
১৫১. কোথায় বাংলাদেশ, ভারত ও মায়ানমারের সীমান্ত পরস্পরকে ছুঁয়েছে--
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ৩০.১০.১৫
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বাংলাদেশ, ভারত ও মায়ানমারের সীমান্ত পরস্পরকে ছুঁয়েছে-- রাঙামাটিতে।
রাঙ্গামাটি জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত চট্টগ্রাম বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। এটি একটি পার্বত্য জেলা। এ জেলার দক্ষিণে বান্দরবান জেলা, পশ্চিমে চট্টগ্রাম জেলা ও খাগড়াছড়ি জেলা, উত্তরে ভারতের ত্রিপুরা প্রদেশ এবং পূর্বে ভারতের মিজোরাম প্রদেশ ও মায়ানমারের চিন প্রদেশ অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের একমাত্র জেলা, যার সাথে ভারত ও মায়ানমার দুটি দেশেরই আন্তর্জাতিক সীমানা রয়েছে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বাংলাদেশের মোট সীমান্তবর্তী জেলা ৩২টি। ভারতের সাথে ৩০টি এবং মায়ানমারের সাথে ৩টি।
এর মধ্যে একমাত্র রাঙামাটি জেলার সাথে ভারত ও মায়ানমার উভয় দেশের সীমান্ত রয়েছে।
১৫২. ভবন নির্মাণের সময় কি মেনে চলা বাধ্যতামূলক?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ৩০.১০.১৫
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖ভবন নির্মাণের সময় বিল্ডিং কোড মেনে চলা বাধ্যতামূলক।
১৯৯৩ সালের ২৮শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একনেক সভায় ‘বাংলাদেশ বিল্ডিং কোড ১৯৯৩’ অনুমোদন করা হয়। তখন পর্যন্ত কোড বাস্তবায়নের পক্ষে কোনো আইন অথবা কোনো কর্তৃপক্ষ ছিল না। ফলে নির্মাণের সাথে যুক্ত ভবনের মালিক থেকে শুরু করে ডিজাইনার বা স্থানীয় কোনো কর্তৃপক্ষের (যথা: রাজউক) বিল্ডিং কোড অনুসরণের কোনো বাধ্যবাধকতা ছিল না। কোড থাকলেও সেটার অনুসরণ ছিল ভলান্টিয়ারি। অনেক পরে ২০০৬ সালে এসে ১৯৫২ সালের বিল্ডিং কন্সট্রাকশন অ্যাক্ট সংশোধন করে তাতে ১৮(ক) অনুচ্ছেদ যুক্ত করে ‘বাংলাদেশ বিল্ডিং কোড’ এর পক্ষে একটা আইনগত ভিত্তি দেয়া হয় এবং ২০০৬ সালে বিল্ডিং কোডটি যুগোপযোগী করে সংশোধন করা হয়। ১৯৫২ সালের নির্মাণ আইন সংশোধন করে বিল্ডিং কোড অনুচ্ছেদ তৈরী করা হলেও নির্মাণের সাথে যুক্ত জটিলতা নিরসনে সেটা যথেষ্ট ছিল না। ফলে বিল্ডিং কোডকে বাস্তবায়ন করবে এবং কীভাবে করবে সেই প্রশ্নটির কোনো সূরাহা হয়নি। ২০০৬ এর মতো ২০১৫ সালের বিল্ডিং কোডেও প্রশাসনিক কাঠামোর একটা প্রস্তাবনা রাখা হয়েছে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বিল্ডিং কোড যেকোনো দেশের ইমারত নির্মাণের সাথে সংশ্লিষ্ট বিধি-বিধান; যা সঠিকভাবে অনুসরণ করা হলে ভবনের নির্মাণ ও ব্যবহারের সময় জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে না বলে আশা করা হয়।
বাংলাদেশে ১৯৯৩ সালে প্রথম ‘বাংলাদেশ বিল্ডিং কোড ১৯৯৩’ প্রণীত হয়। তার আগে ১৯৫২ সালে পাকিস্তান আমলে 'বিল্ডিং কন্সট্রাকশন অ্যাক্ট' প্রণীত হয়েছিল।
পরবর্তীতে, ২০০৬ সালে ১৯৫২ সালের বিল্ডিং কন্সট্রাকশন অ্যাক্টকে যুগোযোপযোগী করার জন্য সংশোধন করে এর আইনগত ভিত্তি দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ বিল্ডিং কোড ২০০৬: মোট দশটি ভাগে বিভক্ত কোডটির -
❏ প্রথম ভাগে ইতিহাস ও উদ্দেশ্য,
❏ দ্বিতীয় ভাগে কোডটি বাস্তবায়নের পক্ষে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক কাঠামো, পারমিট ও পরিদর্শন,
❏ তৃতীয়ভাগে নগর-পরিকল্পনা ও স্থাপত্য ডিজাইনসহ ভবনের শ্রেণিবিন্যাস,
❏ চতুর্থ ভাগে অগ্নি নির্বাপন ও প্রতিরোধ,
❏ পঞ্চম ভাগে সুপারিশকৃত বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস,
❏ ষষ্ঠভাগে স্ট্রাকচারাল ডিজাইন,
❏ সপ্তম ভাগে কন্সট্রাকশন,
❏ অষ্টমভাগে গ্যাস-বৈদ্যুতিক-যান্ত্রিক-শব্দ-পানি ও পয়ের ন্যূনতম প্রয়োজনীয়তা,
❏ নবম ভাগে পুনর্নিমাণ ও সংস্কার এবং
❏ দশমভাগে সাইন বা চিহ্ন বিষয়টি যুক্ত হয়েছে।
উল্লেখ্য, জটিলতা বিবেচনায় নগর-পরিকল্পনার অংশটিকে দ্বিতীয়ভাগে অবাস্তবায়নযোগ্য মনে করে বাদ দেয়া হয়েছে।
১৫৩. জুলিও কুরী একজন বিশ্ববিখ্যাত--
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ৩০.১০.১৫
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖জুলিও কুরী একজন বিশ্ববিখ্যাত-- বৈজ্ঞানিক।
জঁ ফ্রেদেরিক জোলিও-কুরি (জন্ম: ১৯ মার্চ, ১৯০০ - মৃত্যু: ১৪ আগস্ট, ১৯৫৮) ছিলেন বিখ্যাত ফরাসী পদার্থবিশারদ। তিনি এবং তার স্ত্রী ইরিন জোলিও-কুরি যৌথভাবে কৃত্রিম তেজস্ক্রিয় পদার্থ আবিস্কারের ফলে রসায়নশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। কুরি দম্পতির এ সাফল্যে অদ্যাবধি সফলতম নোবেল বিজয়ী পরিবারে আসীন রয়েছে। [১] জন্মকালীন সময়ে তার নাম ছিল জঁ ফ্রেদেরিক জোলিও।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖জুলিও কুরি (Frédéric Joliot-Curie) একজন ফরাসি রসায়নবিদ ছিলেন।
তিনি ও তার স্ত্রী ইরিন জুলিও কুরী (Irène Joliot-Curie) ১৯৩৪ সালে কৃত্রিম তেজস্ক্রিয়তা আবিষ্কার করেন। এর ফলে তারা দুইজন যৌথভাবে ১৯৩৫ সালে রসায়নে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
১৫৪. ”রয়টার্স” কি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ৩০.১০.১৫
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖”রয়টার্স” হল একটি সংবাদ সংস্থা।
রয়টার্স(ইংরেজি: Reuters) লন্ডন ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা। এটি ১৮৫১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এর সদর দপ্তর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইর্য়ক শহরে অবস্থিত। এটি থমসন রয়টার্সের একটি বিভাগীয় প্রতিষ্ঠান। সারা বিশ্বে ২০০টি স্থানে এর দপ্তর রয়েছে। ২০০৮ সাল পর্যন্ত রয়টার্স সংবাদ সংস্থা স্বাধীন কোম্পানি রয়টারস গ্রুপ পিএলসির অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং পুঁজি বাজারের তথ্য প্রদান করে। ২০০৮ সালে থমসন করপোরেশন রয়টার্স গ্রুপকে কিনে নেওয়ার পর রয়টার্স সংবাদ সংস্থা থমসন রয়টার্সের অংশ হয় এবং মিডিয়া বিভাগ সৃষ্টি করে। রয়টার্স ইংরেজি, ফরাসি, জার্মান, ইতালীয়, স্পেনীয়, পর্তুগিজ, রুশ, উর্দু, আরবি, জাপানি, কোরীয় ও চীনা ভাষায় সংবাদ পরিবেশন করে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖রয়টার্স - যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক একটি বিখ্যাত সংবাদ সংস্থা।
১৮৫১ সালে জার্মান-ব্রিটিশ ব্যবসায়ী পল রয়টার এই সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করেন।
১৫৫. ছিয়াত্তরের মন্বন্তর বাংলা কোন সনে হয়েছিল?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - আলফা- ১৮.০৪.১৪
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖ছিয়াত্তরের মন্বন্তর বাংলা ১১৭৬ সনে হয়েছিল।
ছিয়াত্তরের মন্বন্তর বাংলার ইতিহাসে সর্বাপেক্ষা ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ নামে পরিচিত। ১১৭৬ বঙ্গাব্দে ( খ্রি. ১৭৭০) এই দুর্ভিক্ষ হয়েছিল বলে একে 'ছিয়াত্তরের মন্বন্তর' বলা হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖রবার্ট ক্লাইভের দ্বৈতশাসন নীতি এবং ইংরেজ কর্মচারীদের অত্যাচার, উৎপীড়ন এবং শোষনের ফলে বাংলার জনসাধারণের অবস্থা ক্রমশ শোচনীয় হয়ে যায় এবং ১১৭০ সালে অনাবৃষ্টি ও খরার কারণে ফসল নষ্ট হয়ে গেলে বাংলায় প্রচন্ড খাদ্যাভাব দেখা দেয়।
এই দুর্ভিক্ষে বাংলার প্রায় ১ কোটি লোক মারা যায়। বাংলা ১১৭৬ বঙ্গাব্দে (ইংরেজী - ১৭৭০ সাল ) সংঘটিত এই দুর্ভিক্ষ ''ছিয়াত্তরের মন্বন্তর'' নামে পরিচিত।
এই সময় বাংলার গভর্ণর ছিল লর্ড কার্টিয়ার।
১৫৬. কাফকো কোন দেশের আর্থিক সহায়তায় গড়ে উঠেছে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - আলফা- ১৮.০৪.১৪ 📖 ৭ম বেসরকারি প্রভাষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন পরিক্ষা-০২.১২.১১ 📖 মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা-২৯.০৩.০৭
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖কাফকো জাপানের আর্থিক সহায়তায় গড়ে উঠেছে।
কাফকো বাংলাদেশের একটি অন্যতম বড় ইউরিয়া সার কারখানা এবং স্বাধীনতা পরবর্তী সবচেয়ে বড় চলমান পিপিপি প্রজেক্ট এবং অন্যতম লাভজনক একটি প্রতিষ্ঠান । এই কারখানা যৌথভাবে বাংলাদেশ সরকারের এবং জাপান , নেদারল্যান্ড , ডেনমার্কের মালিকানায় একটি প্রজেক্ট যা ১৯৯৩ সাল থেকে ইউরিয়া সার উৎপাদন শুরু করলেও বাণিজ্যিক ভাবে ১৯৯৫ সাল থেকে যা এখনো ভাল কর্মদক্ষতায় চলমান আছে। প্রথম দিকে দেশের বাইরে সার রপ্তানি করলেও এখন দেশের চাহিদা পূরনের জন্য সমস্ত উৎপাদন বি সি আই সি র মাধ্যমে দেশে বিক্রি করা হয়।
কাফকো আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অত্যন্ত সুপরিচিত একটি নাম এবং সারা বিশ্বে ভাল মানের ইউরিয়া রপ্তানির জন্য বিখ্যাত।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖চট্টগ্রামে অবস্থিত কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড বা কাফকো হলো বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ যৌথ প্রকল্প।
বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি সেক্টর, জাপান, ডেনমার্ক ও নেদারল্যান্ডের যৌথ সহায়তায় ১৯৯৪ সালে কাফকো উৎপাদন শুরু করে।
এটি একটি রপ্তানিমুখী সার কারখানা। এটিতে অ্যামোনিয়া সার ও দানাদার ইউরিয়া সার উৎপাদিত হয়।
১৫৭. উপমহাদেশের প্রথম মুসলিম মহিলা চিকিৎসা বিজ্ঞানী কে ছিলেন?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - আলফা- ১৮.০৪.১৪
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖উপমহাদেশের প্রথম মুসলিম মহিলা চিকিৎসা বিজ্ঞানী ছিলেন ড. জোহরা বেগম কাজী।
তিনি ভারতের মধ্যপ্রদেশের রঞ্জন গায়ে ১৯১২ সালের ১৫ অক্টোবরে জন্মগ্রহণ করেন। মৃত্যুবরণ করেন ঢাকায় ৭ নভেম্বর সালে। তাকে ঢাকার ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল বলা হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖অবিভক্ত বাংলার প্রথম নারী চিকিৎসক অধ্যাপক জোহরা বেগম কাজী।
তিনি ১৯১২ সালের ১৫ অক্টোবর অবিভক্ত ভারতের মধ্য প্রদেশের রাজনান গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
২৩ বছর বয়সেই তিনি দিল্লির 'লেডি হাডিং মেডিকেল কলেজ' থেকে ১৯৩৫ সালে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে এমবিবিএস পাস করেন। এজন্য পুরস্কার হিসেবে পান ভাইসরয় পদক।
১৯৪৮ সালে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যোগ দেন।
১৯৭৩ সালে চাকরি থেকে অবসর নেবার পর বেশকিছু বছর হলিফ্যামিলি রেডক্রিসেন্ট হাসপাতালে কনসালটেন্ট হিসাবে চিকিৎ。সা সেবা প্রদান করেন। পরবর্তীকালে তিনি বাংলাদেশ মেডিকেলে অনারারী অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেন।
তার কারণে চিকিৎসা শাস্ত্রে এদেশে মেয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বৃদ্ধি পায়। দীর্ঘ কর্মময় জীবনের স্বীকৃতি হিসেবে পান একুশে পদক, রোকেয়া পদক ও বিএমএ স্বর্ণপদক।
তিনি ২০০৭ সালের ৭ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
১৫৮. বাংলাদেশের দীর্ঘতম গাছের নাম কি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - আলফা- ১৮.০৪.১৪
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বাংলাদেশের দীর্ঘতম গাছের নাম বৈলাম।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বা উঁচু গাছের নাম-বৈলাম । এটি ২৪০ ফুট প্রায়। চট্টগ্রাম ও রাঙামাটির গহীন অরণ্যে পাওয়া যায়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বাংলাদেশের উচ্চতম বৃক্ষ হলো বৈলাম। এই বৃক্ষ ২৪০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়।
বর্তমানে বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলা এবং কক্সবাজার জেলার ডুলাহাজাড়ায় বৈলাম বৃক্ষ দেখা যায়।
তবে এ বৃক্ষটি বর্তমানে বিপন্নের পথে।
১৫৯. ANZUS কোন ধরনের সংগঠন?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - আলফা- ১৮.০৪.১৪
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖ANZUS একটি আঞ্চলিক সামরিক সংগঠন।
সমন্বয়ে এই সামরিক চুক্তি গঠিত হয় ১ সেপ্টেম্বর ১৯৫১।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖আনজুস (ANZUS)
ANZUS এর পূর্ণরূপ - The Australia, New Zealand and United States Security Treaty।
এটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের তিনটি দেশের সমন্বিত নিরাপত্তা সংক্রান্ত সামরিক জোট (১৯৫১ সাল)। এই জোটটি আনুষ্ঠানিকভাবে Pacific Security Treaty নামে পরিচিত।
১৬০. বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালিত হয়?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - আলফা- ১৮.০৪.১৪
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালিত হয় ৭ এপ্রিল।
৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। এ দিনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
প্রতিবছর সংস্থাটি এমন একটি স্বাস্থ্য ইস্যু বেছে নেয়, যা বিশেষ করে সারা পৃথিবীর জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। সেদিন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে পালিত হয় এ দিবসটি।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖World Health Organization ৭ এপ্রিল ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১০ জুলাই ১৯৪৮ জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থার মর্যাদা লাভ করে।
এর প্রতিষ্ঠার দিনটিকে প্রতিবছর বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালন করা হয়। সদরদপ্তর অবস্থিত জেনেভায়।
বর্তমান মহাপরিচালক ইথিওপিয়ার নাগরিক টেড্রস আধানম গেব্রেইসাস।
১৬১. যুক্তরাষ্ট্র ও ইংল্যান্ডের মধ্যে স্বাক্ষরিত যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহাসিক স্বাধীনতা চুক্তিটি কি নামে পরিচিত?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - আলফা- ১৮.০৪.১৪
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖যুক্তরাষ্ট্র ও ইংল্যান্ডের মধ্যে স্বাক্ষরিত যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহাসিক স্বাধীনতা চুক্তিটি প্রথম ভার্সাই চুক্তি নামে পরিচিত।
ভার্সাই চুক্তি একটি শান্তিচুক্তি যা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরপর যুদ্ধের মিত্রশক্তি ও তৎসংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহ এবং জার্মানির মধ্যে সম্পাদিত হয়। স্থান: মিরর হল, ভার্সাই প্রাসাদ, ভার্সাই নগরী, ফ্রান্স সম্পাদনের তারিখ: জুন ২৮, ১৯১৯ কার্যকরণের তারিখ: জানুয়ারি ১০, ১৯২০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖প্রথম ভার্সাই চুক্তিঃ
প্যারিস চুক্তি স্বাক্ষরের দিনেই ফ্রান্সের ভার্সাইতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে আরেকটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় যা 'প্রথম ভার্সাই চুক্তি' নামে পরিচিত।
এটি মূলত প্যারিস চুক্তিরই অতিরিক্ত অংশ।
চুক্তিটি স্বাক্ষর হয় - ৩ সেপ্টেম্বর, ১৭৮৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে।
এই চুক্তির ফলে, ব্রিটিশ সাম্রাজ্য আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার স্বীকৃতি প্রদান করে এবং কানাডার সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত নির্ধারিত হয়।
১৬২. জাতীয় স্মৃতিসৌধের ফলক কয়টি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - আলফা- ১৮.০৪.১৪
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖জাতীয় স্মৃতিসৌধের ফলক ৭টি।
জাতীয় স্মৃতিসৌধ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে নিবেদিত একটি স্মারক স্থাপনা। এটি সাভারে অবস্থিত। এর নকশা প্রণয়ন করেছেন স্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেন। এখানে মুক্তিযুদ্ধে নিহতদের দশটি গণকবর রয়েছে। স্মৃতিসৌধটির উচ্চতা ১৫০ ফুট। সৌধটি সাত জোড়া ত্রিভুজাকৃতির দেয়াল নিয়ে গঠিত। দেয়ালগুলো ছোট থেকে ক্রমশ বড়ক্রমে সাজানো হয়েছে। এই সাত জোড়া দেয়াল বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের সাতটি ধারাবাহিক পর্যায়কে নির্দেশ করে। ১৯৫২-র ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৫৬ শাসনতন্ত্র আন্দোলন, ১৯৬২ শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৬ ছয় দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ এর গণ-অভ্যূত্থান, ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ - এই সাতটি ঘটনাকে স্বাধীনতা আন্দোলনের পরিক্রমা হিসাবে বিবেচনা করে সৌধটি নির্মিত হয়েছে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বাংলাদেশের জাতীয় স্মৃতিসৌধ সাভারে অবস্থিত। এই জাতীয় স্মৃতিসৌধের ফলক সাতটি। স্বাধীনতা আন্দোলনের সাতটি ঐতিহাসিক পর্যায়ের জন্য স্মৃতিসৌধে ফলক সংখ্যা সাতটি রাখা হয়েছে।
পর্যায় গুলো হলো-
১) ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন;
২) ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন;
৩) ১৯৫৬ সালের শাসনতন্ত্র আন্দোলন;
৪) ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন;
৫) ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন;
৬) ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান
৭) এবং ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ।
১৬৩. "Dead Sea" কোথায় অবস্থিত?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - আলফা- ১৮.০৪.১৪
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖"Dead Sea" ইসরাইল ও জর্ডানের মধ্যে অবস্থিত।
এই সাগরের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো পানিতে লবণাক্ততা বেশি হওয়ায় সহজে কোনো কিছু ঢুকে যায় না। অর্থাৎ একজন মানুষ সাঁতার না জানলে ও অনায়াসেই পানিতে ভেসে থাকতে পারে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖নামে সমুদ্র হলেও ডেড সি আসলে একটি হ্রদ।
পানিতে মানুষ ডুবে গেলেও ডেড সি বা মৃত সাগর এমন একটি সাগর যে সাগরের পানিতে কেউ ডুবে না। এতে কোন মাছ উৎপাদন হয় না।
ডেড সির পশ্চিমে পশ্চিম তীর এবং ইসরায়েল, পূর্বে জর্ডান অবস্থিত।
১৬৪. ”মিউকর” কি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - আলফা- ১৮.০৪.১৪
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖”মিউকর” এক ধরনের ছত্রাক যা সমাঙ্গ দেহী অপুষ্পক উদ্ভিদ।
এদের কোষপ্রাচীর কাইটিন নির্মিত এবং কোষের সঞ্চিত খাদ্য গ্লাইকোজেন। মিউকর ক্লোরোফিল বিহীন পরভোজী মৃতজীবী উদ্ভিদ। মিউকরকে রুটির ছত্রাক বলা হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖ছত্রাক বহুকোষী জীব। এদের আগে উদ্ভিদ জগতের সদস্য মনে করা হতো।
বর্তমানে এদের উদ্ভিদ জগৎ থেকে আলাদা একটি জগতে স্থান দেওয়া হয়।
দেহে প্লাস্টিড (ক্লোরোফিল) না থাকায় ছত্রাক পরভোজী বা মৃতজীবী।
যেমন- মিউকর, ইস্ট, ব্যাঙের ছাতা, পেনিসিলিয়াম ইত্যাদি।
১৬৫. পৃথিবীতে কোনো বস্তুর ওজন সবচেয়ে বেশি কোথায়?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - আলফা- ১৮.০৪.১৪
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖পৃথিবীতে কোনো বস্তুর ওজন সবচেয়ে বেশি মেরু অঞ্চলে।
বস্তুর ওজন পৃথিবীর অভিকর্ষজ ত্বরণ g এর উপর নির্ভরশীল। মেরু অঞ্চলে g এর মান বেশি বিষুব অঞ্চলে g এর মান মেরু অঞ্চলের তুলনায় কম। যেহেতু g এর মান বাড়লে ওজন বাড়বে এবং g এর মান কমলে ওজন কমবে সেহেতু মেরু অঞ্চলে বস্তুর ওজন বেশি হবে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖পৃথিবীর পৃষ্টে বস্তুর ওজনের অতি সামান্য তারতম্য ঘটে। এর কারণ হচ্ছে পৃথিবী সুষম গোলক নয় এবং ভূপৃষ্টে সর্বত্র অভিকর্ষজ ত্বরণের মানও এক নয়।
এক কেজি ভরের কোন বস্তুর ওজন সবচেয়ে বেশি হবে পৃথিবীর দুই মেরুতে অর্থাৎ উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরুতে। যেখানে এর ওজন হবে ৯.৮৩ নিউটন।
বিষুবীয় অঞ্চলে এক কেজি ভরের কোন বস্তুর ওজন সবচেয়ে কম ৯.৭৮ নিউটন।
ক্রান্তীয় অঞ্চলে এর ওজন হবে ৯.৭৯ নিউটন।
১৬৬. সবচেয়ে বেশি সালোকসংশ্লেষণ হয়?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - আলফা- ১৮.০৪.১৪ 📖 26th BCS General Dec, 2000 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -সুরমা- ০৮.০১.১০
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖সবচেয়ে বেশি সালোকসংশ্লেষণ হয় লাল আলোতে।
বর্ণালিবীক্ষণ যন্ত্র এর সাহায্যে জানা গেছে যে দৃশ্যমান বর্ণচ্ছটার মধ্যে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় লাল আলোয় সর্বাপেক্ষা কর্মক্ষম। লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি বলে এটি ক্লোরোফিল কে অধিক মাত্রায় সক্রিয় করে এবং ফটোলাইসিস ও ফটোফসফোরাইলেশন ঘটায়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖সালোকসংশ্লেষণের সময় বেগুনি-নীল এবং কমলা-লাল আলো বেশি ব্যবহৃত হয়।
বাকি সকল আলো অত্যন্ত কম ব্যবহৃত হয়।
একক আলো হিসেবে লাল আলোতে সালোকসংশ্লেষণ বেশি হয়।
১৬৭. সবচেয়ে শক্তিশালী সৌরচুল্লি তৈরি হয়েছে কোন দেশে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - আলফা- ১৮.০৪.১৪
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖সবচেয়ে শক্তিশালী সৌরচুল্লি তৈরি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে।
বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সৌরচুল্লী এর নাম হচ্ছে solar energy generating systems (SEGS) যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের মোজাব মরুভূমিতে অবস্থিত।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী Solar Power Station - এর নাম হচ্ছে SEGs ( Solar Energy Generating Systems), যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের মোজাব (Mojave) মরুভূমিতে অবস্থিত।
এটি প্রকৃতপক্ষে কোনো একক পাওয়ার প্লান্ট নয়, বরং এটি একত্রে নয়টি পাওয়ার প্লান্ট সহযোগে একটি সোলার পাওয়ার স্টেশন।
এটির মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৩৫৪ মেগাওয়াট।
১৬৮. IC চিপ দিয়ে তৈরি প্রথম ডিজিটাল কম্পিউটার-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - আলফা- ১৮.০৪.১৪
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖IC চিপ দিয়ে তৈরি প্রথম ডিজিটাল কম্পিউটার-- Altair-8800।
এরপর IC চিপ এর উন্নত সংস্করণ দিয়ে IBM সিরিজের কম্পিউটার তৈরি হয় । উল্লেখ্য Intel 4004 প্রথম তৈরিকৃত IC। প্রথম ডিজিটাল কম্পিউটারের নাম Mark-1 ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖১৯৫৮ সালে ট্রানজিস্টর, রেজিস্টর এবং ক্যাপাসিটর সমন্বিত করে জ্যাক কেলবি ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট বা আইসি তৈরি করেন।
এর ফলে কম্পিউটারের আকার হ্রাস পায়, ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, মূল্যও অনেক কমে আসে।
আইসি চিপ দিয়ে তৈরি প্রথম ডিজিটাল কম্পিউটার হল আইবিএম সিস্টেম ৩৬০। এটি ১৯৬৪ সালের তৈরি করা হয়।
Intel-8080 মাইক্রোপ্রসেসর দিয়ে পার্সোনাল কম্পিউটারের তৈরী করা হয়। এই প্রসেসর ব্যবহার করে তৈরিকৃত প্রথম পার্সোনাল কম্পিউটার Altair-8800।
প্রথম ডিজিটাল বা ইলেক্ট্রোমেকানিক্যাল কম্পিউটার- Mark-1
Intel 4004- এটি 4 বিটের একটা CPU যা ইন্টেল কর্পোরেশন কর্তৃক বাজারে আসে।
১৬৯. কোনটি সিমেন্ট তৈরির অন্যতম কাঁচামাল?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - আলফা- ১৮.০৪.১৪
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖সিমেন্ট তৈরির অন্যতম কাঁচামাল হলো জিপসাম।
সিমেন্ট এর মধ্যে নানারকম রাসায়নিক উপাদান থাকে। এর উপাদান গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল সামান্য ও ম্যাগনেসিয়াম অক্সাইড সালফার ট্রাই অক্সাইডসহ চুন, সিলিকা, অ্যালুমিনা ও লৌহ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖কোয়ার্টজ বা সিলিকা বা বালি (SiO₂) হলো কাচ তৈরীর প্রধান উপাদান।
জিপসাম ব্যবহৃত হয় প্লাস্টার পব প্যারিস এবং সিমেন্ট তৈরীতে।
১৭০. Natural protein-এর কোড নাম--
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - আলফা- ১৮.০৪.১৪
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖Natural protein-এর কোড নাম-- P-49।
এক বা একাধিক পলিপেপটাইড সমন্বিত বৃহদাকার সক্রিয় রাসায়নিক পদার্থকে প্রোটিন বা আমিষ বলে। প্রোটিন এর প্রধান কাজ হল দেহের গঠন বৃদ্ধি সাধন ও ক্ষয় পূরণ করা।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖অ্যামিনো এসিডের পলিমারকে প্রোটিন বা আমিষ বলে।
এটি একটি পেপটাইড যৌগ।
ন্যাচারাল প্রোটিনের কোড নাম P-49 যা একটি জটিল জৈব যৌগ।
এটি দেহের বৃদ্ধিসাধন ও ক্ষয়পূরণ করে।
১৭১. আল্ট্রাসনিক শব্দ বলতে বুঝায়---
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - আলফা- ১৮.০৪.১৪
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖আল্ট্রাসনিক শব্দ বলতে বুঝায়-যে শব্দ কোন কোন জীব জন্তু শুনতে পায়।
শব্দের কম্পাঙ্ক 20 হার্জ থেকে 20, 000 হার্জ এর মধ্যে সীমিত থাকলে তাকে শ্রাব্যতার সীমা বলে এবং এই কম্পাঙ্কের মধ্যে সীমিত শব্দ শুনতে পায়। আবার যে শব্দ তরঙ্গের কম্পাঙ্ক 20, 000 হার্জ এর চেয়ে বেশি থাকে তাকে শ্রবণোত্তর বা আল্ট্রাসনিক শব্দ বলে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖শ্রবণোত্তর, শব্দোত্তর বা আল্ট্রাসনিক শব্দ মানুষ শুনতে না পেলেও বাদুর, কুকুর, মৌমাছির ন্যায় কিছুকিছু প্রাণী উৎপন্ন করতে পারে আবার তা শুনতেও পারে।
আমাদের কানে যে শব্দ শোনা যায় তার কম্পাঙ্কের সীমা হলো 20 Hz থেকে 20,000 Hz।
কম্পাঙ্কের এই পাল্লাকে শ্রাব্যতার পাল্লা বলে।
আবার যে শব্দ তরঙ্গের কম্পাঙ্ক ২০,০০০Hz এর বেশি হয় তাকে শ্রবণোত্তর, শব্দোত্তর বা আল্ট্রাসনিক শব্দ বলে।
রোগ নির্ণয়ে, কাপড়ের ময়লা পরিস্কার করা, সমুদ্রের গভীরতা নির্ণয়, ধাতব পিন্ড বা পাতে সূক্ষ্মতম ফাটল অনুসন্ধানে, সূক্ষ্ম ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতি পরিষ্কার করার কাজে, ক্ষতিকর রোগ জীবাণু ধ্বংসের কাজে এই শব্দ ব্যবহৃত হয়।
১৭২. ফরাসি বিপ্লব কোন সালে অনুষ্ঠিত হয়?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - আলফা- ১৮.০৪.১৪
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖ফরাসি বিপ্লব ১৭৮৯ সালে অনুষ্ঠিত হয়।
ফরাসি বিপ্লব (১৭৮৯–১৭৯৯) ফরাসি, ইউরোপ এবং পশ্চিমা সভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এই বিপ্লবের সময় ফ্রান্সে নিরঙ্কুশ রাজতন্ত্র বিলুপ্ত হয়ে প্রজাতান্ত্রিক আদর্শের অগ্রযাত্রা শুরু হয় এবং একই সাথে দেশের রোমান ক্যাথলিক চার্চ সকল গোঁড়ামী ত্যাগ করে নিজেকে পুনর্গঠন করতে বাধ্য হয়। ফরাসি বিপ্লবকে পশ্চিমা গণতন্ত্রের ইতিহাসে একটি জটিল সন্ধিক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয় যার মাধ্যমে পশ্চিমা সভ্যতা নিরঙ্কুশ রাজনীতি এবং অভিজাততন্ত্র থেকে নাগরিকত্বের যুগে পদার্পণ করে। ঐতিহাসিকরা এই বিপ্লবকে মানব ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসাবে বিবেচনা করেন।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖১৭৮৯ সালে পৃথিবী কাঁপানো ফরাসি বিপ্লব সংঘটিত হয়।
এতে করে ফ্রান্সের শত বছরের পুরনো রাজতন্ত্র ও সামন্তব্যবস্থা ভেঙে জনগণের অধিকার স্বীকৃত হয়।
১৪ জুলাই ১৭৮৯ সালে বাস্তিল দূর্গে আক্রমণের মাধ্যমে ফরাসি বিপ্লবের সূচনা ঘটে।
বাস্তিল দূর্গ ছিলো একটি রাজকীয় কারাগার।
ফরাসি বিপ্লবের ফলে ফ্রান্সের তৎকালীন রাজা ষোড়শ লুই এর পতন ঘটে।
ফরাসি বিপ্লবের শ্লোগান ছিলো স্বাধীনতা, সাম্য ও ভ্রাতৃত্ব।
নেপোলিয়ান বোনাপার্টকে ফরাসি বিপ্লবের শিশু বলা হয়।
১৭৩. ”ভবদহ” বিল কোথায় অবস্থিত?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - গামা- ১৮.০৪.১৪
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖”ভবদহ” বিল যশোরে অবস্থিত।
যশোর জেলার উল্লেখযোগ্য বিলগুলো হল- ভবদহ, জলেশ্বর, বিল বকর, হরিণা, অরল, ইছামতি, বিল কেদারিয়া, বিল খুকশিয়া ও বিল পাজিয়া পাত্রা।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলায় মোট ২৯ টি বিল আছে।
এই উপজেলাতেই ভবদহ বিল অবস্থিত।
১৭৪. স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রতীক হিসেবে পরিচিত ভাস্কর্য “অঙ্গীকার” এর অবস্থান কোথায়?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - গামা- ১৮.০৪.১৪
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রতীক হিসেবে পরিচিত ভাস্কর্য “অঙ্গীকার” এর অবস্থান চাঁদপুরে।
স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রতীক হিসেবে পরিচিত ভাস্কর্য অঙ্গীকার এর অবস্থান চাঁদপুরে। এর স্থপিত হলেন সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদ। সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদ বিখ্যাত ভাস্কর্য হল অপরাজেয় বাংলা। যার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের প্রাঙ্গণে স্থপতি। এবং কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থপিত প্রথম ভাস্কর্য ১৯৭৯।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖চাঁদপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সড়কে লেকের উপর স্বাধীনতা যুদ্ধে চাঁদপুরের শহীদের স্মরণে ১৯৮৯ সালে এ মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য অঙ্গীকার নির্মিত হয়।
যার স্থপতি প্রফেসর সৈয়দ আবদুল্লাহ খালিদ।
এর উদ্বোধক ছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
এটি চাঁদপুর কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধ হিসেবে বিবেচিত।
১৭৫. ”ম্যাডোনা-৪৩” কি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - গামা- ১৮.০৪.১৪
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖ম্যাডোনা ৪৩ একটি চিত্রকর্ম।
ম্যাডোনা ৪৩ শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের একটি উল্লেখযোগ্য চিত্রকর্ম। ১৯৪৩ সালের বাংলার দুর্ভিক্ষের উপর এই চিত্রকর্ম টি অঙ্কন করে তিনি বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেন। তার বিখ্যাত অন্যান্য চিত্রকর্মগুলো হলো : মনপুরা ৭০, সংগ্রাম, গায়ের বধু, মইটানা প্রভৃতি। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট এর প্রতিষ্ঠাতা।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖১৯৪৩ সালে বাংলায় সংঘটিত পঞ্চাশের মন্বন্তরের পটভূমিতে বিভিন্ন ছবি এঁকে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন খ্যাতি অর্জন করেন।
দুর্ভিক্ষের উপর তার চিত্রকর্মের মধ্যে ম্যাডোনা-৪৩, দ্য রেবেল ক্রো উল্লেখযোগ্য।
এছাড়া তার অন্যান্য চিত্রকর্মের মধ্যে নবান্ন, সংগ্রাম, মনপুরা-৭০, মইটানা, পাইন্যার মা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
১৭৬. প্রাচীন পুন্ড্রনগর কোথায়?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - গামা- ১৮.০৪.১৪
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖প্রাচীন পুন্ড্রনগর বগুড়ার মহাস্থানগড়ে অবস্থিত।
এটি প্রাচীন বাংলার সবচেয়ে সমৃদ্ধ জনপদ পুন্ড্রু রাজধানী। বর্তমান বগুড়া রাজশাহী রংপুর ও দিনাজপুর অঞ্চল নিয়ে গঠিত ছিল পুন্ড্রু জনপদ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বাংলার প্রাচীন জনপদগুলোর মধ্যে পুন্ড্রবর্ধন অন্যতম।
এ জনপেদর রাজধানী ছিলো বর্তমান বগুড়া জেলায় অবস্থিত পুন্ড্রনগর বা মহাস্থানগড়।
পরবর্তীতে মৌর্য এবং গুপ্ত শাসনামলেও বাংলার রাজধানী ছিলো পুন্ড্রনগর।
বাংলার প্রাচীন জনপদগুলোর মধ্যে পুন্ড্রনগর ছিলো সবচেয়ে সমৃদ্ধ এবং এখানে প্রাপ্ত শিললিপি বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো বলে স্বীকৃত।
১৭৭. বাংলাদেশের সোর্ড অব অনার পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রথম নারী কে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - গামা- ১৮.০৪.১৪
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বাংলাদেশে নারীর অগ্রযাত্রায় একটি উজ্জ্বলতম নাম ফ্লাইং অফিসার মারজিয়া সুলতানা।
তিনি বাংলাদেশের সামরিক ইতিহাসে প্রথম নারী বৈমানিক।
যিনি প্রশিক্ষণকালে সার্বিক বিষয়ে সেরা কৃতিত্বের জন্য 'সোর্ড অব অনার' লাভ করেছেন।
এটি সামরিক বাহিনীর প্রাক্–কমিশন প্রশিক্ষণকালীন সর্বোচ্চ সম্মান ও গৌরবের প্রতীক।
১৭৮. নিম্নলিখিত কোন আঞ্চলিক বা আর্ন্তজাতিক প্রতিষ্ঠানটির সদর দপ্তর ঢাকায় অবস্থিত?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - গামা- ১৮.০৪.১৪ 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2005➯E ইউনিট 📖 20th BCS General Dec, 1998
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖ঢাকার চামেলি হাউস CIRDAP এর প্রধান কার্যালয় অবস্থিত।
অন্যদিকে সার্কের সচিবালয় নেপালের কাঠমান্ডু। ADB এর সদর দপ্তর ফিলিপাইনের ম্যানিলায় অবস্থিত এবং APEC এর সদর দপ্তর সিঙ্গাপুরে অবস্থিত।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖CIRDAP (Center on Integrated Rural Development for Asia and the Pacific) ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
এর সদরদপ্তর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত।
সিরডাপ কার্যালয় চামেলি হাউস নামে পরিচিত।
এর সদস্য সংখ্যা ১৫টি।
১৭৯. ”দারফুর” হলো---
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - গামা- ১৮.০৪.১৪
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖”দারফুর” হলো--- সুদানের একটি অঞ্চলের নাম।
জনসংখ্যার (৬০ লাখ) প্রায় সবাই মুসলিম। পূর্ব বিরোধ না থাকলেও নিজ দেশ পার্শ্ববর্তী দেশ সমূহের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর উস্কানিতে দারফুর সেমিটিক আরব ও কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলে আসছে। এতে ৫০ হাজারের বেশি লোক প্রাণ হারায়। বাস্তুচ্যুত হয় প্রায় ১০ লাখ মানুষ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖দারফুর সুদান এর পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল।
১৮০. রেল ইঞ্জিনের আবিষ্কারক কে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - গামা- ১৮.০৪.১৪
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖রেল ইঞ্জিনের আবিস্কারক স্টিফেনসন।
বাষ্প চালিত ইঞ্জিন এর আবিষ্কারক জেমস ওয়াট। ফনোগ্রাফ ও বৈদ্যুতিক বাতির আবিষ্কারক টমাস আলভা এডিসন। টেলিগ্রাফ এর আবিষ্কারক স্যামুয়েল মোর্স।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖রেল ইঞ্জিনের আবিষ্কারক- স্টিফেনসন।
বাষ্পচালিত ইঞ্জিনের আবিষ্কারক- জেমস ওয়াট।
ফনোগ্রাফ ও বৈদ্যুতিক বাতির আবিষ্কারক- টমাস আলভা এডিসন।
টেলিগ্রাফের আবিষ্কারক- স্যামুয়েল মোর্স।
১৮১. "Adam's Peak" তীর্থস্থানটি কোথায় অবস্থিত?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - গামা- ১৮.০৪.১৪
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖"Adam's Peak" তীর্থস্থান টি শ্রীলংকায় অবস্থিত।
এটি প্রায় 30 মাইল দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট একটি মগ্নচড়া যা ঐতিহাসিকভাবে বিখ্যাত। পৃথিবীর প্রথম মানব হযরত আদম কে জান্নাত থেকে পৃথিবীতে পরবর্তী প্রেরণ করা হয়েছিল বলেই এর নাম "Adam's Peak" রাখা হয়েছে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖Adam's peak বা আদম চূড়া বা শ্রী পদ বা পবিত্র পদচিহ্ন, শ্রীলঙ্কার দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের শ্রীপাড়া প্রদেশে অবস্থিত একটি পর্বত চূড়া যা খ্রিস্টান, হিন্দু, বৌদ্ধ ও মুসলিম এই চার ধর্মের অনুসারীদের কাছে অতি পবিত্র স্থান।
এই চূড়ায় একটি পায়ের ছাপ আছে যার দৈর্ঘ্য ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি এবং প্রস্থ ২ ফুট ৬ ইঞ্চি।
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন এই পদচিহ্নটি গৌতম বুদ্ধের, হিন্দুরা বিশ্বাস করেন এই পদচিহ্নটি তাদের দেবতা শিবের এবং মুসলমান ও খ্রিষ্টানরা বিশ্বাস করেন এটি পৃথিবীর প্রথম মানব আদম -এর।
১৮২. বরফ সাদা দেখায় কারণ--
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - গামা- ১৮.০৪.১৪
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বরফ সাদা দেখায় কারণ-- আলোর সব রশ্মিই প্রতিফলন করে।
কোন বস্তু যখন আলো শোষণ না করে সমস্ত আলো প্রতিফলিত করে তখন বস্তুটিকে সাদা দেখায়। কোন আলো শোষণ না করে সমস্ত আলো প্রতিফলিত করে বলে বরফ সাদা দেখায়। অন্যদিকে কোন বস্তু যখন সমস্ত আলো শোষণ করে তখন বস্তুটিকে কালো দেখায়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖কোন বস্তুর রং সাদা দেখায় কারণ ঔ বস্তুটি সবগুলো আলোর সব রশ্মিই প্রতিফলন করে।
একই কারণে বরফকেও সাদা দেখায়।
আবার কোন বস্তুর রং লাল দেখায় কারণ বস্তুটি লাল ছাড়া সব আলোর রশ্মিই শোষণ করে নেয়, শুধু লাল আলোর রশ্মিই প্রতিফলন করে।
কোন বস্তুর রং কালো দেখায় কারণ বস্তুটি সবগুলো আলোর সব রশ্মিই শোষণ করে নেয়, আলোর কোন রশ্মিই প্রতিফলন করে না।
১৮৩. গোধুলির কারণ কি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - গামা- ১৮.০৪.১৪
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖গোধুলির কারণ- আলোর বিক্ষেপণ।
সূর্যাস্তের সময় সূর্যের আলো বায়ুমন্ডলে ভাসমান ধূলিকণা পানি ইত্যাদির মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় কম তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট বেগুনি, নীল, আসমানি প্রভৃতি বর্ণের বিক্ষেপণ বেশি ঘটে। কিন্তু লাল আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বেশি বলে এর বিক্ষেপণ কম হওয়ায় এটি সরাসরি পৃথিবীতে চলে আসে। তাই সূর্যাস্তের সময় সূর্যকে লাল দেখায় এবং একে গোধূলি বলে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖গোধূলির মূল কারণ হলো আলোর বিক্ষেপণ।
সূর্য যখন দিগন্তের নিচের দিকে অবস্থান করে, তখন নীল আর সবুজ রং ভেঙে যায় এবং আমরা কমলা এবং লাল রং-এর আভা দেখতে পাই।
এসময় সূর্যকে লাল দেখায়। এটাই গোধূলি নামে পরিচিত।
এর কারণ, আলোর যে রংগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য ছোট (যেমন বেগুনি এবং নীল) সেগুলোর বিক্ষেপণ বেশি হয়, বেশি তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো যেমন কমলা এবং লাল আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বেশি বলে এর বিক্ষেপণ কম হওয়ায় এরা সরাসরি পৃথিবীতে চলে আসে।
১৮৪. ”সৌরকোষে” ব্যবহৃত হয়---
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - গামা- ১৮.০৪.১৪
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖”সৌরকোষে” ব্যবহৃত হয়- সিলিকন।
সৌরশক্তি হচ্ছে নবায়নযোগ্য শক্তি। সৌর শক্তিকে আজকাল নবায়নযোগ্য শক্তির অন্যতম ভান্ডার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সৌরশক্তি ব্যবহারের প্রযুক্তি হল সৌরকোষ। সৌরকোষে ব্যবহৃত হয় সিলিকন।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖সৌর কোষ (Solar Cell) এক ধরনের সরঞ্জাম যা সূ্র্য্যের আলোক শক্তিকে আলোক-বিভব ক্রিয়ার (Photovoltaic Effect) মাধ্যমে বিদ্যুত শক্তিতে রূপান্তরিত করতে পারে।
এটি তৈরিতে সিলিকন ব্যবহৃত হয়।
১৮৫. বস্তুর ওজন সবচেয়ে বেশি---
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - গামা- ১৮.০৪.১৪ 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - আলফা- ১৮.০৪.১৪ 📖 শিক্ষা অফিসার-২৮.০৫.১৯৯৯
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বস্তুর ওজন সবচেয়ে বেশি---মেরু অঞ্চলে।
বস্তুর ওজন পৃথিবীর অভিকর্ষজ ত্বরণ g এর উপর নির্ভরশীল। মেরু অঞ্চলে g এর মান সবচেয়ে বেশি, বিষুবীয় অঞ্চলে g এর মান মেরু অঞ্চলের তুলনায় কম। যেহেতু g এর মান বাড়লে ওজন বাড়বে এবং g এর মান করলে ওজন কমবে। সেহেতু মেরু অঞ্চলে বস্তুর ওজন বেশি হবে। পৃথিবীর কেন্দ্রে বস্তুর ওজন শূন্য।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖পৃথিবীর পৃষ্টে বস্তুর ওজনের অতি সামান্য তারতম্য ঘটে। এর কারণ হচ্ছে পৃথিবী সুষম গোলক নয় এবং ভূপৃষ্টে সর্বত্র অভিকর্ষজ ত্বরণের মানও এক নয়।
এক কেজি ভরের কোন বস্তুর ওজন সবচেয়ে বেশি হবে পৃথিবীর দুই মেরুতে অর্থাৎ উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরুতে। যেখানে এর ওজন হবে ৯.৮৩ নিউটন।
বিষুবীয় অঞ্চলে এক কেজি ভরের কোন বস্তুর ওজন সবচেয়ে কম ৯.৭৮ নিউটন।
ক্রান্তীয় অঞ্চলে এর ওজন হবে ৯.৭৯ নিউটন।
১৮৬. কাজের একক---
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - গামা- ১৮.০৪.১৪ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -ইছামতি- ০৮.০১.১০ 📖 পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার-১২.১৪
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖কাজের একক হল জুল।
ক্ষমতার একক ওয়াট। বলের একক নিউটন।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖কাজের একক = বল x সরণ এর একক।
যদি বল F = 1 N, সরণ S = 1 m এবং θ= 0° হয়, তাহলে W = 1J হবে।
1J = 1N m
কোনো বস্তুর উপর এক নিউটন (N) বল প্রয়োগের ফলে যদি বলের দিকে বলের প্রয়োগ বিন্দুর এক মিটার (m) সরণ হয় তবে সম্পন্ন কাজের পরিমাণকে এক জুল (J) বলে।
১৮৭. কলের পানিতে সাধারণত কোন রাসায়নিক উপাদান থাকে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - গামা- ১৮.০৪.১৪ 📖 শ্রম অধিদপ্তরে শ্রম কর্মকর্তা এবং জনসংখ্যা ও পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তা-১০.০৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖কলের পানিতে সাধারণত রাসায়নিক উপাদান থাকে ক্লোরিন।
কলের পানিতে রাসায়নিক উপাদান হিসেবে সাধারণত আর্সেনিক, বোরন, বেরিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও আয়রন বিদ্যমান থাকে। আবার সাধারণত খনিজ পানিতে বিভিন্ন ধাতু লবণ আয়নিত অবস্থায় থাকে। যেমন সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, কোবাল্ট, ক্লোরাইড ইত্যাদি। ক্লোরাইড আয়ন ক্লোরিন থেকে সৃষ্টি। সুতরাং কলের পানিতে ক্লোরিন থাকে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖সাধারণত কলের পানিতে বিভিন্ন ধাতুর লবণ আয়নিত অবস্থায় থাকে।
যেমন- সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, কোবাল্ট, ক্লোরাইড ইত্যাদি।
যেহেতু ক্লোরাইড আয়ন ক্লোরিন থেকে সৃষ্টি, তাই বলা যায় কলের পানিতে ক্লোরিন থাকে।
১৮৮. রংধনুতে হলুদ রঙের পাশের দুটি রঙ কি কি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - গামা- ১৮.০৪.১৪
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖রংধনুতে হলুদ রঙের পাশের দুটি রঙ হলো সবুজ ও কমলা।
রংধনুতে সাতটি বর্ণ পাওয়া যায়। এগুলোকে বেনীআসহকলা বলা হয়। সুতরাং রংধনুতে হলুদ রঙের পাশের দুটি রং হল সবুজ ও কমলা।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖রংধনু সৃষ্টির বেলায় পানির কণাগুলো প্রিজমের কাজ করার মাধ্যমে পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের সৃষ্টি করে বলে আমরা রংধনু দেখতে পাই।
রংধনুতে ৭টি রং থাকে।
এগুলো হলো বেনীআসহকলা- বেগুনী, নীল, আসমানী, সবুজ, হলুদ, কমলা এবং লাল।
অর্থাৎ হলুদ রঙের দুই পাশের দুইটি রং হলো- সবুজ এবং কমলা।
১৮৯. UNIX অপারেটিং সিস্টেমের উদ্ভাবক প্রতিষ্ঠান কোনটি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - গামা- ১৮.০৪.১৪
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖UNIX অপারেটিং সিস্টেমের উদ্ভাবক প্রতিষ্ঠান হল বেল ল্যাব।
বেল ল্যাবরেটরীজ ১৯৬৯ সালে মেইনফ্রেম কম্পিউটার এর জন্য UNIX অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করে। UNIX হচ্ছে বিভিন্ন পর্যায়ের কম্পিউটারে ব্যবহারযোগ্য অপারেটিং সিস্টেম। মেইনফ্রেম কম্পিউটার থেকে শুরু করে মাইক্রো কম্পিউটারে UNIX অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা যায়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖UNIX অপারেটিং সিস্টেম ১৯৬৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বেল ল্যাবরেটরীতে Kin Tomson Denis Ritche প্রথম উদ্ভাবন করেন।
Unix - একটি Open Source Operating System।
১৯০. মানুষের রক্তে কত ধরনের কণিকা আছে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - গামা- ১৮.০৪.১৪ 📖 এ্যাডভোকেটশিপ তালিকাভূক্তির নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা, .১২ 📖 এ্যাডভোকেটশিপ তালিকাভূক্তির নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা, .১২
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖মানুষের রক্তে তিন ধরনের কণিকা আছে।
যথা : লোহিত রক্তকণিকা, শ্বেত রক্ত কণিকা ও অনুচক্রিকা। রক্তের উপাদান দুই প্রকার। যথা: রক্ত রস এবং রক্ত কণিকা।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖রক্তকণিকা ৩ ধরনের।
যথা-
১. লোহিত রক্তকণিকা,
২. শ্বেত রক্তকণিকা ও
৩. অনুচক্রিকা।
লোহিত রক্ত কণিকায় হিমোগ্লোবিন নামে একটি লৌহজাত যৌগ থাকে যার জন্য রক্ত লাল হয়।
১৯১. শৈবালের বৈশিষ্ট্য কি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - গামা- ১৮.০৪.১৪
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖শৈবালের বৈশিষ্ট্য- এরা স্ব-ভোজী।
শৈবাল হল ক্লোরোফিল যুক্ত স্বভোজী উদ্ভিদ। যেমন Spirogyra, chlorella ইত্যাদি। এরা সুকেন্দ্রিক এককোষী ও বহুকোষী। শৈবালের কখনো সত্যি কারে মূল, কান্ড ও পাতা সৃষ্টি হয় না অর্থাৎ এরা থ্যালয়েড।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖সমাঙ্গ বর্গের প্রধানত ক্লোরোফিলযুক্ত ও স্বভোজী উদ্ভিদরাই শৈবাল।
❏ এরা মাটি, পানি ও অন্য গাছের উপর জন্মাতে পারে।
❏ এদের দেহ এককোষী বা বহুকোষী হতে পারে।
❏ এদের দেহে কোন পরিবহন কলা থাকে না।
❏ এর সবুজ, লাল, বাদামী ইত্যাদি নানা রঙের হতে পারে।
❏ ‘স্পাইরোগাইরা’ নামক শৈবাল জলাশয়ে পাওয়া যায়।
❏ সামদ্রিক শৈবাল থেকে এ্যালজিন প্রস্তুত করা হয় যা আইসক্রিম তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।
❏ আয়োডিন ও পটাশিয়ামের একটি ভাল উৎস সামদ্রিক শৈবাল।
❏ মৎস্য চাষে ফাইটোপ্ল্যাংক্টন বিশেষ ভূমিকা রাখে।
❏ এর প্রধান অংশই শৈবাল।
❏ চা-পাতার রেড রাস্ট শৈবাল জাতীয় মারাত্মক রোগ।
❏ পুকুরে শৈবাল ওয়াটারব্লুম সৃষ্টি করে।
❏ ফলে জলজ প্রাণী ও মাছের অক্সিজেনের অভাব হয়।
[
১৯২. কোনটি সামাজিক পরিবর্তনের উপাদান নয়?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - গামা- ১৮.০৪.১৪ 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2013➯খ ইউনিট 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2012➯খ ইউনিট
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖সামাজিক পরিবর্তনের উপাদান নয় বাসস্থান।
কেননা বাসস্থান হলো মানুষের মৌলিক উপাদান। শিক্ষা, শিল্পায়ন ও নগরায়ন হলো সামাজিক পরিবর্তনের উপাদান।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বাসস্থানের তুলনায় শিক্ষা, শিল্পায়ন এবং নগরায়ন সামাজিক পরিবর্তনের সাথে বেশি সম্পৃক্ত,
তাই বাসস্থান কে সঠিক উত্তর হিসেবে ধরে নেওয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত আলোচনাঃ
বিভিন্ন ধরনের উপাদানের নানামুখী তৎপরতার কারণে সামাজিক পরিবর্তন হয়ে থাকে।
এর মধ্যে জৈবিক, প্রাকৃতিক ও প্রযুক্তিগত উপাদান অতি গুরুত্বপূর্ণ।
মানুষসহ অন্যান্য প্রাণি জৈবিক উপাদানের অংশ।
অন্যদিকে ঝড়, বন্যাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রাকৃতিক উপাদানের এবং বিজ্ঞানের বিভিন্ন আবিষ্কার প্রযুক্তিগত উপাদানের অংশ।
১৯৩. বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) দপ্তর অবস্থিত কোথায়?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ঝিলাম- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) দপ্তর অবস্থিত জেনেভায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৪৮ সালের ৭ এপ্রিল। এ জন্য প্রতিবছর বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস হিসেবে ৭ এপ্রিল নির্ধারিত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর সদর দপ্তর জেনেভা। জেনেভায় অন্যান্য যেসব সংস্থার সদর দপ্তর রয়েছে- ILO, ITO, WMO, WIPO, UNCTAD প্রভৃতি।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বর্তমান সদস্য সংখ্যা ১৯৪টি। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০২১ সালের ৬ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে WHO ত্যাগ করবে। World Health Organization ৭ এপ্রিল ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১০ জুলাই ১৯৪৮ জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থার মর্যাদা লাভ করে।
এর প্রতিষ্ঠার দিনটিকে প্রতিবছর বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালন করা হয়। সদরদপ্তর অবস্থিত জেনেভায়। বর্তমান মহাপরিচালক ইথিওপিয়ার নাগরিক টেড্রস আধানম গেব্রেইসাস।
১৯৪. জাতিসংঘের প্রথম মহাসচিব কোন দেশের নাগরিক ছিলেন?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ঝিলাম- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖জাতিসংঘের প্রথম মহাসচিব নরওয়ের নাগরিক ছিলেন।
জাতিসংঘের প্রথম মহাসচিব ছিলেন নরওয়ের অধিবাসী ট্রিগভেলি। পরবর্তীতে আরও আটজন মহাসচিব নির্বাচিত হন। তারা হলেন দাগ হ্যামারশোল্ড (সুইডেন), উথান্ট (মায়ানমার), কোর্ট ওয়ার্ল্ড হেইম (অস্ট্রিয়া), দ্য কুয়েলার (পেরু), বুট্রোস ঘালি (মিশর), কফি আনান (ঘানা), বান কি মুন (দক্ষিণ কোরিয়া), অ্যান্টোনিও গুতেরেস (পর্তুগাল)।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖জাতিসংঘের প্রথম মহাসচিব ছিলেন নরওয়ের ট্রিগভেলি। তিনি ফেব্রুয়ারি ১৯৪৬ থেকে নভেম্বর ১৯৫২ মেয়াদে জাতিসংঘের মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন।
পর্তুগালের অ্যান্তোনিও গুতেরেস জাতিসংঘের নবম ও বর্তমান মহাসচিব।
১৯৫. নিরাপত্তা পরিষদের মোট সদস্য সংখ্যা কত?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ঝিলাম- ০৮.১১.১৩ 📖 38th BCS General Dec, 2017 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মিসিসিপি- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖নিরাপত্তা পরিষদের মোট সদস্য সংখ্যা ১৫ জন।
এর মধ্যে স্থায়ী ৫ টি এবং অস্থায়ী সদস্য সংখ্যা ১০ টি। পাঁচটি স্থায়ী সদস্য দেশ হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া ও চীন।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের মোট সদস্য সংখ্যা ১৫টি। এর মধ্যে ৫টি স্থায়ী সদস্য এবং ১০টি অস্থায়ী সদস্য। স্থায়ী সদস্য ৫টি দেশ হলোঃ যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যদের ভেটো ক্ষমতা রয়েছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যেকোন প্রস্তাব পাশের জন্যে এই ৫টি দেশের সম্মতির প্রয়োজন হয়। জার্মানি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য নয়।
১৯৬. ”অপরাজেয় বাংলা”র ভাস্কর কে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ঝিলাম- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖”অপরাজেয় বাংলা”র ভাস্কর সৈয়দ আদুল্লাহ খালিদ।
অপরাজেয় বাংলা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবন চত্বরে অবস্থিত। ভাস্কর্যটির স্থপতি হলেন সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদ। এটি উদ্বোধন করা হয় ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭৯।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ভাস্কর্য অপরাজেয় বাংলা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সম্মুখ প্রাঙ্গনে অবস্থিত। এটির স্থপতি সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালেদ।
১৯৭৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর এটি উদ্বোধন করা হয়।
অপরাজেয় বাংলা কোন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে স্থাপিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রথম ভাস্কর্য।
১৯৭. বাংলাদেশে রঙ্গিন টেলিভিশন চালু হয় কবে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ঝিলাম- ০৮.১১.১৩ 📖 ৬ষ্ঠ বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস প্রিলিমিনারী পরীক্ষা, .১১ 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2004➯খ ইউনিট
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বাংলাদেশে রঙ্গিন টেলিভিশন চালু হয় ১৯৮০ সালে।
বাংলাদেশে রঙিন টেলিভিশন চালু হয় ১ ডিসেম্বর ১৯৮০। বাংলাদেশের টেলিভিশন এর স্থাপিত হয় ২৫ ডিসেম্বর ১৯৬৪। পূর্ণাঙ্গ টেলিভিশন কেন্দ্র রয়েছে ২টি ঢাকা ও চট্টগ্রাম টেলিভিশনের সম্প্রচার কেন্দ্র রয়েছে ১৬ টি।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বাংলাদেশ টেলিভিশনের যাত্রা শুরু হয় ১৯৬৪ সালে।
বাংলাদেশে রঙিন টেলিভিশনের যাত্রা শুরু হয় ১৯৮০ সালে।
বাংলাদেশ বেতার প্রথম উদ্বোধন করা হয় ১৯৩৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর।
১৯৮. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা শহর কোন সেক্টরের অধীনে ছিল?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ঝিলাম- ০৮.১১.১৩ 📖 বাংলাদেশ ডাক বিভাগ (মেট্রোপলিটন সার্কেল) পরিদর্শক-৫.১৬ 📖 স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (হিসাব সহকারী) 26-02-2021
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা শহর ২ নং সেক্টরের অধীনে ছিল।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধ পরিচালনার সুবিধার্থে সমগ্র দেশকে ১১ টি সেক্টরে বিভক্ত করা হয়। ২ নং সেক্টর টিম গঠিত হয়েছিল নোয়াখালী, কুমিল্লা, ভৈরব, ঢাকা ও ফরিদপুর জেলার অংশবিশেষ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖১৯৭১ সালের ১১ এপ্রিল প্রবাসী সরকার সমগ্র বাংলাদেশকে ১১ টি সেক্টরে বিভক্ত করে। ফেনী নদী থেকে আখাউড়া-ভৈরব রেললাইনের পশ্চিমপ্রান্ত এবং ঢাকা শহর ও ফরিদপুরের অংশবিশেষ নিয়ে ২নং সেক্টর গঠিত হয়। এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২নং সেক্টরের কমান্ডার নিযুক্ত হন মেজর খালেদ মোশারফ। সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর এ টি এম হায়দার ২নং সেক্টরের কমান্ডার নিযুক্ত হন।
১৯৯. স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ নয় কোনটি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ঝিলাম- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ নয় কেনিয়া।
ইউরোপ মহাদেশের নরডিক অঞ্চলের পাঁচটি দেশ স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ হিসেবে পরিচিত। যথা: ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক, নরওয়ে, সুইডেন ও আইসল্যান্ড। সুতরাং কেনিয়া স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ নয়। এটি পূর্ব আফ্রিকান দেশ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖কেনিয়া আফ্রিকার দেশ এবং ফিনল্যান্ড নর্ডিক দেশ। অর্থাৎ স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ নয় এমন দুটি দেশ হচ্ছে ফিনল্যান্ড এবং কেনিয়া।
স্ক্যান্ডেনেভিয়ান অঞ্চলঃ (৩টি দেশ) - নরওয়ে, সুইডেন ও ডেনমার্ক। উল্লেখ্য, এসকল দেশের যে বিশেষ অঞ্চল রয়েছে, সেগুলোও এই স্ক্যান্ডেনেভিয়ান অঞ্চলের অন্তর্গত।
নর্ডিক অঞ্চলঃ (৫টি দেশ) - ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, সুইডেন ও নরওয়ে।
২০০. কলম্বিয়া দেশটি কোন মহাদেশে অবস্থিত?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ঝিলাম- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖কলম্বিয়া দেশটি দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশে অবস্থিত।
দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের স্বাধীন দেশের সংখ্যা ১২টি। কলম্বিয়া দেশটি দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ অবস্থিত। এর রাজধানী- বোগোটা, ভাষা- স্প্যানিশ, মুদ্রা- পেসো।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖কলম্বিয়া দক্ষিণ আমেরিকার একটি দেশ। এই দেশের অফিশিয়াল নাম - রিপাবলিক অব কলম্বিয়া। এর রাজধানী বোগোটা।
২০১. প্রথম বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ঝিলাম- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖প্রথম বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল উরুগুয়েতে।
১৯৩০ সালে প্রথম বিশ্বকাপ ফুটবল অনুষ্ঠিত হয়েছিল উরুগুয়েতে। এ আসরে চ্যাম্পিয়ন হয় উরুগুয়ে এবং রানার্সআপ হয় আর্জেন্টিনা। ২০২২ সালে ২২ তম বিশ্বকাপ ফুটবল অনুষ্ঠিত হবে কাতারে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা প্রথম শুরু হয় ১৯৩০ সালে। ফুটবল বিশ্বকাপের প্রথম আসরটি অনুষ্ঠিত হয় উরুগুয়েতে। প্রথম আসরে ১৩ টি দল অংশ নেয়। সেই আসরে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে উরুগুয়ে চ্যাম্পিয়ান হয়।
২০২. বিশ্বকাপ ফুটবল অনুষ্ঠিত হয়?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ঝিলাম- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বিশ্বকাপ ফুটবল অনুষ্ঠিত হয় ৪ বছর পরপর।
বিশ্বকাপ ফুটবল প্রতি চার বছর পর পর অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বকাপ ক্রিকেট ও প্রতি চার বছর পর পর অনুষ্ঠিত হয়। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রতি দুই বছর পর পর অনুষ্ঠিত হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বিশ্বকাপ ফুটবল অনুষ্ঠিত হয় ৪ বছর পরপর। সর্বশেষ বিশ্বকাপ ফুটবল অনুষ্ঠিত হয় ২০১৮ সালে রাশিয়াতে। পরবর্তি বিশ্বকাপ ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত হবে কাতারে।
২০৩. সাত গম্বুজ মসজিদটির নির্মাতা-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ঝিলাম- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖সাত গম্বুজ মসজিদটির নির্মাতা- শায়েস্তা খান।
সাত গম্বুজ মসজিদ ঢাকার মোহাম্মদপুরে জাফরাবাদ এ অবস্থিত। ১৬৮০ সালে মুঘল সুবেদার শায়েস্তা খানের আমলে এটি নির্মিত হয়। মসজিদের চারকোণে চারটি মিনার এবং তিনটি গম্বুজ সহ মোট সাত টি গম্বুজ রয়েছে। এ কারণে মসজিদের নাম হয়েছে সাত গম্বুজ মসজিদ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖ষোড়শ শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠিত মোগল শাসনের ধারাবাহিকতায় যে স্থাপত্যরীতি প্রচলিত রয়েছে তারই উদাহরণ ‘সাত গম্বুজ মসজিদ’টি। ধারণা করা যায়, ১৬৮০ খ্রিস্টাব্দে নবাব শায়েস্তা খাঁ মসজিদটি নির্মাণ করেন। অন্য এক তথ্যে জানা যায়, নবাব শায়েস্তা খাঁর জ্যেষ্ঠপুত্র বুজুর্গ উদ্দিন (উমিদ) খাঁ এই মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা। বর্তমানে, মসজিদটি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তত্বাবধানে আছে।
২০৪. সাত গম্বুজ মসজিদের গম্বুজের সংখ্যা--
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ঝিলাম- ০৮.১১.১৩ 📖 42th BCS (Preli) Special (Health) Feb, 2021 📖 41th BCS General Mar, 2021
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖সাত গম্বুজ মসজিদে গম্বুজের সংখ্যা সাত টি।
মোগল সম্রাট শাহজাহানের আমলে এটি নির্মিত হয়েছে। মসজিদের চারকোণে চারটি মিনারে চারটি গম্বুজ এবং মসজিদের উপর তিনটি গম্বুজ সহ মোট সাত টি গম্বুজ রয়েছে। তাই এ মসজিদের নাম হয়েছে সাত গম্বুজ মসজিদ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖ষোড়শ শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠিত মোগল শাসনের ধারাবাহিকতায় যে স্থাপত্যরীতি প্রচলিত রয়েছে তারই উদাহরণ ‘সাত গম্বুজ মসজিদ’টি। ধারণা করা যায়, ১৬৮০ খ্রিস্টাব্দে নবাব শায়েস্তা খাঁ মসজিদটি নির্মাণ করেন। অন্য এক তথ্যে জানা যায়, নবাব শায়েস্তা খাঁর জ্যেষ্ঠপুত্র বুজুর্গ উদ্দিন (উমিদ) খাঁ এই মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা। বর্তমানে, মসজিদটি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তত্বাবধানে আছে।
মসজিদের বিবরণঃ এর ছাদে রয়েছে তিনটি বড় গম্বুজ এবং চার কোণের প্রতি কোনায় একটি করে অনু গম্বুজ থাকায় একে সাত গম্বুজ মসজিদ বলা হয়।
২০৫. লালবাগ কেল্লার নির্মাণ কাজ আরম্ভ করেন-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ঝিলাম- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖লালবাগ কেল্লার নির্মাণ কাজ আরম্ভ করেন-যুবরাজ মোহাম্মদ আযম।
১৬৭৮ খ্রিস্টাব্দে সম্রাট আওরঙ্গজেবের তৃতীয় পুত্র শাহজাদা মোহাম্মদ আজম শাহ লালবাগ কেল্লার নির্মাণ কাজ শুরু করেন। পরবর্তীতে সুবেদার শায়েস্তা খান ১৬৮২ সালে লালবাগ কেল্লার নির্মাণ কাজ শেষ করেন। এ কেল্লায় শায়েস্তা খানের কন্যা পরিবিবির মাজার রয়েছে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖লালবাগ কেল্লা পুরাতন ঢাকার লালবাগে অবস্থিত।
সতের শতকে ১৬৭৮ সালে সুবাদার আজম শাহ (যুবরাজ আজম শাহ) এটির নির্মাণ কাজ শুরু করেন।
মাঝে এর কাজ বন্ধ হয়ে গেলে ১৬৮০ সালে শায়েস্তা খান পুনরায় এর কাজ শুরু করে এটি নির্মাণ করেন।
এর অভ্যন্তরে শায়েস্তা খানের কন্যা পরীবিবির মাজার অবস্থিত।
১৯১০ সালে লালবাগ কেল্লা কে প্রত্নতত্ত্ব নির্দশন হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর আদি নাম কেল্লা আওরঙ্গবাদ।
লালবাগে অবস্থিত হওয়ায় পরে এর নামকরণ করা হয় লালবাগ কেল্লা।
২০৬. বেতবুনিয়া কোন জেলায় অবস্থিত?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ঝিলাম- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বেতবুনিয়া রাঙামাটি জেলায় অবস্থিত।
বেতবুনিয়া ভূ উপগ্রহটি বাংলাদেশের প্রথম ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র। এটি ১৯৭৫ সালে স্থাপিত হয়। এ ভূ উপগ্রহ টি পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটিতে অবস্থিত।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বাংলাদেশে ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র ৪টি। বেতবুনিয়া (রাঙ্গামাটি), ১৯৭৫; তালিবাবাদ (গাজীপুর), ১৯৮২; মহাখালী (ঢাকা), ১৯৯৫ এবং সিলেট, ১৯৯৭।
২০৭. বেতবুনিয়া উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্রটি স্থাপিত হয়-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ঝিলাম- ০৮.১১.১৩ 📖 24th BCS General Aug, 2003 📖 ১১তম বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন পরীক্ষা-(স্কুল/সমপর্যায়-২)-১২.১২.১৪
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বেতবুনিয়া উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্রটি স্থাপিত হয়- ১৯৭৫ সালে।
বাংলাদেশের ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র রয়েছে চারটি। বেতবুনিয়া রাঙ্গামাটি (১৯৭৫), তালিবাবাদ গাজীপুর (১৯৮২), মহাখালী ঢাকা (১৯৯৫) এবং সিলেট ভূ উপগ্রহ কেন্দ্র (১৯৯৭) সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বাংলাদেশে ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র ৪টি। বেতবুনিয়া (রাঙ্গামাটি), ১৯৭৫; তালিবাবাদ (গাজীপুর), ১৯৮২; মহাখালী (ঢাকা), ১৯৯৫ এবং সিলেট, ১৯৯৭।
২০৮. বাংলাদেশ মেশিন টুলস কারখানা অবস্থিত-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ঝিলাম- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বাংলাদেশ মেশিন টুলস কারখানা অবস্থিত- গাজীপুরে।
এটি ১৯৮০ সালে উৎপাদন শুরু করে। সরকার নিয়ন্ত্রিত কারখানাটি লোকসানের কারণে ১৯৯৪ সালে বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং ২০০০ সালের ৭ জুলাই এটি সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖দেশের একমাত্র মেশিন টুলস ফ্যাক্টরিটি কোথায় অবস্থিত গাজীপুরে। এটি আগে সরকারি মালিকানাধিন ছিলো, পরে অব্যাহত লোকসানের হাত থেকে বাচতে এই প্রতিষ্ঠানতিকে সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তর করা হয়।
২০৯. বাংলাদেশের টেলিফোন শিল্প সংস্থা অবস্থিত?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ঝিলাম- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বাংলাদেশের টেলিফোন শিল্প সংস্থা অবস্থিত টঙ্গীতে।
বাংলাদেশের টেলিফোন শিল্প সংস্থা রয়েছে ২ টি। একটি ঢাকার টঙ্গীতে অবস্থিত এবং অন্যটি খুলনা তে অবস্থিত।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বাংলাদেশের সরকারী প্রতিষ্ঠান টেলিফোন শিল্প সংস্থা (টেশিস) অবস্থিত টঙ্গীতে।
২১০. কসোভোর রাজধানী হচ্ছে---
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ডেলটা- ১৮.০৪.১৪ 📖 জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়➟2017➯খ ইউনিট 📖 জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়➟2007➯খ ইউনিট
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖কসোভোর রাজধানী হচ্ছে- প্রিস্টিনা।
২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি সার্বিয়ার কাছ থেকে কসোভো স্বাধীনতা অর্জন করে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖কসোভোর রাজধানী প্রিস্টিনা।
আলবেনিয়ার রাজধানী তিরানা।
হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্ট।
সাইপ্রাসের রাজধানী নিকোশিয়া।
২১১. ভুটানের আইনসভার নাম কি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ডেলটা- ১৮.০৪.১৪
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖ভুটানের আইনসভার নাম পার্লামেন্ট অব ভুটান।
এবং দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে। এই দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ একটি উচ্চকক্ষ, ন্যাশনাল কাউন্সিল বা জাতীয় পরিষদ এবং নিম্নকক্ষের জাতীয় পরিষদ নিয়ে গঠিত। বর্তমান সংসদীয় কাঠামো এককক্ষযুক্ত টশোগদু (জংখা: རྒྱལ་ཡོངས་ཚོགས་ཁང་ Tshogdu) দ্বারা ২০০৭ সালে প্রতিস্থাপিত হয়েছে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖২০০৭ পর্যন্ত নাম ছিল Tshogdu বা সোগডু।
বর্তমান আইনসভাকে পার্লামেন্ট বলে।
ভুটানের অফিশিয়াল সাইট থেকে -
Bhutan’s democratically elected Parliament is the highest legislative institution in the country.
It consists of His Majesty the Druk Gyalpo, the National Council and the National Assembly.
The Parliament is bicameral and follows Westminster Parliamentary systems.
His Majesty the King is the Head of State.
২১২. কে “ডেজার্ট ফক্স” নামে পরিচিতি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ডেলটা- ১৮.০৪.১৪
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖ফিল্ড মার্শাল রোমেল 'ডেজার্ট ফক্স' নামে পরিচিত।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি আফ্রিকা অঞ্চলে জার্মানির হয়ে মিত্রবাহিনীর বিপক্ষে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করায় আন্তর্জাতিক মহলে তিনি ডেজার্ট ফক্স নামে পরিচিতি পান।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖ফিল্ড মার্শাল রোমেল (১৮৯১ - ১৯৪৪) ছিলেন একজন জার্মান ফিল্ড মার্শাল।
তিনি ইতিহাসে ‘ডেজার্ট ফক্স’ বা ‘মরুভূমির শিয়াল’ নামে খ্যাত।
২১৩. নদী ছাড়া মহানন্দা কি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ডেলটা- ১৮.০৪.১৪ 📖 ১৬ তম শিক্ষক নিবন্ধন (কলেজ) প্রভাষক ৩০.০৮.১৯ 📖 ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধন- ২০১৯ ( কলেজ পর্যায়) পদের নাম : প্রভাষক ( ৩০-০৮.১৯)
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖নদী ছাড়া মহানন্দা হলো একটি আমের জাতের নাম।
এছাড়া বাঁধাকপির অন্য নাম ড্রামহেড।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖মহানন্দা, ল্যাংড়া, ফজলি, হাড়িভাঙ্গা, আম্রপালি, গোপালভোগ, সূর্যপুরী, হিমসাগর, মোহনভোগ প্রভৃতি আমের কতগুলো জাত।
২১৪. মানবদেহে অত্যাবশ্যকীয় এমিনো এসিড কোনটি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ডেলটা- ১৮.০৪.১৪
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖মানবদেহে অত্যাবশ্যকীয় এমিনো এসিড হল ফিনাইল এলানিন।
যে সকল অ্যামাইনো এসিড দেহের অভ্যন্তরে তৈরি হয় না কিন্তু প্রোটিন তৈরির জন্য অপরিহার্য তাদেরকে অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিড বলে। অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিড 9টি। যেমন: লাইসিন, লিউসিন, আইসো-লিউসিন, মিথিওনিন, ভ্যালিন, ফ্রিওনিন, ট্রিপটোফেন, ফিনাইল এলানিন, হিসটিডিন।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖অ্যামাইনো এসিড হচ্ছে আমিষ গঠনের একক।
আমিষ পরিপাক হওয়ার পর তা অ্যামাইনো এসিডে পরিণত হয়।
দেহগঠনে আমিষ সহায়তা করে থাকে।
এ পর্যন্ত আমাদের শরীরে ২০ ধরনের অ্যামাইনো এসিড আবিষ্কৃত হয়েছে।
এর মধ্যে অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিড ৮টি।
এগুলো হল লাইসিন, ট্রিপেটোফ্যান, মিথিওনিন, ভ্যালিন, লিউসিন, আইসোলিউসিন, ফিনাইল অ্যালানিন ও থ্রিওনাইন।
২১৫. রংধনুর সাতটি রঙের মধ্যে মধ্যম রঙ কোনটি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ডেলটা- ১৮.০৪.১৪ 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2003➯ঘ ইউনিট 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2001➯ঘ ইউনিট
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖রংধনুর সাতটি রঙের মধ্যে মধ্যম রঙ হলো সবুজ।
রংধনুর সাতটি রং কে সংক্ষেপে বেনীআসহকলা বলে। যেমন: বেগুনি, নীল, আসমানী, সবুজ, হলুদ, কমলা, লাল। এই সাতটি রং এরমধ্যে মধ্যম রঙ হলো সবুজ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖রংধনু সৃষ্টির বেলায় পানির কণাগুলো প্রিজমের কাজ করার মাধ্যমে পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের সৃষ্টি করে বলে আমরা রংধনু দেখতে পাই।
রংধনুতে ৭টি রং থাকে।
এগুলো হলো বেনীআসহকলা- বেগুনী, নীল, আসমানী, সবুজ, হলুদ, কমলা এবং লাল।
অর্থাৎ সাতটি রঙের মধ্যে মধ্যম রং - সবুজ।
২১৬. কোনটি চৌম্বক পদার্থ?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ডেলটা- ১৮.০৪.১৪ 📖 13th BCS General Apr, 1992 📖 গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল)-২৬.০৮.১১
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖চুম্বক পদার্থ হল কোবাল্ট।
যে সকল পদার্থকে চুম্বক আকর্ষণ করে তাদেরকে চৌম্বক পদার্থ বলে। উপরিউক্ত পদার্থগুলোর মধ্য শুধু কোবাল্ট কেই চুম্বক আকর্ষণ করে। পারদ, বিসমাথ, এন্টিমনি কে চুম্বক আকর্ষণ করে না।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖যে সকল পদার্থকে চুম্বক আকর্ষণ করে এবং যাদের চুম্বকে পরিণত করা যায় তাদেরকে চৌম্বক পদার্থ বলে।
যেমন- লোহা, লোহার সংকর ধাতু, নিকেল, কোবাল্ট ইত্যাদি।
যে সকল পদার্থকে চুম্বক আকর্ষণ করে না এবং যাদেরকে চুম্বকে পরিণত করা যায় না তাদেরকে অচৌম্বক পদার্থ বলে।
যেমন- বিসমাথ, অ্যান্টিমনি, পারদ, অ্যালুমিনিয়াম ইত্যাদি।
২১৭. যে সর্বোচ্চ শ্রুতি সীমার উপরে মানুষ বধির হতে পারে তা হচ্ছে---
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ডেলটা- ১৮.০৪.১৪ 📖 12th BCS General Apr, 1991
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖যে সর্বোচ্চ শ্রুতি সীমার উপরে মানুষ বধির হতে পারে তা হচ্ছে ১০৫ ডিবি।
শব্দ উৎসের কম্পাঙ্ক যদি ২০ থেকে ২০, ০০০ হার্জ এর মধ্যে হয় তাহলে মানুষ সেই শব্দ শুনতে পারে। কিন্তু শব্দের তীব্রতা ১০৫ ডেসিবেল সীমার উপরে হলে মানুষের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা নষ্ট করে মানুষকে বধির করে দিতে পারে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖শব্দের তীব্রতা পরিমাপের একক ডেসিবেল (ডিবি)।
শব্দের মাত্রা ৪৫ ডিবি হলেই সাধারণত মানুষ ঘুমাতে পারে না।
৮৫ ডিবিতে শ্রবণ শক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে এবং মাত্রা ১২০ ডিবি হলে কানে ব্যথা শুরু হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) মতানুসারে, সাধারণত ৬০ ডিবি শব্দ একজন মানুষকে সাময়িকভাবে বধির করে ফেলতে পারে এবং ১০০ ডিবি শব্দ সম্পূর্ণ বধিরতা সৃষ্টি করতে পারে।
বাংলাদেশের পরিবেশ অধিদপ্তরের জরিপ অনুসারে, যেকোন ব্যক্তি যেকোন স্থানে আধঘণ্টা বা তার অধিক সময় ধরে ঘটা ১০০ ডিবি বা তার অধিক শব্দ দূষণের ফলে বধির হয়ে যেতে পারে।
২১৮. ইন্টারনেটের মাধ্যমে উন্নত চিকিৎসা পদ্ধতিকে বলা হয় ---
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ডেলটা- ১৮.০৪.১৪
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖ইন্টারনেটের মাধ্যমে উন্নত চিকিৎসা পদ্ধতিকে বলা হয় টেলিমেডিসিন।
টেলিমেডিসিন হলো টেলিফোন ইন্টারনেট বা অন্যান্য নেটওয়ার্কের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য বা সেবা প্রদানের আধুনিক পদ্ধতি। জরুরী পরিস্থিতিতে বা দুর্গম এলাকায় টেলিফোন বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে ভিডিও কনফারেন্সিং এর সাহায্যের সেবা প্রদান করা হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দূরবর্তী স্থান থেকে কিংবা রোগী কে চাক্ষুষ না দেখেও চিকিৎসা সেবা প্রদানের পদ্ধতিকে টেলিমেডিসিন বলে।
এ পদ্ধতিতে চিকিৎসকরা স্বাস্থ্য সেবা সম্পর্কিত পরামর্শ প্রদানের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সার্জারিতেও অংশ নিয়ে থাকে।
ইন্টারনেটের ব্যাপক প্রসারের ফলে দূরবর্তী স্থানেও টেলিমেডিসিন সেবার মাধ্যমে উন্নত চিকিৎসা সেবা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে।
২১৯. কম্পিউটারের প্রথম প্রোগ্রামিং ভাষা কোনটি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ডেলটা- ১৮.০৪.১৪
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖কম্পিউটারের প্রথম প্রোগ্রামিং ভাষা- Fortran.
বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারযোগ্য প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ভাষা FORTRAN (১৯৫৭)।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖প্রোগ্রামিং ভাষা তত্ত্ব কম্পিউটার বিজ্ঞানের একটি শাখা যা অঙ্কণ বা নকশা বাস্তবায়ন, বিশ্লেষণ, বৈশিষ্ট্য প্রদান, প্রোগ্রামিং ভাষা'র শ্রেণীবিভাগ এবং তাদের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের সাথে সম্পর্কিত।
John Backjar 1957 সালে প্রথম আবিষ্কার করেন প্রোগ্রামিং ভাষা FORTRAN (Formula Translation).
২২০. ”হাইল হাওর” কোন জেলায় অবস্থিত?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ডেলটা- ১৮.০৪.১৪
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖”হাইল হাওর” মৌলভীবাজার জেলায় অবস্থিত।
হাইল হাওর সিলেটের মৌলভিবাজার জেলার সদর ও শ্রীমঙ্গল উপজেলা জুড়ে বিস্তৃত। এতে রয়েছে ১৪ টি বিল এবং পানি নিস্কাশনের ১৩ টি নালা। এই হাওরটির মোট আয়তন ১০ হাজার হেক্টর; যার ৪ হাজার হেক্টর প্লাবন ভূমি, ৪ হাজার ৫১৭ হেক্টর হাওর, ১ হাজার ৪০০ হেক্টর বিল, ৪০ হেক্টর খাল এবং ৫০ হেক্টর নদী।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বাংলাদেশের হাওরাঞ্চলে মোট ৩৭৩টি হাওর রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় হাওর হলো হাকালুকি হাওর। এটি সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলা জুড়ে বিস্তৃত। এর আয়তন ২১,৫০০ হেক্টর৷
অন্যদিকে সুনামগঞ্জ জেলায় অবস্থিত টাঙ্গুয়ার হাওরের আয়তন ১১,৭০০ হেক্টর।
মৌলভীবাজারে অবস্থিত হাইল হাওরের আয়তন ১৫,৬০০ হেক্টর।
সিলেটে সর্বাধিক ১০৫টি, কিশোরগঞ্জে ৯৭টি এবং সুনামগঞ্জে ৯৫টি হাওর রয়েছে।
২২১. ”শহীদ আসাদ দিবস” পালিত হয় কবে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ডেলটা- ১৮.০৪.১৪
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖”শহীদ আসাদ দিবস” পালিত হয় ২০ জানুয়ারি।
গণঅভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র আসাদ। ২০ জানুয়ারি ১৯৬৯ সালে পুলিশের গুলিতে তিনি শহীদ হন। আসাদের স্মরণে ঢাকার মোহাম্মদপুরে 'আইয়ুব গেট' এর পরিবর্তে 'আসাদ গেট' নামকরণ করা হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖শহীদ আসাদ দিবস ২০ জানুয়ারি।
১৯৬৯ সালের এই দিনে গণঅভ্যুত্থান চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ছাত্র আসাদ পুলিশের গুলিতে নিহত হন।
পরবর্তীতে আসাদের স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য ঢাকার মোহাম্মদপুরে 'আইয়ুব গেট' এর নাম পরিবর্তন করে 'আসাদ গেট' নামকরণ করা হয়।
২২২. সুলতানী আমলে বাংলার রাজধানীর নাম ছিল-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ডেলটা- ১৮.০৪.১৪ 📖 16th BCS General Apr, 1994 📖 জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ইন্সপেক্টর/এপ্রেইজার/প্রিভেন্টিভ অফিসার/গোয়েন্দা কর্মকর্তা-০৪.০৬.১০
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖সুলতানী আমলে বাংলার রাজধানীর নাম ছিল গৌর এবং সোনারগাঁও।
সুলতানি আমলে বাংলার রাজধানী ছিল প্রথমে সোনারগাঁও (১৩৩৮-১৩৫২)। তারপর রাজধানী স্থানান্তর হয় গৌড়ে (১৪৫০-১৫৬৫)।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖সুলতানী আমলে বাংলার রাজধানী ছিল প্রথমে সোনারগাঁও (১৩৩৮-১৩৫২ খ্রি.)।
পরে রাজধানী স্থানান্তরিত হয় গৌড়ে (১৪৫০-১৫৬৫ খ্রি.)।
২২৩. রাশিয়ার মুদ্রার নাম ---
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ডেলটা- ১৮.০৪.১৪
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖রাশিয়ার মুদ্রার নাম 'রুবল'।
রাশিয়ার মুদ্রার নাম রুশ রুবল।
রাশিয়ায় সর্বপ্রথম দশমিক মূদ্রার প্রচলন করেন।
রাশিয়ায় যে সকল ধাতব মূদ্রা প্রচলিত তা হলোঃ ১০ কোপেক/ ৫০ কোপেক/ ১ রুবল/ ২ রুবল/ ৫ রুবল/ ১০ রুবল/ ২৫ রুবল
রাশিয়ায় যে সকল কাগজের মূদ্রা সমূহ চালু আছেঃ ৫ রুবল/ ১০ রুবল/ ৫০ রুবল/ ১০০ রুবল/ ৫০০ রুবল/ ১০০০ রুবল/ ৫০০০ রুবল
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖আয়তনে বিশ্বের বৃহত্তম দেশ রাশিয়া। দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ কানাডার চেয়ে এর আয়তন প্রায় দ্বিগুণ। পূর্ব ইউরোপ ও উত্তর এশিয়াজুড়ে রাশিয়া বিস্তৃত। দেশটির সরকারি নাম রুশ ফেডারেশন। রাজধানী মস্কো রাশিয়ার বৃহত্তম শহর। এটি দেশের প্রধান প্রশাসনিক, বাণিজ্যিক, শিল্প ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।
❖পৃথিবীর মোট আবাসযোগ্য জমির আট ভাগের এক ভাগ পড়েছে রাশিয়ায়। আয়তনের বিশালত্বের কারণে দেশটি নয়টি সময় অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত। ২০১২ সালের হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বের নবম জনবহুল দেশ রাশিয়া। এটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। বিশ্বের পারমাণবিক শক্তিধর শীর্ষ পাঁচটি দেশের অন্যতম এটি।
❖রাশিয়া একসময় সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর পৃথক রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে দেশটি। সাংবিধানিকভাবে বিশ্বের প্রথম সমাজতান্ত্রিক দেশ রাশিয়া।
❖রাশিয়ার সরকারব্যবস্থা বহুদলীয় গণতন্ত্র। জনগণের সরাসরি ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করা হয়। দেশটির পার্লামেন্টের নাম ডুমা। এটি উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ দুই ভাগে বিভক্ত। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় ভাষা রুশ। প্রায় ৮০ শতাংশ লোক এ ভাষায় কথা বলে। দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে রুশ ছাড়া আরও ২৭টি ভাষা প্রচলিত আছে। রাশিয়ার বেশির ভাগ মানুষ খ্রিষ্টান। মুসলমানেরা প্রধানত থাকেন ভলগা তাতারস, বশখিরস ও তাতার অঞ্চলে।
❖রাশিয়ার অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি প্রাকৃতিক সম্পদ। তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস ১৯৯৮ সালের অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে দেশটিকে সহায়তা করে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ‘গ্যাজপ্রম’ বিশ্বের সবচেয়ে বড় গ্যাস উত্পাদনকারী ও রপ্তানিকারী প্রতিষ্ঠান। ইউরোপের ক্রমবর্ধমান গ্যাস চাহিদা মিটিয়ে চলেছে গ্যাজপ্রম। দেশটির মুদ্রার নাম রুবল। রাশিয়া শীতপ্রধান দেশ। দেশটি সারা বছর হিমশীতল আবহাওয়া থাকে।
২২৪. বিশ্বের কোন নগরটি দুটি মহাদেশে অবস্থিত?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ডেলটা- ১৮.০৪.১৪
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖তুরস্কের ইস্তাম্বুল নগরটি দুটি মহাদেশে অবস্থিত।
বসফরাস প্রণালি যা ইস্তাম্বুল কে দুই ভাগে বিভক্ত করে এক অংশকে এশিয়ার সাথে এবং অন্য অংশকে ইউরোপের সাথে যুক্ত করেছে। অন্যদিকে বসফরাস প্রণালী কৃষ্ণসাগর ও মরর সাগরকে যুক্ত করেছে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖দুই মহাদেশে অবস্থিত নগরী হচ্ছে তুরস্কের ইস্তানবুল।
এটি এশিয়া ও ইউরোপ দুই মহাদেশে পড়েছে।
এর পুরোনো নাম কন্সটান্টিনোপল।
এছাড়া এটি বাইজান্টিয়াম নামেও পরিচিত ছিল।
২২৫. ”শাহনামা” কোন ভাষায় রচিত?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ডেলটা- ১৮.০৪.১৪ 📖 23rd BCS General Mar, 2001 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2017➯A ইউনিট
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖”শাহনামা” মহাকাব্য টি ফারসি ভাষায় রচিত।
সুলতান মাহমুদের সভাকবি ফেরদৌসীর শাহনামার রচয়িতা। সোহরাব রুস্তমের ট্রাজেডি শাহনামা কে অনেক গুণে অলংকৃত করেছে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖‘শাহনামা’ মহাকাব্যের রচয়িতা পার্সিয়ান কবি ফেরদৌসী।
এটি ফারসি ভাষায় রচিত হয়েছে।
এই মহাকাব্যটি পারস্যের বা ইরানের অন্যতম প্রসিদ্ধ সাহিত্য।
২২৬. যমুনা নদী কোথায় পতিত হয়েছে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ডেলটা- ১৮.০৪.১৪ 📖 24th BCS (Cancelled) Feb, 2003 📖 11th BCS General Oct, 1991
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖যমুনা নদী গোয়ালন্দের নিকট পদ্মা নদীতে পতিত হয়েছে।
এরপর পদ্মা-যমুনার একত্রিত প্রবাহ পদ্মা নামে প্রবাহিত হয়ে চাঁদপুরে মেঘনার সাথে মিলিত হয়ে মেঘনা নামে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖যমুনা নদীঃ
ব্রহ্মপুত্র-যমুনা বাংলাদেশের দ্বিতীয় এবং বিশ্বের দীর্ঘতম নদীসমূহের মধ্যে অন্যতম।
তিববত, চীন, ভারত এবং বাংলাদেশের ভূখন্ড জুড়ে রয়েছে এর অববাহিকা অঞ্চল।
প্রকৃতপক্ষে ব্রহ্মপুত্র নদের নিম্ন প্রবাহ যমুনা নামে অভিহিত।
১৭৮২ থেকে ১৭৮৭ সালের মধ্যে সংঘটিত ভূমিকম্প ও ভয়াবহ বন্যার ফলে ব্রহ্মপুত্রের তৎকালীন গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে বর্তমান কালের যমুনা নদীর সৃষ্টি হয়।
জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরাবাদ নামক স্থানে ব্রহ্মপুত্র নদ তার পুরানো গতিপথ পরিবর্তন করে দক্ষিণাভিমুখী যমুনা নদী নামে প্রবাহিত হয়ে আরিচায় গঙ্গা (পদ্মা) নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে।
২২৭. বাংলাদেশের উপর দিয়ে যে ভৌগোলিক কাল্পনিক রেখা গেছে তার নাম কি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ডেলটা- ১৮.০৪.১৪
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বাংলাদেশের উপর দিয়ে যে ভৌগোলিক কাল্পনিক রেখা গেছে তার নাম কর্কট ক্রান্তীয় রেখা।
পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠের উপর দিয়ে উত্তর এবং দক্ষিণ মেরু সংযোগকারী রেখাকে দ্রাঘিমা রেখা বলে। নিরক্ষরেখা বা বিষুবরেখার উত্তর অক্ষাংশ কর্কটক্রান্তি এবং দক্ষিণ অংশকে মকর ক্রান্তি রেখা বলে। পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠের উপর দিয়ে উত্তর ও দক্ষিণ মেরু সংযোগকারী রেখাকে দ্রাঘিমা রেখা বলে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বাংলাদেশের মাঝামাঝি স্থান দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা (ট্রপিক অব ক্যান্সার) অতিক্রম করেছে।
চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, মাগুরা, রাজবাড়ী ফরিদপুর, ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ, নারায়নগঞ্জ, কুমিল্লা, খাগড়াছড়ি, ও রাঙ্গামাটি জেলার ওপর দিয়ে এ রেখা অতিক্রম করেছে।
অন্যদিকে বরিশাল, গোপালগঞ্জ, পিরোজপুর ও বরগুনা জেলার ওপর দিয়ে ৯০° দ্রাঘিমা রেখা অতিক্রম করেছে।
২২৮. বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন বিহার কোনটি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ডেলটা- ১৮.০৪.১৪ 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দাজলা- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের হিসাবমতে, বাংলাদেশে মোট ৫১৭টি প্রত্নতাত্ত্বিক সাইট রয়েছে।
এক্ষেত্রে, প্রশ্নে উল্লেখিত সাইটগুলোর সংক্ষিপ্ত বিবরণ হচ্ছে -
সিতাকোট বিহার:
দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলায় সিতাকোট বিহার অবস্থিত।
বিহারটিতে মোট ৪১টি প্রায় সমআয়তনের কক্ষ ছিল। এই কক্ষগলি একটি প্রশস্ত টানা বারান্দার সংগে যুক্ত ছিল। সীতাকোট বিহার আঙ্গিনার মধ্যবর্তী স্থানে কোন প্রধান মন্দির ছিলনা।
এখানে পাহাড়পুর,শালবন বিহার এবং আনন্দ বিহারের মত ঐতিহ্যবাহী পোড়ামাটির ফলক দেখা যায়না। তবে আকার আয়তনের দিক থেকে এই বিহারের সংগে বগুড়ায় অবস্থিত ভাসু বিহার এর অনেক মিল রয়েছে।
সীতাকোট বিহার থেকে প্রাপ্ত দুইটি ব্রোঞ্জ মূর্তির গঠন শৈলী থেকে অনুমান করা যায় যে, এগুলি ৭ম-৮ম শতাব্দীতে তৈরী।
সময়কাল - খ্রিঃ ৭ম-৮ম শতক।
সোমপুর বিহার:
পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার বা সোমপুর বিহার বা সোমপুর মহাবিহার বর্তমানে ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার।
পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপালদেব অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকে এই বিহার তৈরি করছিলেন।
১৮৭৯ সালে স্যার কানিংহাম এই বিশাল কীর্তি আবিষ্কার করেন। ১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা দেয়।
সময়কালঃ অষ্টম-নবম শতক (আনুমানিক ৭৭০ - ৮১০ খিঃ)
শালবন বিহার:
বাংলাদেশের অন্যতম প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন কুমিল্লার শালবন বিহার যা দেব সাম্রাজ্যের কীর্তি। এটি দেববংশের চতুর্থ রাজা ভবদেব খ্রিস্টীয় আট শতকে নির্মাণ করেন।
আসল নাম ''ভবদেব মহাবিহার''।
সময়কালঃ অষ্টম শতক
আনন্দ বিহার:
আনন্দবিহার প্রত্নতাত্ত্বিক দিক থেকে সমৃদ্ধ কুমিল্লার নিকটবর্তী কোটবাড়ি এলাকায় অবস্থিত। বিহারটি নির্মাণ করেন - প্রথম দেববংশের তৃতীয় শাসক শ্রী আনন্দ দেব।
সময়কাল - অষ্টম শতক।
২২৯. প্রেসার কুকারে পানির স্ফুটনাংক---
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ডেলটা- ১৮.০৪.১৪
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖প্রেসার কুকারে পানির স্ফুটনাঙ্ক বেশি হয়।
বায়ুর চাপ যত বৃদ্ধি পায় পানি বা তরলের স্ফুটনাংক তত বৃদ্ধি পায়। প্রেসার কুকারে বাষ্পের বহির্গমন নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ চাপ বৃদ্ধির ফলে পানি ১২০°সে. বা আরো বেশি উষ্ণতায় ফুটানো যায়। প্রেসার কুকারে রান্না তাড়াতাড়ি হওয়ার কারণ উচ্চ চাপ প্রয়োগে তরলের স্ফুটনাংক বৃদ্ধি পায়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖প্রেসার কুকারে পানির স্ফুটনাংক স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে।
স্থির আয়তনে প্রেসার কুকারে উচ্চ চাপের সৃষ্টি হয়।
এতে পানির স্ফুটনাংক বেড়ে যায়।
পানির স্ফুটনাংক (১০০°C) এর চেয়ে বেশি থাকার কারণে প্রেসার কুকারে কোনো জিনিস তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হয়।
২৩০. লালবাগ কেল্লার আদি নাম-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দাজলা- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের তৃতীয় পুত্র শাহজাদা মোহাম্মদ আজম শাহ ১৬৭৮ খ্রিস্টাব্দে লালবাগ কেল্লার নির্মাণ কাজ শুরু করেন। পরবর্তীতে শায়েস্তা খান নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করেন। লালবাগ কেল্লার পূর্বনাম ছিল আওরঙ্গবাদ দুর্গ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 লালবাগ কেল্লা:
❐ - একদম শুরুর দিকে এই কেল্লার নাম ছিল “আওরঙ্গবাদ দুর্গ”।
▣ সর্বপ্রথম লালবাগ কেল্লার নির্মাণ কাজ শুরু করেন আজম শাহ।
▣ লালবাগ কেল্লার নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৬৭৮ সালে।
▣ তৎকালীন মুঘল সম্রাট আজম শাহ এর নির্মাণ কাজ শুরু করেন।
▣ আজম শাহ ছিলেন মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব এর পুত্র আর সম্রাট শাহ জাহানের নাতি।
▣ কেল্লার চত্বরে তিনটি স্থাপনা রয়েছে-
❐ ১। কেন্দ্রস্থলের দরবার হল ও হাম্মাম খানা।
❐ ২। পরীবিবির সমাধি।
❐ ৩। উত্তর পশ্চিমাংশের শাহী মসজিদ।
২৩১. ”আনন্দ বিহার” কোথায় অবস্থিত?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দাজলা- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖'আনন্দ বিহার' কুমিল্লার ময়নামতিতে অবস্থিত।
অষ্টম শতকে রাজা আনন্দ দেব কুমিল্লার ময়নামতি শালবন বিহার এবং আনন্দ বিহার নির্মাণ করেন।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 আনন্দবিহার:
❐ - আনন্দবিহার প্রত্নতাত্ত্বিক দিক থেকে সমৃদ্ধ কুমিল্লার নিকটবর্তী ময়নামতির কোটবাড়ি এলাকায় অবস্থিত।
▣ এ বিহার ময়নামতিতে আবিষ্কৃত সৌধমালার মধ্যে সর্ববৃহৎ।
▣ এ এলাকার সর্ববৃহৎ পুষ্করিণীসহ আনন্দবিহার কমপ্লেক্সটি সাত শতকের শেষ বা আট শতকের প্রথম দিকের কোনো এক সময়ে প্রথম দেববংশের তৃতীয় শাসক শ্রী আনন্দ দেব কর্তৃক নির্মিত হয়।
▣ এ যাবৎ যতখানি কাজ হয়েছে তাতে এখানে শালবন বিহারের মতো একটি বিশাল বিহারের রূপরেখা পরিদৃষ্ট হয়।
▣ বর্গাকৃতি এ বিহারের প্রত্যেক দিকের পরিমাপ ১৯৮ মিটার।
▣ এ বিহারের বিশাল আকার এবং এখানে আবিষ্কৃত একটি তাম্রশাসন, ৬৩টি রৌপ্য মুদ্রা, বহুসংখ্যক ব্রোঞ্জমূর্তি ও পোড়ামাটির ভাস্কর্য ফলক এবং মঠের বাইরে মৃৎপাত্র পোড়ানোর একটি ভাঁটির অস্তিত্ব এ প্রত্নস্থলের সম্ভাবনাময় গুরুত্বের ইঙ্গিতবহ।
২৩২. কোন মোঘল সম্রাট বাংলার নাম দেন “জান্নাতাবাদ”?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দাজলা- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖মুঘল সম্রাট হুমায়ুন বাংলার নাম দেন 'জান্নাতাবাদ'।
মুঘল সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় সম্রাট নাসির উদ্দিন মুহাম্মদ হুমায়ুন বাংলায় এসে বাংলার আবহাওয়া ভূ প্রকৃতি এবং অফুরন্ত সম্পদ দেখে বাংলার নাম রাখেন জান্নাতাবাদ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 হুমায়ুন:
▣ হুমায়ুন (১৫৩০-১৫৫৬) মুগল সম্রাট বাবরের জ্যেষ্ঠ পুত্র।
▣ ১৫৩০ খ্রিস্টাব্দে পিতার উত্তরাধিকারী হিসেবে দিল্লির সিংহাসনে আরোহণ করেন।
❐ - সম্রাট হুমায়ুন বাংলার রাজধানীর নতুন নামকরণ করেন 'জান্নাতাবাদ'।
▣ হুমায়ূন এখানে ছয়মাস অবস্থান করেন।
২৩৩. সতীদাহ প্রথা রহিত হয় কোন সালে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দাজলা- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖সতীদাহ প্রথা রহিত হয় ১৮২৯ সালে।
রাজা রামমোহন রায়ের সক্রিয় সহযোগিতায় লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক ১৮২৯ সালের ৪ ডিসেম্বর সতীদাহ প্রথা বিলুপ্ত করেন। হিন্দু সমাজে প্রচলিত সহমরণ প্রথা বা সতীদাহ প্রথা রোধের উদ্দেশ্যে রাজা রামমোহন রায় হিন্দু শাস্ত্রের নানা প্রমাণ দাখিল করে সরকারি পর্যায়ে এই কুপ্রথা বিলোপের প্রয়াস পান।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 সতীদাহ প্রথা:
▣ সতীদাহ প্রথা স্বামীর শব দাহের সঙ্গে বিধবা স্ত্রীকে জীবন্ত দাহ করার পূর্বেকার হিন্দুধর্মীয় প্রথা।
❐ - সতীদাহ প্রথা রহিত হয় ১৮২৯ সালে।
▣ গভর্নর জেনারেল লর্ড উইলিয়ম বেন্টিঙ্ক (১৮২৮-১৮৩৩) রেগুলেশন XVII, ১৮২৯ পাস করেন।
▣ ঊনিশ শতকে এই প্রথার বিরুদ্ধে ব্যাপকহারে সাধারণ জনমত গড়ে ওঠার পূর্ব পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও পূর্বের চেয়ে সীমিত পরিসরে হলেও এর অনুশীলন অব্যাহত ছিল।
▣ ঊনিশ শতকের শেষের দিকে অমানবিক প্রথা হিসেবে সতীদাহ প্রথার পূর্ণ উচ্ছেদ ঘটে।
২৩৪. বাংলাদেশের প্রথম যাদুঘর কোনটি
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দাজলা- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
৩
ব্যাখ্যাঃ
🔖বাংলাদেশের প্রথম যাদুঘর বরেন্দ্র যাদুঘর।
বাংলাদেশের প্রথম জাদুঘর 'বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর' ১৯১০ সালের ১০ ডিসেম্বর রাজশাহীতে স্থাপিত হয়। বর্তমানে জাদুঘরটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের।
২৩৫. বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন বিহার কোনটি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দাজলা- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
সীতাকোট বিহার বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার।
এটি দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত।
এটি ১৯৬৮ সালে প্রত্নতাত্ত্বিক খননের মাধ্যমে আবিষ্কৃত হয়।
স্থানীয়দের কাছে এই স্থানটি ' দেবী সীতার' বাসস্থান হিসেবে পরিচিত।
প্রাচীন বৌদ্ধবিহারঃ
বৌদ্ধবিহার – অবস্থান – নির্মাতা – নির্মাণকাল
সীতাকোট বিহার – নবাবগঞ্জ, দিনাজপুর - পঞ্চম বা ষষ্ঠ শতকে
সোমপুর বিহার – পাহাড়পুর, নওগাঁ – পাল রাজা ধর্মপাল – অষ্টম শতক
শালবন বিহার – ময়নামতি, কুমিল্লা – দেবরাজা ভবদেব – অষ্টম শতক
আনন্দ বিহার – ময়নামতি, কুমিল্লা – দেবরাজা আনন্দদেব – অষ্টম শতক
ভোজ বিহার – কুমিল্লা
মহামুনি বিহার – রাউজান, চট্টগ্রাম
রাজবন বৌদ্ধ বিহার – কাপ্তাই, রাঙামাটি
জগদ্দল বিহার – ধামুইরহাট, নওগা – রাজা রামপাল
হলুদ বিহার – নওগাঁ
ভাসু বা বসু বিহার – মহাস্থান গড়, বগুড়া
শাক্যমুনি বিহার – মিরপুর, ঢাকা
বিক্রমশীল মহাবিহার – অচিন্তক, বিহার, ভারত
সূত্রঃ
বাংলাপিডিয়া।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের হিসাবমতে, বাংলাদেশে মোট ৫১৭টি প্রত্নতাত্ত্বিক সাইট রয়েছে।
এক্ষেত্রে, প্রশ্নে উল্লেখিত সাইটগুলোর সংক্ষিপ্ত বিবরণ হচ্ছে -
সিতাকোট বিহার:
দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলায় সিতাকোট বিহার অবস্থিত।
বিহারটিতে মোট ৪১টি প্রায় সমআয়তনের কক্ষ ছিল। এই কক্ষগলি একটি প্রশস্ত টানা বারান্দার সংগে যুক্ত ছিল। সীতাকোট বিহার আঙ্গিনার মধ্যবর্তী স্থানে কোন প্রধান মন্দির ছিলনা।
এখানে পাহাড়পুর,শালবন বিহার এবং আনন্দ বিহারের মত ঐতিহ্যবাহী পোড়ামাটির ফলক দেখা যায়না। তবে আকার আয়তনের দিক থেকে এই বিহারের সংগে বগুড়ায় অবস্থিত ভাসু বিহার এর অনেক মিল রয়েছে।
সীতাকোট বিহার থেকে প্রাপ্ত দুইটি ব্রোঞ্জ মূর্তির গঠন শৈলী থেকে অনুমান করা যায় যে, এগুলি ৭ম-৮ম শতাব্দীতে তৈরী।
সময়কাল - খ্রিঃ ৭ম-৮ম শতক।
সোমপুর বিহার:
পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার বা সোমপুর বিহার বা সোমপুর মহাবিহার বর্তমানে ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার।
পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপালদেব অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকে এই বিহার তৈরি করছিলেন।
১৮৭৯ সালে স্যার কানিংহাম এই বিশাল কীর্তি আবিষ্কার করেন। ১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা দেয়।
সময়কালঃ অষ্টম-নবম শতক (আনুমানিক ৭৭০ - ৮১০ খিঃ)
শালবন বিহার:
বাংলাদেশের অন্যতম প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন কুমিল্লার শালবন বিহার যা দেব সাম্রাজ্যের কীর্তি। এটি দেববংশের চতুর্থ রাজা ভবদেব খ্রিস্টীয় আট শতকে নির্মাণ করেন।
আসল নাম ''ভবদেব মহাবিহার''।
সময়কালঃ অষ্টম শতক
আনন্দ বিহার:
আনন্দবিহার প্রত্নতাত্ত্বিক দিক থেকে সমৃদ্ধ কুমিল্লার নিকটবর্তী কোটবাড়ি এলাকায় অবস্থিত। বিহারটি নির্মাণ করেন - প্রথম দেববংশের তৃতীয় শাসক শ্রী আনন্দ দেব।
সময়কাল - অষ্টম শতক।
২৩৬. প্রথম শহীদ স্মৃতিস্তম্ভটি তৈরি করা হয় ১৯৫২ সালের কোন তারিখে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দাজলা- ০৮.১১.১৩ 📖 বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ-(প্রকিউরমেন্ট অফিসার / ইন্সপেক্টর)-9.21
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖প্রথম শহীদ স্মৃতিস্তম্ভটি তৈরি করা হয় ১৯৫২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি।
ভাষা শহীদদের স্মৃতি রক্ষার্থে প্রথম শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা হয় ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ সালে এবং ২৪ ফেব্রুয়ারি উদ্বোধন করেন শহীদ শফিউরের পিতা। ২৬ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে শহীদ মিনারের উদ্বোধন করেন আজাদ পত্রিকার সম্পাদক জনাব আবুল কালাম শামসুদ্দীন।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 প্রথম শহীদ মিনার:
❐ - ১৯৫২ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্রদের উদ্যোগে বর্তমান শহিদ মিনারের দক্ষিণ- পূর্ব পাশে প্রথম শহীদ মিনার নির্মিত হয়।
▣ এটি ২৪ ফেব্রুয়ারি শহিদ শফিউরের পিতা মাহবুবুর রহমান অনানুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেন।
▣ ২৬ ফেব্রুয়ারি দৈনিক আজাদ পত্রিকার সম্পাদক আবুল কালাম শামসুদ্দিন আনুষ্ঠানিক ভাবে এই শহীদ মিনার উদ্বোধন করেন।
▣ ঐ দিন বিকেলবেলা পুলিশ এটি ভেঙে ফেলে।
▣ এরপর ১৯৬৩ সালে হামিদুর রহমানের নকশায় নির্মিত শহিদ মিনার উদ্বোধন করেন শহীদ আবুল বরকতের মা হাসিনা বেগম।
২৩৭. রূপসা নদীর উপর নির্মিত খানজাহান আলী সেতুর দৈর্ঘ্য কত?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দাজলা- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖রূপসা নদীর উপর নির্মিত খানজাহান আলী সেতুর দৈর্ঘ্য ১৩৬০ মিটার।
খুলনার রূপসা নদীর ওপর খানজাহান আলী সেতু নির্মাণ করা হয় ২০০৫ সালে। সেতুটির দৈর্ঘ্য ১.৩৬ কিঃমিঃ বা ১৩৬০ মিটার এবং প্রস্থ ১৬.৪৮ মিটার।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 খান জাহান আলী সেতু:
▣ রূপচাঁদ সাহার কাটা খালটি আজ বিশাল রূপসা নদী।
▣ যা দেখে জীবনানন্দ দাশ মুগ্ধ হয়ে লিখেছিলেন: “রূপসার ঘোলা জলে হয়তো কিশোর এক সাদা ছেড়া পালে ডিঙ্গা বায়; রাঙা মেঘ সাঁতরায়ে অন্ধকারে আসিতেছে নীড়ে।
▣ সেই রূপসা নদীর ওপর একটি সেতু হয়েছে লোকে বলে রূপসা সেতু।
▣ পোশাকি নাম খানজাহান আলী সেতু।
❐ - সেতুটির দৈর্ঘ্য ১৩৬০ মিটার।
২৩৮. সুন্দরবনের পশ্চিমে কোন নদী অবস্থিত?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দাজলা- ০৮.১১.১৩ 📖 ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়➟2013➯B ইউনিট
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖সুন্দরবনের পশ্চিমে রায়মঙ্গল নদী অবস্থিত।
এটি সাতক্ষীরা জেলার অন্তর্গত। মাতামুহুরী নদী টি কক্সবাজার, পশুর নদী খুলনা এবং বলেশ্বর নদী পিরোজপুর জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 রায়মঙ্গল নদী:
▣ ইছামতি-কালিন্দী-রায়মঙ্গল মূলত একই নদী, বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন নামে পরিচিত। ইহা
▣ একটি জোয়ারে মোহনার নদী। ইছামতি নদী সাতক্ষীরা জেলার পশ্চিম প্রান্ত দিয়ে কালিন্দী নামে প্রবাহিত হয়ে আরও দক্ষিণে সুন্দরবনের ভিতর প্রবেশের পর রায়মঙ্গল নাম ধারণ করে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে।
❐ - সুন্দরবনের পশ্চিমে রায়মঙ্গল নদী অবস্থিত।
▣ মোহনায় রায়মঙ্গল নদীর মুখ ফানেলের মতো। একসময় এই পথে স্টিমার সার্ভিস কলকাতা থেকে বরিশাল হয়ে বাংলাদেশের অন্যান্য বন্দরে চলাচল করতো।
▣ রায়মঙ্গল জোয়ারভাটা দ্বারা প্রভাবিত নদী এবং এর পানি লবণাক্ত।
২৩৯. ব্রহ্মপুত্র কোথায় বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দাজলা- ০৮.১১.১৩ 📖 22nd BCS General Feb, 2001 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -বাগানবিলাস- ১২.১০.১২
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖ব্রহ্মপুত্র কুড়িগ্রাম জেলা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
ব্রহ্মপুত্র হিমালয়ের কৈলাস শৃঙ্গের নিকটে মানস সরোবর হ্রদ থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। এই নদীটি কুড়িগ্রাম জেলার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ প্রবেশ করেছে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ব্রহ্মপুত্র নদ:
❐ - কুড়িগ্রাম জেলার উত্তরপূর্ব দিক এবং আসামের (ভারত) ভবানীপুরের পূর্ব দিক দিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
▣ প্রথমে দক্ষিণ দিকে এবং পরবর্তীতে দক্ষিণপূর্ব দিকে মোড় নিয়ে মধুপুর গড়ের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ভৈরব বাজারের কাছে মেঘনা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে।
▣ মেঘনা নদীর সঙ্গে মিলিতভাবে ব্রহ্মপুত্র নদ বঙ্গীয় বদ্বীপ গঠনে প্রধান ভূমিকা পালন করে চলেছে। দেশের প্রধান নদনদীর মধ্যে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা সর্বাধিক শক্তিশালী। - গঙ্গা নদীর তুলনায় ক্ষুদ্রতর নিষ্কাশন অববাহিকা থাকা সত্ত্বেও ব্রহ্মপুত্র-যমুনার রয়েছে অধিকতর নতিমাত্রা, অধিকতর প্রবাহ এবং গঙ্গার তুলনায় এটি অধিকতর পলি বহন ও ধারণ করে থাকে।
২৪০. বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) কোথায় অবস্থিত?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দাজলা- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) সাভারে অবস্থিত।
বিকেএসপি ঢাকা সাভারের জিরানিতে ১৯৮৬ সালের ১৪ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 বিকেএসপি:
▣ বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৪ সালে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অধীনে প্রকল্প আকারে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব স্পোর্টস (বিআইএস) প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করে।
▣ ১৯৭৬ সালে এ প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়।
▣ ১৯৮৩ সালে এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে এর নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) রাখা হয়।
▣ বিকেএসপির নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা কার্যক্রম চালু হয় ১৯৮৬ সালে।
❐ - সাভারের জিরানীতে ১১৯ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠানটি অবস্থিত।
▣ বিকেএসপি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি বিধিবদ্ধ স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান।
▣ প্রতিষ্ঠানের ৪টি শাখা রয়েছে।প্রশাসনিক, প্রশিক্ষণ, ক্রীড়া বিজ্ঞান এবং একাডেমিক।
২৪১. বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের অভিষেক হয় কোন সালে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দাজলা- ০৮.১১.১৩ 📖 25th BCS General Sep, 2004 📖 25th BCS General Sep, 2004
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের অভিষেক হয় ১৯৯৯ সালে।
বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের অভিষেক হয় ১৭ মে ১৯৯৯ সালে সপ্তম বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম জয়লাভ করে সপ্তম বিশ্বকাপে ২২ রানে স্কটল্যান্ড এর বিপক্ষে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 বিশ্বকাপে বাংলাদেশ:
❐ - ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলে।
▣ প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলে বাংলাদেশ হারিয়েছিল স্কটল্যান্ড এবং তখনকার হট ফেবারিট পাকিস্তানকে।
▣ ইংল্যান্ড ছাড়াও স্কটল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ওয়েলস আর নেদারল্যান্ডস ছিল এ আসরের যৌথ আয়োজক।
▣ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম জয় পাকিস্তানের বিপক্ষে।
▣ প্রথম বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬২ রানের জয় পায় বাংলাদেশ।
২৪২. কমনওয়েলথ গেমস অনুষ্ঠিত হয় কত বছর পর পর?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দাজলা- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖কমনওয়েলথ গেমস অনুষ্ঠিত হয় ৪ বছর পর পর।
প্রথম কমনওয়েলথ গেমস শুরু হয় ১৯৩০ সালে কানাডার হ্যামিল্টনে। ২১ তম কমনওয়েলথ গেমস অনুষ্ঠিত হয় ৪-১৫ এপ্রিল ২০১৮ অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড কোস্ট। বাংলাদেশে প্রথম কমনওয়েলথ গেমসে অংশগ্রহণ করেন ১৯৭৮ সালে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 কমনওয়েলথ গেমস:
❐ - কমনওয়েলথ গেমস শুরু হয় চার বছর পর পর।
▣ কমনওয়েলথ গেমস একটি আন্তর্জাতিক এবং বহু ক্রীড়া বিষয়ে কমনওয়েলথভূক্ত দেশসমূহের অংশগ্রহণকারী ক্রীড়াবিদদের প্রতিযোগিতা বিশেষ।
▣ প্রতিযোগিতাটি সর্বপ্রথম ১৯৩০ সালে প্রবর্তিত হয়।
▣ ৫৪ সদস্যবিশিষ্ট কমনওয়েলথভূক্ত দেশসহ ৭১টি দল কমনওয়েলথ গেমসে অংশ নেয়।
▣ কমনওয়েলথ গেমসের নীতিবাক্য মানবতা – সমতা – লক্ষ্য।
২৪৩. কোনটি পানিবাহিত রোগ?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দাজলা- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖টাইফয়েড একটি পানিবাহিত রোগ।
যক্ষা, ইনফ্লুয়েঞ্জা, হাম বায়ুবাহিত রোগ। টাইফয়ড ও যক্ষ্মা ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা ও হাম ভাইরাস ঘটিত রোগ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 যে সব রোগ দূষিত পানির মাধ্যমে সংক্রমিত হয় বা ছড়ায় তাদেরকে পানিবাহিত রোগ বলে।
▣ পানিবাহিত অনুজীবসমূহ মূলত দেহের পাকস্থলিতে আশ্রয় গ্রহণ করে। পরবর্তীতে সেখান থেকে অভীষ্ট অঙ্গে বা অন্ত্রে স্থানান্তরিত হয়।
▣ পানিবাহিত রোগসমূহের মধ্যে - ডায়রিয়া, আমাশয়, টাইফয়েড, কলেরা, পোলিও, হেপাটাইটিস বি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
❐ অন্যদিকে, - যক্ষ্মা, হাম, ইনফ্লুয়েঞ্জা, হুপিং কাশি, ডিপথেরিয়া ইত্যাদি হলো বায়ুবাহিত রোগ।
২৪৪. উঁচু পর্বতের চূড়ায় উঠলে নাক দিয়ে রক্ত পড়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ উঁচু পর্বত চূড়ায়
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দাজলা- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖উঁচু পর্বতের চূড়ায় উঠলে নাক দিয়ে রক্ত পড়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ উঁচু পর্বত চূড়ায় বায়ুর চাপ কম।
ভূপৃষ্ঠ থেকে যত উপরে উঠা যায় বায়ুর চাপ তত কমতে থাকে। উচ্চ পর্বত চূড়ায় বায়ুর চাপ কম থাকায় শরীরের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক চাপ এর মধ্যকার ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাওয়ায় রক্তনালিতে প্রচন্ড চাপ পড়ে। এ চাপে রক্তনালি ছিঁড়ে নাক মুখ দিয়ে রক্তপাত এর সম্ভাবনা থাকে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 উঁচু পর্বতের চূড়ায় উঠলে নাক দিয়ে রক্ত পড়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ-
❐ - বায়ুর চাপ কম
▣ শুষ্ক বায়ু
▣ অক্সিজেন স্বল্পতা
❐ ইত্যাদি কারণে রক্তনালিতে চাপ পড়ে। ফলে রক্তপাত হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
২৪৫. একটি সরলদোলককে পৃথিবীর কেন্দ্রে নিলে তার দোলনকাল কত হবে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দাজলা- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖একটি সরলদোলককে পৃথিবীর কেন্দ্রে নিলে তার দোলনকাল অসীম হবে।
একটি পূর্ণ দোলন এর জন্য সরল দোলকের যে সময় লাগে তাকে দোলনকাল বলে। দোলনকাল অভিকর্ষজ ত্বরণের বর্গমূলের ব্যস্তানুপাতিক। পৃথিবীর কেন্দ্রে অভিকর্ষজ ত্বরণের মান শূন্য। তাই একটি সরল দোলককে পৃথিবীর কেন্দ্রে নিলে তার দোলনকাল অসীম হবে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ➾ একটি ভারী আয়তনহীন বস্তুকণাকে ওজনহীন, নমনীয় এবং অপ্রসারণশীল সুতা দিয়ে ঝুলিয়ে দিলে এটি যদি ঘর্ষণ এড়িয়ে স্বাধীনভাবে দুলতে পারে তবে তাকে সরল দোলক বলে।
❐ কৌণিক বিস্তার অল্প হলে-
❐ সরল দোলকের দোলনকাল, T = 2π √(L/g).
❐ এখানে, t = দোলনকাল,
❐ L= কার্যকরী দৈর্ঘ্য (সূতার দৈর্ঘ্য+দোলকপিন্ডের ব্যাসার্ধ),
❐ g= অভিকর্ষজ ত্বরণ।
❐ উপরের সূত্রমতে আমরা পাই,
❐ ১. সরল দোলকের দোলনকাল কাযকরী দৈর্ঘ্য ও অভিকর্ষজ ত্বরণের উপর নির্ভরশীল।
❐ ২. একটি সরল দোলককে পৃথিবীর কেন্দ্রে নিলে তার দোলনকাল অসীম হবে, কারণ পৃথিবীর কেন্দ্রে অভিকর্ষজ ত্বরণের মান শূন্য। এক্ষেত্রে দোলকঘড়ি চলবে না।
❐ ৩. গ্রীষ্মকালে দোলকঘড়ি ধিরে চলে। কারন, অধিক তাপমাত্রার জন্য দোলকের কার্যকরী দৈর্ঘ্য বাড়ে, ফলে দোলককাল বাড়ে এবং ঘড়ি ধিরে চলে।
❐ ৪. শীতকালে দোলকঘড়ি দ্রুত চলে। কারণ, কম তাপমাত্রায় দোলকের কার্যকরী দৈর্ঘ্য কমে, ফলে দোলককাল কমে এবং ঘড়ি দ্রুত চলে।
❐ ৫. দোলকঘড়ি বিষুবরেখা হতে মেরু অঞ্চলে নিলে ঘড়ি দ্রুত চলবে। কারণ, বিষুবরেখার চেয়ে মেরু অঞ্চলে অভিকর্ষজ ত্বরণের মান বেশি। ফলে দোলনকাল কমবে এবং ঘড়ি দ্রুত চলবে।
❐ ৬. দোলককে পাহাড়ের উপর নিয়ে গেলে অভিকর্ষজ ত্বরণের মান কম বলে দোলনকাল বাড়বে।
❐ ৭. কোন সরল দোলকের কার্যকরী দৈর্ঘ্য ৯ গুণ বাড়লে দোলনকাল ৩ গুণ বাড়বে, আর মাধ্যাকর্ষণ জনিত ত্বরণ ৯ গুণ বাড়লে দোলনকাল ৩ গুণ কমবে।
২৪৬. নিচের কোনটি রাসায়নিক পরিবর্তন?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দাজলা- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖লোহার মরিচা ধরা একটি রাসায়নিক পরিবর্তন।
যে পরিবর্তনের ফলে এক বা একাধিক বস্তু প্রত্যেককে তার নিজস্ব সত্তা হারিয়ে সম্পূর্ণ নতুন ধর্ম বিশিষ্ট এক বা একাধিক বস্তুতে পরিণত হয়, তাকে রাসায়নিক পরিবর্তন বলে। যেমন লোহার উপর মরচে ধরা, দুধ থেকে দই হওয়া ইত্যাদি রাসায়নিক পরিবর্তনের উদাহরণ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ❖ রাসায়নিক পরিবর্তন:
▣ যে পরিবর্তনের ফলে পদার্থের অণুর গঠনের পরিবর্তন হয় অর্থাৎ সম্পূর্ণ নতুন পদার্থে পরিণত হয়, তাকে রাসায়নিক পরিবর্তন বলে। যেমন:
▣ লোহায় মরিচা ধরা,
▣ দুধ থেকে দই হওয়া,
▣ গাছের পাতা হলুদ হওয়া,
▣ উদ্ভিদ, মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর বৃদ্ধি,
▣ ফল পেকে লাল বা হলুদ হওয়া ইত্যাদি।
❐ ❖ ভৌত পরিবর্তন:
▣ যে পরিবর্তনের ফলে কোন পদার্থের অভ্যন্তরীণ রাসায়নিক গঠনের কোন পরিবর্তন না ঘটে শুধু বাহ্যিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটে তাকে ভৌত পরিবর্তন বলে। যেমন:
▣ পানিকে তাপ দিয়ে বাষ্পে পরিণত করা,
▣ লবণ পানিতে দ্রবীভূত হওয়া,
▣ বরফ গলে পানি হওয়া,
▣ তাপ দ্বারা মোম গলানো ইত্যাদি।
২৪৭. কোনটি খর পানিতে উত্তম ফেনা দেয়?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দাজলা- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖ডিটারজেন্ট খর পানিতে উত্তম ফেনা দেয়।
যে পানিতে ক্যালসিয়াম ম্যাগনেশিয়াম অ্যালুমিনিয়াম প্রভৃতি সালফেট ও ক্লোরাইড জাতীয় লবণ দ্রবীভূত থাকে সেই পানিকে খর পানি বলে। সাবান খর পানিতে কম ফেনা উৎপন্ন করে। ডিটারজেন্ট একপ্রকার অ্যালকোহল হাইড্রোজেন সালফেট এর চরম লবণ বা অ্যালকাইল বেনজিন সালফেটের সোডিয়াম লবণ। যা সহজেই খর পানিতে উত্তম ফেনা দেয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 - দেহ, কাপড়-চোপড় এবং দ্রব্য সামগ্রীর উপর জমা ময়লা পরিষ্কার করার জন্য যে সব দ্রব্যাদি ব্যবহার করা হয় তাদেরকে পরিষ্কারক সামগ্রী বলে।
▣ সাবান এবং প্রাকৃতিক উপাদান ছাড়াও আধুনিক জীবনে পরিষ্কারক হিসেবে ডিটারজেন্ট, ইমালশান, পলিশ ইত্যাদি ব্যবহৃত হচ্ছে।
❐ ডিটারজেন্ট:
▣ ডিটারজেন্ট বিশেষভাবে সিনথেটিক পদার্থ থেকে প্রস্তুত করা হয়। এই সিনথেটিক পদার্থ তৈরিতে বিভিন্ন কাচাঁমাল ব্যবহৃত হয়। যেমন: পেট্রোলিয়াম উপজাতসমূহ, সাবান তৈরির উপাদান, উদ্ভিজ্জ ও প্রাণিজ চর্বি ইত্যাদি।
▣ এছাড়া ডিটারজেন্টের মধ্যে থাকে গন্ধদ্রব্য, রঙ এবং কখনো জীবাণুনাশক পদার্থ।
❐ - ডিটারজেন্ট খর পানিতে কাজ করে এবং উত্তম ফেনা তৈরি করে।
▣ ডিটারজেন্ট লবণের সাথে বিক্রিয়া করে দই বা চুন উৎপন্ন করে না।
▣ ডিটারজেন্টের কঠিন তলে ঢোকার ক্ষমতা বেশি।
▣ ডিটারজেন্ট ঠান্ডা পানিতে গলে যায় কিন্তু সাবান ঠান্ডা পানিতে সহজে গলে না।
২৪৮. সিস্টোলিক চাপ বলতে বুঝায়-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দাজলা- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖সিস্টোলিক চাপ বলতে বুঝায়- হৃৎপিন্ডের সংকোচন চাপ।
হৃদপিণ্ড অনবরত সংকোচন-প্রসারণের মাধ্যমে রক্ত প্রবাহকে ক্রমাগত সঞ্চালন করে। হৃদপিণ্ড যখন সংকুচিত হয় তখন রক্ত চাপের ফলে ধমনীতে প্রবেশ করে। আবার প্রসারিত হলে রক্ত ধমনী থেকে হৃদপিন্ডের ফিরে আসে। হৃদপিন্ডের প্রসারণকে বলা হয় ডায়াস্টোল এবং সংকোচন কে বলা হয় সিস্টোল। সিস্টোল অবস্থায় রক্তের চাপ কে বলা হয় সিস্টোলিক চাপ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 সিস্টোলিক চাপ বলতে বুঝায় হৃৎপিণ্ডের সংকোচন চাপ।
❐ হৃৎপিণ্ড(Heart):
▣ মানুষের রক্ত সংবহনতন্ত্র হৃৎপিণ্ড, ধমনি, শিরা এবং কৈশিক জালিকা নিয়ে গঠিত।
▣ মানুষের হৃৎপিণ্ড অবিরাম সংকুচিত ও প্রসারিত হয়ে ধমনি ও শিরার মাধ্যমে রক্ত সংবহন করে।
▣ হৃৎপিণ্ড পাম্পের মতো নির্দিষ্ট তালে ও ছন্দে সংকুচিত এবং প্রসারিত হয়ে সারা দেহে রক্ত সঞ্চালন ঘটায়।
▣ হৃৎপিণ্ডের স্বতঃস্ফূর্ত সংকোচনকে সিস্টোল (systole) এবং স্বতঃস্ফূর্ত প্রসারণকে ডায়াস্টোল (diastole) বলে।
▣ অলিন্দে যখন সিস্টোল হয়, নিলয় তখন ডায়াস্টোল অবস্থায় থাকে।
২৪৯. মানবদেহের রক্তচাপ নির্ণায়ক যন্ত্র-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দাজলা- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖মানবদেহের রক্তচাপ নির্ণায়ক যন্ত্র- স্ফিগমোম্যানোমিটার।
স্টেথোস্কোপ হৃদপিণ্ড ও ফুসফুসের শব্দ নির্ণায়ক যন্ত্র, কার্ডিওগ্রাফ হৃদপিন্ডের গতি নির্ণায়ক যন্ত্র এবং ইকোকার্ডিওগ্রাফি হৃদপিন্ডের কর্মক্ষমতা ও রোগ শনাক্তকরণ যন্ত্র।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 স্ফিগমোম্যানোমিটার - মানবদেহের রক্তচাপ নির্ণায়ক যন্ত্র।
❐ স্টেথোস্কোপ - হৃদপিণ্ড ও ফুসফুসের শব্দ নিরুপক যন্ত্র।
❐ কার্ডিওগ্রাফ - হৃদপিন্ডের গতি নির্ণায়ক যন্ত্র।
❐ ইকোকার্ডিওগ্রাম - একটি ইকোকার্ডিওগ্রাম, বা "ইকো", হৃৎপিণ্ড এবং নিকটবর্তী রক্তনালীগুলি দেখার জন্য ব্যবহৃত একটি স্ক্যান।
❐ সূত্র- ৯ম-১০ম শ্রেণির বিজ্ঞান বই ও ব্রিটানিকা।
২৫০. ”এভিকালচার” বলতে কি বুঝায়?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দাজলা- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖”এভিকালচার” বলতে বুঝায় পাখিপালন বিষয়াদি।
'এভিস' এর অর্থ পাখি এবং 'কালচার' এর অর্থ পরিচর্যা। সুতরাং এভিকালচার হচ্ছে পাখি পালন বিষয়াদি বিদ্যা। উড্ডয়ন সংক্রান্ত বিষয়াদি বা উড়োজাহাজ ব্যবস্থাপনা কাকে বলা হয় এরোনটিক্স।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 - রেশম চাষ বিষয়ক বিদ্যাকে বলে সেরিকালচার;
▣ মৌমাছির পালন বিষয়ক বিদ্যা - এপিকালচার;
▣ মৎস্য চাষ বিষয়ক বিদ্যা - পিসিকালচার;
▣ চিংড়ি চাষ বিষয়ক বিদ্যা - প্রণকালচার।
▣ মৌমাছির চাষ - এপিকালচার,
▣ রেশমের চাষ - সেরিকালচার,
▣ উদ্যানবিদ্যা - হর্টিকালচার,
▣ পাখীপালন বিদ্যা - এভিকালচার,
▣ সামুদ্রিক মৎস পালনবিদ্যা - মেরিকালচার।
❐ [সূত্র: এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা]
২৫১. সমুদ্রস্রোতের অন্যতম কারণ-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দাজলা- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖সমুদ্রস্রোতের অন্যতম কারণ- বায়ু প্রবাহের প্রভাব।
সমুদ্র স্রোতের অন্যতম কারণ গুলো হচ্ছে বায়ুপ্রবাহ, উষ্ণতার তারতম্য, লবণাক্ততার তারতম্য, বাষ্পীভবনের তারতম্য, গভীরতার তারতম্য, পৃথিবীর আবর্তন এবং স্থলভাগের অবস্থান।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 সমুদ্র স্রোত:
▣ সমুদ্র স্রোতের প্রধান কারন - বায়ু প্রবাহ।
▣ বায়ু প্রবাহ সমুদ্রের উপরিভাগের পানির সঙ্গে ঘর্ষণ তৈরি করে এবং ঘর্ষণের জন্য পানিতে ঘূর্ণন (Gyre/spiral pattern) তৈরি করে। সমুদ্রের পানি একটি নির্দিষ্ট গতিপথ অনুসরন করে চলাচল করে, একে সমুদ্রস্রোত বলে।
❐ সমুদ্রস্রোতকে উষ্ণতার তারতম্য অনুসারে, দুইভাগে ভাগ করা যায়।
❐ যথা -
❐ ১. উষ্ণ স্রোত:
▣ নিরক্ষীয় অঞ্চলে তাপমাত্রা বেশি হওয়ায় জলরাশি হালকা হয় ও হালকা জলরাশি সমুদ্রের উপরিভাগ দিয়ে পৃষ্ঠপ্রবাহরূপে শীতল মেরু অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হয়; এরূপ স্রোতকে উষ্ণ স্রোত বলে।
❐ ২. শীতল স্রোত:
▣ মেরু অঞ্চলের শীতল ও ভারী জলরাশি জলের নিচে অংশ দিয়ে অন্তঃপ্রবাহরূপে নিরক্ষীয় উষ্ণমন্ডলের দিকে প্রবাহিত হয়। এরূপ স্রোতকে শীতল স্রোত বলে।
❐ সমুদ্রস্রোতের কারণ:
▣ নিয়ত বায়ুপ্রবাহ (প্রধান কারন)
▣ পৃথিবীর আহ্নিক গতি।
▣ সমুদ্রজলের তাপমাত্রার পার্থক্য
▣ সমুদ্রজলের লবণাক্ততার পার্থক্য
▣ ভূখন্ডের অবস্থান
▣ অসম বাষ্পীভবন
▣ সমুদ্রের গভীরতা
২৫২. দিবারাত্রি সংঘটিত হয়-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দাজলা- ০৮.১১.১৩ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -বেলী- ১১.০৯.০৯
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖দিবারাত্রি সংঘটিত হয়- আহ্নিক গতির জন্য।
আহ্নিক গতি এর জন্য দিবারাত্রি সংঘটিত হয়। আর বার্ষিক গতির জন্য ঋতুর পরিবর্তন হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 পৃথিবীর আহ্নিক গতির ফলাফল - দিন-রাত্রি সংঘটন।
▣ আহ্নিক গতি:
▣ পৃথিবী তার নিজ অক্ষের উপর পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে নির্দিষ্ট গতিতে আবর্তিত হচ্ছে যা আহ্নিক গতি নামে পরিচিত।
❐ পৃথিবীর আহ্নিক গতির ফলাফল সমূহ:
▣ দিন-রাত্রি সংঘটন
▣ জোয়ার-ভাটা সৃষ্টি
▣ বায়ুপ্রবাহ ও সমুদ্রস্রোত সৃষ্টি
▣ তাপমাত্রার তারতম্য সৃষ্টি
▣ সময় গণনা বা সময় নির্ধারণ প্রভৃতি।
❐ অন্যদিকে,
▣ সূর্যের মহাকর্ষ বলের প্রভাবে পৃথিবী তার নিজ অক্ষের উপর অবিরাম ঘূর্ণনের সাথে সাথে নির্দিষ্ট পথে নির্দিষ্ট দিকে (ঘড়ির কাটার বিপরীত দিকে) নির্দিষ্ট সময়ে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে যা পৃথিবীর বার্ষিক গতি নামে পরিচিত।
▣ পৃথিবীর বার্ষিক গতির কারণে ঋতু পরিবর্তন ও দিন-রাত্রির হ্রাস বৃদ্ধি হয়ে থাকে।
২৫৩. ঢাকার বিখ্যাত তারা মসজিদ কে নির্মাণ করেন?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দানিয়ুব- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖ঢাকার বিখ্যাত তারা মসজিদ মির্জা আহমদ খান নির্মাণ করেন।
বিখ্যাত তারা মসজিদ পুরান ঢাকার আরমানিটোলা আবুল খয়রাত রোডে অবস্থিত। এটি 18 শতকের শেষের দিকে মির্জা গোলাম পীর নির্মাণ করেন।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝জমিদার মির্জা গোলাম পীর (মির্জা আহমদ জান) ঢাকা বিখ্যাত তারা মসজিদ নির্মাণ করেন।
▣ তারা মসজিদ পুরানো ঢাকার আরমানিটোলায় আবুল খয়রাত সড়কে অবস্থিত।
❐ সাদা মার্বেলের গম্বুজের ওপর নীলরঙা তারায় খচিত এ মসজিদ নির্মিত হয় আঠারো শতকের প্রথম দিকে।
❐ জানা যায়, আঠারো শতকে ঢাকার 'মহল্লা আলে আবু সাঈয়ীদ'-এ (পরে যার নাম আরমানিটোলা হয়) আসেন জমিদার মির্জা গোলাম পীর (মির্জা আহমদ জান)।
❐ ঢাকার ধণাঢ্য ব্যক্তি মীর আবু সাঈয়ীদের নাতি ছিলেন তিনি।
❐ মির্জা গোলাম পীর এ মসজিদ নির্মাণ করেন। ∘
❐ মির্জা সাহেবের মসজিদ হিসেবে এটি তখন বেশ পরিচিতি পায়।
❐ ১৮৬০ সালে মারা যান মির্জা গোলাম পীর।
❐ পরে, ১৯২৬ সালে, ঢাকার তৎকালীন স্থানীয় ব্যবসায়ী, আলী জান বেপারী মসজিদটির সংস্কার করেন।
❐ সে সময় জাপানের রঙিন চিনি-টিকরি পদার্থ ব্যবহৃত হয় মসজিদটির মোজাইক কারুকাজে।
২৫৪. রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভের নাম কি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দানিয়ুব- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভের নাম রক্ত সোপান।
বিজয় স্তম্ভ ভাস্কর্যটি গাজীপুর চৌরাস্তায় অবস্থিত।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖সেনানিবাস গুলোতে নির্মিত কয়েকটি মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য:
❏ ঢাকা সেনানিবাস - বিজয় কেতন, শিখা অনির্বাণ, জাহাঙ্গীর গেট, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
❏ রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাস - রক্ত সোপান
❏ কুমিল্লা সেনানিবাস - অনির্বাণ জেড
❏ রংপুর সেনানিবাস - বিজয় গাঁথা
২৫৫. ব্রহ্মপুত্র নদ হিমালয়ের কোন শৃঙ্গ হতে উৎপন্ন হয়েছে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দানিয়ুব- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖ব্রহ্মপুত্র নদ হিমালয়ের কৈলাস শৃঙ্গ হতে উৎপন্ন হয়েছে।
ব্রহ্মপুত্র নদ হিমালয়ের কৈলাস শৃঙ্গের সরোবর হ্রদ থেকে উৎপন্ন হয়েছে। এই নদীটি কুড়িগ্রাম জেলার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝ব্রহ্মপুত্র নদ হিমালয়ের কৈলাশ শৃঙ্গের মানস সরোবর হ্রদ।
▣ বাংলাদেশের কয়েকটি প্রধান নদীর উৎপত্তি স্থল।
❐ পদ্মা নদী গঙ্গা নামে হিমালয় পর্বতের গাঙ্গোত্রী হিমবাহ।
❐ মেঘনা নদী আসামের লুসাই পাহাড়।
❐ কর্ণফুলী নদী মিজোরামের লুসাই পাহাড়।
❐ করতোয়া নদী সিকিমের পার্বত্য অঞ্চল।
❐ সাঙ্গু নদী মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমানার আরাকান পাহাড়।
❐ হালদা নদী খাগড়াছড়ির বাদানাতলী পর্বতশৃঙ্গ।
❐ মহানন্দা নদী মহালড্রীম, দার্জিলিং থেকে উৎপত্তি স্থল।
২৫৬. মিশুকের স্থপতি কে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দানিয়ুব- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖মিশুকের স্থপতি মোস্তফা মনোয়ার।
১৯৮৫ সালের দ্বিতীয় সাব গেমস (বর্তমান সাউথ এশিয়ান গেমস) এর মাসকট মিশুক এর স্থপতি মোস্তফা মনোয়ার।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖মিশুকের স্থপতি মুস্তাফা মনোয়ার।
ভাস্কর্য তৈরি করেন হামিদুজ্জামান খান।
স্থপতি ডিজাইন করেন, নিজে বানান না। ভাস্কর নিজেও ডিজাইন করতে পারেন আবার অন্যের ডিজাইন অনুযায়ী ভাস্কর্য তৈরি করতে পারে।
স্থপতি - Architect
ভাস্কর - Sculptor
শেষ লাইনটি খেয়াল করুন -
দ্বিতীয় ও ষষ্ঠ সাফ গেমসের উদ্বোধনী ও সমাপনী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ডিরেক্টর ও ভিজুয়ালাইজার-এর দায়িত্ব পালন করেন মুস্তাফা মনোয়ার। দ্বিতীয় সাফ গেমস-এর মাসকট ‘মিশুক’, ১০ ফুট উঁচু চলামান হরিণ শিশু এবং ষষ্ঠ সাফ গেমস-এর মাসকট ‘অদম্য’ একটি বড় বাঘরূপী জীবন্ত পাপেট নির্মাণ তাঁর বড় সাফল্য। পরবর্তীসময়ে ‘মিশুক’-এর একটি প্রতিরূপ তৈরি করে ঢাকা শহরের প্রধান কেন্দ্রে স্থাপন করা হয়েছে।❃👉 ইত্তেফাক আর্কাইভ।
❖বাংলাদেশে পাপেট বলতে আজ যা বোঝায়, তার শুরু ও এখন যে পর্যায়ে এসেছে, তার একক কৃতিত্ব আর কারও নয়, মুস্তাফা মনোয়ারের।
দ্বিতীয় সাফ গেমসের ‘মিশুক’, ষষ্ঠ সাফ গেমসের ‘অদম্য’, একাদশ সাফ গেমসের দোয়েল ‘কুটুম’ কার স্মৃতি থেকে মুছে গেছে! আজকের ‘মীনা’ কার্টুন বা বাংলাদেশে ‘সিসিমপুরের’ মতো অনুষ্ঠানের পেছনে তাঁর অবদানকে কে অস্বীকার করবে!
২৫৭. ”শহীদ চান্দু” স্টেডিয়াম কোন শহরে অবস্থিত?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দানিয়ুব- ০৮.১১.১৩ 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2018➯খ ইউনিট 📖 26th BCS General Dec, 2000
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖”শহীদ চান্দু” স্টেডিয়াম বগুড়া শহরে অবস্থিত।
এই স্টেডিয়ামে প্রথম ২০০৬ সালে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার মধ্যে টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। এই স্টেডিয়াম এর ধারন ক্ষমতা ২০, ০০০জন।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝বগুড়া শহরে "শহীদ চান্দু নামে একটি আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট স্টেডিয়াম রয়েছে।
▣ কুমিল্লা শহরে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়াম রয়েছে।
▣ চট্টগ্রাম শহরে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম রয়েছে।
২৫৮. নাসাউ কোন দেশের রাজধানী?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দানিয়ুব- ০৮.১১.১৩ 📖 বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন)-৮.১৩ 📖 বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার প্রশাসন/এইচআর) - 9.17
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖নাসাউ বাহামা দ্বীপপুঞ্জ দেশের রাজধানী।
ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের একটি দ্বীপ রাষ্ট্র হল বাহামা দ্বীপপুঞ্জ। এর রাজধানী হল নাসাউ।
২৫৯. মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট বিভক্তকারী সীমারেখা কোনটি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দানিয়ুব- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট বিভক্তকারী সীমারেখা হলো সনোরা লাইন।
ম্যাকনামারা লাইন: যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক উত্তর ও দক্ষিণ ভিয়েতনাম সীমান্তে নির্মিত ইলেকট্রিক বেষ্টনী। ডুরাল্ড লাইন: পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সীমানা চিহ্নিতকরণ রেখা। হিন্ডারবার্গ লাইন: প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানি ও রেখা পর্যন্ত পশ্চাৎপদসারণ করেছিল। এটি জার্মান ও পোল্যান্ডের সীমানা চিহ্নিতকরণ রেখা।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রকে বিভক্তকারী রেখা সনোরা লাইন।
▣ উত্তর ও দক্ষিণ ভিয়েতনামের সীমান্তে নির্মিত বৈদ্যুতিক লাইনের নাম ছিল ম্যাকনামারা লাইন।
▣ পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমানা রেখা ডুরান্ড লাইন।
▣ জার্মানি ও পোল্যান্ডের সীমানা রেখা হিন্ডারবার্গ লাইন।
২৬০. কয়টি দেশ নিয়ে জাতিসংঘ যাত্রা শারু করেছিল?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দানিয়ুব- ০৮.১১.১৩ 📖 21st BCS General Dec, 1999
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖৫১টি দেশ নিয়ে জাতিসংঘ যাত্রা শারু করেছিল।
২৬ জুন ১৯৪৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকোতে সম্মেলনে বিশ্বের ৫০ টি দেশ জাতিসংঘ সনদে স্বাক্ষর করে। ১৫ অক্টোবর ৫১তম দেশ হিসেবে পোল্যান্ড সনদে স্বাক্ষরকারে। জাতিসংঘ সনদ কার্যকর হয় ২৪ অক্টোবর ১৯৪৫ সালে। ফলে জাতি সংঘের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য দেশের সংখ্যা ৫১।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝পোল্যান্ডসহ জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ৫১টি। জাতিসংঘের বর্তমান সদস্য ১৯৩টি।
▣ ১৯৪৫ সালের ২৪শে অক্টোবর জাতিসংঘ সনদ কার্যকরের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘ গঠিত হয়।
❐ ১৯৪৫ সালের ২৫ এপ্রিল থেকে ২৬ জুন যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকো শহরে অনুষ্ঠিত সানফ্রান্সিসকো সম্মেলনে ৫০টি দেশের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে জাতিসংঘ সনদ স্বাক্ষরিত হয়।
❐ জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য পোল্যান্ড সানফ্রান্সিসকো সম্মেলনে উপস্থিত কী ছিলো না।
❐ ৫১তম দেশ হিসেবে পোল্যান্ড ১৯৪৫ সালের ১৫ অক্টোবর জাতিসংঘ সনদে স্বাক্ষর করে।
❐ সনদ স্বাক্ষরের পূর্বে পোল্যান্ড জাতিসংঘ সনদে স্বাক্ষর করায় পোল্যান্ডকেও জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য বিবেচনা করা হয়।
২৬১. ইসিএ (ECA) এর সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দানিয়ুব- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖ইসিএ (ECA) এর সদর দপ্তর ইথিওপিয়ায় অবস্থিত।
ECA এর পূর্ণরূপ হল economic commission for Africa। এর সদর দপ্তর ইতিউতি আর আদ্দিস আবাবা তে অবস্থিত।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📌📝আফ্রিকান ইকোনোমিক কমিশন (ECA) জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন ECOSOC এর একটি আঞ্চলিক সংস্থা।
❐ এটি ১৯৫৮ সালে ECOSOC কর্তৃক গঠিত হয়।
❐ এর সদরদপ্তর - ইথিওপিয়ার আদ্দিস আবাবাতে অবস্থিত।
২৬২. মোট কয়টি বিষয়ে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দানিয়ুব- ০৮.১১.১৩ 📖 42th BCS (Preli) Special (Health) Feb, 2021 📖 খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়➟2007➯খ ইউনিট
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖মোট ৬টি বিষয়ে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়।
নোবেল পুরস্কার দেওয়া শুরু হয় ১৯০১ সাল থেকে। মোট ছয়টি বিষয়ের উপর নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়। যথা- শান্তি, সাহিত্য, অর্থনীতি, চিকিৎসা, পদার্থ এবং রসায়নে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝১৯০১ সাল থেকে চিকিৎসা, রসায়ন, পদার্থবিদ্যা, সাহিত্য ও শান্তি এই পাঁচটি বিষয়ের উপর নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।
❐ ১৯৬৮ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়।
❐ ৯৬৯ সাল থেকে ৬টি বিষয়ে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়।
২৬৩. বর্তমান বিশ্বে রপ্তানী শীর্ষ দেশ কোনটি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দানিয়ুব- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বর্তমানে বিশ্বে রপ্তানিতে শীর্ষ দেশ চীন।
২০১৩ সালে তারা যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলে রপ্তানিতে শীর্ষ স্থান দখল করে। এখন পর্যন্ত তারা শীর্ষস্থানে রয়েছে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝বর্তমান বিশ্বের শীর্ষ ১০ রপ্তানিকারক দেশ। যথা:
❐ China
❐ United States
❐ Germany
❐ Japan
❐ United Kingdom
❐ France
❐ Netherlands
❐ Hong Kong (China SAR)
❐ Singapore
❐ South Korea
২৬৪. কোনটিকে কোষের প্রাণশক্তি বলা হয়?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - বিটা- ১৮.০৪.১৪
সাধারণ জ্ঞান
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖নিউক্লিয়াসকে কোষের মস্তিষ্ক, প্রাণকেন্দ্র বা প্রাণশক্তি বলা হয়।
যদিও, মাইটোকন্ড্রিয়াকে কোষের পাওয়ার হাউস বা শক্তি ঘর বলা হয়। এটি কোষের যাবতীয় জৈবনিক কাজের শক্তি সরবরাহ থাকে। কিন্তু, কোষে সংগঠিত সকল ক্রিয়া-বিক্রিয়া নিয়ন্ত্রিত হয় নিউক্লিয়াস দ্বারা। তাই, নিউক্লিয়াসকে কোষের প্রাণশক্তি বলা যায়।
এছাড়াও,
রাইবোজোমকে প্রোটিন ফ্যাক্টরি বলা হয়।
বংশগতির প্রধান উপাদান ক্রোমোজোম।
লাইসোজোম জীবকোষকে জীবাণুর হাত থেকে রক্ষা করে।
২৬৫. পৃথিবীতে প্রাণের সূচনা হয় আনুমানিক---
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - বিটা- ১৮.০৪.১৪ 📖 রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -জবা- ০৯.১২.১১
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖পৃথিবীতে প্রাণের সূচনা হয় আনুমানিক ১০০ কোটি বছর আগে।
পৃথিবী সৃষ্টির শুরুর দিকে কোনো পাথর টিকে নেই, তাই সঠিক করে বলা সম্ভভ নয় কখন পৃথিবীর সৃষ্টি হয়েছিল। তবে ধারণা করা হয় সৌরজগৎ সৃষ্টির মোটামুটি ১০০ মিলিয়ন বছর পর একগুচ্ছ সংঘর্ষের ফল হলো পৃথিবী। আজ থেকে ৪.৫৪ বিলিয়ন বছর আগে পৃথিবী নামের গ্রহটি আকৃতি পায়, পায় লৌহের একটি কেন্দ্র এবং একটি বায়ুমণ্ডল।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖জীবনের সূচনা ও বিকাশ : আজ থেকে প্রায় ৪.৬ বিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীর সৃষ্টি হয় এবং প্রায় ৩.৬ বিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীতে প্রথম প্রাণের সূচনা হয় বলে ধারণা করা হয়। পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে তখন কোন অক্সিজেন ছিল না, তাই জীবন সৃষ্টির প্রাথমিক পর্যায়ে জীবগুলো ছিল অণুজীব, আদিকোষী এবং ব্যাকটেরিয়া জাতীয় যারা অক্সিজেন ছাড়াই বাঁচতে পারতো।
২৬৬. হর্স পাওয়ার হলো---
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - বিটা- ১৮.০৪.১৪ 📖 শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সহকারী পরিচালক-২.০৫
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖হর্স পাওয়ার হলো-- ক্ষমতা পরিমাপের একক।
শক্তি পরিমাপের একক জুল। চাপ পরিমাপের একক প্যাসকেল। কাজ পরিমাপের একক জুল।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖ক্ষমতা পরিমাপের একক- হর্স পাওয়ার।
১ হর্সপাওয়ার/অশ্বশক্তি = ৭৪৬ ওয়াট।
এসআই একক পদ্ধতিতে ক্ষমতার একক- ওয়াট।
জেমস ওয়াট নিজে ক্ষমতার একক ''অশ্বশক্তি'' স্থির করেছিলেন।
এছাড়াও,
শক্তি পরিমাপের একক- জুল।
কাজ পরিমাপের একক- জুল।
চাপ পরিমাপের একক- প্যাসকেল।
২৬৭. কোনো বস্তুর ভর ১০ কেজি হলে বস্তুর ওজন----
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - বিটা- ১৮.০৪.১৪
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖কোনো বস্তুর ভর ১০ কেজি হলে বস্তুর ওজন- ৯৮ নিউটন।
অভিকর্ষ বলের প্রভাবে ভূপৃষ্ঠে মুক্তভাবে পড়ন্ত কোন বস্তুর বেগ বৃদ্ধির হারকে অভিকর্ষজ ত্বরণ বলে। একে 'g' দ্বারা প্রকাশ করা হয়। অভিকর্ষজ ত্বরণ এর আদর্শ মান 9.81ms-2।
বস্তুর ওজন w = mg
=10×9.8 = 98 নিউটন।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖আমরা জানি,
W = mg
= ১০ X ৯.৮
= ৯৮ নিউটন।
২৬৮. পেট্রোল ইঞ্জিন সফলতার সাথে কে চালু করেন?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - বিটা- ১৮.০৪.১৪
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖পেট্রোল ইঞ্জিন সফলতার সাথে চালু করেন ড. অটো।
পেট্রোল ইঞ্জিন সফলতার সঙ্গে চালু করেন জার্মান বিজ্ঞানী নিকোলাস অটো। বাষ্প চালিত ইঞ্জিন আবিষ্কার করেন জেমস ওয়াট।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖নিকোলাস অটো প্রথম পেট্রোল ইঞ্জিন তৈরী করেন।
জেমস ওয়াট বাষ্পচালিত ইঞ্জিনের আবিষ্কার করেন।
তাপ গতিবিদ্যার জনক লর্ড কেলভিন। তিনি 1850 সালে তাপ গতিবিজ্ঞানের (থার্মোডিনামিক্সের) দুটি গুরুত্বপূর্ণ সূত্র দিয়েছিলেন।
তাপশক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত করার জন্য 'সাদী কার্নো' সকল দোষ-ত্রুটি মুক্ত যে আদর্শ যন্ত্রের পরিকল্পনা করেন তাকে কার্নো ইঞ্জিন বলে।
কার্নো ইঞ্জিন একটি আদর্শ ইঞ্জিনের ধারণামাত্র, বাস্তবে এর রূপান্তর সম্ভব হয়নি।
২৬৯. টলেমী কে ছিলেন?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - বিটা- ১৮.০৪.১৪ 📖 রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়➟2013➯A ইউনিট 📖 18th BCS General Oct, 1996
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖ক্ল্যাডিয়াস টলেমি ছিলেন বিখ্যাত জ্যোর্তিবিদ। তার বিখ্যাত দুটি গ্রন্থ ”গাইড টু জিওগ্রাফী এবং অ্যালমাজেন্ট।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖টলেমি ছিলেন প্রাচীন গণিতজ্ঞ, জ্যোতির্বিজ্ঞানী, জ্যোতিষী, ভূগোল-বিশারদ। গ্রিক-রোমান শাসিত মিশরের অধিবাসী। লেখার ভাষা ছিল গ্রিক।
টলেমি এ্যারিস্টটল-এর মতই, মহাবিশ্বের কেন্দ্র হিসাবে পৃথিবীকে বিবেচনা করেছিলেন। পৃথিবীকে ঘিরে ছিল মোট ৮টি গোলক।
তিনি ঈশ্বর বিশ্বাসী ছিলেন। তাঁর মডেল অনুসারে পুরোহিতরা মনে করেছিলেন যে, স্বর্গ নরক রয়েছে বাইরের গোলকের ঊর্ধ্বে। সেই কারণে ধর্মের সাথে তিনি সংঘাত এড়াতে সক্ষম হয়েছিলেন।
আবার পরবর্তী সময়ে যে সকল বিজ্ঞানীরা মনে করতেন টলেমির এই ধারণা ঠিক নয়, তাঁরা পুরোহিতদের বিরুদ্ধে দাঁড়াবার সাহস পান নি। এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ হলো বিজ্ঞানী কোপার্নিকাস।
সূর্যকে কেন্দ্র করে পৃথিবী ঘুরছে এই সত্যকে প্রমাণসহ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন গ্যালিলিও, কিন্তু তার জন্য তাকে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল।
২৭০. ”ইন্টারনেট” কবে চালু হয়?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - বিটা- ১৮.০৪.১৪ 📖 ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা-১.০৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖১৯৬৯ সালের ১৪ জানুয়ারি। ইন্টারনেটের জনক ভিনটন জি কার্ফ। ৪ জুন ১৯৯৬ বাংলাদেশে ইন্টারনেট চালু হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖Advanced Research Project Agency Network (ARPANET) দিয়ে ইন্টারনেট কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৬৯ সালে।
১৯৮২ সালে বিভিন্ন নেটওয়ার্কের মধ্যে সংযোগের উপযোগী টিসিপি / আইপি (TCP/IP: Transmission Control Protocol / Internet Protocol) প্রটোকল উদ্ভাবনের সাথে ইন্টারনেট শব্দটি চালু হয়।
১৯৮৩ সালে অরপানেটে টিসিপি/আইপি প্রটোকল ব্যবহার শুরু হয়। বর্তমানেও এটিই ইন্টারনেট প্রটোকল নামে পরিচিত।
২৭১. ঈশ্বরচন্দ্রকে কোন প্রতিষ্ঠান বিদ্যাসাগর উপাধি দান করে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - বিটা- ১৮.০৪.১৪
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖ঈশ্বরচন্দ্রকে সংস্কৃত কলেজ 'বিদ্যাসাগর' উপাধি দান করে।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (২৬ সেপ্টেম্বর ১৮২০ – ২৯ জুলাই ১৮৯১) উনবিংশ শতকের একজন বিশিষ্ট বাঙালি শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক ও গদ্যকার। তাঁর প্রকৃত নাম ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যে অগাধ পাণ্ডিত্যের জন্য প্রথম জীবনেই তিনি সংস্কৃত কলেজ থেকে ''বিদ্যাসাগর" উপাধি লাভ করেন। সংস্কৃত ছাড়াও বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় বিশেষ ব্যুৎপত্তি ছিল তাঁর। তিনিই প্রথম বাংলা লিপি সংস্কার করে তাকে যুক্তিবহ ও অপরবোধ্য করে তোলেন। বাংলা গদ্যের প্রথম সার্থক রূপকার তিনিই। তাঁকে বাংলা গদ্যের প্রথম শিল্পী বলে অভিহিত করেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি রচনা করেছেন যুগান্তকারী শিশুপাঠ্য বর্ণপরিচয় সহ একাধিক পাঠ্যপুস্তক, সংস্কৃত ব্যাকরণ গ্রন্থ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কে ১৮৩৯ সালে কলকাতা'র সংস্কৃত কলেজ থেকে 'বিদ্যাসাগর' উপাধি দেওয়া হয়।
তিনি এই কলেজেরই ছাত্র ছিলেন।
অসাধারণ মেধার কারণে তাকে এই উপাধি দেওয়া হয়।
সংস্কৃত কলেজের ছয়টি বিভাগের ছয়জন প্রতিথযশা অধ্যাপক ঈশ্বরচন্দ্রের বিদ্যাসাগর উপাধি সংক্রান্ত প্রশংসাপত্রে স্বাক্ষর করেন।
২৭২. আবু মুসা দ্বীপ কোন সাগরে অবস্থিত?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - বিটা- ১৮.০৪.১৪
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖আবু মুসা দ্বীপ হরমুজ প্রণালীর নিকট পারস্য উপসাগরের একটি দ্বীপ। এর মালিকানা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিত ও ইরানের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। বর্তমানে ইরান তাদের একটি সামরিক ঘাটি হিসেবে এ দ্বীপটি ব্যবহার করছে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖আবু মুসা দ্বীপ পারস্য উপসাগরে অবস্থিত।
ইরানের পূর্বনাম ছিল পারস্য।
আবু মুসা দ্বীপ নিয়ে ইরান ও আরব আমিরাতের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে।
২৭৩. ব্যাডমিন্টন কোন দেশের জাতীয় খেলা?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - বিটা- ১৮.০৪.১৪
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
চীনের জাতীয় খেলা→ টেবিল টেনিস,
ইংল্যান্ডের জাতীয় খেলা→ ক্রিকেট,
ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় খেলা→ ব্যাডমিন্টন।
মালয়েশিয়ার জাতীয় খেলা সেপাক টার্কো নামক একটি খেলা যা অনেকটা ব্যাডমিন্টনের মতো, তবে সে খেলাতে হাত ব্যবহার করা যায় না।
সর্বোচ্চ ক্রীড়া পরিচালনা সংস্থা ব্যাডমিন্টন ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন
প্রথম খেলা হয়েছে ১৯ শতকে
বৈশিষ্ট্যসমূহ শারীরিক সংস্পর্শ নেই
দলের সদস্য একক বা দ্বৈত
খেলার সরঞ্জাম শাটল কক, র্যাকেট
প্রচলন অলিম্পিক ১৯৯২ থেকে বর্তমান
ব্যাডমিন্টন হল একটি র্যাকেট খেলা যা র্যাকেট ব্যবহার করে নেট জুড়ে শাটলকককে আঘাত করে। যদিও এটি বৃহত্তর দলগুলির সাথে খেলা হতে পারে, গেমটির সবচেয়ে সাধারণ ফর্মগুলি হল “সিঙ্গেল” (প্রতিপক্ষে একজন খেলোয়াড়ের সাথে) এবং “ডাবলস” (প্রতিপক্ষে দুইজন খেলোয়াড়ের সাথে)। ব্যাডমিন্টন প্রায়ই একটি উঠোন বা সমুদ্র সৈকতে একটি নৈমিত্তিক বহিরঙ্গন কার্যকলাপ হিসাবে খেলা হয়; একটি আয়তক্ষেত্রাকার ইনডোর কোর্টে আনুষ্ঠানিক গেম খেলা হয়। র্যাকেট দিয়ে শাটলককে আঘাত করে এবং প্রতিপক্ষের অর্ধেক কোর্টের মধ্যে অবতরণ করে পয়েন্ট স্কোর করা হয়।
প্রতিটি দিক জালের উপর দিয়ে যাওয়ার আগে শাটলকককে একবার আঘাত করতে পারে। শাটলকক মেঝেতে আঘাত করলে বা আম্পায়ার, সার্ভিস বিচারক বা (তাদের অনুপস্থিতিতে) বিপক্ষ পক্ষের দ্বারা কোনো দোষ বলা হলে খেলা শেষ হয়।
ব্যাডমিন্টন কোন দেশের জাতীয় খেলা?
শাটলকক হল একটি পালকযুক্ত বা (অনানুষ্ঠানিক ম্যাচে) প্লাস্টিকের প্রজেক্টাইল যা অন্যান্য অনেক খেলায় ব্যবহৃত বল থেকে ভিন্নভাবে উড়ে। বিশেষ করে, পালকগুলি অনেক বেশি টেনে আনে, যার ফলে শাটলকক আরও দ্রুত হ্রাস পায়। অন্যান্য র্যাকেট খেলার বলের তুলনায় শাটলককের উচ্চ গতিও রয়েছে। শাটলককের ফ্লাইট খেলাটিকে তার স্বতন্ত্র প্রকৃতি দেয়।
ব্যাটলডোর এবং শাটলককের পূর্ববর্তী খেলা থেকে ব্রিটিশ ভারতে গেমটির বিকাশ হয়েছিল। ইউরোপীয় খেলা ডেনমার্কের আধিপত্যে এসেছিল তবে গেমটি এশিয়ায় খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, সাম্প্রতিক প্রতিযোগিতায় চীনের আধিপত্য রয়েছে। ১৯৯২ সাল থেকে, ব্যাডমিন্টন চারটি ইভেন্ট সহ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক খেলা হয়েছে: পুরুষ একক, মহিলা একক, পুরুষ দ্বৈত এবং মহিলা দ্বৈত, চার বছর পরে মিশ্র দ্বৈত যোগ করা হয়েছে। খেলার উচ্চ স্তরে, খেলাটি চমৎকার ফিটনেসের দাবি করে: খেলোয়াড়দের অ্যারোবিক স্ট্যামিনা, তত্পরতা, শক্তি, গতি এবং নির্ভুলতা প্রয়োজন। এটি একটি প্রযুক্তিগত খেলাও, যার জন্য ভালো মোটর সমন্বয় এবং অত্যাধুনিক র্যাকেটের গতিবিধির বিকাশ প্রয়োজন।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖‘When You Say Badminton, You Say Indonesia’
Badminton is part of the national identity.
❏ New York Times
Based on our research -
Badminton is actually the national sport of only Indonesia and Singapore.
মালয়শিয়ার জাতীয় খেলার নাম Sepak Takraw বা কিক ভলিবল।
২৭৪. বাতাসের উষ্ণতা বাড়লে শব্দের গতি---
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - বিটা- ১৮.০৪.১৪
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বাতাসের উষ্ণতা বাড়লে শব্দের গতি-- বাড়ে।
0°C বা 273k তাপমাত্রায় শব্দের বেগ 332ms-1। তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে শব্দের বেগ বেড়ে যায়। পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে 1°C বা 1k তাপমাত্রার বাড়লে বাতাসে শব্দের বেগ প্রায় 0.6ms-1 বৃদ্ধি পায়। বাতাসের আদ্রতা বৃদ্ধি পেলেও শব্দের বেগ বৃদ্ধি পায়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖শব্দের বেগ মাধ্যমের প্রকৃতির উপর নির্ভর করে। তাপমাত্রা বাড়লে শব্দের বেগও বাড়ে।
যেমন, পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে, শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস (0°) তাপমাত্রায় বাতাসে শব্দের গতি প্রতি সেকেন্ডে ৩৩১ মিটার।
কিন্তু প্রতি ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে এর বেগ ০.৬ মিটার বৃদ্ধি পাবে।
শব্দের বেগ মাধ্যমের ঘনত্বের উপরও নির্ভর করে।
যে মাধ্যমের ঘনত্ব বেশি সে মাধ্যমে শব্দের বেগও বেশি।
ফলে পানিতে শব্দের বেগ ১৪৪০ মিটার/সেকেন্ড। কঠিন পদার্থ যেমন কাঠের মধ্যে শব্দের বেগ বায়ু অপেক্ষা ১২ গুণ বেশি।
ইস্পাতে শব্দের বেগ বায়ুর চেয়ে ১৫ গুণ বেশি।
সহজ কথায়, যে পদার্থের ঘনত্ব বেশি সে পদার্থে শব্দের বেগও বেশি।
২৭৫. মানুষের শরীরে কত ধরনের রক্ত কণিকা আছে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - বিটা- ১৮.০৪.১৪ 📖 এ্যাডভোকেটশিপ তালিকাভূক্তির নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা, .১২ 📖 এ্যাডভোকেটশিপ তালিকাভূক্তির নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা, .১২
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖মানুষের শরীরে ৩ ধরনের রক্ত কণিকা আছে। যথা-লোহিত রক্তকণিকা, শ্বেত রক্তকণিকা ও অনুচক্রিকা। রক্তের উপাদান দুই প্রকার। যথা: রক্তরস ৫৫% ও রক্তকণিকা ৪৫%।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖রক্তকণিকা ৩ ধরনের।
যথা-
১. লোহিত রক্তকণিকা,
২. শ্বেত রক্তকণিকা ও
৩. অনুচক্রিকা।
লোহিত রক্ত কণিকায় হিমোগ্লোবিন নামে একটি লৌহজাত যৌগ থাকে যার জন্য রক্ত লাল হয়।
শ্বেত রক্তকণিকা হিমোগ্লোবিনবিহীন এবং নিউক্লিয়াসযুক্ত বড় আকারের কোষ।
অণুচক্রিকা হলো গোলাকার, ডিম্বাকার বা রড আকারের। এতে নিউক্লিয়াস থাকে না।
২৭৬. জেনেটিক কোডের আবিষ্কারক কে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - বিটা- ১৮.০৪.১৪
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖জেনেটিক কোডের আবিষ্কারক ড. হরগোবিন্দ খোরানা (ভারত)। তিনি কৃত্রিম জীন আবিষ্কার করেন।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖জেনেটিক কোডের আবিষ্কারক ড. হরগোবিন্দ খোরানা (ভারত)।
তিনি কৃত্রিম জীন আবিষ্কার করেন।
ম্যালেরিয়া জ্বরের প্রথম আবিষ্কারক স্যার রোনাল্ড রস।
২৭৭. পূর্ণ বয়স্ক পুরুষের মোট রক্তের গড় পরিমাণ--
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - বিটা- ১৮.০৪.১৪
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖পূর্ণ বয়স্ক পুরুষের মোট রক্তের গড় পরিমাণ- ৫ লিটার।
একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষের দেহে গড়ে প্রায় ৫-৬ লিটার রক্ত থাকে যা মানুষের শরীরের মোট ওজনের প্রায় ৮%। রক্ত হলো এক ধরনের লাল বর্ণের তরল যোজক কলা।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖রক্ত এক ধরনের লাল বর্ণের তরল যোজক কলা।
রক্তবাহিকার মাধ্যমে রক্ত মানব দেহের সর্বত্র সঞ্চালিত হয়। রক্ত সামান্য ক্ষারীয়।
এর PH মাত্রা গড়ে ৭.৩-৭.৪।
সজীব রক্তের তাপমাত্রা ৩৬°-৩৮° সেলসিয়াস।
অজৈব লবণের উপস্থিতির জন্য রক্ত লবণাক্ত হয়।
একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষের দেহে গড়ে প্রায় ৫-৬ লিটার রক্ত থাকে, শরীরের মোট ওজনের প্রায় ৮%।
২৭৮. রংধনু সৃষ্টির বেলায় পানির কণাগুলো--
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - বিটা- ১৮.০৪.১৪
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖রংধনু সৃষ্টির বেলায় পানির কণাগুলো প্রিজমের কাজ করে।
প্রিজমে সাদা আলো পতিত হলে তা সাতটি বর্ণে বিশ্লিষ্ট হয়। যথা: বেগুনি, নীল, আসমানী, সবুজ, হলুদ, কমলা ও লাল। একে আলোর বিচ্ছুরণ বলে। বৃষ্টির ফোটায় সূর্যের আলো পড়লে তা প্রিজমের নেয় কাজ করে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖রংধনু সৃষ্টির বেলায় পানির কণাগুলো প্রিজমের কাজ করার মাধ্যমে পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের সৃষ্টি করে বলে আমরা রংধনু দেখতে পাই।
সূর্যের সাদা আলো যদি কোনো কাচের প্রিজমের মধ্য দিয়ে যায় তাহলে তা সাতটি রঙ্গে বিশ্লিষ্ট হয়।
প্রিজম থেকে নির্গত আলোকরশ্মি যদি কোনো পর্দার উপর ফেলা হয় তাহলে পর্দায় সাতটি রঙের পট্টি দেখা যায়।
আলোর এই রঙিন পট্টিকে বর্ণালী বলে।
কোনো মাধ্যমে প্রতিসরণের ফলে যৌগিক আলো থেকে মূল বর্ণের আলো পাওয়ার পদ্ধতিকে আলোর বিচ্ছুরণ বলে।
বর্ণালীতে বেগুনি, নীল, আসমানী, সবুজ, হলুদ, কমলা ও লাল এ সাতটি রঙ পরপর দেখা যায়।
২৭৯. বৈদ্যুতিক পাখা ধীরে ধীরে ঘুরলে বিদ্যুৎ খরচ---
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - বিটা- ১৮.০৪.১৪ 📖 30th BCS General Jul, 2010 📖 23rd BCS General Mar, 2001
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বৈদ্যুতিক পাখা ধীরে ধীরে ঘুরলে বিদ্যুৎ খরচ একই হয়।
বৈদ্যুতিক পাখা ধীরে বা জোরে ঘোরা রেগুলেটর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। রেগুলেটর মাধ্যমে বৈদ্যুতিক পাখা বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করা হয়। রেগুলেটরি পরিবর্তনশীল রোধ থাকে। তাই পাখা ধীরে ঘুরলেও বিদ্যুৎ খরচ একই হয় কারণ এ সময় রেগুলেটরি বিদ্যুৎ শক্তি তাপ শক্তি হিসেবে অপচয় হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖এই প্রশ্নটির উত্তর দেওয়ার জন্য প্রথমেই আমরা বৈদ্যুতিক পাখার কার্যপ্রণালী সম্পর্কে কিছুটা জেনে নিবো।
প্রথমেই দেখা যাক বৈদ্যুতিক পাখা কীভাবে ঘোরে:
একটি পাখায় একটি বৈদ্যুতিক মোটর এবং কয়েকটি ধাতব ব্লেড (সাধারণত ৩টি), সংযুক্ত থাকে। যখন আমরা একটি পাখার সুইচ অন করি, তখন ভোল্টেজের পার্থক্যের জন্য মোটরটির মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ যায় এবং তার ফলাফল হিসাবেই পাখাটি ঘুরতে থাকে। নিয়ন্ত্রক বা রেগুলেটর মোটরের ভোল্টেজ নিয়ন্ত্রণ করে এবং মোটরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত বিদ্যুতের পরিমাণ কমিয়ে বা বাড়িয়ে দেয়।
সুতরাং, একটি পাখার ভোল্টেজর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ণরূপে তার নিয়ন্ত্রক বা রেগুলেটরের ওপর নির্ভরশীল। আর একটি পাখার ভোল্টেজের পরিমাণ তার ঘূর্ণন গতির সমানুপাতী, অর্থাৎ ভোল্টেজ যত বাড়বে, পাখার গতিও ততটাই বাড়বে।
এখন, বিভিন্ন রেগুলেটর ও তাদের কর্মপদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা যাক:
এই মুহূর্তে, বাজারে মোটামুটি দুই ধরনের রেগুলেটর পাওয়া যায়—
১) ইলেক্ট্রিক রেগুলেটর (Electric Regulator): এই রেগুলেটরগুলিতে পাখার ভোল্টেজ হ্রাস করার জন্য রোধ বসানো থাকে। যখন পাখার ভোল্টেজ কমানো হয় তখন রোধটি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আর বিদ্যুৎ সরবরাহ কমার কারণে পাখার গতিও কমে যায়। কিন্তু এর ফলে পাখার ভোল্টেজ তথা গতি কমিয়ে যে বিদ্যুৎ বাঁঁচানো হয়, সেই বিদ্যুৎ এই রোধ-মধ্যস্থ তাপশক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে যায়। অর্থাৎ শেষ পর্যন্ত, এই রেগুলেটরের মাধ্যমে পাখার গতি কমিয়ে বিদ্যুৎ খরচ বিশেষ কমে না বললেই চলে।ফলে ইলেকট্রিক্যাল রেগুলেটর ব্যবহার করলে ফ্যানের গতি কম-বেশির সাথে রেগুলেটর লস যথাক্রমে বেশি ও কম হয় ফলে বৈদ্যুতিক পাখার গতি যাই হোক, বিদ্যুৎ খরচ প্রায় একই হয়।
২) ইলেকট্রনিক রেগুলেটর (Electronic Regulator): এই রেগুলেটরগুলিতে পাখার ভোল্টেজ হ্রাস করার জন্য মূলতঃ ট্রায়াক থাকে যার গেটে ট্রিগার নিয়ন্ত্রণ করে ফ্যানের ভোল্টেজের সাইন ওয়েভকে নিয়ন্ত্রণ করা হয় এবং ভোল্টেজের আরএমএস ভ্যালুকে পরিবর্তণ করে ফ্যানের গতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এইগুলি কখনই গরম হয়ে ওঠে না, ফলে পাখা যখন কম গতিতে চলে তখন যথেষ্ট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়। সাধারণত ইলেকট্রনিক রেগুলেটরগুলি ইলেক্ট্রিক রেগুলেটরগুলির থেকে প্রায় ৪০ শতাংশ বেশী বিদ্যুতসাশ্রয়ী।
তাই সবশেষে বলা যেতে পারে, বৈদ্যুতিক পাখা কম গতিতে চালালে বিদ্যুৎ খরচ তখনই কম হবে যখন ইলেক্ট্রিক রেগুলেটরের পরিবর্তে ইলেকট্রনিক রেগুলেটর ব্যবহৃত হবে।
২৮০. তাপ প্রয়োগে সবচেয়ে বেশি প্রসারিত হয় কোন পদার্থ
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - বিটা- ১৮.০৪.১৪
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖তাপ প্রয়োগে সবচেয়ে বেশি প্রসারিত হয় বায়বীয় পদার্থ।
তাপ প্রয়োগ করলে পদার্থ প্রসারিত হয়। তবে যে পদার্থের অণুগুলো মধ্যকার আন্তঃআণবিক আকর্ষণ যত কম সে পদার্থ ততো বেশি প্রসারিত হয়। কঠিন বা তরল পদার্থের তুলনায় বায়বীয় পদার্থের অণুগুলো মধ্যে আন্তঃআণবিক আকর্ষণ অনেক কম। তাই তাপ প্রয়োগে বায়বীয় পদার্থ সবচেয়ে বেশি প্রসারিত হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖তাপ প্রয়োগে করলে সব ধরনের পদার্থই প্রসারিত হয়।
তবে যে পদার্থের অণুগুলোর মধ্যকার আন্তঃআণবিক আকর্ষণ যতো কম সে পদার্থ ততো বেশি প্রসারিত হয় ।
কঠিন বা তরল পদার্থের তুলনায় বায়বীয় পদার্থের অণুগুলোর মধ্যে আন্তঃআণবিক আকর্ষণ সবচেয়ে কম।
তাই তাপ প্রয়োগে বায়বীয় পদার্থ সবচেয়ে বেশি প্রসারিত হয়।
২৮১. সংকর ধাতু পিতলের উপাদান হল---
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - বিটা- ১৮.০৪.১৪ 📖 33rd BCS General Jun, 2012 📖 32nd BCS General Mar, 2012
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖সংকর ধাতু পিতলের উপাদান হল- তামা ও দস্তা।
দুবা ততোধিক সংমিশ্রণে গঠিত সমসত্ব ও অসমসত্ব কঠিন পদার্থ কে সংকর ধাতু বলে। সংকর ধাতু পিতলের উপাদান হলো তামা ও দস্তা। তামা ও টিন মিশিয়ে ব্রোঞ্জ বা কাসা প্রস্তুত করা হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖পিতলে কপার ৬৫% এবং জিংক ৩৫% থাকে।
কাঁসায় ৯০% কপার ও ১০% টিন বিদ্যমান।
ডুরালুমিনে অ্যালুমিনিয়াম ৯৫%, কপার ৪%, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাংগানিজ ও লৌহ ১% বিদ্যমান।
২৮২. কোন দেশটি অতীতে কখনও অন্য কোনো দেশের উপনিবেশে পরিণত হয়নি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - বিটা- ১৮.০৪.১৪
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖থাইল্যান্ড অতীতে কখনও অন্য কোনো দেশের উপনিবেশে পরিণত হয়নি।
এ কারণে এর নাম হয়েছে থাইল্যান্ড বা স্বাধীন ভূমি। পূর্বে এটি শ্যামদেশ নামে পরিচিত ছিল। ২৩ জুন ১৯৩৯ শ্যামদেশের নাম পরিবর্তন করে কিংডম অফ থাইল্যান্ড রাখা হয়। থাইল্যান্ডকে বলা হয় সাদা হাতির দেশ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ড কখনো উপনিবেশে পরিণত হয়নি।
শত শত বছর ধরে বিভিন্ন রাজবংশ থাইল্যান্ড শাসন করে এসেছে।
এজন্যে থাইল্যান্ডকে মুক্তিভূমি বলা হয়।
মালয়েশিয়া ও মায়ানমার ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
ইন্দোনেশিয়া নেদারল্যান্ডের নিকট হতে স্বাধীনতা লাভ করে।
২৮৩. পানামা খাল কোন কোন মহাসাগরকে যুক্ত করেছে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - বিটা- ১৮.০৪.১৪ 📖 25th BCS General Sep, 2004 📖 আবহাওয়া অধিদপ্তরের অধীন সহকারী আবহাওয়াবিদ.০৪
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖পানামা খাল আটলান্টিক ও প্রশান্ত মহাসাগরকে যুক্ত করেছে।
পানামা খালকে বলা হয় প্রশান্ত মহাসাগরের প্রবেশদ্বার। এটি দৈর্ঘ্য ৮০ কিমি এবং প্রস্থ ৯১ মি হলেও এটি পৃথিবীর গভীরতম মিটার খাল। যুক্তরাষ্ট্র ১৯১৩ সালে এটি খনন করে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖আটালান্টিক মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরকে যুক্ত করেছে পানামা খাল।
পানামা খালটির নির্মাণ ১৯০৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তত্ত্বাবধানে শুরু হয়েছিল এবং ১৯১৪ সালে শেষ হয়েছিল।
১৯৭৯ সাল পর্যন্ত পানামা খালটি আমেরিকার নিয়ন্ত্রণে ছিল।
১৯৭৯ সালের পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পানামা প্রজাতন্ত্রের যৌথ সংস্থা খালটির নিয়ন্ত্রণ করে।
৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৯৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র পানামার কাছে খালটি পুরোপুরি হস্তান্তর করে।
২৮৪. পারমানবিক বোমার আবিষ্কারক কে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ভলগা- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖১৯৪৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানী ওপেন হাইমার পারমানবিক বোমা আবিষ্কার করেন। অন্যদিকে, ১৯৩৯ সালে পরমাণুর ফিউশন প্রক্রিয়া আবিষ্কার করেন জার্মান বিজ্ঞানী অটোহ্যান।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 পারমানবিক বোমা:
❏ পারমানবিক বোমা ওপেন হেইমার আবিষ্কার করেন।
❏ তিনি মার্কিন তাত্ত্বিক পদার্থবিদ।
❏ তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করেন এবং গটিংজেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট অর্জন করেন।
❏ ম্যানহাটন প্রকল্প মার্কিন সরকারের গবেষণা প্রকল্প যা প্রথম পারমাণবিক বোমা তৈরি করেছিল।
❏ ম্যানহাটন প্রকল্পের বিজ্ঞানীরা দক্ষিণ নিউ মেক্সিকোতে আলামোগোর্ডোর কাছে একটি পরীক্ষায় প্রথম পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটান।
▢
২৮৫. Natural protien এর কোড নাম
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ভলগা- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖Natural protein এর কোড নাম protein- P49। যা একটি জটিল জৈব যৌগ এবং দেহের বৃদ্ধি সাধন ও ক্ষয় পূরণ করে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 - অ্যামিনো এসিডের পলিমারকে প্রোটিন বা আমিষ বলে।
❏ প্রোটিন মূলত উচ্চ ভর বিশিষ্ট নাইট্রোজেন যুক্ত জটিল যৌগ যা অ্যামিনো অ্যাসিডের পলিমার।
❏ এটি একটি পেপটাইড যৌগ।
❏ ন্যাচারাল প্রোটিনের কোড নাম P-49 যা একটি জটিল জৈব যৌগ।
❏ এটি দেহের বৃদ্ধিসাধন ও ক্ষয়পূরণ করে।
২৮৬. কোনটি রক্তের কাজ নয়-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ভলগা- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖রক্তের সাধারণ কার্যাবলীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে কলা হতে বজ্র পদার্থ ফুসফুসে বাহিত করা, হরমোন, উৎসেচক, লিপিড প্রভৃতি বিভিন্ন অঙ্গে বাহিত করা, কার্বন ডাই অক্সাইড পরিবহন, দৈনিক উষ্ণতার নিয়ন্ত্রণ প্রভৃতি। কিন্তু জারক রস বিতরণ করা রক্তের কাজ নয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 - রক্তের কাজ নয়- জারক রস বিতরণ করা।
▢রক্তের উল্লেখযোগ্য কাজ হলো -
▣ অক্সিজেন পরিবহন করা,
▣ কার্বন ডাই-অক্সাইড অপসারণ করা,
▣ খাদ্যসার পরিবহন করা,
▣ তাপের সমতা রক্ষা করা,
▣ বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশন করা,
▣ হরমোন পরিবহন করা,
▣ রোগ প্রতিরোধ করা,
▣ রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করা ইত্যাদি।
▢
২৮৭. IUCN এর কাজ হল বিশ্বব্যাপী--
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ভলগা- ০৮.১১.১৩ 📖 24th BCS (Cancelled) Feb, 2003 📖 দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক-১২.০৪.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖International Union for conservation of of nature (IUCN) প্রতিষ্ঠিত হয় ৫ অক্টোবর ১৯৪৮। সদরদপ্তর গ্লান্ড সুইজারল্যান্ড। IUCN এর কাজ হলো বিশ্বব্যাপী প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ করা।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 IUCN:
❏ বিশ্বব্যাপী প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ করার জন্য ১৯৪৮ সালের ৫ অক্টোবর ফ্রান্সে 'IUCN' প্রতিষ্ঠিত হয়।
❏ IUCN এর পূর্ণরূপ হলো International Union for the Conservation of Nature.
❏ IUCN এর সদর দপ্তর হলো সুইজারল্যান্ডের গ্লান্ড শহরে।
❏ রাশিয়ার আশখাবাদে ১৯৭৮ সালে IUCN এর ১৪তম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
▢
২৮৮. আকাশে উজ্জ্বলতম নক্ষত্র কোনটি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ভলগা- ০৮.১১.১৩ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -ড্যাফোডিল- ১২.১০.১২
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖আকাশের উজ্জ্বলতম নক্ষত্র হচ্ছে 'লুব্ধক'। 'ধ্রুবতারা' হচ্ছে উত্তর গোলার্ধের আকাশের আকাশের উজ্জ্বল নক্ষত্র। 'প্রক্সিমা সেন্টারাই' পৃথিবীর নিকটতম নক্ষত্র। এবং 'পুলহ' হচ্ছে সপ্তর্ষিমণ্ডলের একটি নক্ষত্র।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖লুব্ধক পৃথিবীর আকাশের উজ্জ্বলতম তারা।
লুব্ধক এত উজ্জ্বল দুটি কারণে- এর স্বকীয় উজ্জ্বলতা এবং এর অবস্থান পৃথিবীর খুবই নিকটে।
এটি একটি জোড়া বা যুগ্মতারা।
লুব্ধক বলতে মূলত 'সিরিয়াস' (Sirius) তারাটিকে বোঝায়।
২৮৯. উপকূল থেকে কোনো স্থানে পরপর দুটি জোয়ারের ব্যবধান হল--
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ভলগা- ০৮.১১.১৩ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -গোলাপ- ১১.০৯.০৯
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖উপকূলে একই জায়গায় প্রতিদিন দুইবার জোয়ার এবং দুইবার ভাটা হয়। একটি জোয়ারের সময়সীমা ৬ ঘন্টা এবং ভাটার সময়সীমা ৬ ঘন্টা। সুতরাং একটি জোয়ারের পর আরেকটি জোয়ারের মধ্যে সময়ের ব্যবধান ১২ ঘন্টা।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 জোয়ার-ভাঁটা:
❏ সমুদ্রের একই জায়গায় প্রতিদিন দুইবার জোয়ার ও দুইবার ভাঁটা হয়।
❏ সমুদ্রের পানি এভাবে ফুলে উঠাকে বলা হয় জোয়ার এবং নেমে যাওয়াকে ভাঁটা বলে।
❏ উপকূলে কোন একটি স্থানে একটি জোয়ারের প্রায় ৬ ঘন্টা ১৩ মিনিট পর ভাঁটা হয়।
❏ উপকূলে কোন একটি স্থানে পর পর দুটি জোয়ার বা দুটি ভাঁটার মধ্যে ব্যবধান হলো ১২ ঘণ্টা ২৬ মিনিট।
❏ চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষণ শক্তি এবং পৃথিবীর কেন্দ্রাতিক শক্তি প্রভৃতির প্রভাবে সমুদ্রের পানি নির্দিষ্ট সময় অন্তর ফুলে উঠে আবার নেমে যায়।
▢অর্থাৎ সমুদ্রে একই জায়গায় প্রতিদিন দু’বার জোয়ার ও দু’বার ভাঁটা হয়।
❏ সমুদ্রের মোহনা থেকে নদীগুলোর স্রোতের বিপরীতে উজানে কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত জোয়ার ভাঁটা বেশি অনুভূত হয়।
❏ সমুদ্রের মধ্যভাগ থেকে উপকূলের কাছে পানির অগভীর অংশে জোয়ারের পানির উচ্চতা বেশি থাকে।
❏ তবে বিভিন্ন নদীপথে দেশের ভিতরে সমুদ্রের পানি যখন প্রবেশ করে এবং নেমে যায় তাকে জোয়ার ভাঁটা বলে না।
▢
২৯০. কোথায় দিন রাত্রি সর্বদা সমান?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ভলগা- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖নিরক্ষরেখায় অবস্থিত অঞ্চলসমূহ সব সময় সূর্য হতে সমান দূরত্বে থাকে বলে এই অঞ্চলসমূহে দিন রাত্রি সমান হয়। তবে 21 মার্চ ও 23 সেপ্টেম্বর পৃথিবীর সর্বত্র দিন রাত্রি সমান থাকে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 নিরক্ষরেখা:
❏ দুই মেরু থেকে সমান দূরত্বে পৃথিবীকে পূর্ব-পশ্চিমে বেষ্টন করে যে রেখা কল্পনা করা হয়েছে, তাকে নিরক্ষরেখা বলে।
❏ পৃথিবী গোলাকৃতির হওয়ায় এ রেখাও বৃত্তাকার।
❏ নিরক্ষরেখা পৃথিবীকে উত্তর ও দক্ষিণে সমান দুই ভাবে ভাগ করেছে।
❏ এ রেখার উত্তরে পৃথিবীর অর্ধাংশকে উত্তর গোলার্ধ এবং দক্ষিণের অর্ধাংশকে দক্ষিণ গোলার্ধ বলা হয়।
❏ এই রেখাটির মান ০ ডিগ্রি, তাই নিরক্ষরেখায় দিন রাত সর্বত্র সমান।
❏ নিরক্ষরেখার সাহায্যে উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধের কোনো স্থানের কৌণিক দূরত্ব স্থির করা হয়।
▢
২৯১. বাংলাদেশের একটি জীবন্ত জীবাশ্মের নাম---
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ভলগা- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖জীবন্ত জীবাশ্ম হলো এমন কতগুলো জীব সুদূর অতীতে জন্ম হলেও যাদের বংশধরেরা আজও পৃথিবীতে বেঁচে আছে। প্রাগৈতিহাসিক কাল হতে এদের আকৃতিগত খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। বাংলাদেশের জীবন্ত জীবাশ্মের উদাহরণ হচ্ছে 'রাজ কাঁকড়া'।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 জীবন্ত জীবাশ্ম:
❏ কতগুলো জীব সুদূর অতীতে উৎপত্তি লাভ করেও কোনোরকম পরিবর্তন ছাড়াই এখনো পৃথিবীতে বেঁচে আছে অথচ তাদের সমগোত্রীয় এবং সমসাময়িক অনেক জীবনের বিলুপ্তি ঘটছে। এই জীবদের জীবন্ত জীবাশ্ম বলে।
❏ লিমুলাস বা রাজকাঁকড়া নামক সন্ধিপদ প্রাণী, স্ফোনোডন নামক সরীসৃপ প্রাণী, প্লাটিপাস নামক স্তন্যপায়ী প্রাণী হচ্ছে জীবন্ত জীবাশ্মের উদাহরণ।
❏ অন্যদিকে ইকুইজিটাম, নিটাম ও পিঙ্কো বাইলোবা নামের উদ্ভিদগুলো উদ্ভিদের জীবন্ত জীবাশ্মের উদাহরণ।
❏ প্রায় ৪০০ মিলিয়ন বছর আগে লিমিউলাস জীবাশ্ম পাওয়া গিয়েছে। এর সমসাময়িক অন্যান্য আথ্রোপোডাগুলো বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে, কিন্তু এরা আজও বেঁচে আছে। তাই এদের জীবন্ত জীবাশ্ম বলা হয়।
▢
২৯২. রেকটিফাইড স্পিরিট হল--
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ভলগা- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖রেকটিফাইড স্পিরিট হলো ৯৫.৬% ইথাইল অ্যালকোহল ও ৪.৪% পানির স্ফুটনাঙ্ক। এর স্ফুটনাঙ্ক কত ৭৮.১° সে। রেকটিফাইড স্পিরিট ডাক্তারি কাজে ও দ্রাবক রূপে ব্যবহৃত হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 অ্যালকোহল:
❏ অ্যালকোহল বলতে সাধারণভাবে ইথানলকে বোঝায়।
❏ স্টার্চ থেকে গাঁজন ক্রিয়ার মাধ্যমে ইথানল উৎপাদন করা হয়।
❏ এটি একটি শক্তিশালী জৈব দ্রাবক।
❏ ৯৫.৬% ইথানল ও ৪.৪% পানির মিশ্রণকে রেকটিফাইড স্পিরিট বলে।
❏ রেকটিফাইড স্পিরিটকে হোমিও ওষুধে ব্যবহার করা হয়।
❏ ইথানলকে পারফিউম, কসমেটিক্স, ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পে ব্যাপক ভাবে ব্যবহার করা হয়।
❏ ইথানল পানীয় হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।
❏ পানীয় হিসেবে ইথানলকে ব্যবহার না করার জন্য রেটিফাইড স্পিরিটের সাথে সামান্য মিথানল যোগ করে দেয়া হয়।
❏ রেকটিফাইড স্পিরিটের সাথে মিথানল যুক্ত থাকলে এটি সম্পূর্ণভাবে পানের অযোগ্য হয়। এ মিশ্রণকে মেথিলেটেড স্পিরিট বলে।
❏ ঔষধ শিল্পে ও খাদ্য শিল্পে ব্যবহৃত অ্যালকোহলের মধ্যে মিথানল যোগ করা হয় না।
❏ ইথানলকে মোটর ইঞ্জিনের জ্বালানী হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।
❏ পেট্রোলিয়াম জাতীয় উপাদানের সাথে প্রায় ৩০% ইথানল যোগ করে এ ধরনের জ্বালানী তৈরী করা হয়। এভাবে ব্যবহৃত অ্যালকোহলকে পাওয়ার অ্যালকোহল বলে।
❏ অ্যালকোহলকে জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করলে জীবাশ্ম জ্বালানীর উপর চাপ কম পড়ে। তাছাড়া এটি পরিবেশ বান্ধব।
▢
২৯৩. কোন মৌলিক অধাতু সাধারণ তাপমাত্রায় তরল থাকে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ভলগা- ০৮.১১.১৩ 📖 13th BCS General Apr, 1992 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -ডালিয়া- ১২.১০.১২
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖মৌলিক অধাতু সাধারণ তাপমাত্রায় তরল অবস্থায় থাকে তা হল ব্রোমিন। একমাত্র ধাতু সাধারণ তাপমাত্রায় তরল অবস্থায় থাকে তা হলো পারদ। সাধারণ তাপমাত্রায় কঠিন কঠিন এবং জেনন গ্যাসীয় অবস্থায় থাকে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖ব্রোমিন সাধারণ তাপমাত্রায় তরল থাকে। এর সংকেত Br_2 ।
২৯৪. ভাঙ্গা হাড় নির্ণয়ে ব্যবহৃত হয়-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ভলগা- ০৮.১১.১৩ 📖 36th BCS General Jan, 2016 📖 27th BCS General Nov, 2005
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖ভাঙ্গা হাড় নির্ণয়ে ব্যবহৃত হয় রঞ্জন রশ্মি। স্থানচ্যুত হার হাড়ের দাগ বা ফাটল ভেঙ্গে যাওয়া আর শরীরের কোন অঙ্গের বা ফুসফুসের কোন খাতের অবস্থান নির্ণয় রঞ্জন রশ্মি ব্যবহৃত হয়। এছাড়া ক্যান্সারের চিকিৎসা ও সংক্রমণ বৃদ্ধির চিকিৎসা রঞ্জন রশ্মি ব্যবহৃত হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 এক্সরে (রঞ্জন রশ্মি):
❏ জার্মান পদার্থবিদ উইলহেলম রন্টজেন এক্স-রশ্মি আবিষ্কার করেন।
❏ ১৮৯৫ সালে এক্স-রশ্মি আবিষ্কৃত হয়।
❏ এক্স-রশ্মি আবিষ্কারের জন্য বিজ্ঞানী রন্টজেন 1901 সালে নোবেল পুরষ্কার লাভ করেন।
❏ এটি একটি তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ।
❏ এক্স-রশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্য 10^-8 m থেকে 10^-13 m পর্যন্ত।
❏ এক্স-রশ্মি উচ্চভেদন ক্ষমতাসম্পন্ন।
▢এক্সরে এর ব্যবহার:
❏ হীরক সনাক্তকরণ,
❏ স্থানচ্যুত হাড়, হাড়ে দাগ বা ফাটল শনাক্ত করা,
❏ শরীরের ভিতরের কোন বস্তুর বা ফুসফুসে কোন ক্ষতের অবস্থান নির্ণয়,
❏ গোয়েন্দা বিভাগে কাঠের বাক্স বা চামড়ার থলিতে বিস্ফোরক রাখলে তা খুঁজে বের করতে এক্স রশ্মি বা রঞ্জন রশ্মি ব্যবহৃত হয়।
▢
২৯৫. ক্যাসেটের ফিতার শব্দ রক্ষিত থাকে কি হিসেবে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ভলগা- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖ক্যাসেটের ফিতার শব্দ রক্ষিত থাকে চৌম্বক ক্ষেত্র হিসেবে। আয়রন অক্সাইড ও বেরিয়াম অক্সাইড এর মিশ্রণে তৈরি ফেরাইট শংকর চুম্বক। এ ফেরাইট চুম্বককে শব্দ রক্ষিত থাকে চৌম্বক ক্ষেত্র হিসেবে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖কম্পিউটার ও টেপ-রেকর্ডার বা ক্যাসেটের স্মৃতির ফিতায় সিরামিক চুম্বক থাকে।
এক্ষেত্রে স্মৃতির ফিতা বা টেপে ব্যবহৃত ক্রোমিয়াম ডাই অক্সাইড (CrO2) পদার্থের বহি:চৌম্বক ক্ষেত্র সরিয়ে নিলেও আবিষ্ট চৌম্বকত্বের বেশিরভাগই অটুট থাকে অর্থাৎ এর আবিষ্ট চুম্বকত্ব স্থায়ী হয়।
২৯৬. শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রত্যাখ্যানকারী একমাত্র ব্যক্তি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ভলগা- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেন ভিয়েতনামের লি ডাক থো। এশিয়ায় তিনি প্রথম শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন ১৯৭৩ সালে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 লি ডাক থো:
❏ তিনি ১৯১১ সালের ১৪ অক্টোবর ভিয়েতনামে জন্ম গ্রহণ করেন।
❏ তিনি ভিয়েতনামের রাজনীতিবিদ।
▢- ১৯৭৩ সালে তাঁকে শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু থো তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
❏ লি ডাক থো ছিলেন ১৯৩০ সালে ইন্দোচাইনিজ কমিউনিস্ট পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।
❏ তিনি ১৯৯০ সালের ১৩ অক্টোবর ভিয়েতনামে মৃত্যুবরণ করেন।
▢
২৯৭. কান্তজীর মন্দির কোন জেলায় অবস্থিত?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ভলগা- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖কান্তজিউ মন্দির দিনাজপুর জেলায় অবস্থিত। কান্তজীউ মন্দির দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলার ঢেপা নদীর তীরে অবস্থিত। মহারাজা প্রাণনাথ রায় এর নির্মাণকাজ শুরু করেন। তার পোষ্য পুত্র রামনাথ ১৭৫২ সালে এর নির্মাণকাজ শেষ করেন।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 কান্তজির মন্দির:
▢- স্থাপত্য শিল্পের উজ্জ্বল নিদর্শন দিনাজপুরের কান্তজীউ মন্দির কাহারোল উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের ঢেপা নদীর তীরে অবস্থিত।
❏ মহারাজা প্রাণনাথের (মৃত্যু ১৭২২ খ্রিঃ) প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধান ও পৃষ্ঠপোষকতায় ১৭০৪ খ্রিঃ থেকে মন্দিরটি নির্মাণ শুরু হয়।
❏ তার নির্দেশ মতে মহারাজার দত্তক পুত্র রাজ রামনাথ রায় ১৭৫২ খ্রিঃ এর নির্মাণ কাজ শেষ করেন।
❏ প্রায় ১ মিটার উচু এবং ১৮ মিটার বাহুবিশিষ্ট বর্গকার বেদীর উপর এ মন্দির নির্মিত। ইটের তৈরী মন্দিরের প্রত্যেক বাহুর দৈর্ঘ্য ১৬ মিটার।
❏ তেতলা বিশিষ্ট এ মন্দিরের নয়টি চূড়া রয়েছে। এজন্য এটাকে নবরত্ন মন্দির বলা হয়।
❏ শুরুতে কান্তজিউ মন্দিরের উচ্চতাছিল ৭০ ফুট।
❏ এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) এর সহায়তায় মন্দিরটির সামগ্রিক উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
▢
২৯৮. স্বাধীনতার পর প্রকাশিত প্রথম ডাকটিকিটে কোন ছবি ছিল?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ভলগা- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖স্বাধীনতার পর প্রকাশিত প্রথম ডাকটিকিটে শহীদ মিনারের ছবি ছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রথম স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশিত হয় ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২। এর ডিজাইনার ছিলেন বিপি চিতনিশ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 স্বাধীনতার প্রথম ডাকটিকিট:
❏ ২৯ জুলাই ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সাময়িক সরকার ৮টি ডাকটিকিটের একটি সেট আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের জন্য প্রকাশ করেন।
❏ মুক্তিযুদ্ধ শেষে ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ এর পর প্রথম স্মারক ডাকটিকিট ২১ ফেব্রুয়ারী ১৯৭২, প্রকাশিত হয়।
▢- স্বাধীনতার (পর) প্রকাশিত প্রথম ডাকটিকিটে ছিল ১৯৫২ সালের মহান ভাষা আন্দোলনের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ছবি।
❏ তারপর বাংলাদেশ ডাকবিভাগ অবিরাম নির্দিষ্ট স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করে চলছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ঘটনা, উত্তরাধিকার ও সংস্কৃতির উপর।
❏ বাংলাদেশ ডাকবিভাগ ৭৩২ প্রকার ডাকটিকিট এবং ২৮টি সুভ্যেনির প্রকাশ করেছে।
▢
২৯৯. উপমাহদেশের সর্বশেষ গভর্নর জেনারেল কে ছিলেন?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ভলগা- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖উপমহাদেশের সর্বশেষ ব্রিটিশ গভর্নর জেনারেল ছিলেন লর্ড মাউন্টব্যাটেন। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ভারতের স্বাধীনতা আইন পাশ হয়। এই আইন অনুসারে ১৪ আগস্ট পাকিস্তান গণপরিষদের হাতে এবং ১৫ আগস্ট ভারতীয় গণপরিষদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন লর্ড মাউন্টব্যাটেন।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 লর্ড মাউন্টব্যাটেন:
❏ তিনি ১৯০০ সালের ২৫ জুন ইংল্যান্ডের উইন্ডসর (Windsor)-এ জন্মগ্রহণ করেন।
❏ প্রিন্স লুই ব্যাটেনবার্গ ও রাণী ভিক্টোরিয়ার পৌত্রী প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া অব হেস্-এর চতুর্থ পুত্র।
❏ লর্ড মাউন্টব্যাটেন ১৯১৩ সালে রাজকীয় নৌবাহিনীতে প্রবেশ করেন।
❏ ১৯২১ সালে প্রিন্স অব ওয়েলস্-এর সহকারী (aide-de-camp) নিযুক্ত হওয়ার আগে তিনি নৌবাহিনীর বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন।
❏ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে ১৯৪৩ সালে লর্ড দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মিত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হিসেবে সাফল্যের সঙ্গে জাপানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করেন এবং বার্মা পুনরুদ্ধার করেন।
❏ ১৯৪৭ সালের মার্চ মাসে তিনি ভারতের ভাইসরয় নিযুক্ত হন এবং একই বছরের মধ্যআগস্ট পর্যন্ত এই পদে আসীন থাকেন।
▢- লর্ড মাউন্টব্যাটেন উপমহাদেশের সর্বশেষ গভর্নর জেনারেল।
▢
৩০০. বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপটেন মহীউদ্দীন জাহাঙ্গীরের কবর কোন জেলায়?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ভলগা- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের কবর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় অবস্থিত। তিনি ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর শহীদ হন। তার সমাধি চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনা মসজিদ প্রাঙ্গণে অবস্থিত।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর:
❏ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের জন্ম ৭ মার্চ ১৯৪৯, বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার রহিমগঞ্জ গ্রামে.
❏ ১৯৫৩ সালে পাতারচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তার শিক্ষা জীবনের সূচনা হয়।
❏ ১৯৬৪ সালে মুলাদি মাহমুদ জান পাইলট হাইস্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি এবং ১৯৬৬ সালে বরিশাল ব্রজমোহন কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন।
❏ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যান বিভাগে অধ্যয়নরত অবস্থায় ১৯৬৭ সালের ৩রা অক্টোবর ১৫তম শর্ট সার্ভিস কোর্সে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন।
❏ ১৯৬৮ সালের ২রা জুন তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং কোরে কমিশন লাভ করেন।
❏ তিনি ৭নং সেক্টর-এর মহোদিপুর সাব-সেক্টরের অধীনে যুদ্ধে অংশ নেন।
❏ তিনি অসামান্য বীরত্বের সাথে আরগরারহাট, কানসাট, শাহপুর এলাকায় যুদ্ধ পরিচালনা করেন এবং মুক্তাঞ্চল গঠন করেন।
❏ ১২ই ডিসেম্বর মুক্তিবাহিনী তার নেতৃত্বে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আক্রমণ করে।
❏ যুদ্ধে অপরিসীম বীরত্ব প্রদর্শন করে ১৪ ডিসেম্বর সকালে পাকিস্তানী বাহিনীর স্নাইপার বুলেটের আঘাতে তিনি শহীদ হন।
▢- পরদিন সহযোদ্ধারা লাশ উদ্ধার করে তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ চত্বরে সমাহিত করে।
৩০১. ইসলামী সম্মেলন সংস্থা (ওআইসি) এর সদর দপ্তর কোথায়?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ভলগা- ০৮.১১.১৩ 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2016➯খ ইউনিট 📖 22nd BCS General Feb, 2001
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖ইসলামী সম্মেলন সংস্থার সদরদপ্তর সৌদি আরবের জেদ্দায় অবস্থিত। ইসলামী সম্মেলন সংস্থার প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৯ সালে। এর সদস্য সংখ্যা ৫৭ টি দেশ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 OIC:
❏ ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা OIC.
❏ OIC (The Organisation of Islamic Cooperation) হলো মুসলিম দেশগুলোর একটি রাজনৈতিক জোট যা ১৯৬৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর মরক্কোতে অনুষ্ঠিত রাবাত সম্মেলনের মাধ্যমে গঠিত হয়।
❏ OIC এর বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৫৭টি।
❏ ইসরাইল কর্তৃক আল আকসা মসজিদে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার প্রেক্ষাপটে OIC গঠিত হয়।
❏ দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের দুটি দেশ গায়ানা ও সুরিনাম OIC সদস্য।
❏ ইউরোপ মহাদেশের আলবেনিয়া OIC সদস্য।
❏ বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালের ২২-২৪ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত OIC এর দ্বিতীয় শীর্ষ সম্মেলনে সর্বপ্রথম অংশগ্রহণ করে।
▢- OIC এর সদর দপ্তর সৌদি আরবের জেদ্দায় অবস্থিত।
❏ OIC এর বর্তমান মহাসচিব, এইচ. ই. হিসেইন ইব্রাহিম তাহা (১২ তম)।
❏ মহাসচিবের মেয়াদ-৫ বছর।
❏ অফিসিয়াল ভাষা- তিনটি (আরবি, ইংরেজি, ফ্রেঞ্চ)।
▢
৩০২. রেডক্রসের প্রতিষ্ঠাতা কে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ভলগা- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বিশ্বের দোস্ত মানবতার সেবায় নিয়োজিত আন্তর্জাতিক সংস্থা রেড ক্রস ১৮৬৩ সালে প্রতিষ্ঠা করেন সুইজারল্যান্ডের হেনরি ডুনান্ট। এর সদস্য সংখ্যা ১৯১। সদরদপ্তর সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 রেডক্রস:
❏ রেডক্রস এর অফিসিয়াল নাম ICRC.
❏ ICRC এর পূর্ণাঙ্গ রূপ International Committee of the Red Cross.
❏ রেডক্রস ১৮৬৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
▢- এর প্রতিষ্ঠাতা হেনরি ডুনান্ট।
❏ রেডক্রস এর সদর দপ্তর জেনেভা।
❏ সংস্থাটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট মির্জানা স্পোলজারিক এগার।
❏ ৩ বার শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জয়ী প্রতিষ্ঠান রেডক্রস।
❏ ১৯১৭, ১৯৪৪, ১৯৬৩ সালে রেডক্রস নোবেল পুরস্কার লাভ করে।
▢
৩০৩. বাংলাদেশে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষ কখন থেকে চালু করা হয়?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ভলগা- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖প্রাথমিক বাধ্যতামূলক আইন পাশ হয়, ১৯৯০। বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা প্রাথমিকভাবে ৬৮ টির উপজেলায় চালু হয় ১ জানুয়ারী, ১৯৯২।
বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা দেশব্যাপী সম্প্রসারিত হয় ১ জানুয়ারী, ১৯৯৩।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 প্রাথমিক শিক্ষা আইন:
❏ বাংলাদেশে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা আইন প্রণীত হয় ১৯৯০ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি।
▢- ১৯৯২ সালের ১ জানুয়ারি প্রতি জেলার একটি করে থানায় পরীক্ষামূলকভাবে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা প্রথমে চালু করা হয়।
❏ ১৯৯৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে সারাদেশে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা আইন চালু হয়।
▢
৩০৪. বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষা আইন জারী হয় কোন সালে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ভলগা- ০৮.১১.১৩ 📖 26th BCS General Dec, 2000 📖 43th BCS General Oct, 2021
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষা আইন জারি হয় ১৯৭৪ সালে। ‘শিক্ষার বিনিময়ে খাদ্য’ কর্মসূচি চালু হয় ১৯৯৩ সালে। ছাত্রীদের উপবৃত্তি প্রথম চালু হয় ১ জানুয়ারি, ১৯৯৪ সালে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি:
▢- ১৯৭৪ সালে দেশে প্রাথমিক শিক্ষা আইন জারি হয়।
❏ জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ) ময়মনসিংহ জেলায় অবস্থিত।
❏ এটি ১৯৭৮ সালে 'মৌলিক শিক্ষা একাডেমি' নামে প্রতিষ্ঠিত হয়।
❏ ১৯৮৫ সালে এটির নামকরণ করা হয় 'জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি'।
❏ এখানে প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
❏ এই প্রতিষ্ঠান প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে থাকে।
❏ ১৯৯০ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা আইন প্রণীত হয়।
❏ এই আইনের অধীনে ১৯৯২ সালের ১ জানুয়ারি দেশের ৬৮টি উপজেলায় এবং ১ জানুয়ারি ১৯৯৩ সারা দেশে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা আইন চালু হয়।
▢
৩০৫. ”আকাবা” কোন দেশের সমুদ্র বন্দর?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মিসিসিপি- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖”আকাবা” জর্ডানের সমুদ্র বন্দর।
আকাবা সমুদ্র বন্দরটি জর্ডানে অবস্থিত। ইয়েমেনের সমুদ্র বন্দর এডেন।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📌📝আকাবা: জর্ডানের সমুদ্র বন্দর।
❐
▣ অন্যদিকে:
❐ কাতারের সমুদ্র বন্দর: হামাদ বন্দর, দোহা বন্দর, রুয়াইস বন্দর।
❐ ইয়েমেনের সমুদ্র বন্দর: এডেন।
❐ ইরাকের সমুদ্র বন্দর: বসরা।
৩০৬. ন্যাপ (NAPE) কোথায় অবস্থিত?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মিসিসিপি- ০৮.১১.১৩ 📖 সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক .০৯ 📖 গণপূর্ত অধিদপ্তরের কম্পিউটার অপারেটর-১৮.১১.১৬
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖ন্যাপ (NAPE) ময়মনসিংহে অবস্থিত।
১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় প্রতিষ্ঠানটির NAPE নামকরণ করা হয় ১৯৮৫ সালে। ১ অক্টোবর ২০০৪ NAPE কে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করা হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝ন্যাপ (NAPE) ময়মনসিংহে অবস্থিত।
▣ জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ) সর্বপ্রথম ১৯৬৯ সনে জুনিয়র ট্রেনিং কলেজ (জেটিসি) হিসেবে ময়মনসিংহে প্রতিষ্ঠিত হয়।
❐ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এখানে ২ বৎসর মেয়াদি ইন্টারমিডিয়েট ইন এডুকেশন (আই এড) কোর্স পরিচালিত হয়।
❐ ময়মনসিংহ ছাড়াও ঢাকা, চট্টগ্রাম, ফেনী, রংপুর ও যশোরে অনুরূপ আরো পাঁচটি জুনিয়র ট্রেনিং কলেজ (জেটিসি) স্থাপিত হয়।
❐ মহান স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে জুনিয়র ট্রেনিং কলেজ (জেটিসি)গুলো রূপান্তরিত হয়ে কলেজ অব এডুকেশন নামে যাত্রা শুরু করে।
❐ প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পেশাগত প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষ্যে বার্ষিক প্রশিক্ষণ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেন।
❐ প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার অভীক্ষাপদ প্রণয়ন ও যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে।
❐ প্রাথমিক শিক্ষার বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করে তার সমাধানের জন্য গবেষণা পরিচালনা করে।
৩০৭. সিলেটের পূর্ব নাম-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মিসিসিপি- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖সিলেটের পূর্ব নাম- জালালাবাদ।
জেলাটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৭৭৫ সালে। আয়তন ৩৪৯০ বর্গ কিমি। সোনারগাঁও এর পূর্ব নাম সুবর্ণগ্রাম, ময়মনসিংহ এর পূর্ব নাম নাসিরাবাদ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝সিলেটের পূর্ব নাম জালালাবাদ।
▣ সিলেট একটি প্রাচীন জনপদ।
❐ সুলতানী আমলে সিলেটের নাম ছিল জালালাবাদ।
❐ দশম শতাব্দীতে মহারাজা শ্রীচন্দ্র কর্তৃক উৎকীর্ণ পশ্চিমবাগ তাম্রলিপি থেকে জানা যায় যে, তিনি সিলেট জয় করেছিলেন।
❐ ঐতিহাসিকদের ধারণা, সিলেট বা শ্রীহট্ট (সমৃদ্ধ হাট) বহু আগে থেকেই একটি বর্ধিষ্ণু বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে বর্তমান ছিল।
❐ প্রাচীন শ্রীহট্টে বিপুল হারে বাঙালি অভিবাসন হয়েছিল।
❐ ১৪ শতকে ইয়েমেনের সাধক পুরুষ হযরত শাহজালাল (র.) সিলেট জয় করেন এবং ইসলাম প্রচার শুরু করেন।
❐ মোগল যুগে পাঠান বীর খাজা ওসমান সিলেটের স্থানীয় সামন্তদের সহায়তায় আক্রমণকারী মোগলদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন।
❐ ১৮৫৭ সালে বিদ্রোহের সময়ে সিলেটে বিদ্রোহীরা বৃটিশ বেনিয়াদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ব্যর্থ হয়।
৩০৮. ”আনন্দ বিহার” কোথায় অবস্থিত?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মিসিসিপি- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖”আনন্দ বিহার” কুমিল্লার ময়নামতিতে অবস্থিত।
অষ্টম শতকে দেবরাজা আনন্দদেব 'আনন্দ বিহার' নির্মাণ করেন। শালবন বিহার ও কুমিল্লার ময়নামতিতে অবস্থিত।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝'আনন্দ বিহার’ ময়নামতিতে অবস্থিত।
▣ আনন্দবিহার প্রত্নতাত্ত্বিক দিক থেকে সমৃদ্ধ কুমিল্লার নিকটবর্তী কোটবাড়ি এলাকায় অবস্থিত।
❐ এ বিহার ময়নামতিতে আবিষ্কৃত সৌধমালার মধ্যে সর্ববৃহৎ।
❐ এ এলাকার সর্ববৃহৎ পুষ্করিণীসহ আনন্দবিহার কমপ্লেক্সটি সাত শতকের শেষ বা আট শতকের প্রথম দিকের কোনো এক সময়ে প্রথম দেববংশের তৃতীয় শাসক শ্রী আনন্দ দেব কর্তৃক নির্মিত হয়।
৩০৯. ”ষাট গম্বুজ” মসজিদটি নির্মাণ করেন--
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মিসিসিপি- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖”ষাট গম্বুজ” মসজিদটি নির্মাণ করেন-- পীর খান জাহান আলী।
পঞ্চদশ শতাব্দীতে নির্মিত এই মসজিদটি বাগেরহাট জেলায় অবস্থিত। এ মসজিদের গম্বুজের সংখ্যা ৮১ টি। তবুও এই মসজিদের নাম রাখা হয়েছে ষাট গম্বুজ মসজিদ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝‘ষাট গম্বুজ’ মসজিদটি নিমার্ণ করেন- পীর খান জাহান আলী।
❐ ষাটগম্বুজ মসজিদ বাংলাদেশের প্রাচীন মসজিদগুলির মধ্যে বৃহত্তম এবং সমগ্র ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম স্থাপত্যের অন্যতম চিত্তাকর্ষক নিদর্শন।
❐ খান আল-আজম উলুগ খান জাহান, যিনি দক্ষিণ বাংলার এক বৃহৎ অংশ জয় করে তৎকালীন সুলতান নাসিরউদ্দীন মাহমুদ শাহের (১৪৩৫-৫৯) সম্মানে বিজিত অঞ্চলের নামকরণ করেন খলিফাতাবাদ।
❐ তিনিই সম্ভবত ষাটগম্বজ মসজিদের নির্মাতা।
❐ ১৪৫৯ সালে তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত খান জাহান হাভেলি-খলিফাতাবাদ থেকে উক্ত অঞ্চল শাসন করেন।
❐ তাঁর শাসনকৃত অঞ্চলটিকে বর্তমান বাগেরহাটের সাথে অভিন্ন হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে।
-ষাটগম্বুজ মসজিদটিতে ৮১ টি গম্বুজ রয়েছে।
৩১০. জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রথম বাংলাদেশী সভাপতি-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মিসিসিপি- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রথম বাংলাদেশী সভাপতি- হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী।
তিনি ১৯৮৬ সালে ৪১ তম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রথম বাংলাদেশী সভাপতি ছিলেন আনোয়ারুল করিম চৌধুরী, ২০০১ সালের জুন মাসে তিনি এই দায়িত্ব পালন করেন।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রথম বাংলাদেশী সভাপতি হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী।
▣ বাংলাদেশ ১৯৮৬ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৪১তম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করে।
❐ বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।
❐ আনোয়ারুল করিম চৌধুরী ২০০১ সালে নিরাপত্তা পরিষদে সভাপতিত্ব করেন।
৩১১. কাঁচামাল হিসাবে আখের ছোবড়া ব্যবহার করা হয়-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মিসিসিপি- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖কাঁচামাল হিসাবে আখের ছোবড়া ব্যবহার করা হয়- উত্তরবঙ্গ কাগজ কল, পাকশী।
পাবনা জেলার পাকশীতে অবস্থিত উত্তরবঙ্গ কাগজ কলে কাঁচামাল হিসেবে আখের ছোবড়া ব্যবহার করা হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝কাঁচামাল হিসেবে আখের ছোবড়া ব্যবহার করা হয়- উত্তরবঙ্গ কাগজ কল, পাকশী। (বর্তমানে বন্ধ অবস্থায় আছে)
▣ পাবনার ঈশ্বরদীতে অবস্থিত নর্থ বেঙ্গল পেপার মিলের কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তার কাজে ব্যবহারের জন্য মিলের জমি হস্তান্তর করা হয়েছে। এতে উত্তরবঙ্গের অন্যতম ভারি শিল্পপ্রতিষ্ঠানটির ৫৬ বছরের পথচলা শেষ হলো।
৩১২. বাংলাদেশের বৃহত্তম হাওড় কোনটি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মিসিসিপি- ০৮.১১.১৩ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -তিস্তা- ০৮.০১.১০ 📖 আমদানি ও রপ্তানি (অফিস সহায়ক) 06-03-2020
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বাংলাদেশের বৃহত্তম হাওড় হলো হাকালুকি।
হাকালুকি হাওর মৌলভীবাজার ও সিলেট জেলায় অবস্থিত। হাকালুকি হাওর বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ হাওর। এটি এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম মিঠাপানির জলাভূমি। এর আয়তন ১৮, ১১৫ হেক্টর, তন্মধ্যে শুধুমাত্র বিলের আয়তন ৪, ৪০০ হেক্টর।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বাংলাদেশের হাওরাঞ্চলে মোট ৩৭৩টি হাওর রয়েছে।
❏ এর মধ্যে সবচেয়ে বড় হাওর হলো হাকালুকি হাওর।
❏ এটি সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলা জুড়ে বিস্তৃত।
❏ এর আয়তন ২১,৫০০ হেক্টর৷
৩১৩. মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য কতজনকে “বীরোত্তম” খেতাবে ভূষিত করা হয়?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মিসিসিপি- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ৬৮ জনকে “বীরোত্তম” খেতাবে ভূষিত করা হয়।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য মোট ৬৭৬ জনকে বিভিন্ন খেতাবে ভূষিত করা হয়। সাত জনকে বীরশ্রেষ্ঠ ৬৮ জনকে বীর উত্তম ১৭৫ জন কে বীরবিক্রম এবং ৪২৬ জনকে বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত করা হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ৬৮ জনকে ‘বীরোত্তম’ খেতাবে ভূষিত করা হয়।
▣ বীরত্বসূচক খেতাব বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অসম সাহসিকতা প্রদর্শন এবং আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধাদের প্রদত্ত খেতাব।
❐ ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিবাহিনীর সদস্যদের বীরত্ব ও সাহসিকতাপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিদান এবং তাদের মধ্যে আত্মত্যাগের প্রেরণা সৃষ্টির লক্ষে বীরত্বসূচক খেতাব প্রদানের একটি প্রস্তাব মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি এম এ জি ওসমানী মে মাসের প্রথমদিকে মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রিপরিষদে উপস্থাপন করেন।
❐ ১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর পূর্বে নির্বাচিত সকল মুক্তিযোদ্ধার নামসহ মোট ৬৭৬ জন মুক্তিযোদ্ধাকে নিম্নোক্ত খেতাব প্রদান করা হয়:
❐ বীরশ্রেষ্ঠ - ৭ জন
❐ বীর উত্তম - ৬৮ জন
❐ বীর বিক্রম- ১৭৫ জন
❐ বীর প্রতীক- ৪২৬ জন
▣ ১৯৯২ সালের ১৫ ডিসেম্বর জাতীয়ভাবে বীরত্বসূচক খেতাব প্রাপ্তদের পদক ও রিবন প্রদান করা হয়।
❐ ২০০১ সালের ৭ মার্চ খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের আর্থিক পুরস্কার এবং সনদপত্র প্রদান করা হয়।
৩১৪. দক্ষিণ গোলার্ধ ও সূর্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবধান হয়-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মিসিসিপি- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖দক্ষিণ গোলার্ধ ও সূর্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবধান হয়- ২১ জুন।
২১ জুন উত্তর গোলার্ধে সূর্যের নিকটতম স্থানে অবস্থান করে। এ তারিখে উত্তর গোলার্ধে সবচেয়ে বড় দিন ও ছোট রাত সংঘটিত হয়। এদিনে দক্ষিণ গোলার্ধে ও সূর্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দূরত্ব সৃষ্টি হয়। একে অপসূর বলে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝দক্ষিণ গোলার্ধ ও সূর্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দূরত্ব হয়- ২১ জুন।
▣ ২১জুন:
➾ পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে দীর্ঘতম দিন।
➾ পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধে সবচেয়ে ছোট দিন।
➾ পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধ ও সূর্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দূরত্ব।
৩১৫. শ্বসনে নির্গত হয়-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মিসিসিপি- ০৮.১১.১৩ 📖 DPE ২০১৪ (তৃতীয় পর্যায়) পদ : সহকারী শিক্ষক তারিখ: ২৬.০৫.১৮ 📖 জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা(NSI) সহকারী পরিচালক-১৬.১০.১৫
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖শ্বসনে নির্গত হয়- কার্বন ডাই-অক্সাইড।
শ্বসন এক ধরনের জারণ বিজারণ প্রক্রিয়া। চিপকো স্বাস্থ্য জটিল জৈব যৌগ গুলো শ্বসন প্রক্রিয়ায় জারিত হয় সরল যৌগিক পরিণত হয় এবং কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গত করে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝শ্বসন: এটি একটি বিপাকীয় প্রক্রিয়া যখন অক্সিজেনের উপস্থিতিতে গ্লুকোজকে ভেঙ্গে শক্তিতে রূপান্তরিত করা হয় এবং সাথে উপজাত হিসাবে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হয়।
❐
❐ শ্বসন প্রাণী ও উদ্ভিদ উভয় কোষেই ঘটে।
❐ শ্বসনের জন্য অক্সিজেন আবশ্যক।
❐ অক্সিজেনের উপস্থিতিতে গ্লুকোজের জারন ঘটে। ফলে শক্তি উৎপন্ন হয় যা জীবদেহ চালনা করে।
❐ উপজাত হিসাবে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হয়।
❐
৩১৬. সালোকসংশ্লেষণ ঘটে না-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মিসিসিপি- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖সালোকসংশ্লেষণ ঘটে না- মূলে।
সালোকসংশ্লেষণ একটি রাসায়নিক প্রক্রিয়া। পাতায় শাখা-প্রশাখায় ও সবুজ কাণ্ডে সালোকসংশ্লেষণ হয়। কিন্তু মূলে সালোকসংশ্লেষণ হয় না।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝সালোকসংশ্লেষণ: যে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় উদ্ভিদ কোষস্থ ক্লোরোফিল, বায়ুস্থ অক্সিজেন এবং পানির সহযোগে শর্করা জাতীয় খাদ্য এবং অক্সিজেন তৈরী হয় তাকেই সালোকসংশ্লেষণ বলে।
❐
❐ সালোকসংশ্লেষণ এর জন্য ক্লোরোফিল আবশ্যক। ক্লোরোফিল থাকে ক্লোরোপ্লাস্ট এ। এর বর্ণ সবুজ।
❐ উদ্ভিদের সবুজ অংশে ক্লোরোফিল থাকে।
❐ মূলে কোনো ক্লোরোফিল থাকে না। তাই মূলে সালোকসংশ্লেষণ ঘটে না। মূল সাধারণত খাদ্য সঞ্চয় করে থাকে।
❐
৩১৭. নিচের কোনটি ভাইরাসজনিত রোগ নয়?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মিসিসিপি- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖ভাইরাসজনিত রোগ নয়- টিটেনাস।
টিটেনাস একটি ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ; ইনফ্লুয়েঞ্জা, চিকেন পক্স ও হাম ভাইরাসজনিত রোগ। ক্লোস্ট্রিডিয়াম টিটেনি নামক জীবাণু দ্বারা এই রোগ সৃষ্টি হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝ভাইরাস ঘটিত রোগ:
❐ চিকেন পক্স = ভেরিওলা ভাইরাস।
❐ হার্পিস = হার্পিস ভাইরাস।
❐ হাম= রুবিওলা ভাইরাস।
❐ জলাতঙ্ক = র্যাবিস ভাইরাস।
❐ ইনফ্লুয়েঞ্জা - ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস।
❐ টিটেনাস একধরনের ব্যাক্টেরিয়াজনিত রোগ। ক্লস্টিডিয়াম টিটানি নামক ব্যাক্টেরিয়ার আক্রমনে এই রোগ হয়।
❐
৩১৮. টিউমার সংক্রান্ত চর্চাকে কি বলে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মিসিসিপি- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖টিউমার সংক্রান্ত চর্চাকে অঙ্কোলজি বলে।
কোষের গঠন ও কার্য কলাপ সংক্রান্ত বিদ্যাকে সাইটোলজি বলে। ইকোলজি বা বাস্তুবিদ্যা হলো জীব সম্প্রদায়ের সাথে পরিবেশের মিথস্ক্রিয়া সংক্রান্ত বিদ্যা। টিউমার লজি প্রকৃতপক্ষে কোন আলাদা বিভাগ নয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝ইকোলজি - বাস্তুসংস্থান সম্পর্কিত যে চর্চা।
অঙ্কোলজি - টিউমার, ক্যান্সার সংক্রান্ত চর্চা।
সাইটোলজি - কোষবিদ্যা।
❐
৩১৯. প্রবল জোয়ারের কারণ, এ সময়-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মিসিসিপি- ০৮.১১.১৩ 📖 12th BCS General Apr, 1991
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖প্রবল জোয়ারের কারণ, এ সময়- সূর্য, চন্দ্র ও পৃথিবী এক সরল রেখায় থাকে।
পূর্ণিমা ও অমাবস্যা তিথিতে পৃথিবী চন্দ্র ও সূর্য প্রায় একই সরলরেখায় অবস্থান করে। চন্দ্র ও সূর্যের মিলিত আকর্ষণের জন্য জোয়ারের পানি খুব বেশি ফুলে ওঠে। ফলে প্রবল জোয়ারের সৃষ্টি হয়। একে তেজ কটাল বলে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝জোয়ার: চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষণ শক্তি এবং পৃথিবীর কেন্দ্রাতিক শক্তি প্রভৃতির প্রভাবে সমুদ্রের পানি নির্দিষ্ট সময় অন্তর ফুলে উঠে আবার নেমে যায়। সমুদ্রের পানি এভাবে ফুলে উঠাকে বলা হয় জোয়ার (High Tide) এবং নেমে যাওয়াকে ভাঁটা (Ebb or low Tide) বলে।
প্রতি ১২ ঘন্টা ২৬ মিনিট পরপর এই জোয়ার ভাঁটা সংঘঠিত হয়। অর্থাৎ সমুদ্রে একই জায়গায় প্রতিদিন দু'বার জোয়ার ও দু'বার ভাঁটা হয়।
❐ জোয়ার ভাঁটার কারণ: জোয়ার ভাঁটা সম্পর্কে প্রাচীনকালে মানুষ নানা রকম অবাস্তব কল্পনা করত। কিন্তু বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেছেন যে চন্দ্র ও সূর্যের প্রভাবেই এবং পৃথিবীর আবর্তনের ফলে সৃষ্ট কেন্দ্রাতিগ শক্তির প্রভাবে জোয়ার ভাঁটা হয়। জোয়ার ভাঁটা সংঘটনের কারণকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
১) মহাকর্ষ শক্তির প্রভাব
২) পৃথিবীর কেন্দ্রাতিক শক্তি
❐ প্রবল জোয়ার: সূর্য, চন্দ্র, পৃথিবী যখন একই সরলরেখায় থাকে তখন পৃথিবীর উপর আকর্ষন বল অনেক বেশি হয়। তাই জোয়ারের পানি অনেক ফুলে উঠে।
৩২০. শব্দের তীব্রতা নির্ণায়ক যন্ত্র-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মিসিসিপি- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖শব্দের তীব্রতা নির্ণায়ক যন্ত্র- অডিওমিটার।
অ্যামিটার তড়িৎ প্রবাহ পরিমাপক যন্ত্র। অডিও ফোন কানে লাগিয়ে শোনার যন্ত্র। অলটিমিটার উচ্চতা পরিমাপক যন্ত্র এবং অডিওমিটার শব্দের তীব্রতা নির্ণায়ক যন্ত্র।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝অডিওমিটার - অডিওমিটার হল একটি যন্ত্র যা শ্রবণ ক্ষমতা, শব্দের তীব্রতা পরিমাপ করতে ব্যবহৃত হয়।
অডিওফোন - একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস যা শব্দকে প্রশস্ত করে এবং দুর্বল শ্রবণশক্তির জন্য শ্রুতিমধুর করতে পারে।
অ্যামিটার - তড়িৎ প্রবাহ পরিমাপের জন্য ব্যবহৃত যন্ত্র।
অলটিমিটার - অল্টিমিটার এমন একটি যন্ত্র যা উচ্চতা পরিমাপ করে।
❐
৩২১. বৈদ্যুতিক পাখা ধীরে ধীরে ঘুরলে বিদ্যুৎ খরচ
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মিসিসিপি- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বৈদ্যুতিক পাখা ধীরে ধীরে ঘুরলে বিদ্যুৎ খরচ একই থাকে।
বৈদ্যুতিক পাখার ধীরে ঘোরা রেগুলেটর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। রেগুলেটরি পরিবর্তনশীল রোধ থাকে। রোদ বাড়ানো হলে পাখা ধীরে ধীরে ঘোরে। পাখা ধীরে ঘুরলে বিদ্যুৎ খরচ একই হয় কারণ এ সময় রেগুলেটরি রোধ-এ বিদ্যুৎ শক্তি তাপ শক্তি হিসেবে অপচয় হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝বৈদ্যুতিক পাখা ধীরে ধীরে ঘুরলে বিদ্যুৎ খরচ সাধারনত একই হয়। কারন-
মেইন লাইন থেকে পাখা পর্যন্ত আসার সময় পাখার রেগুলেটর গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রেগুলেটর নিয়ন্ত্রণ করে কতটুকু শক্তি পাখা পর্যন্ত যাবে। রেগুলেটর কমিয়ে রাখলে বিদ্যুৎ প্রবাহ রেগুলেটর পর্যন্ত এসে আটকে যায়, ফলে রেগুলেটর গরম হয়ে যায়। কারন রেগুলেটর বাধা দেয় ফলে শক্তি এখানেই অপচয় হয়ে যায় এবং পাখা পর্যন্ত অল্প শক্তি যায় তাই পাখা ধীরে ঘুরে। রেগুলেটর ফুল দিয়ে রাখলে কোনো শক্তি এখানে অপচয় হয় না। পাখা পর্যন্ত যায় এবং পাখা দ্রুত ঘুরে।
❐ অর্থাৎ মেইন লাইন থেকে সব সময় একই পরিমান শক্তি যায়। তাই বিদ্যুৎ খরচ ও একই থাকে।
৩২২. সাধারণ স্টোরেজ ব্যাটারীতে সিসার ইলেকট্রোডের সাথে যে তরলটি ব্যবহৃত হয় তা হলো-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মিসিসিপি- ০৮.১১.১৩ 📖 12th BCS General Apr, 1991 📖 বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ~ বিভাগ ~ অধিদপ্তর ~ প্রশাসনিক কর্মকর্তা ~ ০৫.০৩.১৮
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖সাধারণ স্টোরেজ ব্যাটারীতে সিসার ইলেকট্রোডের সাথে যে তরলটি ব্যবহৃত হয় তা হলো- সালফিউরিক এসিড।
ব্যাটারি এক প্রকার তড়িৎ কোষ। স্টোরেজ ব্যাটারীতে অ্যানোড ও ক্যাথোড হিসেবে তামার ও দস্তার পাত পরস্পরকে স্পর্শ না করে সালফিউরিক এসিডে ডুবিয়ে রাখা হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝স্টোরেজ ব্যাটারি :
❐ প্রতিটি কোষে ইলেকট্রোডরূপে দুটি লেড ধাতুর গ্রিড (grid) বা লেড ধাতুর ঝাঁঝরি জালি থাকে।
❐ অ্যানোডরূপে ব্যবহৃত গ্রিডে অধিক পৃষ্ঠতল ক্ষেত্রযুক্ত স্পঞ্জি Pb ধাতুর গুঁড়া এবং ক্যাথোডরূপে ব্যবহৃত অধিক পৃষ্ঠতল ক্ষেত্রযুক্ত PbO₂ গুঁড়া Pb গ্রেডে যুক্ত থাকে। - এসব গ্রিড ডুবানো অবস্থায় থাকে তড়িৎ-বিশ্লেষ্যরূপে ব্যবহৃত প্রায় 4.5M H₂SO₄ দ্রবণে (বা, 38% w/w H₂SO₄ দ্রবণ, ঘনত্ব 1.29g/cm³)।
❐ গ্লাস-ফাইবার শিট দ্বারা গ্রিডগুলো পৃথক ও এর ও অন্তরীত অবস্থায় থাকে।
❐ তড়িৎ প্রবাহ সৃষ্টির সময় অ্যানোডের Pb ধাতু জারিত হয়ে লেড (II) সালফেটরূপে অ্যানোডে লেগে থাকে।
- উভয় ইলেকট্রোড H₂SO₄ এর দ্রবণে ডুবানো থাকে।
❐ Pb, PbSO₄/H₂SO₄ (aq)/PbO₂, Pb
❐
৩২৩. কচুশাক বিশেষভাবে মূল্যবান যে উপাদানের জন্য তা হলো--
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মিসিসিপি- ০৮.১১.১৩ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -হেমন্ত- ১৩.০৮.১০ 📖 রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -শাপলা- ০৯.১২.১১
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖কচুশাক বিশেষভাবে মূল্যবান যে উপাদানের জন্য তা হলো-- লৌহ।
কচুশাকের উল্লেখযোগ্য উপাদান লৌহ। তাছাড়া এতে ভিটামিন এ, ক্যালসিয়াম অক্সালেট এবং অন্যান্য ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ রয়েছে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝কচুতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, যা মানবদেহের জন্য খুবই উপকারী।
❐ কচুর মূল উপাদান হলো আয়রন (Fe), যা রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রেখে শরীরে অক্সিজেনের সরবরাহ ঠিক রাখে।
❐ কচুশাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে। এটি দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া চোখসম্পর্কিত জটিলতা কমায়।
❐ কচুশাকে থাকা স্যাপোনিনস, টেনিনস, কার্বোহাইড্রেট ও ফ্লাভোনয়েড উচ্চ রক্তচাপ কমায়।
- কচুর ডাঁটায় প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে, তাই গরমের সময় কচুর ডাঁটা রান্না করে খেলে শরীরের পানির ঘাটতি পূরণ হয়।
❐ নিয়মিত কচুশাক খেলে হৃদ্∘রোগের ঝুঁকিও কমে।
❐ কচুশাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে, এ কারণে এটি শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
❐ রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে কচুশাক। নিয়মিত শাকটি খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে।
❐ এটি হজমশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে।
❐ অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান রয়েছে।
❐ অর্থাৎ কচুতে আয়রন, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি সবই থাকে। কিন্তু কচুশাকের প্রধান উপাধান বলা হলে তা হলো লৌহ।
৩২৪. একজন সাধারণ মানুষের দেহে মোট কত টুকরা হাড় থাকে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মিসিসিপি- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖একজন সাধারণ মানুষের দেহে মোট ২০৬ টুকরা হাড় থাকে।
ইহার গুলোর মধ্যে করোটিতে ২২টি, মেরুদন্ডে ৩৩ টি, কাঁধে ৪ টি, বক্ষপিঞ্জরের ২৪ টি, উরু ফলকে ১ টি, দুই বাহুতে ৬০টি, শ্রেণীচক্রে ২ টি, দুই পায়ে ৬০ টি থাকে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖অস্থি যোজক কলার রূপান্তরিত রূপ। এটি দেহের সবচেয়ে দৃঢ় কলা।
লম্বা, ছোট, অসমান, চ্যাপ্টা মোট ২০৬ টি অস্থির সমন্বয়ে পূর্ণ বয়স্ক মানব কঙ্কাল গঠিত হয়।
শিশুর কঙ্কালে অস্থির সংখ্যা আরো বেশি থাকে।
❏ অস্থি মূলত ফসফরাস, সোডিয়াম, পটাশিয়াম এবং ক্যালসিয়ামের বিভিন্ন যৌগ দিয়ে তৈরি।
❏ অস্থিতে ৪০ থেকে ৫০ ভাগ পানি থাকে
❏ অস্থির বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার প্রয়োজন।
৩২৫. কোন জলজ জীবটি বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে পারে না?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মিসিসিপি- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖শুশুক বাতাসে নিঃশ্বাস নেয়।
শুশুক ও ডলফিন জাতীয় প্রাণী গুলো পানিতে বাস করলেও মাছের মত ফুলকার সাহায্যে পানি থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারে না। এরা পানি থেকে ভেসে ওঠে মাথার উপর আড়াআড়িভাবে থাকা ছিদ্রের সাহায্যে বাতাস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝ডলফিল বা শুশুক, তিমি জলজ প্রাণি হওয়ার পর ও শ্বাসকার্যের জন্য বায়ুতে আসতে হয়। কারন তাদের ফুলকার পরিবর্তে ফুসফুস থাকে।
❐ অর্থাৎ, হাঙ্গর বায়ুতে শ্বাস নিতে পারে না।
৩২৬. Seismograph কি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মুক্তিযোদ্ধা কোটা- .১৬
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖Seismograph বা সিসমোগ্রাফ ভূমিকম্প মাপা যন্ত্রের নাম। সিসমোমিটার ও সিসমোগ্রাফ মূলত একই প্রকার যন্ত্র। ভূমিকম্পের মাত্রা বা তীব্রতা পরিমাপ করা হয় রিখটার স্কেলে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖Seismograph (noun) ভূমিকম্পের শক্তি, স্থায়িত্ব ও দূরত্ব মাপার যন্ত্রবিশেষ; ভূকম্পলিখ।
Seismology (noun) [uncountable noun] ভূকম্পবিদ্যা।
Seismologist (noun) ভূকম্পবিদ।
৩২৭. ভৌগোলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ যে কাল্পনিক রেখাটি বাংলাদেশের উপর দিয়ে গিয়েছে তা হলো-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মুক্তিযোদ্ধা কোটা- .১৬ 📖 10th BCS General Apr, 1989 📖 কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়➟2007➯A ইউনিট
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖ভৌগোলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ যে কাল্পনিক রেখাট বাংলাদেশের উপর দিয়ে গিয়েছে তাকে কর্কটক্রান্তি রেখা বা ট্রপিক অফ ক্যান্সার বলা হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বাংলাদেশের মধ্যভাগ দিয়ে সাড়ে তেইশ ডিগ্রি উত্তর অক্ষরেখা বা কর্কটক্রান্তি রেখা অতিক্রম করেছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশে সমভাবাপন্ন জলবায়ু বিরাজ করে এবং এখানকার জলবায়ু ক্রান্তিয় জলবায়ুর অন্তর্গত।
৩২৮. ব্রিকস এর মূলমন্ত্র কি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মুক্তিযোদ্ধা কোটা- .১৬
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖ব্রিকস হল ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার আদ্যক্ষরের সমন্বয়ে নামকরণকৃত উদীয়মান জাতীয় অর্থনীতির দেশ সমূহের একটি জোট। এ জোটের মূলমন্ত্র হলো সদস্য দেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖BRICS হলো ৫টি দেশের সমন্বয়ে গঠিত একটি অনানুষ্ঠানিক ফোরাম। দেশসমূহ হলো ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। দেশগুলোর আদ্যাক্ষর দ্বারা BRICS শব্দটি গঠিত। ২০০১ সালে BRICS সম্পর্কে অর্থনীতিবিদ জিম ও’নিল প্রথম ধারনা দেন। ২০০৬ সালে ব্রিকস গঠনের প্রচেষ্টা শুরু হয় এবং ২০০৯ সালে রাশিয়ার ইকেতারিনবার্গে প্রথম BRICS Summit অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমে এ্রর নাম ছিলো BRIC. ২০১১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা যোগ দিলে এর নাম হয় BRICS. সর্বশেষ ২০১৯ সালে ব্রাসিলিয়ায় BRICS Summit অনুষ্ঠিত হয়। ব্রিকস এর মূলমন্ত্র সদস্য দেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।
৩২৯. কোন রাষ্ট্রগুলো দ্বীপের সমষ্টি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মুক্তিযোদ্ধা কোটা- .১৬ 📖 মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় মাঠ সহকারী ১১.০১.১৯ 📖 Rural Development Board - Asst. Officer - 07.04.06
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖জাপান পূর্ব এশিয়ার দেশ। এটি একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। জাপানের প্রধান চারটি দ্বীপ হল হোক্কইডো, হনসু, শিকোকু ও কিউসু। আর ফিলিপাইন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। এটি ৭, ১০৭টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖জাপান একটি যৌগিক আগ্নেয়গিরীয় দ্বীপমালা। এই দ্বীপমালাটি ৬,৮৫২টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত।
ফিলিপাইন ৭,১০৭টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত একটি রাষ্ট্র। এছাড়াও ইন্দোনেশিয়াও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি দ্বীপ রাষ্ট্র।
৩৩০. কোন দেশটি BIMSTEC-এর সদস্য নয়?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মুক্তিযোদ্ধা কোটা- .১৬
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖BIMSTEC একটি আঞ্চলিক অর্থনৈতিক জোট। এঁচোড় প্রতিষ্ঠিত হয় ৬ জুন ১৯৯৭। এর বর্তমান সদস্য সাতটি। যথা- বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, মায়ানমার, নেপাল ও ভুটান।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বিমসটেক (BIMSTEC-Bay of Bengal Initiative for Multi-Sectoral Technical and Economic Co-Operation) বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী দেশগুলোর আঞ্চলিক অর্থনৈতিক জোট।
এটি ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর স্থায়ী সদরদপ্তর অবস্থিত ঢাকায়। এর বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৭টি। এগুলো হলো- বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, নেপাল ও ভূটান। এর মধ্যে প্রথম চারটি দেশ প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য।
৩৩১. ৭ মার্চ ১৯৭১ এর বঙ্গবন্ধুর ভাষণের মূল বক্তব্য কি ছিল?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মুক্তিযোদ্ধা কোটা- .১৬
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বাঙালি জাতির মুক্তির বিবেচনায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভাষণ গুলোর অন্যতম ভাষণ বলা হয়। এই ভাষণে কে বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ বলা হয়। এই ভাষণের মূল বক্তব্য স্বাধীনতার সংগ্রাম তথা মুক্তির সংগ্রামের ঘোষণা।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖৭ মার্চ এর ভাষণটিকে পরোক্ষভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষনা হিসেবেই বিবেচনা করা হয়ে থাকে।❃👉 বিবিসি নিউজ।
৭ মার্চ ‘জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস’
❏ ভাষণকালঃ ৭ মার্চ, ১৯৭১
❏ স্থানঃ রেসকোর্স ময়দান (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান)
❏ ভাষণ শুরুঃ বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে
❏ মোট সময়ঃ ১৮ মিনিট (মতান্তরে ১৯ মিনিট)
❏ ভিডিও রেকর্ডকারীঃ পাকিস্তান চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক ও অভিনেতা আবুল খায়ের
❏ অডিও রেকর্ডকারীঃ এ এইচ খন্দকার
❏ প্রথম লাইনঃ ভাইয়েরা আমার, আজ দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি।
❏ শেষ লাইনঃ এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা।
❏ শব্দ সংখ্যাঃ ১,১০৮টি
❏ ভাষণে দাবি ছিলঃ ৪টি
❏ সংবিধানের তফসিলে সংযুক্ত হয়ঃ ৩০ জুন ২০১১ জাতীয় সংসদে পাশ হওয়া সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে পঞ্চম তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
❏ ভাষণটিকে UNESCO বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য ঘোষণা করেঃ ৩০ অক্টোবর ২০১৭
❏ ভাষণটি অনুদিত হয় (জুলাই ২০২০ পর্যন্ত): ১২টি ভাষায়।
৩৩২. বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি কে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মুক্তিযোদ্ধা কোটা- .১৬
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ। সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি। আর বাংলাদেশের প্রথম স্বরাষ্ট্র ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী এ এইচ এম কামরুজ্জামান।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
তাজউদ্দিন আহমেদ প্রথম প্রধানমন্ত্রী।
ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী প্রথম অর্থমন্ত্রী।
সৈয়দ নজরুল ইসলাম মুজিবনগর সরকার তথা বাংলাদেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি বা উপ-রাষ্ট্রপতি ছিলেন।
৩৩৩. ২০২২ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার কে পেয়েছেন?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মুক্তিযোদ্ধা কোটা- .১৬
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖আমেরিকান সংগীত ঐতিহ্য নতুন কাব্যিক অভিব্যক্তি প্রবর্তনের জন্য ২০১৬ সালে সাহিত্যের ১১৩তম ব্যক্তি হিসেবে নোবেল পান মার্কিন গায়ক ও গীতিকবি বব ডিলান। দীর্ঘ ২৩ বছর পর কোন মার্কিন সাহিত্যে নোবেল পেলেন।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖🏆 সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার ২০২২ : সাহস এবং নিখুঁত মাধ্যমে ব্যক্তিগত স্মৃতির শিকড়কে একত্রিত করে যেভাবে তিনি ক্ষুরধার কলমে অনাবৃত করেছেন সেই পেক্ষাপট থেকে সাহিত্য বিভাগে এককভাবে নোবেল জয়ী হলেন ❏ ফরাসী লেখিকা ➺ অ্যানি এনৌ।
৩৩৪. মহাস্থানগড়ের পুরাতন নাম কি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মুক্তিযোদ্ধা কোটা- .১৬
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖প্রাচীন বাংলার জনপদ গুলোর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হলো পুন্ড্রূ। এই জনপদের রাজধানী ছিল পুন্ড্রু নগর। পরবর্তীকালে এর নামকরণ করা হয় মহাস্থানগড়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖মহাস্থানগড় বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রাচীন নগরী। প্রসিদ্ধ এই নগরী ইতিহাসে পুণ্ড্রবর্ধন বা পুণ্ড্রনগর নামেও পরিচিত ছিল।
প্রাচীন নগরী পুন্ড্রবর্ধনের রাজধানী মহাস্থানগড় বগুড়ায় অবস্থিত করতোয়া নদীর তীরে অবস্থিত ছিল।
৩৩৫. NAFTA-এর সদস্য সংখ্যা কত?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মুক্তিযোদ্ধা কোটা- .১৬
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖NAFTA এর পূর্ণরূপ North American Free Trade Agreement। এটি স্বাক্ষরিত হয় ১৭ ডিসেম্বর ১৯৯২ এবং কার্যকর হয় ১ জানুয়ারি ১৯৯৪। নাফটার তিনটি সদস্য দেশ হল- যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖NAFTA উত্তর আমেরিকা মহাদেশের তিনটি দেশ মেক্সিকো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি যা ১৯৯৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়।
২০১৮ সালের ৩০ নভেম্বর NAFTA চুক্তি সংশোধন করে আরেকটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় যা USMCA চুক্তি নামে পরিচিত। এটি ১ জুলাই ২০২০ থেকে কার্যকর হয়।
৩৩৬. প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন বেলফোর ঘোঘণা ১৯১৭ এর মূল প্রতিপাদ্য ছিল-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মুক্তিযোদ্ধা কোটা- .১৬
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖১৯১৭ সালের ২ নভেম্বর ব্রিটেনের তৎকালীন পররাষ্ট্র সচিব স্যার বেলফোর প্রখ্যাত ব্রিটিশ ইহুদি লর্ড রথচাইল্ড এর কাছে ফিলিস্তিনে ইহুদীদের একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে যে চিঠি লিখেন সেটি ইতিহাসে বেলফোর ঘোষণা নামে খ্যাত। বেলফোর ঘোষণার মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ইহুদিদের জন্য একটি জাতি রাষ্ট্র গঠন করা।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বেলফোর ঘোষণা ইসরায়েল রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার সাথে জড়িত। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জয়ের ফলে অটোমান সাম্রাজ্যের হাত থেকে ফিলিস্তিন ভূখণ্ড ব্রিটেনের অধিকারে আসে।
১৯১৭ সালের ২ নভেম্বর ব্রিটেনের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী লর্ড আর্থার জেমস বেলফোর ইহুদিবাদী আন্দোলনের নেতা রথসচাইল্ডকে একটি চিঠির মাধ্যমে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইহুদিদের জন্যে একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ব্রিটেনের সহায়তার কথা জানান। তার এই চিঠিই ইতিহাসে বেলফোর ডিক্লারেশন নামে পরিচিত।
এই ঘোষণার ৩১ বছর পর ১৯৪৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের প্রত্যক্ষ সহায়তায় ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে জোরপূর্বক ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়।
৩৩৭. ”অ্যাবাকাস” কী?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মুক্তিযোদ্ধা কোটা- .১৬
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖অ্যাবাকাস হল সবচেয়ে পুরনো গণনা যন্ত্র। এটি মূলত আড়াআড়ি তারে ছোট গোলক বা পুতি লাগানো চারকোনা কাঠের একটি কাঠামো। ধারণা করা হয় খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ সালে ব্যাবিলনের এটি আবিষ্কার করা হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖অ্যাবাকাস(Abacus) হলো সবচেয়ে প্রাচীন গণনা যন্ত্র যার মধ্যে কতগুলো গুটি ব্যবহৃত হয়। অ্যাবাকাস কখন কোন দেশে প্রথম চালু হয় তা সঠিকভাবে জানা যায়নি। তবে খ্রীষ্টপূর্ব পাঁচশত অব্দে চীনে অ্যবাকাসের প্রচলন ছিল বলে অনেকে মনে করেন। প্রাচীন গ্রীসেও এই যন্ত্রের ব্যবহার ছিল। এছাড়া জাপান ও রাশিয়াতেও ভিন্ন নামে অ্যাবাকাসের প্রচলন ছিলো।
[
৩৩৮. কম্পিউটারে কোনটি নেই?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মুক্তিযোদ্ধা কোটা- .১৬ 📖 অর্থ মন্ত্রণালয়ের সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন- এন্ট্রি অপারেটর-৭.১২ 📖 Social Development Foundation - Data Entry Operator - 13.07.12
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖কম্পিউটার কার্যক্রমও হয় হার্ডওয়ার ও সফটওয়্যার এর সমন্বয়ে মাধ্যমে যা কোন ব্যবহারকারীর নির্দেশনা অনুসরণ করে। কম্পিউটারে প্রদত্ত তথ্য উপাত্ত বিচার-বিশ্লেষণ করেই কেবল এটি ফলাফল প্রদর্শন করে। কিন্তু কম্পিউটারের নিজস্ব কোন বুদ্ধি বিবেচনা নেই।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖কম্পিউটার হল বিভিন্ন গাণিতিক ও যুক্তিমূলক সমস্যা সমাধানের জন্য তৈরি একটি ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র। কম্পিউটারের সাহায্যে যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ প্রভৃতি গাণিতিক কাজ অতি দ্রুত ও নির্ভূলভাবে করা যায়। কম্পিউটারের সাথে মানুষের মৌলিক পার্থক্য হল মানুষের মত কম্পিউটারের নিজস্ব কোন বুদ্ধি বা চিন্তা(আইকিউ-Intelligence Quotient) করার ক্ষমতা নেই। মানুষের দেয়া নির্দেশ অনুসারে এই যন্ত্র কাজ করে। কম্পিউটারের নিজস্ব স্মৃতি থাকে। কম্পিউটারের প্রধান তিনটি বৈশিষ্ট্য হল- বিপুল পরিমাণ তথ্য স্মৃতিতে সংরক্ষণ করে রাখা, নির্ভূলভাবে কাজ করা এবং অতি দ্রুত গতিতে কাজ সম্পন্ন করা।
[
৩৩৯. মুক্তিযুদ্ধের আত্মসমর্পণের দলিল কোথায় স্বাক্ষরিত হয়?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মুক্তিযোদ্ধা কোটা- .১৬
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖মুক্তিযুদ্ধের আত্মসমর্পণের দলিল স্বাক্ষরিত হয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বরে। এ দলিলে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর পক্ষে স্টার কমান্ডের অধিনায়ক আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজী আর মিত্র বাহিনীর পক্ষে জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা স্বাক্ষর করেন। বাংলাদেশের পক্ষে সেখানে উপস্থিত ছিলেন এ কে খন্দকার।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের চীফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল জ্যাকব পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের খসড়া দলিল নিয়ে অপরাহ্ণ এক ঘটিকায় ঢাকা বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। লেফটেন্যান্ট জেনারেল অরোরা এক হেলিকপ্টার বহরে তাঁর সহকর্মীদের নিয়ে বিকাল চারটায় ঢাকা বিমানবন্দরে পৌঁছেন।
পাক বাহিনীর আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে মুক্তিবাহিনীর প্রতিনিধিত্ব করেন ডেপুটি চীফ অব স্টাফ গ্রুপ-ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকার।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিকাল পাঁচটা এক মিনিটে রমনা রেসকোর্সে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) যৌথ কম্যান্ডের পক্ষে লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা এবং পাকিস্তান বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কম্যান্ডের পক্ষে লেফটেন্যান্ট জেনারেল নিয়াজী পাকিস্তানের আত্মসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষর করেন।
৩৪০. বৈদ্যুতিক ঘন্টায় বিদ্যুৎ শক্তি কোন প্রকার শক্তিতে রূপান্তরিত হয়?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মুক্তিযোদ্ধা কোটা- .১৬
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বৈদ্যুতিক ঘণ্টায় বিদ্যুৎ শক্তি শব্দ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। বৈদ্যুতিক বাল্বে বিদ্যুৎশক্তি আলোক শক্তিতে ও তাপ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বৈদ্যুতিক ঘন্টায় বিদ্যুৎ শক্তি শব্দ শক্তিতে রূপান্তর হয়।
ব্যাটারিতে রাসায়নিক শক্তি বৈদ্যুতিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
বৈদ্যুতিক মটরে বিদ্যুৎ শক্তি যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
বৈদ্যুতিক পাখার ক্ষেত্রে বৈদ্যুতিক শক্তি যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।❃👉 পদার্থবিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।
তাপ ইঞ্জিন তাপশক্তিকে যান্ত্রিকশক্তিতে রূপান্তরিত করে।
৩৪১. মাইক্রোনেশিয়া এর অবস্থান হলো--
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মুক্তিযোদ্ধা কোটা- .১৬
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖মাইক্রোনেশিয়া অঞ্চলটি প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিমে অবস্থিত। এ অঞ্চলে মাইক্রোনেশিয়া, পালাউ, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ, কিরিবাতি ও নাউরু এই পাঁচটি স্বাধীন দেশ রয়েছে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖মাইক্রোনেশিয়া পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থিত। এটি অস্ট্রেলিয়ার উত্তরে, ফিলিপাইনের পূর্বে এবং আমেরিকা মহাদেশের পশ্চিমে অবস্থিত।
[গুগল ম্যাপে মাইক্রোনেশিয়ার অবস্থান দেখতে এখানে ক্লিক করুন]
৩৪২. বাংলাদেশের সংবিধান কতবার সংশোধিত হয়েছে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মুক্তিযোদ্ধা কোটা- .১৬
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
বাংলাদেশের সংবিধানের মোট ১৭ বার সংশোধন করা হয়েছে। তবে এসব সংশোধনীর মধ্যে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পঞ্চম সংশোধনী, হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সপ্তম সংশোধনী, ত্রয়োদশ সংশোধনী এবং ষোড়শ সংশোধনী সুপ্রীম কোর্ট কর্তৃক বাতিল করা হয়েছে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বাংলাদেশের সংবিধানে মোট ১১টি ভাগ, ১৫৩টি অনুচ্ছেদ, একটি প্রস্তাবনা এবং সাতটি তফসিল রয়েছে।
বাংলাদেশের সংবিধান এখন পর্যন্ত মোট ১৭ বার সংশোধিত হয়েছে।
৩৪৩. কানাডা কোন শিল্পের জন্য বিখ্যাত?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - রাইন- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 কানাডা:
▣ দেশটি কাগজ শিল্পের জন্য বিখ্যাত।
❐ কাগজ শিল্পের জন্য কানাডা বিশেষভাবে অগ্রণী একটি দেশ।
❐ নিউজপ্রিন্ট উৎপাদনে কানাডা বিশ্বে প্রথম স্থান অধিকার করে।
❐ কানাডার উত্তরে রয়েছে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈগা বনভূমি।
❐ এই সরলবর্গীয় বনভূমি থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে নরম কাঠের যোগান পাওয়া যায়, যা কাগজের মন্ড ও নিউজপ্রিন্ট তৈরির প্রধান উপকরণ।
৩৪৪. মুসলমান প্রধান না হয়েও কোন দেশটি ইসলামী সম্মেলন সংস্থার সদস্য?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - রাইন- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖ইসলামী সম্মেলন সংস্থার বর্তমান নাম হলো ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা। এটি গঠিত হয় ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৬৯ মরক্কোর রাবাতে। এর বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৫৭। সর্বশেষ সদস্য আইভরি কোস্ট। মুসলিম প্রধান না হয়েও এই সংস্থার সদস্যদেশ উগান্ডা, ক্যামেরুন, মোজাম্বিক, গায়ানা ও সুরিনাম।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 OIC:
❐ ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা OIC.
❐ OIC (The Organisation of Islamic Cooperation) হলো মুসলিম দেশগুলোর একটি রাজনৈতিক জোট যা ১৯৬৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর মরক্কোতে অনুষ্ঠিত রাবাত সম্মেলনের মাধ্যমে গঠিত হয়।
❐ OIC এর বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৫৭টি।
❐ ইসরাইল কর্তৃক আল আকসা মসজিদে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার প্রেক্ষাপটে OIC গঠিত হয়।
❐ দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের দুটি দেশ গায়ানা ও সুরিনাম OIC সদস্য।
❐ ইউরোপ মহাদেশের আলবেনিয়া OIC সদস্য।
▣ মুসলমান প্রধান না হয়েও উগান্ডা ইসলামী সম্মেলন সংস্থার সদস্য।
❐ বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালের ২২-২৪ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত OIC এর দ্বিতীয় শীর্ষ সম্মেলনে সর্বপ্রথম অংশগ্রহণ করে।
❐ OIC এর সদরদপ্তর সৌদি আরবের জেদ্দায় অবস্থিত।
❐ OIC এর বর্তমান মহাসচিব, এইচ. ই. হিসেইন ইব্রাহিম তাহা (১২ তম)।
❐ মহাসচিবের মেয়াদ-৫ বছর।
❐ অফিসিয়াল ভাষা- তিনটি (আরবি, ইংরেজি, ফ্রেঞ্চ)।
৩৪৫. যুক্তরাষ্ট্র ইউনিয়নে কোন ষ্টেট সর্বশেষ যোগ দেয়?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - রাইন- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖যুক্তরাষ্ট্র ইউনিয়ন বর্তমানে ৫০ টি এস্টেট ও একটি ফেডারেল জেলা কলম্বিয়া নিয়ে গঠিত। যুক্তরাষ্ট্র ইউনিয়নে সর্বশেষ ১৯৫৯ সালের ২১ আগস্ট 'হাওয়াই' স্টেটটি যোগ দেয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 যুক্তরাষ্ট্র ইউনিয়ন:
❐ ১৯ শতকের শেষের দিকে আলাস্কা এবং হাওয়াই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অঞ্চল ছিল।
❐ তারা ১৯৫৯ সাল পর্যন্ত ইউনিয়নে যোগ দেয়নি।
❐ ১৯৫৯ সালের জানুয়ারীতে, আলাস্কা ৪৯ তম রাজ্য হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ইউনিয়নে যোগ দেয়।
▣ একই মাসে হাওয়াই ৫০ তম ও সর্বশেষ রাজ্য হিসাবে যুক্তরাষ্ট্র ইউনিয়নে যোগদান করে।
❐ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাদের যুক্ত হওয়ার সাথে সাথে, ৫০-তারকা পতাকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারী পতাকা হয়ে ওঠে।
৩৪৬. বান্দুং শহরটি কোন দেশে অবস্থিত?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - রাইন- ০৮.১১.১৩ 📖 43th BCS General Oct, 2021 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -বাগানবিলাস- ১২.১০.১২
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বান্দুং শহরটি ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিমে জাভা প্রদেশের রাজধানী। বান্দুং শহরটি জনসংখ্যার দিক থেকে ইন্দোনেশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 বান্দুং:
▣ বান্দুং ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভা প্রদেশের রাজধানী।
❐ এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২,৪০০ ফুট (৭৩০ মিটার) উপরে অবস্থিত।
❐ বান্দুং ইন্দোনেশিয়ার ২য় বৃহত্তম শহর।
❐ শহরটির জনসংখ্যা ২.৬ মিলিয়ন এবং এটি ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে জনবহুল শহর হিসাবে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
৩৪৭. বঙ্গবন্ধু (যমুনা) বহুমুখী সেতুর পিলার কয়টি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - রাইন- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বঙ্গবন্ধু (যমুনা) বহুমুখী সেতু আনুষ্ঠানিকভাবে ২৩ জুন ১৯৯৮ উদ্বোধন করা হয়। এর দৈর্ঘ্য ৪.৮ কিমি এবং প্রস্থ ১৮.৫ মিটার। সেতুটির পিলার সংখ্যা ৫০ টি এবং স্প্যান সংখ্যা ৪৯ টি।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 যমুনা সেতু:
❐ বঙ্গবন্ধু সেতু ১৯৯৮ সালের জুনে উন্মুক্ত করা হয়।
❐ এই সেতুর যমুনা নদীর পূর্ব পাড়ের ভুয়াপুর এবং পশ্চিম পাড়ে সিরাজগঞ্জকে সংযুক্ত করেছে।
❐ এটি ১৯৯৮ সালে নির্মাণকালীন সময়ে পৃথিবীর ১১তম বৃহত্তম সেতু এবং বর্তমানে এটি দক্ষিণ এশিয়ার ৬ষ্ঠ বৃহত্তম সেতু।
❐ এটি যমুনা নদীর উপর দিয়ে নির্মিত যা বাংলাদেশের প্রধান তিনটি সেতুর একটি এবং পানি প্রবাহের উপর ভিত্তি করে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম।
❐ সেতুটির দৈর্ঘ্য ৪.৮ কি.মি এবং প্রস্থ ১৮.৫ মিটার।
▣ এর ৫০টি পিলার রয়েছে।
❐ সেতুটি নির্মাণে মোট খরচ হয় ৯৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
❐ আইডিএ, এডিবি, জাপানের ওইসিএফ প্রত্যেকে ২২ শতাংশ তহবিল সরবরাহ করে এবং বাকি ৩৪ শতাংশ ব্যয় বহন করে বাংলাদেশ।
৩৪৮. সতীদাহ প্রথা কবে রহিত হয়?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - রাইন- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖রাজা রামমোহন রায়ের সক্রিয় সহযোগিতায় লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক ৪ ডিসেম্বর ১৮২৯ সালে সহমরণ প্রথা বা সতীদাহ প্রথা রহিত করেন। সতীদাহ প্রথা রহিত করার জন্য রাজা রামমোহন রায় নিজের মতের স্বপক্ষে হিন্দু শাস্ত্রের নানা প্রমাণ দাখিল করেন।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 সামাজিক সংস্কার:
❐ সংস্কারপন্থী বাঙালি নেতা ও শিক্ষিত শ্রেণির উদারবাদীদের সহযোগিতায় ইংরেজ শাসকরা সামাজিক ধর্মীয় অনেক অমানবিক প্রথা কুসংস্কার দূর করতে সক্ষম হন।
▣ লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক, রাজা রামমোহন রায়, প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের মতো উদারপন্থী হিন্দু নেতৃবর্গ এবং সদর নিজামত আদালতের জজদের অকুণ্ঠ সমর্থনে ১৮২৯ খ্রিস্টাব্দে ডিসেম্বরে সতীদাহ প্রথা রহিত করতে সক্ষম হন।
❐ স্বামীর মৃত্যুর পর কোনো বিধবাকে স্বামীর সঙ্গে মরতে বাধ্য করলে তা আইনত দণ্ডনীয় বলে আইন জারি করা হয়।
❐ লর্ড এলেনবরা-এর সময়ে ১৮৪৩ খ্রিস্টাব্দে দাস প্রথা উচ্ছেদ করা হয়।
❐ লর্ড ডালহৌসি পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সহায়তায় হিন্দু বিধবা বিবাহ আইন পাস করে বিধবা বিবাহের প্রচলন করেন।
৩৪৯. কোন মুঘল সম্রাট বাংলার নাম দেন “জান্নাতাবাদ”?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - রাইন- ০৮.১১.১৩ 📖 জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়➟2006➯D ইউনিট
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖মুঘল সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় সম্রাট নাসিরুদ্দিন মোহাম্মদ হুমায়ুন বাংলার রূপ প্রকৃতি এবং সম্পদের প্রাচুর্য মুগ্ধ হয়ে বাংলার নাম দেন জান্নাতাবাদ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 হুমায়ুন:
❐ হুমায়ুন (১৫৩০-১৫৫৬) মুগল সম্রাট বাবরের জ্যেষ্ঠ পুত্র।
❐ ১৫৩০ খ্রিস্টাব্দে পিতার উত্তরাধিকারী হিসেবে দিল্লির সিংহাসনে আরোহণ করেন।
▣ সম্রাট হুমায়ুন বাংলার রাজধানীর নতুন নামকরণ করেন 'জান্নাতাবাদ'।
❐ হুমায়ূন এখানে ছয়মাস অবস্থান করেন।
৩৫০. কিসের তারতম্য থেকে আবহাওয়ার অবস্থা জানা যায়?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - হোয়াংহো- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বায়ুচাপের তারতম্য থেকে আবহাওয়ার অবস্থা জানা যায়।
৩০ থেকে ৪০ বছরের আবহাওয়ার অবস্থা থেকে জলবায়ুর তারতম্য জানা যায়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বায়ু তার ওজনের কারণে ভূপৃষ্ঠের ওপর যে চাপ প্রয়োগ করে তাকে বায়ুচাপ বলে। বায়ুচাপের তারতম্য থেকে আবহাওয়ার অবস্থা জানা যায়।
৩৫১. ইউনেসকো (UNESCO) প্রতিষ্ঠিত হয় কত সালে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - হোয়াংহো- ০৮.১১.১৩ 📖 জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা-১৯.০৬.১৫ 📖 নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে থানা/উপজেলা নির্বাচন অফিসার০৮.০৮.০৮
সাধারণ জ্ঞান
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖The United Nations Educational, Scientific and Cultural Organization (UNESCO) প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৪৫ সালের ১৬ নভেম্বর লন্ডনে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় যা ১৯৪৬ সালের ৪ নভেম্বর কার্যকর হয়। একই বছরের ১৯ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর প্যারিসে এর প্রথম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ইউনেস্কোর সদরদপ্তর ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অবস্থিত।
বাংলাদেশ ১৯৭২ সালের ২৭ অক্টোবর ইউনেস্কোতে যোগ দেয়।
৩৫২. জাতিসংঘের প্রথম মহাসচিব কে ছিলেন?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - হোয়াংহো- ০৮.১১.১৩ 📖 আবহাওয়া অধিদপ্তরের অধীন সহকারী আবহাওয়াবিদ.০৪ 📖 শ্রম পরিদপ্তরের জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর উপসহকারী পরিচালক-১২.০১
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖জাতিসংঘের প্রথম মহাসচিব ছিলেন ট্রিগভেলি।
নরওয়ের অধিবাসী ট্রিগভেলি ১৯৪৬-১৯৫৩ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘের প্রথম মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে আরও আটজন মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন। তারা হলেন দাগ হ্যামারশোল্ড, উ-থান্ট, কুর্ট ওয়ার্ল্ড হেইম, জ্যাভিয়ার প্যারেজ দ্য কুয়েলার, বুট্রোস গালি, কফি আনান, বান কি মুন ও অ্যান্টোনিও গুতেরেস।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖জাতিসংঘের প্রথম নির্বাচিত মহাসচিব ছিলেন - ট্রিগভেলি (১৯৪৬ - ১৯৫২)।
তার আগে ২৪ অক্টোবর, ১৯৪৫ থেকে ২ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ নাগরিক - গ্লাডউইন জেব জাতিসংঘের ভারপ্রাপ্ত মহা সচিব হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করেন।
৩৫৩. বাংলাদেশ কত সালে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - হোয়াংহো- ০৮.১১.১৩ 📖 পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক-০৬.০৫.১১ 📖 Rajshahi Krishi Unnayan Bank - Cashier - 22.01.10
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে।
বাংলাদেশ জাতিসংঘের ২৯ তম অধিবেশনে ১৩৬ তম দেশ হিসেবে সদস্যপদ লাভ করে ১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর। তখন বাংলাদেশের সাথে আরও দুটি দেশ গ্রানাডা ও গিনি-বিসাউ সদস্যপদ লাভ করে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৪ সালে ১৩৬ তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে।
২৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘের ২৯তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বাংলায় ভাষণ দেন।
৩৫৪. ”অপারেজেয় বাংলা” কী?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - হোয়াংহো- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖”অপারেজেয় বাংলা” হলো মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ভাস্কর্য।
'অপরাজেয় বাংলা' ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবন চত্বরে অবস্থিত একটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ভাস্কর্য। এটি ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭৯ উদ্বোধন করা হয়। এর স্থপতি হলেন সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ভাস্কর্য অপরাজেয় বাংলা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সম্মুখ প্রাঙ্গনে অবস্থিত। এটির স্থপতি সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালেদ।
১৯৭৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর এটি উদ্বোধন করা হয়।
অপরাজেয় বাংলা কোন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে স্থাপিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রথম ভাস্কর্য।
৩৫৫. বাংলাদেশে প্রথম ডিজিটাল টেলিফোন ব্যবস্থা চালু হয় কবে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - হোয়াংহো- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বাংলাদেশে প্রথম ডিজিটাল টেলিফোন ব্যবস্থা চালু হয় ১৯৯০ সালে।
প্রথম কার্ড ফোন চালু হয় ৩ সেপ্টেম্বর ১৯৯২ 'সেলুলার টেলিফোন' ব্যবস্থা চালু হয় ৮ আগস্ট ১৯৯৩।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বাংলাদেশে প্রথম ডিজিটাল টেলিফোন ব্যবস্থা চালূ হয় ৪ জানুয়ারী, ১৯৯০।
বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহার চালু হয় ১৯৯৩ সালে।
৩৫৬. মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশকে কয়টি সেক্টরে ভাগ করা হয়?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - হোয়াংহো- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়।
৪ এপ্রিল ১৯৭১ সালে মুক্তি ফৌজ গঠিত হয়। এপ্রিল মুক্তি ফৌজের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় মুক্তিবাহিনী। পরবর্তীতে জেনারেল এম এ জি ওসমানী রণকৌশল হিসেবে সমগ্র দেশকে ১১ টি সেক্টরে ভাগ করেন।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল অস্থায়ী প্রবাসী সরকার গঠিত হয়।
এ সরকার প্রথমে ১০ এপ্রিল সমগ্র দেশকে ৪ টি সেক্টরে ভাগ করে। ১১ এপ্রিল তা পুর্নগঠন করে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করা হয়।
এছাড়া তিনটি বিগ্রেড ফোর্স গঠন এবং ১১টি সেক্টরকে ৬৪টি সাব সেক্টরে বিভক্ত করা হয়।
১০ নং সেক্টরে কোন নিয়মিত কমান্ডার ছিলো না। এটি ছিলো নৌ সেক্টর।
৩৫৭. সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহ কোনটি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - হোয়াংহো- ০৮.১১.১৩ 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2016➯খ ইউনিট 📖 বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়➟2012➯খ ইউনিট
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহ বৃহস্পতি।
বৃহস্পতি কে গ্রহরাজ বলা হয়। বুধ সৌরজগতের ক্ষুদ্রতম ও দ্রুততম গ্রহ। এটি সূর্যের সবচেয়ে নিকটে অবস্থিত। শুক্র পৃথিবীর নিকটতম গ্রহ। আর মঙ্গল গ্রহকে বলা হয় লাল গ্রহ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বৃহস্পতি সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহ এবং একে গ্রহরাজ বলা হয়।
বুধ বা মার্কারি হলো সূর্যের নিকটতম এবং ক্ষুদ্রতম গ্রহ।
পৃথিবীর নিকটতম গ্রহ হলো ভেনাস বা শুক্র।
৩৫৮. ভারত-শ্রীলংকাকে পৃথক করেছে কোন প্রণালী?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - হোয়াংহো- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖ভারত-শ্রীলংকাকে পৃথক করেছে পক প্রণালী।
পক প্রণালী ভারত এবং শ্রীলংকাকে পৃথক করেছে এবং এটি বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগর কে যুক্ত করেছে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖ভারতকে শ্রীলংকা হতে পৃথক করেছে পক প্রণালী।
বেরিং প্রণালী আর্কটিক মহাসাগরকে বেরিং সাগরের সাথে সংযুক্ত করে এবং এশিয়া থেকে উত্তর আমেরিকাকে পৃথক করেছে।
৩৫৯. কোনটি মৌলিক পদার্থ?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - হোয়াংহো- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖নিয়ন মৌলিক পদার্থ।
যে বস্তু কে রাসায়নিক ভাবে বিশ্লেষণ করে অন্য কোনো সহজ বস্তুতে রূপান্তরিত করা যায় না তাকে মৌলিক পদার্থ বলে। যেমন হিলিয়াম, নিয়ন, তামা, লোহা ইত্যাদি। অন্যদিকে যে বস্তু কে রাসায়নিক ভাবে বিশ্লেষণ করলে দুই বা ততোধিক মৌলিক পদার্থ পাওয়া যায় তাকে যৌগিক পদার্থ বলে। যেমন : চিনি, লবণ, পানি ইত্যাদি।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖যে সব পদার্থকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত করলে ওই পদার্থ ছাড়া অন্য কোন পদার্থ পাওয়া যায়না তাদেরকে মৌল বা মৌলিক পদার্থ বলা হয়। এ পর্যন্ত মোট ১১৮টি মৌল চিহ্নিত হয়েছে যার মধ্যে ৯৪টি প্রকৃতিতে পাওয়া যায়, বাকী ২৪টি কৃত্রিম উপায়ে তৈরী করা হয়।
যেমন- হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, হিলিয়াম, নিয়ন, আর্গন।
চিনি, পানি, লবণ এসব যৌগিক পদার্থ। কারণ এদেরকে বিশ্লেষণ করলে একাধিক মৌলিক পদার্থ পাওয়া যাবে।
৩৬০. কোন রঙের বস্তু তাপ শোষণ কম করে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - হোয়াংহো- ০৮.১১.১৩ 📖 36th BCS General Jan, 2016 📖 রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -শিউলি- ০৯.১২.১১
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖সাদা রঙের বস্তু তাপ শোষণ কম করে।
সাদা রঙের বস্তুর তাপ শোষণ ক্ষমতা সবচেয়ে কম কিন্তু কালো রঙের বস্তুর তাপ শোষণ ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖সাদা রঙের জামার তাপ শোষণ ক্ষমতা কম। এজন্যই গ্রীষ্মকালে সাদা রঙের জামা অধিক আরামদায়ক। অন্যদিকে, কালো রঙের জামার তাপ শোষণ ক্ষমতা বেশি, সেজন্য তা গ্রীষ্মকালে ততটা আরামদায়ক হয় না।
৩৬১. কোন মাধ্যমে শব্দের গতি সবচেয়ে বেশি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - হোয়াংহো- ০৮.১১.১৩ 📖 30th BCS General Jul, 2010 📖 14th BCS General Apr, 1992
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖কঠিন পদার্থের মাধ্যমে শব্দের গতি সবচেয়ে বেশি।
শব্দ এক প্রকার যান্ত্রিক তরঙ্গ। তাই শব্দ চলার জন্য মাধ্যমের প্রয়োজন। শব্দের বেগ কঠিন পদার্থে সবচেয়ে বেশি। তরলে তার চেয়ে কম এবং বায়োবীয় পদার্থে সবচেয়ে কম। আরো শূন্য মাধ্যমে শব্দের বেগ শূন্য।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖শব্দের বেগ সবচেয়ে বেশি কঠিন মাধ্যমে এবং সবচেয়ে কম বায়বীয় মাধ্যমে।
উল্লেখ্য, শব্দ মাধ্যম ছাড়া পরিবাহিত হতে পারে না। তাই শূণ্যতায় শব্দের কোন অস্তিত্বই নেই, গতি কম বা বেশি হওয়ার তো প্রশ্নই আসে না।
৩৬২. ভূপৃষ্ঠে কোন ধাতু সবচেয়ে বেশি আছে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - হোয়াংহো- ০৮.১১.১৩ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -কর্ণফুলী- ২৪.০২.১২ 📖 প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖ভূপৃষ্ঠে অ্যালুমিনিয়াম ধাতু সবচেয়ে বেশি আছে।
ভূপৃষ্ঠে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে আছে অ্যালুমিনিয়াম ধাতু ৮.১%। লৌহ (৫.১%) ক্যালসিয়াম (৩.৭%) সোডিয়াম (২.৮%) পটাশিয়াম (২.৫%) বিদ্যমান। ভূত্বকের প্রধান উপাদান অক্সিজেন ৪২.৭%।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖ভূপৃষ্ঠে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে আছে অ্যালুমিনিয়াম ধাতু (৮.১%)। লোহার পরিমাণ ৫%, ক্যালসিয়াম ৩.৬%।
৩৬৩. নিচের কোন যৌগটি “ভিটামিন সি”?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - হোয়াংহো- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖অ্যাসকরবিক এসিড যৌগটি ভিটামিন সি।
ভিটামিন সি এর অপর নাম অ্যাসকরবিক এসিড, যা পানিতে দ্রবণীয়। বিভিন্ন টক জাতীয় ফল ও টাটকা শাকসবজিতে ভিটামিন সি পাওয়া যায়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖ভিটামিন সি (অ্যাসকরবিক এসিড) - টাটকা শাক সবজি এবং টাটকা ফলে এই ভিটামিন পাওয়া যায়৷ লেটুস, কাচামরিচ, ফুলকপি করলা, টম্যাটো, আনারস, পেয়ারা ইত্যাদিতে এই ভিটামিন পাওয়া যাত।
শুকনা ফল ও বীজে এবং টিনজাত খাবারে এই ভিটামিন পাওয়া যায় না৷
৩৬৪. কোনটি সাবান কে শক্ত করে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - হোয়াংহো- ০৮.১১.১৩ 📖 ১১শ বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস প্রিলিমিনারী পরীক্ষা, .১৭
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖সাবান কে শক্ত করে সোডিয়াম সিলিকেট।
সাবান থেকে সোডিয়াম পটাশিয়াম স্টিয়ারেট যা সহজেই পানিতে দ্রবণীয়। সাবান যেন সহজেই পানিতে দ্রবীভূত না হয় তার জন্য এর সাথে সোডিয়াম সিলিকেট মেশানো হয়। সোডিয়াম সিলিকেট সাবান কে শক্ত করে। সাবানের অতিরিক্ত দ্রাব্যতা রোধ করার জন্য সোডিয়াম সিলিকেট ব্যবহার করা হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖সাবান সাধারণত শক্ত এবং কোমল এই দুই শ্রেণীতে বিভক্ত।
শক্ত সাবান তৈরিতে কষ্টিক সোডা এবং কোমল সাবান তৈরিতে কস্টিক পটাসের ব্যবহার হয়ে থাকে।
সাধারণত তুলনামূলক শক্ত ধরনের সাবান তৈরীর জন্যে সোডিয়াম হাইড্রক্সাইড (NaOH) এবং কোমল ধরনের সাবানের জন্যে পটাশিয়াম হাইড্রক্সাইড (KOH) ব্যবহার করা হয়।
এছাড়াও, সাবানকে শক্ত ও ভারী করার জন্য সোডিয়াম সিলিকেট (Na_2 SiO_3 ) ব্যবহার করা হয়। তবে, এটা পরিমাণমত ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যাতে বেশি শক্ত হয়ে না যায়।
৩৬৫. বিলিরুবিন তৈরি হয়-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - হোয়াংহো- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বিলিরুবিন তৈরি হয়--প্লিহায়।
বিলিরুবিন হচ্ছে পিত্তরসের কমলা রঙ্গের প্রধান রঞ্জক পদার্থ। হিমোগ্লোবিনের প্রধান দুটি উপাদান প্রোটিন অংশ গ্লোবিন ও লৌহ যুক্ত অংশ হিম। হিম ভেঙ্গে শেষ পর্যন্ত বিলিরুবিনের পরিণত হয়। রক্তে বিলিরুবিন এর মাত্রা বেড়ে যাওয়াকে জন্ডিস বলে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
❏ মানবদেহের যকৃতের মধ্যে অবস্থিত প্লীহাই মূলত বিলিরুবিন উৎপন্ন হওয়ার প্রধান স্থান হিসেবে স্বীকৃত।
❏ যা কনজুগেশন এর মাধ্যমে যকৃতে পৌঁছে থাকে।
❏ পিত্তথলি নিঃসৃত পিত্তরস বিলিরুবিন পাওয়া যায়।
❏ মানবদেহের কিডনির সঙ্গে বিলিরুবিন উৎপন্ন হওয়ার কোন ধরনের সম্পর্ক নেই।
❏ বিলিরুবিন মূলত মানুষের লিভারের হয়ে থাকে।
❏ মানবদেহের হিম অর্থাৎ, হিমোগ্লোবিনের লৌহযুক্ত প্রস্থেটিক ভেঙে যে সমস্ত বজ্র পদার্থ তৈরি হয় সেগুলোর মধ্যে হলুদ পিত্ত রঙ্গক বিলিরুবিন তাদের মধ্যে অন্যতম।এবং আরেকটি হল কার্বন মনোক্সাইড।
❏ বিলিরুবিন যদি বিজারিত হয় তাহলে সবুজ বিলিভার্ডিন তৈরি হয়।
❏ রক্তের মধ্যে বিলিরুবিন যকৃতে গ্লুকো- ইউরোনিয়াম অ্যাসিড যুক্ত হয়ে জলদ্রাব্য হয় এবং পিওের মাধ্যমে ক্ষুদ্রান্ত্রের মধ্যে পৌঁছায়।
❏ সেখানে ব্যক্টেরিয়া দ্বারা অর্ধেক বিলিরুবিন থেকে ইউরোবিলিনোজেন উৎপন্ন হয় যা অন্ত্র থেকে শোষিত হয়ে শেষে হলুদ ইউরোবিলিন হিসাবে মূত্রে (প্রস্রাব/পেচ্ছাপ) পৌছায় বলে মূত্রের রং হলুদ।
❏ পায়খানার রং হল হলুদ বিলরুবিন ও খয়েরী স্টারকোবিলিনের মিশ্রণ।
❏ ইউরোবিলিনোজেন অন্ত্রে থেকে গেলে জারিত হয়ে খয়েরী স্টারকোবিলিন তৈরি করে।
❏ দেহে বিলরুবিন বেশি হলে তাকে জন্ডিস বলে।
৩৬৬. গাছের পাতা পীত বর্ণ ধারণ করে কিসের অভাবে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - হোয়াংহো- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖গাছের পাতা পীত বর্ণ ধারণ করে নাইট্রোজেনের অভাবে।
নাইট্রোজেনের অভাব হলে ক্লোরোফিল সৃষ্টিতে বিঘ্ন ঘটে। ফলে পাতাগুলো হলুদ হয়ে যায়। কচি পাতা গুলো শেষে হলুদ হয় এবং পীতবর্ণ ধারণ করে। পাতার বর্ণ পরিবর্তন হওয়ার প্রক্রিয়াকে ক্লোরোসিস বলা হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖নাইট্রোজেনের অভাবে ক্লোরোফিল সৃষ্টিতে ব্যাঘাত ঘটে। তাই এর অভাবে পাতা হলুদ বা পীত বর্ণের হয়। এ প্রক্রিয়াকে ক্লোরোসিস বলে। কোষের বৃদ্ধি ও বিভাজন হ্রাস পায়। ফলে উদ্ভিদের বৃদ্ধি কমে যায়।
৩৬৭. মানুষের ক্রোমোজোমের সংখ্যা কত?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - হোয়াংহো- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖মানুষের ক্রোমোজোমের সংখ্যা ২৩ জোড়া।
এরমধ্যে ২২ জোড়া স্ত্রী ও পুরুষ একই রকম। এদের অটোজোম বলা হয়। বাকি একজোড়া মানুষের লিঙ্গ নির্ধারণ করে বলে এদের সেক্স ক্রোমোজোম বলে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖মানবদেহে ক্রোমোজোমের সংখ্যা হলো ২৩ জোড়া।এর মধ্যে এক জোড়া সেক্স ক্রোমোসোম এবং ২২ জোরা অটোসোম।
৩৬৮. বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা প্রথম শুরু হয়---
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - হোয়াংহো- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা প্রথম শুরু হয়-- ১৯৩০ সালে।
প্রথম বিশ্বকাপ ফুটবল অনুষ্ঠিত হয় ১৯৩০ সালে উরুগুয়েতে। প্রথম বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় উরুগুয়ে এবং রানার্সআপ হয় আর্জেন্টিনা।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা প্রথম শুরু হয় ১৯৩০ সালে। ফুটবল বিশ্বকাপের প্রথম আসরটি অনুষ্ঠিত হয় উরুগুয়েতে। প্রথম আসরে ১৩ টি দল অংশ নেয়। সেই আসরে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে উরুগুয়ে চ্যাম্পিয়ান হয়।
৩৬৯. ১৯৩০ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম বিশ্বকাপ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন দেশ--
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - হোয়াংহো- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖১৯৩০ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম বিশ্বকাপ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন দেশ- উরুগুয়ে।
প্রথম বিশ্বকাপ ফুটবল অনুষ্ঠিত হয় ১৯৩০ সালে উরুগুয়ে। প্রথম বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় উরুগুয়ে এবং রানার্সআপ হয় আর্জেন্টিনা।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা প্রথম শুরু হয় ১৯৩০ সালে। ফুটবল বিশ্বকাপের প্রথম আসরটি অনুষ্ঠিত হয় উরুগুয়েতে। প্রথম আসরে ১৩ টি দল অংশ নেয়। সেই আসরে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে উরুগুয়ে চ্যাম্পিয়ান হয়।
৩৭০. বায়ুর আর্দ্রতা পরিমাপ করার যন্ত্রের নাম কি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - হোয়াংহো- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বায়ুর আর্দ্রতা পরিমাপ করার যন্ত্রের নাম হাইগ্রোমিটার।
এভোমিটার- রোধ, ডিসি ভোল্টেজ, ডিসি প্রবাহ মাপক, ব্যারোমিটার- বায়ুর চাপ মাপক ও অ্যামিটার- তড়িৎ প্রবাহ মাপক যন্ত্র।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖গ্যাসের চাপ নির্ণায়ক যন্ত্র - ম্যানোমিটার,
বায়ুমণ্ডলীয় চাপ নির্ণায়ক যন্ত্র - ব্যারোমিটার,
আর্দ্রতা পরিমাপের যন্ত্র - হাইগ্রোমিটার এবং
উচ্চ তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র - পাইরোমিটার।
৩৭১. ঢাকায় বাংলার রাজধানী স্থাপনের সময় মোগল সুবেদার কে ছিলেন?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - হোয়াংহো- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖ঢাকায় বাংলার রাজধানী স্থাপনের সময় মোগল সুবেদার ছিলেন ইসলাম খাঁন।
ঢাকা বাংলার রাজধানী স্থাপনের সময় মুঘল সুবেদার ছিলেন ইসলাম খান। মোগল সম্রাট জাহাঙ্গীরের শাসনামলে বাংলার সুবেদার ইসলাম খান বাংলার রাজধানী হিসেবে ঢাকা শহরকে গোড়াপত্তন করেন। তিনি সালে সুবা বাংলার রাজধানী রাজমহল থেকে ঢাকায় স্থানান্তরিত করেন এবং সম্রাটের নাম অনুসারে ঢাকার নামকরণ করেন জাহাঙ্গীরনগর।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖মুঘল সুবাদার ইসলাম খান চিশতি বারোভূঁইয়াদের দমন করার সহজার্থে ১৬১০ সালে বাংলার রাজধানী রাজমহল থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করেন। তৎকালীন মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের নামানুসারে তিনি ঢাকার নাম রাখেন জাহাঙ্গীরনগর। ইসলাম খান চিশতি ১৬১১ সালে বারোভূঁইয়াদের চূড়ান্তভাবে পরাজিত করে সমগ্র বাংলা মুঘল শাসনের অধীনে আনেন।
৩৭২. ময়মনসিংহ জেলার পূর্ব নাম---
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - হোয়াংহো- ০৮.১১.১৩ 📖 ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়➟2017➯B ইউনিট 📖 জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা(মুক্তিযোদ্ধা ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী)-২৮.০৮.১৫
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖ময়মনসিংহ জেলার পূর্ব নাম--নাসিরাবাদ।
ময়মনসিংহ জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় ১ মে ১৭৭৮। এ জেলার আয়তন ৪৩৯৪.৫৭ বর্গ কিমি। উপজেলা রয়েছে ১৩টি। সিলেট জেলার পূর্বনাম জালালাবাদ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖মোগল আমলে মোমেনশাহ নামে একজন সাধক ছিলেন, তাঁর নামেই মধ্যযুগে অঞ্চলটির নাম হয় মোমেনশাহী। ষোড়শ শতাব্দীতে বাংলার স্বাধীন সুলতান সৈয়দ আলাউদ্দিন হোসেন শাহ তাঁর পুত্র সৈয়দ নাসির উদ্দিন নসরত শাহ'র জন্য এ অঞ্চলে একটি নতুন রাজ্য গঠন করেছিলেন, সেই থেকেই নসরতশাহী বা নাসিরাবাদ নামের সৃষ্টি। নাসিরাবাদ নাম পরিবর্তন হয়ে ময়মনসিংহ হয় একটি ভুলের কারণে। বিশ টিন কেরোসিন বুক করা হয়েছিল বর্জনলাল এন্ড কোম্পানীর পক্ষ থেকে নাসিরাবাদ রেল স্টেশনে। এই মাল চলে যায় রাজপুতনার নাসিরাবাদ রেল স্টেশনে। এ নিয়ে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। পরবর্তীতে আরো কিছু বিভ্রান্তি ঘটায় রেলওয়ে স্টেশনের নাম পরিবর্তন করে ময়মনসিংহ রাখা হয়। সেই থেকে নাসিরাবাদের পরিবর্তে ময়মনসিংহ ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
৩৭৩. তালিবাবাদ উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্রটি চালু হয়?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - হোয়াংহো- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖তালিবাবাদ উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্রটি চালু হয় ১৯৮২ সালে।
আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে যে কেন্দ্র ব্যবহার করা হয় তাই ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র। বাংলাদেশের চারটি ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলো হলো : বেদবুনিয়া, তালিবাবাদ, মহাখালী এবং সিলেট ভূ উপগ্রহ কেন্দ্র।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বাংলাদেশে ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র ৪টি। বেতবুনিয়া (রাঙ্গামাটি), ১৯৭৫; তালিবাবাদ (গাজীপুর), ১৯৮২; মহাখালী (ঢাকা), ১৯৯৫ এবং সিলেট, ১৯৯৭।
৩৭৪. তালিবাবাদ কোন জেলায় অবস্থিত?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - হোয়াংহো- ০৮.১১.১৩ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -চট্রগ্রাম বিভাগ- ১৮.০৪.০৮
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖তালিবাবাদ গাজীপুর জেলায় অবস্থিত।
বাংলাদেশের চারটি ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্রের মধ্যে তালিবাবাদ অন্যতম। তালিবাবাদ গাজীপুর জেলায় অবস্থিত। বেতবুনিয়া (রাঙ্গামাটিি) তালিলাবাদ (গাজীপুর) মহাখালী ও সিলেট
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖তালিবাবাদ ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূ-উপগ্রহকেন্দ্র। তালিবাবাদ গাজিপুরের কালিয়াকৈরে অবস্থিত। ভূ উপগ্রহ কেন্দ্রের জন্য এই জায়গা প্রসিদ্ধ হয়ে আছে।
৩৭৫. বাংলাদেশের জ্বালানি তৈল শোধনাগারটি অবস্থিত--
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - হোয়াংহো- ০৮.১১.১৩ 📖 গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) ও জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ড্রাফটম্যান - 18.08.17
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বাংলাদেশের জ্বালানি তৈল শোধনাগারটি অবস্থিত--চট্টগ্রাম।
বাংলাদেশের একমাত্র জ্বালানি তেল শোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় অবস্থিত।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড বাংলাদেশের একমাত্র জ্বালানি তেল পরিশোধন স্থাপনা, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি)-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান এবং একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি। কোম্পানি আইন ১৯১৩ (সংশোধিত, ১৯৯৪) অনুযায়ী এ প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম পরিচালিত হয়। একদল পাকিস্তানি শিল্প-উদ্যোক্তা ১৯৬৩ সালে এ প্রকল্পটির উদ্যোগ নেয় এবং চট্টগ্রাম শহরের প্রান্তে কর্ণফুলি নদীর তীরে ১৫ কোটি ১৭ লক্ষ টাকা প্রারম্ভিক ব্যয়ের মাধ্যমে এ পরিশোধনাগারটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬৮ সাল থেকে পরিশোধন কেন্দ্রটিতে উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়। ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড তাদের নিজস্ব পরিশোধন ইউনিটের মাধ্যমে অপরিশোধিত তেল শোধিত করে থাকে।
৩৭৬. বাংলাদেশে একমাত্র অস্ত্র তৈরি কারখানাটি অবস্থিত---
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - হোয়াংহো- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বাংলাদেশে একমাত্র অস্ত্র তৈরি কারখানাটি অবস্থিত-- গাজীপুরে।
১৯৮০ সালে এর উৎপাদন শুরু হলেও লোকসানের কারণে ১৯৯৪ সালে সরকার এটি বন্ধ করে দেয়। বর্তমানে এটি সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণাধীন।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বাংলাদেশ সমরাস্ত্র কারখানা একটি প্রতিরক্ষা শিল্প প্রতিষ্ঠান। ১৯৭০ সালে এটি গাজীপুর জেলায় প্রতিষ্ঠিত হয়। অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে এই কারখানায় হালকা ও ছোট আকারের অস্ত্রশস্ত্র উৎপাদিত হয়। বাংলাদেশ সমরাস্ত্র কারখানা পাঁচটি শাখা-কারখানায় বিভক্ত।
৩৭৭. বাংলাদেশের মুসা ইব্রাহীম কত তারিখে পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এভারেস্টের শিখরে পা রাখেন?
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -বসন্ত- ১৩.০৮.১০ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -হেমন্ত- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
০
ব্যাখ্যাঃ
🔖বাংলাদেশের এভারেস্ট বিজয়ী:
১ম - মুসা ইব্রাহিম - ২৩ মে, ২০১০
২য় - এম এ মুহিত - ২১ মে, ২০১১ ও ১৯ মে, ২০১২
৩য় - নিশাত মজুমদার - ১৯ মে, ২০১২
৪র্থ - ওয়াসফিয়া নাজরীন - ২৬ মে, ২০১২
৫ম - মোহাম্মদ খালেদ হোসেন - ২০ মে, ২০১৩
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 এভারেস্ট বিজয়ী:
▣ - বাংলাদেশের প্রথম এভারেস্ট বিজয়ী মুসা ইব্রাহীম।
- ২৩ মে ২০১০ সালে তিনি এভারেস্ট জয় করেন।
❏ এভারেস্টের দুই দিক থেকে দুইবার জয় করেন এম এ মুহিত।
❏ বাংলাদেশের প্রথম এভারেস্ট বিজয়ী নারী নিশাত মজুমদার (১৯মে, ২০১২)।
❏ দ্বিতীয় এভারেস্ট বিজয়ী নারী ওয়াসফিয়া নাজরীন।
▣
৩৭৮. কোন মুঘল সম্রাট বাংলার নাম দেন 'জান্নাতাবাদ'?
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -বসন্ত- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖সম্রাট বাবরের পুত্র নাসিরউদ্দিন মুহাম্মদ হুমায়ুন ১৫৩০ সালে দিল্লির সিংহাসনে আরোহণ করেন। তিনি ১৫৩৮ সালে গৌড় জয় করেন এবং ৮ মাস বাংলায় অবস্থান করেন। তিনি বাংলার প্রকৃতি, আবহাওয়া, সম্পদে অভিভূত হয়ে এর নাম দেন ‘জান্নাতাবাদ’।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 হুমায়ুন:
▣ - হুমায়ুন (১৫৩০-১৫৫৬) মুগল সম্রাট বাবরের জ্যেষ্ঠ পুত্ৰ ।
❏ ১৫৩০ খ্রিস্টাব্দে পিতার উত্তরাধিকারী হিসেবে দিল্লির সিংহাসনে আরোহণ করেন।
- সম্রাট হুমায়ুন বাংলার রাজধানীর নতুন নামকরণ করেন ‘জান্নাতাবাদ'।
❏ হুমায়ূন এখানে ছয়মাস অবস্থান করেন।
▣
৩৭৯. শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস কবে পালন করা হয়?
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -বসন্ত- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖প্রতিবছর বাংলাদেশে ১৪ ডিসেম্বর দিনটিকে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
১২ ডিসেম্বর ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস হিসেবে পালিত হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস:
▣ - শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ১৪ ডিসেম্বর পালন করা হয়।
❏ বুদ্ধিজীবী হত্যা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালি বুদ্ধিজীবী নিধন ইতিহাসের নৃশংসতম ও বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞ।
❏ ১৪ ডিসেম্বর রাতে ঢাকায় দুই শতেরও বেশি বুদ্ধিজীবীকে তাঁদের বাড়ি থেকে তুলে নেয়া হয়।
❏ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির উদ্দেশে বাংলাদেশে শোকাবহ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়।
▣
৩৮০. বাংলাদেশের উপর দিয়ে যে ভৌগোলিক কাল্পনিক রেখা গেছে তার নাম কি?
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -বসন্ত- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
০
ব্যাখ্যাঃ
🔖কর্কটক্রান্তি রেখা বিষুবরেখা হতে উত্তরে অবস্তিত এবং ২৩.৫° উত্তর অক্ষাংশ বরাবর কল্পিত একটি রেখা।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 কর্কটক্রান্তি রেখা:
▣ - বাংলাদেশ ট্রপিক অব ক্যানসার বা কর্কটক্রান্তি রেখার উপর অবস্থিত।
❏ সাড়ে ২৩° উত্তর অক্ষরেখা কর্কটক্রান্তি রেখা নামে পরিচিত।
❏ কর্কটক্রান্তি রেখা বাংলাদেশের পূর্ব-পশ্চিম বরাবর প্রায় মধ্যভাগ দিয়ে অতিক্রম করেছে।
-বাংলাদেশের উপর দিয়ে ৯০° পূর্ব দ্রাঘিমারেখা অতিক্রম করেছে।
▣
৩৮১. মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন?
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -বসন্ত- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
০
ব্যাখ্যাঃ
🔖মুঘলদের আদি বাসভূমি মঙ্গোলিয়া। ভারতীয় উপমহাদেশে মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা জহিরউদ্দিন মুহাম্মদ বাবর। পানিপথের প্রথম যুদ্ধে ইব্রাহিম লোদীকে পরাজিত করে বাবর মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন। পানিপথের প্রথম যুদ্ধ সংঘটিত হয় ২১ এপ্রিল, ১৫২৬ সালে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা:
▣ - ১৫২৬ সালের এপ্রিল মাসে পানিপথের প্রথম যুদ্ধে লোদী বংশের শাসক ইব্রাহিম লোদীকে পরাজিত করে জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর ভারতে মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন।
❏ পানিপথ ভারতের বর্তমান হরিয়ানা রাজ্যে অবস্থিত।
❏ ভারতে মুঘল সাম্রাজ্য স্থিতিশীলতা লাভ করে সম্রাট আকবরের শাসনামলে।
▣
৩৮২. বাংলাদেশের গভীরতম নদী কোনটি?
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -বসন্ত- ১৩.০৮.১০ 📖 37th BCS General Sep, 2016 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2002➯ঘ ইউনিট
সাধারণ জ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 মেঘনা নদী:
▣ - বাংলাদেশের গভীরতম নদী মেঘনা।
❏ মেঘনা নদীকে চিরযৌবনা নদী বলা হয় কারন, মেঘনা নদীতে সব সময় জোয়ার-ভাটা বহমান থাকে।
❏ মেঘনা নদী বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ নদী ও প্রশস্ততম নদী।
❏ চাঁদপুরের পর থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত পদ্মা ও মেঘনার মিলিত ধারার নাম মেঘনা।
❏ উৎপত্তিস্থলে মেঘনার নাম ছিল বরাক নদী।
❏ ভোলার চরফ্যাশন এলাকায় মেঘনা বঙ্গোপসাগরের সাথে মিলিত হয়েছে।
❏ মেঘনার শাখা নদী হলো তিতাস ও ডাকাতিয়া ।
▣
৩৮৩. বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফ-এর পদবী কি ছিল?
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -বসন্ত- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
০
ব্যাখ্যাঃ
🔖ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ (১ মে ১৯৪৩ - ৮ এপ্রিল ১৯৭১) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা।
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে চরম সাহসিকতা আর অসামান্য বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ যে সাতজন বীরকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান “বীর শ্রেষ্ঠ” উপাধিতে ভূষিত করা হয় তিনি তাঁদের অন্যতম।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আবদুর রউফ:
▣ - বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক মুন্সি আবদুর রউফ (১ মে ১৯৪৯ - ৮ এপ্রিল ১৯৭১) জন্ম গ্রহন করেন ফরিদপুর জেলার মধুখালী থানার সালামতপুর গ্রামে।
❏ বীরশ্রেষ্ঠদের মধ্যে সবার আগে শহীদ হন ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ।
❏ তিনি ১৯৭১ সালের ৮ এপ্রিল ১ নং সেক্টরে রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচরের চিংড়ি খাল এলাকায় পাকবাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হন।
❏ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আবদুর রউফের সমাধি স্থল রাঙামাটি শহরের রিজার্ভ বাজারে কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারের পাশে।
▣
৩৮৪. বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত কত?
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -বসন্ত- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
০
ব্যাখ্যাঃ
🔖'জাতীয় পতাকা' গাঢ় সবুজ রঙের হবে এবং ১০:৬ দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের আয়তক্ষেত্রকার সবুজ রঙের মাঝখানে একটি লাল বৃত্ত থাকবে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা:
▣ - বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অনুপাত- ১০ : ৬।
❏ বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ডিজাইনার কামরুল হাসান।
❏ ১৯৭২ সালে কামরুল হাসান সবুজের মাঝে লাল বৃত্তের জাতীয় পতাকার নকশা করেন।
❏ এর পূর্বে ব্যবহৃত মানচিত্র খচিত পতাকাটি ১৯৭০ সালের ৬ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান জহুরুল হক হলের ১১৬ নং কক্ষে সিরাজুল আলম খানের নির্দেশে শিবনারায়ণ দাস ও আরো কয়েকজন মিলে চূড়ান্ত করেন।
❏ মানচিত্র খচিত পতাকাটি ১৯৭১ সালের ২রা মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় তৎকালীন ডাকসু ভিপি আ স ম রব প্রথম উত্তোলন করেন।
❏ ১৯৭১ সালের ২৩শে মার্চ বাংলাদেশের সর্বত্র পাকিস্তানের পতাকা'র পরিবর্তে লাল-সবুজের পতাকা উড়ানো হয়।
▣
৩৮৫. পানিমিশ্রিত দুধ পরীক্ষা যন্ত্রের নাম কি?
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -বসন্ত- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
১
ব্যাখ্যাঃ
🔖যানবাহনের অতিক্রান্ত দূরত্ব পরিমাপক যন্ত্রের নাম ওডোমিটার;
গ্যাসের চাপ পরিমাপক যন্ত্রের নাম ম্যানোমিটার;
দুধ পরীক্ষার যন্ত্রের নাম ল্যাক্টোমিটার মিটার।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ▣ ব্যারোমিটার:
❏ টরেসিলি ১৬৪৩ সালে তরল তলের উচ্চতা ও বায়ুচাপের সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে প্রথম বায়ুমন্ডলীয় চাপ পরিমাপের যন্ত্র আবিস্কার করেন। এর নাম ব্যারোমিটার।
❏ ব্যারোমিটারে পারদ স্তভের উচ্চতাকে বায়ুমন্ডলীয় চাপের আদর্শ ধরা হয়।
❏ আদর্শ বায়ু চাপ 76cm পারদ স্তম্ভের ওজনের সমান।
▣ স্পিডোমিটার:
❏ স্পিডোমিটার, একটি যন্ত্র যা একটি গাড়ির গতি নির্দেশ করে।
▣ থার্মোমিটার:
❏ থার্মোমিটার (Thermometer) হল তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্র।
▣ ল্যাকটোমিটার:
- ল্যাকটোমিটার হলো দুধের বিশুদ্ধতা নির্ণায়ক যন্ত্র।
৩৮৬. বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত 'আমার সোনার বাংলা' এর সুরকার কে?
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -বসন্ত- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
০
ব্যাখ্যাঃ
🔖বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের রচয়িতা ও সুরকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। 'আমার সোনার বাংলা' প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯০৫ সালে (বাংলা ১৩১২) বঙ্গদর্শন পত্রিকায়। 'আমার সোনার বাংলা' বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে গৃহীত হয় ১৩ জানুয়ারি, ১৯৭২ সালে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 জাতীয় সংগীত:
▣ - 'আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি' এই গানটির প্রথম ১০ চরন বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে গৃহীত।
❏ এটি প্রথম ১৯০৫ (১৩১২) সালে বঙ্গদর্শন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
- এই গানের সুরকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্বয়ং এবং এতে বাউল গগন হরকরার সুরের প্রভাব রয়েছে।
▣
৩৮৭. মুজিবনগর কোথায় অবস্থিত?
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -বসন্ত- ১৩.০৮.১০ 📖 পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক/পরিবার কল্যাণ সহকারী-৬.১১
সাধারণ জ্ঞান
১
ব্যাখ্যাঃ
🔖মুজিবনগর বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকারের রাজধানী ছিল। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল, বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার মুজিবনগরে (তৎকালীন বৈদ্যনাথতলায়) শপথগ্রহণ করে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 মুজিব নগর:
▣ - মেহেরপুর জেলায় মুজিব নগর অবস্থিত।
❏ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে বৈদ্যনাথতলা গ্রামের নামকরণ হয় মুজিবনগর।
❏ মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য এখানে গঠিত হয় বাংলাদেশের প্রথম সরকার। -
❏ মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলা গ্রামে মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণ করে।
❏ মুজিব নগর সরকার গঠিত হয় ১০ এপ্রিল ১৯৭১ সালে।
❏ সরকার শপথ গ্রহন করে ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ সালে।
❏ শপথ বাক্য পাঠ করান অধ্যপক ইউসুফ আলী।
❏ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে রাষ্ট্রপতি করা হয়।
❏ সৈয়দ নজরুল ইসলাম ছিলেন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি।
❏ বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দিন আহমেদ।
▣
৩৮৮. স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র প্রথম স্থাপন করা হয় ----
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -বসন্ত- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
১
ব্যাখ্যাঃ
🔖স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র একটি অস্থায়ী বেতার সম্প্রচার কেন্দ্র যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকালে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল।
এটি প্রতিষ্ঠিত করা হয় চট্টগ্রাম কালুরঘাট।
১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ৬ ডিসেম্বর ভারত বাংলাদেশকে সার্বভৌম স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেবার পর এর নাম বদলে বাংলাদেশ বেতার করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২২ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশে ঢাকা থেকে সম্প্রচার শুরু করে বাংলাদেশ বেতার যা এতকাল রেডিও পাকিস্তানের ঢাকা কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ছিল।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র:
▣ - স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পরপরই বাংলাদেশের প্রবাসী সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বেতার সম্প্রচার কেন্দ্র।
- চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে এর প্রাথমিক যাত্রা শুরু হয়।
❏ পরবর্তীতে, ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারত বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও অস্থায়ী সরকারকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ার পর স্বাধীন দেশের বেতার কেন্দ্র হিসেবে এর নতুন নাম হয় 'বাংলাদেশ বেতার'।
❏ বাংলাদেশের প্রবাসী সরকার ১৯৭১ সালের ২২ ডিসেম্বর ঢাকায় ফিরে আসে এবং সেদিন থেকেই স্বাধীন দেশের রেডিও হিসেবে বাংলাদেশ বেতারের সম্প্রচার কাজ শুরু হয়।
▣
৩৮৯. ২০১০ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলে কোন দেশ রানার্স আপ হয়েছে?
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -বসন্ত- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
০
ব্যাখ্যাঃ
🔖২০১০ ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলাটি অনুষ্ঠিত হয় ২০১০ সালের ১১ জুলাই তারিখে।
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ শহরের সকার সিটি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই খেলাটির মাধ্যমে ২০১০ ফিফা বিশ্বকাপের শিরোপাজয়ী দলটিকে নির্ধারণ করা হয়।
এই খেলায় স্পেন, নেদাল্যান্ডসকে ১–০ গোলে পরাজিত করে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ফুটবল বিশ্বকাপ:
▣ - ২০১০ সালে ফুটবল বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় স্পেন।
- ২০১০ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলে রানার্সআপ হয়েছে নেদারল্যান্ডস।
❏ ফাইনালে স্পেন ১-০ গোলে নেদারল্যান্ডসকে হারায়।
❏ প্রথম বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয় ১৯৩০ সালে।
❏ উরুগুয়ে প্রথম বিশ্বকাপ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়।
▣
৩৯০. পৃথিবীর বৃহত্তম মহাদেশ কোনটি?
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -বসন্ত- ১৩.০৮.১০ 📖 22nd BCS General Feb, 2001 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -বাগানবিলাস- ১২.১০.১২
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖এশিয়া পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ও সবচেয়ে জনবহুল মহাদেশ, প্রাথমিকভাবে পূর্ব ও উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত।
এটি ভূপৃষ্ঠের ৮.৭% ও স্থলভাগের ৩০% অংশ জুড়ে অবস্থিত। আনুমানিক ৪৩০ কোটি মানুষ নিয়ে এশিয়াতে বিশ্বের ৬০%-এরও বেশি মানুষ বসবাস করেন।
অধিকাংশ বিশ্বের মত, আধুনিক যুগে এশিয়ার বৃদ্ধির হার উচ্চ। উদাহরণস্বরূপ, বিংশ শতাব্দীর সময়, এশিয়ার জনসংখ্যা প্রায় চারগুণ বেড়ে গেছে, বিশ্ব জনসংখ্যার মত।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 এশিয়া মহাদেশ:
▣ - আয়তনে পৃথিবীর বৃহত্তম মহাদেশ এশিয়া।
❏ এ মহাদেশের আয়তন ৪ কোটি ৫০ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৯২ বর্গকিলোমিটার।
❏ পৃথিবীর স্থলভাগের প্রায় এক তৃতীয়াংশের কাছাকাছি এশিয়া মহাদেশের অন্তর্ভুক্ত।
❏ এ মহাদেশের প্রায় মধ্যভাগ দিয়ে ৯০ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমারেখা অতিক্রম করেছে।
❏ এ মহাদেশের সর্বোচ্চ স্থান মাউন্ট এভারেষ্ট (৮,৮৫০ মিটার)।
❏ মহাদেশটির উত্তরে উত্তর মহাসাগর, দক্ষিণে ভারত মহাসাগর, পূর্বে প্রশান্ত মহাসাগর, দক্ষিণ-পশ্চিমে লোহিত সাগর ও আফ্রিকা মহাদেশ এবং পশ্চিমে ভ, -মধ্যসাগর ও ইউরোপ মহাদেশ অবস্থিত।
❏ এশিয়া এবং ইউরোপ মহাদেশের মাঝ বরাবর ইউরাল পর্বতমালা অবস্থিত।
❏ এশিয়া মহাদেশে বিভিন্ন আয়তনের ৫০টি দেশ রয়েছে।
▣
৩৯১. বৈদ্যুতিক ক্ষমতার একক হচ্ছে ---
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -বসন্ত- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
০
ব্যাখ্যাঃ
🔖আন্তর্জাতিক পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ প্রবাহের একক অ্যাম্পিয়ার;
বৈদ্যুতিক বিভব পার্থক্য বা পটেনশিয়াল মাপার একক ভোল্ট;
বৈদ্যুতিক রোধ বা Resistance পরিমাপের একক ওহম।
বৈদ্যুতিক ক্ষমতা পরিমাপের একক ওয়াট।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ক্ষমতা:
❏ বৈদ্যুতিক ক্ষমতার একক ওয়াট।
❏ ক্ষমতা কাজ ও সময়ের মধ্যে সম্পর্ক নির্ধারণ করে।
❏ একটি নির্দিষ্ট সময়ে কি পরিমাণ কাজ সম্পন্ন হয় তা দ্বারা ক্ষমতার পরিমাপ করা হয়।
❏ ক্ষমতাকে P দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
❏ ক্ষমতা = বল × বেগ।
▣ অন্যদিকে,
রোধের একক ওহম।
তড়িৎ প্রবাহের একক অ্যাম্পিয়ার।
বৈদ্যুতিক বিভবের একক ভোল্ট।
▣
৩৯২. ২০১০ সালে সাহিত্যে নোবেলজয়ী মারিও বার্গার য়োসা কোন দেশে জন্মগ্রহণ করেন?
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -বসন্ত- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
০
ব্যাখ্যাঃ
🔖মারিও বার্গাস ইয়োসো পেরুর শীর্ষস্থানীয় কথাসাহিত্যিক ও গদ্যকার যিনি ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
তার রাজনীতিস্নাত রচনাবলীতে ল্যাটিন আমেরিকায় ক্ষমতা ও দুর্নীতির অমানিশা তীব্র ও নিবিড়ভাবে চিত্রিত।
বিংশ শতকের হিস্পানী লেখকদের মধ্যে তিনি অন্যতম প্রধান। তার রচিত উপন্যাস, নাটক এবং গদ্যগ্রন্থের সংখ্যা ৩০-এর অধিক।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 মারিও বার্গাস লোসা:
▣ - তিনি ২৮ মার্চ ১৯৩৬ সালে পেরুতে জন্মগ্রহন করেন।
❏ ভার্গাস লোসা বলিভিয়ার কোচাবাম্বাতে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন।
❏ ১৯৫০ সালে লিমায় একটি সামরিক স্কুল, লিওনসিও প্রাডোতে প্রবেশ করার আগে তিনি পেরুর কয়েকটি স্কুলে পড়াশোনা করেছিলেন।
❏ তার প্রথম প্রকাশিত কাজ ছিল "দ্য এস্কেপ অফ দ্য ইনকা"।
❏ তারপরে তার গল্পগুলি পেরুভিয়ান সাহিত্য পর্যালোচনাগুলিতে প্রকাশিত হতে শুরু করে।
❏ ১৯৯০ সালে তিনি পেরুর রাষ্ট্রপতি প্রার্থী ছিলেন।
❏ ভার্গাস লোসাকে ২০১০ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার দেওয়া হয়।
▣ তথ্যসুত্র - Britannica.com
৩৯৩. চাঁদের মাটিতে প্রথম পা রাখেন ----
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -বসন্ত- ১৩.০৮.১০ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -সুরমা- ২৪.০২.১২
সাধারণ জ্ঞান
০
ব্যাখ্যাঃ
🔖নীল আর্মস্ট্রং এপোলো-১১ নভোযানে করে মহাকাশে যান। তিনি ২০ জুলাই, ১৯৬৯ সালে চাঁদের মাটিতে পা রাখেন এবং প্রায় আড়াই ঘণ্টা সেখানে অবস্থান করেন। এই অভিযানে তার সাথে ছিলেন এডুইন অলড্রিন জুনিয়র ও মাইকেল কলিন্স।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 চন্দ্রাভিযান:
▣ - চাঁদের মাটিতে প্রথম পা রাখেন নীল আর্মস্ট্রং।
❏ বিশ্বের প্রথম মানুষ বহনকারী মহাকাশ যান হচ্ছে ভস্টক।
❏ এতে করে রাশিয়ার ইউরি গ্যাগারিন পৃথিবীর প্রথম মানুষ হিসেবে মহাকাশ ভ্রমণ করেন।
❏ এপোলো-১১ এ করে নীল আর্মস্ট্রং ও এডউইন অলড্রিন চাঁদে অবতরণ করেন।
▣
৩৯৪. বিশ্বকাপ ফুটবল কত বছর পর পর অনুষ্ঠিত হয়?
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -বসন্ত- ১৩.০৮.১০ 📖 25th BCS General Sep, 2004 📖 38th BCS General Dec, 2017
সাধারণ জ্ঞান
০
ব্যাখ্যাঃ
🔖বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা শুরু হয় ১৯৩০ সালে। বিশ্বকাপ ফুটবলের বর্তমান ট্রফির নাম ‘ফিফা বিশ্বকাপ’। ফিফা বিশ্বকাপ পূর্বে জুলে রিমে কাপ নামে পরিচিত ছিল। বিশ্বকাপ ফুটবল সর্বাধিক পাঁচবার জয় করেছে ব্রাজিল।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 বিশ্বকাপ ফুটবল:
▣ - বিশ্বকাপ ফুটবল ৪ বছর পর পর অনুষ্ঠিত হয়।
❏ ১৯০৪ সালের ২১ মে প্যারিসে ইউরোপের ৭টি দেশের প্রতিনিধিদের বৈঠকে ফেডারেশন ইন্টারন্যাশনাল দ্য ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ফিফা) গঠিত হয়।
❏ অলিম্পিকে ফুটবল অন্তর্ভুক্ত হয় ১৯০৮ সালে।
❏ ১৯৩০ সালে উরুগুয়ে আয়োজন করা হয় বিশ্বকাপ ফুটবলের।
❏ উরুগুয়ে প্রথম বিশ্বকাপের শিরোপা জয় করে।
❏ সর্বশেষ ২০২২ সালে কাতারে বিশ্বকাপ ফুটবল অনুষ্ঠিত হয়।
▣
৩৯৫. 'রিচার্ড হ্যাডলি' বিখ্যাত ---
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -বসন্ত- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
০
ব্যাখ্যাঃ
🔖স্যার রিচার্ড জন হ্যাডলি নিউজিল্যান্ডের একজন বিখ্যাত ক্রিকেটার। রিচার্ড হ্যাডলি টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম বোলার হিসেবে ৪০০ উইকেট লাভ করেছিলেন।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 রিচার্ড হ্যাডলি:
▣ - তিনি ১৯৫১ সালের ৩ জুলাই নিউজিল্যান্ডে জন্ম গ্রহন করেন।
- হ্যাডলি ১৯৭৩ সালে ওয়েলিংটনে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন।
❏ হ্যাডলি 400 টেস্ট উইকেট নেওয়া প্রথম বোলার।
❏ হ্যাডলি তার শেষ বোলিং পারফরম্যান্সে ৫ উইকেট নিয়ে এবং তার টেস্ট ক্যারিয়ারের শেষ বলে একটি উইকেট নিয়ে তার টেস্ট ক্যারিয়ারের ইতি টানেন।
❏ ১৯৯০ সালে খেলা থেকে অবসর নেওয়ার পরপরই হ্যাডলি তার নাইটহুড লাভ করেন।
❏ হ্যাডলি মাত্র ৮৬ টেস্টে ৪৩১ উইকেট নিয়ে একটি উজ্জ্বল টেস্ট ক্যারিয়ারের সমাপ্তি ঘটিয়েছিলেন।
❏ ২০০৯ সালে আইসিসি ক্রিকেট হল অফ ফেমে অন্তর্ভুক্ত হন এবং নটিংহাম ইউনিভার্সিটি তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেটও প্রদান করে।
▣
৩৯৬. কোন রঙের বস্তুর তাপ শোষণ ক্ষমতা বেশি?
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -বসন্ত- ১৩.০৮.১০ 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ঝিলাম- ০৮.১১.১৩ 📖 প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖সূর্যের আলো যে সাতটি রঙের সমষ্টিতে সৃষ্টি হয় কালো রঙ সেই সাতটি রঙই শোষণ করতে সক্ষম। এই জন্য অন্যান্য কাপড়ের তুলনায় কালো কাপড় তাড়াতাড়ি গরম হয়ে ওঠে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ▣ সাদা রঙের বস্তুর তাপ শোষণ ক্ষমতা সবচেয়ে কম।
❏ কারণ সাদা রঙের বস্তু তার উপর আপতিত প্রায় সমস্ত আলো বা তাপ বিকিরণ করে।
▣ - অপরদিকে কালো রঙের বস্তু বা কাপড়ের তাপ শোষণ ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি।
❏ কালো রঙের বস্তু বা কাপড় তাপ বিকিরণ করতে পারে না। অধিকাংশ তাপই শোষিত হয়।
৩৯৭. নাইট্রোজেন গ্যাস থেকে কোন সার তৈরি করা হয়?
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -বসন্ত- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
০
ব্যাখ্যাঃ
🔖ইউরিয়া (Urea) বা কার্ব্যামাইড (Carbamide) একটি জৈব যৌগ যার রাসায়নিক সংকেত (NH2)2CO।
ইউরিয়ার অণুতে দুইটি অ্যামাইন (-NH2) অবশেষ একটি কার্বনিল (-CO-) ফাংশনাল গ্রুপ দ্বারা সংযুক্ত হয়েছে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 - নাইট্রোজেন গ্যাস থেকে ইউরিয়া সার প্রস্তুত করা হয়।
❏ নাইট্রোজেন গ্যাসকে একটি বিশেষ প্রক্রিয়ায় অ্যামেনিয়ায় রুপান্তরিত করা হয়।
❏ অ্যামোনিয়া থেকে ইউরিয়া সার উৎপন্ন হয় ।
❏ এতে নাইট্রোজেনের পরিমাণ ৪৬%।
❏ ইউরিয়া সার নাইট্রোজেন সরবরাহ করে থাকে যা শিকড়ের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
৩৯৮. বায়ুমণ্ডলের কোন উপাদান অতি বেগুনি রশ্মিকে শোষণ করে?
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -বসন্ত- ১৩.০৮.১০ 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ঝিলাম- ০৮.১১.১৩ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -চট্রগ্রাম বিভাগ- ১৮.০৪.০৮
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বায়ুমণ্ডলে সর্বাধিক প্রাপ্ত উপাদান নাইট্রোজেন (৭৮.০২%); নাইট্রোজেনের পর সর্বাধিক পাওয়া যায় অক্সিজেন (২০.৯৫%)। মাত্রাতিরিক্ত অতিবেগুনি রশ্মি মানবদেহের ত্বকের ক্ষতি সাধন করে, যা ত্বকে ক্যান্সারের সৃষ্টি করে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 - বায়ুমণ্ডলের দ্বিতীয় স্তর স্ট্রাটোমণ্ডল।
❏ এই স্তরে ওজোন গ্যাসের স্তর বেশি পরিমাণে আছে।
❏ এ ওজোন স্তর সূর্যের আলোর বেশিরভাগ অতিবেগুনি রশ্মি শুষে নেয়।
❏ এই স্তরের বায়ুতে অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণা ছাড়া কোনো রকম জলীয়বাষ্প থাকে না।
ফলে আবহাওয়া থাকে শান্ত ও শুষ্ক।
❏ ঝড়-বৃষ্টি থাকেনা বলেই এই স্তরের মধ্য দিয়ে সাধারণত জেট বিমানগুলো চলাচল করে।
৩৯৯. উত্তর গোলার্ধ ও সূর্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দূরত্ব হয় কখন?
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -বসন্ত- ১৩.০৮.১০ 📖 বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়➟2015➯ঘ ইউনিট 📖 ১৩তম বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন পরীক্ষা-(স্কুল/সমপর্যায়-২)-১৩.০৬.১৬
সাধারণ জ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 - ২২এ ডিসেম্বর এমনভাবে কোণ করে থাকে তাতে দক্ষিণ গোলার্ধে সবচেয়ে বড় দিন এবং উত্তর গোলার্ধে সবচেয়ে ছোট দিন হয়।
❏ ২২এ ডিসেম্বর সূর্য দক্ষিণায়নের শেষ সীমায় পৌঁছায়, একে মকরসংক্রান্তি বলে। এ সময় সূর্যের রশ্মি ২৩.৫° দক্ষিণ অক্ষাংশ অর্থাৎ মকরক্রান্তির উপর লম্বভাবে পতিত হয় ।
- উত্তর গোলার্ধ ও সূর্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দূরত্ব হয় ২২ ডিসেম্বর।
▣ দক্ষিণ গোলার্ধ ও সূর্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দূরত্ব হয়- ২১ জুন।
▣ ২১জুন:
➾ পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে দীর্ঘতম দিন।
➾ পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধে সবচেয়ে ছোট দিন।
➾ পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধ ও সূর্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দূরত্ব।
৪০০. একজন সাধারণ মানুষের দেহে মোট কত টুকরা হাড় থাকে?
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -বসন্ত- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖মানবদেহে অস্থি বা হাড় সংখ্যা ২০৬ টি।
অক্ষীয় অস্থি ৮০ টি আর উপাঙ্গীয় ১২৬ টি।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 মানুষের কঙ্কালতন্ত্র:
▣ - একজন মানুষের দেহে ২০৬ টুকরা হাড় থাকে।
❏ মানুষের কঙ্কালতন্ত্রকে প্রধান দুটি অংশে ভাগ করা হয়।যথা ➝
(১) অক্ষীয় কঙ্কাল
(২) উপাঙ্গীয় কঙ্কাল।
▣ - মুখমণ্ডলীয় ও করোটিকার অস্থি সমন্বয়ে গঠিত মাথার কঙ্কালিক গঠনকে করোটি বলে। করোটিতে মোট ২৯টি অস্থি থাকে।
❏ করোটির যে অংশ মস্তিষ্ক আবৃত করে রাখে তাকে করোটিকা বলে।
❏ সর্বমোট ১৪টি অস্থি নিয়ে মুখমণ্ডল গঠিত।
❏ ৩৩টি অসম আকৃতির সীমিত সঞ্চালনক্ষম অস্থিখণ্ডক সমন্বয়ে মেরুদণ্ড গঠিত।
৪০১. পাতা পীত বর্ণ ধারণ করে কিসের অভাবে?
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -বসন্ত- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
০
ব্যাখ্যাঃ
🔖নাইট্রোজেনের অভাব হলে ক্লোরোফিল সৃষ্টিতে ব্যাঘাত ঘটে ।
ফলে পাতাগুলু হলুদ হয়ে যায় ।
কচি পাতাগুলু শেষে হলুদ হয় এবং পীত বর্ণ ধারণ করে।
পাতার বর্ণ পরিবর্তন হওয়াকে ক্লোরোসিস বলে ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ফসফরাস:
❏ ফসফরাসের (P) অভাব হলে পাতা বেগুনি রং ধারণ করে।
❏ ফসফরাসের অভাবে পাতায় মৃত অঞ্চল সৃষ্টি হয় এমনকি পাতা, ফুল ও ফল ঝরে যেতে পারে।
❏ উদ্ভিদের বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায় এবং উদ্ভিদ খর্বাকার হয়।
❏ বেশিরভাগ সময় খালি চোখে দেখে ফসফরাসের ঘাটতি বুঝা যায় না। যত দিনে লক্ষণ দৃশ্যমান হয়, তত দিনে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আর তেমন কিছু করার থাকে না।
▣ ম্যাগনেসিয়াম:
❏ ম্যাগনেসিয়ামের (Mg) অভাবে ক্লোরোফিল সংশ্লেষিত হয় না বলে সবুজ রং হালকা হয়ে যায় এবং সালোকসংশ্লেষণের হার কমে যায়।
❏ পাতার শিরাগুলোর মধ্যবর্তী স্থানে অধিক হারে ক্লোরোসিস হয়।
▣ পটাশিয়াম:
❏ পটাশিয়ামের (K) অভাবে পাতার শীর্ষ ও কিনারা হলুদ হয় এবং মৃত অঞ্চল সৃষ্টি হয়।
▣ নাইট্রোজেন:
❏ নাইট্রোজেনের (N) অভাব হলে ক্লোরোফিল সৃষ্টিতে বিঘ্ন ঘটে।
❏ফলে ক্লোরোফিলের অভাবে পাতার সবুজ রং হালকা হতে হতে একসময় হলুদ হয়ে যায়। পাতা পীত বর্ণ ধারণ করে।
❏ পাতা হলুদ হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে ‘ক্লোরোসিস’ (Chlorosis) বলে।
৪০২. বটের বীজের বিস্তার ঘটে কিসের সাহায্যে?
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -বসন্ত- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
০
ব্যাখ্যাঃ
🔖বট গাছ বংশ বিস্তার করে পাখির মলের সাহায্যে। বট ফল খেয়ে পাখিরা মল ত্যাগ করলে সেই মলে অবস্থিত বটবীজ অঙ্কুরিত হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 পরাগায়ন দু'প্রকার, যথা- স্ব-পরাগায়ন ও পর-পরাগায়ন।
স্ব-পরাগায়ন : একই ফুলে বা একই গাছের ভিন্ন দুটি ফুলের মধ্যে যখন পরাগায়ন ঘটে তখন তাকে স্ব-পরাগায়ন বলে। সরিষা, কুমড়া, ধুতুরা ইত্যাদি উদ্ভিদে স্ব-পরাগায়ন ঘটে ।
পর-পরাগায়ন : একই প্রজাতির দুটি ভিন্ন উদ্ভিদের ফুলের মধ্যে যখন পরাগায়ন ঘটে তখন তাকে পর-পরাগায়ন বলে। শিমুল, পেঁপে ইত্যাদি গাছের ফুলে পর-পরাগায়ন হতে দেখা যায়।
▣ পরাগায়নের মাধ্যমগুলোর সাহায্য পেতে ফুলের গঠনে কিছু পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। একে অভিযোজন বলা হয়।
▣ অভিযোজনগুলো নিম্নরূপ :
পতঙ্গপরাগী ফুলের অভিযোজন : ফুল বড়, রঙিন, মধুগ্রন্থিযুক্ত। পরাগরেণু ও গর্ভমুণ্ড আঠালো এবং সুগন্ধযুক্ত, যেমন➝ জবা, কুমড়া, সরিষা ইত্যাদি।
বায়ুপরাগী ফুলের অভিযোজন : ফুল বর্ণ, গন্ধ ও মধুগ্রন্থিহীন। পরাগরেণু হালকা, অসংখ্য ও আকারে ক্ষুদ্র। এদের গর্ভমুণ্ড আঠালো, শাখান্বিত, কখনো পালকের ন্যায়, যেমন➝ ধান।
▣ পানিপরাগী ফুলের অভিযোজন : এরা আকারে ক্ষুদ্র, হালকা এবং অসংখ্য। এরা সহজেই পানিতে ভাসতে পারে। এসব ফুলে সুগন্ধ নেই। স্ত্রীফুলের বৃন্ত লম্বা কিন্তু পুং ফুলের বৃন্ত ছোট। পরিণত পুং ফুল বৃত্ত থেকে খুলে পানিতে ভাসতে থাকে, যেমন➝ পাতাশ্যাওলা ।
▣ প্রাণিপরাগী ফুলের অভিযোজন : এসব ফুল মোটামুটি বড় ধরনের হয়। তবে ছোট হলে ফুলগুলো পুষ্পমঞ্জরিতে সজ্জিত থাকে। এদের রং আকর্ষণীয় হয়। এসব ফুলে গন্ধ থাকতে পারে বা নাও থাকতে পারে। যেমন➝ কদম, শিমুল, কচু ইত্যাদি।
বটের বিস্তার ঘটে পাখির সাহায্যে।
৪০৩. হাড় ও দাঁতকে মজবুত করে ---
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -বসন্ত- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
০
ব্যাখ্যাঃ
🔖আয়োডিনের অভাবে থাইরয়েড গ্লান্ডের কর্মকাণ্ড ব্যাহত হয় এবং গলগণ্ড, বামনত্ব প্রভৃতি দেখা দেয়।
আয়রন রক্তের হিমোগ্লোবিন অন্যতম প্রধান উৎস।
ম্যাগনেসিয়াম শরীর গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং
ফসফরাস দাঁত ও অস্থি গঠন, রক্ত তঞ্চন, পেশী সংকোচন ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ▣ ফসফরাস দাঁত ও অস্থি গঠন, রক্ত তঞ্চন, পেশী সংকোচন ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে।
▣ অন্যদিকে,
▣ আয়রন রক্তের হিমোগ্লোবিনের অন্যতম প্রধান উৎস।
▣ ম্যাগনেসিয়াম শরীর গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং
▣ আয়োডিনের অভাবে থাইরয়েড গ্লান্ডের কর্মকান্ড ব্যাহত হয় এবং গলগন্ড, বামনত্ব, প্রভৃতি দেখা দেয়।
৪০৪. নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হয় মানব দেহের ---
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -বসন্ত- ১৩.০৮.১০ 📖 26th BCS General Dec, 2000 📖 রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -শিউলি- ০৯.১২.১১
সাধারণ জ্ঞান
০
ব্যাখ্যাঃ
🔖হৃৎপিন্ড একটি পাম্প যা সমস্ত শরীরে রক্ত সরবরাহ করে। যকৃত মানবদেহের সবচেয়ে বড় গ্রন্হি। যকৃতকে মানবদেহের জৈব রসায়নাগার বলা হয়। নিউমোনিয়ার জীবাণু মানুষের ফুসফুস ও শ্বাসতন্ত্রে আক্রমণ করে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 নিউমোনিয়া (Pneumonia):
❏ নিউমোনিয়া একটি ফুসফুসের রোগ।
❏ অত্যধিক ঠান্ডা লাগলে এ রোগ হতে পারে।
❏ হাম ও ব্রংকাইটিস রোগের পর ঠান্ডা লেগে নিউমোনিয়া হতে দেখা যায়।
❏ শিশু এবং বয়স্কদের জন্য এটি একটি মারাত্মক রোগ।
▣ কারণ:
❏ নিউমোকক্কাস ( Pneumococcus) নামক ব্যাকটেরিয়া এ রোগের অন্যতম কারণ।
❏ এছাড়া আরও বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও ছত্রাকের আক্রমণে নিউমোনিয়া হতে পারে।
❏ এমনকি বিষম খেয়ে খাদ্যনালির রস শ্বাসনালিতে ঢুকলে সেখান থেকেও নিউমোনিয়া হতে পারে।
▣ লক্ষণ:
❏ ফুসফুসে শ্লেষ্মা-জাতীয় তরল পদার্থ জমে কফ সৃষ্টি হয়।
❏ কাশি ও শ্বাসকষ্ট হয়।
❏ দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় অর্থাৎ বেশি জ্বর হয়।
❏ চূড়ান্ত পর্যায়ে বুকের মধ্যে ঘড়ঘড় আওয়াজ হয়, মারাত্মক শ্বাসকষ্ট হয়।
▣ প্রতিকার:
❏ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রোগীর সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা।
❏ তরল ও গরম পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো।
❏ বেশি করে পানি পান করানো।
▣ প্রতিরোধ:
❏ শিশু ও বয়স্কদের যেন ঠান্ডা না লাগে, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা।
❏ ধূমপান পরিহার করা।
❏ আলো-বাতাসপূর্ণ গৃহে বসবাস করা।
❏ রোগীকে সহনীয় উষ্ণতায় ও শুষ্ক পরিবেশে রাখা।
৪০৫. দক্ষিণ মেরুর অক্ষাংশ কত?
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -বসন্ত- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
০
ব্যাখ্যাঃ
🔖উত্তর গোলার্ধে সর্ব উত্তরের বিন্দুকে সুমেরু বলে। উত্তর মেরুর অক্ষাংশও ৯০°।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 অক্ষাংশ নির্ণয় (Determining latitude):
❏ আমরা জানি পৃথিবী বৃত্তের কেন্দ্রে উৎপন্ন কোণ ৩৬০°।
❏অক্ষাংশ নির্ণয় করার জন্য গ্লোবটিকে আমরা যদি মাঝখান দিয়ে পূর্ব থেকে পশ্চিমে কেটে নেই তাহলে এর মধ্যে আমরা পৃথিবীর ঠিক মধ্যবিন্দু পাব। এখন যদি আমরা কোনো একটি স্থানের অক্ষাংশ নির্ণয় করতে চাই তাহলে সেই মধ্যবিন্দুর সঙ্গে নির্ণেয় স্থানটির নিরক্ষরেখার (০°) পরিপ্রেক্ষিতে যে কোণ উৎপন্ন হয় তা নির্ণয় করতে হবে। এই কোণই হলো সেই স্থানের অক্ষাংশ।
যেমন➝ নিরক্ষীয় তল থেকে উত্তর মেরুর কৌণিক দূরত্ব বা উৎপন্ন কোণ ৯০°। এটাই হলো উত্তর মেরুর অক্ষাংশ। এভাবে দক্ষিণ মেরুর অক্ষাংশও ৯০° ।
▣
৪০৬. দুইটি স্থানের মধ্যে দ্রাঘিমাংশের পার্থক্য ১ ডিগ্রী হলে সময়ের পার্থক্য কত হবে?
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -বসন্ত- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
০
ব্যাখ্যাঃ
🔖পৃথিবীকে ৩৬০° দ্রাঘিমারেখা দিয়ে ভাগ করা হয়েছে। পৃথিবী নিজ অক্ষের উপর পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ঘুরছে। প্রতি ২৪ ঘণ্টায় একবার পুরোটি ঘুরে আসছে। ৩৬০° আসতে সময় লাগে ২৪ ঘণ্টা বা ১৪৪০ মিনিট। ১৪৪০÷৩৬০=৪ মিনিট। অর্থাৎ প্রতি ডিগ্রি দ্রাঘিমার পার্থক্যের জন্য সময় লাগে ৪ মিনিট।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 - পৃথিবীতে প্রতি ডিগ্রি দ্রাঘিমার জন্যে সময়ের পার্থক্য হয় ৪ মিনিট করে।
❏ এ কারণেই বাংলাদেশ মূল মধ্যরেখা থেকে ৯০ ডিগ্রি পূর্বে অবস্থিত হওয়ায় বাংলাদেশের সাথে গ্রিনিচের সময়ের পার্থক্য
= ৯০×৪
= ৩৬০ মিনিট
= ৬ ঘন্টা।
৪০৭. পৃথিবীর নিকটতম গ্রহ কোনটি?
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -বসন্ত- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖সৌরজগতের মোট গ্রহ সংখ্যা ৮টি। যথা: বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস এবং নেপচুন।
প্লুটোকে গ্রহের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, যা এক ধরনের বামন গ্রহ।
বৃহস্পতি - সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহ।
বুধ - সূর্যের নিকটতম গ্রহ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 - পৃথিবীর সবচেয়ে নিকটতম গ্রহ শুক্র।
❏ শুক্র সূর্যের দ্বিতীয় নিকটতম।
❏ শুক্রের গড় তাপমাত্রা অন্যান্য সকল গ্রহ থেকে বেশি।
❏ পৃথিবী সূর্যের তৃতীয় নিকটতম গ্রহ।
❏ বুধ সূর্যের সবচেয়ে কাছের গ্রহ। এতে কোন বায়ুমণ্ডল নেই।
৪০৮. সমুদ্রে পানির গভীরতা মাপার একক ---
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -বসন্ত- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
০
ব্যাখ্যাঃ
🔖ফ্যাদোমিটার যন্ত্রের মাধ্যমে শব্দের প্রতিধ্বনি ব্যবহার করে সমুদ্রের পানির গভীরতা মাপা হয়।
দৈর্ঘ্য পরিমাপের একক মিটার।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 - সমুদ্রে পানির গভীরতা মাপার একক ফ্যাদম।
- এক ফ্যাদম সমান ৬ ফিট (১.৮৩ মিটার)।
▣ ==============
❏ বায়ুর আর্দ্রতা মাপার যন্ত্র : হাইগ্রোমিটার
❏ গ্যাসের চাপ মাপার যন্ত্র : ম্যানোমিটার
❏ বায়ুর চাপ মাপার যন্ত্র : ব্যারোমিটার
❏ সমুদ্রের গভীরতা নির্ণয়ে যন্ত্র : ফ্যাদোমিটার।
৪০৯. ভূ-পৃষ্ঠে কোন ধাতু সবচেয়ে বেশি আছে?
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖ভূপৃষ্ঠে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে আছে অ্যালুমিনিয়াম ধাতু (৮.১%) ।
লৌহ (৫.১%) ,
ক্যালসিয়াম (৩.৭%) ,
সোডিয়াম (২.৮ % ) ,
পটাসিয়াম (২.৫%) বিদ্যমান ।
ভূত্বকের প্রধান উপাদান অক্সিজেন (৪২.৭%)
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝❐ পৃথিবীতে যে ধাতুটি সবচেয়ে বেশি পরিমাণে পাওয়া যায় তা হলো অ্যালুমিনিয়াম।
❐ ভূপৃষ্ঠে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে আছে অ্যালুমিনিয়াম ধাতু (৮.১%)। লোহার পরিমাণ ৫%, ক্যালসিয়াম ৩.৬%।
❐ কিন্ত প্রকৃতিতে বিশুদ্ধ অ্যালুমিনিয়াম পাওয়া যায় না।
❐ অ্যালুমিনিয়াম অন্যান্য মৌলিক পদার্থের সাথে যৌগ গঠন করে অবস্থান করে। এগুলো হলো অ্যালুমিনিয়ামের আকরিক।
❐ এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- বক্সাইট, ক্রায়োলাইট, কোরানডাম ইত্যাদি।
৪১০. ফরমালিন হলো ফরমালডিহাইডের ---
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖ফলমালডিহাইডের ৪০% জলীয় দ্রবণকে ফরমালিন বলে। এটি পচন নিবারণে এবং বস্তর জৈব সংরক্ষণে ব্যবহার করা হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝❐ ফরমালডিহাইডের ৪০% জলীয় দ্রবণকে ফরমালিন বলে।
❐ ফরমালিনে ৪০ ভাগ মিথান্যাল ও ৬০ ভাগ পানি থাকে।
❐ ফরমালিন মিশ্রিত খাদ্যদ্রব্য মানুষের শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
৪১১. কোনটির তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম?
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
৩
ব্যাখ্যাঃ
বেগুনী, নীল, আসমানী, সবুজ, হলুদ, কমলা ও লাল।এদের মধ্যে বেগুনি আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য কম এবং লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি।সবুজ রঙের আলো টি মধ্যম।
ব্যাখ্যাকারী :
৪১২. গোধুলীর কারণ কি?
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖ভূ-পৃষ্ঠ থেকে যতই উপরে যাওয়া যায় বায়ুর ঘনত্ব ততই কমতে থাকে। ফলে সূর্য থেকে আগত রশ্মি হালকা মাধ্যম থেকে ঘন মাধ্যমে গমন করে এবং প্রতিসরিত হয়ে ক্রমশ অভিলম্বের দিকে সরে আসে। কাজেই সূর্যাস্তের পরও আলোক রশ্মি আমাদের চোখে আপতিত হয়। এ ঘটনাকে গোধূলি বলে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝❐ গোধুলির মূল কারণ হলো আলোর বিক্ষেপণ।
❐ সূর্য যখন দিগন্তের নিচের দিকে অবস্থান করে, তখন নীল আর সবুজ রং ভেঙে যায় এবং আমরা কমলা এবং লাল রং-এর আভা দেখতে পাই।এসময় সূর্যকে লাল দেখায়। এটাই গোধুলি নামে পরিচিত।
❐ এর কারণ, আলোর যে রংগুলোর তরঙ্গদৈঘ্য ছোট (যেমন, বেগুনি এবং নীল) সেগুলোর বিক্ষেপণ বেশি হয়, বেশি তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো যেমন, কমলা এবং লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি বলে এর বিক্ষেপণ কম হওয়ায় এরা সরাসরি পৃথিবীতে চলে আসে।
৪১৩. মনিটরের কাজ হলো ----
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -ইছামতি- ০৮.০১.১০
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖মনিটর হলো আউটপুট ডিভাইস, যা দেখতে টেলিভিশনের মতো। এটির কাজ হলো প্রক্রিয়াকরণের ফলাফল আউটপুট হিসেবে পর্দায় প্রদর্শন করা। মনিটর বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে। যেমন:
সিআরটি মনিটর (Cathode Ray Tube),
এলসিডি মনিটর (Liquid Crystal Display) এবং
এলইডি মনিটর (Light Emitting Diode)।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝❐ মনিটর:
❐ কম্পিউটারের সাহায্যে ডেটা প্রক্রিয়াকরণের পর তৈরীকৃত ফলাফল যখন কোনো ডিভাইস বা হার্ডওয়্যারের সাহায্যে প্রদর্শিত হয় বা শোনা যায় তাকে সফটকপি বলে। আর ব্যবহৃত ডিভাইস বা হার্ডওয়্যারসমূহকে সফটকপি আউটপুট হার্ডওয়্যার বলে।
❐ মনিটর হলো একটি অন্যতম সফটকপি আউটপুট হার্ডওয়্যার, যা দেখতে সাধারণত টেলিভিশনের পর্দার মতো।
❐ মনিটর সাদা-কালো বা রঙিন হয়ে থাকে।
❐ আবার অ্যানালগ কিংবা ডিজিটালও হতে পারে।
❐ কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত মনিটর সাধারণত ১৪ থেকে ২৯ ইঞ্চি পর্যন্ত হতে পারে।
❐ তবে ১৪ থেকে ১৯ ইঞ্চি মনিটর সচরাচর বেশি ব্যবহৃত হয়।
৪১৪. নিচের কোনটিকে কম্পিউটারের মস্তিষ্ক বলা হয়?
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -ডালিয়া- ১২.১০.১২ 📖 Social Development Foundation - Data Entry Operator - 13.07.12
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖কম্পিউটারের যে অংশ ডেটা প্রক্রিয়াকরণের কাজ করে তাকে কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট বলে। এটি কম্পিউটারের মস্তিষ্ক নামে পরিচিত।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝❐ সিপিইউ (কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ অংশ):
❐ কম্পিউটার ব্যবহারকারীর দেওয়া তথ্য ও নির্দেশের ভিত্তিতে ডেটাকে প্রক্রিয়াজাত করে ফলাফল বা আউটপুট প্রদান করে থাকে। প্রক্রিয়াকরণের কাজ সম্পাদন করার জন্য কম্পিউটারের ভেতর থাকে প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট।
❐ প্রক্রিয়াকরণ ইউনিটকে প্রক্রিয়াকরণের কাজ করতে আরো কিছু যান্ত্রিক অংশ সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে।
❐ কম্পিউটারের যে অংশ ডেটা প্রক্রিয়াকরণের কাজ করে তাকে সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট বা সিপিইউ বলে। সিপিইউ কম্পিউটারের মস্তিষ্ক বা ব্রেইনস্বরূপ।
❐ কম্পিউটারের কাজ করার গতি ও ক্ষমতা প্রধানত সিপিইউ-এর ওপর নির্ভরশীল।
পরিবর্তনশীল
৪১৫. মাছির পা থাকে ---
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖মাছির ৬ টি পা থাকে।
মাছি বর্গের একদল পতঙ্গের সাধারণ নাম। প্রকৃত মাছিরা উপবর্গের সদস্য এবং এদলে আছে ঘরের সাধারণ মাছি, ডাঁশ, ফলের মাছি , সেটসি মাছি ইত্যাদি।
গুটিকয় প্রজাতির ডানাবিহীন মাছি ছাড়া অন্যান্য মাছি কেবল ওড়ার উপযোগী একজোড়া ডানা থাকে। পেছনের ডানাজোড়া পরিবর্তিত হয়ে ভারসাম্যরক্ষক হলটেয়ার উপাঙ্গে রূপান্তরিত হয়েছে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝❐ মাছির ৬টি পা থাকে।
❐ মাছি Diptera বর্গের একদল পতঙ্গের সাধারণ নাম।
❐ প্রকৃত মাছিরা Brachycera উপবর্গের সদস্য এবং এদলে আছে ঘরের সাধারণ মাছি, ডাঁশ, ফলের মাছি (Fruit fly), সেটসি (Tsetse) মাছি ইত্যাদি।
❐ গুটিকয় প্রজাতির ডানাবিহীন মাছি ছাড়া অন্যান্য মাছি কেবল ওড়ার উপযোগী একজোড়া ডানা থাকে।
৪১৬. করোটিতে কয়টি অস্থি থাকে?
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖মানব দেহের পরিণত করোটি সাধারণত ২৯টি হাড় নিয়ে গঠিত।
ম্যাণ্ডিবল ছাড়া করোটির অন্য সব হাড় সাটার দ্বারা সংযুক্ত থাকে। অনড় সংযোগসমূহ হাড়গত অসিফিকেশনের মাধ্যমে তৈরি হয় এবং শারপির তন্তু এতে কিছু নমনীয়তা দান করে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝❐ করোটি (Skull):
❐ মুখমণ্ডলীয় ও করোটিকার অস্থি সমন্বয়ে গঠিত মাথার কঙ্কালিক গঠনকে করোটি বলে।
❐ করোটিতে মোট ২৯টি অস্থি থাকে।
৪১৭. ক্লোরোফিল ছাড়া সম্পন্ন হয় না ----
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় উদ্ভিদ ক্লোরোফিল এর সাহায্যে সূর্যের আলোর উপস্থিতিতে শর্করা জাতীয় খাদ্য প্রস্তুত করে।
শ্বসন প্রক্রিয়ায় উদ্ভিদ কোষে সঞ্চিত খাদ্য জারিত হয়ে শক্তি নির্গত হয়।
রেচন প্রক্রিয়া প্রাণীদেহের নাইট্রোজেন ঘটিত বজ্র পদার্থ নিষ্কাশন হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝❐ সালোকসংশ্লেষণ:
❐ যে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় সবুজ উদ্ভিদ শর্করা জাতীয় খাদ্য তৈরি করে তাকে বলা হয় সালোকসংশ্লেষণ।
❐ এটি একটি শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া।
❐ এ প্রক্রিয়াটি সজীব উদ্ভিদ কোষস্থ ক্লোরোফিল সূর্যের আলোকশক্তিকে ATP এবং NADPH+H^(+)⋅ নামক রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত করে এবং ঐ রাসায়নিক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে CO2 বিজারণের মাধ্যমে শর্করা জাতীয় খাদ্য প্রস্তুত করে ও উপজাত হিসেবে O2 নির্গত করে।
❐ সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় দরকার হয় কার্বন ডাইঅক্সাইড, পানি, সূর্যালোক এবং ক্লোরোফিল।
❐ উৎপন্ন হয় শর্করা (গ্লুকোজ) এবং অক্সিজেন। কার্বন ডাইঅক্সাইড ব্যবহৃত হয় শর্করা তৈরির জন্য, পানি ব্যবহৃত হয় রাসায়নিক শক্তি হিসেবে NADPH+H^(+)⋅ তৈরির জন্য। সূর্যালোকের দরকার হয় মূল শক্তির জন্য এবং ক্লোরোফিল দরকার হয় সূর্য শক্তিকে শোষণ করে রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরের জন্য।
৪১৮. উদ্ভিদের বৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি হয় ---
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖উদ্ভিদের বিশেষ দিকে যেমন: আলোর দিকে, মাটির দিকে পানির দিকে বৃদ্ধি পাওয়াকে দিঙমুখিতা বলে বলে। দিঙমুখিতার কারণে কাণ্ড ও মূলের বৃদ্ধি বেশি ঘটে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝❐ বিভাজনে সক্ষম কোষ দ্বারা গঠিত টিস্যুকে ভাজক টিস্যু বলা হয়।
❐ ভাজক টিস্যুর কোষগুলোকে ভাজক কোষ বলা হয়।
❐ ভাজক কোষের বিভাজনের মাধ্যমেই উদ্ভিদের দৈহিক বৃদ্ধি ঘটে এবং ভাজক টিস্যু থেকেই অন্যান্য স্থায়ী টিস্যুর উৎপত্তি হয়।
❐ সাধারণত উদ্ভিদ দেহের মূল, কান্ড ও পাতার অগ্রভাগে থেকেবৃদ্ধি পায়।
৪১৯. সূর্য অপেক্ষা পৃথিবীর উপর চন্দ্রের আকর্ষণ শক্তি প্রায়--
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০ 📖 20th BCS General Dec, 1998 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মিসিসিপি- ০৮.১১.১৩
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖সূর্য অপেক্ষা পৃথিবীর উপর চন্দ্রের আকর্ষণ শক্তি প্রায় দ্বিগুণ।
কারণ পৃথিবী থেকে চন্দ্রের দূরত্ব সূর্য অপেক্ষা অনেক কম। তাই পৃথিবী থেকে চন্দ্রের আকর্ষণ শক্তি বেশি।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝❐ পৃথিবীর উপর চন্দ্র ও সূর্য উভয়রই আকর্ষণ রয়েছে। এই আকর্ষনের সাথে পৃথিবীর আবর্তনের ফলে সৃষ্ট কেন্দ্রাতিক শক্তির প্রভাবে জোয়ার-ভাঁটা হয়।
❐ সূর্য ও চন্দ্র পৃথিবীর সকল বস্তুকেই সর্বদা কম-বেশি আকর্ষন করছে।
❐ সূর্য চন্দ্র অপেক্ষা ২ কোটি ৬০ লক্ষ গুণ বড় এবং পৃথিবী অপেক্ষা ১৩ লক্ষ গুণ বড়।
❐ কিন্তু আবার সূর্য পৃথিবী থেকে প্রায় ১৫ কোটি কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আর চন্দ্র মাত্র ৩৮.৪ লক্ষ কিলোমিটার।
❐ উপর্যুক্ত কারনে পৃথিবীর উপর চাঁদের আকর্ষণ ক্ষমতা বেশি; প্রায় দ্বিগুণ।
❐ জোয়ার-ভাঁটা তৈরির ক্ষেত্রে সূর্যের ক্ষমতা চাঁদের ক্ষমতার ৪/৯ ভাগ।
৪২০. সূর্য থেকে পৃথিবীতে আলো আসতে কতক্ষণ সময় লাগে?
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖সূর্য থেকে পৃথিবীতে আলো আসতে সময় লাগে ৮.৩২ মিনিট বা ৮ মিনিট ১৯ সেকেন্ড।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖It takes sunlight an average of 8 minutes and 20 seconds to travel from the Sun to the Earth.❃👉 phys.org
আলো প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৩ লক্ষ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে।
এই বেগে ১ বছরে যে পরিমাণ দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে ১ আলোক বর্ষ বলে।
সূর্য পৃথিবীর নিকটতম নক্ষত্র। তাই এর দূরত্ব কিলোমিটার হিসেবে প্রকাশ করা যায়।
সূর্য থেকে পৃথিবীতে আলো আসতে সময় লাগে ৮ মিনিট ১৯ সেকেন্ড বা ৮.৩২ মিনিট।
৪২১. পরিচলন বৃষ্টি বেশি হয় কোন অঞ্চলে?
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖সূর্যের তাপে ভু পৃষ্ঠের কাছের জলীয় বাষ্পপূর্ন বায়ু উপরে উঠে প্রসারিত ও শীতল হয়ে ঘনীভূত হয়, এর ফলে যে বৃষ্টিপাত হয় তাকে পরিচলন বৃষ্টিপাত বলে।
কারণ :- বায়ুতে প্রচুর পরিমানে জলীয় বাষ্প ও উষ্ণতার ফলে পরিচলন বৃষ্টিপাত হয়। নিরক্ষ রেখা বরাবর পরিচলন বৃষ্টিপাত বেশি দেখা যায়। কারণ নিরক্ষরেখায় সূর্য সারা বছর লম্ব ভাবে কিরণ দেয়, এর ফলে এখানকার বাতাস জলীয় বাষ্প পূর্ন থাকে। নিরক্ষীয় অঞ্চলে প্রতিদিন বিকালের দিকে এই পরিচলন বৃষ্টিপাত হয় বলে একে "4 O'clock Rain" বলে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝❐ দিনের বেলায় সূর্যের কিরণে জল বাষ্পে পরিণত হয়ে সোজা উপরে উঠে যায় এবং শীতল বায়ুর সংস্পর্শে এসে ওই জলীয়বাষ্প প্রথমে মেঘ ও পরে বৃষ্টিতে পরিণত হয়ে সোজাসুজি নিচে নেমে আসে। এরূপ বৃষ্টিপাতকে পরিচলন বৃষ্টি বলে।
❐ নিরক্ষীয় অঞ্চলে স্থলভাগের চেয়ে জলভাগের বিস্তৃতি বেশি এবং এখানে সূর্যকিরণ সারাবছর লম্বভাবে পড়ে। এ দুটি কারণে এখানকার বায়ুমণ্ডলে সারাবছর জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই বৃষ্টি বেশি হয়।
৪২২. দক্ষিণ গোলার্ধ ও সূর্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দূরত্ব হয় ---
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বিভিন্ন তারিখে পৃথিবীর অবস্থান:
১ জানু:
পৃথিবী সূর্যের নিকটতম স্থানে অবস্থান করে।
২১জুন:
পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে দীর্ঘতম দিন
পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধে সবচেয়ে ছোট দিন
পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধ ও সূর্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দূরত্ব
৪ জুলাই:
পৃথিবী সূর্য থেকে সবচেয়ে দূরে অবস্থান করে।
২১ মার্চ ও ২৩ সেপ্টেম্বর :
পৃথিবীর দিন ও রাত্রি সমান
২২ ডিসেম্বর:
পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধে দীর্ঘতম দিন
পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে সবচেয়ে ছোট দিন
পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধ ও সূর্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দূরত্ব
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝❐ দক্ষিণ গোলার্ধ ও সূর্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দূরত্ব হয় - ২১ জুন।
❐ ২১জুন:
➾ পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে দীর্ঘতম দিন।
➾ পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধে সবচেয়ে ছোট দিন।
➾ পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধ ও সূর্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দূরত্ব।
৪২৩. পৃথিবীর শক্তির মূল উৎস ---
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -ডালিয়া- ১২.১০.১২
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖সূর্যই প্রায় সকল শক্তির উৎস । এছাড়াও পরমাণুর অভ্যন্তরে নিউক্লিয়াসের নিউক্লিয় শক্তি ও পৃথিবীর অভ্যন্তরে অবস্থিত উত্তপ্ত গলিত পদার্থ থেকে প্রাপ্ত শক্তি ও শক্তির উৎস হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে । পৃথিবীতে যত শক্তি আছে তার প্রায় সবটাই কোনো না কোনোভাবে সূর্য থেকে আসা বা সূর্যকিরণ ব্যবহৃত হয়ে তৈরি হয়েছে ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝❐ সূর্য থেকে যে শক্তি পাওয়া যায় তাকে বলা হয় সৌরশক্তি।
❐ সূর্য সকল শক্তির উৎস।
❐ পৃথিবীতে যত শক্তি আছে তার সবই কোনো না কোনোভাবে সূর্য থেকেই আসা বা সূর্য কিরণ ব্যবহৃত হয়েই তৈরি হয়েছে।
❐ আধুনিক সভ্যতার ধারক জীবাশ্ম জ্বালানি (কয়লা, খনিজ তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস) বহুদিনের সঞ্চিত সৌরশক্তি।
❐ বায়ু থেকে যে শক্তি পাওয়া যায় তাও সূর্য থেকেই আসা।
❐ খাদ্য ও বায়োগ্যাস আমাদের শক্তির দুটো উৎস।
❐ পানিকে কাজে লাগিয়ে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে তাও আসলে সূর্য থেকেই আসা।
৪২৪. উপকূল হতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমুদ্রসীমা কত?
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বাংলাদেশের মোট সীমানা ৫১৩৮ কিলোমিটার। এর মধ্যে জলসীমা ৭১১ কিলোমিটার।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমুদ্রসীমা ২০০ নটিক্যাল মাইল।
রাজনৈতিক সমুদ্রসীমা ১২ নটিক্যাল মাইল।
মহীসোপান ৩৫০ নটিক্যাল মাইল।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖মিয়ানমার ও ভারতের সাথে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি হওয়ায় বাংলাদেশ ১,১৮,৮১৩ বর্গকিলোমিটার টেরিটোরিয়াল সমুদ্র,
❏ ১২ নটিক্যাল মাইল রাজনৈতিক সমুদ্রসীমা,
❏ ২০০ নটিক্যাল মাইল একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল,
❏ চট্টগ্রাম উপকূল থেকে ৩৫৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহীসোপানের তলদেশে অবস্থিত সব ধরনের প্রাণিজ ও অপ্রাণিজ সম্পদের ওপর সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করতে পেরেছে।
৪২৫. ব্রহ্মপুত্র নদ হিমালয়ের কোন শৃঙ্গ থেকে উৎপন্ন হয়েছে?
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖ব্রহ্মপুত্র নদের উৎপত্তি হয়েছে চীনের তিব্বতে অবস্থিত হিমালয় পর্বতমালার কৈলাশ শৃঙ্গের মানস সরোবর থেকে। ব্রহ্মপুত্র চীন, ভারত ও বাংলাদেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖ব্রহ্মপুত্র নদ:
ব্রহ্মপদ নদ হিমালয় পর্বতের কৈলাস শৃঙ্গের মানস সরোবর থেকে উৎপন্ন হয়েছে। এরপর এটি তিব্বত ও আসামের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কুড়িগ্রাম জেলার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এই নদ ময়মনসিংহ জেলার দেওয়ানগঞ্জের কাছে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বাঁক নিয়ে ভৈরববাজারের দক্ষিণে মেঘনায় মিলিত হয়েছে।
❏ বাংলাদেশের ভিতরে এ নদের দৈর্ঘ্য প্রায় ২৭৭ কিলোমিটার।
❏ ধরলা ও তিস্তা ব্রহ্মপুত্রের প্রধান উপনদী।
❏ আর প্রধান শাখানদী হলো বংশী ও শীতলক্ষ্যা।
৪২৬. মেঘনা নদী ব্রহ্মপুত্রের সাথে মিলিত হয়েছে?
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -পদ্মা- ২৪.০২.১২
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖কিশোরগঞ্জের ভৈরব বাজারে মেঘনা নদী পুরাতন ব্রহ্মপুত্রের সাথে মিলিত হয়ে মেঘনা নামে প্রবাহিত হয়েছে।
মেঘনা নদী পরবর্তীতে চাঁদপুরে পদ্মা নদীর সাথে মিলিত হয়েছে। মিলিত ধারা মেঘনা নামে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝❐ মেঘনা:
❐ মেঘনা আসামের ’বরাক’ নদী নাগা-মনিপুর পাহাড়ের দক্ষিণ থেকে উৎপত্তি লাভ করে দুইটি শাখায় বিভক্ত হয়ে সিলেট জেলায় প্রবেশ করেছে।
❐ শাখা দুইটি সুরমা ও কুশিয়ারা নামে বিভক্ত হয়েছে।
❐ মূলত সুরমা ও কুশিয়ারার মিলিত স্রোতধারাই মেঘনা নদী।
❐ সুরমা নামক শাখাটি প্রথমে খাসিয়া ও জয়ন্তিয়া পাহাড়ের নিকট দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ছাতক ও সুনামগঞ্জের নিকট দিয়ে অগ্রসর হয়ে
❐ দক্ষিণে হবিগঞ্জ জেলার উত্তর সীমানায় পৌঁছে কুশিয়ারার সাথে মিলিত হয়েছে।
❐ মেঘনা ভৈরববাজারের নিকট এসে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের সাথে যুক্ত হয়েছে।
❐ মেঘনা নদীর উপনদীগুলো হলো- শীতলক্ষ্যা, গোমতি, ডাকাতিয়া, ধলেশ্বরী, ব্রহ্মপুত্র।
উৎসঃ ভূগোল প্রথম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি (উন্মুক্ত)।
৪২৭. ভূ-প্রকৃতি অনুযায়ী বাংলাদেশকে ভাগ করা হয়েছে --
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖প্রকৃতি অনুসারে বাংলাদেশকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা:
১. টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ,
২. প্লাইস্টোসিন কালের সোপানসমূহ,
৩. সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভূমি।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝❐ ভূ-প্রকৃতি:
❐ ভূ-গাঠনিক অবস্থা এবং গঠন সময় অনুযায়ী বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতিকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়।
নিম্নে ভূ-প্রকৃতির প্রকারভেদ দেখানো হলো-
❐ টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ।
❐ প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ।
❐ সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভূমি।
৪২৮. ব্রিটিশ আমলে বাংলাদেশে যেসব আন্দোলন হয়েছিল তার মধ্যে কোনটি প্রধান?
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০ 📖 রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -জবা- ০৯.১২.১১
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖ফরায়েজি আন্দোলন অর্থ ফরজ পালনের জন্য আন্দোলন। হাজী শরীয়তউল্লাহ ১৮১৮ সালে ফরায়েজি আন্দোলন শুরু করেন। ১৮৪০ সালে হাজী শরীয়তউল্লাহর মৃত্যু হলে ফরায়েজি আন্দোলনের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন দুদু মিয়া।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝ব্রিটিশ আমলে বাংলাদেশে যেসব আন্দোলন হয়েছিল তার মধ্যে প্রধান হচ্ছে - ফরায়েজী আন্দোলন।
ফরায়েজী আন্দোলন:
❐ ফরায়েজী আন্দোলনকে রাজনৈতিক আন্দোলনে রূপদান করেন দুদু মিয়া।
❐ ফরায়েজি আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা হাজী শরিয়াত উল্লাহ বৃহত্তর ফরিদপুরের মাদারীপুর জেলায় ১৭৮২ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।
❐ হাজী শরিয়ত উল্লাহর এই সংস্কার আন্দোলনের নামই ফরায়েজি আন্দোলন।
❐ ফরায়েজি শব্দটি আরবি ‘ফরজ’ (অবশ্য কর্তব্য) শব্দ থেকে এসেছে। যাঁরা ফরজ পালন করে তারাই ফরায়েজি।
❐ শরিয়ত উল্লাহ যে ফরজের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছেন, তা ছিল পবিত্র কুরআনে বর্ণিত পাঁচটি অবশ্যপালনীয় (ফরজ) মৌলনীতি।
❐ তিনি ভারতবর্ষকে ‘দারুল হারব' অর্থাৎ বিধর্মীর রাজ্য বলে ঘোষণা করেন।
❐ জমিদার শ্রেণি নানা অজুহাতে ফরায়েজি প্রজাদের উপর অত্যাচার শুরু করলে শরিয়ত উল্লাহ প্রজাদের রক্ষার জন্য লাঠিয়াল বাহিনী গঠনের সিদ্ধান্ত নেন।
❐ ১৮৩৯ খ্রিস্টাব্দে তার উপর পুলিশি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
❐ ১৮৪০ খ্রিস্টাব্দে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
❐ হাজী শরিয়ত উল্লাহর মৃত্যুর পরে ফরায়েজি আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন তাঁর যোগ্যপুত্র মুহম্মদ মুহসিন উদ্দীন আহমদ ওরফে দুদু মিয়া।
❐ তিনি ১৮১৯ খ্রিস্টাব্দে জন্ম গ্রহণ করেন।
❐ ১৮৬২ খ্রিস্টাব্দে দুদু মিয়া মৃত্যুবরণ করেন।
❐ তাঁর মৃত্যুর পর যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে ফরায়েজি আন্দোলন দুর্বল হয়ে পড়ে।
তথ্যসূত্র - বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা,এসএসসি প্রোগ্রাম,বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
৪২৯. কত সালে মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়?
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖মুসলিম লীগের প্রকৃত নাম ছিল 'নিখিল ভারত মুসলিম লীগ'। নওয়াব সলিমুল্লাহর উদ্যোগে ঢাকায় নিখিল ভারত মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হয় ৩০ ডিসেম্বর, ১৯০৬ সালে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝মুসলিম লীগ
❐ ১৯০৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর ঢাকায় নিখিল ভারত মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়।
❐ বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের সময় ১৯০৬ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সর্ব ভারতীয় মুসলিম শিক্ষা সম্মেলনে ঢাকার তৎকালীন নবাব স্যার সলিমুল্লাহ মুসলমানদের জন্যে একটি পৃথক রাজনৈতিক সংগঠন প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেন। তার প্রস্তাবের ভিত্তিতেই মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়।
❐ নওয়াব খাজা সলিমুল্লাহ, নবাব ভিকার-উল মুলক, সুলতান মুহাম্মদ শাহ আগা খান প্রমুখের উদ্যোগে মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়।
❐ নওয়াব আব্দুল লতিফ, স্যার সৈয়দ আহমদ খান, মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার সাথে জড়িত ছিলেন না।
❐ মুহম্মদ আলী জিন্নাহ ১৯১৩ সালে মুসলিম ‍লীগে যোগ দেন। তবে ত্রিশের দশকের মাঝামাঝি থেকে জিন্নাহর নেতৃত্বেই ‍মুসলিম লীগ ব্রিটিশ ভারতের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে।
৪৩০. বঙ্গভঙ্গের পরেই ঢাকায় কি নির্মিত হয়?
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖লর্ড কার্জন ১৬ অক্টোবর, ১৯০৫ সালে বঙ্গ প্রদেশকে দুই ভাগে বিভক্ত করেন। একটি 'পূর্ববঙ্গ ও আসাম' অপরটি 'পশ্চিমবঙ্গ'। পরবর্তীতে লর্ড হার্ডিঞ্জ ১৯১১ সালের ১২ ডিসেম্বর বঙ্গবঙ্গ রদ করেন।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝- ভারতের বড়লাট লর্ড কার্জন ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে ১৬ অক্টোবর বাংলা প্রেসিডেন্সিকে ভেঙ্গে দুটো প্রদেশ করেন।
অপরদিকে -
❐ কার্জন হল কোন সালে নির্মিত হয় - ১৯০৮ সালে।
❐ হাইকোর্ট ভবন, পুরাতন ঔপনিবেশিক আমলে ঢাকায় নির্মিত একটি ভবন। এটি রমনা গ্রীনের প্রান্ত ঘেঁষে সুদৃশ্য কার্জন হলের বিপরীতে কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউতে অবস্থিত। বঙ্গভঙ্গ-এর (১৯০৫) পর নব প্রতিষ্ঠিত পূর্ববাংলা ও আসাম প্রদেশের গভর্নরের সরকারি বাসভবন হিসেবে জমকালো দ্বিতল ভবনের পরিকল্পনা করা হয়।
❐ সুরম্য অট্টালিকাও বঙ্গভঙ্গের পরেই নির্মিত হয়।
৪৩১. পূর্ব বাংলার প্রথম গভর্নর কে ছিলেন?
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -জবা- ১১.০৯.০৯
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖পূর্ব বাংলা বা পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর স্যার ফ্রেডারিক চালমার্স বোর্ন।
পূর্ব বাংলা বা পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী স্যার খাজা নাজিম উদ্দিন।
পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান।
পাকিস্তানের প্রথম গর্ভনর জেনারেল মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝❐ চৌধুরী খালিকুজ্জামান:
❐ চৌধুরী খালিকুজ্জামান আইনজীবি, রাজনীতিক ও পূর্ব বাংলার গভর্নর। তিনি ১৮৮৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর লখনৌতিতে জন্মগ্রহণ করেন।
❐ খালিকুজ্জামান প্রথমে ১৯২৩ সালে এবং পরে ১৯২৬ ও ১৯৩৫ সালে লক্ষ্ণৌ মিউনিসিপ্যাল বোর্ডের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
❐ তিনি কংগ্রেস দলীয় পার্লামেন্টারি বোর্ডের সদস্য ছিলেন।
❐ ১৯৩৬ সালে তিনি মুসলিম লীগে যোগ দেন।
❐ তিনি সর্বভারতীয় মুসলিম লীগ ওয়ার্কিং কমিটিরও সদস্য ছিলেন।
- দেশ বিভাগের পর তিনি পাকিস্তানে চলে আসেন এবং পাকিস্তান মুসলিম লীগের আহবায়ক নির্বাচিত হন। পরে দলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এবং ১৯৫০ সালের মধ্যভাগে দলের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
❐ চৌধুরী খালিকুজ্জামান ১৯৫৩ সালের ৪ এপ্রিল পূর্ব বাংলার প্রথম গভর্নর নিযুক্ত হন এবং ১৯৫৪ সালের ৩০ মে পর্যন্ত তিনি এ পদে দায়িত্ব পালন করেন।
৪৩৩. বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ডিজাইনার কে?
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০ 📖 16th BCS General Apr, 1994 📖 24th BCS General Aug, 2003
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বাংলাদেশের বর্তমান জাতীয় পতাকা গৃহীত হয় ১৭ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে। সংবিধানের ৪(২) নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জাতীয় পতাকা হচ্ছে সবুজ ক্ষেত্রের উপর স্থাপিত রক্তবর্ণের একটি ভরাট বৃত্ত এবং অনুপাত ১০ : ৬।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ডিজাইনার কামরুল হাসান।
১৯৭২ সালে কামরুল হাসান সবুজের মাঝে লাল বৃত্তের জাতীয় পতাকার নকশা করেন। এর পূর্বে ব্যবহৃত মানচিত্র খচিত পতাকাটি ১৯৭০ সালের ৬ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান জহুরুল হক হলের ১১৬ নং কক্ষে শিবনারায়ণ দাস ও আরো কয়েকজন মিলে চূড়ান্ত করেন যা ১৯৭১ সালের ২রা মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় তৎকালীন ডাকসু ভিপি আ স ম রব প্রথম উত্তোলন করেন। ১৯৭১ সালের ২৩ শে মার্চ বাংলাদেশের সর্বত্র পাকিস্তানের পতাকা’র পরিবর্তে লাল-সবুজের পতাকা উড়ানো হয়।
৪৩৪. শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস কবে পালন করা হয়?
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০ 📖 13th BCS General Apr, 1992 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -বসন্ত- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖প্রতিবছর বাংলাদেশে ১৪ ডিসেম্বর দিনটিকে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
১২ ডিসেম্বর ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস হিসেবে পালিত হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির উদ্দেশে বাংলাদেশে ১৪ ডিসেম্বর শোকাবহ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়। সব শহীদ বুদ্ধিজীবীর প্রকৃত সংখ্যা অদ্যাবধি নিরূপণ করা সম্ভব হয় নি। প্রাপ্ত তথ্যসূত্র থেকে শহীদদের মোটামুটি একটা সংখ্যা দাঁড় করানো যায়। এঁদের মধ্যে ছিলেন ৯৯১ জন শিক্ষাবিদ, ১৩ জন সাংবাদিক, ৪৯ জন চিকিৎসক, ৪২ জন আইনজীবী, ৯ জন সাহিত্যিক ও শিল্পী, ৫ জন প্রকৌশলী,এবং অন্যান্য ২ জন।
৪৩৫. আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র কবে জারী করা হয়?
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖স্বাধীনতার ঘোষণা আনুষ্ঠানিক জারি করা হয় ১০ এপ্রিল, ১৯৭১ সালে। একই দিনে মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়। আর এ সরকার শপথ গ্রহণ করে ১৭ এপ্রিল, ১৯৭১। বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র:
স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা ঘোষণা।
বাংলাদেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে একই দিনে আইনের ধারাবাহিকতা বলবৎকরণ আদেশ নামে একটি আদেশ জারি করেন। স্বাধীনতা ঘোষণাপত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশে যে সকল আইন চালু ছিল, তা রক্ষার্থে এটা করা হয়।
অর্থ্যাৎ ২৬ মার্চ থেকে এটি বলবৎ হয়।
❐ স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র লিপিবদ্ধ করেন ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম।
❐ ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
❐ ১০ এপ্রিল ১৯৭১ স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র আনুষ্ঠানিকভাবে জারি করা হয় এবং
❐ ১৭ এপ্রিল অধ্যাপক ইউসুফ আলী আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র পাঠ করেন।
❐ ৬ষ্ঠ তফসিলে ২৬ মার্চের স্বাধীনতার ঘোষনাপত্র সংযুক্ত করা হয় ।
সূত্র:- বাংলাপিডিয়া।
৪৩৬. বীরশ্রেষ্ঠ পদক প্রাপ্তদের সংখ্যা কত?
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০ 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2005➯ঘ ইউনিট 📖 13th BCS General Apr, 1992
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বীর শ্রেষ্ঠ বীরত্বের জন্য প্রদত্ত বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক পুরস্কার । যুদ্ধক্ষেত্রে অতুলনীয় সাহস ও আত্মত্যাগের নিদর্শন স্থাপনকারী যোদ্ধার স্বীকৃতিস্বরূপ এই পদক দেয়া হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ সাতজন মুক্তিযোদ্ধাকে এই পদক দেয়া হয়েছে ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য ৭ জনকে সর্বোচ্চ সামরিক পদবী 'বীরশ্রেষ্ঠ' প্রদান করা হয়।
৭ জন বীরশ্রেষ্ঠ হলেন -
❐ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেঃ মতিউর রহমান;
❐ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল;
❐ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর;
❐ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী হামিদুর রহমান;
❐ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ;
❐ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোহাম্মদ রুহুল আমিন;
❐ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ।
৪৩৭. নিউমোনিয়া রোগটি হয় ---
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖জীবাণু সংক্রমণ বা অন্য কোনো কারণে মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর ফুসফুসে যে প্রদাহ হয় তাকে নিউমোনিয়া বলে। কিডনি, যকৃত ও হৃৎপিন্ডের সাথে নিউমোনিয়া রোগের কোনো সম্পর্ক নেই।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝❐ নিউমোনিয়া:
❐ দুর্বলদেহ অতি সহজেই রোগজীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয়। এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া দ্বারা ফুসফুস আক্রান্ত হলে নিউমোনিয়া হয়ে থাকে।
❐ এ রোগে ফুসফুসে এক প্রকার তরল পদার্থ জমা হয়।
❐ কাশি, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, জ্বর ইত্যাদি নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ।
৪৩৭. নিউমোনিয়া রোগটি হয় ---
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖জীবাণু সংক্রমণ বা অন্য কোনো কারণে মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর ফুসফুসে যে প্রদাহ হয় তাকে নিউমোনিয়া বলে। কিডনি, যকৃত ও হৃৎপিন্ডের সাথে নিউমোনিয়া রোগের কোনো সম্পর্ক নেই।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝❐ নিউমোনিয়া:
❐ দুর্বলদেহ অতি সহজেই রোগজীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয়। এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া দ্বারা ফুসফুস আক্রান্ত হলে নিউমোনিয়া হয়ে থাকে।
❐ এ রোগে ফুসফুসে এক প্রকার তরল পদার্থ জমা হয়।
❐ কাশি, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, জ্বর ইত্যাদি নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ।
৪৩৮. রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ায় প্রধানত ---
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖ভিটামিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
যে জৈব খাদ্য উপাদান সাধারণ খাদ্যে অতি অল্প পরিমাণে থেকে দেহের স্বাভাবিক পুষ্টি ও বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করে,তাকে ভিটামিন বলে।
দেহে ভিটামিন বা খাদ্যপ্রাণের অভাবে বিভিন্ন রোগ বা সমস্যার প্রাদুর্ভাব হয়। যেমন ভিটামিন A'র অভাবে চোখের দৃষ্টিশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝❐ ভিটামিন:
❐ যেসব রাসায়নিক পদার্থ বিভিন্ন খাদ্যবস্তুতে অতি অল্প মাত্রায় থেকে আমাদেরকে জীবনীশক্তি দান করে এবং আমাদের দেহের সুষ্ঠু বৃদ্ধিসাধন করে ও দেহকে সুস্থ রাখে তাকে ভিটামিন বলে।
❐ স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য দেহে ভিটামিনের চাহিদার পরিমাণ খুব সামান্য হলেও তার গুরুত্ব অপরিসীম।
❐ কারণ এটি এমন একটি জৈব রাসায়নিক পদার্থ যা প্রোটিন, শর্করা ও চর্বি জাতীয় খাদ্যকে দেহে কাজে লাগাতে সাহায্য করে।
৪৩৯. সবচেয়ে কঠিন পদার্থ ---
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖হীরক বা হীরা বা হীরে হল সর্বাপেক্ষা মূল্যবান একটি রত্ন যা গহনা তৈরিতে বহুল ব্যবহৃত হয়।
বর্ণহীন এ রত্নটি একটি মাত্র বিশুদ্ধ উপাদান কার্বন থেকে সৃষ্ট। অন্য ভাষায় হীরক কার্বনের একটি বিশেষ রূপ মাত্র।
পৃথিবীতে প্রতি বছর প্রায় ২৬০০০ কে.জি. খনিজ হীরা উত্তোলিত হয় যার মূল্য প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার। কথিত আছে, হীরক সর্বপ্রথম ভারতবর্ষে মূল্যবান হিসেবে খনি থেকে উত্তোলন ও ব্যবহার করা শুরু হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝❐ কার্বন একটি অধাতু এবং বিজারক পদার্থ।
❐ কার্বনের দানাদার রূপভেদ হলো- গ্রাফাইট ও হীরক।
❐ প্রকৃতিতে প্রাপ্ত সবচেয়ে শক্ত বা কঠিন পদার্থ হীরক।
❐ হীরা কাচ কাটতে ব্যবহৃত হয়।
৪৪০. আলোর বর্ণ নির্ধারণকরে তার -
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
আলোর বর্ণ নির্ণয় করে তার তরঙ্গদৈর্ঘ্য। বর্ণের বিভিন্নতা তরঙ্গদৈর্ঘ্যের ভিন্নতার কারণে হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝❐ দৃশ্যমান আলোক তরঙ্গ:
❐ তাড়িতচৌস্বকীয় বর্ণালির অতিবেগুনি রশ্মির পরের একটি অতি ক্ষুদ্র অংশ আমাদের চোখে দৃশ্যমান হয় একে বলা হয় দৃশ্যমান বিকিরণ বা দৃশ্যমান আলোক তরঙ্গ। এই তরঙ্গের তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের পরিসর 4×10-^(7)⋅m থেকে 7×10^(-7)⋅m মাত্র।
❐ এই পরিসরের বিভিন্ন তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের জন্য আলোর বিভিন্ন বর্ণ দেখা যায়।
৪৪১. কোনটির তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম?
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖তড়িৎ চুম্বকীয় বর্ণালির সেই অংশ যা মানুষের চোখে দৃশ্যমান অর্থাৎ 4×10-7 m হতে 7×10-7 m পর্যন্ত তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সীমার তড়িৎ চুম্বকীয় বিকিরণকে দৃশ্যমান আলাে বলে। আলােকের বর্ণ নির্ধারণ করে তার তরঙ্গ দৈর্ঘ্য। দৃশ্যমান আলাের তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের উর্ধ্বক্রম-
Violet (বেগুনি)
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝❐ দৃশ্যমান আলোক তরঙ্গ:
❐ তাড়িতচৌম্বকীয় বর্ণালির অতি বেগুণি রশ্মির পরের এটি অতি ক্ষুদ্র অংশ আমাদের চোখে দৃশ্যমান হয় একে বলা হয় দৃশ্যমান বিকিরণ বা দৃশ্যমান আলোক তরঙ্গ।
❐ এই তরঙ্গের তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের পরিসর 4×10^(-7)⋅m থেকে 7×10^(-7)⋅m মাত্র।
❐ এই পরিসরের বিভিন্ন তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের জন্য আলোর বিভিন্ন বৰ্ণ দেখা যায়।
❐ এদের বেগুনি, নীল, আসমানী, সবুজ, হলুদ, কমলা ও লাল এই সাতটি ভাগে ভাগ করা হয়।
❐ এদের মধ্যে বেগুনি আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম এবং লাল আলোর সবচেয়ে বেশি।
৪৪২. ক্ষমতার একক ---
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
০
ব্যাখ্যাঃ
🔖কাজের একক জুল।
ক্ষমতার একক ওয়াট এক সেকেন্ডে এক জুল কাজ করার ক্ষমতাকে এক ওয়াট বলে।
ক্যালরি হচ্ছে শক্তির একক, যা দিয়ে কোনো খাদ্য হতে আমাদের শরীরে কত শক্তি পাওয়া যায়, তা পরিমাপ করা হয়।
আন্তর্জাতিক পদ্ধতিতে পৃষ্ঠটানের একক নিউটন
৪৪৩. পৃথিবীর নিকটতম গ্রহ ----
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০ 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2016➯খ ইউনিট 📖 রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়➟2017➯C ইউনিট
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖পৃথিবীর দুটি প্রতিবেশী গ্রহ হচ্ছে শুক্র ও মঙ্গল। এরমধ্যে শুক্র গ্রহের দূরত্ব ৪.৩ কোটি কিলোমিটার এবং মঙ্গল গ্রহের দূরত্ব ৭.৮ কোটি কিলোমিটার। অতএব পৃথিবীর নিকটতম গ্রহ শুক্র।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝❐ শুক্র (Venus):
❐ সূর্যের চারিদিকে ঘুরে আসতে শুক্রের সময় লাগে ২২৫ দিন।
❐ সূর্য থেকে এর গড় দূরত্ব প্রায় ১০.৮ কোটি কিলোমিটার।
❐ পৃথিবীর নিকটতম গ্রহ শুক্র।
❐ পৃথিবী থেকে শুক্র গ্রহের দূরত্ব ৪.৩ কোটি কিলোমিটার।
❐ ভোর রাতে পূর্ব আকাশে শুক্র গ্রহকে বলা হয় শুকতারা।
❐ সন্ধ্যাবেলায় পশ্চিম আকাশে একে বলা হয় সন্ধ্যাতারা।
❐ শুক্র গ্রহের কোনো উপগ্রহ নেই।
৪৪৪. কচুশাক বিশেষভাবে মূল্যবান যে উপাদানের জন্য তা হল-
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -হেমন্ত- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖কচুশাকে বিশেষভাবে মূল্যবান যে উপাদান পাওয়া যায় তা হল লৌহ বা আয়রনের।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝ক্যালসিয়ামের প্রধান উৎসের তালিকায় কচু শাক দেয়া আছে। তবে, কচু শাক লৌহেরও ভাল উৎস। সম্ভবত প্রচলিত উত্তর লৌহ।
কিন্তু, লৌহ এবং ক্যালসিয়াম একসাথে দেয়া হলে সঠিক উত্তর নির্ধারণ করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
❐ যেহেতু, প্রধান উৎস হিসেবে জীববিজ্ঞান বইতে সরাসরি বলা আছে তাই এটাকেই উত্তর হিসেবে নেয়া হল। পাশপাশি সকল তথ্য দেয়া হল।
▣ লৌহ/আয়রনের উদ্ভিজ উৎস: ফুলকপির পাতা, নটোশাক, নিম পাতা, ডুমুর, কাঁচা কলা, ভুট্টা, গম, বাদাম ইত্যাদি৷
▣ ক্যালসিয়ামের উদ্ভিজ উৎস: ডাল, তিল, গাজর, ফুলকপি, পালংশাক, কচুশাক, লাল শাক, বাধাকপি ইত্যাদি৷
৪৪৫. কোন জারক রস পাকস্থলীতে দুগ্ধ জমাট বাধায়?
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -হেমন্ত- ১৩.০৮.১০ 📖 30th BCS General Jul, 2010 📖 19th BCS General Dec, 1998
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖পাকস্থলীতে দুগ্ধ জমাট বাঁধতে রেনিন নামক জারক রস প্রয়োজন হয়। অপরপক্ষে ট্রিপসিন এবং পেপসিন নামক এনজাইম প্রোটিন পরিপাকে এবং এমাইলেজ কার্বোহাইড্রেট পরিপাকে সহায়তা করে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝রেনিন দুগ্ধ আমিষ কেসিনকে প্যারাকেসিনে পরিণত করে। যা পাকস্থলীতে দুগ্ধ জমাট বাঁধায়।
৪৪৬. চাপের একক হচ্ছে ---
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -হেমন্ত- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖আন্তর্জাতিক পদ্ধতিতে চাপের একক প্যাসকেল। কুলম্ব হলো চার্জ বা আধানের একক। নিউটন বলের একক। ভোল্ট হলো তড়িৎ বিভব ও তড়িতচ্চালক শক্তির একক।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝চাপের একক হল প্যাসকেল এবং সংকেত Pa.
❐ চাপ হল একক ক্ষেত্রফলে কোন বস্তুর তলের ওপর লম্বভাবে প্রযুক্ত সমভাবে বিতরিত বল।
❐ পারিপার্শ্বিক চাপের সাপেক্ষে যে চাপ উৎপন্ন হয় তাকে বলা হয় গজ চাপ।
৪৪৭. 'স্ক্যানার' হলো একটি ---
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -হেমন্ত- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖স্ক্যানার এর মত কম্পিউটারের অন্যান্য ইনপুট যন্ত্রের মধ্যে কিবোর্ড, মাউস, জয়স্টিক, কার্ড রিডার মাইক্রোফোন ইত্যাদি প্রধান। অন্যদিকে আউটপুট যন্ত্র এর মধ্যে মনিটর, প্রিন্টার, প্লটার, স্পিকার, ইত্যাদি প্রধান।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝'স্ক্যানার' হল একটি - ইনপুট ডিভাইস।
❐ স্ক্যানারের সাহায্যে যে কোন ধরনের ছবি, মুদ্রিত যে কোন লেখা ইত্যাদি হুবহু কম্পিউটারে নিয়ে যাওয়া যায়।
❐ স্ক্যানারের সাহায্যে কম্পিউটারে নেয়া যে কোন তথ্য যে কোন প্রোগ্রামের যে কোন অংশে বসিয়ে ইচ্ছামত সম্পাদনা করা যায়।
❐ অর্থ্যাৎ, স্ক্যানার একটি ইনপুট ডিভাইস।
▣ আরো কয়েকটি ইনপুট ডিভাইসগুলো হলো:
যেমন: মাউস, কী-বোর্ড, স্ক্যানার, জয়স্টিক, OMR, MICR, ডিজিটাল ক্যামেরা ইত্যাদি।
৪৪৮. 'ফ্রেইঞ্জ বেকেনবাওয়ার' বিখ্যাত ---
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -হেমন্ত- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖ফ্রেইঞ্জ বেকেনবাওয়ার জার্মানির বিখ্যাত ফুটবলার। ১৯৭৪ সালে তার অধিনায়কত্বে এবং ১৯৯০ সালে তার কোচিং নেতৃত্বে জার্মানি বিশ্বকাপ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝ফ্রেইঞ্জ বেকেনবাওয়ার:
❐ ফ্রেইঞ্জ বেকেনবাওয়ার বিখ্যাত জার্মান ফুটবলার।
❐ তিনি খেলোয়াড় হিসেবে ১৯৭২ সালে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ এবং ১৯৭৪ সালে ফিফা বিশ্বকাপ জয় করেন।
৪৪৯. গ্যাসের চাপ নির্ণয়ের যন্ত্র ---
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -হেমন্ত- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖গ্যাসের চাপ নির্ণয়ের যন্ত্র নাম ম্যানোমিটার। পাইরোমিটার তাপের বিকিরণ পরিমাপের জন্য ব্যবহৃত হয়। হাইগ্রোমিটার বায়ুর আদ্রতা পরিমাপের জন্য ব্যবহৃত হয়। ব্যারোমিটার বায়ুমন্ডলের চাপ পরিমাপের জন্য ব্যবহৃত হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝গ্যাসের চাপ নির্ণয়ের যন্ত্র - ম্যানোমিটার।
▣ অন্যান্য অপশন:
বায়ুমণ্ডলের চাপ নির্ণয়ে ব্যবহৃত হয় - ব্যারোমিটার।
আর্দ্রতা পরিমাপের যন্ত্র- হাইগ্রোমিটার।
উচ্চ তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র - পাইরোমিটার।
৪৫০. বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ---
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -হেমন্ত- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
০
ব্যাখ্যাঃ
🔖বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হলেন তাজউদ্দিন আহমেদ। বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হলেন শেখ মুজিবুর রহমান। এবং প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
৪৫১. ২০০৬ সালে বিশ্বকাপ ফুটবল কোথায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল?
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -হেমন্ত- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖১৮ তম বিশ্বকাপ ফুটবল অনুষ্ঠিত হয় জার্মানিতে ২০০৬ সালের ৯ জুন থেকে ৯ জুলাই। ২০১০ সালের ১৯ তম বিশ্বকাপ ফুটবল অনুষ্ঠিত হয় দক্ষিণ আফ্রিকায়। উল্লেখ্য ২০১৪ সালে ব্রাজিল ২০১৮ সালে রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত হয় এবং ২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল অনুষ্ঠিত হবে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝তবে ২০২২ সালে কাতারে ২২ তম ফুটবল বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়। তাই এই বিশ্বকাপের তথ্যসমূহ গুরুত্বপূর্ণ।
▣ ফুটবল বিশ্বকাপ:
❐ ১৯৩০ সাল থেকে শুরু হয় বিশ্বের সর্বাধিক জনপ্রিয় আসর ফুটবল বিশ্বকাপ।
❐ প্রথম স্বাগতিক দেশ হলো উরুগুয়ে এবং প্রথম চ্যাম্পিয়নও হয় উরুগুয়ে।
❐ প্রতি ৪ বছর পর পর অনুষ্ঠিত হয় ফুটবল বিশ্বকাপ।
▣ কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ - ২০২২:
❐ আয়োজক দেশ: কাতার (২২তম আসর)
❐ সময়কাল: ২০ নভেম্বর - ১৮ ডিসেম্বর, ২০২২
❐ অংশগ্রহণকারী দেশ: ৩২ টি
❐ মাসকট: লা’ইব [অর্থ: অতি দক্ষ খেলোয়াড়]
❐ থিম সং: হা’ইয়া হা’ইয়া [Hayya Hayya (Better Together)]
❐ চ্যাম্পিয়ন: আর্জেন্টিনা (৩য় বার)
❐ রানার্স আপ: ফ্রান্স
❐ গোল্ডেন বল: লিওনেল মেসি (আর্জেন্টিনা)
❐ সর্বাধিক গোলদাতা/গোল্ডেন বুট: কিলিয়ান এমবাপ্পে (৮টি)
❐ গোল্ডেন গ্লাভস/সেরা গোলরক্ষক: এমিলিয়ানো মার্টিনেজ (আর্জেন্টিনা)
❐ সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়: এনজো ফার্নান্দেজ (আর্জেন্টিনা)
❐ টুর্নামেন্ট সেরা গোল: রিচার্লিসন (ব্রাজিলের হয়ে সার্বিয়ায় বিপক্ষে)
❐ ফুটবল বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম নারী রেফারি দায়িত্ব পালন করেন এ বিশ্বকাপে।
▣ পরবর্তী ফুটবল বিশ্বকাপ (২৩তম আসর) অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ সালে।
▣ ঐ বিশ্বকাপে ৪৮টি দল অংশগ্রহণ করবে।
▣ বিশ্বকাপটি যৌথভাবে আয়োজন করবে কানাডা, মেক্সিকো এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
৪৫২. পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ ---
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -হেমন্ত- ১৩.০৮.১০ 📖 বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তর ~ ব্যক্তিকর্তা ~ ৩১.০১.১৮
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖পৃথিবী সূর্যের তৃতীয় নিকটতম গ্রহ। সূর্য থেকে পৃথিবীর গড় দূরত্ব প্রায় ১৫ কোটি কিলোমিটার। এর বেশ প্রায় ১২, ৬৬৭ কিলোমিটার। পৃথিবীর নিজ অক্ষে একবার আবর্তন করতে সময় লাগে ২৩ ঘন্টা ৫৬ মিনিট ৪ সেকেন্ড। পৃথিবী একবার সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে সময় নেয় ৩৬৫ দিন ৫ ঘন্টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড। তাই এখানে ৩৬৫ দিনে এক বছর। চাঁদ পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝পৃথিবী:
▣ আমাদের সৌরজগতের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য গ্রহ হলো - আমাদের বাসস্থান ‘পৃথিবী’।
▣ এটি সৌরজগতের মাঝারী আকারের একটি গ্রহ (গড় ব্যস হলো ১২,৭৩৪.৫ কি. মি. প্রায়)।
▣ পৃথিবী নিজ কক্ষপথটি ডিম্বাকৃতির ও মোট ৩৬৫ দিন ৫ ঘন্টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড বা এক বছরে সূর্যকে প্রদক্ষিন করে থাকে। ▣ পৃথিবী নিজ অক্ষে ২৩ ঘন্টা ৫৬ মিনিট ৪ সেকেন্ড বা এক দিনে আর্বতন করে।
▣ পৃথিবীর একটি মাত্র উপগ্রহ হলো চন্দ্র। সৌরজগতের সকল গ্রহের মধ্যে কেবল পৃথিবী জীব ও উদ্ভিদের বসবাস উপযোগী গ্রহ।
❐ চন্দ্র
▣ চন্দ্র পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ।
▣ প্রায় ৩৭.৯ মিলিয়ন বর্গ কি. মি. আয়তন বিশিষ্ট চন্দ্র মোট ২৯ দিন ১২ ঘন্টা ৪৪ মিনিট বা এক চন্দ্র মাসে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে।
▣ চন্দ্রের নিজস্ব কোনো আলো নাই, সূর্যের আলোকে এটি আলোকিত হয়। এই আলো বিচ্ছুরিত হয়ে পৃথিবীকে রাতের বেলা আলো দেয়।
৪৫৩. চন্দ্রে অবতরণকারী প্রথম চন্দ্রযানের নাম ---
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -হেমন্ত- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖১৯৬৬ সালে ৩ ফেব্রুয়ারি ৯ নবযান চাঁদে অবতরণকারী প্রথম মহাশূন্য অনুসন্ধানী যান। কিন্তু ১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই অ্যাপোলো-১১ প্রথমবারের মতো মনুষ্য নিয়ে অবতরণ করে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝মানুষ প্রথম চাঁদে পা রাখে ২০ জুলাই, ১৯৬৯ সালে।
❐ যুক্তরাষ্ট্র চন্দ্রবিজয়ী বিশ্বের প্রথম ও এখন পর্যন্ত একমাত্র দেশ।
❐ এপোলো-১১ নামক চন্দ্রযানে করে নীল আর্মস্ট্রং ও এডউইন অলড্রিন চাঁদে অবতরণ করেন।
৪৫৪. হৃৎপিণ্ডের গতি নির্ণায়ক যন্ত্র ---
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -হেমন্ত- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖কম্পাস দিক নির্দেশক যন্ত্র। গ্যালভানোমিটার হচ্ছে তড়িৎ প্রবাহ পরিমাপের যন্ত্র। স্টেথোস্কোপ মানব শরীরের রক্ত সঞ্চালনের শব্দ শোনার কাজে ব্যবহৃত হয়। কার্ডিওগ্রাফ হৃদপিন্ডের গতি নির্ণয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝হৃদপিন্ডের গতি নির্ণায়ক যন্ত্র - কার্ডিওগ্রাফ।
▣ অন্যান্য অপশন:
- গ্যালভানোমিটার হচ্ছে সেই যন্ত্র যার সাহায্যে বর্তনীতে তড়িৎ প্রবাহের অস্তিত্ব ও পরিমাণ নির্ণয় করা যায়।
❐ মানুষের হৃৎস্পন্দন শোনার জন্য সাধারণত স্টেথোস্কোপ ব্যবহৃত হয়।
❐ উৎস- নবম-দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বই।
৪৫৫. বাংলাদেশ রেলওয়ের সার্বিক সদর দফতর অবস্থিত ---
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -হেমন্ত- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বাংলাদেশ রেলওয়ের এর সার্বিক সদর দপ্তর ঢাকা রমনার আব্দুল গনি রোডে অবস্থিত।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝বাংলাদেশ রেলওয়ের সার্বিক সদর দফতর অবস্থিত- ঢাকা
❐ রেল মন্ত্রণালয়:
❐ দেশের গণপরিবহন মাধ্যমসমূহের মধ্যে বাংলাদেশের রেলওয়ে সরকারের সর্ববৃহৎ রাষ্ট্রীয় পরিবহন খাত।
❐ এ দেশে প্রথম রেলওয়ের সূচনা হয় ১৮৬২ সালের ১৫ নভেম্বর দর্শনা- জগতি রেললাইন নির্মাণের মাধ্যমে।
❐ বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়ের ২৮৭৭ কিঃমিঃ রেল লাইন নেটওয়ার্ক দেশের ৪৪ টি জেলায় সংযুক্ত।
❐ ১৯৪৭ সালের পূর্বে অবিভক্ত ভারতবর্ষে রেলওয়ে বোর্ডের মাধ্যমে তৎকালীন রেলওয়ে পরিচালিত হতো।
❐ ১৯৭৩ সালে বোর্ডের কার্যক্রম বিলুপ্ত করে একে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সাথে সংযুক্ত করা হয়।
❐ ১৯৮২ সালে রেলপথ বিভাগ গঠন করা হয়।
❐ ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ রেলওয়ে অথরিটি (বিআরএ)গঠন করা হয়।
❐ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ০৪-১২-২০১১ তারিখের এস আরও নং ৩৬১ আইন/২০১১ অনুযায়ী রেলপথ মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়।
▣ রেল মন্ত্রণালয় এর লক্ষ্য:
❐ অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশগত উন্নয়নের জন্য সরকারের কৌশলগুলিকে সমর্থন করে এমন পদ্ধতিতে রেল ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ, সম্প্রসারণ ও রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে দেশে নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য, সাশ্রয়ী এবং সময় দক্ষ রেল পরিবহন পরিষেবা প্রদান করা।
▣ মিশন:
❐ সারাদেশে রেলওয়ে ট্র্যাক এবং স্টেশন অবকাঠামোর উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ।
❐ লোকোমোটিভ, কোচ এবং অন্যান্য রোলিং স্টক রক্ষণাবেক্ষণ ও আপগ্রেডকরণ।
❐ বাংলাদেশ রেলওয়ের সিগন্যালিং ও ইন্টারলকিং সিস্টেম এবং টেলিকন সিস্টেম রক্ষণাবেক্ষণ ও আধুনিকীকরণ।
❐ নিরাপদ, দ্রুত এবং দক্ষ ট্রেন পরিচালনা নিশ্চিতকরন।
❐ রেল খাতে সরকারি পরিবহন নীতি বাস্তবায়ন করা।
❐ বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য উপযোগী আধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কিত রোলিং স্টক, ট্র্যাক উপকরণ এবং সিগন্যালিং সিস্টেম সংগ্রহকরণ।
❐ বাংলাদেশ রেলওয়ের জমি সম্পদ ব্যবস্থাপনা।
❐ বাংলাদেশ রেলওয়ের উন্নয়ন বাজেট ও রাজস্ব বাজেটের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা।
৪৫৬. সূর্যোদয়ের অব্যবহিত পূর্বের সময়কে বলা হয় ---
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -হেমন্ত- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
ঊষা তারাটি (আরবি: النطاق an-niṭāq) বা "জিটা ওরি" (ζ Ori) নামে পরিচিত। কালপুরুষ বা ওরিয়ন নক্ষত্রমণ্ডলে জিটা ক্রমাঙ্কিত এই তারাটি প্রায় ৮০০ আলোকবর্ষ দূরে 'ট্রিপল স্টার' হিসেবে অবস্থিত, যাদের খালি চোখে আলাদা করা সম্ভব নয়। এই তারাটি আরো দুটি দৃশ্যতঃ পৃথক তারা অনিরুদ্ধ এবং চিত্রলেখ (Mintaka)-এর সমন্বয়ে কালপুরুষের কোমরবন্ধ (Orion's Belt) গঠন করে। কাছাকাছি এক সরলরেখা বরাবর পাশাপাশি এই তিনটি তারা থাকায় কালপুরুষের কোমরবন্ধ দ্বারা কালপুরুষকে খুঁজে পাওয়া সহজ। কোমরবন্ধের ঝুলে থাকা দিকটির বাহিরের তারাটিই হল ঊষা। ঊষা নিজে আবার আমাদের দৃশ্যপথে প্রায় সমরৈখিক (তাই দৃশ্যতঃ অপৃথক্য) তিনটি তারার সমন্বয় (ট্রিপল স্টার) যাদের মধ্যে প্রধান তারাটি একটি গরম নীল অতিদানব তারা যার পরম প্রভার মান -৫.২৫ এবং "ও শ্রেণীর" অর্থাৎ প্রকৃত উজ্জ্ব্লতার হিসাবে উজ্জ্বলতম তারাদের মধ্যে আপাতভাবে উজ্জ্বলতম যখন দৃশ্যমান প্রভা +২.০৪। তবে অবশ্য পৃথবীর নিকটে থাকার জন্য লুব্ধক ইত্যাদি অনেক তারা প্রকৃত প্রভায় অনেক কম উজ্জ্বল (+১.৪২) হয়েও আপাত প্রভায় ঊষার থেকে উজ্জ্বলতর (লুব্ধকের দৃশ্যমান প্রভা -১.৪৬)।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝সূর্যোদয়ের অব্যবহিত পূর্বের সময়কে বলা হয়- ঊষা।
❐ উষা, ঊষা (বিশেষ্য)
❐ প্রাতঃকাল; ভোরবেলা; প্রত্যুষ।
৪৫৭. 'খাসিয়া উপজাতি' কোন জেলায় অধিক বাস করে?
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -হেমন্ত- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖খাসিয়া মঙ্গোলিয়ার বংশোদ্ভূত উপজাতি। এরা বাংলাদেশের অন্যতম মাতৃতান্ত্রিক গোষ্ঠী। এদেশি খাসিয়ারা প্রায় পাঁচ শতাধিক বছর আগে আসাম থেকে আগত। তারা আসামি এসেছিল সম্ভবত তিব্বত থেকে। বাংলাদেশ সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজারে খাসিয়া বাস করে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝▣ খাসিয়া:
❐ বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলে ও ভারতের আসামে এই জনগোষ্ঠী বাস করে।
❐ সিলেটের খাসিয়ারা সিনতেং গোত্রভুক্ত জাতি।
❐ তারা মাতৃপ্রধান পরিবারে বসবাস করে।
❐ খাসিয়া গ্রাম পুঞ্জি এবং পুঞ্জি প্রধান সিয়েম নামে পরিচিত।
❐ এদের আদি নিবাস ছিলো তিব্বতে।
❐ খাসিয়াদের ভাষা বর্মী।
❐ খাসিয়াদের পরিবার মাতৃতান্ত্রিক।
❐ খাসিয়াদের ধর্ম খ্রিস্টান।
৪৫৮. বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার গঠিত হয়েছিল---
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -হেমন্ত- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগর থেকে জারিকৃত স্বাধীনতার ঘোষনা পত্রের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম বা মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয়। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল বর্তমান মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলায় আমবাগানে বাংলাদেশ সরকারের আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝▣ মুজিবনগর সরকার:
❐ মুজিবনগর সরকার মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য গঠিত বাংলাদেশের প্রথম সরকার।
- মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলা গ্রামে মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়েছিল।
❐ ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার পর ১০ এপ্রিল এ সরকার গঠিত হয়।
❐ ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলা গ্রামে মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণ করে।
❐ যা বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাজধানী।
❐ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে বৈদ্যনাথতলা গ্রামের নামকরণ হয় মুজিবনগর।
❐ মুজিবনগর সরকারের কর্মকান্ড বাংলাদেশ ভূখন্ডের বাইরে থেকে পরিচালিত হয়েছিল বলে এ সরকার প্রবাসী মুজিবনগর সরকার হিসেবেও খ্যাত।
৪৫৯. বাংলাদেশের জাতীয় উদ্যান-
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -হেমন্ত- ১৩.০৮.১০ 📖 Rajshahi Krishi Unnayan Bank - Cashier - 22.01.10
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বর্তমানে বাংলাদেশে জাতীয় উদ্যান বা ন্যাশনাল পার্ক ১৭ টি। উইকিপিডিয়া এর মতে ১৯ টি। এখানকার কোনটিই জাতীয় উদ্যান নয়। সর্বশেষ শেখ জামাল ইনানী জাতীয় উদ্যান।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📌📝বাংলাদেশের জাতীয় উদ্যানসমূহ -
❐ ১. ভাউয়াল জাতীয় উদ্যান, গাজীপুর
❖ ২. মধুপুর জাতীয় উদ্যান, টাংগাইল এবং ময়মনসিংহ
❖ ৩. রামসাগর জাতীয় উদ্যান, দিনাজপুর
❖ ৪. হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান, কক্সবাজার
❖ ৫. লাওয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মৌলভীবাজার
❖ ৬. কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান, পার্বত্য চট্টগ্রাম
❖ ৭. নিঝুমদ্বীপ জাতীয় উদ্যান নোয়াখালী
❖ ৮. মেধাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যান, কক্সবাজার
❖ ৯. সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান, হবিগঞ্জ
❖ ১০. খাদিমনগর জাতীয় উদ্যান, সিলেট
❖ ১১. বারইয়াঢালা জাতীয় উদ্যান, চট্টগ্রাম
❖ ১২. কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান, পটুয়াখালী
❖ ১৩. নবাবগঞ্জ জাতীয় উদ্যান, দিনাজপুর
❖ ১৪. সিংড়া জাতীয় উদ্যান, দিনাজপুর
❖ ১৫. কাদিগড় জাতীয় উদ্যান, ময়মনসিংহ
❖ ১৬. আলতাদিঘী জাতীয় উদ্যান, নওগাঁ
❖ ১৭. বিরগঞ্জ জাতীয় উদ্যান, দিনাজপুর
❖ ১৮. শেখ জামাল ইনানী জাতীয় উদ্যান, কক্সবাজার
❖ ১৯. জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান, ঢাকা
❖ ২০. ধর্ম পুর জাতীয় উদ্যান, দিনাজপুর
৪৬০. বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর-এর পদবী কি ছিল?
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -হেমন্ত- ১৩.০৮.১০ 📖 DPE ২০১৪(৪র্থ পর্যায়) - সহকারী শিক্ষক -০১.০৬.১৮ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -বসন্ত- ১৩.০৮.১০
সাধারণ জ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের জন্ম বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার রহিমগঞ্জ গ্রামে। ১৯৭১ সালের ১২ ডিসেম্বর মুক্তি বাহিনী তার নেতৃত্বে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আক্রমণ করে। যুদ্ধে অপরিসীম বীরত্ব প্রদর্শন করে ১৪ ডিসেম্বর সকালে পাকিস্তানি বাহিনীর স্নাইপার বুলেটের আঘাতে তিনি শহীদ হন।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ গণের পদবী নিম্নরুপ:
❐ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেঃ মতিউর রহমান
❐ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল
❐ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর
❐ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী হামিদুর রহমান
❐ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ
❐ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোহাম্মদ রুহুল আমিন
❐ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ