৭০১. যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [১ম পর্যায়] ২৪. ০৫.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖একটি প্রধান বাক্যের সঙ্গে অঙ্গীভূত এক বা একাধিক খণ্ড বাক্য সাধারণভাবে বা কোনো অনুগামী সমুচ্চয়ী অব্যয় বা সাপেক্ষ সর্বনাম দিয়ে যুক্ত হয়ে পরস্পর সাপেক্ষভাবে ব্যবহৃত হলে তাকে মিশ্র বা জটিল বাক্য বলে। যেমনঃ ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে’ এই বাক্যটি মিশ্র বা জটিল বাক্য। ক এবং গ দুটোই সঠিক উত্তর হওয়ায় উত্তরটি বাতিল করা হলো।
৭০২. 'আগ্নেয়' শব্দের প্রকৃতি ও প্রত্যয় কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [১ম পর্যায়] ২৪. ০৫.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖বেদ+ষ্ণিক = বৈদিক. বিজ্ঞান+ষ্ণিক = বৈজ্ঞানিক. সমুদ্র+ষ্ণিক = সামুদ্রিক. নগর+ষ্ণিক = নাগরিক. মাস+ষ্ণিক = মাসিক. ধর্ম+ষ্ণিক = ধার্মিক. সমর+ষ্ণিক = সামরিক. সমাজ+ষ্ণিক = সামাজিক. হেমন্ত+ষ্ণিক = হৈমন্তিক. অকস্মাৎ+ষ্ণিক = আকস্মিক. ষ্ণেয়(এয়). ভগিনী+ষ্ণেয় = ভগিনেয়. অগ্নি+ষ্ণেয় = আগ্নেয়. বিমাতৃ+ষ্ণেয় = বৈমাত্রেয় ...
উ/ঊ-স্থলে ও: √ধু+আ= ধোয়া ঋ-স্থলে অর: √কৃ+তা = করতা ˃ ক্রেতা
ই/ঈ-স্থলে এ: √চিন+আ= চেনা, √নী+আ= নেওয়া
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖অগ্নি + এয় (ষ্ণেয়) = আগ্নেয়; অতিথি + এয় = আতিথেয়; ভগিনী + এয় = ভাগিনেয়।
৭০৩. ধ্বনির পরিবর্তন কত প্রকার?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [১ম পর্যায়] ২৪. ০৫.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖ধ্বনি পরিবর্তন:
ভাষা সর্বদা পরিবর্তনশীল। কোন ভাষার পরিবর্তন নিয়ম বা ব্যাকরণ দিয়ে বন্ধ করে দিলে সে ভাষা আস্তে আস্তে মরে যায়। যেমন মরে গেছে - সংস্কৃত ভাষা।
মানুষের মুখে মুখে উচ্চারণের সুবিধার্থে ভাষার শব্দ, মূলত শব্দের অন্তর্গত ধ্বনি নানাভাবে পরিবর্তিত হয়। তবে এই পরিবর্তনও কিছু নিয়ম মেনে হয়ে থাকে।
ধ্বনির এই পরিবর্তনই মূলত ভাষার পরিবর্তন ঘটায়। অর্থ্যাৎ, ভাষার পরিবর্তন ধ্বনি পরিবর্তনের সাথে সম্পৃক্ত।
ধ্বনি পরিবর্তনের সুনির্দিষ্ট কোন প্রকার নেই। ধ্বনি পরিবর্তন নানান প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয়।
তবে, বাংলা একাডেমির প্রমিত বাংলা ভাষার ব্যাকরণ অনুসারেঃ
বাংলা ভাষায় ধ্বনি পরিবর্তনের ৪টি শ্রেণী লক্ষ্য করা যায়ঃ
যথা,
১) ধ্বনির লোপ
২) ধ্বনির যোগ
৩) ধ্বনির রূপান্তর
৪) ধ্বনির স্থানবিনিময়
ডঃ হায়াত মামুদের ভাষা শিক্ষা বইতে 'ধ্বনির স্থানবিনিময়' - এটা বাদ দেয়া হয়েছে। তবে, তিনি এটাও উল্লেখ করেছেন যে, ধ্বনি পরিবর্তনের এসব ধারা দিগদর্শন মাত্র। আর অনেক রকম প্রক্রিয়াই ধ্বনি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে দেখা যায়। বিশেষ করে, উপভাষা বা লোকভাষায়।
ধ্বনি পরিবর্তনের উল্লিখিত শ্রেণিগুলোর আওতায় আর বিভিন্ন প্রক্রিয়া রয়েছে। যেমন -
আদি স্বরাগম, মধ্য স্বরাগম/বিপ্রকর্ষ বা স্বরভক্তি, অপিনিহিতি, অসমীকরণ, স্বরসঙ্গতি, ধ্বনি বিপর্যয়, সমীভবন, বিষমীভবন ইত্যাদি।
বাংলা একাডেমি অনুসারে সঠিক উত্তর ৪ প্রকার।
৭০৪. কোনটি প্রাদী সমাসের উদাহরণ ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [১ম পর্যায়] ২৪. ০৫.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖প্রগতি' প্রাদি সমাসের উদাহরণ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖প্র, প্রতি, অনু প্রভৃতি অব্যয়ের সঙ্গে যদি কৃৎ প্রত্যয় সাধিত বিশেষ্যের সমাস হয় তাকে প্রাদি সমাস বলে। পরি(চর্তুদিক) যে ভ্রমণ = পরিভ্রমণ। প্রবচন, অনুতাপ, প্রভাত, প্রগতি ( প্রাদি সমাস)।
৭০৫. 'পলাশী থেকে ধানমন্ডি' চলচ্চিত্রের পরিচালক কে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [১ম পর্যায়] ২৪. ০৫.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖”পলাশী থেকে ধানমন্ডি” চলচ্চিত্রের পরিচালক আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖আবদুল গাফফার চৌধুরী বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। চলচ্চিত্রের নাম - পলাশী থেকে ধানমন্ডি। এটি ২০০৭ সালে মুক্তি পায়।
৭০৬. 'পথ' শব্দের সমার্থক শব্দ হচ্ছে -
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [১ম পর্যায়] ২৪. ০৫.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖সরণি, সরণী - [বিশেষ্য পদ] পথ, বর্ত্ম, রাস্তা (বিধান সরণি); সারি; পঙ্ক্তি, শ্রেণী; প্রণালী, রীতি; গলরোধবিশেষ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖শরণি, শরণী, সরণি, সরণী (বিশেষ্য) - পথ; রাস্তা।
৭০৭. বাংলা বর্ণমালায় মাত্রাবিহীন বর্ণ কয়টি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [২ম পর্যায়] ৩১. ০৫.১৯ 📖 17th BCS General Apr, 1995 📖 ১২তম বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন পরীক্ষা-(স্কুল/সমপর্যায়-২)-১২.০৬.১৫
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖বাংলা বর্ণমালায় মাত্রাহীন বর্ণ ১০টি। অর্ধমাত্রা বর্ণ ৮ টি। পূর্ণমাত্রা বর্ণ ৩২ টি৷
এইভাবে মনে রাখা যেতে পারে পুর্ণ, অর্ধ, হীন ৩২, ৮, ১০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বাংলা বর্ণমালায় পূর্ণমাত্রার বর্ণ ৩২ টি, অর্ধ্মাত্রার বর্ণ ৮ টি এবং মাত্রাহীন বর্ণের সংখ্যা ১০ টি।
৭০৮. শুদ্ধ বানান কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [২ম পর্যায়] ৩১. ০৫.১৯ 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2011➯A ইউনিট 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2006➯A ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖সমীচীন - [বিশেষণ পদ] সঙ্গত, যথার্থ, উচিত, উপযুক্ত, ন্যায়সঙ্গত।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖সমীচীন - সঙ্গত; যোগ্য; উপযুক্ত; উত্তম; যথার্থ; সত্য; উচিত।
এটি সংস্কৃত ভাষা থেকে আগত বা তৎসম শব্দ।
৭০৯. 'রবীন্দ্র' এর সন্ধি বিচ্ছদ কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [২ম পর্যায়] ৩১. ০৫.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖রবীন্দ্র শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ -রবি +ইন্দ্র
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖ই-কার কিংবা ঈ-কারের পর ই-কার কিংবা ঈ-কার থাকলে উভয়ে মিলে দীর্ঘ ঈ-কার হয়। দীর্ঘ ঈ-কার পূর্ববর্তী ব্যঞ্জনের সাথে যুক্ত হয়।
যেমন- পরি + ঈক্ষা = পরীক্ষা, সুধী + ইন্দ্র = সুধীন্দ্র, সতী + ইন্দ্র = সতীন্দ্র, রবি + ইন্দ্র = রবীন্দ্র, অতি + ইত = অতীত ইত্যাদি।
৭১০. বিরাম চিহ্নের অপর নাম কী?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [২ম পর্যায়] ৩১. ০৫.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖যতিচিহ্ন, বিরামচিহ্ন বা ছেদচিহ্ন হল সেইসব সাংকেতিক চিহ্ন যেগুলো লেখ্যমাধ্যমে ব্যবহার করে বাক্যের বিভিন্ন ভাব, যেমন: জিজ্ঞাসা, বিস্ময়, সমাপ্তি ইত্যাদি সার্থকভাবে প্রকাশের মাধ্যমে বাক্যের অর্থ সুস্পষ্ট করা হয়। বাংলা ভাষায় ২০টির মতো যতিচিহ্ন রয়েছে। এদের মধ্যে বাক্যশেষে ব্যবহার্য যতিচিহ্ন ৪টি; বাক্যের ভিতরে ব্যবহার্য ১০টি এবং বাক্যের আগে পরে ব্যবহার্য ৬টি
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বাক্যের অর্থ সুস্পষ্টভাবে বোঝার জন্য বাক্যের মধ্যে, সমাপ্তিতে কিংবা আবেগ, জিজ্ঞাসা ইত্যাদি প্রকাশ করার উদ্দেশ্যে বাক্য-গঠনে যেভাবে বিরতি দিতে হয় এবং লেখার সময় বাক্যের মধ্যে তা দেখানোর জন্য যেসব সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়, তা-ই যতি বা ছেদচিহ্ন।
৭১১. ইতিহাস রচনা করেন যিনি-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [২ম পর্যায়] ৩১. ০৫.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖ইতিহাস রচনা করেন যিনি তাকে ঐতিহাসিক বলা হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖ইতিহাস বিষয়ে অভিজ্ঞ যিনি - ইতিহাসবেত্তা।
ইতিহাস রচনা করেন যিনি = ঐতিহাসিক
৭১২. কোনটি শুদ্ধ বাক্য?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [২ম পর্যায়] ৩১. ০৫.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖আমার বড় দুরবস্থা - শুদ্ধ বাক্য
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖দূরাবস্থা, দূরবস্থা, দুরাবস্থা - এই বানানগুলো অশুদ্ধ হওয়ায়, এই বানান সম্বলিত বাক্যগুলোও অশুদ্ধ।
শুদ্ধ বাক্য - আমার বড় দুরবস্থা।
৭১৩. 'অক্ষির' সমীপে'র সংক্ষেপ হলো -
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [২ম পর্যায়] ৩১. ০৫.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖অক্ষির সমীপে - সমক্ষ।
অক্ষির সমক্ষে - প্রত্যক্ষ।
অক্ষির অগোচরে - পরোক্ষ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖অক্ষির সমীপে - সমক্ষ
অক্ষির অভিমুখে - প্রত্যক্ষ
অক্ষির অগোচরে - পরোক্ষ
৭১৪. 'অলীক' এর বিপরীত শব্দ -
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [২ম পর্যায়] ৩১. ০৫.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖অলীক' এর বিপরীত শব্দ সত্য।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖অলীক [অলিক্] (বিশেষ্য) - অসত্য; মিথ্যা
অলীক এর বিপরীত শব্দ সত্য।
কল্পনা [কল্পোনা] (বিশেষ্য) - মানস রচনা; জাগ্রত স্বপ্ন; কবির সৃষ্টি।
৭১৫. 'আমি' 'আমার' এগুলো কোন সর্বনাম পদ ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [২ম পর্যায়] ৩১. ০৫.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖বিশেষ্য পদের পরিবর্তে যে পদ ব্যবহৃত হয়, তাকেই সর্বনাম পদ বলে। ব্যক্তিবাচক বা পুরুষবাচক: আমি, আমরা, তুমি, তোমরা, সে, তারা, তাহারা, তিনি, তাঁরা, এ, এরা, ও, ওরা ইত্যাদি।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖আত্মবাচক সর্বনাম পদ- স্বয়ং, নিজে, খোদ, আপনি।
অনির্দিষ্টতাজ্ঞাপক সর্বনাম পদ - কোন, কেহ, কেউ, কিছু ইত্যাদি।
সংযোগজ্ঞাপক সর্বনাম পদ- যে, যিনি, যাঁরা, যারা, যাহারা।
ব্যক্তিবাচক বা পুরুষবাচক সর্বনাম পদ- আমি, তুমি, আমরা, তোমরা, সে, তারা, তাহারা, তিনি, এ, এরা, ও, ওরা ইত্যাদি।
৭১৬. ভাষার মূল উপকরণ কী?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [২ম পর্যায়] ৩১. ০৫.১৯ 📖 জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়➟2015➯C ইউনিট 📖 বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়➟2014➯A ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖ভাষার মূল ভিত্তি - ধ্বনি।
ভাষার ক্ষুদ্রতম একক/মূল উপাদান - ধ্বনি।
ভাষার মূল উপকরণ - বাক্য।
ভাষার প্রাণ - অর্থবোধক বাক্য।
৭১৭. শুদ্ধ বানান কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [২ম পর্যায়] ৩১. ০৫.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖ত্ব, তা, নী, ণী, সভা, পরিষদ, জগৎ, বিদ্যা, তত্ত্ব শব্দের শেষে যোগ হলে ঈ-কার না হয়ে ই-কার হবে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖আসক্তি (বিশেষ্য) - গভীর অনুরাগ; লিপ্সা।
৭১৮. 'ষোড়শ' এর সন্ধি বিচ্ছদ কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [২ম পর্যায়] ৩১. ০৫.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖কতগুলো সন্ধি কোন নিয়ম অনুসারে হয় না, এগুলো কি নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি বলে ।
ষট্ + দশ = ষোড়শ
এটি নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি । এরূপ আরো কিছু নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি হল -
কুল + অটা = কুলটা
গো + অক্ষ = গবাক্ষ
অন্য + অন্য = অন্যান্য
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖কতকগুলো সন্ধি কোন নিয়ম অনুসরণ করে না। এগুলোকে নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি বলে। যেমনঃ ষট্ + দশ = ষোড়শ; পর + পর = পরস্পর; গো + পদ = গোস্পদ ইত্যাদি ।
৭১৯. নিত্য সমাসের উদাহরণ কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [২ম পর্যায়] ৩১. ০৫.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖নিত্য সমাসের উদাহরণঃ
অন্য দেশ = দেশান্তর
সমস্তগ্রাম = গ্রামশুদ্ধ
কেবল মাত্র = তন্মাত্র
একটি কাপড় = কাপড়খানা
কেবল জল = জলমাত্র
অন্য স্থান = স্থানান্তর
অন্য গ্রাম = গ্রামান্তর
অনেক মানুষ = মানুষগুলো
অন্য গৃহ = গৃহান্তর
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖যে সমাসে সমস্যমান পদ গুলো নিত্য সমাসবদ্ধ থাকে, ব্যাসবাক্যের দরকার হয় না, তাকে নিত্য সমাস বলে। যেমন, অন্য দেশ = দেশান্তর, অন্য গ্রাম = গ্রামান্তর, কেবল দর্শন = দর্শনমাত্র, অন্য গৃহ = গৃহান্তর।
৭২০. 'বেলা অবেলা কালবেলা'র লেখক কে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [২ম পর্যায়] ৩১. ০৫.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖"বেলা অবেলা কালবেলা" জীবনানন্দ দাশের সপ্তম কাব্যগ্রন্থ। কবির মৃত্যুর পর তাঁর কনিষ্ঠ ভ্রাতা অশোকানন্দ দাশ ১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দে কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশ করেন। এর আগে ১৯৫৪ সালের ২২ অক্টোবর কবি এক ট্রাম দুর্ঘটনায় মৃত্যু বরণ করেন। জীবদ্দশায় প্রকাশিত সর্বশেষ কাব্যগ্রন্থ হলো ১৯৪৮ সালে প্রকাশিত "সাতটি তারার তিমির
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖জীবনানন্দ দাশ (১৮৯৯-১৯৫৪): কবি, শিক্ষাবিদ। তিনি ১৮৯৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন।
জীবনানন্দ দাশ রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ- ঝরাপালক, দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ- ধূসর পাণ্ডুলিপি। অন্যান্য কাব্যগ্রন্থঃ বনলতা সেন, মহাপৃথিবী, সাতটি তারার তিমির, রূপসী বাংলা, বেলা অবেলা কালবেলা।
এই কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে- রূপসী বাংলা ও বেলা অবেলা কালবেলা তার মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয়েছিলো।
জীবনানন্দ দাশ রচিত প্রবন্ধগ্রন্থ ‘কবিতার কথা’।
তাঁর রচিত উপন্যাসসমূহ- মাল্যবান, সুতীর্থ, নিরুপম যাত্রা, বিভা, জলপাইহাটি ইত্যাদি।
বনলতা সেন জীবনানন্দ দাশের রচিত জনপ্রিয় কবিতা। এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা-ড. সৌমিত্র শেখর
৭১৯. নিত্য সমাসের উদাহরণ কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [২ম পর্যায়] ৩১. ০৫.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖নিত্য সমাসের উদাহরণঃ
অন্য দেশ = দেশান্তর
সমস্তগ্রাম = গ্রামশুদ্ধ
কেবল মাত্র = তন্মাত্র
একটি কাপড় = কাপড়খানা
কেবল জল = জলমাত্র
অন্য স্থান = স্থানান্তর
অন্য গ্রাম = গ্রামান্তর
অনেক মানুষ = মানুষগুলো
অন্য গৃহ = গৃহান্তর
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖যে সমাসে সমস্যমান পদ গুলো নিত্য সমাসবদ্ধ থাকে, ব্যাসবাক্যের দরকার হয় না, তাকে নিত্য সমাস বলে। যেমন, অন্য দেশ = দেশান্তর, অন্য গ্রাম = গ্রামান্তর, কেবল দর্শন = দর্শনমাত্র, অন্য গৃহ = গৃহান্তর।
৭২১. 'হাট-বাজার' কোন অর্থে দ্বন্দ্ব সমাস ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [২ম পর্যায়] ৩১. ০৫.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖হাট-বাজার সমার্থক শব্দ যোগে গঠিত সমাস।
মা-বাবা মিলনার্থক শব্দযোগে গঠিত সমাস।
দা-কুমড়া বিরোধার্থক শব্দযোগে গঠিত সমাস।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖সমার্থক শব্দযোগে গঠিত দ্বন্দ্ব সমাস হলোঃ হাট-বাজার, ঘর-দুয়ার, কল-কারখানা, মোল্লা-মৌলভী, খাতা-পত্র ইত্যাদি।
৭২২. 'দিন যায় কথা থাকে'- এখানে 'যায়' কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [২ম পর্যায়] ৩১. ০৫.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖এখানো ‘যায়’ ‘অতিবাহিত’ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। কারন দিন এখানে পার হয়ে যাচ্ছে এমনটা বুঝায়। তবে অনেকে ‘ধারাবাহিকতা’ উত্তর হবে বলে দাবী করেন।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖'দিন যায় কথা থাকে'- এখানে 'যায়' সময় বয়ে যাওয়া বা সময় অতিবাহিত হওয়া অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে
৭২৩. 'কুসুমিত' শব্দের প্রকৃতি -প্রত্যয় কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [২ম পর্যায়] ৩১. ০৫.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖কুসুম+ইত=কুসুমিত
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয় -
ইত-প্রত্যয়ঃ উপকরণজাত বিশেষণ গঠনে
কুসুম + ইত = কুসুমিত, তরঙ্গ + ইত = তরঙ্গিত, কণ্টক + ইত = কণ্টকিত।
৭২৪. 'কিরণ' এর সমার্থক নয়-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [২ম পর্যায়] ৩১. ০৫.১৯ 📖 রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়➟2011➯A5 ইউনিট 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - গামা- ১৮.০৪.১৪
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖এখানে রবি এর সমার্থক শব্দ হলো সূর্য। রবি শব্দটি বাদে বাকি সকল শব্দই কিরণ এর সমার্থক শব্দ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖‘কিরণ’ শব্দের সমার্থক শব্দ - প্রভা, দীপ্তি, কর, অংশু, রশ্মি, আলো, আলোক, বিভা, ময়ূখ।
রবি শব্দের সমার্থক শব্দ - অর্ক, আফতাব, আদিত্য, মিহির, অরুণ, সূর্য।
৭২৫. 'তাসের ঘর' - অর্থ কী?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [২ম পর্যায়] ৩১. ০৫.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖বাগধারা
অর্থ
তাসের ঘর
ক্ষণস্থায়ী/ যা অল্পকাল থাকে
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖'তাসের ঘর' বাগধারাটির অর্থ ক্ষণস্থায়ী।
৭২৬. 'অঘারাম বাস করে অজপাড়া গায়ে' 'অঘা' ও 'অজ' কোন ধরনের উপসর্গ ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [২ম পর্যায়] ৩১. ০৫.১৯ 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2018➯ক ইউনিট 📖 ৯ম বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন পরীক্ষা-২৩.০৮.১৩
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖বাংলা ভাষায় এমন কতগুলো অব্যয়সূচক সূচক শব্দাংশ রয়েছে, যেগুলো স্বাধীন পথ হিসেবে বাক্যে ব্যবহৃত হতে পারে না, এগুলো অন্য শব্দের আগে বসে নতুন নতুন শব্দ গঠন করে, এসব শব্দকে উপসর্গ বলে। বাংলা ভাষায় ২১ টি খাঁটি বাংলা উপসর্গ রয়েছে। যথা: অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আন, আব, আড়, ইতি, উন, কদ, ক, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা। উল্লেখ্য আ, সু, বি, নি এ চারটি উপসর্গ বাংলা ও তৎসম শব্দে ব্যবহৃত হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖খাঁটি বাংলা উপসর্গ হলো ২১টি৷ যথা: অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, ঊন, কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু এবং হা।
৭২৭. "শিশুগণ দেয় মন নিজ নিজ পাঠে" -বাক্যে "পাঠে" শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖শিশুগণ দেয় মন নিজ নিজ পাঠে - বাক্যে ''পাঠে'' শব্দটি অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি। ক্রিয়া সম্পাদনের কাল এবং আধারকে অধিকরণ কারক বলে। এই বাক্যে ক্রিয়া সম্পাদন (পাঠে মন দেয়া) হয়েছে ‘পাঠ’ আধারকে কেন্দ্র করে। এবং এর সাথে যুক্ত হয়েছে সপ্তমী (এ) বিভক্তি।
৭২৮. 'সংবিধান" শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖সংবিধান শব্দটি ব্যঞ্জনসন্ধির অন্তর্গত। ব্যঞ্জন সন্ধির নিয়ম অনুসারে, ম্ এরপর অন্তঃস্থ ধ্বনি য, র, ল, ব কিংবা শ, ষ, স, হ থাকলে, ম্-স্থলে অনুস্বার (ং) হয়। যেমন -
সন্ধি বিচ্ছেদ
শব্দ
সম্ +বিধান
সংবিধান
সম্ + সার
সংসার
সম্ + যম
সংযম
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বিশেষ নিয়মে সাধিত কতগুলো সন্ধি হচ্ছে- সম্ + কার = সংস্কার, সম্ + বিধান = সংবিধান, উৎ + স্থাপন = উত্থাপন, সম্ + কৃত = সংস্কৃত ইত্যাদি।
৭২৯. "রাতুল" শব্দের অর্থ কি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖রাতুল শব্দের অর্থ লাল
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖রাতুল (বিশেষণ) - রক্তবর্ণ; লাল
{(তৎসম বা সংস্কৃত) রক্ততুল্য}
৭৩০. "সূর্য উঠলে আঁধার দূরীভূত হয়"- এখানে "উঠলে" কোন ক্রিয়া পদ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖যে ক্রিয়া দ্বারা বাক্যের পরিসমাপ্তি ঘটে না, বক্তার কথা অসম্পূর্ণ থেকে যায়, তাকে অসমাপিকা ক্রিয়া বলে। যেমন: সূর্য উঠলে........ । বিকালে খেলতে ...... ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖যে ক্রিয়া দ্বারা বাক্যের পরিসমাপ্তি ঘটে না, বক্তার কথা অসম্পূর্ণ থেকে যায়, তাকে অসমাপিকা ক্রিয়া বলে৷
যেমন - সূর্য উঠলে….. এই বাক্যে 'উঠলে' দ্বারা কথা শেষ হয় নি৷ তাই এখানে 'উঠলে' অসমাপিকা ক্রিয়া৷
তবে, সূর্য উঠলে আঁধার দূরীভূত হয়। এই বাক্যে 'হয়' সমাপিকা ক্রিয়া।
৭৩১. 'আট কপালে' অর্থ কী?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖আট কপালে বাগধারার অর্থ হলো - হতভাগ্য।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖'আটকপালে' বাগধারাটির অর্থ হতভাগ্য।
আরো কয়েকটি গুরুত্বপুর্ণ বাগধারাঃ
ইঁদুর কপালে - মন্দভাগ্য, একাদশে বৃহস্পতি - সৌভাগ্যের বিষয়; বুদ্ধির ঢেঁকি - নিরেট মূর্খ, নির্বোধ।
৭৩২. কোনটি দ্বন্দ্ব সমাসের উদাহরণ ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖যে সমাসে উভয় পদের প্রাধান্য থাকে তাকে দ্বন্দ সমাস বলে। এখানে ভাইবোন শব্দটিতে উভয় পদ প্রধান। ভাইবোন বললে ভাই ও বোন উভয়কে বুঝায়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖যে সমাসে প্রত্যেকটি সমস্যমান পদের অর্থের প্রাধান্য থাকে, তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে৷
যেমন - দোয়াত ও কলম = দোয়াত-কলম, মা ও বাবা = মা-বাবা। এরূপ ভাই ও বোন - ভাইবোন।
৭৩৩. "চারটা বাজলে স্কুল ছুটি হবে"- বাক্যে 'বাজলে' কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖‘ইলে’ ‘লে’ বিভক্তি যুক্ত অসমাপিকা ক্রিয়ার ব্যবহার -
কার্যপরম্পরা বোঝাতেঃ চারটা বাজলে স্কুল ছুটি হবে৷
সম্ভাব্যতা অর্থেঃ এখন বৃষ্টি হলে ফসলের ক্ষতি হবে৷
সাপেক্ষতা বোঝাতেঃ তিনি গেলে কাজ হবে৷
পরিণতি বোঝাতেঃ বৃষ্টিতে ভিজলে সর্দি হবে৷
৭৩৪. কোনটি যৌগিক বাক্য ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖পরস্পর নিরপেক্ষ দুই বা ততোধিক সরল বা মিশ্র বাক্য মিলিত হয়ে একটি সম্পূর্ণ বাক্য গঠন করলে তাকে যৌগিক বাক্য বলে। যেমন: আমি বহু কষ্ট করেছি, ফলে শিক্ষা লাভ করেছি ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖পরস্পর নিরপেক্ষ দুই বা ততোধিক সরল বা মিশ্র বাক্য মিলিত হয়ে একটি সম্পূর্ণ বাক্য গঠন করলে তাকে যৌগিক বাক্য বলে। যেমনঃ তার বয়স হয়েছে, কিন্তু বুদ্ধি হয়নি।
এখানে, 'তুমি আমার বাড়িতে এস, আমি খুশি হব' বাক্যটিতে কোন যোজক উল্লেখ নেই কারণ অনেক সময় সাধারণ কথাবার্তায় যোজক নাও ব্যবহৃত হতে পারে। এখানে বাক্যটি যৌগিক কারণ এ বাক্যগুলো জটিল বাক্যের মত একটি আরেকটির উপর নির্ভর করে না।
৭৩৫. "তিলে তৈল হয়"- কোন কারকে কোন বিভক্তি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯ 📖 পোস্টমাস্টার জেনারেলের রাজশাহী ➺উচ্চমান সহকারী ☞10.9.22
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖'তিলে তৈল হয়'- অপাদানে সপ্তমী কিন্তু 'তিলে তৈল আছে'- অধিকরণে সপ্তমী।
৭৩৬. মৌলিক স্বরধ্বনি কয়টি ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖যেসব স্বর একক স্বরের অধিকারী অর্থাৎ যাদেরকে বিশ্লেষণ করা যায় না, সেগুলোকে মৌলিক স্বরধ্বনি বলে। বাংলা ভাষায় মৌলিক স্বরধ্বনির রয়েছে ৭ টি। যথা- অ, আ, ই, উ, এ, ও, অ্যা ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বাংলা ভাষায় স্বরবর্ণ এগারটি। যথা - অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, ঋ, এ, ঐ, ও, ঔ।
তবে বাংলা ভাষা ও ব্যাকরণবিদদের মতে, মৌলিক স্বরধ্বনি মোট - ৭টি।
যথা - অ, আ, ই, উ, এ, অ্যা, ও।
অন্যদিকে, ঐ (অ + ই) এবং ঔ (অ + উ) - এই দুটি যৌগিক স্বরধ্বনির চিহ্ন।
৭৩৭. "সর্বজন " -এর বিশেষণ কি ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖কতিপয় পদ পরিবর্তন:
বিশেষ্য বিশেষণ
ঈশ্বর - ঐশ্বরিক
ইতিহাস - ঐতিহাসিক
উল্লাস - উল্লসিত
সর্বজন - সর্বজনীন
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖সর্বজন (বিশেষ্য) সকল লোক বা নরনারী।
সর্বজনীন, সার্বজনিক (বিশেষণ) - সকলের হিতকর; সর্বসাধারণের জন্য।
৭৩৮. নিম্নের কোন বাক্যটি শুদ্ধ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯ 📖 জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী(সিভিল)-২৪.০৪.১৫
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖আমি সাক্ষ্য দিয়েছি সঠিক বাক্য। কারণ সাক্ষী হচ্ছে বিশেষ্য আর সাক্ষ্য হচ্ছে ক্রিয়া আমরা জানি কর্তৃপদ এর পরে সাধারণত ক্রিয়াপদ বসে। তাই উত্তর হবে অপশন (ক)
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖সাক্ষ্য: (বিশেষ্য) - সাক্ষী কর্তৃক আদালতে ঘটনাদির বর্ণনা।
অর্থাৎ সাক্ষ্য দেওয়া সাক্ষীর কাজ।
সুতরাং, শুদ্ধ বাক্য - তিনি তোমার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন। এরূপ, আমি সাক্ষ্য দিয়েছি।
৭৩৯. বাক্যে একের পর অন্য পদ শোনার ইচ্ছাকে কি বলে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯ 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2005➯খ ইউনিট 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2000➯ক ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖একটি সার্থক বাক্যের তিনটি গুণ থাকা আবশ্যক। যথা- ১. আকাঙ্ক্ষা ২. আসত্তি এবং ৩. যোগ্যতা । বাক্যে এক পদের পর অন্য পদ শোনার ইচ্ছা তাকে আকাঙ্ক্ষা বলে। যেমন- চন্দ্র পৃথিবীর চারদিকে ....., বললে সম্পূর্ণ মনোভাব প্রকাশ করে না । আরো কিছু শোনার ইচ্ছা হয়। কিন্তু চন্দ্র পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে বললে আকাঙ্ক্ষার নিবৃত্তি হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বাক্যের অত্যাবশ্যকীয় গুণ তিনটি। এগুলো হলো: আকাঙ্ক্ষা, আসত্তি এবং যোগ্যতা।
এক পদের পর অন্য পদ শোনার ইচ্ছা হলো আকাঙ্ক্ষা। যেমন - ‘রহিম মাঠে খেলতে…...।’ এটা শোনার পর অন্য পদ শোনার ইচ্ছা তৈরি হয়।
বাক্যে ব্যবহৃত পদসমূহের সুশৃঙ্খল পদবিন্যাস হলো আসত্তি।
বাক্যস্থিত পদসমূহের অন্তর্গত ও ভাবগত মিলবন্ধনের নাম হলো যোগ্যতা।
৭৪০. শুদ্ধ বাক্য কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖শুদ্ধ বাক্য - করিম, তুমি ও আমি আজ পড়িতে যাইব। অনুরূপভাবে, শফিক, তুমি ও আমি সিনেমা দেখতে যাব।
৭৪১. শুদ্ধ বানান কোনটি লেখা হয়েছে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯ 📖 38th BCS General Dec, 2017 📖 কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর (প্রধান সহকারী/হিসাবরক্ষক/কম্পিউটার অপারেটর) 4- 6- 2021
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖প্রদত্ত অপশন গুলোতে দেয়া শুদ্ধ বানানের শব্দটি হল ত্রিভুজ। এ ছাড়া পূন্য- পূণ্য, শূণ্য-শূন্য, ভূবন- ভুবন সঠিক হবে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖শুদ্ধ বানান - পুণ্য, ত্রিভুজ, শূন্য, ভুবন।
৭৪২. 'উগ্র" শব্দের বিপরীতার্থক কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖শব্দ
বিপরীতার্থক শব্দ
উগ্র
সৌম্য
বিজ্ঞ
অজ্ঞ
চপল
গম্ভীর
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖সৌম্য বা মৃদু এর বিপরীতার্থক শব্দ হলো উগ্র। চপলের বিপরীত শব্দ রাশভারী বা গম্ভীর।
৭৪৩. "পরাজয়ের " - শব্দটিতে কোনটি উপসর্গ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖এখানে 'জয়' শব্দের সাথে সংস্কৃত উপসর্গ 'পরা' যুক্ত হয় পরাজয় শব্দটি গঠিত হয়েছে এবং জয় শব্দের বিপরীত অর্থ প্রকাশ পেয়েছে। সংস্কৃত উপসর্গ ২০ টি। যথা- প্র, পরা, অপ, সম, নি, অব, অনু, নির, দুর, বি, সু, উৎ, অধি, পরি, প্রতি, উপ, অপি, অভি, অতি, আ ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖পরা উপসর্গটি আতিশয্য অর্থে 'পরাকাষ্ঠা, পরাক্রান্ত, পরায়ণ' এই শব্দগুলোতে ব্যবহৃত হয়৷ বিপরীত অর্থে 'পরাজয় এবং পরাভব' এই শব্দদ্বয়ে ব্যবহৃত হয়৷
৭৪৪. কোন গুলো ওষ্ঠ্য ধ্বনি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖বর্ন
উচ্চারণ স্থান অনুযায়ী নাম
ক খ গ ঘ ঙ
কন্ঠ বা জিহ্বামূলীয় বর্ণ
চ ছ জ ঝ ঞ শ য য়
তালব্য বর্ণ
ট ঠ ড ঢ ণ ষ র ড় ঢ়
মূর্ধন্য বা পশ্চাৎ দন্তমূলীয় বর্ণ
ত থ দ ধ ন
দন্ত্য বর্ণ
প ফ ব ভ ম
ওষ্ঠ্য বর্ণ
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বাংলা বর্ণমালায় (ক - ম) পর্যন্ত এই ২৫টি বর্ণকে একত্রে স্পর্শ ধ্বনি বলা হয়।
এরমধ্যে ক - বর্গীয় (ক, খ, গ, ঘ, ঙ) - এই ৫টি কণ্ঠ ধ্বনি,
চ - বর্গীয় (চ, ছ, জ, ঝ, ঞ) - ৫টি তালব্য ধ্বনি,
ট - বর্গীয় (ট, ঠ, ড, ঢ, ণ) - এই ৫টি মূর্ধন্য ধ্বনি,
ত - বর্গীয় (ত, থ, দ, ধ, ন) - পাঁচটি দন্ত ধ্বনি এবং
প - বর্গীয় (প, ফ, ব, ভ, ম) - এই ৫টি ওষ্ঠ্য ধ্বনি।
৭৪৫. 'পক্ষী " শব্দের সংযুক্ত বর্ণ কোন কোন বর্ণ নিয়ে গঠিত?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖প্রদত্ত বাক্যের পক্ষী শব্দের 'ক্ষ' বর্ণটি সংযুক্ত ব্যঞ্জন বর্ণের নিয়ম অনুযায়ী ক+ষ = ক্ষ যোগে গঠিত হয়েছে। আরো কিছু সংযুক্ত ব্যঞ্জন বর্ণ হলো-
ক্ষ্ম = ক+ষ+ম,
হ্ম = হ+ম,
ঞ্জ = ঞ+জ,
হ্ন = হ+ন ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖পক্ষী শব্দের সংযুক্ত বর্ণ হচ্ছে ক্ষ = ক্ + ষ। আরো কতিপয় যুক্ত বর্ণ হ্ম = হ্ + ম, ক্ষ্ম = ক্ + ষ + ম, ক্স = ক্ + স।
৭৪৬. শশব্যস্ত কোন সমাস?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯ 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2005➯A ইউনিট 📖 বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়➟2014➯B ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖প্রদত্ত বাক্যে শশকের ( খরগোশ ) ন্যায় ব্যস্ত = শশব্যস্ত হচ্ছে কর্মধারায় সমাস ।
যে বাক্যে বিশেষ্য পদের সাথে বিশেষণ পদের সমাস হয় এবং পরপদের অর্থই প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয় তাকে কর্মধারয় সমাস বলে ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖উপমান এবং উপমিত কর্মধারয় সমাস হতে হলে বাধ্যতামূলক তুলনা বুঝাবে। যদি প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ বস্তুর সাধারণ ধর্ম, গুণ, মিল থাকে বা বাস্তবসম্মত মনে হয় তাহলে তো উপমান আর তা মনে না হলে উপমিত কর্মধারয় সমাস।
কর পল্লবের ন্যায় =করপল্লব ➝ উপমিত কর্মধারয় সমাস। শশকের ন্যায় ব্যস্ত = শশব্যস্ত, হরিণের ন্যায় চপল =হরিণচপল, ইস্পাতের ন্যায় কঠিন= ইস্পাতকঠিন (উপমান কর্মধারয় সমাস)।
৭৪৭. 'তুমি না বলেছিলো এখানে আসবে"- এখানে 'না' এর ব্যবহার কি অর্থে ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖এানে 'না' এর অর্থ 'হ্যা' অর্থে ব্যবহার হয়েছে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖অনেকসময় শব্দ বাক্যে ব্যবহৃত হওয়ার সময় এর ভাব বদলে গিয়ে ভিন্ন অর্থ প্রকাশ করে।
যেমন - 'তুমি না বলেছিলে এখানে আসবে' - বাক্যে কেউ একজন আসার কথা বলেছিলো বুঝাচ্ছে। অর্থাৎ, হ্যা বোধক অর্থ প্রকাশ করেছে, যদিও যার আসার কথা সে আসে নি বা আসবে না।
৭৪৮. "বর্ণ" হচ্ছেঃ -
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖বর্ণকে ধ্বনি নির্দেশক প্রতিক বলা হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖ধ্বনি নির্দেশক প্রতীক বা চিহ্নকে বর্ণ বলে। ভাষা লিখে প্রকাশ করার সাংকেতিক চিহ্ন সমূহকে বর্ণ বলে। বর্ণ হলো দৃশ্যগ্রাহ্য রূপ। ধ্বনি হলো শ্রুতিগ্রাহ্য রূপ।
৭৪৯. 'তেপান্তর' কোন সমাসের উদাহরণ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖তেপান্তর= তিন প্রান্তরের সমাহার, এটি দ্বিগু সমাসের উদাহরণ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖সমাহার বা মিলন অর্থে সংখ্যাবাচক শব্দের সঙ্গে বিশেষ্য পদের যে সমাস হয় তাকে দ্বিগু সমাস বলে। দ্বিগু সমাস নিষ্পন্ন পদটি অবশ্যই বিশেষ্য হবে।
যেমন- পঞ্চনদ, পঞ্চভূত, পঞ্চবটী, ত্রিভুজ, তেপান্তর ইত্যাদি।
৭৫০. অসমাপ্ত 'অদ্ভুত সাগর' গ্রন্থটি কে সমাপ্ত করেন?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖অদ্ভুত সাগর গ্রন্থটি রচনা করেন লক্ষন সেন
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বল্লালসেন ছিলেন একজন পন্ডিত ও প্রসিদ্ধ লেখক। ১১৬৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি ‘দানসাগর’ রচনা করেন। ১১৬৯ খ্রিস্টাব্দে ‘অদ্ভুতসাগর’ লেখা শুরু করলেও তা শেষ করতে পারেননি। তার পুত্র লক্ষণ সেন পিতার শুরু করা গ্রন্থ ‘অদ্ভুতসাগর’ সম্পন্ন করেন।
৭৫১. "সুন্দর মাত্রেরই একটা আকর্ষণ শক্তি আছে।" বাক্যে 'সুন্দর' শব্দটি কোন পদ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯ 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2003➯ক ইউনিট 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟1996➯ঘ ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖এখানে 'সুন্দর' একটি বিশেষ্য
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖গুণবাচক বিশেষ্য : মধুরতা, তারল্য, তিক্ততা, তারুণ্য, সৌরভ, স্বাস্থ্য, যৌবন, সুখ, দুঃখ, সুন্দর।
৭৫২. আমি , তুমি ও সে -
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖তুমি, আমি ও সে= আমরা
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖আমরা - আমি, তুমি ও সে। বাংলায় ‘আমরা’কে একশেষ দ্বন্দ্ব সমাসের উদাহরণ হিসেবে গণ্য করা হয়। অবশ্য ‘আমরা’কে নিত্য সমাসেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
৭৫৩. "বুঝে শুনে উত্তর দাও নতুবা ভুল হবে ' বাক্যটি কোন শ্রেণির?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖এবং, কিন্তু, নতুবা ইত্যাদি থাকলে যৌগিক বাক্য হয়
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖পরস্পর নিরপেক্ষ দুই বা ততোধিক সরল বা মিশ্র বাক্য মিলিত হয়ে একটি সম্পূর্ণ বাক্য গঠন করলে তাকে যৌগিক বাক্য বলে।
যৌগিক বাক্যের অন্তর্গত নিরপেক্ষ বাক্যগুলো এবং, ও, কিন্তু, নতুবা, অথবা, অথচ, কিংবা, বরং, তথাপি প্রভৃতি অব্যয় যোগে সংযুক্ত বা সমন্বিত থাকে।
যেমন:
❏ তাঁর টাকা আছে কিন্তু তিনি দান করেন না
❏ নেতা জনগণকে উৎসাহিত করলেন বটে কিন্তু কোনো পথ দেখাতে পারলেন না।
❏ তার বয়স হয়েছে, কিন্তু বুদ্ধি হয়নি।
❏ বুঝে শুনে উত্তর দাও নতুবা ভুল হবে
৭৫৪. "সকল শিক্ষকগণ আজ উপস্থিত' বাক্যটি কোন দোষে দুষ্ট?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖এটি একটি বাহুল্য দোষ
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖প্রয়োজনের অতিরিক্ত শব্দ বা শব্দাংশ ব্যবহার করলে শব্দের অর্থগত যোগ্যতা নষ্ট হয়। ফলে বাক্যও যোগ্যতা গুণ হারায়। শব্দকে বহুবচন করার সময় একাধিক বহুবচনবোধক শব্দ বা শব্দাংশ ব্যবহার করা একটি সাধারণ বাহুল্য দোষ। যেমন- ‘সব মানুষেরা, সব আলেমগণ’ বাহুল্য দোষে দুষ্ট শব্দ। যোগ্যতা গুণ সম্পন্ন বাক্যে ‘সব মানুষ’ বা ‘মানুষেরা’, ‘সব আলেম’ বা ‘আলেমগণ’- যে কোন একটি ব্যবহার করতে হবে। সুতরাং, শুদ্ধ বাক্য হবে - ‘সকল শিক্ষক আজ উপস্থিত’ বা ‘শিক্ষকগণ আজ উপস্থিত’।
৭৫৫. "আ মরি বাংলা ভাষা"-এ "আ" দ্বারা কী প্রকাশ করা হয়েছে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖‘আ’ মনোভাববাচক অব্যয় দ্বারা আনন্দ, বিস্ময়, খেদ প্রভৃতি মনোভাব প্রকাশিত হয়। যেমন: ‘আ’ মরি বাংলা ভাষা’ এখানে ‘আ’ দ্বারা আনন্দ প্রকাশ করা হয়েছে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖'আ' (অব্যয়) বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়:
❏(১) আনন্দ প্রকাশে - আ মরি বাংলা ভাষা!-অতুলপ্রসাদ সেন);
❏(২) সুখবোধে - আ কি আরাম!;
❏(৩) বিদ্রূপে - আ মরণ আর কী!;
❏(৪) প্রশংসায় - আ মরি! আ মরি! কী শোভা!;
❏(৫) স্বস্তিতে - আ! বাঁচা গেল।;
❏(৬) স্মরণে - আ, তাই বটে! ইত্যাদি।
৭৫৬. "মেঘলা" কি ধরনের শব্দ ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖বিশেষণ হচ্ছে বাংলা ব্যাকরণের একটি পদ যা বাক্যের অন্য কোন পদের (বিশেষ্য, সর্বনাম ও ক্রিয়াপদের) দোষ, গুণ, অবস্থা, সংখ্যা, পরিমাণ ইত্যাদি প্রকাশ করে।
মেঘলা - বিশেষণ শব্দ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖মেঘলা (বিশেষণ) - মেঘাচ্ছন্ন; মেঘাবৃত।
৭৫৭. "শাহনামা" গ্রন্থটি কার রচিত?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖"শাহনামা" গ্রন্থটি ফেরদৌসী কর্তৃক রচিত।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖‘শাহনামা’ মহাকাব্যের রচয়িতা পার্সিয়ান কবি ফেরদৌসী। এই মহাকাব্যটি পারস্যের বা ইরানের অন্যতম প্রসিদ্ধ সাহিত্য।
৭৫৮. শুদ্ধ শব্দগুচ্ছ কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯ 📖 গণপূর্ত অধিদপ্তর ~ উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও ড্রাফটম্যান/ সিভিল ~ ২৫.০১.১৮
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖গণনা, গণিকা, শোণিত শব্দে স্বভাবতই ‘ণ’ হয়েছে। এরকম আরো কিছু শব্দ: বাণিজ্য, লবণ, কণিকা, বিপণি, নিপুণ, লাবণ্য, গৌণ, শাণ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖শুদ্ধ শব্দগুচ্ছ হচ্ছে - গণনা, গণিকা, শোণিত।
৭৫৯. "আমি যাব তবে কাল যাব"- এটি কি ধরনের বাক্য?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯ 📖 32nd BCS General Mar, 2012 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2012➯ঘ ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖পরস্পর নিরপেক্ষ দুই বা ততোধিক সরল বা মিশ্র বাক্য মিলিত হয় একটি সম্পূর্ণ বাক্য গঠন করলে তাকে যৌগিক বাক্য বলে । যৌগিক বাক্যের অন্তর্গত নিরপেক্ষ বাক্যগুলো এবং, ও, কিন্তু, অথবা, অথচ, বরং, তবে, তথাপি প্রভৃতি অব্যয় সংযুক্ত বা সম্মিলিত থাকে । যেমন: আমি যাব তবে কাল ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖পরস্পর নিরপেক্ষ দুই বা ততোধিক সরল বা মিশ্র বাক্য মিলিত হয়ে একটি সম্পূর্ণ বাক্য গঠন করলে তাকে যৌগিক বাক্য বলে।
যৌগিক বাক্যের অন্তর্গত নিরপেক্ষ বাক্যগুলো এবং, ও, কিন্তু, নতুবা, অথবা, অথচ, কিংবা, বরং, তথাপি প্রভৃতি অব্যয় যোগে সংযুক্ত বা সমন্বিত থাকে।
যেমন: আমি যাব তবে কাল যাব। তার টাকা আছে কিন্তু তিনি দান করেন না।
৭৬০. "সিত" শব্দের সমার্থক শব্দ কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖'সিত' শব্দের সমার্থক শব্দগুলো হলো শুষ্ক, শুভ্র, শ্বেত, বিশদ, গৌর, ধবল, সফেদ ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖সিত (বিশেষণ) - শুভ্র; সাদা; শুক্ল।
৭৬১. একই সঙ্গে উচ্চারিত দুইটি মিলিত স্বরধ্বনিকে কি বলে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖একই সঙ্গে উচ্চারিত দুইটি মিলিত স্বরধ্বনিকে যৌগিক স্বর বলে । যেমন : আ+ই = আই, আ + ই = আয় ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖একাধিক স্বরধ্বনি মিলে যে ধ্বনি সৃষ্টি হয় তাকে যৌগিক স্বরধ্বনি বা দ্বিস্বরধ্বনি বলে।
বাংলা ভাষায় যৌগিক স্বরধ্বনি মোট ২৫টি। এর মধ্যে মাত্র ২টি যৌগিক স্বরধ্বনির নিজস্ব বর্ণ আছে।
যথা (অ+ই) ঐ, (অ+উ) ঔ।
বাকি ২৩ টি যৌগিক স্বরধ্বনির নিজস্ব বর্ণ বা প্রতীক নেই।
৭৬২. "নৌকায় ুনদী পার হলাম' নৌকায় কোন কারকে কোন বিভক্তি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖ক্রিয়া সম্পাদনের যন্ত্র, সহায়ক বা উপকরণকেই করণ কারক করণ বলে । প্রদত্ত 'নৌকায় নদী পার হলাম' বাক্যে 'নৌকা' মাধ্যমটির দ্বারা নদী পার হওয়া বুঝাচ্ছে ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖করণ শব্দটির অর্থ - যন্ত্র, সহায়ক, উপায়। ক্রিয়া সম্পাদনের যন্ত্র, উপকরণ বা সহায়ককেই বলে করণ কারক। কীসের দ্বারা বা কী উপায়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায় তাই করণ কারক।
যেমন - ‘নৌকায় নদী পার হলাম’ - এই বাক্যে কিসের দ্বারা বা কী উপায়ে প্রশ্ন করলে উত্তর পাওয়া যায় ‘নৌকায়’। এবং এর সাথে সপ্তমী বিভক্তি ‘য়’ যুক্ত হয়েছে।
৭৬৩. "অতিকায়" শব্দের বিপরীত শব্দ কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯ 📖 তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের সহকারী তথ্য অফিসার-১.১৩
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖মূলশব্দ
বিপরীত শব্দ
অতিকায়
ক্ষুদ্রকায়
অল্প
অধিক
অণু
বৃহৎ
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖অতিকায় এর বিপরীত শব্দ - ক্ষুদ্রকায়।
অণু এর বিপরীত শব্দ বৃহৎ।
৭৬৪. কোন বানানটি শুদ্ধ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯ 📖 পরিসংখ্যান ব্যুরোর ডাটা এন্ট্রি অপারেটর-১২.০২.১৬
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖শুদ্ধ বানান হলো অতিথি। কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ বানান: অহ্ন, অশীতিপর, অপরাহ্ণ, অশ্বত্থ, অশরীরী, অত্যধিক, অন্যূন, জ্যেষ্ঠ, গভর্নর, উদীচী।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖অতিথি, অতিথ (বিশেষ্য) - আগন্তুক; অভ্যাগত; মেহমান।
৭৬৫. "গায়ক" এর সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖তৎসম স্বরসন্ধির ক্ষেত্রে এ, ঐ, ও, ঔ কারের পর এ, ঐ স্থানে যথাক্রমে অয়, আয় এবং ও, ঔ স্থানে যথাক্রমে অব্ ও আব্ হয় । যেমন:
এ+অ = অয়্+অ নে+অন = নয়ন
ঐ+অ = আয়্+অ গৈ+অক = গায়ক ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖এ, ঐ, ও, ঔ এরপরে অন্য কোন স্বরধ্বনি আসলে ‘এ’ এর জায়গায় ‘অয়’, ‘ঐ’ এর জায়গায় ‘আয়’, ‘ও’ এর জায়গায় ‘অব’ এবং ‘ঔ’ এর জায়গায় ‘আব’ হয়।
যেমনঃ গায়ক - গৈ + অক; নায়ক - নৈ + অক; নাবিক - নৌ + ইক; ভাবুক - ভৌ + উক; পবিত্র - পো + ইত্র; গবাদি - গো + আদি; গবেষণা - গো + এষণা।
৭৬৬. "টাকায় টাকা আনে"-এখানে 'টাকায়' কোন কারকে কোন বিভক্তি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖বাক্যের কর্তাকেই বলা হয় কর্তৃকারক । অর্থাৎ বাক্যে ক্রিয়াটি যার দ্বারা সম্পাদিত হয় তাকে কর্তৃকারক বলে । বাক্যস্থিত যে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদ ক্রিয়া সম্পন্ন করে তা ক্রিয়ার কর্তা বা কর্তৃকারক । বাক্যের ক্রিয়াকে কে/কারা দিয়ে প্রশ্নের উত্তরে কর্তৃকারক পাওয়া যায় । যেমন: টাকায় টাকা আনে । এ বাক্যে যদি প্রশ্ন করা হয় 'কে টাকা আনে?' উত্তর পাই টাকায় । এখানেই টাকাই কর্তা এবং এটি কর্তৃকারক ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বাক্যস্থিত যে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদ ক্রিয়া সম্পন্ন করে তা ক্রিয়ার কর্তা বা কর্তৃকারক। কে বা কারা প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায় তা-ই কর্তৃকারক।
''টাকায় টাকা আনে''- এই বাক্যে কে টাকা আনে প্রশ্ন করলে উত্তর আসে ‘টাকায়’ তাই তা কর্তৃকারক। এবং এর সাথে যুক্ত হয়েছে ৭মী বিভক্তি। তাই উত্তর হবে কর্তৃকারকে ৭মী।
কর্তৃকারকে ৭মী’র আরো উদাহরণ - ঘোড়ায় গাড়ি টানে; গাঁয়ে মানে না, আপনি মোড়ল।
৭৬৭. শুদ্ধ বাক্য কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖শুদ্ধ বাক্য - দরিদ্রতা অভিশাপ।
ফুল দেখতে সুন্দর।
ভুল লিখতে ভুল করো না।
দীনতা নিন্দনীয়
অর্থাৎ, অপশন খ এবং গ সঠিক।
৭৬৮. "অদিতি" শব্দের সমার্থক শব্দ নয় কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖পৃথিবীর অন্যান্য সমার্থক শব্দ হলো -ধরা, ধরিত্রী, ধরণী, অবনী, মেদিনী, পৃ, পৃথ্বী, ভূ, বসুধা, বসুন্ধরা, জাহান, জগৎ, দুনিয়া, ভূবন, বিশ্ব, ভূ-মণ্ডল।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖অদিতি শব্দের সমার্থক শব্দ - বসুন্ধরা, পৃথিবী, অবনী, ক্ষিতি, ধরণি ইত্যাদি।
নীর শব্দের অর্থ - পানি, জল, বারি ইত্যাদি।
৭৬৯. পাখির ডাক -
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖হরিণের চামড়া - অজিন। ময়ূরের ডাক - কেকা। ঘোড়ার ডাক - হ্রেষা। পাখির ডাক - কূজন।
কুজন - মন্দ লোক।
৭৭০. "এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি" পংক্তির রচয়িতা কে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖সুকান্ত কমিউনিস্ট পার্টির পত্রিকা দৈনিক স্বাধীনতা-র (১৯৪৫) ‘কিশোর সভা’ বিভাগ সম্পাদনা করতেন। মার্কসবাদী চেতনায় আস্থাশীল কবি হিসেবে সুকান্ত কবিতা লিখে বাংলা সাহিত্যে স্বতন্ত্র স্থান করে নেন। তাঁর রচনাবলির মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য: ছাড়পত্র (১৯৪৭), পূর্বাভাস (১৯৫০), মিঠেকড়া (১৯৫১), অভিযান (১৯৫৩), ঘুম নেই (১৯৫৪), হরতাল (১৯৬২), গীতিগুচ্ছ (১৯৬৫) প্রভৃতি।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖এসেছে নতুন শিশু, তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান
জীর্ণ পৃথিবীতে ব্যর্থ, মৃত আর ধ্বংসস্তূপ-পিঠে
চলে যেতে হবে আমাদের।
চলে যাব - তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ
প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল,
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
❏ ছাড়পত্র
❏ সুকান্ত ভট্টাচার্য
৭৭১. যিনি বক্তৃতা দানে পটু
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -ড্যাফোডিল- ১২.১০.১২ 📖 বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেড (সহকারী ব্যবস্থাপক)-1.21
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖যিনি বক্তৃতা দানে পটু - বাগ্মী।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖যিনি বক্তৃতা দানে পটু, ভালো বক্তৃতাকারী - বাগ্মী। অনর্গল কথা বলতে পারে এমন - বাকপটু।
৭৭২. নিচের কোন বাগধারটি ভিন্নার্থক
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯ 📖 ৭ম বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন পরীক্ষা-০২.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖ব্যাখ্যা - দুধের মাছি - সুসময়ের বন্ধু।
সুখের পায়রা - সুসময়ের বন্ধু।
লক্ষ্মীর বরযাত্রী - সুসময়ের বন্ধু।
শরতের শিশির - সুসময়ের বন্ধু।
অর্থাৎ, সবগুলোর অর্থ একইরকম। তাই প্রশ্নটি বাতিল করা হলো।
৭৭৩. যা স্থায়ী নয়-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯ 📖 16th BCS General Apr, 1994 📖 বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়➟2017➯B ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖অস্থায়ী - [বিশেষণ পদ] যাহা স্থায়ী নহে, পাকা নহে এমন, (অস্থায়ী চাকরী, অস্থায়ী জীবন)। [বিশেষ্য পদ] অস্থায়িতা, অস্থায়িত্ব।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖অস্থায়ী - অল্পকাল স্থায়ী; স্থায়ী নয় এমন; সাময়িক। নশ্বর - নষ্ট হওয়ার স্বভাব যার/ যা চিরস্থায়ী নয়। ক্ষণস্থায়ী - ক্ষণকাল ব্যাপিয়া স্থায়ী।
৭৭৪. নিচের কোনটি মিশ্র শব্দ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖খ্রিস্টাব্দ - [বিশেষ্য পদ] খ্রিস্টের জন্ম হইতে গণনা করা হইয়াছে এমন, অব্দ বা বৎসর। [খ্রিস্ট+অব্দ]।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖কোন কোন সময় দেশি ও বিদেশি শব্দের মিলনে শব্দদৈত্ব সৃষ্টি হয়ে থাকে তাকে মিশ্র শব্দ বলে।
যেমনঃ রাজা-বাদশা (তৎসম+ফারসি), হেড-মৌলভী (ইংরেজি+ফারসি), পকেট-মার (ইংরেজি+বাংলা), খ্রিস্টাব্দ (ইংরেজি+তৎসম) ইত্যাদি।
এছাড়াও হরতাল গুজরাটি শব্দ, আলকাতরা পর্তুগীজ শব্দ, ফটোকপি ইংরেজি ভাষার শব্দ।
৭৭৫. ধ্বনিজ্ঞাপক দ্বিরুক্ত শব্দ কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖কোনোকিছুর স্বাভাবিক বা কাল্পনিক অনুকৃতিবিশিষ্ট শব্দের রূপকে ধ্বন্যাত্মক শব্দ বলে। এ জাতীয় শব্দের দুইবার প্রয়োগের নাম ধ্বন্যাত্মক দ্বিরুক্তি।
যেমন - কড়কড় (বিশেষ্য) - মেঘগর্জন ধ্বনি; বজ্রপাতের শব্দ৷
মড়মড় (অব্যয়) - গাছ ভেঙে পড়ার শব্দ।
মরমর (বিশেষ্য) - শুষ্ক পত্রাদির ধ্বনি।
৭৭৬. 'জোক' গল্পের রচয়িতা:
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖আবু ইসহাক আবু ইসহাক (জন্ম: ১ নভেম্বর, ১৯২৬ (১৫ কার্তিক, ১৩৩৩ বাংলা) তৎকালীন মাদারিপুর (বর্তমান শরিয়তপুর জেলা) নড়িয়া থানাধীন শিরঙ্গল গ্রামে। তিনি ১৯৪৬ সালে, মাত্র বিশ বছর বয়সে রচনা করেন বিখ্যাত উপন্যাস 'সূর্য দীঘল বাড়ী' এবং এটি প্রকাশ করা হয় ১৯৫৫ সালে কলকাতা থেকে, এটি একটি সামাজিক উপন্যাস।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖আবু ইসহাক (১৯২৬-২০০৩): ঔপন্যাসিক, কথাসাহিত্যিক। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ-
উপন্যাসঃ
❏ সূর্য দীঘল বাড়ি’(একটি সামাজিক উপন্যাস। বিশ্বযুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, দেশভাগ প্রভৃতি পরপর চারটি বড় ঐতিহাসিক ঘটনার পটভূমিতে রচিত হয়েছে সূর্যদীঘল বাড়ী উপন্যাস। জয়গুন এই উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র। উপন্যাসটি ১৯৫৫ সালে প্রকাশিত এবং এটি তার প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস।),
❏ ‘পদ্মার পলিদ্বীপ’(আবু ইসহাক রচিত দ্বিতীয় সামাজিক উপন্যাস। এটি পদ্মার বুকে জেগে উঠা চরে শ্রমজীবী মানুষের সংগ্রাম নিয়ে রচিত একটি উপন্যাস।),
❏ ‘জাল’(তাঁর রচিত গোয়েন্দা উপন্যাস)।
গল্পগ্রন্থঃ হারেম, মহাপতঙ্গ ইত্যাদি।
ছোটগল্পঃ জোঁক।
তাঁর রচিত একমাত্র নাটক - ‘জয়ধ্বনি’।
তাঁর স্মৃতিচারণমূলক রচনা ‘স্মৃতিবিচিত্রা’ প্রকাশিত হয় ২০০১ সালে। এবং বাংলাপিডিয়া
৭৭৭. দুবার জন্মে যা -
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖দ্বিজ, দ্বিজন্মা - [বিশেষ্য পদ] দুইবার জন্মায় যে প্রাণী; ব্রহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য এবং তাবৎ অন্ত্যজপ্রাণী। [বিশেষ্য পদ] (স্ত্রীলিঙ্গ) দ্বিজা।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖দ্বিজ, দ্বিজন্মা - ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, ও বৈশ্য-যারা একবার মাতৃগর্ভ থেকে জন্মলাভ করে এবং পরে উপনয়নাদি সংস্কার দ্বারা নবজন্ম করে; যার দুবার জন্ম হয়।
জন্মান্তর : জন্মান্তরবাদ (বিশেষ্য) মরণের পরে পুনরায় জন্ম হয় এরূপ মত; আত্না নানাভাবে বার বার দেহ ধারণ করে এই মতবাদ; পুনর্জন্মবাদ।
৭৭৮. 'চানাচুর' শব্দটি কোন ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় এসেছে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖চানাচুর শব্দটি হিন্দি ভাষা থেকে এসেছে
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖হিন্দি ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় আগত শব্দ গুলো হচ্ছে - আচ্ছা, খেলনা, গদি, চাপাতি, জিলাপি, চানা (চানাচুর), চাটাই, কাহিনী, খানাপিনা, দাদা, নানা, ফুফা ইত্যাদি।
৭৭৯. 'চাঁদের হাট' কথাটির অর্থ কী?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖‘চাঁদের হার্ট’ বাগধারাটির অর্থ হল- সুখের সংসার/আনন্দের প্রাচুর্য। কতিপয় বাগধারা:
চাঁদ-কপালে (ভাগ্যবান),
চোরাবালি (প্রচ্ছন্ন বিপদ);
ছা-পোষা (পোষ্য ভারাক্রান্ত);
ছ কড়া ন কড়া করা (তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য বা অবহেলা করা);
জিলাপির প্যাচ (কুটিল)।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖চাঁদের হাট - আনন্দের প্রাচুর্য
ধনে জনে চৌধুরী সাহেবের সংসার যেন চাঁদের হাট।
৭৮০. 'অপমান' শব্দের 'অপ' উপসর্গটি কোন অর্থে ব্যবহৃত ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖'অপ' সংস্কৃত উপসর্গ । অপমান, অপকার, অপচয় ইত্যাদি শব্দে অপ বিপরীত অর্থে ব্যবহৃত হয় ।
অপসংস্কৃতি, অপকর্ম প্রভৃতি শব্দে 'অপ' নিকৃষ্ট অর্থে ব্যবহৃত হয় ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖অপ - সংস্কৃত উপসর্গ। অপমান শব্দে বিপরীত অর্থে অপ’র ব্যবহার হয়েছে।
বিপরীত অর্থে অপ;র ব্যবহার হয়েছে এমন আরো কিছু শব্দ - অপকার, অপচয়, অপবাদ ইত্যাদি।
নিকৃষ্ট অর্থে অপ’র ব্যবহার - অপযশ, অপসংস্কৃতি, অপকর্ম ইত্যাদি।
বিকৃত অর্থে অপ’র ব্যবহার - অপমৃত্যু।
৭৮১. তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖'তত্ত্ববোধিনী' পত্রিকার প্রকাশকাল 1843 সাল । এ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন অক্ষয় কুমার দত্ত । বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম দৈনিক সংবাদপত্র 'সংবাদ প্রভাকর' (দৈনিক) এর সম্পাদক ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত । 'বঙ্গদর্শন' পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖১৮৪৩ সালের ১৬ আগস্ট দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৃষ্ঠপোষকতায় ও অক্ষয়কুমার দত্তের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা। এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
৭৮২. 'জিলাপীর প্যাঁচ' বাগধারাটির অর্থ কী?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖'জিলাপির প্যাচ' বাগধারার অর্থ কুটিল বুদ্ধি বা কুটিলতা। আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বাগধারা :
নেই আঁকড়া - একগুঁয়ে
পটল তোলা- আক্কা পাওয়া
দুধের মাছি- সুসময়ের বন্ধু
তামার বিষ- অর্থের কু প্রভাব ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖'জিলাপীর পাঁচ' বাগধারাটির অর্থ “কুটিল বুদ্ধি”।
৭৮৩. 'পাঠক' শব্দটি কোন শ্রেণির ধাতু দ্বারা গঠিত ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖পাঠক এর প্রকৃতি ও প্রত্যয় হলো- পঠ্+অক।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖‘পঠ্’ সংস্কৃত ধাতু।
এটি দ্বারা গঠিত শব্দ- পঠন, পাঠ্য, পঠিত, পাঠক ইত্যাদি।
৭৮৪. 'লোকটি দরিদ্র কিন্তু সৎ' এ বাক্যে কিন্তু হলো -
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖‘লোকটি দরিদ্র কিন্তু সৎ’-এ বাক্যে কিন্তু অব্যয়টি দুটি বাক্যের মধ্যে ভাবের সংকোচক সাধন করেছে । কিন্তু, বরং, অথচ শব্দগুলো সংকোচক অব্যয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖সংকোচক অব্যয় - কিন্তু, বরং, অথচ। সুতরাং, 'লোকটি দরিদ্র কিন্তু সৎ' এ বাক্যে ‘কিন্তু’ হলো সংকোচক অব্যয়।
সংযোজক অব্যয় - আর, অধিকন্তু, সুতরাং।
বিয়োজক অব্যয় - বা, অথবা, নতুবা, নয়তো।
৭৮৫. 'মৎস্যনায়'কোন শাসন আমলে দেখা দেয়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖সংস্কৃত শব্দ মাৎস্যন্যায় বলতে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার মতো শক্তিশালী শাসন ক্ষমতার অভাবে সমাজের বিশৃঙ্খলা অবস্থাকে বোঝানো হয় । মাছের রাজ্যের যেমন বড় মাছগুলো ছোট মাছদের ধরে খায়, তেমনি রাজাবিহীন রাজ্যে প্রভাবশালীরা দূর্বলদের উপর নির্মম অত্যাচার চালায় এই অবস্থাকে বোঝাতে 'মাৎস্যন্যায়' শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে । রাজা শশাঙ্কের মৃত্যুর পর থেকে পাল রাজবংশের অভ্যুদয়ের পূর্ব পর্যন্ত সময়কালকে মাৎস্যন্যায় বলে ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖শশাঙ্কের মৃত্যুর পরবর্তী একশ বছর (৬৫০-৭৫০) বাংলায় কোনো স্থায়ী সরকার ছিলো না বললেই চলে। সমগ্র দেশ অভ্যন্তরীণ কলহ- কোন্দলে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন এবং বৈদেশিক আক্রমণে পর্যুদস্ত হয়েছে।
গোপাল-এর উত্থানের আগে খ্রিস্টীয় আট শতকের মাঝামাঝি সময়ের রাজনৈতিক অবস্থাকে পাল আমলের একটি লিপিতে (খালিমপুর তাম্রশাসন) 'মাৎস্যন্যায়' বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ অরাজকতা ও নৈরাজ্যের মধ্য দিয়ে পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা গোপালের আবির্ভাব হয়। পাল তাম্রশাসনে উল্লেখ পাওয়া যায় যে, গোপাল উল্লিখিত অরাজক অবস্থার (মাৎস্যন্যায়) অবসান ঘটান।
৭৮৬. কোনটি অনুজ্ঞা প্রকাশক?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖আদেশ, আনুরোধ, অনুমতি, প্রার্থনা, অনুনয় প্রভৃতি অর্থে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ কালে মধ্যম পুরুষের ক্রিয়াপদের রূপ হয় তাকে অনুজ্ঞা পদ বলে । যেমন : তুমি যাও ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖অনুজ্ঞাবাচক বাক্য: যে বাক্যে আদেশ,অনুরোধ,উপদেশ,প্রার্থনা ইত্যাদি বুঝায় সেই বাক্যকে অনুজ্ঞা বাচক বাক্য বলে। যেমনঃ চুপ কর; তুমি কাল যেও; তুমি যাও; আপনারা আসবেন - ইত্যাদি।
৭৮৭. কোনটি শুদ্ধ বানান?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -সুরমা- ০৮.০১.১০
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖শুদ্ধ বানান দূষণ । এরূপ আরো কয়েকটি সঠিক বানান হলো মুহুর্মুহু, স্বায়ত্তশাসন, উন্মীলন, মধ্যাহ্ন, গবেষণা, মুমূর্ষু, বাল্মীকি, উদীচী, সমীচীন, নিশীথিনী, আদ্যক্ষর, অভ্যন্তরীণ, পাষাণ, পিপীলিকা, প্রত্যুদগমন ইত্যাদি ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖দূষণ (বিশেষ্য) - দোষ দেওয়া; দোষারোপ; অশুচি বা অপবিত্রকরণ।
৭৮৮. শুদ্ধ বানান কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖শুদ্ধ বানান গৃহস্থ । এরূপ আরো কয়েকটি সঠিক বানান হলো মুহুর্মুহু, স্বায়ত্তশাসন, উন্মীলন, মধ্যাহ্ন, গবেষণা, মুমূর্ষু, বাল্মীকি, উদীচী, সমীচীন, নিশীথিনী, আদ্যক্ষর, অভ্যন্তরীণ, পাষাণ, পিপীলিকা, প্রত্যুদগমন ইত্যাদি ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖গার্হস্থ্য(বিশেষ্য) - গৃহস্থ-ধর্ম; গৃহস্থ-আশ্রম; গৃহস্থের জীবন; গৃহস্থ সম্পর্কিত। অর্থাৎ, শুদ্ধ বানানটি হচ্ছে - গৃহস্থ।
৭৮৯. 'রি রি করা ' দিয়ে কি প্রকাশ পায়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖‘রি রি’ ধ্বন্যাত্মক অব্যয় যার সাথে কর ধাতু যোগে রিরি করা একটি মিথষ্ক্রিয়া গঠিত হয়েছে যার দ্বারা তীব্র ক্রোধ, ঘৃণা প্রভৃতি অনুভূতি প্রকাশক শব্দ বোঝায়?
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖রি রি (অব্যয়) - তীব্র ক্রোধ বা অন্য প্রকার অনুভূতি বোঝানোর জন্য ব্যবহৃত শব্দ (রাগে গা রি রি করছে)।
৭৯০. শব্দের সংক্ষিপ্ত ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোন বিরামচিহ্ন বসে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖শব্দের সংক্ষিপ্ত ব্যবহারের ক্ষেত্রে বসে- বিন্দু.
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖শব্দের সংক্ষিপ্ত ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিন্দু চিহ্ন ব্যবহৃত হয়।
যেমনঃ
তিনি পি.এইচ.ডি. ডিগ্রি লাভ করেছেন।
রাজু এবার এস.এস.সি পাস করেছে।
৭৯১. কোনটি শুদ্ধ বাক্য ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖প্রমাণিত শব্দটি সঠিক। বাকি শব্দ গুলো ভুল।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖শুদ্ধ বাক্য- আমার কথাই প্রমাণিত হলো।
৭৯২. 'আজকে নগদ কালকে ধার'- এখানে 'আজকে' কোন কারকে কোন বিভক্তি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖কখন বা কোথায় দ্বারা প্রশ্ন করলে অধিকরণ কারক
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖ক্রিয়া সম্পাদনের কাল এবং আধারকে (সময় এবং স্থানকে) অধিকরণ কারক বলে।
যেমন,
প্রভাতে সূর্য উঠে।
❏(এতে 'এ' বিভক্তি থাকায়, এটি অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি)
শরতে শাপলা ফোটে।
❏(এতে 'এ' বিভক্তি থাকায়, এটি অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি)
আজকে নগদ কালকে ধার।
❏(এতে 'কে' বিভক্তি থাকায়, এটি অধিকরণ কারকে দ্বিতীয়া বিভক্তি)
৭৯৩. 'অনুচিত' শব্দটি কোন সমাস ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯ 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟1992➯গ ইউনিট 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2009➯C ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖অনুচিত - ন (নয়) উচিত - নঞ তৎপুরুষ সমাস ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖অনুচিত (বিশেষণ) - অন্যায়; অকর্তব্য অযথা।
❏(ক্রিয়াবিশেষণ) - অন্যায়ভাবে।
❏(তাহে হৈল বিপরীতি, আরো কহ অনুচিত-ভারতচন্দ্র রায় গুণাকর)।
{(তৎসম বা সংস্কৃত)অন্(নঞ্)+উচিত; (নঞ্▫ তৎপুরুষ সমাস)}
৭৯৪. 'ওষ্ঠ্য' বর্ণ কোণগুলি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖যেসব ব্যঞ্জনধ্বনির উচ্চারণের সময়ে নিচের ঠোঁট কোনও উচ্চারণস্থান স্পর্শ করে সেসব ব্যঞ্জনধ্বনি ওষ্ঠ্য ব্যঞ্জনধ্বনি বলা হয়। বাংলা ভাষার "প", "ফ", "ব", "ভ", ও "ম" বর্ণগুলোর উচ্চারণ ওষ্ঠ্য বলা হয়। যেসব ব্যঞ্জনধ্বনির উচ্চারণে উভয় ঠোঁট স্পর্শ করা হয় সেগুলোকে বিশুদ্ধ ওষ্ঠ্য বলা হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖প- বর্গীয় ধ্বনিঃ প, ফ, ব, ভ, ম এই পাঁচটি বর্ণে দ্যোতিত ধ্বনির উচ্চারণে ওষ্ঠের সঙ্গে অধরের স্পর্শ ঘটে।
তাই এদের ওষ্ঠ্য ধ্বনি এবং প্রতীকগুলোকে ওষ্ঠ্য বর্ণ বলা হয়।
৭৯৫. বেগম রোকেয়া কখন এবং কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন (সাধারণত বেগম রোকেয়া নামে অধিক পরিচিত; ৯ ডিসেম্বর ১৮৮০ - ৯ ডিসেম্বর ১৯৩২) হলেন একজন বাঙালি চিন্তাবিদ, প্রাবন্ধিক, ঔপন্যাসিক, সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্কারক। তিনি বাঙালি নারী জাগরণের অগ্রদূত এবং প্রথম বাঙালি নারীবাদী। ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দে বিবিসি বাংলার 'সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি' জরিপে ষষ্ঠ নির্বাচিত হয়েছিলেন বেগম রোকেয়া।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বেগম রোকেয়াকে বাংলার নারী জাগরণের অগ্রদূত বলা হয়।
বিশ শতকের প্রথমার্ধে তিনি নারীশিক্ষা বিশেষত মুসলিম নারীদের মধ্যে শিক্ষার প্রসারে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন।
এছাড়া তিনি নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন স্থানে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন এবং সরকারের নিকট নারীদের উন্নয়নে বিভিন্ন দাবী দাওয়া পেশ করেন।
বেগম রোকেয়া ১৮৮০ সালে রংপুর জেলার পায়রাবন্দ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৩২ সালে কলকাতায় মারা যান।
তার জন্ম ও মৃত্যু তারিখ ৯ ডিসেম্বর।
৭৯৬. যে -ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণে মুখ দিয়ে অধিক বাতাস বের হয় ও নিচের চোয়ালের মাংসপেশীতে বেশি চাপ পড়ে সে ব্যঞ্জনগুলোকে বলে ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖প্রতি বর্গের ২য় ও ৪র্থ বর্ণ হলো মহাপ্রাণ ধ্বনি। যেমনঃ- খ,ঘ,ছ,ঝ,ঠ,ঢ ইত্যাদি।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় নিঃশ্বাস জোরে সংযোজিত হয় বা ফুসফুস থেকে বের হওয়া বাতাসের জোর বেশি থাকে, তাকে মহাপ্রাণ ধ্বনি বলে।
যেমন- খ, ঘ, ছ, ঝ ইত্যাদি।
আর যে ধ্বনিগুলোতে বাতাসের জোর কম থাকে, নিঃশ্বাস জোরে সংযোজিত হয় না, তাদেরকে অল্পপ্রাণ ধ্বনি বলে।
যেমন- ক, গ, চ, জ ইত্যাদি।
৭৯৭. 'কর্মভোগ' এড়ানো যায় না' - এখানে কর্ম কোন অর্থ প্রকাশ করে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
🔖'কর্মভোগ এড়ানো যায় না' – এখানে 'কর্ম' শব্দটি দ্বারা কৃতকর্ম অর্থ প্রকাশ করছে।
৭৯৮. 'বিছিন্ন' শব্দের সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
🔖চ্ছ' যুক্ত ব্যঞ্জনের পূর্বে যদি কোন স্বরধ্বনি থাকে তাহলে চ্ছ – এর চ লোপ পায় । কথাচ্ছলে = কথা + ছলে , (এখানে 'কথা' শব্দের সঙ্গে 'আ'হচ্ছে স্বরধ্বনি এবং 'চ্ছ' ব্যঞ্জনধ্বনি ). পরিচ্ছেদ = পরি + ছেদ. ( অন্যভাবে ছ – এর পূর্বে কোন স্বরবর্ণ থাকলে ছ আগে চ হয় , অর্থাৎ চ্ছ ). যেমনঃ বিচ্ছিন্ন = বি +ছিন্ন. অনুচ্ছেদ =অনু+ছেদ.
৭৯৯. 'মহারাজাধিরাজ' পদবী কারা গ্রহণ করেন-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
গুপ্ত সাম্রাজ্যের দুর্বলতার সুযোগে বঙ্গ জনপদে একটি স্বাধীন রাজ্যের উদ্ভব ঘটে। তাম্র শাসন (তামার পাতে খোদাই করা রাজার বিভিন্ন ঘোষণা বা নির্দেশ) থেকে জানা যায় যে, গোচন্দ্র, ধর্মাদিত্য ও সমাচারদেব নামে তিনজন রাজা স্বাধীন বঙ্গরাজ্য শাসন করতেন। এঁরা সবাই ‘মহারাজাধিরাজ’ উপাধি গ্রহণ করেছিলেন। তাঁদের রাজত্বকাল ছিল ৫২৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে ৬০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে।
প্রথম চন্দ্রগুপ্ত গুপ্ত মহারাজা শ্রীগুপ্তের পৌত্র এবং ঘটোৎকচগুপ্তের পুত্র ছিলেন। পিতার মৃত্যুর পর তিনি মহারাজাধিরাজ উপাধি গ্রহণ করে সিংহাসনে আসীন হন।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖'খ্রীস্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীর প্রথম দিকে দক্ষিণ ও পূর্ববঙ্গে একটি স্বাধীন রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়।
সাতখানা তাম্রশাসন থেকে এই রাজ্যের তিনজন ‘মহারাজাধিরাজ’ উপাধিধারী রাজার নাম পাওয়া যায়।
তাঁরা হচ্ছেন ধর্মাদিত্য, গোপচন্দ্র ও সমাচারদেব।
তাঁদের এলাকাভুক্ত ছিল কর্ণসুবর্ণ (বর্তমান মুর্শিদাবাদ জেলা)।❃👉 পৃষ্ঠা-২৮, বাঙলা ও বাঙালীর বিবর্তন, ড. অতুল সুর।
গুপ্ত সাম্রাজ্যের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে সমগ্র দক্ষিণ ও পূর্ব বঙ্গে একটি স্বাধীন রাজ্যের উত্থান ঘটে।
বর্তমান পশ্বিমবঙ্গের কিছু অংশ পর্যন্ত এর বিস্তৃতি ছিল।
স্বাধীন বঙ্গ রাষ্ট্রের রাজারা তামার পাতে খোদাই করা রাজ নির্দেশ জারি করতেন।
এগুলোকে তাম্রশাসন বলা হতো।
এ রকম ৭টি তাম্রশাসন পাওয়া গেছে।
স্বাধীন বঙ্গরাজ্যে চন্দ্রগুপ্ত, ধর্মাদিত্য ও সমাচারদেব নামের তিনজন রাজার নাম জানা যায়।
তারা ৫২৫ থেকে ৬০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত মোট ৭৫ বছর রাজত্ব করেন।
সম্ভবত চন্দ্রগুপ্ত একাই ৩৩ বছর শাসন করেছেন বলে জানা যায়।
বঙ্গের রাজাগণ ‘মহারাজাধিরাজ’ উপাধি ধারণ করতেন।
এতে তাদের সার্বভৌম ক্ষমতার পরিচয় পাওয়া যায়।
৮০০. 'দীর্ঘস্থায়ী' দুঃখ ' কে কোন বাগধারা দিয়ে প্রকাশ করা হয়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖'রাবণের চিতা' বাগধারাটির অর্থ - চির অশান্তি.
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖রাবণের চিতা - চির অশান্তি।
রাহুর দশা- অত্যন্ত অশুভ সময়।
বসন্তের কোকিল- সুসময়ের বন্ধু।
অহি নকুল - ভীষণ শত্রুতা।
৮০১. 'একটু আগে যিনি এখানে এসছিলেন তিনি আমার আত্মীয় নন'- কোন ধরনের বাক্য ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
🔖জটিল বা মিশ্র বাক্য হল, যে বাক্যে একটি স্বাধীন বাক্য এবং এক বা একাধিক অধীন বাক্য পরস্পর সাপেক্ষভাবে ব্যবহূত হয়, তাকে জটিল বাক্য বা মিশ্র বাক্য বলে।
যেমন –
* যে পরিশ্রম করে, সে-ই সুখ লাভ করে। (প্রথম অংশটি আশ্রিত খণ্ডবাক্য, দ্বিতীয়টি প্রধান খণ্ডবাক্য)
* যিনি পরের উপকার করেন, তাঁকে সবাই শ্রদ্ধা করে।
* কোথাও পথ না পেয়ে তোমার কাছে এসেছি।
৮০২. কোনটি সঠিক বানান?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖ঔজ্জ্বল্য - [বিশেষ্য পদ] দীপ্তি, উজ্জ্বলতা।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖ঔজ্জ্বল্য (বিশেষ্য)
১) উজ্জ্বলতা; দীপ্তি; প্রখরতা।
২) চাকচিক্য; চেকনাই।
উজ্জ্বল (বিশেষণ )।
৮০৩. বাংলা ভাষায় উপসর্গ কত প্রকার?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯ 📖 ৩য় বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস প্রিলিমিনারী পরীক্ষা, .০৭ 📖 ৯ম বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস প্রিলিমিনারী পরীক্ষা, .১৪
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖উপসর্গের সংজ্ঞা: যেসব বর্ণ বা বর্ণের সমষ্টি ধাতু এবং শব্দের পূর্বে বসে সাধিত শব্দের অর্থের পরিবর্তন, সম্প্রসারণ কিংবা সংকোচন ঘটায়, তাদেরকে বলা হয় উপসর্গ। যেমন—প্র, পরা, পরি, নির ইত্যাদি।
উপসর্গের শ্রেণীবিভাগ: বাংলা ভাষায় উপসর্গ তিন প্রকার। যথা—(ক) খাঁটি বাংলা উপসর্গ,
(খ) সংস্কৃত উপসর্গ ও
(গ) বিদেশি উপসর্গ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বাংলা ভাষায় উপসর্গ তিন প্রকার।
যথা -
১. বাংলা
২. তৎসম ও
৩. বিদেশী
৮০৪. 'নামাজ,রোজ' কোন দেশী শব্দ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖নামাজ, রোজা ফার্সি ভাষার শব্দ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বাংলা ভাষায় আগত ফারসি শব্দগুলো তিন ভাগে ভাগ করা যায়।
যেমন-
ধর্মসংক্রান্ত শব্দঃ খোদা, গুনাহ, দোজখ, নামাজ, পয়গম্বর, ফেরেশতা, বেহেশত, রোজা ইত্যাদি।
প্রশাসনিক ও সাংস্কৃতিক শব্দঃ কারখানা, চশমা, জবানবন্দি, তোশক, দফতর, দরবার, দোকান, দস্তখত, দৌলত, নালিশ, বাদশাহ, বান্দা, বেগম, মেথর, রসদ ইত্যাদি।
বিবিধ শব্দঃ আদমি, আমদানি, জানোয়ার, জিন্দা, নমুনা, বদমাশ, রফতানি, হাঙ্গামা ইত্যাদি।
৮০৫. কোন বানানটি অশুদ্ধ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯ 📖 Agrani bank Ltd - Officer - 03.05.13 📖 Sonali, Janata, Agrani & Rupali Bank Ltd. Senior Officer Recruitment 14.03.08
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
মনকষ্ট বানানটি ভুল, এর শুদ্ধরুপ 'মনঃকষ্ট'।দারিদ্র বানানটিও ভুল, এর শুদ্ধরুপ 'দারিদ্র্য' বা 'দরিদ্রতা', যা বিশেষ্য পদ। বিশেষ্য পদ দুইটির বিশেষণ হল- দরিদ্র। অর্থাৎ বানান হিসেবে দারিদ্র্য,দরিদ্রতা ও দরিদ্র সঠিক, কিন্তু দারিদ্র বানানটি ভুল।
ব্যাখ্যাকারী :
৮০৬. কোন বানানটি শুদ্ধ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
🔖দূরীভূত - [বিশেষণ পদ] বিতাড়িত, অপসৃত।,
৮০৭. 'শুদ্ধ' শব্দের সমার্থক শব্দ কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖শুদ্ধ - [বিশেষণ পদ] শোধন বা নির্মল করা হয়েছে এমন; নির্দোষ, শোধিত, পবিত্র, নির্ভুল; শুধু। [বিশেষণ পদ] (স্ত্রীলিঙ্গ) শুদ্ধা। [বিশেষ্য পদ] শুদ্ধতা, শুদ্ধত্ব।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖সঠিক উত্তরঃ কোনটিই নয়।
শুদ্ধ [শুদ্▫ধো] (বিশেষণ)
১) নির্দোষ।
২) নির্মল।
৩) পবিত্র।
৪) শোধিত।
৫) খাঁটি; ভেজালহীন।
৬) নির্ভুল।
৭) শুচি।
৮) অমিশ্রিত।
৯) বিশুদ্ধ।
১০) আঞ্চলিকতা বর্জিত।
৮০৮. 'মহেঞ্জোদারো ' কথার অর্থ কি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖বর্তমান পাকিস্তান রাষ্ট্রের অন্তর্গত সিন্ধু নদের উপকূলে মহেঞ্জোদারো ('মহেঞ্জোদারো' – কথার অর্থ 'মৃত স্তূপ') ও পশ্চিম পাঞ্জাবে হরপ্পার ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার হলে এশিয়া মহাদেশের প্রাগৈতিহাসিক যুগের এক মহান নিদর্শন পাওয়া যায়। মিশর বা সুমেরীয় সভ্যতার তুলনায় সিন্ধু সভ্যতা ছিল অধিক পরিব্যপ্ত।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖মহেঞ্জোদারো একটি সন্ধি শব্দ, যার অর্থ মৃতের পাহাড়; মৃতের ঢিবি বা স্তুপ।
হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারোর অবস্থানঃ
প্রত্নতত্ত্ববিদগণ বুঝতে পেরেছিলেন, সিন্ধু নদের তীরে প্রাচীন সভ্যতার অস্তিত্ব থাকতে পারে। তাই, অনেকদিন থেকেই এই অঞ্চল ঘিরে অনুসন্ধান চলছিল। প্রত্নতত্ত্ববিদগণ হরপ্পা অঞ্চলে খনন শুরু করেন ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে। হরপ্পার অবস্থান বর্তমান পাকিস্তানের পাঞ্জাবের সাহিওয়াল জেলায়। মহেঞ্জোদারো অঞ্চলে খনন কাজ শুরু হয় ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে। এরপর থেকে ক্রমাগত খনন কাজ চলতে থাকে এবং ধীরে ধীরে বেরোতে থাকে এই সভ্যতার বিস্ময়কর সব নিদর্শন। হরপ্পার চেয়ে ঐতিহাসিক নিদর্শন মহেঞ্জোদারোতে বেশি পাওয়া যায়। এ কারণে ঐতিহাসিকদের অনেকে সিন্ধু সভ্যতাকে মহেঞ্জোদারো সভ্যতা বলেছেন। আবার কারও বর্ণনায় হরপ্পার সংস্কৃতি গুরুত্ব পেয়েছে বেশি। তাঁদের নিকট সিন্ধু সভ্যতা হরপ্পা সংস্কৃতি নামে পরিচিত।
মহোঞ্জোদারো নগরীর আবিষ্কারঃ
মহেঞ্জোদারো সভ্যতা আবিষ্কারে প্রধান কৃতিত্ব একজন বাঙ্গালীর। তিনি ঐতিহাসিক রাখাল দাস বন্দোপাধ্যায়। তিনি মহেঞ্জোদারো সভ্যতা আবিষ্কার করেন ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে। সিন্ধি ভাষায় মহেঞ্জোদারো শব্দের অর্থ হল মৃতের সমাধি বা স্তূপ।
এরও দুই বছর আগে হরপ্পায় অনুরূপ সংস্কৃতি আবিষ্কৃত হয়। আবিষ্কার করেন ঐতিহাসিক দয়ারাম সাহনি।
এ সময় স্যার জন মার্শাল ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের মহাপরিচালক ছিলেন। তাঁর চেষ্টায় এই দুই অঞ্চলে ব্যাপক খননকার্য শুরু হয়। সিন্ধু সভ্যতা আবিষ্কারে তিনজন প্রত্নতাত্ত্বিক বিশেষ ভুমিকা রেখেছিলেন। তাঁরা হচ্ছেন কাশীনাথ দীক্ষিত, ননী গোপাল মজুমদার এবং স্যার মর্টিমার হুইলার।
৮০৯. 'গরু ঘাস খায়' - এখানে 'খায়' কোন কালের উদাহরণ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖'গরু ঘাস খায়'- এখানে 'খায়' সাধারণ বর্তমান কালের উদাহরণ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖যে ক্রিয়া বর্তমানে সাধারণভাবে ঘটে তার কালকে সাধারণ বর্তমানকাল বলে।
যেমন-
গরু ঘাস খায়।
সন্ধ্যায় সূর্য অস্ত যায়।
বাচ্চাটি রোজ রাতে কাঁদে।
আমি রোজ সকালে বেড়াতে যাই।
৮১০. 'যা আঘাত পায়নি' - এর বাক্য সংকোচন কী?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖`যা আঘাত পায়নি'- এর বাক্য সংকোচন –অনাহত
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖যা আঘাত পায়নি - অনাহত।
যা আহুত হয় নি - অনাহুত।
৮১১. 'ঝিনুক থেকে মুক্তা মেলে' এখানে 'ঝিনুক' কোন কারক?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖অপাদান কারক: যা থেকে কিছু বিচ্যুত, গৃহীত, জাত, বিরত, আরম্ভ, দূরীভূত ও রক্ষিত হয় এবং যা দেখে কেউ ভীত হয়, তাকেই অপাদান কারক বলে। অপাদান কারকে সাধারণত পঞ্চমী বিভক্তি হয়। যেমন- গাছ থেকে পাতা পড়ে। সুক্তি থেকে মুক্তো মেলে। ইত্যাদি।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖প্রশ্নোক্ত বাক্যে ঝিনুক থেকে মুক্তা উৎপন্ন হওয়ার কথা বলা হয়েছে। তাই তা অপাদান কারক।
যা থেকে কিছু বিচ্যুত, জাত, বিরত, আরম্ভ, উৎপন্ন, দূরীভূত ও রক্ষিত হয় এবং যা দেখে কেউ ভীত হয়, তাকেই অপাদান কারক বলে।
যেমনঃ
বাবাকে বড্ড ভয় পাই,
ট্রেন স্টেশন ছেড়েছে,
গাছ হতে ফলটি পড়ল।
৮১২. দন্ত্য বর্ণ কোনগুলি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖দন্ত্য বর্ণ: যেসব বর্ণ উচ্চারণের সময় জিহ্বার ডগা উপরের পাটির দাঁতের পেছনের অংশকে স্পর্শ করে বায়ুপথে বাঁধা সৃষ্টি করে তাদেরকে দন্ত্য বর্ণ বলে। ত, থ, দ, ধ এই ৪টি দন্ত্য বর্ণ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖উচ্চারণ স্থান অনুযায়ী দন্ত্য বর্ণ ৭ টি।
যথা- ত, থ, দ, ধ, ন, ল, স।
৮১৩. ধ্বনি উচ্চারণে মানব শরীরের যেসব প্রত্যঙ্গ জড়িত সেগুলোকে একত্রে কী বলে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖ধ্বনির উচ্চারণে মানবশরীরের যেসব প্রত্যঙ্গ জড়িত সেগুলোকে একত্রে বাগযন্ত্র(speech organ/vocal organ) বা বাকপ্রত্যঙ্গ বলে। আমাদের শরীরের উপরের প্রত্যঙ্গগুলো বাগযন্ত্র হিসেবে পরিচিত। এগুলোর প্রধান কাজ দুটি-(ক) শ্বাসকার্য পরিচালনা করা এবং (খ) খাদ্য গ্রহণ করা।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖মানবদেহের যেসব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ধ্বনি তৈরিতে সহায়তা করে তাদের বাক প্রত্যঙ্গ বলা হয়।
বাক প্রত্যঙ্গগুলোকে একসঙ্গে বলা হয় বাগযন্ত্র।
বাগযন্ত্রের মধ্যে আছে ফুসফুস, স্বরতন্ত্রী, গলনালি, জিভ, তালু, মাড়ি, দাঁত, ঠোঁট, নাক ইত্যাদি।
৮১৪. কোনটি বহুব্রীহি সমাসে নিষ্পন্ন ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
৩
ব্যাখ্যাঃ
🔖ব্যতিহার বহুব্রীহি
ক্রিয়ার পারস্পরিক অর্থে ব্যতিহার বহুব্রীহি হয়। এ সমাসে পূর্বপদে 'আ' এবং পরপদে 'ই' যুক্ত হয়। যেমন: হাতে হাতে যে যুদ্ধ= হাতাহাতি, কানে কানে যে কথা= কানাকানি। এরূপ- চুলাচুলি, কাড়াকাড়ি, গালাগালি, দেখাদেখি, কোলাকুলি, লাঠালাঠি, হাসাহাসি, গুঁতাগুঁতি, ঘুষাঘুষি ইত্যাদি।
৮১৫. বক্তার প্রত্যক্ষ উক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য কোন বিরাম চিহ্ন বসে ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
🔖উদ্ধরণ চিহ্ন (“ ”)-এর প্রয়োগ :
কারও কোনো বক্তব্য অবিকল উদ্ধৃত করার জন্য উদ্ধরণ চিহ্ন প্রয়োজন হয়। যেমন- প্রধানমন্ত্রী জনগণের উদ্দেশে বললেন, “ভাই সব, আল্লাহর মেহেরবানিতে আপনাদের সব দুঃখ-দুর্দশা আমরা একত্রে সমাধান করব।”
৮১৬. কোন বানানটি শুদ্ধ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -বসন্ত- ১৩.০৮.১০ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -করতোয়া- ২৪.০২.১২
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
৩
ব্যাখ্যাঃ
🔖মরীচিকা হচ্ছে আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের ফল। আলোকরশ্মি যখন ঘন মাধ্যম থেকে হালকা মাধ্যমে প্রবেশ করে তখন প্রতিসরণের দরুণ অভিলম্ব থেকে দূরে সরে যায়। আর আলো যখন ক্রান্তি কোণের চেয়ে বড় মানের কোণে বিভেদতলে আপতিত হয় তখন প্রতিসরিত না হয়ে প্রথম মাধ্যমেই ফিরে আসে। আর এভাবেই ঘটে পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন।
৮১৭. 'প্রচলিত' শব্দটি কোন প্রত্যয় যোগে গঠিত?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯ 📖 বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ~ বিভাগ ~ অধিদপ্তর ~ প্রশাসনিক কর্মকর্তা ~ ০৫.০৩.১৮
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖প্রচলিত, প্র+রচল্+ইত, কৃৎ প্রত্যয়
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖'প্রচলিত' শব্দটি 'ইত' প্রত্যয় যোগে গঠিত শব্দ।
'ইত' প্রত্যয় যোগে গঠিত আরো কিছু শব্দঃ
কুসুম+ইত = কুসুমিত
তরঙ্গ+ইত = তরঙ্গিত
কণ্টক+ইত = কণ্টকিত।
৮১৮. 'মেধাবী ছেলেকে তামার বিষে ধরায় সে এবার পরীক্ষায় ফেল করেছে' -এ বাক্যে 'তামার বিষ' কোন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
🔖তামার বিষ- অর্থের কু-প্রভাব.
৮১৯. কোন বানানটি শুদ্ধ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖ঝঞ্ঝাট - [বিশেষ্য পদ] ঝামেলা, অশান্তি, ঝক্কি।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖ঝঞ্ঝাট, ঝঞ্ঝট (বিশেষ্য:
১) অশান্তি; হাঙ্গামা; ঝামেলা; ঝক্কি (কাজের ঝঞ্ঝাট; ঝঞ্ঝাট মেটা)।
২) কষ্ট (ঝঞ্ঝাট পোহানো)।
৮২০. 'লোকটি যদিও ধনী, তবুও সে কৃপন' কোন ধরনের বাক্য?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯ 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2011➯খ ইউনিট 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2018➯ইউনিট : D
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
🔖জটিল বা মিশ্র বাক্য : যে বাক্যে একটি প্রধান খণ্ডবাক্য ও তাকে আশ্রয় বা অবলম্বন করে একাধিক খণ্ডবাক্য থাকে, তাকে জটিল বা মিশ্র বাক্য বলে।
জটিল বা মিশ্র বাক্য চেনার সহজ উপায় হল অর্থ প্রকাশের জন্য পরস্পরের উপর নির্ভর করে, আবার যদি- তবু, অথচ- তথাপি- এ রকম কিছু শব্দ থাকে তখন তাকে জটিল বাক্য বলা যেতে পারে।
উদাহরণঃ
১। যত পড়বে তত শিখবে ।
২। যদি সে আসে তবে আমি যাব।
৮২১. কোনটি শুদ্ধ বাক্য?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖চন্দ্রগ্রহণ ও সূর্যগ্রহণ দুটি বিস্ময়কর ঘটনা- বাক্যটি শুদ্ধ ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖‘চন্দ্রগ্রহণ’ এবং ‘সূর্যগ্রহণ’ দুইটি আলাদা শব্দ।
বাক্যে শব্দদ্বয় স্বতন্ত্রভাবে বসবে।
তাই সঠিক উত্তর অপশন (গ)।
৮২২. কোনটি সঠিক বানান ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
২
ব্যাখ্যাঃ
🔖স্বতঃস্ফূর্ত - [বিশেষণ পদ] অন্য নিরপেক্ষ ভাবে প্রকাশিত, স্বপ্রবৃত্ত, আত্মপ্রকাশিত।
৮২৩. তার হাতের লেখা খুব ভাল -এখানে 'খুব' কী পদ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖বিশেষণের বিশেষণ: যে পদ নাম বিশেষণ অথবা ক্রিয়া বিশেষণকে বিশেষিত করে, তাকে বিশেষণের বিশেষণ বলে। যেমনঃ সামান্য একটু দুধ দাও। রকেট অতি দ্রুত চলে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖যে পদ বাক্যের অন্য কোন পদের দোষ, গুণ, অবস্থা, সংখ্যা, পরিমাণ ইত্যাদি প্রকাশ করে, তাকে বিশেষণ পদ বলে।
অর্থাৎ, বিশেষণ পদ অন্য কোন পদ সম্পর্কে তথ্য বা ধারণা প্রকাশ করে, বা অন্য পদকে বিশেষায়িত করে।
বিশেষণ অনেক ধরণের হতে পারে; বিশেষণের বিশেষণ নামেও এক ধরণের বিশেষণ আছে।
কোন বিশেষণ যদি অন্য একটি বিশেষণকেও বিশেষায়িত করে, তাকে বিশেষণের বিশেষণ বলে।
প্রশ্নোক্ত বাক্যের 'খুব' শব্দটি 'ভাল' শব্দকে বিশেষিত করেছে।
তাই 'খুব' শব্দটি বিশেষণের বিশেষণ।
৮২৪. 'বাড়ি গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি' - এ বাক্যে 'গিয়ে' কোন ক্রিয়া?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯ 📖 প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖অসমাপিকা ক্রিয়া: যে ক্রিয়াপদ দ্বারা বাক্যের ভাবের পরিসমাপ্তি ঘটে না, তাকে অসমাপিকা ক্রিয়া বলে। যেমন প্রভাতে সূর্য উঠলে...। হাসান ভাত খেয়ে...। এখানে বাক্য দুটিতে সম্পূর্ণ মনের ভাব প্রকাশিত হয়নি। বাক্যগুলো সম্পূর্ণ হতে আরও শব্দের প্রয়োজন। যেমন: প্রভাতে সূর্য উঠলে অন্ধকার দূর হবে। হাসান ভাত খেয়ে ঘুমাতে যাবে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖যে ক্রিয়া দ্বারা বাক্যের পরিসমাপ্তি ঘটে না, বক্তার কথা অসম্পূর্ণ থেকে যায়, তাকে অসমাপিকা ক্রিয়া বলে৷
যেমন - বাড়ি গিয়ে….. এই বাক্যে 'গিয়ে' দ্বারা কথা শেষ হয় নি৷ তাই এখানে 'গিয়ে' অসমাপিকা ক্রিয়া।
তবে, ‘বাড়ি গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।’ এই বাক্যে 'যায়নি' সমাপিকা ক্রিয়া।
৮২৫. কোনটি 'মেঘ' শব্দের প্রতিশব্দ নয়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖অন্তরীক্ষ - [বিশেষ্য পদ] আকাশ। [অর্ন্ত+ঈক্ষ্+অ]
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖'আকাশ' শব্দের প্রতিশব্দ- অম্বর, গগন, নভঃ, ব্যোম, নীলিমা, অন্তরীক্ষ ইত্যাদি।
‘মেঘ’ শব্দের প্রতিশব্দ- বারিদ, জীমূত, জলধর, জলদ, পয়োধর, তোয়দ, পয়োদ, নীরদ ইত্যাদি।
৮২৬. কোন শব্দটিতে খাঁটি বাংলা উপসর্গ ব্যবহৃত হয়েছে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯ 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ১৬.১০.১৫ 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৭.০৬.১৫
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
🔖খাঁটি বাংলা উপসর্গ মনে রাখার সহজ উপায়: খাঁটি বাংলা উপসর্গ(২১টি) মনে রেখো, বাঙালিরা বেশি খায় তাই ২১ টি। কেননা তত্সম উপসর্গ ২০টি। বাংলা উপসর্গ সবসময় খাঁটি বাংলা শব্দ বা তদ্ভব শব্দের পূর্বে ব্যবহৃত হয়। "আড়"চোখে "রাম", "অজ"মূর্খ "অঘা"রাম| "হা"ভাতে "পাতি"হাঁস, "নি"খুত "ইতি"হাস| "কদা"কারে "ঊ"নিশ, "স"ঠিকে "বি"শ| "অনা"চারে "কু"নজর, "অ"পয়াকে "সু"নজর| "আব"ছায়ায় "আন"চা "ভর"পেটে "সা"বধান| "আ"গাছাকে "বি"নাশ, "কু"শাসনে "স"র্বনাশ|. বাংলা উপসর্গঃ অ , অজ, অঘা, রাম, সা, হা, অনা, স, কু, উন, আ, কদ, আড়, আন, আব, ভর, ইতি, আ, সু, নি, বি =২১ টি
৮২৭. 'মৃন্ময়' শব্দের সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
🔖গুরুত্বপূর্ণ কিছু সন্ধি বিচ্ছেদ -
পুনর্জন্ম = পুনঃ + জন্ম মৃম্ময় = মৃৎ + ময় সন্নিহিত = সম্ + নিহিত বহির্গত = বহিঃ + গত মন্বন্তর = মনু + অন্তর পর্যবেক্ষন = পরি + অবেক্ষন দুরন্ত = দুরঃ + অন্ত আদ্যোপান্ত = আদি + উপান্ত নিরাকার = নিঃ + আকার প্রাতরুথান = প্রাতঃ + উথান ষষ্ঠ = ষষ্ + থ মাত্রাধিক্য = মাত্রা + আধিক্য পুনরপি = পুনঃ + অপি উজ্জ্বল = উৎ + জ্বল
৮২৮. "আবার আসিব ফিরে" কবিতাটি জীবনানন্দ দাশ এর কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
🔖রূপসী বাংলা বাংলা ভাষার অন্যতম প্রধান কবি জীবনানন্দ দাশের সর্বাধিক জনপ্রিয় কাব্যগ্রন্থ। কবি জীবদ্দশায় এ গ্রন্থটি বা এর অন্তর্ভুক্ত কোন কবিতা প্রকাশ করেন নি। ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে দুঘর্টনায় অকালমৃত্যুর পর এর পাণ্ডুলিপির খাতাটি আবিষ্কৃত হয়। কবি এ গ্রন্থটির প্রচ্ছদনাম নির্বাচন করেছিলেন বাংলার ত্রস্ত নীলিমা। জীবনানন্দ কেন স্বীয় জীবদ্দশায় এ কাব্যগন্থটি প্রকাশ করেননি তা অদ্যাবধি এক পরম বিস্ময় হয়ে আছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে এর কবিতাগুলি বাঙালিদের বিশেষভাবে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিল।
৮২৯. কোনটি অর্থ-তৎসম শব্দ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖গিন্নি [ ginni ] বি. 1 গৃহিণী, গৃহকর্ত্রী; 2 পত্নী। [সং. গৃহিণী]।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বাংলা ভাষার শব্দ ভান্ডারে ৫ প্রকারের শব্দ সমাবেশ হয়েছে।
যথা- তৎসম, অর্ধ-তৎসম তদ্ভব, দেশী ও বিদেশী।
যে সকল শব্দ সংস্কৃত ভাষা থেকে সোজাসুজি বাংলায় এসেছে, সেসব শব্দকে তৎসম শব্দ বলা হয়।
যেমন-চন্দ্র, সূর্য, নক্ষত্র, ভবন, ধর্ম, পাত্র, মনুষ্য ইত্যাদি।
অন্যদিকে গিন্নী শব্দটি অর্ধ-তৎসম শব্দের অন্তর্ভূক্ত।
কতগুলো অর্ধ-তৎসম শব্দ হচ্ছে জ্যোছনা, ছেরাদ্দ, বোষ্টম, কুচ্ছিত ইত্যাদি।
৮৩০. সমজাতীয় একাধিক পদ পরপর থাকলে কোন বিরামচিহ্ন বসে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
🔖সমজাতীয় একাধিক পদ পর পর থাকলে কমা বসে। যেমনঃ- মা,বাবা,ভাই,বোন মিলে আমাদের পরিবার।
৮৩১. 'সংলাপ' শব্দের সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
🔖ম + অন্তঃস্থ বর্ণ (য, র, ল, ব)/ উষ্মবর্ণ (শ, ষ, স, হ) = ম বদলে ং হয়।
৮৩২. আকাশে চাঁদ উঠেছে এখানে 'আকাশে ' কোন কারকে কোন বিভক্তি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
ব্যাখ্যাঃ
🔖মূলতঃ ক্রিয়া সম্পাদনের কাল/সময়কে অধিকরণ কারক বলে। কালাধিকরণ, স্থানাধিকরণ, বিষয়াধিকরণ বুঝালেও অধিকরণ কারক হয়।
এছাড়া কোথায়/কখন দ্বারা প্রশ্ন করলে যে উত্তর হয়, তাই অধিকরণ কারক।
এ, য়, তে, এতে = এইগুলো স্পপ্তমী বিভক্তি
৮৩৩. 'তাঁর টাকা আছে কিন্তু তিনি দান করনে না' কোন ধরনের বাক্য?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯ 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2011➯খ ইউনিট 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2018➯ইউনিট : D
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
🔖যৌগিক বাক্য চিনার উপায় হলো- দুটি খন্ড বাক্যের মাঝে এবং, কিন্তু বা অন্য কোন অব্যয় থাকবে।
৮৩৪. 'কাজলকালো' - এর সঠিক ব্যাসবাক্য কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖কাজলকালো একটি উপমান কর্মধারয় সমাসের উদাহরণ। এখানে বিশেষণ পদ উপস্থিত।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖সাধারণ ধর্মবাচক পদের সঙ্গে উপমান পদের যে সমাস হয়, তাকে উপমান কর্মধারয় সমাস বলে।
অর্থাৎ, উপমান ও উপমেয় কর্মধারয়ের মধ্যে যেটিতে সাধারণ ধর্মবাচক পদ থাকবে, সেটিই উপমান কর্মধারয়।
যেমন, কাজলের ন্যায় কালো = কাজলকালো।
এখানে 'কাজল' এর সাথে কোন ব্যক্তি বা বস্তুকে তুলনা করা হচ্ছে। অর্থাৎ এটি উপমান।
আর সাধারণ ধর্ম 'কালো'। উপমেয় এখানে নেই।
সুতরাং এটি উপমান কর্মধারয় সমাস।
৮৩৫. জিভের সামনের অংশের সাহায্যে উচ্চারিত স্বরধ্বনি গুলোকে কী বলে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
🔖জিভের সামনের অংশের সাহায্যে উচ্চারিত স্বরধ্বনিগুলো হলো সম্মুখ স্বরধ্বনি। ই, এ, অ্যা স্বর এজাতীয়।
৮৩৬. 'বিনা যত্নে উৎপন্ন হয় যা' - এর বাক্য সংকোচন কী?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖বিনা যত্নে উৎপন্ন হয় যা - অযত্নসম্ভূত।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖যা বিনা আয়াসে লাভ করা যায়- অনায়াসলভ্য
যা বিনা যত্নে উৎপন্ন হয়েছে- অযত্নসম্ভূত
যা বিনা যত্নে লাভ করা হয়েছে- অযত্নলব্ধ।
৮৩৭. তালব্য বর্ণ কোনগুলি ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖জিহ্বার তালু থেকে যে বর্ণ উচ্চারিত হয় তাকে তালব্য বর্ণ বলে। এগুলো হলো চ বর্গের বর্ণ।
ই, ঈ এই দুটি স্বরবর্ণ তালব্য বর্ণ
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বাংলা বর্ণমালায়
ক, খ, গ, ঘ, ঙ - কণ্ঠ্য বা জিহবামূলীয় বর্ণ,
চ, ছ, জ, ঝ, ঞ, শ, য, য় - তালব্য বর্ণ,
ট, ঠ, ড, ঢ, ণ, ষ, র, ড়, ঢ় - মূর্ধন্য বা পশ্চাৎ দন্তমূলীয় বর্ণ,
ত, থ, দ, ধ, ন - দন্ত্য বর্ণ,
প, ফ, ব, ভ, ম - ওষ্ঠ বর্ণ।
৮৩৮. 'গরিবের জন্য বড়লোকের দরজাটা মাছের মায়ের পুত্রশোকের মতোই'- এ বাক্যে 'মাছের মায়ের পুত্রশোক' কোন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
🔖মাছের মায়ের পুত্রশোক অর্থ হলো- মিথ্যা শোক।
৮৩৯. কোন বানানটি শুদ্ধ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
ব্যাখ্যাঃ
🔖কনিষ্ঠ - [বিশেষণ পদ] সকলের ছোট (কনিষ্ঠ সন্তান); অনুজ, পরে জাত (কনিষ্ঠ সহোদর)। [যুবন্ বা অল্প+ইষ্ঠ]।
৮৪০. 'মা খোকাকে চাঁদ দেখাচ্ছে' এ বাক্যে দেখাচ্ছে কোন ক্রিয়া?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯ 📖 প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
🔖দুইজন কর্তা যখন একজন অন্যজনকে কাজ করায় তখন তাকে প্রযোজক ক্রিয়া বলে।
৮৪১. 'ঢেউ' এর প্রতিশব্দ কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖বারিধর, বারিধি, বারিনিধি - [বিশেষ্য পদ] সমুদ্র।
তটিনী- নদী।
ঢেউ- বীচি, ঊর্মি।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖ঢেউ শব্দের সমার্থক শব্দ - ঊর্মি, বীচি, কল্লোল, হিল্লোল, জোয়ার, মহাতরঙ্গ, মহোর্মি।
৮৪২. "একেই কি বলে সভ্যতা' গ্রন্থটির রচয়িতা কে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖একেই কি বলে সভ্যতা মাইকেল মধুসূদন এর একটি প্রহসন। এছাড়া তিনি রচনা করেন প্রথম বাংলা মহাকাব্য মেঘনাদবধ কাব্য। এছাড়া বাংলা সনেটের জনক এবং প্রথম সার্থক নাটক রচয়িতা।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖দেশীয় নব্যশিক্ষিতদের ইংরেজদের অনুকরণ ও সুরাপানে আসক্তের প্রতি ব্যঙ্গ করে মাইকেল মধুসূদন দত্ত 'একেই কি বলে সভ্যতা' প্রহসন রচনা করেন।
তার অপর প্রহসন 'বুড়ো সালিকের ঘাড়ে রোঁ' নিরীহ প্রজাদের দ্বারা অত্যাচারী জমিদারের উচিত শিক্ষা প্রদান বিষয়ে রচিত।
৮৪৩. কোনটি খাঁটি বাংলা উপসর্গ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯ 📖 বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন নিয়োগ-২০১৮ ~ অডিটর, উচ্চমান সহকারী ~ ০৯.০৩.১৮
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
🔖খাঁটি বাংলা উপসর্গ মোট ২১টি। যথা—অ, অনা, অজ, অঘা, আ, আড়, আন, আর, ইতি, ঊন, কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা।
৮৪৪. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত বছর বয়সে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম ১৮৬১ সালের ৭ মে। নোবেল পুরস্কার লাভ করেন ১৯১৩ সালে। অতএব তখন তার বয়স ১৯১৩-১৮৬১= ৫২ বছর।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মঃ ১৮৬১ সাল।
নোবেল পুরষ্কার পেয়েছেনঃ ১৯১৩ সাল।
অর্থাৎ তিনি ৫২ বছর বয়সে নোবেল পুরষ্কার পেয়েছিলেন।
৮৪৫. কোন শব্দটিতে বিদেশি প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়েছে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
৩
ব্যাখ্যাঃ
🔖বাজ (দক্ষ অর্থে- ফারসি)- কলমবাজ, ধড়িবাজ, ধোঁকাবাজ, গলাবাজ+ই=গলাবাজি (বিশেষ্য)
৮৪৬. নদীটি উত্তরমুখে প্রবাহিত'- এখানে মুখ কোন অর্থ প্রকাশ করে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
🔖এখানে উত্তরমুখে কথাটি দ্বারা উত্তর দিকটাকেই নির্দেশ করে। আর তাই এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিক হবে।
৮৪৭. কোনটি শুদ্ধ বাক্য ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
🔖ক ও গ-তে গুরুচণ্ডালী দোষ বয়েছে। ঘ-তে ’সৌজন্যতায়’ না হয়ে ’সৌজন্যে’ হবে।
৮৪৮. কোনটি 'তদ্ভব' শব্দ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖তদ্ভব শব্দগুলো সংস্কৃত থেকে প্রাকৃত হয়ে বাংলায় এসেছে। যেমনঃ সংস্কৃত চন্দ্র প্রাকৃত চন্দ তদ্ভব চাঁদ
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖যেসব শব্দের মূল সংস্কৃত ভাষায় পাওয়া যায়, কিন্তু ভাষার স্বাভাবিক বিবর্তন ধারায় প্রাকৃতের মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়ে আধুনিক বাংলা ভাষায় স্থান করে নিয়েছে, সেসব শব্দকে বলা হয় তদ্ভব শব্দ।
তদ্ভব একটি পারিভাষিক শব্দ। এর অর্থ, 'তৎ' (তার) থেকে 'ভব' (উৎপন্ন)।
যেমন - সংস্কৃত - হস্ত, প্রাকৃত - হথ, তদ্ভব - হাত। সংস্কৃত - চর্মকার, প্রাকৃত - চম্মআর, তদ্ভব - চামার ইত্যাদি।
একইভাবে সংস্কৃত 'চন্দ্র' শব্দ থেকে 'চাঁদ' শব্দটি উৎপন্ন হয়েছে।
এই তদ্ভব শব্দগুলোকে খাটি বাংলা শব্দও বলা হয়।
৮৪৯. কোন বানানটি শুদ্ধ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
🔖'রীতিনীতি' অর্থ প্রথা বা রেওয়াজ।
৮৫০. কোনটি সঠিক বানান?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
🔖বাংলা একাডেমী কর্তৃক স্বীকৃত বানান সৌজন্য
৮৫১. 'জন্ডিস' একটি ----
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -গোলাপ- ০৯.১২.১১ 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2004➯গ ইউনিট 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2004➯গ ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖সেলিম আল দীনের প্রথমদিককার নাটকের মধ্যে সর্প বিষয়ক গল্প, জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝জন্ডিস কোন রোগ নয়, এটি রোগের লক্ষ্মণমাত্র।
❐ রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গেলে জন্ডিস দেখা দেয়।
▣ যেহেতু অপশনে সাহিত্য সংক্রান্ত বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে, ধারনা করা যায় যে, এটি ’জন্ডিস’ এর পরিবর্তে ''জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন'' বুঝানো হয়েছে।
▣ 'জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন' সেলিম আল দীন রচিত একটি নাটক।
সেলিম আল দীন বাংলা সাহিত্যের প্রতিথযশা নাট্যব্যক্তিত্ব।
❐ সেলিম আল দীন রচিত নাটকগুলো হলো:
❐ সর্প বিষয়ক গল্প ও অন্যান্য,
❐ বাসন,
❐ কেরামতমঙ্গল,
❐ কীর্তন খোলা,
❐ হাতহদাই,
❐ শকুন্তলা,
❐ মুনতাসীর ফ্যান্টাসি,
❐ জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন,
❐ চাকা, যৈবতী কন্যার মন,
❐ হরগজ, নিমজ্জন,
❐ একটি মারমা রূপকথা ইত্যাদি।
৮৫২. 'হাজার বছর ধরে' রচনাটি কার?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -গোলাপ- ০৯.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖হাজার বছর ধরে প্রখ্যাত বাংলাদেশী ঔপন্যাসিক ও চলচ্চিত্রকার জহির রায়হান রচিত একটি কালজয়ী সামাজিক উপন্যাস। ১৯৬৪ সালে এ উপন্যাসটির জন্য তিনি আদমজী পুরষ্কারে সম্মানিত হন। ২০০৫ সালে জহির রায়হানের প্রথমা স্ত্রী কোহিনুর আক্তার সুচন্দা হাজার বছর ধরে উপন্যাস অবলম্বনে একই নামে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝জহির রায়হানের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস - 'হাজার বছর ধরে'।
❐ উপন্যাসটি প্রকাশিত হয় ১৯৬৪ সালে।
❐ আবহমান বাংলার জীবন ও জনপদ ছিল উপন্যাসের মূল প্রতিপাদ্য।
❐ এই উপন্যাসের জন্য তিনি আদমজি পুরস্কার লাভ করেন।
❐ তার প্রথম উপন্যাস - শেষ বিকালের মেয়ে (১৯৬০)।
তার রচিত অন্যান্য উপন্যাস -
❐ তৃষ্ণা,
❐ কয়েকটি মৃত্যু,
❐ বরফ গলা নদী,
❐ আর কত দিন,
❐ আরেক ফাল্গুন ইত্যাদি।
৮৫৩. 'ছায়া হরিণ' কাব্যগ্রন্থটির রচয়িতা কে?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -গোলাপ- ০৯.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖আহসান হাবীব একজন খ্যাতিমান বাংলাদেশি কবি ও সাহিত্যিক। তার রচিত কাব্যগ্রন্থ: রাত্রিশেষ (১৯৪৭), ছায়াহরিণ (১৯৬২), সারা দুপুর (১৯৬৪), আশায় বসতি (১৯৭৪), মেঘ বলে চৈত্রে যাবো (১৯৭৬), দু'হাতে দুই আদিম পাথর (১৯৮০), প্রেমের কবিতা (১৯৮১), বিদীর্ণ দর্পণে মুখ (১৯৮৫)।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖আহসান হাবীব রচিত কাব্যগ্রন্থ- রাত্রিশেষ, ছায়াহরিণ, সারা দুপুর, আশায় বসতি, মেঘ বলে চৈত্রে যাবো, দুই হাতে দুই আদিম পাথর, প্রেমের কবিতা, বিদীর্ণ দর্পণে মুখ ইত্যাদি।
৮৫৪. পাশাপাশি দুটি ধ্বনি বা বর্ণের মিলনকে কি বলে?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -গোলাপ- ০৯.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖উপসর্গ: সংস্কৃতে কতগুলো অব্যয় শব্দ আছে, এগুলো ধাতুর পূর্বে বসে এবং ধাতুর মূল ক্রিয়ার গতি নির্দেশ করে এর অর্থের প্রসারণ, সঙ্কোচন বা অন্য পরিবর্তন আনয়ন করে দেয়। এরূপ অব্যয় শব্দকে উপসর্গ বলে।
অনুসর্গ: অনুসর্গ বা কর্মপ্রবচনীয় বাংলা ব্যাকরণের একটি পারিভাষিক শব্দ। বাংলা ভাষায় যে অব্যয় শব্দগুলো কখনো স্বাধীন পদরূপে, আবার কখনো শব্দ বিভক্তির ন্যায় বাক্যে ব্যবহৃত হয়ে বাক্যের অর্থ প্রকাশে সাহায্য করে, সেগুলোকে অনুসর্গ বা কর্মপ্রবচনীয় বলা হয়।
সমাস: বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত অর্থসম্বন্ধযুক্ত একাধিক পদের একটি পদে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়াকে সমাস বলে। বাংলা ভাষায় যে সকল প্রক্রিয়ায় নতুন পদ বা শব্দ তৈরি হয় সমাস তার একটি। সমাসের রীতি সংস্কৃত থেকে বাংলায় এসেছে।
সন্ধি: সন্ধি বাংলা ব্যাকরণে শব্দগঠনের একটি মাধ্যম। এর অর্থ মিলন। অর্থাত্ দুটি শব্দ মিলিয়ে একটি শব্দে পরিণত হওয়াকে বা পরস্পর সন্নিহিত দু' বর্ণের মিলনকে সন্ধি বলে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝সন্ধি:
❐ পাশাপাশি ধ্বনির মিলনকে সন্ধি বলে।
❐ অন্য কথায়, সন্নিহিত দুটি ধ্বনির মিলনকে সন্ধি বলে। সন্ধির প্রধান উদ্দেশ্য স্বাভাবিক উচ্চারণের সহজপ্রবণতা এবং ধ্বনিগত মাধুর্য সম্পাদন৷ সন্ধি শব্দ গঠনেরও একটি উপায়।
* তবে সন্ধির প্রধান সুবিধা হলো উচ্চারণের সুবিধা।
❐ পৃথিবীর বহু ভাষায় পাশাপাশি শব্দের একাধিক ধ্বনি নিয়মিতভাবে সন্ধিবদ্ধ হলেও বাংলা ভাষায় তা বিরল।
❐ যেমন আমি এখন চা আনতে যাই বাংলা ভাষার এই বাক্যটিকে সন্ধির সূত্র মনুযায়ী ‘আম্যেখন চানতে যাই বলা যায় না।
❐ তবে বাংলা ভাষায় উপসর্গ, প্রত্যয় ও সমাস প্রক্রিয়ায় শব্দগঠনের ক্ষেত্রে সন্ধির সূত্র কাজে লাগে।
৮৫৫. নিচের কোন বানানটি শুদ্ধ?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -গোলাপ- ০৯.১২.১১ 📖 ১৪তম বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন পরীক্ষা-(স্কুল/সমপর্যায়)-২৫.০৮.১৭ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -ইছামতি- ০৮.০১.১০
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖সঠিক বানান- বাল্মীকি। বাল্মীকি শব্দের অর্থ- রামায়ণকার, ভারতের আদি কবি, মহাতপা ঋষি। প্রদত্ত শব্দটি একটি বিশেষ্য পদ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝শুদ্ধ বানান - বাল্মীকি
বাল্মীকি (বিশেষ্য)
❐ সংস্কৃত শব্দ
❐ প্রকৃতি প্রত্যয় = বাল্মীক+ই
অর্থ: রামায়ণের প্রণেতা কবি ও মুনি, আদিকবি।
৮৫৬. কোনটি বহুব্রীহি সমাস?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -গোলাপ- ০৯.১২.১১ 📖 কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা-১২.১২.১৪ 📖 Sonali Bank Ltd - Senior Officer 05.11.10
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖দশ আনন যার
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖যে সমাসে পূর্ব বা পর কোন পদের অর্থ না বুঝিয়ে তৃতীয় কোন অর্থ প্রকাশ করে তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে।
যেমনঃ
❏- দশ আনন যার = দশানন,
❏- চতুষ্পদ = চার পা বিশিষ্ট প্রাণী,
❏- পদ্মনাভ = পদ্ম নাভিতে যার,
❏- নীলাম্বর = নীল অম্বর যার।
৮৫৭. নিচের কোন বানানটি শুদ্ধ?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -গোলাপ- ০৯.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖সঠিক বানান- শারীরিক। শারীরিক শব্দের অর্থ- শরীর বিষয়ক, দেহজ, বাস্তব, কায়িক, প্রাকৃতিক, প্রাকৃত ইত্যাদি। প্রদত্ত শব্দটি একটি বিশেষণ পদ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖ঈই - কার যোগে গঠিত শব্দঃ শারীরিক, মরীচিকা।
ইঈ - কার যোগে গঠিত শব্দঃ গৃহিনী, মালিনী, বাঘিনী।
বিশেষ ব্যক্তিত্বের নামের বানানঃ পাণিনি, কৃত্তিবাস, দধীচি, বাল্মীকি।
৮৫৮. নিচের কোনটি নিত্য সমাস?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -গোলাপ- ০৯.১২.১১ 📖 ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়➟2016➯C ইউনিট 📖 ১১তম বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন পরীক্ষা-(স্কুল/সমপর্যায়)-১২.১২.১৪
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖যে সমাসে সমস্যমান পদ দ্বারা সমাস-বাক্য হয় না, অন্য পদের দ্বারা সমস্ত পদের অর্থ প্রকাশ করতে হয়, তাকে নিত্য সমাস বলে। তদর্থবাচক ব্যাখ্যামূলক শব্দ বা বাক্যাংশ যোগে এগুলোর অর্থ বিশদ করতে হয়। যেমন: কেবল তা = তন্মাত্র, অন্য গ্রাম = গ্রামান্তর, কেবল দর্শন = দর্শনমাত্র, অন্য গৃহ = গৃহান্তর, (বিষাক্ত) কাল (যম) তুল্য (কাল বর্ণের নয়) সাপ = কালসাপ, তুমি আমি ও সে = আমরা, দুই এবং নব্বই = বিরানব্বই, অন্য দেশ=দেশান্তর ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝নিত্য সমাস:
যে সমাসে সমস্যমান পদগুলো নিত্য সমাসবদ্ধ থাকে, ব্যাসবাক্যের দরকার হয় না, তাকে নিত্য সমাস বলে। শুধু সমস্তপদের ব্যাখ্যা দিতে হয়।
যেমন: অন্য গ্রাম = গ্রামান্তর, তুমি আমি ও সে = আমরা, দুই এবং নব্বই = বিরানব্বই।
❐ তেমনিভাবে, কালসাপ - নিত্য সমাসের উদাহরণ।
❐ সমস্তপদের শেষে ‘অন্তর’ থাকলে ব্যাসবাক্যে ‘অন্য’ হবে। যেমন: দেশান্তর = অন্য দেশ।
❐ সমস্তপদের শেষে ‘মাত্র/খানা’ থাকলে ‘কেবল’ হবে। যেমন: শয়নমাত্র = কেবল শয়ন।
❐ অনুতাপ, প্রবচন, প্রগতি - ইত্যাদি প্রাদি সমাসের উদাহরণ।
৮৫৯. 'চপল' এর বিপরীতার্থক শব্দ ---
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -গোলাপ- ০৯.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖রাশভারী
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝চপল শব্দের অর্থ চঞ্চল, অস্থির।
চপল - এর বিপরীতার্থক শব্দ গম্ভীর।
রাশভারী (বিশেষণ) এর অর্থ = গম্ভীর প্রকৃতির।
৮৬০. 'দশে মিলে করি কাজ' বাক্যে 'দশে' কোন কারকে কোন বিভক্তি?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -গোলাপ- ০৯.১২.১১ 📖 Sonali Bank Ltd - Senior Officer - 29.03.13 📖 ডাক জীবন বীমা➺কম্পিউটার অপারেটর) ☞09.04.22
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖দশে মিলে করি কাজ- বাক্যে দশে শব্দটি কর্তৃকারকে ৭মী। কারন,
বাক্যস্থিত যে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদ ক্রিয়া সম্পাদন করে তা ক্রিয়ার কর্তা বা কর্তৃকারক। ক্রিয়ার সঙ্গে "কে" বা "কারা" যোগ করে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, তা- ই। কর্তৃকারক। যেমন: প্রদত্ত বাক্যে কে বা কারা দিয়ে প্রশ্ন করলে "দশে " উত্তর পাওয়া যায়। আর "এ" হচ্ছে সপ্তমী বিভক্তি।
তাই সঠিক উত্তর:কর্তৃকারকে ৭মী।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝“দশে মিলি করি কাজ” বাক্যে 'দশে'- কর্তৃকারকে/কর্তাকারকে ৭মী বিভক্তির প্রয়োগ ঘটেছে।
▣ বাক্যস্থিত যে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদ ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকে ক্রিয়ার কর্তা বা কর্তৃকারক বলে।
ক্রিয়াকে ‘কে/ কারা’ দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, সেটিই কর্তৃকারক। (কর্মবাচ্য ও ভাববাচ্যের বাক্যে এই নিয়ম খাটবে না। সেক্ষেত্রে একটু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।)
❐ কর্তৃকারকে বিভক্তির প্রয়োগের উদাহরণ-
❐ পাখি সব করে রব = কর্তৃকারকে শূন্য বিভক্তির
❐ আমার দ্বারা এ কাজ হবে না সাধন = কর্তৃকারকে তৃতীয়া বিভক্তির
❐ পাছে লোকে কিছু বলে = কর্তৃকারকে ৭মী বিভক্তির
❐ বুলবুলিতে ধান খেয়েছে = কর্তৃকারকে ৭মী বিভক্তির
❐ ঘোড়ায় গাড়ি টানে = কর্তৃকারকে ৭মী বিভক্তির
❐ মানুষ ভাবে এক হয় আর এক = কর্তৃকারকে শূন্য বিভক্তির
❐ সবাইকে একদিন মরতে হবে = কর্তৃকারকে দ্বিতীয়া বিভক্তির।
৮৬১. 'পাতায় পাতায় পড়ে নিশির শিশির'--বাক্যে 'পাতায় পাতায় ' কোন কারকে কোন বিভক্তি?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -গোলাপ- ০৯.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖ক্রিয়া সম্পাদনের কাল (সময়) এবং আধারকে অধিকরণ কারক বলে। অধিকরণ কারকে সপ্তমী অর্থাৎ 'এ' 'য়' 'তে' ইত্যাদি বিভক্তি যুক্ত হয়। যেমন-আধার (স্থান): আমরা রোজ স্কুলে যাই। এ বাড়িতে কেউ নেই। পাতায় পাতায় পড়ে নিশির শিশির। কাল (সময়): প্রভাতে সূর্য ওঠে। বসন্তে কোকিল ডাকে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝অধিকরণ কারক:
ক্রিয়ার আধারকে বলা হয় অধিকরণ কারক। আধার বলতে ক্রিয়া নিষ্পন্ন হওয়ার স্থান, কাল ও ভাবকে বোঝায়।
অর্থাৎ ক্রিয়া সম্পাদনের কাল এবং আধারকে বলা হয় অধিকরণ কারক।
বাক্যের ক্রিয়াপদকে কোথায়, কখন ও কোনো বিষয় বোঝাতে অধিকরণ কারক হয়।
অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি অর্থাৎ এ, য়, তে ইত্যাদি বিভক্তি যুক্ত হয়।
যেমন- আধার (স্থান) : আমরা প্রতিদিন কলেজে যাই। কাল (সময়) সকালে সূর্য উঠবে।
▣ ’পাতায় পাতায় পড়ে নিশির শিশির - বাক্যে অধিকরণ কারকে ৭মী বিভক্তির প্রয়োগ ঘটেছে।
বাক্যটি ক্রিয়া নিষ্পন্ন হওয়ার কালকে বোঝাচ্ছে।
এবং এতে এ বিভক্তি যুক্ত হয়েছে।
তাই বাক্যটি = অধিকরণে ৭মী প্রকাশ করেছে।
৮৬২. 'যে ব্যক্তি এক ঘর থেকে অন্য ঘরে ভিক্ষা করে বেড়ায়'-- এক কথায় ---
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -গোলাপ- ০৯.১২.১১ 📖 অফিসার (ক্যাশ) - ১২-১০.১৮ 📖 Officer (Cash) -Sonali Bank ~ BD Development ~ BD Krishi Bank - 12.10.18
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖যা প্রবীণ বা প্রাচীন নয়- অর্বাচীন।
যে ভবিষ্যৎ না ভেবেই কাজ করে- অবিমৃষ্যকারী।
যে ব্যক্তি একঘর থেকে অন্য ঘরে ভিক্ষা করে বেড়ায়- মাধুকরী।
তাই সঠিক উত্তর: মাধুকরী।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝সঠিক উত্তর: মাধুকরী
নিকটতম অপশন হিসাবে মাধুকরকে সঠিক উত্তর হিসাবে ধরা হলো।
❐ মাধুকরী (বিশেষ্য) - নানা পুষ্প থেকে মধুকরের মধু আহরণের মতো বৃত্তি; যে ব্যক্তি এক ঘর থেকে অন্য ঘরে ভিক্ষা করে বেড়ায়।
❐ মধুকর - মৌমাছি
অর্বাচীন - হালের; নবীন; আধুনিক; অপ্রবীণ।
অবিমৃষ্যকারী - হঠকারী; গোঁয়ার; অবিবেচক; যে ভবিষ্যৎ না ভেবেই কাজ করে।
৮৬৩. 'অকালে যাকে জাগরণ করা হয়' -- এক কথায় ---
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -গোলাপ- ০৯.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖অকালে যাকে জাগরণ করা হয়- অকালবোধন।
ভয় নেই যার- অকুতোভয়।
যা সাধারণের মধ্যে দেখা যায় না এমন- অনন্যসাধারণ।
অসম্ভব বিষয় সম্ভব করতে সমর্থ - অঘটন ঘটন পটিয়সী।
সঠিক উত্তর: অকালবোধন।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝অকালবোধন (বিশেষ্য) - অসময়ে আহবান।
অকালে যাকে জাগরণ করা হয় - অকালবোধন।
অন্যদিকে,
যার কোন কিছু থেকেই ভয় নেই - অকুতোভয়৷
যা সাধারণের মধ্যে দেখা যায়না এমন - অনন্যসাধারণ।
❐ অগ্রসর হয়ে অভ্যর্থনা - প্রত্যুদ্∘গমন
❐ কি করতে হবে যে স্থির করতে পারে না - কিংকর্তব্যবিমূঢ়।
❐ দু’হাতে সমান কাজ করতে পারে যে/ দু হাত সমান চলে যার - সব্যসাচী।
৮৬৪. 'গড্ডলিকা প্রবাহ' এর সঠিক অর্থ কোনটি?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -গোলাপ- ০৯.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖গড্ডালিকা প্রবাহ একটি বাগধারা। প্রদত্ত বাগধারাটির অর্থ- অন্ধ অনুসরণ / অন্ধ অনুকরণ। যেমন: গড্ডালিকা প্রবাহে যারা গা ভাসিয়ে দেই, আমি তাদের দলে নেই।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝গড্ডল, গড্ডর (বিশেষ্য):
❖ ১. ভেড়া
❖ ২. গাড়ল
{গাড়ল (তৎসম বা সংস্কৃত শব্দ) গড্ডল, গড্ডর (র = ল) (অর্বাচীন সংস্কৃত শব্দ)}
❐ গড্ডলিকা প্রবাহ (বিশেষ্য):
❖ ১. ভেড়ার পালের মতো একের অন্যকে অনুসরণ;
❖ ২. ভালোমন্দ না বুঝে অন্ধের ন্যায় অনুসরণ।
❐ সুতরাং, সঠিক উত্তর: অন্ধ অনুকরণ।
৮৬৫. 'আগুন' এর প্রতিশব্দ নয় কোনটি?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -গোলাপ- ০৯.১২.১১ 📖 NSI জুনিয়র_ফিল্ড_অফিসার 24.09.21 📖 Bangladesh Bank - Assistant Director - 2006
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖আগুন শব্দের প্রতিশব্দ - অন, বহ্নি, পাবক, অগ্নি, হুতাশন, দহন ইত্যাদি।
কর শব্দের প্রতিশব্দ - হাত, বাহু, ভুজ, হস্ত ইত্যাদি।
তাই সঠিক উত্তর: কর।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝'আগুন' এর প্রতিশব্দ = অনল, বহ্নি, বৈশ্বানর, হুতাশন, পাবক, দহন, সর্বভুক, অগ্নি, পিঙ্গল, হিমারতি, বায়ুসখা, শুচি ইত্যাদি।
❐ অন্যদিকে,
'কর' (বিশেষ্য) এর অর্থ:
❐ রাজস্ব, শুল্ক
- হস্ত, হাত,
❐ শুঁড়
❐ কিরণ
❐ পদবিশেষ
৮৬৬. 'কবর' নাটকটির নাট্যকার কে?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -জবা- ০৯.১২.১১ 📖 Sonali, Janata & Agrani Bank Offier (Cash Recruitment) 22.02.08
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖মুনীর চৌধুরীর (১৯২৫-৭১) ভাষা আন্দোলনের ওপর রচিত প্রথম নাটক কবর (১৯৫৩)। জেলে বন্দী অবস্থায়ই তিনি ভাষা আন্দোলনের পটভূমিকায় রচনা করেন তাঁর শ্রেষ্ঠ নাটক কবর। শুধু রচনাই নয়, জেলের বন্দিদের দ্বারা এ নাটকের প্রথম মঞ্চায়নও হয় জেলের মধ্যেই।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝
▣ 'কবর' নাটকের রচয়িতা অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী।
▣ 'কবর' নাটকের পটভূমি হলো ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন।
▣ এটি ভাষা আন্দোলন ভিত্তিক প্রথম নাটক।
▣ জেলে বন্দি থাকা অবস্থায় ১৯৫৩ সালে বামপন্থী রণেশ দাশগুপ্ত জেলখানাতে ২১ ফেব্রুয়ারি উদযাপনের লক্ষে মুনীর চৌধুরীকে একটি নাটক লেখার অনুরোধ জানান।
▣ এই অনুরোধের ভিত্তিতে তিনি এ নাটকটি রচনা করেন।
৮৬৭. 'খোয়াবনামা' উপন্যাসের রচয়িতা কে?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -জবা- ০৯.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖‘খোয়াবনামা’ কথাসাহিত্যিক আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের বিখ্যাত উপন্যাস। এটি ১৯৯৬ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। উপন্যাসটির বিষয় হিসেবে রয়েছে তেভাগা আন্দোলন, সিপাহী বিদ্রোহ এবং বঙ্গভঙ্গ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝
▣ আখতারুজ্জামান ইলিয়াস রচিত মহাকাব্যোচিত উপন্যাস খোয়াবনামা (১৯৯৬)।
❐ উপন্যাসটির বিসষয়বস্তুতে বাংলার নিম্নবিত্ত শ্রমজীবী মানুষের জীবানালেখ্য সহ -
▣ ফকির-সন্যাসী বিদ্রোহ,
▣ আসামের ভূমিকম্প,
▣ তেভাগা আন্দোলন,
▣ ১৯৪৩ সালের মন্বন্তর আলোচিত হয়েছে।
▣ পাকিস্তান আন্দোলন ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ইত্যাদি ঐতিহাসিক উপাদান এই উপন্যাসে নিখুঁতভাবে উপস্থিত করা হয়েছে।
▣ আখতারুজ্জামান ইলিয়াস রচিত প্রথম উপন্যাস - চিলেকোঠার সেপাই।
▣ এই উপন্যাসের পটভূমি ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থান।
৮৬৮. 'মহাশ্মশান' মহাকাব্যটি কার রচনা?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -জবা- ০৯.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ (১৭৬১) অবলম্বনে কায়কোবাদের (১৮৫৭-১৯৫১) শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্হ 'মহাশ্মশান' (মহাকাব্য) রচিত । উল্লেখ্য, মহাকাব্যটি ধারাবাহিকভাবে মুহম্মদ রওশন আলী সম্পাদিত 'কোহিনূর' পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝
▣ মুসলমানদের গৌরবময় ইতিহাসের কাহিনী অবলম্বনে 'মহাশ্মশান' মহাকাব্যের রচনা করেন মহাকবি কায়কোবাদ।
▣ মোহাম্মদ কাজেম আল কোরেশী সাহিত্যক্ষেত্রে কায়কোবাদ নামে পরচিত।
❐ - তৃতীয় পানিপথের যুদ্ধ অবলম্বনে রচিত এ কাব্যে জয়-পরাজয় অপেক্ষা ধ্বংসের ভয়াবহতা প্রকট হওয়ায় এর নাম হয়েছে ‘মহাশ্মশান’।
▣ এটি তাঁর শ্রেষ্ঠ রচনা এবং এর দ্বারাই তিনি মহাকবিরূপে খ্যাতি অর্জন করেন।
▣ তাঁর গীতিকবিতায় প্রেম, প্রকৃতি, স্বদেশ ও আধ্যাত্মিকতা প্রকাশ পেয়েছে।
▣ কায়কোবাদ (১৮৫৭-১৯৫১) আধুনিক বাংলা মহাকাব্য ধারার শেষ কবি।
▣ কায়কোবাদ বাংলার অপর দুই মহাকবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ও নবীনচন্দ্র সেনের ধারায় মহাকাব্য রচনা করেন।
▣ মাত্র তেরো বছর বয়সে তাঁর প্রথম কাব্য বিরহবিলাপ (১৮৭০) প্রকাশিত হয়।
❐
▣ তাঁর অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ হচ্ছে:
▣ কুসুম কানন (১৮৭৩),
▣ অশ্রুমালা (১৮৯৫),
▣ মহাশ্মশান (১৯০৪),
▣ শিব-মন্দির (১৯২২),
▣ অমিয়ধারা (১৯২৩),
▣ শ্মশান-ভস্ম (১৯২৪) ও
▣ মহরম শরীফ (১৯৩২)।
৮৬৯. 'পদ্ধতি' শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ ----
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -জবা- ০৯.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖পদ্ধতি = পদ্ + হতি। ত্ ও দ্ এরপরে হ থাকলে ত্ ও দ্ এর স্থলে দ এবং হ এর স্থলে ধ হয়। যেমন:
উদ্ধার = উৎ + হার;
উদ্ধত = উৎ + হত প্রভৃতি।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ত্ ও দ্ এর পর হ থাকলে ত্ ও দৃ এর স্থলে দ এবং হ এর স্থলে ধ হয়।
❐ যেমন-
▣ উৎ + হার = উদ্ধার।
❐ - পদ্ + হতি = পদ্ধতি।
❐ এরূপ – উদ্ধৃত, উদ্ধত, তদ্ধিত ইত্যাদি।
৮৭০. কোন বানানটি শুদ্ধ?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -জবা- ০৯.১২.১১ 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2011➯A ইউনিট 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2007➯B ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖শুদ্ধ বানান সমীচীন। এরূপ আরো কয়েকটি সঠিক বানান হলো নিশীথিনী, মুহুর্মুহু, মধ্যাহ্ন, স্বায়ত্তশাসন, পিপীলিকা ইত্যাদি ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝
▣ সমীচীন (বিশেষণ)
❐ অর্থ:
▣ সঙ্গত।
▣ যোগ্য; উপযুক্ত।
▣ উত্তম।
▣ যথার্থ; সত্য।
▣ উচিত।
৮৭১. কোনটি দ্বিগু সমাস?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -জবা- ০৯.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖দ্বিগু সমাসঃ সমাহার বা মিলন অর্থে সংখ্যাবাচক শব্দের সঙ্গে বিশেষ্য পদের যে সমাস হয় তাকে দ্বিগু সমাস বলে।
যেমন:
ত্রিকাল = তিন কালের সমাহার
তেমাথা = তিন মাথার সমাহার
চৌরাস্তা = চার রাস্তার সমাহার
ত্রিপদী = ত্রিপদের সমাহার
ইত্যাদি
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 দ্বিগু সমাস
▣ সমাহার (সমষ্টি) বা মিলন অর্থে সংখ্যাবাচক শব্দের সঙ্গে বিশেষ্য পদের যে সমাস হয়, দ্বিগু সমাস বলে।
❐ যেমন:- তিন কালের সমাহার = ত্রিকাল,
❐ - চৌরাস্তার সমাহার = চৌরাস্তা ইত্যাদি।
৮৭২. কোনটি শুদ্ধ বানান?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -জবা- ০৯.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖শুদ্ধ বানান আলস্য। এরূপ আরো কয়েকটি সঠিক বানান হলো নিশীথিনী, মুহুর্মুহু, সমীচীন, মধ্যাহ্ন, স্বায়ত্তশাসন, পিপীলিকা ইত্যাদি ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝
▣ আলস্য (বিশেষ্য)
❐ অর্থ:
▣ কুঁড়েমি; অলসতা।
▣ জড়তা।
▣ শ্রমবিমুখতা; কর্মে উপেক্ষা বা অনুৎসাহ।
৮৭৩. 'নীলাম্বর' কোন সমাস?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -জবা- ০৯.১২.১১ 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2005➯A ইউনিট 📖 বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়➟2014➯B ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖সমানাধিকরণ বহুব্রীহি সমাসঃ যে সমাসে পূর্বপদ বিশেষন এবং পরপদ বিশেষ্য হয় কিংবা পূর্বপদ বিশেষ্য এবং পরপদ বিশেষন হয় তাকে সমানাধিকার বহুব্রীহি বলে।
যেমনঃ নীলাম্বর = নীল অম্বর যার
নীলকণ্ঠ = নীল কন্ঠ যার
পীতাম্বর = পীত অম্বর যার
সুগন্ধি = সু গন্ধ যার
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 নীলাম্বর (বিশেষ্য)
❐ অর্থ:
▣ নীল আকাশ।
▣ নীলবর্ণ বস্ত্র পরিহিত বা পরিধানকারী।
❐ ➾ নীল আকাশ অর্থে: কর্মধারয় সমাস।
▣ যেখানে বিশেষণ বা বিশেষণভাবাপন্ন পদের সাথে বিশেষ্য বা বিশেষ্যভাবাপন্ন পদের সমাস হয় এবং পরপদের অর্থই প্রধান রূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে কর্মধারয় সমাস বলে।
❐ যেমন-
❐ - নীল যে অম্বর = নীলাম্বর।
▣ নীল যে আকাশ = নীলাকাশ।
▣ নীল যে পদ্ম = নীলপদ্ম।
▣ রক্ত যে কমল = রক্তকমল।
❐ আবার-
❐ ➾ নীলবর্ণ বস্ত্র পরিহিত বা পরিধানকারী অর্থে বহুব্রীহি সমাস।
▣ যে সমাসে পূর্ব বা পর কোন পদের অর্থ না বুঝিয়ে তৃতীয় কোন অর্থ প্রকাশ করে তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে।
❐ যেমন:
❐ - নীল অম্বর যার = নীলাম্বর।
▣ দশ আনন যার = দশানন।
▣ পদ্ম নাভিতে যার = পদ্মনাভ।
❐ [অপশনে দ্বৈত উত্তর থাকায় উত্তরটি বাতিল করা হলো]
৮৭৪. 'আলোয় আঁধার কাটে' -বাক্যে 'আলোয়' কোন কারক?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -জবা- ০৯.১২.১১ 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2013➯B ইউনিট 📖 বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়➟2013➯A ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖ক্রিয়া সম্পাদনের যন্ত্র, সহায়ক বা উপায়কে করণ কারক বেল। আলো এখানে আঁধার দূর করার উপায় হওয়াতে এটি হবে করণ কারক।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ➾ করণ কারক:
▣ যার দ্বারা বা যার সাহায্যে ক্রিয়া সম্পাদিত হয় তাকে করণ কারক বলে।
▣ ‘করণ' শব্দের অর্থ উপায় বা সহায়। বাক্যের ক্রিয়াপদকে ‘কার দ্বারা' বা 'কী উপায়ে' জিজ্ঞাসা করলে যে উত্তর পাওয়া যায় তা-ই করণ কারক।
▣ করণ কারকে সাধারণত দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক ইত্যাদি তৃতীয়া বিভক্তির (অনুসর্গের) ব্যবহার হয়।
▣ আবার, এ, য়, তে বা সপ্তমী বিভক্তির প্রয়োগ ঘটে।
❐ যেমন - “আলোয় আঁধার কাটে।” - এই বাক্যে কিসের দ্বারা বা কী উপায়ে আঁধার কাটে প্রশ্ন করলে উত্তর পাওয়া যায় ‘আলোয়’।
❐ অতএব, “আলোয় আঁধার কাটে।”- এই বাক্যে ‘আলোয়’ করণ কারক।
৮৭৫. 'মাঠে ধান ফলেছে' -বাক্যে 'মাঠে' কোন কারক?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -জবা- ০৯.১২.১১ 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দানিয়ুব- ০৮.১১.১৩
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖ক্রিয়া সম্পাদনের স্থানকে বলে আধারাধিকরণ বা স্থানাধিকরণ।
মাঠে ধান ফলেছে। তাই ‘মাঠ’ এখানে স্থানাধিকরণ কারক হবে।
এরূপ আরো কিছু উদাহরণ:
আমরা রোজ স্কুলে যাই।
এ বাড়িতে কেউ নেই।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 অধিকরণ কারক:
▣ ক্রিয়ার আধারকে বলা হয় অধিকরণ কারক।
▣ আধার বলতে ক্রিয়া নিষ্পন্ন হওয়ার স্থান, কাল ও ভাবকে বোঝায়।
▣ অর্থাৎ ক্রিয়া সম্পাদনের কাল এবং আধারকে বলা হয় অধিকরণ কারক।
▣ আর এখানে মাঠ দ্বারা যেহেতু স্থান বুঝাচ্ছে তাই এটি স্থানাধিকরণ বা আধারাধিকরণ।
▣ অধিকরণ কারক তিন প্রকার।
❐ যথা-
❐ ১. আধারাধিকরণ,
❐ ২. কালাধিকরণ এবং
❐ ৩. ভাবাধিকরণ।
❐ আধারাধিকরণ:
❐ আধারাধিকরণ বা স্থানাধিকরণ কোন কোন স্থানকে বুঝায়।
▣ যেমন:
▣ তিলে তৈল আছে।
▣ নদীতে পানি আছে।
❐ - মাঠে ধান ফলেছে।
❐ এটি তিন ভাগে বিভক্ত।
❐ যথা : -
❐ ১. ঐকদেশিক,
❐ ২. অভিব্যাপক এবং
❐ ৩. বৈষয়িক।
❐ ১. ঐকদেশিক:
❐ বিশাল স্থানের যে কোনো এক অংশে ক্রিয়া সংঘটিত হলে তাকে ঐকদেশিক আধারাধিকরণ বলে।
❐ যেমন-
▣ পুকুরে মাছ আছে। (পুকুরের যে কোনো একস্থানে),
▣ বনে বাঘ আছে। (বনের যে কোনো এক অংশে),
▣ আকাশে চাঁদ উঠেছে। (আকাশের কোনো এক অংশে),
❐ ২. অভিব্যাপক:
❐ উদ্দিষ্ট বস্তু যদি সমগ্র আধার ব্যাপ্ত করে বিরাজমান থাকে, তবে তাকে অভিব্যাপক আধারাধিকরণ বলে।
❐ যেমন-
▣ তিলে তৈল আছে। (তিলের সারা অংশব্যাপী)।
▣ নদীতে পানি আছে। (নদীর সমস্ত অংশ ব্যাপ্ত করে)।
▣ কলসটি কানায় কানায় পূর্ণ। (কলসের সম্পূর্ণ অংশ জুড়ে আছে)।
▣ মাঠে ধান ফলেছে। (মাঠের সম্পূর্ণ অংশ জুড়ে)
❐ ৩. বৈষয়িক:
❐ বিষয় বিশেষে বা কোনো বিশেষ গুণে কারও কোনো দক্ষতা বা ক্ষমতা থাকলে সেখানে বৈষয়িক অধিকরণ হয়।
❐ যেমন-
▣ সফিক অঙ্কে কাঁচা।
▣ আমাদের সেনারা সাহসে দুর্জয়, যুদ্ধে অপরাজেয়।
❐ কালাধিকরণ:
❐ যে কালে ক্রিয়া সম্পন্ন হয়, তাকে কালাধিকরণ কারক বলে।
❐ উদাহরণ-
▣ ছেলেবেলায় আমি খুব দুষ্টু ছিলাম।
▣ শরতে শাপলা ফোটে।
▣ সকালে সে চলে যাবে।
▣ প্রভাতে উঠিল রবি লোহিত বরণ।
❐ ভাবাধিকরণ:
▣ যদি কোনো ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য অন্য ক্রিয়ার কোনোরূপ ভাবের অভিব্যক্তি প্রকাশ করে, তবে তাকে ভাবাধিকরণ বলে।
▣ ভাবাধিকরণে সর্বদাই সপ্তমী বিভক্তির প্রয়োগ হয় বলে একে ‘ভাবে সপ্তমী’ বলা হয়।
❐ যেমন-
▣ রাতটা দু:খে কাটলো।
▣ সে ফুর্তিতে আছে।
৮৭৬. 'দিনের আলো ও সন্ধ্যার আলোর মিলন'--এককথায়
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -জবা- ০৯.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖সায়াহ্ন = সন্ধ্যা, সাঁঝ,
অপরাহ্ন = দিনের শেষভাগ
প্রদোষ = সন্ধ্যা
গোধূলি = সূর্যাস্তের পর ও রাত শুরু হওয়ার মাঝের সময়টিকে বুঝানো হয়।
"গোধূলি", শব্দটির ব্যাখ্যায় বলা হয়, দিনের শেষে, রাতের আগে, যখন মাঠ থেকে রাখাল গরুর পাল নিয়ে গোয়ালে ফেরে, তখন গরুর পায়ের খুড়ের আঘাতে, পথের ধুলো উড়তে থাকে। তাই, এ সময়কে "গোধূলি" বলা হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝
▣ গোধুলি: (বিশেষ্য)
❐ অর্থ:
▣ সন্ধ্যাবেলা;
▣ সায়ংকাল;
▣ সূর্যাস্ত কাল;
▣ যখন গরুর পাল ধূলি উড়াইয়া গৃহে ফেরে (গোধূলির লাল রং তখন আকাশে)।
❐ ➾ বাংলা একাডেমি অভিধান অনুসারে এবং অর্থ বিবেচনায় গোধুলি উত্তর হবে।
❐
▣ সায়াহ্ন (বিশেষ্য)
❐ অর্থ:
▣ সন্ধ্যা; সাঁঝ।
❐
▣ প্রদোষ (বিশেষ্য)
❐ অর্থ:
▣ রাত্রি।
▣ সন্ধ্যা; সায়ংকাল।
❐
▣ অপরাহ্ন (বিশেষ্য)
❐ অর্থ:
▣ বিকাল;
▣ মধ্যাহ্ন থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত কাল।
৮৭৭. 'যা দীপ্তি পাচ্ছে' --এককথায়
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -জবা- ০৯.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝
▣ যা দীপ্তি পাচ্ছে – দেদীপ্যমান।
❐
▣ গুরত্বপূর্ণ কিছু এক কথায় প্রকাশ:
▣ যার সর্বস্ব হারিয়ে গেছে – সর্বহারা, হৃতসর্বস্ব।
▣ যার কোনো কিছু থেকেই ভয় নেই – অকুতোভয়।
▣ যার আকার কুৎসিত – কদাকার।
▣ যা বিনা যত্নে লাভ করা গিয়েছে – অযত্নলব্ধ।
▣ যা বার বার দুলছে – দোদুল্যমান।
▣ যা সাধারণের মধ্যে দেখা যায় না এমন – অনন্যসাধারণ।
৮৭৮. 'কাকনিদ্রা'এর সঠিক অর্থ কোনটি?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -জবা- ০৯.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖"কাক নিদ্রা" একটি বাগধারা। প্রদত্ত বাগধারাটির অর্থ-অগভীর সতর্ক নিদ্রা। যেমন : তার চোখে তো ঘুম নেই, তার তো কাক নিদ্রা।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝
▣ কাকনিদ্রা (বিশেষ্য)
❐ অর্থ:
▣ অগভীর সতর্ক ঘুম বা অগভীর নিদ্রা।
৮৭৯. 'সূর্য' এর প্রতিশব্দ নয় কোনটি?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -জবা- ০৯.১২.১১ 📖 Bangladesh Bank - Assistant Director - 2009 📖 Pubali Bank Ltd - Junior Officer (Cash) - 16.03.12
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖সূর্য এর সমার্থক শব্দঃ আদিত্য, তপন, দিবাকর, ভাস্কর, ভানু, রবি, সবিতা, অর্ক, দিনেশ, কিরণমালী, বিভাকর, বিভাবসু, মিহির, আফতাব, প্রভাকর, সুর, অরুণ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝
▣ হিমকর (বিশেষ্য)
❐ অর্থ:
▣ যার কিরণ শীতল; চন্দ্র।
❐
▣ 'সূর্য' এর প্রতিশব্দ:
▣ আদিত্য, রবি, সবিতা, দিবাকর, দিনমনি, দিননাথ, দিবাবসু, অর্ক, ভানু, তপন, ভাস্কর, মার্তণ্ড, বিভাবসু, অংশু, প্রভাকর, কিরণমালী, অরুণ, মিহির, দিনপতি ইত্যাদি।
❐ ➾ বিঃদ্রঃ বাংলা একাডেমি অভিধান অনুসারে 'বিভাবসু' সূর্য শব্দের সমার্থক কিন্তু বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা-ড. সৌমিত্র শেখর অনুসারে 'বিভাবসু' আগুন শব্দের সমার্থক।
৮৮০. 'অর্বাচীন' এর বিপরীতার্থক শব্দ ----
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -জবা- ০৯.১২.১১ 📖 রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়➟2016➯F ইউনিট 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দানিয়ুব- ০৮.১১.১৩
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖অর্বাচীন শব্দের অর্থ নবীন, আধুনিক, অপ্রবীণ। সুতরাং অর্বাচীন-এর বিপরীত শব্দ প্রাচীন।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 'অর্বাচীন' শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ = প্রাচীন।
❐
▣ আরো কিছু বিপরীতার্থক শব্দ-
▣ 'আকুঞ্চন' শব্দের বিপরীত শব্দ = প্রসারণ।
▣ 'প্রসারিত' শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ = সংকুচিত।
▣ 'হত' শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ = জীবিত।
▣ 'সংযত' শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ = অসংযত।
৮৮১. 'অয়োময়' নাটকটির রচয়িতা কে?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -টগর- ০৯.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖হুমায়ূন আহমেদের বিখ্যাত নাটক 'অয়োময়'। তিনি অসংখ্য উপন্যাস, গল্প, অনুবাদ এবং কবিতা রচনা করেছেন। তাঁর বিখ্যাত নাটকগুলোর মধ্যে অন্যতম- নৃপতি, মহাপুরুষ, মঞ্চ নাটক প্রভৃতি।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖হুমায়ুন আহমেদের প্রথম টেলিভিশন নাটক প্রথম প্রহর (১৯৮৩, পরিচালনা- নওয়াজেস আলী খান)।
তাঁর প্রথম ধারাবাহিক নাটক এইসব দিনরাত্রি বাংলাদেশের দর্শকদের কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়।
এ ছাড়া অন্যান্য জনপ্রিয় ধারাবাহিকের মধ্যে আছে: বহুব্রীহি (কমেডি), অয়োময় (সামাজিক-ঐতিহাসিক), কোথাও কেউ নেই (নাগরিক জীবনভিত্তিক), আজ রবিবার (পারিবারিক-সামাজিক), নক্ষত্রের রাত (আধুনিক জীবনসমস্যা) এবং অসংখ্য একক ও ধারাবাহিক নাটক।
৮৮২. 'পদ্মানদীর মাঝি' কার লেখা?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -টগর- ০৯.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖'পদ্মা নদীর মাঝি' ঔপন্যাসিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুমুল জনপ্রিয় উপন্যাস। এটি মূলত আঞ্চলিক উপন্যাস। এটি বহু ভাষায় অনূদিত হয়েছে। জননী, দিবারাত্রির কাব্য, অহিংসা, পুতুল নাচের ইতিকথা মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উল্লেখযোগ্য উপন্যাসগুলোর মধ্যে অন্যতম।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত 'পদ্মানদীর মাঝি' একটি উপন্যাস।
▣ পদ্মানদীর মাঝি:
❐ পদ্মা তীরবর্তী ধীবর- জীবন এর মূল কাহিনি।
❐ উল্লেখযোগ্য চরিত্র - কুবের, কপিলা, মালা, ধনঞ্জয়, গণেশ, শীতলবাবু, হোসেন মিঞা ইত্যাদি।
❐ উপন্যাসে "আমারে নিবা মাঝি লগে?"- বিখ্যাত সংলাপটি কপিলা, কুবের কে উদ্দেশ্য করে বলে ।
❐ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকৃত নাম প্রবোধকুমার বন্দোপাধ্যায়, ‘মানিক' তাঁর ডাকনাম।
৮৮৩. 'আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে' -কোন কবির কবিতা থেকে নেয়া?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -টগর- ০৯.১২.১১ 📖 Bangladesh Bank - Assistant Director - 2004
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖অলোচ্য কবিতাংশটুকু জীবনানন্দ দাশের 'আবার আসিব ফিরে' কবিতার অংশ। কবিতাটি কবির অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্হ 'রূপসী বাংলার' অন্তর্গত।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝‘আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে'- জীবনানন্দ দাশ রচিত কবিতা থেকে নেয়া হয়েছে।
❐ জীবনানন্দ দাশ ১৮৯৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁদের আদি নিবাস ছিল বিক্রমপুরের গাওপাড়া গ্রামে।
❐ জীবনানন্দ দাশকে ধূসরতার কবি বলা হয়।
❐ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবনানন্দ দাশের কবিতাকে চিত্ররূপময় কবিতা বলেছেন।
▣ জীবনানন্দ দাশ রচিত কাব্যগ্রন্থ:
❐ ঝরাপালক (প্রথম প্রকাশিত),
❐ ধূসর পান্ডুলিপি,
❐ বনলতা সেন,
❐ রূপসী বাংলা,
❐ মহাপৃথিবী,
❐ সাতটি তারার তিমির,
❐ বেলা অবেলা কালবেলা ইত্যাদি।
▣ ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতাটি রূপসী বাংলা কাব্যগ্রন্থভুক্ত প্রথম কবিতা। ‘রূপসী বাংলা’ প্রকাশিত হয় কবির মৃত্যুর পর, ১৯৫৭ সালে। গ্রন্থটি উৎসর্গ করা হয় ‘আবহমান বাংলা, বাঙালী’কে।
▣ ‘রূপসী বাংলা’ ১৯৫৭ সালে প্রকাশিত হয়। কবিতাগুলির গঠন সনেটের। এদের বিষয় বাংলার গ্রাম-প্রিকৃতি, নদীনালা, পশু-পাখি, উৎসব, অনুষ্ঠান। এ কাব্যের একটি বিখ্যাত পঙক্তি হলো-
‘আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে এই বাংলায়’
৮৮৪. 'বৃষ্টি'--এর সন্ধি বিচ্ছেদ কি হবে?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -টগর- ০৯.১২.১১ 📖 বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স (এস আই বি/ আর সি) 2020 📖 Bangladesh Bank - Assistant Director - 2001
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖ষ-এর পরে ত বা থ থাকলে, যথাক্রমে ত ও থ স্থানে ট ও ঠ হয়। যেমন:
বৃষ্টি = বৃষ + তি;
কৃষ্টি = কৃষ + তি;
ষষ্ঠ = ষষ্ + থ প্রভৃতি।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝ষ্∘ এর পরে ত্∘ বা থ্∘ থাকলে ত্∘ ও থ্∘ স্থানে যথাক্রমে ট ও ঠ হয়।
যেমন-
বৃষ্টি - বৃষ্∘ + তি
কৃষ্টি - কৃষ্∘ + তি
ষষ্ঠ - ষষ্∘ +থ
৮৮৫. কোন বানানটি শুদ্ধ?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -টগর- ০৯.১২.১১ 📖 জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়➟2004➯গ ইউনিট 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2014➯গ ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖শুদ্ধ বানান হল স্বায়ত্তশাসন । এরূপ আরো কিছু শুদ্ধ বানান হলো সমীচীন, মুহুর্মুহু, নিশীথিনী, মুমূর্ষু ইত্যাদি।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖শুদ্ধ বানান হবে স্বায়ত্তশাসন। স্ব+আয়ত্ত+ শাসন। আয়ত্ত, ইয়ত্তা এ বানান দুটি ও মনে রাখুন।
৮৮৬. 'বিশ্বকবি' সমাস কি হবে?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -টগর- ০৯.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖পূর্বপদের সপ্তমী বিভক্তি (এ, য়, তে) লোপ পেয়ে যে সমাস হয়, তাকে সপ্তমী তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন-
পূর্বে অদৃষ্ট= অদৃষ্টপূর্ব;
বিশ্ব বিখ্যাত=বিশ্ববিখ্যাত;
বিশ্বের কবি = বিশ্বকবি ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝প্রদত্ত প্রশ্নের সঠিক উত্তর হচ্ছে বিশ্বের কবি।
‘বিশ্বকবি' - এর ব্যাসবাক্য 'বিশ্বের কবি' যা ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস।
৮৮৭. নিচের কোন বানানটি অশুদ্ধ?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -টগর- ০৯.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖অশুদ্ধ বানান- সলীল সমাধী।
সঠিক বানান- সলিল সমাধি। সলিল সমাধি শব্দের অর্থ- জলে ডুবে বিনাশ বা মৃত্যু। প্রদত্ত শব্দটি একটি বিশেষ্য পদ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝উল্লেখিত প্রশ্নের অপশগুলোর মধ্যে সলীল সমাধী বানানটি অশুদ্ধ। এর সঠিক বানান হচ্ছে সলিল সমাধি।
❐ অপশনের বাকি বানানগুলো সঠিক।
▣ 'Watery grave'-এর অর্থ = সলিল সমাধি।
সলিল অর্থ হচ্ছে পানি, water.
সলিল সমাধি (noun) watery grave; drowning; (figurative) utter/ irrevocable loss.
'সলিল' 'পানি' এর প্রতিশব্দ।
৮৮৮. হাট-বাজার কোন অর্থে দ্বন্দ্ব?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -টগর- ০৯.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖দ্বন্দ্ব সমাসের পূর্বপদ এবং পরপদ একই অর্থ বহন করলে, তাকে সমার্থ দ্বন্দ্ব সমাস বলে। যেমন:
লজ্জা ও শরম = লজ্জাশরম,
হাট ও বাজার = হাটবাজার,
ঘর ও বাড়ি = ঘরবাড়ি ইত্যাদি।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝প্রদত্ত প্রশ্নে হাট-বাজার সমার্থে দ্বন্দ্ব।
হাট-বাজার, ঘর-দুয়ার, কল-কারখানা, মোল্লা-মৌলভী, খাতা-পত্র ইত্যাদি সমার্থক শব্দ যোগে গঠিত দ্বন্দ্ব সমাস।
৮৮৯. 'তিনি চোখে দেখেন না' বাক্যে চোখ কোন কারক?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -টগর- ০৯.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖ক্রিয়া সম্পাদনের যন্ত্র, উপায় বা সহায়ককেই করণ কারক বলে। এখানে 'চোখ' দেখার উপায় হওয়ায় এটি করণ কারক। ক্রিয়াকে 'কী' দিয়ে' প্রশ্ন করলেও এর উত্তরে চোখ পাওয়া যায়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝"তিনি চোখে দেখেন না' বাক্যে চোখ হচ্ছে করণ কারক।
▣ করণ কারক
❐ যার দ্বারা বা যার সাহায্যে ক্রিয়া সম্পাদিত হয় তাকে করণ কারক বলে।
❐ ‘করণ' শব্দের অর্থ উপায় বা সহায়।
❐ বাক্যের ক্রিয়াপদকে ‘কার দ্বারা' বা 'কী উপায়ে' জিজ্ঞাসা করলে যে উত্তর পাওয়া যায় তা-ই করণ কারক।
৮৯০. 'আয়ু যেন পদ্ম পাতায় নীর'- বাক্যে পদ্ম পাতায় কোন কারক?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -টগর- ০৯.১২.১১ 📖 জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়➟2009➯G ইউনিট 📖 জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়➟2013➯B4-ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖ক্রিয়া সম্পাদনের কাল এবং আধার বা স্থানকে বলা হয় অধিকরণ কারক। তাই এ বাক্যে 'পদ্ম পাতা' অধিকরণ কারক হবে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝উল্লেখিত বাক্যে পদ্ম পাতায় অধিকরণ কারক।
▣ অধিকরণ কারক:
ক্রিয়ার আধারকে বলা হয় অধিকরণ কারক। আধার বলতে ক্রিয়া নিষ্পন্ন হওয়ার স্থান, কাল ও ভাবকে বোঝায়।
অর্থাৎ ক্রিয়া সম্পাদনের কাল এবং আধারকে বলা হয় অধিকরণ কারক।
বাক্যের ক্রিয়াপদকে কোথায়, কখন ও কোনো বিষয় বোঝাতে অধিকরণ কারক হয়।
অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি অর্থাৎ এ, য়, তে ইত্যাদি বিভক্তি যুক্ত হয়।
যেমন- আধার (স্থান) : আমরা প্রতিদিন কলেজে যাই। কাল (সময়) সকালে সূর্য উঠবে।
▣ অধিকরণ কারকের উদাহরণ -
❐ তিলে তৈল আছে - অধিকরণ কারকে ৭মী বিভক্তি
❐ কাননে কুসুম কলি সকলি ফুটিল - অধিকরণ কারকে ৭মী বিভক্তি
- শিশুগণ দেয় মন নিজ নিজ পাঠে - অধিকরণ কারকে শূন্য বিভক্তি
❐ পাতায় পাতায় পড়ে শিশির নিশির - অধিকরণ কারকে ৭মী বিভক্তি
❐ বাংলাদেশ আমাদের জন্মভূমি - অধিকরণ কারকে শূন্য বিভক্তি
❐ বন্যেরা বনে সুন্দর - অধিকরণ কারকে ৭মী বিভক্তি
❐ ছাদে পানি আছে - অধিকরণ কারকে ৭মী বিভক্তি
❐ কপালের লিখন যায় না খণ্ডন - অধিকরণ কারকে ষষ্ঠী বিভক্তি
৮৯১. 'যে বহু বিষয় জানে' --এক কথায় ------
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -টগর- ০৯.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖যে বহুবিষয় জানে তাকে এককথায় বহুজ্ঞ বলে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝বহুদর্শী - বিবিধ বিষয় সম্পর্কে অভিজ্ঞ; বিচক্ষণ
সবজান্তা - সব বিষয়ে জানে এমন; সর্বজ্ঞ
বহুজ্ঞ - বহুবিষয়বিদ; অনেক বিষয় জানে এমন।
❐ তাই সঠিক উত্তর হবে কোনটিই নয়।
৮৯২. 'কর দান করে যে' --এক কথায় ------
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -টগর- ০৯.১২.১১ 📖 গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড ~ সহকারী ব্যবস্থাপক ~ ২০.০৪.১৮ 📖 Bangladesh Bank - Assistant Director - 2001
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖কর দান করে যে - করদ;
জল দান করে যে - জলদ;
অন্যের আশ্রয়ে থাকে যে - আশ্রিত।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝'কর দান করে যে'- এক কথায় 'করদ' বলে।
▣ গুরুত্বপূর্ণ কিছু এক কথায় প্রকাশ:
❐ 'পাওয়ার ইচ্ছা' এর এক কথায় প্রকাশ- ঈপ্সা,
❐ 'জয় করার ইচ্ছা' এর এক কথায় প্রকাশ- জিগীষা,
❐ 'ভোজন করার ইচ্ছা' এর এক কথায় প্রকাশ- বুভুক্ষা,
❐ 'লাভ করার ইচ্ছা' এর এক কথায় প্রকাশ- লিপ্সা,
❐ 'দেখবার ইচ্ছা' এর এক কথায় প্রকাশ- দিদৃক্ষা,
❐ 'মুক্তি লাভে/পেতে ইচ্ছুক এর এক কথায় প্রকাশ- মুমুক্ষা।
৮৯৩. নিচের কোনটি 'আকাশ' শব্দের সমার্থক নয়?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -টগর- ০৯.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝▣ আকাশ শব্দের সমার্থক হচ্ছে - আসমান, অম্বর, গগন, নভঃ, নভোমণ্ডল, খ, ব্যোম, দ্যু, অন্তরীক্ষ।
▣ অপরদিকে,
চাঁদ এর সমার্থক হচ্ছে - শশী, শশধর, শশাঙ্ক, শুধাংশু, হিমাংশু, সুধাকর, সুধাংশু, হিমাংশু, সোম, বিধু, ইন্দু, নিশাকর ইত্যাদি।
৮৯৪. 'হাতের পাঁচ' -এর সঠিক অর্থ কোনটি?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -টগর- ০৯.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖হাতের পাঁচ (শেষ সম্বল): হাতের পাঁচ হিসাবে হাজারখানেক টাকা আছে। তোমাকে ধার দেব কেমন করে?
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝হাতের পাঁচ বাগধারা অর্থ শেষ সম্বল।
❐ এছাড়াও,
'হাত ধুয়ে বসা' বাগধারাটির অর্থ হচ্ছে আশা ত্যাগ করা, দায়িত্ব এড়িয়ে চলা, নিশ্চিতবোধ করা।
হাতটান বাগধারাটির অর্থ হচ্ছে চুরির অভ্যাস।
হাত জুড়ানো বাগধারাটির অর্থ শাস্তি লাভ করা।
৮৯৫. 'ঔদ্ধত্য' -এর বিপরীতার্থক শব্দ ---
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -টগর- ০৯.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖ঔদ্ধত্য একটি বিশেষ্য শব্দ যার বিপরীত শব্দ -বিনয়,
উদ্ধত একটি বিশেষণ শব্দ যার বিপরীত শব্দ হচ্ছে বিনীত
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝'ঔদ্ধত্য' এর বিপরীতার্থক শব্দ - বিনয়।
▣ গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিপরীতার্থক শব্দ হচ্ছে -
নম্রতা - ঔদ্ধত্য।
ব্যষ্টি - সমষ্টি।
নানা - এক।
নগণ্য - গণ্য।
প্রশস্ত - সংকীর্ণ।
নশ্বর - শ্বাশত।
শত্রু - মিত্র।
যোজক - প্রণালি।
৮৯৬. "পড়াশোনায়" মন দাও -বাক্যে উদ্ধৃত শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -শাপলা- ০৯.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
ক্রিয়াপদকে ধরে কোথায় কোন স্থানে কখন কোন সময় কবে, কোন বিষয়ে বা ব্যাপারে এই প্রকার প্রশ্ন করলে তার উত্তরে অধিকরণ কারক পাওয়া যায়। এখানে \"পড়াশোনায় মন দাও\" বাক্যে \"কোথায় বা কোন বিষয়ে মন দাও? এর উত্তরে পাওয়া যাবে \"পড়াশোনায়\"। সুতরাং এটি অধিকরণ কারক। আবার এটির সাথে \"য়\" থাকায় এটি সপ্তমী বিভক্তি।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝'পড়াশোনায়' অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তির উদাহরণ।
▣ অধিকরণ কারক:
❐ ক্রিয়ার আধারকে বলা হয় অধিকরণ কারক। আধার বলতে ক্রিয়া নিষ্পন্ন হওয়ার স্থান, কাল ও ভাবকে বোঝায়।
❐ অর্থাৎ ক্রিয়া সম্পাদনের কাল এবং আধারকে বলা হয় অধিকরণ কারক।
❐ বাক্যের ক্রিয়াপদকে কোথায়, কখন ও কোনো বিষয় বোঝাতে অধিকরণ কারক হয়।
❐ অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি অর্থাৎ এ, য়, তে ইত্যাদি বিভক্তি যুক্ত হয়।
যেমন- আধার (স্থান) : আমরা প্রতিদিন কলেজে যাই। কাল (সময়) সকালে সূর্য উঠবে।
▣ 'পড়াশোনায় মন দাও' - বাক্যে অধিকরণ কারকে ৭মী বিভক্তির প্রয়োগ ঘটেছে।
বাক্যটি ক্রিয়া নিষ্পন্ন হওয়ার কালকে বোঝাচ্ছে।
এবং এতে এ বিভক্তি যুক্ত হয়েছে।
তাই বাক্যটি = অধিকরণে ৭মী প্রকাশ করেছে।
৮৯৭. 'যার কোন উপায় নেই'--এক কথায় কি হবে?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -শাপলা- ০৯.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖যার কোন উপায় নেই- নিরুপায়।
যার অন্য কোন উপায় নেই- অনন্যোপায়।
তাই সঠিক উত্তর - নিরুপায়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝'যার কোন উপায় নেই' - এক কথায়: 'নিরুপায়'
❐ আরও কিছু এক কথায় প্রকাশ-
'যার অন্য উপায় নাই' এর এক কথায়-- 'অনন্যোপায়'
'যা আঘাত পায়নি' এর এক কথায়-- 'অনাহত'
'যার কোন অবলম্বন নাই' এর এক কথায়-- 'নিরবলম্বন'
'যার উপস্থিত বুদ্ধি আছে' এর এক কথায়-- 'প্রত্নুৎপন্নমতি'
'যার কোন কিছুতেই ভয় নেই' এর এক কথায়- 'অকুতোভয়'
৮৯৮. 'যা বলা হয়নি' --এক কথায় হবে ----
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -শাপলা- ০৯.১২.১১ 📖 অর্থ মন্ত্রণালয়ের সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন- এন্ট্রি অপারেটর-৭.১২ 📖 Social Development Foundation - Data Entry Operator - 13.07.12
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖'যা বলা হয়নি' --এক কথায় হবে = অনুক্ত ।
অবহিত শব্দের অর্থঃ জ্ঞাত, বিদিত, অবগত, তথ্যাভিজ্ঞ, ওয়াকিবহাল, সচেতন,
অনুক্ত শব্দের অর্থঃ ঊহ্য, অকথিত, যা বলা হয়নি।
অবাচ্য শব্দের অর্থঃ অকথ্য , যাহা বলা উচিত নয়, দুর্বাক্য, জঘন্য, অসঙ্গত ।
অনুল্লেখ শব্দের অর্থঃ নীরবতা, নির্বাক ভাব, শব্দহীনতা, স্বল্পভাষিতা,
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝'যা বলা হয়নি' এক কথায় হবে- 'অনুক্ত'
❐ আরও কিছু এক কথায় প্রকাশ-
বলা অনুচিত এমন - অবাচ্য'
'যা বলার যোগ্য নয়' - 'অকথ্য'
যা বলা হবে' - বক্তব্য'
৮৯৯. 'অগস্ত্য যাত্রা' বাগধারাটির অর্থ কি?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -শাপলা- ০৯.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
অগত্যা যাএ একটি বাগধারা যার মানে হচ্ছে শেষ বিদায়। সুতরাং এর উত্তর হবে শেষ বিদায়
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝অগস্ত্য যাত্রা বাগধারাটির অর্থ- 'শেষ বিদায়'।
বাক্য গঠন: সবাইকে ছেড়ে কর্তা মশাই অগস্ত্য যাত্রা করলেন।
❐ এর সমার্থক বাগধারা হচ্ছে
❐ 'পটল তোলা' বাগধারার অর্থ মারা যাওয়া।
❐ 'অক্কা পাওয়া' বাগধারার অর্থ মারা যাওয়া।
৯০০. 'আকস্মিক' শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ কোনটি?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -শাপলা- ০৯.১২.১১ 📖 অর্থ মন্ত্রণালয়ের সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন- এন্ট্রি অপারেটর-৭.১২ 📖 Social Development Foundation - Data Entry Operator - 13.07.12
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
আকস্মিক\" শব্দ এর অর্থ হলো -হঠাৎ
অপশনে এর বিপরীত শব্দ হলো - চিরন্তন।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝'আকস্মিক' শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ- 'চিরন্তন'
❐ তাছাড়া,
'আবির্ভাব' শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ- 'তিরোভাব'
'স্থি'র শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ- 'চঞ্চল'
❐ আরো কিছু বিপরীতার্থক শব্দ-
❐ 'আকুঞ্চন' শব্দের বিপরীত শব্দার্থ - প্রসারণ।
❐ 'সংহত' শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ 'বিভক্ত'।
❐ 'প্রসারিত' শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ 'সংকুচিত'।
❐ 'হত' শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ 'জীবিত'।
❐ 'সংযত' শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ 'অসংযত'।
৯০১. 'ঊর্মি' শব্দের সমার্থক শব্দ কোনটি?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -শাপলা- ০৯.১২.১১ 📖 অর্থ মন্ত্রণালয়ের সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন- এন্ট্রি অপারেটর-৭.১২ 📖 Social Development Foundation - Data Entry Operator - 13.07.12
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
‘ঊর্মি’ শব্দের সমার্থক শব্দ → ঢেউ, তরঙ্গ, লহরী, বীচি, হিল্লোল, জলতরঙ্গ প্রভৃতি।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝'ঊর্মি' শব্দের সমার্থক শব্দ- 'ঢেউ'
❐ ▣ ‘ঢেউ’ এর আরো কিছু সমর্থক শব্দ:
তরঙ্গ, বীচি, কল্লোল, ঊর্মি, হিল্লোল, লহরী, বীচি, জোয়ার, মহাতরঙ্গ, মহোর্মি, বীচিমালা, লহর, তরঙ্গহিল্লোল, দোলা, তরঙ্গভঙ্গ, ঊর্মিলহরী, তরঙ্গমালা, তরঙ্গলহরী ইত্যাদি।
৯০২. 'বিচ্ছিন্ন' শব্দের সন্ধি-বিচ্ছেদ কোনটি?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -শাপলা- ০৯.১২.১১ 📖 Social Development Foundation - Data Entry Operator - 13.07.12
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝'বিচ্ছিন্ন' শব্দের সন্ধি-বিচ্ছেদ: 'বি + ছিন্ন'
❐ 'বিচ্ছিন্ন'সন্ধির নিয়ম:
স্বরধ্বনির পর ছ থাকলে উক্ত ব্যঞ্জনধ্বনিটি দ্বিত্ব ( চ্ছ ) হয়।
যথা-
❐ বি + ছিন্ন = বিচ্ছিন্ন,
❐ এক + ছত্র = একচ্ছত্র,
❐ কথা + ছলে = কথাচ্ছলে।
৯০৩. 'ছায়াশীতল' কোন সমাস (ছায়াতে শীতল)?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -শাপলা- ০৯.১২.১১ 📖 বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়➟2014➯B ইউনিট 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2017➯খ ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
🔖ব্যাখ্যাঃপূর্বপদের বিভক্তি লোপে যে সমাস হয় এবং যে সমাসের পরপদের অর্থ প্রধান ভাবে বোঝায় তাকে তৎপুরুষ সমাস বলে।
যেমনঃছায়াতে শীতল=ছায়াশীতল, ধানের ক্ষেত=ধানক্ষেত
৯০৪. 'হারামণি' কোন সমাস (হারিয়েছে যে মণি)?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -শাপলা- ০৯.১২.১১ 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2005➯A ইউনিট 📖 বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়➟2014➯B ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
যেখানে বিশেষণ বা বিশেষণভাবাপন্ন পদের সাথে বিশেষ্য বা বিশেষ্যভাবাপন্ন পদের সমাস হয় এবং পরপদের অর্থই প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন: নীল যে আকাশ = নীলাকাশ।
৯০৫. গাড়ী "স্টেশন" ছাড়ল -বাক্যে উদ্ধৃত শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -শাপলা- ০৯.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝অপাদান কারক:
যা থেকে কোনো কিছু উৎপত্তি, বিচ্যুত, জাত, গৃহীত, আরম্ভ, দূরীভূত ও রক্ষিত হয়, তাকে বলা হয় অপাদান কারক।
❐ বাক্যের ক্রিয়াপদকে কোথা হতে, কি থেকে, কিসের থেকে ইত্যাদি প্রশ্ন করলে উত্তরে যে কারক পাওয়া যায়, তা-ই হলো অপাদান কারক।
❐ 'গাড়ী স্টেশন ছাড়ল' বাক্যে 'স্টেশন' থেকে গাড়িটি বিচ্যুত হয়েছে। এবং এতে কোনো বিভক্তি যুক্ত হয়নি।
❐ তাই 'স্টেশন' শব্দটি অপাদান কারকে শূন্য বিভক্তি।
৯০৬. কোনটি শুদ্ধ বানান?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -শাপলা- ০৯.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
সঠিক শব্দ - নিশীথিনী। এখানে প্রথমে ই-কার এবং পরে ঈ-কার নিয়ম মানা হয়েছে।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বাংলা একাডেমী অনুসারে নিশীথিনী শব্দটি সঠিক। নিশীথিনী (বিশেষ্য) - রাত্রি; রজনী। {(তৎসম বা সংস্কৃত) নিশীথ+ইন্(ইনি)+ঈ(ঙীষ্)}
৯০৭. কোন বানানটি শুদ্ধ?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -শাপলা- ০৯.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝'জ্ঞানভূষিত'- বানানটি শুদ্ধ।
❐ বাংলা একাডেমী আধুনিক বানান অভিধান অনুসারে
কিছু বানানের শুদ্ধরূপ
❐ ‘শিরশ্ছেদ’
❐ আকাঙ্ক্ষা
❐ ন্যূনতম
❐ অপরাহ্ণ
৯০৮. 'কবর' নাটকটির রচয়িতা কে?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -শাপলা- ০৯.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
বিখ্যাত নাট্যকার মুনীর চৌধুরী রচিত নাটক ‘কবর’। ৫২-এর ভাষা আন্দোলনের পটভূমিতে নাটকটি রচিত। তিনি ১৯৫৩ সালে ১৭ জানুয়ারি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বসে নাটকটি রচনা করেন। নাটকটি জেলের রাজবন্দিদের দ্বারা অভিনীত হয়।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝'কবর' নাটকের রচয়িতা- অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী।
❐ 'কবর' নাটক
❐ 'কবর' নাটকের পটভূমি হলো ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন।
❐ এটি ভাষা আন্দোলন ভিত্তিক প্রথম নাটক।
❐ জেলে বন্দি থাকা অবস্থায় ১৯৫৩ সালে বামপন্থী রণেশ দাশগুপ্ত জেলখানাতে ২১ ফেব্রুয়ারি উদযাপনের লক্ষে মুনীর চৌধুরীকে একটি নাটক লেখার অনুরোধ জানান।
❐ এই অনুরোধের ভিত্তিতে তিনি এ নাটকটি রচনা করেন।
❐ মুনীর চৌধুরীর মৌলিক নাটক:
❐ রক্তাক্ত প্রান্তর,
❐ চিঠি,
❐ কবর,
❐ দন্ডকারণ্য।
❐ অনুবাদ নাটক:
❐ কেউ কিছু বলতে পারে না,
❐ রূপার কৌটা ও
❐ মুখরা রমণী বশীকরণ।
৯০৯. বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত 'পথের পাঁচালি' একটি ---
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -শাপলা- ০৯.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত 'পথের পাঁচালি' একটি --- উপন্যাস।
পথের পাঁচালী হলো প্রখ্যাত সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত একটি বিখ্যাত উপন্যাস। বাংলার গ্রামে দুই ভাইবোন অপু আর দুর্গার বেড়ে ওঠা নিয়েই বিখ্যাত এই উপন্যাস।
এই উপন্যাসের ছোটদের জন্য সংস্করণটির নাম আম আঁটির ভেঁপু। পরবর্তীকালে বিখ্যাত বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায় এই উপন্যাসটি অবলম্বনে পথের পাঁচালী (চলচ্চিত্র) নির্মাণ করেন যা পৃথিবী-বিখ্যাত হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝'পথের পাঁচালী' বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত একটি জনপ্রিয় বাংলা উপন্যাস।
❐ 'পথের পাঁচালী' উপন্যাস
❐ ‘পথের পাঁচালী ‘ উপন্যাসটি ১৯২৯ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।
❐ লেখকের বর্ণনাগুণে উপন্যাসটিতে পল্লীবাংলার নৈসর্গিক সৌন্দর্য জীবন্ত হয়ে উঠেছে।
❐ অপরাজিত (১৯৩১) হলো পথের পাঁচালীর দ্বিতীয় খন্ড।
❐ উপন্যাসের প্রধান চরিত্র গুলো হলো- অপু, দুর্গা, ইন্দির ঠাকরুন, হরিহর, সর্বজয়া প্রমুখ।
❐ বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত অন্যান উল্লেখযোগ্য উপন্যাস:
❐ দৃষ্টি প্রদীপ
❐ আরণ্যক
❐ আদর্শ হিন্দু হোটেল
❐ দেবযান
❐ ইছামতী
❐ অনুবর্তন ইত্যাদি।
৯১০. বাপের বাড়িতে যাইবার কালে কহিত ধরিয়া পা "আমারে দেখিতে যাইও কিন্তু উজান-তলীর গাঁ"। পংক্তিটির রচয়িতা কে?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -শাপলা- ০৯.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖বাপের বাড়িতে যাইবার কালে কহিত ধরিয়া পা "আমারে দেখিতে যাইও কিন্তু উজান-তলীর গাঁ"। পংক্তিটির রচয়িতা জসীমউদ্দীন।
কবর কবিতাটি বাংলা সাহিত্যে জসীমউদ্দিনের এক অবিস্মরণীয় অবদান। ১ জানুয়ারি ১৯০৩ সালে ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে কবির জন্ম। কবি যে ঘরে থাকতেন সে বাড়ির সামনে সিঁড়ি, সিঁড়ির দু’দিকে লেবু গাছ, মাঝখানে ডালিম গাছ।
এই জায়গাটিই তাঁর কবিতার সৃষ্টির উৎসভূমি। তাঁর লেখনীতে উঠে এসেছে পল্লীমানুষের জীবনের হালচাল নিয়ে। ১৯২৫ সালে কবি জসীমউদ্দীন রচিত ‘কবর’ কাবিতাটি প্রথম কল্লোল পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
কল্লোল পত্রিকার তৃতীয় বর্ষ তৃতীয় সংখ্যায় ‘গ্রাম্য কবিতা’ পরিচয়ে মুদ্রিত ‘কবর’ প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই বিপুল সাড়া জাগিয়েছিল।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝'বাপের বাড়িতে যাইবার কাল কহিত ধরিয়া পা
আমারে দেখিতে যাইও কিন্তু উজান-তলীর গাঁ।' ____পঙক্তিটি কবি জসীমউদ্দীনের কবর কবিতা থেকে নেওয়া।
❐ 'কবর' কবিতা
❐ 'কবর' কবিতাটি কবি জসীমউদ্দীনের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘রাখালী’ (১৯২৭) এর অন্তর্ভুক্ত।
❐ এই কাব্যে মোট ১৯ টি কবিতা সংকলিত হয়েছে।
❐ কবর কবিতাটি প্রথম প্রকাশিত হয় 'কল্লোল' পত্রিকায়।
❐ এটি মত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত যাতে ১১৮ টি পঙক্তি আছে
❐ কবর- কবিতা
জসীমউদ্দীন
❐ এই খানে তোর দাদির কবর ডালিম-গাছের তলে,
তিরিশ বছর ভিজায়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে।
এতটুকু তারে ঘরে এনেছিনু সোনার মতন মুখ,
পুতুলের বিয়ে ভেঙে গেল বলে কেঁদে ভাসাইত বুক।
এখানে ওখানে ঘুরিয়া ফিরিতে ভেবে হইতাম সারা,
সারা বাড়ি ভরি এত সোনা মোর ছড়াইয়া দিল কারা!
সোনালি ঊষার সোনামুখ তার আমার নয়নে ভরি
লাঙল লইয়া খেতে ছুটিলাম গাঁয়ের ও-পথ ধরি।
যাইবার কালে ফিরে ফিরে তারে দেখে লইতাম কত
এ কথা লইয়া ভাবি-সাব মোরে তামাশা করিত শত।
এমনি করিয়া জানি না কখন জীবনের সাথে মিশে
ছোট-খাট তার হাসি ব্যথা মাঝে হারা হয়ে গেনু দিশে।
❐ বাপের বাড়িতে যাইবার কাল কহিত ধরিয়া পা
আমারে দেখিতে যাইও কিন্তু উজান-তলীর গাঁ।
৯১১. 'চক্ষুদান করা' বাগধারাটির অর্থ কি?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -শিউলি- ০৯.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖চক্ষুদান করা (চুরি) – পকেটমার আমার কলমটা চক্ষুদান করে নিয়ে গেল।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝'চক্ষুদান করা' বাগধারাটির অর্থ = চুরি করা
উদাহরণ- আমার পেনসিল টা আবার কে চক্ষুদান করল?
❐ আবার,
চোখের চামড়া/পর্দা = চক্ষুলজ্জা
চোখের বালি = চক্ষুশূল
চক্ষু চড়ক গাছ = বিস্ময়ে চোখ বড় হয়ে যাওয়া
চোখ কপালে তুলা = বিস্মিত হওয়া
চোখ নাচা = শুভাশুভের লক্ষণ
❐
৯১২. ওরে নবীন, ওরে আমার কাঁচা, ওরে সবুজ, ওরে অবুঝ, আধ-মরাদের ঘা তুই বাঁচা। ---পংক্তিটি কোন কবির রচনা?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -শিউলি- ০৯.১২.১১ 📖 ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়➟2015➯H ইউনিট 📖 15th BCS General Apr, 1993
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖"বলাকা" হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্ত্তৃক রচিত একটি বাংলা কাব্যগ্রন্থ। এটি ১৯১৬ খ্রীস্টাব্দে প্রকাশিত হয়। এটি রবীন্দ্রনাথের কাব্য রচনার "বলাকা পর্ব"-এর প্রথম উল্লেখযোগ্য সৃষ্টি। ১৯১৫-১৬ সালে কবির কাব্যগ্রন্থ নামক কাব্যসংকলনেও এটি অন্তর্ভুক্ত হয়। রবীন্দ্রনাথ ছিলেন গতির উপাসক। কবি-মনের এই গতির সুর "বালাকা" কাব্যে সুস্পষ্ট। সৃষ্টির গতিতত্ত্ব, বিশ্বজগতের মধ্যে চিরন্তন বেগের রহস্য এই কাব্যে পরিলক্ষিত হয়। এতে উপনিষদের চরৈবেতির আদর্শও লক্ষণীয়। এই কাব্যগ্রন্থের উল্লেখযোগ্য কবিতাগুলি হল "সবুজের অভিযান", "শঙ্খ", "ছবি", "শা-জাহান", "বলাকা" ইত্যাদি।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝আলোচ্য পক্তিটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত 'বলাকা' কাব্যগ্রন্থের 'ওরে নবীন, ওরে আমার কাঁচা' কবিতার অন্তর্গত।
❐ বলাকা কাব্যগ্রন্থের প্রকাশকাল ১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দ।
❐ এটি রবীন্দ্রনাথের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ।
কবিতাটি নিম্নরূপ-
❐ ওরে নবীন, ওরে আমার কাঁচা
❐ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর---বলাকা
❐ ওরে নবীন, ওরে আমার কাঁচা,
ওরে সবুজ, ওরে অবুঝ,
আধমরাদের ঘা মেরে তুই বাঁচা।
রক্ত আলোর মদে মাতাল ভোরে
আজকে যে যা বলে বলুক তোরে,
সকল তর্ক হেলায় তুচ্ছ ক'রে
পুচ্ছটি তোর উচ্চে তুলে নাচা।
আয় দুরন্ত, আয় রে আমার কাঁচা। (সংক্ষিপ্ত)
৯১৩. কাজী নজরুল ইসলাম রচিত 'রাজবন্দীর জবানবন্দী' একটি ---
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -শিউলি- ০৯.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖"রাজবন্দীর জবানবন্দী" কাজী নজরুল ইসলাম লিখিত একটি প্রবন্ধ। নজরূল সম্পাদিত অর্ধ-সাপ্তাহিক ধূমকেতু ১৯২৩ সালে ব্রিটিশ সরকার নিষিদ্ধ করে। সেই পত্রিকায় প্রকাশিত নজরুলের কবিতা আনন্দময়ীর আগমনে ও নিষিদ্ধ হয়। নজরুলকে জেলে আটক করে রাখার পর তার বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি লিখিতভাবে আদালতে উপস্থাপন করেন চার পৃষ্ঠার বক্তব্য। তাই রাজবন্দীর জবানবন্দী নামে পরিচিত।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝'রাজবন্দীর জবানবন্দী' কাজী নজরুল ইসলাম রচিত প্রবন্ধ।
❐ কাজী নজরুল ইসলাম ধূমকেতু পত্রিকার ২৬ সেপ্টেম্বর, ১৯২২ সংখ্যায় নজরুলের কবিতা আনন্দময়ীর আগমনে প্রকাশিত হলে, এই পত্রিকার উক্ত সংখ্যাটি নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়।
❐ একই বছরের ২৩ নভেম্বর তার যুগবাণী প্রবন্ধগ্রন্থ বাজেয়াপ্ত করা হয় এবং একই দিনে তাকে কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তাকে কুমিল্লা থেকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়।
❐ তাকে আটক করে তাঁর বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি লিখিতভাবে আদলতে উপস্থাপন করেন মাত্র চার পৃষ্ঠার বক্তব্য।
❐ যা 'রাজবন্দীর জবানবন্দী' নামে পরবর্তিতে প্রকাশিত হয়।
❐ নজরুল আদালতে লিখিত 'রাজবন্দীর জবানবন্দী' দিয়ে এবং প্রায় চল্লিশ দিন একটানা অনশন করে ইংরেজ সরকারের জেল-জুলুমের প্রতিবাদ জানিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেন।
❐ 'রাজবন্দীর জবানবন্দী' মূলত একটি প্রবন্ধ।
কিন্তু অপশনে 'প্রবন্ধ' না থাকায় 'প্রবন্ধগ্রন্থ' সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য উত্তর হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
❐
৯১৪. ওরা কদম আলী নাটকটির রচিয়িতা কে?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -শিউলি- ০৯.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖ঢাকার মঞ্চে নব্বই দশকে আলোচিত নাটকগুলোর অন্যতম ‘ওরা কদম আলী’। মামুনুর রশীদ রচিত এ নাটকটি নাটকের দল আরণ্যক নিয়মিত মঞ্চায়ন করত। মামুনুর রশীদ একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশী নাট্যকার, অভিনেতা ও নাট্য পরিচালক। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের মঞ্চ আন্দোলনের পথিকৃত। তার নাট্যকর্মে প্রখর সমাজ সচেতনতা লক্ষনীয়। শ্রেণী সংগ্রাম তার নাটকের এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তু।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝১৯৭৮ সালে 'ওরা কদম আলী' নাটকের মধ্য দিয়ে মামুনুর রশীদের আবির্ভাব ঘটে নাট্যকার হিসেবে।
❐ বঞ্চিত, শোষিত মানুষের শ্রেণি সংগ্রাম এর রূপকার হিসেবে বঞ্চিত, শোষিত মানুষের সংগ্রাম 'ওরা কদম আলী' নাটক সমকালীন বাংলা নাট্য-সাহিত্যের ধারায় যুক্ত করেছে নতুন মাত্রা।
❐ গরীব ও মেহনতি মানুষের ব্যক্তিক প্রতিবাদ সামষ্টিক রূপ কিভাবে পরীগ্রহণ করে কদম আলী নামের এক বোবা চরিত্রের মধ্য দিয়ে এ নাটকে তা দেখানো হয়েছে।
❐ তাঁর উল্লেখযোগ্য নাট্যকর্ম:
❐ ওরা কদম আলী (১৯৭৮)
❐ ওরা আছে বলেই(১৯৮০)
❐ ইবলিশ(১৯৮২)
❐ এখানে নোঙর(১৯৮৬)
❐ গিনিপিগ(১৯৮৫)
❐ পাথর(১৯৯৩)
❐ লেবেদেফ(১৯৯৭) ইত্যাদি।
৯১৫. কোন বানানটি শুদ্ধ?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -শিউলি- ০৯.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖সঠিক বানান- ক্ষীণজীবী। ক্ষীণজীবী শব্দের অর্থ- যাহার প্রাণ অল্পেই বিনষ্ট হইতে পারে এমন। প্রদত্ত শব্দটি একটি বিশেষণ পদ। এর বিশেষ্য পদ ক্ষীণজীবিতা।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝শুদ্ধ বানান - ক্ষীণজীবী
❐ ক্ষীণজীবী (বিশেষণ)
❐ সংস্কৃত শব্দ
❐ প্রকৃতি প্রত্যয় = ক্ষীণ+√জীব্∘+ইন
অর্থ: দীর্ঘজীবীনয় এমন, অল্পজীবী।
❐
৯১৬. কোনটি শুদ্ধ বানান?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -শিউলি- ০৯.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖সঠিক বানান- শশিভূষণ। শশিভূষণ শব্দের অর্থ-শশিশেখর, চন্দ্র মাথার ভূষণ যার, শিব, মহাদেব। প্রদত্ত শব্দটি একটি বিশেষ্য পদ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📌📝শুদ্ধ বানান - শশিভূষণ
❐ শশিভূষণ (বিশেষ্য)
❐ সংস্কৃত শব্দ
❐ প্রকৃতি প্রত্যয় = শশিন্∘+ভূষণ
অর্থ:
❐ চন্দ্র যার অলংকার বা শিরোভূষণ
❐ শিব
❐
৯১৭. 'অর্বাচীন' শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ কোনটি?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -শিউলি- ০৯.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖অর্বাচীন শব্দের অর্থ- নতুন, নবীন, অপক্কবুদ্ধি, মূর্খ ইত্যাদি। প্রদত্ত শব্দটি একটি বিশেষণ পদ।
প্রাচীন শব্দের অর্থ-পুরাতন, পুরোনো, সেকেলে, বয়োবৃদ্ধ ইত্যাদি। প্রদত্ত শব্দটি একটি বিশেষণ পদ।
তাই অর্বাচীন শব্দের বিপরীত শব্দ প্রাচীন।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝'অর্বাচীন' শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ = প্রাচীন
❐ অন্যদিকে,
অপরাধ - নিরপরাধ
অগ্রজ - অনুজ
অনভ্যাস - অনভ্যাস
❐
৯১৮. অল্প "শোকে" কাতর---বাক্যে উদ্ধৃত শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -শিউলি- ০৯.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖অল্প শোকে কাতর। বাক্যটিতে শোকে শব্দটি করণ কারকে ৭মী। কারণ,
করণ শব্দটির অর্থ- যন্ত্র, সহায়ক বা উপায়। ক্রিয়া সম্পাদনেরর যন্ত্র, সহায়ক বা উপকরণকেই করণ কারক বলা হয়। বাক্যের ক্রিয়াপদকে "কীসের দ্বারা" বা " কী উপায়ে" প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, তাই করণ কারক। প্রদত্ত বাক্যে "কিসের দ্বারা" কাতর প্রশ্ন করলে উত্তর পাওয়া যায় শোক । আর "য়" ৭মী বিভক্তি।
তাই সঠিক উত্তর: করণ কারকে ৭মী।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝করণ কারক
❐ যার দ্বারা বা যার সাহায্যে ক্রিয়া সম্পাদিত হয় তাকে করণ কারক বলে।
❐ ‘করণ' শব্দের অর্থ উপায় বা সহায়।
❐ বাক্যের ক্রিয়াপদকে ‘কার দ্বারা' বা 'কী উপায়ে' জিজ্ঞাসা করলে যে উত্তর পাওয়া যায় তা-ই করণ কারক।
❐ করণ কারকে সাধারণত দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক ইত্যাদি তৃতীয়া বিভক্তির (অনুসর্গের) ব্যবহার হয়।
❐ আবার, এ, য়, তে বা সপ্তমী বিভক্তির প্রয়োগ ঘটে।
❐ অল্প শোকে কাতর⇢ বাক্যে করণ কারকে ৭মী বিভক্তির প্রয়োগ ঘটেছে।
❐
৯১৯. "আষাঢ়ে" বৃষ্টি নামে---- বাক্যে উদ্ধৃত শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -শিউলি- ০৯.১২.১১ 📖 খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়➟2005➯খ ইউনিট 📖 জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়➟2016➯F ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖আষাঢ়ে বৃষ্টি নামে। প্রদত্ত বাক্যে আষাঢ়ে শব্দটি অধিকরণ কারকে ৭মী। কারণ,
ক্রিয়া সম্পাদনের কাল বা সময় এবং আধারকে অধিকরণ কারক বলে। অধিকরণ কারকে ৭মী অর্থাৎ এ, য়, তে ইত্যাদি বিভক্তি যুক্ত হয়। প্রদত্ত বাক্যে আষাঢ় শব্দটি দ্বারা কাল বুঝায় আর "এ" হচ্ছে ৭মী বিভক্তি।
তাই সঠিক উত্তর: অধিকরণ কারকে ৭মী।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝অধিকরণ কারক:
যে কারকে স্থান, কাল, বিষয় ও ভাব নির্দেশিত হয়, তাকে অধিকরণ কারক বলে।
এই কারকে সাধারণত ‘এ’, ‘য়’, ‘সে’, ‘-তে’ ইত্যাদি বিভক্তি শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়। যেমন ➞
বাবা বাড়িতে আছেন।
বিকাল পাঁচটায় অফিস ছুটি হবে।
রাজীব বাংলা ব্যাকরণে ভালো।
❐ একইভাবে,
‘আষাঢ়ে বৃষ্টি নামে' এই বাক্যে ‘আষাঢ়ে’ পদটি অধিকরণ কারকে ৭মী বিভক্তি
❐
৯২০. অনুতাপ (তাপের পশ্চাৎ) কোন সমাস?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -শিউলি- ০৯.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖পূর্বপদে অব্যয়যোগে নিষ্পন্ন সমাসে যদি অব্যয়েরই অর্থের প্রাধান্য থাকে, তবে তাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে। অব্যয়ীভাব সমাসে কেবল অব্যয়ের অর্থযোগে ব্যাসবাক্যটি রচিত হয়। সামীপ্য, পশ্চাতে, পর্যন্ত, অভাব প্রভৃতি নানা অর্থে অব্যয়ীভাব সমাস হয়। যেমন :
পশ্চাৎ (অনু) অর্থে : তাপের পশ্চাৎ = অনুতাপ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝পূর্বপদে অব্যয়যোগে নিষ্পন্ন সমাসে যদি অব্যয়েরই অর্থের প্রাধান্য থাকে তবে তাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে।
❐ অব্যয়ীভাব সমাসে কেবল অব্যয়ের অর্থযোগে ব্যাসবাক্যটি রচিত হয়।
যেমন:
জানু পর্যন্ত (পর্যন্ত শব্দের অব্যয় আ) লম্বিত = আজানুলম্বিত (বাহু),
মরণ পর্যন্ত = আমারণ।
❐ সামীপ্য, বিপ্∘সা, পর্যন্ত, অভাব, অনতিক্রম্যতা, সাদৃশ্য, যোগ্যতা প্রভৃতি নানা অর্থে অব্যয়ীভাব সমাস হয়।
পশ্চাৎ (অনু):
❐ পশ্চাৎ গমন = অনুগমন।
❐ পশ্চাৎ ধাবন = অনুধাবন।
❐ তাপের পশ্চাৎ = অনুতাপ
❐
৯২১. আশীবিষ (আশীতে বিষ যার) কোন সমাস?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -শিউলি- ০৯.১২.১১ 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2005➯A ইউনিট 📖 বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়➟2014➯B ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖আশীতে বিষ যার= আশীবিষ। এটি একটি ব্যাধিকরণ বহুব্রীহি সমাস। কারণ,
বহুব্রীহি সমাসের পূর্বপদ এবং পরপদ কোনটিই যদি বিশেষণ না হয়, তবে তাকে ব্যাধিকরণ বহুব্রীহি সমাস বলে। যেমন:
আশীতে (দাঁতে) বিষ যার= আশীবিষ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝যে সমাসে পূর্বপদ বা পরপদ কোনোটির অর্থ না বুঝিয়ে অন্য কিছু বোঝায়, তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে।
যেমন ➞
বউ ভাত পরিবেশন করে যে অনুষ্ঠানে = বউভাত,
লাঠিতে লাঠিতে যে যুদ্ধ = লাঠালাঠি ইত্যাদি।
▣ পূর্বপদ ও পরপদ উভয়ই বিশেষ্য হলে বা কখনো কখনো ক্রিয়াবিশেষ্য হলে ব্যাধিকরণ বহুব্রীহি সমাস হয়।
যেমন :
❐ গোঁফে খেজুর যার = গোঁফখেজুরে।
❐ কথা সর্বস্ব যার = কথাসর্বস্ব
- আশীতে বিষ যার = আশীবিষ
❐
৯২২. 'উদ্যোগ' শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -শিউলি- ০৯.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖আমরা জানি, ব্যঞ্জনধ্বনির সাথে ব্যঞ্জনধ্বনির যে সন্ধি হয়, তাকে ব্যঞ্জনসন্ধি বলে। কতগুলো ব্যঞ্জনসন্ধি বিশেষ নিয়মে সাধিত হয়। যেমন:
উৎ + যোগ = উদ্যোগ
উৎ + স্থান =উত্থান ; তাই সঠিক উত্তর: উৎ + যোগ = উদ্যোগ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝'উদ্যোগ' শব্দের সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ হলো- উৎ + যোগ
❐ এটি একটি ব্যঞ্জনসন্ধির উদাহরণ।
❐ এতে ত্∘+য = দ্∘+য সূত্রটি প্রয়োগ ঘটেছে।
অনুরূপভাবে, উৎ + দম= উদ্যম ।
৯২৩. কোনটি 'অন্ধকার' শব্দের সমার্থক শব্দ?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -শিউলি- ০৯.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖অন্ধকারের সমার্থক শব্দ: আধাঁর , তমসা, তিমির, শর্বর।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝'অন্ধকার' শব্দের সমার্থক শব্দ = 'তমসা'
অন্যান্য সমার্থক শব্দ = আঁধার, আধারি, তিমির, তমিস্র, শর্বর, তমঃ, তমিস্রা, আঁধিয়ার, তিমির ইত্যাদি।
৯২৪. 'আপনাকে পণ্ডিত মনে করে যে।' ----এক কথায় কী হবে?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -শিউলি- ০৯.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖পণ্ডিতম্মন্য, পণ্ডিতাভিমানী বিণ. (পাণ্ডিত্যহীন হয়েও) যে নিজেকে পণ্ডিত বলে মনে করে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝'আপনাকে যে পণ্ডিত মনে করে' = পণ্ডিতম্মন্য
❐ অপে জন্মে যার = অপব্জ
অতি কর্মনিপুন ব্যক্তি = ধুরন্ধর
যে পুরুষ বিয়ে করেছে = কৃতদার
৯২৫. 'এক বিষয়ে যার চিত্ত নিবিষ্ট।' ---এক কথায় হবে ----
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -শিউলি- ০৯.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖এক বিষয়ে যার চিত্ত নিবিষ্ট - একাগ্রচিত্ত।
অন্যদিকে মন নেই এমন- একমনা।
অন্যদিকে মন যার - অন্যমনা।
প্রণিধান, অভিনিবেশ; একাগ্রতা- মনোযোগ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝এক বিষয়ে নিবিষ্ট চিত্ত = একাগ্রচিত্ত/অনন্যমনা
❐ অন্য দিকে মন যার = অন্যমনা
❐ এক দিকে মন যার = একমনা
❐ মনোযোগ দিয়েছে এমন = মনোযোগী/অভিনিবিষ্ট
৯২৬. নাচে পাপ-সিন্ধু তুঙ্গ তরঙ্গ। মৃত্যুর মহানিশা রুদ্র উলঙ্গ । নিঃশেষে নিশাচর গ্রাসে মহাবিশ্বে, ত্রাসে কাঁপে তরণীর পাপী যত নিঃস্বে। পংক্তিটি কোন কবির রচনা?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -হাসনাহেনা- ০৯.১২.১১ 📖 ৩য় বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস প্রিলিমিনারী পরীক্ষা, .০৭ 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2012➯E ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖নাচে পাপ-সিন্ধু তুঙ্গ তরঙ্গ। মৃত্যুর মহানিশা রুদ্র উলঙ্গ । নিঃশেষে নিশাচর গ্রাসে মহাবিশ্বে, ত্রাসে কাঁপে তরণীর পাপী যত নিঃস্বে।
পংক্তিটি কাজী নজরুল ইসলাম রচনা।
পঙক্তি টি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের খেয়া পারের তরণী কবিতার অংশবিশেষ। কবিতাটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২০ সালে মুসলিম ভারত পত্রিকায়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝আলোচ্য পঙক্তিটি কাজী নজরুল ইসলামের 'অগ্নিবীণা' কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত 'খেয়া পারের তরণী' কবিতার অন্তর্গত-
কবিতাটি নিম্নরূপ-
❐ খেয়া পারের তরণী
-কাজী নজরুল ইসলাম।
❐ "যাত্রীরা রাত্তিরে হতে এল খেয়া পার,
বজ্রেরি তূর্যে এ গর্জেছে কে আবার?
প্রলয়েরি আহ্বান ধ্বনিল কে বিষাণে!
ঝন্∘ঝা ও ঘন দেয়া স্বনিল রে ঈশানে!
❐ নাচে পাপ-সিন্ধুতে তুঙ্গ তরঙ্গ!
মৃত্যুর মহানিশা রুদ্র উলঙ্গ!
নিঃশেষে নিশাচর গ্রাসে মহাবিশ্বে,
ত্রাসে কাঁপে তরণীর পাপী যত নিঃস্বে।
৯২৭. 'ক্রীতদাসের হাসি' শওকত ওসমান রচিত একটি ----
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -হাসনাহেনা- ০৯.১২.১১ 📖 38th BCS General Dec, 2017 📖 38th BCS General Dec, 2017
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖'ক্রীতদাসের হাসি' শওকত ওসমান রচিত একটি ---- উপন্যাস।
শেখ আজিজুর রহমান (২ জানুয়ারি ১৯১৭–মে ১৪, ১৯৯৮), যিনি শওকত ওসমান কলমি নামে অধিক পরিচিত, বাংলাদেশের একজন চিন্তক, লেখক ও কথাসাহিত্যিক। তিনি একাধারে নাটক, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, রম্যরচনা, রাজনৈতিক লেখা, শিশু-কিশোর সাহিত্য রচনা করেছেন।
তার কিছু উপন্যাস সম্পাদনা:
জননী (১৯৫৮) (১ম উপন্যাস), ক্রীতদাসের হাসি (১৯৬২), সমাগম (১৯৬৭), চৌরসন্ধি (১৯৬৮), রাজা উপাখ্যান (১৯৭১), জাহান্নম হইতে বিদায় (১৯৭১), দুই সৈনিক (১৯৭৩), নেকড়ে অরণ্য (১৯৭৩)।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝'ক্রীতদাসের হাসি' গ্রন্থের রচয়িতা শওকত ওসমান।
❐ কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক শওকত ওসমান এর প্রকৃত নাম প্রকৃত নাম শেখ আজিজুর রহমান।
❐ শওকত ওসমানের 'ক্রিতদাসের হাসি' (১৯৬২) উপন্যাসটিতে প্রতীকাশ্রয়ে তৎকালীন পাকিস্তানিদের বিরূপ শাসনের সমালোচনা করা হয়েছে।
❐ এটি শওকত ওসমানের সর্বশ্রেষ্ঠ উপন্যাস বলে স্বীকৃত।
❐ তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাস:
❐ জননী,
❐ ক্রীতদাসের হাসি,
❐ সমাগম,
❐ চৌরসন্ধি,
❐ রাজা উপাখ্যান,
❐ জাহান্নাম হইতে বিদায়,
❐ দুই সৈনিক,
❐ নেকড়ে অরণ্য,
❐ পতঙ্গ পিঞ্জর,
❐ আর্তনাদ,
❐ রাজপুরুষ ইত্যাদি
৯২৮. 'পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়' নাটকটির নাট্যকার ---
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -হাসনাহেনা- ০৯.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
২
ব্যাখ্যাঃ
🔖'পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়' নাটকটির নাট্যকার --- সৈয়দ শামসুল হক।
সৈয়দ শামসুল হক (২৭ ডিসেম্বর ১৯৩৫ - ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬) বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে সক্রিয় একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশী সাহিত্যিক। কবিতা, উপন্যাস, নাটক, ছোটগল্প, অনুবাদ তথা সাহিত্যের সকল শাখায় সাবলীল পদচারণার জন্য তাকে 'সব্যসাচী লেখক' বলা হয়।
তার পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় নাটকটি মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে রচিত একটি কাব্য নাটক। তার পরের নাটক নুরুলদীনের সারাজীবন ফকির বিদ্রোহের পটভূমিতে রচিত। সৈয়দ হক তার রচনায় সমসাময়িক বাংলাদেশ এবং মধ্যবিত্ত সমাজের আবেগ-অনুভূতি ও ভালো-মন্দ দিকগুলো তুলে ধরেন। তার অন্যান্য নাটক নারীগণ, যুদ্ধ এবং যোদ্ধা, ঈর্ষা, এখানে এখন-এ সমকালীন বাস্তবতা ফুটে ওঠেছে।
৯২৯. কোনটি শুদ্ধ বানান?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -হাসনাহেনা- ০৯.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖সংকীর্ণমনা বানানটি শুদ্ধ।
আরো কিছু শুদ্ধ বানান হলো শ্রদ্ধাঞ্জলি, সংকীর্ণ, সম্মোধন ইত্যাদি।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝সংকীর্ণমনা (বিশেষণ)
❐ সংস্কৃত শব্দ
❐ প্রকৃতি প্রত্যয় = সংকীর্ণ+মনস্∘
অর্থ: সংকীর্ণচিত্ত
৯৩০. কোন বানানটি শুদ্ধ?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -হাসনাহেনা- ০৯.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖রৌদ্রকরোজ্জ্বল বানানটি শুদ্ধ।
এরূপ আরো কিছু শুদ্ধ বানান হলো : রণকৌশল, রঙ্গিন, ব্যঞ্জন ইত্যাদি।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝রৌদ্রকরোজ্জ্বল (বিশেষণ)
❐ সংস্কৃত শব্দ
❐ প্রকৃতি প্রত্যয় = রৌদ্র+কর+উজ্জ্বল
অর্থ: সূর্যের আলোয় উদ্ভাসিত।
৯৩১. "আলোয়" আঁধার কাটে ---বাক্যে উদ্ধৃত শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -হাসনাহেনা- ০৯.১২.১১ 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2005➯A ইউনিট 📖 ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়➟2011➯C ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖"আলোয়" আঁধার কাটে ---বাক্যে উদ্ধৃত শব্দটি করণ কারকে ৭মী বিভক্তি।
'করণ' শব্দের অর্থ: যন্ত্র, সহায়ক বা উপায়। ক্রিয়া সম্পাদনের যন্ত্র, উপকরণ বা সহায়ককেই করণ কারক বলা হয়।
বাক্যস্থিত ক্রিয়াপদের সঙ্গে 'কিসের দ্বারা' বা 'কী উপায়ে' প্রশ্ন করলে যে উত্তরটি পাওয়া যায়, তা-ই করণ কারক।
যেমন- নীরা কলম দিয়ে লেখে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝করণ কারক
❐ যার দ্বারা বা যার সাহায্যে ক্রিয়া সম্পাদিত হয় তাকে করণ কারক বলে।
❐ ‘করণ' শব্দের অর্থ উপায় বা সহায়।
❐ বাক্যের ক্রিয়াপদকে ‘কার দ্বারা' বা 'কী উপায়ে' জিজ্ঞাসা করলে যে উত্তর পাওয়া যায় তা-ই করণ কারক।
❐ করণ কারকে সাধারণত দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক ইত্যাদি তৃতীয়া বিভক্তির (অনুসর্গের) ব্যবহার হয়।
❐ আবার, এ, য়, তে বা সপ্তমী বিভক্তির প্রয়োগ ঘটে।
❐ যেমন - “আলোয় আঁধার কাটে।” - এই বাক্যে কিসের দ্বারা বা কী উপায়ে আঁধার কাটে প্রশ্ন করলে উত্তর পাওয়া যায় ‘আলোয়’।
এবং এর সাথে সপ্তমী বিভক্তি ‘য়’ যুক্ত হয়েছে।
৯৩২. ছেলেরা "ক্রিকেট" খেলে ---বাক্যে উদ্ধৃত শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -হাসনাহেনা- ০৯.১২.১১ 📖 জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়➟2018➯F ইউনিট 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝কর্ম কারক:
যাকে আশ্রয় করে কর্তা ক্রিয়া সম্পাদন করে, তাকে কর্ম কারক বলে।
বাক্যের মুখ্য কর্ম ও গৌণ কর্ম - উভয় ধরনের কর্মই কর্ম কারক হিসেবে গণ্য হয়।
সাধারণত মুখ্য কর্ম কারকে বিভক্তি হয় না, তবে গৌণ কর্ম কারকে ‘কে’ বিভক্তি হয়।
যেমন -
সে রোজ সকালে এক প্লেট ভাত খায়।
শিক্ষককে জানাও।
❐ "ছেলেরা ক্রিকেট খেলে" এখানে ক্রিকেট-কে আশ্রয় করে ক্রিয়া সম্পাদিত হয়েছে।
❐ এবং এতে কোনো বিভক্তি ব্যবহৃত হয় নি।
❐ তাই এটি কর্মে শূন্য।
৯৩৩. 'অবোধ' কোন সমাস (নাই বোধ যার)?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -হাসনাহেনা- ০৯.১২.১১ 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2005➯A ইউনিট 📖 বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়➟2014➯B ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖'অবোধ' বহুব্রীহি সমাস (নাই বোধ যায়)।
যে সমাসে সমস্যমান পদগুলোর কোনোটির অর্থ না বুঝিয়ে, অন্য কোনো পদকে বোঝায়, তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে।
যেমন: বহু ব্রীহি (ধান) আছে যার= বহুব্রীহি। এখানের 'বহু' কিংবা 'ধান' কোনোটিরই অর্থের প্রাধান্য নেই, যার বহু ধান আছে এমন লোককে বোঝাচ্ছে।
বহুব্রীহি সমাসে সাধারণত যার, যাতে ইত্যাদি শব্দ ব্যাসবাক্যরূপে ব্যবহৃত হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝যে সমাসে সমস্যমান পদগুলোর কোনোটির অর্থ না বুঝিয়ে, অন্য কোনো পদকে বোঝায়, তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে।
▣ নঞ বহুব্রীহি সমাস:
❐ বিশেষ্য পূর্বপদের আগে নঞ (না অর্থবোধক) অব্যয়যোগে বহুব্রীহি সমাস করা হলে তাকে নঞ বহুব্রীহি সমাস বলে।
❐ নঞ বহুব্রীহি সমাসে সাধিত পদটি বিশেষণ হয়।
যেমন-
❐ বে (নাই) ঈমান যার = বেঈমান,
❐ ন (নাই) জ্ঞান যার = অজ্ঞান,
❐ না (নাই) চারা (উপায়) = নাচার,
❐ নি (নাই) ভুল যার = নির্ভুল,
❐ না (নয়) জানা যা = নাজানা,
❐ অ (নাই) আদি যার = অনাদি ইত্যাদি।
❐ তাই, নাই বোধ যার = 'অবোধ'; নঞ বহুব্রীহি সমাস।
৯৩৪. 'শশব্যস্ত' কোন সমাস (শশকের ন্যায় ব্যস্ত)?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -হাসনাহেনা- ০৯.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖'শশব্যস্ত' কর্মধারয় সমাস (শশকের ন্যায় ব্যস্ত)।
যে সমাসে বিশেষণ বা বিশেষণভাবাপন্ন পদের সাথে বিশেষ্য বা বিশেষ্যভাবাপন্ন পদের সমাস হয় এবং পরপদের অর্থই প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে কর্মধারয় সমাস বলে।
যেমন: নীল যে পদ্ম= নীলপদ্ম, শান্ত অথচ শিষ্ট= শান্তশিষ্ট, কাঁচা অথচ মিঠা= কাঁচামিঠা।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝'শশব্যস্ত' এর ব্যাসবাক্য = শশের মতো ব্যস্ত
▣ যার সঙ্গে তুলনা করা হয়, তা উপমান। কিছু কর্মধারয় সমাসে উপমানের সঙ্গে গুণবাচক শব্দের সমাস
হয়। এগুলোকে উপমান কর্মধারয় বলে।
যেমন ➞
কাজলের মতো কালো = কাজলকালো
শশের মতো ব্যস্ত = শশব্যস্ত
এই সমাসে পরপদ সাধারণত বিশেষণ হয়।
❐
৯৩৫. 'চলচ্চিত্র' শব্দের সন্ধি-বিচ্ছেদ কোনটি?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -হাসনাহেনা- ০৯.১২.১১ 📖 বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়➟2011➯C ইউনিট 📖 ১১তম বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন পরীক্ষা-(স্কুল/সমপর্যায়)-১২.১২.১৪
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖'চলচ্চিত্র' শব্দের সন্ধি-বিচ্ছেদ চলৎ + চিত্র।
স্বরে আর ব্যঞ্জনে অথবা ব্যঞ্জনে ও ব্যঞ্জনে অথবা ব্যঞ্জনে ও স্বরে যে সন্ধি হয় তাকে ব্যঞ্জন সন্ধি বলে। ব্যঞ্জনসন্ধি মূলত কথ্য রীতিতে সীমাবদ্ধ। প্রকৃত বাংলা ব্যঞ্জন সন্ধি মূলত সমীভবন এর নিয়মে হয়ে থাকে। ব্যঞ্জন সন্ধিকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়।
যেমন, বিপজ্জনক = বিপদ + জনক, চলচ্চিত্র = চলৎ + চিত্র।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝ব্যঞ্জন+ব্যঞ্জন
ব্যঞ্জনসন্ধিতে একটি ধ্বনির প্রভাবে পার্শ্ববর্তী ধ্বনি পরিবর্তিত হয়ে যায়। যেমন ➞
❐ চলৎ + চিত্র = চলচ্চিত্র (এখানে চ-এর প্রভাবে ত হয়েছে চ)
বিপদ্∘+জনক = বিপজ্জনক (এখানে জ-এর প্রভাবে দ হয়েছে জ)
উৎ+লাস = উল্লাস (এখানে ল-এর প্রভাবে ত হয়েছে ল)
বাক্∘+দান = বাগদান (এখানে ঘোষধ্বনি দ-এর প্রভাবে ক হয়েছে গ)
তৎ+মধ্যে = তন্মধ্যে (এখানে নাসিক্য ধ্বনি ম-এর প্রভাবে ত হয়েছে ন)
শম্+কা = শঙ্কা (এখানে কণ্ঠ্যধ্বনি ক-এর প্রভাবে ম হয়েছে ঙ)
সম্+চয় = সঞ্চয় (এখানে তালব্যধ্বনি চ-এর প্রভাবে ম হয়েছে ঞ )
সম্+তাপ = সন্তাপ (এখানে দন্ত্যধ্বনি ত-এর প্রভাবে ম হয়েছে ন)
সম্+মান = সম্মান (এখানে ওষ্ঠ্যধ্বনি ম-এর প্রভাবে ম অপরিবর্তিত রয়েছে)
ষষ্∘+থ = ষষ্ঠ (এখানে মূর্ধন্যধ্বনি ষ-এর প্রভাবে থ হয়েছে ঠ)
৯৩৬. কোনটি 'উচাটন' শব্দের সমার্থক শব্দ?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -হাসনাহেনা- ০৯.১২.১১ 📖 দুদক➺কনস্টেবল☞23.9.22
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖'উচাটন' শব্দের সমার্থক শব্দ উৎকণ্ঠা।
উচাটন (বিশেষ্য পদ) শব্দের সমার্থক শব্দ: উৎকণ্ঠা; ব্যাকুলতা। (বিশেষণ পদ) উৎকণ্ঠিত; ব্যাকুল; অধীর।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে,
উচাটন (বিশেষণ)
অর্থ: ব্যাকুল; অস্বস্তিপূর্ণ; উৎকণ্ঠিত
(বিশেষ্য) অর্থ: ব্যাকুলতা; উৎকণ্ঠা।
❐ বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর অনুসারে,
'উচাটন' এর বিপরীত শব্দ প্রশান্ত। উচাটন' শব্দের অর্থ ব্যাকুল, অস্বস্তিপূর্ণ, উৎকন্ঠিত, উৎকণ্ঠা, ব্যাকুলতা।
৯৩৭. 'আদিষ্ট' শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ কোনটি?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -হাসনাহেনা- ০৯.১২.১১ 📖 বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস লি.-সাব-এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (সিভিল)-১০.২১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖'আদিষ্ট' শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ নিষিদ্ধ।
উদ্যত শব্দের বিপরীত শব্দ বিরত।
আসক্ত শব্দের বিপরীত শব্দ অনাসক্ত।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝'আদিষ্ট' শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ = নিষিদ্ধ।
❐ ‘আসক্তি’ এর বিপরীত শব্দ - নিরাসক্তি, বৈরাগ্য, অনাসক্ত
'উদ্যত' শব্দের বিপরীত শব্দ - বিরত
'হাজির' শব্দের বিপরীত শব্দ - গরহাজির।
৯৩৮. 'ইঁদুর কপালে' বাগধারাটির অর্থ কি?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -হাসনাহেনা- ০৯.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖'ইঁদুর কপালে' বাগধারাটির অর্থ মন্দ ভাগ্য।
ইঁদুর কপালে (মন্দ ভাগ্য) – এতো কষ্ট করেও সুখের মুখ দেখলে না, তুমি আসলেই একটা ইঁদুর কপালে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝'ইঁদুর কপালে' বাগধারাটির অর্থ = মন্দ ভাগ্য
উদাহরণ: তার মত ইঁদুর কপালে লোক খুব কমই দেখেছি।
৯৩৯. যার আগমনের কোন তিথি নেই-- এক কথায় হবে ---
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -হাসনাহেনা- ০৯.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖যার আগমনের কোন তিথি নেই-- এক কথায় হবে --- অতিথি।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝যার আগমনের কোনো তিথি নেই - অতিথি
❐ আরও কিছু এক কথায় প্রকাশ-
যার কোন উপায় নাই - নিরুপায়
যার অন্য উপায় নাই - অনন্যোপায়
যা আঘাত পায়নি - অনাহত
যার কোন অবলম্বন নাই - নিরবলম্বন
৯৪০. 'যা দমন করা যায় না' -এক কথায় হবে -----
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -হাসনাহেনা- ০৯.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖'যা দমন করা যায় না' -এক কথায় হবে ----- অদম্য।
যা দমন করা কষ্টকর- দুর্দমনীয়।
যা দমন করা সম্ভব নয়- অসম্ভব।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝যা দমন করা যায় না- অদম্য।
❐ আরও কিছু এক কথায় প্রকাশ-
নিবারণ করা যায় না এমন ➞ অনিবার্য।
যা সহজে দমন করা যায় না ➞ দুর্দম।
অতি কষ্টে যা নিরাবরণ করা যায় - দুর্নিবার।
৯৪১. ’নন্দিত’ এর বিপরীতার্থক শব্দ কোনটি?
সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০১৪(১২ জেলা) ; সহকারী শিক্ষক -২০.০৪.১৮
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖নন্দিত (বিশেষণ) - আনন্দিত; সন্তোষপ্রাপ্ত, প্রশংসা, প্রশংসিত। নিন্দা, নিন্দিত (বিশেষ্য) নিন্দা করা হয়েছে এরূপ; অপবাদিত।
৯৪২. কোন বানানটি অশুদ্ধ?
সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০১৪(১২ জেলা) ; সহকারী শিক্ষক -২০.০৪.১৮
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বাংলা একাডেমী অভিধানে উপচার্য বলে কোন শব্দ নেই। উপাচার্য (বিশেষ্য) - আচার্যেরে সহকারী; বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রধান।
৯৪৩. বরনের যোগ্য যিনি, বাক্যটিকে এক কথায় প্রকাশ করুন।
সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০১৪(১২ জেলা) ; সহকারী শিক্ষক -২০.০৪.১৮
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖বরেণ্য : (বিশেষণ পদ) শ্রেষ্ঠ, বরণীয়, প্রার্থনীয়।
বীরপুরুষ: সাহসী বা যুদ্ধপটু ব্যক্তি; বিশিষ্ট জন (রথী মহারথী)।
বরণীয় : (বিশেষণ পদ) বরণযোগ্য, পূজনীয়, গ্রহণীয়, প্রার্থনীয়।
বীর : [বিশেষণ পদ] শূর, বলবান্, সাহসী, রণকুশল, অসামান্য কর্মী।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বরেণ্য = বরণ করার যোগ্য যিনি; শ্রেষ্ঠ; প্রার্থনীয়।
আবার 'বরণীয়' = বরণের উপযুক্ত; যাচ্ঞার যোগ্য; প্রার্থনীয়।
অর্থ অনুসারে তাই 'বরেণ্য' আর 'বরণীয়' প্রায় সমার্থক।
তবে, বাংলা একাডেমি অভিধানে, 'বরনীয়' বলতে কোন শব্দ নেই।
তাই সঠিক উত্তর - বরেণ্য।
৯৪৪. ’মাথা খাও’ ভুলিওনা কেয়ো মনে করে, মাথা কাও বলতে বুঝায়-
সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০১৪(১২ জেলা) ; সহকারী শিক্ষক -২০.০৪.১৮
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖বাংলা ভাষায় এমন কতকগুলো বিশেষ্য, বিশেষণ ও ক্রিয়াপদ আছে যেগুলো ভিন্ন ভিন্ন অর্থে বাক্যে ব্যবহৃত হয়। এসব শব্দের প্রত্যেকটি নিজস্ব আভিধানিক অর্থের অতিরিক্ত একাধিক বিশিষ্ট অর্থে ব্যবহৃত হয়ে বাক্যের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করে। যেমন: ‘মাথা খাও, চিঠি দিতে ভুলো না’- এখানে ‘মাথা খাও’ দিব্যি দেওয়া অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖মাথা খাওয়া - শপথ করা; মাথাব্যথা - আগ্রহ; মাথা ধরা - রোগবিশেষ। মাথা দেওয়া - দায়িত্বগ্রহণ।
৯৪৫. বহুব্রীহি সমাস কয় প্রকার ?
সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০১৪(১২ জেলা) ; সহকারী শিক্ষক -২০.০৪.১৮
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖বহুব্রীহি সমাস আট প্রকার।
যে সমাসে সমস্যমান পদগুলোর কোনোটির অর্থ না বুঝিয়ে, অন্য কোনো পদকে বোঝায়, তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে।
যেমন: বহু ব্রীহি (ধান) আছে যার= বহুব্রীহি।
বহুব্রীহি সমাস আট প্রকার। যথা:
১. সমানাধিকরণ বহুব্রীহি,
২. ব্যাধিকরণ বহুব্রীহি,
৩. ব্যতিহার বহুব্রীহি,
৪. নঞ্ বহুব্রীহি,
৫. মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি,
৬. প্রত্যয়ান্ত বহুব্রীহি,
৭. অলুক বহুব্রীহি,
৮. সংখ্যাবাচক বহুব্রীহি।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা-ড. সৌমিত্র শেখর এই বইয়ে আছে বহুব্রীহি সমাস নয় প্রকার। ভাষা-শিক্ষা, ড.হায়াৎ মামুদ এবং শীকর বাংলা ভাষা ও সাহিত্য-মোহসীনা নাজিলা বই দুটিতে বলা আছে আট প্রকার।
৯৪৬. কচু বনে কাঁলাচাদ’ বাগধারাটির অর্থ কী?
সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০১৪(১২ জেলা) ; সহকারী শিক্ষক -২০.০৪.১৮ 📖 বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়➟2009➯A ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖কচু বনে কালাচাঁদ (অপদার্থ): পড়াশুনার নাম নেই, পোশাকের কি ঘটা। এমন কচু বনের কালাচাঁদ আর দেখিনি।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖কচুবনের কালাচাঁদ - অপদার্থ। কায়েতের ঘরের ঢেঁকি - অপদার্থ লোক।
৯৪৭. ’প্রত্যুষ’ শব্দর সন্ধি বিচ্ছেদ করুন।
সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০১৪(১২ জেলা) ; সহকারী শিক্ষক -২০.০৪.১৮
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖’প্রত্যুষ’ শব্দর সন্ধি বিচ্ছেদ প্রতি+ ঊষ।
ই/ঈ এরপরে ই/ঈ ছাড়া অন্য কোন স্বরধ্বনি থাকলে ই/ঈ-র জায়গায় য (য-ফলা,্য) হয় এবং তা ই/ঈ-র আগের ব্যঞ্জনের সঙ্গে যুক্ত হয়।
ই+ঊ = য-ফলা+ ঊ
প্রতি+উষ = প্রত্যূষ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖ই-কার বা ঈ-কার পর ই ও ঈ ভিন্ন অন্য স্বর থাকলে সন্ধির ক্ষেত্রে ই বা ঈ - স্থানে 'য' বা 'য-ফলা' হয়। য-ফলা লেখার সময় পূর্ববর্তী ব্যঞ্জনের সাথে লেখা হয়।
যেমন -
অতি + অন্ত = অত্যন্ত (ই + অ = য্▫ + অ)
অতি + উক্তি = অত্যুক্তি (ই + উ = য্▫ + উ); একই ভাবে, প্রতি + উষ = প্রত্যুষ।
প্রতি + ঊষ = প্রত্যূষ (ই + ঊ = য্▫ + ঊ)
নদী + অম্বু = নদ্যম্বু (ঈ + অ = য্▫ + অ)
৯৪৮. লোক সাহিত্য কাকে বলে?
সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০১৪(১২ জেলা) ; সহকারী শিক্ষক -২০.০৪.১৮
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖Spectrum(বর্ণচ্ছটা; বর্ণালি) এর Plural হচ্ছে Spectra এরকম আরো কিছু উদাহরণ হচ্ছে sgendum- agenda/datum-Data/Memorandum Memoranda. অতএব, সঠিক উত্তর (খ)।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖লোকসাহিত্য মৌখিক ধারার সাহিত্য যা অতীত ঐতিহ্য ও বর্তমান অভিজ্ঞতাকে আশ্রয় করে রচিত হয়। একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক পরিমন্ডলে একটি সংহত সমাজমানস থেকে এর উদ্ভব। সাধারণত অক্ষরজ্ঞানহীন পল্লিবাসীরা স্মৃতি ও শ্রুতির ওপর নির্ভর করে এর লালন করে। মূলে ব্যক্তিবিশেষের রচনা হলেও সমষ্টির চর্চায় তা পুষ্টি ও পরিপক্কতা লাভ করে। এজন্য লোকসাহিত্য সমষ্টির ঐতিহ্য, আবেগ, চিন্তা ও মূল্যবোধকে ধারণ করে।
লোকসাহিত্য লোকসংস্কৃতির একটি জীবন্ত ধারা; এর মধ্য দিয়ে জাতির আত্মার স্পন্দন শোনা যায়। তাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একে ‘জনপদের হৃদয়-কলরব’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। লোকসাহিত্যকে প্রধানত লোকসঙ্গীত, গীতিকা, লোককাহিনী, লোকনাট্য, ছড়া, মন্ত্র, ধাঁধা ও প্রবাদ এই আটটি শাখায় ভাগ করা যায়।
৯৪৯. দেশের জন সেবা কর, দেশের কোন কারকে কোন বিভক্তি?
সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০১৪(১২ জেলা) ; সহকারী শিক্ষক -২০.০৪.১৮ 📖 কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর (ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এর ক্যাশ সরকার/অফিস সহায়ক) 8.21 📖 এসিস্ট্যান্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার ২৯.১১. .১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
দেশের জন সেবা কর, দেশের সম্প্রদান কারকে ষষ্ঠী বিভক্তি।
যাকে স্বত্ব ত্যাগ করে দান, অর্চনা, সাহায্য ইত্যাদি করা হয়, তাকে সম্প্রদান কারক বলে। একে নিমিত্ত কারক-ও বলা হয়। এখানে লক্ষণীয় যে, বস্তু নয়, ব্যক্তিই সম্প্রদান কারক।
ষষ্ঠী বিভক্তি:
ভিক্ষুকদের ভিক্ষা দাও। দেশের জন্য প্রাণ দাও।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖সম্প্রদান কারক হয় তখন যখন স্বত্ব ত্যাগ করে কিছু দেওয়া হয়। দেশের জন্য সেবা সবাই নিঃস্বার্থভাবে করে বলেই বিবেচনা করা হয়। এবং দেশ শব্দের সাথে ষষ্ঠী বিভক্তি (র, এর) যুক্ত হয়েছে। তবে ‘দেশের জন্য’ এর কারক ও বিভক্তি হবে সম্প্রদানে চতুর্থী।
৯৫০. শৃঙ্খলাকে অতিক্রান্ত =উচ্ছৃঙ্খল‘ কোন সমাস?
সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০১৪(১২ জেলা) ; সহকারী শিক্ষক -২০.০৪.১৮ 📖 ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়➟2007➯B ইউনিট 📖 কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়➟2014➯C ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖উচ্ছৃঙ্খল = শৃঙ্খলাকে অতিক্রান্ত। এটি অবয়ীভাব সমাস।
উল্লেখ্য, অব্যয় শব্দ পুর্বে বসে যে সমাস হয় এবং যেখানে অব্যয়ের অর্থ প্রাধান্য পায় তাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে।
৯৫১. ‘অন্বেষণ‘ শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ করুন।
সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০১৪(১২ জেলা) ; সহকারী শিক্ষক -২০.০৪.১৮
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖‘অন্বেষণ‘ শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ = অনু+ এষণ ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖উ-কার কিংবা ঊ-কারের পর উ-কার কিংবা ঊ-কার ভিন্ন অন্য স্বর থাকলে উ বা ঊ স্থানে ব-ফলা হয় এবং লেখার সময় ব-ফলা পূর্ববর্তী বর্ণের সাথে লেখা হয়। যেমন- অনু + এষণ = অন্বেষণ, তনু + ঈ = তন্বী, অনু + ইত = অন্বিত, স্ব + অধীন = স্বাধীন, স্ব + ইচ্ছা = স্বেচ্ছা, সু + আগত = স্বাগত ইত্যাদি।
৯৫২. 'বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর‘ - এখানে 'টাপুর টুপুর' কোন ধরনের শব্দ?
সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০১৪(১২ জেলা) ; সহকারী শিক্ষক -২০.০৪.১৮
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖পদের দ্বিরুক্তিঃ দুটি পদে একই বিভক্তি প্রয়োগ করা হয়, শব্দ দুটি ও বিভক্তি অপরিবর্তিত থাকে।
যেমনঃ দেশে দেশে ধন্য ধন্য করতে লাগলো।
আবার, দ্বিতীয় পদের আংশিক পরিবর্তনও ঘটে, কিন্তু পদ বিভক্তি অবিকৃত থাকে। যেমন - চোর হাতে নাতে ধরা পড়েছে।
পদের দ্বিরুক্ত শব্দের বিভিন্ন রকম প্রয়োগ রয়েছে। প্রশ্নে উল্লেখিত বাক্যে অব্যয় পদের দ্বিরুক্তি হয়েছে।
"ধ্বনিব্যঞ্জনা" বোঝাতে অব্যয় পদের দ্বিরুক্তির উদাহরণ:
❏ ঝির ঝির করে বাতাস বইছে।
❏ বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর।
৯৫৩. নিকুঞ্জ শব্দের সঠিক অর্থ কোনটি?
সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০১৪(১২ জেলা) ; সহকারী শিক্ষক -২০.০৪.১৮
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖নিকুঞ্জ অর্থ - বাগান
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖নিকুঞ্জ (বিশেষ্য) - বাগান; বনে বা উদ্যানে লতাদি দ্বারা আবৃত জায়গা; লতাগৃহ।
{(তৎসম বা সংস্কৃত) নি+√গুন্জ্+অ(ঘঞ্)}
৯৫৪. দুর্দান্ত এ বিপরীত শব্দ কোনটি?
সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০১৪(১২ জেলা) ; সহকারী শিক্ষক -২০.০৪.১৮
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖দুর্দান্ত শব্দটির বিপরীত শব্দ - নিরীহ
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖দুর্দান্ত এর বিপরীত শব্দ নিরীহ।
দুর্দান্ত (বিশেষণ) - দমন করা বা বশ মানানো কঠিন এমন; দুর্দমনীয়; দুরন্ত।
নিরীহ (বিশেষণ) - শান্ত; গোবেচারা; অহিংস্র; নিরুপদ্রব।
৯৫৫. ‘একাদশে বৃহস্পতি‘ বাগধারাটির অর্থ কী?
সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০১৪(১২ জেলা) ; সহকারী শিক্ষক -২০.০৪.১৮
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖ব্যখাঃ একাদশে বৃহস্পতি বাগধারাটির অর্থ হচ্ছে
" সোভাগ্যের বিষয়
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖ইঁদুর কপালে বাগধারাটির অর্থ - মন্দভাগ্য, একাদশে বৃহস্পতি বাগধারাটির অর্থ - সৌভাগ্যের বিষয়, অদৃষ্টের পরিহাস বাগধারাটির অর্থ - ভাগ্যের নিষ্ঠুরতা।
৯৫৬. কোন বানানটি শুদ্ধ?
সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০১৪(১২ জেলা) ; সহকারী শিক্ষক -২০.০৪.১৮ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -নাগালিঙ্গম- ১২.১০.১২ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -শিউলী- ১১.০৯.০৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖শুদ্ধ বানানটি হলো আদ্যক্ষর।
আদ্যক্ষর না কি আদ্যাক্ষর
আদি ও আদ্য শব্দের সঙ্গে অক্ষর শব্দ যুক্ত হয়ে গঠিত হয়েছে যথাক্রমে আদ্যক্ষর ও আদ্যাক্ষর। আদি ও আদ্য অর্থ প্রথম। সংস্কৃত আদ্যক্ষর ও আদ্যাক্ষর অর্থ (বিশেষ্যে) প্রথম অক্ষর। সুতরাং, উভয় শব্দ সমার্থক। কিন্তু কোন শব্দটি শুদ্ধ?
পবিত্র সরকার প্রমুখ সংকলিত আকাদেমি বানান অভিধান অনুযায়ী আদ্যক্ষর (আদি+অক্ষর) এবং আদ্যাক্ষর (আদ্য+অক্ষর) উভয় বানানই ব্যাকরণসম্মত ও শুদ্ধ। তাই ওই অভিধানে আদ্যক্ষর ও আদ্যাক্ষর উভয় শব্দকে ঠাঁই দেওয়া হয়েছে। বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধানে কেবল আদ্যাক্ষর বানানকে ঠাঁই দেওয়া হয়েছে। এখন দেখা যাক কীভাবে উভয় বানান শুদ্ধ ও ব্যাকরণসম্মত হয়।
আদ্যক্ষর= আদি+অক্ষর। কারণ: ই/ঈ ছাড়া স্বরবর্ণ পরে থাকলে ই/ঈ-স্থানে য-ফলা হয় এবং সৃষ্ট য-ফলা শেষ পদের প্রথম স্বর নিয়ে প্রথম পদের শেষ বর্ণে যুক্ত হয়। এভবে গঠিত হয়েছে: আদি+অক্ষর= আদ্যক্ষর। অনুরূপ: অতি+অন্ত= অত্যন্ত, আদি+অন্ত= আদ্যন্ত, প্রতি+অহ= প্রত্যহ। প্রতি+আশা= প্রত্যাশা, ইতি+আদি= ইত্যাদি, অভি+উদয়= অভ্যুদয়, অতি+উচ্চ= অত্যুচ্চ, প্রতি+ঊহ্= প্রত্যূহ, প্রতি+এক= প্রত্যেক, যদি+অপি= যদ্যপি।
আদ্যাক্ষর= আদ্য+অক্ষর। কারণ: অ/আ-এর পর অ বা আ থাকলে উভয় বর্ণ মিলে আ হয় এবং সৃষ্ট আ পূর্ববর্ণে যুক্ত হয়। সেভাবে গঠিত হয়েছে: আদ্য+অক্ষর= আদ্যাক্ষর। অনুরূপ: অদ্য+অপি=অদ্যাপি; অদ্য+অবধি= অদ্যাবধি, অন্য+অন্য= অন্যান্য, কাব্য+অংশ= কাব্যাংশ, বাক্য+অতীত= বাক্যাতীত, মধ্য+অহ্ন= মধ্যাহ্ন; সাধ্য+অতীত= সাধ্যাতীত, কাব্য+অলংকার= কাব্যালংকার ইত্যাদি।
বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান অনুযায়ী, বাক্যে বিশেষ্য হিসেবে ব্যবহৃত সংস্কৃত আদ্যাক্ষর= আদ্য+অক্ষর= (আদ্য্+অ)+অক্ষর। এই অভিধানে আদ্যক্ষর (আদি+অক্ষর) শব্দকে স্থান দেওয়া হয়নি। যদিও আদ্যন্ত (আদি+অন্ত) শব্দকে স্থান দেওয়া হয়েছে। আদ্যন্ত স্থান পেলে আদ্যক্ষর কী দোষ করল?
উপসংহার: ব্যাকরণিক গঠন অনুযায়ী আদ্যক্ষর ও আদ্যাক্ষর উভয় বানানই শুদ্ধ। তবে বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধানে কেবল আদ্যাক্ষর শব্দকে স্থান দেওয়া হয়েছে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖আদ্যাক্ষর (আদ্য + অক্ষর) - প্রথম অক্ষর।
আদ্য অর্থ - প্রথম, আদিম।
আদ্যা অর্থ - প্রকৃতি, পরমেশ্বরী, মহাবিদ্যা, দুর্গা, কালী, মহামায়।
৯৫৭. কোনটি জহির রায়হানের রচিত উপন্যাস নয়?
সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০১৪(১২ জেলা) ; সহকারী শিক্ষক -২০.০৪.১৮
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖"নিষ্কৃতি" শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত উপন্যাস। জহির রায়হানের উপন্যাস সমূহ হলো- তৃষ্ণা, শেষ বিকেলের মেয়ে, আরেক ফাল্গুন, আর কত দিন, হাজার বছর ধরে, বরফ গলা নদী।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖জহির রায়হানের প্রকৃত নাম - মোহাম্মদ জহিরুল্লাহ। তার রচিত উপন্যাসগুলো হলো:
❏ তৃষ্ণা
❏ শেষ বিকেলের মেয়ে
❏ হাজার বছর ধরে,
❏ আরেক ফাল্গুন (ভাষা আন্দোলনের উপর রচিত প্রথম উপন্যাস)
❏ বরফ গলা নদী
❏ আর কত দিন
❏ কয়েকটি মৃত্যু।
৯৫৮. কথায় বর্ণনা করা যায় না ‘ এ বাক্যের সংক্ষিপ্ত রূপ কী?
সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০১৪(১২ জেলা) ; সহকারী শিক্ষক -২০.০৪.১৮
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖অবর্ণনীয়; অনির্বচনীয় - ভাষা দ্বারা বর্ণনা বা প্রকাশ করা যায় না এমন।
৯৫৯. প্রাচীন এর বিপরীতার্থক শব্দ কী?
সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০১৪(১২ জেলা) ; সহকারী শিক্ষক -২০.০৪.১৮ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -শিউলী- ১১.০৯.০৯ 📖 জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা-১৯.০৬.১৫
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖প্রাচীন এর বিপরীতার্থক শব্দ অর্বাচীন। বর্তমান- অতীত , নতুন- পুরাতন ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖অর্বাচীন - শব্দের সঠিক বিপরীতার্থক শব্দ - প্রাচীন।
৯৬০. “নীল লোহিত “ কার ছদ্মনাম?
সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০১৪(১২ জেলা) ; সহকারী শিক্ষক -২০.০৪.১৮ 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মিসিসিপি- ০৮.১১.১৩
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
🔖রাজশেখর বসু -পরশু রাম (ছদ্মনাম)
সমর সেন- নাগরিক কবি (উপাধি)
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖নীল লোহিত, সনাতন পাঠক, নীল উপাধ্যায় এগুলো সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ছদ্মনাম। 'কালকূট', 'ভ্রমর' সমরেশ বসুর ছদ্মনাম। রাজশেখর বসুর ছদ্মনাম - পরশুরাম।
৯৬১. নিচের কোনটি বিদেশি শব্দ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০২২
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
কলম আরবি শব্দ। এরকম আরবি আরো গুরুত্বপূর্ণ শব্দ হলো - কিতাব নগদ বাকি, মহকুমা, উকিল আদালত আলেম ইত্যাদি
কাঁচি' অর্থ ধারালো অস্ত্রবিশেষ বুঝালে এটি তুর্কি শব্দ। আর কম ওজনবিশিষ্ট অর্থে কাঁচি দেশি শব্দ। এখানে কলম' হলো আরবি শব্দ। উল্লিখিত প্রশ্নে কাঁচির প্রথম অর্থ নিয়ে আমরা উত্তর দিচ্ছি।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖'কলম' আরবি ভাষার শব্দ।
১ কোনো শক্ত দণ্ডের প্রান্তে বল বা নিব সংযুক্ত করে তৈরি লেখনী; ঝরনাকলম।
২ নলখাগড়া পালক প্রভৃতির অগ্রভাগ ত্যারচা করে কেটে তৈরি লেখনী।
'কাঁচি' দেশি শব্দ।
১. কাঁচি শব্দের শব্দ কম ওজন বিশিষ্ঠ
২. ঠাসবুনন সম্পন্ন
❏(আবার 'কাঁচি' তুর্কি ভাষা থেকে আগত শব্দ। যার অর্থ - কাগজ বা কাপড় কাটার যন্ত্র বিশেষ)
কাজ / কাজ/ [স. কার্য ]
১. কর্ম, কার্য (কাজ করা )।
২. দরকার (রোজ গিয়ে কাজ নেই)।
৩. কৃত বিষয় (এটা নিশ্চয় ওর কাজ)।
৪. কর্তব্য (তোমার কাজ পড়াশোনা করা)।
৫. উদ্দেশ্য সিদ্ধি (ওষুধে কাজ হয়েছে)।
৬. কারুকার্য (রঙের কাজ)।
৭. সাধ্য (এ কাজ ওর আয়ত্তের বাইরে)।
৮. ব্যবহারযোগ্যতা (এটা কোনো কাজের নয়)।
কান [স. কর্ণ ] বি.
১ মানুষ ও অন্যান্য মেরুদণ্ডী প্রাণীর শ্রবণ এবং ভারসাম্য রক্ষায় সহায়ক মাথার দুইপাশে অবস্থিত স্থূল খাড়া বহিঃস্থ অঙ্গবিশেষ, কর্ণ, শ্রবণেন্দ্রিয়।
২ সেতার তানপুরা প্রভৃতি বাদ্যযন্ত্রের সুরবাঁধার জন্য তার জড়ানো গোলাকার চাবি বিশেষ।
৯৬২. নিচের কোন বাক্যটি শুদ্ধ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০২২
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
সূর্য পূর্বদিকে উদিত হয়। এটি সঠিক "উদিত" শব্দটি বাক্যের গঠনের সাথে মিল রেখেছে।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖কিছু শুদ্ধ বাক্য-
সে সব কথা বিস্তারিতভাবে বলল।
পূর্বদিকে সূর্য উদিত হয়৷
'গীতাঞ্জলি' পড়েছ কি?
নদীর জল হ্রাস পেয়েছে৷
৯৬৩. খনার বচনে প্রাধান্য পেয়েছে
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০২২
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
খনার বচন প্রধানত কৃষিভিত্তিক। খনার বচন ৮ম-১২শ শতাব্দীর মধ্যে রচিত হয়েছিল বলে মনে করা হয়। বৌদ্ধ সমাজে যেমন ডাকের বচনের উৎপত্তি হয়েছিল, তেমনি হিন্দু সমাজে অগ্রদূত মাসিক পরিক্রমা – খনার বচনের সৃষ্টি হয়েছিল। খনার বচনগুলির মাধ্যমে প্রধানত কৃষি, আবহাওয়া, সমাজের পরিচয় সম্পর্কে বহুবিধ ধারণা পাওয়া যায়। উদাহরণ: কাঁচায় না নোয়ালে বাঁশ, পাকলে করে ঠাস ঠাস। আউশ ধানে চাষ লাগে তিন মাস।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖ডাক ও খনার বচন মধ্যযুগের একটি সাহিত্যধারা।
❏ বুদ্ধ সমাজের ডাকের বচন এবং হিন্দু সমাজে খনার বচনের উৎপত্তি হয়েছিল।
❏ ডাকের বচনে জ্যোতিষ, ক্ষেত্রতত্ত্ব ও মানব চরিত্রের ব্যাখ্যা প্রাধান্য পেয়েছে।
❏ খনার বচন মূলত কৃষিতত্ত্বভিত্তিক ছড়া।
❏ তাই মধ্যযুগের ডাক ও খনার বচন কৃষিকাজের জন্য উপযোগী ছিল।
৯৬৪. কোন শব্দটি শুদ্ধ বানানে লেখা হয়েছে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০২২ 📖 38th BCS General Dec, 2017 📖 প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
শুদ্ধ বানান ভুবন, শূন্য, পূর্ণ, পুণ্য।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖শুদ্ধ বানানটি হলো 'ত্রিভুজ'
ত্রিভুজ সংস্কৃত ভাষার শব্দ।
'ত্রিভুজ' অর্থ তিনটি সরলরেখা-পরিবেষ্টিত ক্ষেত্র।
৯৬৫. কাজী নজরুল ইসলামের রচিত গল্প কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০২২ 📖 জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের অধীন পিএসসির সহকারী পরিচালক-১৮.০৩.১৬ 📖 নন ক্যাডার : বাছাই পরীক্ষা ২০১৮ ~ প্রশাসনিক কর্মকর্তা (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) ~ ০৯.০৩.১৮
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত গল্পগ্রন্থ ‘শিউলিমালা' (১৯৩১)। পদ্ম-গোখরা, জিনের বাদশা, অগ্নি-গিরি, শিউলিমালা- এ চারটি গল্প নিয়েই ‘শিউলিমালা' গ্রন্থটি রচিত। পদ্মগোখরা গল্প অবলম্বনে ১৯৭১ সালে খান আতাউর রহমান ‘সুখ-দুঃখ এবং ১৯৭৬ সালে মুস্তাফিজ মায়ার বাঁধন' নামক চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। মনসামঙ্গল কাব্যের কবি বিজয়গুপ্ত রচিত মনসামঙ্গল কাব্যগ্রন্থের একটি অংশের নাম ‘পদ্মপুরাণ'। বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন রচিত উপন্যাস ‘পদ্মরাগ' (১৯২৪)। মালিক মুহম্মদ জায়সীর হিন্দি ভাষায় রচিত অগ্রদূত মাসিক পরিক্রমা 'পদুমাবৎ' অবলম্বনে আলাওল রচনা করেন ‘পদ্মাবতী' (১৬৪৮)।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖কাজী নজরুল ইসলামের রচিত গল্পগ্রন্থ 'শিউলিমালা' ।
গ্রন্থটি প্রথম প্রকাশ পায় ১৩৩৮ বঙ্গাব্দের কার্তিকে (১৯৩১)।
'শিউলিমালা' গল্পগ্রন্থের গল্পগুলো হলো:
❏ পদ্ম-গোখরো,
❏ জিনের বাদশা,
❏ অগ্নি-গিরি,
❏ শিউলিমালা
৯৬৬. কল কল রবে নদী বইছে। এখানে ‘কল ল’ কোন অব্যয়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০২২
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
যে সকল অব্যয় রব, শব্দ বা ধ্বনির অনুকরণে গঠিত হয়, তাকে অনুকার / ধ্বন্যাত্মক অব্যয় বলে। এ জাতীয় ধ্বন্যাত্মক শব্দের দুবার প্রয়োগের নাম ধ্বন্যাত্মক দ্বিরুক্তি। ধ্বন্যাত্মক দ্বিরুক্তি দ্বারা বহুত্ব বা আধিক্য ইত্যাদি বোঝায়। যেমন: কল কল রবে নদী বইছে। প্রদত্ত উদাহরণে কল কল অনুকার বা ধ্বন্যাত্মক অব্যয়টি স্রোতের প্রবাহমানকতাকে আধিক্য অর্থে প্রকাশ করেছে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖যে সকল অব্যয় অব্যক্ত রব, শব্দ বা ধ্বনির অনুকরণে গঠিত হয়, সেগুলোকে অনুকার বা ধ্বন্যাত্মক অব্যয় বলে। যেমন-
স্রোতের ধ্বনি- কল কল,
বজ্রের ধ্বনি- কড় কড়,
বাতাসের গতি- শন শন,
নূপুরের আওয়াজ- রুম ঝুম ইত্যাদি।
৯৬৭. “রূপসার ঘোলা জলে হয়তো কিশোর এক সাদা ছেঁড়া পালে ডিঙা বায়”- কবিতার চরণে কবি কোন রূপসার কথা বলেছেন?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০২২
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
জীবনানন্দ দাশের মৃত্যুর পর 'রূপসী বাংলা কাব্যের পূর্ণাঙ্গ পাণ্ডুলিপি আবিষ্কৃত হয় এবং ১৯৫৭ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। এ কাব্যের কবিতা ‘আবার আসিব ফিরে এর বিখ্যাত পঙক্তি- রূপসার ঘোলা জলে হয়তো কিশোর এক সাদা ঘেঁড়া পালে ডিঙা বায়। এ পর্ভুক্তির রূপসা বলতে কবি খুলনা অঞ্চলের বিখ্যাত রূপসা নদীকে বোঝাতে চেয়েছেন। উল্লেখ্য, ঝালকাঠি জেলায়ও রূপসা নামে নদী রয়েছে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖জীবনানন্দ দাশের 'রূপসী বাংলা' কাব্যের 'আবার আসিব ফিরে' কবিতার চরণঃ
❏ রূপচাঁদ সাহার কাটা খালটি আজ বিশাল রূপসা নদী।
❏ যা দেখে জীবনানন্দ দাশ মুগ্ধ হয়ে লিখেছিলেন:
❏ ‘‘রূপসার ঘোলা জলে হয়তো কিশোর এক সাদা ছেড়া পালে ডিঙ্গা বায়; রাঙা মেঘ সাঁতরায়ে অন্ধকারে আসিতেছে নীড়ে ’’
৯৬৮. ‘সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি, সারাদিন আমি যেন ভাল হয়ে চলি’-পঙতিটি কার?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০২২
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
মদনমোহন তর্কালঙ্কার এর শিশুতোষ কবিতা ‘আমার পণ এর বিখ্যাত পঙক্তি
সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি,
সারাদিন আমি যেন ভালো হয়ে চলি।
আদেশ করেন যাহা মোর গুরুজনে,
আমি যেন সেই কাজ করি ভালো মনে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖 'সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি, সারাদিন আমি যেন ভাল হয়ে চলি' পংক্তিটি কবি, সমাজসেবক মদনমোহন তর্কালঙ্কার এর।
- পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার বিল্বগ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
❏ তাঁর পারিবারিক উপাধি ‘চট্টোপাধ্যায়’ হলেও প্রাপ্ত উপাধি ‘তর্কালঙ্কার’ হিসেবেই তিনি সুপরিচিত।
আমার পণ
মদনমোহন তর্কালঙ্কার
সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি,
সারাদিন আমি যেন ভাল হয়ে চলি।
আদেশ করেন যাহা মোর গুরুজনে,
আমি যেন সেই কাজ করি ভাল মনে।
ভাইবোন সকলেরে যেন ভালবাসি,
এক সাথে থাকি যেন সবে মিলেমিশি।
ভাল ছেলেদের সাথে মিশে করি খেলা,
পাঠের সময় যেন নাহি করি হেলা।
সুখী যেন নাহি হই আর কারো দুখে,
মিছে কথা কভু যেন নাহি আসে মুখে।
সাবধানে যেন লোভ সামলিয়ে থাকি,
কিছুতে কাহারে যেন নাহি দেই ফাঁকি।
ঝগড়া না করি যেন কভু কারো সনে
সকালে উঠিয়া এই বলি মনে মনে।
মদনমোহনের মৌলিক কাব্যগ্রন্থ
❏ রসতরঙ্গিণী (১৮৩৪) ও
❏ বাসবদত্তা (১৮৩৬)
❏ তিন খন্ডে প্রকাশিত তাঁর শিশু শিক্ষা (১৮৪৯ ও ১৮৫৩) শিশুদের উপযোগী একটি অনন্যসাধারণ গ্রন্থ;
❏ ‘পাখী সব করে রব রাতি পোহাইল’ শিশুপাঠ্য এই বিখ্যাত কবিতাটি তাঁরই রচনা।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর এবং বাংলাপিডিয়া।
৯৬৯. ‘যার বংশ পরিচয় এবং স্বভাব কেউই জানেনা’- বাকক্যটির বাক্যসংকোচন নিচের কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০২২
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
যার বংশ পরিচয় এবং স্বভাব কেউই জানে না- অজ্ঞাতকুলশীল; যার বংশ পরিচয় নেই- বংশপরিচয়হীন; যার কুল-বংশ নেই বংশহীন।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাগধারা:
যার বংশ পরিচয় এবং স্বভাব কেউই জানেনা = অজ্ঞাতকুলশীল
যার উপস্থিত বুদ্ধি আছে = প্রত্যুৎপন্নমতি
যার কোনো তিথি নেই = অতিথি
যার দুহাত সমান চলে = সব্যসাচী
৯৭০. ‘মেধাবী’ শব্দের প্রকৃতি-প্রত্যয় নিচের কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০২২
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
সংস্কৃত তদ্ধিত বিন (বী) প্রত্যয়ের ‘আছে’ অর্থে বিশেষণ গঠন: মেধা+বিন = মেধাবী মায়া+বিন = মায়াবী; যশঃ+বিন = যশস্বী ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়ে গঠিত কিছু প্রকৃতি ও প্রত্যয় হলোঃ
❏ তেজঃ + বিন = তেজস্বী,
❏ মেধা + বিন = মেধাবী,
❏ মায়া + বিন = মায়াবী,
❏ যশঃ + বিন = যশস্বী ইত্যাদি।
৯৭১. ‘মাতৃভাষায় যাহার ভক্তি নাই সে মানুষ নহে’ -উক্তিটি কার?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০২২
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম ঔপন্যাসিক মীর মশাররফ হোসেন ধর্মীয় গোঁড়ামিকে প্রশ্রয় দেননি। তিনি মাতৃভাষার মধ্যে কোনো ধর্মীয় বিভেদ রেখা টানতে চাননি এবং ভাষার ব্যবহারের মাধ্যমে মুসলমানিত্ব এবং বাঙালিত্ব প্রভৃতি প্রভেদ তৈরি হোক তা অগ্রাহ্য করেছেন। তাই তিনি নবাব আবদুল লতিফ কর্তৃক দেখানো মুসলমানি বাংলাকে অস্বীকার করেছেন এবং আমাদের শিক্ষা নামক প্রবন্ধে উল্লেখ করেছেন, “বঙ্গবাসী মুসলমানদের দেশভাষা বা মাতৃভাষা বাঙ্গালা'। মাতৃভাষায় যাহার আস্থা নাই, সে মানুষ নহে।”
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖‘মাতৃভাষায় যাাহার ভক্তি নাই সে মানুষ নহে’ -উক্তিটি ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক মীর মশাররফ হোসেনের।
মীর মশাররফ হোসেন (১৮৪৭-১৯১২):
❏ তাঁর জন্ম ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলার লাহিনীপাড়ায়।
❏ মশাররফ হোসেন ছাত্রাবস্থায় সংবাদ প্রভাকর (১৮৩১) ও কুমারখালির গ্রামবার্তা প্রকাশিকা-র (১৮৬৩) মফঃস্বল সংবাদদাতার দায়িত্ব পালন করেন। এখানেই তাঁর সাহিত্যজীবনের শুরু।
❏ গ্রামবার্তার সম্পাদক কাঙাল হরিনাথ ছিলেন তাঁর সাহিত্যগুরু।
❏ মীর মোশাররফ ছিলেন বঙ্কিমযুগের অন্যতম প্রধান গদ্যশিল্পী ও উনিশ শতকের বাঙালি মুসলমান সাহিত্যিকদের পথিকৃৎ।
❏ বঙ্কিমচন্দ্রের দুর্গেশনন্দিনী (১৮৬৫) উপন্যাস প্রকাশিত হওয়ার চার বছর পর মশাররফের প্রথম উপন্যাস রত্নবতী (১৮৬৯) প্রকাশিত হয়।
তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনা হলো:
❏ গোরাই-ব্রিজ অথবা গৌরী-সেতু (১৮৭৩),
❏ বসন্তকুমারী নাটক (১৮৭৩),
❏ জমিদার দর্পণ (১৮৭৩),
❏ এর উপায় কি (১৮৭৫),
❏ বিষাদ-সিন্ধু (১৮৮৫-১৮৯১),
❏ সঙ্গীত লহরী (১৮৮৭),
❏ গো-জীবন (১৮৮৯),
❏ বেহুলা গীতাভিনয় (১৮৯৮),
❏ উদাসীন পথিকের মনের কথা (১৮৯০),
❏ তহমিনা (১৮৯৭),
❏ টালা অভিনয় (১৮৯৭),
❏ নিয়তি কি অবনতি (১৮৮৯),
❏ গাজী মিয়াঁর বস্তানী (১৮৯৯),
❏ মৌলুদ শরীফ (১৯০৩),
❏ মুসলমানদের বাঙ্গালা শিক্ষা (দুই ভাগ ১৯০৩, ১৯০৮),
❏ বিবি খোদেজার বিবাহ (১৯০৫),
❏ হযরত ওমরের ধর্মজীবন লাভ (১৯০৫),
❏ মদিনার গৌরব (১৯০৬), বাজীমাৎ (১৯০৮),
❏ আমার জীবনী (১৯০৮-১৯১০),
❏ আমার জীবনীর জীবনী বিবি কুলসুম (১৯১০) ইত্যাদি।
❏ তাঁর অমর কীর্তি বিষাদ-সিন্ধু উপন্যাসে কারবালার বিষাদময় ঐতিহাসিক কাহিনী বিবৃত হয়েছে। তবে অনেক ঘটনা ও চরিত্র সৃষ্টিতে উপন্যাসসুলভ কল্পনার আশ্রয়ও নেওয়া হয়েছে।
❏ তাঁর জমিদার দর্পণ নাটকটি ১৮৭২-৭৩ সালে সিরাজগঞ্জে সংঘটিত কৃষক-বিদ্রোহের পটভূমিকায় রচিত।
৯৭২. ‘প্রাণের বান্ধবরে বুড়ি হইলাম তাের কারণে’-গানটির গীতকার-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০২২
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
পরানের বান্ধব রে, বুড়ি হইলাম তোর কারণে লোকগীতিটির গীতিকার বাউল সাধক শেখ ওয়াহিদুর রহমান এবং গানটির শিল্পী কাঙালিনী সুফিয়া। তার অন্যান্য জনপ্রিয় গানসমূহ হলো: কোন বা পথে নিতাইগঞ্জ যাই...। আমার মাটির গাছে লাউ ধরেছে...।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖'বুড়ি হইলাম তর কারণে', 'আমার মাটির গাছে লাউ ধইরাছে'_এমন অসংখ্য জনপ্রিয় গানের স্রষ্টা গীতিকবি মুক্তিযোদ্ধা শেখ ওয়াহিদুর রহমান।
ওয়াহিদের রচিত গানের সংখ্যা দেড় হাজারের অধিক। তার গানের বিষয়বস্তু, পরমতত্ত্ব, দেহতত্ত্ব, প্রেমতত্ত্ব, গুরুতত্ত্ব, আঞ্চলিক গান, পল্লীগীতি, মুর্শিদি, ভাটিয়ালি, মারফতি, পদাবলি, কীর্তন। আঞ্চলিক গান রচনায় তিনি ছিলেন বিশেষ আগ্রহী। সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় রচিত তার গানের সংখ্যা শতাধিক। ‘পরাণের বন্ধুরে/ বুড়ি হইলাম তোর কারণে’ এবং ‘আমার মাটির গাছে লাউ ধরেছে/লাউটা বড় সোহাগী/লাউয়ের পিছে লাগছে বৈরাগী’ তার এ গান দুটি বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
৯৭৩. ‘গৌরব’-শব্দের প্রকৃতি-প্রত্যয় নিচের কোনটি? .
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০২২
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
গৌরব শব্দটি তদ্ধিত প্রত্যয় যোগে গঠিত। তদ্ধিত প্রত্যয় সাধিত শব্দের শেষে অ থাকলে প্রত্যয় হিসাবে ষ্ণ বসে। যেমনঃ মানব= মনু + ষ্ণপার্থিব = পৃথিবী + ষ্ণশৈশব = শিশু + ষ্ণ
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖১. যে শব্দের সঙ্গে ষ্ণ (অ)—প্রত্যয় যুক্ত হয়, তার মূল স্বরের বৃদ্ধি হয়।
যথা— নগর+ষ্ণ=নাগর, মধুর +ষ্ণ=মাধুর্য।
বৃদ্ধি : (১) অ-স্থানে আ, (২) ই, ঈ-স্থানে ঐ, (৩) উ, ঊ-স্থানে ঔ এবং (৪) ঋ-স্থানে 'আর' হওয়াকে বৃদ্ধি বলে।
২. যে শব্দের সঙ্গে ষ্ণ (অ) প্রত্যয় যুক্ত হয়, তার প্রাতিপদিকের অন্ত্যস্বরের উ-কারও ও-কারে পরিণত হয়। ও +অ সন্ধিতে ‘অব’ হয়। যথা—
গুরু+ষ্ণ=গৌরব
লঘু+ষ্ণ =লাঘব
শিশু +ষ্ণ=শৈশব
মধু +ষ্ণ=মাধব
মনু + ষ্ণ =মানব
৯৭৪. ‘কার্যে বিরতি’- অর্থে কোন বাগধারাটি প্রযোজ্য?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০২২ 📖 পেট্রোবাংলা হিসাব সহকারী ২৬.০৭.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
হাতে খড়ি - শিক্ষার সূচনাহাত গুটানো - কার্যে বিরতি
হাত টান - চুরির অভ্যাস
হাত ভারি - কৃপণ
হাতের পঁাচ - শেষ সম্বল
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖হাত গুটান = কার্যে বিরতি
Throw in one’s hand = নিরস্ত্র হওয়া; হাত গুটানো; কিছু করার অসামর্থ্য স্বীকার করা।
➟➟
হাত করা = বশে আনা
হাত থাকা = জড়িত থাকা
হাত আসা = দক্ষ হওয়া
৯৭৫. ‘আমার দেখা নয়াচীন’ কে লিখেছেন?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০২২
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সালে বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খানের সম্পাদনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘আমার দেখা নয়া চীন প্রকাশিত হয়। গ্রন্থটির ভূমিকা লিখেছেন বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা; প্রচ্ছদ করেন তারিক সুজাত; প্রকাশ করেন বাংলা একাডেমি এবং ইংরেজিতে অনুবাদ করেন অধ্যাপক ড. ফকরুল আলম। ২-১২ অক্টোবর, ১৯৫২ সালে গণচীনের পিকিংয়ে এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি শান্তি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়, যেখানে ভারত ও পাকিস্তানের ডেলিগেটরাও অংশ নেন। সেই সম্মেলনে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ আরো কয়েকজন অংশগ্রহণ করেন। এটি ছিল বঙ্গবন্ধুর প্রথম চীন সফর। ১৯৫৭ সালে তিনি শিল্প, ১ মে, ২০২২ ৭২। বাণিজ্য, শ্রম, দুর্নীতি দমন ও ভিলেজ-এইড দফতরের মন্ত্রী থাকাকালে পাকিস্তান সংসদীয় দলের নেতা হিসেবে দ্বিতীয়বার চীন সফর করেন। চীন ভ্রমণের অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি ১৯৫৪ সালে কারাবন্দী থাকা অবস্থায় একটি ডায়েরি লেখেন। সেই ডায়েরির পরিমার্জিত রূপ ‘আমার দেখা নয়া চীন।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖“আমার দেখা নয়াচীন” জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর চীন ভ্রমণের উপর লেখা গ্রন্থ।
❏ এই গ্রন্থটি তার প্রকাশিত তৃতীয় গ্রন্থ।
❏ ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২০ বাংলা একাডেমি এটি প্রকাশ করে।
❏ ১৯৫২ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে বিশ্ব শান্তি সম্মেলনে যোগ দিতে নয়া চীন যান বঙ্গবন্ধু।
❏ তার এ সফরের অভিজ্ঞতাই এ গ্রন্থে বর্ণনা করা হয়েছে।
৯৭৬. ‘আমার ঘরের চাবি পরের হাতে’ – গানটির রচয়িতা কে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০২২
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
বাংলার পল্লীগীতির বিশেষধারার নাম বাউল গান, যা এক ধরনের আধ্যাত্ম বিষয়ক গান। সতের শতকে বাউল গানের উদ্ভব হলেও উনিশ শতকে শ্রেষ্ঠ সাধক লালন শাহ বাউল গানকে জনপ্রিয় করে তোলেন। এ জন্য তাকে ‘বাউল সম্রাট' বলে। তাঁর রচিত গানগুলোকে লালন গীতি বা লালন সঙ্গীতও বলে। তার বিখ্যাত গানসমূহ: আমার ঘরের চাবি পরের হাতে...। খাঁচার ভিতর অচিন পাখি কেমনে আসে যায়...। মিলন হবে কত দিনে...। আমি অপার হয়ে বসে আছি...। সময় গেলে সাধন হবে না...। সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে...। কেউ মালা কেউ তসবি গলায়...।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বাউল সম্রাট লালন শাহ ১৭৭২ সালে ঝিনাইদহ জেলার হরিশপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তবে অন্য একটি মতে তার জন্ম কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালীতে।
তিনি প্রায় দুইহাজার বাউল গান রচনা করেন। কুষ্টিয়ার ছেউড়িয়াতে লালনের আখড়া অবস্থিত।
তাঁর রচিত কয়েকটি জনপ্রিয় গান-
❏ আমার ঘরের চাবি পরের হাতে।
❏ আমার ঘরখানায় কে বিরাজ করে।
❏ খাচার ভিতর অচিন পাখি।
❏ বাড়ির কাছে আরশিনগর।
❏ সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে।
❏ সময় গেলে সাধন হবে না।
৯৭৭. ‘আবাহন’ শব্দের বিপরীত কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০২২
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
‘আবাহন' এর বিপরীত শব্দ বিসর্জন। আরোহন- অবতরণ; মিলন- বিরহ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖‘আবাহন’ এর অর্থ ‘আমন্ত্রণ’
- ‘আবাহন’ এর বিপরীত শব্দ ‘বিসর্জন’
❏ ‘বর্জন’ এর বিপরীত শব্দ ‘গ্রহণ’
❏ ‘অপচয়’ এর বিপরীত শব্দ ‘উপচয়’
৯৭৮. ‘অহরহ’ শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০২২
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
অহঃ+অহ= অহরহ একটি বিশেষ বিসর্গ সন্ধি। কয়েকটি উদাহরণ : আয়ুঃ+কাল= আয়ুষ্কাল, দুঃ+বার=দুর্বার
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖'অহরহ' শব্দটি বিসর্গ সন্ধির উদাহরণ- অহরহ = অহঃ + অহ
বিসর্গের সাথে স্বরধ্বনি বা ব্যঞ্জনধ্বনির যে সন্ধি হয় তাকে বিসর্গ সন্ধি বলে।
➜অ কারের পরস্থিত র-জাত বিসর্গের পর ঘোষ অল্পপ্রান ও ঘোষ মহাপ্রান ব্যঞ্জনধ্বনি, নাসিক্যধ্বনি, অন্তস্থ-য, অন্তস্থ-ব, ল, ও, হ, সমূহের কোনটি থাকলে বিসর্গ স্থানে 'র' হয়।
যেমন- পুন + আয় = পুনরায়
পুন + উক্ত = পুনরুক্ত
অহঃ + অহ = অহরহ
অন্ত + গত = অন্তর্গত
অন্ত + ধান = অন্তর্ধান ইত্যাদি
উৎস: মাধ্যমিক বাংলা ২য় পত্র, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
৯৭৯. ‘অনুগমন’ শব্দের ব্যাসবাক্য নিচের কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০২২
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
পূর্বপদে অব্যয়যোগে নিষ্পন্ন সমাসে যদি অব্যয়েরই অর্থের প্রাধান্য থাকে, তবে তাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে। অব্যয়ীভাব সমাসে কেবল অব্যয়ের অর্থযোগে ব্যাসবাক্যটি রচিত হয়। সামীপ্য (নৈকট্য), বিপসা পৌনঃপুনিকতা), পর্যন্ত, অভাব, অনতিক্রম্যতা, সাদৃশ্য, যোগ্যতা, পশ্চাৎ (অনু) প্রভৃতি নানা অর্থে অব্যয়ীভাব সমাস হয়। যেমন: পশ্চাৎ গমন = অনুগমন। প্রদত্ত উদাহরণটিতে ‘অনুগমন' শব্দটি পশ্চাৎ (অনু) অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖অব্যয়ীভাব সমাস:
পশ্চাৎ (অনু) অর্থে :
অনুগমন= পশ্চাৎ গমন
অনুধাবন = পশ্চাৎ ধাবন
অনুসরণ = পশ্চাৎ সরণ
অনুতাপ = পশ্চাৎ তাপ
৯৮০. ‘অনির্বচনীয়’ শব্দটির অর্থ-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০২২
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
যা বাক্যে প্রকাশ করা যায় না অনির্বচনীয়। অর্থাৎ যা বর্ণনা করা যায় না বা বর্ণনার অতীত, তাই অনির্বচনীয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖'অনির্বচনীয়' শব্দটি সংস্কৃত ভাষার শব্দ।
'অনির্বচনীয়' শব্দের অর্থ : বর্ণনাতীত, অবর্ণনীয়
[
৯৮১. সকালে পাখিরা কিচিরমিচির করে। ইংরেজিতে-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক 🖎 ২য় পর্যায় 🖎 20-05-22 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2005➯ঘ ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
পাখির কিচিরমিচির শব্দকে ইংরেজীতে birds tweeting বলা হয় যা song by birds sound বলা হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖Twitter = (of a bird) give a call consisting of repeated light tremulous sounds.
বাংলা অর্থ - পাখির কিচির মিচির।
∴ সকালে পাখিরা কিচিমিচির করে = Birds twitter at dawn.
৯৮২. ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থের লেখক -
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক 🖎 ২য় পর্যায় 🖎 20-05-22 📖 স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নার্সিং ও মিডওয়াইফ অধিদপ্তরের মিডওয়াইফ - 11.17
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
অসমাপ্ত আত্মজীবনী শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মজীবনী সংকলন। ২০১২ সালের জুনে এ বইটি প্রকাশিত হয়। এ পর্যন্ত ক্রমান্বয়ে ইংরেজি, উর্দু, জাপানি, চিনা, আরবি, ফরাসি, হিন্দি, তুর্কি, নেপালি, স্পেনীয়, অসমীয়া, ইতালীয়,মালয়, কোরীয়, রুশ ,মারাঠি ও সর্বশেষ গ্রীক ভাষায় বইটির অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖অসমাপ্ত আত্মজীবনী শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মজীবনী সংকলন।
❏ ২০১২ সালের জুনে এ বইটি প্রকাশিত হয়।
❏ ২০০৪ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা চারটি খাতা আকস্মিকভাবে তাঁর কন্যা বর্তমান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তগত হয়।
❏ খাতাগুলি অতি পুরানো, পাতাগুলি জীর্ণয় এবং লেখা প্রায়শ অস্পষ্ট।
❏ মূল্যবান সেই বাতাগুলি পাঠ করে জানা গেল এটি বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী, যা তিনি ১৯৬৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে অন্তরীণ অবস্থায় লেখা শুরু করেছিলেন, কিন্তু শেষ করতে পারেননি।
❏ এই লেখাগুলোকে বঙ্গবন্ধু হারিয়ে যাওয়া পূর্বোক্ত আত্মজীবনী হিসেবে সুনিশ্চিত করা হয়।
❏ পরে এগুলো বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খানের সম্পাদনায় গ্রন্থাকারে অসমাপ্ত আত্মজীবনী নামে ২০১২ সালের জুনে প্রকাশ করা হয়।
❏ 'দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড'-এর পক্ষে এ গ্রন্থটি প্রকাশ করেন মহিউদ্দিন আহমেদ।
৯৮৩. সাধু রীতি ও চলিতরীতির পার্থক্য কোন পদে বেশি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক 🖎 ২য় পর্যায় 🖎 20-05-22
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
সাধু ও চলিত রীতিতে সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ এক বিশেষ গঠন পদ্ধতি মেনে চলে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖সাধু ভাষায় ক্রিয়াপদ ও সর্বনাম পদ এক বিশেষ গঠন পদ্ধতি মেনে চলে।
❏ চলিত ভাষায় ক্রিয়াপদ ও সর্বনাম পদ পরিবর্তিত ও সহজতর রূপ লাভ করে।
❏ সুতরাং, এই দুটি পদের ভিন্নতার জন্যই সাধু ও চলিত ভাষার পার্থক্য নির্ণয় করা যায়।
৯৮৪. ‘জানুয়ারি’ বানানে হ্রস্ব-ই কার হবার কারণ কোন শব্দের কারনে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক 🖎 ২য় পর্যায় 🖎 20-05-22
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
জানুয়ারি শব্দটি ইংরেজি শব্দ; কাজেই প্রশ্নের উত্তর অতৎসম হবে। তৎসম শব্দের বানানে সাধারণত “ী, ৃ, ণ” ইত্যাদির ব্যবহার বেশি দেখা যায়।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বিদেশি শব্দে হ্র ই-কার বসবে এবং দেশ, ভাষা ও জাতির নামের ক্ষেত্রেও হ্রষ ই-কার হবে।
যেমন :
বিদেশি শব্দের ক্ষেত্রে : দাবি, দামি, খুশি, বেশি, ফরিয়াদি, আসামি, আমদানি, রপ্তানি, উজির, নাজির, কারিগরি, দরকারি তরকারি, সরকারি, জরুরি, ফাঁসি, নাৎসি, সবজি, বেকারি।
দেশ: আফগানিস্তান, আমেরিকা, ইতালি, গ্রিস, চিন, জার্মানি ইত্যাদি।
ভাষা: আরবি, ইংরেজি, গ্রিক, নেপালি, বর্মি, হিন্দি, হিব্রু, চিনা, স্প্যানিশ ইত্যাদি
জাতি : আফগানি, আর্মেনি, ইরানি, বিহারি, নেপালি, বর্মি, সিদ্ধি ইত্যাদি।
‘জানুয়ারি’ ল্যাটিন শব্দ
‘জানুয়ারি’ বানানে হ্রস্ব ই-কার হবে।
৯৮৫. সাধু ভাষায় কোন শব্দের প্রাধান্য বেশি
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক 🖎 ২য় পর্যায় 🖎 20-05-22 📖 বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়➟2011➯B ইউনিট 📖 38th BCS General Dec, 2017
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
সাধু ভাষায় তৎসম শব্দের ব্যবহার বেশি।চলিত ভাষায় তদ্ভব শব্দের ব্যবহার বেশি। প্রথম সাধু ভাষার প্রয়োগ করেন রাজা রামমোহন রায়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖সাধু রীতিতে 'তৎসম' শব্দের ব্যবহার বেশি হয়।
❏ বাংলা লেখ্য সাধু▫ রীতি সুনির্ধারিত ব্যাকরণের নিয়ম অনুসরণ করে চলে এবং এর পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও সুনির্দিষ্ট।
❏ এ রীতি গুরুগম্ভীর ও তৎসম শব্দবহুল।
❏ সাধু রীতি নাটকের সংলাপ ও বক্তৃতায় অনুপযোগী।
❏ এ রীতিতে সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ এক বিশেষ গঠন পদ্ধতি মেনে চলে।
৯৮৬. ’শোন একটি মুজিবরের থেকে’ গানটির গীতিকার কে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক 🖎 ২য় পর্যায় 🖎 20-05-22
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
গানের কথা: শোনো একটি মুজিবরের থেকে
গীতিকার: গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার
সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী: অংশুমান রায়
সঙ্গীতায়োজন: দীনেন্দ্র চৌধুরী
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖১৯৭১ সালের এপ্রিলে শেখ মুজিবর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণটির প্রেক্ষিতে আকাশবাণী কলকাতা কেন্দ্র থেকে বাজানো হয়েছিল একটি গান।
❏ গানটা ছিল ''শোন একটি মুজিবরের থেকে লক্ষ মুজিবরের কন্ঠস্বরের ধ্বনি প্রতিধ্বনি আকাশে বাতাসে ওঠে রণি... বাংলাদেশ, আমার বাংলাদেশ।''
❉- গীতিকার: গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার
❏ সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী: অংশুমান রায়
❏ সঙ্গীতায়োজন: দীনেন্দ্র চৌধুরী
❉
❉এর একটা ইংরেজি অনুবাদও হয়েছিল: A Milliion Mujiburs Singing নামে।
৯৮৭. কোন বাক্যটি শুদ্ধ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক 🖎 ২য় পর্যায় 🖎 20-05-22
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
এখানে স্ত্রী সহ বুঝাতে সস্ত্রিক শব্দের ব্যবহার করা হয়েছে। তাই সঠিক উত্তর হবে, তিনি সস্ত্রিক শহরে থাকেন।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖শুদ্ধ বাক্য-
তিনি সস্ত্রীক ঢাকায় থাকেন।
অন্যায়ের প্রতিফল অনিবার্য।
আপনি সপরিবারে আমন্ত্রিত।
পৃথিবী সর্বদা সূর্যের চারিদিকে ঘূর্ণায়মান।
একইভাবে,
তিনি সস্ত্রীক শহরে থাকেন।
৯৮৮. কোন বানানটি শুদ্ধ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক 🖎 ২য় পর্যায় 🖎 20-05-22 📖 মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা-১৩.০২.১৬ 📖 Sonali, Rupali, Bangladesh Krishi, Rajshahi krishi unnayn,Investment Corporation of Bangladesh ~ 30.11.18
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
এখানে শুদ্ধ বানান হবে "বিকেন্দ্রীকরণ"বাকি শব্দগুলোর বানান ভুল। তাই সঠিক উত্তর হবে "বিকেন্দ্রীকরণ"।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖শুদ্ধ বানানটি হলো: বিকেন্দ্রীকরণ( decentralization)I
এটি সংস্কৃত ভাষার শব্দ।
বিকেন্দ্রীকরণ অর্থ কোনো বিষয়কে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত করে আঞ্চলিক নিয়ন্ত্রণে আনয়ন।
৯৮৯. ‘পৃথিবীতে কে কাহার’? এই বাক্যে ‘পৃথিবীতে’ পদটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক 🖎 ২য় পর্যায় 🖎 20-05-22
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
ক্রিয়া সম্পাদনের কাল (সময়) এবং আধারকে অধিকরণ কারক বলে। অধিকরণ কারকে সাধারণত সপ্তমী অর্থাৎ এ, য়, তে ইত্যাদি বিভক্তি যুক্ত হয়।
যেমন - বাড়িতে কেউ নেই। (আধারাধিকরণ)
বসন্তে কোকিল ডাকে। (কালাধিকরণ)
সূর্যোদয়ে অন্ধকার দূরীভূত হয়। (ভাবাধিকরণ)
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖অধিকরণ কারক:
যে কারকে স্থান, কাল, বিষয় ও ভাব নির্দেশিত হয়, তাকে অধিকরণ কারক বলে। এই কারকে সাধারণত ‘এ’, ‘য়’, ‘সে’, ‘-তে’ ইত্যাদি বিভক্তি শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়। যেমন ➝
বাবা বাড়িতে আছেন।
বিকাল পাঁচটায় অফিস ছুটি হবে।
রাজীব বাংলা ব্যাকরণে ভালো।
একইভাবে,
‘পৃথিবীতে কে কাহার’? এই বাক্যে ‘পৃথিবীতে’ পদটি অধিকরণ কারকে ৭মী বিভক্তি
৯৯০. কিন্টারগার্ডেন’ কোন ভাষা হতে আগত শব্দ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক 🖎 ২য় পর্যায় 🖎 20-05-22 📖 দুদক➺কনস্টেবল☞23.9.22
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
কিন্ডারগার্টেন শিশুদের প্রাক-বিদ্যালয় বা বিদ্যালয়-পূর্ব উপযোগী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিশেষ। এ শব্দটি জার্মান, যার অর্থ হচ্ছে শিশুদের বাগান। \"কিন্ডারগার্টেন\" শব্দটি বিখ্যাত জার্মান শিশু-শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব ফ্রেডরিখ ফ্রোয়েবল কর্তৃক সৃষ্ট হয়েছে।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖‘কিন্ডারগার্টেন’ শব্দটি জার্মান, যার অর্থ হচ্ছে শিশুদের বাগান।
'কিন্ডারগার্টেন' শব্দটি বিখ্যাত জার্মান শিশু-শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব ফ্রেডরিখ ফ্রোয়েবল কর্তৃক সৃষ্ট হয়েছে।
৯৯১. ‘পাঠক শব্দটি প্রকৃতি ও প্রত্যয় নিচের কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক 🖎 ২য় পর্যায় 🖎 20-05-22
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
উত্তর:কর্তৃবাচ্য ধাতুর পরে "অক" প্রত্যয় যোগ হয়ে রুট পঠ + অক = পাঠক শব্দটি গঠিত হয়েছে।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বাংলা একাডেমি অভিধান অনুসারে,
পাঠক’ শব্দটির প্রকৃতি ও প্রত্যয় : √পাঠি + অক
পাঠক’ শব্দটির অর্থ
১.পাঠকারী
২.ছাত্র
৩.কথক
৪.শিক্ষক, অধ্যাপক
পাঠক’ শব্দটির স্ত্রীরূপ হলো: পাঠিকা
ণক—প্রত্যয় ('ণ' ইৎ ‘অক’ থাকে) :
√পঠ+ণক=√পঠ+অক=পাঠক। মূল স্বরের বৃদ্ধি হয়ে ‘অ’ স্থানে ‘আ’ হয়েছে।
যেমন-√নী + ণক=(নৈ+অক-প্রথম স্বরের বৃদ্ধি) নায়ক, √গৈ + ণক=গায়ক,√লিখ + ণক= লেখক ইত্যাদি।
৯৯২. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী প্রথম কোথা থেকে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক 🖎 ২য় পর্যায় 🖎 20-05-22
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
ড.হরপ্রসাদ শাত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজ গ্রন্থশালা থেক চর্যাপদ আবিষ্কার করেন
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন।
- ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজ দরবারের গ্রন্থাগার থেকে এটি আবিষ্কার করেন।
❏ চর্যাপদের চর্যাগুলো রচনা করেন বৌদ্ধ সহজিয়াগণ।
❏ চর্যাপদে বৌদ্ধধর্মের কথা বলা হয়েছে।
৯৯৩. কোন বানানটি শুদ্ধ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক 🖎 ২য় পর্যায় 🖎 20-05-22 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -নাগালিঙ্গম- ১২.১০.১২ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -শিউলী- ১১.০৯.০৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
এখানে শুদ্ধ বানান হবে "আদ্যাক্ষর"।বাকি শব্দগুলোর বানানে ভুল রয়েছে। তাই সঠিক উত্তর হবে "আদ্যাক্ষর"।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖শুদ্ধ বানানে লেখা - আদ্যাক্ষর
আদ্যাক্ষর অর্থ প্রথম অক্ষর।
৯৯৪. ‘আমার হিন্দু বা মুসলিম যেমন সত্য, তার চেয়ে বেশি সত্য আমরা বাঙালি’ কে বলেছিলেন?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক 🖎 ২য় পর্যায় 🖎 20-05-22
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
শহীদুল্লাহ্ বলেন, '... ইংরেজী, উর্দু, হিন্দির পর আবশ্যক সংস্কার করিলে বাঙ্গালাকে ভারতের সাধারণ ভাষায় পরিণত করা যাইতে পারে...'। ১৯৪৮ সালে পূর্ব পাকিস্তান সাহিত্য সম্মেলনের মূল সভাপতির ভাষণে তিনি বলেন, 'আমরা হিন্দু বা মুসলমান যেমন সত্য, তার চেয়ে বেশি সত্য আমরা বাঙালী। এটি কোনো আদর্শের কথা নয়; এটি একটি বাস্তব কথা।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ মূলত ভাষাবিদ, ভাষাবিজ্ঞানী, গবেষক ও শিক্ষাবিদ ছিলেন।
''আমরা হিন্দু বা মুসলমান যেমন সত্য, তার চেয়ে বেশি সত্য আমরা বাঙালি।'' - উক্তিটি করেছিলেন তিনি।
৯৯৫. ‘ব্যাকরণ’ শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ কী?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক 🖎 ২য় পর্যায় 🖎 20-05-22
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
ব্যাকরণ শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হল বিশেষভাবে বিশ্লেষণ। বলা হয়ে থাকে ব্যাকরণ অর্থ হলো বিশেষভাবে বিশ্লেষণ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖ব্যাকরণ - (বিশেষ্য)
❏ কোনো ভাষার শব্দ ও পদবিন্যাসের স্বরূপ, কাঠামো, রীতি ও বিশ্লেষণ সম্পর্কিত বিদ্যা বা গ্রন্থ।
❏ শব্দের ব্যুৎপত্তিবিষয়ক শাস্ত্র।
{(তৎসম বা সংস্কৃত) বি + আ + √কৃ + অন}
❏ শব্দটির বুৎপত্তিগত অর্থ বিশেষভাবে বিশ্লেষণ।
৯৯৬. ’মাথা খাও, পত্র দিতে ভুলো না’ এখানে ‘মাথা খাওয়ার’ অর্থ কী?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক 🖎 ২য় পর্যায় 🖎 20-05-22
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
এখানে "মাথা খাও" দ্বারা বিশেষ অর্থ বুঝানো হয়েছে। বাক্যে মাথা খাও বলতে দিব্যি দেওয়া বুঝানো হয়েছে
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖‘মাথা খাও, পত্র দিতে ভুলো না’- এখানে ‘মাথা’ খাওয়ার’ অর্থ হলো দিব্যি দেয়া।
❉
❉দিব্যি অর্থ উত্তম; চমৎকার; সুন্দর।
❉ক্রিয়াবিশেষণ অর্থে বেশ ভালোভাবে; পরিষ্কার করে; স্পষ্টভাবে (ঠিক যে কোথায় হাসতে হবে একেক সময় দিব্যি বুঝে-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)।
৯৯৭. "রাশি রাশি ভারা ভারা ধান কাটা হল সারা” এখানে ”রাশি রাশি”
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক 🖎 ২য় পর্যায় 🖎 20-05-22 📖 ১১শ বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস প্রিলিমিনারী পরীক্ষা, .১৭
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
দ্বিরুক্ত শব্দ ব্যাবহার করে যখন একের বেশি কোনো কিছুকে বোঝানো তাকে নির্ধারক বিশেষন বলা হয়। যেমন, রাশি রাশি ধান, লাল লাল কৃষ্ণচূড়া,ঘরে ঘরে সাড়া পরেছে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖সাধারণত একের বেশি কোনো কিছুকে বোঝাতে দ্বিরুক্ত শব্দ ব্যবহার করা হয়, যাকে নির্ধারক বিশেষণ বলে।
এখানে বিশেষ্য ‘ধান’ এর নির্ধারক বিশেষণ ‘রাশি রাশি' 'ভারা ভারা'।
‘রাশি রাশি' বলতে অনেক এবং 'ভারা ভারা' বলতে বোঝা বোঝা।
৯৯৮. সভয়ে লোকটি বলল, বাঘ আসছে। এখানে ‘সভয়ে’ পদটি কোন বিশেষণের উদাহরণ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক 🖎 ২য় পর্যায় 🖎 20-05-22 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2011➯ঘ ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
এখানে সভয়ে শব্দটি বিশেষন।আর ক্রিয়া হলো বলল।কিভাবে বলল???উত্তর হবে সভয়েতাই সভয়ে শব্দটি ক্রিয়াকে বিশেষায়িত করে।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖ক্রিয়া বিশেষণঃ যে পদ ক্রিয়া সংঘটনের ভাব,কাল বা রূপ নির্দেশ করে,তাকে ক্রিয়া বিশেষণ বলে।
যেমন -
ক্রিয়া সংঘটনের ভাবঃ ধীরে ধীরে বায়ু বয়।
ক্রিয়া সংঘটনের কালঃ পরে একবার এসো।
সভয়ে লোকটি বলল, বাঘ এসেছে। এখানে ‘সভয়ে’ শব্দটি ক্রিয়া বিশেষণের উদাহরণ।
৯৯৯. ধ্বনি হলো –
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক 🖎 ২য় পর্যায় 🖎 20-05-22
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖ভাষাকে সূক্ষভাবে বিশ্লেষণ করলে পাওয়া যায় ধ্বনি অর্থাৎ ভাষার ক্ষুদ্রতম একক হলো 'ধ্বনি'।
ধ্বনির লিখিত রুপকে বলা হয় বর্ণ অর্থাৎ শব্দের সংক্ষিপ্ত রুপ হলো বর্ণ৷ এবং বাক্যের সংক্ষিপ্ত রুপ হলো শব্দ।
১০০০. ‘অঙ্গজুড়ায় তোমার ছায়ায় এসে’ – এখানে ‘ছায়া’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?জন্মভূমির প্রকৃতি
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক 🖎 ২য় পর্যায় 🖎 20-05-22
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖উল্লিখিত পঙতিটি রবীন্দ্রনাথের দেশপ্রেমমূলক কবিতা ''জন্মভূমি'' কবিতার অংশ। - ‘অঙ্গ জুড়ায় তোমার ছায়ায় এসে’- এখানে ‘ছায়া’ বলতে নিজ জন্মভূমিতে আশ্রয় পাওয়ার কথা বলতে চেয়েছেন, কারণ কবি জন্মভূমির প্রতি হৃদয়ের মাঝে গভীর টান অনুভব করেন।
❉- নিম্নোক্ত চরণগুলোতে কবি ব্যক্ত করেছেন মাতৃভূমি তার কাছে মায়ের মতো; আঁখি মেলে তিনি প্রথম দেশের আলো দেখেছেন।
❉
❉ ''জন্মভূমি'' কবিতাটি নিম্নরূপ:
❉
❉সার্থক জনম আমার জন্মেছি এই দেশে।
সার্থক জনম, মা গো, তোমায় ভালোবেসে॥
জানি নে তোর ধনরতন
আছে কি না রানির মতন,
শুধু জানি আমার অঙ্গ জুড়ায় তোমার ছায়ায় এসে॥
কোন্▫ বনেতে জানি নে ফুল
গন্ধে এমন করে আকুল,
কোন্▫ গগনে ওঠে রে চাঁদ এমন হাসি হেসে॥
আঁখি মেলে তোমার আলো
প্রথম আমার চোখ জুড়ালো,
ওই আলোতেই নয়ন রেখে মুদব নয়ন শেষে॥
১০০১. একটি কবিতা পড়া হবে, তার জন্যে কী ব্যাকুল প্রতীক্ষা মানুষের ‘কখন’ আসবে কবি’?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺৩য় ধাপ ☞ 03.06.22
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
স্বাধীনতা, এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো
কবি- নির্মলেন্দু গুণ
একটি কবিতা লেখা হবে তার জন্য অপেক্ষার উত্তেজনা নিয়ে
লক্ষ লক্ষ উন্মত্ত অধীর ব্যাকুল বিদ্রোহী শ্রোতা বসে আছে
ভোর থেকে জনসমুদ্রের উদ্যান সৈকতে: ‘কখন আসবে কবি?’
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖আলোচ্য পঙক্তিগুলো বাংলাদেশের কবি নির্মলেন্দু গুণ রচিত 'চাষাভুষার কাব্য' (১৯৮১) নামক কাব্যগ্রন্থের 'স্বাধীনতা, এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো' কবিতা থেকে নেয়া হয়েছে।
কবিতাটি শেষ হয়েছে এভাবে-
"শত বছরের শত সংগ্রাম শেষে,
রবীন্দ্রনাথের মতো দৃপ্ত পায়ে হেঁটে
অত:পর কবি এসে জনতার মঞ্চে দাঁড়ালেন৷
তখন পলকে দারুণ ঝলকে তরীতে উঠিল জল,
হদৃয়ে লাগিল দোলা, জনসমুদ্রে জাগিল জোয়ার
সকল দুয়ার খোলা৷ কে রোধে তাঁহার বজ্রকন্ঠ বাণী?
গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে কবি শোনালেন তাঁর অমর-কবিতাখানি:
‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম৷’
সেই থেকে স্বাধীনতা শব্দটি আমাদের৷
১০০২. “সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই”- চরণটির রচয়িতা-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺৩য় ধাপ ☞ 03.06.22
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
বাংলা ভাষায় বৈষ্ণব পদাবলীর আদি কবি রচয়িতা কবি "চন্ডীদাস"। "সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই" পঙক্তিটি মধ্যযুগে কবি চন্ডীদাস রচিত মানবপ্রেমের এক অনন্য নির্দশন। চন্ডীদাস রচিত আরও কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পদঃ ১। বঁধু কি আর বলিব আমি/ মরনে জীবন, জনমে জনমে / প্রাণনাথ হৈও তুমি। ২। সই কেমনে ধরিব হিয়া / আমার বঁধূয়া আন বাড়ি যায় আমার আঙিনা দিয়া। ৩। দুঁহু করে দুঁহু কাঁদে বিচ্ছেদ ভাবিয়া। আধ তিল না দেখিয়া যায় যে মরিয়া।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖চন্ডীদাস (আনু.১৪শ শতক) মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের প্রসিদ্ধ কবি।
❏ এ নামে চারজন কবির পরিচয় পাওয়া যায়; তাঁরা হলেন: বড়ু চন্ডীদাস, দ্বিজ চন্ডীদাস, দীন চন্ডীদাস ও চন্ডীদাস।
❏ তবে এঁদের মধ্যে বড়ু চন্ডীদাসকে মোটামুটিভাবে চিহ্নিত করা গেছে।
❏ তাঁর জন্ম পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার নান্নুর গ্রামে (মতান্তরে ছাতনা-বাঁকুড়া)।
❏ তাঁর পিতা দুর্গাদাস বাগচী ছিলেন বরেন্দ্র শ্রেণীর ব্রাহ্মণ।
বড়ু চন্ডীদাসের প্রধান পরিচয় শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের রচয়িতা হিসেবে।
❏ বসন্তরঞ্জন বিদ্বদ্বল্লভ বাঁকুড়া থেকে এ কাব্যের পুথি আবিষ্কার করে ১৯১৬ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশ করেন।
❏ তাতে তিনি চন্ডীদাসের জন্ম ১৩৩৯ এবং মৃত্যু ১৩৯৯ খ্রিস্টাব্দ বলে উল্লেখ করেন।
❏ এ কাব্যের ভাব ও ভাষা বিচারে চন্ডীদাসকে চৈতন্য-পূর্ববর্তী, সম্ভবত চৌদ্দ শতকের প্রথমার্ধের লোক বলে মনে করা হয়।
❏ চন্ডীদাসের নামযুক্ত পদসমূহ দীর্ঘকাল বাংলার ঘরে ঘরে গীত হয়েছে।
❏ তিনিই বাংলা ভাষার প্রথম মানবতাবাদী কবি।
❏ তাঁর বিখ্যাত উক্তি ‘সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই’ বাঙালির দর্শনচিন্তা এবং মানবতাবোধের অপূর্ব নিদর্শন।
❏ চন্ডীদাসের নামাঙ্কিত পদের সংখ্যা ন্যূনাধিক এগারশ।
১০০৩. “খন্ড প্রলয়” প্রবাদটির প্রয়োগিক অর্থ
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺৩য় ধাপ ☞ 03.06.22
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
ব্যাখ্যাঃ "খন্ড প্রলয়" প্রবাদের প্রায়োগিক অর্থ- তুমুল কান্ড।ভীষণ গন্ডগোল, ছোট খাট ঝগরা ইত্যাদি। সঠিক উত্তরঃ তুমুল কান্ড
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖‘খণ্ড প্রলয়' প্রবাদটির প্রায়োগিক অর্থ = তুমুল কাণ্ড/ভীষন ব্যাপার।
উদাহরণ - এইটুকু ঘটনাতে খণ্ড প্রলয় ঘটানোর কী আছে?
১০০৪. শিশুর ভাষা শিক্ষার প্রথম মাধ্যম কে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺৩য় ধাপ ☞ 03.06.22
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
ব্যাখ্যাঃ শিশুর ভাষা শিক্ষার প্রথম মাধ্যম হচ্ছে - "মা"কেননা শিশুর পিতামাতার মধ্যে অধিকতর কাছের মানুষ হলেন তার মা। আর শিশুর সামাজিকীকরণের প্রথম সূত্রপাত ঘটে তার মায়ের কাছ থেকে। সঠিক উত্তরঃ মা
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖শিশুর ভাষা শিক্ষায় প্রথম মাধ্যম হলো মা।
❉বাড়ি হলো একজন শিশুর প্রথম পাঠগ্রহণের প্রথম বিদ্যালয়।
১০০৫. শেখ রাসেলকে নিয়ে শেখ হাসিনার লেখা বই কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺৩য় ধাপ ☞ 03.06.22
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
আমাদের ছোট রাসেল সোনা শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শেখ রাসেলের জীবন কাহিনীর ওপর লেখা বই। ২০১৯ সালে বইটি প্রকাশিত হয়। এটি লিখেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖‘আমাদের ছোট রাসেল সোনা’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রচিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শেখ রাসেলের জীবনকাহিনির ওপর লেখা বই।
❏ বাংলা একাডেমি ২০১৯ সালে বইটি প্রকাশ করে। প্রচ্ছদ করেন কাইয়ুম চৌধুরী।
❏ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছোটদের উপযোগী করে গল্পের আকারে বইটি লিখেছেন।
❏ বইতে শেখ রাসেলের শিশুকাল থেকে শুরু করে, তার ছেলেবেলার একাধিক ঘটনা, মা-বাবা, ভাই-বোনদের সঙ্গে তার সময় কাটানো, লেখাপড়া, স্কুলজীবন ইত্যাদি সহজ ভাষায় বর্ণনা করেছেন।
- এ বইটি পড়ে ছোট্ট রাসেলের ছেলেবেলার জীবন জানা যাবে, জানা যাবে আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধের কিছু চিত্র।
❏ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বেশ কয়েকটি গ্রন্থের রচয়িতা।
❏ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে:-
১। ‘‘শেখ মুজিব আমার পিতা’’,
২। ওরা টোকাই কেন?,
৩। বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের জন্ম’’,
৪। দারিদ্র্য বিমোচন, কিছু ভাবনা’’,
৫। ‘‘আমার স্বপ্ন, আমার সংগ্রাম’’,
৬। আমরা জনগণের কথা বলতে এসেছি’’,
৭। ‘‘সামরিকতন্ত্র বনাম গণতন্ত্র’’,
৮। ‘‘সাদা কালো’’,
৯। ‘‘সবুজ মাঠ পেরিয়ে’’,
১০।মুজিব বাংলার, বাংলা মুজিবের,
১১। Miles to Go, The Quest for Vision-2021 (two volumes) ইত্যাদি।
১০০৬. ‘শীতার্ত’ শব্দটির সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺৩য় ধাপ ☞ 03.06.22
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
শীত+ঋত হলো ব্যঞ্জন সন্ধি। ঋত এর স্থলে রেফ যোগ হয়ে শীতার্ত হয়।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖সন্ধি তিন প্রকার:
স্বরসন্ধি
ব্যঞ্জনসন্ধি
বিসর্গসন্ধি
১. স্বরসন্ধি স্বরধ্বনির সঙ্গে স্বরধ্বনির মিলনকে স্বরসন্ধি বলে।
সূত্র ১: অ/আ+অ/আ = আ। যেমন ➝ উত্তর+অধিকার = উত্তরাধিকার, আশা+অতীত = আশাতীত
সূত্র-২: ই/ঈইঈ = ঈ। যেমন ➝ অতি+ইন্দ্রিয় = অতীন্দ্রিয়, পরি+ঈক্ষা = পরীক্ষা
সূত্র-৩: উ/উ+উ/ঊ = উ। যেমন ➝ মরু+উদ্যান = মরূদ্যান
সূত্র-৪: অ/আ+ই/ঈ = এ। যেমন ➝ শুভ+ইচ্ছা = শুভেচ্ছা
সূত্র-৫: অ/আ+উ/ঊ = ও। যেমন ➝ সূর্য+উদয় = সূর্যোদয়
সূত্র-৬: অ/আ+ঋ = অর্। যেমন ➝ মহা+ঋষি = মহর্ষি।
সূত্র-৭: অ/আ+ঋত = আর্। যেমন ➝ শীত+ঋত = শীতার্ত
সূত্র-৮: অ/আ+এ/ঐ = ঐ। যেমন ➝ জন+এক = জনৈক
সূত্র-৯: অ/আ+ও/ঔ = ঔ। যেমন ➝ বন+ওষধি = বনৌষধি
সূত্র-১০: ই/ঈ+অন্য স্বর = য+স্বর। যেমন ➝ প্রতি+এক = প্রত্যেক
সূত্র-১১: উ/উ+অন্য স্বর = বু+স্বর। যেমন ➝ সু+অল্প = স্বল্প
সূত্র-১২: ঋ+অন্য স্বর = রূস্বর। পিতৃ+আলয় = পিত্রালয়।
সূত্র-১৩: এ+ অন্য ঘর = অ+স্বর। যেমন ➝ শে+অন = শয়ন
সূত্র-১৪: ঐ+ অন্য স্বর = আয়ু+স্বর। যেমন ➝ নৈ+অক = নায়ক
সূত্র-১৫: ও+ অন্য স্বর = অবৃ+স্বর। যেমন ➝ গো+আদি = গবাদি
সূত্র-১৬: ঔ+ অন্য স্বর = আবৃ+স্বর। যেমন ➝ নৌ+ইক = নাবিক
কিছু স্বরসন্ধি সূত্র অনুসরণ করে না, সেগুলোকে নিপাতনে সিদ্ধ স্বরসন্ধি বলে।
যেমন ➝ কুল+অটা = কুলটা (সূত্র অনুসারে কুলাটা হওয়ার কথা)।
গো+অক্ষ = গবাক্ষ (সূত্র অনুসারে গবক্ষ হওয়ার কথা) ইত্যাদি।
১০০৭. নিচের কোনটি তৎসম শব্দ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺৩য় ধাপ ☞ 03.06.22
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖নারিকেল (নারিকেল্▫)
- সংস্কৃত বা তৎসম শব্দ।
❏ প্রকৃতি প্রত্যয় - নারিক+√ঈরি+অ
❏ বিশেষ্য পদ।
১০০৮. ‘একাত্তরের দিনগুলি’ কার রচিত?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺৩য় ধাপ ☞ 03.06.22
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
একাত্তরের দিনগুলি বাংলাদেশী কথাসাহিত্যিক জাহানারা ইমাম রচিত মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক গ্রন্থ। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৮৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, এরপর আরো অনেকবার এটি পুনঃমুদ্রিত হয়।
বইটি ব্যক্তিগত দিনলিপি আকারে লেখা, যার শুরু ১৯৭১ সালের ১ মার্চ এবং সমাপ্তি সেই বছরের ১৭ ডিসেম্বর। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ঢাকা শহরের অবস্থা ও গেরিলা তৎপরতার বাস্তব চিত্র এতে উঠে এসেছে।শহিদ জননী জাহানার ইমামের জন্ম ৩ মে ১৯২৯ এবং মৃত্যু ২৬ জুন ১৯৯৪।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালে জাহানারা ইমাম তাঁর পুত্র রুমী ও স্বামীকে হারান।
❏ মুক্তিযুদ্ধের দীর্ঘ নয় মাস কেটেছে তাঁর একদিকে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও ত্রাসের মধ্য দিয়ে; অন্যদিকে মনের মধ্যে ছিল দেশপ্রেম ও স্বাধীনতার স্বপ্ন।
❏ সেই দুঃসহ দিনগুলিতে প্রাত্যহিক ঘটনা এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করার বৃত্তান্ত লিখেছিলেন তিনি নানা চিরকুটে, ছিন্ন পাতায়, গোপন ভঙ্গি ও সংকেতে।
❏ ১৯৮৬ সালে গ্রন্থরূপ পাওয়ার পর তা জনমনে বিপুল সাড়া জাগায়।
❏ বস্তুত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একটি শিহরণমূলক ও মর্মস্পর্শী ঘটনাবৃত্তান্ত হলো 'একাত্তরের দিনগুলি'।
❏ স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে জাহানারা ইমাম লেখালেখিতে ব্যস্ত সময় কাটান এবং তাঁর প্রধান গ্রন্থগুলি এ সময়ে প্রকাশ পায়।
❏ গল্প, উপন্যাস ও দিনপঞ্জি জাতীয় রচনা মিলিয়ে তাঁর আরও কয়েকটি গ্রন্থ রয়েছে।
সেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
❏ অন্য জীবন (১৯৮৫),
❏ বীরশ্রেষ্ঠ (১৯৮৫),
❏ জীবন মৃত্যু (১৯৮৮),
❏ চিরায়ত সাহিত্য (১৯৮৯),
❏ বুকের ভিতরে আগুন (১৯৯০),
❏ নাটকের অবসান (১৯৯০),
❏ দুই মেরু (১৯৯০),
❏ নিঃসঙ্গ পাইন (১৯৯০),
❏ নয় এ মধুর খেলা (১৯৯০),
❏ ক্যানসারের সঙ্গে বসবাস (১৯৯১) ও
❏ প্রবাসের দিনলিপি (১৯৯২)।
১০০৯. ল্যাটিন ভাষায় ‘সেন্টি’ অর্থ কী?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺৩য় ধাপ ☞ 03.06.22
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
ব্যাখ্যাঃ ল্যাটিন ভাষায় --- - ডেসি অর্থ দশমাংশ। - সেন্টি অর্থ শতাংশ। - মিলি অর্থ সহস্রাংশ।সঠিক উত্তরঃ শতাংশ
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖গ্রিক ভাষায়,
❏ ডেকা অর্থ ১০ গুণ,
❏ হেক্টো অর্থ ১০০ গুণ এবং
❏ কিলো অর্থ ১০০০ গুণ
ল্যাটিন ভাষায়,
❏ ডেসি অর্থ দশমাংশ,
- সেন্টি অর্থ শতাংশ এবং
❏ মিলি অর্থ সহস্রাংশ।
১০১০. ‘তামার বিষ’ কথাটির অর্থ-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺৩য় ধাপ ☞ 03.06.22
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
ব্যাখ্যাঃ 'তামার বিষ' বাগধারা অর্থ- অর্থের কুপ্রভাব। সঠিক উত্তরঃ অর্থের কুপ্রভাব।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖'তামার বিষ' বাগ্▫ধারাটির অর্থ- অর্থের কুপ্রভাব
উদাহরণ - তোমাকে তামার বিষে পেয়েছে বলে মানুষ্কে মানুষ বলে মনে কর না।
১০১১. ‘পন্ডিতমূর্খ’ পদটির ব্যাসবাক্য নিচের কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺৩য় ধাপ ☞ 03.06.22
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
৩
ব্যাখ্যাঃ
পন্ডিত হয়েও যিনি মূর্খ = পন্ডিতমূর্খ । (মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস)
ব্যাখ্যাকারী :
১০১২. কোন শব্দটির বানান সঠিক?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺৩য় ধাপ ☞ 03.06.22 📖 Data Entry/Control Operator - 08.06.13 📖 Uttara Bank Ltd - Assistant Officer (Cash) - 20.05.11
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
৪
ব্যাখ্যাঃ
ব্যাখ্যাঃ বানান শুদ্ধ -- দূষণীয়, ত্রিভুজ,ভুবন, আদ্যাক্ষর,অতিথি, পিপীলিকা ইত্যাদি।সঠিক উত্তরঃ দূষণীয়
ব্যাখ্যাকারী :
১০১৩. ‘পাছে লোকে কিছু বলে’ কবিতা পাঠকের মনে কোন আচরণের উদ্রেক ঘটায়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺৩য় ধাপ ☞ 03.06.22
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
পাছে লোকে কথা বলে বা পেছনে কথা বলা লোক লেখকের মনে সংকোচের ভয় ঢোকায়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖'পাছে লোকে কিছু বলে'- কবিতাটি কামিনী রায় রচিত ‘আলো ও ছায়া' কাব্যগ্রন্থ নেওয়া হয়েছে।
❏ কবিতাটি কোন কাজ করতে গেলে অন্য মানুষের সমালোচনার ভয়ে নিজেকে ঘুটিয়ে রাখে - সেই দিকটায় আলোকপাত করা হয়েছে।
❏ অর্থাৎ এই কবিতা পাঠে মানুষের মনে অন্যের সমালোচনার কারণে যে "সংকোচ" তাঁর উদ্রেক ঘটে।
❏ দৃঢ় মনোবল নিয়ে লোকলজ্জা ও সমালোচনাকে উপেক্ষা করে মানুষের কল্যাণে মহৎ কাজ করতে হলে ভয়-ভীতি সংকোচ উপেক্ষা করে এগিয়ে যেতে হবে।
কামিনী রায় রচিত অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ হলো:
❏ নির্মাল্য (১৮৯১),
❏ পৌরাণিকী (১৮৯৭),
❏ গুঞ্জন (শিশুকাব্য, ১৯০৫),
❏ ধর্ম্মপুত্র (অনুবাদ, ১৯০৭),
❏ মাল্য ও নির্মাল্য (১৯১৩),
❏ অশোকসঙ্গীত (সনেট, ১৯১৪),
❏ অম্বা (নাটক, ১৯১৫),
❏ বালিকা শিক্ষার আদর্শ (১৯১৮),
❏ ঠাকুরমার চিঠি (১৯২৪),
❏ দীপ ও ধূপ (১৯২৯),
❏ জীবনপথে (সনেট, ১৯৩০)।
১০১৪. “দ্বীপ” এর ব্যাসবাক্য-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺৩য় ধাপ ☞ 03.06.22
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖নিপাতনে সিদ্ধ বহুব্রীহি সমাস :
যে বহুব্রীহি সমাস কোনো নিয়মের সাহায্যে ব্যাখ্যা করা যায় না, তাকে বলা হয় নিপাতনে সিদ্ধ বহুব্রীহি সমাস।
যেমন-দুই দিকে অপ যার = দ্বীপ,
অন্তর্গত অপ(জল) যার = অন্তরীপ,
নরাকারের পশু যে = নরপশু,
জীবিত থেকেও যে মৃত = জীবন্মৃত,
পণ্ডিত হয়েও যে মূর্খ = পণ্ডিতমূর্খ ইত্যাদি।
১০১৫. ‘শুক্রবার বিদ্যালয় বন্ধ থাকে’ বাক্যে ‘বিদ্যালয়’ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺৩য় ধাপ ☞ 03.06.22 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2008➯C ইউনিট 📖 রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়➟2011➯A6 ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖কর্মকারক
সংজ্ঞা : কর্তা যাকে আশ্রয় করে বা অবলম্বন করে ক্রিয়া সম্পাদন করে তাকে বল হয় কর্মকারক।
যেমন, সেলিম বই পড়ে- এ বাক্যের কর্ম হলো বই। কারণ বইকে আশ্রয় করে কর্তা এখানে কাজ সম্পাদন করেছে।
কর্মকারকের বিভিন্ন বিভক্তির ব্যবহার।
ক) প্রথমা বা শূন্য অ বিভক্তি :
ডাক্তার ডাক।
আমাকে এক খানা বই দাও। (দ্বিকর্মক ক্রিয়ার মূখ্য কর্ম)
রবীন্দ্রনাথ পড়লাম, নজরুল পড়লাম, এর সুরাহা খুঁজে পেলাম না।(গ্রন্থ অর্থে বিশিষ্ট প্রয়োগ)।
খ) দ্বিতীয়া বা কে বিভক্তি : তাকে বল।
রে বিভক্তি : ‘আমারে তুমি করিবে ত্রাণ, এ নহে মোর প্রার্থনা।
গ) ষষ্ঠী বা র বিভক্তি : তোমার দেখা পেলাম না।
ঘ) সপ্তমীর এ বিভক্তি : জিজ্ঞাসিবে জনে জনে।' (বীপ্সায়)।
উল্লেখিত বাক্য - 'শুক্রবার বিদ্যালয় বন্ধ থাকে' বাক্যে 'বিদ্যালয়' শব্দটি তাই কর্মে শূন্য।
১০১৬. ব্যাকরণের কাজ কী?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺৩য় ধাপ ☞ 03.06.22
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
ভাষাবিজ্ঞানের পরিভাষায় ব্যাকরণ বলতে সাধারণত ভাষার কাঠামোর, বিশেষ করে শব্দ ও বাক্যের কাঠামোর, গবেষণাকে বোঝায়। এ অর্থে ব্যাকরণ হল কোন ভাষার রূপমূলতত্ত্ব ও বাক্যতত্ত্বের আলোচনা।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖ব্যাকরণের সংজ্ঞার্থ:
ব্যাকরণ হলো ভাষা ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত বিধির সমষ্টি যা ভাষার ধ্বনি ব্যবস্থা, শব্দ তথা রূপের গঠন, বাক্যিক বিন্যাস এবং বাগর্থকে বর্ণনা করে। ব্যাকরণকে অনুশাসনমূলক বিষয় হিসেবে বিবেচনা করার রীতি দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত থাকলেও আধুনিক ভাষাবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে ব্যাকরণ মূলত বর্ণনামূলক।
অর্থাৎ, একটি নির্দিষ্ট ভাষার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য কোনো বিধি কেন প্রাসঙ্গিক তার বর্ণনামূলক ব্যাখ্যা প্রদান করাই ওই ভাষার ব্যাকরণের লক্ষ্য। সুতরাং, বাংলা ভাষার ব্যাকরণের মুখ্য উদ্দেশ্য হলো : এই ভাষার ধ্বনিব্যবস্থা কীরূপ তা বর্ণনা করা, বাংলা ভাষার রূপতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যসমূহ শনাক্ত করা, বাংলা বাক্য বিন্যাসের কৌশল ও প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করা এবং সর্বোপরি ধ্বনি রূপ ও বাক্যের বাগর্থসংগতি নির্ধারণ করা।
সুতরাং বলা চলে যে, ব্যাকরণের মূল কাজ হলো ভাষার সংগঠন বিশ্লেষণ। ব্যাকরণ শব্দটির ব্যুৎপত্তি বিবেচনা করলেও এই উদ্দেশ্যই স্পষ্ট হয়ে ওঠে। কেননা, ব্যাকরণ’ শব্দটির মূল অর্থ হলো বিশেষভাবে বিশ্লেষণ।
শব্দটির গঠন হলো : বিআ+কৃ+অন। ব্যাকরণ অধ্যয়নের মধ্য দিয়ে যে বিষয়সমূহ আয়ত্ত করা যায় তা হলো :
ক) ভাষার ধ্বনি, রূপ, বাক্য এবং বাগর্থের গঠন-প্রকৃতি সম্পর্কে শেখা;
খ) উল্লিখিত সকল উপাদানের সুষ্ঠু ব্যবহার করতে পারা;
গ) ভাষার প্রমিত ব্যবহারের সামর্থ্য অর্জন করা।
১০১৭. বাংলা বর্ণমালায় অর্ধমাত্রা বর্ণ কয়টি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺৩য় ধাপ ☞ 03.06.22 📖 22nd BCS General Feb, 2001 📖 ৯ম বেসরকারি প্রভাষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন পরিক্ষা-২৪.০৮.১৩
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
অর্ধমাত্রা - ৮টি।
স্বরবর্ণ ১টি (ঋ) । ব্যঞ্জনবর্ণ ৭টি ( খ,গ,ণ,থ,ধ,প,শ)।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖উপযুক্ত বর্ণসমূহকে মাত্রার উপর ভিত্তি করে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। ।
মাত্রাহীন বর্ণ: বাংলা বর্ণমালায় মাত্রাহীন বর্ণের সংখ্যা ১০ টি। এর মধ্যে স্বরবর্ণ ৪টি এ, ঐ, ও, ঔ এবং ব্যঞ্জনবর্ণ ৬টি (ঙ, ঞ, ৎ, ং, ঃ, ঁ)।
অর্ধমাত্রার বর্ণ: বাংলা বর্ণমালায় অর্ধমাত্রার বর্ণ ৮টি। এর মধ্যে স্বরবর্ণ ১টি (ঋ) এবং ব্যঞ্জনবর্ণ ৭টি (খ, গ, ণ, থ, ধ, প, শ)।
পূর্ণমাত্রার বর্ণ: বাংলা বর্ণমালায় পূর্ণ মাত্রার বর্ণ ৩২টি। এর মধ্যে স্বরবর্ণ ৬টি এবং ব্যঞ্জনবর্ণ ২৬টি।
১০১৮. ‘এ বিশ্বকে এ-শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি- নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার’। পঙতিটির রচয়িতা কে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺৩য় ধাপ ☞ 03.06.22 📖 রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়➟2015➯B ইউনিট 📖 বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়➟2015➯C ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য ক’রে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকারএই লাইন টি কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের "ছাড়পত্র" কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖পঙতিটি কিশোর কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য রচিত 'ছাড়পত্র' কাব্যগ্রন্থের 'ছাড়পত্র' কবিতা থেকে নেয়া হয়েছে-
কবিতাটি নিম্নরূপ-
যে শিশু ভূমিষ্ঠ হল আজ রাত্রে
তার মুখে খবর পেলুমঃ
সে পেয়েছে ছাড়পত্র এক,
নতুন বিশ্বের দ্বারে তাই ব্যক্ত করে অধিকার
জন্মমাত্র সুতীব্র চিৎকারে।
খর্বদেহ নিঃসহায়, তবু তার মুষ্টিবদ্ধ হাত
উত্তোলিত, উদ্ভাসিত
কী এক দুর্বোধ্য প্রতিজ্ঞায়।
সে ভাষা বোঝে না কেউ,
কেউ হাসে, কেউ করে মৃদু তিরস্কার।
আমি কিন্তু মনে মনে বুঝেছি সে ভাষা।
পেয়েছি নতুন চিঠি আসন্ন যুগের
পরিচয়-পত্র পড়ি ভূমিষ্ঠ শিশুর
অস্পষ্ট কুয়াশাভরা চোখে।
এসেছে নতুন শিশু, তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান;
জীর্ণ পৃথিবীতে ব্যর্থ, মৃত আর ধ্বংসস্তূপ-পিঠে
চলে যেতে হবে আমাদের।
চলে যাব- তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ
প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল,
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য ক’রে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
অবশেষে সব কাজ সেরে
আমার দেহের রক্তে নতুন শিশুকে
করে যাব আশীর্বাদ,
তারপর হব ইতিহাস।।
১০১৯. ‘তাজা মাছ’ কোন বিশেষণ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺৩য় ধাপ ☞ 03.06.22
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
যে বিশেষণ দিয়ে অবস্থা বোঝায়, তাকে অবস্থাবাচক বিশেষণ বলে। 'তাজা মাছ' দিয়ে মাছের অবস্থা বোঝায়, তাই এটি একটি অবস্থাবাচক বিশেষণ।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বিশেষণের প্রকারভেদ
➜ বিশেষণ পদকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
যথা- নাম বিশেষণ এবং
ভাব বিশেষণ
➜ নাম বিশেষণকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
যথা- বিশেষ্যের বিশেষণ এবং
সর্বনামের বিশেষণ।
➜ ভাব বিশেষণকে আবার চার ভাগে ভাগ করা যায়
যথা- ক্রিয়া বিশেষণ, বিশেষণের বিশেষণ, অব্যয়ের বিশেষণ এবং বাক্যের বিশেষণ।
নাম বিশেষণ : যে বিশেষণ পদ কোনো বিশেষ্য বা সর্বনাম পদকে বিশেষিত করে, তাকে নাম বিশেষণ বলে। যথা-
বিশেষ্যের বিশেষণ : সুস্থ সবল দেহকে কে না ভালবাসে ?
সর্বনামের বিশেষণ : সে রূপবান ও গুণবান।
নাম বিশেষণের প্রকারভেদ: নাম বিশেষণকে কয়েক ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
➜ রূপবাচক : কালো মেঘ, নীল আকাশ, সবুজ মাঠ।
➜ গুণবাচক : দক্ষ কারিগর, ঠাণ্ডা হাওয়া, চৌকস লোেক।
➜ অবস্থাবাচক : মোটা মেয়ে, রোগা ছেলে, তাজা মাছ (অনুরূপভাবে, ভাজা মাছ) , খোঁড়া পা।
➜ সংখ্যাবাচক : শ টাকা, হাজার লোক, দশ দশা।
➜ ক্রমবাচক : পঞ্চাশ পৃষ্ঠা, অষ্টম শ্রেণি, প্রথমা কন্যা। |
➜ পরিমাণবাচক : এক কেজি চিনি, তিন কিলোমিটার রাস্তা, বিঘাটেক জমি, দশ শতাংশ ভূমি, হাজার টনী জাহাজ।
➜ অংশবাচক : ষোল আনা দখল, সিকি পথ, অর্ধেক সম্পত্তি।
➜ উপাদানবাচক : কাঠের জানালা, পাথরের মূর্তি, বেলে মাটি, মেটে কলসি।
➜ প্রশ্নবাচক : কেমন অবস্থা? কতদূর পথ?
➜ নির্দিষ্টতা জ্ঞাপক : এই মেয়ে, ষোলই ডিসেম্বর ইত্যাদি।
১০২০. ২০২২ সালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কততম জম্মদিন পালন করা হলো ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺৩য় ধাপ ☞ 03.06.22 📖 রেলপথ মন্ত্রণালয়➺সহকারী মাস্টার☞17-06-22
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম ১৮৯৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ মে (জ্যৈষ্ঠ ১১, ১৩০৬ বঙ্গাব্দ) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে।
সুতরাং ২০২২ সালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩ তম জন্মদিন পালন করা হয়।
❏ করাচি সেনানিবাসে বসে নজরুল যে রচনাগুলো সম্পন্ন করেন তার মধ্যে রয়েছে, বাউণ্ডুলের আত্মকাহিনী (প্রথম গদ্য রচনা), মুক্তি (প্রথম প্রকাশিত কবিতা)।
❏ পত্রিকার ২৬ সেপ্টেম্বর, ১৯২২ সংখ্যায় নজরুলের কবিতা আনন্দময়ীর আগমনে প্রকাশিত হয়। এই রাজনৈতিক কবিতা প্রকাশিত হওয়ায় ৮ নভেম্বর পত্রিকার উক্ত সংখ্যাটি নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়।
❏ ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ মে তারিখে ভারত সরকারের অনুমতিক্রমে কবি নজরুলকে সপরিবারে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়।
তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ-
❏ অগ্নিবীণা,
❏ বিষের বাঁশি,
❏ ভাঙার গান,
❏ সাম্যবাদী,
❏ সর্বহারা,
❏ ফনীমনসা,
❏ জিঞ্জির,
❏ প্রলয় শিখা,
❏ সন্ধ্যা ইত্যাদি।
তাঁর রচিত নাটক:
❏ ঝিলিমিলি (নাটক)
❏ আলেয়া (গীতিনাট্য)
❏ পুতুলের বিয়ে (কিশোর নাটক)
❏ মধুমালা (গীতিনাট্য)
❏ ঝড় (কিশোর কাব্য-নাটক)
❏ পিলে পটকা পুতুলের বিয়ে (কিশোর কাব্য-নাটক)
১০২১. 'টাকায় টাকা হয়' বাক্যে নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৮ (মেঘনা) ☞31.10.08 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2012➯গ ইউনিট 📖 Standard Bank Ltd - Asst. Officer - 13.07.12
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝▣ অপাদান কারক:
যা থেকে কোনো কিছু উৎপত্তি, বিচ্যুত, জাত, গৃহীত, আরম্ভ, দূরীভূত ও রক্ষিত হয়, তাকে বলা হয় অপাদান কারক।
❐ বাক্যের ক্রিয়াপদকে কোথা হতে, কি থেকে, কিসের থেকে ইত্যাদি প্রশ্ন করলে উত্তরে যে কারক পাওয়া যায়, তা-ই হলো অপাদান কারক।
▣ অপাদান কারকে বিভিন্ন বিভক্তির প্রয়োগ -
❐ - টাকায় টাকায় হয় = অপাদানে ৭মী বিভক্তি
❐ এ বনে বাঘের ভয় = অপাদান কারকে ৭মী বিভক্তি
❐ মেঘ থেকে বৃষ্টি হয় = অপাদান কারকে ৫মী বিভক্তি
❐ তিলে তৈল হয় = অপাদান কারকে ৭মী বিভক্তি
❐ তিথির চেয়ে বিথী বড় = অপাদান কারকে ষষ্ঠী বিভক্তি
❐ পরাজয়ে ডরে না বীর = অপাদান কারকে ৭মী বিভক্তি
❐ বিপদে মোর রক্ষা কর = অপাদান কারকে ৭মী বিভক্তি
❐ লোভে পাপ পাপে মৃত্যু = অপাদান কারকে ৭মী বিভক্তি
❐ ছাদ থেকে পানি পড়ে = অপাদান কারকে ৫মী বিভক্তি
❐ [তবে বাংলা ২য় পত্র (এইচএসসি প্রোগ্রাম), বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের 'টাকায় টাকায় হয় - করণে ৭মী' দেওয়া আছে, যা প্রকৃতপক্ষে ভুল।]
১০২২. কোন শব্দটি ‘কুহক'-এর সমার্থক নয়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৮ (মেঘনা) ☞31.10.08
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝'কুহক' শব্দের সমার্থক শব্দ - মায়া, ইন্দ্রজাল, ভেলকি, প্রতারণা, ছল, ধোঁকা।
❐ বিরাগ (বিশেষ্য)
❐ ঔদাসীন্য,
❐ নিঃস্পৃহতা,
❐ অনুরাগের অভাব,
❐ বিতৃষ্ণা,
❐ বিরক্তি।
১০২৩. কোনটি শুদ্ধ বানান?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৮ (মেঘনা) ☞31.10.08 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -ডালিয়া- ১২.১০.১২ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -জবা- ১১.০৯.০৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে,
শুদ্ধ বানান - 'বিভীষিকা'।
❐ বিভীষিকা (বিশেষ্য)
❐ সংস্কৃত শব্দ।
❐ প্রকৃতি প্রত্যয় = বি+√ভীষি+অক+আ।
অর্থ:
❐ আতঙ্ক,
❐ ভীতিকর ঘটনা।
১০২৪. বাংলা সাহিত্যে 'সনেট' রচনার প্রবর্তক কে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৮ (মেঘনা) ☞31.10.08 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2012➯C ইউনিট 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -গোলাপ- ১১.০৯.০৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝বাংলা সাহিত্য চতুর্দশপদী কবিতা বা সনেটের প্রবর্তক মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
▣ চতুর্দশপদী (Sonnet) হল এক ধরনের কবিতা যার প্রথম উদ্ভব হয় মধ্যযুগে ইতালিতে।
❐ এর বৈশিষ্ট হল যে এই কবিতাগুলো ১৪টি চরণে সংগঠিত এবং প্রতিটি চরণে সাধারণভাবে মোট ১৪টি করে অক্ষর থাকবে।
❐ এর প্রথম আট চরণের স্তবককে অষ্টক এবং পরবর্তী ছয় চরণের স্তবককে ষষ্টক বলে।
❐ অষ্টকে মূলত ভাবের প্রবর্তনা এবং ষষ্টকে ভাবের পরিণতি থাকে।
❐ বাংলায় চতুর্দশপদী কবিতার জনক - মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
❐ বাংলা সাহিত্যের প্রথম সনেট সংকলন চতুর্দশপদী কবিতাবলী। এটি প্রকাশিত হয় ১৮৬৬ সালে।
❐ ইতালীয় কবি পেত্রার্ক ও শেক্সপিয়ারের অনুকরণে এসব সনেট রচনা করেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
১০২৫. কোন শব্দটি ‘কটি’- এর সমার্থক নয়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৮ (মেঘনা) ☞31.10.08
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে,
❐ কটি (বিশেষ্য)
❐ সংস্কৃত শব্দ
অর্থ:
❐ কোমর,
❐ কাঁকাল,
❐ মাজা।
❐ কাঁচুলি (বিশেষ্য)
❐ সংস্কৃত শব্দ
অর্থ:
❐ স্ত্রীলোকদের স্তন-আবরক বস্ত্র,
❐ বুকের আবরণ,
❐ বক্ষবন্ধনী
১০২৬. কোনটি শুদ্ধ বানান?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৮ (মেঘনা) ☞31.10.08 📖 শিক্ষা অফিসার-১৯.০৩.০৪ 📖 রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়➟2021➯A ইউনিট➺Group-1
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝সরীসৃপ- বানানটি শুদ্ধ।
❐ সরীসৃপ (বিশেষ্য)
- একটি সংস্কৃত শব্দ।
❐ প্রকৃতি-প্রত্যয়: √সৃপ্∘+য+ক্বিপ্∘
অর্থ:
❐ বুকে ভর দিয়ে চলে এমন ডিম্বজ মেরুদন্ডী প্রাণী ( সাপ, টিকটিকি, কুমির প্রভৃতি)।
১০২৭. ‘চিরকুমার সভা’- নাটকটির রচিয়তা কে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৮ (মেঘনা) ☞31.10.08
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝'চিরকুমার সভা' - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত কৌতুক নাটক।
- পরিহাস-উচ্ছল গীতবহুল মঞ্চসফল নাটক।
❐ একদল যুবকের বিয়ে না-করার প্রতিজ্ঞা এবং পরে প্রতিজ্ঞাভঙ্গের কৌতুককর কাহিনি নিয়ে এ নাটক রচিত।
❐ রবীন্দ্রনাথ রচিত আরো নাটক:
❐ বিসর্জন,
❐ রাজা,
❐ অচলায়তন,
❐ চিরকুমার সভা,
❐ তাসের দেশ,
❐ শারদোৎসব,,
❐ প্রায়শ্চিত্ত,
❐ ডাকঘর,
❐ বসন্ত,
❐ চণ্ডালিকা,
❐ নটীর পূজা।
১০২৮. “মোদের গরব মোদের আশা, আ-মরি বাংলা ভাষা।”- কবিতাংশটুকু রচিয়তা কে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৮ (মেঘনা) ☞31.10.08 📖 12th BCS General Apr, 1991 📖 ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়➟2007➯B ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝মোদের গরব, মোদের আশা/ আ মরি বাংলা ভাষা’- গানটির রচয়িতা- 'অতুলপ্রসাদ সেন'।
❐ গানটিতে অতুলপ্রসাদের মাতৃভাষার প্রতি মমত্ববোধ ফুটে উঠেছে।
❐ এ গান বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের সময় বাঙালিদের মধ্যে অফুরন্ত প্রেরণা জুগিয়েছে।
▣ অতুলপ্রসাদ সেন
❐ অতুলপ্রসাদ সেন ছিলেন একজন কবি, গীতিকার, গায়ক।
❐ তিনি ১৮৭১ সালে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন।
❐ অতুল প্রসাদ সেন সুরকার ও গীতিকার হিসাবে সঙ্গীত ভুবনে অনন্য স্থান দখল করে আছেন।
❐ তাঁর অপূর্ব সৃষ্টি, ‘মোদের গরব, মোদের আশা, আ মরি বাংলা ভাষা।’
❐ তাঁর রচিত গানের সংখ্যা প্রায় ২০০টি।
-তাঁর লেখা গানের সংকলন - 'কয়েকটি গান ও গীতিপুঞ্জ'।
❐ মোদের গরব মোদের আশা আ মরি বাংলা ভাষা
অতুলপ্রসাদ সেন
❐ মোদের গরব, মোদের আশা, আ মরি বাংলা ভাষা!
তোমার কোলে, তোমার বোলে, কতই শান্তি ভালবাসা!
কি যাদু বাংলা গানে! গান গেয়ে দাঁড় মাঝি টানে,
( এমন কোথা আর আছে গো! )
গেয়ে গান নাচে বাউল, গান গেয়ে ধান কাটে চাষা ||
ঐ ভাষাতেই নিতাই গোরা, আনল দেশে ভক্তি-ধারা,
( মরি হায়, হায়রে! )
আছে কৈ এমন ভাষা এমন দু:খ-শ্রান্তি-নাশা ||
বিদ্যাপতি, চণ্ডী, গোবিন, হেম, মধু, বঙ্কিম, নবীন :
( আরও কত মধুপ গো! )
ঐ ফুলেরই মধুর রসে বাঁধলো সুখে মধুর বাসা ||
বাজিয়ে রবি তোমার বীণে, আনলো মালা জগত্ জিনে!
( গরব কোথায় রাখি গো! )
তোমার চরণ-তীর্থে আজি জগত্ করে যাওয়া-আসা ||
ঐ ভাষাতেই প্রথম বোলে, ডাকনু মায়ে ‘মা, মা’ ব’লে ;
ঐ ভাষাতেই বলবো হরি, সাঙ্গ হ’লে কাঁদা হাসা ||
১০২৯. কাপড়ে কালি পড়লে দাগ সহজে উঠে -
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (খুলনা বিভাগ) ☞26.8.05
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
৩
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝জামাকাপড় থেকে কালির দাগ অপসারণের সবচেয়ে সাধারণ এবং সহজ উপায় হলো দাগের জায়গাটি ভিজিয়ে তার উপর অল্প পরিমাণে লবণ দিয়ে দেওয়া।
❐ বেশি পরিমাণে লেবুর রস দিয়েও দাগ দূর করা যায়। এক্ষেত্রে দাগের স্থানে লেবুর রস দিয়ে কিছুক্ষণ রাখুন। শুকিয়ে গেলে ঘসে দাগ তুলে ফেলুন। এরকম কয়েকবার করতে পারেন।
❐ নেলপলিশ তোলার ক্ষেত্রে আমরা সাধারণত যে রিমুভার ব্যবহার করা হয় সেই রিমুভার ব্যবহার করে আপনি কালির দাগ তুলতে পারবেন।
❐ ভুট্টার পেস্টও কালির দাগ অপসারণ করতে ব্যবহার করতে পারেন।
১০৩০. যা চিরস্থায়ী নয়-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (খুলনা বিভাগ) ☞26.8.05 📖 বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়➟2017➯B ইউনিট 📖 প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
২
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝'যা চিরস্থায়ী নয়' = নশ্বর
❐ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এক কথায় প্রকাশঃ
❐ 'নষ্ট হওয়ার স্বভাব যার' = নশ্বর,
❐ 'যা কখনো নষ্ট হয় না' = অবিনশ্বর,
❐ 'ক্ষণকাল ব্যাপিয়া স্থায়ী' = ক্ষণস্থায়ী,
❐ 'যা স্থায়ী নয়' = অস্থায়ী।
১০৩১. নাটক ও প্রহসনে পার্থক্য-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (খুলনা বিভাগ) ☞26.8.05
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
২
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝নাটক অর্থ অভিনয় উপযোগী রচনা; দৃশ্যকাব্য।
প্রহসন হল সমাজের ত্রুটি নির্দেশক ব্যঙ্গাত্মক নাটক ।
❐ তাই বলা যায়, নাটক ও প্রহসনে পার্থক্য হলো ব্যঙ্গবিদ্রূপ।
১০৩২. ’সবুজ পত্র’ পত্রিকা কোন সালে প্রকাশিত হয়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (খুলনা বিভাগ) ☞26.8.05
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝'সবুজপত্র' পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন - প্রমথ চৌধুরী।
❐ ১৯১৪ সালে পত্রিকাটি প্রকাশিত হয়।
❐ বৈশাখ ১৩২১ বঙ্গাব্দে প্রথম প্রকাশিত হয় এবং তের বছর চলে।
❐ এই পত্রিকার সাথে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গভীর ভাবে জড়িত ছিলেন এবং এই পত্রিকা রবীন্দ্রনাথের চিন্তা এবং ভাষারীতির আধুনিকতা বিকাশে বিশেষ সহায়ক হয়েছিল।
❐ সবুজপত্র মাসিক পত্রিকা ছিল এবং এই পত্রিকার সম্পাদনার মাধ্যমে প্রমথ চৌধুরী প্রভূত খ্যাতি অর্জন করেন।
১০৩৩. ’দ্যুলোক’ শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (খুলনা বিভাগ) ☞26.8.05 📖 15th BCS General Apr, 1993 📖 জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়➟2014➯খ ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝কতগুলো সন্ধি কোন নিয়ম অনুসরণ করে না। এগুলোকে নিপাতনে সিদ্ধ বলে।
দ্যুলোক নিপাতনে সিদ্ধ ব্যঞ্জন সন্ধি। এর যথার্থ সন্ধিবিচ্ছেদ হলোঃ দিব্ + লোক = দ্যুলোক।
এছাড়াও,
ষট্∘ + দশ = ষোড়শ;
পর + পর = পরস্পর;
গো + পদ = গোস্পদ।
১০৩৪. কোন গ্রন্থটি মোতাহের হোসেন চৌধুরী রচিত?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (খুলনা বিভাগ) ☞26.8.05
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝মোতাহের হোসেন চৌধুরী ঢাকার বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলনের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলেন।
▣ তাঁর বিখ্যাত প্রবন্ধগ্রন্থ 'সংস্কৃতির কথা'।
▣ 'সংস্কৃতির কথা' গ্রন্থের বিখ্যাত উক্তিঃ
❐ 'মানুষের বৃদ্ধি কেবল দৈহিক নয়, আত্মিকও।',
❐ 'ধর্ম সাধারণ লোকের সংস্কৃতি, আর সংস্কৃতি শিক্ষিত মার্জিত লোকের ধর্ম।'
১০৩৫. কোন বাক্যটিতে অনুজ্ঞা আছে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (খুলনা বিভাগ) ☞26.8.05
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝আবার তোরা মানুষ হ - হলো অনুজ্ঞাবাচক বাক্য।
❐ অনুজ্ঞাবাচক বাক্য:
যে বাক্যে আদেশ, অনুরোধ, উপদেশ, প্রার্থনা ইত্যাদি বুঝায় সেই বাক্যকে অনুজ্ঞা বাচক বাক্য বলে।
যেমন - তুমি যাও, সদা সত্য কথা বলবে ইত্যাদি।
১০৩৬. কত ছবি কত গান’- গ্রন্থটির রচিয়তা কে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৬ (ঢাকা বিভাগ) ☞1.12.06
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝‘কত ছবি কত গান’- গ্রন্থটির রচিয়তা খন্দকার মোহাম্মদ ইলিয়াস।
❐
১০৩৭. ‘ছাত্ররা বল খেলে’- বাক্যে নিম্নরেখা শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৬ (ঢাকা বিভাগ) ☞1.12.06
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝করণ কারক
❐ যার দ্বারা বা যার সাহায্যে ক্রিয়া সম্পাদিত হয় তাকে করণ কারক বলে।
❐ ‘করণ' শব্দের অর্থ উপায় বা সহায়।
❐ বাক্যের ক্রিয়াপদকে ‘কার দ্বারা' বা 'কী উপায়ে' জিজ্ঞাসা করলে যে উত্তর পাওয়া যায় তা-ই করণ কারক।
❐ করণ কারকে সাধারণত দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক ইত্যাদি তৃতীয়া বিভক্তির (অনুসর্গের) ব্যবহার হয়।
❐ আবার, এ, য়, তে বা সপ্তমী বিভক্তির প্রয়োগ ঘটে।
❐ যেমন- "ছাত্ররা বল খেলে" করণ কারকে শূন্য বিভক্তি।
১০৩৮. ‘ইতর বিশেষ’ বাগধারাটির অর্থ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৬ (ঢাকা বিভাগ) ☞1.12.06 📖 ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়➟2011➯C ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝'ইতর বিশেষ' বাগধারাটির অর্থ - ভেদাভেদ বা প্রভেদ বা পার্থক্য;
উদাহরণ: পড়া-লেখা, বিদ্যা-বুদ্ধি, ও রূপে-গুণে রহিম করিমের মাঝে ইতর বিশেষ নেই।
১০৩৯. ‘উপকথা’ শব্দটি কোন সমাস?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৬ (ঢাকা বিভাগ) ☞1.12.06 📖 জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়➟2018➯E ইউনিট 📖 জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়➟2013➯B1 -ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝উপকথা - কথার সদৃশ্য,
এটি অব্যয়ীভাব সমাসের উদাহরণ।
▣ অব্যয়ীভাব সমাস:
❐ পূর্বপদে অব্যয়যোগে নিষ্পন্ন সমাসে যদি অব্যয়েরই অর্থের প্রাধান্য থাকে, তবে তাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে।
❐ অব্যয়ীভাব সমাসে কেবল অব্যয়ের অর্থযোগে ব্যাসবাক্যটি রচিত হয়।
এছাড়াও উপকূল, উপকণ্ঠ, উপশহর, উপগ্রহ এসব অব্যয়ীভাব সমাসের উদাহরণ।
১০৪০. 'জমিদার দর্পন'- নাটকের রচিয়তা কে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৬ (ঢাকা বিভাগ) ☞1.12.06
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝'জমিদার দর্পণ' নাটকটির রচয়িতা মীর মোশাররফ হোসেন।
❐ নাটকটি ১৮৭২-৭৩ সালে সিরাজগঞ্জে সংঘটিত কৃষক-বিদ্রোহের পটভূমিকায় রচিত।
▣ মীর মোশাররফ হোসেনের জন্ম ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলার লাহিনীপাড়ায়।
❐ গ্রামবার্তার সম্পাদক কাঙাল হরিনাথ ছিলেন তাঁর সাহিত্যগুরু।
❐ প্রথম উপন্যাস রত্নবতী (১৮৬৯)
❐ তাঁর অমর কীর্তি বিষাদ-সিন্ধু উপন্যাসে কারবালার বিষাদময় ঐতিহাসিক কাহিনী বিবৃত হয়েছে। তবে অনেক ঘটনা ও চরিত্র সৃষ্টিতে উপন্যাসসুলভ কল্পনার আশ্রয়ও নেওয়া হয়েছে।
▣ তাঁর অন্যান্য নাটক:
❐ বসন্তকুমারী (১৮৭৩)
❐ এর উপায় কি (১৮৭৫)
১০৪১. 'ধনধান্য পুষ্প ভরা' - দেশাত্মবোধক গানটির রচিয়তা কে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৬ (ঢাকা বিভাগ) ☞1.12.06 📖 রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়➟2012➯A5 ইউনিট 📖 রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়➟2011➯A6 ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
২
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝'ধনধান্য পুষ্পে ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা' গানটির রচয়িতা দ্বিজেন্দ্রলাল রায়।
❐ গানটি তাঁর 'সাজাহান' নাটকে ছিল।
❐ নাটকটি মোগল সম্রাট সাজাহানের জীবন কাহিনি নিয়ে রচিত ঐতিহাসিক নাটক।
❐ 'সাজাহান' নাটককে বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ঐতিহাসিক নাটক হিসেবে ধরা হয় ।
❐ নাটকটির ১৯০৯ সালে নাটকটি প্রকাশিত হয়।
❐ সম্রাট সাজাহানকে নিয়ে দ্বিজেন্দ্রলালই সর্বপ্রথম প্রথম নাটক রচনা করেন।
১০৪২. বাড়ি থেকে নদী দেখা যায়' - বাক্যে অধিকরণ কারকে পঞ্চমী বিভক্তির প্রয়োগ ঘটেছে
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৬ (ঢাকা বিভাগ) ☞1.12.06
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝অধিকরণ কারক:
ক্রিয়ার আধারকে বলা হয় অধিকরণ কারক। আধার বলতে ক্রিয়া নিষ্পন্ন হওয়ার স্থান, কাল ও ভাবকে বোঝায়।
অর্থাৎ ক্রিয়া সম্পাদনের কাল এবং আধারকে বলা হয় অধিকরণ কারক।
বাক্যের ক্রিয়াপদকে কোথায়, কখন ও কোনো বিষয় বোঝাতে অধিকরণ কারক হয়।
অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি অর্থাৎ এ, য়, তে ইত্যাদি বিভক্তি যুক্ত হয়।
যেমন- আধার (স্থান) : আমরা প্রতিদিন কলেজে যাই। কাল (সময়) সকালে সূর্য উঠবে।
❐ 'বাড়ি থেকে নদী দেখা যায়' - বাক্যে অধিকরণ কারকে পঞ্চমী বিভক্তির প্রয়োগ ঘটেছে।
১০৪৩. কোনটি শুদ্ধ বানান?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৬ (ঢাকা বিভাগ) ☞1.12.06 📖 রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়➟2010➯A5 ইউনিট 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -তিস্তা- ০৮.০১.১০
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📌📝শুদ্ধ বানান = শুশ্রূষা
❐ শুশ্রূষা (বিশেষ্য)
❐ সংস্কৃত শব্দ
❐ প্রকৃতি প্রত্যয় = √শ্রু+সন্∘+অ+আ
অর্থ: পরিচর্যা, সেবা।
১০৪৪. ‘অনাদর’ কোন সমাস?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৬ (বরিশাল বিভাগ) ☞1.12.06 📖 জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়➟2015➯G ইউনিট 📖 রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়➟2016➯B ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝‘অনাদর’ নঞ তৎপুরুষ সমাস।
এর ব্যসাবাক্য = ন আদর।
❐ নঞ তৎপুরুষ সমাস :
❐ পূর্বপদে নঞর্থক বা না-বাচক অব্যয় অর্থাৎ না, নেই, নাই, নয় প্রভৃতি ব্যবহৃত হয়ে যে তৎপুরুষ সমাস হয় তাকে নঞ তৎপুরুষ সমাস বলা হয়।
❐ বাংলায় ব্যবহৃত নঞর্থক অব্যয়গুলোর মধ্যে 'নয়, না, নেই, অ, অন, অনা, আ, গর, ন, নি, বি, বে' প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
❐ নঞ স্বরবর্ণের পূর্বে বসলে 'অন' এবং ব্যঞ্জনবর্ণের পূর্বে বসলে 'অ' হয়। যেমন- নয় কাতর = অকাতর, ন অশন = অনশন, নয় বুঝ নামঞ্জুর, নীরব, বেআইনি, নির্জন, নাস্তিক প্রভৃতি।
১০৪৫. ‘অমাবস্যার চাঁদ’ বাগধারাটির অর্থ কী?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৬ (বরিশাল বিভাগ) ☞1.12.06
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝‘অমাবস্যার চাঁদ’ বাগধারাটির অর্থ - দুর্লভ বস্তু।
❐ গুরত্বপূর্ণ বাগ্∘ধারাসমূহ:
আমড়া কাঠের ঢেঁকি - অপদার্থ।
কানকাটা - নির্লজ্জ।
খয়ের খাঁ - চাটুকার।
গোল্লায় যাওয়া - নষ্ট হওয়া।
কলুর বলদ - একটানা খাটুনি।
১০৪৬. 'সব ঝিনুকে মুক্ত মিলে না’- বাক্যে নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারণে কোন বিভক্তি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৬ (বরিশাল বিভাগ) ☞1.12.06
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📌📝অপাদান কারক:
যা থেকে কিছু বিচ্যুত, জাত, বিরত, আরম্ভ, উৎপন্ন, দূরীভূত ও রক্ষিত হয় এবং যা দেখে কেউ ভীত হয়, তাকেই অপাদান কারক বলে।
❐ প্রশ্নোক্ত বাক্যে ঝিনুক থেকে মুক্তা উৎপন্ন হওয়ার কথা বলা হয়েছে। তাই তা অপাদান কারক।
❐ এতে 'এ' বিভক্তি যুক্ত আছে, তাই এটি অপাদানে সপ্তমী বিভক্তি।
১০৪৭. ‘বিসর্জন’ নাটকটি কে রচনা করেন?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৬ (বরিশাল বিভাগ) ☞1.12.06 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -শাপলা- ১১.০৯.০৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝‘বিসর্জন’ নাটকটি কে রচনা করেন- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
❐ কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ ও সমাজ-সংস্কারক। মূলত কবি হিসেবেই তাঁর প্রতিভা বিশ্বময় স্বীকৃত। ১৯১৩ সালে তাঁকে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। এশিয়ার বিদগ্ধ ও বরেণ্য ব্যক্তিদের মধ্যে তিনিই প্রথম এই পুরস্কার জয়ের গৌরব অর্জন করেন।
❐ তাঁর উল্লেখযোগ্য নাটক:
❐ বিসর্জন
- রাজা
❐ ডাকঘর
❐ অচলায়তন
❐ চিরকুমার সভা
❐ রক্তকরবী
❐ তাসের দেশ
১০৪৮. ‘নিঃশেষে নিশাচর, গ্রাসে মহাবিশ্বে, ত্রাশে কাঁপে তরণীর পাপী যত নিঃস্বে।’ -কবিতাংশটি কোন কবির লেখা?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৬ (বরিশাল বিভাগ) ☞1.12.06 📖 Islami Bank Bangladesh Ltd➺Field Officer ☞10-06-22 📖 প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৬ (চট্টগ্রাম বিভাগ) ☞1.12.06
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝কবিতাংশটি কাজী নজরুল ইসলাম এর 'খেয়া পারের তরুনী' কবিতার অন্তর্গত।
❐ খেয়া পারের তরণী
❐ কাজী নজরুল ইসলাম।
❐ "যাত্রীরা রাত্তিরে হতে এল খেয়া পার,
বজ্রেরি তূর্যে এ গর্জেছে কে আবার?
প্রলয়েরি আহ্বান ধ্বনিল কে বিষাণে!
ঝন্∘ঝা ও ঘন দেয়া স্বনিল রে ঈশানে!
❐ নাচে পাপ-সিন্ধুতে তুঙ্গ তরঙ্গ!
মৃত্যুর মহানিশা রুদ্র উলঙ্গ!
নিঃশেষে নিশাচর গ্রাসে মহাবিশ্বে,
ত্রাসে কাঁপে তরণীর পাপী যত নিঃস্বে।"
১০৪৯. কোন বানানটি শুদ্ধ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৬ (বরিশাল বিভাগ) ☞1.12.06 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দাজলা- ০৮.১১.১৩ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -বরিশাল বিভাগ- ১৮.০৪.০৮
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝'একান্নবর্তী' -বানানটি শুদ্ধ
❐ এর অর্থ - একসঙ্গে , যৌথ।
১০৫০. ‘সেখানে বাঘের ভয় নেই’- বাক্যে নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৬ (বরিশাল বিভাগ) ☞1.12.06
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝অপাদান কারক:
যা থেকে কিছু বিচ্যুত, গৃহীত, জাত, বিরত, আরম্ভ, দূরীভূত ও রক্ষিত হয় এবং যা দেখে কেউ ভীত হয়, তাকেই অপাদান কারক বল
যেমন -
❐ গাছ থেকে পাতা পড়ে।
❐ দুধ থেকে দই হয়।
❐ পাপে বিরত হও।
▣ অপাদান কারকে বিভিন্ন বিভক্তি ছাড়াও হইতে, হতে, থেকে, দিয়া, দিয়ে ইত্যাদি অনুসর্গ ব্যবহৃত হয়।
প্রথমা বা শূন্য বা অ বিভক্তি:
❐ বোটা-আলগা ফল গাছে থাকে না।
দ্বিতীয়া বা কে বিভক্তি:
❐ বাবাকে বড্ড ভয় পাই।
ষষ্ঠী বা এর বিভক্তি:
- সেখানে বাঘের ভয় নেই।
সপ্তমী বা এ বিভক্তি:
❐ বিপদে মোরে করিবে ত্রান, এ নহে মোর প্রার্থনা।
❐ তিলে তৈল হয়।
১০৫১. ‘বরফ গলা নদী’ উপন্যাসটির রচয়িতা কে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৬ (বরিশাল বিভাগ) ☞1.12.06 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -তিস্তা- ০৮.০১.১০ 📖 সিজিএ ➺অফিস সহায়ক☞7.10.22
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝‘বরফ গলা নদী’ উপন্যাসটির রচয়িতা - জহির রায়হান।
▣ জহির রায়হান ছিলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা, লেখক। ১৯৩৫ সালে তিনি ফেনী জেলার মজিপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মওলানা মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ কলকাতা আলীয়া মাদ্রাসার অধ্যাপক এবং ঢাকা আলীয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ছিলেন। জহির রায়হান কলকাতায় মিত্র ইনিস্টিউটে এবং পরে আলীয়া মাদ্রাসায় অধ্যয়ন করেন।
❐ ছাত্রজীবনেই তিনি লেখালেখিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। ১৩৬২ বঙ্গাব্দে তাঁর প্রথম গল্পসংগ্রহ সূর্যগ্রহণ প্রকাশিত হয়।
তাঁর লিখিত অন্যান্য বইগুলি হচ্ছে:
❐ শেষ বিকেলের মেয়ে,
❐ হাজার বছর ধরে
❐ আরেক ফাল্গুন
- বরফ গলা নদী
❐ আর কত দিন
১০৫২. কোন বানানটি শুদ্ধ ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৬ (রাজশাহী বিভাগ) ☞1.12.06 📖 DPE ২০১৮- সহকারী লাইব্রেরিয়ান কাম ক্যাটালগার এবং উচ্চমান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক -২২.০৬.১৮ 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - হোয়াংহো- ০৮.১১.১৩
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝উন্মীলন (বিশেষ্য) -
❖ ১. চোখ মেলে চাওয়া; চোখ খোলা।
❖ ২. বিকাশ।
❖ ৩. উদ্∘ঘাটন; উন্মোচন।
১০৫৩. ’সকলকে মরতে হবে’ - বাক্যে নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৬ (রাজশাহী বিভাগ) ☞1.12.06
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝কর্মকারক: কর্তা যাকে আশ্রয় করে বা অবলম্বন করে ক্রিয়া সম্পাদন করে তাকে বলা হয় কর্মকারক।
❐ কর্মকারকের বিভিন্ন বিভক্তির ব্যবহার।
❐ ক) প্রথমা বা শূন্য অ বিভক্তি: ডাক্তার ডাক।
❐ আমাকে এক খানা বই দাও। (দ্বিকর্মক ক্রিয়ার মূখ্য কর্ম)
❐ রবীন্দ্রনাথ পড়লাম, নজরুল পড়লাম, এর সুরাহা খুঁজে পেলাম না।(গ্রন্থ অর্থে বিশিষ্ট প্রয়োগ)।
❐ খ) দ্বিতীয়া বা কে বিভক্তি: তাকে বল।
অনুরূপভাবে, 'সকলকে মরতে হবে'।
❐ রে বিভক্তি: ‘আমারে তুমি করিবে ত্রাণ, এ নহে মোর প্রার্থনা।
❐ গ) ষষ্ঠী বা র বিভক্তি: তোমার দেখা পেলাম না।
❐ ঘ) সপ্তমীর এ বিভক্তি: জিজ্ঞাসিবে জনে জনে।' (বীপ্সায়)।
১০৫৪. ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ নাটকটির রচয়িতা কে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৬ (রাজশাহী বিভাগ) ☞1.12.06 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -নাগালিঙ্গম- ১২.১০.১২
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় সৈয়দ শামসুল হক রচিত একটি কাব্যনাট্য |
❐ এখানে মুক্তিযুদ্ধকে মহাকাব্যিক ব্যঞ্জনায় তুলে ধরা হয়েছে।
❐ নাটকটিতে ১৯৭১ সালের বাংলাদেশ শত্রু মুক্ত হওয়ার সময়কালে একটি প্রত্যন্ত গ্রামের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে |
❐ পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় মূলত মুক্তিযোদ্ধাদের আগমনের পদধ্বনি |
❐ তাঁর রচিত অন্যান্য কাব্যনাট্য
❐ নুরুলদীনের সারাজীবন,
❐ এখানে এখন,
❐ গণনায়ক,
❐ বাংলার মাটি বাংলার জল ইত্যাদি।
১০৫৫. ‘কোথায় স্বর্গ ? কোথায় নরক ? কে বলে তা বহুদূর ? মানুষের মাঝে স্বর্গ নরক - মানুষেতে সুরাসুর।’ - পঙ্ক্তিটির রচয়িতা কে ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৬ (রাজশাহী বিভাগ) ☞1.12.06
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝‘কোথায় স্বর্গ? কোথায় নরক? কে বলে তা বহুদূর?
মানুষেরি মাঝে স্বর্গ-নরক⇢ মানুষেতে সুরাসুর।’
- কবিতাংশটি শেখ ফজলল করিমের রচনা।
❐ তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থের মধ্যে,
❐ তৃষ্ণা
❐ ভক্তি পুষ্পাঞ্জলি
❐ গাঁথা
❐ ভগ্নবীণা
❐ প্রেমের স্মৃতি
❐ পথ পাথেয় ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
১০৫৬. ’বিষবৃক্ষ’ কোন সমাস ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৬ (রাজশাহী বিভাগ) ☞1.12.06 📖 ১০ম বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন পরীক্ষা-(স্কুল/সমপর্যায়-২)-৩০.০৫.১৪ 📖 ৬ষ্ঠ বেসরকারি প্রভাষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন পরিক্ষা-১০.১২.১০
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝বিশেষ্য ও বিশেষণ পদে বা বিশেষ্য ও বিশেষণ ভাবাপন্ন পদে যে সমাস হয় এবং যেখানে পরপদের প্রাধান্য পায় তাকে কর্মধারয় সমাস বলে।
যেমন - নীল যে পদ্ম = নীলপদ্ম। এখানে নীল রংটিকে প্রাধান্য না দিয়ে পদ্মটিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
❐ বিষবৃক্ষ = বিষ রূপ বৃক্ষ; এটি রূপক কর্মধারয় সমাস।
বিষবৃক্ষ বলতে বিশেষ ধরণের বৃক্ষকে বোঝায় যার ফল বিষময়। এখানে, বিষবৃক্ষ দ্বারা প্রথম অংশ 'বিষ'কে বোঝানো হচ্ছে না, পরের অংশ 'বৃক্ষ'কে বোঝাচ্ছে। অর্থ্যাৎ, পরপদের প্রাধান্য পাচ্ছে।
❐ এরূপ -
জ্ঞান রূপ বৃক্ষ = জ্ঞানবৃক্ষ;
প্রান রূপ বায়ু = প্রাণবায়ু;
কাল রূপ রাত্রি = কালরাত্রি;
মন রূপ মাঝি = মনমাঝি ইত্যাদি।
১০৫৭. ’উনপাঁজরে’ বাগধারাটির অর্থ কি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৬ (রাজশাহী বিভাগ) ☞1.12.06
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝উনপাঁজুরে, উনপাঁজুরি (বিশেষণ)
১) কমবখ্∘ত (পাড়াগেঁয়ে হলেই যে এমন উনপাঁজুরে হবে, এমন কোন কথা নাই-প্যারি)।
২) দুর্বল; অক্ষম।
৩) হতভাগ্য।
১০৫৮. ’ব্যায়ামে শরীর ভালো হয়’ - বাক্যে নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৬ (রাজশাহী বিভাগ) ☞1.12.06 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -হেমন্ত- ১৩.০৮.১০ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -হেমন্ত- ১৩.০৮.১০
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝করণ শব্দটির অর্থ - যন্ত্র, সহায়ক, উপায়।
ক্রিয়া সম্পাদনের যন্ত্র, উপকরণ বা সহায়ককেই বলে করণ কারক।
কীসের দ্বারা বা কী উপায়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায় তাই করণ কারক।
যেমন - ‘ব্যায়ামে শরীর ভাল থাকে’ - এই বাক্যে কিসের দ্বারা বা কী উপায়ে শরীর ভাল থাকে প্রশ্ন করলে উত্তর পাওয়া যায় ‘ব্যায়ামে’।
এবং এর সাথে সপ্তমী বিভক্তি ‘এ’ যুক্ত হয়েছে।
১০৫৯. ’রতন’ চরিএটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোন গল্পের চরিত্র?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৬ (রাজশাহী বিভাগ) ☞1.12.06
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝পোস্টমাস্টার গল্পের প্রধান চরিত্র : রতন
❐ রাইচরণ চরিত্রটি পাওয়া যায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের - খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন গল্পে।
❐ ছুটি গল্পের চরিত্র: ফটিক।
❐ কাবুলিওয়ালা গল্পের প্রধান চরিত্র: রহমত ও খুকী।
❐ শাস্তি গল্পের চরিত্র গুলো হচ্ছে: দুখিরাম রুই, ছিদাম রুই, চন্দরা এবং রাধা।
১০৬০. `ষড়ানন‘- এর সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৬ (সিলেট বিভাগ) ☞1.12.06
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝ক্∘, চ্∘, ট্∘, ত্∘, প্∘ এর পর স্বরধ্বনি থাকলে এর পর যথাক্রমে- গ্∘, জ্∘, ড্∘ (ড়্∘), দ্∘, ব্∘, হয়।
যেমন-
তৎ+অবধি = তদবধি।
ষট্∘+আনন = ষড়ানন ইত্যাদি।
১০৬১. বিশেষ্য পদ যোগে গঠিত দ্বিরুক্ত শব্দ কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৬ (সিলেট বিভাগ) ☞1.12.06
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝পদের দ্বিরুক্তি
বাক্যে একই পদ বার বার ব্যবহার করাকে বলা হয় পদের দ্বিরুক্তি।
বাংলা ভাষায় পদের দ্বিরুক্তির মাধ্যমে নিম্নলিখিত উপায়ে শব্দ গঠন করা হয়
১) বিশেষ্য পদের দ্বিরুক্তি : বাংলা ভাষায় বিশেষ্য পদের দ্বিরুক্তি নিম্নলিখিত অর্থে হয়ে থাকে।
ক) আধিক্য বোঝাতে : রাশি রাশি ধান, থোকা থোকা জাম।
খ) সামান্য বোঝাতে: আমি আজ জ্বর জ্বর অনুভব করছি।
গ) পরম্পরতা বা ধারাবাহিকতা বোঝাতে : তুমি দিন দিন রোগা হয়ে যাচ্ছ। সে বাড়ি বাড়ি থেকে চাঁদা তুলছে।
ঘ) ক্রিয়া বিশেষণ বোঝাতে: সে ধীরে ধীরে যায়, ফিরে ফিরে তাকায়।
ঙ) অনুরূপ বোঝাতে : তার সঙ্গী-সাথী কেউ নেই।
চ) আগ্রহ বোঝাতে : সে মা মা বলে কাঁদছে।
১০৬২. `অনুগ্রহ‘- এর বিপরীত শব্দ কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৬ (সিলেট বিভাগ) ☞1.12.06 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -ক্যামেলিয়া- ১২.১০.১২
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝'অনুগ্রহ' এর বিপরীতার্থক শব্দ 'নিগ্রহ'।
❐ আরও কিছু বিপরীত শব্দের উদাহরণ-
❐ ঐহিক - পারত্রিক
❐ মহত্মা - দুরাত্মা
❐ নিন্দিত - প্রশংসিত
❐ লিপ্ত - নির্লিপ্ত
❐ ভূত - ভবিষ্যৎ
❐ ধৃষ্ট - নম্র/ বিনয়ী
১০৬৩. বিপদে মোরে রক্ষা কর- বাক্যে নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৬ (সিলেট বিভাগ) ☞1.12.06 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2012➯গ ইউনিট 📖 কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়➟2013➯C ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝যা থেকে কিছু বিচ্যূত, গৃহীত, জাত, বিরত, আরম্ভ, দূরীভূত ও রক্ষিত হয় এবং যা দেখে কেউ ভীত হয়, তাকেই অপাদান কারক বলে।
যেমন -
গাছ থেকে পাতা পড়ে।
দুধ থেকে দই হয়।
পাপে বিরত হও।
অপাদান কারকে বিভিন্ন বিভক্তি ছাড়াও হইতে, হতে, থেকে, দিয়া, দিয়ে ইত্যাদি অনুসর্গ ব্যবহৃত হয়।
প্রথমা বা শূন্য বা অ বিভক্তি: বোটা-আলগা ফল গাছে থাকে না।
দ্বিতীয়া বা কে বিভক্তি: বাবাকে বড্ড ভয় পাই।
ষষ্ঠী বা এর বিভক্তি: যেখানে বাঘের ভয় সেখানে সন্ধ্যা হয়।
সপ্তমী বা এ বিভক্তি: বিপদে মোরে করিবে ত্রান, এ নহে মোর প্রার্থনা।
১০৬৪. শুদ্ধ বানান কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৬ (সিলেট বিভাগ) ☞1.12.06 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -করতোয়া- ০৮.০১.১০ 📖 কন্ট্রোলার জেনারেল ডিফেন্স ফাইন্যান্স- এর কার্যালয়ের অধীন অডিটর - 03.11.17
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝শুদ্ধ বানান: অভ্যন্তরীণ
❐ অভ্যন্তরীণ (বিশেষণ)
❐ সংস্কৃত শব্দ
❐ প্রকৃতি প্রত্যয় = অভ্যন্তর+ঈন
অর্থ: মধ্যবর্তী, অভ্যন্তরে আছে এমন, ভেতরের , মানসিক।
১০৬৫. `রয়টার্স‘ একটি-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৬ (সিলেট বিভাগ) ☞1.12.06
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝রয়টার্স - যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক একটি বিখ্যাত সংবাদ সংস্থা।
১৮৫১ সালে জার্মান-ব্রিটিশ ব্যবসায়ী পল রয়টার এই সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করেন।
১০৬৬. বাংলা কবিতার অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তন করেন কে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৬ (সিলেট বিভাগ) ☞1.12.06 📖 গণপূর্ত অধিদপ্তরের কম্পিউটার অপারেটর-১৮.১১.১৬
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝কবিতার পঙ্ক্তির শেষে মিলহীন ছন্দকে অমিত্রাক্ষর ছন্দ বলা হয়। - অর্থাৎ কবিতার দুটি পঙ্ক্তির শেষ অক্ষরের ধ্বনির সাম্য না থাকলে তাকে অমিত্রাক্ষর বলা চলে।
❐ অমিত্রাক্ষর ছন্দভিত্তিক, কিন্তু এতে পঙ্ক্তির শেষে মিল নেই। এই ছন্দে এক পঙ্ক্তি বক্তব্য শেষ না হয়ে অন্য পঙ্ক্তিতে গড়িয়ে যায়।
❐ এই বৈশিষ্ট্যকে প্রবহমানতা বলে। প্রতি পঙ্ক্তিতে চৌদ্দ অক্ষর থাকে। প্রতি পঙ্ক্তি ৮ + ৬ পর্বে বিভক্তি।
❐ বড়ো ধরনের ভাব প্রকাশে অমিত্রাক্ষর বিশেষ সহায়ক। মাইকেল মধুসূদন দত্ত এই ছন্দ প্রবর্তন করেন।
১০৬৭. ‘বিরাগী’ শব্দের অর্থ কী?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৭ (বরিশাল বিভাগ) ☞7.9.07 📖 21st BCS General Dec, 1999 📖 পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রশাসনিক কর্মকর্তা-৩.০৪
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝'বিরাগী' শব্দের অর্থ 'উদাসীন'
অনুরাগী এর বিপরীত শব্দ বিরাগী।
❐
১০৬৮. কোনটি অনুজ্ঞা?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৭ (বরিশাল বিভাগ) ☞7.9.07 📖 21st BCS General Dec, 1999 📖 প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝প্রদত্ত প্রশ্নের সঠিক উত্তর: তুমি যাও
❐ অনুজ্ঞা: আদেশ, অনুরোধ, অনুমতি, প্রার্থনা, অনুনয় প্রভৃতি অর্থে বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ কালে মধ্যম পুরুষে ক্রিয়াপদের যেরূপ হয় তাঁকে অনুজ্ঞা বলে।
১০৬৯. কোন বানানটি শুদ্ধ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৭ (বরিশাল বিভাগ) ☞7.9.07 📖 21st BCS General Dec, 1999 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -তিতাস- ০৮.০১.১০
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📌📝অপশনের সবগুলো উত্তর এর বানানে ভুল থাকায় প্রশ্নটি বাতিল করা হয়েছে।
❐ শুদ্ধ উত্তর হবে- শুচিস্মিতা;
যে নারির হাসি কুটিলতাবর্জিত= শুচিস্মিতা।
১০৭০. ‘অপলাপ’ শব্দের অর্থ কী?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৭ (বরিশাল বিভাগ) ☞7.9.07
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝'অপলাপ' শব্দের অর্থ- অস্বীকার, গোপন,মিথ্যা উক্তি।
❐
১০৭১. কোনটি সঠিক?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৭ (বরিশাল বিভাগ) ☞7.9.07 📖 22nd BCS General Feb, 2001 📖 Agrani bank Ltd - Officer (Cash) - Freedom Fighter - 21.08.15
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝প্রদত্ত প্রশ্নের সঠিক উত্তর- পথের দাবী।
❐ 'পথের দাবী' উপন্যাসটি রচনা করেন- অপরাজেয় কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
❐ তাঁর 'পথের দাবী' উপন্যাসটি বিপ্লববাদীদের প্রতি সমর্থনের অভিযোগে ব্রিটিশ সরকার বাজেয়াপ্ত করে।
❐ প্রধান চরিত্র: সব্যসাচী।
▣ 'গোরা'- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত একটি উপন্যাস।
▣ 'বিদ্রোহী'- কাজী নজরুল ইসলাম রচিত একটি কবিতা। এটি 'অগ্নিবীণা' কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।
▣ 'একাত্তরের দিনগুলো' জাহানারা ইমাম রচিত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থ।
❐
১০৭২. ‘সঞ্চয়িতা’ কোন কবির কাব্য সংকলন?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৭ (বরিশাল বিভাগ) ☞7.9.07 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2012➯A ইউনিট 📖 ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়➟2013➯B ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝‘সঞ্চয়িতা’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় কবিতার সংকলন।
❐ অপরদিকে, 'সঞ্চিতা' কাজী নজরুল ইসলামের কাব্য সংকলন।
❐ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ:
কবিকাহিনী
বনফুল
সন্ধ্যা সংগীত
ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী
মানসী
সোনার তরী
চিত্রা
কল্পনা
চৈতালী
ক্ষণিকা
নৈবেদ্য
খেয়া, বলাকা, পুরবী, আরোগ্য, জন্মদিনে, শেষলেখা ইত্যাদি।
১০৭৩. চাঁদ সওদাগর বাংলা কোন কাব্যধারার চরিত্র?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৭ (বরিশাল বিভাগ) ☞7.9.07 📖 23rd BCS General Mar, 2001 📖 সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় - ২০১৯ পদের নাম : সহকারী শিক্ষক ( ০৬. ০৯. ২০১৯)
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝চাঁদ সওদাগর মনসামঙ্গল কাব্যধারার অন্যতম প্রধান চরিত্র।
❐
মনসামঙ্গল:
❐ মনসামঙ্গল মঙ্গলকাব্যগুলির মধ্যে প্রাচীনতম।
❐ সাপের দেবী মনসার স্তব, স্তুতি, কাহিনি ইত্যাদি নিয়ে রচিত কাব্য।
❐ কানা হরিদত্ত মনসামঙ্গলের আদি কবি।
❐ এছাড়াও বিজয়গুপ্ত, বিপ্রদাস পিপলাই, দ্বিজ বংশীদাস, কেতকা দাস, ক্ষেমানন্দ প্রমুখ মনসামঙ্গল কাব্য রচনা করেছেন।
১০৭৪. ‘দুধে ভাতে উৎপাত’ গল্পগ্রন্থের রচিয়তা কে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৭ (বরিশাল বিভাগ) ☞7.9.07
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝দুধে ভাতে উৎপাত আখতারুজ্জামান ইলিয়াস রচিত একটি ছোটগল্প।
❐ আখতারুজ্জামানের রচিত প্রধান গ্রন্থ:
উপন্যাস:
চিলেকোঠার সেপাই
খোয়াবনামা
❐ ছোটগল্প:
অন্য ঘরে অন্য স্বর
খোঁয়ারি
দুধে ভাতে উৎপাত
দোজখের ওম
১০৭৫. ‘পেয়ারা’ কোন ভাষা থেকে আগত?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৭ (বরিশাল বিভাগ) ☞7.9.07 📖 হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়➟2014➯E ইউনিট 📖 Bangladesh House Building Finance Corporation - Senior Officer - 20.10.17
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝'পেয়ারা' শব্দটি পর্তগিজ ভাষার শব্দ।
❐ পর্তুগিজ ভাষার অন্যান্য কিছু শব্দ:
আচার, আনারস, আলকাতরা, আলপিন, আলমারি, আতা, ইস্ত্রি, ইংরেজ, কাপ্তান, জানালা, বারান্দা, তোয়ালে, নিলাম, গির্জা, গুদাম, পাউরুটি, পাদ্রি, পেরেক, বালতি, মিস্ত্রি প্রভৃতি।
❐
১০৭৬. ‘নিরানব্বইয়ের ধাক্কা’ বাগধারাটির অর্থ কি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৭ (বরিশাল বিভাগ) ☞7.9.07 📖 23rd BCS General Mar, 2001 📖 Rural Development Board - Officer - 02.10.09
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝‘নিরানব্বইয়ের ধাক্কা’ বাগধারাটির অর্থ সঞ্চয়ের প্রবৃত্তি।
বাক্য গঠন: এমনই তাঁর নিরানব্বইয়ের ধাক্কা যে মুমূর্ষু স্ত্রীর জন্যও টাকা খরচ করতে চায় না।
❐
তাছাড়া,
শিরে সংক্রান্তি বাগধারাটির অর্থ- আসন্ন বিপদ।
যখন তখন অবস্থা=মুমূর্ষু অবস্থা।
১০৭৭. ’সুন্দর হে, দাও দাও সুন্দর জীবন। হউক দূর অকল্যাণ সকল অশোভন।’ - চরণ দুটি কার লেখা?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৭ (রাজশাহী বিভাগ) ☞7.9.07 📖 16th BCS General Apr, 1994 📖 Bangladesh Gas Field Co - Asst. Manager - 08.04.11
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
৬
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝সুন্দর হে, দাও দাও সুন্দর জীবন
- কাজী নজরুল ইসলাম
সুন্দর হে, দাও দাও সুন্দর জীবন।
হউক দূর অকল্যাণ সকল অশোভন।
এ প্রাণ প্রভাতি-তারার প্রায়
ফুটুক উদয়-গগন-গায়,
দুঃখ-নিশায় আনো পূর্ণ চাঁদের স্বপন।।
সকল বিরস হৃদয় মন সরস করো হে,
আশায় সূর্যে মৃত্যু-গহন বিষাদ হরো হে!
কাঁটার ঊর্ধ্বে ফোটাও ফুল,
ভোলাও পথের দুঃখ ভুল,
এ বিশ্ব হোক পূজা-দেউল
পবিত্ৰ-মোহন ৷৷
❐ উল্লেখ্য, কবিতাটি 'চন্দ্রবিন্দু' কাব্যের অন্তর্গত।
১০৭৮. ’হিমু’ নাটকটির রচয়িতা কে ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৭ (রাজশাহী বিভাগ) ☞7.9.07
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
২
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝হুমায়ুন আহমেদ (১৯৪৮-২০১২) - কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চলচ্চিত্র নির্মাতা, গীতিকার, শিক্ষক ।
❐ ছাত্রজীবনে লেখা 'নন্দিত নরকে' শিরোনামের নাতিদীর্ঘ উপন্যাসের মধ্য দিয়ে বাংলা সাহিত্যে হুমায়ূন আহমেদের আবির্ভাব।
❐ ১৯৭২ সালে তিনি উপন্যাসটি রচনা করেন এবং সে বছরই উপন্যাসটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। নন্দিত নরকে বাংলাদেশের পাঠকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগায়।
❐ তাঁর দ্বিতীয় উপন্যাস শঙ্খনীল কারাগার (১৯৭৩)।
▣ আশির দশকে বাংলাদেশের টেলিভিশন নাটক ও ধারাবাহিক নাটকের ইতিহাসে তিনি আলোড়ন সৃষ্টি করেন। হুমায়ূনের প্রথম টেলিভিশন নাটক প্রথম প্রহর (১৯৮৩, পরিচালনা- নওয়াজেস আলী খান)। তাঁর প্রথম ধারাবাহিক নাটক এইসব দিনরাত্রি বাংলাদেশের দর্শকদের কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়। এ ছাড়া অন্যান্য জনপ্রিয় ধারাবাহিকের মধ্যে আছে:
▣ হিমু সিরিজ: ময়ূরাক্ষী, দরজার ওপাশে, হিমু , পারাপার, এবং হিমু , হিমুর হাতে কয়েকটি নীল পদ্ম, হিমুর দ্বিতীয় প্রহর, হিমুর রূপালী রাত্রি , একজন হিমু কয়েকটি ঝিঁঝিঁ পোকা, তোমাদের এই নগরে, সে আসে ধীরে, চলে যায় বসন্তের দিন, হিমু মামা, আঙুল কাটা জগলু, হলুদ হিমু কালো র∘্যাব, আজ হিমুর বিয়ে, হিমু রিমান্ডে, হিমুর একান্ত সাক্ষাৎকার ও অন্যান্য, হিমুর মধ্যদুপুর, হিমুর বাবার কথামালা , হিমুর নীল জোছনা, হিমু এবং একটি রাশিয়ান পরী, হিমুর আছে জল, হিমু এবং হার্ভার্ড পিএইচ.ডি বল্টু ভাই প্রভৃতি।
❐
১০৭৯. কোন বানানটি শুদ্ধ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৭ (রাজশাহী বিভাগ) ☞7.9.07 📖 40th BCS General May, 2019 40th 📖 ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়➟2009➯C ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝শুদ্ধ বানান - অধোগতি (বিশেষ্য)
❐ সংস্কৃত শব্দ।
❐ প্রকৃতি প্রত্যয় = [অধঃ+√গম্+তি]
অর্থ: নিম্নগতি, অধঃপতন, দুর্দশা, নরকে গমন ইত্যাদি।
১০৮০. ’বরফগলা নদী’ উপন্যাসটির রচয়িতা কে ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৭ (রাজশাহী বিভাগ) ☞7.9.07 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৭.০৬.১৫ 📖 বাংলাদেশ রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল)-১৯.০৮.১৬
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝▣ জহির রায়হানের 'বরফ গলা নদী' একটি উপন্যাস।
❐ জহির রায়হান ছিলেন একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশি কথাশিল্পী এবং চলচ্চিত্র পরিচালক।
❐ জহির রায়হানের প্রকৃত নাম- মোহাম্মদ জহিরুল্লাহ।
❐ তাঁর রচিত অন্যান্য উপন্যাস:
❐ হাজার বছর ধরে,
❐ আরেক ফাল্গুন,
❐ আর কতদিন,
❐ শেষ বিকেলের মেয়ে,
❐ তৃষ্ণা,
❐ কয়েকটি মৃত্যু।
১০৮১. ’লাঠির ঘায়ে সাপটি মারা পড়ল।’ বাক্যে নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৭ (রাজশাহী বিভাগ) ☞7.9.07
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝পরীক্ষার প্রশ্নে 'নিম্নরেখ' না থাকার কারণে প্রশ্নটির উত্তর তুলে দেয়া হয়েছে।
❐ প্রশ্ন: ’লাঠির ঘায়ে সাপটি মারা পড়ল।’ বাক্যে নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?
❐ ব্যাখ্যা:
যার দ্বারা বা যে উপায়ে কর্তা ক্রিয়া সম্পাদন করে তাকে, করণ কারক বলে।এই কারকে সাধারণত দ্বারা, দিয়ে, কর্তৃক ইত্যাদি অনুসর্গ যুক্ত হয়।
❐ এখানে লাঠি দ্বারা কাজ সম্পন্ন হয়েছে বিধায় এটি করণ করণ কারক।
❐ এবং 'র', 'এর' হচ্ছে ষষ্ঠি বিভক্তি।
❐ তাই সঠিক উত্তর - গ) করণ কারকে ষষ্ঠী
১০৮২. ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাসের উদাহরণ কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৭ (রাজশাহী বিভাগ) ☞7.9.07
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝যে বহুব্রীহি সমাসে দুটি একরূপ বিশেষ্য দিয়ে এক জাতীয় কাজ বোঝায়, তাকে ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস বলে।
যেমন:
❐ লাঠিতে লাঠিতে যে যুদ্ধ = লাঠালাঠি।
❐ কানে কানে যে কথা = কানাকানি।
❐ কোলে কোলে যে মিলন = কোলাকুলি।
১০৮৩. কোনটি ‘বন’ শব্দের প্রতিশব্দ নয়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৭ (রাজশাহী বিভাগ) ☞7.9.07
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝‘বিটপী’ শব্দের সমার্থক শব্দ হলো: বৃক্ষ, গাছ, পাদপ, দ্রুম, তরু, বিটপী, শাখী, পণী, শৃঙ্গী, শিখরী ইত্যাদি।
▣ ‘বন’ শব্দের সমার্থক শব্দ হলো: অরণ্য, জঙ্গল, অটবি, কানন, বিপিন, গহন, কুঞ্জ, কান্তার, উপবন, বনানী ইত্যাদি।
১০৮৪. ‘রিকশা’ শব্দটি কোন ভাষা থেকে আগত?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৭ (সিলেট বিভাগ) ☞7.9.07
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝‘রিকশা’ শব্দটি জাপানি ভাষা থেকে আগত।
❐ রিকশা (বিশেষ্য)
❐ জাপানি ভাষা থেকে আগত শব্দ
অর্থ: মানুষ্যবাহিত দুই বা তিন চাকার সড়কযান; rickshaw
১০৮৫. ‘শতাব্দী’ কোন সমাস?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৭ (সিলেট বিভাগ) ☞7.9.07 📖 ১৩তম বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন পরীক্ষা-(স্কুল/সমপর্যায়)-১২.০৬.১৬ 📖 ৬ষ্ঠ বেসরকারি প্রভাষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন পরিক্ষা-১০.১২.১০
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝শত অব্দের সমাহার = শতাব্দী; দ্বিগু সমাসের উদাহরণ।
▣ সমাহার (সমষ্টি) বা মিলন অর্থে সংখ্যাবাচক শব্দের সঙ্গে বিশেষ্য পদের যে সমাস হয় তাকে দ্বিগু সমাস বলে।
❐ দ্বিগু সমাসে সমাসনিষ্পন্ন পদটি বিশেষ্য পদ হয়।
যেমন -
❐ তিন কালের সমাহার = ত্রিকাল,
❐ চৌরাস্তার সমাহার = চৌরাস্তা,
❐ তিন মাথার সমাহার = তেমাথা,
❐ শত অব্দের সমাহার = শতাব্দী ইত্যাদি।
১০৮৬. ‘বাংলা ভাষার ইতিবৃত্ত’- কার লেখা?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৭ (সিলেট বিভাগ) ☞7.9.07
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ছিলেন শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও ভাষাতত্ত্ববিদ।
❐ ১৮৮৫ সালের ১০ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের চবিবশ পরগনা জেলার পেয়ারা গ্রামে তাঁর জন্ম।
❐ ১৯৫৯ সালে প্রকাশিত 'বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত' রচনা করেন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ।
❐ তাঁর ভাষা ও সাহিত্যবিষয়ক উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ,
❐ ভাষা ও সাহিত্য
❐ বাঙ্গালা ব্যাকরণ
❐ বাংলা সাহিত্যের কথা
❐ বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস ইত্যাদি।
এছাড়া তিনি বাংলা একাডেমির 'আঞ্চলিক ভাষার অভিধান' সম্পাদনা করেন।
১০৮৭. চলিত ভাষাকে জনপ্রিয় করেন কে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৭ (সিলেট বিভাগ) ☞7.9.07 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2011➯E ইউনিট 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2009➯E ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝বাংলা সাহিত্যে চলিত গদ্যরীতির প্রবর্তক হলেন প্রমথ চৌধুরী।
❐ প্রমথ চৌধুরীর সাহিত্যিক ছদ্মনাম ছিল বীরবল।
❐ 'বীরবলের হালখাতা' তাঁর প্রথম চলিত রীতিতে লিখিত গ্রন্থ।
❐ এটি ১৯০২ সালে প্রথম 'ভারতী' পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
❐ প্রমথ চৌধুরীর সম্পাদনায় প্রকাশিত সবুজপত্র পত্রিকা (১৯১৪) চলিত রীতি প্রবর্তনে মূল ভূমিকা পালন করে।
১০৮৮. ’আপন পাঠেতে মন করহ নিবেশ'- বাক্যে নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৮ (ধানসিঁড়ি) ☞31.10.08
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
৩
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝’আপন পাঠেতে মন করহ নিবেশ' - বাক্যে ''পাঠে'' শব্দটি অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি।
ক্রিয়া সম্পাদনের কাল এবং আধারকে অধিকরণ কারক বলে।
এই বাক্যে ক্রিয়া সম্পাদন (পাঠে মন দিতে বলা হয়েছে) ‘পাঠ’ আধারকে কেন্দ্র করে।
এবং এর সাথে যুক্ত হয়েছে সপ্তমী (তে) বিভক্তি।
১০৮৯. কোনটি 'আকাশ' শব্দের প্রতিশব্দ নয়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৮ (ধানসিঁড়ি) ☞31.10.08
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
৩
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝'আকাশ' শব্দের সমার্থক শব্দ:
❐ অন্তরিক্ষ,
❐ আসমান,
❐ অম্বর,
❐ গগন,
❐ অনন্ত,
❐ নভোঃ,
❐ নভোমণ্ডল,
❐ ব্যোম ইত্যাদি।∘
❐ -
❐ বাসব শব্দের অর্থ দেবরাজ, ইন্দ্র।
১০৯০. কোনটি শুদ্ধ বানান?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৮ (ধানসিঁড়ি) ☞31.10.08 📖 রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -গোলাপ- ০৯.১২.১১ 📖 আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাব-রেজিস্ট্রার-২৯.০১.১৬
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
২
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝শুদ্ধ বানান: শারীরিক
❐ শারীরিক (বিশেষণ)
❐ সংস্কৃত শব্দ
❐ প্রকৃতি প্রত্যয় = শরীর+ইক
❐ অর্থ: শরীর বিষয়ক।
❐
১০৯১. 'চিলেকোঠার সেপাই' উপন্যাসটি কার লেখা?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৮ (ধানসিঁড়ি) ☞31.10.08 📖 হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়➟2013➯E ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
৩
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝আখতারুজ্জামান ইলিয়াস একজন কথাসাহিত্যিক।
❐ তাঁর পূর্ণনাম আখতারুজ্জামান মুহম্মদ ইলিয়াস।
❐ ঊনসত্তরের গণঅভ্যুথানের প্রেক্ষাপটে রচিত উপন্যাস আক্তারুজ্জামান ইলিয়াসের মহাকাব্যিক উপন্যাস 'চিলেকোঠার সেপাই'।
❐ উপন্যাস:
❐ চিলেকোঠার সেপাই (১৯৮৭),
❐ খোয়াবনামা (১৯৯৬)।
(এই দুটি হলো তার মহাকাব্যোচিত উপন্যাস
❐ ছোটগল্প:
❐ অন্য ঘরে অন্য স্বর (১৯৭৬),
❐ খোয়ারি (১৯৮২),
❐ দুধভাতে উৎপাত (১৯৮৫),
❐ দোজখের ওম (১৯৮৯)।
❐
১০৯২. কোনটি ‘বায়ু' শব্দের প্রতিশব্দ নয়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৮ (ধানসিঁড়ি) ☞31.10.08 📖 Rural Development Board - Asst. Officer - 06.12.13
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝বায়ু শব্দের সমার্থক শব্দ:
❐ বাতাস,
❐ অনিল,
❐ পবন,
❐ হাওয়া,
❐ সমীর,
❐ বাত,
❐ মরুৎ,
❐ প্রভঞ্জন,
❐ মারুত,
❐ বাভাস ইত্যাদি।
❐ -
❐ মেঘ শব্দের সমার্থক শব্দ হলো বারিদ, জীমূত, জলধর, জলদ, পয়োধর, তোয়দ, পয়োদ, নীরদ ইত্যাদি।
১০৯৩. কোনটি শুদ্ধ বানান?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৮ (ধানসিঁড়ি) ☞31.10.08
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝সঠিক বানান: দুষ্প্রাপ্য
❐ যা সহজে পাওয়া যায় না = দুষ্প্রাপ্য।
❐ কিছু গুরুত্বপূর্ণ এক কথায় প্রকাশ:
যা সহজে লঙ্ঘন করা যায় না = দুর্লঙ্ঘ্য।
যাকে সহজে জয় করা যায় না = দূর্জয়।
যা বিনা যত্নে লাভ করা গিয়েছে = অযত্নলব্ধ।
যা বহু কষ্টে লাভ করা যায় = দুর্লভ।
১০৯৪. 'সুবচন নির্বাসনে' নাটকটি কে লিখেছেন?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৮ (ধানসিঁড়ি) ☞31.10.08
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত নাট্যকার আব্দুল্লাহ আল মামুন। তাঁর রচিত প্রথম নাটক- 'শপথ'।
তাঁর বিখ্যাত কয়েকটি নাটক-
-কোকিলারা,
-সুবচন নির্বাসনে,
-এখন দুঃসময়,
-এবার ধরা দাও,
-শাহজাদীর কালো নেকাব,
-চারদিকে যুদ্ধ,
-এখনও ক্রীতদাস,
-মেরাজ ফকিরের মা ইত্যাদি।
১০৯৫. সাম্যের গান গাই _______ আমার চক্ষে পুরুষ-রমণী কোনো ভেদাভেদ নাই। ___কবিতাংশটির রচয়িতা কে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৮ (ধানসিঁড়ি) ☞31.10.08
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
২
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝নারী
কাজী নজরুল ইসলাম
❐ " সাম্যের গান গাই-
আমার চক্ষে পুরুষ-রমণী কোনো ভেদাভেদ নাই!
বিশ্বে যা-কিছু মহান্∘ সৃষ্টি চির-কল্যাণকর,
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।"
❐ ‘সাম্যবাদী’ কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৯২৫ সালের ডিসেম্বরে।
গ্রন্থটিতে মোট কবিতা রয়েছে ১১টি।
১০৯৬. 'জিজ্ঞাসিবে জনে জনে' বাক্যে নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৮ (যমুনা) ☞31.10.08
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝জিজ্ঞাসিবে জনে জনে; এখানে 'জনে জনে' কর্মকারকে ৭মী ।
❐ কর্ম কারক
যাকে আশ্রয় করে কর্তা ক্রিয়া সম্পাদন করে, তাকে কর্ম কারক বলে ।
বাক্যের মুখ্য কর্ম ও গৌণ কর্ম ➞ উভয় ধরনের কর্মই কর্ম কারক হিসেবে গণ্য হয়।
❐ যেমন-
❐ সে রোজ সকালে এক প্লেট ভাত খায় ।
❐ শিক্ষককে জানাও।
❐ অসহায়কে সাহায্য করো ।
❐ কর্মকারকের বিভিন্ন বিভক্তির ব্যবহার।
ক) প্রথমা বা শূন্য অ বিভক্তি : ডাক্তার ডাক।
❐ আমাকে এক খানা বই দাও। (দ্বিকর্মক ক্রিয়ার মূখ্য কর্ম)।
❐ রবীন্দ্রনাথ পড়লাম, নজরুল পড়লাম, এর সুরাহা খুঁজে পেলাম না।(গ্রন্থ অর্থে বিশিষ্ট প্রয়োগ)।
খ) দ্বিতীয়া বা কে বিভক্তি : তাকে বল।
রে বিভক্তি : ‘আমারে তুমি করিবে ত্রাণ, এ নহে মোর প্রার্থনা।
গ) ষষ্ঠী বা র বিভক্তি : তোমার দেখা পেলাম না।
ঘ) সপ্তমীর এ বিভক্তি: জিজ্ঞাসিবে জনে জনে। (বীপ্সায়)।
১০৯৭. কোন শব্দটি 'দক্ষ'-এর সমার্থক নয়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৮ (যমুনা) ☞31.10.08
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝‘দক্ষ’ শব্দের সমার্থক শব্দ: নিপুণ, পটু, পারদর্শী, কর্মঠ, সুনিপুণ, কর্মণ্য, কামিল।
১০৯৮. কোনটি শুদ্ধ বানান?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৮ (যমুনা) ☞31.10.08 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2011➯A ইউনিট 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2006➯A ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝শুদ্ধ বানান - সমীচীন (বিশেষণ)
❐ সংস্কৃত শব্দ
❐ প্রকৃতি প্রত্যয় = সম্যচ্+ঈন
অর্থ: সংগত, উপযুক্ত, উত্তম, যথার্থ, সত্য, উচিত।
১০৯৯. ‘রক্তাক্ত প্রান্তর' নাটকটির রচয়িতা কে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৮ (যমুনা) ☞31.10.08
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝মুনীর চৌধুরী রচিত 'রক্তাক্ত প্রান্তর' রচিত হয়েছে মহাকবি কায়কোবাদের 'মহাশ্মশান' গ্রন্থের কাহিনি থেকে।
❐ 'রক্তাক্ত প্রান্তর' মুনীর চৌধুরীর প্রথম পূর্ণাঙ্গ মৌলিক নাটক।
❐ পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধের (১৭৬১) ঘটনা অবলম্বনে তিন অঙ্ক বিশিষ্ট নাটকটি রচিত।
❐ 'রক্তাক্ত প্রান্তর' ঐতিহাসিক নাটক নয়, এটি ইতিহাস-আশ্রিত নাটক।
❐ চরিত্র: ইব্রাহিম কার্দি, জোহরা, হিরন বালা ইত্যাদি।
১১০০. 'খাঁচার পাখি ছিল সোনার খাঁচাটিতে বনের পাখি ছিল বনে। একদা কি করিয়া মিলন হল দোঁহে, কি ছিল বিধাতার মনে। ' -কবিতাংশটুকুর রচয়িতা কে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৮ (যমুনা) ☞31.10.08
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝আলোচ্য পঙক্তিটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত 'সোনার তরী' কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।
❐ দুই পাখি
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
খাঁচার পাখি ছিল সোনার খাঁচাটিতে
বনের পাখি ছিল বনে।
একদা কী করিয়া মিলন হল দোঁহে,
কী ছিল বিধাতার মনে।
বনের পাখি বলে, খাঁচার পাখি ভাই,
বনেতে যাই দোঁহে মিলে।
খাঁচার পাখি বলে-- বনের পাখি, আয়
খাঁচায় থাকি নিরিবিলে।'
❐ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সোনার তরী কাব্যগ্রন্থটি ১৮৯৪ সালে প্রকাশিত হয়। এই গ্রন্থের উল্লেখযোগ্য কবিতা কুষ্টিয়ার শিলাইদহে বসে লেখা হয়েছে।
এই গ্রন্থের উল্লেখযোগ্য কবিতাগুলো হলো :
❐ সোনার তরী,
❐ বিম্ববতী,
❐ বর্ষাযাপন,
❐ সুপ্তোত্থিতা,
❐ হিং টিং ছট,
❐ বসুন্ধরা,
❐ নিরুদ্দেশ যাত্রা।
১১০১. 'বিচ্ছিন্ন প্রতিলিপি' কাব্যগ্রন্থটির রচয়িতা কে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (পদ্মা ) ☞14.4.13
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
২
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝'বিচ্ছিন্ন প্রতিলিপি' কাব্যগ্রন্থটির রচয়িতা মযহারুল ইসলাম।
❐ প্রফেসর ড. মযহারুল ইসলাম (১ জুলাই ১৯২৯ - ১৪ নভেম্বর ২০০৩)
❐ তিনি ছিলেন বাংলাদেশের একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন লোকাচারবেত্তা, লেখক, গবেষক, শিক্ষাবিদ, লোকতাত্ত্বিক, লোকবিজ্ঞানী, কবি-কথাশিল্পী-সংগঠক ও শিল্পপতি।
❐ তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং বাংলা একাডেমির প্রথম মহাপরিচালক ছিলেন।
❐ তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থ
❐ মাটির ফসল
❐ বিচ্ছিন্ন প্রতিলিপি
❐ আর্তনাদে বিবর্ণ
❐ যেখানে বাঘের থাবা
❐ অপরাহ্ণে বিবস্ত্র প্রাতরাশ
❐ দুঃসময়ের ছড়া
❐ উজানে ফেরার প্রতিধ্বনি
১১০২. 'মায়াবী প্রহর' নাটকটি কার রচনা?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (পদ্মা ) ☞14.4.13
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝'মায়াবী প্রহর' নাটকটির রচয়িতা আলাউদ্দিন আল আজাদ।
❐ প্রকাশিত হয় ১৯৬৩ খ্রিষ্টাব্দে।
❐ এটি তাঁর একটি অত্যন্ত জীবনঘনিষ্ঠ নাটক
▣ এছাড়াও তাঁর রচিত অন্যান্য নাটক:
❐ নরকে লাল গোলাপ
❐ মরক্কোর জাদুঘর,
❐ সংবাদ শেষাংশ,
❐ ধন্যবাদ ইত্যাদি।
▣ তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থ:
❐ ভোরের নদীর মোহনায় জাগরণ,
❐ মানচিত্র,
❐ লেলিহান পান্ডুলিপি,
❐ নিখোঁজ সনেটগুচ্ছ,
❐ সূর্য জ্বালার স্বপ্ন ইত্যাদি।
১১০৩. 'ন্যায়দণ্ড' উপন্যাসটি কে রচনা করেন?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (পদ্মা ) ☞14.4.13
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
২
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝'ন্যায়দণ্ড' উপন্যাসটির রচয়িতা জরাসন্ধ।
❐ জরাসন্ধ এর প্রকৃত নাম চারুচন্দ্র চক্রবর্তী।
❐ তিনি কারাগারের কাহিনি লিখে এক সময় পাঠক সমাজ মুগ্ধ করে রেখেছিলেন।
❐ তাঁর জন্ম বর্তমান বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার ব্রাহ্মণপাড়া গ্রামে।
❐ তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাসগুলো হলো:
❐ লৌহকপাট,
❐ তামসী,
❐ পাড়ি,
❐ মসিরেখা,
❐ মল্লিকা,
❐ আবরণ,
❐ আশ্রয়,
❐ অপর্ণা,
❐ তনুমন,
❐ নিঃসঙ্গ পথিক,
❐ মহাশ্বেতা ডায়রি ইত্যাদি।
১১০৪. কোনটি শুদ্ধ বানান?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (পদ্মা ) ☞14.4.13
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝ষাণ্মাসিক (বিশেষণ)
❐ তৎসম বা সংস্কৃত
- প্রকৃতি প্রত্যয় = ষণ্মাস+ইক
অর্থ:
১ ছয় মাস পর পর ঘটে বা প্রকাশিত হয় এমন।
২ প্রতি ছয় মাসে করণীয় এমন।
(ষাণ্মাসিক শ্রাদ্ধ বা পত্রিকা।
১১০৫. কোনটি শুদ্ধ বানান?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (পদ্মা ) ☞14.4.13 📖 জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়➟2015➯F ইউনিট 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - গামা- ১৮.০৪.১৪
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝দধীচি (বিশেষ্য)
❐ সংস্কৃত শব্দ
❐ প্রকৃতি প্রত্যয় = √দধ্∘+ঈচি
অর্থ:
পুরাণোক্ত মুনিবিশেষ অসুর বধকল্পে যিনি নিজ অস্থি দ্বারা বজ্র নির্মাণের জন্য স্বেচ্ছায় দেহত্যাগ করেছিলো।
❐ পরোপকারের জন্য আত্মোৎসর্গকারী পুরুষ
১১০৬. নিচের বাক্যে নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্ত? কপোল ভিজিয়া গেল নয়নের জলে।
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (পদ্মা ) ☞14.4.13
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝কর্ম কারক:
যাকে আশ্রয় করে কর্তা ক্রিয়া সম্পাদন করে, তাকে কর্ম কারক বলে।
বাক্যের মুখ্য কর্ম ও গৌণ কর্ম - উভয় ধরনের কর্মই কর্ম কারক হিসেবে গণ্য হয়।
সাধারণত মুখ্য কর্ম কারকে বিভক্তি হয় না, তবে গৌণ কর্ম কারকে ‘কে’ বিভক্তি হয়।
যেমন -
সে রোজ সকালে এক প্লেট ভাত খায়।
শিক্ষককে জানাও।
❐ "কপোল ভিজিয়া গেল নয়নের জলে।" এখানে কপোল বা গাল-কে আশ্রয় করে ক্রিয়া (ভিজে যাওয়া) সম্পাদিত হয়েছে।
❐ এবং এতে কোনো বিভক্তি ব্যবহৃত হয় নি।
❐ তাই এটি কর্মে শূন্য।
১১০৭. নিচের বাক্যে নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?তোমার পায়ে নখের আঁচড়ও লাগবে না।
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (পদ্মা ) ☞14.4.13
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝করণ কারক
যার দ্বারা বা যে উপায়ে কর্তা ক্রিয়া সম্পাদন করে, তাকে করণ কারক বলে। এই কারকে সাধারণত দ্বারা’, “দিয়ে, কর্তৃক ইত্যাদি অনুসর্গ যুক্ত হয়।
যেমন ➞
❐ ভেড়া দিয়ে চাষ করা সম্ভব নয়।
❐ চাষিরা ধারালো কাস্তে দিয়ে ধান কাটছে।
❐ "তোমার পায়ে নখের (নখ দ্বারা) আঁচড়ও লাগবে না।"- বাক্যে নখ শব্দের সাথে -র (ষষ্ঠী বিভক্তি) যুক্ত হয়েছে।
❐ তাই এটি করণে ৬ষ্ঠী।
১১০৮. 'পর্বত' এর সমার্থক শব্দ নয় -
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (পদ্মা ) ☞14.4.13 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -কপোতাক্ষ- ০৮.০১.১০
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝শিলা অর্থ পাথর। এটি পর্বত এর সমার্থক শব্দ নয়।
▣ 'পর্বত' শব্দের অন্যান্য সমার্থক শব্দ: গিরি, শৈল, পাহাড়, অদ্রি, ভূধর, নগ, অচল, ,মোদিনীধর, অবনীধর, বসুধাধর ইত্যাদি।
১১০৯. 'ঔদ্ধত্য' এর বিপরীতার্থক শব্দ—
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (পদ্মা ) ☞14.4.13 📖 রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -টগর- ০৯.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝'ঔদ্ধত্য' এর বিপরীতার্থক শব্দ - বিনয়
❐ গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিপরীতার্থক শব্দ হচ্ছে -
নম্রতা - ঔদ্ধত্য।
ব্যষ্টি - সমষ্টি।
নানা - এক।
নগণ্য - গণ্য।
প্রশস্ত - সংকীর্ণ।
নশ্বর - শ্বাশত।
শত্রু - মিত্র।
যোজক - প্রণালি।
১১১০. কোনটি অলুক তৎপুরুষ সমাসের উদাহরণ?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (পদ্মা ) ☞14.4.13
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝কল দ্বারা ছটা = কলেছাটা; অলুক তৎপুরুষ সমাসের উদাহরণ।
❐ অলুক তৎপুরুষ সমাস:
যে তৎপুরুষ সমাসে পূর্বপদে বিভক্তি লোপ পায় না, তাকে অলুক তৎপুরুষ সমাস বলা হয়।
যেমন-
ঘানি তেল = ঘানিরতেল,
ঘি দিয়ে ভাজা = ঘিয়েভাজা,
গোড়ায় গলদ = গোড়ায়গলদ,
তেলে ভাজা = তেলেভাজা,
হাতে কাটা = হাতেকাটাইত্যাদি।
১১১১. যে সমাসে পূর্ব পদের বিভক্তির লোপ হয় না তাকে বলে—
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (পদ্মা ) ☞14.4.13 📖 জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়➟2009➯G ইউনিট 📖 ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়➟2005➯C ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝অলুক সমাস:
যে তৎপুরুষ সমাসে পূর্বপদে বিভক্তি লোপ পায় না, তাকে অলুক সমাস বলা হয়।
যেমন-
অলুক তৎপুরুষ সমাস:
ঘি দিয়ে ভাজা = ঘিয়েভাজা,
কল দ্বারা ছটা = কলেছাটা ইত্যাদি।
❐ অলুক দ্বন্দ্ব সমাস এর উদাহরণ: দুধে-ভাতে, হাতে-কলমে, জলে-স্থলে ইত্যাদি।
❐ অলুক বহুব্রীহি সমাস এর উদাহরণ: মাথায়পাগড়ি, গলায়গামছা, হাতে - ছড়ি, গায়ে - পড়া, মাথায় - ছাতা ইত্যাদি।
১১১২. 'গায়ক' এর সন্ধি বিচ্ছেদ—
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (পদ্মা ) ☞14.4.13
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
২
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📌📝ক) অপশনটি হওয়ার কথা ছিল - গৈ + য়ক
এ, ঐ, ও, ঔ-কারের পর এ, ঐ স্থানে অয়, আয় এবং ও, ঔ স্থানে যথাক্রমে অব ও আব হয়।
যেমন-
- গৈ + অক = গায়ক,
❐ নে + অন = নয়ন,
❐ নৈ + অক = নায়ক,
❐ পো + অন = পবন,
❐ গো + এষণা = গবেষণা,
❐ নৌ + ইক = নাবিক,
❐ পো + ইত্র = পবিত্র,
❐ গো + আদি = গবাদি ইত্যাদি।
১১১৩. 'ক্ষমার যোগ্য'-এর বাক্য সংকোচন -
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (পদ্মা ) ☞14.4.13 📖 11th BCS General Oct, 1991 📖 রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়➟2011➯A4 ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝'ক্ষমার যোগ্য'-এর বাক্য সংকোচন - ক্ষমার্হ
❐ আরও কিছু এক কথায় প্রকাশ-
❐ ক্ষমা করার ইচ্ছা = তিতিক্ষা
❐ ক্ষমা করতে ইচ্ছুক = তিতিক্ষু
❐ গোপন করার ইচ্ছা = জুগুপ্সা
❐ মনোগত ইচ্ছা = ঈপ্সিত
❐ লাভ করা ইচ্ছা = লিপ্সা
❐ কটিদেশ থেকে পদতল পর্যন্ত অংশ = অধঃকায়।
১১১৪. 'আকাশ কুসুম' শব্দের অর্থ কোনটি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (পদ্মা ) ☞14.4.13 📖 ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সহকারী পরিচালাক/হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা-৮.০৪
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝'আকাশ কুসুম' শব্দের অর্থ = অলীক ভাবনা বা কাল্পনিক বস্তু।
উদাহরণ: কেটেছে একেলা বিরহেরই বেলা আকাশ কুসুম চয়নে।
১১১৫. ‘হঠাৎ ধনী হওয়া’- কোন বাগধারা দিয়ে বুঝানো হয়েছে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (সুরমা) ☞14.4.13
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝`আঙ্গুলে ফুলে কলাগাছ’ বাগধারার অর্থ - হঠাৎ ধনী হওয়া
❐ কয়েকটি বাগধার হলো:
▣ কৈয় মাছের প্রাণ - যা সহজে মরে না
▣ পুটি মাছের প্রাণ - ছোটো মন
▣ তানকানা - কাণ্ডজ্ঞানহীন
▣ তিলকে তাল করা - ছোটকে বড় করা
১১১৬. ‘চিরন্তন’ শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ কোনটি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (সুরমা) ☞14.4.13
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝‘চিরন্তন’ শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ - ক্ষণকালীন
অন্যদিকে,
❐ পুরাতন = নব
❐ পরলোক = ইহলোক
❐ তিরোভাব = আবির্ভাব
১১১৭. ‘কিরণ’ শব্দের সমার্থক শব্দ কোনটি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (সুরমা) ☞14.4.13
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝কিরণ’ এর সমার্থক শব্দ - অংশু, রশ্মি, প্রভা, দীপ্ত, জ্যোতি, আলোকচ্ছবি , শিখা, কর।
কিছু প্রতিশব্দ হলো:
‘কবুতর’ এর সমার্থক শব্দ - কপোত, পায়রা, পারাবত, নোটন।
‘তনয়া’ এর সমার্থক শব্দ - তনয়া, মেয়ে, দুহিতা, আত্মাজা, নন্দিনী, পুত্রী, ঝি।
১১১৮. ‘বৃষ্টি’ শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (সুরমা) ☞14.4.13 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - হোয়াংহো- ০৮.১১.১৩
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝বৃষ্টি = বৃষ্+তি
❐ অনুরূপ কিছু সন্ধি বিচ্ছেদ হলো:
❐ বীরেন্দ্র = বীর+ইন্দ্র
❐ বিদ্যালয় = বিদ্যা+আলয়
❐ বিচ্ছেদ = বি+চ্ছেদ
❐ বাগদান = বাক্+দান
১১১৯. ‘যার কোন উপায় নেই’- এক কথায় কী হবে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (সুরমা) ☞14.4.13 📖 Social Development Foundation - Data Entry Operator - 13.07.12
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝‘যার কোন উপায় নেই’- এক কথায় বলে - নিরুপায়।
অন্যদিকে,
❐ যার অন্য উপায় নেই - অনন্যোপায়।
❐ যার উপস্থিত বুদ্ধি আছে - প্রত্যুৎপন্নমতি।
❐ যার কোনো কিছু থেকেই ভয় নেই - অকুতোভয়।
১১২০. ‘যে ভূমিতে ফসল জন্মায় না’- এক কথায় কী হবে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (সুরমা) ☞14.4.13 📖 15th BCS General Apr, 1993 📖 জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়➟2012➯F ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝“যে জমিতে ফসল জন্মায় না” এক কথায় বলে - ঊষর।
❐ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এক খথায় প্রকাশ হলো:
❐ ‘যে জমিকে দু-বার ফসল জন্মায়’ - দো-ফসলি।
❐ ‘যে বিষয়ে কোনো বিতর্ক নেই’ - অবিসংবাদী।
❐ ‘যে আলোতে কুমুদ ফোটে’ - কৌমুদী।
❐ ‘যে সর্বত্র গমন করে’ - সর্বগ।
১১২১. ‘দিগম্বর’ (দিক অম্বর যার) কোন সমাস?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (সুরমা) ☞14.4.13 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2005➯A ইউনিট 📖 বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়➟2014➯B ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝যে সমাসে পূর্ব বা পর কোন পদের অর্থ না বুঝিয়ে তৃতীয় কোন অর্থ প্রকাশ করে তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে ।
যেমন:
❐ দশ আনন যার = দশানন,
❐ চতুষ্পদ = চার পা বিশিষ্ট প্রাণী,
❐ পদ্মনাভ = পদ্ম নাভিতে যার,
❐ দিগম্বর = দিক অম্বর যার,
❐ নীলাম্বর = নীল অম্বর যার।
১১২২. ‘বইপড়া’- (বইকে পড়া) কোন সমাস?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (সুরমা) ☞14.4.13 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2005➯A ইউনিট 📖 বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়➟2014➯B ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝বইকে পড়া = বইপড়া, এটি দ্বিতীয়া তৎপুরুষ সমাস।
▣ পূর্বপদের দ্বিতীয়া বিভক্তির (কে, রে) লোপ হয়ে যে সমাস হয় তাকে দ্বিতীয়া তৎপুরুষ সমাস বলে।
যেমন:
❐ দুঃখকে প্রাপ্ত দুঃখপ্রাপ্ত।
১১২৩. ‘ভাইয়ে ভাইয়ে বেশ মিল’- বাক্যে নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (সুরমা) ☞14.4.13 📖 পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের জেলা সমন্বয়কারী - 22.12.17
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝“ভাইয়ে ভাইয়ে বেশ মিল” বাক্যে নিম্নরেখ শব্দটিতে- কর্তৃকারকে/কর্তাকারকে ৭মী বিভক্তির প্রয়োগ ঘটেছে।
▣ বাক্যস্থিত যে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদ ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকে ক্রিয়ার কর্তা বা কর্তৃকারক বলে।
ক্রিয়াকে 'কে/ কারা' দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, সেটিই কর্তৃকারক। (কর্মবাচ্য ও ভাববাচ্যের বাক্যে এই নিয়ম খাটবে না। সেক্ষেত্রে একটু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।)
❐ কর্তৃকারকে বিভক্তির প্রয়োগের উদাহরণ-
❐ পাখি সব করে রব = কর্তৃকারকে শূন্য বিভক্তি
❐ আমার দ্বারা এ কাজ হবে না সাধন = কর্তৃকারকে তৃতীয়া বিভক্তি
❐ পাছে লোকে কিছু বলে = কর্তৃকারকে ৭মী বিভক্তি
❐ বুলবুলিতে ধান খেয়েছে = কর্তৃকারকে ৭মী বিভক্তি
❐ ঘোড়ায় গাড়ি টানে = কর্তৃকারকে ৭মী বিভক্তি
❐ মানুষ ভাবে এক হয় আর এক = কর্তৃকারকে শূন্য বিভক্তি
❐
১১২৪. ‘নদীর মাছ সুস্বাদু’- বাক্যে নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (সুরমা) ☞14.4.13 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -শাপলা- ১১.০৯.০৯ 📖 প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৮ (পদ্মা) ☞31.10.08
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝ক্রিয়া সম্পাদনের কাল এবং আধারকে (সময় এবং স্থানকে) অধিকরণ কারক বলে।
ক্রিয়াকে ‘কোথায়/ কখন/ কী বিষয়ে’ দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, তাই অধিকরণ কারক।
▣ ষষ্ঠী বিভক্তি হচ্ছে - র, এর।
❐ 'নদীর মাছ সুস্বাদু' বাক্যে 'নদী' স্থানকে বুঝায় এবং এর সাথে 'র' যুক্ত আছে;
তাই এটি অধিকরণ কারকে ষষ্ঠী বিভক্তি ।
১১২৫. কোন বানানটি শুদ্ধ?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (সুরমা) ☞14.4.13 📖 রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -শিউলি- ০৯.১২.১১ 📖 রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -শিউলি- ০৯.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝শুদ্ধ বানান - ক্ষীণজীবী (বিশেষণ)
❐ সংস্কৃত শব্দ।
❐ প্রকৃত প্রত্যয় = [ক্ষীণ+√জীব্+ইন্]
অর্থ: দীর্ঘজীবী নয় এমন, অল্পজীবী।
১১২৬. কোন বানানটি শুদ্ধ?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (সুরমা) ☞14.4.13 📖 প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৮ (কংস) ☞31.10.08
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝শুদ্ধ বানান - উন্মীলিত (বিশেষণ)
❐ সংস্কৃত শব্দ।
❐ প্রকৃতি প্রত্যয় = [উদ্+√মীল্+ত]
অর্থ: বিকশিত, প্রস্ফুটিত, উন্মোচিত।
১১২৭. গ্রীক ট্রাজেডি ‘ইডিপাস’ বাঙলায় কে অনুবাদ করেন?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (সুরমা) ☞14.4.13
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝▣ ‘ইডিপাসের’ বাংলা অনুবাদ করেন সৈয়দ আলী আহসান।
▣ সৈয়দ আলী আহসান (১৯২০-২০০২) শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক।
তাঁর রচিত গ্রন্থসমূহ হলো
কাব্যগ্রন্থ:
❐ অনেক আকাশ ।
❐ একক সন্ধ্যায় বসন্ত।
❐ সহসা সচকিত।
❐ প্রবন্ধ:
❐ গবেষণা।
❐ নজরুল ইসলাম।
❐ কবিতার কথা।
❐ কবিতার কথা ও অন্যান্য বিবেচনা।
❐ রবীন্দ্র কাব্যবিচারের ভূমিকা
❐ কবি মধুসূদন।
❐ বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস।
❐ অনুবাদ:
হুইট্ম্যানের কবিতা।
ইডিপাস।
১১২৮. ‘পথের দাবী’ শরৎচন্দ্র চট্টোপধ্যায় রচিত একটি-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (সুরমা) ☞14.4.13 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2007 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2003➯C ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝বাংলা সাহিত্যের 'অপরাজেয় কথাশিল্পী' শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় হুগলি জেলার দেবানন্দপুর গ্রামের এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
❐ 'পথের দাবী' শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক উপন্যাস।
❐ এটি প্রকাশিত হয় ১৯২৬ সালে।
❐ এটি স্বদেশী বিপ্লবীদের হাতে হাতে থাকতো। এর কাহিনীর পটভূমিকা ব্রহ্মদেশ। এক গুপ্ত বিপ্লবী দলের নায়ক 'সব্যসাচী' এই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র। কারো কারো মতে সব্যসাচী চরিত্রে বিপ্লবী রাসবিহারী বসুর ছায়াপাত ঘটেছে।
❐ নিঃসন্দেহে এই কাহিনীতে ব্রিটিশ শাসনের তীব্র সমালোচনা এবং সশস্ত্র বিপ্লবের আন্তরিক সমর্থন আছে। গ্রন্থটি প্রকাশের সাথে সাথে সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ হয়।
❐ ‘আমি বিপ্লবী, ভারতের স্বাধীনতা আমার একমাত্র কাম্য, আমার একটি মাত্র সাধনা’ এই বক্তব্য ছিল উপন্যাসের শেষে।
❐ উপন্যাসটি ‘বঙ্গবাণী’ পত্রিকায় ১৩২৯-এর ফাল্গুন সংখ্যা থেকে ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হয়।
❐
১১২৯. বাদলা হাওয়ায় মনে পড়ে ছেলে বেলার গান- বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদেয় এল বান। পঙক্তির রচিয়তা কে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (সুরমা) ☞14.4.13
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
❐ দিনের আলো নিবে এল,
সুয্যি ডোবে - ডোবে।
আকাশ ঘিরে মেঘ জুটেছে
চাঁদের লোভে লোভে।
মেঘের উপর মেঘ করেছে⇢
রঙের উপর রঙ,
মন্দিরেতে কাঁসর ঘন্টা।
বাজল ঠঙ ঠঙ।
ও পারেতে বিষ্টি এল,
ঝাপসা গাছপালা।
এ পারেতে মেঘের মাথায়
একশো মানিক জ্বালা।
বাদলা হাওয়ায় মনে পড়ে
ছেলেবেলার গান⇢
‘বিষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর,
নদেয় এল বান।’
১১৩০. ‘অর্ধচন্দ্র' এর অর্থ—
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (মেঘনা) ☞14.4.13
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝'অর্ধচন্দ্র' বাগধারাটির অর্থ - গলা ধাক্কা
❐ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বাগধারা হলো:
❐ 'অগ্নি পরীক্ষা' বাগধারাটির অর্থ - কঠিন পরীক্ষা
❐ 'অহিনকুল সম্পর্ক' বাগধারাটির অর্থ - ভীষণ শত্রুতা
❐ ‘আক্কেল গুড়ুম' বাগধারাটির অর্থ - হতবুদ্ধি
১১৩১. ‘গোঁফ খেজুরে' এই বাগধারাটির অর্থ কি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (মেঘনা) ☞14.4.13 📖 Rajshahi Krishi Unnayan Bank ➺Officer ☞22.11.14 📖 প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৫ (ঢাকা বিভাগ) ☞26.5.05
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝'গোঁফ-খেজুরে' বাগধারাটি এর অর্থ নিতান্তই অলস।
❐ আরও কিছু বাগধারা ও তার অর্থ:
❐ আমড়া কাঠের ঢেঁকি = অপদার্থ
❐ ইচড়ে পাকা = অকালপক্ব
❐ উড়নচণ্ডি = বেহিসেবি
❐ কুয়োর ব্যাঙ = সংকীর্ণমনা লোক
❐ খয়ের খাঁ = চটুকার ইত্যাদি
১১৩২. 'পিত্রালয়' এর সন্ধি বিচ্ছেদ-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (মেঘনা) ☞14.4.13
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝'পিত্রালয়' শব্দের সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ = পিতৃ+আলয়
এটি স্বরসন্ধির উদাহরণ।
সূত্র - ঋ+অন্য স্বর = র্∘+স্বর
১১৩৩. বিশেষণের সাথে বিশেষ্যের যে সমাস হয় তার নাম কি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (মেঘনা) ☞14.4.13 📖 কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়➟2013➯C ইউনিট 📖 বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেড (সহকারী ব্যবস্থাপক)-1.21
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝কর্মধারয় সমাস:
কর্মধারয় শব্দটির ব্যুৎপত্তি হলো- কর্ম + ধৃ+ ণিচ + আ = কর্মধারয়। এতে সমান বিভক্তিযুক্ত বিশেষণ ও বিশেষ্য পদের মিলন হয় এবং পরপদে বিশেষ্যের অর্থ প্রধান থাকে। অর্থাৎ, যে সমাসে বিশেষণ বা বিশেষণ ভাবাপন্ন পদের সাথে বিশেষ্য বা বিশেষণভাবাপন্ন পদের সমাস হয় এবং পরপদের অর্থই প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয় তাকে বলা হয় কর্মধারয় সমাস।
❐ যেমন- নীল যে পদ্ম = নীলপদ্ম, যে শান্ত সেই শিষ্ট = শান্তশিষ্ট, যা কাঁচা তাই পাকা= কাঁচাপাকা ইত্যাদি।
অনুরূপভাবে, ঋষি যে কবি = ঋষিকবি।
১১৩৪. কোন সমাসে ব্যাসবাক্য হয় না?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (মেঘনা) ☞14.4.13 📖 জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়➟2009➯G ইউনিট 📖 ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়➟2005➯C ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝যে সমাসের ব্যাসবাক্য হয় না, কিংবা ব্যাসবাক্য করতে গেলে অন্য পদের সাহায্য নিতে হয়, তাকে নিত্য সমাস বলে।
যেমন:
❐ অন্য দেশ = দেশান্তর;
❐ ঈষৎ লাল = লালচে,
❐ অন্যকাল = কালান্তর ইত্যাদি।
❐ দুই এবং নব্বই = বিরানব্বই
১১৩৫. ‘অমৃত' এর বিপরীতার্থক শব্দ-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (মেঘনা) ☞14.4.13 📖 জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়➟2010➯E ইউনিট 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝'অমৃত' এর বিপরীতার্থক শব্দ = 'গরল'
❐ গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিপরীতার্থক শব্দ:
হর্ষ - বিষাদ
সচেষ্ট - নিশ্চেষ্ট
শাসক - শাসিত
অচলায়তন - সচলায়তন
উগ্র - সৌম্য।
১১৩৬. 'গৃহ' এর সমার্থক শব্দ নয়-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (মেঘনা) ☞14.4.13
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝'গৃহ' এর সমার্থক শব্দ নয় - ঘরোয়া
❐ 'গৃহ/ঘর' এর সমার্থক শব্দ: নিলয়, আলয়, ভবন, নিবাস, নিকেতন, আগার, বাড়ি, আবাস, বাটি, গেহ, নিকেত ইত্যাদি।
১১৩৭. নিচের বাক্যে নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি? পরাজয়ে ডরে না বীর-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (মেঘনা) ☞14.4.13
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝অপাদান কারক:
যা থেকে কোনো কিছু উৎপত্তি, বিচ্যুত, জাত, গৃহীত, আরম্ভ, দূরীভূত ও রক্ষিত হয়, তাকে বলা হয় অপাদান কারক।
❐ বাক্যের ক্রিয়াপদকে কোথা হতে, কি থেকে, কিসের থেকে ইত্যাদি প্রশ্ন করলে উত্তরে যে কারক পাওয়া যায়, তা-ই হলো অপাদান কারক।
❐ অপাদান কারকে বিভিন্ন বিভক্তির প্রয়োগ
❐ অপাদান কারক
❐ এ বনে বাঘের ভয় = অপাদান কারকে ৭মী বিভক্তি
❐ মেঘ থেকে বৃষ্টি হয় = অপাদান কারকে ৫মী বিভক্তি
❐ তিলে তৈল হয় = অপাদান কারকে ৭মী বিভক্তি
❐ তিথির চেয়ে বিথী বড় = অপাদান কারকে ষষ্ঠী বিভক্তি
❐ পরাজয়ে ডরে না বীর = অপাদান কারকে ৭মী বিভক্তি
❐ বিপদে মোর রক্ষা কর = অপাদান কারকে ৭মী বিভক্তি
❐ লোভে পাপ পাপে মৃত্যু = অপাদান কারকে ৭মী বিভক্তি
❐ ছাদ থেকে পানি পড়ে = অপাদান কারকে৫মী বিভক্তি
১১৩৮. নিচের বাক্যের নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি? তাস খেলে কত ছেলে পড়া নষ্ট করে।
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (মেঘনা) ☞14.4.13
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝করণ কারক:
করণ শব্দটির অর্থ: যন্ত্র, সহায়ক, উপায়। ক্রিয়া সম্পাদনের যন্ত্র, উপকরণ বা সহায়ককেই বলে করণ কারক। কীসের দ্বারা বা কী উপায়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায় তাই করণ কারক।
যেমন:
❐ 'তাস খেলে কত ছেলে পড়া নষ্ট করে’ - এই বাক্যে পড়া নষ্ট করার উপকরণ হলো ''তাস''।
❐ এর সাথে কোন বিভক্তি যুক্ত হয়নি অর্থাৎ এটি করণ কারকে শূন্য বিভক্তির উদাহরণ।
১১৩৯. কোনটি শুদ্ধ বানান?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (মেঘনা) ☞14.4.13
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📌📝▣ অমাবস্যা (বিশেষ্য)
❐ সংস্কৃত শব্দ
❐ প্রকৃতি প্রত্যয় = [অমা+√বস্+য+আ]
অর্থ: কৃষ্ণপক্ষের মেষ তিথি, ঘোর অন্ধকার রাত্রি।
১১৪০. কোনটি শুদ্ধ বানান?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (মেঘনা) ☞14.4.13 📖 ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়➟2017➯B ইউনিট 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -ক্যামেলিয়া- ১২.১০.১২
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝কৃষিজীবী (বিশেষণ)
অর্থ: চাষি; কৃষক; কৃষিকর্ম দ্বারা জীবিকা নির্বাহকারী।
১১৪১. ‘বৈতালিক' উপন্যাসটি কে রচনা করেছেন?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (মেঘনা) ☞14.4.13
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় রচিত ‘বৈতালিক' একটি উপন্যাস।
❐ উপন্যাসটি প্রকাশিত হয় ১৯৫৫ সালে।
▣ নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় একজন প্রাবন্ধিক, সাহিত্যিক। প্রকৃত নাম তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়, ‘নারায়ণ’ তাঁর সাহিত্যিক ছদ্মনাম। ১৯১৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি দিনাজপুর জেলার বালিয়াডিঙ্গিতে তাঁর জন্ম।
▣ নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের সাহিত্যচর্চা শুরু হয় ছাত্রজীবনে কাব্য রচনার মধ্য দিয়ে। কালক্রমে তিনি গল্প, উপন্যাস, নাটক প্রভৃতি রচনা করে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন।
❐ তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনাগুলি হলো:
▣ উপন্যাস:
উপনিবেশ (৩ খন্ড),
সম্রাট ও শ্রেষ্ঠী,
মন্দ্রমুখর,
শিলালিপি,
লালমাটি,
কৃষ্ণপক্ষ,
বৈতালিক,
অসিধারা;
▣ গল্পগ্রন্থ:
ট্রফি,
বীতংস,
জন্মান্তর,
ভাঙ্গাবন্দর,
দুঃশাসন,
ভাটিয়ালী,
একজিবিশন,
ছায়াতরী,
ঘূর্ণি,
আলেয়ার রাত;
▣ প্রবন্ধগ্রন্থ:
সাহিত্য ও সাহিত্যিক,
সাহিত্যে ছোটগল্প,
কথাকোবিদ রবীন্দ্রনাথ,
ছোটগল্পের সীমারেখা;
▣ রম্যরচনা:
সুনন্দর জার্নাল।
▣ তাঁর রচিত নাটক ভাড়াটে চাই এবং আগন্তুক সে সময় বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। তিনি কয়েকটি চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্যও রচনা করেন। তাঁর রচিত বহু গান, চলচ্চিত্র ও রেকর্ডে গৃহীত হয়েছে।
১১৪২. 'ওরে বিহঙ্গ' নাটকটি কার রচনা?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (মেঘনা) ☞14.4.13 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -ইছামতি- ০৮.০১.১০
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 'ওরে বিহঙ্গ' জোবেদা খানম রচিত একটি নাটক।
❐ এটি প্রকাশিত হয় ১৯৬৮ সালে।
▣ জোবেদা খানম, (১৯২০-১৯৮৯) একজন শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক। ১৯২০ সালের ৫ মার্চ কুষ্টিয়া জেলার আজহারবাগ নামক স্থানে তাঁর জন্ম। বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে তিনি স্বামীর কর্মস্থল কলকাতায় যান।
▣ জোবেদা খানম কলকাতা কর্পোরেশন স্কুলে শিক্ষয়িত্রী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন এবং দেশবিভাগের (১৯৪৭) পর ঢাকায় এসে কামরুন্নেসা স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা নিযুক্ত হন। একজন লেখিকা হিসেবে জোবেদা খানমের বিশেষ খ্যাতি ছিল। উপন্যাস, গল্প, নাটক, শিশুসাহিত্য বিভিন্ন মাধ্যমে তিনি গ্রন্থ রচনা করেছেন।
❐ তাঁর রচনাগুলোর মধ্যে রয়েছে:
উপন্যাস:
❐ অভিশপ্ত প্রেম,
❐ দুটি আঁখি দুটি তারা,
❐ আকাশের রং,
❐ বনমর্মর,
❐ অনন্ত পিপাসা;
❐ গল্পগ্রন্থ:
❐ একটি সুরের মৃত্যু,
❐ জীবন একটি দুর্ঘটনা;
❐ নাটক:
❐ ঝড়ের স্বাক্ষর,
❐ ওরে বিহঙ্গ
❐ শিশুসাহিত্য:
❐ গল্প বলি শোন,
❐ মহাসমুদ্র,
❐ সাবাস সুলতানা।
১১৪৩. 'আমার প্রেম আমার প্রতিনিধি' কাব্যগ্রন্থটির রচয়িতা কে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (মেঘনা) ☞14.4.13
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝কবি আবুল হাসানের জন্ম ১৯৪৭ খ্রীস্টাব্দে ৪ আগস্ট; ১৯৭৫-এর ২৬ নভেম্বর। মাত্র ২৮ বছরের জীবন কাটিয়ে অনন্তের পথে যাত্রা করেন।
❐ জীবদ্দশায় তাঁর ৪ টি কাব্য প্রকাশিত হয়:
❖ ১. রাজা যায় রাজা আসে;
❖ ২. আমার প্রেম আমার প্রতিনিধি;
❖ ৩. যে তুমি হরণ করো; এবং
❖ ৪. পৃথক পালঙ্ক।
❐ মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয় অগ্রন্থিত আবুল হাসানের, কবিতা সমগ্র আবুল হাসান রচনাবলী ইত্যাদি।
১১৪৪. কোনটি শুদ্ধ বানান?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৫ (ঢাকা বিভাগ) ☞26.5.05 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2008➯A ইউনিট 📖 রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়➟2012➯F ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
৬
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝শব্দটির শুদ্ধ বানান হলো- 'বিভীষিকা' (বিশেষ্য)।
❐ বিভীষিকা একটি সংস্কৃত শব্দ।
❐ প্রকৃতি প্রত্যয় = বি+√ভীষি+অক+আ।
❐ অর্থ: আতঙ্ক, ভীতিকর ঘটনা।
১১৪৫. ‘আমি বই পড়ি’ - বাক্যে নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৫ (ঢাকা বিভাগ) ☞26.5.05
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝বাক্যে যাকে আশ্রয় করে কর্তা ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকে কর্মকারক বলে।
যেমন;
❐ “আমি বই পড়ি”- এ বাক্যে পড়ার কাজটি বইকে অবলম্বন করে হয়েছে।
তাই এটা কর্মকারক এবং ‘বই’ এর সাথে কোন বিভক্তি যুক্ত হয়নি অর্থাৎ এটি একটি শূন্য বিভক্তির উদাহরণ।
১১৪৬. ‘কবর’ নাটকটির রচিয়তা-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৫ (ঢাকা বিভাগ) ☞26.5.05
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
২
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝'কবর' নাটকের রচয়িতা অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী।
❐ 'কবর' নাটকের পটভূমি হলো ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন।
❐ এটি ভাষা আন্দোলন ভিত্তিক প্রথম নাটক।
❐ জেলে বন্দি থাকা অবস্থায় ১৯৫৩ সালে বামপন্থী রণেশ দাশগুপ্ত জেলখানাতে ২১ ফেব্রুয়ারি উদযাপনের লক্ষে মুনীর চৌধুরীকে একটি নাটক লেখার অনুরোধ জানান।
❐ এই অনুরোধের ভিত্তিতে তিনি এ নাটকটি রচনা করেন।
১১৪৭. কোনটি দ্বন্দ্ব সমাসের উদাহরণ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৫ (ঢাকা বিভাগ) ☞26.5.05 📖 প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝▣ দ্বন্দ্ব সমাস:
যে সমাসে পূর্বপদ ও পরপদ- উভয়েরই অর্থের প্রাধান্য থাকে, তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে। এই সমাসে ব্যাসবাক্যে পূর্বপদ ও পরপদের সম্বন্ধ স্থাপনে ও, এবং, আর- এই তিনটি অব্যয় ব্যবহৃত হয়।
যেমন:
❐ তাল ও তমাল = তালতমাল।
দোয়াত ও কলম = দোয়াতকলম।
মাতা ও পিতা = মাতাপিতা।
ভাই ও বোন = ভাইবোন।
১১৪৮. 'গোঁফ খেজুরে' বাগধারাটির অর্থ-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৫ (ঢাকা বিভাগ) ☞26.5.05 📖 প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (মেঘনা) ☞14.4.13 📖 Rajshahi Krishi Unnayan Bank ➺Officer ☞22.11.14
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝'গোঁফ খেজুরে' বাগধারার অর্থ নিতান্ত অলস।
▣ গুরুত্বপূর্ণ বাগধারা সমূহ:
❐ ‘ইঁদুর কপালে’ বাগধারাটির অর্থ - মন্দভাগ্য।
❐ ‘অদৃষ্টের পরিহাস’ বাগধারাটির অর্থ - ভাগ্যের নিষ্ঠুরতা।
❐ ‘তামার বিষ’ বাগধারাটির অর্থ - অর্থের কু-প্রভাব।
❐ ‘ভূষন্ডির কাক’ - বিচক্ষণ ব্যক্তি/ দীর্ঘজীবী।
১১৪৯. 'টাকায় কি না হয়?' – বাক্যে নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৫ (ঢাকা বিভাগ) ☞26.5.05
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝▣ করণ কারক:
❐ যার দ্বারা বা যার সাহায্যে ক্রিয়া সম্পাদিত হয় তাকে করণ কারক বলে।‘করণ' শব্দের অর্থ উপায় বা সহায়।
❐ বাক্যের ক্রিয়াপদকে 'কার দ্বারা বা কী উপায়ে জিজ্ঞাসা করলে যে উত্তর পাওয়া যায় তা-ই করণ কারক।
▣ করণ কারকে বিভক্তির ব্যবহার:
করণ কারকে সাধারণত দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক ইত্যাদি তৃতীয়া - বিভক্তির (অনসুর্গেরর্গে ) ব্যবহার হয়।
তবে অন্য বিভক্তিগুলোরও প্রয়োগ রয়েছে -
❐ করণ কারকে ‘দ্বারা বিভক্তি (অনসুর্গ) - র্গ তোমাদের দ্বারা দেশের ক্ষতি হবে।
❐ করণ কারকে ‘দিয়া বিভক্তি (অনসুর্গ) - র্গ তোমার লোক দিয়ে কাজটা করাবে।
❐ করণ কারকে শূন্য (০) বা অ-বিভক্তি - রফিক তাস খেলে।
করণ কারকে এ-বিভক্তি ➯ গ্যাসে গাড়ি চলে।
❐ করণ কারকে এ-বিভক্তি - গ্যাসে গাড়ি চলে। করণ কারকে য়-বিভক্তি ➯ টাকায় টাকা হয়।
❐ করণ কারকে তে-বিভক্তি ➯ তার কথা যেন মধুতে মাখা।
[ আবার, এ, য়, তে সপ্তমী বিভক্তির উদাহরণ। ]
▣ অতএব, টাকায় কি না হয়?- বাক্যে টাকায় করণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি।
১১৫০. 'A Passage to India'-এর রচয়িতা কে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৫ (ঢাকা বিভাগ) ☞26.5.05
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝▣ 'A Passage to India' is written by - E.M. Forster.
❐ Edward Morgan Forster হলেন Modern Period এর একজন famous novelist, essayist, social and literary critic.
❐ His 'A Passage to India' was published in 1924 and considered one of the author's finest works.
এই novel টিতে মূলত racism and colonialism ফুটে উঠেছে।
The book portrays the relationship between the British and the Indians in India.
▣ ▣ এই Novel এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হচ্ছে -
❐ Dr. Aziz
❐ Mrs. Moore
❐ Adela Quested
❐ Rony Hislop
❐ Cyril Fielding
❐ Adella Quested.
▣ ▣ E.M. Forster's other works -
❐ Aspects of novel
❐The Longest Journey
❐ A Room with a View
▣ তবে উল্লেখ্য যে, 'A Passage to India' শিরোনামে Walt Whitman এর একটি poem রয়েছে।
১১৫১. 'খাঁচার পাখি ছিল সোনার খাঁচাটিতে, বনের পাখি ছিল বনে। একদা কী করিয়া মিলন হ'ল দোঁহে, কী ছিল বিধাতার মনে।' কবিতাংশটুকুর কবি কে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৫ (ঢাকা বিভাগ) ☞26.5.05 📖 22nd BCS General Feb, 2001 📖 24th BCS (Cancelled) Feb, 2003
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝আলোচ্য পঙক্তিটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত 'সোনার তরী' কাব্যগ্রন্থের সোনার তরী কবিতার অন্তর্গত। কবিতার কিছু অংশ-
▣ দুই পাখি
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
খাঁচার পাখি ছিল সোনার খাঁচাটিতে
বনের পাখি ছিল বনে।
একদা কী করিয়া মিলন হল দোঁহে,
কী ছিল বিধাতার মনে।
বনের পাখি বলে, খাঁচার পাখি ভাই,
বনেতে যাই দোঁহে মিলে।
খাঁচার পাখি বলে-- বনের পাখি, আয়
খাঁচায় থাকি নিরিবিলে।'
▣ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সোনার তরী কাব্যগ্রন্থটি ১৮৯৪ সালে প্রকাশিত হয়। এই গ্রন্থের উল্লেখযোগ্য কবিতা কুষ্টিয়ার শিলাইদহে বসে লেখা হয়েছে।
এই গ্রন্থের উল্লেখযোগ্য কবিতাগুলো হলো :
❐ সোনার তরী,
❐ বিম্ববতী,
❐ বর্ষাযাপন,
❐ সুপ্তোত্থিতা,
❐ হিং টিং ছট,
❐ বসুন্ধরা,
❐ নিরুদ্দেশ যাত্রা।
১১৫২. 'সঞ্চিতা' কোন কবির কাব্য সংকলন?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৫ (ঢাকা বিভাগ) ☞26.5.05 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2012➯A ইউনিট 📖 ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়➟2013➯B ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝‘সঞ্চিতা’- 'কাজী নজরুল ইসলাম' এর কাব্য সংকলন।
▣ 'সঞ্চিতা' কাব্য সংকলন:
❐ 'সঞ্চিতা' কাজী নজরুল ইসলামের একটি কবিতা সংকলন।
❐ এটি ১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়।
❐ গ্রন্থটি তিনি উৎসর্গ করেন বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে।
❐ এতে মোট ৭৮টি কবিতা ও গান আছে।
❐ নজরুলের কবিতার ধারা বুঝবার জন্য এ সংকলনটি গুরুত্বপূর্ণ।
▣ উল্লেখ্য 'সঞ্চয়িতা' রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি কবিতা সংকলন।
১১৫৩. ‘পথের দাবী' উপন্যাসটির রচয়িতা কে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৭ (ঢাকা বিভাগ) ☞7.9.07
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত রাজনৈতিক উপন্যাস হলো- 'পথের দাবী'।
▣ ▣ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়:
❐ ১৮৭৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর হুগলি জেলার দেবানন্দপুরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
❐ শরৎচন্দ্রের প্রথম উপন্যাস বড়দিদি (১৯০৭) ভারতী পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
❐ তাঁঁর প্রথম প্রকাশিত গল্পের নাম 'মন্দির'।
❐ তিনি 'মন্দির' গল্পের জন্য ১৯০৩ সালে কুন্তলীন সাহিত্য পুরষ্কার লাভ করেন।
❐ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত রাজনৈতিক উপন্যাস হলো 'পথের দাবী' যা ১৯২৬ সালে প্রকাশিত হয়। এটি ব্রিটিশ সরকার বাজেয়াপ্ত করেছিল।
▣ ▣'পথের দাবী' উপন্যাস:
❐ এটি ১৯২৬ সালে প্রকাশিত হয়।
❐ এটি ব্রিটিশ সরকার বাজেয়াপ্ত করেছিল।
❐ কাহিনীর পটভূমি ব্রহ্মদেশ।
❐ এক গুপ্ত দলের নায়ক সব্যসাচী উপন্যাসের প্রধান চরিত্র।
❐ কারো কারো মতে সব্যসাচী চরিত্রে বিপ্লবী রসবিহারীবসুর ছায়াপাত ঘটেছে।
❐ উপন্যাসটি বিপ্লববাদীদের প্রতি সমর্থনের অভিযোগে ব্রিটিশ সরকার বাজেয়াপ্ত করে।
❐ ভারতীয় রাজনৈতিক আন্দোলনের ইতিহাসে এই গ্রন্থ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
▣ ▣শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত উপন্যাস গুলো হল:
❐ বড়দিদি,
❐ শ্রীকান্ত,
❐ গৃহদাহ,
❐ দেনা পাওনা
❐ চরিত্রহীন,
❐ পল্লীসমাজ,
❐ বৈকুন্ঠের উইল,
❐ দেবদাস ইত্যাদি।
১১৫৪. “প্রিয়জনে যাহা দিতে চাই তাই দিই দেবতারে'- বাক্যে নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৭ (ঢাকা বিভাগ) ☞7.9.07
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝▣ কর্মকারক:
কর্তা যাকে আশ্রয় করে বা অবলম্বন করে ক্রিয়া সম্পাদন করে তাকে বল হয় কর্মকারক।
❐ ক্রিয়ার সঙ্গে 'কী' বা 'কাকে' যোগ করে প্রশ্ন করলে কর্মকারক পাওয়া যায়।
যেমন: সেলিম বই পড়ে। - এ বাক্যের কর্ম হলো বই। কারণ বইকে আশ্রয় করে কর্তা এখানে কাজ সম্পাদন করেছে।
▣ কর্মকারকের বিভিন্ন বিভক্তির ব্যবহার।
ক) প্রথমা বা শূন্য অ বিভক্তি : ডাক্তার ডাক।
খ) দ্বিতীয়া বা কে বিভক্তি : তাকে বল।
রে বিভক্তি : ‘আমারে তুমি করিবে ত্রাণ, এ নহে মোর প্রার্থনা।
গ) ষষ্ঠী বা র বিভক্তি : তোমার দেখা পেলাম না।
ঘ) সপ্তমীর এ বিভক্তি : জিজ্ঞাসিবে জনে জনে।
❐-----------------------------------------------
“প্রিয়জনে যাহা দিতে চাই তাই দিই দেবতারে'- বাক্যে নিম্নরেখ শব্দটি কর্মকারকে সপ্তমী বিভক্তি।
কারন, ক্রিয়াকে 'কাকে' দিতে চাই প্রশ্ন করলে উত্তর পাওয়া যাবে 'প্রিয়জনে', তাই প্রিয়জনে- কর্মকারক।
আবার, এখানে 'প্রিয়জনে' 'এ' বা ৭মী বিভক্তি যুক্ত হয়েছে।
১১৫৫. ‘অপয়া' শব্দটি কোন সমাস?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৭ (ঢাকা বিভাগ) ☞7.9.07 📖 Rupali Bank Ltd. ➺ Assistant Network Engineer 🖎 06.03.21 📖 প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ➺ অফিস সহায়ক ☞ 5.5.23
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝▣ নঞ বহুব্রীহি সমাস:
না- বোধক অব্যয় পদের সাথে বিশেষ্য পদের বহুব্রীহি সমাস হলে তাকে নঞ বহুব্রীহি সমাস বলে।
❐ নঞ বহুব্রীহি সমাসে সাধিত পদটি বিশেষণ হয়।
যেমন-
- নেই পয় (ভাগ্য) যার= অপয়া,
❐ ন (নাই) জ্ঞান যার = অজ্ঞান,
❐ না (নাই) চারা (উপায়) = নাচার,
❐ নি (নাই) ভুল যার = নির্ভুল,
❐ না (নয়) জানা যা = নাজানা,
❐ অ (নাই) আদি যার = অনাদি ইত্যাদি।
১১৫৬. নিচের কোনটি ‘সমুদ্র' শব্দটির সমার্থক শব্দ নয়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৭ (ঢাকা বিভাগ) ☞7.9.07 📖 ৩য় বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস প্রিলিমিনারী পরীক্ষা, .০৭
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝▣ 'সমুদ্র' শব্দের সমার্থক শব্দ:
❐ অর্ণব,
- সাগর,
❐ জলধি,
❐ জলনিধি,
❐ পারাবার,
- বারিধি,
❐ রত্নাকর,
❐ সাগর,
- সিন্ধু ইত্যাদি।
▣ ‘ঢেউ’ এর সমর্থক শব্দ:
❐ তরঙ্গ, কল্লোল, ঊর্মি, হিল্লোল, লহরী, বীচি, জোয়ার, মহাতরঙ্গ, মহোর্মি, বীচিমালা, লহর, তরঙ্গহিল্লোল, দোলা, তরঙ্গভঙ্গ, ঊর্মিলহরী, তরঙ্গমালা, তরঙ্গলহরী ইত্যাদি।
১১৫৭. ‘গাহি সাম্যের গান- ধরণীর হাতে দিল যারা আনি ফসলের ফরমান’। -এ কবিতাংশটুকু কোন কবির কবিতার অংশ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৭ (ঢাকা বিভাগ) ☞7.9.07
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝‘গাহি সাম্যের গান- ধরণীর হাতে দিল যারা আনি ফসলের ফরমান’।
❐এ কবিতাংশটুকু 'কাজী নজরুল ইসলাম' এর 'জীবন - বন্দনা' কবিতার অংশ।
▣ ▣কাজী নজরুল ইসলামের কাব্যগ্রন্থ-
❐ অগ্নিবীণা,
❐ বিষের বাঁশি ,
❐ ভাঙার গান ,
❐ সাম্যবাদী,
❐ সর্বহারা,
- সন্ধ্যা,
❐ ঝিঙে ফুল,
❐ ফণি-মনসা ,
❐ জিঞ্জিরা,
❐ প্রলয় শিখা ইত্যাদি।
▣ 'জীবন-বন্দনা' কবিতা:
- কবিতাটি মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত।
❐ 'জীবন-বন্দনা' কবিতাটি কাজী নজরুল ইসলামের 'সন্ধ্যা' কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত হয়েছে।
❐ সন্ধ্যা কাব্য গ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দে।
❐ বাংলাদেশের রণসংগীত “চল চল চল, উর্ধ গগণে বাঝে মাদল” এই কাব্য থেকে নেয়া হয়েছে।
▣ জীবন-বন্দনা- কবিতা
❐-------------➯ কাজী নজরুল ইসলাম।
▣ গাহি তাহাদের গান ➯
ধরণির হাতে দিল যারা আনি ফসলের ফরমান।
শ্রম-কিণাঙ্ক-কঠিন যাদের নির্দয় মুঠি-তলে
ত্রস্তা ধরণি নজরানা দেয় ডালি ভরে ফুলে ফলে।
বন্য-শ্বাপদ-সংকুল জরা-মৃত্যু-ভীষণা ধরা
যাদের শাসনে হল সুন্দর কুসুমিতা মনোহরা।
যারা বর্বর হেথা বাঁধে ঘর পরম অকুতোভয়ে
বনের ব্যাঘ্র মরুর সিংহ বিবরের ফণী লয়ে।
এল দুর্জয় গতিবেগ সম যারা যাযাবর-শিশু
➯ তারাই গাহিল নব প্রেমগান ধরণি-মেরির জিশু ➯
যাহাদের চলা লেগে
উল্কার মতো ঘুরিছে ধরণি শূন্যে অমিত বেগে !
১১৫৮. ‘বেদের মেয়ে’ নাটকটির রচিয়তা কে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৭ (ঢাকা বিভাগ) ☞7.9.07
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝'বেদের মেয়ে' নাটকটির রচয়িতা পল্লিকবি জসীমউদ্দীন।
❐ এটি প্রকাশিত হয় ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দে।
▣ ▣জসীমউদ্দীন রচিত অন্যান্য নাটক:
❐ পদ্মাপার,
❐ বেদের মেয়ে,
❐ মধুমালা,
❐ পল্লীবধূ,
❐ গ্রামের মেয়ে ইত্যাদি।
১১৫৯. নিচের কোন শব্দটি তৎসম শব্দ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৭ (ঢাকা বিভাগ) ☞7.9.07 📖 জুনিয়র অডিটর➺হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয় -সিজিএ ☞01.04.22
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে,
জীবন- তৎসম বা সংস্কৃত শব্দ।
▣ প্রকৃতি- প্রত্যয়- জীব + অন।
▣জীবন শব্দের অর্থ- প্রাণ, প্রাণধারণ, জীবৎকাল, আয়ু।
১১৬০. কোনটি শুদ্ধ বানান?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৭ (ঢাকা বিভাগ) ☞7.9.07 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2001➯গ ইউনিট 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -বেলী- ১১.০৯.০৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে,
❐ নিশীথ (বিশেষ্য) বানানটি শুদ্ধ।
▣ নিশীথ:
❐ সংস্কৃত শব্দ।
❐ প্রকৃতি প্রত্যয় = নি+ √শী+ থ।
অর্থ:
❐ মধ্যরাত।
❐ গভীর রাত।
❐ রজনি।
১১৬১. ‘যেখানে বাঘের ভয় সেখানে সন্ধ্যা হয়।' বাক্যে নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৮ (পদ্মা) ☞31.10.08
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
২
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝অপাদান কারক:
যা থেকে কিছু বিচ্যুত, গৃহীত, জাত, বিরত, আরম্ভ, দূরীভূত ও রক্ষিত হয় এবং যা দেখে কেউ ভীত হয়, তাকেই অপাদান কারক বল
যেমন
❐ গাছ থেকে পাতা পড়ে।
❐ দুধ থেকে দই হয়।
❐ পাপে বিরত হও।
▣ অপাদান কারকে বিভিন্ন বিভক্তি ছাড়াও হইতে, হতে, থেকে, দিয়া, দিয়ে ইত্যাদি অনুসর্গ ব্যবহৃত হয়।
প্রথমা বা শূন্য বা অ বিভক্তি:
❐ বোটা-আলগা ফল গাছে থাকে না।
▣ দ্বিতীয়া বা কে বিভক্তি:
❐ বাবাকে বড্ড ভয় পাই।
▣ ষষ্ঠী বা এর বিভক্তি:
‘যেখানে বাঘের ভয় সেখানে সন্ধ্যা হয়।'
▣ সপ্তমী বা এ বিভক্তি:
❐ বিপদে মোরে করিবে ত্রান, এ নহে মোর প্রার্থনা।
❐ তিলে তৈল হয়।
১১৬২. কোন শব্দটি 'পদ্ম'-এর সমার্থক নয়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৮ (পদ্মা) ☞31.10.08
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝'পদ্ম' শব্দের সমার্থক শব্দ - কমল, উৎপল, পঙ্কজ, কুমুদ, কুবলয়, শতদল, অরবিন্দ, রাজীব, তামরস নলিনী, সরোজ ইত্যাদি।
▣ 'পৃথিবী' এর সমার্থক শব্দ- বসুন্ধরা, ক্ষিতি, অখিল, ভুবন, অবনী, ধরা, ধরণী, ভূ, মেদিনী ইত্যাদি।
১১৬৩. কোনটি শুদ্ধ বানান?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৮ (পদ্মা) ☞31.10.08 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -ড্যাফোডিল- ১২.১০.১২ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -রাজশাহী বিভাগ- ১৮.০৪.০৮
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে,
▣ শুদ্ধ বানান 'গৃহিণী'
▣ গৃহিণী (বিশেষ্য)
❐ সংস্কৃত শব্দ
❐ প্রকৃতি প্রত্যয় = গৃহ+ইন্+ঈ।
অর্থ:
❐ গৃহকর্ত্রী,
❐ পত্নী।
১১৬৪. ‘উত্তম পুরুষ' উপন্যাসের রচয়িতা কে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৮ (পদ্মা) ☞31.10.08 📖 বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ- নিরাপত্তা অপারেটর - 10.21 📖 পোস্টমাস্টার জেনারেল ~পূর্বাঞ্চল, চট্টগ্রাম ➺পোস্টাল অপারেটর ☞16.6.23
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝'উত্তম পুরুষ' উপন্যাসের রচয়িতা- 'রশীদ করীম'।
▣ ▣ 'উত্তম পুরুষ' উপন্যাস:
❐ উত্তম পুরুষ উপন্যাসটি ১৯৬১ সালে প্রকাশিত হয়।
❐ উপন্যাসটি আধুনিক মননশীলতা, পরিশীলতা, আঙ্গিক, অভিজ্ঞতার নির্লিপ্ত বর্ণনায় পাঠকের পাঠতৃষ্ণার নিবারণ হয়।
▣ ▣ উপন্যাসটির উল্লেখযোগ্য কিছু চরিত্র :
❐ শাকের,
❐ সেলিনা,
❐ অণিমা,
❐ শেখর।
▣ রশীদ করীমের অন্যান্য উপন্যাস :
❐ আমার যত গ্লানি,
❐ প্রসন্ন পাষাণ,
❐ মায়ের কাছে যাচ্ছি,
❐ লান্সবক্স,
❐ সোনার পাথর বাটি ইত্যাদি।
১১৬৫. কোন শব্দটি ‘পেষণ’ এর সমার্থক নয়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৮ (পদ্মা) ☞31.10.08
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে,
▣ পেষণ(বিশেষ্য)
অর্থ:
❐ মর্দন,
❐ দলন,
❐ বাটা,
❐ চূর্ণন।
নিসর্গ (বিশেষ্য)
❐ প্রকৃতি,
❐ স্বভাব,
❐ সৃষ্টি।
▣ সুতরাং, 'নিসর্গ' পেষণ এর সমার্থক শব্দ নয়।
১১৬৬. কোনটি শুদ্ধ বানান?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৮ (পদ্মা) ☞31.10.08 📖 কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়➟2013➯C ইউনিট 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - গামা- ১৮.০৪.১৪
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে,
▣ শুদ্ধ বানান: অভ্যন্তরীণ।
▣ অভ্যন্তরীণ (বিশেষণ)
❐ সংস্কৃত শব্দ
❐ প্রকৃতি প্রত্যয় = অভ্যন্তর+ঈন।
অর্থ: মধ্যবর্তী, অভ্যন্তরে আছে এমন, ভেতরের , মানসিক।
১১৬৭. 'মানচিত্র' নাটকটির রচয়িতা কে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৮ (পদ্মা) ☞31.10.08
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝আনিস চৌধুরী(১৯২৯-১৯৯০)
❐ সমাজসচেতন নাট্যকার।
❐ সমাজের নিখুঁত চিত্রাঙ্কনে তাঁর বিশিষ্টতা।
❐ তাঁর 'মানচিত্র', 'এলবাম', 'চেহারা', 'তবুও অনন্যা' বাংলাদেশের নাট্যসাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন।
❐ তাঁর নাটকে মধ্যবিত্ত মানুষের দ্বন্দ্ব-সংঘাত, দুঃখ-দারিদ্র ও সংগ্রামী চেতনা সার্থ ভাবে ফুটে উঠেছে।
১১৬৮. 'পাহাড় সমান ঢেউয়ের বুকে নৌকা আমার ভাসে, মেঘ-মুকুলের পাহাড় থেকে ঝড়ের ঝাপটা আসে। -এই কবিতাংশটুকু কোন কবির রচনা?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৮ (পদ্মা) ☞31.10.08 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2006➯ক ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝▣ আহসান হাবীব:
- তিনি ছিলেন মূলত কবি ও সাংবাদিক।
❐ তাঁর প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ - রাত্রিশেষে।
❐ তাঁর ‘ছায়া হরিণ’ কাব্যগ্রন্থটি ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয়। মোট কবিতার সংখ্যা ২৪।
❐ ১৯৬১ সালে বাংলা একাডেমি এবং ১৯৭৮ সালে একুশে পদক লাভ করেন।
❐ উপরোক্ত কবিতাংশটুকু আহসান হাবীবের 'মেঘনা পাড়ের ছেলে' কবিতার অন্তর্ভুক্ত।
▣ মেঘনা পাড়ের ছেলে
- আহসান হাবীব
▣ আমি মেঘনা পাড়ের ছেলে
আমি মেঘনা নদীর নেয়ে।
মেঘনা নদীর ঢেউয়ের বুকে
তালের নৌকা বেয়ে
আমি বেড়াই হেসে খেলে-
আমি মেঘনা পাড়ের ছেলে।
মেঘনা নদীর নেয়ে আমি মেঘনা পাড়ে বাড়ি
ইচ্ছে হ’লেই এপার থেকে ওপারে দেই পাড়ি।
তালে তালে তালের নৌকা
দু’হাতে যাই বেয়ে
আমি মেঘনা নদীর নেয়ে।
পাহাড় সমান ঢেউয়ের বুকে নৌকো আমার ভাসে
মেঘমুলুকের পাহাড় থেকে ঝড়ের ঝাপটা আসে-
মাথার ওপর মুচকি হাসে
বিজলি নামের মেয়ে
আমি মেঘনা নদীর নেয়ে।
আমার ঢেউয়ের সঙ্গে গলাগলি ঢেউয়ের সঙ্গে খেলা
ঝড়ের সঙ্গে লড়াই ক’রে কাটাই সারাবেলা।
দেশ থেকে যাই দেশান্তরে
মনের নৌকা বেয়ে-
আমি মেঘনা নদীর ছেলে
আমি মেঘনা নদীর নেয়ে।
১১৬৯. ‘সুসময়ের বন্ধু’- কোন বাগধারা দিয়ে বুঝানো হয়েছে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (বুড়িগঙ্গা) ☞14.4.13
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝'দুধের মাছি' এর সমার্থক বাগ্ধারা 'সুখের পায়রা'।
'দুধের মাছি' এবং 'সুখের পায়রা' উভয় বাগ্ধারার অর্থ = সুসময়ের বন্ধু।
অন্যদিকে,
❐ 'কংস মামা' বাগধারাটির অর্থ - নির্মম আত্মীয়।
❐ 'দহরম মহরম' বাগধারার অর্থ - ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।
❐ ‘লেফাফা দুরস্ত’ বাগধারাটির অর্থ 'পরিপাটি'।
১১৭০. ‘আবাহন' শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ কোনটি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (বুড়িগঙ্গা) ☞14.4.13
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝আবাহন এর বিপরীত শব্দ বিসর্জন।
▣ অন্যান্য অপশন:
আবির্ভাব - তিরোভাব।
আরোহণ - অবতরণ।
▣ আরো কিছু বিপরীতার্থক শব্দ-
❐ 'আকুঞ্চন' শব্দের বিপরীত শব্দা = প্রসারণ।
❐ 'সংহত' শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ = বিভক্ত।
❐ 'প্রসারিত' শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ = সংকুচিত।
❐ 'হত' শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ = জীবিত।
❐ 'সংযত' শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ = অসংযত।
১১৭১. 'কোকিল' শব্দের সমার্থক শব্দ কোনটি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (বুড়িগঙ্গা) ☞14.4.13
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝'কোকিল' শব্দের সমার্থক শব্দ -কাকপুষ্ট।
▣ ▣ কোকিল শব্দের অন্যান্য সমার্থক শব্দ:
❐ অন্যপুষ্ট।
❐ কলকন্ঠ।
❐ পরপুষ্ট।
❐ বসন্তদূত।
❐ মধুসখা।
❐ মধুস্বর।
❐ পরভৃত।
১১৭২. 'ভাবুক' শব্দের সন্ধি-বিচ্ছেদ কোনটি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (বুড়িগঙ্গা) ☞14.4.13 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ঝিলাম- ০৮.১১.১৩
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝'ভাবুক' শব্দের শুদ্ধ সন্ধি বিচ্ছেদ = ভৌ + উক।
এটি স্বরসন্ধির উদাহরণ।
সূত্র: ঔ+উ = আব্+উ।
▣ এ, ঐ, ও, ঔ- কারের পরে এ, ঐ স্থানে যথাক্রমে অয়, আয় এবং ও, ঔ স্থানে যথাক্রমে অব্, আব্ হয়।
যেমন,
- ভৌ + উক = ভাবুক; (সূত্র: ঔ+উ = আব্+উ)।
❐ পৌ + অক = পাবক,
❐ গো + আদি = গবাদি,
❐ গো + এষণা = গবেষণা,
❐ পো + ইত্র = পবিত্র,
❐ নৌ + ইক = নাবিক ইত্যাদি।
১১৭৩. ‘যে নারী প্রিয় কথা বলে’ - এক কথায় কী হবে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (বুড়িগঙ্গা) ☞14.4.13
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝যে নারী প্রিয় বাক্য/কথা বলে' = প্রিয়ংবদা।
▣ যে নারীর হাসি সুন্দর = সুহাসিনী।
শ্রীমতি = ভাগ্যবতী।
প্রিয়া = ভালোবাসার পাত্রী।
১১৭৪. 'যা পূর্বে ছিল এখন নেই'- এক কথায় কী হবে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (বুড়িগঙ্গা) ☞14.4.13 📖 13th BCS General Apr, 1992 📖 রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়➟2015➯B ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝যা পূর্বে ছিল এখন নেই - ভূতপূর্ব।
▣ অন্যান্য এক কথায় প্রকাশ:
যা পূর্বে দেখা যায় নি এমন - অদৃষ্টপূর্ব।
যা লাফিয়ে চলে - প্লবগ।
যা অধ্যয়ন করা হয়েছে - অধীত।
যা বলা হয় নি - অনুক্ত।
যা বলার যোগ্য নয় - অকথ্য।
যা পূর্বে শোনা যায় নি - অশ্রুতপূর্ব।
যা কখনো নষ্ট হয় না - অবিনশ্বর।
১১৭৫. ‘মেঘশূন্য' (মেঘ দ্বারা শূন্য) কোন সমাস?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (বুড়িগঙ্গা) ☞14.4.13 📖 Krishi Bank - Officer - 15.09.17 📖 ক্যাশ অফিসার - .১৮
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস:
পূর্বপদে তৃতীয়া বিভক্তির (দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক ইত্যাদি) লোপে যে সমাস হয়, তাকে তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস বলে।
যথা-
মন দিয়ে গড়া = মনগড়া,
শ্রম দ্বারা লব্ধ = শ্রমলব্ধ,
মধু দিয়ে মাখা= মধুমাখা,
রব(শব্দ) দ্বারা আহুত(ডাকা হয়েছে এমন) =রবাহুত,
রক্ত দ্বারা অক্ত(মাখানো)=রক্তাক্ত।
▣ ক) উন, হীন, শূন্য প্রভৃতি শব্দ উত্তরপদ হলেও তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস হয়।
যথা-
এক দ্বারা উন = একোন,
বিদ্যা দ্বারা হীন = বিদ্যাহীন,
মেঘ দ্বারা শূন্য = জ্ঞানশূন্য,
পাঁচ দ্বারা কম = পাঁচ কম।
▣ খ) উপকরণবাচক বিশেষ্য পদ পূর্বপদে বসলেও তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস হয়।
যথা- স্বর্ণ দ্বারা মণ্ডিত = স্বর্ণমণ্ডিত। এরূপ-হীরকখচিত, চন্দনচর্চিত, রত্নশোভিত ইত্যাদি।
১১৭৬. 'বিষবৃক্ষ' (বিশ সদৃশ বৃক্ষ) কোন সমাস?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (বুড়িগঙ্গা) ☞14.4.13 📖 Krishi Bank - Officer - 15.09.17 📖 ক্যাশ অফিসার - .১৮
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝▣ কর্মধারয় সমাস:
বিশেষ্য ও বিশেষণ পদে বা বিশেষ্য ও বিশেষণ ভাবাপন্ন পদে যে সমাস হয় এবং যেখানে পরপদের প্রাধান্য পায় তাকে কর্মধারয় সমাস বলে।
যেমন - নীল যে পদ্ম = নীলপদ্ম। এখানে নীল রংটিকে প্রাধান্য না দিয়ে পদ্মটিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
▣ বিষবৃক্ষ = বিষ রূপ বৃক্ষ; এটি রূপক কর্মধারয় সমাস।
বিষবৃক্ষ বলতে বিশেষ ধরণের বৃক্ষকে বোঝায় যার ফল বিষময়। এখানে, বিষবৃক্ষ দ্বারা প্রথম অংশ 'বিষ'কে বোঝানো হচ্ছে না, পরের অংশ 'বৃক্ষ'কে বোঝাচ্ছে। অর্থ্যাৎ, পরপদের প্রাধান্য পাচ্ছে।
▣ এরূপ -
জ্ঞান রূপ বৃক্ষ = জ্ঞানবৃক্ষ;
প্রান রূপ বায়ু = প্রাণবায়ু;
কাল রূপ রাত্রি = কালরাত্রি;
মন রূপ মাঝি = মনমাঝি ইত্যাদি।
১১৭৭. ‘এমন মেয়ে আর দেখিনি'— বাক্যে নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারকেকোন বিভক্তি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (বুড়িগঙ্গা) ☞14.4.13 📖 ১০ম বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন পরীক্ষা-(স্কুল/সমপর্যায়-২)-৩০.০৫.১৪ 📖 প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺৩য় ধাপ ☞ 03.06.22
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝বাক্যে যাকে আশ্রয় করে কর্তা ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকে কর্মকারক বলে।
▣ “এমন মেয়ে আর দেখিনি” বাক্যে দেখার কাজটি মেয়েকে অবলম্বন করে হয়েছে তাই এটা কর্মকারক এবং ‘মেয়ে’র সাথে শূন্য বিভক্তি যুক্ত হয়েছে।
১১৭৮. 'তার চোখ দিয়ে পানি পড়ে'- বাক্যে নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (বুড়িগঙ্গা) ☞14.4.13
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝▣ অপাদান কারক:
যা থেকে কোনো কিছু উৎপত্তি, বিচ্যুত, জাত, গৃহীত, আরম্ভ, দূরীভূত ও রক্ষিত হয়, তাকে বলা হয় অপাদান কারক।
❐ বাক্যের ক্রিয়াপদকে কোথা হতে, কি থেকে, কিসের থেকে ইত্যাদি প্রশ্ন করলে উত্তরে যে কারক পাওয়া যায়, তা-ই হলো অপাদান কারক।
উদাহরণ
বিচ্যুত : ছাদ থেকে পানি পড়ে। মেঘ থেকে বৃষ্টি হয় ইত্যাদি।
গৃহীত : দুধ থেকে দই হয়। বিশ্বাস থেকে বস্তু মেলে।
জাত : জমি থেকে আমরা ফসল পাই। খেজুর রসে গুড় হয়।
বিরত : পাপে বিরত হও। মিথ্যা বলা ছাড়।
দূরীভূত : দেশ থেকে পাপাচার দূর করতে হবে।
রক্ষিত : বিপদ থেকে আমায় বাঁচাও।
আরম্ভ : বুধবার থেকে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান চলবে।
ভীত : বাঘে ভীত হয়।
▣ অপাদান কারকে বিভিন্ন বিভক্তি ছাড়াও হইতে, হতে, থেকে, দিয়ে, দিয়া ইত্যাদি অনুসর্গ ব্যবহৃত হয়।
অপাদান কারকে বিভিন্ন বিভক্তির প্রয়োগ
❐ প্রথমা বা শূন্য বা অ বিভক্তি:
বোঁটা-আলগা ফল গাছে থাকে না।
মনে পড়ে সেই জ্যৈষ্ঠ দুপুরে পাঠশালা পলায়ন
❐ দ্বিতীয়া বা কে বিভক্তি : বাবাকে বড় ভয় পাই।
❐ ষষ্ঠী বা এর বিভক্তি : যেখানে বাঘের ভয় সেখানে সন্ধ্যা হয়।
❐ সপ্তমী বা এ বিভক্তি : বিপদে মোরে করিবে ত্রাণ, এ নহে মোর প্রার্থনা।
▣ অনুরূপভাবে, তার 'চোখ দিয়ে পানি পড়ে।' - অপাদান কারকে ৩য়া বিভক্তির উদাহরণ।
১১৭৯. কোনটি শুদ্ধ বানান?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (বুড়িগঙ্গা) ☞14.4.13
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে,
প্রণয়িনী বানানটি শুদ্ধ।
❐ এটি প্রণয়ী এর স্ত্রী রূপ।
প্রণয়ী (বিশেষ্য)
❐ সংস্কৃত শব্দ।
অর্থ:
❐ প্রেমের পাত্র,
❐ অনুরক্ত ব্যক্তি,
❐ প্রণয়াসম্পদ (বিশেষণ)।
১১৮০. কোন বানানটি শুদ্ধ?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (বুড়িগঙ্গা) ☞14.4.13 📖 DPE ২০১৮- সহকারী লাইব্রেরিয়ান কাম ক্যাটালগার এবং উচ্চমান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক -২২.০৬.১৮ 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - হোয়াংহো- ০৮.১১.১৩
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে,
▣ উন্মীলন (বিশেষ্য)
❐ সংস্কৃত শব্দ।
প্রকৃতি-প্রত্যয়: উৎ+ √মীল্+অন(ল্যুট্)}।
অর্থ:
❐ চোখ মেলে চাওয়া;
❐ চোখ খোলা,
❐ বিকাশ,
❐ উদ্ঘাটন;
❐ উন্মোচন।
১১৮১. 'এইসব দিনরাত্রি' নাটকটির লেখক—
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (বুড়িগঙ্গা) ☞14.4.13
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝হুমায়ূন আহমেদ:
❐ হুমায়ূন আহমেদের জন্ম ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জে তাঁর মাতামহের বাড়িতে।
❐ তাঁর পৈত্রিক বাড়ি নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে।
❐ শৈশবে হুমায়ূন আহমেদের নাম ছিল শামসুর রহমান।
❐ তিনি একাধারে কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চলচ্চিত্র নির্মাতা, গীতিকার, শিক্ষক ছিলেন।
❐ 'নন্দিত নরকে' উপন্যাসের মধ্য দিয়ে বাংলা সাহিত্যে হুমায়ূন আহমেদের আবির্ভাব।
▣ তাঁর প্রথম ধারাবাহিক নাটক - "এইসব দিনরাত্রি" বাংলাদেশের দর্শকদের কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়।
▣ এ ছাড়া অন্যান্য জনপ্রিয় ধারাবাহিকের মধ্যে আছে:
❐ বহুব্রীহি (কমেডি),
❐ অয়োময় (সামাজিক-ঐতিহাসিক),
❐ কোথাও কেউ নেই (নাগরিক জীবনভিত্তিক),
❐ আজ রবিবার (পারিবারিক-সামাজিক),
❐ নক্ষত্রের রাত (আধুনিক জীবনসমস্যা) ইত্যাদি।
১১৮২. 'বিষের বাঁশি' কাজী নজরুল রচিত একটি—
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (বুড়িগঙ্গা) ☞14.4.13 📖 কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়➟2012➯A ইউনিট 📖 খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়➟2011➯B ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝বিষের বাঁশি:
১৩৩১ বঙ্গাব্দের শ্রাবণে (আগস্ট, ১৯২৪) ‘বিষের বাঁশী’ প্রকাশ করেন কবি নিজেই। সে বছরই সরকার গ্রন্থটি নিষিদ্ধ করে।
❐ এটি নজরুলের প্রথম নিষিদ্ধকৃত কাব্যগ্রন্থ। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহৃত হয়েছিল ১৯৪৫ খ্রিষ্টাব্দের ২৭শে এপ্রিল।
❐ এ গ্রন্থের কবিতাগুলো উদারনৈতিক ঐতিহ্যভাবনার অন্তর্গত।
❐ কাজী নজরুলের কবিতার বলিষ্ঠতা, যৌবনের উদ্দাম শক্তি, উদার মানবিকতা ও সামাজিক সচেতনতা এবং গীতি প্রতিভার সমস্ত বৈশিষ্ট্য এই কাব্যে পরিস্ফুট হয়েছে।
▣ এই কাব্যগ্রন্থের উল্লেখযোগ্য কবিতা:
❐ বন্দী-বন্দনা,
❐ উদ্বোধন,
❐ উৎসর্গ,
❐ চরকার গান,
❐ জাতের বজ্জাতি,
❐ বন্দনা-গান,
❐ বিদ্রোহীর বাণী,
❐ যুগান্তরের গান,
❐ শিকল-পরার গান।
▣ ▣ কাজী নজরুল ইসলামের কাব্যগ্রন্থ-
❐ অগ্নি-বীণা,
❐ সঞ্চিতা,
❐ চিত্তনামা,
❐ মরুভাস্কর,
❐ সর্বহারা,
❐ ফণি-মনসা,
❐ চক্রবাক,
❐ সাম্যবাদী,
❐ ছায়ানট,
❐ নতুন চাঁদ,
❐ পুবের হাওয়া,
❐ জিঞ্জির,
❐ বিষের বাঁশি,
❐ দোলনচাঁপা,
❐ চন্দ্রবিন্দু,
❐ সিন্ধু হিন্দোল ইত্যাদি।
১১৮৩. ‘ফাঁসির মঞ্চ গেয়ে গেল যারা জীবনের জয়গান আসি' অলক্ষ্যে দাঁড়ায়েছে তারা, দিবে কোন বলিদান? পঙ্ক্তিটির রচয়িতা কে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (বুড়িগঙ্গা) ☞14.4.13 📖 15th BCS General Apr, 1993 📖 ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়➟2016➯C ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝পঙক্তিটি কাজী নজরুল ইসলামের 'সর্বহারা' কাব্যগ্রন্থের 'কাণ্ডারী হুশিয়ার' কবিতার অংশ।
▣ কান্ডারী হুশিয়ার!
❐ কাজী নজরুল ইসলাম---সংকলিত (কাজী নজরুল ইসলাম)
দুর্গম গিরি, কান্তার-মরু, দুস্তর পারাবার
লঙ্ঘিতে হবে রাত্রি-নিশীথে, যাত্রীরা হুশিয়ার!
▣ দুলিতেছে তরি, ফুলিতেছে জল, ভুলিতেছে মাঝি পথ,
ছিঁড়িয়াছে পাল, কে ধরিবে হাল, আছে কার হিম্মৎ?
কে আছ জোয়ান হও আগুয়ান হাঁকিছে ভবিষ্যৎ।
এ তুফান ভারী, দিতে হবে পাড়ি, নিতে হবে তরী পার।
▣ তিমির রাত্রি, মাতৃমন্ত্রী সান্ত্রীরা সাবধান!
যুগ-যুগান্ত সঞ্চিত ব্যথা ঘোষিয়াছে অভিযান।
ফেনাইয়া উঠে বঞ্চিত বুকে পুঞ্জিত অভিমান,
ইহাদের পথে নিতে হবে সাথে, দিতে হবে অধিকার।
▣ অসহায় জাতি মরিছে ডুবিয়া, জানে না সন্তরন
কান্ডারী! আজ দেখিব তোমার মাতৃমুক্তি পন।
হিন্দু না ওরা মুসলিম? ওই জিজ্ঞাসে কোন জন?
কান্ডারী! বল, ডুবিছে মানুষ, সন্তান মোর মার
▣ গিরি সংকট, ভীরু যাত্রীরা গুরু গরজায় বাজ,
পশ্চাৎ-পথ-যাত্রীর মনে সন্দেহ জাগে আজ!
কান্ডারী! তুমি ভুলিবে কি পথ? ত্যজিবে কি পথ-মাঝ?
করে হানাহানি, তবু চলো টানি, নিয়াছ যে মহাভার!
▣ কান্ডারী! তব সম্মুখে ঐ পলাশীর প্রান্তর,
বাঙালীর খুনে লাল হল যেথা ক্লাইভের খঞ্জর!
ঐ গঙ্গায় ডুবিয়াছে হায়, ভারতের দিবাকর!
উদিবে সে রবি আমাদেরি খুনে রাঙিয়া পূনর্বার।
▣ ফাঁসির মঞ্চে গেয়ে গেল যারা জীবনের জয়গান,
আসি অলক্ষ্যে দাঁড়ায়েছে তারা, দিবে কোন্ বলিদান
আজি পরীক্ষা, জাতির অথবা জাতের করিবে ত্রাণ?
দুলিতেছে তরী, ফুলিতেছে জল, কান্ডারী হুশিয়ার!
▣ ▣ কাজী নজরুল ইসলামের অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ-
❐ অগ্নিবীণা,
❐ সাম্যবাদী,
❐ ঝিঙে ফুল,
❐ ভাঙার গান,
❐ দোলনচাঁপা,
❐ সিন্ধু হিন্দোল,
❐ চক্রবাক,
❐ জিঞ্জিরা,
❐ নতুন চাঁদ,
❐ প্রলয় শিখা,
❐ মরুভাস্কর ইত্যাদি।
১১৮৪. কোনটি অপিনিহিতি’র উদাহরণ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (চট্টগ্রাম বিভাগ) ☞26.8.05
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
পরের ই - কার আগে উচ্চারিত হলে বা যুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনির আগে ই - কার বা উ - কার উচ্চারিত হলে তাকে অপিনিহিতি বলে। অর্থাৎ পরের \"ই\" কার ও \"উ\" কার আগেই উচ্চারিত হওয়ার রীতিকে অপিনিহিতি (Apenthesis) বলে। যেমন - আজি > আইজ, সাধু > সাউধ, রাখিয়া > রাইখ্যা, বাক্য > বাইক্য, সত্য > সইত্য, চারি > চাইর, মারি >মাইর।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 অপিনিহিতি:
▣ পরের ই-কার আগে উচ্চারিত হলে কিংবা যুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনির আগে ই-কার বা উ-কার উচ্চারিত হলে তাকে অপিনিহিতি বলে।
❐ যেমন:
▣ সত্য সইত্য,
❐ - আজি আইজ,
▣ চারি চাইর,
▣ সাধু সাউধ,
▣ বাক্য বাইক্য ইত্যাদি।
১১৮৫. নিচের কোনটি সঠিক?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (চট্টগ্রাম বিভাগ) ☞26.8.05
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
নিম্নোক্ত বর্ণগুলোর যুক্ত বর্ণের রূপ: হ্+ম=হ্ম (ব্রাহ্মণ)
ক্+ষ=ক্ষ(পরীক্ষা, প্রতিক্ষা,তিতিক্ষা )
জ্+ঞ=জ্ঞ(বিজ্ঞান,জ্ঞানী )
ঞ+জ=ঞ্জ (অঞ্জলি, পতঞ্জলি )
ষ+ণ=ষ্ণ(তৃষ্ণা, কৃষ্ণ )
ঞ+চ=ঞ্চ(মঞ্চ, অঞ্চল )
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝
▣ 'হ্ম' - এই যুক্তব্যঞ্জনে বর্ণ আছে - হ্‌ + ম।
▣ 'হ্ম' - সহযোগে গঠিত কয়েকটি শব্দ ব্রাহ্মণ, ব্রহ্ম, ব্রহ্মাণ্ড, ব্রহ্মপুত্র ইত্যাদি।
❐ এছাড়া-
▣ ক্‌+ষ= ক্ষ যেমন: শিক্ষা, রক্ষা ইত্যাদি।
▣ হ্‌ + ণ = হ্ণ, যেমন: পূর্বাহ্ণ, অপরাহ্ণ ইত্যাদি।
▣ হ্‌+ ন = হ্ন, যেমন: চিহ্ন, বহ্নি, মধ্যাহ্ন ইত্যাদি।
১১৮৬. বিভক্তিহীন নাম শব্দকে বলে-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (চট্টগ্রাম বিভাগ) ☞26.8.05
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
প্রাতিপদিক : বিভক্তিহীন নামশব্দকে প্রাতিপদিক বলে। নামপদের যেই অংশকে আর বিশ্লেষণ করা বা ভাঙা যায় না, তাকেই প্রাতিপদিক বলে। যেমন - \"হাত\"। এই নাম শব্দের সঙ্গে কোনো বিভক্তি নেই।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 - 'প্রাতিপদিক' মানে যা দিয়ে শুরু করা হয়।
❐ - বিভক্তিহীন নাম শব্দকে বলা হয় প্রাতিপদিক।
▣ প্রাতিপদিকের সাথে নাম বিভক্তি যুক্ত হয়ে গঠিত হয় নামপদ।
▣ যেসব শব্দকে বিশ্লেষণ করলে আর কোন অর্থসঙ্গতিপূর্ণ শব্দ পাওয়া যায় না, তাকে মৌলিক শব্দ বলে।
▣ কৎপ্রত্যয় সাধিত শব্দকে বলা হয় কৃদন্ত শব্দ।
১১৮৭. ‘উকিল’ কোন দেশী শব্দ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (চট্টগ্রাম বিভাগ) ☞26.8.05
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
সালাত,যাকাত,সিয়াম,আদালত,দস্তখত,কলম, আদালত , এই শব্দ গুলো আরবি ভাষার শব্দ,,, যা বাংলা ভাষায় প্রচলিত,,
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 উকিল (বিশেষ্য)
❐ - আরবি শব্দ,
❐ অর্থ:
▣ আইন ব্যবসায়ী,
▣ ব্যবহারজীবী,
▣ প্রতিনিধি
▣ মুসলমান সমাজের বিবাহের অনুষ্ঠানে যে ব্যাক্তি কনের আনুষ্ঠানিক সম্মতি নিয়ে বিজ্ঞাপিত করে।
১১৮৮. ভাবুক-এর সন্ধি-বিচ্ছেদ-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (চট্টগ্রাম বিভাগ) ☞26.8.05
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
”ভাবুক” শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ ভৌ + উক।
এ, ঐ, ও, ঔ কারের পর এ, ঐ স্থানে যথাক্রমে অয়, আয় এবং ও, ঔ স্থানে যথাক্রমে অব্ ও আব্ হয়। যেমন : ভৌ + উক = ভাবুক, গো + এষণা = গবেষণা ইত্যাদি।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 'ভাবুক' শব্দের শুদ্ধ সন্ধি বিচ্ছেদ = ভৌ + উক
▣ এটি স্বরসন্ধির উদাহরণ।
১১৮৯. ‘আমার তুল্য’-এর বাক্য সংকোচন-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (চট্টগ্রাম বিভাগ) ☞26.8.05
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
নিম্নোক্ত শব্দের এক কথায় প্রকাশের রূপ
তাহার তুল্য - তাদৃশ
ইহার তুল্য -ঈদৃশ
আমার তুল্য-মাদৃশ
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ‘আমার তুল্য’ -এর বাক্য সংকোচন- মাদৃশ।
❐ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বাক্য সংকোচন:
▣ 'যে অপরের লেখা চুরি করে নিজ নামে চালায়' এর বাক্যসংকোচন - কুম্ভীলক।
▣ 'যে ভবিষ্যৎ না ভেবেই কাজ করে' এর বাক্যসংকোচন - অবিমৃষ্যকারী।
▣ 'যার বাসস্থান নেই' এর বাক্যসংকোচন- অনিকেত।
▣ ‘যে বিষয়ে কোনো বিতর্ক নেই’ এর বাক্যসংকোচন - অবিসংবাদিত।
১১৯০. ‘গৃহিণী’ কি জাতীয় শব্দ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (বরিশাল বিভাগ) ☞26.8.05 📖 ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়➟2008➯C ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
গৃহিণী শব্দটি তৎসম শব্দ থেকে আগত।
গৃহিণী তৎসম এবং গিন্নী অর্ধতৎসম।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 উৎস বিবেচনায় শব্দের শ্রেণিবিভাগ:
❆ উৎস বিবেচনায় বাংলা শব্দভাণ্ডারকে পাঁচ শ্রেণিতে বিভক্ত করা যায়। যথা:
❆ ১. তৎসম শব্দ,
❆ ২. তদ্ভব শব্দ,
❆ ৩. অর্ধ-তৎসম শব্দ,
❆ ৪. দেশি শব্দ ও
❆ ৫. বিদেশি শব্দ।
▣ তৎসম শব্দ:
❐ যেসব শব্দ সংস্কৃত ভাষা থেকে সোজাসুজি বাংলায় এসেছে এবং যাদের রূপ অপরিবর্তিত রয়েছে, সেসব শব্দকে বলা হয় তৎসম শব্দ।
❐ তৎসম একটি পারিভাষিক শব্দ। এর অর্থ [তৎ (তার) + সম (সমান)] = তার সমান অর্থাৎ সংস্কৃত।
❆ উদাহরণ:
❐ চন্দ্র,
❐ সূর্য,
❐ নক্ষত্র,
❐ জ্যোৎস্না,
❐ শ্রাদ্ধ,
❐ গৃহিণী,
❐ বৈষ্ণব,
❐ কুৎসিত,
❐ ভবন,
❐ ধর্ম,
❐ পাত্র,
❐ মনুষ্য ইত্যাদি।
উল্লেখ্য, ব্যাকরণ বইয়ের নতুন সংস্করণ অনুযায়ী, উৎস বিবেচনায় বাংলা শব্দভাণ্ডারকে চার শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়েছে। যথা:
❆ ১. তৎসম শব্দ,
❆ ২. তদ্ভব শব্দ,
❆ ৩. দেশি শব্দ ও
❆ ৪. বিদেশি শব্দ।
১১৯১. ‘রাইফেল রোটি আওরাত’ গ্রন্থটি কে রচনা করেন?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (বরিশাল বিভাগ) ☞26.8.05
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
আনোয়ার পাশা (১৯২৮-১৯৭১) রচিত মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক উপন্যাস " রাইফেল রোটি আওরাত"। ২৫ মার্চের কালো রাতে পাকিস্তানি বাহিনী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যে ধ্বংসযজ্ঞ চালায় তার বিস্তারিত বর্ণনা আছে এ উপন্যাসে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 আনোয়ারা পাশা:
❐ তিনি ১৯২৮ সালের ১৫ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরে জন্মগ্রহণ করেন।
❐ তিনি মূলত বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক।
❐ ১৯৬৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন এবং আমৃত্যু এখানেই কর্মরত ছিলেন।
❐ তিনি ১৯৭২ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (মরণোত্তর) লাভ করেন।
❐ ১৯৭১ সালের ১৪ই ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারস থেকে পাক হানাদার বাহিনীর অনুগত আলবদর সদস্যরা তাঁকে ঢাকার মিরপুরের বধ্যভূমিতে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে।
▣ তাঁর রচিত উপন্যাস:
❐ নীড় সন্ধানী (১৯৬৮),
❐ নিষুতি রাতের গাথা (১৯৬৮)।
▣ তাঁর মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস:
❆ - রাইফেল রোটি আওরাত (১৯৭৩)।
▣ তাঁর রচিত গল্পগ্রন্থ:
❐ নিরুপায় হরিণী (১৯৭০)।
▣ তাঁর রচিত কাব্য:
❐ নদী নিঃশেষিত হলে,
❐ সমুদ্র শৃঙ্খলতা উজ্জয়িনী।
১১৯২. ‘মঙ্গলকাব্য’ সমূহের বিষয়বস্তু মূলত-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (বরিশাল বিভাগ) ☞26.8.05 📖 প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৬ (চট্টগ্রাম বিভাগ) ☞1.12.06
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
মঙ্গলকাব্যে স্থানীয় ও বহিরাগত দেবতাদের স্বার্থের মধ্যে প্রায়শই সংঘাত ঘটে থাকে এবং পরিসমাপ্তিতে স্থানীয় দেবতারা জয়লাভ করেন। মঙ্গল শব্দটির অপর অর্থ বিজয়।অর্থাৎ, এই কাব্যগুলি লেখা হয়েছিল বিদেশী ঈশ্বরপূজারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় দেবতাদের জয়কে উদ্যাপন উপলক্ষে।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 মঙ্গলকাব্য:
❐ বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগে বিশেষ এক শ্রেণির ধর্মবিষয়ক আখ্যান কাব্য 'মঙ্গলকাব্য' নামে পরিচিত।
❐ এগুলো খ্রিষ্টীয় পনের শতকের শেষ ভাগ থেকে আঠার শতকের শেষার্ধ পর্যন্ত পৌরাণিক, লৌকিক ও পৌরাণিক-লৌকিক সংমিশ্রিত দেবদেবীর লীলামাহাত্ম্য, পূজাপ্রচার ও ভক্তকাহিনি অবলম্বনে রচিত সম্প্রদায়গত প্রচারধর্মী ও আখ্যানমূলক কাব্য।
❐ বলা হয়ে থাকে, যে কাব্যে দেবতার আরাধনা, মাহাত্ম্য-কীর্তন করা হয়, যে কাব্য শ্রবণেও মঙ্গল হয় এবং বিপরীতটিতে হয় অমঙ্গল; যে কাব্য মঙ্গলাধার, এমন কি, যে কাব্য যার ঘরে রাখলেও মঙ্গল হয় তাকেই বলা হয় মঙ্গলকাব্য।
❐ 'মঙ্গল' শব্দটির আভিধানিক অর্থ 'কল্যাণ'। যে কাব্যের কাহিনি শ্রবণ করলে সর্ববিধ অকল্যাণ নাশ হয় এবং পূর্ণাঙ্গ মঙ্গল লাভ ঘটে, তাকেই মঙ্গলকাব্য বলা যায়।
❐ মঙ্গলকাব্যের 'মঙ্গল' শব্দটির সঙ্গে শুভ ও কল্যাণের অর্থসাদৃশ্য থাকা ছাড়াও এসব কাব্যের অনেকগুলো এক মঙ্গলবারে পাঠ আরম্ভ হয়ে পরের মঙ্গলবারে সমাপ্ত হত। বলে এ নামে অভিহিত হয়েছে।
❐ মঙ্গলকাব্য প্রধানত কাহিনিকেন্দ্রিক। মূল কাহিনির সঙ্গে দেবলীলা, ধর্মতত্ত্ব ও নানা ধরনের বর্ণনায় এসব কাব্য বিপুলায়তন লাভ করেছে।
❐ বিভিন্ন দেবদেবীর গুণগান মঙ্গলকাব্যগুলোর উপজীব্য। তন্মধ্যে স্ত্রীদেবতাদের প্রাধান্যই বেশি এবং মনসা ও চণ্ডীই এদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ।
❐ লৌকিক দেবদেবীর কাহিনি অবলম্বনে রচিত মঙ্গলকাব্যগুলোতে
❆ ক. বন্দনা,
❆ খ. গ্রন্থ রচনার কারণবর্ণনা,
❆ গ. দেবখণ্ড ও
❆ ঘ. নরখণ্ড বা মূলকাহিনি বর্ণনা।
❆ মোটামুটি এই চারটি অংশ থাকত।
❐ 'বারমাসী' ও 'চৌতিশা' জাতীয় কাব্যাংশ মঙ্গলকাব্যে স্থান লাভ করত।
১১৯৩. ‘জ্ঞ’ যুক্তবর্ণ কিভাবে গঠিত?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (বরিশাল বিভাগ) ☞26.8.05
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
ঞ+ জ = ঞ্জ। যেমন : মানিকগঞ্জ, গঞ্জ ইত্যাদি।
জ + ঞ = জ্ঞ। যেমন : জ্ঞান, বিজ্ঞান ইত্যাদি।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 'জ্ঞ' যুক্তবর্ণটি গঠিত হয়েছে (জ্‌ + ঞ) বর্ণ যোগে।
উল্লেখ্য, মূল প্রশ্নে হসন্ত ছিল না, তাই কাছাকাছি উত্তর হিসেবে (জ + ঞ) নেওয়া হয়েছে।
▣ জ্ঞ - সহযোগে গঠিত কয়েকটি শব্দ:
❐ জ্ঞান, প্রজ্ঞা, জ্ঞাত, বিজ্ঞান ইত্যাদি।
▣ গুরুত্বপূর্ণ কিছু যুক্তবর্ণ:
❐ ত্ + ত = ত্ত,
❐ ভ্‌ + র = ভ্র,
❐ হ্‌ + ণ = হ্ণ,
❐ ষ্‌ + ণ = ষ্ণ,
❐ ত্‌ + থ = ত্থ,
❐ ঙ্‌ + গ = ঙ্গ,
❐ ঙ্‌ + ক = ঙ্ক,
❐ ক্‌ + ষ = ক্ষ,
❐ হ্‌ + ম = হ্ম।
১১৯৪. ‘মুস্তফা চরিত’ গ্রন্থের রচয়িতা কে ছিলেন?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (বরিশাল বিভাগ) ☞26.8.05
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
মাওলানা আকরাম খাঁর সাহিত্য কর্ম:
সমস্যা ও সমাধান [এই গ্রন্থে লেখকের ইসলামে নারীর মর্যাদা, সুদ সমস্যা, চিত্র (ছবি তোলা) সমস্যা, সঙ্গীত সমস্যা এই চারটি প্রবন্ধ সংকলিত হয়]
আমপারার বাংলা অনুবাদ
মোস্তফা - চরিত (বর্তমানে খোশরোজ কিতাব মহল হতে প্রকাশিত)
মোস্তফা - চরিতের বৈশিষ্ট্য
বাইবেলের নির্দেশ ও প্রচলিত খ্রীষ্টান ধর্ম
মোছলেম বঙ্গের সামাজিক ইতিহাস (ঐতিহ্য হতে প্রকাশিত)
তাফসীরুল কোরআন(১ - ৫ খণ্ড) (খোশরোজ কিতাব মহল হতে প্রকাশিত)
মুক্তি ও ইসলাম
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 মাওলানা আকরম খাঁ:
❐ তিনি ৭ই জুন, ১৮৬৮ সালে পশ্চিমবঙ্গের চবিবশ পরগনা জেলার হাকিমপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
❐ তিনি মূলত সাংবাদিক, রাজনীতিক, ইসলামিশাস্ত্রজ্ঞ ছিলেন।
❐ তিনি বাংলাসহ আরবি, উর্দু, পারসি ও সংস্কৃত ভাষায় ব্যুৎপন্ন ছিলেন।
❐ তাঁর সম্পাদনায় ১৯০৩ সালে 'মাসিক মোহাম্মদী' পত্রিকা প্রকাশিত হয়।
❐ তাঁর সম্পাদিত দুটি স্বল্পস্থায়ী দৈনিক পত্রিকার নাম: উর্দু দৈনিক 'জামানা' (১৯২০) ও বাংলা দৈনিক 'সেবক' (১৯২১)।
❐ তাঁর সাংবাদিক জীবনের কীর্তি 'আজাদ' পত্রিকা প্রকাশ ও সম্পাদনা (১৯৩৬ সালের ৩১শে অক্টোবর থেকে)।
❐ তিনি ১৮ই অগস্ট, ১৯৬৮ মৃত্যুবরণ করেন।
▣ তাঁর রচিত গদ্যগ্রন্থগুলো:
❐ হজরত মোহাম্মদ-এর (স.) জীবনী 'মোস্তফা চরিত' (১৯২৩),
❐ মোসলেম বাংলার সামাজিক ইতিহাস (১৯৬৫) ইত্যাদি।
১১৯৫. কোনটি শুদ্ধ বানান?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (বরিশাল বিভাগ) ☞26.8.05 📖 জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়➟2011➯G ইউনিট 📖 রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়➟2013➯A ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
সঠিক বানান - সান্ত্বনা। প্রদত্ত শব্দটি একটি বিশেষ্য পদ। সান্ত্বনা শব্দের অর্থ - স্বস্তি, আরাম, আয়েশ, আরামপ্রদতা ইত্যাদি।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 সঠিক উত্তর - সান্ত্বনা।
❐ ‘সান্ত্বনা’ শব্দটি বিশেষ্য।
❐ এটি সংস্কৃত শব্দ।
❐ ‘সান্ত্বনা’ অর্থ: আশ্বাস বা আশা দিয়ে শান্তকরণ, প্রবোধদান।
১১৯৬. ‘গায়ে-হলুদ’ কোন সমাস?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (বরিশাল বিভাগ) ☞26.8.05 📖 কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়➟2012➯B ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ) বইয়ের পৃষ্ঠা: ৬৬ ও ৬৮ অনুসারে, 'গায়ে-হলুদ' অলুক বহুব্রীহি ও মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি উভয় সমাস হিসেবে উল্লেখ আছে।
▣ মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি:
❐ বহুব্রীহি সমাসের ব্যাখ্যার জন্য ব্যবহৃত বাক্যাংশের কোনো অংশ যদি সমস্তপদে লোপ পায়, তবে তাকে মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি বলে। যেমন -
❐ বিড়ালের চোখের ন্যায় চোখ যে নারীর = বিড়ালচোখী,
❐ হাতে খড়ি দেওয়া হয় যে অনুষ্ঠানে = হাতেখড়ি।
❆ এমনি ভাবে - গায়ে হলুদ, মেনিমুখো ইত্যদি।
▣ অলুক বহুব্রীহি:
❐ যে বহুব্রীহি সমাসে পূর্ব বা পরপদের কোনো পরিবর্তন হয় না, তাকে অলুক বহুব্রীহি বলে।
❐ অলুক বহুব্রীহি সমাসে সমস্ত পদটি বিশেষণ হয়।
যথা:
❐ মাথায় পাগড়ি যার = মাথায়পাগড়ি,
❐ গলায় গামছা যার= গলায় গামছা (লোকটি)।
❆ এরূপ - গায়ে-হলুদ, হাতেখড়ি, হাতে-ছড়ি, কানে-কলম, গায়ে-পড়া, হাতে-বেড়ি, মাথায়-ছাতা, মুখে-ভাত, কানে-খাটো ইত্যাদি।
▣ বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০২২ সংস্করণ) বই অনুসারে,
▣ পদলোপী বহুব্রীহি:
❆ - যে বহুব্রীহি সমাসের ব্যাসবাক্য থেকে এক বা একাধিক পদ লোপ পায়, তাকে পদলোপী বহুব্রীহি বলে।
যেমন:-
❐ চিরুনির মতো দাঁত যার = চিরুনদাঁতি,
❐ হাতে খড়ি দেওয়া হয় যে অনুষ্ঠানে = হাতেখড়ি।
❆ বিশেষ দ্রষ্টব্য: ব্যাকরণ বইয়ের নতুন সংস্করণের পদলোপী বহুব্রীহির সংজ্ঞা অনুযায়ী, 'গায়ে-হলুদ' পদলোপী বহুব্রীহি সমাস এবং পরীক্ষায় অপশনে পদলোপী বহুব্রীহি থাকলে এটাই অধিক গ্রহণযোগ্য উত্তর।
উল্লেখ্য, প্রদত্ত প্রশ্নের অপশনে পদলোপী বহুব্রীহি না থাকায় অলুক বহুব্রীহি উত্তর গ্রহণ করা হলো।
১১৯৭. ‘কারসাজি’ শব্দে কোন ভাষার উপসর্গ আছে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (বরিশাল বিভাগ) ☞26.8.05 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟1998➯ঘ ইউনিট 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2016➯A ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
'কারসাজি' বাক্যে 'কার' উপসর্গ ব্যবহার করা হয়েছে। এই উপসর্গটি একটি ফারসি উপসর্গ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ‘কারসাজি’ শব্দে ফারসি ভাষার উপসর্গ আছে।
▣ ফারসি উপসর্গ:
❆ - ফারসি ভাষার বহু শব্দ দীর্ঘকাল ধরে বাংলা ভাষায় প্রচলিত রয়েছে।
❐ এর কতগুলো খাঁটি উচ্চারণে আবার কতগুলো বিকৃত উচ্চারণে বাংলায় ব্যবহৃত হয়।
❐ ফারসি উপসর্গ ১০টি। যথা:
❆ ১. কার্ - কারখানা, কারসাজি।
❆ ২. দর্ - দরপত্তনী, দরপাট্টা।
❆ ৩. না - নারাজ, নালায়েক।
❆ 8. নিম্ - নিমরাজি, নিমখুন।
❆ ৫. ফি - ফি-রোজ, ফি-হপ্তা।
❆ ৬. বদ্ - বদমেজাজ, বদনাম।
❆ ৭. বে - বেকসুর, বেতার।
❆ ৮. বর্ - বরখাস্ত, বরবাদ।
❆ ৯. ব্‌ - বনাম, বকলম।
❆ ১০. কম্ - কমজোর, কমবখ্‌ত।
১১৯৮. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কাজী নজরুল ইসলামকে কোন গ্রন্থটি উৎসর্গ করেন?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (বরিশাল বিভাগ) ☞26.8.05 📖 আবহাওয়া অধিদপ্তরের অধীন সহকারী আবহাওয়াবিদ.০৪ 📖 বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ - হিসাব সহকারী-10.21
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গীতিনাট্য বসন্ত গ্রন্থটি কাজী নজরুল ইসলামকে উৎসর্গ করেছিলেন।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 বসন্ত:
❐ 'বসন্ত' (১৯২৩) গীতিনাট্য।
❐ এই নাটকের বিষয় যৌবনের প্রতীক ঋতুরাজ বসন্তের জয়গান।
❐ রবীন্দ্রনাথ এই গ্রন্থ কাজী নজরুল ইসলামকে উৎসর্গ করেন। কারণ নজরুল ইসলামও বাংলার জীবনে বসন্ত তথা যৌবন এনেছিলেন।
❐ বসন্ত ঋতুনাট্যে গানের প্রাধান্য, গল্প বলতে আছে অতি সামান্য কিছু।
❐ সমৃদ্ধির সার্থকতা শুধু প্রাচুর্যে নয়, সেই সঙ্গে চাই ত্যাগের নিরাসক্তি - বসন্তের মর্মকথা এটাই।
▣ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:
❐ তিনি ছিলেন কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ ও সমাজ-সংস্কারক।
❐ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম ১৮৬১ সালের ৭ মে (১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫শে বৈশাখ) কলকাতার জোড়াসাঁকোর অভিজাত ঠাকুর পরিবারে।
❐ তাঁর পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর।
❐ তিনি ছিলেন প্রকৃত অর্থেই অসামান্য প্রতিভাধর ব্যক্তি। বাল্যকালেই তাঁর কবি প্রতিভার উন্মেষ ঘটে।
❐ মাত্র পনের বছর বয়সে তাঁর ‘বনফুল’ কাব্য প্রকাশিত হয় এবং এশিয়ার বরেণ্য ব্যক্তিদের মধ্যে তিনিই প্রথম ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যের জন্য ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন।
❐ ১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট (২২শে শ্রাবণ, ১৩৪৮) জোড়াসাঁকোর বাড়িতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
▣ তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য উপন্যাসগুলো:
❐ চোখের বালি,
❐ গোরা,
❐ যোগাযোগ,
❐ শেষের কবিতা,
❐ চতুরঙ্গ,
❐ চার-অধ্যায়,
❐ ঘরে-বাইরে।
▣ তাঁর রচিত প্রধান কাব্যগ্রন্থগুলো:
❐ মানসী,
❐ সোনার তরী,
❐ চিত্রা,
❐ চৈতালী,
❐ কল্পনা,
❐ ক্ষণিকা,
❐ গীতাঞ্জলি,
❐ বলাকা,
❐ পূরবী,
❐ পুনশ্চ,
❐ পত্রপুট,
❐ সেঁজুতি,
❐ শেষলেখা।
▣ তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য নাটক:
❐ বিসর্জন,
❐ রাজা,
❐ ডাকঘর,
❐ বসন্ত,
❐ অচলায়তন,
❐ চিরকুমার সভা,
❐ রক্তকরবী,
❐ তাসের দেশ।
১১৯৯. বাংলা সাহিত্যে সনেট রচনায় প্রবর্তক কে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (রাজশাহী বিভাগ) ☞26.8.05 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2012➯C ইউনিট 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -গোলাপ- ১১.০৯.০৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৮২৪ - ১৮৭৩) মহাকবি, নাট্যকার, বাংলাভাষার সনেট প্রবর্তক, অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ⇒ মাইকেল মধুসূদন দত্ত:
▣ মাইকেল মধুসূদন দত্ত একজন মহাকবি, নাট্যকার। তিনি ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি যশোর জেলার কপোতাক্ষ নদের তীরে সাগরদাঁড়ি গ্রামে জম্ম গ্রহণ করেন।
▣ মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা ভাষার সনেট প্রবর্তক।
▣ তিনি অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক। মাইকেল মধুসূদন দত্ত প্রথম অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রয়োগ করেন ‘পদ্মাবতী ’ নাটকে। (দ্বিতীয় অঙ্ক দ্বিতীয় গর্ভাঙ্কে)
▣ অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ - তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য। অর্থ্যাৎ, এই কাব্যটি সম্পূর্ণ অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত।
▣ মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ দ্য ক্যাপটিভ লেডি। এটি ইংরেজিতে রচিত।
❏ তাঁর রচিত নাটক:
▣ শর্মিষ্ঠা,
▣ পদ্মাবতী,
▣ কৃষ্ণকুমারী।
❏ তাঁর রচিত কাব্য:
▣ তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য
▣ মেঘনাদবধ কাব্য,
▣ ব্রজাঙ্গনা কাব্য,
▣ বীরাঙ্গনা কাব্য (পত্রকাব্য),
▣ চতুর্দশপদী কবিতাবলী।
❏ মাইকেল মুধুসূধন দত্ত রচিত প্রহসনগুলো হলো:
▣ একেই কি বলে সভ্যতা,
▣ বুড়ো সালিকের ঘাড়ে রোঁ।
১২০০. ‘ঢাকের কাঠি’ বাগধারাটির অর্থ-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (রাজশাহী বিভাগ) ☞26.8.05 📖 22nd BCS General Feb, 2001 📖 ৫ম বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস প্রিলিমিনারী পরীক্ষা, .১০
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
"ঢাকের কাঠি" বাগধারার অর্থ : মোসাহেব , তোষামুদে । "দহরম - মহরম" বাগধারার অর্থ : ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক , ইঁদুর কপালে/ আট কপালে বাগধারায় অর্থ হতভাগ্য।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝'ঢাকের কাঠি' বাগধারাটির অর্থ - তোষামুদে।
❏ গুরুত্বপূর্ণ কিছু বাগধারা:
❏ ‘কচু বনের কালাচাঁদ ’ বাগধারাটির অর্থ - অপদার্থ।
❏ ‘ঢাকের বাঁয়া ’ বাগধারাটির অর্থ - যার কোন মূল্য নেই
❏ ‘নারকের ঢেঁকি ’ বাগধারাটির অর্থ - বিবাদের বিষয়।
❏ ‘সোনার কাঠি রূপার কাঠি ’ বাগধারাটির অর্থ - বাঁচামরার লড়াই।
১২০১. ‘লাঠালাঠি’ শব্দটি কোন সমাস?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (রাজশাহী বিভাগ) ☞26.8.05 📖 বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়➟2014➯B ইউনিট 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2017➯খ ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
লাঠালাঠি ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস। ক্রিয়ার পারস্পরিক অর্থে ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস হয়। এ সমাসে পূর্বপদে \"আ\" এবং উত্তর পদে \"ই\" যুক্ত হয়। যেমন: হাতে হাতে যে যুদ্ধ = হাতাহাতি, লাঠিতে লাঠিতে যে লড়াই = লাঠালাঠি।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 Occasion (Noun):
❏ English Meaning:
❏ 1. A particular event, or the time at which it takes place.
❏ 2. A special or noteworthy event, ceremony, or celebration.
❏ 3. A suitable or opportune time for doing something.
❏ Bangla Meaning- অনুষ্ঠান, ঘটনা, উপলক্ষ,
১২০২. কোন উপন্যাসটির রচয়িতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (রাজশাহী বিভাগ) ☞26.8.05 📖 16th BCS General Apr, 1994
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
ঘরে বাইরে (১৯১৬) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত একটি উপন্যাস। এটি চলিত ভাষায় লেখা রবীন্দ্রনাথের প্রথম উপন্যাস। উপন্যাসটি সবুজপত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ১৯১৫ সালে। স্বদেশী আন্দোলনের পটভূমিকায় রচিত এই উপন্যাসে একদিকে আছে জাতিপ্রেম ও সংকীর্ণ স্বাদেশিকতার সমালোচনা, অন্যদিকে আছে সমাজ ও প্রথা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নারী পুরুষের স
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ⇒ 'ঘরে বাইরে' উপন্যাস:
▣ 'ঘরে বাইরে' চলিত ভাষায় লেখা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম উপন্যাস।
▣ উপন্যাসটি 'সবুজপত্রে' প্রকাশিত হয় ১৯১৫ সালে।
▣ রবীন্দ্র প্রতিভার শেষ যুগের উপন্যাস হচ্ছে 'ঘরে বাইরে'।
▣ 'ঘরে বাইরে' উপন্যাসে রাজনৈতিক মতবাদের লীলাচাঞ্চল্য ফুটে উঠেছে।
▣ স্বদেশি আন্দোলনের পটভূমিতে রচিত এই উপন্যাসে আছে জাতিপ্রেম ও সংকীর্ণ স্বাদেশিকতার সমলোচনা।
❏ রবীন্দ্রনাথের অন্যান্য উপন্যাস গুলো:
▣ চোখের বালি,
▣ গোরা,
▣ যোগাযোগ,
▣ চতুরঙ্গ,
▣ ঘরে বাইরে,
▣ চার অধ্যায়,
▣ মালঞ্চ।
❏
❏ অন্যদিকে,
▣ বিষবৃক্ষ:
▣ 'বিষবৃক্ষ' (১৮৭৩) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত সামাজিক উপন্যাস।
▣ উপন্যাসের কেন্দ্রীয় সমস্যার সঙ্গে বিধবা বিবাহ পুরুষের একাধিক বিবাহ তার রূপতৃষ্ণা ও নৈতিকতার দ্বন্দ্ব, নারীর আত্মসম্মান ও অধিকারবোধ প্রভৃতি ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত।
▣ চরিত্রায়ণে, ঘটনা সংস্থানে এবং জীবনের কঠিন সমস্যার রূপায়ণে 'বিষবৃক্ষ' বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপন্যাস।
▣ বাল্যবিধবা কুন্দনন্দিনীর প্রেম ও কামনার বিকাশকে তৎকালীন সমাজ যে প্রশ্রয় দেয় নি, এ উপন্যাস তার প্রমাণ।
▣ লেখকও মনে করেছেন, কুন্দনন্দিনীর কাহিনি পাঠ করার ফলে ঘরে ঘরে অমৃত ফলবে অর্থাৎ এ ধরনের প্রণয়াকাঙ্ক্ষা রহিত হবে।
▣ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কী চেয়েছেন সেটি মুখ্য নয়। 'বিষবৃক্ষে' তিনি সমস্যার যে যথার্থ রূপায়ণ করতে পেরেছেন এটাই আসল।
▣ উল্লেখযোগ্য চরিত্র: কুন্দনন্দিনী, নগেন্দ্রনাথ, হীরা, সূর্যমুখী ইত্যাদি।
▣ 'বিষবৃক্ষ' আজও শ্রেষ্ঠ উপন্যাসগুলোর একটি।
▣ আরণ্যক:
▣ বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত বিখ্যাত উপন্যাস ‘আরণ্যক ’।
▣ ভাগলপুরের নিকটবর্তী বনঞ্চলের নিম্নবিত্ত মানুষের জীবন নিয়ে রচিত হয়েছে আরণ্যক উপন্যাস।
▣ প্রধান চরিত্র: ভানুমতী, বনোয়ারী, দোবরু, বুদ্ধু সিংহ।
▣ গণদেবতা ’ উপন্যাসটি রচনা করেছেন তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়।
১২০৩. ‘গাহি সাম্যের গান- মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান’- পঙ্ক্তিটির রচয়িতা কে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (রাজশাহী বিভাগ) ☞26.8.05 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2012➯A ইউনিট 📖 রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়➟2015➯B ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
গাহি সাম্যের গান-
মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান!
নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্ম জাতি,
সব দেশে, সব কালে, ঘরে ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।
--এটি কাজী নজরুল ইসলামের "মানুষ" কবিতার প্রথম অংশ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ⇒ আলোচ্য পঙক্তিটি কাজী নজরুল ইসলামের 'মানুষ' কবিতা থেকে নেয়া হয়েছে।
▣ কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ‘মানুষ ’ কবিতাটি ‘সাম্যবাদী ’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।
▣ ‘সাম্যবাদী ’ কাব্যগ্রন্থটি ১৯২৫ সালে প্রকাশিত হয়।
▣ সবগুলোতেই মানুষের সমতা নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে।
❏ মানুষ কবিতার শুরুতে কবি বলেছে -
❏ "গাহি সাম্যের গান-
❏ মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান,
❏ নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি,
❏ সব দেশে, সব কালে, ঘরে-ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।"
১২০৪. ‘তিলে তৈল হয়’-এ বাক্যে কোন কারকে কোন বিভক্তি বিদ্যমান?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (রাজশাহী বিভাগ) ☞26.8.05 📖 প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯ 📖 পোস্টমাস্টার জেনারেলের রাজশাহী ➺উচ্চমান সহকারী ☞10.9.22
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
\"তিলে তৈল হয়\" - - এ বাক্যে অপাদান কারকে তৃতীয়া বিভক্তি বিদ্যমান। যা থেকে কিছু বিচ্যুত, জাত, বিরত, আরম্ভ, উৎপন্ন, দূরীভূত ও রক্ষিত হয় এবং যা দেখে কেউ ভীত হয়, তাকেই অপাদান কারক বলে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ❏ 'তিলে তৈল হয়' - অপাদানে সপ্তমী।
❏ কিন্তু 'তিলে তৈল আছে'- অধিকরণে সপ্তমী।
❏ ⇒ অপাদান কারক:
▣ যা থেকে কোনো কিছু উৎপত্তি, বিচ্যুত, জাত, গৃহীত, আরম্ভ, দূরীভূত ও রক্ষিত হয়, তাকে বলা হয় অপাদান কারক।
▣ বাক্যের ক্রিয়াপদকে কোথা হতে, কি থেকে, কিসের থেকে ইত্যাদি প্রশ্ন করলে উত্তরে যে কারক পাওয়া যায়, তা-ই হলো অপাদান কারক।
❏ যেমন:
❏ ⇒ তিলে তৈল হয়।- বাক্যকে কি থেকে তেল হয়? দ্বারা প্রশ্ন কররে উত্তর পাওয়া যায় ‘তিলে ’। সুতরাং এ বিভক্তি যোগে ‘তিলে ’ অপাদান কারকে সপ্তমী।
▣ অপাদান কারকের এরূপ কিছু উদাহরণ হলো:
▣ এ বনে বাঘের ভয় = অপাদান কারকে ৭মী বিভক্তি,
▣ মেঘ থেকে বৃষ্টি হয় = অপাদান কারকে ৫মী বিভক্তি,
▣ তিলে তৈল হয় = অপাদান কারকে ৭মী বিভক্তি,
▣ তিথির চেয়ে বিথী বড় = অপাদান কারকে ষষ্ঠী বিভক্তি,
▣ পরাজয়ে ডরে না বীর = অপাদান কারকে ৭মী বিভক্তি,
▣ ছাদ থেকে পানি পড়ে = অপাদান কারকে৫মী বিভক্তি।
❏ অন্যদিকে,
❏ ⇒ অধিকরণ কারক:
❏ ক্রিয়ার আধারকে বলা হয় অধিকরণ কারক। আধার বলতে ক্রিয়া নিষ্পন্ন হওয়ার স্থান, কাল ও ভাবকে বোঝায়।
❏ অর্থাৎ ক্রিয়া সম্পাদনের কাল এবং আধারকে বলা হয় অধিকরণ কারক।
▣ বাক্যের ক্রিয়াপদকে কোথায়, কখন ও কোনো বিষয় বোঝাতে অধিকরণ কারক হয়।
▣ অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি অর্থাৎ এ, য়, তে ইত্যাদি বিভক্তি যুক্ত হয়।
❏ যেমন:
▣ আধার (স্থান) : তিলে তৈল আছে।- বাক্যকে কোথায় তেল আছে? প্রশ্ন করলে উত্তর পাওয়া যায় (তিলের সারা অংশব্যাপী)।
১২০৫. কোনটি শুদ্ধ বানান?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (রাজশাহী বিভাগ) ☞26.8.05 📖 25th BCS General Sep, 2004 📖 সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীন বিআরটিএ'র মোটরযান পরিদর্শক - 08.12.17
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ⇒ শুদ্ধ বানান - দ্বন্দ্ব।
▣ দ্বন্দ্ব (বিশেষ্য),
▣ সঠিক উচ্চারণ: [দন্‌দো];
▣ যার অর্থ:
❏ ১ বিরোধ (দ্বন্দ্ব-কলহে উভয় পক্ষের ক্ষতি)।
❏ ২ কলহ; ঝগড়া; বিবাদ (কেহ কেহ বহুবীহি ও দ্বন্দ্ব লইয়া মহাদ্বন্দ্ব করিতেছেন-প্যারীচাঁদ মিত্র (টেকচাঁদ ঠাকুর))।
❏ ৩ যুদ্ধ; মল্লযুদ্ধ (দ্বন্দ্বে আহ্বান করা)।
❏ ৪ সমাসবিশেষ; সমপ্রাধান্যপূর্ণ উভয় পদের সমাস।
❏ ৫ পরস্পর বিরোধী দুই বিষয়।
❏ ৬ জোড়া; যুগল; মিথুন; স্ত্রী-পুরুষ।
❏ বাংলা ব্যাকরণে দ্বন্দ্ব নামের সমাস রয়েছে-
❏ ⇒ দ্বন্দ্ব সমাস:
❏ দ্বন্দ্ব শব্দের অর্থ সংঘাত বা বিবাদ হলেও সমাসের ক্ষেত্রে ‘দ্বন্দ্ব ’ শব্দটি মিলন, জোড়া ও যুগল অর্থেই ব্যবহৃত হয়। সুতরাং যে সমাসে সমস্যমান প্রত্যেক পদের অর্থের প্রাধান্য থাকে তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে।
▣ এ সমাসে পূর্বপদ ও পরপদের সম্বন্ধ বোঝানোর জন্য ব্যাসবাক্যে ও, এবং, আর- এ তিনটি অব্যয়পদ সংযোজক হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
❏ যেমন:
▣ হাসি ও খুশি = হাসিখুশি।
▣ ক্ষুধা ও পিপাসা = ক্ষুৎপিপাসা।
১২০৬. ‘হৃদয় আমার নাচেরে আজিকে’- বাক্যে নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (রাজশাহী বিভাগ) ☞26.8.05
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
হৃদয় আমার নাচেরে \"আজিকে\" বাক্যে নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি? ক্রিয়া সম্পাদনের কাল (সময়) এবং আধারকে অধিকরণ কারক বলে। দ্বিতীয়া বিভক্তি: মন আমার নাচে রে \"আজিকে\"।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ⇒ অধিকরণ কারক:
❏ ক্রিয়ার আধারকে বলা হয় অধিকরণ কারক। আধার বলতে ক্রিয়া নিষ্পন্ন হওয়ার স্থান, কাল ও ভাবকে বোঝায়। অর্থাৎ ক্রিয়া সম্পাদনের কাল এবং আধারকে বলা হয় অধিকরণ কারক।
▣ বাক্যের ক্রিয়াপদকে কোথায়, কখন ও কোনো বিষয় বোঝাতে অধিকরণ কারক হয়। অধিকরণ কারকে সাধারণত সপ্তমী বিভক্তি অর্থাৎ এ, য়, তে ইত্যাদি বিভক্তি যুক্ত হয়।
❏ যেমন:
▣ আধার (স্থান) : আমরা প্রতিদিন কলেজে যাই।
▣ কাল (সময়): সকালে সূর্য উঠবে।
❏ ⇒ এরূপ ‘হৃদয় আমার নাচেরে আজিকে ’- বাক্যে নিম্নরেখ শব্দটি অধিকরণ কারক। বাক্যটি ক্রিয়া নিষ্পন্ন হওয়ার কালকে বোঝাচ্ছে।
❏ কিন্তু এতে ‘-কে ’ বিভক্তি যুক্ত হয়েছে। তাই বাক্যটি অধিকরণ কারকে ২য়া বিভক্তি প্রকাশ করে।
১২০৭. ‘দৃষ্টিহীন’ কার ছদ্মনাম?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (সিলেট বিভাগ) ☞26.8.05
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
দৃষ্টিহীন” কার ছদ্মনাম মধুসূদন মজুমদার। বিহারীলাল চক্রবর্তী এর ছদ্মনাম ''ভোরের পাখি" এবং প্যারীচাঁদ মিত্রের ছদ্মনাম "টেকচাঁদ ঠাকুর"।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 - মধুসূদন মজুমদারের ছদ্মনাম ছিলো- দৃষ্টিহীন।
▣ আবার, দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারের ছদ্মনামও ছিলো- দৃষ্টিহীন।
▣ প্যারীচাঁদ মিত্রের ছদ্মনাম- টেকচাঁদ ঠাকুর।
▣ বিহারীলাল চক্রবর্তীর উপাধি- ভোরের পাখি।
১২০৮. লুঙ্গি কোন ভাষার শব্দ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (সিলেট বিভাগ) ☞26.8.05 📖 স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আনসার ও ভিডিপি অধিদপ্তরের সহকারী অ্যাডজুটেন্ট-.১২.১৫
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
”লুঙ্গি” বর্মী ভাষা থেকে আগত শব্দ । লুঙ্গি বার্মি শব্দ । এছাড়া কয়েকটি বার্মি শব্দ হলো - কিয়াং, ফুঙ্গী, লামা ইত্যাদি ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি, (২০১৯ সংস্করণ), অনুসারে-
▣ 'লুঙ্গি' বর্মী ভাষার শব্দ।
▣ বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান, অনুসারে-
▣ 'ফারসি' ভাষার শব্দ।
১২০৯. ‘গাড়িঘোড়া চড়লে লেখাপড়া কর’ এই সরল বাক্যটির যৌগিকরূপ কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (সিলেট বিভাগ) ☞26.8.05
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
দুটো স্বাধীন বা নিরপেক্ষ বাক্য- এবং, কিন্তু, অথবা, তাহলে ,,,, অব্যয় দ্বারা যুক্ত হলে তাকে যৌগিক বাক্য বলে,,,যেমন: লেখা পড়া কর, তাহলে গাড়িঘোড়া চড়তে পারবে। দুটো স্বাধীন বাক্য,,,
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 যৌগিক বাক্য:
▣ দুই বা ততোধিক স্বাধীন বাক্য যখন যোজকের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে একটি বাক্যে পরিণত হয়, তখন তাকে যৌগিক বাক্য বলে।
▣ এবং, ও, আর, অথবা, বা, কিংবা, কিন্তু,অথচ, সেজন্য, ফলে ইত্যাদি যোজক যৌগিক বাক্যে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
▣ কমা(, ), সেমিকোলন(ঃ), কোলন( ; ), ড্যাশ( -) ইত্যাদি যতিচিহ্নও যোজকের কাজ করে।
▣ লেখাপড়া কর, তাহলে গাড়িঘোড়ায় চড়তে পারবে।
▣ এখানে 'লেখাপড়া কর' একটি স্বাধীন বাক্য।
▣ অন্যদিকে 'গাড়িঘোড়ায় চড়তে পারবে' এটিও একটি স্বাধীন।
▣ দুটি স্বাধীন বাক্য কে 'তাহলে' যোজক দ্বারা যুক্ত করেছে।
▣ তাই এটি একটি যৌগিক বাক্য।
❐
❐ জটিল বাক্য:
▣ একটি মূল বাক্যের অধীনে এক বা একাধিক আশ্রিত বাক্য বা বাক্যাংশ থাকলে জটিল বাক্য তৈরি হয়।
❐ যেমন:
▣ যদি তোমার কিছু বলার থাকে, তবে এখনই বলে ফেলো।
▣ যে-সে, যিনি-তিনি, যারা-তারা, যা-তা ইত্যাদি সাপেক্ষ সর্বনাম এবং যদি-তবে, যেহেতু-সেহেতু, যখনতখন, যত-তত, যেমন-তেমন ইত্যাদি সাপেক্ষ যোজক যুক্ত করে সরল বাক্যকে জটিল বাক্যে রূপান্তরিত করা যায়।
❐ যেমন:
▣ লেখাপড়া করে যেই, গাড়িঘোড়া চড়ে সেই।
১২১০. বসুমতি শব্দটির একার্থক কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (সিলেট বিভাগ) ☞26.8.05
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
বসুমতী শব্দের সমার্থক শব্দ বুসধা, বসুন্ধরা, বসুমতী, মেদিনী, ধরনী, পৃথিবী।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 'পৃথিবী' শব্দের সমার্থক শব্দ:
▣ জগৎ, ভুবন, সংসার, বিশ্ব, ধরা, ধরণী, ধরিত্রী, বসুমতী, বসুন্ধরা, পৃথ্বী, দুনিয়া, ভূ, ভূমণ্ডল, মর্ত্য, বসুধা, অবনী, মহী, মেদিনী, ক্ষিতি।
১২১১. নির্দিষ্ট পরিবেশে মানুষের বস্তু ও ভাবের প্রতীক কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (সিলেট বিভাগ) ☞26.8.05 📖 জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়➟2015➯C ইউনিট 📖 রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়➟2010➯A3 ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
বিভিন্ন প্রাকৃতিক পরিবেশে অবস্থান করে মানুষ আপন মনোভাব প্রকাশের উদ্দেশ্য বিভিন্ন বস্তু ও ভাবের জন্য বিভিন্ন ধ্বনির সাহায্য শব্দের সৃষ্টি করেছে। সেসব শব্দই মূলত নির্দিষ্ট পরিবেশে মানুষের কথা ও ভাবের প্রতীক। উত্তর হবে " শব্দ " কারণ শেষের বাক্য থেকেই বুঝা যায়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 - দেশ, কাল ও পরিবেশভেদে ভাষার পার্থক্য ও পরিবর্তন ঘটে।
▣ বিভিন্ন প্রাকৃতিক পরিবেশে অবস্থান করে মানুষ আপন মনোভাব প্রকাশের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন বস্তু ও ভাবের জন্য বিভিন্ন ধ্বনির সাহায্যে শব্দের সৃষ্টি করেছে।
▣ সেসব শব্দ মূলত নির্দিষ্ট পরিবেশে মানুষের বস্তু ও ভাবের প্রতীক (Symbol) মাত্র।
▣ এ জন্যই আমরা বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ভাষার ব্যবহার দেখতে পাই।
▣ সে ভাষাও আবার বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে উচ্চারিত হয়ে এসেছে।
▣ ফলে, এ শতকে মানুষ তার দৈনন্দিন জীবনে যে ভাষা ব্যবহার করে, হাজার বছর আগেকার মানুষের ভাষা ঠিক এমনটি ছিল না।
❐ তাহলে, যখন আমরা মানুষের নির্দিষ্ট পরিবেশে বস্তু ও ভাবের প্রতীক কী তা প্রশ্ন করি, তখন উত্তর হলো "ভাষা", কারণ এটি একটি সাংকেতিক প্রণালী যা মানুষ ব্যবহার করে তার ভাব ও তথ্য অবগত করায়।
১২১২. ‘জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার প্রহারে দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে সে ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটতে লাগিল’- সাধু ভাষায় লিখিত বাক্যটিতে ভুলের সংখ্যা কয়টি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (সিলেট বিভাগ) ☞26.8.05 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2010➯ক ইউনিট 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2007➯খ ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 প্রশ্নে ভুলের সংখ্যা ২টি, যা নিম্নরূপ:
▣ 'হয়ে' শব্দের সাধু রূপ 'হইয়া'।
▣ 'ছুটতে' শব্দের সাধু রূপ 'ছুটিতে'।
❐ শুদ্ধ বাক্যটি নিম্নরূপ:
▣ ‘জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার প্রহারে দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হইয়া সে ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটিতে লাগিল।'
১২১৩. শুদ্ধ বানান কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (সিলেট বিভাগ) ☞26.8.05 📖 10th BCS General Apr, 1989 📖 এন.এ.টি.পি ~ মাঠ সহকারী ~ ১১.০১.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 শুদ্ধ বানান হচ্ছে 'মুমূর্ষু'
▣ বিশেষ্য পদ।
▣ সংস্কৃত শব্দ।
▣ প্রকৃতি প্রত্যয়: (√মৃ+স(সন্‌)+উ)।
▣ এর অর্থ: মরণাপন্ন, মরণোন্মুখ, মৃত্যুকাল আসন্ন এমন।
১২১৪. ‘বল বীর বল উন্নত মম শির’ বাক্যটি কি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (সিলেট বিভাগ) ☞26.8.05
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 আদেশসূচক বাক্য:
▣ এ ধরনের বাক্যে আদেশ করা হয়।
❐ যেমন:
▣ শিক্ষক মহোদয় শ্রেণিকক্ষে এলে উঠে দাঁড়াবে।
▣ চুপটি করে বস। উঠে দাঁড়াও।
▣ দেশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য যুদ্ধ কর,
❐ - বল বীর বল উন্নত মম শির।
১২১৫. ১৮৫৫ সালে বিদ্যাসাগরের লেখা কোন বইটি ক্লাসিক মর্যাদা লাভ করেছে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (সিলেট বিভাগ) ☞26.8.05
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
বর্ণপরিচয় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত একটি বাংলা বর্ণশিক্ষার প্রাইমারি বা প্রাথমিক পুস্তিকা। দুই ভাগে প্রকাশিত এই পুস্তিকাটির দুটি ভাগই প্রকাশিত হয়েছিল ১৮৫৫ সালে। দুই পয়সা মূল্যের এই ক্ষীণকায় পুস্তিকার প্রকাশ বাংলার শিক্ষাজগতে ছিল এক যুগান্তকারী ঘটনা। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই গ্রন্থটিকে একটি প্রধান প্রাইমার হিসাবে অনুমোদন করেছেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও কলকাতা পৌরসংস্থার যৌথ প্রয়াসে কলকাতার কলেজ স্ট্রিট বইপাড়ায় ভারতে বৃহত্তম যে বইবাসরটি (বই বিক্রয়ের শপিং মল) নির্মিত হচ্ছে, তার নামও এই গ্রন্থটির সম্মানে বর্ণপরিচয় রাখা হয়েছে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 বর্ণপরিচয়:
▣ প্রকাশের আগ পর্যন্ত প্রথম শিক্ষার্থীদের জন্যে এ রকমের কোনো আদর্শ পাঠ্যপুস্তক ছিল না।
▣ তাঁর বর্ণপরিচয়ের মান এতো উন্নত ছিল যে, প্রকাশের পর থেকে অর্ধশতাব্দী পর্যন্ত এই গ্রন্থ বঙ্গদেশের সবার জন্যে পাঠ্য ছিলো।
▣ দেড়শো বছর পরেও এখনও এ গ্রন্থ মুদ্রিত হয়।
❐ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর:
▣ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ১৮২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
▣ ১৮৩৯ সালে সংস্কৃত কলেজ ঈশ্বরচন্দ্রকে ‘বিদ্যাসাগর’ উপাধি প্রদান করে।
▣ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ বেতালপঞ্চবিংশতি।
❐ কয়েকটি বিখ্যাত গ্রন্থের নাম :
▣ শকুন্তলা,
▣ সীতার বনবাসের,
▣ ভ্রান্তিবিলাস ইত্যাদি।
❐ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত শিক্ষামূলক গ্রন্থ:
▣ আখ্যান মঞ্জরী,
▣ বোধোদয়,
❐ - বর্ণপরিচয়,
▣ কথামালা ইত্যাদি।
১২১৬. ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির পটভূমিকায় রচিত ‘কবর’ নাটকের রচয়িতা কে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (সিলেট বিভাগ) ☞26.8.05
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
"কবর" ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পটভূমিকায় রচিত। ১৯৫৩ সালের ১৭ জানুয়ারি নাটকটি রচিত হয়; তখন তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাজবন্দী জানা যায়, আরেক রাজবন্দী রণেশ দাশগুপ্ত মুনীর চৌধুরীর কাছে চিঠি লিখেছিলেন জেলখানায় মঞ্চস্থ করা যায় এমন একটি নাটক লিখে দেয়ার জন্য।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 'কবর' নাটক:
▣ 'কবর' নাটকের পটভূমি হলো ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন।
▣ এটি ভাষা আন্দোলন ভিত্তিক প্রথম নাটক।
▣ ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির হত্যাকান্ড এবং পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যে সভা হয় তাতে তীব্র ভাষায় বক্তৃতা দেওয়ার অভিযোগে নিরাপত্তা আইনে সরকার তাঁকে বন্দি করে।
▣ ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত তিনি জেলে ছিলেন এবং বন্দি অবস্থায়ই পরীক্ষা দিয়ে তিনি বাংলা বিষয়ে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন।
▣ জেলে বন্দী অবস্থায়ই তিনি ভাষা আন্দোলনের পটভূমিকায় রচনা করেন তাঁর শ্রেষ্ঠ নাটক কবর (১৯৫৩)।
▣ শুধু রচনাই নয়, জেলের বন্দিদের দ্বারা এ নাটকের প্রথম মঞ্চায়নও হয় জেলের মধ্যেই।
▣ 'কবর' মুনীর চৌধুরীর একাঙ্ক বিশিষ্ট নাটক।
▣ জেলে বন্দি থাকা অবস্থায় অন্য রাজবন্দি বামপন্থী লেখক রণেশ দাশগুপ্ত মুনীর চৌধুরীকে নাটক লিখতে বলেন।
▣ মার্কিন নাট্যকার Irwin Shaw রচিত Bury The Dead নাটকের অনুসরণে ভাষা আন্দোলনের পটভূমিতে ‘কবর’ নাটকটি রচিত হয়েছে।
❐ মুনীর চৌধুরী:
▣ ১৯২৫ সালের ২৭ নভেম্বর মানিকগঞ্জ শহরে তাঁর জন্ম।
▣ মুনীর চৌধুরী শিক্ষা ও পেশাগত জীবনে বামপন্থী রাজনীতি ও প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
❐ মুনীর চৌধুরীর অন্যান্য নাটক:
▣ রক্তাক্ত প্রান্তর
▣ চিঠি
▣ দণ্ডকারণ্য
▣ পলাশী ব্যারাক ও অন্যান্য
❐ মুনীর চৌধুরীর অনুবাদ নাটক:
▣ কেউ কিছু বলতে পারে না,
▣ রূপার কৌটা ও
▣ মুখরা রমণী বশীকরণ।
❐ মৌলিক নাটক:
▣ রক্তাক্ত প্রান্তর,
▣ চিঠি,
▣ কবর,
▣ দন্ডকারণ্য।
❐ তাঁর রচিত প্রবন্ধগ্রন্থ:
▣ মীর মানস,
▣ তুলনামূলক সমালোচনা,
▣ বাংলা গদ্যরীতি।
১২১৭. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘শেষের কবিতা’ কি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (সিলেট বিভাগ) ☞26.8.05 📖 প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক - 11.17 📖 পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা - 25.08.17
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
শেষের কবিতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত একটি উপন্যাস। রবীন্দ্রনাথের চিত্রসৃষ্টি পর্যায়ের দ্বিতীয় উপন্যাস (প্রথমটি যোগাযোগ) এটি। ১৯২৭ সাল (১৩৩৪ বঙ্গাব্দের ভাদ্র) থেকে ১৯২৮ সাল (১৩৩৪ বঙ্গাব্দের চৈত্র) অবধি প্রবাসীতে ধারাবাহিকভাবে রচনাটি প্রকাশিত হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 শেষের কবিতা:
▣ এটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত উপন্যাস।
▣ প্রবাসী পত্রিকায় ছাপা হয় ১৯২৮ সালে।
▣ ভাষার অসমান্য ঔজ্জ্বল্য,দৃপ্তিশক্তি ও কবিত্বের দীপ্তি এই গ্রন্থটিকে এমন স্বাতন্ত্র্য দিয়েছে, যার জন্য এই গ্রন্থটি রবীন্দ্রনাথের বিস্ময়কর সৃষ্টির অন্যতম।
▣ অমিত, লাবণ্য, কেতকী, শোভনলাল প্রমুখ এই উপন্যাসের চরিত্র।
❐
❐ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:
▣ তিনি একাধারে কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ ও সমাজ-সংস্কারক ছিলেন।
▣ জন্ম ১৮৬১ সালের ৭ মে (১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ) কলকাতার জোড়াসাঁকোর অভিজাত ঠাকুর পরিবারে।
▣ তাঁর পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর]] এবং পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর।
▣ রবীন্দ্রনাথের আনুষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু হয় কলকাতার ওরিয়েন্টাল সেমিনারিতে।
▣ তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনা:
❐ কাব্যগ্রন্থ:
▣ মানসী,
▣ সোনার তরী,
▣ চিত্রা, ক্ষণিকা,
▣ গীতাঞ্জলি,
▣ বলাকা,
▣ পুনশ্চ,
▣ জন্মদিনে,
▣ শেষলেখা ইত্যাদি।
❐ উপন্যাস:
❐ - চোখের বালি,
▣ গোরা,
▣ ঘরে-বাইরে,
❐ - শেষের কবিতা ইত্যাদি।
❐ ছোটগল্প:
▣ ভিখারিণী,
▣ দেনা-পাওনা,
▣ শেষকথা,
▣ পোস্টমাস্টার,
▣ ছুটি,
▣ সমাপ্তি,
▣ কাবুলিওয়ালা,
▣ ক্ষুধিত পাষাণ ইত্যাদি।
❐ নাটক:
▣ বিসর্জন,
▣ চিত্রাঙ্গদা,
▣ অচলায়তন,
▣ ডাকঘর,
▣ রক্তকরবী ইত্যাদি।
❐ প্রবন্ধ:
▣ আধুনিক সাহিত্য,
▣ কালান্তর,
▣ সাহিত্যের স্বরূপ ইত্যাদি।
❐ উৎস:
❐ ১) বাংলা প্রথম পত্র, নবম-দশম শ্রেণি, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
❐ ২) বাংলাপিডিয়া।
❐ ৩) বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।
১২১৮. ‘সূর্যদীঘল বাড়ি’ উপন্যাসটির রচয়িতা কে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৬ (খুলনা বিভাগ) ☞1.12.06 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -তিস্তা- ০৮.০১.১০ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -তিস্তা- ০৮.০১.১০
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
আবু ইসহাক (জন্ম: ১ নভেম্বর, ১৯২৬ ইংরেজি, ১৫ কার্তিক, ১৩৩৩ বাংলা) তৎকালীন মাদারীপুর (বর্তমান শরীয়তপুর জেলা) নড়িয়া থানাধীন শিরঙ্গল গ্রামে, মৃত্যু: ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০০৩, ঢাকায়), তিনি একজন বাংলাদেশী গ্রন্থকার।[১] তিনি ১৯৪৬ সালে, মাত্র বিশ বছর বয়সে রচনা করেন বিখ্যাত উপন্যাস 'সূর্য দীঘল বাড়ী এবং এটি প্রকাশ করা হয় ১৯৫৫ সালে কলকাতা থেকে ১] এটি একটি সামাজিক উপন্যাস। তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ও দেশের বাইরে আকিয়াব ও কলকাতায় বাংলাদেশ দূতাবাসে ভাইস কনসাল ও ফার্স্ট সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ⇒ 'সূর্য দীঘল বাড়ী' উপন্যাস:
▣ আবু ইসহাকের প্রথম উপন্যাস 'সূর্য দীঘল বাড়ী' প্রকাশিত হয় ১৯৫৫ সালে।
❐ উপন্যাসটি প্রকাশিত হলে এর রচনাশৈলীও বিষয়বস্ত্ত পাঠকদের আকৃষ্ট করে।
❐ স্বামী পরিত্যক্তা জয়গুনের দু-সন্তানকে নিয়ে বেঁচে থাকার সংগ্রাম উপন্যাসের মূল বিষয়বস্তু।
❐ উপন্যাসের প্রধান চরিত্র: জয়গুণ, হাস্য, মায়মুন, শফি, ডা. রমেশ চক্রবর্তী, মোড়ল গদু।
❐ ‘সূর্য দীঘল বাড়ী’ উপন্যাসটি চলচ্চিত্রায়ন এবং একাধিক বিদেশি ভাষায় অনূদিত হয়।
▣ কাহিনি সংক্ষেপ:
❆ দুর্ভিক্ষ-পীড়িত জয়গুন অন্নের সন্ধানে প্রথমে গ্রাম ছেড়ে শহরে যায়, কিন্তু নগরজীবনের নিঃস্ব, তিক্ত ও পঙ্কিল অবস্থায় টিকতে না পেরে আবার স্বগ্রামে ফিরে আসে। কিন্তু সমাজপতিদের ধর্মান্ধতা ও প্রতিহিংসার শিকার হয়ে প্রতিকারহীন নির্যাতন ও দুর্দশার মধ্যে পড়ে। লেখক দেখিয়েছেন পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলেও গ্রামের শ্রমজীবী মানুষের আর্থিক পরিবর্তন আনতে পারেনি। দুর্ভোগ বেড়েছে।
============
▣ ⇒ আবু ইসহাক:
❐ আবু ইসহাক (১৯২৬-২০০৩) কথাসাহিত্যিক, অভিধান-প্রণেতা৷
❐ আবু ইসহাকের প্রথম উপন্যাস 'সূর্য দীঘল বাড়ি'।
❐ তার দ্বিতীয় উপন্যাস 'পদ্মার পলিদ্বীপ'।
❐ তাঁর তৃতীয় উপন্যাস ‘জাল’। এটি তাঁর রচিত গোয়েন্দা জাতীয় উপন্যাস।
▣ তাঁর প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ:
❐ 'হারেম ও
❐ মহাপতঙ্গ।
▣ তাঁর রচিত একমাত্র নাটক:
❐ জয়ধ্বনি।
১২১৯. ‘তিনি ব্যাকরণে পন্ডিত’ বাক্যে নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৬ (খুলনা বিভাগ) ☞1.12.06 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -হেমন্ত- ১৩.০৮.১০ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -হেমন্ত- ১৩.০৮.১০
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ⇒ অধিকরণ কারক:
❆ যে কারকে স্থান, কাল, বিষয় ও ভাব নির্দেশিত হয়, তাকে অধিকরণ কারক বলে। এই কারকে সাধারণত ‘এ’, ‘য়’, ‘য়ে’, ‘তে' ইত্যাদি বিভক্তি শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়।
যেমন:-
❐ বাবা বাড়িতে আছেন।
❐ বিকাল পাঁচটায় অফিস ছুটি হবে।
❐ রাজীব বাংলা ব্যাকরণে ভালো।
❐ তেমনিভাবে, "তিনি ব্যাকরণে পণ্ডিত"।
❆ এ বাক্যে 'ব্যাকরণে' শব্দে অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি অর্থাৎ 'এ' বিভক্তি যুক্ত হয়েছে। সুতরাং, 'ব্যাকরণে' শব্দটি অধিকরণে সপ্তমী৷
১২২০. ‘ঢাক ঢাক গুড় গুড়’ বাগধারাটির অর্থ কি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৬ (খুলনা বিভাগ) ☞1.12.06
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
'ঢাক ঢাক গুড় গুড়' বাগধারার অর্থ লুকোচুরি বা গোপন রাখার চেষ্টা।
আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বাগধারা:
তাসের ঘর - ক্ষনস্থায়ী
নেই আঁকড়া - একগুঁয়ে
কেতাদুরস্ত - পরিপাটি
এসপার ওসপার - মীমাংসা
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ‘ঢাক ঢাক গুড় গুড়’ বাগধারাটির অর্থ - লুকোচুরি।
❆ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বাগধারা হলো:
▣ ‘ঢাকঢোল পেটানো’ বাগধারাটির অর্থ - প্রচারণা।
▣ ‘ঢি ঢি পড়া’ বাগধারাটির অর্থ - দুর্নাম রটনা।
▣ ‘ঢুঁ মারা’ বাগধারাটির অর্থ - অনুসন্ধান/চেষ্টা।
▣ তুলকালাম’ বাগধারাটির অর্থ - হৈ চৈ/ সাংঘাতিক ঘটনা।
১২২১. ‘উপকূল’ কোন সমাস?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৬ (খুলনা বিভাগ) ☞1.12.06 📖 32nd BCS General Mar, 2012 📖 কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়➟2013➯C ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
অব্যয়ীভাব সমাস
পূর্বপদে অব্যয়যোগে নিষ্পন্ন সমাসে যদি অব্যয়েরই অর্থের প্রাধান্য থাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে।। অব্যয়ীভাব সমাসে কেবল অব্যয়ের অর্থযোগে ব্যাসবাক্যটি রচিত হয়। যেমন: জানু পর্যন্ত লম্বিত ('পর্যন্ত' শব্দের অব্যয় * জা)= আজানুলম্বিত (বাহু), মরণ পর্যন্ত আমরণ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 অব্যয়ীভাব সমাস:
❆ পূর্বপদে অব্যয়যোগে নিষ্পন্ন সমাসে যদি অব্যয়ের অর্থই প্রধান হয়, তবে থাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে। অব্যয়ীভাব সমাসে পূর্বপদের অর্থ প্রধান হয়।
যেমন:-
▣ কূলের সমীপে = উপকূল;
❐ বেলাকে অতিক্রম = উদ্বেল;
❐ শৃঙ্খলাকে অতিক্রম = উচ্ছৃঙ্খল;
❐ নুনের অভাব = আলুনি;
❐ ইষৎ উষ্ণ = ঈষদুষ্ণ;
❐ বিরুদ্ধ বাদ = প্রতিবাদ
❐ দিন দিন = প্রতিদিন ইত্যাদি।
১২২২. ‘আমি শুনে হাসি, আঁখিজলে ভাসি, এই ছিল মোর ঘটে- তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ, আমি আজ চোর বটে”।– পঙ্ক্তিটির রচয়িতা কে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৬ (খুলনা বিভাগ) ☞1.12.06
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
আলোচ্য কবিতাংশটুকু বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত "দুই বিঘা জমি " নামক কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 দুই বিঘা জমি:
❐ উপরের পঙক্তিজোড়া রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'দুই বিঘা জমি' নামক কবিতা থেকে নেওয়া।
❐ কবিতাটি রবীন্দ্রনাথের কাহিনী কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত। পরে রবীন্দ্রনাথের ‘কথা’ কাব্যগ্রন্থের সহযোগে ‘কাহিনী’ ও ‘কথা’ কাব্য দুটি একসাথে ‘কথা ও কাহিনী’ নামে প্রকাশিত হয়।
❐ 'দুই বিঘা জমি' কবিতায় উপেন এই মন্তব্যটি করেছেন।
❐ এই উক্তি দ্বারা দুর্বলের মুখে নীতিকথা প্রকাশিত হয়েছে।
▣ ⇒ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:
❐ তিনি ছিলেন কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ ও সমাজ-সংস্কারক।
❐ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম ১৮৬১ সালের ৭ মে (১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ) কলকাতার জোড়াসাঁকোর অভিজাত ঠাকুর পরিবারে।
❐ তাঁর পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর।
❐ এশিয়ার বরেণ্য ব্যক্তিদের মধ্যে তিনিই প্রথম ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন।
❐ রবীন্দ্রনাথ ছিলেন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের চতুর্দশ সন্তান।
❐ ১৮৮৩ সালের ৯ ডিসেম্বর বেণীমাধব রায়চৌধুরীর মেয়ে মৃণালিনী দেবী রায়চৌধুরীকে বিয়ে করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
❐ তিনি ১৯১৫ সালে ইংরেজ প্রদত্ত ‘নাইট’ উপাধি পান এবং ১৯১৯ সালে পাঞ্জাবের জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের কারণে ‘নাইট’ উপাধি ফিরিয়ে দেন।
❐ ১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট (২২ শ্রাবণ ১৩৪৮) জোড়াসাঁকোর নিজ বাড়িতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
১২২৩. ‘আজ রবিবার’ নাটকটি কে রচনা করেন?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৬ (খুলনা বিভাগ) ☞1.12.06
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
আজ রবিবার' নাটকটি রচনা করেন হুমায়ূন আহমেদ। হুমায়ূন আহমেদ (১৩ নভেম্বর ১৯৪৮–১৯ জুলাই ২০১২) ছিলেন একজন বাংলাদেশি ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার এবং গীতিকার, চিত্রনাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা। তিনি বিংশ শতাব্দীর জনপ্রিয় বাঙালি কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 'আজ রবিবার' নাটকটির রচয়িতা হুমায়ূন আহমেদ।
▣ ⇒ হুমায়ূন আহমেদ:
❐ হুমায়ূন আহমেদের জন্ম ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জে তাঁর মাতামহের বাড়িতে।
❐ তাঁর পৈত্রিক বাড়ি নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে।
❐ শৈশবে হুমায়ূন আহমেদের নাম ছিল শামসুর রহমান।
❐ তিনি একাধারে কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চলচ্চিত্র নির্মাতা, গীতিকার, শিক্ষক ছিলেন।
❐ 'নন্দিত নরকে' উপন্যাসের মধ্য দিয়ে বাংলা সাহিত্যে হুমায়ূন আহমেদের আবির্ভাব।
❐ আশির দশকে বাংলাদেশের টেলিভিশন নাটক ও ধারাবাহিক নাটকের ইতিহাসে হুমায়ূন আহমেদ আলোড়ন সৃষ্টি করেন।
⇒ হুমায়ুন আহমেদের প্রথম টেলিভিশন নাটক - প্রথম প্রহর (১৯৮৩, পরিচালনা- নওয়াজেস আলী খান)।
⇒ তাঁর প্রথম ধারাবাহিক নাটক - "এইসব দিনরাত্রি" বাংলাদেশের দর্শকদের কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়।
❆ এ ছাড়া অন্যান্য জনপ্রিয় ধারাবাহিকের মধ্যে আছে:
❐ বহুব্রীহি (কমেডি),
❐ অয়োময় (সামাজিক-ঐতিহাসিক),
❐ কোথাও কেউ নেই (নাগরিক জীবনভিত্তিক),
❐ আজ রবিবার (পারিবারিক-সামাজিক),
❐ নক্ষত্রের রাত (আধুনিক জীবনসমস্যা) ইত্যাদি।
১২২৪. ‘গাড়ি স্টেশন ছড়ল’- বাক্যে নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৬ (খুলনা বিভাগ) ☞1.12.06 📖 পরিসংখ্যান ব্যুরো ➺জুনিয়র পরিসংখ্যান সহকারী ➺☞30.10.21 📖 প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৮ (কংস) ☞31.10.08
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
অপাদান কারক মূলত বিশেষ্য পদ এবং এর সাথে সম্পর্কিত পদ
যেমন বিশেষণ বা সর্বনাম এর উপর প্রযুক্ত হয়। অপাদান কারক
দিয়ে সাধারণত কোনো কিছু থেকে সরে যাওয়া অর্থ বোঝানো হয়। বাংলা ভাষাতে বিশেষ্যের পরে হতে, থেকে,চেয়ে (পঞ্চমী বিভক্তি), দিয়া, দিয়ে (তৃতীয়া বিভক্তি) ইত্যাদি অনুসর্গ ব্যবহার করে
সাধারণত অপাদান কারক বোঝানো হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 অপাদান কারক:
❆ যা থেকে কোনো কিছু উৎপত্তি, বিচ্যুত, জাত, গৃহীত, আরম্ভ, দূরীভূত ও রক্ষিত হয়, তাকে বলা হয় অপাদান কারক।
❐ বাক্যের ক্রিয়াপদকে কোথা হতে, কি থেকে, কিসের থেকে ইত্যাদি প্রশ্ন করলে উত্তরে যে কারক পাওয়া যায়, তা-ই হলো অপাদান কারক।
❐ 'গাড়ী স্টেশন ছাড়ল' বাক্যে 'স্টেশন' থেকে গাড়িটি বিচ্যুত হয়েছে। এবং এতে কোনো বিভক্তি যুক্ত হয়নি। তাই 'স্টেশন' শব্দটি অপাদান কারকে শূন্য বিভক্তি।
১২২৫. কোন বানানটি শুদ্ধ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৬ (খুলনা বিভাগ) ☞1.12.06
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
কুজ্ঝটিকা, কুজ্ঝটি, কুজ্ঝটী /বিশেষ্য পদ/ কুয়াশা, কুহেলিকা। এই বানানটি সঠিক।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 শুদ্ধ বানান: কুজ্ঝটিকা,
❐ সংস্কৃত ভাষার শব্দ।
❐ প্রকৃতি-প্রত্যয় = (কুজ্ঝটি + কান্ + আ)।
▣ এরূপ কিছু সংস্কৃত শব্দ হলো: কুঞ্জকানন, কুঞ্জবন, কুঞ্জ, কুঞ্চিত, কুক্ষণ ইত্যাদি।
১২২৬. ‘গাজী মিয়ার বস্তানী’ কি ধরনের রচনা?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৬ (চট্টগ্রাম বিভাগ) ☞1.12.06 📖 26th BCS General Dec, 2000 📖 25th BCS General Sep, 2004
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
ব্যাখ্যাঃ
মীর মশাররফ হোসেনের আত্মজীবনীমূলক ব্যঙ্গাত্মক রচনা \" গাজী মিাঁয়ার বস্তানী\" (১৮৯৯)। লেখক \" ভেড়াকান্ত\" ছদ্ম ব্যঙ্গের মাধ্যমে সমাজের অনাচার, অন্যায় , সামাজিক দুর্নীতি এবং এ সমাজভুক্ত মানুষের নৈতিক অধঃপতন , মনুষ্যত্ব ও হৃদয়গীন আচরণের চিত্রই এখনো চিত্রিত করেছেন।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ‘গাজী মিয়াঁর বস্তানী’ মীর মশাররফ হোসেনের আত্মজীবনীমূলক উপন্যাসোপম রচনা।
▣ মীর মোশাররফ হোসেন:
❏ তিনি ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলার লাহিনীপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
❏ তিনি ছিলেন ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক।
❏ তিনি ছিলেন বঙ্কিমযুগের অন্যতম প্রধান গদ্যশিল্পী ও উনিশ শতকের বাঙালি মুসলমান সাহিত্যিকদের পথিকৃৎ।
❏ মীর মশাররফ হোসেন ছাত্রাবস্থায় 'সংবাদ প্রভাকর' (১৮৩১) ও কুমারখালির 'গ্রামবার্তা প্রকাশিকা'-র (১৮৬৩) মফঃস্বল সংবাদদাতার দায়িত্ব পালন করেন। এখানেই তাঁর সাহিত্যজীবনের শুরু।
❏ গ্রামবার্তার সম্পাদক কাঙাল হরিনাথ ছিলেন তাঁর সাহিত্যগুরু।
❏ মীর মশাররফ হোসেন 'আজীজননেহার' (১৮৭৪) ও 'হিতকরী' (১৮৯০) নামে দুটি পত্রিকাও সম্পাদনা করেন।
❏ মীর মশাররফ হোসেন 'গাজী মিয়াঁ' ছদ্মনামে লিখতেন।
❏ বাংলা সাহিত্যে মুসলমান রচিত প্রথম উপন্যাস 'রত্নবতী' ও নাটক 'বসন্তকুমারী' তাঁর রচনা।
❏ তাঁর শ্রেষ্ঠ রচনা 'বিষাদ-সিন্ধু' উপন্যাস।
▣ তাঁর রচিত উপন্যাস:
❏ বিষাদ-সিন্ধু।
▣ তাঁর রচিত নাটক:
❏ বসন্তকুমারী,
❏ জমিদার দর্পণ,
❏ বেহুলা গীতাভিনয়,
❏ টালা অভিনয়।
▣ তাঁর রচিত আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ:
❏ গাজী মিয়াঁর বস্তানী,
❏ আমার জীবনী,
❏ কুলসুম জীবনী।
▣ তাঁর রচিত প্রবন্ধগ্রন্থ:
❏ গো-জীবন।
১২২৭. ‘সকল শিক্ষকগণ আজ উপস্থিত’। বাক্যটি কোন দোষে দুষ্ট?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৬ (চট্টগ্রাম বিভাগ) ☞1.12.06
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
সকল এবং গণ উওভয় বহুবচন প্রকাশ করে বিধায় বাক্যটি বাহুল্য দোষে দুষ্ট।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 "সকল শিক্ষকগণ আজ উপস্থিত"- বাক্যটিতে বাহুল্য দোষ রয়েছে।
❏ শুদ্ধ বাক্যটি হবে: "সকল শিক্ষক আজ উপস্থিত" অথবা "শিক্ষকগণ আজ উপস্থিত"।
▣ বাহুল্য দোষ:
❆ প্রয়োজনের অতিরিক্ত শব্দ ব্যবহার করলে বাক্যে বাহুল্য দোষ ঘটে এবং শব্দ তার যোগ্যতা গুণ হারিয়ে ফেলে।
❆ যেমন:
❏ সকল শিক্ষকগণ আজ উপস্থিত।
❆ বাংলা ভাষায় একই বাক্যে দুইবার বহুবচন ব্যবহৃত হয় না। দুইবার বহুবচন বাচক চিহ্ন বা শব্দ ব্যবহার করলে শব্দ বাহুল্য দোষে দুষ্ট হয়
১২২৮. ব্যঞ্জনবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপকে কি বলা হয়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৬ (চট্টগ্রাম বিভাগ) ☞1.12.06 📖 হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়➟2013➯E ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
ব্যঞ্জনবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপকে বলে ফলা। ফলা যুক্ত হলে বর্ণের আকারের পরিবর্তন সাধিত হয়। বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণের ফলা ৬টি।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 অনুবর্ণ:
❆ ব্যঞ্জনবর্ণের বিকল্প রূপের নাম অনুবর্ণ। অনুবর্ণের মধ্যে রয়েছে ফলা, রেফ ও বর্ণসংক্ষেপ।
▣ ফলা:
❆ ব্যঞ্জনবর্ণের কিছু সংক্ষিপ্ত রূপ অন্য ব্যঞ্জনের নিচে অথবা ডান পাশে ঝুলে থাকে, সেগুলোকে ফলা বলে। বাংলা বর্ণমালায় ফলা বর্ণ ৬টি।
❆ যেমন:
❏ ন-ফলা,
❏ ব-ফলা,
❏ ম-ফলা,
❏ য-ফলা,
❏ র- ফলা,
❏ ল-ফলা।
১২২৯. কোনটি ‘এদ্দুর’-এর সন্ধি বিচ্ছেদ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৬ (চট্টগ্রাম বিভাগ) ☞1.12.06
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ - এত + দূর = এদ্দুর।
❏ এটি স্বর + ব্যঞ্জন নিয়েমে গঠিক সন্ধি।
❏ এখানে পূর্ববর্তী স্বরের প্রভাবে পরবর্তী দ- এর জায়গায় দ্দ হয়েছে।
১২৩০. প্রখ্যাত সাহিত্যিক শওকত ওসমানের প্রকৃত নাম কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৬ (চট্টগ্রাম বিভাগ) ☞1.12.06 📖 স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র স্টাফ নার্স (বাতিলকৃত) - 10.17
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
ব্যাখ্যাঃ
শওকত ওসমান (২ জানুয়ারি ১৯১৭–মে ১৪, ১৯৯৮) বিংশ শতাব্দীর বাংলাদেশের একজন স্বনামখ্যাত লেখক ও কথাসাহিত্যিক। জন্মসূত্রে তাঁর নাম শেখ আজিজুর রহমান।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 শওকত ওসমান:
❏ তিনি ছিলেন কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক।
❏ তিনি ১৯১৭ সালের ২ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার সবলসিংহপুর গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
❏ তাঁর প্রকৃত নাম শেখ আজিজুর রহমান; ‘শওকত ওসমান’ তাঁর সাহিত্যিক নাম।
❏ উপন্যাস ও গল্প রচয়িতা হিসেবেই শওকত ওসমানের মুখ্য পরিচয়
❏ তবে প্রবন্ধ, নাটক, রম্যরচনা, স্মৃতিকথা ও শিশুতোষ গ্রন্থও তিনি রচনা করেছেন।
▣ তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাস:
❏ জননী,
❏ ক্রীতদাসের হাসি,
❏ সমাগম,
❏ চৌরসন্ধি,
❏ রাজা উপাখ্যান,
❏ জাহান্নাম হইতে বিদায়,
❏ দুই সৈনিক,
❏ নেকড়ে অরণ্য,
❏ পতঙ্গ পিঞ্জর, আর্তনাদ,
❏ রাজপুরুষ ইত্যাদি।
১২৩১. ‘নিঃশেষে নিশাচর, গ্রাসে মহাবিশ্বে; ত্রাসে কাঁপে তরণীর পাপী যত নিঃস্বে’।– কবিতাংশটি কোন কবির লেখা?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৬ (চট্টগ্রাম বিভাগ) ☞1.12.06 📖 প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৬ (বরিশাল বিভাগ) ☞1.12.06
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
কবিতাংশটির কবি নজরুল ইসলাম রচিত খেয়া পারের তরণী কবিতা অন্তর্ভুক্ত। এ কবিতাটি অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 প্রদত্ত কবিতাংশটি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ‘অগ্নিবীণা’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ‘খেয়া পারের তরণী’ কবিতার অংশ।
▣ খেয়া-পারের তরণী
❏ কাজী নজরুল ইসলাম
❆ যাত্রীরা রাত্তিরে হতে এল খেয়া পার,
❆ বজ্রেরি তূর্যে এ গর্জেছে কে আবার?
❆ প্রলয়েরি আহ্বান ধ্বনিল কে বিষাণে!
❆ ঝন্‌ঝা ও ঘন দেয়া স্বনিল রে ঈশানে!
▣ নাচে পাপ-সিন্ধুতে তুঙ্গ তরঙ্গ!
❆ মৃত্যুর মহানিশা রুদ্র উলঙ্গ!
❆ নিঃশেষে নিশাচর গ্রাসে মহাবিশ্বে,
❆ ত্রাসে কাঁপে তরণীর পাপী যত নিঃস্বে।
❆
❏ ------------------
▣ 'অগ্নিবীণা' কাব্যগ্রন্থ:
❏ 'অগ্নিবীণা' কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ।
❏ এই কাব্যের জনপ্রিয় কবিতা 'বিদ্রোহী'
❏ 'বিদ্রোহী' কবিতার জন্যই মূলত তিনি 'বিদ্রোহী কবি' হিসাবে পরিচিত হন।
❏ কাজী নজরুল ইসলামের 'অগ্নিবীণা' কাব্যের প্রথম কবিতা- প্রলয়োল্লাস।
▣ অগ্নিবীণা কাব্যে মোট ১২টি কবিতা রয়েছে। কবিতাগুলো হলো:
❏ প্রলয়োল্লাস,
❏ বিদ্রোহী,
❏ রক্তাম্বর-ধারিণী মা,
❏ আগমণী,
❏ ধূমকেতু,
❏ কামাল পাশা,
❏ আনোয়ার,
❏ রণভেরী,
❏ শাত-ইল-আরব,
❏ খেয়াপারের তরণী,
❏ কোরবানী,
❏ মহররম।
▣
১২৩২. বাংলা সাহিত্যে প্রথম সনেট রচয়িতা কে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৬ (চট্টগ্রাম বিভাগ) ☞1.12.06 📖 ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়➟2012➯C ইউনিট 📖 ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়➟2012➯H ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 বাংলা ভাষায় প্রথম সনেট রচনার প্রবর্তক মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
▣ ⇒ মাইকেল মধুসূদন দত্ত:
❏ মাইকেল মধুসূদন দত্ত একজন মহাকবি, নাট্যকার। তিনি ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি যশোর জেলার কপোতাক্ষ নদের তীরে সাগরদাঁড়ি গ্রামে জম্ম গ্রহণ করেন।
❏ মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা ভাষায় সনেট প্রবর্তক।
❏ মাইকেল মধুসূদন দত্ত অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক।
❏ মাইকেল মধুসূদন দত্ত প্রথম অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রয়োগ করেন ‘পদ্মাবতী’ নাটকে। (দ্বিতীয় অঙ্ক দ্বিতীয় গর্ভাঙ্কে)
❏ অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ - তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য। অর্থ্যাৎ, এই কাব্যটি সম্পূর্ণ অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত।
❏ মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ দ্য ক্যাপটিভ লেডি। এটি ইংরেজিতে রচিত।
▣ তাঁর রচিত কাব্যগুলো হলো:
❏ তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য,
❏ মেঘনাদবধ কাব্য,
❏ ব্রজাঙ্গনা কাব্য,
❏ বীরাঙ্গনা কাব্য,
❏ চতুর্দশপদী কবিতাবলী।
▣
১২৩৩. ‘সমাচার দর্পণ’ পত্রিকা কে প্রথম বের করেন?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৬ (চট্টগ্রাম বিভাগ) ☞1.12.06
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
সমাচার দর্পণ হল প্রথম বাংলা সংবাদপত্র। পত্রিকাটি ছিল সাপ্তাহিক। ১৮১৮ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ মে তারিখে এটি প্রথম প্রকাশিত হয়। সম্পাদক ছিলেন জন ক্লার্ক মার্শম্যান।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 [অপশনে সঠিক উত্তর না থাকায় প্রশ্নটি বাতিল করা হলো।]
▣ 'সমাচার দর্পণ' পত্রিকা:
❏ ১৮১৮ সালের মে মাসে হুগলির শ্রীরামপুর থেকে খ্রিষ্টান মিশনারিরা 'সমাচার দর্পণ' পত্রিকা প্রকাশ করে।
❏ সমাচার দর্পণ পত্রিকা সম্পাদনা করেন জন ক্লার্ক মার্শম্যান।
❏ এটি জন ক্লার্ক মার্শম্যান সম্পাদিত বাংলা ভাষার প্রথম সাপ্তাহিক সংবাদপত্র।
❏ সমাচার দর্পণে প্রথমাবস্থায় সম্পাদকীয়-বিভাগে পণ্ডিত ছিলেন 'জয়গোপাল তর্কালঙ্কার'।
❏ প্রথম পর্যায়ে, ১৮১৮ সালের ২৩ মে (শনিবার) সমাচার দর্পণের প্রথম সংখ্যা বের হয়।
১২৩৪. বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন কি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৬ (চট্টগ্রাম বিভাগ) ☞1.12.06
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
বাংলা ভাষায় রচিত সাহিত্যের আদিতম নিদর্শন হল চর্যাপদ। খ্রিষ্টীয় দশম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে রচিত চর্যা পদাবলি ছিল সহজিয়া বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যদের সাধনসংগীত।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 চর্যাপদ:
❏ চর্যাপদ বাংলা ভাষার প্রথম কাব্যগ্রন্থ/কবিতা সংকলন/ গানের সংকলন।
❏ এটি বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন।
❏ ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজ দরবার গ্রন্থাগার থেকে এটি আবিষ্কার করেন।
❏ চর্যাপদের চর্যাগুলো রচনা করেন বৌদ্ধ সহজিয়াগণ।
❏ চর্যাপদে বৌদ্ধধর্মের কথা বলা হয়েছে।
❏ সুকুমার সেনের 'বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস' (প্রথম খণ্ড) গ্রন্থে চর্যাপদের ২৪ জন পদকর্তার নাম পাওয়া যায়।
❏ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ সম্পাদিত 'Buddhist Mystic Songs' গ্রন্থে চর্যাপদের ২৩ জন কবির নাম উল্লেখ আছে।
❏ সুকুমার সেন মনে করেন যে, চর্যাপদের পদসংখ্যা - ৫১টি; তবে তিনি তার 'চর্যাগীতি পদাবলী' গ্রন্থে ৫০টি পদের উল্লেখ করেছেন। আলোচনা অংশে তার বক্তব্য মুনিদত্ত ৫০টি ব্যাখ্যা করেছিলেন।
❏ আবার ড. শহীদুল্লাহ চর্যাপদের পদ সংখ্যা ৫০টি বলে মনে করেন।
১২৩৫. ‘মঙ্গলকাব্য’ সমূহের বিষয়বস্তু মূলত-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৬ (চট্টগ্রাম বিভাগ) ☞1.12.06 📖 প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (বরিশাল বিভাগ) ☞26.8.05
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
মঙ্গলকাব্যে স্থানীয় ও বহিরাগত দেবতাদের স্বার্থের মধ্যে প্রায়শই সংঘাত ঘটে থাকে এবং পরিসমাপ্তিতে স্থানীয় দেবতারা জয়লাভ করেন। মঙ্গল শব্দটির অপর অর্থ বিজয়। অর্থাৎ, এই কাব্যগুলি লেখা হয়েছিল বিদেশী ঈশ্বরপূজারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় দেবতাদের জয়কে উদ্যাপন উপলক্ষে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ⇒ মঙ্গলকাব্য:
❏ বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগে বিশেষ এক শ্রেণির ধর্মবিষয়ক আখ্যান কাব্য 'মঙ্গলকাব্য' নামে পরিচিত।
❏ এগুলো খ্রিষ্টীয় পনের শতকের শেষ ভাগ থেকে আঠার শতকের শেষার্ধ পর্যন্ত পৌরাণিক, লৌকিক ও পৌরাণিক-লৌকিক সংমিশ্রিত দেবদেবীর লীলামাহাত্ম্য, পূজাপ্রচার ও ভক্তকাহিনি অবলম্বনে রচিত সম্প্রদায়গত প্রচারধর্মী ও আখ্যানমূলক কাব্য।
❏ বলা হয়ে থাকে, যে কাব্যে দেবতার আরাধনা, মাহাত্ম্য-কীর্তন করা হয়, যে কাব্য শ্রবণেও মঙ্গল হয় এবং বিপরীতটিতে হয় অমঙ্গল; যে কাব্য মঙ্গলাধার, এমন কি, যে কাব্য যার ঘরে রাখলেও মঙ্গল হয় তাকেই বলা হয় মঙ্গলকাব্য।
❏ 'মঙ্গল' শব্দটির আভিধানিক অর্থ 'কল্যাণ'। যে কাব্যের কাহিনি শ্রবণ করলে সর্ববিধ অকল্যাণ নাশ হয় এবং পূর্ণাঙ্গ মঙ্গল লাভ ঘটে, তাকেই মঙ্গলকাব্য বলা যায়।
❏ মঙ্গলকাব্যের 'মঙ্গল' শব্দটির সঙ্গে শুভ ও কল্যাণের অর্থসাদৃশ্য থাকা ছাড়াও এসব কাব্যের অনেকগুলো এক মঙ্গলবারে পাঠ আরম্ভ হয়ে পরের মঙ্গলবারে সমাপ্ত হত। বলে এ নামে অভিহিত হয়েছে।
❏ মঙ্গলকাব্য প্রধানত কাহিনিকেন্দ্রিক। মূল কাহিনির সঙ্গে দেবলীলা, ধর্মতত্ত্ব ও নানা ধরনের বর্ণনায় এসব কাব্য বিপুলায়তন লাভ করেছে।
❏ বিভিন্ন দেবদেবীর গুণগান মঙ্গলকাব্যগুলোর উপজীব্য। তন্মধ্যে স্ত্রীদেবতাদের প্রাধান্যই বেশি এবং মনসা ও চণ্ডীই এদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ।
❏ লৌকিক দেবদেবীর কাহিনি অবলম্বনে রচিত মঙ্গলকাব্যগুলোকে
❆ ক. বন্দনা,
❆ খ. গ্রন্থ রচনার কারণবর্ণনা,
❆ গ. দেবখণ্ড ও
❆ ঘ. নরখণ্ড বা মূলকাহিনি বর্ণনা।
▣ মোটামুটি এই চারটি অংশ থাকত।
❏ 'বারমাসী' ও 'চৌতিশা' জাতীয় কাব্যাংশ মঙ্গলকাব্যে স্থান লাভ করত।
১২৩৬. মুসলমান কবিদের মধ্যে প্রাচীনতম কবি কে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৬ (চট্টগ্রাম বিভাগ) ☞1.12.06
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 শাহ মুহম্মদ সগীর:
❏ মধ্যযুগের তথা বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম কবি শাহ মুহম্মদ সগীর।
❏ তিনি পনের শতকের কবি ছিলেন।
❏ গৌড়ের সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের রাজত্বকালে তিনি কাব্য রচনা করেন।
❏ অনুবাদ সাহিত্যে বা রোমাণ্টিক প্রণয়োপাখ্যান ধারার প্রথম কবি - শাহ্‌ মুহম্মদ সগীর।
❏ শাহ মুহম্মদ সগীরের শ্রেষ্ঠ অনুবাদকর্ম ইউসুফ-জোলেখা।
১২৩৭. কোনটি শুদ্ধ বানান?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৬ PEDP-2
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
অধ্যাবসায় শব্দের সঠিক বানান হল অধ্যবসায়। অধ্যবসায় অর্থাৎ লেগে থাকা।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে,
▣ 'অধ্যবসায়' (বিশেষ্য) বানানটি সঠিক।
▣ শব্দটির উচ্চারণ- ওদ্‌ধোবশায়্‌।
▣ 'অধ্যবসায়' শব্দটির অর্থ:
▣ অবিরাম সাধন; ক্রমাগত চেষ্টা।
১২৩৮. ‘নীল আকাশের নিচে আমি রাস্তা চলেছি একা’- বাক্যে নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৬ PEDP-2 📖 জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়➟2018➯F ইউনিট 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
করণ\" শব্দের অর্থ: যন্ত্র, সহায়ক বা উপায়। ক্রিয়া সম্পাদনের যন্ত্র, উপকরণ বা সহায়ককেই করণ কারক বলা হয়।
বাক্যস্থিত ক্রিয়াপদের সঙ্গে \"কিসের দ্বারা\" বা \"কী উপায়ে\" প্রশ্ন করলে যে উত্তরটি পাওয়া যায়, তা - ই করণ কারক।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 'নীল আকশের নিচে আমি রাস্তা চলেছি একা’ - বাক্যে নিম্নরেখ শব্দটি 'করণ' কারকে 'শূন্য' বিভক্তি।
❐
▣ করণ কারক:
▣ ক্রিয়া সম্পাদনের যন্ত্র, উপকরণ বা সহায়ককেই করণ কারক বলে।
▣ বাক্যের ক্রিয়া পদকে ‘কীসের দ্বারা’ বা ‘কী উপায়ে’ বা 'কীসের সাহায্যে' প্রশ্ন করলে যে উওর পাওয়া যায় তাই করণ কারক।
❐ যেমন:
▣ 'নীল আকাশের নীচে আমি রাস্তা চলেছি একা'। বাক্যটিতে 'রাস্তা' শব্দটি করণ কারকে শূন্য বিভক্তি।
▣ কারণ, বাক্যের ক্রিয়াপদ 'চলেছি' কে 'কীসের সাহায্যে/ কী দিয়ে' প্রশ্ন করলে উত্তর পাওয়া যায় - রাস্তা।
▣ সহজ কথায়, যন্ত্র সহায়ক বা উপায় বোঝালে করণ কারক হবে।
▣ এখানে রাস্তার সাহায্যে যাচ্ছে। মানে সহায়ক হচ্ছে রাস্তা তাই এটি অধিকরণ না হয়ে করণ কারক হবে।
▣ প্রশ্নের ক্রিয়ার দিকে ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে “চলেছি” অর্থাৎ বাক্যের কর্তা কিন্তু থেমে নেই, সে নীল আকাশের নিচে রাস্তা ব্যবহার করে তার গন্তব্যস্থলে যাচ্ছে।
▣ তার মানে, এখানে ‘রাস্তা’ কর্তার গন্তব্যস্থলে যাওয়ার একটি মাধ্যম অর্থাৎ করণ কারক।
১২৩৯. ‘চাচা কাহিনীর’ লেখক কে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৬ PEDP-2 📖 29th BCS General Aug, 2009 📖 11th BCS General Oct, 1991
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
চাচা কাহিনী’ সৈয়দ মুজতবা আলীর বিখ্যাত গল্প গ্রন্থগুলির মধ্যে প্রধানতম। প্রায় প্রতিটি গল্পই বিদেশের পটভূমিকা রচিত। বিদেশে বিশেষ করে বার্লিন প্রবাসী বাঙালী তরুণ বয়স্ক ছাত্রদের নিয়েই রচিত। অনেক গল্প। স্বয়ং লেখক যৌবনে বার্লিন প্রবাসী ছাত্র ছিলেন। সে সময়কার নানা কাহিনী গল্পাকারে পরিবেশন করেচেন চাচা কাহিনীতে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 'চাচা- কাহিনী' গ্রন্থটির লেখক: 'সৈয়দ মুজতবা আলী'।
❐
▣ সৈয়দ মুজতবা আলী:
▣ ১৯০৪ সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
▣ তিনি কাজী নজরুল ইসলামের 'রুবাইয়াৎ- ই- ওমর খৈয়াম' গ্রন্থের ভূমিকা লিখেন।
▣ ১৯৭৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
▣ 'দেশে বিদেশে' তাঁর রচিত বিখ্যাত ভ্রমণ কাহিনী।
▣ 'দেশে বিদেশে' সৈয়দ মুজতবা আলীর প্রথম গ্রন্থ।
▣ 'দেশে বিদেশে' ভ্রমণ কাহিনীটি আফগানিস্তানের কাবুল শহর নিয়ে লেখা।
❐
▣ তাঁর রচিত উপন্যাস:
▣ অবিশ্বাস্য।
▣ শবনম।
❐
▣ তাঁর রচিত ছোটগল্প:
▣ চাচা-কাহিনী।
▣ টুনি মেম।
১২৪০. ‘দম্পতি’ শব্দটি কোন সমাস?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৬ PEDP-2 📖 ১২তম বেসরকারি প্রভাষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন পরিক্ষা-১২.০৬.১৫ 📖 ৯ম বেসরকারি প্রভাষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন পরিক্ষা-২৪.০৮.১৩
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
”দম্পতি” দ্বন্দ্ব সমাস। যে সমাসে অন্যান্য পদের বিলুপ্তি ঘটে প্রথম পদটির সঙ্গে শেষ পদটির সামঞ্জস্য রচিত হয় তাকে বলে একশেষ দ্বন্দ্ব। সুতরাং দম্পতি একশেষ দ্বন্দ্ব সমাস।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 জায়া ও পতি = দম্পতি।
❐ এটি দ্বন্দ্ব সমাসের উদাহরণ।
❐ দ্বন্দ্ব সমাস:
❐ যে সমাসে প্রত্যেকটি সমস্যমান পদের অর্থের সমান প্রাধান্য থাকে, তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে।
▣ দ্বন্দ্ব সমাসে পূর্বপদ ও পরপদ উভয় পদের অর্থের সমান প্রাধান্য থাকে।
❐ যেমন:- জায়া ও পতি = দম্পতি।
▣ ক্ষুধা ও পিপাসা = ক্ষুৎপিপাসা।
১২৪১. ‘উপরোধে ঢেঁকি গেলা’ বাগধারাটির অর্থ-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৬ PEDP-2 📖 রেলপথ মন্ত্রণালয়➺সহকারী মাস্টার☞17-06-22
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে,
❐ উপরোধ:
▣ উচ্চারণ- উপোরোধ্‌।
▣ পদ- বিশেষ্য
▣ অর্থ- অনুরোধ
▣ উদাহরণ- মোর উপরোধে তোরে মহেশ ঠাকুর-ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর
▣ বিশেষণ- উপরোধক
❐
▣ সম্পর্কিত বাগধারা- উপরোধে ঢেঁকি গেলা-এর অর্থ অনুরোধ এড়াতে না পেরে অনিচ্ছা সত্ত্বেও কোনো কাজ করা।
১২৪২. ‘আমার গানের মালা আমি করব কারে দান’- বাক্যে নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৬ PEDP-2 📖 কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়➟2013➯C ইউনিট 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2014➯গ ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
\"আমার গানের মালা আমি করবো "কারে" দান। যাকে আশ্রয় করে কর্তা ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকেই কর্ম কারক বলে। ক্রিয়ার সাথে কি বা কাকে যোগ করে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, তাই কর্মকারক হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 - ‘আমার গানের মালা আমি করব কারে দান।' বাক্যে 'কারে’ শব্দটি কর্মে সপ্তমী।
❐
▣ কর্মকারক:
▣ কর্তা যাকে আশ্রয় করে বা অবলম্বন করে ক্রিয়া সম্পাদন করে তাকে বল হয় কর্মকারক।
▣ ক্রিয়ার সঙ্গে 'কী' বা 'কাকে' যোগ করে প্রশ্ন করলে কর্মকারক পাওয়া যায়।
❐ যেমন:- সেলিম বই পড়ে।
▣ এ বাক্যের কর্ম হলো বই।
▣ কারণ বইকে আশ্রয় করে কর্তা এখানে কাজ সম্পাদন করেছে।
▣ আর শব্দের শেষে ''এ, (য়), য়, তে, এতে'' থাকলে তা সপ্তমী বিভক্তি হয়।
❐ তাই বলা যায়, ‘আমার গানের মালা আমি করব কারে দান।' বাক্যে 'কারে’ শব্দটি কর্মে সপ্তমী।
❐
▣ কর্মকারকের বিভিন্ন বিভক্তির ব্যবহার:
▣ প্রথমা বা শূন্য অ বিভক্তি : ডাক্তার ডাক।
▣ দ্বিতীয়া বা কে বিভক্তি : তাকে বল।
▣ ষষ্ঠী বা র বিভক্তি : তোমার দেখা পেলাম না।
▣ সপ্তমীর এ বিভক্তি : জিজ্ঞাসিবে জনে জনে।
১২৪৩. ‘রাজলক্ষ্মী’ চরিত্রের স্রষ্টা ঔপন্যাসিক কে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৬ PEDP-2 📖 11th BCS General Oct, 1991
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
শরৎচন্দ্রের (ছদ্মনাম অনিলা দেবি) অন্যান্য উপন্যাস বড়দিদি, পরিণীতা, পল্লীসমাজ, দেবদাস, চরিত্রহীন, শ্রীকান্ত (আত্মজীবনীমুলক), দত্তা, গৃহদাহ, পথের দাবি।
তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জগত্তারিণী, ঢাবি থেকে ডিলিট পান।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ‘রাজলক্ষ্মী’ চরিত্রের স্রষ্টা ঔপন্যাসিক- 'শরৎচন্দ্র'।
❐
▣ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৭৬-১৯৩৮):
▣ ১৮৭৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর হুগলি জেলার দেবানন্দপুরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
▣ শরৎচন্দ্রের প্রথম উপন্যাস বড়দিদি (১৯০৭) ভারতী পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
▣ তাঁঁর প্রথম প্রকাশিত গল্পের নাম 'মন্দির'।
▣ তিনি 'মন্দির' গল্পের জন্য ১৯০৩ সালে কুন্তলীন সাহিত্য পুরষ্কার লাভ করেন।
▣ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত রাজনৈতিক উপন্যাস হলো 'পথের দাবী' যা ১৯২৬ সালে প্রকাশিত হয়। এটি ব্রিটিশ সরকার বাজেয়াপ্ত করেছিল।
▣ 'শ্রীকান্ত' উপন্যাস:
▣ 'শ্রীকান্ত' উপন্যাসটি শরৎচন্দ্রের আত্মজৈবনিক উপন্যাস। এর চারটি খন্ড।
▣ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত 'শ্রীকান্ত' উপন্যাসের বিখ্যাত কিশোর চরিত্র- 'ইন্দ্রনাথ'।
▣ 'শ্রীকান্ত' শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের আত্মজৈবনিক উপন্যাস।
▣ শ্রীকান্ত উপন্যাসটি ৪টি খণ্ডে প্রকাশিত হয়।
▣ প্রথম খণ্ড মাসিক 'ভারতবর্ষে' (১৯১৬-১৭)' শ্রীকান্তের ভ্রমণ কাহিনি নামে প্রকাশিত হয়।
▣ লেখকের নাম মুদ্রিত হয় 'শ্রী শ্রীকান্ত শর্মা'।
▣ ২য় ও ৩য় খণ্ডও মাসিক 'ভারতবর্ষে' প্রকাশিত হয়।
▣ তবে ৪র্থ খণ্ড প্রকাশিত হয় 'বিচিত্র' পত্রিকায়।
❐ উপন্যাসটির উল্লেখযোগ্য চরিত্র:
▣ শ্রীকান্ত,
❐ - রাজলক্ষ্মী,
▣ অন্নদাদিদি,
▣ অভয়া,
▣ রোহিণী,
▣ কমললতা প্রমুখ।
❐ এ উপন্যাসের বিখ্যাত কিছু উক্তি:
▣- 'মধু থাকলেই মৌমাছি এসে জোটে তারা দেশ-বিদেশের বিচার করে না।',
▣- 'বড় প্রেম শুধু কাছেই টানে না- ইহা দূরেও ঠেলিয়া ফেলে।', (শ্রীকান্ত ও বাইজি রাজলক্ষ্মীর বিচ্ছেদের প্রসঙ্গে এই কথাটি বলা হয়েছে।)
❐ তাঁর রচিত বিখ্যাত উপন্যাস :
▣ দেনা-পাওনা,
▣ বড়দিদি,
▣ বিরাজবৌ,
▣ পন্ডিতমশাই,
▣ পরিণীতা,
▣ চন্দ্রনাথ,
▣ দেবদাস,
▣ চরিত্রহীন,
▣ গৃহদাহ,
▣ পথের দাবী,
▣ শেষ প্রশ্ন,
▣ শেষের পরিচয় ইত্যাদি।
১২৪৪. ‘আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাম বছর’ গ্রন্থটির রচয়িতা কে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৬ PEDP-2 📖 প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৮ (যমুনা) ☞31.10.08
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
আবুল মনসুর আহমদ রচনাবলীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। \"আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর\" বইটি হলো তার সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং প্রশংসিত বই। ১৯৬৯ সালে প্রকাশিত এ বইটি তার আত্মজীবনীমূলক রচনা।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 'আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর' গ্রন্থটির রচয়িতা- 'আবুল মনসুর আহমদ'।
▣ এটি একটি রাজনীতি বিষয়ক গ্রন্থ।
▣ আবুল মনসুর আহমদ রচিত রাজনীতি বিষয়ক আরেকটি গ্রন্থ হলো: ‘শেরে বাংলা থেকে বঙ্গবন্ধু’।
▣-------------
❐
▣ আবুল মনসুর আহমদ (১৮৯৮-১৯৭৯):
❐ - তিনি ১৮৯৮ সালে ময়মনসিংহ জেলার ধানিখোলা গ্রামে।
▣ সাংবাদিক, আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, সাহিত্যিক।
▣ তিনি দি মুসলমান পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন ১৯২৬ থেকে ১৯২৯ সাল পর্যন্ত।
▣ আবুল মনসুর ১৯৩৮ সালের ডিসেম্বর মাসে দৈনিক কৃষক পত্রিকার সম্পাদক নিযুক্ত হন।
▣ আবুল মনসুর আহমদ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দলীয় রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত থাকলেও বিদ্রুপাত্মক রচনার লেখক হিসেবেই তিনি সমধিক পরিচিত।
❐ তাঁর রচিত গল্পগ্রন্থ:
▣ আয়না ও
▣ ফুড কনফারেন্স।
❐ আত্মচরিত:
▣ আত্মকথা।
১২৪৫. কখন ‘ন’ হয় না?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৭ (চট্টগ্রাম বিভাগ) ☞7.9.07
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
ট বর্গীয় ( ট,ঠ,ড,ঢ) বর্ণের পূর্বে মূর্ধন্য - ণ হয়। যেমন: কণ্টক,বণ্টন,কণ্ঠ,কাণ্ড,লুণ্ঠন ইত্যাদি।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ➾ ণ-ত্ব বিধান:
▣ বাংলা ভাষায় বহু তৎসম বা সংস্কৃত শব্দে মূর্ধন্য-ণ এবং দন্ত্য-ন এর ব্যবহার রয়েছে। এগুলো বাংলা বানানেও অবিকৃতভাবে রক্ষিত হয়।
❐ তৎসম শব্দের বানানে ণ-এর সঠিক ব্যবহারের নিয়মই ণ-ত্ব বিধান।
▣ ‘ণ’ ব্যবহারের নিয়ম:
▣ ট-বর্গীয় ধ্বনির আগে তৎসম শব্দে সব সময় 'ণ' ব্যবহৃত হয়। যেমন: ঘণ্টা, কাণ্ড ইত্যাদি।
▣ ঋ, র, ষ - এর পরে 'ণ' হয়। যেমন: ঋণ, তৃণ, বর্ণ, বর্ণনা, কারণ, মরণ, ব্যাকরণ, ভীষণ, ভাষণ, উষ্ণ ইত্যাদি।
▣ কতকগুলো শব্দে স্বভাবতই ‘ণ’ হয়। যেমন: চাণক্য, মাণিক্য, গণ, বাণিজ্য, লবণ, মণ, বেণু, বীণা, কঙ্কণ, কণিকা, স্থাণু, ফণী, পিণাক ইত্যাদি।
❐ যেসকল ক্ষেত্রে ণ-ত্ব বিধান প্রযোজ্য নয়:
❐ ১. সমাসবদ্ধ শব্দে সাধারণত ণ-ত্ব বিধান খাটে না। এরূপ ক্ষেত্রে ‘ন’ হয়। যেমন- ত্রিনয়ন, সর্বনাম, দুর্নীতি, দুর্নাম, দুর্নিবার, পরনিন্দা, অগ্রনায়ক ইত্যাদি।
❐ ২. ত-বর্গীয় বর্ণের সঙ্গে যুক্ত হয় ন কখনো (ণ) হয় না। যেমন- অন্ত, গ্রন্থ ইত্যাদি।
❐ ৩. বাংলা (দেশি), তদ্ভব ও বিদেশি শব্দের বানানে 'ণ' লেখার প্রয়োজন হয় না।
১২৪৬. শরীর শরীল কোন ধরনের ধ্বনি পরিবর্তন?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৭ (চট্টগ্রাম বিভাগ) ☞7.9.07
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
২টি সমবর্ণের একটির পরিবর্তনকে বিষমীভবন বলে। যেমন : শরীর > শরীল
লাল> নাল
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 প্রশ্নটি হওয়া উচিত ছিল 'শরীর শরীল কোন ধরনের ধ্বনি পরিবর্তন?'
❐ প্রশ্নের টাইপিংয়ে ভুল থাকায় প্রশ্নটি বাতিল করা হলো।
=
❐ ভাষার পরিবর্তন ধ্বনির পরিবর্তনের সাথে সম্পৃক্ত। ধ্বনি পরিবর্তন নানা প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয়।
▣ বিষমীভবন (Dissimilation): দুটো সমবর্ণের একটির পরিবর্তনকে বিষমীভবন বলে।
❐ যেমন:- শরীর শরীল,
▣ লাল নাল ইত্যাদি।
❐ অন্যদিকে,
▣ সম্প্রকর্ষ বা স্বরলোপ:
❐ দ্রুত উচ্চারণের জন্য শব্দের আদি, অন্ত্য বা মধ্যবর্তী কোনো স্বরধ্বনির লোপকে বলা হয় সম্প্রকর্ষ বা স্বরলোপ।
❐ যেমন- আটমেসে ˃ আটাসে, কুটুম্ব ˃ কুটুম, জানালা ˃ জান্লা ইত্যাদি।
▣ অভিশ্রতি:
❐ বিপর্যস্ত স্বরধ্বনি পূর্ববর্তী স্বরধ্বনির সাথে মিলে গেলে এবং তদনুসারে পরবর্তী স্বরধ্বনির পরিবর্তন ঘটলে তাকে বলে অভিশ্রতি।
❐ যেমন: করিয়া কইর‌্যা করে, দেখিয়া দেইখ্যা দেখে, গাছুয়া গাউছা গেছো।
১২৪৭. ‘বাংলাপিডিয়া’ হচ্ছে-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৭ (চট্টগ্রাম বিভাগ) ☞7.9.07
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 বাংলাপিডিয়া:
❐ - বাংলাপিডিয়া বাংলাদেশের জাতীয় জ্ঞানকোষ।
▣ এ জ্ঞানকোষে প্রায় ১৪৫০ জন পণ্ডিতের সৃজনশীল কাজের সমন্বয় ঘটেছে।
▣ বাংলাদেশের প্রাচীনতমকাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের বর্ণনা বাংলাপিডিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
▣ ফলে এটি অধ্যয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ সংক্রান্ত সকল বিষয়ে সুস্পষ্ট জ্ঞান লাভ করা সম্ভব।
▣ প্রথম প্রকাশের পর বাংলাপিডিয়া ব্যাপক উৎসাহব্যঞ্জক সাড়া পেয়েছে এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
▣ বাংলাপিডিয়া শিক্ষক, শিক্ষার্থী, গবেষক, পেশাজীবী এবং সাধারণ পাঠকদের অপরিহার্য সহচরে পরিণত হয়েছে।
▣ বর্তমান দ্বিতীয় সংস্করণটি (২০১২) ইতিপূর্বে প্রকাশিত প্রথম সংস্করণের (২০০৩) একটি পরিবর্ধিত ও হালনাগাদ রূপ।
১২৪৮. ‘হরতাল’ কোন ভাষার শব্দ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৭ (চট্টগ্রাম বিভাগ) ☞7.9.07 📖 রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়➟2017➯C ইউনিট 📖 আমদানি ও রপ্তানি (অফিস সহায়ক) 06-03-2020
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
গুজরাটি শব্দ: খদ্দর, খাদি, চরকা, হরতাল।
চীনা শব্দ : এলাচী, চা, চিনি, নিচু, সাম্পান।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 হরতাল,
❐ - 'গুজরাটি' ভাষার শব্দ।
❐ অর্থ:
▣ ধর্মঘট;
▣ বিক্ষোভ প্রকাশ করার জন্য যানবাহন, হাট-বাজার, দোকান-পাট, অফিস-আদালত ইত্যাদি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ করা।
১২৪৯. ‘ভাত দে হারামজাদা, তা না হলে, মানচিত্র খাবো’- পঙ্ক্তিটির রচয়িতা কে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৭ (চট্টগ্রাম বিভাগ) ☞7.9.07
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 রফিক আজাদ ১৯৪২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল থানার গুণী গ্রামের এক অভিজাত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
▣ 'ভাত দে হারামজাদা, তা-না হলে মানচিত্র খাবো'- পঙক্তিদ্বয় 'ভাত দে হারামজাদা' কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।
▣ 'ভাত দে হারামজাদা' কবিতাটি 'সীমাবদ্ধ জলে, সীমিত সবুজে' কাব্যগ্রন্থে সংকলিত।
▣ তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থ:
▣ সীমাবদ্ধ জলে, সীমিত সবুজে।
▣ অসম্ভবের পায়ে।
▣ চুনিয়া আমার আর্কেডিয়া।
▣ প্রেমের কবিতা।
▣ হাতুড়ির নিচে জীবন।
▣ অপর অরণ্যে।
▣ করো অশ্রুপাত।
▣ প্রেম ও বিরহের কবিতা।
▣ পাগলা গারদ থেকে প্রেমিকার চিঠি।
▣ সশস্ত্র সুন্দর।
▣ অঙ্গীকারের কবিতা ইত্যাদি।
১২৫০. ‘আমার পূর্ব বাংলা’ কবিতার রচয়িতা কে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৭ (চট্টগ্রাম বিভাগ) ☞7.9.07
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
📝
▣ ‘আমার পূর্ব বাংলা' সৈয়দ আলী আহসানের একটি বিখ্যাত কবিতা।
❐
▣ সৈয়দ আলী আহাসান:
▣ সৈয়দ আলী আহাসান বাংলাদেশে একজন খ্যাতনামা সাহিত্যিক, কবি, সাহিত্য সমালোচক, অনুবাদক প্রাবন্ধিক ও শিক্ষাবিদ ছিলেন।
▣ তিনি বাংলাদেশের জাতীয় অধ্যাপক ছিলেন।
▣ তিনি বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের ইংরেজি অনুবাদক।
▣ 'বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত' (আধুনিক যুগ) প্রবন্ধগ্রন্থের রচয়িতা সৈয়দ আলী আহসান। তিনি মুহম্মদ আবদুল হাইয়ের সাথে একত্রে গ্রন্থটি প্রকাশ করেন।
▣ তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থ:
▣ অনেক আকাশ,
▣ একক সন্ধ্যায় বসন্ত,
▣ সহসা সচকিত,
▣ আমার প্রতিদিনের শব্দ,
▣ চাহার দরবেশ ও অন্যান্য কবিতা,
▣ সমুদ্রেই যাব,
▣ রজনীগন্ধা ইত্যাদি।
❐
▣ অনুবাদগ্রন্থ:
▣ হুইটম্যানের কবিতা,
▣ ইডিপাস।
▣ প্রবন্ধ:
▣ সতত স্বাগত।
▣ আত্মজীবনী:
▣ আমার সাক্ষ্য।
❐ আমার পূর্ব বাংলা- কবিতা;
❐ সৈয়দ আলী আহসান
❐ আমার পূর্ব-বাংলা এক গুচ্ছ স্নিগ্ধ/ অন্ধকারের তমাল
❐ অনেক পাতার ঘনিষ্ঠতায়/ একটি প্রগাঢ় নিকুঞ্জ
❐ নিকুঞ্জের তমাল কনক-লতায় ঘেরা
❐ রাশি রাশি ধান মাটি আর পানির/ কেমন নিশ্চেতন করা গন্ধ
❐ কত দশা বিরহিণীর- এক দুই তিন/ দশটি (বৈষ্ণব কবিতায় বর্ণিত রাধার বিরহের দশটি অবস্থার প্রতি কবি ইঙ্গিত করেছেন।)
❐ ঘর আর বিদেশ আঙিনা
❐ তিনটি ফুল আর একটি পাতা নিয়ে/ কদম্ব তরুর একটি শাখা মাটি/ ছুঁয়েছে
❐ আরও অনেক গাছ পাতা লতা/ নীল হলুদ বেগুনি অথবা সাদা
❐ কাকের চোখের মতো কালোচুল/ এলিয়ে
❐ হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া স্নিগ্ধ নীলাম্বরীতে দেহ ঘিরে (বৃষ্টিভেজা পূর্ব বাংলা যেনো নীল শাড়ি পরা কোনো নারী)
❐ তুমি আমার পূর্ব-বাংলা-/ পুলকিত সচ্ছলতায়, প্রগাঢ় নিকুঞ্জ।।
❐ উল্লেখ্য,
❐ কবিতাটি লেখকের ''একক সন্ধ্যায় বসন্ত'' কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।
১২৫১. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ রচনা কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৭ (চট্টগ্রাম বিভাগ) ☞7.9.07 📖 বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সহকারী বিস্ফোরক পরিদর্শক-২.০৩ 📖 শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন সহকারী শ্রম অফিসার-১.০৩
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝
▣ 'শ্রীকান্ত' উপন্যাস:
▣ 'শ্রীকান্ত' শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ রচনা এবং একটি আত্মজৈবনিক উপন্যাস।
▣ শ্রীকান্ত উপন্যাসটি ৪টি খণ্ডে প্রকাশিত হয়।
▣ প্রথম খণ্ড মাসিক 'ভারতবর্ষে' (১৯১৬-১৭) 'শ্রীকান্তের ভ্রমণ কাহিনী নামে প্রকাশ পায়।
▣ লেখকের নাম মুদ্রিত হয় 'শ্রীশ্রীকান্ত শর্মা'।
▣ ২য় ও ৩য় খণ্ডও মাসিক 'ভারতবর্ষে' প্রকাশিত হয়।
▣ তবে ৪র্থ খণ্ড প্রকাশিত হয় 'বিচিত্র' পত্রিকায়।
▣ উল্লেখযোগ্য চরিত্র - শ্রীকান্ত, ইন্দ্রনাথ, রাজলক্ষ্মী, অন্নদিদি।
❐ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত অন্যান্য উপন্যাস:
▣ চরিত্রহীন,
▣ পণ্ডিতমশাই,
▣ পল্লীসমাজ,
▣ দেবদাস,
▣ শ্রীকান্ত,
▣ পরিণীতা,
▣ বিরাজবৌ,
▣ দত্তা,
▣ চরিত্রহীন,
▣ বামুনের মেয়ে,
▣ শেষ প্রশ্ন,
▣ দেনাপাওনা,
▣ পথের দাবী,
▣ বিপ্রদাস ইত্যাদি।
১২৫২. ‘আমার গানের মালা আমি করব কারে দান’- বাক্যে নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৮ (কংস) ☞31.10.08 📖 পরিসংখ্যান ব্যুরো ➺জুনিয়র পরিসংখ্যান সহকারী ➺☞30.10.21 📖 প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৬ (খুলনা বিভাগ) ☞1.12.06
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
আমার গানের মালা আমি করবো "কারে" দান\"--- নিম্নরেখ শব্দটির কারক ও বিভক্তি কোনটি? যাকে আশ্রয় করে কর্তা ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকেই কর্ম কারক বলে। ক্রিয়ার সাথে কি বা কাকে যোগ করে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, তাই কর্মকারক হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 আমার গানের মালা আমি করবো কারে দান- বাক্যে নিম্নরেখ শব্দটি কর্মকারকে শূন্য বিভক্তি।
▣ কর্মকারক:
❏ যাকে আশ্রয় করে কর্তা ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকে কর্মকারক বলে।
❏ কর্ম দুই প্রকার: মুখ্য কর্ম, গৌণ কর্ম।
❆ যেমন -
❆ ⇒ বাবা আমাকে (গৌণ কর্ম) একটি কলম (মুখ্য কর্ম) কিনে দিয়েছেন।
❏ সাধারণত মুখ্য কর্ম বস্তুবাচক ও গৌণ কর্ম প্রাণিবাচক হয়ে থাকে।
❏ এছাড়াও সাধারণত কর্মকারকের গৌণ কর্মে বিভক্তি যুক্ত হয়, মুখ্য কর্মে হয় না।
▣ কর্মকারকে প্রথমা বা শূন্য বা 'অ' বিভক্তির ব্যবহার:
❏ ডাক্তার ডাক।
❏ আমাকে একখানা বই দাও। (দ্বিকর্মক ক্রিয়ার মুখ্য কর্ম)
❏ রবীন্দ্রনাথ পড়লাম, নজরুল পড়লাম, এর সুরাহা খুঁজে পেলাম না। (গ্রন্থ অর্থে বিশিষ্ট গ্রন্থকার প্রয়োগে)
❏ আমার গানের মালা আমি করবো কারে দান।
▣ বাক্যস্থিত ক্রিয়াপদকে কী / কাদের/ কাকে দ্বারা প্রশ্ন করলে যা উত্তর আসে তাই কর্মকারক।
❏ 'আমার গানের মালা (মুখ্য কর্ম) আমি করবো কারে (গৌণ কর্ম) দান' - এখানে 'কী আমি করবো কারে দান' প্রশ্ন করলে উত্তর পাওয়া যায় 'মালা'। তাই 'মালা' কর্মকারকে শূন্য বিভক্তি।
১২৫৩. কোনটি ‘অগ্নি’ শব্দের প্রতিশব্দ নয়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৮ (কংস) ☞31.10.08 📖 Rajshahi Krishi Unnayan Bank - Officer - 20.11.15
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
অগ্নি: আগুন, বহ্নি, অনল, পাবক, দাহন। অঙ্গ: শরীর, দেহ, গা, বপু। অন্ধকার: আঁঁধার, তিমির, তমঃ। অটল: অবিচল, নিশ্চল, স্থির, স্থাণু, হুতাশন
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ‘অগ্নি’ শব্দের প্রতিশব্দ নয় - ফুলশ্বর।
▣ 'অগ্নি’ শব্দের আরো কিছু প্রতিশব্দ:
❏ আগুন, বহ্নি, বৈশ্বানর, দহন, সর্বভুক, শিখা, হোমাগ্নি, কৃশানু, সর্বশুচি, সপ্তাংশু, বিভাবসু।
১২৫৪. কোন বানানটি শুদ্ধ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৮ (কংস) ☞31.10.08 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (সুরমা) ☞14.4.13
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
২
ব্যাখ্যাঃ
শুদ্ধ বানান টি হল উন্মীলন।
উন্মীলন শব্দটির অর্থ: চোখ মেলে চাওয়া, চোখ খোলা, বিকাশ, উদঘাটন, উন্মোচন। আর অন্যান্য শব্দগুলোর বানান ভুল রয়েছে।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 শুদ্ধ বানান: উন্মীলিত।
❏ শব্দটি বিশেষণ।
❏ এটি সংস্কৃত শব্দ।
❏ অর্থ: বিকশিত, প্রস্ফুটিত; উন্মোচিত।
১২৫৫. ‘রতন’ কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোন গল্পের চরিত্র?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৮ (কংস) ☞31.10.08 📖 মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটি ➺সহকারী পরিচালক ☞12.8.23
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
"রতন" চরিত্রটি রবীন্দ্রনাথের "পোস্টমাস্টার " ছোটগল্প থেকে নেওয়া হয়েছ। ভূপতি ও চারুলতা হলো নষ্টনীড় ছোটগল্পের চরিত্র।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 পোস্টমাস্টার:
❏ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত 'পোস্টমাস্টার' গল্প 'হিতবাদী' পত্রিকায় ১২৯৮ বঙ্গাব্দে প্রকাশ পায়।
❏ গল্পে চরিত্র তিনটি - পোস্টমাস্টার, রতন ও প্রকৃতি।
❏ গল্পটিতে প্রকৃতি কেবল স্থানিক ও ভৌগোলিক পরিচয় বহন করে নি, গল্পের প্রধান দুটি চরিত্রের আবেগকে নিয়ন্ত্রিত করেছে এবং গল্পের অগ্রগতি ও পরিণতিতে অমোঘ প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছে।
❏ পোস্টমাস্টার আর রতন - এ দুটি চরিত্রের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থার বিরাট ফারাক।
❏ আবার বয়সেও পোস্টমাস্টার ছিল পূর্ণ যুবক আর রতন নিতান্তই বালিকা।
❏ তবে, গল্পের মধ্যেই রতনের মনোগত পরিবর্তনটি হয় এবং সে বালিকার কোঠা অতিক্রম করে।
❏ নারীর ভালোবাসার যে ধীরে ধীরে অগ্নিশলাকার মতো প্রজ্বলিত হয় রতন তার প্রমাণ।
❏ আর পুরুষের ভালোবাসা নিয়ন্ত্রিত বৈদ্যুতিকবাতির মতো, সুইচের ওঠানামায় তার মাত্রাফের হয়। তাই বালিকা থেকে নারীতে পরিণত হওয়া রতন নিজের অব্যক্ত ভালোবাসার অপমানে কাতর।
❏ অপরপক্ষে পোস্টমাস্টার তার ভালোবাসার বাক্স না খুলেই একটি কর্মক্ষেত্র অতিক্রম করে দেয়।
❏ এই গল্পে 'পৃথিবীতে কে কাহার'- জাতীয় দর্শনবাক্য রচনা করে রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং 'নাহি তত্ত্ব নাহি উপদেশ' এই ধারণা অমান্য করেন।
❏ আসলে, 'পোস্টমাস্টার' ছোটগল্পে প্রকৃতির আধারে নরনারীর প্রেমের মাত্রাবোধের প্রকাশ ঘটেছে তবে তা যে তৎকালে আর্থিক কাঠামো নিরপেক্ষ ছিল না - এই রবীন্দ্রদর্শনটি ছোটগল্পে পরিষ্কার।
▣ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:
❏ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম ১৮৬১ সালের ৭ মে (১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫শে বৈশাখ) কলকাতার জোড়াসাঁকোর অভিজাত ঠাকুর পরিবারে।
❏ তিনি ছিলেন কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ ও সমাজ-সংস্কারক।
❏ তাঁর পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর।
❏ তিনি ছিলেন প্রকৃত অর্থেই অসামান্য প্রতিভাধর ব্যক্তি। বাল্যকালেই তাঁর কবি প্রতিভার উন্মেষ ঘটে।
❏ মাত্র পনের বছর বয়সে তাঁর 'বনফুল' কাব্য প্রকাশিত হয় এবং এশিয়ার বরেণ্য ব্যক্তিদের মধ্যে তিনিই প্রথম 'গীতাঞ্জলি' কাব্যের জন্য ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন।
❏ ১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট (২২শে শ্রাবণ, ১৩৪৮) জোড়াসাঁকোর বাড়িতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
▣ তাঁর রচিত সামাজিক জীবন সম্পর্কিত গল্প:
❏ ব্যবধান,
❏ মেঘ ও রৌদ্র,
❏ পণরক্ষা,
❏ দিদি,
❏ কর্মফল,
❏ দান প্রতিদান,
❏ হৈমন্তী,
❏ ছুটি,
❏ পুত্রযজ্ঞ,
❏ পোস্টমাস্টার,
❏ কাবুলিওয়ালা ইত্যাদি।
১২৫৬. কোনটি ‘কুল’ শব্দের প্রতিশব্দ নয়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৮ (কংস) ☞31.10.08
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ‘কুল’ শব্দের প্রতিশব্দ নয় - অবধি।
▣ 'অবধি' শব্দের অর্থ - চরম সীমা, ইয়ত্তা; অবশিষ্ট।
▣ 'কুল’ শব্দের আরো কিছু প্রতিশব্দ:
❏ গোষ্ঠী, কৌলিন্য, বংশ, সমাজ, আভিজাত্য, বর্ণ।
১২৫৭. কোনটি শুদ্ধ বানান?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৮ (কংস) ☞31.10.08
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 শুদ্ধ বানান: দূরীভূত।
❏ শব্দটি বিশেষণ।
❏ এটি সংস্কৃত শব্দ।
❏ অর্থ: দূর করা হয়েছে এমন, বহিষ্কৃত।
১২৫৮. ‘জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন’ নাটকটি কে রচনা করেছেন?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৮ (কংস) ☞31.10.08 📖 রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়➟2012➯A7 ইউনিট 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -চট্রগ্রাম বিভাগ- ১৮.০৪.০৮
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
”জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন” নাটকটির রচয়িতা সেলিম আল দীন। সেলিম আল দীন নাটকের আঙ্গিক ও ভাষার উপর গবেষণা করেছেন। বাংলা নাটকের শিকড় সন্ধানী এ নাট্যকার ঐতিহ্যবাহী বাংলা নাট্যের বিষয় ও আঙ্গিক নিজ নাট্যে প্রয়োগের মাধ্যমে বাংলা নাটকের আপন বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেছেন।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ‘জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন’ নাটকটি সেলিম আল দীন রচনা করেন।
▣ সেলিম আল দীন:
❏ তিনি ছিলেন বাংলা ভাষার আধুনিককাল পর্বের অন্যতম নাট্যকার।
❏ তিনি ১৯৪৯ সালের ১৮ আগস্ট সীমান্তবর্তী ফেনি জেলার অন্তর্গত সোনাগাজী উপজেলার সেনেরখিল গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
❏ নাট্যকার সেলিম আল দীনের প্রকৃত নাম মইনুদ্দিন আহমেদ ।
❏ ১৯৬৮ সালে কবি আহসান হাবিব সম্পাদিত ‘দৈনিক পাকিস্তান’ পত্রিকার সাহিত্য সাময়িকীতে আমেরিকার কালো মানুষদের নিয়ে তাঁর প্রথম বাংলা প্রবন্ধ 'নিগ্রো সাহিত্য' প্রকাশিত হয়।
❏ তাঁর প্রথম রেডিও নাটক 'বিপরীত তমসায়' ১৯৬৯ সালে এবং প্রথম টেলিভিশন নাটক আতিকুল হক চৌধুরীর প্রযোজনায় 'লিব্রিয়াম' (পরিবর্তিত নাম ঘুম নেই) প্রচারিত হয় ১৯৭০ সালে।
❏ ১৯৮৬ সালে তিনি নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগে যোগদান এবং উক্ত বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
❏ শিক্ষকতার পাশাপাশি এ দেশের নাট্যশিল্পকে বিশ্বনাট্য ধারার সঙ্গে সমপংক্তিতে সমাসীন করার লক্ষ্যে ১৯৮১-৮২ সালে তিনি এবং নাট্য-নির্দেশক নাসির উদ্দিন ইউসুফ সারাদেশব্যাপী গড়ে তোলেন 'বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার'।
❏ বাংলাদেশের বিচিত্র শ্রমজীবী, পেশাজীবী, বাঙালি ও বাংলাদেশে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সমাজজীবন ও তাদের আবহমান কালের সংস্কৃতিকে তিনি তাঁর নাটকে মহাকাব্যিক ব্যাপ্তিদান করেছেন।
❏ ২০০৮ সালের ১৪ জানুয়ারি তাঁর মৃত্যু হয়।
▣ তাঁর রচিত নাট্যগ্রন্থ:
❏ সর্প বিষয়ক গল্প ও অন্যান্য,
❏ বাসন,
❏ কেরামতমঙ্গল,
❏ কীর্তন খোলা,
❏ হাতহদাই,
❏ জুলান,
❏ শকুন্তলা,
❏ মুনতাসীর ফ্যান্টাসি,
❏ জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন,
❏ চাকা,
❏ যৈবতী কন্যার মন,
❏ হরগজ,
❏ নিমজ্জন ইত্যাদি।
১২৫৯. ‘মরণ রে, তুঁহুঁ মম শ্যাম সমান’।– পঙ্ক্তিটির রচয়িতা কে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৮ (কংস) ☞31.10.08
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
”মরণ রে, তুঁহুঁ মম শ্যাম সমান।” - - পঙ্ক্তিটির রচয়িতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (৭ মে ১৮৬১ - ৭ আগস্ট ১৯৪১; ২৫ বৈশাখ ১২৬৮ - ২২ শ্রাবণ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ) ছিলেন অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 'মরণ রে,
❆ তুঁহু মম শ্যাম সমান।' পঙ্‌ক্তিটির রচয়িতা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
❏ এটি তাঁর রচিত 'ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী' কাব্যের অন্তর্গত 'মরণ' কবিতার অংশবিশেষ।
▣ মরণ
❆ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
▣ মরণ রে,
❆ তুঁহু মম শ্যামসমান।
❆ মেঘবরণ তুঝ, মেঘজটাজুট,
❆ রক্ত কমলকর, রক্ত অধরপুট,
❆ তাপবিমোচন করুণ কোর তব
❆ মৃত্যু-অমৃত করে দান।
❆ তুঁহু মম শ্যামসমান।।
▣ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:
❏ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম ১৮৬১ সালের ৭ মে (১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫শে বৈশাখ) কলকাতার জোড়াসাঁকোর অভিজাত ঠাকুর পরিবারে।
❏ তিনি ছিলেন কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ ও সমাজ-সংস্কারক।
❏ তাঁর পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর।
❏ তিনি ছিলেন প্রকৃত অর্থেই অসামান্য প্রতিভাধর ব্যক্তি। বাল্যকালেই তাঁর কবি প্রতিভার উন্মেষ ঘটে।
❏ মাত্র পনের বছর বয়সে তাঁর 'বনফুল' কাব্য প্রকাশিত হয় এবং এশিয়ার বরেণ্য ব্যক্তিদের মধ্যে তিনিই প্রথম 'গীতাঞ্জলি' কাব্যের জন্য ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন।
❏ ১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট (২২শে শ্রাবণ, ১৩৪৮) জোড়াসাঁকোর বাড়িতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
▣ তাঁর রচিত প্রধান কাব্যগ্রন্থ:
❏ মানসী,
❏ সোনার তরী,
❏ চিত্রা,
❏ চৈতালী,
❏ কল্পনা,
❏ ক্ষণিকা,
❏ গীতাঞ্জলি,
❏ বলাকা,
❏ পূরবী,
❏ পুনশ্চ,
❏ পত্রপুট,
❏ সেঁজুতি,
❏ শেষ লেখা।
১২৬০. ‘পাপে বিরত হও’- বাক্যে নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৮ (দড়াটানা) ☞31.10.08
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 'পাপে বিরত হও।' - বাক্যে নিম্নরেখ শব্দটি অপাদান কারকে সপ্তমী।
▣ অপাদান কারক:
❆ যা থেকে কিছু বিচ্যুত, গৃহীত, জাত, বিরত, আরম্ভ, দূরীভূত ও রক্ষিত হয় এবং যা দেখে কেউ ভীত হয়, তাকেই অপাদান কারক বলে।
যেমন:-
❐ বিচ্যুত: গাছ থেকে পাতা পড়ে।
❐ গৃহীত: দুধ থেকে দই হয়।
❐ বিরত: পাপে বিরত হও। - অপাদান কারকে সপ্তমী।
▣ অপাদান কারকে বিভিন্ন বিভক্তি ছাড়াও হইতে, হতে, থেকে, দিয়া, দিয়ে ইত্যাদি অনুসর্গ ব্যবহৃত হয়।
১২৬১. কোনটি ‘ঘোটক’ শব্দের প্রতিশব্দ নয়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৮ (দড়াটানা) ☞31.10.08
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
ঘোটক শব্দের প্রতিশব্দ ঘোড়া, অশ্ব, তুরঙ্গ, বাজী। হিমকর শব্দের প্রতিশব্দ চাঁদ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ‘ঘোটক’ শব্দের প্রতিশব্দ নয় - হিমকর।
❐ 'চন্দ্র' শব্দের প্রতিশব্দ - হিমকর।
▣ ‘ঘোটক’ শব্দের আরো কিছু প্রতিশব্দ:
❐ অশ্ব, ঘোড়া, বাজী, হয়, তুরগ, তুরঙ্গ, তুরঙ্গম, হ্রেষা।
১২৬২. ‘একাত্তরের যীশু’ গল্পটির রচয়িতা কে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৮ (দড়াটানা) ☞31.10.08
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ‘একাত্তরের যীশু’ গল্পটির রচয়িতা - শাহরিয়ার কবির।
▣ একাত্তরের যীশু:
❐ 'একাত্তরের যীশু' গল্পগ্রন্থের নামগল্প 'একাত্তরের যীশু'।
❐ 'একাত্তরের যীশু' নামের গল্পটি প্রথম ছাপা হয় ১৯৭৩ সালে দৈনিক বাংলা পত্রিকায়।
❐ তারপর বাংলা একাডেমির একটা সংকলনে এবং সবশেষে বইয়ে ছাপা হয়েছে ১৯৮৫ সালে।
❐ মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে একটি শান্ত-সুনিবিড় জনপদকে ঘিরে রচিত হয়েছে 'একাত্তরের যিশু'।
❐ উপার্জন আর গির্জায় প্রার্থনায় সময় কাটানো মানুষগুলোর জীবনে যুদ্ধ, বিহ্বলতা ও নৃশংসতা নিয়ে হাজির হয়।
❐ দ্রুত বদলে যায় তাদের অভ্যস্ত দৃশ্যপট।
❐ হানাদারদের রোষানলে পড়ার ভয় থাকলেও দূর দূরান্ত থেকে আসা উদ্বাস্তুদের আশ্রয় দেয় তারা।
❐ আহার-চিকিৎসার ব্যবস্থাও করে।
❐ এসবে অধীর আগ্রহে সর্বাগ্রে থাকেন ডেসমন্ড ডি রোজারিও; যার পুরো জীবনই গির্জার রক্ষণাবেক্ষণে কেটেছে।
▣ শাহরিয়ার কবির:
❐ তিনি পুরোনো ঢাকার ইসলামপুরে ১৯৫০ সালের ২০ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন।
❐ বাংলায় স্নাতক অধ্যয়নকালে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন এবং যুদ্ধের পর দেশে ফিরে সাংবাদিকতা শুরু করেন 'দৈনিক বাংলা' ও 'সাপ্তাহিক বিচিত্রায়'।
❐ '৭৬-এ শাহরিয়ার কবির 'বাংলাদেশ লেখক শিবির'এর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং তিন বছরের ভেতর এটি বাংলাদেশের লেখক ও সংস্কৃতিকর্মীদের বৃহত্তম সংগঠনে পরিণত হয়।
❐ বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর জেনারেল জিয়া ও জেনারেল এরশাদের সামরিক শাসনামলে 'মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ ও আইন সাহায্য কমিটি'র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মানবাধিকার আন্দোলনের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি।
❐ গত দুই যুগ ধরে বিভিন্ন প্রগতিশীল সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ও আন্দোলনের সঙ্গে তিনি যুক্ত থেকেছেন এবং বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠ হিসেবে আন্দোলনে ও রচনাকর্মে নিয়োজিত রয়েছেন।
❐ জাহানারা ইমামের মৃত্যুর পর থেকে 'একাত্তরে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি'র হাল ধরেছেন।
❐ লেখক ও সাংবাদিক হিসেবে এশিয়া, আমেরিকা ও ইউরোপের বহু দেশ ভ্রমণ করেছেন।
❐ '৯৮-এ তিনি আত্মপ্রকাশ করেছেন প্রামাণ্য চলচ্চিত্রনির্মাতা হিসেবে।
❐ তাঁর প্রামাণ্যচিত্র 'মুক্তিযুদ্ধের গান' ও 'ক্রাইফর জাস্টিস' দেশে ও বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে।
❐ তাঁর রচনাবলী বাংলা একাডেমি ও শিশু একাডেমি সহ বহু প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পুরস্কৃত।
১২৬৩. কোনটি ‘চন্দ্র’ শব্দের প্রতিশব্দ নয়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৮ (দড়াটানা) ☞31.10.08
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ‘চন্দ্র’ শব্দের প্রতিশব্দ নয় - অর্ক।
❐ 'সূর্য' শব্দের প্রতিশব্দ - অর্ক।
▣ ‘চন্দ্র’ শব্দের আরো কিছু প্রতিশব্দ:
❐ চাঁদ, সুধাংশু, সুধাকর, শশাঙ্ক, শশধর, শশী, হিমাংশু, বিধু, নিশাকর, সোম, শীতাংশু, সুধানিধি, কলানিধি, হিমকর, ইন্দু, চন্দ্রমা, নিশাপতি, দ্বিজরাজ, নিশাকান্ত, মৃগাঙ্ক, কলাধর, কলাভৃৎ, কুমুদনাথ।
১২৬৪. কোন বানানটি শুদ্ধ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৮ (দড়াটানা) ☞31.10.08 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2000➯গ ইউনিট 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -সুরমা- ২৪.০২.১২
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 শুদ্ধ বানান - নিরীক্ষণ।
❐ ‘নিরীক্ষণ’ শব্দটি বিশেষ্য।
❐ এটি সংস্কৃত শব্দ।
❐ ‘নিরীক্ষণ’ অর্থ: যত্ন সহকারে অবলোকন, গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ।
১২৬৫. ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ গীতি নাট্যটির রচয়িতা কে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৮ (দড়াটানা) ☞31.10.08
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ কাব্যনাট্যটির রচয়িতা - সৈয়দ শামসুল হক।
❆ প্রশ্নে গীতি নাট্য লিখা থাকলেও এটি সৈয়দ শামসুল হক রচিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কাব্যনাট্য।
▣ পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়:
❐ ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ সৈয়দ শামসুল হক রচিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কাব্যনাট্য।
❐ এটি রচিত হয়েছে ১লা মে থেকে ১৩ই জুন, ১৯৭৫; লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড শহরে, আর প্রকাশ পেয়েছে ১৯৭৬ সালে।
❐ এটি বাঙালির মুক্তির চেতনায় উজ্জীবনমূলক নাটক।
❐ নাটকটিতে ১৯৭১ সালের বাংলাদেশ শত্রু মুক্ত হওয়ার সময়কালে একটি প্রত্যন্ত গ্রামের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
❐ 'পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়' মূলত মুক্তিযোদ্ধাদের আগমনের পদধ্বনি।
▣ সৈয়দ শামসুল হক:
❐ তিনি ১৯৩৫ সালের ২৭শে ডিসেম্বর; কুড়িগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
❐ তিনি মূলত একজন লেখক ছিলেন।
❐ তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার, আদমজি সাহিত্য পুরস্কার, আলাওল সাহিত্য পুরস্কার, একুশে পদক ইত্যাদি লাভ করেন।
❐ তিনি ২০১৬ সালের ২৭শে সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
❆
▣ তাঁর রচিত কাব্যনাট্য:
❐ পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়,
❐ নূরলদীনের সারাজীবন,
❐ এখানে এখন।
১২৬৬. দেখিনু সেদিন রেলে, কুলি ব’লে এক বাবু সা’ব তারে, ঠেলে দিল নীচে ফেলে!- পঙ্ক্তিটির রচয়িতা কে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৮ (দড়াটানা) ☞31.10.08 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দাজলা- ০৮.১১.১৩
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
আলোচ্য অংশটুকু বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর কুলি - মজুর কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 'দেখিনু সেদিন রেলে,
❆ কুলি ব'লে এক বাবু সা'ব তারে ঠেলে দিল নীচে ফেলে!'
❐ পংক্তিটির রচয়িতা: কাজী নজরুল ইসলাম।
▣ সাম্যবাদী:
❐ ১৯২৫ সালের ডিসেম্বরে কাজী নজরুল ইসলামের অসাধারণ ও মানবতাবাদী কাব্যগ্রন্থ ‘সাম্যবাদী’ প্রকাশিত হয়।
❐ গ্রন্থটিতে মোট ১১টি কবিতা রয়েছে।
▣ এ গ্রন্থের কবিতাগুলো হলো:
❐ সাম্যবাদী,
❐ ঈশ্বর,
❐ মানুষ,
❐ পাপ,
❐ চোর-ডাকাত,
❐ বারাঙ্গনা,
❐ মিথ্যাবাদী,
❐ নারী,
❐ রাজা-প্রজা,
❐ সাম্য,
❐ কুলিমজুর।
❆ কুলিমজুর
❐ কাজী নজরুল ইসলাম
▣ দেখিনু সেদিন রেলে,
▣ কুলি বলে এক বাবু সা’ব তারে ঠেলে দিল নীচে ফেলে!
❆ চোখ ফেটে এল জল,
❆ এমনি করে কি জগৎ জুড়িয়া মার খাবে দুর্বল?
❆ যে দধীচিদের হাড় দিয়ে ঐ বাষ্প-শকট চলে,
❆ বাবু সা’ব এসে চড়িল তাহাতে, কুলিরা পড়িল তলে।
❆ বেতন দিয়াছ?-চুপ রও যত মিথ্যাবাদীর দল!
❆ কত পাই দিয়ে কুলিদের তুই কত ক্রোর পেলি বল্‌?
▣ কাজী নজরুল ইসলাম:
❐ তিনি ছিলেন বাংলাদেশের জাতীয় কবি এবং অবিভক্ত বাংলার সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব।
❐ কাজী নজরুল ইসলাম ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে, ১৮৯৯) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
❐ তাঁর পিতা কাজী ফকির আহমদ ছিলেন মসজিদের ইমাম ও মাযারের খাদেম।
❐ কাজী নজরুল ইসলামের ডাক নাম ছিল ‘দুখু মিয়া’।
❐ বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে তিনি ‘বিদ্রোহী কবি’ এবং আধুনিক বাংলা গানের জগতে ‘বুলবুল’ নামে খ্যাত।
❐ ভারত সরকারের অনুমতিক্রমে ১৯৭২ সালের ২৪ মে কবিকে সপরিবারে স্বাধীন বাংলাদেশে আনা হয়।
❐ বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে কবির অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এক বিশেষ সমাবর্তনে কবিকে সম্মানসূচক ডি.লিট উপাধিতে ভূষিত করে।
❐ ১৯৭৬ সালের জানুয়ারি মাসে কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান এবং ২১ ফেব্রুয়ারি ‘একুশে পদকে’ ভূষিত করে।
❐ ২৯ আগস্ট, ১৯৭৬ (১২ ভাদ্র, ১৩৮৩) ঢাকার পিজি হাসপাতালে কবি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
▣ তাঁর রচিত বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ:
❐ অগ্নি-বীণা,
❐ বিষের বাঁশি,
❐ ভাঙার গান,
❐ সাম্যবাদী,
❐ সর্বহারা,
❐ ফণি-মনসা,
❐ জিঞ্জির,
❐ সন্ধ্যা,
❐ প্রলয় শিখা।
১২৬৭. ‘যাহা কষ্টে অর্জন করা যায়’ তাকে এক কথায় বলে-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (করতোয়া) ☞14.4.13 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟1997➯গ ইউনিট 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -করতোয়া- ২৪.০২.১২
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
"যাহা কষ্টে জয় করা যায় "--তাকে এক কথায় বলা হয়--
যাহা কষ্টে অর্জন করা যায় = কষ্টার্জিত ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ‘যাহা কষ্টে অর্জন করা য়ায়’ তাকে এক কথায় বলে - কষ্টার্জিত।
▣ অন্যদিকে, ❐ যা কষ্টে জয় করা য়ায় = দুর্জয়।
❐ দমন করা যায় না যাকে = অদম্য।
▣ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাক্য সংকোচন:
❐ ‘অরিকে দমন করে যে’ এর এককথায় প্রকাশ - অরিন্দম।
❐ ‘আয়ুর পক্ষে হিতকর’ এর এককথায় প্রকাশ - আয়ুষ্য।
❐ ‘বিশ্বজনের হিতকর’ এর এককথায় প্রকাশ - বিশ্বজনীন।
❐ ‘যা অতি দীর্ঘ নয়’ এর এককথায় প্রকাশ - নাতিদীর্ঘ।
১২৬৮. ‘পটল তোলা’ এই বাগধারাটির সঠিক অর্থ কোনটি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (করতোয়া) ☞14.4.13 📖 গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের সহকারী পরিচালক(বেতার প্রকৌশল প্রশিক্ষণ)-৩০.১২.০৩
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
ফলবান পটোল (পটল) গাছের সমগ্র পটোল একসাথে তোলা হলে পটোল গাছটির মৃত্যু হয়; তাই পটোল তোলার মানে মৃত্যু। চোখের অপর নাম অক্ষিপটল - মৃত্যু হলে চোখ বা অক্ষিপটল উপরের দিকে উল্টে যায়; তাই পটল তোলা দ্বারা মৃত্যুকে বুঝায়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ‘পটল তোলা’ বাগ্‌ধারাটির সঠিক অর্থ - মারা যাওয়া।
▣ এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাগ্‌ধারা:
❐ অক্কা পাওয়া = মারা যাওয়া।
❐ গঙ্গা পাওয়া = মারা যাওয়া।
❐ পঞ্চত্ব প্রাপ্ত = মারা যাওয়া।
১২৬৯. কোনটি শুদ্ধ বানান?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (করতোয়া) ☞14.4.13 📖 শিক্ষা অফিসার-১৯.০৩.০৪ 📖 রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়➟2021➯A ইউনিট➺Group-1
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
সরীসৃপ- বুকে ভর দিয়ে চলে এমন প্রাণীকে সরীসৃপ বলে।
এরকম আরো শুদ্ধ বানানের উদাহরণ হলো: মৎস্যজীবী, আবিস্কার, পরীক্ষা, অশরীরী ইত্যাদি।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 সঠিক উত্তর - সরীসৃপ।
❐ ‘সরীসৃপ’ শব্দটি বিশেষ্য।
❐ এটি সংস্কৃত শব্দ।
❐ ‘সরীসৃপ’ অর্থ: বুকে ভর দিয়ে চলে এমন ডিম্বজ মেরুদণ্ডী প্রাণী (সাপ, টিকটিকি, কুমির প্রভৃতি)।
১২৭০. ‘চাক্ষুস’ এর বিপরীত শব্দ-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (করতোয়া) ☞14.4.13 📖 শ্রম অধিদপ্তরে শ্রম কর্মকর্তা এবং জনসংখ্যা ও পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তা-১০.০৩ 📖 গণপূর্ত অধিদপ্তর ➺অফিস সহায়ক ☞20.5.23
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
চাক্ষুষ শব্দের অর্থ - দৃষ্টিলব্ধ, দৃষ্টিপাত, দৃষ্টিগোচর, দৃষ্টিসংক্রান্ত, দর্শনসংক্রান্ত ইত্যাদি। প্রদত্ত শব্দটি একটি বিশেষণ পদ। অগোচর শব্দের অর্থ - অদৃশ্য, গুপ্ত, গুঢ়, দৃষ্টির আড়াল ইত্যাদি।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 'চাক্ষুষ' শব্দের অর্থ - চোখে চোখে লব্ধ, চোখে দেখা, প্রত্যক্ষ।
▣ 'অদৃশ্য' শব্দের অর্থ - দেখা যায় না এমন, দৃষ্টির অগোচর।
▣ নিরিবিলি শব্দের অর্থ - নিভৃত, নিরালা, নির্জন, বিজন, জনমানবশূন্য।
▣ নিভন্ত শব্দের অর্থ - প্রায় নিভে যাচ্ছে এমন, নিভুনিভু।
▣ 'অগোচর' শব্দের অর্থ - বুদ্ধি বা ইন্দ্রিয়ের অতীত, অপ্রত্যক্ষ, অজ্ঞাত।
▣ সুতরাং, শব্দের অর্থ অনুসারে, ‘চাক্ষুষ’ এর বিপরীত শব্দ - অগোচর।
▣ অন্যদিকে, ▣ দৃশ্য - অদৃশ্য।
▣ জ্বলন্ত - নিভন্ত।
১২৭১. আলোয় আঁধার দূর হয়- বাক্যে ‘আলোয়’ শব্দটি কোন কারকের উদাহরণ?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (করতোয়া) ☞14.4.13 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2013➯B ইউনিট 📖 বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়➟2013➯A ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 আলোয় আঁধার দূর হয় - বাক্যে ‘আলোয়’ শব্দটি করণ কারকের উদাহরণ।
▣ করণ কারক:
❐ 'করণ' শব্দটির অর্থ: যন্ত্র, সহায়ক বা উপায়।
❐ ক্রিয়া সম্পাদনের যন্ত্র, উপকরণ বা সহায়ককেই করণ কারক বলা হয়।
❐ বাক্যস্থিত ক্রিয়াপদের সঙ্গে 'কীসের দ্বারা' বা 'কী উপায়ে' প্রশ্ন করলে যে উত্তরটি পাওয়া যায়, তা-ই করণ কারক।
যেমন:-
❆ নীরা কলম দিয়ে লেখে। (উপকরণ - কলম)
❆ 'জগতে কীর্তিমান হয় সাধনায়।' (উপায় - সাধনা)
▣ আলোয় আঁধার দূর হয় - বাক্যস্থিত ক্রিয়াপদের সঙ্গে 'কী উপায়ে' প্রশ্ন করলে উত্তর পাওয়া যায় 'আলোয়' (উপায় - আলো), তাই এটি করণ কারক।
▣ আলোয় আঁধার দূর হয় - করণে সপ্তমী।
১২৭২. কাননে কুসুম কলি সকলি ফুটিল- বাক্যে নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (করতোয়া) ☞14.4.13 📖 প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও মন্ত্রিপরিষদ কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা-২৭.০২.০৪
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
প্রদত্ত পংক্তিতে ‘কাননে’ স্থান জাতীয় শব্দ হওয়ার কারণে এটির কারক হবে অধিকরণে ৭মী।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 কাননে কুসুম কলি সকলি ফুটিল - বাক্যে নিম্নরেখ শব্দটি অধিকরণে সপ্তমী।
▣ অধিকরণ কারক:
❐ ক্রিয়ার আধারকে বলা হয় অধিকরণ কারক। আধার বলতে ক্রিয়া নিষ্পন্ন হওয়ার স্থান, কাল ও ভাবকে বোঝায়।
❆ অর্থাৎ ক্রিয়া সম্পাদনের কাল এবং আধারকে বলা হয় অধিকরণ কারক।
❐ অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি অর্থাৎ 'এ', 'য়', 'তে' ইত্যাদি বিভক্তি যুক্ত হয়।
❐ বাক্যের ক্রিয়াপদকে কোথায়, কখন ও কোনো বিষয় ইত্যাদি দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়,তা-ই অধিকরণ কারক।
যেমন:-
❐ আধার (স্থান) : আমরা প্রতিদিন কলেজে যাই।
❐ কাল (সময়): প্রভাতে সূর্য উঠে।
▣ কাননে কুসুম কলি সকলি ফুটিল - বাক্যের ক্রিয়াপদকে 'কখন' দিয়ে প্রশ্ন করলে 'কাননে' (সময়) উত্তর পাওয়া যায়, তাই এটি অধিকরণ কারক।
▣ কাননে কুসুম কলি সকলি ফুটিল - অধিকরণে সপ্তমী।
১২৭৩. নিচের কোনটি সূর্যের প্রতিশব্দ?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (করতোয়া) ☞14.4.13 📖 রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়➟2013➯A ইউনিট 📖 বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সহকারী সচিব/সহকারী পরিচালক (প্রশাসন)-৬.১৬
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 সূর্যের প্রতিশব্দ - সবিতা।
▣ সূর্যের আরো কিছু প্রতিশব্দ:
❐ রবি,
❐ তপন,
❐ ভানু,
❐ ভাস্কর,
❐ আদিত্য,
❐ প্রভাকর,
❐ দিবাকর,
❐ বিভাবসু,
❐ দিনমণি,
❐ মার্তণ্ড,
❐ অংশুমালী,
❐ অরুণ।
▣ অন্যদিকে, ❐ পৃথিবীর প্রতিশব্দ = অবনী।
❐ চাঁদের প্রতিশব্দ = সুধাকর, কলানিধি।
১২৭৪. সৌম্য- এর বিপরীত শব্দ-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (করতোয়া) ☞14.4.13 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দানিয়ুব- ০৮.১১.১৩ 📖 প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও মন্ত্রিপরিষদ কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা-২৭.০২.০৪
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
সৌম্য এর বিপরীত শব্দ হলো - উগ্র।
শান্ত এর বিপরীত শব্দ হলো - অশান্ত।
কঠিন এর বিপরীত শব্দ হলো - সহজ।
উগ্র শব্দের অর্থ - অভদ্র।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 'সৌম্য' এর বিপরীত শব্দ - উগ্র।
▣ অন্যদিকে, ❐ 'শান্ত' এর বিপরীত শব্দ = অশান্ত / দুরন্ত / চঞ্চল।
❐ 'উদ্ধত' এর বিপরীত শব্দ = বিনীত।
❐ 'কঠিন' এর বিপরীত শব্দ = সহজ।
১২৭৫. কোনটি শুদ্ধ বানান?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (করতোয়া) ☞14.4.13 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -শাপলা- ১১.০৯.০৯ 📖 বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (সহকারী ব্যবস্থাপক) 25-09-2020
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 সঠিক উত্তর - নির্নিমেষ।
❐ ‘নির্নিমেষ’ শব্দটি বিশেষণ।
❐ এটি সংস্কৃত শব্দ।
❐ ‘নির্নিমেষ’ অর্থ: নিমেষহীন, অপলক।
১২৭৬. নিচের কোন শব্দটি রূপক কর্মধারয় সমাসের একটি উদাহরণ?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (করতোয়া) ☞14.4.13 📖 সিনিয়র অফিসার ১৫. ১১.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
মনমাঝি এর ব্যাস বাক্য - মন রূপ মাঝি,,
যে সকল বাক্যে একটা বস্তুর অন্য বস্তুর রূপক কল্পনা করা হয় তাকে রূপক কর্মধারয় সমাস বলে,,,,যেমন: বিষাদ সিন্ধু - বিষাদ রূপ সিন্ধু
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 রূপক কর্মধারায় সমাসের উদাহরণ - মনমাঝি।
▣ রূপক কর্মধারায় সমাস:
❆ কিছু কর্মধারয় সমাসে উপমেয় পদের সাথে উপমান পদের অভেদ কল্পনা করা হয়। এগুলোকে রূপক
❆ কর্মধারয় সমাস বলে।
যেমন:-
❐ বিষাদ রূপ সিন্ধু = বিষাদসিন্ধু,
❐ মন রূপ মাঝি = মনমাঝি,
❆ - ক্রোধ রূপ অনল = ক্রোধানল।
❐ আনন্দ রূপ সাগর = আনন্দসাগর।
❐ পরান রূপ পাখি = পরানপাখি।
১২৭৭. নিচের কোন শব্দটি বহুব্রীহি সমাসের উদাহরণ?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (করতোয়া) ☞14.4.13
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
বহুব্রীহি সমাস: বহু ব্রিহি যার - বহুব্রীহি।ঠিক তেমনি ভাবে,বীণা পাণি যার - বীণাপাণি।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 'বীণাপাণি' শব্দটি বহুব্রীহি সমাসের উদাহরণ।
▣ ব্যাধিকরণ বহুব্রীহি:
❆ বহুব্রীহি সমাসের পূর্বপদ এবং পরপদ কোনোটিই যদি বিশেষণ না হয়, তবে তাকে বলে ব্যাধিকরণ বহুব্রীহি।
যথা:
❐ আশীতে (দাঁতে) বিষ যার = আশীবিষ,
❐ কথা সর্বস্ব যার = কথাসর্বস্ব,
❐ বীণা পানিতে যার = বীণাপাণি।
❆
▣ পরপদ কৃদন্ত বিশেষণ হলেও ব্যাধিকরণ বহুব্রীহি সমাস হয়।
যেমন:-
❐ দুই কান কাটা যার = দু কানকাটা,
❐ বোঁটা খসেছে যার = বোঁটাখসা।
❆ অনুরূপভাবে - ছা-পোষা, পা-চাটা, পাতা-চাটা, পাতাছেঁড়া, ধামাধরা ইত্যাদি।
▣ অন্যদিকে, ❐ চৌরাস্তা = দ্বিগু কর্মধারয় সমাস।
❐ বনস্পতি = ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস।
❐ সিংহাসন = মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস।
১২৭৮. নিচের বাক্যে ‘সুন্দর’ শব্দটি কোন পদ? “সুন্দরের একটি নিজস্ব আকর্ষণ শক্তি আছে”।
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (করতোয়া) ☞14.4.13 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟1996➯ঘ ইউনিট 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2006➯D ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
সুন্দরের একটি নিজস্ব আকর্ষণ শক্তি আছে। এ বাক্যে সুন্দর হলো বিশেষ্য পদ।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ‘সুন্দরের একটি নিজস্ব আকর্ষণ শক্তি আছে’ - এই বাক্যে ‘সুন্দর’ শব্দটি হলো 'বিশেষ্য' পদ।
❐ এখানে 'সুন্দর' হলো গুণবাচক বিশেষ্য।
▣ গুণবচক বিশেষ্য:
❆ যে বিশেষ্য দ্বারা কোনো বস্তুর দোষ বা গুণের নাম বোঝায়, তা-ই গুণবাচক বিশেষ্য।
যথা:
▣ মধুর মিষ্টত্বের গুণ - মধুরতা।
▣ তরল দ্রব্যের গুণ - তারল্য।
▣ তিক্ত দ্রব্যের দোষ বা গুণ - তিক্ততা।
▣ তরুণের গুণ - তারুণ্য ইত্যাদি।
❆ তদ্রুপ: সৌরভ, স্বাস্থ্য, যৌবন, সুখ, দুঃখ ।
১২৭৯. ‘বসন্তকুমারী’ নাটক কার রচনা?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (করতোয়া) ☞14.4.13
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
"বসন্তকুমারী " নাটক রচনা করেছেন - মীর মশাররফ হোসেন। মীর মশাররফ ছিলেন একজন বাঙালি ঔপন্যাসিক, নাট্যকার এবং প্রাবন্ধিক। তিনি বাংলা ভাষার অন্যতম প্রধান গদ্যশিল্পী ও বাঙালি মুসলমান সাহিত্যিকদের পথিকৃৎ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ‘বসন্তকুমারী’ নাটক মীর মোশাররফ হোসেন এর রচনা।
▣ মীর মোশাররফ হোসেন:
❐ তিনি ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলার লাহিনীপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
❐ তিনি ছিলেন ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক।
❐ তিনি ছিলেন বঙ্কিমযুগের অন্যতম প্রধান গদ্যশিল্পী ও উনিশ শতকের বাঙালি মুসলমান সাহিত্যিকদের পথিকৃৎ।
❐ মীর মশাররফ হোসেন ছাত্রাবস্থায় 'সংবাদ প্রভাকর' (১৮৩১) ও কুমারখালির 'গ্রামবার্তা প্রকাশিকা'-র (১৮৬৩) মফঃস্বল সংবাদদাতার দায়িত্ব পালন করেন। এখানেই তাঁর সাহিত্যজীবনের শুরু।
❐ গ্রামবার্তার সম্পাদক কাঙাল হরিনাথ ছিলেন তাঁর সাহিত্যগুরু।
❐ মীর মশাররফ হোসেন 'আজীজননেহার' (১৮৭৪) ও 'হিতকরী' (১৮৯০) নামে দুটি পত্রিকাও সম্পাদনা করেন।
❐ মীর মশাররফ হোসেন 'গাজী মিয়াঁ' ছদ্মনামে লিখতেন।
❐ বাংলা সাহিত্যে মুসলমান রচিত প্রথম উপন্যাস 'রত্নবতী' ও নাটক 'বসন্তকুমারী' তাঁর রচনা।
❐ তাঁর শ্রেষ্ঠ রচনা 'বিষাদ-সিন্ধু' উপন্যাস।
▣ তাঁর রচিত উপন্যাস:
❐ রত্নবতী,
❐ বিষাদ-সিন্ধু,
❐ উদাসীন পথিকের মনের কথা।
▣ তাঁর রচিত নাটক:
❐ বসন্তকুমারী,
❐ জমিদার দর্পণ,
❐ বেহুলা গীতাভিনয়,
❐ টালা অভিনয়।
▣ তাঁর রচিত আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ:
❐ গাজী মিয়াঁর বস্তানী,
❐ আমার জীবনী,
❐ কুলসুম জীবনী।
▣ তাঁর রচিত প্রবন্ধগ্রন্থ:
❐ গো-জীবন।
১২৮০. ‘সঞ্চিতা’ কোন কবির কাব্যসংকলন?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (করতোয়া) ☞14.4.13
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
সঞ্চিতা হলো কাজী নজরুল ইসলামের একটি কাব্যগ্রন্থ আর সঞ্চয়িতা হলো রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্যগ্রন্থ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 সঞ্চিতা:
❐ 'সঞ্চিতা' কাজী নজরুল ইসলামের অনুমোদনে প্রকাশিত তাঁর কবিতার নির্বাচিত সংগ্রহ।
❐ ১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশ পায়।
❐ উৎসর্গ করেন এই লিখে: 'বিশ্বকবিসম্রাট রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শ্রীশ্রীচরণারবিন্দেষু'।
❐ ৭৮টি কবিতা ও গান এখানে সংকলিত।
❐ কাজী নজরুল ইসলামের কবিতার ধারা বুঝবার জন্য এ সংকলনটি গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, জীবিতাবস্থায় কাজী নজরুল ইসলাম এগুলোকেই তাঁর শ্রেষ্ঠ কাব্যসৃষ্টি বলে অনুমোদন করে গেছেন।
▣ কাজী নজরুল ইসলাম:
❆ - কাজী নজরুল ইসলাম ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে, ১৮৯৯) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
❐ তিনি ছিলেন বাংলাদেশের জাতীয় কবি এবং অবিভক্ত বাংলার সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব।
▣ তাঁর পিতা কাজী ফকির আহমদ ছিলেন মসজিদের ইমাম ও মাযারের খাদেম।
❐ কাজী নজরুল ইসলামের ডাক নাম ছিল ‘দুখু মিয়া’।
❐ বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে তিনি ‘বিদ্রোহী কবি’ এবং আধুনিক বাংলা গানের জগতে ‘বুলবুল’ নামে খ্যাত।
❐ ভারত সরকারের অনুমতিক্রমে ১৯৭২ সালের ২৪ মে কবিকে সপরিবারে স্বাধীন বাংলাদেশে আনা হয়।
❐ বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে কবির অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এক বিশেষ সমাবর্তনে কবিকে সম্মানসূচক ডি.লিট উপাধিতে ভূষিত করে।
❐ ১৯৭৬ সালের জানুয়ারি মাসে কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান এবং ২১ ফেব্রুয়ারি ‘একুশে পদকে’ ভূষিত করে।
❐ ২৯ আগস্ট ১৯৭৬ (১২ ভাদ্র, ১৩৮৩) ঢাকার পিজি হাসপাতালে কবি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
▣ তাঁর রচিত বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থগুলো:
❐ অগ্নি-বীণা,
❐ বিষের বাঁশি,
❐ ভাঙার গান,
❐ সাম্যবাদী,
❐ সর্বহারা,
❐ ফণি-মনসা,
❐ জিঞ্জির,
❐ সন্ধ্যা,
❐ প্রলয় শিখা।
১২৮১. ‘আব্দুল্লাহ’ উপন্যাসের লেখকের নাম-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (করতোয়া) ☞14.4.13
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
"আবদুল্লাহ” উপন্যাসটির লেখক কাজী ইমদাদুল হক । কাজী ইমদাদুল হক (১৮৮২ - ১৯২৬) সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ । মুসলিম সমাজের প্রতিচ্ছবি হিসেবে \"আব্দুল্লাহ\" উপন্যাসটি (১৯৩৩) ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ‘আবদুল্লাহ’ উপন্যাসের লেখকের নাম - কাজী ইমদাদুল হক।
▣ কাজী ইমদাদুল হক:
❐ তিনি ১৮৮২ সালের ৪ নভেম্বর খুলনা জেলার গোদাইপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
❐ তিনি ছিলেন শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক।
❐ তিনি ১৯১১ সালে ঢাকার শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয়ে ভূগোলের অধ্যাপক, ১৯১৪ সালে ঢাকা বিভাগের মুসলিম শিক্ষার সহকারী স্কুল-পরিদর্শক এবং ১৯১৭ সালে কলকাতা ট্রেনিং স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিযুক্ত হন।
❐ তিনি বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকা (১৯১৮) প্রকাশনা কমিটির সভাপতি ছিলেন।
❐ ১৯২১ সালে নবপ্রতিষ্ঠিত ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের প্রথম কর্মাধ্যক্ষ হয়ে জীবনের শেষদিন পর্যন্ত উক্ত পদে বহাল ছিলেন।
❐ অত্যন্ত যোগ্যতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে শিক্ষা বিভাগের দায়িত্ব পালন করায় সরকার তাঁকে ১৯১৯ সালে ‘খান সাহেব’ এবং ১৯২৬ সালে ‘খান বাহাদুর’ উপাধিতে ভূষিত করে।
❐ ১৯২৬ সালের ২০ মার্চ কলকাতায় তাঁর মৃত্যু হয়।
▣ তাঁর রচিত উপন্যাস:
❐ আবদুল্লাহ।
▣ তাঁর রচিত কাব্য:
❐ আঁখিজল,
❐ লতিকা।
▣ তাঁর রচিত প্রবন্ধ:
❐ প্রবন্ধমালা।
▣ তাঁর রচিত শিশুতোষগ্রন্থ:
❐ নবীকাহিনী।
১২৮২. ‘জুলেখার মন’ কাব্যগ্রন্থটির রচয়িতা কে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (যমুনা) ☞14.4.13
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 মোহাম্মদ মাহফুজুল্লাহ:
▣ তিনি ১৯৩৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
▣ তিনি কাব্যরচনায় বিশিষ্ঠতা দেখিয়েছেন।
❐ তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যের নাম:
▣ জুলেখার মন,
▣ রক্তিম হৃদয়,
▣ আপন ভুবনে,
▣ বৈরিতার হাতে বন্দি,
▣ মোহাম্মদ মাহফুজুল্লাহর কাব্যসম্ভার ইত্যাদি।
১২৮৩. ‘ছোটদের অভিনয়’ নাটকটি কার রচনা?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (যমুনা) ☞14.4.13
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
📝 আল কামাল আবদুল ওহাব
▣ আল কামাল আবদুল ওহাব বাংলাদেশের একজন প্রথিতযশা শিশুসাহিত্যিক, ছড়াকার, নাট্যকার, গীতিকার ও সাহিত্য অনুবাদক।
▣ তিনি ৩১ ডিসেম্বর ১৯৩৮ সালে সাতক্ষীরা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।
▣ শিশুসাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ১৯৮০ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান।
▣ তিনি ২০০৮ সালের ২৯ মে মৃত্যুবরণ করেন।
❐ উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ:
▣ মহেশখালীর পথে
▣ বাস্কারভিলের বিভীষিকা
❐ - ছোটদের অভিনয়
▣ ছোটদের শ্রেষ্ঠ গল্প
▣ নিরুদ্দেশের পথে
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 আলাউদ্দিন আল আজাদ:
▣ তিনি একাধারে শিক্ষাবিদ, কবি, কথাশিল্পী, প্রাবন্ধিক, শিশুসাহিত্যিক, গবেষক, সাহিত্য-সমালোচক ছিলেন।
▣ জন্ম ৬ মে ১৯৩২ সালে, নরসিংদী জেলার রায়পুর থানার রামনগর গ্রামে।
▣ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনার্সসহ স্নাতক (১৯৫৩) ও স্নাতকোত্তর (১৯৫৪)।
▣তেইশ নম্বর তৈলচিত্র উপন্যাসটির বিষয়বস্ত্ত অবলম্বনে বসুন্ধরা নামে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক সুভাষ দত্ত।
❐ তাঁর উল্লেখযোগ্য গল্পগন্থ:
▣ জেগে আছি,
▣ ধানকন্যা,
▣ জীবন জমিন প্রভৃতি।
❐ তাঁর উপন্যাস:
❐ - তেইশ নম্বর তৈলচিত্র,
▣ কর্ণফুলী,
▣ শেষরাত বসন্তের প্রথমদিন,
▣ ক্ষুধা ও আশা,
▣ শ্যামল ছায়ার সংবাদ।
❐ নাটক:
❐ - ধন্যবাদ,
▣ নিঃশব্দ যাত্রা,
▣ নরকে লাল গোলাপ।
❐ কাব্যগ্রন্থগুলো মধ্যে:
❐ - মানচিত্র,
▣ ভোরের নদীর মোহনায় জাগরণ,
▣ লেলিহান পান্ডুলিপি,
▣ নিখোঁজ সনেটগুচ্ছ,
▣ সাজঘর,
▣ শ্রেষ্ঠ কবিতা।
১২৮৪. ‘তেইশ নম্বর তৈলচিত্র’ উপন্যাসটি কে রচনা করেছেন?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (যমুনা) ☞14.4.13
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
আলাউদ্দিন আল আজাদ (১৯৩২ - ২০০৯) রচিত গ্রন্হসমূহ হরো :
১. গল্পগ্রন্থ : জেগে আছি, ধানকন্যা, মৃগনাভি, উজান তরঙ্গে, অন্ধকার সিঁড়ি, যকন সৈকত, ।
২. উপন্যাস : তেইশ নম্বর তৈলচিত্র, কর্ণফুলি, ক্ষুধা ও আশা, খসড়া, কাগজ
৩. কাব্য : মানচিত্র
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 আলাউদ্দিন আল আজাদ:
▣ তিনি একাধারে শিক্ষাবিদ, কবি, কথাশিল্পী, প্রাবন্ধিক, শিশুসাহিত্যিক, গবেষক, সাহিত্য-সমালোচক ছিলেন।
▣ জন্ম ৬ মে ১৯৩২ সালে, নরসিংদী জেলার রায়পুর থানার রামনগর গ্রামে।
▣ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনার্সসহ স্নাতক (১৯৫৩) ও স্নাতকোত্তর (১৯৫৪)।
▣তেইশ নম্বর তৈলচিত্র উপন্যাসটির বিষয়বস্ত্ত অবলম্বনে বসুন্ধরা নামে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক সুভাষ দত্ত।
❐ তাঁর উল্লেখযোগ্য গল্পগন্থ:
▣ জেগে আছি,
▣ ধানকন্যা,
▣ জীবন জমিন প্রভৃতি।
❐ তাঁর উপন্যাস:
❐ - তেইশ নম্বর তৈলচিত্র,
▣ কর্ণফুলী,
▣ শেষরাত বসন্তের প্রথমদিন,
▣ ক্ষুধা ও আশা,
▣ শ্যামল ছায়ার সংবাদ।
❐ নাটক:
❐ - ধন্যবাদ,
▣ নিঃশব্দ যাত্রা,
▣ নরকে লাল গোলাপ।
❐ কাব্যগ্রন্থগুলো মধ্যে:
❐ - মানচিত্র,
▣ ভোরের নদীর মোহনায় জাগরণ,
▣ লেলিহান পান্ডুলিপি,
▣ নিখোঁজ সনেটগুচ্ছ,
▣ সাজঘর,
▣ শ্রেষ্ঠ কবিতা।
১২৮৫. কোনটি শুদ্ধ বানান?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (যমুনা) ☞14.4.13 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -করতোয়া- ০৮.০১.১০
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
উল্লেখিত বিকল্পগুলোর মধ্যে একমাত্র সদ্যোজাত শব্দটি'ই শুদ্ধ বানানে লেখা। এছাড়া অন্য শব্দগুলো ভুল বানানে লেখা রয়েছে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 সদ্যোজাত:
❐ - এটি একটি বিশেষ্য পদ।
▣ এর সমার্থক শব্দ 'নবজাতক'।
১২৮৬. কোনটি শুদ্ধ বানান?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (যমুনা) ☞14.4.13
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
এখানে একমাত্র (খ) নং অপশনে পঙ্কিল বানান এ শুদ্ধরুপে লেখা আছে। বাকী সব বানান এ ভুল।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 পঙ্কিল:
▣ উচ্চারণ হচ্ছে [পোঙ্‌কিল্‌]।
▣ এটি একটি তৎসম বা সংস্কৃত শব্দ।
▣ বিশেষণ হচ্ছে পঙ্কময়।
▣ সমার্থক শব্দ হচ্ছে: কর্মাক্ত, কাদাপূর্ণ।
▣ এর প্রকৃতি প্রত্যয় হচ্ছে পঙ্ক + ইল = ইলচ্‌।
১২৮৭. ‘আজকে নগদ কালকে ধার’ বাক্যে নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (যমুনা) ☞14.4.13
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
" আজকে নগদ কালকে ধার " বাক্যের নিম্নরেখ শব্দটি অধিকরণ কারকে ২য়া বিভক্তি।
ক্রিয়া সম্পাদনের কাল (সময়) এবং আধারকে অধিকরণ কারক বলে।
অধিকরণ কারকে দ্বিতীয়া বিভক্তি হলো যেমন: মন আমার নাচে রে আজিকে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 অধিকরণ কারক:
❐ - যে কারকে স্থান, কাল, বিষয় ও ভাব নির্দেশিত হয়, তাকে অধিকরণ কারক বলে।
▣ এই কারকে সাধারণত '-এ', '-য়', 'তে' ইত্যাদি বিভক্তি শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়। যেমন:
▣ বাবা বাড়িতে আছেন,
▣ বিকাল পাঁচটায় অফিস ছুটি হবে,
▣ আজকে নগদ কালকে ধার, ইত্যাদি।
❐
১২৮৮. ‘রেখো মা দাসেরে মনে’। বাক্যে নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (যমুনা) ☞14.4.13 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -তিতাস- ০৮.০১.১০ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -তিতাস- ০৮.০১.১০
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
❝রেখো মা দাসেরে মনে।❞এই বাক্যে, দাসেরে শব্দটি কর্ম কারকে ২য়া বিভক্তি। কে বা কাকে দিয়ে প্রশ্ন করলে, যে উত্তর পাওয়া যায় তাকে কর্ম কারক বলা হয়। কোন শব্দের শেষে কে/রে যুক্ত থাকলে তা ২য়া বিভক্তির উদাহরণ।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 কর্ম কারক:
▣ যাকে আশ্রয় করে কর্তা ক্রিয়া সম্পাদন করে, তাকে কর্ম কারক বলে।
▣ বাক্যে মুখ্য কর্ম ও গৌণ কর্ম - উভয় ধরনের কর্মই কর্ম কারক হিসেবে গণ্য।
▣ সাধারণত মুখ্য কর্ম কারকে বিভক্তি হয় না, তবে গৌণ কর্ম কারকে- 'কে' বিভক্তি হয়।যেমন:
▣ সে রোজ সকালে এক প্লেট ভাত খায়,
▣ শিক্ষককে জানাও,
▣ অসহায়কে সাহায্য করো, ইত্যাদি।
❐ কাব্যভাষায় কর্মকারকে 'রে' বিভক্তি হয়। যেমন:
▣ আমারে তুমি করিবে ত্রাণ এ নহে মোর প্রার্থনা।
▣ রেখো মা দাসেরে মনে।
১২৮৯. ‘অনুগ্রহ’- এর বিপরীতার্থক শব্দ-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (যমুনা) ☞14.4.13 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -ক্যামেলিয়া- ১২.১০.১২ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -বেলী- ১১.০৯.০৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
অনুগ্রহের বিপরীত শব্দ হলো নিগ্রহ।
সন্ধির বিপরীত শব্দ হলো বিগ্রহ।
যুদ্ধ এর বিপরীত শব্দ হলো শান্তি।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 - ‘অনুগ্রহ’ এর বিপরীতার্থক শব্দ হচ্ছে 'নিগ্রহ'।
▣ 'প্রতিগ্রহ' এর বিপরীতার্থক শব্দ হচ্ছে 'অপ্রতিগ্রহ'।
▣ 'বিগ্রহ' এর বিপরীতার্থক শব্দ হচ্ছে 'সন্ধি'।
▣ 'দয়া' এর বিপরীতার্থক শব্দ হচ্ছে 'নির্দয়তা/নিষ্ঠুরতা।
১২৯০. ‘কিরণ’ এর সমার্থক শব্দ নয়-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (যমুনা) ☞14.4.13 📖 রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়➟2011➯A5 ইউনিট 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - গামা- ১৮.০৪.১৪
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
কিরণ এর সমার্থক শব্দ হরো : অংশু, কর, প্রভা, দীপ্তি, জ্যোতি , রশ্মি, ময়ূখ ইত্যাদি।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 'সূর্য' শব্দের সমার্থক শব্দ গুলো:
❐ - রবি,
❐ - তপন,
▣ ভানু,
▣ ভাস্কর,
▣ আদিত্য,
▣ সবিতা,
▣ প্রভাকর,
▣ দিবাকর,
▣ বিভাবসু,
▣ মার্তণ্ড ইত্যাদি।
❐ ‘কিরণ’ এর সমার্থক শব্দ:
❐ - রশ্মি,
▣ শিখা,
▣ আলোকচ্ছটা,
▣ কর,
▣ প্রভা,
▣ দীপ্তি,
▣ জ্যোতি,
▣ অংশু ইত্যাদি।
১২৯১. সমাসবদ্ধ পদের পরবর্তী অংশকে কি বলা হয়?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (যমুনা) ☞14.4.13
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
সমাসবদ্ধ শব্দের প্রথম অংশকে বলা হয় পূর্বপদ এং পরের অংশকে বলা হয় পরপদ / উত্তরপদ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 সমাস:
▣ অর্থসম্বন্ধ আছে এমন একাধিক শব্দের এক সঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি নতুন শব্দ গঠন প্রক্রিয়াকে সমাস বলে।
❐ যেমন:- দেশের সেবা = দেশসেবা,
▣ বই ও পুস্তক = বইপুস্তক,
▣ নেই পরোয়া যার = বেপরোয়া ইত্যাদি।
❐ ❖ সমাসের প্রক্রিয়ায় সমাসবদ্ধ বা সমাসনিষ্পন্ন পদটির নাম সমস্ত পদ বলে।
❐ ❖ সমস্ত পদ বা সমাসবদ্ধ পদটির অন্তর্গত পদগুলোকে সমস্যমান পদ বলে।
❐ ❖ সমাসযুক্ত পদের প্রথম অংশ (শব্দ)- কে বলা হয় পূর্বপদ এবং পরবর্তী অংশ (শব্দ)- কে বলা হয় উত্তরপদ বা পরপদ।
১২৯২. তৎপুরুষ সমাসে কোন পদ প্রধান?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (যমুনা) ☞14.4.13 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -পদ্মা- ২৪.০২.১২
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
পূর্বপদের বিভক্তির লোপে যে সমাস হয় এবং যে সমাসে পরপদের অর্থ প্রধানভাবে বোঝায় তাকে তৎপুরুষ সমাস বলে
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 তৎপুরুষ সমাস:
❐ - সমস্যমান পদের বিভক্তি ও সন্নিহিত অনুসর্গ লোপ পেয়ে যে সমাস হয়, তার নাম তৎপুরুষ সমাস।
▣ এই সমাসে পরপদের অর্থ প্রাধান্য পায়।
❐ যেমন:
❐ - মামার বাড়ি = মামাবাড়ি,
▣ ধানের খেত = ধানখেত,
▣ পথের রাজা = রাজপথ,
▣ মধু দিয়ে মাখা = মধুমাখা,
▣ তেলে ভাজা = তেলেভাজা (অলুক তৎপুরুষ সমাস) ইত্যাদি।
১২৯৩. কোনটি স্বরসন্ধির উদাহরণ?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (যমুনা) ☞14.4.13 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৮.০৮.১৫
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
স্বরধ্বনির সাথে স্বরধ্বনির মিলনে যে সন্ধি হয় তাকে স্বরসন্ধি বলে। যেমন : বিদ্যা + আলয় = বিদ্যালয়, হিম + আলয় = হিমালয় ইত্যাদি।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 স্বরসন্ধি:
❐ - স্বরধ্বনির সঙ্গে স্বরধ্বনির মিলনের নাম স্বরসন্ধি।
▣ অ-কার কিংবা আ-কারের পর অ-কার কিংবা আ-কার থাকলে উভয় মিলে আ-কার হয়, আ-কার পূর্ববর্তী ব্যঞ্জনের সঙ্গে যুক্ত হয়। যেমন:
▣ নর + অধম = নরাধম,
▣ হিম + আলয় = হিমালয়,
▣ যথা + অর্থ = যথার্থ,
▣ বিদ্যা + আলয় = বিদ্যালয় ইত্যাদি।
▣ ণিজন্ত ব্যঞ্জন সন্ধি।
▣ অহরহ বিসর্গ সন্ধি।
▣ দুঃশ্চিন্তা বিসর্গ সন্ধি।
১২৯৪. ‘একাদশে বৃহস্পতি’ – এর অর্থ কি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (যমুনা) ☞14.4.13 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ১৬.১০.১৫ 📖 দুর্নীতি দমন ব্যুরোর সহকারী উপ-পরিদর্শক.০৪
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
একাদশে বৃহস্পতি একটি বাগধারা। প্রদত্ত বাগধারাটির অর্থ - সৌভাগ্যের বিষয়। যেমন: এখন তার একাদশে বৃহস্পতি, ধুলোমুঠোও সোনামুঠো হচ্ছে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 নিম্নে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাগধারা দেওয়া হলো:
▣ একাদশে বৃহস্পতি = সৌভাগ্যের বিষয়।
❐ - অদৃষ্টের পরিহাস = ভাগ্যের নিষ্ঠুরতা।
▣ শাখের করাত = উভয় সংকট।
▣ আটকপালে = হতভাগ্য।
▣ কাঁচা টাকা = নগদ উপার্জন।
▣ কেতাদুরস্ত = পরিপাটি।
▣ কৈ মাছের প্রাণ = যা সহজে মরে না।
▣ গোবর গণেশ = মূর্খ।
১২৯৫. ‘কৌশলে কার্যোদ্ধার’ – কোনটির অর্থ?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (যমুনা) ☞14.4.13 📖 Uttara Bank Ltd - Assistant Officer (Cash) - 20.05.11
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
ধরি মাছ না ছুঁই পানি - একটি বাগধারা। প্রদত্ত বাগধারাটির অর্থ - কৌশলে কার্যোদ্ধার বা চালাকি খাটিয়ে নিজের কাজ সম্পাদন করা।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 নিম্নরূপ বাগধারার অর্থ-
▣ ধরি মাছ না ছুঁই পানি = কৌশলে কার্যোদ্ধার।
▣ গাছে তুলে মই কাড়া = 'সাহায্যের আশা দিয়ে সাহায্য না করা।
▣ এক ক্ষুরে মাথা মোড়ানো = একই স্বভাবের/একই দলভুক্ত।
▣ আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়া = দুর্লভ বস্তু প্রাপ্তি।
❐
❐
১২৯৬. ‘নির্মম’- কোন বাগধারা দিয়ে বুঝানো হয়েছে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (শীতলক্ষ্যা) ☞14.4.13
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
মাছের মা বাগধারা টির অর্থ = নিষ্ঠুর কারন মাছ বাচ্চা তুলেই তাদের কে আর দেখাশোনা করে না তাই এর অর্থ নিষ্ঠুর
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 'মাছের মা' বাগধারার অর্থ- 'নিষ্ঠুর'।
❐
▣ 'মাছের মা' বাগধারার ব্যাখ্যা:
▣ বাঙালির চিরকালীন ধারণা এই যে, মা মাছ বাচ্চাদের লালন পালন না করে তাদের ধরে খেয়ে ফেলে নৃশংসের মতো।
▣ মা মাছ দয়া মায়াহীন। সে বাচ্চা খেতেও দ্বিধা করে না- এমন অনুমান থেকে 'মাছের মা' বাগ্‌ধারা ও 'মাছের মায়ের পুত্রশোক' প্রবাদটি চালু হয়েছে।
▣ 'মাছের মায়ের পুত্রশোক' প্রবাদটির অর্থ = কৃত্রিম শোক।
▣ অন্তর টিপুনী মানে হচ্ছে গোপন ব্যথা/ অলক্ষ্যে অন্যের হৃদয়ে আঘাত দেওয়া।
❐ বাক্য গঠন: অন্তরটিপুনি স্বভাবের জন্য অনেক সময় অন্যের বিরক্তিভাজন হতে হয়।
▣ 'ইঁদুর কপালে' বাগধারাটির অর্থ = মন্দ ভাগ্য।
❐ উদাহরণ: তার মত ইঁদুর কপালে লোক খুব কমই দেখেছি।
▣ 'বিষের পুটুলি' বাগধারাটির অর্থ- 'বিদ্বেষী'।
❐ বাক্য গঠন: তাদের দুইজনে মোটেও বনিবনা নেই, একজন যেন আরেকজনের বিষের পুটুলি।
১২৯৭. ‘নিমগ্ন’ শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ কোনটি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (শীতলক্ষ্যা) ☞14.4.13
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
উপরোধ – অনুরোধ
উক্ত – অনুক্ত
ঈদৃশ – তাদৃশ
উগ্র – সৌম্য
উৎকর্ষ – অপকর্ষ
উপসর্গ – অনুসর্গ
ঋজু – বক্র
আসামি – বাদী
আবদ্ধ – মুক্ত
উজান – ভাটি
উদ্ধত – বিনীত
ঐহিক – পারত্রিক
করাল – সৌম্য
একমত – দ্বিমত
কর্কশ – কোমল
ক্রোধ – প্রীতি
ক্ষীণ – পুষ্ট
ক্ষয়িষ্ণু – বর্ধিষ্ণু
ক্ষয় – বৃদ্ধি
ক্ষীয়মাণ – বর্ধমান
গরিষ্ঠ – লঘিষ্ঠ
গুপ্ত – ব্যপ্ত
খাতক – মহাজন
গ্রহীতা – দাতা
গৃহী – সন্ন্যাসী
চেতন – জড়
চোর – সাধু
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 'নিমগ্ন' এর বিপরীত শব্দ 'উদাসীন'।
❐ অন্যদিকে,
❐ 'জাগরিত' এর বিপরীত শব্দ- 'নিদ্রিত',
❐ 'উৎকর্ষ' এর বিপরীত শব্দ-'অপকর্ষ',
❐ 'তেজী' এর বিপরীত শব্দ– 'নিস্তেজ'।
১২৯৮. ‘পর্বত’ শব্দের সমার্থক শব্দ কোনটি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (শীতলক্ষ্যা) ☞14.4.13
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
পর্বত এর সমার্থক শব্দগুলো হলো : অদ্রি, অগ, অচল, নগ, শৈল, গিরি, শৃঙ্গ, শিখরী, ভূধর, ভূভৃৎ, মহীধর, মহীধ্র।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝
▣ পর্বত শব্দের সমার্থক শব্দ:
▣ অচল,
❐ - মহীধর,
▣ গিরি,
▣ পাহাড়,
▣ অদ্রি,
▣ ভূধর,
▣ শৈল,
▣ নগ ইত্যাদি।
▣ 'পদ্ম' এর সমার্থক শব্দ-সরোজ'।
▣ 'বৈভব' এর সমার্থক শব্দ- ঐশ্বর্য; ধন; সম্পদ।
▣ 'পানি' এর সমার্থক শব্দ- 'উদক'।
১২৯৯. ‘দ্যুলোক’ শব্দের সন্ধি-বিচ্ছেদ কোনটি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (শীতলক্ষ্যা) ☞14.4.13
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ‘দ্যুলোক’ শব্দের সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ দিব্‌ + লোক।
▣ এটি নিপাতনে সিদ্ধ ব্যাঞ্জন সন্ধি।
❐
▣ নিপাতনে সিদ্ধ:
❐ কতগুলো সন্ধি কোন নিয়ম অনুসরণ করে না। এগুলোকে নিপাতনে সিদ্ধ বলে।
❐ কয়েকটি নিপাতনে সিদ্ধ ব্যাঞ্জন সন্ধির উদাহরণ-
❐ আশ্চর্য = আ + চর্য
❐ ষোড়শ = ষট্‌ + দশ
❐ পতঞ্জলি = পতৎ + অঞ্জলি
❐ একাদশ = এক + দশ
❐ বৃহস্পতি = বৃহৎ + পতি
❐ গোষ্পদ = গো + পদ
❐ বনস্পতি = বন + পতি
❐ পরস্পর = পর + পর ইত্যাদি।
১৩০০. ‘যে বস্তি থেকে উৎখাত হয়েছে’- এক কথায় কী হবে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (শীতলক্ষ্যা) ☞14.4.13
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
যে বাস্ত হতে উৎখাত হয়েছে - উদ্বাস্তু
যার সর্বস্ব হারিয়েছে - সর্বহারা
তাই সঠিক উত্তর: উদ্বাস্তু।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝
▣ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এক কথায় প্রকাশ:
❐ - 'যে বাস্তু থেকে উৎখাত হয়েছে' = উদ্বাস্তু,
▣ 'যার বাসস্থান নেই' = অনিকেত,
▣ 'স্থায়ী ঠিকানা নেই যার' = উদ্বাস্তু,
▣ 'যার সর্বস্ব হারিয়েছে'- সর্বহারা।
▣ যার সর্বস্ব হারিয়ে গেছে - সর্বহারা।
১৩০১. ‘যা দীপ্তি পাচ্ছে’ – এক কথায় কী হবে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (শীতলক্ষ্যা) ☞14.4.13 📖 DPE ২০১৪(তৃতীয় পর্যায়) - সহকারী শিক্ষক -২৬.০৫.১৮ 📖 রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -জবা- ০৯.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
যা দীপ্তি পাচ্ছে - দেদীপ্যমান।
আলোকিত অর্থ হলো - দীপান্বিত , দীপযুক্ত।
দীপ্তিমান অর্থ হলো - উজ্জ্বল এর স্ত্রী বাচক রূপ হলো - - দীপ্তমতী।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 দেদীপ্যমান (বিশেষণ):
❐ অর্থ - অত্যন্ত উজ্জ্বল বা দীপ্তিময় দেখাচ্ছে এমন; অতিশয় দীপ্তিশীল; জাজ্বল্যমান (আমার সম্মুখে দেদীপ্যমান হইয়া উঠিল-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)।
❐ (তৎসম বা সংস্কৃত) √দীপ্‌+য(যঙ্‌)+মান(শানচ্‌)।
❐ এক কথায় প্রকাশের ক্ষেত্রে -
▣ নবম-দশম শ্রেণির ব্যাকরণ বোর্ড বই এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর অনুসারে:
▣ যা দীপ্তি পাচ্ছে/ যা পুনঃ পুনঃ দীপ্তি পাচ্ছে - দেদীপ্যমান।
▣ ভাষা শিক্ষা, হায়াৎ মামুদ অনুসারে:
▣ যা দীপ্তি পাচ্ছে - দীপ্তিমান।
❐ তবে, এসব উৎসের মধ্যে নবম-দশম শ্রেণির ব্যাকরণ বোর্ড বই অধিক গ্রহনযোগ্য হিসেবে আমরা উত্তর হিসেবে- যা দীপ্তি পাচ্ছে- দেদীপ্যমান নিতে পারি।
১৩০২. ‘তেপান্তর’ (তিন প্রান্তরের সমাহার) কোন সমাস?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (শীতলক্ষ্যা) ☞14.4.13 📖 35th BCS General Mar, 2015 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2009➯C ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
দ্বিগু সমাস : পরপদের প্রাধান্য এবং প্রথম শব্দটি সংখ্যা হবে। যেমন : তিন ফলের সমাহার = ত্রিফলা। সপ্ত অহের সমাহার = সপ্তাহ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝
▣ দ্বিগু সমাস:
❐ যে সমাসে সংখ্যাবাচক শব্দ পূর্বে বসে এবং পরপদের অর্থ প্রাধান্য পায় তাকে দ্বিগু সমাস বলে।
❐ যেমন :
▣ তেমাথা = তিন মাথার সমাহার,
▣ ত্রিফলা = তিন ফলের সমাহার,
❐ - তেপান্তর = তিন প্রান্তরের সমাহার,
▣ ত্রিপদী = তিন পদের সমাহার,
▣ ত্রিকাল = তিন কালের সমাহার
▣ ত্রিলোক = তিন লোকের সমাহার ইত্যাদি।
❐ উৎস : বাংলা একাডেমি প্রমিত ব্যবহারিক ব্যাকরণ ও ভাষা-শিক্ষা, হায়াৎ মামুদ।
১৩০৩. ‘খাসমহল’ (খাস যে মহল) কোন সমাস?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (শীতলক্ষ্যা) ☞14.4.13 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2005➯A ইউনিট 📖 বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়➟2014➯B ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
কর্মধারয় সমাস : বিশেষ্য + বিশেষ্য, বিশেষ্য + বিশেষণ, বিশেষণ + বিশেষ্য এর সমাসকে কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন : মহারাজ, কদাচার, মহানবি, খাসমহল জজসাহেব ইত্যাদি।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝
▣ কর্মধারয় সমাস:
▣ বিশেষ্য ও বিশেষণ পদে বা বিশেষ্য ও বিশেষণ ভাবাপন্ন পদে যে সমাস হয় এবং যেখানে পরপদের অর্থ প্রাধান্য পায় তাকে কর্মধারয় সমাস বলে।
❐ যেমন,
▣ ক্ষুধিত-পাষাণ =ক্ষুধিত যে পাষাণ।
▣ অক্ষয়কীর্তি = অক্ষয় যে কীর্তি।
▣ অর্ধপথ = অর্ধ যে পথ।
❐ - খাসমহল = খাস যে মহল।
▣ নবান্ন = নব যে অন্ন।
১৩০৪. ‘ আজকে নগদ কালকে ধার’- বাক্যে নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (শীতলক্ষ্যা) ☞14.4.13 📖 ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়➟2014➯C ইউনিট 📖 ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়➟2013➯C ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
ক্রিয়া সম্পাদনের কাল ( সময়) এবং আধারকে ( স্হান,) অধিকরন কারক বলে। আজকে নগদ কালকে বাকি অধিকরন কারক নির্দেশ করে কেননা এটি ক্রিয়া সম্পাদনের সময়কে নির্দেশ করছে,, এরকম আরও অধিকরন কারকের উদাহরন হলো : প্রভাতে সূর্য ওঠে। শুক্রবার সরকারি ছুটি
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 অধিকরণ কারক:
▣ ক্রিয়ার আধারকে বলা হয় অধিকরণ কারক।
▣ আধার বলতে ক্রিয়া নিষ্পন্ন হওয়ার স্থান, কাল ও ভাবকে বোঝায়।
▣ অর্থাৎ ক্রিয়া সম্পাদনের কাল এবং আধারকে বলা হয় অধিকরণ কারক।
▣ বাক্যের ক্রিয়াপদকে কোথায়, কখন ও কোনো বিষয় বোঝাতে অধিকরণ কারক হয়।
❐ অধিকরণ কারকে সাধারণত সপ্তমী বিভক্তি অর্থাৎ এ, য়, তে ইত্যাদি বিভক্তি যুক্ত হয়।
❐ যেমন- আধার (স্থান) : আমরা প্রতিদিন কলেজে যাই। কাল (সময়) সকালে সূর্য উঠবে।
❐ ‘আজকে নগদ কালকে ধার’- বাক্যে নিম্নরেখ শব্দটি অধিকরণ কারকে ২য়া বিভক্তির প্রয়োগ ঘটেছে।
❐ বাক্যটি ক্রিয়া নিষ্পন্ন হওয়ার কালকে বোঝাচ্ছে।
❐ কিন্তু এতে ‘-কে’ বিভক্তি যুক্ত হয়েছে। তাই বাক্যটি অধিকরণ কারকে ২য়া বিভক্তি প্রকাশ করে।
১৩০৫. ‘ টাকায় টাকা হয়’- বাক্যে নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (শীতলক্ষ্যা) ☞14.4.13 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2007➯C ইউনিট 📖 জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়➟2013➯F ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
যা থেকে কোন কিছু জাত, বিচ্যুত, বিরত, গৃহীত, ভীত, উৎপন্ন, রক্ষিত, আরম্ভ, দূরীভূত হয় ত্কে অপাদান কারক বলে। যেমন : দুধ থেকে দই হয়। টাকায় টাকা হয় ইত্যাদি।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝
▣ অপাদান কারক:
▣ যা থেকে কোনো কিছু উৎপত্তি, বিচ্যুত, জাত, গৃহীত, আরম্ভ, দূরীভূত ও রক্ষিত হয়, তাকে বলা হয় অপাদান কারক।
▣ বাক্যের ক্রিয়াপদকে কোথা হতে, কি থেকে, কিসের থেকে ইত্যাদি প্রশ্ন করলে উত্তরে যে কারক পাওয়া যায়, তা-ই হলো অপাদান কারক।
▣ 'টাকায় টাকায় হয়'- বাক্যটিতে 'কি হতে উৎপন্ন হয়' দ্বারা প্রশ্ন করলে উত্তর পাওয়া যায়, টাকা হতে।
▣ আবার 'এ, য়, তে' হলো সপ্তমী বিভক্তি।
❐ তাই বলা যায়, 'টাকায় টাকায় হয়'- বাক্যটি অপাদানে কারণে ৭মী বিভক্তি।
❐
❐
▣ অপাদান কারকে বিভিন্ন বিভক্তির প্রয়োগ -
▣ টাকায় টাকায় হয় = অপাদানে ৭মী বিভক্তি।
▣ এ বনে বাঘের ভয় = অপাদান কারকে ৭মী বিভক্তি।
▣ মেঘ থেকে বৃষ্টি হয় = অপাদান কারকে ৫মী বিভক্তি।
▣ তিলে তৈল হয় = অপাদান কারকে ৭মী বিভক্তি।
▣ তিথির চেয়ে বিথী বড় = অপাদান কারকে ষষ্ঠী বিভক্তি।
▣ পরাজয়ে ডরে না বীর = অপাদান কারকে ৭মী বিভক্তি।
▣ বিপদে মোর রক্ষা কর = অপাদান কারকে ৭মী বিভক্তি ।
▣ লোভে পাপ পাপে মৃত্যু = অপাদান কারকে ৭মী বিভক্তি ।
▣ ছাদ থেকে পানি পড়ে = অপাদান কারকে ৫মী বিভক্তি।
❐ [তবে বাংলা ২য় পত্র (এইচএসসি প্রোগ্রাম), বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের 'টাকায় টাকায় হয় - করণে ৭মী' দেওয়া আছে, যা প্রকৃতপক্ষে ভুল।]
❐ উৎস:
❐ ১. বাংলা ভাষার ব্যাকরণ- ৯ম ও ১০ম শ্রেণি।
❐ ২. বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।
❐ ৩. বাংলা ২য় পত্র (এইচএসসি প্রোগ্রাম), বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
১৩০৬. কোনটি শুদ্ধ বানান?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (শীতলক্ষ্যা) ☞14.4.13
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
রৌদ্রকরোজ্জ্বল বানানটি শুদ্ধ।
এরূপ আরো কিছু শুদ্ধ বানান হলো : রণকৌশল, রঙ্গিন, ব্যঞ্জন ইত্যাদি।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে,
❐ 'রৌদ্রোজ্জ্বল'- বানানটি শুদ্ধ।
▣ 'রৌদ্রোজ্জ্বল' শব্দের অর্থ- সূর্যের আলোয় উদ্ভাসিত।
❐ তবে, বিভিন্ন সাহিত্যে রৌদ্রকরোজ্জ্বল শব্দটি ব্যবহার করেছেন।
▣ (রৌদ্রকরোজ্জ্বল চেতনার প্রতিভূ- আহমদ শরীফ)।
১৩০৭. কোন বানানটি শুদ্ধ?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (শীতলক্ষ্যা) ☞14.4.13 📖 প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৮ (দড়াটানা) ☞31.10.08
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
সঠিক উত্তর : তেজস্ক্রিয়তাতেজস্ক্রিয়তা হলো যেসকল মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা ৮২ এর বেশি, তাদের নিউক্লিয়াস দ্রুত গতির নিউট্রন দ্বারা আঘাত করলে নিউক্লিয়াস থেকে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে উচ্চভেদন ক্ষমতা সম্পন্ন বিকিরণ নির্গত হওয়ার ঘটনা। প্রকৃতিতে প্রাপ্ত মৌল সমূহের মধ্যে তেজস্ক্রিয় মৌল ১৪ টি।
ব্যাখ্যাকারী :
১৩০৮. মুনীর চৌধুরী রচিত ‘কেউ কিছু বলতে পারে না’ একটি -
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (শীতলক্ষ্যা) ☞14.4.13 📖 বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়➟2010➯A ইউনিট 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -বাগানবিলাস- ১২.১০.১২
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
মুনীর চৌধুরী অনূদিত নাটক - কেউ কিছু বলতে পারে না, রূপার কৌটা, মুখরা রমণী বশীকরণ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 মুনীর চৌধুরী রচিত 'কেউ কিছু বলতে পারে না' একটি- অনুবাদ নাটক।
❐
▣ মুনীর চৌধুরী:
▣তিনি ছিলেন একজন বাংলাদেশি শিক্ষাবিদ, নাট্যকার, সাহিত্য সমালোচক, ভাষাবিজ্ঞানী ও শহীদ বুদ্ধিজীবী।
▣ ১৯২৫ সালের ২৭ নভেম্বর মানিকগঞ্জ শহরে তাঁর জন্ম।
▣ তাঁর পৈতৃক নিবাস নোয়াখালী জেলায়।
▣ তাঁর একটি বিশেষ কীর্তি বাংলা টাইপ রাইটারের কি-বোর্ড (১৯৬৫) উদ্ভাবন, যা ‘মুনীর অপটিমা’ নামে পরিচিত।
❐
▣ মুনীর চৌধুরীর অনুবাদ নাটক:
▣ কেউ কিছু বলতে পারে না,
▣ রূপার কৌটা ও
▣ মুখরা রমণী বশীকরণ।
❐
▣ মৌলিক নাটক:
▣ রক্তাক্ত প্রান্তর,
▣ চিঠি,
▣ কবর,
▣ দন্ডকারণ্য।
❐
▣ তাঁর রচিত প্রবন্ধগ্রন্থ:
▣ মীর মানস।
▣ তুলনামূলক সমালোচনা।
▣ বাংলা গদ্যরীতি।
১৩০৯. ‘জাহান্নাম হইতে বিদায়’ শওকত ওসমান রচিত একটি-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (শীতলক্ষ্যা) ☞14.4.13 📖 38th BCS General Dec, 2017 📖 38th BCS General Dec, 2017
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
"জাহান্নাম হতে বিদায়" উপন্যাসটির লেখক শওকত ওসমান। ও উপন্যাসে তিনি নিয়ে এসেছেন পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর অত্যাচারের মিত্র। সেই সঙ্গে পাকিস্তানীদের বর্বরতা,মানুষের অসহায়ত্ব এবং আমাদের প্রতিরোধের চিত্র এঁকেছেন।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 শওকত ওসমানের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক রচিত উপন্যাস- 'জাহান্নাম হইতে বিদায়'।
❐
▣ ‘জাহান্নাম হইতে বিদায়’ উপন্যাস:
▣ মুক্তিযুদ্ধকালীন পলায়ন-পর মধ্যবিত্তের চিত্র প্রকাশ পেয়েছে - ‘জাহান্নাম হইতে বিদায়’ উপন্যাসে ।
▣ শওকত ওসমানের 'জাহান্নাম হইতে বিদায়' বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বছর রচিত ও প্রকাশিত গ্রন্থ।
▣ ১৯৭১ সালে লেখক এই গ্রন্থ রচনা করেন। অবশ্য তখন তিনি কলকাতায় অবস্থান করছিলেন এবং তাই বইটি বের হয় কলকাতার আনন্দ পাবলিশার্স থেকে।
▣ এই উপন্যাসটি প্রকাশ পেলে তা পাঠ করে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি পাঠকসহ সেখানে অবস্থানকারী বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী শরণার্থী বাঙালিরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে আশাবাদী হয়ে ওঠেন।
▣ উপন্যাসের অন্যতম চরিত্র গাজী রহমানের অভিজ্ঞতায় শওকত ওসমান তুলে ধরেছেন যুদ্ধকালীন পাকিবর্বরতা।
▣ গাজী রহমান যুদ্ধকালের সাহসী মুক্তিযোদ্ধা নয়।
▣ বরং সে সময় নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে পথে নামে সে।
▣ এক সময় দেশের সীমান্ত পেরিয়ে নিরাপদ বোধ করে নিজে।
১৩১০. “এই মোর হাতে কোদাল ধরিয়া কঠিন মাটির তলে, গাড়িয়া দিয়াছি কত সোনামুখ নাওয়ায়ে চোখের জলে”। পঙ্ক্তিটি কোন কবির রচনা?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (শীতলক্ষ্যা) ☞14.4.13 📖 রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -শাপলা- ০৯.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
এটা জসিমউদ্দীনে বিখ্যাত " কবর" কবিতার একটি লাইন।
এইখানে তোর দাদির কবর,ডালিম গাছের তলে
ত্রিশ বছর ভিজিয়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝
▣ জসীমউদ্‌দীন ও কবর কবিতা সম্পর্কে তথ্য:
▣ কবর কবিতাটি কবি জসীমউদ্দীনের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘রাখালী’ (১৯২৭) এর অন্তর্ভুক্ত।
▣ এই কাব্যে মোট ১৯ টি কবিতা সংকলিত হয়েছে।
▣ কবর কবিতাটি প্রথম প্রকাশিত হয় কল্লোল পত্রিকায়।
▣ এটি মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত যাতে ১১৮ টি পঙক্তি আছে।
▣ 'এই মোর হাতে কোদাল ধরিয়া কঠিন মাটির তলে,
❐ গাড়িয়া দিয়াছি কত সোনামুখ নাওয়ায়ে চোখের জলে।'
▣ পঙক্তিটি কবি জসীমউদ্দীনের 'কবর' কবিতা থেকে নেওয়া।
❐ কবর কবিতা,
❐ --------জসীমউদ্‌দীন।
❐ এইখানে তোর দাদীর কবর ডালিম গাছের তলে,
❐ তিরিশ বছর ভিজায়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে।
❐ এতটুকু তারে ঘরে এনেছিনু সোনার মতন মুখ,
❐ পুতুলের বিয়ে ভেঙে গেল বলে কেঁদে ভাসাইত বুক।
❐ এখানে ওখানে ঘুরিয়া ফিরিতে ভেবে হইতাম সারা,
❐ সারা বাড়ি ভরি এত সোনা মোর ছড়াইয়া দিল কারা।
❐ সোনালী ঊষায় সোনামুখে তার আমার নয়ন ভরি,
❐ লাঙ্গল লইয়া ক্ষেতে ছুটিতাম গাঁয়ের ও-পথ ধরি।
❐ যাইবার কালে ফিরে ফিরে তারে দেখে লইতাম কত,
❐ এ কথা লইয়া ভাবি-সাব মোর তামাশা করিত শত।
❐ এমন করিয়া জানিনা কখন জীবনের সাথে মিশে,
❐ ছোট-খাট তার হাসি-ব্যথা মাঝে হারা হয়ে গেনু দিশে।
❐ বাপের বাড়িতে যাইবার কালে কহিত ধরিয়া পা,
❐ আমারে দেখিতে যাইও কিন্তু উজান-তলীর গাঁ।
❐ শাপলার হাটে তরমুজ বেচি দু পয়সা করি দেড়ী,
❐ পুঁতির মালা এক ছড়া নিতে কখনও হতনা দেরি।
❐ দেড় পয়সার তামাক এবং মাজন লইয়া গাঁটে,
❐ সন্ধ্যাবেলায় ছুটে যাইতাম শ্বশুর বাড়ির বাটে !
❐ হেস না–হেস না–শোন দাদু সেই তামাক মাজন পেয়ে,
❐ দাদী যে তোমার কত খুশি হোত দেখিতিস যদি চেয়ে।
❐ নথ নেড়ে নেড়ে কহিত হাসিয়া, ‘এতদিন পরে এলে,
❐ পথপানে চেয়ে আমি যে হেথায় কেঁদে মরি আঁখি জলে।’
❐ আমারে ছাড়িয়া এত ব্যথা যার কেমন করিয়া হায়,
❐ কবর দেশেতে ঘুমায়ে রয়েছে নিঝ্ঝুম নিরালায়।
❐ হাত জোড় করে দোয়া মাঙ্ দাদু, ‘আয় খোদা, দয়াময়,
❐ আমার দাদীর তরেতে যেন গো ভেস্ত নাজেল হয়।’
❐ তার পরে এই শুন্য জীবনে যত কাটিয়াছি পাড়ি,
❐ যেখানে যাহারে জড়ায়ে ধরেছি সেই চলে গেছে ছাড়ি।
❐ শত কাফনের শত কবরের অঙ্ক হৃদয়ে আঁকি
❐ গনিয়া গনিয়া ভুল করে গনি সারা দিনরাত জাগি।
❐ এই মোর হাতে কোদাল ধরিয়া কঠিন মাটির তলে,
❐ গাড়িয়া দিয়াছি কতসোনা মুখ নাওয়ায়ে চোখের জলে।
❐ মাটিরে আমি যে বড় ভালবাসি, মাটিতে লাগায়ে বুক,
❐ আয় আয় দাদু, গলাগলি ধরে কেঁদে যদি হয় সুখ। (সংক্ষেপিত)
❐
১৩১১. মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে রচিত কাব্যগ্রন্থ কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺১ম ধাপ ☞ 8.12.23 📖 38th BCS General Dec, 2017 📖 ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই (ডেসকো) ➺সহকারী প্রকৌশলী ☞20.5.23
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
'বন্দী শিবির থেকে' শামসুর রাহমানের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কাব্যগ্রন্থ। এই কাব্যকে গ্রন্থের উল্লেখযোগ্য কবিতাগুলো হলো , বন্দী শিবির থেকে; স্বাধীনতা তুমি; তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা ইত্যাদি
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে রচিত কাব্যগ্রন্থ:'বন্দি শিবির থেকে'।
❐ কাব্যগ্রন্থটির রচয়িতা: 'শামসুর রাহমান'।
▣ 'বন্দি শিবির থেকে' কাব্যগ্রন্থ:
❐ শামসুর রহমান ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ভারতের শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেন।
❐ সেখান থাকাকালীন তিনি "মজলুম আদিব" ছদ্মনামে দেশ পত্রিকায় লিখতেন।
❐ তার লেখা “বন্দী শিবির থেকে” কাব্যগ্রন্থটি ১৯৭২ সালের জানুয়ারি মাসে কলকাতা থেকে প্রকাশিত হয়।
❐ এই কাব্যগ্রন্থের কবিতাগুলো মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রচিত।
❐ কাব্যগ্রন্থের শুরুতে ‘পুর্বলেখ’ শিরোনামে কবি এই কাব্যগ্রন্থটি রচনার প্রেক্ষাপট বর্ণনা করেন।
▣ এই কাব্যগ্রন্থের উল্লেখযোগ্য কবিতা:
❐ তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা,
❐ স্বাধীনতা তুমি,
❐ মধুস্মৃতি,
❐ রক্তাক্ত প্রান্তরে ইত্যাদি।
❐-------------
▣ শামসুর রাহমান:
❐ তিনি ১৯২৯ সালের ২৩ অক্টোবর পুরান ঢাকার ৪৬ নম্বর মাহুতটুলীতে জন্মগ্রহণ করেন।
❐ তাঁর পৈত্রিক বাড়ি নরসিংদী (তৎকালীন ঢাকা জেলা) জেলার রায়পুর থানার পাড়াতলী গ্রামে।
❐ তৎকালীন সময়ে নরসিংদী জেলা ঢাকা জেলার অধীনে ছিলো।
❐ শামসুর রহমান বিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি হিসেবে খ্যাত।
▣ শামসুর রাহমান রচিত কিছু উপন্যাস:
❐ অক্টোপাস,
❐ নিয়ত মন্তাজ,
❐ এলো সে অবেলায়।
▣ তাঁর রচিত কিছু কাব্যগ্রন্থ:
❐ রৌদ্র করোটিতে,
❐ বিধ্বস্ত নীলিমা,
❐ বন্দী শিবির থেকে,
❐ অন্ধকার থেকে আলোয়,
❐ হরিণের হাড়,
❐ না বাস্তব না দুঃস্বপ্ন।
=================
▣ অন্যদিকে, ▣ হারুন হাবীব তার ‘প্রিয়যোদ্ধা প্রিয়তম’ (১৯৮২) উপন্যাসে বাংলাদেশ এবং যুগশ্লাভিয়ার মুক্তি সংগ্রামকে অভিন্ন বোধ-বিশ্বাস ও ভাবনার প্রতীকরূপে উপস্থাপন করেছেন।
▣ শওকত ওসমান রচিত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস হলো 'নেকড়ে অরণ্য'।
▣ সৈয়দ শামসুল হক রচিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস ‘নিষিদ্ধ লোবান’।
১৩১২. বাগযন্ত্রের অংশ কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺১ম ধাপ ☞ 8.12.23 📖 43th BCS General Oct, 2021
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
২
ব্যাখ্যাঃ
ফুসফুস, স্বরযন্ত্র, জিভ, দাঁত, ঠোঁট, তালু, আলজিভ, মুখগহ্বর ইত্যাদি প্রত্যঙ্গ নিয়ে বাগযন্ত্র গঠিত হয়।
১৩১৩. 'বেসাতি' শব্দের প্রকৃত অর্থ কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺১ম ধাপ ☞ 8.12.23 📖 দুর্নীতি দমন ব্যুরোর পরিদর্শক-০৭.০২.০৩
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
বেসাতি শব্দের প্রকৃত অর্থ - কেনা বেচা। বেসারি শব্দের আরো কিছু অর্থ - দোকানদারি, দোকানদার, পসারি, বেনে, ফেরিওয়ালা ইত্যাদি।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে,
❆ 'বেসাতি' শব্দের অর্থ হলো: 'কেনাবেচা'।
▣ বেসাতি, বেসাতী (বিশেষ্য) শব্দ:
❐ এটি হলো বিশেষ্য পদ।
❐ এটি আরবি শব্দ বসাত থেকে বাংলা ভাষায় এসেছে।
▣ বাংলা অর্থ:
❆ ১ ব্যবসায়ে; কেনাবেচা; দোকানদারি (মিছার বেসাতি করি ভবের নদিতে ফিরিছে কতই ভাগ্যবানের তরী-জসীমউদ্‌দীন)।
❆ ২ দোকানদার; পসারি; বেনে; ফেরিওয়ালা।
❆ ৩ খরিদ; ক্রয়।
❆ ৪ বিক্রয়।
❆ ৫ পণ্য।
১৩১৪. বাগাড়ম্বর শব্দের সন্ধিবিচ্ছেদ ...
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺১ম ধাপ ☞ 8.12.23
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
বাগাড়ম্বর শব্দের সঠিক সন্ধিবিচ্ছেদ হলো বাক+আড়ম্বর।কেননা সন্ধি শব্দের মাঝামাঝি যদি গ,জ,ড,দ,ব থাকে তাহলে বিচ্ছেদে তাদের পরিবর্তে যথাক্রমে ক,চ,ট,ত,প হয় এবং সংযুক্ত স্বরধবনিটি পরবর্তী ব্যঞ্জনের সাথে যুক্ত হয়। যেমন: বাগীশ= বাক+ঈশ, বাগধারা= বাক+ধারা, দিগন্ত=দিক+অন্ত ইত্যাদি।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 'বাগাড়ম্বর' শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ: 'বাক্ + আড়ম্বর = বাগাড়ম্বর'।
▣ সন্ধির নিয়ম:
❐ ক, চ, ট, ত, প থাকলে এবং তাদের পরে স্বরধ্বনি থাকলে সেগুলো যথাক্রমে গ, জ, ড (ড়), দ, ব হয়।
❐ পরবর্তী স্বরধ্বনিটি পূর্ববর্তী ব্যঞ্জনধ্বনির সঙ্গে যুক্ত হয়।
যেমন:-
❆ ক্+অ = গ+অ;
❆ দিক্ + অন্ত = দিগন্ত;
❆ ক্ + আ = গ + আ,
▣ বাক্ + আড়ম্বর = বাগাড়ম্বর,
❆ ক্ + ঈ = গ + ঈ,
❆ বাক্ + ঈশ = বাগীশ।
১৩১৫. কোনটি মৌলিক শব্দ ...
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺১ম ধাপ ☞ 8.12.23 📖 37th BCS General Sep, 2016 📖 সমন্বিত পাঁচ ব্যাংক ~~ অফিসার ক্যাশ - 06.11.21
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
যে -সব শব্দকে বিশ্লেষণ করলে আর কোন শব্দ পাওয়া যায় না, তাকে মৌলিক শব্দ বলে। অর্থাৎ, যে সব শব্দকে ভাঙলে আর কোন অর্থসঙ্গতিপূর্ণ শব্দ পাওয়া যায় না, তাকে মৌলিক শব্দ বলে। যেমনঃ গোলাপ, নাক, লাল, তিন, ইত্যাদি।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 'গোলাপ'- মৌলিক শব্দ।
▣ মৌলিক শব্দ:
❐ যেসব শব্দ বিশ্লেষণ করা যায় না বা ভেঙ্গে আলাদা করা যায় না, সেগুলোকে মৌলিক শব্দ বলে।
যেমন:-
❐ গোলাপ, নাক, তিল, হাত, ফুল ইত্যাদি।
▣ অন্যদিকে, ❆ মানব, ধাতব, একাঙ্ক ইত্যাদি সাধিত শব্দ।
১৩১৬. কাজী নজরুল ইসলামকে উৎসর্গ করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনা...
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺১ম ধাপ ☞ 8.12.23
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গীতিনাট্য বসন্ত গ্রন্থটি কাজী নজরুল ইসলামকে উৎসর্গ করেছিলেন। এই নাটকের বিষয় যৌবনের প্রতীক ঋতুরাজ বসন্তের জয়গান।
ব্যাখ্যাকারী :
১৩১৭. 'কাক নিদ্রা' শব্দটির অর্থ...
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺১ম ধাপ ☞ 8.12.23 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - আলফা- ১৮.০৪.১৪ 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ভলগা- ০৮.১১.১৩
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
কাকনিদ্রা শব্দের এককথায় প্রকাশ হলো অগভীর সতর্কনিদ্রা। তাই সঠিক উত্তর হবে অগভীর সতর্ক নিদ্রা
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 কাকনিদ্রা (বিশেষ্য)অর্থ:
❐ অগভীর সতর্ক ঘুম বা নিদ্রা।
▣ 'কাকনিদ্রা' শব্দ:
❐ সংস্কৃত শব্দ।
❐ বিশেষ্য শব্দ।
❐ প্রকৃতি- প্রত্যয়: কাক + নি + √ দ্রা + অ + আ,
❐ শব্দের অর্থ: কাকের ঘুমের মতো সতর্ক ও অগভীর ঘুম, কপট ঘুম।
▣ অন্যদিকে, ❆ 'নাবুড়ি' শব্দের অর্থ - কুপরামর্শ; অনিষ্ট চিন্তা।
❆ মটকা - কপট নিদ্রা; ঘুমের ভান।
১৩১৮. সাহিত্যিক শওকত ওসমানের প্রকৃত নাম কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺১ম ধাপ ☞ 8.12.23
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
শওকত ওসমান (২ জানুয়ারি ১৯১৭–মে ১৪, ১৯৯৮) বিংশ শতাব্দীর বাংলাদেশের একজন স্বনামখ্যাত লেখক ও কথাসাহিত্যিক। জন্মসূত্রে তাঁর নাম শেখ আজিজুর রহমান
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক শওকত ওসমান এর প্রকৃত নাম: 'শেখ আজিজুর রহমান'।
❆ শওকত ওসমান:
❐ তিনি ছিলেন কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক।
❐ তিনি ১৯১৭ সালের ২ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার সবলসিংহপুর গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
❐ তাঁর প্রকৃত নাম শেখ আজিজুর রহমান; ‘শওকত ওসমান’ তাঁর সাহিত্যিক নাম।
❐ উপন্যাস ও গল্প রচয়িতা হিসেবেই শওকত ওসমানের মুখ্য পরিচয়
❐ তবে প্রবন্ধ, নাটক, রম্যরচনা, স্মৃতিকথা ও শিশুতোষ গ্রন্থও তিনি রচনা করেছেন।
▣ তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাস:
❐ জননী,
❐ ক্রীতদাসের হাসি,
❐ সমাগম,
❐ চৌরসন্ধি,
❐ রাজা উপাখ্যান,
❐ জাহান্নাম হইতে বিদায়,
❐ দুই সৈনিক,
❐ নেকড়ে অরণ্য,
❐ পতঙ্গ পিঞ্জর, আর্তনাদ,
❐ রাজপুরুষ ইত্যাদি।
১৩১৯. চর্যাপদ কোন ছন্দে লেখা?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺১ম ধাপ ☞ 8.12.23 📖 33rd BCS General Jun, 2012 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2016➯A ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
চর্যাপদ 'মাত্রাবৃত্ত' ছন্দে লেখা। আধুনিক ছন্দের বিচারে এগুলো মাত্রাবৃত্ত ছন্দের অধীনে বিবেচ্য। মাত্রাবৃ্ত্ত হলো প্রতি পর্বে ৫/৬/৭/৮ এর মাত্রা সংখ্যার চাল।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 - 'চর্যাপদ'- 'মাত্রাবৃত্ত' ছন্দে লেখা।
▣ চর্যাপদ'- এর ছন্দ সম্পর্কিত শব্দ:
❐ চর্যাপদ প্রাচীন কোন ছন্দে রচিত তা নিয়ে বিভিন্ন মতভেদ রয়েছে।
❐ চর্যাপদের ছন্দে সংস্কৃত পজঝটিকা ছন্দের প্রভাব রয়েছে। পজঝটিকা ছন্দের প্রতিটি চরণে ষোল মাত্রার, চরণে চার পর্ব, চার মাত্রা।
❐ আবার শৌরসেনী প্রাকৃত প্রভাবিত মাত্রাপ্রধান পদাকুলক ছন্দের সঙ্গেও চর্যার ছন্দের মিল রয়েছে।
❐ পদাকুল ছন্দের চরণও ষোল মাত্রার, প্রতিটি চরণে চার পর্ব, আর প্রতি পর্বে চার মাত্রা।
❐ চর্যাপদের ছন্দ মাত্রাবৃত্ত রীতিতে হলেও মাত্রাবৃত্তের বর্তমান সুনির্দিষ্ট গণনা পদ্ধতি এতে মানা হয় নি।
▣ - তবে আধুনিক ছন্দের বিচারে এটি মাত্রাবৃত্ত ছন্দের অধীনে বিবেচ্য।
১৩২০. চাঁদমুখ এর ব্যাসবাক্য নিচের কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺১ম ধাপ ☞ 8.12.23
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
মুখ দেখতে চাঁদের মতো, চাঁদ দেখতে মুখের মতো নয় -কর্মধারয়
ব্যাখ্যাকারী :
১৩২১. সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেনের জন্মস্থান কোন জেলায়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺১ম ধাপ ☞ 8.12.23
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম ঔপন্যাসিক মীর মশাররফ হোসেনের জন্ম কুষ্টিয়ার লাহিনীপাড়া গ্রামে ১৩ নভেম্বর ১৮৪৭ খ্রিষ্টাব্দে। তিনি ঔপন্যাসিক, নাট্যকার ও প্রাবন্ধিক। তার রচিত ‘রত্নবতী (১৮৬৯) উপন্যাসটি বাংলা সাহিত্যে মুসলিম রচিত প্রথম উপন্যাস
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেনের জন্মস্থান কুষ্টিয়া জেলায়।
▣ মীর মশাররফ হোসেন:
❐ মীর মশাররফ হোসেন ছিলেন ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক।
❐ ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলার লাহিনীপাড়ায় তাঁর জন্ম।
❐ পিতা মীর মোয়াজ্জেম হোসেন ছিলেন জমিদার। নিজগৃহে মুনশির নিকট আরবি ও ফারসি শেখার মাধ্যমে মশাররফ হোসেনের লেখাপড়ার হাতেখড়ি হয়।
❐ মশাররফ হোসেন ছাত্রাবস্থায় সংবাদ প্রভাকর ও কুমারখালির গ্রামবার্তা প্রকাশিকা-র মফঃস্বল সংবাদদাতার দায়িত্ব পালন করেন।
❐ এখানেই তাঁর সাহিত্যজীবনের শুরু। গ্রামবার্তার সম্পাদক কাঙাল হরিনাথ ছিলেন তাঁর সাহিত্যগুরু। পরে তাঁর দ্বিতীয়া স্ত্রী বিবি কুলসুমও এক্ষেত্রে বিরাট অবদান রাখেন।
❐ মশাররফ আজিজননেহার ও হিতকরী নামে দুটি পত্রিকাও সম্পাদনা করেন।
❐ মীর মোশাররফ ছিলেন বঙ্কিমযুগের অন্যতম প্রধান গদ্যশিল্পী ও উনিশ শতকের বাঙালি মুসলমান সাহিত্যিকদের পথিকৃৎ।
❐ মীর মশাররফের প্রথম উপন্যাস রত্নবতী (১৮৬৯) প্রকাশিত হয়।
❐ বঙ্কিমচন্দ্রের দুর্গেশনন্দিনী (১৮৬৫) উপন্যাস প্রকাশিত হওয়ার চার বছর পর মশাররফের প্রথম উপন্যাস রত্নবতী (১৮৬৯) প্রকাশিত হয়।
▣ নাটক:
❐ বসন্তকুমারী,
❐ জমীদার দর্পণ,
❐ বেহুলা গীতাভিনয়,
❐ টালা অভিনয়।
▣ উপন্যাস:
❐ বিষাদ-সিন্ধু,
▣ গ্রন্থ:
❐ উদাসীন পথিকের মনের কথা,
❐ গাজী মিয়াঁর বস্তানী।
▣ আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ:
❐ আমার জীবনী,
❐ কুলসুম জীবনী ইত্যাদি।
▣ তাঁর অমর কীর্তি বিষাদ-সিন্ধু উপন্যাসে কারবালার বিষাদময় ঐতিহাসিক কাহিনী বিবৃত হয়েছে। তবে অনেক ঘটনা ও চরিত্র সৃষ্টিতে উপন্যাসসুলভ কল্পনার আশ্রয়ও নেওয়া হয়েছে।
▣ তাঁর জমিদার দর্পণ নাটকটি ১৮৭২-৭৩ সালে সিরাজগঞ্জে সংঘটিত কৃষক-বিদ্রোহের পটভূমিকায় রচিত।
১৩২২. 'নন্দিনী' এর নিচের প্রতিশব্দ কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺১ম ধাপ ☞ 8.12.23 📖 খাদ্য অধিদপ্তরের অধীন খাদ্য/উপ-খাদ্য পরিদর্শক-২৩.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
নন্দিনী > মেয়ে, দুহিতা, দুলালী, আত্মজা, কন্যা , পুত্রী, সূত, তনয়া.
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ‘নন্দিনী’ এর প্রতিশব্দ: 'তনয়া'।
▣ নন্দিনী শব্দের প্রতিশব্দ:
❐ দুহিতা,
❐ কন্যা,
❐ আত্মজা,
❐ তনয়া,
❐ সুতা,
❐ মেয়ে,
❐ দুলালী।
▣ বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে,
❐ ‘নন্দিনী’ এর প্রতিশব্দ: কন্যা।
❐ 'তনয়া' এর প্রতিশব্দ: কন্যা।
❐--------------------
❆ মীনাক্ষী শব্দের অর্থ- 'মাছের মতো সুন্দর চোখবিশিষ্ট।
১৩২৩. 'অর্বাচিন' শব্দের বিপরীত শব্দটি...
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺১ম ধাপ ☞ 8.12.23
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
অর্বাচীন' শব্দের অর্থ নির্বোধ।
অর্বাচীন (বিশেষণ পদ) শব্দ টির অর্থ: অপক্কবুদ্ধি, নবীন, মূর্খ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 অর্বাচীন শব্দটির অর্থ হলো: নবীন, নতুন ইত্যাদি৷
❐ এর বিপরীত শব্দ হলো - প্রাচীন।
▣ আরো কিছু বিপরীতার্থক শব্দ:
❐ 'আকুঞ্চন' শব্দের বিপরীত শব্দ = প্রসারণ।
❐ 'প্রসারিত' শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ = সংকুচিত।
❐ 'হত' শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ = জীবিত।
❐ 'সংযত' শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ = অসংযত।
১৩২৪. 'আসাদের শার্ট' কবিতার লেখক কে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺১ম ধাপ ☞ 8.12.23 📖 মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ➺হিসাবিরক্ষক ☞২৯.১১.১৯
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
আসাদের শার্ট কবিতার লেখক শামসুর রহমান। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে শহিদ আসাদের রক্তাক্ত শার্টকে উপলক্ষ্য করে কবি কবিতাটি রচনা করেন। তিনি তার নিজ বাসভূমে ১৯৭০ সালে কাব্যগ্রন্থে কবিতাটি অন্তর্ভুক্ত করেন।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 শহীদ আসাদ স্মরণে কবি শামসুর রাহমান লিখেছিলেন কালজয়ী কবিতা ‘আসাদের শার্ট’।
⇒ ১৯৬৯ সালের ২০জানুয়ারি শামসুর রাহমান রচনা করেন ‘আসাদের শাট’র্ কবিতাটি।
❐ তাঁর লেখা ‘আসাদের শার্ট’ কবিতাটির পিছনে রয়েছে পুলিশের গুলিতে নিহত আসাদের শার্ট উঁচুতে তুলে ধরে প্রতিবাদী এক বিশাল মিছিলের মুখোমুখি হওয়া কবির তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া।
❆ তাতে কবি লিখেছিলেন-
❆ ''আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
❆ সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
❆ আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা।’'
১৩২৫. নিচের কোন বানানটি শুদ্ধ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺১ম ধাপ ☞ 8.12.23 📖 31st BCS General May, 2011 📖 বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সহকারী সচিব/সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) - 7.17
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
সঠিক বানানটি হবে নিশীথিনী। আর বাকি সবগুলো ভুল আছে। কেননা নিয়মানুযায়ী ইনী প্রত্যয়যুক্ত শব্দে যথাক্রমে ই-কার ও ঈ-কার বসে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 'নিশীথিনী'- বানানটি শুদ্ধ।
▣ বাংলা একাডেমি আধুনিক বানান অভিধান অনুসারে,
❐ 'নিশীথিনী' সংস্কৃত শব্দ।
❐ 'নিশীথিনী' (বিশেষ্য) শব্দের অর্থ- রাত্রি; রজনী।
১৩২৬. কোন ক্ষেত্রে বিভক্তির প্রয়োজন হয়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺১ম ধাপ ☞ 8.12.23 📖 বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়➟2011➯B ইউনিট 📖 হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়➟2013➯E ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
কারকে বিভক্তির প্রয়োজন হয়। বাক্যস্থিত একটি শব্দের সাথে অন্য শব্দের অন্বয় সাধনের জন্য শব্দের সাথে যে সকল বর্ণ যুক্ত হয় তাদের বিভক্তি বলে। কারক শব্দটির অর্থ যা ক্রিয়া সম্পাদন করে।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 কারকের ক্ষেত্রে বিভক্তি প্রয়োজন।
▣ বিভক্তি:
❐ বাক্যের মধ্যে অন্য শব্দের সাথে সম্পর্ক বোঝাতে বিশেষ্য ও সর্বনামের সঙ্গে অর্থহীন কিছু লগ্নক যুক্ত হয়, সেগুলোকে বিভক্তি বলে।
❐ যেমন: এ, -তে, য়, য়ে, কে, রে, -র, এর, -য়ের ইত্যাদি।
❐ 'কৃষকের' শব্দে 'এর' শব্দাংশটি হলো কারক বিভক্তির উদাহরণ।
❐-------------------------
▣ অন্যদিকে, ▣ সন্ধি:
❐ পাশাপাশি ধ্বনির মিলনকে সন্ধি বলে।
❐ অন্য কথায়, সন্নিহিত দুটি ধ্বনির মিলনকে সন্ধি বলে। সন্ধির প্রধান উদ্দেশ্য স্বাভাবিক উচ্চারণের সহজপ্রবণতা এবং ধ্বনিগত মাধুর্য সম্পাদন৷ সন্ধি শব্দ গঠনেরও একটি উপায়।
▣ প্রকৃতি:
❆ যে শব্দকে বা কোনো শব্দের যে অংশকে আর কোনো ক্ষুদ্রতর অংশে ভাগ করা যায় না, তাকে প্রকৃতি বলে।
❆ শব্দের মূলকে বলা হয় প্রকৃতি।
❆ প্রকৃতি দুই প্রকার।
যথা -
❆ ১. নাম প্রকৃতি; উদাহরণ - হাত + ল = হাতল (বাঁট)। এখানে, হাত - নাম প্রকৃতি।
❆ ২. ক্রিয়া প্রকৃতি: ক্রিয়া প্রকৃতি বা ক্রিয়া মূলের অন্য নাম - ধাতু।
❆ উদাহরণ - √চল্ + অন্ত = চলন্ত (চলমান)। এখানে, চল্ - ক্রিয়া প্রকৃতি।
▣ সমাস:
❆ সমাস মানে সংক্ষেপ, মিলন, একাধিক পদের একপদীকরণ।
❆ অর্থ সম্বন্ধ আছে এমন একাধিক শব্দের এক সঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি বড় শব্দ গঠনের প্রক্রিয়াকে সমাস বলে।
যেমন:- দেশের সেবা = দেশসেবা,
❆ বই ও পুস্তক = বইপুস্তক।
১৩২৭. জেলে ভাই ধরে মাছ মেঘের ছায়ায়- চরণটিতে জেলে কোন কারকে কোন বিভক্তি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺১ম ধাপ ☞ 8.12.23
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
জেলে ভাই ধরে মাছ মেঘের ছায়ায়।’ -এখানে ‘জেলে’ কোন কারকে কোন বিভক্তি-
কর্তৃকারকের ১মা বিভক্তি
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 জেলে ভাই ধরে মাছ মেঘের ছায়ায়- চরণটিতে 'জেলে' কর্তৃকারকে প্রথমা বিভক্তির উদাহরণ।
▣ কর্তৃকারক:
❐ বাক্যস্থিত যে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদ ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকে ক্রিয়ার কর্তা বা কর্তৃকারক বলে।
❐ ক্রিয়াকে ‘কে/ কারা’ দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, সেটিই কর্তৃকারক।
❐ (কর্মবাচ্য ও ভাববাচ্যের বাক্যে এই নিয়ম খাটবে না। সেক্ষেত্রে একটু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।)
▣ বিভক্তি:
❐ যে সব বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি বা চিহ্ন দ্বারা বাক্যের এক পদের সঙ্গে অন্য পদের সম্বন্ধ নির্ধারিত হয়, তাকে বলা বিভক্তি।
❐ বাংলা শব্দ বিভক্তি ৭ প্রকার-
▣ বিভক্তির নাম ও বিভক্তি:
❐ প্রথমা বা শূণ্য বিভক্তি: শূণ্য, অ।
❐ দ্বিতীয়া বিভক্ত: কে, রে।
❐ তৃতীয়া বিভক্শূ: দ্বারা, দিয়া (দিয়ে), কর্তৃক।
❐ চতুর্থী বিভক্তি: কে, রে।
❐ পঞ্চমী বিভক্তি: হইতে (হতে), থেকে, চেয়ে।
❐ ষষ্ঠী বিভক্তি: র, এর।
❐ সপ্তমী বিভক্তি: এ, য়, তে।
❐-----------------------
▣ উপরের আলোচনা থেকে আমরা বলতে পারি যে,
❐ 'জেলে ভাই ধরে মাছ মেঘের ছায়ায়' বাক্যটিতে কে মাছ ধরে দ্বারা প্রশ্ন করলে উত্তর পাওয়া যায় 'জেলে'।
❐ তাই, 'জেলে' কর্তৃকারক।
❐ এবং এখানে প্রথমা বা শূণ্য বিভক্তির প্রয়োগ ঘটেছে।
❆ তা বলা যায়, 'জেলে ভাই ধরে মাছ মেঘের ছায়ায়' বাকে 'জেলে' কর্তৃকারকে প্রথমা বিভক্তির উদাহরণ।
১৩২৮. 'দিনের আলো ও সন্ধ্যার আলোর মিলন' -এক কথায় বলে...
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺১ম ধাপ ☞ 8.12.23
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
দিনের আলো ও সন্ধ্যার আলো কে এক কথায় প্রকাশ করলে গোধূলি বলে। কেননা দিনের শেষ ও সন্ধ্যার শুরু সময়টাই হলো গোধূলি।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 গোধূলী (বিশেষ্য) শব্দ:
❆ অর্থ:
❐ সন্ধ্যাবেলা;
❐ সায়ংকাল;
❐ সূর্যাস্ত কাল;
❐ যখন গরুর পাল ধূলি উড়াইয়া গৃহে ফেরে (গোধূলির লাল রং তখন আকাশে)।
❆ ⇒ বাংলা একাডেমি অভিধান অনুসারে এবং অর্থ বিবেচনায় গোধূলী উত্তর হবে।
❐------------
▣ Oxford Dictionary অনুসারে,
❆ Time after twilight and before night-Dusk(গোধূলি): the darker stage of twilight.
▣ সায়াহ্ন (বিশেষ্য):
❆ অর্থ:
❐ সন্ধ্যা; সাঁঝ।
▣ 'দিনের সায় (অবসান) ভাগ' এর এক কথায় প্রকাশ: 'সায়াহ্ন'।
১৩২৯. নেকড়ে অরণ্য উপন্যাসের রচয়িতা ...
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺১ম ধাপ ☞ 8.12.23
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে শওকত ওসমান একাধিক উপন্যাস লিখেছেন। ১৯৭৩ সালে প্রকাশিত ৬৪ পৃষ্ঠার ছোট্ট একটি উপন্যাস নেকড়ে অরণ্য। এছাড়াও তার মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস হলো : জাহান্নাম হইতে বিদায়, দুই সৈনিক, এবং জলাংগী।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 শওকত ওসমান রচিত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস হলো 'নেকড়ে অরণ্য'।
❐--------------
❆ অন্যদিকে,
❆ শওকত ওসমান রচিত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস হলো:
❐ নেকড়ে অরণ্য,
❐ দুই সৈনিক,
❐ জাহান্নম হইতে বিদায় এবং
❐ জলাঙ্গী।
▣ আনোয়ার পাশা রচিত মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক উপন্যাস:
❐ রাইফেল রোটি আওরাত।
▣ রশীদ হায়দার রচিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস:
❐ খাঁচায়, অন্ধ কথামালা।
▣ আবু জাফর শামসুদ্দীন রচিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস:
❐ দেয়াল।
১৩৩০. শব্দের ক্ষুদ্রতম অংশকে বলা হয় ...
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺১ম ধাপ ☞ 8.12.23 📖 অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা-১২.০৪ 📖 বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন ➺উপসহকারী প্রকৌশলী☞26.08.22
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
ব্যাখ্যাঃ
একটি ধ্বনি বা একাধিক ধ্বনি একত্রিত হয়ে যখন কোনো সুনির্দিষ্ট অর্থ প্রকাশ করে, তখন সেই ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টিকে শব্দ বলে। শব্দের ক্ষুদ্রতম অংশকে বলা হয় ধ্বনি।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 শব্দের ক্ষুদ্রতম অংশকে - ধ্বনি বলে।
❐----------------
▣ ধ্বনি:
❐ বাগযন্ত্রের দ্বারা উচ্চারিত অর্থবোধক ধ্বনির সাহায্যে মানুষের মনের ভাব প্রকাশের মাধ্যমকে ভাষা বলে।
❐ ভাষার ক্ষুদ্রতম একক হলো 'ধ্বনি'।
❐ এটা ভাষার মৌলিক অংশ। ধ্বনিকে শব্দের ক্ষুদ্রতম এককও বলা হয়।
❐ ধ্বনির লিখিত রূপ হলো বর্ণ।
❐ ধ্বনি চেনার স্মারক বা চিহ্ন বা প্রতীকই বর্ণ।
❐----------------
▣ পদ:
❐ শব্দে বিভক্তি যুক্ত হলেই তাকে পদ বলা হয়। অর্থাৎ, বিভক্তি যুক্ত শব্দকে পদ বলে।
❐ বাক্যে ব্যবহৃত প্রতিটি শব্দ বিভক্তিযুক্ত।
❐ যেসব শব্দে বিভক্তি দেখা যায় না সেসব শব্দে শূন্য বিভক্তি থাকে। তাই বাক্যের প্রতিটি শব্দই পদ।
▣ বর্ণ:
❐ যেসব প্রতীক বা চিহ্ন দিয়ে ধ্বনি নির্দেশ করা হয় তাদের বর্ণ বলে।
❐ বর্ণ হলো ধ্বনির লিখিত রূপ।
▣ এছাড়াও,
❐ বাক্যের মৌলিক উপাদান- শব্দ।
❐ বাক্যের ক্ষুদ্রতম একক- শব্দ।
❐ শব্দের ক্ষুদ্রতম একক- ধ্বনি।
❐ ধ্বনি নির্দেশক প্রতীক বা চিহ্ন- বর্ণ।
❐ ভাষার মূল উপকরণ- বাক্য।
১৩৩১. ‘দেনা পাওনা’ গল্পটির রচয়িতা কে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৭ (খুলনা বিভাগ) ☞7.9.07 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟1998➯গ ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
📝 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:
❐ বাংলা ছোট গল্পের জনক বলা হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কে।
❐ তিনি ১১৯ টি ছোট গল্প রচনা করেন।
❐ তাঁর উল্লেখযোগ্য ছোট গল্পগুলো হল:
❐ ভিখারিণী ,
▣ দেনা পাওনা ,
❐ মনিহারা ,
❐ পোস্টমাস্টার,
❐ এক রাত্রি ,
❐ ক্ষুধিত পাষাণ ,
❐ স্ত্রীর পত্র ,
❐ নষ্টনীড়,
❐ কাবুলিওয়ালা ,
❐ হৈমন্তী ,
❐ মুসলমানীর গল্প ।
১৩৩২. ‘যা দ্বীপ্তি পাচ্ছে’ -এক কথায় কি হবে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৭ (খুলনা বিভাগ) ☞7.9.07 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (শীতলক্ষ্যা) ☞14.4.13
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
📝 যা দীপ্তি পাচ্ছে – দেদীপ্যমান।
▣ গুরত্বপূর্ণ কিছু এক কথায় প্রকাশ:
❐ যার সর্বস্ব হারিয়ে গেছে – সর্বহারা, হৃতসর্বস্ব।
❐ যার কোনো কিছু থেকেই ভয় নেই – অকুতোভয়।
❐ যার আকার কুৎসিত – কদাকার।
❐ যা বিনা যত্নে লাভ করা গিয়েছে – অযত্নলব্ধ।
❐ যা বার বার দুলছে – দোদুল্যমান।
❐ যা সাধারণের মধ্যে দেখা যায় না এমন – অনন্যসাধারণ।
১৩৩৩. কানে কানে যে কথা = কানাকানি; এই উদাহরণ কোন সমাসের?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৭ (খুলনা বিভাগ) ☞7.9.07
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
📝 ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস:
❐ ক্রিয়ার পারস্পরিক অর্থে ব্যতিহার বহুব্রীহি হয়।
❐ এ সমাসে পূর্বপদে 'আ' এবং পরপদে 'ই' যুক্ত হয়।
যেমন:-
❐ হাতে হাতে যে যুদ্ধ = হাতাহাতি,
▣ কানে কানে যে কথা = কানাকানি।
১৩৩৪. তৎসম শব্দ কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৭ (খুলনা বিভাগ) ☞7.9.07
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
📝
❐ 'নক্ষত্র'
❐ বিশেষ্য পদ।
▣ তৎসম বা সংস্কৃত শব্দ।
❐ প্রকৃতি প্রত্যয়: = ন + √ক্ষি + ত্র।
❐ অর্থ:
❐ তারা,
❐ তারকা।
▣ বৈষ্ণব,
❐ সংস্কৃত শব্দ।
❐ অর্থ: বিষ্ণুর উপাসক সম্প্রদান, বিষ্ণুভক্ত, বিষ্ণুসম্পর্কিত।
১৩৩৫. বিশেষ্য পদযোগে গঠিত দ্বিরুক্ত শব্দ কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৭ (খুলনা বিভাগ) ☞7.9.07
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
📝 দ্বিরুক্ত শব্দ:
❐ বাংলা ভাষার কোনো কোনো শব্দ, পদ বা অনুকার শব্দ, একবার ব্যবহার করলে যে অর্থ প্রকাশ করে, সেগুলো দুইবার ব্যবহার করলে
❐ অন্য কোনো সম্প্রসারিত অর্থ প্রকাশ করে। এ ধরনের শব্দের পরপর দুইবার প্রয়োগই দ্বিরুক্ত শব্দ গঠিত হয়।
যেমন:-
❐ আমার জ্বর জ্বর লাগছে অর্থাৎ ঠিক জ্বর নয়, জ্বরের ভাব অর্থে এই প্রয়োগ।
⇒ বিশেষণ শব্দযুগলের বিশেষণ রূপে ব্যবহার:
▣ আধিক্য বোঝাতে:
❐ ভালো ভালো আম নিয়ে এসো।
❐ ছোট ছোট ডাল কেটে ফেল।
❐ লাল লাল ফুল।
⇒ বিশেষ্য শব্দযুগলের বিশেষণরূপে ব্যবহার:
❐ আধিক্য বোঝাতে: রাশি রাশি ধান, ধামা ধামা ধান।
❐ সামান্য বোঝাতে: আমি জ্বর জ্বর বোধ করছি।
❐ ধারাবাহিকতা বোঝাতে: তুমি বাড়ি বাড়ি হেঁটে চাঁদা তুলেছ।
১৩৩৬. ‘কি হেতু এসেছ তুমি, কহু বিস্তারিয়া'- হেতু অনুসর্গটি কি অর্থ প্রকাশ করেছে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২য় ধাপ ☞ 2.2.24 📖 সমন্বিত ১০ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ➺সিনিয়র অফিসার ☞10.11.23
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
৩
ব্যাখ্যাঃ
১১. হেতু : নিমিত্ত অর্থে –‘কী হেতু এসেছ তুমি, কহ বিস্তারিয়া । '
জন্যে নিমিত্ত অর্থে – ‘এ ধন-সম্পদ তোমার জন্যে। '
সহকারে : সঙ্গে অর্থে – আগ্রহ সহকারে কহিলেন।
বশত : কারণে অর্থে – দুর্ভাগ্যবশত সভায় উপস্থিত হতে পারিনি।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 "কি হেতু এসেছ তুমি, কহ বিস্তারিয়া’ বাক্যে ‘হেতু’ অনুসর্গটি 'নিমিত্ত' অর্থ প্রকাশ করছে।
▣ উল্লেখ্য যে,
❏ নিমিত্ত শব্দের অর্থ- উপলক্ষ; উদ্দেশ্য; প্রয়োজন।
▣ কিছু অনুসর্গের ব্যবহার:
❏ 'বোকার মতো কাজ করো না।'- 'মতো' অনুসর্গটি 'ন্যায়' অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
❏ আমার কাছে আর কে আসবে?- 'কাছে' অনুসর্গটি 'নিকট' অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
❏ নিমেষ মাঝেই সব শেষ।- 'মাঝে' অনুসর্গটি 'ক্ষণকাল' অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
১৩৩৭. ‘একেই কি বলে সভ্যতা’- এটি মধুসূদন দত্তের কি জাতীয় রচনা?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২য় ধাপ ☞ 2.2.24 📖 শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন সহকারী শ্রম অফিসার-১.০৩ 📖 প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৭ (চট্টগ্রাম বিভাগ) ☞7.9.07
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
একেই কি বলে সভ্যতা? " - এটি মাইকেল মধুসূদন দত্তের প্রহসন। প্রহসন বলতে মুলত একধরনের হাস্যরসাত্মক নাটক বোঝায়। এর উদ্দেশ্য হলো হাস্যরস ও ব্যঙ্গ বিদ্রুপের আড়ালে অতিরঞ্জিত , অসংযত ও অভাবনীয় অবস্থা সৃষ্টির মাধ্যমে দর্শক দের বিনোদন প্রদান করা
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 মাইকেল মধুসূদন দত্ত:
❏ মাইকেল মধুসূদন দত্তএকজন মহাকবি, নাট্যকার।
❏ তিনি ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি যশোর জেলার কপোতাক্ষ নদের তীরে সাগরদাঁড়ি গ্রামে জম্ম গ্রহণ করেন।
❏ মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলাভাষার সনেট প্রবর্তক।
❏ মাইকেল মধুসূদন দত্ত অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক।
❏ মাইকেল মধুসূদন দত্ত প্রথম অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রয়োগ করেন ‘পদ্মাবতী’ নাটকে।
❏ অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ - তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য। অর্থ্যাৎ, এই কাব্যটি সম্পূর্ণ অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত।
❏ মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ দ্য ক্যাপটিভ লেডি। এটি ইংরেজিতে রচিত।
❏ 'একেই কি বলে সভ্যতা' ১৮৬০ সালে প্রকাশিত মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত 'প্রহসন'।
১৩৩৮. নিচের কোনটি শরৎ সাহিত্যের চরিত্র নয়-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২য় ধাপ ☞ 2.2.24
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
সুরবালা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "একরাত্রি" নামক ছোটগল্পের চরিত্র (নায়িকা)।
এই গল্পে নায়কের নাম উল্লেখ নেই।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সার্থক ছোটগল্প ‘মহেশ' যার প্রধান চরিত্র হলো: গফুর, আমেনা, মহেশ।
❏ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের দেনা-পাওনা (১৯২৩) উপন্যাসের প্রধান চরিত্র হচ্ছে জীবনানন্দ ও ষোড়শী।
❏ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত 'চরিত্রহীন' উপন্যাসটির চারটি নারী চরিত্র রয়েছে যার মধ্যে দুটি প্রধান চরিত্র হচ্ছে সাবিত্রী ও কিরণময়ী।
❆ অন্যদিকে,
❏ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত 'একরাত্রি' ছোটগল্পের চরিত্র 'সুরবালা'।
▣ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়:
❏ ১৮৭৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর হুগলি জেলার দেবানন্দপুরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
❏ শরৎচন্দ্রের প্রথম উপন্যাস বড়দিদি (১৯০৭) ভারতী পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
❏ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রথম প্রকাশিত গল্পের নাম 'মন্দির'।
❏ তিনি 'মন্দির' গল্পের জন্য ১৯০৩ সালে কুন্তলীন সাহিত্য পুরষ্কার লাভ করেন।
❏ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত রাজনৈতিক উপন্যাস হলো 'পথের দাবী' যা ১৯২৬ সালে প্রকাশিত হয়।
❏ এটি ব্রিটিশ সরকার বাজেয়াপ্ত করেছিল।
▣ তাঁর রচিত নাটক:
❏ ষোড়শী,
❏ রমা,
❏ বিজয়া ইত্যাদি।
▣ তাঁর রচিত ছোটগল্প:
❏ কাশীনাথ,
❏ মন্দির,
❏ মহেশ,
❏ বিলাসী,
❏ সতী,
❏ মামলার ফল,
❏ মেজদিদি ইত্যাদি।
১৩৩৯. ‘মুক্তি পেতে ইচ্ছুক’ এক কথায় কি বলে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২য় ধাপ ☞ 2.2.24 📖 মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের অধীন জুনিয়র অডিটর-৬.১৪
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
মুক্তি পেতে ইচ্ছুক - মুমুক্ষু (বানানটি বিভিন্ন পরীক্ষায় এসেছে)
* মুক্তি পাওয়ার ইচ্ছা - মুমুক্ষা
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ‘মুক্তি পেতে ইচ্ছুক’ এক কথায় বলে - মুমুক্ষু।
▣ অন্যদিকে,
▣ ‘মুক্তি লাভের ইচ্ছা’ এক কথায় বলে - মুমুক্ষা।
▣ ‘মর্মকে পীড়া দেয় যে’ এক কথায় বলে - মর্মন্তদ।
▣ ‘মরতে বসেছে যে’ এক কথায় বলে - মুমূর্ষু।
১৩৪০. দুটি বাক্যের মধ্যে অর্থের সমন্ধ থাকলে কোন বিরাম চিহ্ন বসে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২য় ধাপ ☞ 2.2.24 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2000➯ক ইউনিট 📖 ১২শ বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা, .১৮
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
সেমিকোলন (;) একাধিক বাক্যের মধ্যে অর্থের নিকট সম্বন্ধ থাকলে বাক্য্যগুলোকে একটু বেশি থামার চিহ্ন দিয়ে ভাগ করতে হয়। এক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় সেমিকোলন।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ♦ সেমিকোলন-চিহ্ন ( ; ):
❏ সেমিকোলন বা অর্ধচ্ছেদ হলো বাক্যের মধ্যে ব্যবহৃত এক ধরনের বাক্যান্তর্গত চিহ্ন।
❏ মনোভাব প্রকাশের বেলায় একটা ভাব একটিমাত্র বাক্যে শেষ হয়ে সন্নিহিত ভাবের নতুন বাক্য শুরু করতে চাইলে একটু বেশি থামতে হয়।
❏ অর্থাৎ একাধিক বাক্যের মধ্যে অর্থের নিকট-সম্বন্ধ থাকলে বাক্যগুলোকে একটু বেশি থামার চিহ্ন দিয়ে ভাগ করতে হয়।
❏ এর জন্যে সেমিকোলন বসে।
❏ 'কমা' অপেক্ষা বেশি বিরতির প্রয়োজন হলে সেমিকোলন বসে।
▣ যেমন:
❏ কোন বইয়ের সমালোচনা করা সহজ; কিন্তু বই লেখা অত সহজ না।
১৩৪১. বাংলা মুদ্রাক্ষরের জনক বলা হয় কাকে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২য় ধাপ ☞ 2.2.24 📖 প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সহকারী পরিচালক-৫.১২
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
৩
ব্যাখ্যাঃ
বাংলা মুদ্রাক্ষরের জনক - চার্লস উইলকিন্স।
বাংলা অক্ষর খোদাই করেন - পঞ্চানন কর্মকার (চার্লস উইলকিন্স এর নির্দেশে)
চার্লস উইলকিন্স প্রথম বাংলা ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করেন ১৭৭৮ সালে (হুগলি)।
তিনি প্রথম বাংলা অক্ষর নকশা করেন।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 বাংলা মুদ্রাক্ষরের জনক বলা হয় - চার্লস উইলকিন্স।
▣ চার্লস উইলকিন্স (১৭৪৯-১৮৩৬):
❏ তিনি ছিলেন প্রাচ্য ভাষাবিদ, কলকাতাস্থ এশিয়াটিক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য এবং বাংলা ও ফারসি মুদ্রাক্ষরের আধুনিক আকৃতির উদ্ভাবক।
❏ তিনি ছিলেন বাংলা ও ফারসি ভাষায় মুদ্রণের জন্য ছাপাখানা স্থাপনের ক্ষেত্রে পথিকৃৎ। এর ফলে মুদ্রণ ও পুস্তক প্রকাশের ক্ষেত্রে এক বিপ্লব সাধিত হয়।
❏ বাংলা বর্ণমালার মুদ্রাক্ষর দ্বারা মুদ্রিত প্রথম বই হলো এন.বি. হ্যালহেডের ‘A Grammar of the Bengali Language' (১৭৭৮)।
১৩৪২. উপসর্গের কাজ কি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২য় ধাপ ☞ 2.2.24
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
উপসর্গের কাজ হচ্ছে নতুন শব্দ গঠন করা।
বাংলা ভাষায় উপসর্গ মূলত তিন প্রকার। যথা : খাঁটি বাংলা উপসর্গ, তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গ, বিদেশি উপসর্গ। এরমধ্যে খাঁটি বাংলা উপসর্গ ২১ টি এবং সংস্কৃত উপসর্গ ২০ টি ও বিদেশি উপসর্গ ১৯ টি।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 উপসর্গ:
❏ যেসব অর্থহীন শব্দাংশ অন্য শব্দের শুরুতে বসে নতুন শব্দ গঠন করে, সেগুলোকে উপসর্গ বলে।
❏ অজানা (অ+জানা), অভিযোগ (অভিযোগ), বেতার (বে+তার) প্রভৃতি শব্দের ‘অ’, ‘অভি’, ‘বে’ হলো উপসর্গ।
❏ উপসর্গের কাজ নতুন শব্দ তৈরি করা।
❏ উপসর্গের নিজের অর্থ নেই; কিন্তু নতুন নতুন অর্থবোধক শব্দ তৈরিতে উপসর্গ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এজন্য বলা হয় "উপসর্গের অর্থ নেই, কিন্তু অর্থের দ্যোতনা তৈরি করার ক্ষমতা আছে"।
❏ বাংলা ভাষায় অর্ধশতাধিক উপসর্গ রয়েছে।
❏ বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত উপসর্গকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়।
❆ যথা-
❆ ১. খাটি বাংলা উপসর্গ,
❆ ২. সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ এবং
❆ ৩. বিদেশি উপসর্গ।
১৩৪৩. ‘নিমরাজি’ শব্দে ‘নিম’ কোন উপসর্গ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২য় ধাপ ☞ 2.2.24
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত ফারসি উপসর্গ এর সংখ্যা ১০ টি। যেমন: না,নিম,ফি,বে,ব,দর,কার,বর,বদ,কম। তন্মধ্যে "নিম" একটি।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ‘নিমরাজি’ শব্দে 'নিম' উপসর্গটি ফারসি (বিদেশি) উপসর্গযোগে গঠিত একটি শব্দ।
▣ উপসর্গ:
❏ বাংলা ভাষায় যেসব শব্দখণ্ড বা শব্দাংশ ধাতুর পূর্বে বসে নতুন শব্দ গঠন করে, সেগুলোকে বলে উপসর্গ।
❏ বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত উপসর্গকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়।
❆ যথা-
❆ ১. খাটি বাংলা উপসর্গ,
❆ ২. সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ এবং
❆ ৩. বিদেশি উপসর্গ।
▣ সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ:
❏ বাংলা ভাষায় যেসকল সংস্কৃত উপসর্গ ব্যবহার করা হয় তাদের সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ বলে।
❏ সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ ২০ টি।
❆ যথা: প্র, পরা, অপ, সম, নি, অনু, অব, নির, দুর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অভি, অপি, উপ, আ।
▣ খাঁটি বাংলা উপসর্গ:
❏ বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত নিজেস্ব উপসর্গকে খাঁটি বাংলা উপসর্গ বলা হয়।
❏ খাঁটি বাংলা উপসর্গ ২১ টি।
❆ যথা: অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, ঊন (ঊনা), কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা।
❆ [বাংলা উপসর্গের মধ্যে আ, সু, বি, নি এই চারটি উপসর্গ তৎসম শব্দেও পাওয়া যায়।]
▣ বিদেশি উপসর্গ:
❏ আরবি, ফারসি, ইংরেজি, হিন্দি এসব ভাষার বহু শব্দ দীর্ঘকাল ধরে বাংলা ভাষায় প্রচলিত আছে।
❏ এছাড়া কিছু বিদেশি উপসর্গও বাংলায় চালু আছে।
❏ বিদেশি উপসর্গ অনির্দিষ্ট বা অনির্ণেয়।
❆ যেমন:
❏ আরবি উপসর্গ: আম, খাস, লা, গর, বাজে এবং খয়ের।
❏ ফারসি উপসর্গ: কার, দর, না, নিম, ফি, বদ, বে, বর, ব, কম।
❏ উর্দু-হিন্দি উপসর্গ: হর, হরেক।
❏ ইংরেজি উপসর্গ: হেড, সাব, ফুল, হাফ।
১৩৪৪. মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছে- এখানে বৃষ্টি শব্দটি কোন কর্তা?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২য় ধাপ ☞ 2.2.24 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟1992➯গ ইউনিট 📖 ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধন- ২০১৯ ( কলেজ পর্যায়) পদের নাম : প্রভাষক ( ৩০-০৮.১৯)
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
ব্যাখ্যাঃ
মুখ্য কর্তা:যে নিজে নিজেই ক্রিয়া সম্পাদন করে সে মুখ্য কর্তা।
যেমন-ছেলেরা স্কুলে যাচ্ছে।মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 কর্তা কারক:
❆ ক্রিয়া যার দ্বারা সম্পাদিত হয়, তাকে কর্তা কারক বলে। বাক্যে কর্তা বা উদ্দেশ্যই কর্তা কারক। কর্তা কারকে সাধারণত বিভক্তি যুক্ত হয় না। যেমন-
❆ আমরা নদীর ঘাট থেকে রিকশা নিয়েছিলাম।
❆ অনেকগুলো বন্য হাতি বাগান নষ্ট করে দিল।
▣ মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছে।- এই বাক্যে বৃষ্টি কর্তৃকারক। কারণ পড়ার কাজ বৃষ্টি নিজে করছে।
❆ নিজেই ক্রিয়া সম্পাদন করছে। সুতরাং বৃষ্টি এখানে মুখ্য কর্তা।
১৩৪৫. ‘খাতক’ শব্দের বিপরীত শব্দ কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২য় ধাপ ☞ 2.2.24
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
খাতক শব্দের অর্থ দেনাদার। সুতরাং এর বিপরীত শব্দ হলো মহাজন।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 'খাতক' শব্দের বিপরীত শব্দ- 'মহাজন'।
▣ গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিপরীত শব্দ:
❏ 'ঘাতক' শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ- পালক,
❏ 'সৌম্য' শব্দের বিপরীত শব্দ- উগ্র,
❏ 'অনুরক্ত' এর বিপরীত শব্দ- বিরক্ত,
❏ 'অনুমেয়' এর বিপরীত শব্দ- অননুমেয়,
❏ 'নিয়ত' এর বিপরীত শব্দ- বিরত,
❏ 'প্রবিষ্ট' এর বিপরীত শব্দ- প্রস্থিত,
❏ 'ঔদ্ধত্য' এর বিপরীত শব্দ- বিনয়।
১৩৪৬. কোন কবির মাতাও একজন কবি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২য় ধাপ ☞ 2.2.24
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
জীবনানন্দ দাশ এর মা কুসুমকুমারী দাশও একজন কবি ছিলেন।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 'জীবনানন্দ দাশ' কবির মাতা কুসুমকুমারী দাশও ছিলেন একজন কবি।
▣ জীবনানন্দ দাশ:
❏ জীবনানন্দ দাশ একজন কবি ও শিক্ষাবিদ।
❏ তিনি ১৮৯৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন।
❏ তাঁদের আদি নিবাস ছিল বিক্রমপুরের গাওপাড়া গ্রামে।
❏ তাঁর পিতা সত্যানন্দ দাশ ছিলেন স্কুলশিক্ষক ও সমাজসেবক।তিনি ব্রহ্মবাদী পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন।
❏ মাতা কুসুমকুমারী দাশ ছিলেন একজন কবি।
❏ রূপসী বাংলার কবি বলা জীবননান্দ দাশকে।
▣ তাঁর উপাধি সমূহ:
❏ ধুসরতার কবি,
❏ তিমির হননের কবি,
❏ রূপসী বাংলার কবি,
❏ নির্জনতার কবি।
▣ তাঁর রচিত কয়েকটি কাব্যগ্রন্থ:
❏ ঝরাপালক,
❏ ধূসর পান্ডুলিপি,
❏ বনলতা সেন,
❏ মহাপৃথিবী,
❏ সাতটি তারার তিমির,
❏ রূপসী বাংলা ইত্যাদি।
১৩৪৭. ‘মৃন্ময়ী’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোন ছোট গল্পের নায়িকা?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২য় ধাপ ☞ 2.2.24 📖 Bangladesh Bank - Assistant Director - 2015
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'সমাপ্তি' ছোটগল্পের নায়িকা 'মৃন্ময়ী' এবং নায়ক' অপূর্বকৃষ্ণ ' । অন্যদিকে তার 'দেনাপাওনা' ছোটগল্পের নায়িকা 'নিরু' পোস্টমাস্টার' গল্পের বালিকা চরিত্র 'রতন' এবং 'মধ্যবর্তিনী ' গল্পের নায়িকা 'হরসুন্দরী' ও 'শৈলবালা' এবং নায়ক 'নিবারণ'।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 'সমাপ্তি' ছোট গল্পের চরিত্র 'মৃন্ময়ী'।
▣ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:
❏ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বাংলা ছোট গল্পের জনক বলা হয়।
❏ তিনি ১১৯ টি ছোটগল্প রচনা করেন।
▣ তাঁর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ছোট গল্প:
❏ ভিখারিণী,
❏ দেনা পাওনা,
❏ মনিহারা,
❏ পোস্টমাস্টার,
❏ এক রাত্রি,
❏ ক্ষুধিত পাষাণ,
❏ স্ত্রীর পত্র,
❏ নষ্টনীড়,
❏ কাবুলিওয়ালা,
❏ হৈমন্তী,
❏ মুসলমানীর গল্প।
১৩৪৮. ‘হর্ষণ' শব্দের অর্থ কি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২য় ধাপ ☞ 2.2.24
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
ব্যাখ্যাঃ
হর্ষ /বিশেষ্য পদ/ আনন্দ, প্রসন্নতা, প্রফুল্লতা, পুলক, উদ্ভেদ, উদ্গম, শিহরণ রোমহর্ষ.।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 'হর্ষণ' (বিশেষ্য)
❆ অর্থ: পুলক, হর্ষ।
❆ আর হর্ষ শব্দটিও একটি বিশেষ্য শব্দ।
❆ অর্থ:
❆ ১। আনন্দ, উল্লাস, পুলক।
❆ ২। উদ্‌গম, উদ্ভেদ।
❆ ৩ শিহরন।
১৩৪৯. কোনটি সঠিক?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২য় ধাপ ☞ 2.2.24 📖 24th BCS General Aug, 2003 📖 পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা-২.০৬
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
বহিপীর বাংলাদেশি সাহিত্যিক সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ-র বাংলা ভাষায় রচিত একটি নাটক
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 বহিপীর:
❏ সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্‌ রচিত নাটক - বহিপীর।
❏ এটি ১৯৬০ সালে ঢাকা থেকে প্রথম প্রকাশিত হয়।
❏ 'কাঁদো নদী কাঁদো' সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্‌ রচিত একটি উপন্যাস।
▣ মহাশশ্মান:
❏ কায়কোবাদের শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ - মহাশশ্মান (মহাকাব্য)।
❏ এটি ১৯০৫ সালে প্রকাশিত।
❏ তার এই কাব্যটি ৩ খন্ডে বিভক্ত।
❏ এটি পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধের কাহিনি অবলম্বনে একটি মহাকাব্য।
▣ সোজন বাদিয়ার ঘাট:
❏ কবি জসীমউদদীনের কাহিনীকাব্য- সোজন বাদিয়ার ঘাট।
❏ এটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৩৩ সালে।
▣ কাঁদো নদী কাঁদো
❏ সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ রচিত উপন্যাস।
❆
❆
১৩৫০. ‘উদাত্ত পৃথিবী’ কাব্য গ্রন্থের রচয়িতা কে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২য় ধাপ ☞ 2.2.24
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
ব্যাখ্যাঃ
কবি সুফিয়া কামার রচিত কাব্যগ্রন্থগুলো হলো সাঁঝের মায়া, মন ও জীবন, উদাত্ত পৃথিবী, অভিযাত্রিক।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 'উদাত্ত পৃথিবী' কাব্য গ্রন্থের রচয়িতা- সুফিয়া কামাল।
❏ এটি ১৯৬৪ সালে প্রকাশিত হয়।
▣ সুফিয়া কামাল:
❏ জননী সাহসিকা হিসেবে পরিচিত সুফিয়া কামাল ছিলেন মূলত কবি।
❏ সুফিয়া কামাল বাংলাদেশের একজন প্রথিতযশা কবি, লেখিকা ও নারী আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ।
❏ তিনি বরিশালের শায়েস্তাবাদে মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।
❏ তার পৈতৃক নিবাস কুমিল্লায়।
❏ 'বেগম' (১৯৪৭) পত্রিকার প্রথম সম্পাদক ছিলেন তিনি।
▣ তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থ:
❏ সাঁঝের মায়া,
❏ উদাত্ত পৃথিবী,
❏ অভিযাত্রিক,
❏ মায়া কাজল ইত্যাদি।
▣ গল্পগ্রন্থ:
❏ কেয়ার কাঁটা,
❏ একাত্তরের ডায়েরী।
১৩৫১. ‘বন্ধন’ শব্দের সঠিক অক্ষর বিন্যাস নিচের কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২য় ধাপ ☞ 2.2.24
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
এক প্রয়াসে উচ্চারিত ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টিকে অক্ষর বলে। অক্ষর উচ্চারণের কাল পরিমাণকে মাত্রা বলে। যেমনঃ বন্ধন শব্দের সঠিক অক্ষর বিন্যাস = বন্ + ধন্।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 বন্ধন (বিশেষ্য)
❆ {(তৎসম বা সংস্কৃত) √বন্ধ্‌ + অন(ল্যুট্‌)}
❆ এর সঠিক অক্ষর বিন্যাস - বন্‌ধন্‌ = বন্‌ + ধন্‌
❆ অর্থ:
❏ বাঁধন,
❏ অবরোধ; আটক; কয়েদ,
❏ আবেষ্টন; বদ্ধভাব (বেণী - বন্ধন),
❏ নির্মাণ; গ্রন্থন (সেতু - বন্ধন),
❏ নিয়ন্ত্রণ; সংযম; নিরোধ।
১৩৫২. ‘আমরা সবাই রাজা আমাদের এই রাজার রাজত্বে’ এ গানে কোন ভাব প্রকাশ পেয়েছে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২য় ধাপ ☞ 2.2.24
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন যখন তুঙ্গে, ক্ষুদিরাম বসু, প্রফুল্ল চাকী যখন জীবন উৎসর্গ করেছে দেশের স্বাধীনতার জন্য, তখন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একটা ভাবিরাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখেছিলেন যেটা প্রতিষ্ঠিত হবে অহিংসার ওপর, সত্যের ওপর ও শ্রেয়ের ওপর।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 রবীন্দ্রনাথের অতি পরিচিত একটি গান ‘আমরা সবাই রাজা’।
❆ ১৩১৭ সালে রচিত ‘রাজা’ নাটকে গানটি ব্যবহৃত হয়। পরবর্তী কালে ‘রাজা’র সংক্ষিপ্ত সংস্করণ ‘অরূপরতন’ নাটকেও গানটি রেখে দেন রবীন্দ্রনাথ।
❆ এই গানটিতে যেন রবীন্দ্রনাথ রাজত্ব বা ‘রুল’ নিয়ে তাঁর আদর্শগুলি সূত্রাকারে লিপিবদ্ধ করে গিয়েছেন।
▣ প্রশ্নের উত্তরটি বুঝার জন্য শুরুতে আমরা গানের ভাষাগুলো লক্ষ্য করি -
▣ "আমরা সবাই রাজা আমাদের এই রাজার রাজত্বে-
❆ নইলে মোদের রাজার সনে মিলব কী স্বত্বে?
❆ আমরা যা খুশি তাই করি, তবু তাঁর খুশিতেই চরি,
❆ আমরা নই বাঁধা নই দাসের রাজার ত্রাসের দাসত্বে-
❆ নইলে মোদের রাজার সনে মিলব কী স্বত্বে?"
▣ অর্থাৎ, রাজ্যে বৈষম্য নেই, রয়েছে সমানাধিকার ও স্বাধীনতা। এই রাজার সঙ্গে আমাদের সম্পর্কটি ত্রাসেরও নয়, দাসত্বেরও নয়। পশ্চিমি চিন্তায় ‘দাসত্ব’ ও ‘স্বাধীনতা’র আইডিয়া দুটি বৈপরীত্যের সূত্রে পরস্পরের সঙ্গে বাঁধা। তাদের দুই মেরুতে রেখে পশ্চিমি রাজনৈতিক চিন্তা এগিয়েছে। এই গানেও তা-ই। আমরা রাজার দাস নই, তাঁর শাসন ভিত্তি ত্রাস নয়, এই কথাটা বলে স্বাধীনতার একটি পরিচিত তত্ত্বেরই আভাস দিলেন রবীন্দ্রনাথ।
❆
❆ "রাজা সবারে দেন মান, সে মান আপনি ফিরে পান,
❆ মোদের খাটো ক'রে রাখে নি কেউ কোনো অসত্যে-
❆ নইলে মোদের রাজার সনে মিলব কী স্বত্বে?
❆ আমরা চলব আপন মতে, শেষে মিলব তাঁরি পথে,
❆ মোরা মরব না কেউ বিফলতার বিষম আবর্তে--
❆ নইলে মোদের রাজার সনে মিলব কী স্বত্বে?"
▣ পথের ব্যাপারটাও লক্ষ্য করবার মতো, ‘আমরা যা খুশি তাই করি’, এমনকী চলিও ‘আপন মতে’, কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখা যায়, আমরা তাঁর ‘খুশিতেই চরি’ ও তাঁর পথেই এসে মিলিত হই। আমাদের স্বাধীনতা ও রাজার নিয়মের মধ্যে কোনও দ্বন্দ্ব নেই। যেন আমাদের স্বাধীনতাতেই তাঁর ইচ্ছের পরিপূরণ এবং নিয়মের সার্থকতা।
❆ এ রাজ্যে পথচলার কোনো বিশৃঙ্খলা নেই, সবাই চলে আপন মতে।
▣
১৩৫৩. সারাংশ কোন পুরুষে লিখতে হয়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২য় ধাপ ☞ 2.2.24
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
সারাংশ প্রথম পুরুষে লিখতে হয়য়। সারাংশ এর ভাষা সহজ ও সাবলীল হওয়া দরকার। বাক্যের বক্তা যে বিশেষ্য বা সর্বনামের দ্বারা বক্তা ও শ্রোতার বাইরে অন্য কাওরে নির্দেশ করে, তাকে প্রথম পুরুষ বলে।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 - সারাংশ প্রথম পুরুষে লিখতে হয়।
❏ মুল রচনায় উক্তি - প্রত্যুক্তি থাকলে তা প্রথম পুরুষে রুপান্তরিত করে লিখতে হবে।
▣ প্রথম পুরুষ বা নাম পুরুষ:
❏ যে সর্বনামের দ্বারা বক্তা বা শ্রোতা ছাড়া অন্য ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গকে বোঝায়, তাকে প্রথম পুরুষ বা নাম পুরুষ বলে।
❏ আমি ও তুমি এবং এদের দলভুক্ত অন্যান্য সর্বনাম ছাড়া যাবতীয় সর্বনাম পদ প্রথম পুরুষ বা নাম পুরুষ।
❏ যেমন: সে, তাকে, তাঁর, তিনি ইত্যাদি।
১৩৫৪. ‘আমার জ্বর জ্বর লাগছে' এটি কোন ধরনের বাক্য?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২য় ধাপ ☞ 2.2.24 📖 জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়➟2017➯খ ইউনিট 📖 ৮ম বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস প্রিলিমিনারী পরীক্ষা, .১৩
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
দ্বিরুক্ত অর্থ দুবার উক্ত হয়েছে এমন। বাংলা ভাষায় কোনো কোনো শব্দ, পদ বা অনুকার শব্দ, একবার ব্যবহার করলে যে অর্থ প্রকাশ করে, সেগুলো দুইবার ব্যবহার করলে অন্য কোনো সম্প্রসারিত অর্থ প্রকাশ করে। এ ধরনের শব্দের পরপর দুইবার প্রয়োগেই দ্বিরুক্ত শব্দ গঠিত হয়। যেমনঃ \"আমার জ্বর জ্বর লাগছে\"।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 গঠন অনুযায়ী বাক্য তিন প্রকার৷
❆ যথা- সরল বাক্য,
❆ মিশ্র/জটিল বাক্য
❆ এবং যৌগিক বাক্য৷
▣ সরল বাক্য:
❆ বাক্যে একটি মাত্র কর্তা এবং একটিমাত্র সমাপিকা ক্রিয়া থাকে, তাকে সরল বাক্য বলে।
❆ যেমন:
❏ পুকুরে পদ্মফুল জন্মে।
❏ তোমরা বাড়ি যাও।
▣ একইভাবে, 'আমার জ্বর জ্বর লাগছে' বাক্যটিতে একটি মাত্র কর্তা এবং একটিমাত্র সমাপিকা ক্রিয়া থাকায় বাক্যটি সরল বাক্য হবে।
▣
❆ জটিল বাক্য:
❆ একটি মূল বাক্যের অধীনে এক বা একাধিক আশ্রিত বাক্য বা বাক্যাংশ থাকলে জটিল বাক্য তৈরি হয়।
❆ যেমন:
❏ যদি তোমার কিছু বলার থাকে, তবে এখনই বলে ফেলো।
▣ যৌগিক বাক্য:
❆ দুই বা ততোধিক স্বাধীন বাক্য যখন যোজকের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে একটি বাক্যে পরিণত হয়, তখন তাকে যৌগিক বাক্য বলে।
❆ এবং, ও, আর, অথবা, বা, কিংবা, কিন্তু, অথচ, সেজন্য, ফলে ইত্যাদি যোজক যৌগিক বাক্যে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
❆ কমা (, ), সেমিকোলন (ঃ), কোলন ( ; ), ড্যাশ ( -) ইত্যাদি যতিচিহ্নও যোজকের কাজ করে।
❆ যেমন:
❏ তুমি চেষ্টা করোনি, তাই ব্যর্থ হয়েছ।
▣ অন্যদিকে,
❆ "দ্বিরুক্ত" বাক্যের কোন ধরন নয়। দ্বিরুক্ত বলতে বুঝায় দুই বার উচ্চারিত হয়েছে এমন।
❆ আমার জ্বর জ্বর লাগছে- বাক্যটিতে ‘জ্বর জ্বর’ হলো দ্বিরুক্ত শব্দ। যা সামান্যতা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে।
▣
১৩৫৫. দেশি শব্দ নয় কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২য় ধাপ ☞ 2.2.24 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2007➯খ ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
দেশি শব্দ হলো - কুলা, গঞ্জ, ঢোল, ঝাঁটা, খোঁপা, ডিঙ্গি, খোকা, টং, বাড়ি, ঝিঙ্গা, তেতুল, লাঠি, পেট, চুলা , ডাক, টোপর, কুড়ি প্রভৃতি।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 দেশি শব্দ:
❏ আর্য জাতি বাংলা দেশে আসার আগে দ্রাবিড়, অস্ট্রিক প্রভৃতি যে-সব প্রাক্-আর্য জাতি এদেশে বসবাস করত তাদের ভাষার অনেক শব্দ বাংলা ভাষায় রয়ে গেছে। সে-সব শব্দরাজিই ‘দেশি' শব্দ।
❆ অর্থাৎ, সংস্কৃতের সঙ্গে সম্পর্কশূন্য, বাংলা দেশের আদিম অধিবাসীদের ভাষার শব্দাবলিকে ‘দেশি শব্দ’ বলা হয়।
❆ যেমন : কুড়ি (কোল ভাষা), পেট (তামিল ভাষা) , চুলা (মুণ্ডারি ভাষা)।
▣ বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত কিছু দেশি শব্দ:
❆ যেমন- খুঁটি, ঝিঙ্গা, চিংড়ি, চাল, ট্যাংরা, ডিঙা, ঢিল , ঢিপি, ঝাটা, মুড়ি, মুড়কি, চেঁকি, ঢোল, ঝোল, ডাহা, ডাঙা, বঁটি, কামড়, দোয়েল, ফিঙে, খাঁচা, খড়, কুলা, গাড়ি, ঘোড়া, ঘোমটা, আঁকা, ধামা, বোঝা, চোঙ্গা, চাঙ, টোপর, ডাব ইত্যাদি।
▣ উল্লেখ্য,
❏ মুড়কী একটি বানানজনিত ভুল যার শুদ্ধরূপ হচ্ছে মুড়কি যা একটি দেশি শব্দ।
❆ - অভিগম্য অভিধান অনুসারে - ঝিঙ্গা [(তৎসম বা সংস্কৃত) ঝিঙ্গাক; মুণ্ডারি ঝিঙ্গা]। মুণ্ডারি দেশি শব্দের অন্তর্গত।
❏ তবে আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে, ঝিঙে - বাংলা শব্দ এবং ঝিঙা - তদ্ভব শব্দ। (ঝিঙ্গা শব্দটি ভুল)
❆
❏ মাছি একটি তদ্ভব শব্দ। যা সংস্কৃত মক্ষিকা থেকে আগত।
▣ সুতরাং, সার্বিক বিবেচনায়, সঠিক উত্তর: ঘ) মাছি
১৩৫৬. 'ষড়ঋতু' কোন সমাস?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺৩য় ধাপ ☞29.3.24 📖 35th BCS General Mar, 2015 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟1992➯গ ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
ব্যাখ্যাঃ
২দ্বিগু সমাস:
1.তিন প্রান্তের সমাহার=তেপান্তর
2. চার রাস্তর সমাহার = চৌরাস্তা
3. ছয় ঋতুর সমাহার=ষড়ঋতু
4. দ্বিগু সমাসে কোন পদ প্রধান=পরপদ
5. সংখ্যাবাচক শব্দ পূর্ব\"পদে বসে = দ্বিগু সমাসে
6. শত অব্দের সমাহার = শতাব্দী
7. তিন ফলের সমাহার =ত্রিফলা
৪. নব রত্নের সমাহার = নবরত্ন
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 'ছয় ঋতুর সমাহার' - ষড়ঋতু; দ্বিগু সমাসের উদাহরণ।
▣দ্বিগু সমাস:
সমাহার বা সমষ্টি বা মিলন অর্থে সংখ্যাবাচক শব্দের সঙ্গে বিশেষ্য পদের যে সমাস হয়, তাকে দ্বিগু সমাস বলে। দ্বিগু সমাসে সমাসনিষ্পন্ন পদটি বিশেষ্য পদ হয়।
যেমন:
ষড়ঋতু = ছয় ঋতুর সমাহার।
চতুরঙ্গ = চার অঙ্গের সমাহার।
চৌরাস্তা = চৌ (চারি) রাস্তার সমাহার।
তেমোহনা = তিন মোহনার সমাহার।
ত্রিকাল = তিন কালের সমাহার।
পসুরি = পাঁচ সেরের সমাহার।
১৩৫৭. 'বাবা' শব্দটি কোন ভাষা থেকে আগত?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺৩য় ধাপ ☞29.3.24
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
বাবা" শব্দটি তুর্কি ভাষা থেকে এসেছে। তুর্কি ভাষার আরো কিছু শব্দ হলো - - চাকর, চাকু, ঠাকুর, বাবুর্চি, মোগল ইত্যাদি। পানি হিন্দি শব্দ।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 'বাবা' শব্দটি 'তুর্কি' ভাষা থেকে আগত শব্দ।
এর অর্থ: পিতা, জনক।
❏তুর্কি ভাষার আরো কয়েকটি শব্দ হলো:
❏ বাবা,
❏ কোর্মা,
❏ খাতুন,
❏ উজবুক
❏ চাকু,
❏ তোপ,
❏ বাবুর্চি ইত্যাদি।
১৩৫৮. বাংলা বর্ণমালায় মাত্রাহীন বর্ণের সংখ্যা কত?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺৩য় ধাপ ☞29.3.24 📖 37th BCS General Sep, 2016 📖 ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়➟2009➯C ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
ব্যাখ্যাঃ
বাংলা বর্ণমালায় বর্ণসংখ্যা ( স্বরবর্ণ ১১ টি এবং ব্যঞ্জনবর্ণ ৩৯ টি) - ৫০টি। তন্মধ্যে মাত্রাহীন বর্ণ ১০ টি ( স্বরবর্ণ ৪ টি - এ, ঐ, ও, ঔ এবং ব্যঞ্জনবর্ণ ৬ টি - ঙ, ঞ, ৎ, ং, ঁ)।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 বাংলা বর্ণমালায় মাত্রাহীন বর্ণের সংখ্যা - ১০টি।
▣বর্ণ:
❏ ধ্বনির প্রতীককে বলা হয় বর্ণ।
❏ এই বর্ণ কানে শোনার বিষয়কে চোখে দেখার বিষয়ে পরিণত করে।
❏ ভাষার সবগুলো বর্ণকে একত্রে বলা হয় বর্ণমালা।
❏ ধ্বনির বিভাজন অনুযায়ী বাংলা বর্ণমালাকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়।
❏ স্বরধ্বনির প্রতীক স্বরবর্ণ।
❏ ব্যঞ্জনধ্বনির প্রতীক ব্যঞ্জনবর্ণ।
❏ বাংলা বর্ণমালায় মূল বর্ণের সংখ্যা ৫০টি। তবে মূল বর্ণের পাশাপাশি বাংলা বর্ণমালায় রয়েছে নানা ধরনের কারবর্ণ, অনুবর্ণ, যুক্তবর্ণ ও সংখ্যাবর্ণ।
▣মাত্রাহীন বর্ণ:
❏ বাংলা বর্ণমালায় মাত্রাহীন বর্ণের সংখ্যা - ১০টি।
❏ স্বরবর্ণে মাত্রাহীন বর্ণের সংখ্যা - ৪টি।
যথা: এ, ঐ, ও, ঔ।
❏ ব্যঞ্জনবর্ণে মাত্রাহীন বর্ণের সংখ্যা - ৬টি।
যথা: ঙ, ঞ, ৎ, ং, ঃ, ঁ।
১৩৫৯. 'মুজিববর্ষ' কোন সমাস?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺৩য় ধাপ ☞29.3.24 📖 23rd BCS General Mar, 2001 📖 পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকা(FWV) প্রশিক্ষণার্থী-৬.১৩
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
মুজিববর্ষ\" একটি সমাসবদ্ধ পদ বা সমাসের নিয়মে গঠিত (মধ্যপদলোপী) কর্মধারয় সমাসান্ত শব্দ, যার একটি ব্যাসবাক্য হতে পারে: মুজিব (নামাঙ্কিত/মুজিবের স্মরণে যে) বর্ষ।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 মুজিববর্ষ এর ব্যাসবাক্য: 'মুজিবের স্মরণে যে বর্ষ'।
❏ এটি মধ্যপদলোপী কর্মধারয়।
🞑মধ্যপদলোপী কর্মধারয়:
যে কর্মধারয় সমাসে ব্যাসবাক্যের মধ্যপদের লোপ হয়, তাকে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস বলে।
▣যথা-
❏ সাহিত্য বিষয়ক সভা = সাহিত্যসভা।
❏ সিংহ চিহ্নিত আসন = সিংহাসন।
❏ স্মৃতি রক্ষার্থে সৌধ = স্মৃতিসৌধ।
❏ আয়ের উপর কর = আয়কর।
❏❏ মুজিববর্ষ' সম্পর্কে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
❏ ‘মুজিববর্ষ’ ঘোষণা করা হয় - ১২ জানুয়ারী, ২০১৯।
❏ ১৭ মার্চ ২০২০ — ৩১ মার্চ ২০২২ সাল মুজিব বর্ষের সময়কাল।
❏ সব্যসাচী হাজরা মুজিব বর্ষের লোগোর ডিজাইনার।
❏ মুজিববর্ষ-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী (জন্ম ১৭ মার্চ ১৯২০)।
❏ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘মুজিব বর্ষ’ ঘোষণা করেন।
❏ মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা শুরু হয় ১০ জানুয়ারি ২০২০ থেকে।
❏ তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর, ঢাকা মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
❏ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা উদ্বোধন করেন।
❏ ১০ জানুয়ারি ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিববর্ষের লোগো উন্মোচন করেন।
১৩৬০. মনোহর শব্দটির সন্ধিবিচ্ছেদ-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺৩য় ধাপ ☞29.3.24
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
মনোহর = মনঃ + হর
মনস্কাম = মনঃ + কাম
ব্যর্থ = বি + অর্থ
সিংহাসন = সিংহ + আসন
প্রতিষ্ঠা = প্রতি + ইষ্ঠা
সমুজ্জ্বল = সম + উজ্জ্বল
প্রস্তর = প্র-স্তৃ ( ধাতু ) + অ
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 'মনোহর' শব্দের সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ হবে 'মনঃ + হর'।
❏❏ সন্ধির নিয়ম:
অ-কারের পরস্থিত স-জাত বিসর্গের পর ঘোষ অল্পপ্রাণ ও ঘোষ মহাপ্রাণ ব্যঞ্জনধ্বনি, নাসিক্য ধ্বনি কিংবা অন্তঃস্থ য, অন্তঃস্থ ব, র, ল, হ থাকলে,
অ-কার ও স-জাত বিসর্গ স্থলে ও-কার হয়। যেমন:
❏সদ্যঃ + জাত = সদ্যোজাত,
❏ তিরঃ + ধান = তিরোধান,
❏মনঃ + রম = মনোরম,
❏ মনঃ + হর = মনোহর,
❏ তপঃ + বন = তপোবন ইত্যাদি।
১৩৬১. 'সোনালি কাবিন' কাব্যের রচয়িতা কে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺৩য় ধাপ ☞29.3.24
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
২
ব্যাখ্যাঃ
সোনালি কাবিন কাব্যের রচয়িতা আল মাহমুদ। এটি একটি সনেট জাতীয় কাব্য। যা ১৯৭৩ সালে প্রকাশিত হয়।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 'সোনালি কাবিন'- আল মাহমুদ রচিত সনেট।
❏'সোনালি কাবিন' কাব্যগ্রন্থ:
❏ 'সোনালী কাবিন' কাব্যগ্রন্থের রচিয়তা আল মাহমুদ।
❏ আল মাহমুদ প্রকাশিত শ্রেষ্ঠ কাব্য গ্রন্থ 'সোনালী কাবিন'।
❏ সোনালী কাবিন কাব্য গ্রন্থটি ১৯৭৩ সালে প্রকাশিত হয়।
❏ এই গ্রন্থে বিভিন্ন শিরোনামের কবিতার সঙ্গে ‘সোনালি কাবিন’ নামে চৌদ্দটি সনেটের সমন্বয়ে একটি দীর্ঘ কবিতাও অন্তর্ভুক্ত আছে। এটিকে একটি ক্ষুদ্র কাব্যগ্রন্থও বলা যেতে পারে।
▣আল মাহমুদ:
❏ কবি আল মাহমুদের প্রকৃত নাম মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ।
❏ আল মাহমুদ ১৯৩৬ সালের ১১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার মোড়াইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
❏ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন প্রবাসী সরকারের দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে।
▣তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ:
❏ লোক লোকান্তর,
❏ কালের কলস,
❏ মায়াবী পর্দা দুলে ওঠো ,
❏ আরব্য রজনীর রাজহাঁস,
❏ বখতিয়ারের ঘোড়া,
❏ অদৃশ্যবাদীদের রান্নাবান্না,
❏ দিনযাপন,
❏ দ্বিতীয় ভাঙ্গন,
❏ একটি পাখি লেজ ঝোলা,
❏ পাখির কাছে ফুলের কাছে ইত্যাদি।
১৩৬২. 'চোরাবালি' কাব্যগ্রন্থটি কার লেখা?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺৩য় ধাপ ☞29.3.24
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
২
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 🞑 বিষ্ণু দে 'চোরাবালি' কাব্যগ্রন্থটি রচনা করেছেন।
▣বিষ্ণু দে:
❏ তিনি ছিলেন কবি, প্রাবন্ধিক, চিত্রসমালোচক ও শিল্পানুরাগী।
❏ ১৯০৯ সালের ১৮ জুলাই কলকাতার পটলডাঙ্গায় জন্মগ্রহণ করেন।
❏ কল্লোল সাহিত্যগোষ্ঠীর লেখক।
❏ 'পরিচয়' পত্রিকার সম্পাদকমন্ডলীর একজন ছিলেন।
▣- তাঁর সাহিত্যকর্ম:
কাব্যগ্রন্থ:
❏ উর্বশী ও আর্টেমিস,
❏ চোরাবালি,
❏ সাত ভাই চম্প,
❏ স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যত ইত্যাদি।
▣অনুবাদ সাহিত্য:
❏ এলিয়টের কবিতা।
১৩৬৩. বাংলা ভাষায় কয়টি তৎসম উপসর্গ রয়েছে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺৩য় ধাপ ☞29.3.24 📖 ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়➟2005➯B ইউনিট 📖 ১৪তম বেসরকারি প্রভাষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন পরিক্ষা-২৫.০৮.১৭
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
২
ব্যাখ্যাঃ
বাংলা ভাষায় তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গ ২০ টি। এবং
বাংলা ভাষায় খাঁটি বাংলা উপসর্গ হলো ২১ টি।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ ২০ টি।
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত উপসর্গকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়।
যথা-
১. খাটি বাংলা উপসর্গ,
২. সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ এবং
৩. বিদেশি উপসর্গ।
▣খাঁটি বাংলা উপসর্গ:
❏ বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত নিজেস্ব উপসর্গকে খাঁটি বাংলা উপসর্গ বলা হয়।
❏ খাঁটি বাংলা উপসর্গ ২১ টি।
যথা:
❏ অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, ঊন (ঊনা), কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা।
▣সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ:
❏ বাংলা ভাষায় যেসকল সংস্কৃত উপসর্গ ব্যবহার করা হয় তাদের সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ বলে।
- সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ ২০ টি।
যথা:
❏ প্র, পরা, অপ, সম, নি, অনু, অব, নির, দুর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অভি, অপি, উপ, আ।
▣[বাংলা উপসর্গের মধ্যে আ, সু, বি, নি এই চারটি উপসর্গ তৎসম শব্দেও পাওয়া যায়।]
▣বিদেশি উপসর্গ:
❏ আরবি, ফারসি, ইংরেজি, হিন্দি এসব ভাষার বহু শব্দ দীর্ঘকাল ধরে বাংলা ভাষায় প্রচলিত আছে।
এছাড়া কিছু বিদেশি উপসর্গও বাংলায় চালু আছে।
▣ বিদেশি উপসর্গ অনির্দিষ্ট বা অনির্ণেয়।
যেমন:
❏ আরবি উপসর্গ: আম, খাস, লা, গর, বাজে এবং খয়ের।
❏ ফারসি উপসর্গ: কার, দর, না, নিম, ফি, বদ, বে, বর, ব, কম।
❏ উর্দু উপসর্গ: হর।
❏ ইংরেজি উপসর্গ: হেড, সাব, ফুল, হাফ।
১৩৬৪. বাংলা সাহিত্যের কথা' কার রচিত?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺৩য় ধাপ ☞29.3.24
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
ব্যাখ্যাঃ
বাংলা সাহিত্যের কথা - ১ম ও ২য় খণ্ড (প্রাচীন যুগ): ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 'বাংলা সাহিত্যের কথা' এর রচয়িতা- ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ।
▣ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ:
❏ তাঁর জন্ম ১৮৮৫ সালের ১০ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের চবিবশ পরগনা জেলার পেয়ারা গ্রামে ।
❏ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনে শহীদুল্লাহ্ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
❏ তিনিই প্রথম উর্দুর পরিবর্তে বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার যৌক্তিক দাবি জানান।
❏ তিনি বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতির সম্পাদক (১৯১১) ছিলেন।
❏ ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ে শহীদুল্লাহ্র বহু মননশীল ও জ্ঞানগর্ভ প্রবন্ধ নানা পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে এবং এ সংক্রান্ত বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা তিনি সম্পাদনা করেন। আল এসলাম পত্রিকার সহকারী সম্পাদক (১৯১৫) ও বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকার যুগ্ম সম্পাদক (১৯১৮-২১) হিসেবে তিনি যোগ্যতার পরিচয় দেন।
❏ তাঁরই সম্পাদনা ও প্রকাশনায় মুসলিম বাংলার প্রথম শিশুপত্রিকা আঙুর (১৯২০) আত্মপ্রকাশ করে।
❏ এছাড়াও তিনি ইংরেজি মাসিক পত্রিকা দি পীস (১৯২৩), বাংলা মাসিক সাহিত্য পত্রিকা বঙ্গভূমি (১৯৩৭) এবং পাক্ষিক তকবীর (১৯৪৭) সম্পাদনা করেন।
❏ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন ও মধ্যযুগের ইতিহাস রচনাসহ বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের বহু জটিল সমস্যার সমাধান করেন।
▣তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
❏ভাষা ও সাহিত্য,
❏বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত,
❏দীওয়ানে হাফিজ,
❏রুবাইয়াত-ই-ওমর খৈয়াম,
❏নবী করিম মুহাম্মাদ,
❏ইসলাম প্রসঙ্গ,
❏বিদ্যাপতি শতক,
❏বাংলা সাহিত্যের কথা (২ খণ্ড),
❏বাংলা ভাষার ব্যাকরণ,
❏ব্যাকরণ পরিচয়,
❏বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান,
❏মহররম শরীফ,
❏টেইল ফ্রম দি কুরআন,
❏Buddhist Mystic Songs (১৯৬০),
❏Hundred Sayings of the Holy Prophet.
১৩৬৫. 'যা বলা হবে' এর বাক্য সংকোচন কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺৩য় ধাপ ☞29.3.24 📖 কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর (হিসার রক্ষক) 3.21 📖 ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন ➺স্কুল~সমপর্যায় ১☞30.12.22
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
২
ব্যাখ্যাঃ
যা বলা হবে – বক্তব্য
যা বলা হয়েছে – উক্ত
যা ভবিষ্যতে ঘটবে – ভবিতব্য
সুতরাং সঠিক উত্তর : বক্তব্য।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 'যা বলা হবে' এর বাক্য সংকোচন = বক্তব্য।
❏বক্তব্য (বিশেষণ) শব্দ:
❏ সংস্কৃত শব্দ।
❏ প্রকৃতি প্রত্যয় = √ বচ্‌ + তব্য।
অর্থ:
❏ বলতে হবে বা বলার যোগ্য এমন,
❏ আলোচ্য, উল্লেখ্য।
❏অন্যদিকে,
উক্ত (বিশেষণ)
অর্থ: বলা হয়েছে এমন, কথিত।
▣ভবিতব্য (বিশেষ্য)
অর্থ: ভাগ্য, নিয়তি।
যাব ভবিষ্যতে ঘটবে- ভবিতব্য।
❏আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাক্য সংকোচন:
'যা পূর্বে শোনা যায় নি'- এর এক কথায় প্রকাশ হবে- 'অশ্রুতপূর্ব'।
'প্রিয় বাক্য বলে যে'এর এক কথায় প্রকাশ হবে- 'প্রিয়ভাষী।'
'যা বলা হয় নি এর'- এক কথায় প্রকাশ হবে- 'অনুক্ত'।
'মনোগত ইচ্ছা' এর এক কথায় প্রকাশ -ঈপ্সিত।
'লাভ করা ইচ্ছা' এর এক কথায় প্রকাশ - লিপ্সা।
'যে বা যা হবে' এর এক কথায় প্রকাশ - ভাবী।
'যা ভাবা হয়নি'এর এক কথায় প্রকাশ - অভাবিত।
'পাওয়ার ইচ্ছা'এর এক কথায় প্রকাশ - ঈপ্সা।
১৩৬৬. ’ব্যায়ামে’ শরীর ভালো থাকে- বাক্যে নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺৩য় ধাপ ☞29.3.24 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2015➯ঘ ইউনিট 📖 ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়➟2011➯C ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
২
ব্যাখ্যাঃ
ব্যায়ামে" শরীর ভাল থাকে - - - বাক্যে উদ্ধৃত শব্দটি করণ কারকে ৭মী বিভক্তি।
করণ" শব্দের অর্থ: যন্ত্র, সহায়ক বা উপায়। ক্রিয়া সম্পাদনের যন্ত্র, উপকরণ বা সহায়ককেই করণ কারক বলা হয়।
বাক্যস্থিত ক্রিয়াপদের সঙ্গে "কিসের দ্বারা" বা "কী উপায়ে" প্রশ্ন করলে যে উত্তরটি পাওয়া যায়, তা - ই করণ কারক। যেমন - নীরা কলম দিয়ে লেখে। "জগতেকীর্তিমান হয় সাধনায়।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 'ব্যায়ামে শরীর ভালো হয়’ - বাক্যে নিম্নরেখ শব্দটি করণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি।
▣করণ কারক:
❏ 'করণ' শব্দটির অর্থ: যন্ত্র, সহায়ক বা উপায়।
❏ ক্রিয়া সম্পাদনের যন্ত্র, উপকরণ বা সহায়ককেই করণ কারক বলা হয়।
❏ বাক্যস্থিত ক্রিয়াপদের সঙ্গে 'কীসের দ্বারা' বা 'কী উপায়ে' প্রশ্ন করলে যে উত্তরটি পাওয়া যায়, তা-ই করণ কারক।
যেমন -
❏ নীরা কলম দিয়ে লেখে। (উপকরণ-কলম)।
❏ 'জগতে কীর্তিমান হয় সাধনায়।' (উপায় সাধনা)।
▣ বাক্যটি - ‘ব্যায়ামে শরীর ভাল থাকে’ :
কীসের দ্বারা বা কী উপায়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায় তাই করণ কারক।
যেমন - ‘ব্যায়ামে শরীর ভাল থাকে’ - এই বাক্যে কিসের দ্বারা বা কী উপায়ে শরীর ভাল থাকে প্রশ্ন করলে উত্তর পাওয়া যায় ‘ব্যায়ামে’ ।
এবং এর সাথে সপ্তমী বিভক্তি ‘এ’ যুক্ত হয়েছে।
১৩৬৭. 'জরা' এর বিপরীতার্থক শব্দ-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺৩য় ধাপ ☞29.3.24
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
৩
ব্যাখ্যাঃ
জরা -শব্দের অর্থ বাধর্ক্যজনিত দুর্বল অবস্থা। সুতরাং জরা - এর বিপরীর্তাথক শব্দ যৌবন
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 'জরা' এর বিপরীত শব্দ'যৌবন'।
▣ আরো কিছু বিপরীতার্থক শব্দ-
❏ 'আকুঞ্চন' শব্দের বিপরীত শব্দা = প্রসারণ।
❏ 'সংহত' শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ = বিভক্ত।
❏ 'প্রসারিত' শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ = সংকুচিত।
❏ 'হত' শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ = জীবিত।
❏ 'সংযত' শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ = অসংযত।
১৩৬৮. 'চাঁদ দেখা যাচ্ছে'- এ বাক্যে কোন বাচ্যের প্রয়োগ ঘটেছে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺৩য় ধাপ ☞29.3.24 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2009➯গ ইউনিট 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2013➯B ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
ব্যাখ্যাঃ
"চাঁদ দেখা যাচ্ছে" বাক্যে কর্মকর্তৃবাচ্যের প্রয়োগ ঘটেছে।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 'চাঁদ দেখা যাচ্ছে'- এ বাক্যে কর্মকর্তৃবাচ্যের প্রয়োগ ঘটেছে।
▣কর্মকর্তৃবাচ্য:
যে বাক্যে কর্মপদই কর্তৃস্থানীয় বাক্য গঠন করে, তাকে কর্মকর্তৃবাচ্যের বাক্য বলে।
❏ যে বাক্যে কর্মকারক কর্তার মতো প্রতীয়মান হয় অর্থ্যাৎ ক্রিয়ার কর্তার মনোযোগ ব্যতীত সম্পাদিত হয়, তাকে কর্মকর্তৃবাচ্য বলে।
যেমন:
❏ বিষয়টি ভালো শোনায় না।
❏ বাঁশি বাজে এ মধুর লগনে।
❏ সুতি কাপড় অনেক দিন টেকে।
❏ এসিটা চালু হলো।
❏ ফুল ফোটে।
▣উল্লেখ্য,
❏ সাধারণত প্রাকৃতিক ঘটনামূলক ক্রিয়ায় এই বাচ্যের প্রয়োগ দেখা যায়।
১৩৬৯. বাংলাদেশ' কবিতাটি কার লেখা?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺৩য় ধাপ ☞29.3.24 📖 22nd BCS General Feb, 2001 📖 রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -গোলাপ- ০৯.১২.১১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
বাংলাদেশ" কবিতাটির রচয়িতা অমিয় চক্রবর্তী। তার "অনিঃশেষ" কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত এ কবিতাটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রচিত হয়েছে । কবিতাটি ১৮ মাত্রার প্রবহমান অক্ষরবৃত্ত ছন্দে রচিত ।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 'বাংলাদেশ' কবিতাটির রচয়িতা: 'অমিয় চক্রবর্তী'।
▣'বাংলাদেশ' কবিতা:
❏ অমিয় চক্রবর্তী রচিত বাংলাদেশ কবিতাটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রেক্ষাপটে রচিত।
❏ অমিয় চক্রবর্তী রচিত বিখ্যাত কবিতা ‘বাংলাদেশ’ অনিঃশেষ (১৯৭৬) কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত একটি কবিতা।
❏ কবিতাটি স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রচিত।
❏ কবিতাটি অক্ষরবৃত্ত ছন্দে রচিত।
▣অমিয় চক্রবর্তী:
❏ পশ্চিমবঙ্গের হুগলীর শ্রীরামপুরে তাঁর জন্ম।
❏ অমিয় চক্রবর্তী তাঁর জীবনের প্রথম দিকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নিকট-সান্নিধ্যে এসেছিলেন।
❏ তিনি রবীন্দ্রনাথের ব্যক্তিগত সচিব ছিলেন এবং তাঁর সঙ্গে বহুদেশে ভ্রমণ করেছেন।
❏ তিরিশের পঞ্চকবির মধ্যে তিনি অন্যতম একজন।
▣তাঁর অন্যান্য গ্রন্থ:
❏ উপহার,
❏ খসড়া,
❏ এক মুঠো,
❏ মাটির দেয়াল,
❏ অভিজ্ঞান বসন্ত ইত্যাদি।
কবিতাংশ:
কল্যাণীর ধারাবাহী যে_মাধুরী বাংলা ভাষায়
গড়েছে আত্মীয় পল্লী,যমুনা-পদ্মার তীরে তীরে
রুপোলি জলের ধারে,আম-জাম-নারকেল ঘেরা
আমন ধানের খেতে শ্রুতিময় তারি অন্তর্লীন
বাণী শোনো প্রাত্যহিক-বহু মিশ্র প্রাণের সংসারে
সেই বাংলাদেশে ছিল সহস্রের একটি কাহিনী
কোরানে পুরাণে শিল্পে,পালা-পার্বণের ঢাকে ঢোলে
আউল বাউল নাচে;পুন্যাহের সানাই রজ্ঞিত
রোদ্দুরে আকাশতলে দেখ কারা হাটে যায়,মাঝি
পাল তোলে,তাঁতি বোনে,খড়ে-ছাওয়া ঘরের আঙনে
মাঠে ঘাটে-শ্রমসঙ্গী নানাজাতি ধর্মের বসতি
চিরদিন বাংলাদেশ (সংক্ষেপিত)।
১৩৭০. জটিল বাক্যের অন্তর্গত প্রত্যেক খণ্ড বাক্যের পর বসে-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺৩য় ধাপ ☞29.3.24 📖 ১২শ বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা, .১৮ 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2011➯গ ইউনিট
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
জটিল বাক্য অন্তর্গত প্রত্যেক খণ্ডবাক্যের পরে কমা ব্যবহৃত হয়। অপূর্ণ বাক্যের পরে অন্য একটি বাক্যের অবতারনা করতে কোলন ব্যবহৃত হয়। একাধিক স্বাধীন বাক্যকে একত্রে লিখতে সেমিকোলন এবং বাক্যের পরিসমাপ্তি বোঝাতে দাড়ি ব্যবহৃত হয়।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 জটিল বাক্যের অন্তর্গত প্রত্যেক খন্ড বাক্যের পরে কমা বসে।
যেমন:
❏ গতকাল যে লোকটি এসেছিল, সে আমার পরিচিত।
▣এছাড়াও কমার ব্যবহার:
❏ বাক্যে সমজাতীয় একাধিক পদ থাকলে কমা ব্যবহৃত হয়।
যথা:
❏ সালাম, বরকত, রফিক- নাম না জানা আরো অনেকে শহিদ হয়েছেন ভাষা আন্দোলনে।
▣ পরস্পর সম্বন্ধসূচক একাধিক বিশেষ্য বা বিশেষণ পদ একসঙ্গে বসলে শেষ পদটি ছাড়া বাকি সবগুলোর পরই কমা বসবে।
যেমন:
❏ সুখ, দুঃখ, আশা, নৈরাশ্য একই মালিকার পুষ্প।
▣ সমজাতীয় একাধিক বাক্য বা বাক্যাংশ থাকলে কমা ব্যবহৃত হয়।
যেমন:
বসতে দিলে শুতে চায়, শুতে দিলে ঘুমাতে চায়।
▣বাক্যের প্রারম্ভে সম্বোধনের পরে কমা বসাতে হয়।
যেমন:
❏ শুভ, এদিকে এসো।
১৩৭১. Forgery শব্দের বাংলা পরিভাষা কি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺৩য় ধাপ ☞29.3.24
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
ব্যাখ্যাঃ
Forgery অর্থ জালিয়াতি বা নকল
এর ইংরেজি synonym Counterfeit.
পূর্বাভাস ইংরেজি অর্থ forecast
বাজেয়াপ্ত ইংরেজি অর্থ Confiscate / seize
সুতরাং সঠিক উত্তর জালিয়াতি।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ‘Forgery’ শব্দের বাংলা পরিভাষা - জালিয়াতি।
▣কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পারিভাষিক শব্দ:
❏ ‘Vigorous Search’ শব্দের বাংলা পরিভাষা - জোরদার তল্লাশী।
❏ ’ Forfeiture' শব্দের বাংলা পরিভাষা - বাজেয়াপ্তকরণ।
❏ ‘Criminal Liability’ শব্দের বাংলা পরিভাষা - ফৌজদারি রায়।
❏ Analogy শব্দের বাংলা পরিভাষা- উপমা।
❏ Constipation শব্দের বাংলা পরিভাষা- কোষ্ঠকাঠিন্য।
❏ 'Epoch' এর বাংলা পরিভাষা: 'যুগ'।
❏ 'Insomnia' এর বাংলা পরিভাষা: 'অনিদ্রা'।
১৩৭২. 'বিবর' শব্দের অর্থ কি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺৩য় ধাপ ☞29.3.24 📖 সমন্বিত ১০ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ➺অফিসার ~জেনারেল ☞8.3.24
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
ব্যাখ্যাঃ
বিবর এর বাংলা অর্থ
[বিবর্] (বিশেষ্য) গর্ত; গহ্বর; ছিদ্র; রন্ধ্র; বিল (যারা বর্বর হেথা বাঁধে ঘর বিবরের ফণী লয়ে-কাজী নজরুল ইসলাম; সাপিনী তাপিনী তাপে বিবরে লুকায়-ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে,
'বিবর' শব্দের অর্থ -গহ্বর।
❏--------------
❏ 'বিবর':
❏ সংস্কৃত শব্দ।
❏----------
❏ আরো কিছু শব্দার্থ :
❏ চূড়া' শব্দের অর্থ : শীর্ষদেশ, শিখর।
❏ পর্ণ শব্দের অর্থ - গাছের পাতা; তাম্বুল; পান; ডানা ইত্যাদি।
❏ পর্ণমোচী শব্দের অর্থ - পত্রঝরা; পত্রমোচী।
❏ 'সলিল' শব্দের অর্থ = 'জল'।
❏ 'খগ' শব্দের অর্থ - পাখি।
❏ ‘সওগাত’ শব্দের অর্থ - উপঢৌকন; উপহার।
১৩৭৩. 'ফুল ফুটুক আর না ফুটুক, আজ বসন্ত'- এ উদ্ধৃতিটি কার?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺৩য় ধাপ ☞29.3.24
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
ফুল ফুটুক না ফুটুক
আজ বসন্ত
শান - বাঁধানো ফুটপাথে
পাথরে পা ডুবিয়ে এক কাঠখোট্টা গাছ
কচি কচি পাতায় পাঁজর ফাটিয়ে
হাসছে।
ফুল ফুটুক না ফুটুক
আজ বসন্ত। - সুভাষ মুখোপাধ্যায়।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 "ফুল ফুটুক আর না ফুটুক আজ বসন্ত" এ উদ্ধৃতির রচয়িতা সুভাষ মুখোপাধ্যায়।
❏ সুভাষ মুখোপাধ্যায়:
❏ ১৯১৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরে জন্মগ্রহণ করেন।
❏ সাহিত্য-সংস্কৃতির সাংগঠনিক নেতৃত্বেও তিনি পারদর্শিতার পরিচয় দেন।
❏ ১৯৫৮ সালে তিনি তাসখন্দে অনুষ্ঠিত আফ্রো-এশীয় লেখক সম্মেলনে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন।
❏ সুভাষ মুখোপাধ্যায় একটি বিখ্যাত কবিতা, 'ফুল ফুটুক আর না ফুটুক, আজ বসন্ত'।
❏ তিনি 'সুবচনী' ছদ্মনামে সাহিত্য চর্চা করতেন।
❏ ২০০৩ সালের ৮ জুলাই তিনি মারা যান।
❏ কবিতাটি নিম্নরূপ-
ফুল ফুটুক না ফুটুক
সুভাষ মুখোপাধ্যায়
▣ফুল ফুটুক না ফুটুক
আজ বসন্ত।
শান-বাঁধানো ফুটপাথে
পাথরে পা ডুবিয়ে এক কাঠখোট্টা গাছ
কচি কচি পাতায় পাঁজর ফাটিয়ে
হাসছে।
ফুল ফুটুক না ফুটুক
আজ বসন্ত। (সংক্ষিপ্ত)।
১৩৭৪. 'কাঁদো নদী কাঁদো' এর রচয়িতা কে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺৩য় ধাপ ☞29.3.24
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
০
ব্যাখ্যাঃ
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ রচিত উপন্যাস: লালসালু ১৯৪৮ চাঁদের অমাবস্যা ১৯৬৪ কাঁদো নদী কাঁদো ১৯৬৮ কদর্য এশীয় ২০০৬
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 'কাঁদো নদী কাঁদো'- সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ রচিত চেতনাপ্রবাহরীতির একটি উপন্যাস।
▣সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্‌:
❏ ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ই আগস্ট চট্টগ্রামের ষোলশহরে জন্মগ্রহণ করেন।
❏ ছাত্রাবস্থায় তিনি 'ভরের আলো' নামের হাটে লেখা পত্রিকা সম্পাদন করেন।
❏ 'কাঁদো নদী কাঁদো' উপন্যাস:
❏ ১৯৬৮ সালে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ রচিত চেতনাপ্রবাহরীতির একটি উপন্যাস।
❏ আঙ্গিক প্রকরণে পাশ্চাত্যের প্রভাব থাকলেও এর সমাজজীবন, পরিবেশ ও চরিত্রাদি স্বদেশীয়। - তবারক ভুঁইয়া নামে এক স্টিমারযাত্রীর মুখে বিবৃত কুমুরডাঙ্গার ছোট হাকিম মুহাম্মদ মুস্তফার জীবনালেখ্য ও অন্তর্জীবনের ইতিকথা এর বিষয়বস্ত্ত। প্রকৃতপক্ষে তা মুহাম্মদ মুস্তফারই অবচেতন মনের বিবৃতি।
❏ এরূপ আঙ্গিকের জন্য চরিত্রের মতো আখ্যানভাগও আপাত জটিল ও খাপছাড়া বলে প্রতিভাত হয়।
❏ একদিকে নিয়তি তাড়িত মুহাম্মদ মুস্তফার করুণ জীবনোপাখ্যান।
❏ অপরদিকে শুকিয়ে যাওয়া বাকাল নদীর প্রভাবতাড়িত কুমুরডাঙ্গার মানুষের ব্যতিব্যস্ত জীবনচিত্র জীবন ও নিসর্গ, বাস্তব ও পরাবাস্তব, মানবচৈতন্য ও অবচেতনা, বিশ্বাস ও সংস্কার সবকিছু মিলে অস্তিত্ববাদ ও নিয়তিবাদের সমন্বয়ে এক অভিনব ও জটিল শৈল্পিক নৈপুণ্যে গ্রন্থখানি বাংলা উপন্যাসে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
▣সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ রচিত উপন্যাস:
❏ চাঁদের অমাবস্যা,
❏ কাঁদো নদী কাঁদো,
❏ লালসালু,
❏ দি আগলি এশিয়ান।
১৩৭৫. বাংলা ভাষার প্রাচীন যুগের সময়কাল-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺৩য় ধাপ ☞29.3.24
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
১
ব্যাখ্যাঃ
প্রাচীন যুগ ৬৫০ থেকে ১২০০ সাল পর্যন্ত, মধ্যযুগ ১২০০ থেকে ১৮০০ সাল পর্যন্ত এবং আধুনিক যুগ ১৮০০ সাল থেকে বর্তমান কাল পর্যন্ত বিস্তৃত
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 বাংলা ভাষার প্রাচীন যুগের সময়কাল-৬৫০-১২০০ খ্রি:।
▣ প্রাচীন যুগের সময়কাল,
❏ ড. মুহম্মদ শহিদুল্লাহর মতে, ৬৫০-১২০০ খ্রিস্টাব্দ।
❏ ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে, ৯৫০-১২০০ খ্রিস্টাব্দ।
❏ ড. সুকুমার সেনের মতে, ৯৫০-১৩৫০ খ্রিস্টাব্দ।
❏ বাংলা সাহিত্যকে তিন যুগে ভাগ করা হয়েছে।
যথা-
১. প্রাচীন যুগ (৬৫০ - ১২০০),
২. মধ্যযুগ (১২০১ - ১৮০০) এবং
৩. আধুনিক যুগ (১৮০১ - বর্তমান)।
মধ্যযুগের প্রথম ১৫০ বছর (১২০১ - ১৩৫০) অন্ধকার যুগ ছিল।