১. কে, কোথায় প্রথম ঐতিহাসিক ছয় দফা প্রস্তাব পেশ করেন?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [১ম পর্যায়] ২৪. ০৫.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বপ্রথম পাকিস্তানের লাহোরে ৫-৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬ সালে ঐতিহাসিক ছয় দফা পেশ করেন। আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দফা পেশ করেন ২৩ মার্চ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক রচিত ছয়দফা দাবী কে ‘বাঙালির মুক্তির সনদ’ বা ‘ম্যাগনাকার্টা’ বলা হয়।
১৯৬৬ সালের ৫-৬ ফেব্রুয়ারী পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধীদলসমূহের সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু প্রথম ছয়দফা দাবী উত্থাপন করেন। একই বছরের ১৮-১৯ মার্চ আওয়ামীলীগের ওয়ার্কিং কমিটির সভায় ছয়দফা গৃহিত হয় এবং ২৩শে মার্চ বঙ্গবন্ধু সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে ছয়দফা উত্থাপন করেন। ৭ জুন ছয়দফা দিবস পালিত হয়।
২. ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট কতটি আসন লাভ করে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [১ম পর্যায়] ২৪. ০৫.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖সর্বমোট আসন ৩০৯ টি। পূর্ব পাকিস্তান পরিষদের আসন ২৩৭ টি। এর মধ্যে যুক্তফ্রন্ট জয়লাভ করে ২২৩ টি আসনে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের প্রাপ্ত আসন ২২৩ টি। এর মধ্যে -
❏ আওয়ামী লীগ -- ১৪৩ টি,
❏ কৃষক শ্রমিক পার্টি -- ৪৮টি,
❏ নেজামে ইসলাম -- ১৯ টি এবং
❏ গণতন্ত্রী পার্টি - ১৩ টি আসন লাভ করে।
৩. বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ বর্তমানে মোট কতজন সদস্য নিয়ে গঠিত হয়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [১ম পর্যায়] ২৪. ০৫.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ সর্বমোট ৩৫০টি আসন নিয়ে গঠিত; যাতে ৩০০টি আসন থেকে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে সদস্য নির্বাচিত হয়। অবশিষ্ট ৫০টি আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত রয়েছে; যা দলীয় মানদণ্ডে মহিলা সংসদ সদস্যের কোটায় নির্ধারিত হয়ে থাকে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের বর্তমানে মোট আসন সংখ্যা ৩৫০ টি। এর মধ্যে ৩০০ টি আসন জনগণের ভোটে সরাসরি নির্বাচিত এবং ৫০টি আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত।
২০১১ সালে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসন ৪৫টি থেকে ৫০টি করা হয়।
৪. বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট ছিলেন-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [১ম পর্যায়] ২৪. ০৫.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট ছিলেন- Nikolai Podgrony
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖১৯৭১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট ছিলেন নিকোলাই পোদগর্নি।
সোভিয়েত ইউনিয়নের সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট ছিলেন মিখাইল গর্বাচেভ। উল্লেখ্য যে, ১৯৭১ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ছিলেন রিচার্ড নিক্সন।
৫. বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ চালু করেছিলেন-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [১ম পর্যায়] ২৪. ০৫.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖সম্রাট আকবরের নির্দেশে বিখ্যাত জ্যোর্তিবিদ ফতেউল্লাহ সিরাজী আরবি সনের উপর ভিত্তি করে বাংলা সন চালু করেন৷
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖পহেলা বৈশাখ বাংলা সনের প্রথম দিন। এ দিনটি বাংলাদেশে নববর্ষ হিসেবে পালিত হয়। এটি বাঙালির একটি সর্বজনীন লোকউৎসব।
এক সময় নববর্ষ পালিত হতো আর্তব উৎসব বা ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে। তখন এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল কৃষির, কারণ কৃষিকাজ ছিল ঋতুনির্ভর। এই কৃষিকাজের সুবিধার্থেই মুগল সম্রাট আকবর ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১০/১১ মার্চ বাংলা সন প্রবর্তন করেন এবং তা কার্যকর হয় তাঁর সিংহাসন-আরোহণের সময় থেকে (৫ নভেম্বর ১৫৫৬)। হিজরি চান্দ্রসন ও বাংলা সৌরসনকে ভিত্তি করে বাংলা সন প্রবর্তিত হয়। নতুন সনটি প্রথমে ‘ফসলি সন’ নামে পরিচিত ছিল, পরে তা বঙ্গাব্দ নামে পরিচিত হয়।
৬. ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত 'চরমপত্র' কে পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেন?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [১ম পর্যায়] ২৪. ০৫.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖স্বাধীন বাংলা বেতারের অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি অনুষ্ঠান ছিল চরমপত্র। এই অনুষ্ঠানটির পরিকল্পনা করেন জাতীয় পরিষদ সদস্য আবদুল মান্নান। স্থানীয় ঢাকাইয়া উপভাষায় এর স্ক্রিপ্ট তৈরি এবং উপস্থাপনা করেন এম আর আখতার মুকুল।
এই ব্যতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠানটি জনগণের কাছে বিপুলভাবে সমাদৃত হয় এবং জনগণের নৈতিক মনোবল দৃঢ়করণে ও স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছিল।
৭. ১৯৭১ সালে ঢাকা শহরে 'অপারেশন সার্চ লাইট' পরিচালনার মূল দায়িত্বে ছিলেন-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [১ম পর্যায়] ২৪. ০৫.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖১৯৭১ সালে ঢাকা শহরে ”অপারেশন সার্চ লাইট” পরিচালনার মূল দায়িত্বে ছিলেন- জেনারেল রাও ফরমান আলী
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী পূর্ব পাকিস্তানে যে অভিযানের মাধ্যমে গণহত্যা চালায় তা অপারেশন সার্চলাইট নামে পরিচিত। এর নীল নকশা প্রস্তুত করেন জেনারেল টিক্কা খান এবং মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী।
ঢাকা শহরে অপারেশন সার্চ লাইট পরিচালনার দায়িত্বে ছিলো রাও ফরমান আলী। ২৫শে মার্চ রাতে পাকহানাদার বাহিনী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পিলখানা, রাজারবাগ পুলিশ লাইনসহ বিভিন্ন স্থানে তাণ্ডব চালায়।
৮. ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে প্রধান নির্বাচনে কমিশনার ছিলেন-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [১ম পর্যায়] ২৪. ০৫.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖ইয়াহিয়া খানের (১৯৬৯-১৯৭১) সামরিক শাসনামলে পাকিস্তানে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এটি ইতিহাসে ১৯৭০-এর নির্বাচন নামে পরিচিত। এ নির্বাচনে মোট ২৪টি দল অংশ নেয়। ৩০০টি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেন মোট এক হাজার ৯৫৭ জন প্রার্থী। মনোনয়নপত্র বাছাই শেষে এক হাজার ৫৭৯ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖সাধারণ নির্বাচন পরিচালনার জন্যে ১৯৬৯ সালের ২ জুলাই প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আব্দুস সাত্তারের নেতৃত্বে একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করে। এই কমিশন পাকিস্তানের জন্যে একটি ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং ১৯৭০ সালে বিচারপতি আব্দুস সাত্তারের নেতৃত্বে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করে।
৯. মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কতবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [১ম পর্যায়] ২৪. ০৫.১৯ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -গোলাপ- ১১.০৯.০৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮৬, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৩ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে মোট সাতবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
১০. কোনটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [১ম পর্যায়] ২৪. ০৫.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖বাংলাদেশের মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক ( সিএজি ) হ'ল দেশের সর্বোচ্চ অডিট ইনস্টিটিউশন (এসএআই)। বিশ্বের অন্যান্য অনেক দেশে এসএআই-এর মতো প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের সংবিধান অনুসরণে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖সংবিধানের সুষ্পষ্ট বিধি মোতাবেক যে প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত তাকে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান বলে।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন, বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন, মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়, জাতীয় সংসদ, এটর্নি জেনারেলের কার্যালয় ইত্যাদি হলো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান।
১১. ২১ ফেব্রুয়ারি কোন সংগঠন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে -
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [১ম পর্যায়] ২৪. ০৫.১৯ 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2006➯B ইউনিট 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2008➯D ইউনিট
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
২
ব্যাখ্যাঃ
২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ বাংলা তারিখ ছিল ১৩৫৮ বঙ্গাব্দের ৮ ফাল্গুন বৃহস্পতিবার। ১৭ নভেম্বর ১৯৯৯ ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। ২০১০ সালের ৬৫তম সাধারণ পরিষদ অধিবেশনের সিদ্ধান্ত মতে, প্রতিবছর ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করবে জাতিসংঘ। UNESCO এর ৩০ তম অধিবেশনে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
১২. পলাশীর যুদ্ধ সংঘটিত হয় ১৭৫৭ সালের-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [২ম পর্যায়] ৩১. ০৫.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖১৭৫৭ সালের ২৩ জুন বাংলার নবাব সিরাজুদ্দৌলা এবং রবার্ট ক্লাইভ নেতৃত্বাধীন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বাহিনীর মধ্যে পলাশীর যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এতে সিরাজুদ্দৌলা পরাজিত হন এবং এর ফলে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়। বাংলায় প্রায় দুইশ বছরের ইংরেজ শাসনের সূত্রপাত ঘটে।
১৩. ১৯৭০ সালের নির্বাচনে জাতীয় পরিষদে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের আসন কতটি ছিল?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [২ম পর্যায়] ৩১. ০৫.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖১৯৭০ সালের নির্বাচনে সংরক্ষিত মহিলা আসন সহ মোট আসন ছিল ৩১৩ টি।
এর মধ্যে পূর্ব পাকিস্তানে আসন ছিল ১৬৯ টি এবং পশ্চিম পাকিস্তানের আসন ছিল ১৮৮ টি।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে পুরো পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদের মোট আসন ছিলো ৩১৩টি।
আসনগুলোর মধ্যে পূর্ব পাকিস্তানের আসন সংখ্যা ছিলো ১৬৯টি। যার মধ্যে ৭টি ছিলো সংরক্ষিত মহিলা আসন।
নির্বাচনে ১৬৯টি আসনের মধ্যে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামীলীগ ১৬৭টি আসন পেয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে।
১৪. আমেরিকান ম্যাগাজিন নিউজ উইকে 'Poet of Politics ' বা 'রাজনীতির কবি ' নামে আখ্যায়িত করা হয়-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [২ম পর্যায়] ৩১. ০৫.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖আমেরিকান ম্যাগাজিন নিউজ উইকে 'Poet of Politics ' বা 'রাজনীতির কবি ' নামে আখ্যায়িত করা হয় শেখ মুজিবুর রহমান কে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖মার্কিন সাময়িকী 'নিউজ উইকস’ ৫ এপ্রিল, ১৯৭১ সংখ্যার একটা নিবন্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে Poet of Politics বা রাজনীতির কবি হিসেবে উল্লেখ করে।
১৫. বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের অধিবেশন আহ্বান করেন -
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [২ম পর্যায়] ৩১. ০৫.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বাংলাদেশ সংবিধানের ৭২ নং অনুচ্ছেদের ১ নং দফা অনুযায়ী মহামান্য রাষ্ট্রপতি জাতীয় সংসদের অধিবেশন আহবান, স্থগিত ও ভঙ্গ করেন। তবে এই দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর লিখিত পরামর্শ অনুসরণ করে থাকেন।
১৬. রুপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র কোন জেলায়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [২ম পর্যায়] ৩১. ০৫.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র (Rooppur Nuclear Power Plant) হচ্ছে ২.৪ গিগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি পরিকল্পিত পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র যা বাংলাদেশের পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুর নামক স্থানে নির্মীত হচ্ছে। এটি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র যার প্রথম ইউনিট ২০২৩ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করবে। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি রাশিয়ার রোসাটোম স্টেট অ্যাটমিক এনার্জি কর্পোরেশন কর্তৃক নির্মীত হচ্ছে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বাংলাদেশে পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুরে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন কার্যক্রম শুরু হয়েছে ২০১৭ সালে।
১৭. বঙ্গবন্ধু কর্তৃক 'ছয় দফা' ঘোষিত হয় কবে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [২ম পর্যায়] ৩১. ০৫.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖বঙ্গবন্ধু ১৯৬৬ সালের ৫-৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে ৬ দফা পেশ করেন। আনুষ্ঠানিকভাবে পেশ করেন ২৩ মার্চ৷
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক রচিত ছয় দফা দাবী কে বাঙালির মুক্তির সনদ বা ম্যাগনাকার্টা বলা হয়।
১৯৬৬ সালের ৫ - ৬ ফেব্রুয়ারী পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধীদলসমূহের সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু প্রথম ছয় দফা দাবী উত্থাপন করেন।
একই বছরের ১৮-১৯ মার্চ আওয়ামীলীগের ওয়ার্কিং কমিটির সভায় ছয়দফা গৃহিত হয় এবং ২৩শে মার্চ বঙ্গবন্ধু সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দফা উত্থাপন করেন।
৭ জুন ছয় দফা দিবস পালিত হয়।
১৮. মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের বিরোধিতা করেছিল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কোন দুইটি স্থায়ী রাষ্ট্র?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [২ম পর্যায়] ৩১. ০৫.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের থায়ী রাষ্ট্র 5টি।
বাংলাদেশের পক্ষে ছিল রাশিয়া, ফ্রানস, যুক্তরাজ্য।
আর দুটি রাষ্ট্র হলো চীন ও যুক্তরাষ্ট্র।
আর তাই বিরোধিতা করে ছিল চীন ও যুক্তরাষ্ট্র।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও গণপ্রজাতন্ত্রী চীন এ যুদ্ধকে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে উল্লেখ করে পাকিস্তানকে কৌশলগত সমর্থন দেয়। পক্ষান্তরে, ভারত, সোভিয়েত ইউনিয়ন ও তাদের মিত্র দেশসমূহ এবং জাপান ও পশ্চিমের অনেক দেশের সাধারণ জনগণ বাংলাদেশের পক্ষে অবস্থান নেয়। চীন-যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান অক্ষের বিরুদ্ধে কৌশলগত সুবিধা অর্জনের লক্ষ্যে ১৯৭১ সালের ৯ আগস্ট ভারত সরকার সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে একটি মৈত্রীচুক্তি স্বাক্ষর করে। এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে এক নতুন মাত্রা যোগ হয়।
১৯. ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরতার খবর প্রথম বহিঃর্বিশ্বে প্রচার করেন কোন সাংবাদিক ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [২ম পর্যায়] ৩১. ০৫.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরতার খবর প্রথম বহিঃর্বিশ্বে প্রচার করেন কোন সাংবাদিক সাইমন ড্রিং।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ অপারেশন সার্চলাইটের সময় ব্রিটেনের ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকার সাংবাদিক সাইমন ড্রিং ঢাকা ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে গোপনে অবস্থান করে পাকবাহিনীর ধ্বংসযজ্ঞ প্রত্যক্ষ করেন।
পরবর্তীতে ৩০শে মার্চ ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় 'ট্যাংকস ক্র্যাশ রিভোল্ট ইন পাকিস্তান' শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে সর্বপ্রথম পাকবাহিনীর হত্যাযজ্ঞের খবর বহির্বিশ্বে প্রচার করেন। এ ঘটনার পর তাকে ঢাকা ছাড়তে হয়।
পরবর্তীতে ১৬ ডিসেম্বর মিত্রবাহিনীর ট্যাংকে চড়ে তিনি ঢাকায় প্রবেশ করেন।
২০. মুজিবনগর সরকারের অর্থমন্ত্রী কে ছিলেন?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [২ম পর্যায়] ৩১. ০৫.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖মন্ত্রীর নাম
দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয়[৮]
১
তাজউদ্দীন আহমদ
ক- প্রধানমন্ত্রী খ- প্রতিরক্ষা
গ- তথ্য ও বেতার এবং টেলিযোগাযোগ
ঘ- অর্থনৈতিক বিষয়, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন
ঙ- শিক্ষা, স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন সরকার, স্বাস্থ্য, শ্রম ও সমাজকল্যাণ
চ- সংস্থাপন ও প্রশাসন
ছ- যেসব বিষয়ের দায়িত্ব মন্ত্রিপরিষদের অন্য কোন সদস্যকে প্রদান করা হয়নি
২
খন্দকার মোশতাক
ক- পররাষ্ট্র বিষয় খ- আইন ও সংসদ বিষয়
৩
এম মনসুর আলী
ক- অর্থ ও জাতীয় রাজস্ব খ- বাণিজ্য ও শিল্প
গ- পরিবহন
৪
এ এইচ এম কামারুজ্জামান
ক- স্বরাষ্ট্র বিষয়ক খ- সরবরাহ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন
গ- কৃষি
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল অস্থায়ী প্রবাসী সরকার গঠিত হয় যা মুজিবনগর সরকার নামে পরিচিত।
এই সরকারের রাষ্ট্রপতি ছিলেন - বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। উপ রাষ্ট্রপতি ছিলেন - সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ছিলেন - তাজউদ্দিন আহমেদ।
স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ, পুনর্বাসন ও কৃষি মন্ত্রী ছিলেন - এএইচএম কামরুজ্জামান।
অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রী ছিলেন - ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী।
পররাষ্ট্র, আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন - খন্দকার মোশতাক আহমদ।
২১. বাংলাদেশের একমাত্র স্যাটেলাইটটি কোন দেশ থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [২ম পর্যায়] ৩১. ০৫.১৯ 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2017➯ক ইউনিট 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2008➯D ইউনিট
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖বাংলাদেশের একমাত্র স্যাটেলাইট এর নাম বঙ্গবন্ধু-১ । এটি কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে বাংলাদেশ সময় শনিবার ১২ মে, ২০১৮ উৎক্ষেপন করা হয়। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ৫৭ তম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকারী দেশ হিসেবে নাম লেখায়। এটি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অধীনে BTRC কর্তিক নিয়ন্ত্রিত হয় ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বাংলাদেশের প্রথম নিজস্ব স্যাটেলাইট হলো বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১। ২০১৮ সালের ১১ মে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেপ ক্যানভেরাল থেকে মার্কিন কোম্পানি স্পেসএক্স এর ফ্যালকন-৯ রকেটে করে এটি উৎক্ষেপণ করা হয়। এটির নির্মাতা ফ্রান্সের থ্যালেস এলিনিয়া। এটির কক্ষপথ হলো ১১৯ দশমিক ১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমারেখা।
বাংলাদেশ বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে।
২২. পাটের জীবনরহস্য উন্মোচনকারী দলের নেতা -
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [২ম পর্যায়] ৩১. ০৫.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖পাটের জীবনরহস্য উন্মোচনকারী দলের নেতা ছিলেন মাকসুদুল আলম। 2010 সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাকসুদুল আলমের পাটের জীবন রহস্য আবিষ্কারে ঘোষণা দেন। 2016 সালে মাকসুদুল আলমকে কাজের স্বীকৃতি হিসেবে 'স্বাধীনতা পুরস্কার' দেওয়া হয় ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বাংলাদেশের প্রথিতযশা বিজ্ঞানী ড. মাকসুদুল আলম ২০১০ সালে পাটের জীবন রহস্য উন্মোচন করেন। এছাড়া তিনি পেঁপে, রাবার ও এক ধরনের ছত্রাকেরও জীবন রহস্য উদঘাটন করেন।
অন্যদিকে ড. সামছুল আলম এবং অধ্যাপক হাসিনা খান ইলিশের জীবনরহস্য উন্মোচনে নেতৃত্ব দেন। মোহাম্মদ সিদ্দিকুল্লাহ পাট থেকে জুটন নামের কাপড় তৈরির পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন।
২৩. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় কোন সনে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [২ম পর্যায়] ৩১. ০৫.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖1 জুলাই, 1921 সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। 1905 সালে বঙ্গভঙ্গ হয়। 1911 সালের 22 ডিসেম্বর বঙ্গভঙ্গ রদ হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖১৯২১ সালের ১ জুলাই পূর্ববঙ্গের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয়। বঙ্গভঙ্গ রদের পর পূর্ব বাংলার অসন্তুষ্ট মুসলমানদের দাবীর প্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় নাথান কমিশন ও স্যাডলার কমিশন গঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য নিয়োগপ্রাপ্ত হন স্যার পি জে হার্টজ।
২৪. কে 'অপারেশন সার্চলাইট' এর নীলনকশা তৈরি করেন?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖জেনারেল টিক্কা খান অপারেশন সার্চলাইটের পরিকল্পনা করে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী পূর্ব পাকিস্তানে যে অভিযানের মাধ্যমে গণহত্যা চালায় তা অপারেশন সার্চলাইট নামে পরিচিত। এর নীল নকশা প্রস্তুত করেন জেনারেল টিক্কা খান এবং মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী।
ঢাকা শহরে অপারেশন সার্চ লাইট পরিচালনার দায়িত্বে ছিলো রাও ফরমান আলী। ২৫শে মার্চ রাতে পাকহানাদার বাহিনী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পিলখানা, রাজারবাগ পুলিশ লাইনসহ বিভিন্ন স্থানে তাণ্ডব চালায়।
২৫. 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী'গ্রন্থের রচয়িতা কে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী' (২০১২) । তিনি এটি ১৯৬৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অভ্যন্তরীণ থাকাকালীন লেখা শুরু করেন । 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী' প্রথম প্রকাশিত হয় ২০১২ সালের ১৮ জুন 'ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড' থেকে একই সাথে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (১৯২০ - ১৯৭৫) কর্তৃক রচিত অন্যতম গ্রন্থ অসমাপ্ত আত্মজীবনী। এটি ২০১২ সালে প্রকাশিত হয়। এছাড়াও ‘আমার দেখা নয়াচীন’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের তৃতীয় প্রকাশিত বই।
২৬. মুজিবনগর সরকারের অর্থমন্ত্রী কে ছিলেন?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯ 📖 বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন -২০১৯ পদের নাম : বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ( ১৩. ০৯.১৯ ) 📖 পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা ১০.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖মুজিবনগর সরকারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী।
স্বাধীনতার পর অর্থমন্ত্রী ছিলেন - তাজউদ্দীন আহমদ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল অস্থায়ী প্রবাসী সরকার গঠিত হয় যা মুজিবনগর সরকার নামে পরিচিত। এই সরকারের রাষ্ট্রপতি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। উপ রাষ্ট্রপতি ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম। প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দিন আহমেদ। স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ, পুনর্বাসন ও কৃষি মন্ত্রী ছিলেন এএইচএম কামরুজ্জামান। অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রী ছিলেন ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী। খন্দকার মুশতাক আহমেদ ছিলেন পররাষ্ট্র, আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী।
২৭. ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদে কতটি আসন পায়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖১৯৭০ সালের নির্বাচনে মোট আসন ৩১৩ টি, এর মধ্যে সংরক্ষিত মহিলা আসন ১৩ টি। পূর্ব পাকিস্তানের আসন সংখ্যা মোট ১৬৯ টি এবং পশ্চিম পাকিস্তানের আসন সংখ্যা মোট ১৪৪ টি।
আওয়ামী লীগ ১৬৯ টি আসনের মধ্যে ১৬৭ টিতে জয়লাভ করে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে পুরো পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদের মোট আসন ছিলো ৩১৩টি।
আসনগুলোর মধ্যে পূর্ব পাকিস্তানের আসন সংখ্যা ছিলো ১৬৯টি। যার মধ্যে ৭টি ছিলো সংরক্ষিত মহিলা আসন।
নির্বাচনে ১৬৯টি আসনের মধ্যে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামীলীগ ১৬৭টি আসন পেয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে।
২৮. ঢাকায় "ধোলাইখাল" কে খনন করেন?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯ 📖 36th BCS General Jan, 2016 📖 বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার প্রশাসন/এইচআর) - 9.17
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖সম্রাট জাহাঙ্গীর ১৬০৮ খ্রিষ্টাব্দে ইসলাম খানকে বাংলার সুবেদার নিযুক্ত করেন। ১৬১০ খ্রিষ্টাব্দে ইসলাম খান রাজধানী রাজমহল হতে সরিয়ে ঢাকায় স্থানান্তর করেন। ঢাকার সুরক্ষার জন্যে তিনি ধোলাই খাল খনন করেন।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖ধোলাই খাল পুরানো ঢাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত একটি বাণিজ্যিক-আবাসিক এলাকা। পূর্বেকার ধোলাই খাল থেকেই এর বর্তমান নামকরণ। ঢাকার প্রথম মুগল সুবাদার ইসলাম খান কর্তৃক ১৬০৮-১৬১০ খ্রিস্টাব্দে খননকৃত একটি খালের নামানুসারে এলাকাটির নামকরণ করা হয়। খালটি শহরকে সুরক্ষার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ নৌ যোগাযোগের সুবিধা প্রদানের উদ্দেশ্যে খনন করা হয়।
২৯. বাংলাদেশের কোন নৃ-গোষ্ঠীর ভাষার নাম 'আচিক খুসিক'?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
গোত্র ভেদে গারোদের মধ্যে আলাদা আলাদা উপভাষার প্রচলন রয়েছে। আচিক উপভাষাটি বাংলাদেশের টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, শেরপুর, নেত্রকোণা এবং ভারতের মেঘালয় অঙ্গরাজ্যে বসবাসরত গারোদের মাতৃভাষা। তাদের নিজস্ব ভাষায় 'আচিক' শব্দের অর্থ পাহাড়। অন্যান্য উপভাষার মধ্যে আছে আবেং, আওয়ে, চিসাক, দাক্কা, গাঞ্চিং, কামরূপ, মাতচি। বাংলাদেশে আবেং উপভাষাটিও প্রচলিত; এই উপভাষার সাথে কোচ ভাষার মিল আছে। বাংলাদেশের গারোরা আবেং উপভাষাতে কথা বললেও আচিক উপভাষাতে লিখে থাকে। আওয়ে উপভাষাটি অসমে প্রচলিত, তবে এখন বিলুপ্তির পথে; সেখানকার গারোরা মান্য গারো ভাষাই ব্যবহার করেন।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বাংলাদেশি গারোদের ভাষার নাম আচিক খুসিক। এটি তিব্বতীয়-বর্মি ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। এই ভাষার নিজস্ব বর্ণমালা নেই।
সাওতালদের ভাষার নাম সাওতালী।
চাকমারা চাকমা ভাষায় কথা বলে।
মণিপুরীদের ভাষার নাম বিষ্ণুপ্রিয়া।
খাসিয়াদের ভাষার নাম মনখেমে।
ত্রিপুরাদের ভাষার নাম ককবরক।
৩০. কোন খ্রিস্টাব্দে দিল্লীর সুলতানি শাসনের অবসান হয়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖১২০৬ থেকে ১৫২৬ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে ভারতে রাজত্বকারী একাধিক মুসলিম রাজ্য ও সাম্রাজ্যগুলি দিল্লী সালতানাত নামে অভিহিত।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖ইব্রাহিম লোদীর উদ্ধত আচরণ ও কঠোর দমন নীতির ফলে অসন্তুষ্ট আফগান অভিজাত শ্রেণি, পাঞ্জাবের শাসনকর্তা দৌলত খান লোদী এবং ইব্রাহীম লোদীর পিতৃব্য আলম খান এবং রাজপুতনার মেবারের রানা সংগ্রাম সিংহ কাবুলের অধিপতি জহিরুদ্দীন মুহম্মদ বাবরকে ভারত আক্রমণের আহ্বান জানান। উচ্চাভিলাষী এবং সাম্রাজ্যবাদী বাবর এই আহবানে সাড়া দিয়ে ভারত আক্রমণ করেন। ১৫২৬ খ্রিস্টাব্দে সংঘটিত ঐতিহাসিক পানিপথের প্রথম যুদ্ধে লোদী বংশের সর্বশেষ শাসক ইব্রাহিম লোদীকে পরাজিত করে দিল্লি সালতানাতের পতন ঘোষণা করেন এবং ভারতর্ষে মুঘল শাসনের গোড়াপত্তন করেন।
৩১. বাংলাদেশে মুসলিম শাসনের সূত্রপাত করেন-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖বাংলাদেশে মুসলিম শাসনের সূত্রপাত করেন ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খলজি। তিনি 1204 সালে বাংলা জয় করেন। 1338 সালে স্বাধীন সুলতানি আমলের সূচনা করে ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ। আলাউদ্দিন খিলজি মূল্য নিয়ন্ত্রণ নীতির জন্য বিখ্যাত।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খলজি কর্তৃক নদীয়া জয়ের মাধ্যমে বাংলায় মুসলিম শাসনের সূচনা হয় যা ১৭৫৭ সাল পর্যন্ত বজায় ছিলো। এর প্রথম পর্যায় ছিলো ১২০৪ সাল থেকে ১৩৩৮ সাল পর্যন্ত। এই সময়ে বাংলার শাসকগণ দিল্লির প্রতিনিধি হিসেবে বাংলা শাসন করেন। এদের কেউ কেউ দিল্লির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলেও শেষ পর্যন্ত সফল হতে পারেননি। ফলে বাংলায় মুসলিম শাসনের প্রথম পর্যায় ছিলো বিশৃঙ্খলা ও বিদ্রোহপূর্ণ। তাই ঐতিহাসিক জিয়াউদ্দিন বারানী বাংলাকে ‘বুলগাকপুর’ বা বিদ্রোহের নগরী হিসেবে অভিহিত করেন।
তবে, উপমহাদেশে স্থায়ী মুসলিম শাসনের প্রতিষ্ঠাতা কুতুবউদ্দিন আইবেক। দানশীলতার জন্য তাকে ‘লাখবক্স’ বলা হত।
৩২. নিচের কোনটি প্রবাল দ্বীপ
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖১৯০০ খ্রিস্টাব্দে এটি ব্রিটিশ ভারতবর্ষের অধীনে আনা হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖সেন্টমার্টিন বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত টেকনাফ উপজেলার একটি ইউনিয়ন। এটি একটি বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ এবং এটি বাংলাদেশের সর্ব-দক্ষিণের ইউনিয়ন। এ দ্বীপের অপর নাম নারিকেল জিঞ্জিরা। সেন্টমার্টিন দ্বীপের আয়তন ১৭ বর্গ কিলোমিটার।
৩৩. মাৎস্যন্যায় কোন শাসন আমলে দেখা দেয়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖সংস্কৃত শব্দ মাৎস্যন্যায় বলতে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার মতো শক্তিশালী শাসন ক্ষমতার অভাবে সমাজের বিশৃঙ্খলা অবস্থাকে বোঝানো হয়। মাছের রাজ্যের যেমন বড় মাছগুলো ছোট মাছদের ধরে খায়, তেমনি রাজাবিহীন রাজ্যে প্রভাবশালীরা দুর্বলের উপর নির্মম অত্যাচার চালায়, এ অবস্থাকে বোঝাতেই মাৎস্যন্যায় শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। রাজা শশাঙ্কের মৃত্যুর পর থেকে পাল রাজবংশের অভ্যুদয়ের পূর্ব পর্যন্ত সময়কালকে মাৎস্যন্যায় বলে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖শশাঙ্কের মৃত্যুর পরবর্তী একশ বছর (৬৫০-৭৫০) বাংলায় কোনো স্থায়ী সরকার ছিলো না বললেই চলে। সমগ্র দেশ অভ্যন্তরীণ কলহ- কোন্দলে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন এবং বৈদেশিক আক্রমণে পর্যুদস্ত হয়েছে।
গোপাল-এর উত্থানের আগে খ্রিস্টীয় আট শতকের মাঝামাঝি সময়ের রাজনৈতিক অবস্থাকে পাল আমলের একটি লিপিতে (খালিমপুর তাম্রশাসন) 'মাৎস্যন্যায়' বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ অরাজকতা ও নৈরাজ্যের মধ্য দিয়ে পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা গোপালের আবির্ভাব হয়। পাল তাম্রশাসনে উল্লেখ পাওয়া যায় যে, গোপাল উল্লিখিত অরাজক অবস্থার (মাৎস্যন্যায়ম) অবসান ঘটান।
৩৪. স্বাধীনত যুদ্ধ অবদান রাখার জন্য কত জন মহিলাকে বীরপ্রতীক উপাধিতে ভূষিত করা হয়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদান রাখার জন্য তারামন বিবি ও ক্যাপ্টেন ডা. সিতারা বেগমকে বীর প্রতীক হিসেবে ভূষিত করা হয় । তারামন বিবি 11 নং সেক্টরে ও ডা. সিতারা বেগম 2 নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাহসী ভূমিকা পালনের জন্য যে দুই নারী 'বীরপ্রতীক' খেতাব পেয়েছেন তাঁদের একজন ক্যাপ্টেন ডা. সিতারা রহমান৷ অন্যজন তারামন বিবি৷
৩৫. ভাষা আন্দোলন পূর্ব বাংলায় কোন ভাবাদর্শ ছড়িয়ে দেয়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় পাকিস্থানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন খাজা নাজিমুদ্দিন এবং পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নুরুল আমিন। ১৯৫৬ সালের শাসনতন্ত্রে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা প্রদান করা হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বাঙালি জাতীয়তাবাদের মূলভিত্তি হচ্ছে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন। স্বাধীন বংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পেছনে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমেই তৎকালীন পূর্ব বাংলার গণতান্ত্রিক আন্দোলন সুসংহত হয় এবং অগ্রগতি লাভ করে। ভাষা আন্দোলনের চেতনাই জনগণের মধ্যে পরবর্তীকালে একাত্তরের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের এক নতুন চেতনার উন্মেষ ঘটায় এবং এর মাধ্যমে ক্রমান্বয়ে বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিকাশ ঘটে।
৩৬. বাংলাদেশের কোন নৃগোষ্ঠীর উৎসব সোহরাই?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖সাঁওতালরা বাংলাদেশের দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ উপজাতি। সাঁওতাল উপজাতি আবাসস্থল রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বগুড়া, জয়পুরহাট, রংপুর ও দিনাজপুর।
সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর প্রধান উৎসব হলো সোহরাই। এছাড়া বাহা, ঝুমুর নাচ, ঝিকা নাচ ও দোন তাদের উল্লেখযোগ্য সাংস্কৃতিক ঐহিত্য।
৩৭. কবে বাংলাদেশ শিশু অধিকার সনদ বাংলাদেশ বাস্তবায়নে অঙ্গীকার নেয়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদের মূল দলিল স্বাক্ষরের জন্য উন্মুক্ত করা হয় ১৯৯০ সালের ২৬ জানুয়ারি। ওইদিন ৬১ টি দেশ স্বাক্ষর করে এই সনদে। প্রায় সাত মাস পর, ১৯৯০ সালের ২রা সেপ্টেম্বর এটা কার্যকর হয়।
বাংলাদেশও ২৬ জানুয়ারি সাক্ষর করে এতে এবং ৩ আগস্ট এটা অনুমোদন করে। অর্থাৎ, বাংলাদেশ শিশু অধিকার সনদ বাস্তবায়নে অঙ্গীকার নেয় ৩ আগস্ট।
৩৮. বাংলায় 'স্বাধীন সুলতানী'শাসন প্রতিষ্ঠা করেন কে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖১৩৩৮ সালে বাংলায় স্বাধীন সুলতানী যুগের সূচনা করেন ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ । বাংলায় মুসলিম শাসনের সূচনা করেন ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খলজি । তিনি ১২০৪ সালে বাংলা জয় করেন । বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব ছিলেন সিরাজউদ্দৌলা । আলীবর্দী খান ছিলেন তার নানা ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖১৩৩৮ খ্রিস্টাব্দে বাহরাম খানের মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুতে তাঁরই বর্ম-রক্ষক ফখরুদ্দীন সোনারগাঁও-এ ক্ষমতা দখল করে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং সুলতান ফখরুদ্দীন মোবারক শাহ উপাধি গ্রহণ করেন। এ ঘটনা ক্ষমতা দখলের নতুন ধারাবাহিক দ্বন্দ্বের জন্ম দেয় যার ফলে বাংলায় ইলিয়াসশাহী শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। এ শাসন বাংলার স্বাধীন সুলতানি যুগের সূচনা করে যা দুশ বছর অব্যাহত ছিল (১৩৩৮-১৫৩৮)।
শের শাহ ১৫৩৮ সালে শেষ সুলতান মাহমুদ শাহকে পরাজিত করে স্বাধীন সুলতানী যুগের অবসান ঘটান।
৩৯. কার পৃষ্ঠপোষকতায় 'নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়' জ্ঞান -বিজ্ঞানের প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖ধর্মপালের পৃষ্ঠপোষকতায় লালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্টা হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖ভারতের বিহারে অবস্থিত নালন্দা মহাবিহার প্রাচীন ভারতের একটি বিখ্যাত বৌদ্ধ শিক্ষাকেন্দ্র। এটিকে পৃথিবীর প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় বিবেচনা করা হয়।
বাঙালি বৌদ্ধ পণ্ডিত শীলভদ্র ৬৩৫ সালে নালন্দা মহাবিহারের অধ্যক্ষ নিযুক্ত হন।
বিখ্যাত চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙ শীলভদ্রের নিকট শিক্ষা লাভ করেন।
বাংলার পাল রাজগণ নালন্দার প্রতি তাদের পৃষ্ঠপোষকতা অব্যাহত রাখেন। এটি পরিচালনার ক্ষেত্রে ধর্মপাল বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, ভিক্ষুদের বসবাসের জন্য আরেক পাল রাজা 'দেবপাল' বৌদ্ধ মঠ নির্মাণের অনুমতি দিয়েছিলেন।
৪০. বাংলাদেশের অস্থায়ী সংবিধান আদেশ কত তারিখে জারি করা হয়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖বাংলাদেশের অস্থায়ী সংবিধান আদেশ জারি করা হয় 11 জানুয়ারি, 1972 সালে । 1972 সালের 23 মার্চ গণপরিষদ আদেশ জারি করা হয় ( যা 26 মার্চ 1971 সালে কার্যকর হয় )। 1972 সালের 12 অক্টোবর খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটিরে দ্বিতীয় অধিবেশনে ড. কামাল হোসেন কর্তৃক খসড়া সংবিধান উত্থাপন করা হয় । 4 নভেম্বর, 1972 সালে গণপরিষদ কর্তৃক খসড়া সংবিধান গৃহীত হয় । 4 নভেম্বর বাংলাদেশের সংবিধান দিবস ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖১৯৭২ সালের ১১ জানুয়ারী তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান 'বাংলাদেশের অস্থায়ী সংবিধান আদেশ' জারী করেন। এটি ছিলো বাংলাদেশের দ্বিতীয় অন্তর্বর্তীকালীন সংবিধান।
এর ধারাবাহিকতায় ১১ এপ্রিল ১৯৭২ সংবিধান রচনার জন্যে ড. কালাম হোসেনের নেতৃত্বে ৩৪ সদস্যের কমিটি গঠিত হয়।
১৯৭২ সালের ১২ অক্টোবর খসড়া সংবিধান গণপরিষদে উত্থাপন করা হয় এবং এর উপর সাধারণ আলোচনা শুরু হয়। ৪ নভেম্বর বাংলাদেশ সংবিধান গৃহিত এবং ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ তা কার্যকর হয়।
৪১. মুজিবনগর সরকারের ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী কে ছিলেন?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖মুজিবনগর সরকারের ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী ছিলেন এ. এইচ. এম কামরুজ্জামান ।
এ সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দিন আহমেদ ।
অর্থ ও রাজস্ব মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন এম. মনসুর আলী ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন খন্দকার মোশতাক ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল অস্থায়ী প্রবাসী সরকার গঠিত হয় যা মুজিবনগর সরকার নামে পরিচিত। এই সরকারের রাষ্ট্রপতি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
উপ রাষ্ট্রপতি ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দিন আহমেদ।
স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ, পুনর্বাসন ও কৃষি মন্ত্রী ছিলেন এ এইচ এম কামরুজ্জামান।
অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রী ছিলেন ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী।
খন্দকার মুশতাক আহমেদ ছিলেন পররাষ্ট্র, আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী।
৪২. কোন মুসলিম শাসনকালকে 'স্বর্ণযুগ' বলা হয়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖মুঘল সাম্রাজ্যের প্রথম শাসক ছিলেন সম্রাট বাবর । সম্রাট শাহজাহান ছিলেন মুঘল শিল্প স্থাপত্যের প্রধান পুরোধা । বাংলায় মুসলিম শাসনের গোড়াপত্তন করেন বক্তিয়ার খলজি । আলাউদ্দিন হোসেন শাহের শাসনকালকে মুসলিম শাসনের স্বর্ণযুগ বলা হয় । তিনি 26 বছর বাংলা শাসন করেন ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বাংলা সাহিত্যের উন্নতি ও বিকাশ হুসেন শাহের শাসনকালকে ইতিহাসে অমর করে রেখেছে। তাঁর উদার পৃষ্ঠপোষকতা নিঃসন্দেহে বাংলা সাহিত্যের শ্রীবৃদ্ধি সাধন করেছে। হুসেন শাহ যোগ্য কবি ও সাহিত্যিকগণকে উৎসাহিত করার জন্য পুরস্কার প্রদান করতেন। এ যুগের প্রখ্যাত কবি ও লেখকদের মধ্যে রূপ গোস্বামী, সনাতন গোস্বামী, মালাধর বসু, বিজয়গুপ্ত, বিপ্রদাস, পরাগল খান ও যশোরাজ খান উলে- যোগ্য ছিলেন। হুসেন শাহের পৃষ্ঠপোষকতায় তাঁরা অসংখ্যখ গ্রন' রচনা করেন। তাঁদের নিরলস সাহিত্য-কীর্তি বাংলার ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছে। এ সময়ে মালাধর বসু ‘শ্রীমদ্ভাগবৎ’ ও ‘পুরাণ’ এবং পরমেশ্বর ‘মহাভারত’ বাংলা ভাষায় অনুবাদ করেন। আলাউদ্দিন হুসেন শাহ আরবী ও ফার্সী ভাষারও উদার পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।
হুসেন শাহ একজন নিষ্ঠাবান মুসলমান ছিলেন। নিজ ধর্ম ও সুফী সাধকদের প্রতি তাঁর অপরিসীম নিষ্ঠা ও ভক্তি ছিল। তাঁর রাজত্বকালে দেশের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য মসজিদ নির্মিত হয়েছিল। এ সমস্ত মসজিদের মধ্যে গৌড়ের ‘ছোট সোনা মসজিদ’ সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য।
তাঁর ২৬ বছরের শাসনকালে বঙ্গে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও শিল্পকলার অভাবিত উন্নতি সাধিত হয়েছিল। এজন্য তাঁর শাসনকালকে বঙ্গের মুসলমান শাসনের ইতিহাসে ‘স্বর্ণযুগ’ বলা হয়।
৪৩. বাংলায় 'স্বাধীন সুলতানী' শাসন প্রতিষ্ঠা করেন কে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯ 📖 প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖ফখরুদ্দীন মুবারক শাহ (ফার্সি/উর্দু:فخر الدين مبارك شاه) (শাসনকাল : ১৩৩৮-১৩৪৯) চৌদ্দ শতকে বাংলার সার্বভৌম শাসক ছিলেন। তার শাসনাধীন এলাকা বর্তমান বাংলাদেশের পূর্ব ও দক্ষিণপূর্বাঞ্চল নিয়ে গঠিত ছিল। ফখরুদ্দীন মুবারক শাহ ছিলেন স্বাধীন মুসলিম সালতানাতের প্রতিষ্ঠাতা। তিনিই বাংলার সার্বভৌম 'সুলতান'।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖১৩৩৮ খ্রিস্টাব্দে বাহরাম খানের মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুতে তাঁরই বর্ম-রক্ষক ফখরুদ্দীন সোনারগাঁও-এ ক্ষমতা দখল করে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং সুলতান ফখরুদ্দীন মুবারক শাহ উপাধি গ্রহণ করেন। এ ঘটনা ক্ষমতা দখলের নতুন ধারাবাহিক দ্বন্দ্বের জন্ম দেয় যার ফলে বাংলায় ইলিয়াসশাহী শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। এ শাসন বাংলার স্বাধীন সুলতানি যুগের সূচনা করে যা দুশ বছর অব্যাহত ছিল (১৩৩৮-১৫৩৮)।
শের শাহ ১৫৩৮ সালে শেষ সুলতান মাহমুদ শাহকে পরাজিত করে স্বাধীন সুলতানী যুগের অবসান ঘটান।
৪৪. বাংলাদেশে মুসলিম শাসনের সূত্রপাত করেন-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖বখতিয়ার খলজী ১২০৫ খ্রিস্টাব্দের প্রথম দিকে নদীয়া জয় করেন এবং বাংলায় মুসলিম শাসনের সূচনা করেন। উত্তর আফগানিস্তানের গরমশির (আধুনিক দস্ত-ই-মার্গ) এলাকার বাসিন্দা ইখতিয়ারউদ্দীন মুহম্মদ বখতিয়ার খলজী তুর্কি জাতির খলজী সম্প্রদায়র্ভুক্ত ছিলেন।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖ত্রয়োদশ শতকে ১২০৪ সালে তুর্কি সেনাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন বখতিয়ার খলজি কর্তৃক নদীয়া জয়ের মাধ্যমে বাংলায় মুসলিম শাসনের সূত্রপাত হয়। ১২০৪ সালে বখতিয়ার খলজি বাংলার সেন বংশের রাজা লক্ষ্মণ সেনকে বিনা বাঁধায় পরাজিত করে নদীয়া জয় করেন। লক্ষ্মণ সেন পেছনের দরজা দিয়ে নৌকাযোগে বিক্রমপুরে পলায়ন করেন। তবে পূর্ব বাংলায় ত্রয়োদশ শতক জুড়ে সেন শাসন অব্যাহত ছিলো।
৪৫. মহেঞ্জোদারোতে পাওয়া গেছে কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖মহেঞ্জোদারো ছিল প্রাচীন ভারতের নগর সভ্যতার বৃহত্তম নগর বসতিগুলোর মধ্যে অন্যতম । পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের লারকানা জেলায় এটি অবস্থিত । এ শহরটি খ্রিস্টপূর্ব 26 শতকে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং খ্রিস্টপূর্ব 19 শতকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয় । 1980 সালে এ শহরের পুরাতাত্ত্বিক ধ্বংসাবশেষ ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকার অন্তর্ভুক্ত হয় । এটিকে প্রাচীন 'সিন্ধু মহানগর' নামেও অভিহিত করা হয় । 1922 সালে ভারতীয় পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণের আধিকারিক রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় মহেঞ্জোদারো শহরটি পুনাবিষ্কার করেন । এখানে নৃত্যরত মেয়ে ও যাজক রাজার মূর্তি এবং সর্বাপেক্ষা প্রসিদ্ধ মহাস্নাগার পাওয়া গেছে ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖সিন্ধুসভ্যতার এলাকায় যেসব শহর আবিষ্কৃত হয়েছে তারমধ্যে হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারো সবচেয়ে বড় শহর৷ শহরগুলোর বাড়িঘরের নকশা দেখে সহজেই বোঝা যায় যে, সিন্ধুসভ্যতা যুগের অধিবাসীরা উন্নত নগরকেন্দ্রিক জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছিলেন। প্রত্যেকটি বাড়িতে খোলা জায়গা, কূপ ও স্নানাগার ছিলো। মহেঞ্জোদারোতে একটি বৃহৎ স্নানাগার এর নিদর্শন পাওয়া গেছে যার মাঝখানে বিশাল চৌবাচ্চাটি ছিলো সাতার কাটার উপযোগী।
৪৬. বঙ্গবন্ধুর 'স্বাধীনতা ঘোষণা ' ২৬ মার্চ চট্রগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকে কে প্রথম প্রচার করেন?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖বঙ্গবন্ধু 25 মার্চ রাত 12টার পর অর্থাৎ 26 মার্চ প্রথম প্রহরে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন । পরে চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকে আওয়ামী লীগ নেতা এম.এ হান্নান 26 মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা করেন । 27 মার্চ মেজর জিয়া বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা করেন । মেজর রফিকুল ইসলাম ছিলেন 1 নং সেক্টরের কমান্ডার ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖গ্রেফতার হওয়ার পূর্ব মুহুর্তে ২৬শে মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। ঘোষণাটি ইংরেজিতে ছিলো যেন বিশ্ববাসী বুঝতে পারে। স্বাধীনতার এ ঘোষণা বাংলাদেশের সকল স্থানে তদানীন্তন ইপিআর এর ট্রান্সমিটার, টেলিগ্রাম ও টেলিপ্রিন্টারের মাধ্যমে প্রচার করা হয়৷ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা ২৬ মার্চ দুপুরে চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা এম. এ. হান্নান চট্টগ্রামের বেতার কেন্দ্র থেকে একবার এবং সন্ধ্যায় কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে দ্বিতীয়বার প্রচার করেন। ২৭ মার্চ উক্ত বেতার কেন্দ্র থেকে মেজর জিয়াউর রহমান পুনরায় বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন৷
৪৭. বাগেরহাটের 'মিঠাপুকুর' কে খনন করেন?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖বাগেরহাটের মিঠাপুকুর খনন করেন সুলতান নুসরত শাহ
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বঙ্গেশ্বর নসরৎ শাহের খলিফাতাবাদ টাকশাল সম্ভবতঃ বাগেরহাট শহরের মিঠাপুকুরের নিকটে অবস্থিত ছিল। মিঠাপুকুর পাড়ে সে আমলের একটি মসজিদ আছে। ধারণা করা হয় যে বাগেরহাটের মিঠাপুকুর খনন করেন নুসরৎ শাহ।
৪৮. বাংলাদেশের কোন নৃগোষ্ঠীর উৎসব 'সাংগ্রাই'
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖নৃগোষ্ঠী
উৎসব
সাঁওতাল
সহরই
গারো
ওয়াংগোলা
চাকমা
বিঝু
মারমা
সাংগ্রাই
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖মারমা ও রাখাইন সম্প্রদায়ের বর্ষবরণ উৎসব 'সাংগ্রাই' নামে পরিচিত। চৈত্র মাসের শেষ দুদিন ও নববর্ষের প্রথম দিন জুড়ে এই উৎসব পালন করা হয়।
অন্যদিকে 'বিঝু' হলো চাকমা ও তঞ্চঙ্গাদের বর্ষবরণ উৎসব।
'বৈসু' ত্রিপুরাদের বর্ষবরণ উৎসব এবং 'সোহরাই' হলো সাঁওতালদের প্রধান উৎসব।
পাহাড়ে বসবাসকারী নৃগোষ্ঠীসমূহের বর্ষবরণ উৎসবের নামের আদ্যক্ষর নিয়ে সার্বজনীন বর্ষবরণ উৎসব 'বৈসাবি' নামে পরিচিত।
৪৯. ভাষা আন্দোলন পূর্ব বাংলায় কোন ভাবদর্শ ছাড়িয়ে দেয়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় পাকিস্থানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন খাজা নাজিমুদ্দিন এবং পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নুরুল আমিন। ১৯৫৬ সালের শাসনতন্ত্রে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা প্রদান করা হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বাঙালি জাতীয়তাবাদের মূলভিত্তি হচ্ছে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন। স্বাধীন বংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পেছনে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমেই তৎকালীন পূর্ব বাংলার গণতান্ত্রিক আন্দোলন সুসংহত হয় এবং অগ্রগতি লাভ করে। ভাষা আন্দোলনের চেতনাই জনগণের মধ্যে পরবর্তীকালে একাত্তরের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের এক নতুন চেতনার উন্মেষ ঘটায় এবং এর মাধ্যমে ক্রমান্বয়ে বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিকাশ ঘটে।
৫০. কতসালে নীল কমিশন গঠন করা হয়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖বিভিন্ন পত্রিকায় নীলকরদের অত্যাচারের কাহিনি ছাপা হতে থাকে। দীনবন্ধু মিত্রের লেখা 'নীল দর্পণ' নাটকের কাহিনি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ সরকার নীল কমিশন গঠন করে। এ কমিশনের সুপারিশে নীল চাষকে কৃষকের ইচ্ছাধীন বলে ঘোষণা করা হয়। ফলে বাংলার কৃষকদের বিজয় অর্জিত হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা বই অনুসারে সঠিক উত্তর ১৮৬১ সাল।
কিন্তু বাংলাপিডিয়া, ব্রিটানিকাসহ অন্যান্য নির্ভরযোগ্য সূত্রে আমরা পেয়েছি, নীল কমিশন গঠিত হয়েছে ১৮৬০ সালে।
তাই মূল পরীক্ষায়, ১৮৬০ এবং ১৮৬১ উভয়ই অপশনে থাকলে, আপনারা আপনাদের বিবেচনা থেকে উত্তর করবেন।
১৮৫৯ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজ নীলকরদের সীমাহীন অত্যাচার শোষণ বঞ্চনার বিরুদ্ধে নীল চাষিরা যে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তোলে তা ইতিহাসে নীল বিদ্রোহ নামে খ্যাত।
বাংলাদেশে একচেটিয়া নীলের ব্যবসা ছিল ইংরেজ বণিকদের।
নীল বিদ্রোহ দমন করার জন্য ইংরেজ সরকার ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দে ইন্ডিগো কমিশন বা নীল কমিশন গঠন করে।❃👉 বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, নবম-দশম শ্রেণি।
১৮৫৯ সালে রায়তরা সমগ্র বাংলা জুড়ে নীলকরদের বিরুদ্ধে এক সংগঠিত আন্দোলন শুরু করে।
এ আন্দোলনের মুখে ১৮৬০ সালের ৩১ মার্চ সরকার নীল উৎপাদন ব্যবস্থা ও এর অর্থনীতি তদন্ত করবার জন্য ‘নীল কমিশন’ গঠন করে।
৫১. উয়ারী বটেশ্বর গ্রামে কোন সময়ে নগর সভ্যতা গড়ে উঠেছিলো ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖বাংলাদেশের ইতিহাসের শেকড় প্রোথিত রয়েছে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকা নরসিংদীর উয়ারী-বটেশ্বরে। উয়ারী-বটেশ্বর অঞ্চলে ২০০৬ সালে প্রাপ্ত পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন অনুযায়ী বাংলাদেশ অঞ্চলে জনবসতি গড়ে উঠেছিলো প্রায় ৪ হাজার বছর আগে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖উয়ারী-বটেশ্বর বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নস্থল।
নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলা থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার পশ্চিমে অবিস্থত উয়ারী এবং বটেশ্বর গ্রাম দু’টি ছাপাঙ্কিত রৌপ্যমুদ্রার প্রাপ্তিস্থান হিসেবে দীর্ঘদিন থেকে পরিচিত।
প্লাইসটোসিন যুগে গঠিত মধুপুর গড়ের পূর্ব সীমান্তে অবস্থিত এ গ্রাম দু’টিতেই নিবিড় অনুসন্ধান ও সীমিত প্রত্নতাত্ত্বিক খননে আবিষ্কৃত হয়েছে আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন দুর্গ নগর।
এছাড়াও এতে আড়াই হাজার বছর আগের জাপোনিকা জাতের ধান চাষের প্রমাণ পেয়েছেন গবেষকেরা।
৫২. জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজি বা টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট এর উদ্দেশ্য হলো -
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার আদলে ২০১৫ সালের ২৫-২৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন সম্মেলনে ১৭টি লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয় যা ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের লক্ষ্যস্থির করা হয়।
এসডিজির ১৭টি লক্ষ্য হলো:
❏ দারিদ্র্য নির্মূল
❏ ক্ষুধামুক্তি
❏ সুস্বাস্থ্য
❏ মানসম্মত শিক্ষা
❏ লিঙ্গ সমতা
❏ বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন
❏ সাশ্রয়ী ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি
❏ উপযুক্ত কাজ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি
❏ শিল্প, উদ্ভাবন ও অবকাঠামো
❏ বৈষম্য হ্রাস
❏ টেকসই শহর ও জনগণ
❏ পরিমিত ভোগ ও উৎপাদন
❏ জলবায়ু বিষয়ে পদক্ষেপ
❏ সামুদ্রিক বাস্তুসংস্থান
❏ স্থলভাগের জীবন
❏ শান্তি, ন্যায়বিচার ও শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান এবং
❏ অভিষ্টের জন্যে অংশীদারিত্ব।
৫৩. ১৯৭৪ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘের কোন পরিষদে বাংলা ভাষায় বক্তৃতা প্রদান করেছিলেন?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
১১
ব্যাখ্যাঃ
১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘের ২৯তম সাধারণ অধিবেশনে প্রথম বারের মতো বাংলা ভাষায় ভাষণ প্রদান করেন।
বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণের মাধ্যমে জাতিসংঘের সদস্য পৃথিবীর সব দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে জানতে পারে, বাংলা ভাষাভাষী বাঙালি জাতির জন্য রয়েছে একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। তার নাম বাংলাদেশ।
আর বাংলা ভাষার নামে এই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য কোটি মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তারও আগে যুক্ত হয়েছিলেন রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবির আন্দোলনে। জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দিয়ে সেই তিনিই বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরেছিলেন এই ভাষাকে।
ব্যাখ্যাকারী :
৫৪. 'বার ভুঁইয়া' কাদের বলা হতো ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖‘ বারাে ভূঁইয়া ‘ কথার অর্থ বারো জন ভূম্যধিকারী বা জমিদার । জাহাঙ্গীরের রাজত্বকালে বাংলাদেশে বেশ কয়েকজন স্বাধীনচেতা জমিদারের উত্থান ঘটেছিল , যাঁরা মুঘলদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সংগ্রাম চালিয়েছিলেন । তবে ‘ বারাে ভূঁইয়া ’ কথাটি কীভাবে এসেছে বা এর দ্বারা নির্দিষ্ট কোন বারাে জন ভূম্যধিকারীর কথা বলা হয়েছে , তা আজও স্পষ্ট নয় । কারণ আলােচ্য সময়ে বারাে জনের বেশি জমিদারের সন্ধান পাওয়া যায় , যাঁরা মুঘলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে নিজেদের স্বাধীন অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে উদ্যোগী হয়েছিলেন । যাই হােক , স্বাধীনচেতা ও মুঘল বিরােধী জমিদারদের মধ্যে উল্লেখযােগ্য ছিলেন সােনার গাঁও-এর ঈশা খাঁ ও তাঁর পুত্র মুসা খা , শ্রীপুর-এর কেদার রায় , যশােহর-খুলনার প্রতাপাদিত্য , ময়মনসিংহের উসমান খাঁ , বাকলার রামচন্দ্র প্রমুখ ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বাংলার ইতিহাসে ষোড়শ শতক থেকে সপ্তদশ শতকের মধ্যবর্তী সময়ে বাংলায় যেসব বড় বড় জমিদার মুঘলদের অধীনতা মেনে নেননি এবং শক্তিশালী সৈন্য ও নৌ-বহর নিয়ে স্বাধীনতা রক্ষার জন্য একজোট হয়ে মুঘল সেনাপতির বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তেন তারাই বাংলার ইতিহাসে 'বারো ভুঁইয়া' নামে পরিচিত।
যশোরের রাজা প্রতাপাদিত্য বারো ভুঁইয়াদের মধ্যে সর্বাধিক সম্পদশালী ও প্রভাবশালী ছিলেন।
১৬০০ খ্রিষ্টাব্দে প্রতাপের ক্ষমতা ও খ্যাতি পুরো ভারতবর্ষে ছড়িয়ে পড়েছিল।
বারো ভূঁইয়াদের নেতা ছিলেন সোনার গাঁয়ের জমিদার ঈসা খাঁ।
তার মৃত্যুর পর মোগলদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ স্তিমিত হয়ে যায়।
৫৫. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থের নাম কী?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
৬
ব্যাখ্যাঃ
🔖'অসমাপ্ত আত্মজীবনী' বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মজীবনী। শেখ মুজিব ১৯৬৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্তরীণ অবস্থায় লেখা শুরু করেছিলেন এটি। ২০১২ সালের জুনে বইটি প্রকাশিত হয়। ৩৩০ পৃষ্ঠার বইটির প্রকাশক ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড। প্রচ্ছদশিল্পী সমর মজুমদার।
৫৬. বাংলাদেশ জাতিসংঘের কততম সদস্য?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯ 📖 মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর উপ-পরিদর্শক ০৬.১২.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖বাংলাদেশ জাতিসংঘের কততম সদস্য - ১৩৬ তম
বাংলাদেশ কমনওয়েলথ এর কততম সদস্য - ৩২ তম
বাংলাদেশ ইসলামি সম্মেলন সংস্থা (OIC) এর কততম সদস্য - ৩২ তম
বাংলাদেশ আন্তর্জাতীক অপরাধ আদালত এর কততম সদস্য - ১১১ তম।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৪ সালে ১৩৬ তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে।
২৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘের ২৯তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বাংলায় ভাষণ দেন।
৫৭. বাংলাদেশের প্রথম জাদুঘর কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
৭
ব্যাখ্যাঃ
🔖বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর রাজশাহী মহানগরের কেন্দ্রস্থল হেতেম খাঁ-তে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের প্রথম জাদুঘর। প্রত্নতত্ত্ব সংগ্রহের দিক থেকে এটি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সংগ্রহশালা।
৫৮. মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর বাংলাদেশের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত নিদর্শন ও স্মারকচিহ্নসমূহ সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের স্থান। এটি ১৯৯৬ সালের ২২ মার্চ ঢাকাস্থ সেগুনবাগিচার একটি পুরানো দ্বিতল বাড়িতে প্রতিষ্ঠিত হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖১৯৯৬ সালের ২২ মার্চ ঢাকার সেগুনবাগিচায় একটি পুরানো দ্বিতল বাড়িতে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক দেশের প্রথম জাদুঘর 'মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর' প্রতিষ্ঠিত হয়।
২০১৭ সালের ১৬ এপ্রিল আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মাধ্যমে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্মিত নিজস্ব ভবনে 'মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর' স্থানান্তর করা হয়।
৫৯. 'বঙ্গভঙ্গ' কী ধরণের সংস্কার ছিল?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖প্রশাসনিক কারণ: রাষ্ট্রবিজ্ঞানিগণ মনে করেন বঙ্গভঙ্গের প্রধান কারণ হল প্রশাসনিক কারণ। বাংলা ছিল বিশাল প্রদেশ যার আয়তন ছিল ১ লক্ষ ৮৯ হাজার বর্গমাইল। ফলে শাসনভার ছিল কষ্টসাধ্য। লর্ড কার্জন প্রথম থেকেই একে প্রশাসনিক সংস্কার নামে অভিহিত করেন।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖১৯০৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর বঙ্গভঙ্গের ঘোষণা প্রদান করা হয় এবং ১৫ অক্টোবর থেকে তা কার্যকর হয়।
ঢাকা, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগ এবং আসাম নিয়ে গঠিত হয় 'পূর্ববঙ্গ ও আসাম' প্রদেশ।
এ প্রদেশের রাজধানী স্থাপিত হয় ঢাকায়।
পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও উড়িষ্যা নিয়ে গঠিত হয় পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ।
এ প্রদেশের রাজধানী হয় কলকাতা।
সুতরাং, 'বঙ্গবঙ্গ' প্রশাসনিক সংস্কার সংস্কার ছিল।
৬০. 'Stop Genocide' চলচ্চিত্রের পরিচালক কে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖Stop Genocide (জহির রায়হান), Liberation Fighters (আলমগীর কবীর ), A State You Born (জহির রায়হান), Innocent Millions (Babul Chowdhury)
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖জহির রায়হান -এর চলচ্চিত্রসমূহঃ
❏ কখনো আসে নি (প্রথম ছবি),
❏ সঙ্গম (তৎকালীন সমগ্র পাকিস্তানের প্রথম টেকনিকালার ছবি),
❏ বাহানা (প্রথম সিনেমাস্কোপ ছবি),
❏ কাঁচের দেয়াল (নিগার পুরস্কার পাওয়া),
❏ জীবন থেকে নেয়া (১৯৭০),
❏ বেহুলা,
❏ আনোয়ারা।
এছাড়া তিনি মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রামান্য চিত্র - Stop Genocide নির্মান করেন।
৬১. দেশকে নিরক্ষরতামুক্ত করার প্রত্যয়ে কোন সালে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর হাতে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক তুলে দেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করা হয়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯ 📖 ১১শ বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস প্রিলিমিনারী পরীক্ষা, .১৭
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖১৯৮৩ সাল থেকে শুরু হয় বিনামূল্যের পাঠ্যবই বিতরণ।
তবে ২০০৯ সাল পর্যন্ত প্রাথমিক স্তরের নির্ধারিত কয়েকটি বিষয়ের বই-ই কেবল শিক্ষার্থীদের দেওয়া হতো।
ঝরেপড়া রোধ করতে ও শতভাগ শিশুকে বিদ্যালয়ে ধরে রাখার স্বার্থে ২০০৯ সাল থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণের যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নেয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার।
২০১০ শিক্ষাবর্ষ থেকে বছরের প্রথম কর্মদিবসে পাঠ্যপুস্তক উৎসব পালন করা হয়।
২০১৪ সাল থেকে এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে প্রাক-প্রাথমিকও।
২০১৫ সালে যুক্ত হয়েছে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিশুদের ব্রেইল বই ও মাল্টিমিডিয়া সিডি।
আবার বেশ কিছু আদিবাসী গোষ্ঠীর শিশুদের জন্য তাদের বর্ণমালায় পাঠ্যপুস্তক বিনামূল্যে বিতরণ করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
৬২. বাংলাদেশের কেনো রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীতের কত চরণ বাজানো হয়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖বঙ্গভঙ্গের প্রেক্ষাপটে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত 'আমার সোনার বাংলা 'কবিতার প্রথম ১০ চরণকে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং তা গৃহীত হয় ১৯৭২ সালের ১৩ জানুয়ারি। জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের বিধান অনুযায়ী কণ্ঠে গাইতে গেলে দশ চরণ আর যন্ত্র সঙ্গীতে বাজাতে গেলে চার চরণ পর্যন্ত বাজাতে হবে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক ১৯০৬ সালে রচিত কবিতা ‘আমার সোনার বাংলা’র প্রথম দশ চরণ বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত।
প্রথম ৪ লাইন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে বাজানো হয়।
কবিতাটিতে মোট ২৫টি লাইন আছে।
বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতের অফিশিয়াল বা সরকারিভাবে স্বীকৃত ইংরেজি অনুবাদ করেন সৈয়দ আলী আহসান।
৬৩. কার্তিক ও অগ্রহায়ণ দুই মাস কি কাল?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖হেমন্ত হলো ষড়ঋতুর চতুর্থ ঋতু, যা কার্তিক ও অগ্রহায়ণ মাসের সমন্বয়ে গঠিত। শরৎকালের পর এই ঋতুর আগমন। এর পরে আসে শীত, তাই হেমন্তকে বলা হয় শীতের পূর্বাভাস। কৃত্তিকা ও আর্দ্রা এ দুটি তারার নাম অনুসারে নাম রাখা হয়েছে কার্তিক ও অগ্রহায়ণ মাসের। ‘মরা’ কার্তিকের পর আসে সর্বজনীন লৌকিক উৎসব নবান্ন। ‘অগ্র’ ও ‘হায়ণ’ এ দু’অংশের অর্থ যথাক্রমে ‘ধান’ ও ‘কাটার মওসুম’। সম্রাট আকবর অগ্রহায়ণ মাসকেই বছরের প্রথম মাস বা খাজনা তোলার মাস ঘোষণা দিয়েছিলেন।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ।
প্রতি দুই মাসে একটি ঋতুর আর্বিভাব ঘটে।
গ্রীষ্মঃ বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ
বর্ষাঃ আষাঢ়, শ্রাবণ
শরৎঃ ভাদ্র, আশ্বিন
হেমন্তঃ কার্তিক, অগ্রহায়ণ
শীতঃ পৌষ, মাঘ
বসন্তঃ ফাল্গুন, চৈত্র
৬৪. ঢাকার আহসান মঞ্জিল কে নির্মাণ করেন?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖আহসান মঞ্জিল ছিল ঢাকার নবাবদের প্রাসাদ। বর্তমানে এটি জাদুঘর হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এর প্রতিষ্ঠাতা নওয়াব আবদুল গণি। তিনি তার পুত্র খাজা আহসানুল্লাহ-র নামানুসারে এর নামকরণ করেন।১৮৫৯ খ্রিস্টাব্দে আহসান মঞ্জিলের নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে সমাপ্ত হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖আহসান মঞ্জিল বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে কুমারটুলি এলাকায় ঢাকার নওয়াবদের আবাসিক প্রাসাদ ও জমিদারির সদর কাচারি। বর্তমানে জাদুঘর।
১৮৫৯ সালে আহসান মঞ্জিলের নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে ১৮৭২ সালে সমাপ্ত হয়।
আব্দুল গণি তাঁর পুত্র খাজা আহসানউল্লাহ’র নামানুসারে ভবনের নামকরণ করেন আহ্সান মঞ্জিল।
ওই যুগে নবনির্মিত প্রাসাদ ভবনটি রঙমহল এবং পূর্বেকার ভবনটি অন্দরমহল নামে পরিচিত ছিল।
৬৫. বিট্রিশ শাসনের বিরুদ্ধে বাঙালিদের প্রথম বিদ্রোরে নাম -
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖১৭৬০ সালের ৩০ জুন, রংপুর অঞ্চল থেকে শুরু হয়েছিলো ফকির সন্ন্যাসী বিদ্রোহ। ফকির মজনু শাহ্ ছিলেন এই বিদ্রোহের প্রাণপুরুষ ছিলেন। পরবর্তীতে নাটোরের জমিদার দেবী চৌধুরাণীর সেনাপতি সন্ন্যাসব্রতধারী ভবানী পাঠক এই বিদ্রোহে যুক্ত হয়ে হিন্দু বিদ্রোহীদের প্রেরণা ও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বিট্রিশ শাসনের বিরুদ্ধে বাঙালিদের প্রথম বিদ্রোরে নাম ফকির ও সন্ন্যাসী বিদ্রোহ।
১৭৬০ সালে এ আন্দোলন শুরু হয় এবং চার দশকেরও অধিককাল তা অব্যাহত থাকে।
নবাব মীর কাশিম ইংরেজদের সঙ্গে যুদ্ধে ফকির-সন্ন্যাসীদের সাহায্য চান।
এই ডাকে সাড়া দিয়ে ফকির সন্ন্যাসীরা নবাবের পক্ষে যুদ্ধ করে।
যুদ্ধে পরাজিত মীর কাশিম পালিয়ে গেলেও ফকির-সন্নাসীরা তাদের ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকে।
৬৬. বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেটের মর্যাদা লাভ করে-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯ 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2005➯খ ইউনিট 📖 ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়➟2008➯B ইউনিট
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖১. প্রশ্নঃ বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেট খেলার মর্যাদা লাভ করে কবে? উত্তরঃ ২৬ জুন ২০০০ । ২. প্রশ্নঃ বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেটের কত তম সদস্য? উত্তরঃ দশম । ৩. প্রশ্নঃ বাংলাদেশ কোন দলের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলে? উত্তরঃ ভারত; ১০-১৪ নভেম্বর ২০০০ (ঢাকায়) । ৪. প্রশ্নঃ টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান কে? উত্তরঃ আমিনুল ইসলাম বুলবুল ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বাংলাদেশ টেস্ট স্ট্যাটাস লাভ করে ২৬ জুন, ২০০০ সালে।
বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট খেলে ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে ১০ নভেম্বর, ২০০০ সালে।
সৌরভ গাঙ্গুলীর নেতৃত্বাধীন ভারতের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪০০ রান করে বাংলাদেশ।
জিম্বাবুয়ের পর বিশ্বের দ্বিতীয় দল হিসেবে নিজেদের অভিষেক টেস্টে ৪০০ রান করে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের অভিষেক ম্যাচেই দলের হয়ে সেঞ্চুরি করেন আমিনুল ইসলাম।
১৪৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
৬৭. ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধকালে ANNIHILATE THESE DEMONS শিরোনামের পোস্টারটি কে এঁকেছিলেন?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালে আঁকা পোস্টারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত, সবচেয়ে প্রভাববিস্তারী, সবচেয়ে প্রতিনিধিত্বশীল ও সবচেয়ে শিল্পোৎকর্ষমণ্ডিত ছিল কামরুল হাসানের আঁকা ইয়াহিয়ার মুখাবয়বের ব্যঙ্গচিত্র, যাতে পরিস্ফুটিত হয়েছিল ওই চরিত্রের হিংস্র ও দানবীয় রূপ। পোস্টারটির ওপরে লেখা ছিল ‘এই জানোয়ারদের’ আর নিচে ছিল ‘হত্যা করতে হবে’ শব্দগুচ্ছ।
এই পোস্টার ১৯৭১ সালের মে মাসে প্রথমে কলকাতা থেকে জয় বাংলা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। তারপর ওই মাসেই বাংলাদেশের প্রবাসী সরকার এক রঙে এর লক্ষাধিক কপি ছাপিয়ে মুক্তাঞ্চলে বিলি করে। কিছুদিন পরে বিদেশিদের উদ্দেশে প্রচারিত এই পোস্টারের ইংরেজি ভাষ্যের বক্তব্য ছিল: Annihilate the Demons।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ থেকে নিরীহ বাঙালির উপর পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর নৃশংস হামলাকে কেন্দ্র করে কামরুল হাসানের ইয়াহিয়ার মুখচ্ছবি দিয়ে আঁকা পোস্টার ‘এই জানোয়ারদের হত্যা করতে হবে’ / 'ANNIHILATE THESE DEMONS' দেশেবিদেশে বিপুলভাবে সাড়া জাগায় এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণে সাধারণ মানুষকেও উদ্বুদ্ধ করে।
মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণামূলক পোস্টার আঁকায় নিতুন কুন্ডু (১৯৩৬-২০০৭), প্রাণেশ মন্ডল প্রমুখ শিল্পী বিশেষ অবদান রাখেন।
স্বাধীনতার পরও অব্যাহত ছিল রাজনৈতিক পোস্টার শিল্পের বিকাশ।
কামরুল হাসান-এর দেশ আজ বিশ্ববেহায়ার খপ্পরে, কাজী হাসান হাবীব (১৯৪৮-১৯৮৮)-এর বাংলাদেশ বনপোড়া হরিণীর মতো আর্তনাদ করে, কাউয়ুম চৌধুরীর আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি প্রভৃতি পোস্টার বাংলাদেশের কতকগুলি রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের সাক্ষী হয়ে আছে।
৬৮. বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত কত?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
৮
ব্যাখ্যাঃ
🔖বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ডিজাইনারে কে? উ: কামরুল হাসান ২. জাতীয় পতাকার দের্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত কত? উ: দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত ১০:৬ বা ৫:৩ ৩. জাতীয় পতাকার লাল বৃত্তের মাপ কত? উ: পতাকার ৪ ভাগের ১ অংশ ৪. আমাদের জাতীয় পতাকার রূপকার কে? উ: চিত্রশিল্পী কামরুল হাসান
৬৯. গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান কোন তারিখ থেকে কার্যকর হয়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
১৩
ব্যাখ্যাঃ
🔖১৯৭২ সালের ১০ এপ্রিল গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন বসে । এ অধিবেশনে ৩৪ সদস্য বিশিষ্ট একাট সংবিধান প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হয় । এ কমিটির সভাপতি ছিলেন তৎকালীন আইন ও সংসদীয় মন্ত্রী ড.কামাল হোসেন । এ কমিটির দায়িত্ব ছিল সংবিধানের খসড়া প্রণয়ন করা । কমিটি ৭১টি অধিবেশনে মিলিত হয়ে স্বীয় দায়িত্ব পালন করে এবং ১৯৭২ সালের ১২ অক্টোবর গণপরিষদে সংবিধানের খসড়া পেশ করে, যা ৪ নম্বেবর গণপরিষদ কর্তৃক গৃহীত হয় এবং ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয় ।
৭০. ছিয়াত্তরের মন্বন্তর নামক ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ কত সালে ঘটে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖ছিয়াত্তরের মন্বন্তর বা গ্রেট বেঙ্গল ফেমিন বাংলা তথা ভারতে ঘটা সর্বনাশা এক দুর্ভিক্ষ। ইতিহাসের অন্যতম করুণ এ দুর্ভিক্ষে বাংলার প্রায় ১ কোটি মানুষ মারা যায়। বাংলা ১১৭৬ সালে এই দুর্ভিক্ষ সংঘটিত হয় বলে একে ছিয়াত্তরের মন্বন্তর নামে অভিহিত করা হয়। ইংরেজি ১৭৭০ সনের এই সময়টা ছিল চরম অর্থনৈতিক মন্দার বছর।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖ইংরেজি ১৭৭০ সালে (১১৭৬ বঙ্গাব্দে) বাংলায় সংঘটিত দুর্ভিক্ষ ছিয়াত্তরের মন্বন্তর নামে পরিচিত।
এই দুর্ভিক্ষে বাংলার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ লোক মারা যায়।
এ সময় বাংলায় ইংরেজ গর্ভনর ছিলেন জন কার্টিয়ার। দ্বৈতশাসন ব্যবস্থার কুফল এবং অনাবৃষ্টিজনিত খরায় ফসল উৎপাদন কম হওয়ায় এ দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়।
৭১. বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামোর সর্বনিম্ন স্তর কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
৭
ব্যাখ্যাঃ
প্রশ্নঃ বাংলাদেশের স্থানীয় প্রশাসন কাঠামোর সর্বনিম্ন স্তর কোনটি?সঠিক উত্তরঃ উপজেলা প্রশাসনমনে রাখবেন, উত্তর কখনই ইউনিয়ন পরিষদ নয়। কারণ স্থানীয় সরকারের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়নি। স্থানীয় "প্রশাসনের" ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়েছে।বাংলাদেশের "স্থানীয় প্রশাসন" একটি প্রশাসনিক ব্যবস্থা যা সরকারের বেতনভুক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারী দ্বারা পরিচালিত হয়। বাংলাদেশের স্থানীয় প্রশাসনিক কাঠামো ৩টি স্তরে বিভক্ত যার সর্বনিম্ন স্তর হলো উপজেলা প্রশাসন। এর উপরের দুটি স্তর নিম্নক্রমে জেলা প্রশাসন ও বিভাগীয় প্রশাসন। সুত্রঃ বোর্ড বই।অর্থাৎ,স্থানীয় প্রশাসনের সর্বনিম্ন স্তর - উপজেলা প্রশাসনস্থানীয় সরকারের সর্বনিম্ন স্তর - ইউনিয়ন পরিষদ
৭২. 'বাহাদুর শাহ' পার্ক কোথায় অবস্থিত?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖বাহাদুর শাহ পার্কটি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার লক্ষ্মীবাজারে অবস্থিত।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ ব্যর্থ হলে প্রহসনমূলক বিচারের মাধ্যমে এর সাথে জড়িত অসংখ্য বিপ্লবী সিপাহীদের ফাঁসি দেওয়া হয়।
জনগণকে ভয় দেখানোর জন্যে সিপাহীদের লাশ বাহাদুর শাহ পার্কের বিভিন্ন গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়।
১৮৫৮ সালে এই স্থানের নামকরণ করা হয় ভিক্টোরিয়া পার্ক।
পরবর্তীতে ১৯৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহের শতবর্ষে ভিক্টোরিয়া পার্কের নামকরণ করা হয় বাহাদুর শাহ পার্ক।
এর অবস্থান পুরাতন ঢাকায়।
৭৩. বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার গঠিত হয় -
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার এর অন্য নাম মুজিবনগর সরকার। এটি গঠিত হয় ১৯৭১ সালের ১০ ই এপ্রিল এবং শপথ গ্রহণ করে ১৭ ই এপ্রিল।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গঠিত হয় প্রথম বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার, যা মুজিবনগর সরকার নামে পরিচিত।
১৭ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলা (বর্তমান উপজেলা মুজিবনগর) গ্রামের আমবাগানে এই অস্থায়ী সরকার শপথ গ্রহণ করে।
৭৪. বাংলাদেশের প্রথম EPZ কোথায় গড়ে উঠেছে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖বাংলাদেশে প্রথম EPZ চট্রগ্রামে স্থাপিত হয়। এ পর্যন্ত সরকারি EPZ এর সংখ্যা ৮ টি।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বাংলাদেশের প্রথম EPZ চট্টগ্রামে স্থাপিত হয়।
বাংলাদেশের আটটি রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের মধ্যে প্রথম ও প্রধান এই ইপিজেডটি ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক সংসদে পাশ হওয়া আইনবলে ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
৭৫. পুত্রজায়া হলো -
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖মালেশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর তবে প্রশাসনিক রাজধানী পুএজায়া
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖মালেয়েশিয়ার প্রশাসনিক রাজধানী- পুত্রজায়া।
মালাউই - এর রাজধানী - লিলংউই।
মালির রাজধানী- বামাকো।
মালদ্বীপের রাজধানী- মালে।
৭৬. বাংলাদেশ কোন সালে আইসিসি ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হয়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖১৯৯৭ সালে কার্লসবার্গ আইসিসি ট্রফি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনালে কেনিয়াকে হারিয়ে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়। পুরো টুর্নামেন্টে অপরাজিত ছিল আকরাম খানের নেতৃত্বাধীন লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টটি ছিল ১৯৯৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব। এতে কেনিয়া এবং প্রথমবারের মত বাংলাদেশ ও স্কটল্যান্ড বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖১২ এপ্রিল, ১৯৯৭-
কার্লসবার্গ আইসিসি ট্রফি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনালে কেনিয়াকে হারিয়ে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়।
পুরো টুর্নামেন্টে অপরাজিত ছিল আকরাম খানের নেতৃত্বাধীন লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টটি ছিল ১৯৯৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব।
এতে কেনিয়া এবং প্রথমবারের মত বাংলাদেশ ও স্কটল্যান্ড বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে।
৭৭. ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু কোথায় ভাষণ দিয়েছিলেন?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ব্যাখ্যাঃ
🔖বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ভাষন দন তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে ( বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান)
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖৭ মার্চ ‘জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস’
❏ ভাষণকালঃ ৭ মার্চ, ১৯৭১
❏ স্থানঃ রেসকোর্স ময়দান (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান)
❏ ভাষণ শুরুঃ বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে
❏ মোট সময়ঃ ১৮ মিনিট (মতান্তরে ১৯ মিনিট)
❏ ভিডিও রেকর্ডকারীঃ পাকিস্তান চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক ও অভিনেতা আবুল খায়ের
❏ অডিও রেকর্ডকারীঃ এ এইচ খন্দকার
❏ প্রথম লাইনঃ ভাইয়েরা আমার, আজ দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি।
❏ শেষ লাইনঃ এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা।
❏ শব্দ সংখ্যাঃ ১,১০৮টি
❏ ভাষণে দাবি ছিলঃ ৪টি
❏ সংবিধানের তফসিলে সংযুক্ত হয়ঃ ৩০ জুন ২০১১ জাতীয় সংসদে পাশ হওয়া সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে পঞ্চম তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
❏ ভাষণটিকে UNESCO বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য ঘোষণা করেঃ ৩০ অক্টোবর ২০১৭
❏ ভাষণটি অনুদিত হয় (জুলাই ২০২০ পর্যন্ত): ১২টি ভাষায়।
৭৮. বাংলাদেশ সরকার ব্যবস্থা কোন ধরনের?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
৩
ব্যাখ্যাঃ
🔖বাংলাদেশের সরকার ব্যবস্থা মন্ত্রিপরিষদ শাসিত । এই ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রীই সর্বেসর্বা । বাংলাদেশের সংবিধান ৫৫(২) নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রযুক্ত হয় । মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকার ব্যবস্থায় একজন নিয়মতান্ত্রিক রাষ্ট্রপ্রধান থাকেন ।
৭৯. ' পোড়ামাটি-নীতি' কোন বাহিনীর জন্য প্রযোজ্য ছিল?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
৪
ব্যাখ্যাঃ
🔖'স্কর্চড আর্থ’ বা পোড়ামাটি নীতি কী?
স্কর্চড আর্থ বা পোড়ামাটি নীতি এমন একটি সামরিক
কৌশল যা দ্বারা সেনারা এক জায়গা থেকে অন্য
জায়গায় যাওয়ার সময় প্রতিপক্ষের সামরিক বেসামরিক
নির্বিশেষে সবাইকে হত্যার পাশাপাশি সবকিছু পুড়িয়ে
দেয়। শত্রুর পক্ষে ব্যবহার করা সম্ভব—এমন স্থাপনা ও
অবকাঠামো পুড়িয়ে দেয়। এ থেকে পরিত্রাণ পায় না
খাদ্যের উৎস, পানি সরবরাহ, পরিবহন, যোগাযোগ,
শিল্পকারখানা।অর্থ্যাৎ প্রতিপক্ষের সবকিছু জ্বালিয়ে
পুড়িয়ে একেবারে
নি:চিহ্ন করে দেওয়ায় হল স্কর্চড আর্থ’ বা পোড়ামাটি
নীতি। বর্তমানে মিয়ানমারে সেনাবাহিনী" জাতিগত
নির্মূল " অপারেশনে পোড়া মাটি নীতি অনুসরণ করছে ।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান হানাদার
বাহিনীও পোড়া মাটি নীতি গ্রহণ করেছিল । সেজন্যেই
তো পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান
বলেছিল
" পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ চাই না, মাটি চাই।
৮০. জাতিসংঘের সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯ 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2007➯D ইউনিট 📖 জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়➟2011➯C ইউনিট
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖জাতিসংঘ সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক সিটিতে অবস্থিত একটি কমপ্লেক্স।
এটি ১৬ একর জমিতে ১৯৪৯ হতে ১৯৫০ সালের মধ্যে নির্মাণ করা হয়।
ভবনটি ইস্ট নদীর তীরে অবস্থিত।
সদর দপ্তর স্থাপনের জমি কেনার জন্য জন ডি রকফেলার জুনিয়র ৮.৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেন।
তিনি জাতিসংঘকে এই জমি দান করেন।
৮১. ফারাক্কা বাঁধ তৈরি করা হয়েছে কোন নদীর উপর ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
৮
ব্যাখ্যাঃ
🔖ফারাক্কা বাঁধ গঙ্গা নদীর উপর অবস্থিত একটি বাঁধ। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলায় এই বাঁধটি অবস্থিত। ১৯৬১ সালে এই বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। শেষ হয় ১৯৭৫ সালে। সেই বছর ২১ এপ্রিল থেকে বাঁধ চালু হয়। ফারাক্কা বাঁধ ২, ২৪০ মিটার (৭, ৩৫০ ফু) লম্বা যেটা প্রায় এক বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে সোভিয়েত রাশিয়ার সহায়তায় বানানো হয়েছিল। বাঁধ থেকে ভাগীরথী-হুগলি নদী পর্যন্ত ফিডার খালটির দৈর্ঘ্য ২৫ মাইল (৪০ কিমি)।