সাধারণ বিজ্ঞান (৩৪০ টি)
১. উপকূলে কোনো একটি স্থানে পর পর দুটি জোয়ারের ব্যবধান হল
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - আলফা- ১৮.০৪.১৪ 📖 ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের ডাক অধিদপ্তরের উপজেলা পোস্ট মাস্টার-১.১০
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖6 ঘন্টা পর পর জোয়ার ভাটা হয়। সেই হিসাবে একবার জোয়ারের পর আরেকটি জোয়ার আসার সময় 12 ঘন্টা
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖সমুদ্রের একই জায়গায় প্রতিদিন দুইবার জোয়ার ও দুইবার ভাটা হয়। উপকূলে কোন একটি স্থানে একটি জোয়ারের প্রায় ৬ ঘন্টা ১৩ মিনিট পর ভাটা হয়। উপকূলে কোন একটি স্থানে পর পর দুটি জোয়ার বা দুটি ভাঁটার মধ্যে ব্যবধান হলো ১২ ঘণ্টা ২৬ মিনিট।
চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষণ শক্তি এবং পৃথিবীর কেন্দ্রাতিক শক্তি প্রভৃতির প্রভাবে সমুদ্রের পানি নির্দিষ্ট সময় অন্তর ফুলে উঠে আবার নেমে যায়। সমুদ্রের পানি এভাবে ফুলে উঠাকে বলা হয় জোয়ার এবং নেমে যাওয়াকে ভাঁটা বলে।
প্রতি ১২ ঘন্টা ২৬ মিনিট পরপর এই জোয়ার ভাঁটা সংঘঠিত হয়। অর্থাৎ সমুদ্রে একই জায়গায় প্রতিদিন দু’বার জোয়ার ও দু’বার ভাঁটা হয়।
সমুদ্রের মোহনা থেকে নদীগুলোর স্রোতের বিপরীতে উজানে কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত জোয়ার ভাঁটা বেশি অনুভূত হয়। সমুদ্রের মধ্যভাগ থেকে উপকূলের কাছে পানির অগভীর অংশে জোয়ারের পানির উচ্চতা বেশি থাকে।
তবে বিভিন্ন নদীপথে দেশের ভিতরে সমুদ্রের পানি যখন প্রবেশ করে এবং নেমে যায় তাকে জোয়ার ভাঁটা বলে না।
২. নাইট্রোজেনের প্রধান উৎস--
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - আলফা- ১৮.০৪.১৪
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖নাইট্রোজেনের প্রধান উৎস বায়ুমণ্ডল।
বাতাসে নাইট্রোজেনের পরিমাণ ৭৮.০২%। রাইজোবিয়াম ব্যাকটেরিয়া মাটিতে কিছু পরিমাণ নাইট্রোজেন সংবন্ধন করে এবং উদ্ভিদ ও প্রাণী দেহে সামান্য পরিমাণে নাইট্রোজেন পাওয়া যায়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বায়ুমণ্ডল নানাপ্রকার গ্যাস ও বাষ্পের সমন্বয়ে গঠিত হলেও এর প্রধান উপাদান দুইটি।
যথা- নাইট্রোজেন ও অক্সিজেন।
বায়ুমন্ডলে নাইট্রোজেনের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি ৭৮.০১% ও অক্সিজেনের পরিমাণ ২০.৭১%।
৩. বায়ুতে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে গেলে বায়ুচাপ--
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ঝিলাম- ০৮.১১.১৩
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বায়ুতে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে গেলে বায়ুচাপ-- কমে যায়।
বায়ুতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বাড়লে বায়ুর চাপ কমে কেন???
আমরা জানি,
আদ্র গ্যাস বা জলীয় বাষ্প পূর্ণ গ্যাসের চাপ= শুষ্ক গ্যাসের চাপ +জলীয় বাষ্পের চাপ।।
তাহলে বায়ুতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বাড়লে বায়ু চাপ বেড়ে যাওয়ার কথা।
উত্তর - জলীয় বাস্প এর ঘনত্ব কম কিন্তু বায়ুর ঘনত্ব বেশি। যদি বাতাসে জলীয় বাস্প বেশি থাকে তাহলে বুঝতে হবে বায়ুর ঘনত্ব কমে গেছে। আবার আমরা জানি, ঘনত্ব ও চাপ সমানুপাতিক। তাই চাপ ও কমে যাবে এবং ব্যারোমিটার এর পারদ স্তম্ভ নিচে নেমে যাবে এবং বুঝতে হবে যে সেখানে আদ্র বায়ূ বেশি অর্থাৎ বৃষ্টিপাত হবার সম্ভাবনা আছে। আবার যদি সহসা বায়ুর চাপ বেশী কমে যায় বুঝতে হবে যে নিম্নচাপের সৃষ্টি হওয়ায় চারদিক থেকে সজরে বায়ু নিম্নচাপ অঞ্চলে প্রবল আঘাত হানবে অপর দিকে শুষ্ক বায়ুর ঘনত্ব বেশী থাকায় বায়ু চাপ বেরে যাবে। এবং ব্যারোমিটার এর পারদ স্তম্ভ ৭৬ সে.মি থেকে কিছুটা উপরে উঠে যাবে।।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বায়ুতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে গেলে বায়ুচাপ কমে যায়। বায়ুর তাপমাত্রা বাড়লে বায়ুতে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে যায়।
৪. বিদ্যুৎ শক্তির বাণিজ্যিক একক কি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ঝিলাম- ০৮.১১.১৩
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বিদ্যুৎ শক্তির বাণিজ্যিক একক- কিলোওয়াট ঘন্টা।
ক্ষমতার একক ওয়াট, কাজের একক জুল এবং বিদ্যুৎ শক্তির বাণিজ্যিক একক কিলোওয়াট ঘন্টা। বাণিজ্যিকভাবে একে 'বোর্ড অফ ট্রেড ইউনিট' বা সংক্ষেপে শুধু ইউনিট বলা হয়ে থাকে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖সাধারণত বিদ্যুৎ শক্তির বাণিজ্যিক হিসাবের জন্য কিলোওয়াট-ঘন্টা একক ব্যবহৃত হয়। এক কিলোওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন কোন যন্ত্র এক ঘন্টা কাজ করলে যে শক্তি ব্যয় হয় তাকে এক কিলোওয়াট ঘন্টা বলে। কোন পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য পরিমাপ করা হয় ভোল্ট একক দ্বারা।
৫. কোন রঙের বস্তুর তাপ শোষণ ক্ষমতা বেশি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ঝিলাম- ০৮.১১.১৩
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖কালো রঙের বস্তুর তাপ শোষণ ক্ষতা বেশি।
কালো রঙের বস্তু আলোর সকল রং শোষণ করে। সুতরাং কালো রঙের বস্তুর তাপ শোষণ ক্ষমতা বেশি। সাদা রঙের বস্তু আলোর সকল রং প্রতিফলিত করে ফলে সাদা রঙের বস্তুর তাপ শোষণ ক্ষমতা কম।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖সাদা রঙের জামার তাপ শোষণ ক্ষমতা কম। এজন্যই গ্রীষ্মকালে সাদা রঙের জামা অধিক আরামদায়ক। অন্যদিকে, কালো রঙের জামার তাপ শোষণ ক্ষমতা বেশি, সেজন্য তা গ্রীষ্মকালে ততটা আরামদায়ক হয় না।
৬. তাপ সঞ্চালনের দ্রুততম প্রক্রিয়া কোনটি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ঝিলাম- ০৮.১১.১৩
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖তাপ সঞ্চালনের দ্রুততম প্রক্রিয়া হচ্ছে বিকিরণ।
যে পদ্ধতিতে তাপ পদার্থের উষ্ণতর অংশ থেকে শীতলতর অংশে বা উষ্ণতর বস্তু থেকে শীতলতর বস্তুতে সঞ্চালিত হয় সে পদ্ধতিকে পরিবহন বলে। যে পদ্ধতিতে তাপ কোন পদার্থের অণুগুলো চলাচল দ্বারা উষ্ণতর অংশ থেকে শীতলতর অংশে সঞ্চালিত হয় তাকে পরিচলন বলে। যে পদ্ধতিতে তাপ মাধ্যমের সাহায্যে ছাড়াই তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গের আকারে উষ্ণ বস্তু থেকে শীতল বস্তুর সঞ্চালিত হয় তাকে বিকিরণ বলে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖তাপ সঞ্চালন হয় তিন প্রক্রিয়ায়।
১) পরিবহন,
২) পরিচলন,
৩) বিকিরণ।
পরিবহন এবং পরিচলন প্রক্রিয়ায় তাপ সঞ্চালনের জন্য মাধ্যমের প্রয়োজন হয়, এবং এই দুই পদ্ধতিতে মাধ্যমকে উত্তপ্ত করে তাপ সঞ্চালন করতে হয়।
কিন্তু বিকিরণ পদ্ধতিতে তাপ সঞ্চালনে মাধ্যমের প্রয়োজন হয় না। সূর্য থেকে তাপ পৃথিবীতে এভাবেই আসে। তাই বলা যায় তাপ সঞ্চালনের দ্রুততম প্রক্রিয়া হচ্ছে বিকিরণ।
৭. বায়ুমন্ডলের কোন উপাদান অতি বেগুনি রশ্মিকে শোষণ করে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ঝিলাম- ০৮.১১.১৩ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -চট্রগ্রাম বিভাগ- ১৮.০৪.০৮ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -বসন্ত- ১৩.০৮.১০
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বায়ুমন্ডলের ওজোন স্তর অতি বেগুনি রশ্মিকে শোষণ করে।
ওজোন স্তরের সূর্যের আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মি অর্থাৎ অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করে। ফলে প্রাণীজগৎ রক্ষা পায়। ১% ওজন হারানোর অর্থ ২% অতিবেগুনি আলোর প্রভাব বেড়ে যাওয়া।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বায়ুমণ্ডলের দ্বিতীয় স্তর স্ট্রাটোমণ্ডল। এই স্তরে ওজোন গ্যাসের স্তর বেশি পরিমাণে আছে। এ ওজোন স্তর সূর্যের আলোর বেশিরভাগ অতিবেগুনি রশ্মি শুষে নেয়। এই স্তরের বায়ুতে অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণা ছাড়া কোনো রকম জলীয়বাষ্প থাকে না। ফলে আবহাওয়া থাকে শান্ত ও শুষ্ক। ঝড়-বৃষ্টি থাকেনা বলেই এই স্তরের মধ্য দিয়ে সাধারণত জেট বিমানগুলো চলাচল করে।
৮. ম্যালিক এসিড পাওয়া যায়-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ঝিলাম- ০৮.১১.১৩
সাধারণ বিজ্ঞান
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖স্যালিক এসিড বলতে কোনো এসিড নেই।
আপেল, আনারসে থাকে ম্যালিক এসিড;
আঙ্গুর, কমলা, লেবুতে থাকে সাইট্রিক এসিড;
তেঁতুলে থাকে টারটারিক এসিড;
টমেটোতে থাকে অক্সালিক এসিড;
আমলকিতে থাকে এসকরবিক এসিড।
৯. টুথপেস্টের প্রধান উপাদান
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ঝিলাম- ০৮.১১.১৩
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖টুথপেস্ট হল একটি পেস্ট বা জেল যা টুথব্রাশ দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করতে ও দাঁতের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে ব্যবহৃত হয়। ২০% থেকে ৪২% জল ছাড়াও, টুথপেস্টে বিভিন্ন উপাদান থাকে। তিনটি প্রধান হ'ল পালিশ, ফ্লোরাইড এবং ডিটারজেন্ট।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖এখানে সোডিয়াম লরেল সালফেট হচ্ছে সাবান যা দাত ব্রাশ করার সময় ফেনা তৈরি করে।
১০. মাটির উর্বরতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে বায়ুর-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ঝিলাম- ০৮.১১.১৩
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖মাটির উর্বরতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে বায়ুর- নাইট্রোজেন।
রাইজোবিয়াম জাতীয় উদ্ভিদের মূলের নডিউলে নাইট্রোজেন সংবন্ধন করে মাটিতে নাইট্রোজেন এর পরিমাণ বৃদ্ধি করে। কোন উদ্ভিদে মাটিতে অক্সিজেন হাইড্রোজেন কিংবা কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি করে না।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖মাটির উর্বরতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে নাইট্রোজেন।
রাইজোবিয়াম একপ্রকার ব্যাকটেরিয়া। শিম জাতীয় উদ্ভিদের শিকড়ে এক ধরনের গুটলি দেখা যায়, যার ভিতর রাইজোবিয়াম জাতীয় ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা বাতাসের নাইট্রোজেনকে নাইট্রেট সারে রূপান্তরিত করে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে।
১১. কোনটি একবীজপত্রী উদ্ভিদ নয়?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ঝিলাম- ০৮.১১.১৩
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖একবীজপত্রী উদ্ভিদের পাতায় সমান্তরাল শিরাবিন্যাস দেখা যায় এবং বীজে একটিমাত্র বীজপত্র পাওয়া যায়। অপরদিকে কাঁঠাল পাতায় জালিকাকার শিরাবিন্যাস দেখা যায় এবং বীজে দুইটি বীজপত্র পাওয়া যায়। তাই কাঁঠাল একবীজপত্রী উদ্ভিদ নয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖যেসব উদ্ভিদের বীজে দুটি বীজপত্র থাকে, তাদের দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদ বলে।
যেমন: আম, জাম, কাঁঠাল।
যেসব উদ্ভিদের বীজে একটি মাত্র বীজপত্র থাকে, তাদের একবীজপত্রী উদ্ভিদ বলে।
যেমন: ধান, গম, ভুট্টা, নারিকেল, খেজুর।
১২. কোন ভিটামিন ক্ষতস্থান হতে রক্ত পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ঝিলাম- ০৮.১১.১৩ 📖 26th BCS General Dec, 2000 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -মেঘনা- ২৪.০২.১২
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖রক্ত জমাট বাঁধার কিছু ফ্যাক্টর_ বলা যাবে ক্লটিং ফ্যাক্টরস টু, সেভেন ও টেন-এর তৈরিতে ভিটামিন 'কে'-এর দরকার হয়। সুতরাং এর অভাবে রক্তপাত ঘটে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖সবুজ রঙের শাকসবজি, লেটুসপাতা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ডিমের কুসুম, সয়াবিন তেল এবং যকৃতে ভিটামিন ‘কে’ পাওয়া যায়।
দেহে ‘ভিটামিন কে’ প্রথ্রোম্বিন নামক প্রোটিন তৈরি করে। প্রথ্রোম্বিন রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।
যকৃত থেকে পিত্তরস নিঃসৃত হয়। পিত্তরস নিঃসরণে অসুবিধা হলে ভিটামিন কে - এর শোষণ কমে যায়।
‘ভিটামিন কে’- এর অভাবে ত্বকের নিচে ও দেহাভ্যন্তরে যে রক্ত ক্ষরণ হয় তা বন্ধ করার ব্যবস্থা না নিলে রোগী মারা যেতে পারে।
১৩. কোন মাধ্যমে শব্দের গতি সবচেয়ে বেশি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দানিয়ুব- ০৮.১১.১৩ 📖 25th BCS General Sep, 2004 📖 ৬ষ্ঠ বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস প্রিলিমিনারী পরীক্ষা, .১১
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖কঠিন মাধ্যমে শব্দের বেগ সবচেয়ে বেশি এবং বায়ুবীয় মাধ্যমে শব্দের বেগ সবচেয়ে কম। অপরদিকে শুন্য মাধ্যমে আলো চলতে পারেনা।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖কঠিন পদার্থে শব্দের বেগ সবচেয়ে বেশি। শূন্যতায় শব্দের বেগ শূন্য। বাতাসে ৩৩০ মি/সে, পানিতে ১৪৯৩ মি/সে এবং লোহাতে ৫১৩০ মি/সে।
১৪. কোন জারক রস পাকস্থলীতে দুধ জমাট বাঁধায়?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দানিয়ুব- ০৮.১১.১৩ 📖 30th BCS General Jul, 2010 📖 19th BCS General Dec, 1998
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖রেনিন নামক জারক রস পাকস্থলীতে দুগ্ধ জমাট বাধায়।
পাকস্থলীতে দুগ্ধ জমাট বাঁধতে রেনিন নামক জারক রস প্রয়োজন হয়। অপর পক্ষের ট্রিপসিন এবং পেপসিন নামক এনজাইম প্রোটিন পরিপাকে এবং অ্যামাইলেজ কার্বোহাইড্রেট পরিপাকে সহায়তা করে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝- রেনিন একটি এনজাইম।
❐ এটি পাকস্থলীতে দুধ জমাট বাঁধায়
◻️
❐ এটি দুধের ক্যাজিনকে প্যারাক্যাজিনে পরিণত করে।
❐ পাকস্থলীর সংকোচন- প্রসারণে গ্যাষ্টিক রস খাদ্যের সাথে ভালোভাবে মিশতে পারে এবং এ রসের - ক্রিয়ার পর খাদ্যদ্রব্য নরম ও তরল অবস্থায় পরিণত হয়, এ অবস্থাকে কাইম বলে।
❐ এরপর কাইম অল্প অল্প করে নালীপথে পাকস্থলী থেকে অন্ত্রে প্রবেশ করতে থাকে।
◻️
১৫. মানুষের ক্রোমোজোমের সংখ্যা কত?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দানিয়ুব- ০৮.১১.১৩ 📖 19th BCS General Dec, 1998 📖 বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী-১০.১২
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖মানুষের ক্রোমোজোমের সংখ্যা ২৩ জোড়া।
মানবদেহের সাধারণত ২৩ জোড়া ক্রোমোজোম থাকে। এর মধ্যে ২২ জোড়া স্ত্রী ও পুরুষের একই রয়েছে। এদের অটোজোম বলা হয়। বাকি একজোড়া মানুষের লিঙ্গ নির্ধারণ করে বলে এদের সেক্স ক্রোমোজোম বলে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝মানবদেহের প্রতিটি কোষে ২৩ জোড়া বা ৪৬ টি ক্রোমোজোম থাকে।
❐ এ ২৩ জোড়া ক্রোমোজোমের মধ্যে ২২ জোড়া ক্রোমোজোমকে বলা হয় অটোজোম।
❐ অটোজোম দেহের নানা প্রকার গঠন প্রণালী ও জৈবিক কাজ নিয়ন্ত্রণ করে, লিঙ্গ নির্ধারণে এদের কোনো ভূমিকা নেই।
❐ বাকি এক জোড়া ক্রোমোজোমকে বলা হয় সেক্স-ক্রোমোজোম। যা মানবদেহে লিঙ্গ নির্ধারণ করে।
১৬. ভূপৃষ্ঠের সৌরদীপ্ত ও অন্ধকারাচ্ছন্ন অংশের সংযোগস্থলকে কি বলে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দানিয়ুব- ০৮.১১.১৩
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖ভূপৃষ্ঠের সৌরদীপ্ত ও অন্ধকারাচ্ছন্ন অংশের সংযোগস্থলকে ছায়াবৃত্ত বলে।
সূর্য সকালে দিগন্তের উপরে ওঠার আগে ঊষা এবং সন্ধ্যার দিগন্তের নিচে নেমে যাবার পর কিছুক্ষণ বিক্ষিপ্ত সৌরভ আকাশে আলো থাকে, এ সময়কে গোধূলি বলে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝ভূপৃষ্ঠের সৌরদীপ্ত ও অন্ধকারাচ্ছন্ন অংশের সংযোগস্থলকে ছায়াবৃত্ত বলে।
❐ আবর্তনের ফলে পৃথিবীর যে অংশ অন্ধকার থেকে ছায়াবৃত্ত পার হয়ে সবেমাত্র আলোকিত অংশ পৌঁছায় সেখানে প্রভাত হয়।
❐ প্রভাতের কিছু পূর্বে যে সময় ক্ষীণ আলো থাকে সেখানে ঊষা এবং সন্ধ্যার কিছু পূর্বে যে সময় ক্ষীণ আলো থাকে সে সময়কে গোধূলি বলে।
১৭. কোন প্রাকৃতিক উৎস হতে সবচেয়ে বেশি মৃদু পানি পাওয়া যায় ?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দানিয়ুব- ০৮.১১.১৩ 📖 34th BCS General May, 2013 📖 23rd BCS General Mar, 2001
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖প্রাকৃতিক উৎস হতে প্রাপ্ত সবচেয়ে মৃদু পানি হচ্ছে বৃষ্টির পানি।
মৃদু পানির প্রধান উৎস বৃষ্টিপাত। বৃষ্টিপাতের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে মৃদু পানি পাওয়া যায়। এছাড়াও নদী ও হ্রদের মৃদু পানি পাওয়া যায় তবে তাতে ময়লা ও অপদ্রব্য মিশ্রিত থাকে। সমুদ্রের পানি লবনাক্ত।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝মৃদু পানির সবচেয়ে বড় উৎস হলো বৃষ্টির পানি।
❐ সাগরের পানিতে লবণ থাকে বলে এটি মৃদু বা মিষ্টি পানির উৎস নয়।
❐ নদীর পানি ও বিলের পানি মৃদু হলেও এসব মূলত বৃষ্টিপাতের উপরে নির্ভরশীল।
◻️
১৮. সর্বাপেক্ষা ছোট তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের বিকিরণ হচ্ছে-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দানিয়ুব- ০৮.১১.১৩
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖গামা রশ্মি বা গামা বিকিরণ (প্রতীক γ) একপ্রকার উচ্চ কম্পাঙ্কের খুব ছোট তরঙ্গদৈর্ঘ্য তড়িৎ-চুম্বকীয় বিকিরণ। ইহা বিভিন্ন সাব-এটমিক কণার মিথষ্ক্রিয়া, যেমন ইলেক্ট্রন-পজিট্রন অবলুপ্ত প্রক্রিয়া, পাইয়ন অবক্ষয়, তেজস্ক্রিয় অবক্ষয়, ফিউশন বিক্রিয়া, ফিশন বিক্রিয়া, বিপরীত কম্পটন বিচ্ছুরণ ইত্যাদির মাধ্যমে তৈরি হয়। গামা রশ্মির কম্পাংক সাধারণত ১০১৯ হার্জের উপরে, তাই এর শক্তি ১০০ কিলো ইলেকট্রন-ভোল্ট উপরে এবং তরঙ্গদৈর্ঘ্য ১০ পিকোমিটার চেয়ে ছোট, যা প্রায়শ অণুর আয়তনের তুলনায় অনেক ছোট। ফরাসি রসায়নবিদ এবং পদার্থবিজ্ঞানী পল ভিলার্ড ১৯০০ সালে রেডিয়াম বিকিরণ নিয়ে পরীক্ষা করার সময় গামা রশ্মি আবিষ্কার করেন।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖জীবজগতের জন্যে সবচেয়ে ক্ষতিকর রশ্মি হলো গামা রশ্মি।
❏ গামা রশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম হওয়ায় এর ভেদন ক্ষমতাও সবচেয়ে বেশি। পারমাণবিক বিস্ফোরণে গামা রশ্মি নির্গত হয়।
❏ বিটা ও আলফা রশ্মি গামা রশ্মির তুলনায় কম ক্ষতিকর।
১৯. জীবদেহের অতিরিক্ত গ্লুকোজ কোথায় সঞ্চিত থাকে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দানিয়ুব- ০৮.১১.১৩
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖যকৃৎ মেরুদণ্ডী ও অন্যান্য কিছু প্রাণীদেহে অবস্থিত একটি আভ্যন্তরিক অঙ্গ। এটি বক্ষপিঞ্জরে মধ্যচ্ছদার নিচের অংশে অবস্থিত। একে চলতি বাংলায় কলিজা বলে সচরাচর উল্লেখ করা হয়। যকৃৎ দেহের বৃহত্তম গ্রন্থি। এর ওজন দেহের মোট ওজনের (৩-৫%)। এটি ২টি খণ্ডে বিভক্ত: ডান এবং বাম। প্রাণীদেহে বিপাকে ও অন্যান্য কিছু শারীরবৃত্তীয় কাজে যকৃত প্রধান ভূমিকা পালন করে। গ্লাইকোজেনের সঞ্চয়, প্লাজমা প্রোটিন সংশ্লেষণ, ঔষুধ বা অন্যান্য রাসায়নিক নির্বিষকরণে এর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝রক্তের অতিরিক্ত গ্লুকোজ যকৃতে গ্লাইকোজেন রূপে সঞ্চিত হয় ৷
❐ প্রয়োজনে লাইকোজেন ভেঙ্গে রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা সঠিক রাখে ৷
❐ রক্তে কখনো গ্লুকোজের মাত্রা কমে গেলে যকৃতের সঞ্চিত গ্লাইকোজেনের কিছুটা অংশ গ্লুুকোজে পরিণত হয় এবং রক্তস্রোতে মিশে যায়।
❐ এভাবে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে।
❐ সুত্রঃ জীববিজ্ঞান, নবম দশম শ্রেণি।
২০. কে প্রথম বলেন - পৃথিবী একটি চুম্বক?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দানিয়ুব- ০৮.১১.১৩
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖১৬০০ সালে ইংরেজ বিজ্ঞানী উইলিয়াম গিলবার্ট যখন তার ডি ম্যাগনেট প্রকাশ করেছিলেন তখন তিনি উপসংহারে এসেছিলেন যে, পৃথিবী চৌম্বকীয়। তিনি অনুমান করেছিলেন, এই চৌম্বকত্বের উৎস হলো আয়োডোস্টোনের মতোই স্থায়ী চুম্বক।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝১৬০০ খ্রিস্টাব্দে ড. গিলবার্ট প্রথম উল্লেখ করেন যে পৃথিবী একটি বিরাট ভূ-চুম্বক।
❐ ভূ-চুম্বকের উত্তর মেরু ভৌগলিক দক্ষিণ মেরু থেকে প্রায় ২২০০ কি.মি. পশ্চিমে এবং
❐ ভূ-চুম্বকের দক্ষিণ মেরু ভৌগলিক উত্তর মেরু থেকে প্রায় ২৫০০ কি.মি. দূরে অবস্থিত।
২১. পানিকে বরফে পরিণত করলে আয়তনে-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দানিয়ুব- ০৮.১১.১৩ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -করতোয়া- ০৮.০১.১০ 📖 কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারী কৃষি কর্মকর্তা-০৫.০২.১৬
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖সাধারণত পানিকে বরফে পরিণত করলে এর আয়তন বেড়ে যায় কারণ পানি অপেক্ষা বরফের হাইড্রোজেন বন্ধন কিছুটা দৈর্ঘ্য বরাবর বৃদ্ধি পায়। ফলে এদের মধ্যবর্তি ফাকাস্থান বেশি হয়। যেকারণে সমায়তন পানিকে বরফে পরিণত করলে আয়তন বাড়ে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝একই পরিমাণ পানি যখন বরফে পরিণত হয় তখন বরফের আয়তন বেড়ে যায়।
❐ সমপরিমাণ ওজনের বরফ পানির চেয়ে বেশি জায়গা দখল করে বলেই বরফ পানিতে ভাসে।
❐ বরফ পানিতে ভাসে কারণ বরফের তুলনায় পানির ঘনত্ব বেশি।
২২. কোনটির তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - রাইন- ০৮.১১.১৩
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖ছোট থেকে বড় তরঙ্গদৈর্ঘ্যের ক্রম - বেনিআসসহকলা।
বে- বেগুনি
নি- নীল
আস- আসমানী
স-সবুজ
হ- হলুদ
ক-কমলা
লা-লাল
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য:
❐ দৃশ্যমান আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের ক্রম: বেগুনি
❐ আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য কম হলে তার বিক্ষেপণ বেশি হয়।
❐ আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি হলে তার বিক্ষেপণ কম হয়।
❐ লাল রঙের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি তাই এর বিক্ষেপণ কম।
❐ যে বর্ণের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত বেশি, তার প্রতিসরণ, বিচ্যুতি ও বিক্ষেপণ তত কম।
❐ বেগুনি আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম বলে এর বিক্ষেপণ, প্রতিসরণ ও বিচ্যুতি সবচেয়ে বেশী।
❐ লাল আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি বলে এর বিক্ষেপণ, প্রতিসরণ ও বিচ্যুতি সবচেয়ে কম।
২৩. গ্রীষ্মকালে সাদা কাপড় পরা হয়, কারণ--
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - রাইন- ০৮.১১.১৩
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖গ্রীষ্মকালে সাদা কাপড় পরা হয় কারণ- সাদা কাপড় তাপ শোষণ করে কম এবং প্রতিফলন করে বেশি । আর অন্যান্য রংয়ের কাপড় তাপ শোষণ করে বেশী ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 - সূর্যের সাদা আলো সাতটি বর্ণের সমম্বয়ে গঠিত।
❐ সাদা বস্তুর তাপ শোষণ ক্ষমতা একেবারেই কম।
❐ গ্রীষ্মকালে সাদা কাপড় আরামদায়ক হয়, কেননা সাদা কাপড় সূর্যের আলোর সব বর্ণকেই প্রতিফলিত করে এবং সামান্য অংশ জামা কর্তৃক শোষিত হয়।
❐ সাদা রঙের জামার তাপ শোষণ ক্ষমতা কম, এজন্যই গ্রীষ্মকালে সাদা রঙের জামা অধিক আরামদায়ক।
▣ অন্যদিকে, ❐ কালো রঙের জামার তাপ শোষণ ক্ষমতা বেশি, সেজন্য তা গ্রীষ্মকালে ততটা আরামদায়ক হয় না।
২৪. শব্দ তরঙ্গ চলতে পারে না--
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - রাইন- ০৮.১১.১৩
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖শব্দ তরঙ্গ চলতে পারে না- শূন্য মাধ্যমে। শব্দ তরঙ্গ সবচেয়ে বেশি কঠিন মাধ্যমে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 শব্দ তরঙ্গ:
❆ ১. শব্দ এক ধরনের যান্ত্রিক এবং অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ।
❆ ২. কোনো বস্তুর কম্পনের ফলে শব্দ তরঙ্গ উৎপন্ন হয়, অর্থাৎ শব্দের উৎস বস্তুর কম্পন।
❆ ৩. শব্দ তরঙ্গ সঞ্চালনের জন্য জড় মাধ্যম প্রয়োজন।
❆ ৪. শব্দ তরঙ্গের বেগ মাধ্যমের প্রকৃতি (ঘনত্ব, তাপমাত্রা, আর্দ্রতা ইত্যাদি)-এর ওপর নির্ভরশীল।
❆ ৫. শব্দের তীব্রতা তরঙ্গের বিস্তারের বর্গের সমানুপাতিক।
❆ ৬. শব্দ তরঙ্গ প্রতিফলন, প্রতিসরণ ও উপরিপাতন সম্ভব।
▣ শব্দের বেগ:
❐ 0°C বা 273 K তাপমাত্রায় এবং প্রমাণ বায়ুচাপে, শুষ্ক বাতাসে শব্দের দ্রুতি 332 m/s।
❐ তাপমাত্রা বাড়লে শব্দের দ্রুতি বেড়ে যায়।
❐ বাতাসের আর্দ্রতা বাড়লেও শব্দের দ্রুতি বেড়ে যায়। হিসাব করে দেখা গেছে, প্রতি 1°C বা 1 K তাপমাত্রা বাড়লে শব্দের দ্রুতি প্রায় 0.6 m/s পরিমাণ বেড়ে যায়।
❐ মাধ্যম ভেদে শব্দের দ্রুতির পরিবর্তন হয়। মাধ্যম যত ঘন ও স্থিতিস্থাপক হয় শব্দের দ্রুতি তাতে তত বেশি হয়।
যেমন:- বায়ু মাধ্যমে শব্দের দ্রুতি 332 m/s, পানি মাধ্যমে 1450m/s এবং লোহার মধ্যে 5220 m/s।
❐ বায়ু চাপের পরিবর্তনে বাতাসে শব্দের বেগ প্রভাবিত হয় না।
উল্লেখ্য, মাধ্যম ছাড়া শব্দ চলতে পারে না। তাই শূন্য মাধ্যমে শব্দের বেগ শূন্য।
২৫. বৈদ্যুতিক ক্ষমতার একক--
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - রাইন- ০৮.১১.১৩
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বৈদ্যুতিক ক্ষমতা হচ্ছে বৈদ্যুতিক সার্কিটের মধ্যে দিয়ে বৈদ্যুতিক শক্তি স্থানান্তরের হার। এর এস আই একক ওয়াট, এবং প্রতি সেকেন্ডে এক জুল হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ক্ষমতা:
❐ বৈদ্যুতিক ক্ষমতার একক ওয়াট।
❐ ক্ষমতা কাজ ও সময়ের মধ্যে সম্পর্ক নির্ধারণ করে।
❐ একটি নির্দিষ্ট সময়ে কি পরিমাণ কাজ সম্পন্ন হয় তা দ্বারা ক্ষমতার পরিমাপ করা হয়।
❐ ক্ষমতাকে P দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
❐ ক্ষমতা = বল × বেগ।
▣ অন্যদিকে, ❐ রোধের একক ওহম।
❐ তড়িৎ প্রবাহের একক অ্যাম্পিয়ার।
❐ বৈদ্যুতিক বিভবের একক ভোল্ট।
২৬. টেস্টিং সল্ট-এর রাসায়নিক নাম কি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - রাইন- ০৮.১১.১৩
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖টেস্টিং সল্ট বা স্বাদ লবণ এবং এর রাসায়নিক নাম হচ্ছে মনো সোডিয়াম গ্লুটামেট। এই টেস্টিং সল্ট খাবারে ব্যাবহার করা হয় শুধু মাত্র খাবারের স্বাদ বৃদ্ধির জন্য। অন্য কোন পুষ্টি গুণাগুণ এই লবণের নেই। এবং এটা খাবারে ব্যাবহারের ফলে খাবারে কোন পুষ্টিগুণ বৃদ্ধিও পায় না।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 - খাবার লবণের রাসায়নিক নাম সোডিয়াম ক্লোরাইড।
❐ টেস্টিং সল্ট নামে পরিচিত আরেকটি লবণ আছে যার রাসায়নিক নাম সোডিয়াম গ্লুটামেট বা মনো সোডিয়াম গ্লুটামেট।
❐ এটি শুষ্ক খাবার যেমন পাউরুটি, চানাচুর প্রভৃতির স্বাদ বাড়িয়ে তোলে।
২৭. বিলুরুবিন তৈরি হয়--
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - রাইন- ০৮.১১.১৩
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বিলরুবিন তৈরি হয় যকৃতে আর সঞ্চিত থাকে প্লীহায় । তাই সঠিক উত্তর = ঘ
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 - বিলিরুবিন তৈরি হয় যকৃতে এবং অস্থিমজ্জায়। আর জমা হয় প্লীহাতে।
❐ যকৃতের মধ্যে অবস্থিত প্লীহা বিলিরুবিন উৎপন্ন হওয়ার প্রধান স্থান হিসেবে স্বীকৃত।
❐ যা কনজুগেশনের মাধ্যমে যকৃতে পৌঁছায়।
❐ হিমগ্লোবিনের লৌহযুক্ত প্রস্থেটিক গ্রুপ ভেঙে যে সমস্ত বর্জ্য পদার্থ তৈরি হয় হলুদ বিলিরুবিন তাদের অন্যতম।
❐ রক্তের বিলিরুবিন যকৃতে গ্লুকো-ইউরোনিক অ্যাসিডযুক্ত হয়ে জল দ্রাব্য হয় এবং পিত্তের মাধ্যমে ক্ষুদ্রান্ত্র পৌছায়।
❐ সেখানে ব্যাক্টেরিয়া দ্বারা অর্ধেক বিলিরুবিন থেকে ইউরোবিলিনোজেন উৎপন্ন হয় যা অন্ত্র থেকে শোষিত হয়ে শেষে হলুদ ইউরোবিলিন হিসাবে মূত্রে পৌছায় বলে মূত্রের রং হলুদ।
❐ দেহে বিলিরুবিন বেশি হলে তাকে জন্ডিস বলে।
২৮. পৃথিবীতে কখন ল্যাপটপ কম্পিউটার প্রবর্তিত হয় এবং কোন কোম্পানী এটি তৈরি করে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - রাইন- ০৮.১১.১৩
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖'অসবর্ণ-১ (Osborne-1)' নামক ল্যাপটপ কম্পিউটার প্রথম তৈরি করে 'অসবর্ণ কম্পিউটার (Osborne Computer )' নামক কোম্পানি ১৯৮১ সালে। একই বছরের পরবর্তী সময়ে এপসন তৈরি করে ' এপসন এইচএক্স-২০ (Epson HX-20 )' নামের একটি ল্যাপটপ কম্পিউটার। অপরদিকে 'আইবএম' (IBM) , 'কমপ্যাক কম্পিউটার' (Compaq Computer ) ও 'অ্যাপল কম্পিউটার ' ( Apple Computer ) নামক কোম্পানি তিনটি ল্যাপটপ কম্পিউটার তৈরি করে যথাক্রমে ১৯৮৪, ১৯৮৮ ও ১৯৮৯ সালে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 - ১৯৮১ সালে এপসন কোম্পানি প্রথম ল্যাপটপ কম্পিউটার প্রবর্তন করে।
❐ বাংলাদেশে তৈরি প্রথম ল্যাপটপ হচ্ছে দোয়েল।
❐ একটি ল্যাপটপ বা একটি নোটবুক হল বহনযোগ্য ব্যক্তিগত কম্পিউটার যা ভ্রমণ উপযোগী।
❐ Lap মানে হল ‘কোল’।
❐ কোলের উপর রেখে যে কম্পিউটার ব্যবহার করা যায় বা হয় তাকে Laptop বলে।
২৯. জোয়ারের কত সময় পর ভাটার সৃষ্টি হয়?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - রাইন- ০৮.১১.১৩
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖জোয়ারের ৬ ঘণ্টা ১৩ মি. সময় পর ভাটার সৃষ্টি হয়.
এবং এক জোয়ার বা ভাটার পর আবার জোয়ার বা ভাটার সৃষ্টি হয় ১২ ঘন্টা ২৬ মিনিট পর পর।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 জোয়ার-ভাঁটা:
❐ সমুদ্রের একই জায়গায় প্রতিদিন দুইবার জোয়ার ও দুইবার ভাঁটা হয়।
❐ সমুদ্রের পানি এভাবে ফুলে উঠাকে বলা হয় জোয়ার এবং নেমে যাওয়াকে ভাঁটা বলে।
❐ উপকূলে কোন একটি স্থানে একটি জোয়ারের প্রায় ৬ ঘন্টা ১৩ মিনিট পর ভাঁটা হয়।
❐ উপকূলে কোন একটি স্থানে পর পর দুটি জোয়ার বা দুটি ভাঁটার মধ্যে ব্যবধান হলো ১২ ঘণ্টা ২৬ মিনিট।
❐ চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষণ শক্তি এবং পৃথিবীর কেন্দ্রাতিক শক্তি প্রভৃতির প্রভাবে সমুদ্রের পানি নির্দিষ্ট সময় অন্তর ফুলে উঠে আবার নেমে যায়।
❆ অর্থাৎ সমুদ্রে একই জায়গায় প্রতিদিন দু’বার জোয়ার ও দু’বার ভাঁটা হয়।
❐ সমুদ্রের মোহনা থেকে নদীগুলোর স্রোতের বিপরীতে উজানে কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত জোয়ার ভাঁটা বেশি অনুভূত হয়।
❐ সমুদ্রের মধ্যভাগ থেকে উপকূলের কাছে পানির অগভীর অংশে জোয়ারের পানির উচ্চতা বেশি থাকে।
❐ তবে বিভিন্ন নদীপথে দেশের ভিতরে সমুদ্রের পানি যখন প্রবেশ করে এবং নেমে যায় তাকে জোয়ার ভাঁটা বলে না।
৩০. চাঁদ দিগন্তের কাছে অনেক বড় দেখায় কেন?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - রাইন- ০৮.১১.১৩
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖চাঁদ থেকে আলোক রশ্মি পৃথিবীপৃষ্ঠে আসার সময় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে আলোর প্রতিসরণ ঘটে অর্থাৎ আলোক রশ্মি বেঁকে যায়। চাঁদ যখন দিগন্তের কাছে থাকে তখন আলোক রশ্মি তুলনামূলকভাবে অধিক পরিমাণে বেঁকে যায়। এ কারণে দিগন্তের নিকটে চাঁদ ও সূর্যকে ডিম্বাকৃতি এবং তুলনামূলকভাবে বড় দেখা যায়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 - চাঁদ থেকে আলোক রশ্মি পৃথিবীপৃষ্ঠে আসার সময় বায়ুমণ্ডলে আলোর প্রতিসরণ ঘটে।
❐ দিগন্তের কাছে তা অধিক পরিমাণে বেঁকে যায় বলেই চাঁদ দিগন্তের কাছে অনেক বড় দেখায়।
৩১. কাঁচ তৈরির প্রধান কাঁচামাল --
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - রাইন- ০৮.১১.১৩
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖কাঁচের প্রধান উপাদান হচ্ছে বালি বা সিলিকা। আজকের দিনে আমাদের যে কাঁচ তৈরি পদ্ধতি রয়েছে, তাতে যে মূল তিনটি উপাদান প্রয়োজন হয় সেগুলি হল কোয়ার্টজ(সিলিকা), সোডা, এবং চুন। যখন এগুলির মিশ্রণকে ১২০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে উত্তপ্ত করা হয়, তখন এগুলি গলতে শুরু করে এবং তৎক্ষণাৎ যদি ঠাণ্ডা করা যায় তাহলে কাঁচের জন্ম হয়। ঢাকার আশে পাশে ২-৩ টি (ফ্লোট/শীট) গ্লাস কোম্পানি আছে। এর মধ্যে গাজীপুরের শ্রীপুরে ১০০ বিঘা জমির উপর প্রতিষ্ঠিত 'নাসির গ্লাস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (NGIL)' বাংলাদেশের এখন পর্যন্ত সর্ববৃহৎ ফ্লোট এন্ড শীট গ্লাস কোম্পানি। দেশের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি এই কোম্পানি বিদেশেও উন্নতমানের ফ্লোট, শীট ও কালার গ্লাস বিদেশে রপ্তানি করছে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 - কাঁচ তৈরির প্রধান কাঁচামাল হল বালি।
❐ কাঁচ স্বচ্ছ পদার্থ এবং এটি স্বচ্ছ বলেই এর মধ্য দিয়ে আলোকরশ্মি ভেদ করে চলে যেতে পারে।
❐ কাঁচ তৈরির প্রধান উপাদান হচ্ছে বালু এবং বালুর প্রধান উপাদান হলো সিলিকা অর্থাৎ সিলিকন-ডাই-অক্সাইড।
❐ কাঁচ হচ্ছে মূলত সোডিয়াম সিলিকেট এবং ক্যালসিয়াম সিলিকেট এর মিশ্রণ।
❐ রাসয়নিকভাবে কাঁচ একটি ক্ষারীয় দ্বি-লবণ।
❐ সোডিয়াম সিলিকেট এবং ক্যালসিয়াম সিলিকেট এর মিশ্রণকে উত্তপ্ত করে সম্পূর্ণরূপে গলিয়ে শীতল করলে যে শক্ত, অনিয়তাকার স্বচ্ছ ও ভঙ্গুর কঠিন পদার্থ পাওয়া যায়, তাকে কাঁচ বলে।
৩২. পরমাণু চার্জ নিরপেক্ষ হয়, কারণ পরমাণুতে--
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - রাইন- ০৮.১১.১৩
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন এর সমন্বয়ে একটি পরমাণু গঠিত। নিউক্লিয়াসের প্রোটন ধনাত্মক চার্জযুক্ত, নিউট্রন চার্জ নিরপেক্ষ এবং ইলেকট্রন ঋনাত্মক চার্জ যুক্ত। তাই ঋনাত্মক ও ধনাত্মক চার্জ সমান থাকায় পরমাণু চার্জ নিরপেক্ষ হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 - পরমাণুর একটি কেন্দ্র আছে, যার নাম নিউক্লিয়াস।
❐ এই নিউক্লিয়াসে প্রোটন ও নিউট্রন অবস্থান করে।
❐ সুতরাং পরমাণুর সকল ধনাত্মক আধান এবং প্রায় সম্পূর্ণ ভরই নিউক্লিয়াসে কেন্দ্রীভূত।
❐ ইলেকট্রন নিউক্লিয়াসের বাহিরে থাকে এবং তার চারদিকে ভ্রমণ করে।‌
❐ পরমাণু আধান নিরপেক্ষ, কারণ একটি পরমাণুতে যতটি প্রোটন আছে ততটি ইলেকট্রনও আছে।
৩৩. টেলিভিশনে রঙিন ছবি উৎপাদনের জন্য কয়টি মৌলিক রং-এর ছবি ব্যবহার করা হয়?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - রাইন- ০৮.১১.১৩
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖আমাদের চারপাশে প্রতিনিয়ত যে অসংখ্য রঙের বস্তু দেখতে পাই সেই রঙগুলোর প্রতিটি তিনটি মৌলিক রং দ্বারা সৃষ্ট। রং তিনটি হচ্ছে লাল, নীল ও সবুজ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 রঙিন টেলিভিশন:
❐ রঙিন অনুষ্ঠান সম্প্রচারের জন্য রঙিন টেলিভিশনে যে সকল মৌলিক যন্ত্রপাতি ব্যবহৃত হয়, সাদাকালো অনুষ্ঠান সম্প্রচারের জন্যও একই যন্ত্রপাতি ব্যবহৃত হয়।
❐ তবে রং সম্পর্কিত তথ্য প্রেরণ ও গ্রহণের জন্য রঙিন টেলিভিশনে বাড়তি কিছু যন্ত্রপাতি ব্যবহৃত হয়।
❐ রঙিন টেলিভিশনের ক্যামেরায় রঙিন ছবি উৎপাদনের জন্য লাল, নীল ও সবুজ এ তিনটি রং-এর পৃথক পৃথক ইলেকট্রন টিউব থাকে।
❐ রঙিন টেলিভিশনের গ্রাহক যন্ত্রেও তিনটি রং যেমন লাল, নীল ও সবুজের জন্য তিনটি ইলেকট্রনগান ব্যবহার করা হয়।
❐ এর পর্দাও তৈরী হয় তিন রকম ফসফর দানা দিয়ে। ইলেকট্রন গান থেকে যখন ফসফরাসের উপর ইলেকট্রন বীম পতিত হয় তখন একটা বিশেষ রং শুধু একটি বিশেষ রং-এর দানাকে আলোকিত করে।
❐ ফলে পর্দায় একই সাথে ফুটে ওঠে লাল, নীল ও সবুজ রঙের বিন্দু, যার বিভিন্ন রকম মিশ্রণে টেলিভিশন পর্দায় ফুটে ওঠে রঙিন ছবি।
৩৪. কোনো শব্দ শোনার পর কত সেকেন্ড পর্যন্ত এর রেশ আমাদের মস্তিস্কে থাকে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - রাইন- ০৮.১১.১৩
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖কোনো শব্দ শোনার পর ০.১ সেকেন্ড পর্যন্ত এর রেশ আমাদের মস্তিস্কে থাকে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 শব্দানুভূতির স্থায়িত্বকাল:
❐ কোন শব্দ শোনার পর প্রায় 0.1 সেকেন্ড পর্যন্ত এর রেশ আমাদের মস্তিষ্কে থাকে।
❐ অর্থাৎ এই 0.1 সেকেন্ড সময়কে শব্দানুভূতির স্থায়িত্বকাল বলে।
❐ এই সময়ের মধ্যে প্রতিধ্বনি হলে তা শোনা যাবে না।
❐ অতএব প্রতিধ্বনি শোনার জন্য মূল শব্দ এবং প্রতিধ্বনি শোনার মধ্যবর্তী সময়ের পার্থক্য 0.1 সেকেন্ড বা তার বেশি হতে হবে।
❐ সুতরাং প্রতিফলক এবং শব্দের উৎসের মধ্যে দূরত্ব এমন হতে হবে যেন শব্দ তরঙ্গ উৎসের কাছে ফিরে আসতে 0.1 সেকেন্ড বা তার বেশি সময় লাগে।
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [১ম পর্যায়] ২৪. ০৫.১৯
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖24 ঘন্টা =24×60=1440 মিনিট
পৃথিবীর দ্রাঘিমা হল 360 ডিগ্রি
অতএব , 1440÷360=4
সুতরাং ১ ডিগ্রি দ্রাঘিমার পার্থক্যের জন্য সময়ের পার্থক্য 4 মিনিট ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖পৃথিবীতে প্রতি ডিগ্রি দ্রাঘিমার জন্যে সময়ের পার্থক্য হয় ৪ মিনিট করে। সেজন্যেই বাংলাদেশ মূল মধ্যরেখা থেকে ৯০ ডিগ্রি পূর্বে অবস্থিত হওয়ায় বাংলাদেশের সাথে গ্রিনিচের সময়ের পার্থক্য ৯০ × ৪ = ৩৬০ মিনিট বা ৬ ঘন্টা।
৩৬. কম্পিউটারের মেমোরি বা স্মৃতিভাণ্ডারের ধারণ ক্ষমতা প্রকাশের একক কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [১ম পর্যায়] ২৪. ০৫.১৯
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বাইট হল তথ্য পরিমাপের একটি একক। প্রতিটি বাইনারি অঙ্ককে বিট বলা হয় এবং ৮টি বিটকে এক বাইট বলা হয়। নিচের তালিকা দেখুন: আট বিট = ১ বাইট,. ১০২৪ বাইট= ১ কিলোবাইট,. ১০২৪ কিলোবাইট= ১ মেগাবাইট,. ১০২৪ মেগাবাইট= ১ গিগাবাইট,. ১০২৪ গিগাবাইট=১ টেরাবাইট। বাইট শব্দটির প্রচলন সর্বপ্রথম করেন ডঃ ওয়ার্নার বুখোল্ড, ১৯৫৬ সালের জুলাই মাসে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖কম্পিউটার মেমোরিতে ডেটা সংরক্ষণের পরিমাণকে মেমোরির ধারণক্ষমতা বলা হয়। মেমোরির ধারণ ক্ষমতার একক হলো বাইট। আট বিট নিয়ে গঠিত শব্দকে বলা হয় বাইট। বাইনারি গণনা পদ্ধতির ০ এবং ১ এই দুইটি মৌলিক অঙ্ককে বলা হয় বিট। বর্ণ, অঙ্ক ও বিশেষ চিহ্ন নির্দিষ্ট করার জন্য বাইট ব্যবহার করা হয়।
কম্পিউটার মেমোরির ধারণক্ষমতা নির্ণয়ের এককগুলো হলো- কিলোবাইট, মেগাবাইট, গিগাবাইট ও টেরাবাইট। নিচে এদের মধ্যে সম্পর্ক দেখানো হলো।
৮ বিট = ১ বাইট = ১ অক্ষর
২^১০ বা ১০২৪ বাইট = ১ কিলোবাইট
২^২০ বা ১০২৪ কিলোবাইট = ১ মেগাবাইট
২^৩০ বা ১০২৪ মেগাবাইট = ১ গিগাবাইট
২^৪০ বা ১০২৪ গিগাবাইট = ১ টেরাবাইট
৩৭. ঢাকাতে ২৪ মে দুপুর ১২ টার সময় লন্ডনে সময় হবে -
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [১ম পর্যায়] ২৪. ০৫.১৯
সাধারণ বিজ্ঞান
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖গ্রীনিচ মানমন্দির লন্ডন শহরে অবস্থিত। এর উপর দিয়ে মূল মধ্যরেখা বা শূন্য ডিগ্রী দ্রাঘিমারেখা গেছে। বাংলাদেশের সময় গ্রিনিচ সময়ের চেয়ে ছয়ঘন্টা এগিয়ে থাকে। তাই ঢাকায় ২৪ মে দুপুর বারোটা হলে, লন্ডনে তখন সময় হবে ২৪ মে সকাল ছয়টা।
৩৮. ঢেঁকি দিয়ে ধান ভানার সময় যান্ত্রিকশক্তি কোন শক্তিতে রুপান্তরিত হয়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [১ম পর্যায়] ২৪. ০৫.১৯
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖কটি ঢেঁকি দিয়ে ধান ভানার সময় এতে যান্ত্রিক শক্তি শব্দ ও তাপ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖ঢেঁকি দিয়ে ধান ভানার সময় এতে যান্ত্রিক শক্তি শব্দ ও তাপ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
৩৯. বস্তুর ওজন কোথায় সবচেয়ে বেশি ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [১ম পর্যায়] ২৪. ০৫.১৯
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বস্তুর ওজন মেরু অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖পৃথিবীর পৃষ্টে বস্তুর ওজনের অতি সামান্য তারতম্য ঘটে। এর কারণ হচ্ছে পৃথিবী সুষম গোলক নয় এবং ভূপৃষ্টে সর্বত্র অভিকর্ষজ ত্বরণের মানও এক নয়। এক কেজি ভরের কোন বস্তুর ওজন সবচেয়ে বেশি হবে পৃথিবীর দুই মেরুতে অর্থাৎ উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরুতে। যেখানে এর ওজন হবে ৯.৮৩ নিউটন। বিষুবীয় অঞ্চলে এক কেজি ভরের কোন বস্তুর ওজন সবচেয়ে কম ৯.৭৮ নিউটন। ক্রান্তীয় অঞ্চলে এর ওজন হবে ৯.৭৯ নিউটন।
৪০. কোন প্রক্রিয়ায় উদ্ভিদ খাদ্য তৈরী করে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [২ম পর্যায়] ৩১. ০৫.১৯
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় উদ্ভিদ খাদ্য তৈরী করে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖সবুজ উদ্ভিদ সূর্যালকের উপস্থিতিতে কার্বন ডাই-অক্সাইড এবং পানি থেকে কার্বোহাইড্রেট বা শর্করাজাতীয় খাদ্য তৈরি করে৷ সবুজ উদ্ভিদে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাদ্য তৈরির এ প্রক্তিয়াকে সালোকসংশ্লেষণ (Photosynthesis) বলা হয়।
সালোকসংশ্লেষণের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো হলো- ক্লোরোফিল, আলো, পানি এবং কার্বন ডাই-অক্সাইড।
৪১. খাওয়ার লবণের সংকেত কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [২ম পর্যায়] ৩১. ০৫.১৯
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖খাওয়ার লবণের সংকেত হলো সোডিয়াম ক্লোরাইড (Nacl)
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖খাবার লবণের রাসায়নিক নাম NaCl - সোডিয়াম ক্লোরাইড।
টেস্টিং সল্ট নামে পরিচিত আরেকটি লবণ আছে যার রাসায়নিক নাম সোডিয়াম গ্লুটামেট বা মনো সোডিয়াম গ্লুটামেট । এটি শুষ্ক খাবার যেমন পাউরুটি, চানাচুর প্রভৃতির স্বাদ বাড়িয়ে তোলে।
৪২. পানির স্ফুটনাকং কত ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [২ম পর্যায়] ৩১. ০৫.১৯
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖স্ফুটনাঙ্ক হলো একটি তাপমাত্রা যাতে পৌঁছালে তরল পদার্থ বাষ্পে পরিণত হয়। পানির স্ফুটনাঙ্ক হলো ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖1 বায়ুমণ্ডলীয় চাপে বরফের গলনাঙ্ক 0°C এবং একই চাপে পানির স্ফুটনাঙ্ক 100°C।
৪৩. জোয়ার-ভাটার প্রধান কারণ-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [২ম পর্যায়] ৩১. ০৫.১৯
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖জোয়ার ভাটার প্রধান কারণ পৃথিবীর উপর চাঁদের আকর্ষণ। দূরত্বের কারণে সূর্যের চেয়ে জোয়ার ভাটার উপর চাঁদের আকর্ষণ বেশি। হিসেব করে দেখা গেছে যে, জোয়ার উৎপাদনে সূর্যের ক্ষমতা চাঁদের ৪/৯ ভাগ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖মহাকর্ষ সূত্র অনুযায়ী মহাকাশে বিভিন্ন গ্রহ, উপগ্রহ, নক্ষত্র প্রভৃতি প্রতিটি জ্যোতিষ্ক পরস্পরকে আকর্ষণ করে। তাই এর প্রভাবে সূর্য ও চাঁদ পৃথিবীকে আকর্ষণ করে। কিন্তু পৃথিবীর উপর সূর্য অপেক্ষা চাঁদের আকর্ষণ বল বেশি হয়। কারণ সূর্যের ভর অপেক্ষা চাঁদের ভর অনেক কম হলেও তা পৃথিবীর অনেক নিকটে৷ তাই সমুদ্রের জল তরল বলে চাঁদের আকর্ষণেই প্রধানত ফুলে ফেপে উঠে৷ সূর্যের আকর্ষণে জোয়ার তত জোরালো হয় না। চাঁদ ও সূর্য একই সরলরেখায় অবস্থিত হলে চাঁদ ও সূর্যের উভয়ের আকর্ষণে জোয়ার অত্যন্ত প্রবল হয়৷ ।
৪৪. সৌরজগতে গ্রহের সংখ্যা কয়টি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯ 📖 22nd BCS General Feb, 2001 📖 11th BCS General Oct, 1991
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖সৌরজগতে গ্রহের সংখ্যা ৮ টি । যথা: বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস, নেপচুন ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖সৌরজগতে গ্রহের সংখ্যা আটটি। গ্রহগুলো হচ্ছে - বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস, নেপচুন।
৪৫. সাপের বিষে কি থাকে ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖সাপের বিষে জিংক সালফাইট নামক রাসায়নিক যৌগ পাওয়া যায় । সাপের বিষ মূলত এক ধরনের লালা জাতীয় পদার্থ, যাতে বিভিন্ন টক্সিক পদার্থ থাকে । যেমন : নিউরো টক্সিন । সাপে কাটার পর অ্যান্টিভেনাম ব্যবহার করে তা নিষ্ক্রিয় করা ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖সাপের বিষে জিঙ্ক সালফাইড পাওয়া যায়। এই জিঙ্ক সালফাইডের উপস্থিতির জন্যই ব্যাথা হয়। তবে সাপভেদে বিভিন্ন নিউরোটক্সিনের উপস্থিতির কারণে বিষের প্রভাবে তারতম্য ঘটে। জিঙ্ক সালফাইড আলোকোজ্জ্বল আলোকচিত্রের কাজেও ব্যবহার করা যায়।
৪৬. কচুরীপানা পানিতে ভাসে কেন?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖কচুরীপানা পানিতে ভাসে , কারণ েএদের কাণ্ডে অনেক বায়ু কুঠুরি থাকে । যাতে বায়ু সঞ্চিত থাকে এবং কচুরীপানাকে পানিতে ভাসতে সাহায্য করে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖জলজ উদ্ভিদ যেমন কচুরীপানা সহজে ভাসতে পারে কারণ এরা আকারে অনেক ছোট হয়, এদের কাণ্ডে অনেক বায়ু কুঠুরী থাকে বলে কাণ্ড ফাপা থাকে, এদের পাতা অনেক কম থাকে।
৪৭. কোন ধাতু স্বাভাবিক তাপমাত্রায় তরল অবস্থায় থাকে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖পারদ স্বাভাবিক তাপমাত্রা সবসময় তরল থাকে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖পারদ একমাত্র মৌলিক ধাতু যা সাধারণ তাপমাত্রায় (Room temperature) তরল থাকে।
৪৮. অগ্নি নির্বাপক সিলিন্ডারে থাকে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖অগ্নি নির্বাপক সিলিন্ডারে দন্ডাকৃতির পাত্রের মধ্যে কাচের বোতল ভর্তি সালফিউরিক এসিড থাকে এবং এর চারদিকে ঘন সোডিয়াম বাই-কার্বনেট দ্রবণ থাকে । বতল ভেঙ্গে সালফিউরিক এসিড ও সোডিয়াম বাই-কার্বনেটের বিক্রিয়ায় প্রচুর কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপন্ন হয় । কার্বন-ডাই-অক্সাইড অক্সিজেন সরবরাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আগুন নেভাতে সাহায্য করে ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র একটি মজবুত মেটাল সিলিন্ডার যার ভেতর পানি বা অদাহ্য অন্য কোন পদার্থ (তরল কার্বন-ডাই-অক্সাইড উদাহরন স্বরূপ) উচ্চ চাপে সংরক্ষিত থাকে। যখন লিভার চেপে সিলিন্ডারের ভালব খোলা হয় তখন ভিতরে রক্ষিত তরল সজোড়ে বাইরে বেরিয়ে আসে যেমনটা হয় এ্যারোসলের ক্ষেত্রে।
৪৯. মানুষের রক্তে লোহিত কণিকা কোথায় সঞ্চিত হয়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖রক্তকণিকা তিন প্রকার । যথা: লোহিত কণিকা, শ্বেত কণিকা ও অনুচক্রিকা । রক্তের লোহিত কণিকা তৈরি হয় লোহিত অস্থিমজ্জায় । এর আয়ুকাল 120 দিন । লোহিত কণিকা সঞ্চিত হয় প্লীহাতে ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖লোহিত কণিকা সর্বক্ষণই অস্থিমজ্জায় উৎপন্ন হতে থাকে। লোহিত কণিকা সঞ্চিত হয় প্লীহায় এবং তাৎক্ষণিক প্রয়োজনে রক্তরসে সরবরাহ করা হয়।
৫০. নিচের কোনটি অন্য তিনটি থেকে আলাদা ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম- এগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম । মার্ক জুকারবার্গ 2004 সালে ফেসবুক প্রতিষ্ঠা করেন । জ্যাক ডর্সি 2006 সালের 21 মার্চ টুইটার প্রতিষ্ঠা করেন । ইন্সটাগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা হলেন কেভিন সিসস্ট্রোম এবং মাইকক্রিপার । অন্যদিকে ইউটিউব শুধু ভিডিও শেয়ারিং এ ব্যবহৃত হয় ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। ইউটিউব হচ্ছে ভিডিও শেয়ারিং সাইট।
৫১. রুপান্তরিত মূল কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯ 📖 প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖রূপান্তরিত মূল: মুলা, গাজর শালগম, সন্ধ্যামালতি। রূপান্তরিত কাণ্ড: আদা, হলুদ, আলু, পেঁয়াজ, রসুন ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖যখন রূপান্তরিত মূল অনিয়মিতভাবে স্ফীত হয় তখন তাকে কন্দাল মূল বলে। যেমন - মিষ্টি আলু৷
যখন পর্যায়ক্রমে স্ফীত ও সংকুচিত হয় তখন তাকে মালাকৃতির মূল বলে। যেমন - করলার মূল।
৫২. নীচের কোন ভিটামিন পানিতে দ্রবণীয় ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖শুধুমাত্র ভিটামিন বি এবং সি ই পানিতে দ্রবণীয়। অন্য সকল ভিটামিন পানিতে দ্রবণীয় নয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖ভিটামিনকে দুটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়।
১) চর্বিতে দ্রবণীয় ভিটামিন। যথাঃ ভিটামিন এ, ডি, ই।
২) পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন। যথাঃ ভিটামিন বি এবং সি।
৫৩. রুপান্তরিত মূল কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖রূপান্তরিত মূল: মুলা, গাজর শালগম, সন্ধ্যামালতি। রূপান্তরিত কাণ্ড: আদা, হলুদ, আলু, পেঁয়াজ, রসুন ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖যখন রূপান্তরিত মূল অনিয়মিতভাবে স্ফীত হয় তখন তাকে কন্দাল মূল বলে। যেমন - মিষ্টি আলু৷
যখন পর্যায়ক্রমে স্ফীত ও সংকুচিত হয় তখন তাকে মালাকৃতির মূল বলে। যেমন - করলার মূল।
৫৪. প্রোটিনের অভাবে মানুষের কি রোগ হয়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৩ম পর্যায়] ২১. ০৬.১৯ 📖 ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সহকারী পরিচালাক/হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা-৮.০৪
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖প্রোটিনের অপর নাম আমিষ । আমিষের অভাবে কোয়াশিয়রকর রোগ হয় । ভিটামিন বি-১ এ এর অভাবে বেরিবেরি রোগ হয় । ভিটামিন ডি- এর অভাবে রিকেটস রোগ হয় । ডিপথেরিয়া একটি সংক্রামক ব্যাধি । যার মাধ্যমে গলা আক্রান্ত হয় ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖প্রোটিনের অভাবজনিত রোগঃ
খাদ্যে প্রোটিনের অভাব হলে 'মেরাসমাস' ও 'কোয়াশিয়রকর' নামক দুটি রোগ হয়।
মেরাসমাস রোগে পেশী ও মেদ ক্ষয় হয় ও চামড়া কুচকে যায়, দেহের বৃদ্ধি থেমে যায়, ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে শতকরা ৬০ ভাগ কমে যায়, কম বয়সে এ রোগ হলে মস্তিষ্কের স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে।
সাধারণত ২ - ৪ বছর বয়সে শিশুদের খাদ্যে আমিষের অভাব হলে কোয়াশিয়রকর রোগ হয়। এ রোগে শিশুদের দেহের বৃদ্ধি থেমে যায়, পেশী ক্ষয় হতে থাকে, পানি জমে শরীর ফুলে যায়, রক্তাল্পতা দেখা দেয় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়।
৫৫. NASA কোন ধরণের প্রতিষ্ঠান?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯ 📖 জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (NSI) এর সহকারী পরিচালক - 03.02.17
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖নাসা হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মহাকাশ সংস্থা। ১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থার সদর দফতর ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত। পূর্বতন নাকা অবলুপ্ত হয়ে ১৯৫৮ সালের ২৯ জুলাই ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাক্ট অনুসারে নাসা প্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রতিষ্ঠাতা : ডোয়াইট ডি. আইজেনহাওয়ার
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖NASA এর পূর্ণরূপ হলো National Aeronautics and Space Administration.
NASA হলো মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।
এর সদরদপ্তর ওয়াশিংটন ডিসি তে অবস্থিত।
এটি ১৯৫৮ সালের ১ অক্টোবর প্রতিষ্ঠিত হয়।
ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল হলো এটির উৎক্ষেপণ কেন্দ্র।
৫৬. গাছের প্রাণ আছে - কে প্রমাণ করেন?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖বাঙালি বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসুর জন্ম ১৮৫৮ সালের ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশের ময়মনসিংহ শহরে।
উদ্ভিদেরও যে প্রাণ আছে, তা এই বিজ্ঞানীরই আবিস্কার। আগে উদ্ভিদের প্রাণ সম্পর্কে জানতো না মানুষ। সর্বপ্রথম উদ্ভিদের প্রাণ থাকার ঘোষণায় বিশ্বকে চমকে দিয়েছিলেন এই বাঙালি বিজ্ঞানীই।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖জগদীশ চন্দ্র বসুর উল্লেখযেযাগ্য আবিষ্কারের মধ্যে রয়েছে মাইক্রোওয়েভ রিসিভার ও ট্রান্সমিটারের উন্নয়ন, এবং ক্রেসকোগ্রাফ যন্ত্র যা দিয়ে গাছের বৃদ্ধি নিখুঁতভাবে পরিমাপ করা।
উদ্ভিদের জীবনচক্র তিনি প্রমাণ করেছিলেন।
তিনি গাছেরও যে প্রাণ আছে এটা আবিষ্কার করেন।
বেতার যন্ত্রের প্রথম উদ্ভাবক হিসাবে তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
যদিও বেতারের আবিষ্কারক হিসাবে বিশ্বে স্বীকৃতি লাভ করেছিলেন মার্কনি, কারণ জগদীশ বসু এটার আবিষ্কারকে নিজের নামে পেটেন্ট করেননি।
৫৭. পৃথিবীর আহ্নিক গতির ফলে কী হয়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖পৃথিবীর পর্যায়ক্রমিক আবর্তনের ফলে আলোকিত দিকটা অন্ধকারে ও অন্ধকারের দিকটা সূর্যের দিকে চলে আসে। এর ফলে দিনরাত্রি পাল্টে যায় । অন্ধকার স্থানগুলো আলোকিত হওয়ার ফলে এসব স্থানে দিন হয় ও আলোকিত স্থান অন্ধকার হয়ে যায় বলে ঐসব স্থানে রাত হয় । এভাবে পর্যায়ক্রমে দিনরাত্রি সংঘটিত হচ্ছে পৃথিবীর আহ্নিক গতির ফলে ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖আহ্নিক গতির ফলে পৃথিবীতে বেশ কিছু কর্মকান্ড সংঘটিত হয়ে থাকে।
এগুলো হলোঃ
১। দিবা-রাত্রির সংঘটন।
২। জোয়ার-ভাটার সৃষ্টি।
৩। বায়ুপ্রবাহ ও সমুদ্রস্রোতের সৃষ্টি।
৪। তাপমাত্রার তারতম্য সৃষ্টি।
৫। জীবজগতের সৃষ্টি ও বংশ বিস্তার।
৫৮. এসিডের একটি ধর্ম হলো -
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
এসিড নীল লিটমাসকে লাল করে। কিন্তু ক্ষার লাল লিটমাসকে নীল করে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖সকল লঘু এসিড টক স্বাদযুক্ত,
এসিডগুলো ক্ষয়কারী পদার্থ হিসাবে পরিচিত,
এসিড নীল বর্ণের লিটমাসকে লাল বর্ণে পরিণত করে,
এসিড সক্রিয় ধাতুর সাথে বিক্রিয়া করে সংশ্লিষ্ট ধাতুটির লবণ ও হাইড্রোজেন গ্যাস উৎপন্ন করে,
লঘু এসিড ধাতব কার্বনেটের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ, পানি ও কার্বন ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন করে।
৫৯. উইন্ডমিলের সাহায্যে কি উৎপাদান করা হয়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖উইন্ডমিল বা বায়ুকল হলো চক্রাকার একধরনের যন্ত্র। এর সাহায্যে প্রবাহিত বায়ুকে কাজে লাগিয়ে অতি সহজেই পাখাযুক্ত চাকা ঘুরিয়ে জেনারেটরের দ্বারা বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়। সাধারণত সেচকাজে উইন্ডমিল ব্যবহার করা হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖উইন্ডমিল বা বায়ুকল হলো চক্রাকার একধরনের যন্ত্র।
এর সাহায্যে প্রবাহিত বায়ুকে কাজে লাগিয়ে অতি সহজেই পাখাযুক্ত চাকা ঘুরিয়ে জেনারেটরের দ্বারা বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়। সাধারণত সেচকাজে উইন্ডমিল ব্যবহার করা হয়।
ইসলামের স্বর্ণালী যুগে যখন আধুনিক নগর ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য বিদ্যুতের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হল তখন পানিহীন আরব দেশে কিভাবে বায়ু শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায় তার চিন্তাভাবনা শুরু হয়।
তারই প্রেক্ষাপটে পৃথিবীর প্রথম বায়ুকলটি ঘুরেছিল নবম শতাব্দীতে পূর্ব পার্সিয়ায়, হরিজোন্টাল প্লেনের উপর ভারর্টিকেল এক্সিসের চারদিকে।
পরবর্তীতে ১৩শ শতাব্দীর দিকে আস্তে আস্তে এই উইন্ডমিল সমস্ত ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ে।
৬০. 'কার্ডিওলজী' কোন রোগের সাথে সম্পৃক্ত?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖Cardiology is a branch of medicine that deals with the disorders of the heart as well as some parts of the circulatory system. The field includes medical diagnosis and treatment of congenital heart defects, coronary artery disease, heart failure, valvular heart disease and electrophysiology.
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖Cardiology is the study and treatment of disorders of the heart and the blood vessels.
Cardiologist (noun): a doctor who specializes in treating diseases of the heart.
৬১. অপটিক্যাল ফাইবার হলো -
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖অপটিক্যাল ফাইবার : অপটিক্যাল ফাইবার হচ্ছে খুব সরূ এবং নমনীয় কাচ তন্তু । দুটি ভিন্ন ঘনত্বের কাচ সমন্বয়ে অপটিক্যাল ফাইবার তৈরী করা হয়। আলোকবহনের কাজে এটি ব্যবহৃত হয়। পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে অপটিক্যাল ফাইবার কাজ করে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖অপটিক্যাল ফাইবার হলো একটি খুব সরু কাচতন্তু।
আলোক রশ্মি বহনের কাজে এটি ব্যবহৃত হয়।
আলোক রশ্মি যখন এই কাচতন্তুর মধ্যে প্রবেশ করে তখন এর দেয়ালে পুনঃপুন পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন ঘটতে থাকে।
এই প্রক্রিয়া চলতে থাকে আলোক রশ্মি কাচতন্তুর অপর প্রান্ত দিয়ে বের না হওয়া পর্যন্ত।
৬২. বিশ্বের প্রথম কম্পিউটারের নাম হলো -
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
বিশ্বের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ইলেকট্রনিক কম্পিউটার হলো ENIAC-যার পূর্ণরূপ হল Electronic Numerical Integrator and Computer. ENIAC কম্পিউটারে ১৮০০ ভ্যাকুয়াম টিউব ব্যবহার করা হয়েছে। এটি ২০ × ৪০ ফুট মাপের জায়গা জুড়ে স্থাপন করা হয়েছিল। এ কম্পিউটারটি প্রতি সেকেন্ডে ৫০০০ যোগ ও ৩০০ গুণের কাজ করতে পারতো।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖প্রথম পূর্ণাঙ্গ ইলেক্ট্রনিক কম্পিউটার হলো ENIAC-1 বা Electronic Numerical Integrator and Computer -1।
MACINTOSH চতুর্থ প্রজন্মের একটি মাইক্রোকম্পিউটার।
ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেশিনস কর্পোরেশন (ইংরেজি: International Business Machines Corporation; সংক্ষেপে IBM) একটি আমেরিকান বহুজাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি।
১৭০টি দেশে কোম্পানিটি তার কার্যক্রম পরিচালনা করে, যার সদরদপ্তর আরমংক, নিউ ইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত।
মাইক্রোসফট কর্পোরেশন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক একটি কম্পিউটার প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান।
এটি বিভিন্ন কম্পিউটার ডিভাইসের জন্য সফটওয়্যার তৈরি, লাইসেন্স দেওয়া এবং পৃষ্টপোষকতা করে থাকে।
এটির সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের রেডমন্ড শহরে অবস্থিত।
এদের সবচেয়ে জনপ্রিয় সফটওয়্যারগুলো হল মাইক্রোসফট উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এবং মাইক্রোসফট অফিস।
৬৩. নবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ কোনগুলি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖যেসব প্রাকৃতিক সম্পদ পুনরায় ব্যবহার করা যায় সেগুলোকে নবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ বলে। যেমন- পানি, বায়ু, সৌরশক্তি ইত্যাদি।
অনবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ : যেসব প্রাকৃতিক সম্পদের সরবরাহ সীমিত এবং একটা সময় পরে যা আর পাওয়া যাবে না, সেগুলোকে অনবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ বলে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖নবায়নযোগ্য শক্তি (Renewable Energy):
যে শক্তিকে নবায়ন করা যায় অর্থাৎ যা ফুরিয়ে যাবার কোনো আশঙ্কা নেই। তাকে নবায়নযোগ্য (Renewable Energy) শক্তি বলা হয়। যেমন: সূর্যের আলো, সমুদ্রের জোয়ার-ভাটা, সমুদ্রের ঢেউ, বাতাস, নদীর বহমান পানি, পৃথিবীর গভীরের উত্তপ্ত ম্যাগমা।
❖অনবায়নযোগ্য শক্তি (Non-Renewable Energy):
অনবায়নযোগ্য মানে হলো, যে শক্তি একবার ব্যবহার করা হলে তা থেকে পুনরায় শক্তি উৎপন্ন করা যায় না। এটি হলো মূলত প্রাকৃতিক সম্পদ, যা পুনরায় উৎপন্ন করা যায় না। তেল, গ্যাস, কয়লা, ইউরেনিয়াম।
৬৪. 'গবাদি পশুর পাল' এর সংক্ষেপ হলো-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
গবাদি পশুর পাল – বাথান, গরু রাখার স্থান – গোশালা, টকটকে লাল – কস্তা। কতিপয় এককথায় প্রকাশ: হস্তী, অশ্ব, রথ ও পদাতিকের সমাহার – চতুরঙ্গ, হাতির বাসস্থান – পিলখানা, হাতি ধরা ফাঁদ – খেদা।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বাথান (বিশেষ্য):
১) গোচারণ-মাঠ।
২) গোশালা; যে স্থানে গরু-মহিষকে রাখা হয় (রাত্রে গরুর বাথানে গরু পাহারা দেওয়া-খানবাহাদুর আবদুল হাকিম)।
৩) গরুর পাল।
৬৫. কোনটি ধনুষ্টংকার রোগ সৃষ্টি করে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
সাধারণ বিজ্ঞান
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖ব্যাকটেরিয়া হল আদি নিউক্লিয়াসযুক্ত, অসবুজ, এককোষী অণুবীক্ষণিক জীব।
বিজ্ঞানী অ্যান্টনি ফন লিউয়েন হুক সর্বপ্রথম ব্যাকটেরিয়া দেখতে পান।
ব্যাকটেরিয়া কোষগোলাকার, দন্ডাকার, কমা আকার, প্যাঁচানো ইত্যাদি নানা ধরণের হতে পারে।
দেহের আকার আকৃতির ভিত্তিতে একে নিম্নরূপে শ্রেণীবদ্ধকরা হয়ঃ
কক্কাসঃ কোন কোন ব্যাকটেরিয়া কোষের আকৃতি গোলাকার। এরা কক্কাস ব্যাকটেরিয়া।
এরা এককভাবে অথবা দলবেঁধে থাকতে পারে, যেমন- নিউমোনিয়া রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া।
ব্যাসিলাসঃ এরা লম্বা দন্ডের ন্যায় দেখতে। ধনুষ্টংকার, রক্তামাশয় ইত্যাদি রোগ এরা সৃষ্টি করে।
কমাঃ এরা বাঁকা দন্ডের ন্যায় আকৃতির ব্যাকটেরিয়া। মানুষের কলেরা রোগের ব্যাকটেরিয়া এ ধরণের।
স্পাইরিলামঃ এ ধরণের ব্যাকটোরিয়ামের আকৃতি প্যাঁচানো।
৬৬. নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖অচিরাচিত শক্তি বা নবায়নযোগ্য জ্বালানি বা রিনিউয়েবল এনার্জি হলো এমন শক্তির উৎস যা স্বল্প সময়ের ব্যবধানে পুনরায় ব্যবহার করা যায় এবং এর ফলে শক্তির উৎসটি নিঃশেষ হয়ে যায় না। বিভিন্ন প্রাকৃতিক উৎস যেমন: সূর্যের আলো ও তাপ, বায়ু প্রবাহ, জলপ্রবাহ, জৈব শক্তি (বায়োগ্যাস, বায়োম্যাস, বায়োফুয়েল), ভূ-তাপ, সমুদ্র তরঙ্গ, সমুদ্র-তাপ, জোয়ার-ভাটা, শহুরে আবর্জনা, হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল ইত্যাদি নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖যে শক্তিকে নবায়ন করা যায় অর্থাৎ যা ফুরিয়ে যাবার আশংকা নেই তাই নবায়নযোগ্য শক্তি।
যেমনঃ সূর্যের আলো, সমুদ্রের জোয়ার-ভাটা, সমুদ্রের ঢেউ, নদীর বহমান পানি ইত্যাদি।
অনবায়নযোগ্য শক্তি হলো, যে শক্তি একবার ব্যবহার করা হলে তা থেকে পুনরায় শক্তি উৎপন্ন করা যায় না।
এটি হলো মূলত প্রাকৃতিক সম্পদ।
যেমনঃ তেল, গ্যাস, কয়লা, ইউরেনিয়াম ইত্যাদি।
৬৭. রুপান্তরিত পাতার উদাহরণ কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖কিছু কিছু উদ্ভিদের পাতা কতগুলো জৈবিক কাজ সম্পন্ন করার জন্য পরিবর্তিত হয়। যেমন- আকর্ষীঃ পাতার শীর্ষভাগ অথবা পত্রক অনেক সময় প্যাচানো স্প্রিং এর ন্যায় রুপ ধারণ করে। এগুলো আকর্ষি। এর সাহায্যে কোন গাছ কিছু আঁকড়ে ধরতে পারে। জংলী মটর গাছে এ ধরণের আকর্ষি দেখা যায়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖রূপান্তরিত পাতাঃ বিশেষ কাজ সমাধা করার জন্য পাতার রূপ পরিবর্তিত হয়।
ক) আকর্ষী: পাতার শীর্ষভাগ অথবা পত্রক অনেক সময় প্যাচানো স্প্রিং এর ন্যায় রূপ ধারন করে। এগুলো আকর্ষি। এর সাহায্যে গাছ কোন কিছু আকড়ে ধরতে পারে। জংলী মটর গাছে এ ধরনের আকর্ষি দেখা যায়।
খ) খাদ্য সঞ্চয়: পেঁয়াজ, রসুন বা ঘৃতকুমারী গাছের পাতা পুরুও রসালো হয়। এসব পাতায় খাদ্য জমা থাকে।
গ) পতঙ্গ ফাঁদ: কলসী উদ্ভিদ এক ধরণের লতানো গাছ ও ঝাঁঝি নামক জলজ উদ্ভিদের পাতা রূপান্তরিত হয়ে কলসি বা থলের ন্যায় রূপ ধারণ করে। এর মধ্যে পোকামাকড় ঢুকলে কলসির ঢাকনাটি বন্ধ হয়ে যায় পরে গাছ তার দেহ থেকে রস শুষে নেয়।
ঘ) প্রজনন: কোন কোন উদ্ভিদে পাতার কিনারা থেকে কুঁড়ি গজায়। ধীরে ধীরে এসব কুঁড়ি থেকে নিচের দিকে গুচ্ছ মূল ও গজায়। কোন এক সময় এরা মুক্ত হয়ে স্বাধীন উদ্ভিদের জন্ম দেয়, যেমন-পাথরকুঁচি।
ঙ) কণ্টক পত্র: পাতা কখনও কাঁটায় রূপান্তরিত হয়, যথা- লেবু।
চ) শল্কপত্র: কখনও ভূ-নিম্নস্থ কাণ্ডের পাতা পাতলা আঁশ এর ন্যায় আকার ধারণ করে। যেমন- আলু, আদা, হলুদ ইত্যাদি। এরাই শল্কপত্র। রসালো শল্কপত্র খাদ্য সঞ্চয় করে এবং কাক্ষিক মুকুলকে রক্ষা করে।
৬৮. বস্তুর ভর ভূপৃষ্ঠে বা ভূপৃষ্ঠের উপরে অবস্থানের পরিবর্তনের সাথে -
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖ভর হচ্ছে একটি ভৌত রাশি যা ভূ-পৃষ্ঠে বা ভূ-পৃষ্ঠের উপরে বস্তুর অবস্থানের পরিবর্তনের সাথে পরিবর্তিত হয় না। কিন্তু ওজন পরিবর্তন হয়।
কারণ, ওজন নির্ভর করে, অভিকর্ষজ ত্বরণের (g) মানের উপর। আর অবস্থান ভেদে, এই মানের পরিবর্তন হয়, ফলে ওজনও পরিবর্তন হয়।
ওজন = ভর × অভিকর্ষজ ত্বরণ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖বস্তুর ওজন বস্তুটির ভর ও অভিকর্ষজ ত্বরণের গুণফলের সমান। ভূ-পৃষ্ঠ থেকে যতই উপড়ে ওঠা হয় ততই g এর মান কমে।
কিন্তু বস্তুর ভর মৌলিক বৈশিষ্ট্য। এটি বাড়ে না বা কমে না।
সুতরাং একই বস্তুর ভর ও অভিকর্ষজ ত্বরণ g-এর গুণফল তথা ওজন ভূপৃষ্ঠের উপরের দিকে কমে।
৬৯. 'রিকেট্স' কোন ভিটামিনের অভাবে দেখা দেয় ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖শিশুদের ভিটামিন ডি এর অভাবে রিকেটস রোগ হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖ভিটামিন-ডি(D) এর অভাবে রিকেটস রোগ হয়।
এছাড়া ভিটামিন-সি(C) এর অভাবে স্কার্ভি;
ভিটামিন-বি১(B1) এর অভাবে বেরিবেরি;
এবং ভিটামিন-এ(A) এর অভাবে রাতকানা রোগ হয়।
৭০. কোন ভিটামিনের অভাবে 'রাতকানা' রোগ হয়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖ভিটামিন 'এ' এর রাসায়নিক নাম রেটিনল। এটি মলা ও ঢেলা মাছে অধিক পাওয়া যায়। এর অভাবে রাতকানা রোগ হয়
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖ভিটামিন-এ (A) এর অভাবে রাতকানা রোগ হয়।
এছাড়া ভিটামিন-সি (C) এর অভাবে স্কার্ভি;
ভিটামিন-ডি (D) এর অভাবে রিকেটস;
এবং ভিটামিন-বি১ (B1) এর অভাবে বেরিবেরি রোগ হয়।
৭১. পৃথিবী এবং অন্য যে কোনো বস্তুর মধ্যে যে আকর্ষণ তাকে বলা হয় -
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ [৪ম পর্যায়] ২৮. ০৬.১৯
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖দুইটি বস্তুর আকর্ষণকে মহাকর্ষ বলে। কিন্তু পৃথিবী ও অন্য কোন বস্তুর আকর্ষণকে মাধ্যাকর্ষণ বলে
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖পৃথিবী তার কেন্দ্রাভিমুখে সকল বস্তুকে যে বল দ্বারা আকর্ষণ করে সেই বলকে অভিকর্ষ বল বা মাধ্যাকর্ষণ বল বা Gravity বলে।
সর্বপ্রথম নিউটন অভিকর্ষজ বল সম্পর্কে ধারণা দিয়েছিলেন।
৭২. আমাদের দেহকোষ রক্ত হতে গ্রহণ করে ---
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -জবা- ০৯.১২.১১ 📖 10th BCS General Apr, 1989
সাধারণ বিজ্ঞান
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 আমাদের দেহে সকল কাজের জন্য অক্সিজেন দরকার। অক্সিজেন না হলে জীবকোষ বাঁচতে পারে না।
▣ রক্তের লোহিত রক্তকণিকায় অবস্থিত হিমোগ্লোবিন ফুসফুস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে।
▣ অক্সিহিমোগ্লোবিন রূপে প্রতিটি কোষে বহন করে।
▣ দেহকোষ রক্ত হতে অক্সিজেন ও খাদ্যসার (গ্লুকোজ, অ্যামাইনো এসিড, ফ্যাটিএসিড) গ্রহণ করে।
৭৩. ক্ষমতার একক হলো ---
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -জবা- ০৯.১২.১১ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -ইছামতি- ০৮.০১.১০
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖কাজের একক জুল।
ক্ষমতার একক ওয়াট এক সেকেন্ডে এক জুল কাজ করার ক্ষমতাকে এক ওয়াট বলে।
ক্যালরি হচ্ছে শক্তির একক, যা দিয়ে কোনো খাদ্য হতে আমাদের শরীরে কত শক্তি পাওয়া যায়, তা পরিমাপ করা হয়।
আন্তর্জাতিক পদ্ধতিতে পৃষ্ঠটানের একক নিউটন
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝
▣ ক্ষমতা:
▣ ক্ষমতা, কাজ ও সময়ের মধ্যে সম্পর্ক নির্ধারণ করে।
▣ একটি নির্দিষ্ট সময়ে কি পরিমাণ কাজ সম্পন্ন হয় তা দ্বারা ক্ষমতার পরিমাপ করা হয়।
▣ ক্ষমতাকে P দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
❐ - ক্ষমতার এস.আই একক ওয়াট।
▣ অশ্বক্ষমতা (HP) নামে ক্ষমতার আর একটি একক ব্যবহার করা হয়। 1H.P = 746 W.
▣ ক্ষমতার মাত্রা [ML²T^(-3)🞍]।
❐
৭৪. 'সিএফসি' কি ক্ষতি করে?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -জবা- ০৯.১২.১১ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -ড্যাফোডিল- ১২.১০.১২ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -মেঘনা- ২৪.০২.১২
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖সিএফসি মানবজগতের জন্য কল্যাণকর ওজোনস্তরকে ফুটো করে দেয়। ফলে ওজোনস্তর ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি সহজে ভূ-পৃষ্ঠে প্রবেশ করে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝
▣ CFC গ্যাস:
▣ CFC গ্যাস হলো ক্লোরোফ্লোরো কার্বন।
▣ গ্রিন হাউস গ্যাসসমূহ ওজোন স্তরকে ক্ষতি করে কিন্তু এর মধ্যে ক্লোরোফ্লোরো কার্বন (সিএফসি) গ্যাস প্রত্যক্ষভাবে ওজোন স্তরের ক্ষতি করে।
▣ সিএফসি এর মধ্যে CFC_(12∗ এবং CFC_(13∗ সর্বাধিক ক্ষতিকর।
▣ CFC_(12 ∗এবং CFC_(13 ∗এর কার্বন যৌগপ্তলো জায়মান দশায় ক্লোরিন উৎপাদন করে।
▣ উৎপন্ন ক্লোরিন ওজোনের সাথে বিক্রিয়া করে ওজোনের অণু ধ্বংস করে।
▣ এক লক্ষ ওজোনের অণু ধ্বংসের জন্য একটি ক্লোরিনের অণুই যথেষ্ট।
৭৫. পৃথিবীতে প্রাণের সূচনা হয় আনুমানিক ----
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -জবা- ০৯.১২.১১
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖পৃথিবীতে প্রাণের সূচনা হয় আনুমানিক ১০০ কোটি বছর আগে।
পৃথিবী সৃষ্টির শুরুর দিকে কোনো পাথর টিকে নেই, তাই সঠিক করে বলা সম্ভভ নয় কখন পৃথিবীর সৃষ্টি হয়েছিল। তবে ধারণা করা হয় সৌরজগৎ সৃষ্টির মোটামুটি ১০০ মিলিয়ন বছর পর একগুচ্ছ সংঘর্ষের ফল হলো পৃথিবী। আজ থেকে ৪.৫৪ বিলিয়ন বছর আগে পৃথিবী নামের গ্রহটি আকৃতি পায়, পায় লৌহের একটি কেন্দ্র এবং একটি বায়ুমণ্ডল।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝
▣ জীবনের সূচনা ও বিকাশ:
▣ আজ থেকে প্রায় ৪.৬ বিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীর সৃষ্টি হয় এবং প্রায় ৩.৬ বিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীতে প্রথম প্রাণের সূচনা হয় বলে ধারণা করা হয়।
▣ পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে তখন কোনো অক্সিজেন ছিলো না, তাই জীবন সৃষ্টির প্রাথমিক পর্যায়ে জীবগুলো ছিল অণুজীব, আদিকোষী এবং ব্যাকটেরিয়া জাতীয় যারা অক্সিজেন ছাড়াই বাঁচতে পারতো।
▣ পরবর্তীতে সায়ানোব্যাকটেরিয়ার আবির্ভাব ঘটে যা সালোকসংশ্লেষণ (Photosynthesis) প্রক্রিয়ায় বায়ুমন্ডলে অক্সিজেন যোগ করতে থাকে।
▣ মাত্র ৫৪ কোটি বছর আগে বায়ুমন্ডলে অক্সিজেনের পরিমাণ বর্তমান সময়ে বায়ুমন্ডলে বিরাজমান অক্সিজেন-এর সমান হয়।
❐ * ধারণা করা হয়, ৩.৬ বিলিয়ন অথবা ৩৬০ কোটি বছর আগে পৃথিবীতে প্রাণের সূচনা হয়। তাই সঠিক উত্তর হিসেবে ১০০ কোটি বছর আগে নেয়া হলো।
৭৬. কোন খনিজ লবণের অভাবে গাছের বর্ধনশীল অংশে গজানো কচি পাতাগুলো হলদে রঙের হয় ---
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -জবা- ০৯.১২.১১
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖উদ্ভিদের পুষ্টি উপাদান মোট ১৬টি। মুখ্য পুষ্টি ১০টি এবং গৌণ পুষ্টি ৬টি।
মুখ্য পুষ্টি উপাদান গুলো হল: নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাসিয়াম, কার্বন, হাইড্রোজেন, লৌহ, অক্সিজেন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং সালফার।
গৌণ পুষ্টি উপাদান: ম্যাঙ্গানিজ, মলিবডেনাম, কপার, জিংক, বোরন এবং ক্লোরিন।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝
▣ পুষ্টি উপাদানের অভাবজনিত লক্ষণ:
▣ নাইট্রোজেন (N) এর অভাবে ক্লোরোফিল সৃষ্টিতে ব্যাঘাত ঘটে। তাই পাতা হলুদ হয়। এ প্রক্রিয়াকে ক্লোরোসিস বলে। কোষের বৃদ্ধি ও বিভাজন হ্রাস পায়। ফলে উদ্ভিদের বৃদ্ধি কমে।
▣ ম্যাগনেসিয়াম (Mg) এর অভাবে ক্লোরোফিল সংশ্লেষিত হয় না বলে সবুজ রং হালকা হয় এবং সালোকসংশ্লেষণের হার কমে। পাতার সরুশিরাসমূহের মধ্যবর্তী স্থানে অধিক হারে ক্লোরোসিস হয়।
▣ ফসফরাস (P) এর অভাবে পাতা বেগুনি রং ধারণ করে। পাতায় মৃত অঞ্চল সৃষ্টি হয়। পাতা, ফুল ও ফল ঝরে যেতে পারে। উদ্ভিদের বৃদ্ধি বন্ধ হয় এবং উদ্ভিদ খর্বাকার হয়।
▣ ক্যালসিয়াম (Ca) এর অভাবে কচি পাতায় ক্লোরোসিস হয়, উদ্ভিদের বর্ধনশীল শীর্ষ অঞ্চল মরে যায়। ফুল ফোঁটার সময় উদ্ভিদের কান্ড শুকিয়ে যায় এবং উদ্ভিদ হঠাৎ নেতিয়ে পড়ে।
▣ আয়রন (Fe) এর অভাবে প্রথমে কচি পাতার রং হালকা হয়, তবে পাতার সরুশিরার মধ্যবর্তী স্থানেই প্রথমে হালকা হয় এবং ক্লোরোসিস হয়। কখনও কখনও সম্পূর্ণ পাতা বিবর্ণ হয়। কান্ড দুর্বল ও ছোট হয়।
৭৭. স্বাভাবিক আদর্শ পরিবেশে পানির ঘনত্ব যে তাপমাত্রায় সর্বোচ্চ মান পরিগ্রহ করে তা হলো ---
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -জবা- ০৯.১২.১১
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖তরল পদার্থে তাপ প্রয়োগ করলে তার আয়তন বাড়ে, তাপ অপসারণ করলে আয়তন কমে। কিন্তু ০°C তাপমাত্রার পানিকে উত্তপ্ত করলে এর আয়তন বাড়ে না বরং কমে। ৪°C তাপমাত্রার পানিকে গরম বা ঠান্ডা যাই হোক না কেন, তা প্রসারিত হয়। এটি তরলের প্রসারণের সাধারণ নিয়মের ব্যতিক্রম বলে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ভরের মাত্রাকে আয়তনের মাত্রা দিয়ে ভাগ করলে ঘনত্বের মাত্রা পাওয়া যায়।
▣ তাপমাত্রার পরিবর্তন হলে একই বস্তুর আয়তন পরিবর্তন হয়, তাই ঘনত্বেরও পরিবর্তন হয়।
▣ পরীক্ষা করে দেখা গেছে পানির ঘনত্ব সব চেয়ে বেশি হয় 4° C তাপমাত্রায়।
▣ 4° C থেকে তাপমাত্রা বাড়লেও পানির ঘনত্ব কমে যায়, 4° C থেকে তাপমাত্রা কমলেও পানির ঘনত্ব কমে যায়।
▣ কেবল মাত্র 4° C তাপমাত্রায় 1 ঘনমিটার পানির ভর 1000 কিলোগ্রাম হয়।
▣ তাই পানির ঘনত্ব 1000 kg m^(-3)🞍 অথবা 1gm/cc.
৭৮. দৃশ্যমান আলোর বর্ণালীর ক্ষুদ্রতম তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কোন রঙের আলোর?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -জবা- ০৯.১২.১১ 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2003➯ঘ ইউনিট 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2001➯ঘ ইউনিট
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖তড়িৎ চুম্বকীয় বর্ণালির সেই অংশ যা মানুষের চোখে দৃশ্যমান অর্থাৎ 4 x 10-7 m হতে 7 x 10-7 m পর্যন্ত তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সীমার তড়িৎ চুম্বকীয় বিকিরণকে দৃশ্যমান আলাে বলে। আলােকের বর্ণ নির্ধারণ করে তার তরঙ্গ দৈর্ঘ্য। দৃশ্যমান আলাের তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের উর্ধ্বক্রম-
Violet (বেগুনি)
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝
▣ দৃশ্যমান আলোক তরঙ্গ:
▣ তাড়িতচৌম্বকীয় বর্ণালির অতিবেগুনি রশ্মির একটি অতি ক্ষুদ্র অংশ আমাদের চোখে দৃশ্যমান হয়, একে বলা হয় দৃশ্যমান আলোক তরঙ্গ।
▣ এই তরঙ্গের তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের পরিসীমা হচ্ছে 4×10-7m থেকে 7×10-7m মাত্র।
▣ এই পরিসীমার বিভিন্ন তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের জন্য আলোর বিভিন্ন রঙ দেখা যায়।
▣ এদের আসমানি, সবুজ, নীল, হলুদ, বেগুনি, কমলা ও লাল এই সাতটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
▣ দৃশ্যমান আলোর মধ্যে লাল আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি।
▣ দৃশ্যমান আলোর মধ্যে বেগুনি আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম।
৭৯. অধাতু কোনটি ---
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -জবা- ০৯.১২.১১
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖যেসব পদার্থ বিদ্যুৎ ও তাপ অপরিবাহী, আঘাতে শব্দ হয় না, দ্যুতি নেই তাকে অধাতু বলে। যেমন: কার্বন, ফসফরাস প্রভৃতি।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝
▣ ধাতু ও অধাতু:
▣ ভূপৃষ্টের উপরিভাগ বিভিন্ন রকম যৌগিক পদার্থ দিয়ে তৈরি যেমন- সিলিকন ডাই অক্সাইড (বালি), ক্যালসিয়াম কার্বনেট (চুনাপাথর) ইত্যাদি। এসকল পদার্থ দুই প্রকার মৌলিক পদার্থ দিয়ে গঠিত। যথা :ধাতু ও অধাতু।
▣ ক্যালসিয়াম, আয়রন, অ্যালুমিসিয়াম, পটাসিয়াম, সোডিয়াম, সিলভার, গোল্ড, কপার ও জিংক ইত্যাদি হচ্ছে ধাতু।
▣ যেসব মৌলিক পদার্থ সাধারণত নরম, অ-চকচকে, স্বচ্ছ এবং ভঙ্গুর হয়, আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ করে না এবং তাপ ও বিদ্যুৎ পরিবাহী নয়, তাদেরকে অধাতু বলে।
▣ কার্বন, সালফার, ক্লোরিন, হাইড্রোজেন, নাইট্রোজেন, ও অক্সিজেন ইত্যাদি হচ্ছে অধাতু।
▣ প্রকৃতিতে প্রায় সকল ধাতু ও অধাতু যৌগিক পদার্থ হিসেবে পাওয়া যায়।
▣ তবে কয়লা, সালফার ও অল্প পরিমাণ গোল্ড মৌলিক পদার্থ হিসেবে পাওয়া যায়।
▣ যে সকল ধাতু ও অধাতু বেশি সক্রিয় তাদের যৌগ বেশি পরিমাণে এবং যে সকল যৌগ কম সক্রিয় তাদের যৌগ কম পরিমাণে প্রকৃতিতে পাওয়া যায়।
৮০. শুষ্ক বরফ বলা হয় ---
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -জবা- ০৯.১২.১১
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖প্রচণ্ড চাপে এবং –৭৮.৫°C তাপমাত্রায় CO_2 গ্যাস তরল না হয়ে সরাসরি কঠিন পদার্থে পরিণত হয়। কঠিন CO_2 দেখতে বরফের মত সাদা অথচ ধরলে হাত ভিজিয়ে দেয়না। একে ড্রাই আইস বা শুষ্ক বরফ বলে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝
▣ শুষ্ক বরফ:
▣ শুষ্ক বরফ হলো কার্বন ডাই-অক্সাইডের কঠিন রূপের সাধারণ নাম।
▣ শুষ্ক বরফের উর্দ্ধপাতন হয়, যার অর্থ এটি তার কঠিন রূপ থেকে সরাসরি তার গ্যাসীয় অবস্থায় চলে যায়।
▣ তাই এর নাম 'শুষ্ক বরফ' বা 'ড্রাই আইস'।
৮১. কম্পিউটারে ডাটা সংরক্ষণে কোন সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়?
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -জবা- ০৯.১২.১১
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
🔖কম্পিউটার ডাটা সংরক্ষণে বাইনারি সংখ্যা ০ এবং ১ দিয়ে প্রকাশ করা হয় ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝
▣ বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি (Binary Number System):
▣ বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি একটি ২-ভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতি।
▣ এ পদ্ধতিতে ০ এবং ১ এই দুটি অংক ব্যবহৃত হয়।
▣ এ দুটি অংককে বিভিন্নভাবে সাজিয়ে যেকোনো সংখ্যাকে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতিতে লেখা যায়।
▣ (110)_(2∗, (1101)_(2∗ ইত্যাদি হলো বাইনারি সংখ্যার উদাহরণ।
▣ কম্পিউটার বাইনারি সংখ্যার মাধ্যমে যেকোনো ধরনের উপাত্ত বা ডেটা সংরক্ষণ করে থাকে।
▣ আবার কম্পিউটারের সকল অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়াকরণের কাজ সম্পন্ন হয় বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতিতে।
৮২. ভালো কোলেস্টেরল নিচের কোনটিকে বলা হয়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺৩য় ধাপ ☞ 03.06.22
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
মানবদেহে দুই ধরণের কোলেস্টেরল রয়েছে। যথা :1. LDL (Low Density Lipoprotein) : প্রানীজ চর্বি থেকে পাওয়া যায়। রক্তনালীর প্রাচীর সংকুচিত করে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।2. HDL (High Density Lipoprotein) : উদ্ভিদ জাত চর্বি। মানবদেহের জন্য উপকারী।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖- HDL-কে ভালো কোলেস্টেরল বলা হয়। এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
❏ আর ট্রাই-গ্লিসারাইড চর্বি হিসেবে রক্তের প্লাজমায় অবস্থান করে।
❏ ট্রাই-গ্লিসারাইড মানুষের খাদ্যের প্রাণিজ চর্বি অথবা কার্বোহাইড্রেট থেকে তৈরি হয়ে থাকে।
❉
❉- মানবদেহের প্রায় প্রত্যেক কোষ ও টিস্যুতে কোলেস্টেরল থাকে।
❏ LDL-কে খারাপ কোলেস্টেরল বলা হয়, কারণ এটি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
❏ সাধারণত মানুষের রক্তে শতকরা ৭০ ভাগ LDL থাকে।
৮৩. পৃথিবীর প্রাকৃতিক সৌরপর্দা হিসেবে অভিহিত করা হয় কোন স্তরকে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺৩য় ধাপ ☞ 03.06.22 📖 38th BCS General Dec, 2017
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
ওজোনোস্ফিয়ার-কে পৃথিবীর প্রাকৃতিক সৌরপর্দা বলা হয়। কেননা এটি সূর্য থেকে আগত ক্ষতিকর অতিবেগুনী রশ্মীর অধিকাংশ শোষণ করে জীবজগতকে রক্ষা করে।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖স্ট্রাটোমন্ডল (Stratosphere):
❉বায়ুমন্ডলের দ্বিতীয় স্তরটি হলো স্ট্রাটোমন্ডল।
❉যা ভূ-পৃষ্ঠ থেকে উপরের দিকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত।
❉এ স্তরের শেষ সীমা স্ট্রাটোবিরতি (Stratopause)।
❉এ স্তরে ২০ কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত তাপমাত্রার কোনো পরিবর্তন হয় না।
❉এরপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে এবং পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকে।
❉ স্ট্রাটোবিরতিতে তাপমাত্রা ০° সেলসিয়াস বা এর কাছাকাছি হয়। এ স্তরে বায়ুর ঘনত্ব ও চাপ উভয়ই কম।
❉
স্ট্রাটোমন্ডলে জলীয়বাষ্প ও ধূলিকণার পরিমাণ খুব নগন্য এবং প্রায় মেঘশূন্য থাকে। এ স্তরে বাতাস অত্যন্ত হালকা। বাতাসের ঊর্ধ্ব বা নিম্ন গতি নেই, তবে সমান্তরাল গতি দেখা যায়।
❉স্ট্রাটোমন্ডলে ঝড়-বৃষ্টি থাকে না বলে এ স্তরের মধ্য দিয়েই সাধারণত বিমান চলাচল করে থাকে।
❉
❉স্ট্রাটোমন্ডলের উপরের দিকে ওজোন (Ozone) গ্যাসের স্তর রয়েছে যা ওজোন মন্ডল বা Ozonesphere নামে পরিচিত। এ স্তরটির গভীরতা ১২-১৬ কিলোমিটার।
❉
❉ওজোন স্তর সূর্যরশ্মির অতি বেগুনি রশ্মি (Ultral Violet Rays) শোষণ করে। জীবজগতের জন্য সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি খুবই ক্ষতিকর। তবে এটি ওজোন স্তর ভেদ করে পৃথিবীতে পৌছাতে পারে না। এ স্তর সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি শোষণ করায় তাপমাত্রা (প্রায় ৭৬° সেলসিয়াস) অনেক বেশি।
❉
❉উপরের ব্যাখ্যা থেকে বলা যায় যে, পৃথিবীর প্রাকৃতিক সৌরপর্দা হিসেবে কাজ করে ওজোনস্ফিয়ার।
❉
❉
❉
৮৪. ‘সিএনজি’ পাম্প থেকে গাড়িতে যে গ্যাস পূর্ণ করা হয় তা মূলত: —
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺৩য় ধাপ ☞ 03.06.22
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
মিথেন হচ্ছে একটি রাসায়নিক যৌগ যার সংকেত CH4। এর প্রতিটি অনুতে আছে এক পরমাণু কার্বন ও চার পরমাণু হাইড্রোজেন।এটি একটি অ্যালকেন এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান।মিথেনের আপেক্ষিক প্রাচুর্যতা এটিকে একটি আকর্ষণীয় জ্বালানীতে পরিনত করেছে।কিন্তু,সাধারণ তাপমাত্রায় যেহেতু এটি গ্যাসীয় অবস্থায় থাকে তাই মিথেনকে উৎস থেকে পরিবহন করা কষ্টসাধ্য।বায়ুমন্ডলীয় মিথেন একটি শক্তিশালী গ্রিনহাউস গ্যাস ।পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে ১৯৯৮ সালে মিথেনের ঘনত্ব ছিল ১৭৪৫ এন.মোল/মোল (পার্টস পার বিলিয়ন,পিপিবি)।১৯৯৮ সাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী মিথেনের মাত্রা প্রায় একইরূপ থাকার পর ২০০৮ সালে ১৮০০ এন.মোল/মোল হয়।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖জ্বালানি হিসেবে তেল মানে অকটেন, পেট্রল ও ডিজেল বহুল পরিচিত।
❉- গাড়ি চালানোর খরচ কমাতে দেশে বিকল্প জ্বালানি হিসেবে কমপ্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস (সিএনজি) বা প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহৃত হয়।
❉- প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান হলো মিথেন। প্রাকৃতিক গ্যাসে এর পরিমাণ প্রায় ৮০%।
❏ এছাড়াও প্রাকৃতিক গ্যাসে ইথেন, প্রোপেন, বিউটেন, আইসোবিউটেন, পেন্টেন ইত্যাদি উপাদানও উপস্থিত থাকে।
❏ বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত যে প্রাকৃতিক গ্যাস পাওয়া গিয়েছে, তার ৯৯.৯৯% উপাদান হলো মিথেন।
৮৫. এক খন্ড ‘প্লাটিনাম ও ইরিডিয়ামের তৈরি রড’ এর দৈর্ঘ্য এক মিটার হিসেবে স্বীকৃত। এটি কোন মিউজিয়ামে রক্ষিত আছে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺৩য় ধাপ ☞ 03.06.22
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
মিটার (ইংরেজি: Metre, Meter) মেট্রিক পদ্ধতিতে দৈর্ঘ্যের একক। শূন্যস্থানে এক সেকেন্ডের ১/২৯৯,৭৯২,৪৫৮ ভাগ সময়ে আলো যে দূরত্ব অতিক্রম করে, তাকে \"১ মিটার\" হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়। ১৭৯৩ সালে \"মিটার\"-কে প্রথম সংজ্ঞায়িত করা হয়, যার পরিমাপ করা পৃথিবীর উত্তর মেরু থেকে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের দ্রাঘিমা রেখা বরাবর বিষুবরেখা পর্যন্ত দূরত্বের এক কোটি ভাগের এক ভাগকে এক মিটার হিসেবে ধরা হয়। পরবর্তীতে প্যারিস মিউজিয়ামে রক্ষিত এক খন্ড \"প্লাটিনাম ও ইরিডিয়ামের তৈরি রড\"- এর দৈর্ঘ্যকে মিটার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
একটি ক্রিকেট ব্যাটের পাশে একটি মিটার স্কেল
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📖দৈর্ঘ্য পরিমাপের একক মিটার ।
❉পৃথিবীর উত্তর মেরু থেকে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের দ্রাঘিমা রেখা বরাবর বিষুবরেখা পর্যন্ত দৈর্ঘ্যের কোটি ভাগের এক ভাগকে এক মিটার হিসেবে গণ্য করা হয়।
❉- পরবর্তীতে প্যারিস মিউজিয়ামে রক্ষিত এক খণ্ড ‘প্লাটিনাম ও ইরিডিয়ামের তৈরি রড'-এর দৈর্ঘ্য এক মিটার হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে।
❉- এ দৈর্ঘ্যকেই একক হিসেবে ধরে রৈখিক পরিমাপ করা হয়। দৈর্ঘ্যের পরিমাপ ছোট হলে সেন্টিমিটারে এবং বড় হলে কিলোমিটারে প্রকাশ করা হয়।
❉- দৈর্ঘ্যের একক মিটার থেকে মেট্রিক পদ্ধতি নামকরণ করা হয়েছে।
৮৬. দূষিত বাতাসের কোন গ্যাসটি মানবদেহে রক্তের অক্সিজেন পরিবহন ক্ষমতা নষ্ট করে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৮ (মেঘনা) ☞31.10.08 📖 21st BCS General Dec, 1999 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -পদ্মা- ২৪.০২.১২
সাধারণ বিজ্ঞান
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝কার্বন মনোক্সাইড:
- দূষিত বাতাসে কার্বন মনোক্সাইড গ্যাসটি মানবদেহে রক্তের অক্সিজেন পরিবহন ক্ষমতা নষ্ট করে।
❐ কার্বন মনোক্সাইড ইংরেজিতে Carbon Monoxide (রাসায়নিক সংকেত: CO) হল একপ্রকার রঙ, গন্ধ এবং স্বাদহীন গ্যাস, যার ঘনত্ব বাতাসের তুলনায় কিছুটা কম।
❐ এক পরমাণু কার্বন ও এক পরমাণু অক্সিজেন যুক্ত হয়ে এক অণু কার্বন মনোক্সাইড গঠন করে।
❐ আন্তর্জাতিকভাবে এটি বিষাক্ত গ্যাস হিসেবে চিহ্নিত।
▣ কার্বন মনোক্সাইড বিষক্রিয়ায় মানবদেহে যে সকল সমস্যা দেখা দিতে পারে:
❐ দুর্বলতা, বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরানো, ক্লান্তি, ক্ষুধা, মাথা ব্যাথা, অজ্ঞান হওয়া, খিঁচুনি ইত্যাদি।
৮৭. ভিটামিন ‘সি’- এর অপর নাম -
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (খুলনা বিভাগ) ☞26.8.05
সাধারণ বিজ্ঞান
২
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝ভিটামিন-সি(C) এর অভাবে স্কার্ভি রোগ হয়।
❐ ভিটামিন সি এর অপর নাম এসকরবিক এসিড।
❐ ভিটামিন-বি১(B1) এর অভাবে বেরিবেরি রোগ হয়।
❐ ভিটামিন-ডি(D) এর অভাবে রিকেটস রোগ হয়।
❐ ভিটামিন-এ(A) এর অভাবে রাতকানা রোগ হয়।
৮৮. দুটি প্রজাতির সম্মিলনে সৃষ্ট জীবের জাত -
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (খুলনা বিভাগ) ☞26.8.05
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝দুটি প্রজাতির সম্মিলনে সৃষ্ট জীবের জাতকে বলা হয় সংকর।
যেমন :
দুটি সংকর জাতের মোরগ- ‘রূপালী’ (সাদা লেগহর্ন মুরগা ফাওমি মুরগি) ও ‘সোনালী’ (আর আই আর মুরগা ফাওমি মুরগি) বাংলাদেশের গ্রামীণ পরিবেশে সুঅভিযোজিত হয়ে আছে।
৮৯. কাগজের প্রধান রাসায়নিক উপাদান -
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (খুলনা বিভাগ) ☞26.8.05 📖 ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন ডাক অধিদপ্তর ~ বিল্ডিং ওভারশিয়ার-৭.১৮
সাধারণ বিজ্ঞান
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝সেলুলোজের ব্যবহার:
❐ সেলুলোজ কাগজ ও বস্ত্র শিল্পের প্রধান উপাদান,
❐ একে অ্যাসিটেট ফটোগ্রাফিক ফিল্মে ব্যবহৃত হয়,
❐ একে নাইট্রেট বিস্ফোরক হিসেবে ব্যবহার করা হয়,
❐ আসবাবপত্র ও নির্মাণ সামগ্রী তৈরিতে যান্ত্রিক সাহায্য প্রদানকারী প্রধান উপাদান সেলুলোজ,
❐ কাঠখেকো কীটপতঙ্গের পুষ্টিনালিতে বসবাসকারী এক ধরনের পরজীবী সেলুলোজ নামক উৎসেচক নিঃসৃত করে কাঠ হজমে সাহায্য করে ।
৯০. বায়ুমন্ডলের সবচেয়ে উপরের স্তরের নাম কি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (খুলনা বিভাগ) ☞26.8.05
সাধারণ বিজ্ঞান
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝বায়ুমণ্ডল যে সমস্ত উপাদানে গঠিত তাদের প্রকৃতি, বশিষ্ট ও উষ্ণতার পার্থক্য অনুসারে ভূপৃষ্ঠ থেকে উপরের দিকে পর্যায়ক্রমে পাঁচটি স্তরে ভাগ করা হয়।
বায়ুমণ্ডলের সবচেয়ে উপরের স্তরের নাম এক্সোমণ্ডল বা এক্সোস্ফিয়ার।
যথাঃ
❖ ১. ট্রপোমণ্ডল,
❖ ২. স্ট্রাটোমণ্ডল,
❖ ৩. মেসোমণ্ডল,
❖ ৪. তাপমণ্ডল ও
❖ ৫. এক্সোমণ্ডল।
৯১. সাতটি রঙের সমন্বয়ে সাদা রং হলে, কালো রং কিসে হয়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (খুলনা বিভাগ) ☞26.8.05
সাধারণ বিজ্ঞান
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝কোনো বস্তু তার নিজস্ব রঙে দেখা যায়, কারণ নির্দিষ্ট রঙের বস্তুটি নিজের রঙ ছাড়া সকল রঙ শোষণ করে এবং নিজের রঙ প্রতিফলিত করে।
তাই বস্তু তার নিজের রঙে দেখা যায়। সাতটি রঙের সমন্বয়ে সাদা রঙ হয়, সব রঙের অনুপস্থিতির জন্য কালো রঙ হয়।
❐ যে বস্তু আলোর সব রঙ প্রতিফলিত করে তা সাদা দেখায়। কোনো বস্তু যখন সমস্ত আলো শোষণ করে তখন তাকে কালো দেখায়।
যেমন - আলোর সকল বর্ণ প্রতিফলিত করে বলে বরফ সাদা দেখায়।
❐ আবার, দিনের বেলা সূর্যালোকে গাছের পাতা সবুজ দেখায় কিন্তু লাল আলোতে গাছের পাতা কালো বলে মনে হয়। দিনে গাছের সবুজ পাতা সূর্যালোকের সবুজ বাদে সাতটি বর্ণের সবকটিই শোষণ করে ফলে সবুজ দেখায়। কিন্তু সবুজ পাতা লাল আলোকে শোষণ করে নেয় বলে কোনো আলোই প্রতিফলিত হয় না তাই লাল আলোতে সবুজ পাতা কালো দেখায়।
৯২. যখন কোন বস্তুকে বিষুবরেখা থেকে মেরুতে নেয়া হয় তখন তার ওজন -
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৬ (ঢাকা বিভাগ) ☞1.12.06 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দানিয়ুব- ০৮.১১.১৩ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -করতোয়া- ০৮.০১.১০
সাধারণ বিজ্ঞান
২
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝যখন কোন বস্তুকে বিষুবরেখা থেকে মেরুতে নেয়া হয় তখন তার ওজন বাড়তে থাকে।
❐ বস্তুর ভর একটি ধ্রুব রাশি; সুতরাং কোনো বস্তুর ওজন অভিকর্ষীয় ত্বরণের উপর নির্ভরশীল।
❐ যে স্থানে অভিকর্ষীয় ত্বরণ বেশি, সে স্থানে বস্তুর ওজনও বেশি।
❐ অভিকর্ষীয় ত্বরণ যে স্থানে কম বস্তুর ওজন সে স্থানে কম। যেহেতু মেরু অঞ্চলে অভিকর্ষীয় ত্বরণ বেশি, তাই মেরু অঞ্চলে বস্তুর ওজন বেশি।
❐ বিষুব অঞ্চলে অভিকর্ষীয় ত্বরণ কম তাই বিষুব অঞ্চলে বস্তুর ওজনও কম।
❐ পৃথিবীর কেন্দ্রে অভিকর্ষীয় ত্বরণ শূন্য, এজন্য পৃথিবীর কেন্দ্রে বস্তুর কোনো ওজন নাই।
৯৩. ভূপৃষ্ঠে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৬ (ঢাকা বিভাগ) ☞1.12.06 📖 29th BCS General Aug, 2009 📖 ৪র্থ বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস প্রিলিমিনারী পরীক্ষা, .০৮
সাধারণ বিজ্ঞান
২
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝ভূপৃষ্ঠে শিলার যে কঠিন বহিরাবরণ দেখা যায় তাই ভূত্বক।
❐ ভূত্বকের পুরুত্ব খুবই কম।
❐ ভূত্বকের প্রধান উপাদান বা সবচেয়ে বেশি পরিমাণে পাওয়া যায় অক্সিজেন।
❐ ভূত্বকে অক্সিজেনের পরিমাণ- ৪২.৭%,
❐ সিলিকনের পরিমাণ- ২৭.৭%,
❐ অ্যালুমিনিয়ামের পরিমাণ- ৮.১%,
❐ লোহা বা আয়রনের পরিমাণ- ৫.১%,
❐ ক্যালসিয়ামের পরিমাণ- ৩.৭%
❐ সোডিয়ামের পরিমাণ- ২.৮%,
❐ পটাসিয়ামের পরিমাণ- ২.৬% এবং
❐ ম্যাগনেসিয়ামের পরিমাণ- ২.১%।
৯৪. অর্কিড কী ধরণের উদ্ভিদ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৬ (ঢাকা বিভাগ) ☞1.12.06
সাধারণ বিজ্ঞান
২
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝অর্কিড (Orchid) Orchidaceae গোত্রের যে কোনো ফুল। এদের গণ ও প্রজাতি সংখ্যা যথাক্রমে প্রায় ৭০০ ও ২০,০০০ এবং শীতলতম অঞ্চল ছাড়া গোটা বিশ্বে বিস্তৃত, আর্দ্র-ক্রান্তীয় এলাকায়ই অধিক।
❐ অর্কিড বহুবর্ষজীবী ঔষধি, পরাশ্রয়ী উদ্ভিদ।
❐ পরাশ্রয়ী সদস্যরা প্রধানত ক্রান্তীয় ও উপক্রান্তীয় অঞ্চলের এবং ভূমিজ প্রজাতিগুলি নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের বাসিন্দা। বর্ণাঢ্য পুষ্পপুটসহ বাঁকানো গড়ন অর্কিড ফুলের আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য।
❐ প্রত্যেকটি গাছে কয়েকটি মাত্র ফল ফললেও অতিসূক্ষ্ম বীজের সংখ্যা অগণিত, ফলপ্রতি কয়েক হাজার থেকে কয়েক লক্ষ।
◻️
৯৫. পেরিস্কোপ কোন নীতির উপর তৈরী হয়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৬ (ঢাকা বিভাগ) ☞1.12.06
সাধারণ বিজ্ঞান
৪
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📌📝দুটি সমতল দর্পনের ক্রমিক প্রতিফলন ব্যবহার পেরিস্কোপ তৈরী করা হয়। এখানে শুধুমাত্র প্রতিফলন ঘটে।
◻️
পেরিস্কোপ তৈরিতে দুইটি সমতল দর্পণের প্রয়োজন হয়।
আলো প্রথম দর্পণে এসে প্রতিফলিত হয়ে দ্বিতীয় দর্পণে পড়ে। দ্বিতীয় দর্পণ থেকে আলো প্রতিফলিত হয়ে আমাদের চোখে পড়ে, তখন যে বস্তুটি সরাসরি দেখা যায়, সেইটা আমরা দেখতে পাই।
পেরিস্কোপ এক ধরনের দৃষ্টিগোচরীভূত যন্ত্র যা কোন গুপ্তস্থানে অবস্থান করে ব্যক্তি কর্তৃক কোন নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুকে পর্যবেক্ষণ করা যায়।
সাধারণত এ যন্ত্রের প্রধান উপকরণ হচ্ছে - আয়না, চোখ দিয়ে দেখার উপযোগী ল্যান্স, আলো পৌঁছানোর প্রয়োজনীয় রাস্তাসহ বাহ্যিক বা ভৌত অবকাঠামো।
পেরিস্কোপের সাহায্যে একজন পর্যবেক্ষণকারী প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে পর্যবেক্ষণের উদ্দেশ্যে পরীক্ষায় ব্যবহার করা হতো।
সামরিক বাহিনীর সদস্যরা ট্যাঙ্কে ও অস্ত্রশস্ত্রসজ্জিত গাড়ীতে পেরিস্কোপ ব্যবহার করতো।
৯৬. শুষ্ক বরফ বলা হয়-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৬ (ঢাকা বিভাগ) ☞1.12.06
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝- শুষ্ক বরফ বা ‘ড্রাই আইস’ হলো জমাট বা হিমায়িত কার্বন-ডাই-অক্সাইড।
❐ এ কঠিনীকৃত কার্বন-ডাই-অক্সাইড -78.5℃ উষ্ণতায় কঠিন অবস্থা থেকে তরল না হয়ে সরাসরি গ্যাসে পরিণত হয়।
❐ তাই এর নাম শুষ্ক বরফ বা ড্রাই আইস।
৯৭. মানবদেহে শব্দ উৎপন্ন করে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৬ (ঢাকা বিভাগ) ☞1.12.06 📖 বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষ ➺উচ্চমান হিসাব সহকারী ☞10.11.23
সাধারণ বিজ্ঞান
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝ধ্বনি উচ্চারণ করতে যেসব প্রত্যঙ্গ কাজে লাগে, সেগুলোকে একত্রে বাগ্∘যন্ত্র বলে।
❐ মানবদেহের উপরিভাগে অবস্থিত ফুসফুস থেকে শুরু করে ঠোট পর্যন্ত ধ্বনি উৎপাদনে ব্যবহৃত প্রতিটি প্রত্যঙ্গই বাগযন্ত্রের অন্তর্ভুক্ত।
❐ স্বরযন্ত্র
শ্বাসনালির উপরের অংশে স্বরযন্ত্রের অবস্থান।
❐ মেরুদণ্ডের ৪, ৫ ও ৬ নং অস্থির পাশে থাকা এই অংশটি নলের মতো।
❐ বাতাস স্বরযন্ত্রের মধ্য দিয়ে বেরিয়ে আসে বলে ধ্বনির সৃষ্টি হয়।এবং সেই ধ্বনি থেকে শব্দের সৃষ্টি হয়।
❐ অধিজিহ্বা, স্বররন্ধ্র, ধ্বনিদ্বার ইত্যাদি স্বরযন্ত্রের অংশ।
৯৮. কাজ করার সামর্থ্যকে বলে-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৬ (বরিশাল বিভাগ) ☞1.12.06 📖 11th BCS General Oct, 1991 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -ক্যামেলিয়া- ১২.১০.১২
সাধারণ বিজ্ঞান
২
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝কোন বস্তুর কাজ করার সামর্থ্যকে শক্তি বলে।
❐ - অপরদিকে:
▣ যা স্থির বস্তুর উপর ক্রিয়া করে তাকে গতিশীল করে বা করতে চায় বা গতিশীল বস্তুর উপর ক্রিয়া করে তার গতির পরিবর্তন করে বা করতে চায় তাকে বল বলে।
▣ কোন বস্তুর উপর বল প্রয়োগে যদি বস্তুটির সরণ ঘটে, তাহলে বল এবং বলের দিকে বলের প্রয়োগ বিন্দুর সরণের উপাংশের গুণফলকে কাজ বলে।
▣ একক সময়ে ব্যক্তি বা উৎসটি দ্বারা সম্পাদিত কাজের পরিমাণই হচ্ছে ক্ষমতা।
৯৯. সিস্টোলিক চাপ বলতে বোঝায় -
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৬ (রাজশাহী বিভাগ) ☞1.12.06 📖 রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -শিউলি- ০৯.১২.১১ 📖 রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -শিউলি- ০৯.১২.১১
সাধারণ বিজ্ঞান
২
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝▣ সিস্টোলিক চাপ বলতে বোঝায় হৃৎপিন্ডের সংকোচন চাপ।
❐ হৃদপিন্ডের প্রসারনকে বলা হয় ডায়াস্টোল এবং সংকোচন কে বলা হয় সিস্টোল।
❐ হৃদপিণ্ড অনবরত সংকোচন-প্রসারনের মাধ্যমে রক্ত প্রবাহকে ক্রমাগত সঞ্চালন করে।
❐ হৃদপিণ্ড যখন সংকুচিত হয় তখন রক্ত চাপের ফলে ধমনীতে প্রবেশ করে।
❐ আবার প্রসারিত হলে রক্ত ধমনী থেকে হৃদপিন্ডের ফিরে আসে।
১০০. ব্রোঞ্জ হলো -
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৬ (রাজশাহী বিভাগ) ☞1.12.06
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝▣ সংকর ধাতু ব্রোঞ্জের উপাদান হলো তামা ও টিন।
❐ ২৫-১০% টিন ও ৭৫-৯০% কপার এর সমন্বয়ে এই সংকর ধাতুটি তৈরি।
❐ ব্রোঞ্জ ধাতু কাঁসা নামেও বহুল পরিচিত।
❐ সংকর ধাতু হলো একাধিক ধাতু বা একটি ধাতুর সাথে বিভিন্ন উপাদানের মিশ্রণ।
১০১. কোন রঙের বস্তুর তাপ শোষণ ক্ষমতা কম ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৬ (রাজশাহী বিভাগ) ☞1.12.06 📖 36th BCS General Jan, 2016 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - হোয়াংহো- ০৮.১১.১৩
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝▣ সাদা রঙের বস্তুর তাপ শোষণ ক্ষমতা সবচেয়ে কম।
- কারণ সাদা রঙের বস্তু তার উপর আপতিত প্রায় সমস্ত আলো বা তাপ বিকিরণ করে।
❐ ফলে গরমের সময় সাদা কাপড় পরলে আরাম পাওয়া যায়।
❐ অপরদিকে কালো রঙের বস্তু বা কাপড়ের তাপ শোষণ ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি।
❐ কালো রঙের বস্তু বা কাপড় তাপ বিকিরণ করতে পারে না।
১০২. বায়ুতে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে গেলে বায়ুচাপের কি পরিবর্তন হয় ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৬ (রাজশাহী বিভাগ) ☞1.12.06
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝▣ বায়ুতে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে গেলে বায়ুচাপ কমে যায়।
- বায়ুতে তাপমাত্রা বাড়লে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে যায়।
- কোনো নির্দিষ্ট আয়তনের বায়ুতে অবস্থিত জলীয়বাম্পের প্রকৃত পরিমাপকে তুল্য আর্দ্রতা বলে।
❐ তুল্য আর্দ্রতা দুই পদ্ধতিতে পরিমাপ করা যায়। যথা- হাইথোমিটার এবং সাইক্রোমিটার।
❐ উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়- ২৫০° সে. তাপমাত্রায় সম্পৃক্ত ১ কিলোগ্রাম বায়ুতে ২০ গ্রাম জলীয়বাষ্প থাকে। যদি কোনো সময়ে বায়ুতে উপস্থিত জলীয়বাষ্পের পরিমাণ ১০ গ্রাম হয় তবে এ সময়ের তুল্য আর্দ্রতা হবে ১০/২০ অথবা ৫০ শতাংশ।
❐ তুল্য আর্দরতার সাথে শিশিরাঙ্কের সম্পর্ক রয়েছে।
❐ যে তাপমাত্রার বায়ু জলীয়বাষ্পে সম্পৃক্ত হয় তা শিশিরাঙ্ক নামে পরিচিত।
❐ অর্থাৎ বায়ুতে উপস্থিত জলীয়বাষ্প দ্বারা ঐ বায়ুতে সম্পৃক্ত করতে হলে যে তাপমাত্রা পর্যন্ত শীতল করা প্রয়োজন সেই তাপমাত্রাকে শিশিরাঙ্ক বলে।
১০৩. মাটির উর্বরতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে বায়ুর -
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৬ (রাজশাহী বিভাগ) ☞1.12.06 📖 40th BCS General May, 2019 40th 📖 ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়➟2017➯B ইউনিট
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝▣ মাটির উর্বরতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে বায়ুর নাইট্রোজেন (N)।
❐ মাটিতে নাইট্রোজেন (N) এর পরিমাণ বৃদ্ধি হয় রাইজোবিয়াম জাতীয় উদ্ভিদের মূলের নডিউলে নাইট্রোজেন সংবন্ধন করে।
❐ মাটিতে নাইটোজেন, অক্সিজেন, কার্বন-ডাই-অক্সাইড সহ ইত্যাদি বায়ুবীয় পদার্থ উপস্থিত থাকে।
১০৪. ভূপৃষ্ঠে কোন ধাতু সবচেয়ে বেশি আছে ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৬ (রাজশাহী বিভাগ) ☞1.12.06 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - হোয়াংহো- ০৮.১১.১৩ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -কর্ণফুলী- ২৪.০২.১২
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝পৃথিবীতে যে ধাতুটি সবচেয়ে বেশি পরিমাণে পাওয়া যায় তা হলো অ্যালুমিনিয়াম।
❐ ভূ-পৃষ্ঠের প্রায় শতকরা ৮ ভাগ অ্যালুমিনিয়াম পাওয়া যায়।
❐ কিন্তু প্রকৃতিতে বিশুদ্ধ আ্যালুমিনিয়াম পাওয়া যায় না।
❐ আ্যালুমিনিয়াম অন্যান্য মৌলিক পদার্থের সাথে যৌগ গঠন করে অবস্থান করে। এগুলো হলো আ্যালুমিনিয়ামের আকরিক।
❐ এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- বক্সাইট, ক্রায়োলাইট, কোরানডাম, ফেলড্স্পার ইত্যাদি।
১০৫. বিদুৎশক্তির বাণিজ্যিক একক কী ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৬ (রাজশাহী বিভাগ) ☞1.12.06 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ঝিলাম- ০৮.১১.১৩ 📖 Social Development Foundation - Data Entry Operator - 13.07.12
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝▣ বিদুৎশক্তির বাণিজ্যিক একক কিলোওয়াট-ঘন্টা।
- সাধারণত বিদ্যুৎ শক্তির বাণিজ্যিক হিসাবের জন্য কিলোয়াট-ঘন্টা একক ব্যবহৃত হয়।
❐ এক কিলোয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন কোন যন্ত্র এক ঘন্টা কাজ করলে যে শক্তি ব্যয় হয় তাকে এক কিলোয়াট-ঘন্টা বলে।
❐ কোন পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য পরিমাপ করা হয় ভোল্ট একক দ্বারা।
১০৬. কিসের সাহায্যে সমুদের গভীরতা নির্ণয় করা হয়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৬ (সিলেট বিভাগ) ☞1.12.06 📖 14th BCS General Apr, 1992 📖 ১০ম বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন পরীক্ষা-(স্কুল/সমপর্যায়-২)-৩০.০৫.১৪
সাধারণ বিজ্ঞান
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝প্রতিধ্বনির সাহায্যে সমুদ্রের গভীরতা নির্ণয় করা হয়।
❐ কোন শব্দ উৎস থেকে শব্দ করা হলে তা কোন কঠিন তলে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে আবার যদি শব্দের উৎসের নিকট ফিরে আসে, তখন সেই শব্দের পুনরাবৃত্তি শোনা যায়, শব্দের এই পুনরাবৃত্তিকেই শব্দের প্রতিধ্বনি বলে।
❐ প্রতিধ্বনি শোনার জন্য মূলধ্বনি ও প্রতিধ্বনি শোনার মধ্যবর্তী সময়ের পার্থক্য ০.১ সেকেন্ড হওয়া প্রয়োজন।
শব্দের প্রতিধ্বনিকে কাজে লাগিয়ে সমুদ্রের গভীরতা নির্ণয় করা হয়।
হাইড্রোফোন নামে এক রকমের যন্ত্রের সাহায্যে মূল শব্দ এবং প্রতিধ্বনির মধ্যে সময়ের ব্যবধান নিখুঁতভাবে পাওয়া যায়।
❐ প্রতিধ্বনির ব্যবহারসমূহ-
❖ ১. হিমশৈল জাহাজের অস্তিত্ব নির্ণয়ে
❖ ২. বিভিন্ন মাধ্যমে শব্দের বেগ নির্ণয়ে
❖ ৩. পাতলা পাতের পুরুত্ব নির্ণয়ে
❖ ৪. ক্ষতিকারক অণুজীব ধ্বংস করতে প্রতিধ্বনি ব্যবহার করা হয়
❖ ৫. সমুদ্রের গভীরতা নির্ণয় করবার ক্ষেত্রে।
১০৭. কেঁচোর রক্তে হিমোগ্লোবিন কোথায় থাকে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৬ (সিলেট বিভাগ) ☞1.12.06
সাধারণ বিজ্ঞান
২
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝কেঁচো হলো Annelida (অ্যানিলিডা) পর্বের প্রাণী।
❐ এর রক্ত সংবহনতন্ত্র বদ্ধ প্রকৃতির, রক্তের বর্ণ লাল হয়।
❐ কেঁচোতে লোহিত রক্ত কণিকা নেই বলে হিমোগ্লোবিন রক্তপ্রবাহের মাঝে দ্রবীভূত হয়।
১০৮. একটি সরল দোলককে পৃথিবীর কেন্দ্রে নিলে তার দোলনকাল কত হবে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৬ (সিলেট বিভাগ) ☞1.12.06 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -করতোয়া- ২৪.০২.১২ 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (সুরমা) ☞14.4.13
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝একটি ভারী আয়তনহীন বস্তুকণাকে ওজনহীন, নমনীয় এবং অপ্রসারণশীল সুতা দিয়ে ঝুলিয়ে দিলে এটি যদি ঘর্ষণ এড়িয়ে স্বাধীনভাবে দুলতে পারে তবে তাকে সরল দোলক বলে।
কৌণিক বিস্তার অল্প হলে-
সরল দোলকের দোলনকাল, T = 2π √(L/g).
এখানে, t= দোলনকাল, L= কার্যকরী দৈর্ঘ্য (সূতার দৈর্ঘ্য+দোলকপিন্ডের ব্যাসার্ধ), g= অভিকর্ষজ ত্বরণ।
❐ উপরের সূত্রমতে আমরা পাই,
❖ ১. সরল দোলকের দোলনকাল কাযকরী দৈর্ঘ্য ও অভিকর্ষজ ত্বরণের উপর নির্ভরশীল।
❖ ২. একটি সরল দোলককে পৃথিবীর কেন্দ্রে নিলে তার দোলনকাল অসীম হবে, কারণ পৃথিবীর কেন্দ্রে অভিকর্ষজ ত্বরণের মান শূন্য। এক্ষেত্রে দোলকঘড়ি চলবে না।
❖ ৩. গ্রীষ্মকালে দোলকঘড়ি ধিরে চলে। কারন, অধিক তাপমাত্রার জন্য দোলকের কার্যকরী দৈর্ঘ্য বাড়ে, ফলে দোলককাল বাড়ে এবং ঘড়ি ধিরে চলে।
❖ ৪. শীতকালে দোলকঘড়ি দ্রুত চলে। কারণ, কম তাপমাত্রায় দোলকের কার্যকরী দৈর্ঘ্য কমে, ফলে দোলককাল কমে এবং ঘড়ি দ্রুত চলে।
❖ ৫. দোলকঘড়ি বিষুবরেখা হতে মেরু অঞ্চলে নিলে ঘড়ি দ্রুত চলবে। কারণ, বিষুবরেখার চেয়ে মেরু অঞ্চলে অভিকর্ষজ ত্বরণের মান বেশি। ফলে দোলনকাল কমবে এবং ঘড়ি দ্রুত চলবে।
❖ ৬. দোলককে পাহাড়ের উপর নিয়ে গেলে অভিকর্ষজ ত্বরণের মান কম বলে দোলনকাল বাড়বে।
❖ ৭. কোন সরল দোলকের কার্যকরী দৈর্ঘ্য ৯ গুণ বাড়লে দোলনকাল ৩ গুণ বাড়বে, আর মাধ্যাকর্ষণ জনিত ত্বরণ ৯ গুণ বাড়লে দোলনকাল ৩ গুণ কমবে।
১০৯. অতিবেগুনি রশ্মি কোথা হতে আসে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৭ (বরিশাল বিভাগ) ☞7.9.07 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -পদ্মা- ২৪.০২.১২ 📖 অর্থ মন্ত্রণালয়ের সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন- এন্ট্রি অপারেটর-৭.১২
সাধারণ বিজ্ঞান
২
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝-জীবজগতের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর রশ্মি হলো গামা রশ্মি।
-গামা রশ্মির ভেদন ক্ষমতা, অন্য তেজস্ক্রিয় রশ্মি আলফা ও বিটা রশ্মির চেয়ে অনেক বেশি।
❐ গামা রশ্মি প্রায় কয়েক সেন্টিমিটার পর্যন্ত সীসা ভেদ করতে পারে।
❐ আলট্রাভায়োলেট বা অতিবেগুনি রশ্মি সূর্য থেকে আসে, যা তেজস্ক্রিয় রশ্মি থেকে কম ক্ষতিকর।
❐ গামা রশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম হওয়ায় এর ভেদন ক্ষমতাও সবচেয়ে বেশি। পারমাণবিক বিস্ফোরণে গামা রশ্মি নির্গত হয়।
❐ বিটা ও আলফা রশ্মি গামা রশ্মির তুলনায় কম ক্ষতিকর।
১১০. ‘আয়োডিন’ পাওয়া যায়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৭ (বরিশাল বিভাগ) ☞7.9.07 📖 নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে জেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী সচিব-০৭.০৫.০৪
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝- সামুদ্রিক শৈবালে আয়োডিন পাওয়া যায়।
❐ হ্যালোজেন হলো সামুদ্রিক লবণ উৎপাদক।
❐ হ্যালোজেন বলতে ফ্লোরিন, ক্লোরিন, ব্রোমিন ও আয়োডিন এই ৪ টি মৌলকেই বুঝায়।
❐ তাই আয়োডিনের প্রধান উৎস সামুদ্রিক শৈবাল।
১১১. প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৭ (বরিশাল বিভাগ) ☞7.9.07
সাধারণ বিজ্ঞান
৪
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান হলো মিথেন। প্রাকৃতিক গ্যাসে এর পরিমাণ প্রায় ৮০%।
❐ এছাড়াও প্রাকৃতিক গ্যাসে ইথেন, প্রোপেন, বিউটেন, আইসোবিউটেন, পেন্টেন ইত্যাদি উপাদানও উপস্থিত থাকে।
❐ বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত যে প্রাকৃতিক গ্যাস পাওয়া গিয়েছে, তার ৯৯.৯৯% উপাদান হলো মিথেন।
১১২. E = mc2 সূত্রটি কার?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৭ (বরিশাল বিভাগ) ☞7.9.07
সাধারণ বিজ্ঞান
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝E = mc² সূত্রের আবিষ্কারক আলবার্ট আইনস্টাইন।
যেখানে, E = শক্তি, m = ভর, c = আলোর বেগ।
❐ ১৯০৫ সালে তিনি দেখান যে, পদার্থ এবং শক্তি প্রকৃতপক্ষে অভিন্ন। পদার্থকে শক্তিতে রূপান্তরিত করা যায়।
একে আইনস্টাইনের 'থিওরি অফ রিলেটিভিটি' বা 'আপেক্ষিকতাবাদ' বলা হয়।
১১৩. প্রাকৃতিক গ্যাসের উপাদান হলো -
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৭ (রাজশাহী বিভাগ) ☞7.9.07 📖 11th BCS General Oct, 1991 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -পদ্ম- ১১.০৯.০৯
সাধারণ বিজ্ঞান
৪
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান হলো মিথেন।
প্রাকৃতিক গ্যাসের উপাদানগুলো হলো:
❐ মিথেন - ৮০% - ৯০%
❐ ইথেন - ১৩%
❐ প্রোপেন - ৩%
▣ এছাড়া বিউটেন, ইথিলিন ও নাইট্রোজেনও কিছু পরিমাণ থাকে।
▣ আমাদের বাংলাদেশে প্রাপ্ত প্রাকৃতিক গ্যাসে মিথেনের পরিমাণ ৯৫% - ৯৯%।
১১৪. থার্মোফ্লাস্ক কয় স্তরবিশিষ্ট পাত্র?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৭ (রাজশাহী বিভাগ) ☞7.9.07
সাধারণ বিজ্ঞান
৩
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝থার্মোফ্লাস্ক তিন স্তরবিশিষ্ট পাত্র।
এতে একটি আউটার কেসিং থাকে এবং ভিতরে একটি দ্বিস্তর বিশিষ্ট গ্লাস/সিলভারের লেয়ার থাকে।
❐
১১৫. কলেরা অথবা ডায়ারিয়া আক্রান্ত রোগীকে স্যালাইন খেতে দেয়া হয় কেন ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৭ (রাজশাহী বিভাগ) ☞7.9.07
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝কলেরা অথবা ডায়ারিয়া হলে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে লবণ ও পানি বের হয়ে যায়।
দেহের পানি ও লবণের ঘাটতি পূরণের জন্য আক্রান্ত রোগীকে স্যালাইন খেতে দেয়া হয়।
❐ ডায়রিয়ার ব্যাপ্তি কমিয়ে আনার জন্য জিংক চমৎকার কাজ করে। তাই এখন স্যালাইনের পাশাপাশি জিংকও ডায়রিয়ার জরুরি পথ্য।
তবে কোন বয়সি রোগী কতটা জিংক গ্রহণ করবেন সেটার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
❐ স্যালাইন জীবন রক্ষাকারী হিসাবে যেমন কাজ করে, তেমনি এটি সঠিক নিয়মে না খাওয়ালে জটিলতা আরও বাড়তে পারে। তাই এই ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত সবার।
সেলাইন খাওয়ার সঠিক নিয়ম - []
১১৬. পিতল হলো-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৭ (রাজশাহী বিভাগ) ☞7.9.07
সাধারণ বিজ্ঞান
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝দুই বা ততোধিক ধাতু পরস্পরের সাথে মিশে যে সমসত্ব বা অসমসত্ব মিশ্রণ উৎপন্ন করে সেই কঠিন ধাতব পদার্থকে সংকর ধাতু বলে।
▣ যেমন- কাঁসা বা ব্রোঞ্জ হলো কপার ও টিনের সংকর ধাতু।
▣ পিতল হলো তামা ও দস্তার (জিঙ্ক) সংকর ধাতু।
▣ সংকর ধাতু পিতলে ৬৫% তামা এবং ৩৫% দস্তা মিশ্রিত থাকে।
১১৭. তাপ সঞ্চালনের দ্রুততম প্রক্রিয়া কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৭ (রাজশাহী বিভাগ) ☞7.9.07 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ঝিলাম- ০৮.১১.১৩ 📖 Krishi Bank - Officer - 2004
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝তাপ সঞ্চালন হয় তিন প্রক্রিয়ায়।
১) পরিবহন,
২) পরিচলন,
৩) বিকিরণ।
পরিবহন এবং পরিচলন প্রক্রিয়ায় তাপ সঞ্চালনের জন্য মাধ্যমের প্রয়োজন হয়, এবং এই দুই পদ্ধতিতে মাধ্যমকে উত্তপ্ত করে তাপ সঞ্চালন করতে হয়।
কিন্তু বিকিরণ পদ্ধতিতে তাপ সঞ্চালনে মাধ্যমের প্রয়োজন হয় না। সূর্য থেকে তাপ পৃথিবীতে এভাবেই আসে। তাই বলা যায় তাপ সঞ্চালনের দ্রুততম প্রক্রিয়া হচ্ছে বিকিরণ।
১১৮. কোনটি একবীজপত্রী উদ্ভিদ নয়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৭ (রাজশাহী বিভাগ) ☞7.9.07 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ঝিলাম- ০৮.১১.১৩ 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (করতোয়া) ☞14.4.13
সাধারণ বিজ্ঞান
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝যেসব উদ্ভিদের বীজে দুটি বীজপত্র থাকে, তাদের দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদ বলে।
যেমন: আম, জাম, কাঁঠাল।
❐ যেসব উদ্ভিদের বীজে একটি মাত্র বীজপত্র থাকে, তাদের একবীজপত্রী উদ্ভিদ বলে।
যেমন: ধান, গম, ভুট্টা, নারিকেল, খেজুর।
১১৯. মানবদেহে মোট কশেরুকা কয়টি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৭ (সিলেট বিভাগ) ☞7.9.07
সাধারণ বিজ্ঞান
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝মেরুদন্ড : অ্যাটলাস অস্থি থেকে কক্কিক্স অস্থি পর্যন্ত বিস্তৃত দন্ডাকৃতির যে গঠন মানবদেহের কেন্দ্রীয় অক্ষ গঠন করে তাকে মেরুদন্ড বা শিরদাঁড়া বলে।
❐ ৩৩টি অসম আকৃতির সীমিত সঞ্চালনক্ষম অস্থিখন্ডক সমন্বয়ে মেরুদন্ড গঠিত। এ সকল অস্থিখন্ডককে কশেরুকা বলে।
❐ কশেরুকাগুলো কোমলাস্থি নির্মিত চাকতি দ্বারা পরস্পর যুক্ত থাকে।
এদের সিমফাইসিস স্থির অবস্থায় বা চলমান অবস্থায় এটি দেহের ভারসাম্য রক্ষা করে।
১২০. ত্বকের সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায় কে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৭ (সিলেট বিভাগ) ☞7.9.07
সাধারণ বিজ্ঞান
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝কেঁচো ত্বকের সাহায্যে শ্বাসকার্য সম্পন্ন করে।
❐ এরা মাটির নিচে বাস করে।
❐ কেঁচো মাটির উর্বরা শক্তির জন্য বিশাল আশীর্বাদ।
❐ এরা ফসলের জমি ওলট-পালট করে উপরের মাটি নিচে ও নিচের মাটি উপরে তুলে আনে।
❐ তাই কেঁচোকে প্রকৃতির লাঙ্গল বলা হয়।
১২১. কোনটি ছোঁয়াচে রোগ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৮ (ধানসিঁড়ি) ☞31.10.08 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (বুড়িগঙ্গা) ☞14.4.13
সাধারণ বিজ্ঞান
৩
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝যে সকল রোগের বিস্তার রোগীর সংস্পর্শে বা ছোঁয়ায় বিস্তার লাভ করে তাদেরকে ছোঁয়াচে রোগ বলে।
❐ ছোঁয়াচে রোগের উদাহরণ হলো-
❐ জলবসন্ত,
❐ হুপিংকাশি,
❐ কলেরা,
❐ ধনুষ্টংকার,
❐ যক্ষ্মা,
❐ মাম্পস,
❐ ফাইলেরিয়া,
❐ পাঁচড়া ইত্যাদি।
১২২. নিচের কোনটি যকৃতের রোগ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৮ (ধানসিঁড়ি) ☞31.10.08 📖 প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৮ (দড়াটানা) ☞31.10.08 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (শীতলক্ষ্যা) ☞14.4.13
সাধারণ বিজ্ঞান
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝লোহিত রক্তকণিকার অধিক ভাঙন কিংবা যকৃত বা পিত্তনালীর কোনো সমস্যার কারণে রক্তে বিলিরুবিনের পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত হয়ে যেতে পারে।
❐ এই বিলিরুবিন তখন শরীরের বিভিন্ন অংশে জমা হতে থাকে। এ অবস্থাকে বলা হয় জন্ডিস।
১২৩. কোন ভিটামিনের অভাবে শিশুদের রিকেটস্ রোগ হয়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৮ (ধানসিঁড়ি) ☞31.10.08 📖 ১০ম বেসরকারি প্রভাষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন পরিক্ষা-৩১.০৫.১৪ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -করতোয়া- ২৪.০২.১২
সাধারণ বিজ্ঞান
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝ভিটামিন ডি(D) এর অভাবে রিকেটস রোগ হয়।
এছাড়া ভিটামিন সি(C) এর অভাবে স্কার্ভি;
ভিটামিন বি১(B1) এর অভাবে বেরিবেরি;
এবং ভিটামিন এ(A) এর অভাবে রাতকানা রোগ হয়।
১২৪. উত্তর গোলার্ধ সূর্যের নিকটতম স্থানে অবস্থান করে-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৮ (যমুনা) ☞31.10.08 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -বেলী- ১১.০৯.০৯
সাধারণ বিজ্ঞান
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝সূর্যের চর্তুদিকে পৃথিবীর পরিভ্রমণের সময় পৃথিবী ২১ শে জুন তারিখে পৃথিবীর কক্ষপথের এমন এক স্থানে এসে পৌঁছে, যখন উত্তর মেরু সূর্যের দিকে সর্বাপেক্ষা বেশি (২৩.৫০) ঝুঁকে থাকে অর্থাৎ কর্কটক্রান্তি রেখায় সূর্য লম্বভাবে কিরণ দেয়।
বিপরীতক্রমে এই সময়ে দক্ষিণ মেরু বা মকরক্রান্তিতে পৃথিবী সূর্য হতে সবচেয়ে বেশি দূরুত্বে থাকে।
যার দরুণ দেখা যায়, ২১ শে জুন উত্তর গোলার্ধে দিন সবচেয়ে বড় এবং রাত্রি সবচেয়ে ছোট হয়।
অপরদিকে, দক্ষিণ গোলার্ধে, এই দিনটি সবচেয়ে ছোট এবং রাত্রি সবচেয়ে বড় হয়। দক্ষিণ গোলার্ধে সবচেয়ে ছোট দিন হওয়ার কারন এই দিনে সূর্য ও দক্ষিণ গোলার্ধের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দূরত্ব থাকে।
১২৫. কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ও জিহ্বায় ঘা হয়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৮ (যমুনা) ☞31.10.08
সাধারণ বিজ্ঞান
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝ভিটামিন বি-১ বা থায়ামিনের অভাবে বেরিবেরি রোগ হয়। এর অভাবে স্নায়ুর দুর্বলতা, মানসিক অবসাদ, ক্লান্তি, খাওয়ার অরুচি, ওজনহীনতা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়৷
▣ ভিটামিন বি-২ বা রাইবোফ্ল্যাভিন এর অভাবে ঠোঁটের দুপাশে ফাটল দেখা যায়, মুখে ও জিভে ঘা হয়।
▣ ভিটামিন বি-৫ বা নিয়াসিনের অভাবে পেলেগ্রা হয়।
▣ ভিটামিন বি-১২ বা সায়ানোকোবালামিনের অভাবে রক্তশূন্যতা ও স্নায়ুতন্ত্রের অবক্ষয় দেখা যায়।
১২৬. শরীরের কোনো অংশ পোড়া গেলে তৎক্ষণাৎ প্রাথমিক ব্যবস্থা কি নেয়া উচিত?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৮ (যমুনা) ☞31.10.08
সাধারণ বিজ্ঞান
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝প্রাথমিক অবস্থায় আক্রান্ত স্থানে স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি ছাড়া অন্য কিছুই ব্যবহার করা যায়না।
▣ ঠান্ডা পানি, বরফ, কুসুম গরম পানি⇢কোনোটাই পুড়ে যাওয়া স্থানের জন্য উপযোগী নয়।
▣ খুব ঠান্ডা পানি দিলে আক্রান্ত স্থানের কোষগুচ্ছ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।
▣ তবে আক্রান্ত স্থানে ডিম ভেঙ্গে শুধু সাদা অংশ দিয়ে প্রলেপ দিলে কোষগুচ্ছ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে না।
১২৭. একজন পূর্ণবয়স্ক লোকের প্রতিদিন পানি গ্রহণ করা প্রয়োজন প্রায়-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৮ (যমুনা) ☞31.10.08
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝প্রাপ্তবয়স্ক ও কর্মক্ষম নারী - পুরুষের প্রতিদিন দুই থেকে তিন লিটার পানি পান করা প্রয়োজন।
▣ তবে দিনে কতটুকু পানি পান করতে হবে, তা নির্ভর করে মূলত আবহাওয়া ও শারীরিক শ্রমের ওপর।
▣ শীতকালের চেয়ে গরমকালে শরীরে পানির চাহিদা বেড়ে যায় আবহাওয়ার কারণেই।
▣ যারা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ঘামেন, তাঁদের জন্য একটু বেশি পানি পান করা জরুরি।
▣ তবে একজন পূর্ণবয়স্ক লোকের প্রতিদিন পানি গ্রহণ করা প্রয়োজন প্রায় -২.৫ লিটার।
১২৮. নাড়ির স্পন্দন প্রবাহিত হয়—
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (পদ্মা ) ☞14.4.13
সাধারণ বিজ্ঞান
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝নাড়ির স্পন্দন ধমনীর ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
❐ ধমনি মূলত রক্তনালি।
❐ যেসব রক্তনালির মাধ্যমে অক্সিজেনসমৃদ্ধ রক্ত হৃৎপিণ্ড থেকে সারা দেহে বাহিত হয়, তাই ধমনি।
❐ ধমনীর প্রাচীরের মধ্যস্তর পেশিবহুল ও পুরু।
❐ এর রক্তের গতির দিক সাধারণত হৃৎপিণ্ড থেকে দেহের বিভিন্ন দিকে।
১২৯. রক্তে হিমোগ্লোবিনের কাজ কি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (পদ্মা ) ☞14.4.13 📖 34th BCS General May, 2013 📖 25th BCS General Sep, 2004
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝অক্সিজেন পরিবহন করা রক্তে হিমোগ্লোবিনের কাজ।
❐ রক্তের মাধ্যমে পুরো দেহে অক্সিজেন ও বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান পরিবাহিত হয়ে থাকে।
❐ রক্তের তিনটি কণিকার মধ্যে লোহিত কণিকায় থাকে বিশেষ ধরনের আয়রন, যাকে বলা হয় হিমোগ্লোবিন।
❐ এই হিমোগ্লোবিনের প্রধান কাজ হলো ধমনী থেকে দেহের সব স্থানে অক্সিজেন সরবরাহ করা।
❐ হিমোগ্লোবিন অক্সিজেনের সাথে যুক্ত হয়ে অক্সিহিমোগ্লোবিন যৌগ গঠন করে অক্সিজেন পরিবহন করে।
১৩০. পৃথিবীর ঘূর্ণনের ফলে আমরা ছিটকে পড়ি না কেন?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (পদ্মা ) ☞14.4.13
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝মাধ্যাকর্ষণ বলের জন্য পৃথিবীর ঘূর্ণনের ফলে আমরা ছিটকে পড়ি না।
❐ কোনো বস্তুকে পৃথিবী যে বল দ্বারা নিজের দিকে টানে তাকে মাধ্যাকর্ষণ বল বলে।
❐ যে বস্তুর ভর যত বেশি, তার মাধ্যাকর্ষণ শক্তিও ততই বেশি।
❐ চাঁদ পৃথিবীর চেয়ে ছোট ও তার ভর কম হওয়ায় পৃথিবীর চেয়ে চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি কম।
❐ ভূ-পৃষ্ঠের উপরে বা নিচের দিকে যত যেতে থাকব, পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তিও ততটাই কমতে থাকবে।
১৩১. কত তাপমাত্রায় পানির ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (পদ্মা ) ☞14.4.13 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -হেমন্ত- ১৩.০৮.১০ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -হেমন্ত- ১৩.০৮.১০
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝৪° সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় পানির ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি।
❐ ঘনত্ব পদার্থের একটি সাধারণ ধর্ম।
❐ কোনো বস্তুর একক আয়তনের ভরকে তার উপাদানের ঘনত্ব বলে।
❐ ঘনত্ব বস্তুর উপাদান ও তাপমাত্রার উপর নির্ভরশীল।
❐ ঘনত্বকে ρ দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
❐ m ভরের কোনো বস্তুর আয়তন V হলে, ঘনত্ব ρ হবে। অর্থাৎ, p = m/v
১৩২. শৈবালের বৈশিষ্ট্য কি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (পদ্মা ) ☞14.4.13 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - গামা- ১৮.০৪.১৪
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝শৈবাল স্ব-ভোজী হয়ে থাকে। অর্থাৎ, এরা নিজের খাদ্য নিজেরাই তৈরি করে থাকে।
❐ শৈবালের বৈশিষ্ট্যাবলী-
১। এরা সবাই অপুষ্পক।
২। এরা স্বভোজী অর্থাৎ সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় নিজেরা নিজেদের খাদ্য প্রস্তুত করতে পারে।
৩। এরা প্রকৃতকোষী, এককোষী অথবা বহুকোষী হয়। এরা সমাঙ্গদেহী উদ্ভিদ অর্থাৎ এদেরকে মূল, কান্ড এবং পাতায় বিভক্ত করা যায় না ।
৪ । এদের দেহে ভাস্কুলার টিস্যু (পরিবহন টিস্যু) থাকে না।
৫। অধিকাংশ শৈবালের জননাঙ্গ এককোষী। কোন কোন শৈবালের জননাঙ্গ বহুকোষী হয়। জননাঙ্গ বহুকোষী হলে তা বন্ধ্যা কোষের স্তর দিয়ে পরিবেষ্টিত থাকে না ।
৬। এদের রেণুথলী (স্পোরাঞ্জিয়া) সব সময় এককোষী।
৭। এদের জাইগোট স্ত্রীজননাঙ্গে থাকা অবস্থায় কখনও বহুকোষী ভ্রূণে পরিণত হয় না ।
৮। এদের কোষ প্রাচীর সাধারণত সেলুলোজ ও পেকটিন দিয়ে গঠিত।
৯। গ্যামিটের মিলনের পরেও এদের বহুকোষী ভ্রূণ গঠিত হয় না।
১০। সামান্য ব্যতিক্রম ছাড়া এদের সঞ্চিত খাদ্য শর্করা।
১৩৩. ক্লোরোফিল ছাড়া সম্পন্ন হয় না -
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (পদ্মা ) ☞14.4.13 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -হেমন্ত- ১৩.০৮.১০
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝ক্লোরোফিল ছাড়া সালোকসংশ্লেষণ সম্পন্ন হয় না ।
❐ ক্লোরোফিল হচ্ছে এক ধরনের সবুজ রঞ্জক পদার্থ, যা উদ্ভিদের ক্লোরোপ্লাস্টিডে পাওয়া যায়।
❐ এর উপস্থিতির জন্য গাছের পাতা সবুজ দেখায়।
❐ ম্যাগনেসিয়াম ও লৌহ ক্লোরোফিল তৈরির অতি প্রয়োজনীয় উপাদান।
❐ ক্লোরোফিল সূর্যের আলো থেকে আলোকশক্তি শোষণ করে রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তর করে, যার সাহায্যে উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে খাদ্য তৈরি করে। - যে সকল উদ্ভিদে ক্লোরোফিল থাকে না সে সকল উদ্ভিদ নিজে নিজের খাদ্য তৈরি করতে পারে না।
১৩৪. সিএফসি কি ক্ষতি করে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (পদ্মা ) ☞14.4.13 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -ড্যাফোডিল- ১২.১০.১২ 📖 সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক .০১
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝সিএফসি ওজোন স্তর ধ্বংস করে।
❐ CFC-এর পূর্ণরূপ হলো ক্লোরো-ফ্লুরো-কার্বন।
❐ মূলত মিথেন বা ইথেনের ক্লোরিন ও ফ্লোরিনের জাতকসমূহকে সিএফসি বলা হয়।
❐ গন্ধহীন, অদাহ্য, অবিষাক্ত এবং নিম্ন গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক বিশিষ্ট এসব যৌগের বাণিজ্যিক নাম ফ্রেয়ন।
❐ সিএফসি'র ক্ষতিকর দিকসমূহ-
❖ ১. প্রাণীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
❖ ২. ত্বকের ক্যান্সার, চোখের ছানি এবং বিভিন্ন মারাত্মক রোগ সৃষ্টি।
❖ ৩. খাদ্যশস্যের ক্ষতি করে এবং উৎপাদন কমিয়ে দেয়।
❖ ৪. কৃষিক্ষেত্রে পোকামাকড়ের আক্রমণ বৃদ্ধি করে।
❖ ৫. খাদ্য উৎপাদনকারী শৈবাল ও প্লাঙ্ককটন ধ্বংস করে।
❐ CFC এর ব্যবহারের দিকসমূহ-
১। কীটনাশক ও পোকামাকড় দমনের জন্য বিষাক্ত দ্রবণ তৈরিতে দ্রাবক হিসাবে CFC ব্যবহার করা হয়।
২। শ্বাস-প্রশ্বাসের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ইনহেলার, মেডিক্যাল স্প্রে-প্রভূতি ক্ষেত্রে CFC ব্যবহার করা হয়।
৪। সার্জিক্যাল যন্ত্রপাতি পরিষ্কার করার কাজে CFC ব্যবহার করা হয়।
১৩৫. ভূত্বকের গভীরতা (প্রায়) -
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (পদ্মা ) ☞14.4.13 📖 সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপসহকারী পরিচালক/সহকারী ব্যবস্থাপক-৫.০৫
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝ভূত্বকের গভীরতা ১৬ কিমি (প্রায়)।
❐ পৃথিবীর বিভিন্ন স্তরকে বলে মণ্ডল।
❐ ভূগর্ভের রয়েছে তিনটি স্তর⇢অশ্মমণ্ডল, গুরুমণ্ডল ও কেন্দ্রমণ্ডল।
❐ এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ওপরের স্তরটি হলো অশ্মমণ্ডল। আর অশ্মমণ্ডলের ওপরের অংশই ভূত্বক।
❐ ভূপৃষ্ঠে শিলার যে কঠিন বহিরাবরণ দেখা যায় তাই ভূত্বক। ভূতত্ত্ববিদগণের মতে, দুই বা ততোধিক খনিজ দ্রব্যের সংমিশ্রণে শিলার সৃষ্টি হয়।
❐ সাধারণত পাথর, নুড়ি, কাঁকর, গ্রানাইট, কাদা, বালু ইত্যাদি দিয়ে ভূত্বক গঠিত।
❐ মহাদেশীয় ভূত্বকের স্তরকে সিয়াল স্তর বলে, যা সিলিকন ও অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে গঠিত।
১৩৬. পৃথিবীর মূল মধ্যরেখা হতে পূর্ব বা পশ্চিমে কোনো স্থানের কৌণিক দূরত্বকে বলা হয়—
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (পদ্মা ) ☞14.4.13
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝ভূ-পৃষ্ঠের কোনো স্থানে মূল মধ্যরেখার সাথে পৃথিবীর কেন্দ্রবিন্দুতে সৃষ্ট কৌণিক দূরত্বকে দ্রাঘিমাংশ বলে।
❐ যে কাল্পনিক রেখার মাধ্যমে দ্রাঘিমাংশ প্রকাশ করা হয়, তাকে দ্রাঘিমা রেখা বলে ।
❐ অর্থাৎ পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ মেরু সংযোগকারী কাল্পনিক রেখাসমূহ দ্রাঘিমা রেখা (Latitude)। - প্রতিটি দ্রাঘিমারেখা একেকটি অর্ধবৃত্ত।
❐ দ্রাঘিমা রেখাসমূহ পরস্পরের সাথে সমদূরত্বে অবস্থিত নয়, অর্থাৎ মেরুদ্বয়ে এই রেখাগুলো পরস্পরের সর্বাপেক্ষা নিকটে অবস্থান করে এবং নিরক্ষরেখা বরাবর সর্বাপেক্ষা দূরে অবস্থান করে।
◻️
১৩৭. সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহ -
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (পদ্মা ) ☞14.4.13 📖 কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়➟2008➯C ইউনিট 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -জবা- ১১.০৯.০৯
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহ হচ্ছে বৃহস্পতি।
❐ সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহ বৃহস্পতিকে গ্রহরাজ বলা হয়।
❐ পৃথিবীর তুলনায় বৃহস্পতি প্রায় ১৩০০ গুণ বড়।
❐ সূর্য থেকে গড় দূরত্ব ৭৭ কোটি কিলোমিটার।
❐ বৃহস্পতির সূর্যের চারিদিকে একবার আবর্তন করতে সময় লাগে প্রায় ১২ বছর।
❐ বৃহস্পতির উপগ্রহের সংখ্যা ১৬টি।
❐ বৃহস্পতির বায়ুমন্ডলে হাইড্রোজেন, অ্যামোনিয়া, মিথেন এবং হিলিয়াম রয়েছে।
১৩৮. পৃথিবী হতে সূর্যের গড় দূরত্ব -
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (পদ্মা ) ☞14.4.13
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝পৃথিবী হতে সূর্যের গড় দূরত্ব ১৫ কোটি কিমি প্রায়।
❐ সৌরজগতের কেন্দ্রে অবস্থিত মাঝারি আয়তনের নক্ষত্র সূর্য।
❐ পৃথিবীর ব্যাস প্রায় ১৩,০০০ কিলোমিটার এবং সূর্যের ব্যাস প্রায় ১৪,০০০০০ কিলোমিটার।
❐ সূর্যের আয়তন পৃথিবী অপেক্ষা প্রায় ১৩ লক্ষ গুণ বড়।
❐ পৃথিরী থেকে এর গড় দূরত্ব প্রায় ১৫০ মিলিয়ন কিলোমিটার।
❐ সূর্য তার নিজস্ব গ্যালাক্সির চতুর্দিকে বৃত্তাকার পথে ২০ কোটি বছরে একবার প্রদক্ষিণ করে এবং নিজ কক্ষপথে প্রায় ২৫ দিনে একবার আবর্তন করে।
❐ সূর্যের কেন্দ্রভাগে তাপমাত্রা ৮ মিলিয়ন থেকে ৪০ মিলিয়ন ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং পৃষ্ঠদেশের তাপমাত্রা প্রায় ৫,৭০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
❐ সূর্যের বিকিরণকৃত তাপের মাত্র ২০০ কোটি ভাগের ১ ভাগ পৃথিবীতে আসে। যার দরুণ ভূ-পৃষ্ঠে উদ্ভিদ ও প্রাণী বেঁচে থাকে ।
১৩৯. পৃথিবীর পরিধি—
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (পদ্মা ) ☞14.4.13 📖 খাদ্য অধিদপ্তরের উপ-খাদ্য পরিদর্শক-২৫.০৫.১২ 📖 জীবন বীমা কর্পোরেশন (অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক) 03-09-2021
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝পৃথিবীর পরিধি ৩৬০ ডিগ্রি।
❐ পৃথিবীকে বলা হয় আদর্শ গ্রহ। কারণ একমাত্র পৃথিবী গ্রহেই উদ্ভিদ ও প্রাণীর বসবাসের উপযোগী পরিবেশ রয়েছে।
❐ সূর্য থেকে পৃথিবীর গড় দূরত্ব প্রায় ১৫ কোটি কিলোমিটার।
❐ এর ব্যাস প্রায় ১৩ হাজার কিলোমিটার ।
❐ পৃথিবী সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে সময় লাগে ৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড।
❐ পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ।
১৪০. আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ দিয়ে নির্গত গলিত পদার্থকে বলা হয় -
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (পদ্মা ) ☞14.4.13
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝আগ্নেয়গিরির সংজ্ঞা (Definition of Volcano) :
❐ ভূ-গর্ভস্থ তাপ ও চাপের পরিবর্তনের ফলে ভূ-অভ্যন্তরস্থ উত্তপ্ত, ও গলিত বিভিন্ন পদার্থ, যেমন: উষ্ণ বাষ্প, গলিত শিলা, কাঁদা, ধাতু, ভষ্ম ইত্যাদি প্রবলবেগে ভূ-ত্বকের নিচের অংশে চাপ প্রয়োগ করে ।
❐ এমতাবস্থায়, ভূ-ত্বকের দুর্বল স্থান বা ফাটলসমূহের ভিতর দিয়ে উক্ত পদার্থগুলো উৎক্ষিপ্ত হয়ে বহু দুর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।
❐ ভূ-পৃষ্ঠের ঐ ছিদ্র পথ বা ফাটলের চারপাশে উক্ত পদার্থগুলো জমাট বেঁধে ক্রমশ উঁচু পর্বতের ন্যায় ভূমিরূপ গঠন করে। এইরূপ পর্বতকে আগ্নেয়গিরি বলা হয়।
❐ আগ্নেয়গিরি থেকে যে পদার্থগুলো বাইরে উৎক্ষিপ্ত হয়ে বেরিয়ে আসে,তাকে লাভা (Lava) বলে।
❐ বাইরে উৎক্ষিপ্ত হয়ে বেরিয়ে আসার পূর্ব পর্যন্ত এই পদার্থগুলো ম্যাগমা (Magma) নামে পরিচিত।
❐ আগ্নেয়গিরির অভ্যন্তরে বিশাল এলাকা জুড়ে ম্যাগমা অর্থাৎ উত্তপ্ত ও গলিত শিলা, কাঁদা, ভষ্ম ও বাষ্প জমাকৃত হয়ে থাকে, যাকে ম্যাগমা চেম্বার বলা হয়।
◻️
১৪১. সমুদ্রবায়ু প্রবলবেগে প্রবাহিত হয়—
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (পদ্মা ) ☞14.4.13 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -বেলী- ১১.০৯.০৯
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝দিনের বেলায় স্থলভাগ বেশি উত্তপ্ত হয় বলে সেখানে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়, কিন্তু জলভাগ বেশি উত্তপ্ত হয় না বলে সেখানকার বায়ু উচ্চচাপ যুক্ত হয়। ফলে এ সময় জলভাগ থেকে স্থলভাগের দিকে বায়ু প্রবাহিত হয়। একে সমুদ্রবায়ু বলে।
❐ এ বায়ু সকাল ১০টা থেকে প্রবাহিত হতে থাকে।
❐ বিকালে (অপরাহ্ণে) এ বায়ুর বেগ সবচেয়ে বেশি হয়।
❐ রাত ৩টায় স্থলবায়ুর বেগ সবচেয়ে বেশি হয়।
◻️
১৪২. একটি বায়ুশূন্য স্থানে একটি পালক ও একটি লোহার বল একত্রে ছেড়ে দিলে -
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (পদ্মা ) ☞14.4.13
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝একটি বায়ুশূন্য স্থানে একটি পালক ও একটি লোহার বল একত্রে ছেড়ে দিলে উভয়টিই একসাথে পড়বে।
❐ পড়ন্ত বস্তু সম্পর্কে গ্যালিলিও তিনটি সূত্র প্রদান করেন। সূত্রগুলো একমাত্র স্থির অবস্থান থেকে বিনা বাধায় পড়ন্ত বস্তুর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
❐ প্রথম সূত্র : স্থির অবস্থান এবং একই উচ্চতা থেকে বিনা বাধায় পড়ন্ত সব বস্তু সমান সময়ে সমান পথ অতিক্রম করে।
❐ প্রথম সূত্র : এ সূত্রানুসারে স্থির অবস্থান থেকে কোনো বস্তু ছেড়ে দিলে তা যদি বিনা বাধায় মাটিতে পড়ে, তাহলে মাটিতে পড়তে যে সময় লাগে তা বস্তুর ভর, আকৃতি বা আয়তনের ওপর নির্ভর করে না। বিভিন্ন ভরের, আকারের ও আয়তনের বস্তুকে যদি একই উচ্চতা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং এগুলো যদি বিনা বাধায় মুক্তভাবে পড়তে থাকে, তাহলে সবগুলোই একই সময়ে মাটিতে পৌঁছবে।
❐ দ্বিতীয় সূত্র : স্থির অবস্থান থেকে বিনা বাধায় পড়ন্ত বস্তুর নির্দিষ্ট সময়ে (t) প্রাপ্ত বেগ (v) ওই সময়ের সমানুপাতিক।
❐ দ্বিতীয় সূত্র : দ্বিতীয় সূত্র থেকে পাওয়া যায় t সেকেন্ড শেষে বস্তুর বেগ v সমানুপাতিক t, অর্থাৎ কোনো বস্তুকে যদি স্থির অবস্থান থেকে বিনা বাধায় পড়তে দেওয়া হয়, তবে প্রথম সেকেন্ড পরে যদি এটি v বেগ অর্জন করে, তবে দ্বিতীয় সেকেন্ড পরে এটি 2v বেগ অর্জন করবে। সুতরাং t₁, t₂, t₃... সেকেন্ড পরে যদি বস্তুর বেগ যথাক্রমে v1, v2, v3... ইত্যাদি হয়, তবে এ সূত্রানুসারে, v1/t1=v2/t2=v3/t3...=ধ্রুবক
❐ তৃতীয় সূত্র : স্থির অবস্থান থেকে বিনা বাধায় পড়ন্ত বস্তু নির্দিষ্ট সময়ে যে দূরত্ব (h) অতিক্রম করে, তা ওই সময়ের (t) বর্গের সমানুপাতিক।
❐ তৃতীয় সূত্র : তৃতীয় সূত্র থেকে পাওয়া যায় : সেকেন্ডে বস্তুর অতিক্রান্ত দূরত্ব h সমানুপাতিক t²। অর্থাৎ কোনো বস্তুকে যদি স্থির অবস্থান থেকে বিনা বাধায় পড়তে দেওয়া হয়, তবে এক সেকেন্ডে এটি h দূরত্ব অতিক্রম করে, দুই সেকেন্ডে এটি h×22 বা 4h দূরত্ব, তিন সেকেন্ডে এটি h×32 বা 9h দূরত্ব অতিক্রম করবে।
১৪৩. মোটর গাড়ীতে ব্যবহৃত দর্পণ—
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (পদ্মা ) ☞14.4.13 📖 জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর গ্রেড-১০ ➺পিএসসি ☞18.3.23
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝মোটর গাড়ীতে উত্তল দর্পণ ব্যবহৃত হয়।
❐ উত্তল দর্পণের প্রতিফলক তল উঁচু থাকে। এটি আপতিত আলোক রশ্মিকে চারিদিকে ছড়িয়ে দেয়।
❐ এই দর্পণে সবসময় অসদ, সোজা এবং লক্ষ্যবস্তু থেকে ছোট প্রতিবিম্ব গঠিত হয়, তাই যে সব ক্ষেত্রে বড় আকারের বা বেশি এলাকার দৃশ্য সহজে এক সাথে ছোট করে দেখার প্রয়োজন সে সব ক্ষেত্রে উত্তল দর্পণ ব্যবহার করা হয়।
❐ উত্তল দর্পণের ব্যবহারসমূহ-
❖ ১. বড় বড় ভবন হাসপাতাল, অফিস বা শপিং মলে মাঝে মাঝে উত্তল দর্পণ বসান হয় এতে পুরো তলার মধ্যে কোথায় কী আছে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে খুটিনাটি দেখা যায় এবং লোকজন চলাচলে পরস্পরের সাথে ধাক্কা ধাক্কির ঝুঁকিও এড়ানো যায় ।
❖ ২. এক ধরণের বিশালাকার উত্তল দর্পণ মন্দির, মসজিদ, সপিং কমপ্লেক্স- বিভিন্ন জনসমাগম স্থানে উপর থেকে ঝুলিয়ে দেয়া হয়। এত নিচের সমস্ত এলাকা এক সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা যায়। এদের বলা হয় সীলিং ডোম মিরর। এটি ভবনের ছাদের সাথে কোণায়, পাশে বা কেন্দ্র বরাবরও স্থাপন করা হয়।
❖ ২. সানগ্লাসে উত্তল দর্পণ ব্যবহার করা হয়। এতে সানগ্লাস পরিহিত ব্যাক্তির চোখে পতিত সৌর রশ্মি প্রতিফলিত হয়ে চোখকে উত্তাপ ও তীক্ষ্ণ আলো থেকে রক্ষা করে।
❖ ৩. মোটর গাড়ী, মোটর সাইকেল ইত্যাদি দ্রুতগামী গাড়ির চালকের সামনে একটি উত্তল দর্পণ থাকে। একে বলা হয় রিয়ার ভিউ মিরর। চালক গাড়ি চালানোর সময় পেছনের দৃশ্য দেখার জন্য এটি প্রয়োজন হয়।
এতে পেছন থেকে আসা গাড়ি এবং পেছনের দিকের বিস্তীর্ণ এলাকার চিত্র এক সাথে চালকের চোখে পড়ে। রিয়ার ভিউ মিরর চালককে অনেক রকম দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা করতে পারে।
❖ ৪. ইদানিং শহরের রাস্তায় অনেক এটিএম বুথ চোখে পরে। এই বুথে গ্রাহকের সামনে দেয়ালে উত্তল দর্পণ লাগানো থাকে। এতে বুথ ব্যবহারকারী তার পেছনে কেউ আছে কিনা নিরীক্ষণ করতে পারেন । এটি একটি নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা। এতে ডাকাত ছিনতাইকারীর থেকে সতর্ক থাকা যায় ।
❖ ৫. যে সব এলাকায় বা যায়গায় সহজে যাওয়া যায়না বা ঢোকা সম্ভব হয় না সেসব স্থান দেখা বা নিরীক্ষণের জন্য একটি সঠিক মাপের লাঠির সাথে একটি উত্তল দর্পণ এবং আলোর উৎস লাগিয়ে নেয়া হয়। গাড়ীর তলা পরীক্ষা করা জন্য পুলিশ চেক পোষ্ট বা গুরুত্বপূর্ণ ভবনে এর ব্যাপক ব্যবহার দেখা যায়। গাড়ি মেরামতের কাজসহ বিভিন্ন কারিগরি কাজে এর ব্যবহার চোখে পড়ে ।
❖ ৬. রাস্তার আলো প্রতিফলক হিসাবে কোন কোন দেশে রাস্তায় বিশাল বিশাল সাইজের ধাতব উত্তল দর্পণ বসান হয়। এই দর্পণ বিস্তীর্ণ এলাকায় আলো ছড়িয়ে দিতে পারে।
❖ ৭. অনেক যায়গায় রাস্তার বাঁকে বিশাল সাইজের ধাতব উত্তল দর্পণ বসান হয়। এতে বাকের কারণে দূর থেকে থেকে আগত যেসব গাড়ি, যা বরাবর তাকিয়ে দৃষ্টি গোচর হওয়া সম্ভব নয় তা দেখা যায়। ফলে মারাত্মক সংঘর্ষ এড়ানো যায় ।
১৪৪. যখন সূর্য ও পৃথিবীর মধ্যে চাঁদ অবস্থান করে তখন হয় —
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (পদ্মা ) ☞14.4.13 📖 23rd BCS General Mar, 2001 📖 রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -শিউলি- ০৯.১২.১১
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝সূর্যগ্রহণ
❐ যখন সূর্য ও পৃথিবীর মধ্যে চাঁদ অবস্থান করে তখন হয় সূর্যগ্রহণ।
❐ চাঁদ যখন পৃথিবীর কক্ষপথে ঘোরে, তখন তার প্রদক্ষিণ পথে কখনও কখনও চাঁদ এসে পড়ে সূর্য এবং পৃথিবীর মাঝখানে। তখন তারা থেকে আলোর বিচ্ছুরণ বাধাগ্রস্ত হয় এবং সূর্যের গ্রহণ ঘটে।
❐ অন্যভাবে বললে বলা যায়, চাঁদ এই সময় পৃথিবীকে তার ছায়ায় ঢেকে ফেলে।
❐ =
◻️
◻️ চন্দ্রগ্রহণ
❐ চন্দ্রগ্রহণ হয় যখন চাঁদ আর সূর্যের মাঝখানে থাকে পৃথিবীর অবস্থান।
❐ পৃথিবী তখন আলোর উৎস বন্ধ করে দেয়।
❐ চন্দ্রগ্রহণের সময় আমরা দেখি চাঁদের পিঠে পৃথিবীর ছায়া।
❐
১৪৫. ক্রনোমিটার হচ্ছে -
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (পদ্মা ) ☞14.4.13
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝সময় নির্ণায়ক যন্ত্রটির নাম হচ্ছে ক্রনোমিটার।
❐ বিশেষ করে সমুদ্রে দ্রাঘিমাংশ নির্ধারণের জন্য ব্যবহৃত হয়।
◻️
❐ ভূমিকম্প নির্ণায়ক যন্ত্র সিসমোগ্রাফ।
❐ ভূমিকম্পের তীব্রতা মাপার যন্ত্র রিখটার স্কেল।
❐ সমুদ্রের গভীরতা নির্ণায়ক যন্ত্র ফ্যাদোমিটার।
◻️
◻️
১৪৬. বিদ্যুৎ প্রবাহের একক -
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (পদ্মা ) ☞14.4.13
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝অ্যাম্পিয়ার হচ্ছে বিদ্যুৎ প্রবাহের একক।
❐ কোনো পরিবাহীর মধ্য দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে এক কুলম্ব চার্জ অতিক্রম করলে যে তড়িৎ প্রবাহমাত্রার সৃষ্টি হয় তাকে অ্যাম্পিয়ার বলে।
❐ ১. কার্যপ্রণালীর ভিত্তিতে ট্রান্সফর্মার দুই প্রকার। যথা:
ক. উচ্চ ধাপী বা আরোহী ট্রান্সফর্মার
খ. নিম্ন ধাপী বা অবরোহী ট্রান্সফর্মার
❐ ২. আকৃতি ও গঠন অনুসারে ট্রান্সফর্মার দুই প্রকার। যথা:
ক. কোর আকৃতি
খ. শেল আকৃতি
১৪৭. কোন বর্ণের আলোর প্রতিসরণ সবচাইতে বেশি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (পদ্মা ) ☞14.4.13 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2016➯গ ইউনিট 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2008➯ক ইউনিট
সাধারণ বিজ্ঞান
৩
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝বেগুনি বর্ণের আলোর প্রতিসরণ সবচাইতে বেশি হয়ে থাকে।
❐ কোনো সমসত্ব ও স্বচ্ছ মাধ্যমে আলো সরলরেখায় চলে। এর গতির কোন পরিবর্তন হয় না । কিন্তু আলো যখন এক স্বচ্ছ মাধ্যম থেকে অন্য স্বচ্ছ মাধ্যমে প্রবেশ করে তখন এর গমন পথ বেঁকে যায় (আলো লম্বভাবে মাধ্যম পরিবর্তন করলে দিক পরিবর্তন হয় না তবে বেগের পরিবর্তন হয়)। এক স্বচ্ছ মাধ্যম থেকে অন্য স্বচ্ছ মাধ্যমে যাওয়ার সময় দুই মাধ্যমের বিভেদ তলে তীর্যকভাবে আপতিত আলোক রশ্মির দিক পরিবর্তনের ঘটনাকে আলোর প্রতিসরণ বলে।
১৪৮. একজন মানুষ কি অবস্থায় পৃথিবীকে সবচেয়ে কম চাপ দেয়?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (পদ্মা ) ☞14.4.13
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝চাপ বলতে একক ক্ষেত্রফলের কোনো বস্তুর উপর লম্বভাবে প্রযুক্ত বলকেই বোঝায়।
❐ মানুষ দাঁড়িয়ে অথবা, বসা অবস্থায় ক্ষেত্রফলের পরিমাণ এর থেকে শোয়া অবস্থায় ক্ষেত্রফলের পরিমাণ অনেক বেশি হয়।
❐ শোয়া অবস্থায় মানুষের দৈহিক ওজন ক্ষেত্রফলের পুরোটা ছড়িয়ে পড়ে বলে চাপের পরিমাণ কমে যায়।
❐ এই কারণে, একজন মানুষ শোয়া অবস্থায় পৃথিবীকে কম চাপ দেয়।
১৪৯. সহসা দরজা খুলতে চাইলে দরজার কোথায় বল প্রয়োগ করা উচিত?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (পদ্মা ) ☞14.4.13
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝কব্জার কাছে বল প্রয়োগ করার চেয়ে কব্জার বিপরীত প্রান্তে বল প্রয়োগ করলে সহজে দরজা খুলে যায়।
◻️ কারণ বিপরীত প্রান্তে অল্প বল প্রয়োগ করলে দরজা খুলে যাবে।
১৫০. বর্ণালির প্রান্তীয় বৰ্ণ কি কি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (পদ্মা ) ☞14.4.13 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -করতোয়া- ০৮.০১.১০
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝বর্ণালির প্রান্তীয় বৰ্ণগুলো হচ্ছে- বেগুনী এবং লাল।
◻️
◻️ আলোর বিক্ষেপণ নির্ভর করে এর রং ও তরঙ্গদৈর্ঘ্যের উপর।
দৃশ্যমান আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের ক্রমঃ বেগুনি
আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য কম হলে তার বিক্ষেপণ বেশি হয়।
আবার আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি হলে তার বিক্ষেপণ তত কম হয়।
লাল রঙের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি তাই এর বিক্ষেপণ কম।
বর্ণালীতে বিভিন্ন ধরণের আলোর বিচ্যুতি/বিক্ষেপণের ক্রমঃ বেগুণী নীল আসমানী সবুজ হলুদ কমলা লাল।
◻️
১৫১. শূন্য মাধ্যমে শব্দের বেগ কত?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (পদ্মা ) ☞14.4.13
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝শূন্য মাধ্যমে শব্দের বেগ শুন্য হয়ে থাকে।
❐ শব্দ তরঙ্গাকারে সঞ্চারিত হয়। তরঙ্গ একক সময়ে যে দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে তরঙ্গ বেগ বা দ্রুতি বলে। একই ভাবে বলা যায় শব্দ তরঙ্গ একক সময়ে যে দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে শব্দের বেগ বা দ্রুতি বলে। লক্ষ্য করেছেন ঝড়-বৃষ্টির সময় কখনও কখনও বজ্রপাত হয়। হঠাৎ আকাশে বিদ্যুৎ চমক বা প্রচন্ড আলোর ঝলকানি দেখা যায়, তার বেশ কিছুক্ষণ পরে প্রবল বজ্রনাদ বা বাজ পড়ার শব্দ শোনা যায়। আসলে আকাশে দুটি বিপরীত দিকে ধাবমান মেঘের পরস্পরের সাথে ঘর্ষণের ফলে একই সময়ে অগ্নি স্ফুলিঙ্গ এবং শব্দ সৃষ্টি হয়। আমরা আলো আগে দেখি, শব্দ পরে শুনি। কারণ আলো দ্রুত আমাদের চোখে পৌঁছায় শব্দ পৌছাতে বেশি সময় লাগে। এ থেকে আমরা সহজেই বলতে পারি শব্দের দ্রুতি আলোর দ্রুতির থেকে অনেক কম ।
১৫২. সালোকসংশ্লেষণ সবচেয়ে বেশি পরিমাণে হয়-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (সুরমা) ☞14.4.13 📖 26th BCS General Dec, 2000 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - আলফা- ১৮.০৪.১৪
সাধারণ বিজ্ঞান
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝যে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সবুজ উদ্ভিদ কোষে সূর্যালোকের উপস্থিতিতে, পরিবেশ থেকে গৃহীত কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO₂) ও মূল দ্বারা শোষিত জলের বিক্রিয়ায় শর্করা জাতীয় খাদ্যের সংশ্লেষ ঘটে এবং গৃহীত কার্বন ডাইঅক্সাইডের সমপরিমাণ অক্সিজেন প্রকৃতিতে নির্গত হয়, তাকে সালোকসংশ্লেষণ বলে।
❐ লাল, নীল, কমলা এবং বেগুনি অংশটুকুতেই সালোকসংশ্লেষ ভালো হয় আর সবুজ কিংবা হলুদ আলোতে সালোকসংশ্লেষ ভালো হয় না। একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত আলোর পরিমাণ বাড়লে সালোকসংশ্লেষণের হারও বেড়ে যায়। কিন্তু আলোর পরিমাণ অত্যধিক বেড়ে গেলে পাতার ভিতরকার এনজাইম নষ্ট হয়ে যায়, ক্লোরোফিল উৎপাদন কম হয়। ফলে সালোকসংশ্লেষণের হারও কমে যায়। সাধারনত ৪০০-৪৮০ ন্যানোমিটার এবং ৬৮০ ন্যানোমিটার তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট আলোতে সালোকসংশ্লেষণ সবচেয়ে ভালো হয়।
১৫৩. পৃথিবী তৈরীর প্রধান উপাদান হচ্ছে-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (সুরমা) ☞14.4.13 📖 তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ টেলিভিশনের অডিয়েন্স রিসার্স অফিসার-৬.০৬
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝পৃথিবীর উপরিভাগের কঠিন আবরণকে ভূত্বক বলা হয়।
ভূত্বকের গড় গভীরতা ২০ কি.মি.।
❐ ভূত্বক গঠনকারী উপাদানসমূহ হলো:
❐ অক্সিজেন : ৪৬.৬ ভাগ
❐ সিলিকন : ২৭.৭ ভাগ
❐ অ্যালুমিনিয়াম : ৮.১ ভাগ
❐ লোহা : ৫ ভাগ
❐ ক্যালসিয়াম : ৩.৬ ভাগ
❐ সোডিয়াম : ২.৮ ভাগ
❐ পটাশিয়াম : ২.৬ ভাগ
❐ ম্যাগনেসিয়াম : ২.১ ভাগ।
❐ অপশনে যেহেতু অক্সিজেন নেই, তাই সঠিক উত্তর হিসেবে সিলিকন নেয়া হয়েছে।
কারণ প্রদত্ত অপশনগুলোর মধ্যে ভূত্বক গঠনে সিলিকনের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি।
❐
১৫৪. মানুষ কোন পর্বের অর্ন্তভুক্ত?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (সুরমা) ☞14.4.13
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝মানুষ (Homo Sapiens) হলো কর্ডাটা (Chordata) পর্বের প্রাণি।
❐ কর্ডাটা পর্বের প্রাণীর বৈশিষ্ট্যসমূহ:
❐ ১. ভ্রূণ অবস্থায় অথবা সারা জীবন পৃষ্ঠ মধ্যরেখা বরাবর নিরেট (Solid), দণ্ডাকৃতির (Rod-shaped) ও স্থিতিস্থাপক (Elastic) নটোকর্ড (Notochord) বর্তমান যা মেরুদণ্ডীদের (Vertebrates) পূর্ণাঙ্গ প্রাণীতে মেরুদণ্ড (Vertebral column) দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়।
❖ ২. নটোকর্ডের (Notochord) পৃষ্ঠদেশ (Dorsal side) বরাবর ফাঁপা ও নলাকার স্নায়ু-রজ্জু (Nerve cord) উপস্থিত। মেরুদণ্ডীদের ক্ষেত্রে এটির অগ্রপ্রান্তে মস্তিষ্ক (Brain) এবং এর পশ্চাতে সুষুম্নাকাণ্ড (Spinal cord) গঠিত হয়।
❖ ৩. উন্নত কর্ডেট (Higher Chordates) ছাড়া অধিকাংশ প্রাণীতে সারা জীবন অথবা জীবনের যে কোন দশায় গলবিলে পার্শ্বীয়ভাবে কয়েক জোড়া ফুলকা রন্ধ্র (Gill slits) বর্তমান।
❖ ৪. মেরুদণ্ডীদের অন্তঃকঙ্কাল বিশিষ্ট দু’জোড়া পদ (অগ্রপদ ও পশ্চাৎ পদ) বর্তমান।
❖ ৫. এন্ডোস্টাইল (Endostyle) উপস্থিত যা পরবর্তীতে থাইরয়েড গ্রন্থিতে (Thyroid glands) রূপান্তরিত হয়।
❖ ৬. পায়ু (Anus) পরবর্তী পেশীবহুল ও স্থিতিস্থাপক লেজ (Tail) উপস্থিত।
❖ ৭. উন্নত পরিপাকতন্ত্র পরিপাক গ্রন্থিবিশিষ্ট এবং পাকস্থলী (Stomach) ও অন্ত্র (Intestine) সুস্পষ্টভাবে আলাদা।
❖ ৮. রক্ত সংবহনতন্ত্র বদ্ধ প্রকৃতির। অঙ্কীয় দিকে অবস্থিত হৃদযন্ত্র, পৃষ্ঠীয় ও অঙ্কীয় রক্তনালী নিয়ে রক্ত সংবহনতন্ত্র গঠিত। হেপাটিক পোর্টাল তন্ত্র (Hepatic portal system) উন্নত প্রকৃতির।
❖ ৯. জলজ শ্বসন (Aquatic respiration) ফুলকার (Gill) সাহায্যে এবং বায়বীয় শ্বসন (Arial respiration) ফুসফুসের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ে থাকে।
❖ ১০. অধিকাংশ প্রাণীতে কোমলাস্থি (Cartilage) অথবা অস্থি (Bone) নির্মিত কঙ্কাল দৈহিক অবকাঠামো তৈরি করে।
❖ ১১. বিরল ব্যতিক্রম ছাড়া সকলেই একলিঙ্গ (Dioecious) প্রাণী।
১৫৫. ‘শীতনিদ্রা’ দেখা যায়-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (সুরমা) ☞14.4.13
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝যে প্রাণীর শরীরের তাপমাত্রা পরিবেশের সাথে ওঠানামা করে তাকে শীতল রক্তবিশিষ্ট প্রাণী বলে।
যেমন- ব্যাঙ একটি শীতল রক্তবিশিষ্ট প্রাণী।
❐ শীতকালে শীতল রক্তবিশিষ্ট প্রাণী নিষ্ক্রিয় জীবনযাপন করে। একে শীতনিদ্রা বলে।
❐ শীতনিদ্রায় যাওয়া প্রাণীর বিপাক, শ্বসন, রক্ত সঞ্চালন অত্যন্ত নিম্ন পর্যায়ের থাকে। এ সময় এরা খাদ্য গ্রহণ না করে দেহে সঞ্চিত স্নেহ পদার্থ থেকে প্রয়োজনীয় শক্তি পেয়ে থাকে।
❐ যে সকল প্রানীর তাপমাত্রা পরিবেশের তাপমাত্রার তারতম্যের সাথে ওঠানামা করে না, তাদেরকে উষ্ণ রক্তবিশিষ্ট প্রাণী বলে। যেমন- মানুষ, বানর, গরু, ছাগল, ভেড়া, বাদুড় ইত্যাদি প্রানী।
১৫৬. সমুদ্রপৃষ্ঠে বায়ুর স্বাভাবিক চাপ কত?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (সুরমা) ☞14.4.13 📖 রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -গোলাপ- ০৯.১২.১১
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝বায়ুর চাপ হচ্ছে ভূপৃষ্ঠের প্রতি একক জায়গায় বায়ুর গ্যাসের অনুগুলোর সংঘর্ষের ফলে প্রদত্ত বল।
সমুদ্রপৃষ্ঠের বায়ুর স্বাভাবিক চাপ ৭৬ সেন্টিমিটার বা ৭৬০ মিলিমিটার বা ২৯.৯২ ইঞ্চি পারদ স্তম্ভের সমান।
১৫৭. হাড় ও দাঁতকে মজবুত করে-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (সুরমা) ☞14.4.13 📖 34th BCS General May, 2013 📖 26th BCS General Dec, 2000
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস হাড় ও দাঁতকে মজবুত করে।
❐ হাড়ের ক্ষয় কমাতে সাহায্য করে।
❐ রক্ত তঞ্চন, পেশী সংকোচন ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে।
❐ ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস খাদ্যের উৎস: ম্যাকরেল মাছ, স্যামন মাছ, ডিমের সাদা অংশ, সয়া মিল্ক, দুধ, মাশরুম, চিজ, কমলালেবুর রস ইত্যাদি।
❐ (অপশনে শুধুমাত্র ফসফরাস উল্লেখ আছে, ক্যালসিয়াম নেই। তাই সঠিক উত্তর হবে ফসফরাস)
১৫৮. একটি সরল দোলককে পৃথিবীর কেন্দ্রে নিলে তার দোলনকাল কত হবে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (সুরমা) ☞14.4.13 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -করতোয়া- ২৪.০২.১২ 📖 প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৬ (সিলেট বিভাগ) ☞1.12.06
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝পৃথিবীর কেন্দ্রে অভিকর্ষজ ত্বরণের মান শূন্য। তাই একটি সরল দোলককে পৃথিবীর কেন্দ্রে নিলে তার দোলনকাল অসীম হবে।
❐ একটি পূর্ণ দোলন এর জন্য সরল দোলকের যে সময় লাগে তাকে দোলনকাল বলে।
❐ দোলনকাল অভিকর্ষজ ত্বরণের বর্গমূলের ব্যস্তানুপাতিক।
১৫৯. কোন রঙের বস্তুর তাপ শোষণ ক্ষমতা বেশি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (সুরমা) ☞14.4.13 📖 বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়➟2017➯C ইউনিট 📖 14th BCS General Apr, 1992
সাধারণ বিজ্ঞান
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝সূর্যের আলো সাতটি রঙের সমষ্টিতে সৃষ্টি হয়। আর কালো রঙ সেই সাতটি রঙই শোষণ করতে সক্ষম।
❐ তাই অন্যান্য কাপড়ের তুলনায় কালো কাপড় তাড়াতাড়ি গরম হয়ে ওঠে।
❐ কোন বস্তুর উপর আপতিত আলো থেকে বস্তু যে তরঙ্গ রশ্মিটা ফিরিয়ে দেয় বস্তুর রঙ হিসেবে আমরা তাই দেখতে পাই। ফিরিয়ে দেয়া আলোক তরঙ্গের শক্তি সে বস্তু সঞ্চয় করে না।
❐ কালো বস্তুর ক্ষেত্রে সে সব তরঙ্গের আলো শোষন করে নেয়। ফলে কালো বস্তুর তাপ শোষন ক্ষমতা বেশি হয়।
১৬০. সংকর ধাতু ব্রোঞ্জের উপাদান হলো-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (সুরমা) ☞14.4.13 📖 রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -শাপলা- ০৯.১২.১১ 📖 পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের জেলা সমন্বয়কারী - 22.12.17
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝সংকর ধাতু ব্রোঞ্জের উপাদান হলো তামা ও টিন।
▣ ২৫ - ১০ % টিন ও ৭৫ - ৯০ % কপার এর সমন্বয়ে এই সংকর ধাতুটি তৈরি।
▣ ব্রোঞ্জ ধাতু কাঁসা নামেও বহুল পরিচিত।
▣ সংকর ধাতু হলো একাধিক ধাতু বা একটি ধাতুর সাথে বিভিন্ন উপাদানের মিশ্রণ।
১৬১. নিচের কোন যৌগটি ভিটামিন ‘সি’?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (সুরমা) ☞14.4.13 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -কর্ণফুলী- ২৪.০২.১২
সাধারণ বিজ্ঞান
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝অ্যাসকরবিক এসিড হল ভিটামিন- সি এর অপর নাম।
❐ কমলা লেবু, বাতাবি লেবু, পাতিলেবু, আনারস, আম, জাম, গরুর দুধ, মাছ ও মাংস ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়।
❐ ভিটামিন সি এর অভাবে বিভিন্ন রোগ হয়।
যেমন-স্কার্ভি, শিশুদের মাড়ি ফুলে যাওয়া, দেহের ওজন হ্রাস হওয়া, রক্তশূন্যতা ইত্যাদি রোগ হয়।
১৬২. পাতা পীত বর্ণ ধারণ করে কিসের অভাব?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (সুরমা) ☞14.4.13 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -বসন্ত- ১৩.০৮.১০
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝গাছের পাতা পীত বর্ণ ধারণ করে নাইট্রোজেনের অভাবে।
❐ নাইট্রোজেনের অভাবে গাছের ক্লোরোফিল সৃষ্টিতে বিঘ্ন ঘটে।
❐ গাছের পাতাগুলো হলুদ হয়ে যায়।
❐ ধীরে ধীরে কচি পাতা গুলো হলুদ হয় এবং পীতবর্ণ ধারণ করে।
১৬৩. মাটির উর্বরতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে বায়ুর-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (সুরমা) ☞14.4.13 📖 ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়➟2017➯B ইউনিট 📖 ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়➟2013➯C ইউনিট
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝মাটির উর্বরতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে নাইট্রোজেন (N)।
❐ মাটিতে নাইট্রোজেন (N) এর পরিমাণ বৃদ্ধি হয় রাইজোবিয়াম জাতীয় উদ্ভিদের মূলের নডিউলে নাইট্রোজেন সংবন্ধন করে।
❐ মাটিতে নাইটোজেন, অক্সিজেন, কার্বন-ডাই-অক্সাইড সহ ইত্যাদি বায়ুবীয় পদার্থ উপস্থিত থাকে।
১৬৪. রক্তে হিমোগ্লোবিনের কাজ কি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (সুরমা) ☞14.4.13 📖 34th BCS General May, 2013 📖 25th BCS General Sep, 2004
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝হিমোগ্লোবিন ফুসফুস হতে অক্সিজেন দেহের বাকি অংশে পরিবহন করে।
❐ প্রতি গ্রাম হিমোগ্লোবিন ১.৩৬ হতে ১.৩৭ মিলিলিটার অক্সিজেন ধারণ করতে পারে।
❐ এটি অন্যান্য গ্যাস পরিবহন যেমন, এটি কোষকলা হতে CO₂ পরিবহন করে ফুসফুসে নিয়ে যায়।
১৬৫. তাপে কোন ভিটামিন নষ্ট হয়?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (সুরমা) ☞14.4.13
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝ভিটামিন- সি তাপ, আলো ও বাতাসের প্রতি সংবেদনশীল তাই অতিরিক্ত তাপে এটি নষ্ট হয়ে যায়।
❐ অ্যাসকরবিক এসিড হল ভিটামিন- সি এর অপর নাম।
❐ এটি পানিতে দ্রবীভূত হয়।
❐ ভিটামিন- সি একটি জৈব অম্ল, যা টাটকা শাকসবজি ও ফলমূল প্রভৃতিতে পাওয়া যায়।
১৬৬. পানিকে বরফে পরিণত করলে আয়তন —
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (মেঘনা) ☞14.4.13
সাধারণ বিজ্ঞান
৪
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝পানিকে বরফে পরিণত করলে আয়তন বাড়ে।
❐ এ কারণে পানির তুলনায় বরফের ঘনত্ব কম।
❐ একই পরিমাণ পানি যখন বরফে পরিণত হয় তখন বরফের আয়তন বেড়ে যায়।
❐ সমপরিমাণ ওজনের বরফ পানির চেয়ে বেশি জায়গা দখল করে বলেই বরফ পানিতে ভাসে।
❐ বরফ পানিতে ভাসে কারণ বরফের তুলনায় পানির ঘনত্ব বেশি।
১৬৭. বাতাসের উষ্ণতা বাড়লে শব্দের গতি-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (মেঘনা) ☞14.4.13 📖 কর্মসংস্থান ব্যুরো ➺ইন্সট্রাক্টর ☞31.10.22 📖 পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানী ➺টেকনিশিয়ান ☞15.12.23
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝▣ বাতাসের উষ্ণতা বাড়লে শব্দের গতি বাড়ে।
- 0°C বা 273k তাপমাত্রায় শব্দের বেগ 332ms^(-1)।
❐ তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে শব্দের বেগ বেড়ে যায়।
❐ বাতাসের আর্দ্রতা বৃদ্ধি পেলেও শব্দের বেগ বৃদ্ধি পায়।
❐ তাপমাত্রা 1°C বা 1k বাড়লে বাতাসে শব্দের বেগ প্রায় 0.6ms^(-1) বৃদ্ধি পায়।
❐ মাধ্যম ভেদে শব্দের দ্রুতির পরিবর্তন হয়।
❐ মাধ্যম যত ঘন ও স্থিতিস্থাপক হয় শব্দের দ্রুতি তাতে তত বেশি হয়।
❐ বায়বীয় পদার্থে শব্দের দ্রুতি সবচেয়ে কম, তরল পদার্থের মধ্যে তা থেকে বেশি।
❐ কঠিন পদার্থের মধ্যে শব্দের দ্রুতি সবচেয়ে বেশি।
❐ বায়ু চাপের পরিবর্তনে বাতাসে শব্দের বেগ প্রভাবিত হয় না।
১৬৮. একটি নীল কাচকে উত্তপ্ত করলে এর থেকে বের হবে-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (মেঘনা) ☞14.4.13
সাধারণ বিজ্ঞান
২
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝একটি নীল কাচকে উত্তপ্ত করলে এর থেকে বের হবে হলুদ রং।
❐ যখন কোনো নীল কাঁচকে উত্তপ্ত করা হয় তখন সেই কাচ আগুনের অবলোহিত রশ্মির সাথে বিক্রিয়া করে হলুদ রং তৈরি করে।
❐ যার ফলে উৎপন্ন হলুদ রং নির্গত হয়।
১৬৯. বায়ুচাপ মাপার যন্ত্র-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (মেঘনা) ☞14.4.13
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝বায়ুচাপ মাপার যন্ত্র ব্যারোমিটার।
▣ ব্যারোমিটার: টরেসিলি ১৬৪৩ সালে তরল তলের উচ্চতা ও বায়ুচাপের সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে প্রথম বায়ুমন্ডলীয় চাপ পরিমাপের যন্ত্র আবিস্কার করেন। এর নাম ব্যারোমিটার।
❐ ব্যারোমিটারে পারদ স্তভের উচ্চতাকে বায়ুমন্ডলীয় চাপের আদর্শ ধরা হয়।
❐ আদর্শ বায়ু চাপ 76cm পারদ স্তম্ভের ওজনের সমান।
১৭০. ক্লোরোফর্ম ব্যবহৃত হয়—
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (মেঘনা) ☞14.4.13
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝ক্লোরোফরম ব্যবহৃত হয় চেতনা লোপ করার কাজে।
▣ ক্লোরোফর্ম: ইথানল, ব্লিচিং পাউডার ও পানির মিশ্রণকে পাতন করলে ক্লোরোফর্ম পাতিত তরল রূপে সংগৃহীত হয়।
❐ ব্লিচিং পাউডার ও পানি থেকে উৎপন্ন ক্লোরিন দ্বারা ইথানল প্রথমে জারিত হয়ে আ্যাসিটালডিহাইড বা ইথান্যাল উৎপন্ন করে এবং পরে ক্লোরিনেশন দ্বারা ক্লোরাল এবং শেষে ক্ষারীয় বিশ্লেষণের ফলে ক্লোরোফর্ম উৎপন্ন হয়।
❐ চেতনানাশক হিসেবে ক্লোরোফর্ম ব্যবহার করা হয়।
১৭১. আকুপাংচার হলো-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (মেঘনা) ☞14.4.13
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝আকুপাংচার ব্যথা ও রোগ নিরাময় করার জন্য ব্যবহৃত প্রাচীন চৈনিক চিকিৎসাপদ্ধতি।
❐ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় সরু লম্বা সুই ফুটিয়ে চিকিৎসা করা হয়।
❐ বহুপুর্বে চীনা চিকিৎসাবিদ্যার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিলো আকুপাংচার।
১৭২. সৌরকোষে ব্যবহৃত হয়—
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (মেঘনা) ☞14.4.13
সাধারণ বিজ্ঞান
২
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝সৌরকোষে ব্যবহৃত হয় সিলিকন।
❐ সৌরশক্তি হচ্ছে নবায়নযোগ্য শক্তি। সৌর শক্তিকে নবায়নযোগ্য শক্তির অন্যতম ভান্ডার হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
❐ সৌরশক্তির তাপশক্তি ও আলো প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ব্যবহার করা যায়।
❐ সৌরশক্তির প্রত্যক্ষ ব্যবহার হিসেবে সূর্যালোকের তাপশক্তির মাধ্যমে সমুদ্রের পানি থেকে লবণ উৎপাদনে, কৃষিজ শস্য প্রক্রিয়াজাতকরণে ব্যবহার করা যায়। পরোক্ষভাবে, সৌরশক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়।
❐ সৌরশক্তি ব্যবহারের প্রযুক্তি হল সৌরকোষ। সৌরকোষে ব্যবহৃত হয় সিলিকন।
১৭৩. কম্পিউটার একটি -
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (মেঘনা) ☞14.4.13 📖 রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -শিউলি- ০৯.১২.১১ 📖 জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা(NSI) সহকারী পরিচালক-১৬.১০.১৫
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝কম্পিউটার একটি হিসাবকারী যন্ত্র।
❐ কম্পিউটার হলো বিভিন্ন গাণিতিক সমস্যা সমাধানের জন্য তৈরি একটি ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র।
❐ এটি যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ প্রভৃতি গাণিতিক কাজ অত্যন্ত দ্রুত গতিতে ও নির্ভুলভাবে করতে পারে।
❐ গাণিতিক যুক্তি ও সিদ্ধান্ত মূলক কাজও কম্পিউটার নির্ভরতার সাথে করতে পারে।
❐ প্রকৃতপক্ষে, কম্পিউটারের নিজস্ব কোন চিন্তা-চেতনা, শক্তি বা বুদ্ধি নেই। মানুষের দেয়া নির্দেশ অনুযায়ী এই যন্ত্র কাজ করে।
১৭৪. পানির তলায় শব্দ নির্ধারণের যন্ত্র-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (মেঘনা) ☞14.4.13
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝পানির তলায় শব্দ নির্ধারণের যন্ত্র হাইড্রোফোন।
❐ হাইড্রোফোন হল একটি পানির নিচের যন্ত্র যা সমস্ত দিক থেকে সমুদ্রের শব্দ সনাক্ত করে এবং রেকর্ড করে।
❐ অসংখ্য সামুদ্রিক জীব যোগাযোগ, প্রজনন এবং শিকার খোঁজার জন্য শব্দ ব্যবহার করে। যা হাইড্রোফোনের মাধ্যমে শনাক্ত করা যায়।
১৭৫. চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের পাহাড়িয়া অঞ্চলে আছে—
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (মেঘনা) ☞14.4.13 📖 বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়➟2014➯B ইউনিট
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝উষ্ণ প্রস্রবণ (Hot Spring):
- ভূগর্ভ থেকে প্রাকৃতিকভাবে বেরিয়ে আসা এক ধরনের উষ্ণ ঝর্নাধারা যার পানির তাপমাত্রা মানব দেহের তাপমাত্রার চেয়ে বেশি।
❐ পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার বক্রেশ্বর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েলোস্টোন পার্ক, নিউজিল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলের দ্বীপসমূহ, আইসল্যান্ড, ইটালি ও জাপান উষ্ণ প্রস্রবণের জন্য বিখ্যাত।
❐ বাংলাদেশে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের পাহাড়িয়া অঞ্চলে আছে- উষ্ণ প্রস্রবণ।
১৭৬. আগ্নেয়গিরিকে প্রধানত ভাগ করা যায়-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (মেঘনা) ☞14.4.13 📖 40th BCS General May, 2019 40th 📖 ১৪তম বেসরকারি প্রভাষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন পরিক্ষা-২৫.০৮.১৭
সাধারণ বিজ্ঞান
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝আগ্নেয়গিরিকে প্রধানত ভাগ করা যায় ৩ ভাগে।
❐ পৃথিবীর আগ্নেরগিরিসমূহকে প্রধানত তিনটি ভাগে বিভক্ত করা যায়। যেমন:
ক. সক্রিয় আগ্নেয়গিরি
খ. সুপ্ত আগ্নেয়গিরি এবং
গ, মৃত আগ্নেয়গিরি।
১৭৭. উত্তর গোলার্ধ সূর্যের নিকটতম স্থানে অবস্থান করে-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (মেঘনা) ☞14.4.13
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝সূর্যের চর্তুদিকে পৃথিবীর পরিভ্রমণের সময় পৃথিবী ২১ শে জুন তারিখে পৃথিবীর কক্ষপথের এমন এক স্থানে এসে পৌঁছে, যখন উত্তর মেরু সূর্যের দিকে সর্বাপেক্ষা বেশি (২৩.৫০) ঝুঁকে থাকে অর্থাৎ কর্কটক্রান্তি রেখায় সূর্য লম্বভাবে কিরণ দেয়।
বিপরীতক্রমে এই সময়ে দক্ষিণ মেরু বা মকরক্রান্তিতে পৃথিবী সূর্য হতে সবচেয়ে বেশি দূরুত্বে থাকে।
যার দরুণ দেখা যায়, ২১ শে জুন উত্তর গোলার্ধে দিন সবচেয়ে বড় এবং রাত্রি সবচেয়ে ছোট হয়।
অপরদিকে, দক্ষিণ গোলার্ধে, এই দিনটি সবচেয়ে ছোট এবং রাত্রি সবচেয়ে বড় হয়। দক্ষিণ গোলার্ধে সবচেয়ে ছোট দিন হওয়ার কারন এই দিনে সূর্য ও দক্ষিণ গোলার্ধের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দূরত্ব থাকে।
১৭৮. বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদ কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (মেঘনা) ☞14.4.13
সাধারণ বিজ্ঞান
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝বাংলাদেশে প্রাপ্ত খনিজ সম্পদের মধ্যে প্রাকৃতিক গ্যাস প্রধান।
❐ বর্তমানে দেশে ২৮টি গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে।
❐ সর্বশেষ সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলায় দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়।
❐ বিদ্যুৎ উৎপাদন, সারের কাঁচামাল, পরিবহন, গৃহস্থালি প্রভৃতি ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহৃত হয়।
১৭৯. সমুদ্র স্রোতের অন্যতম কারণ -
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (মেঘনা) ☞14.4.13
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝সমুদ্র স্রোতের অন্যতম কারণ বায়ু প্রবাহের প্রভাব।
▣ বায়ুপ্রবাহ:বায়ুপ্রবাহ সমুদ্রস্রোতের অন্যতম প্রভাব।
❐ প্রধান বায়ুপ্রবাহের গতি অনুসরণ করে সমুদ্রের প্রধান শ্রোতগুলো প্রবাহিত হয়।
❐ অয়ন বায়ু প্রবাহিত অঞ্চলে সমুদ্রস্রোত পূর্ব হতে পশ্চিম দিকে এবং প্রত্যয়ন বায়ু প্রবাহিত অঞ্চলে পশ্চিম হতে পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়।
১৮০. পৃথিবীর নিজ অক্ষে আবর্তনের দিক—
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (মেঘনা) ☞14.4.13 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -ক্যামেলিয়া- ১২.১০.১২
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝পৃথিবীর নিজ অক্ষে আবর্তনের দিক পশ্চিম হতে পূর্ব দিকে।
▣ পৃথিবী: সৌরজগতের মাঝারী আকারের একটি গ্রহ (গড় ব্যস হলো ১২,৭৩৪.৫ কি. মি. প্রায়)।
❐ পৃথিবী নিজ কক্ষপথটি ডিম্বাকৃতি ও মোট ৩৬৫ দিন ৫ ঘন্টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড বা এক বছরে সূর্যকে প্রদক্ষিন করে থাকে।
❐ পৃথিবী নিজ অক্ষে পশ্চিম হতে পূর্ব দিকে ২৩ ঘন্টা ৫৬ মিনিট ৪ সেকেন্ড সময়ে আর্বতন করে।
❐ পৃথিবীর একটি মাত্র উপগ্রহ হলো চন্দ্র।
১৮১. পৃথিবীর চারদিকে চাঁদের একবার ঘুরতে লাগে—
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (মেঘনা) ☞14.4.13
সাধারণ বিজ্ঞান
৩
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📌📝▣ চন্দ্র (Moon): চন্দ্র পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ। প্রায় ৩৭.৯ মিলিয়ন বর্গ কি. মি. আয়তন বিশিষ্ট চন্দ্র মোট ২৯ দিন ১২ ঘন্টা ৪৪ মিনিট বা এক চন্দ্র মাসে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে।
❐ চন্দ্রের নিজস্ব কোনো আলো নাই, সূর্যের আলোতে এটি আলোকিত হয়।
❐ এই আলো বিচ্ছুরিত হয়ে পৃথিবীকে রাতের বেলা আলো দেয়।
❐ সুতরাং পৃথিবীর একবার আবর্তন সময়ে অর্থাৎ ২৪ ঘন্টায় চাঁদ তার নিজ অক্ষের প্রায় ১৩° পথ অগ্রসর হয়।
১৮২. পৃথিবীর নিকটতম গ্রহ-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (মেঘনা) ☞14.4.13 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2016➯খ ইউনিট 📖 রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়➟2017➯C ইউনিট
সাধারণ বিজ্ঞান
২
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝পৃথিবীর নিকটতম গ্রহ শুক্র।
▣ শুক্র (Venus): সূর্যের চারদিকে ঘুরে আসতে শুক্রের সময় লাগে ২২৫ দিন।
❐ সূর্য থেকে এর গড় দূরত্ব প্রায় ১০.৮ কোটি কিলোমিটার।
❐ পৃথিবীর নিকটতম গ্রহ শুক্র।
❐ পৃথিবী থেকে শুক্র গ্রহের দূরত্ব ৪.৩ কোটি কিলোমিটার।
❐ ভোর রাতে পূর্ব আকাশে শুক্র গ্রহকে বলা হয় শুকতারা।
❐ সন্ধ্যাবেলায় পশ্চিম আকাশে একে বলা হয় সন্ধ্যাতারা।
❐ শুক্র গ্রহের কোনো উপগ্রহ নেই।
১৮৩. লোহিত কণিকার আয়ুষ্কাল-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (মেঘনা) ☞14.4.13 📖 ১১তম বেসরকারি প্রভাষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন পরিক্ষা-১৩.১২.১৪ 📖 ১১তম বেসরকারি প্রভাষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন পরিক্ষা-১৩.১২.১৪
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝লোহিত কণিকার আয়ুষ্কাল ১২০ দিন।
▣ লোহিত রক্ত কণিকা: মানবদেহের পরিণত লোহিত রক্তকণিকা দ্বি-অবতল, চাকতি আকৃতির এবং নিউক্লিয়াসবিহীন।
❐ এতে হিমোগ্লোবিন নামক রঞ্জন পদার্থ থাকার কারণে লাল বর্ণের হয়। এজন্য এদের Red Blood Cell বা RBC বলে।
❐ লোহিত কণিকা প্রকৃতপক্ষে হিমোগ্লোবিন ভর্তি ভাসমান ব্যাগ এবং চ্যাপ্টা আকৃতির।
❐ এ কারণে লোহিত কণিকা তার আকারের পরিমাণ অক্সিজেন পরিবহনে সক্ষম।
❐ লোহিত কণিকাগুলোর বিভাজন হয় না।
❐ এ কণিকাগুলো সার্বক্ষণিক অস্থিমজ্জার ভিতরে উৎপন্ন হয় এবং রক্তরসে চলে আসে।
❐ মানুষের লোহিত কণিকার আয়ু প্রায় চার মাস অর্থাৎ ১২০ দিন।
১৮৪. সিস্টোলিক চাপ বলতে বুঝায়-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (মেঘনা) ☞14.4.13 📖 রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -শিউলি- ০৯.১২.১১
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝সিস্টোলিক চাপ বলতে বুঝায় হৃৎপিণ্ডের সংকোচন চাপ।
▣ রক্ত সঞ্চালন: মানুষের রক্ত সংবহনতন্ত্র হৃদপিন্ড, ধমনি, শিরা ও কৈশিক জালিকা নিয়ে গঠিত।
❐ মানুষের হৃদপিন্ড অবিরাম সংকুচিত ও প্রসারিত হয়ে ধমনি ও শিরার মাধ্যমে রক্ত পরিবহন করে।
❐ হৃদপিন্ডের স্বতঃস্ফূর্ত সংকোচনকে সিস্টোল এবং প্রসারনকে ডায়াস্টোল বলে।
১৮৫. নিচের কোনটি ভূ-গর্ভস্থ কাণ্ড?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (মেঘনা) ☞14.4.13
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝আদা হলো ভূ-গর্ভস্থ কাণ্ড।
❐ শালগম, গাজর, মূলা মূল এর উদাহরণ।
▣ ভূ-নিম্মস্থ রূপান্তরিত কান্ড: প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকা, খাদ্য সঞ্চয় এবং অঙ্গোজ উপায়ে বংশবিস্তার করার জন্য কিছু কিছু উদ্ভিদের কাণ্ড মাটির নিচে বৃদ্ধি পায়।
❐ এ ধরনের কাণ্ডকে ভূ-নিম্মস্থ রূপান্তরিত কান্ড বলে।
❐ এরা চার প্রকারের। যথা- টিউবার, রাইজোম, কন্দ ও গুড়িকন্দ।
❐ আলু, পেঁয়াজ, আদা ভূ-গর্ভস্থ কান্ডের উদাহরণ।
রাইজোম: আদা, হলুদ প্রভৃতি উদ্ভিদের কাউ রাইজোম-জাতীয়।
❐ এরা মাটির নিচে খাদ্য সঞ্চয় করে সমান্তরাল বা খাড়াভাবে অবস্থান করে।
❐ এদের সুস্পষ্ট পর্ব ও পর্বমধ্য থাকে।
১৮৬. পোলিও ভাইরাস দেহে কীভাবে প্রবেশ করে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (মেঘনা) ☞14.4.13
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝পোলিও ভাইরাস দেহে দূষিত খাদ্য, পানি দ্বারা প্রবেশ করে।
❐ পোলিও একটি সংক্রামক রোগ।
❐ পোলিও ভাইরাস একটি আরএনএ এন্টারো ভাইরাস।
❐ অন্যান্য ভাইরাসের মত এরও কোনো বিপাকীয় এনজাইম নেই।
❐ বাংলাদেশ পোলিও মুক্ত হয় ২০০৬ সালে।
১৮৭. পূর্ণাঙ্গ ব্যক্তির ফুসফুসের বায়ু ধারণ ক্ষমতা কত?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (মেঘনা) ☞14.4.13 📖 বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ~ পরিসংখ্যান সহকারী- 05-11-2021 📖 বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ~ পরিসংখ্যান সহকারী- 05-11-2021
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝পূর্ণাঙ্গ ব্যক্তির ফুসফুসের বায়ু ধারণ ক্ষমতা ৬ লিটার।
▣ ফুসফুস (Lungs): মানুষের হালকা গোলাপী বর্ণের স্পঞ্জের মত নরম দুটি ফুসফুস থাকে।
❐ বাম ফুসফুসটি আকারে ছোট, দুই লোব বিশিষ্ট এবং ডান ফুসফুসটি আকারে বড় ও তিন লোব বিশিষ্ট।
❐ ফুসফুস দুই স্তর যুক্ত প্লিউরা পর্দা দ্বারা আবৃত থাকে।
❐ ভেতরের পর্দাকে ভিসেরাল প্লিউরা এবং বাইরের পর্দাকে প্যারাইটাল প্লিউরা বলে।
❐ ফুসফুসের বায়ু ধারণ ক্ষমতা ৬ লিটার।
১৮৮. আকাশ নীল দেখায় কেন?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (মেঘনা) ☞14.4.13 📖 15th BCS General Apr, 1993
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝আকাশ নীল দেখায় নীল আলোর বিক্ষেপণ অপেক্ষাকৃত বেশি বলে।
❐ কোন কণিকার ওপর আলো পড়লে সেই কণিকা আলোকে বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে দেয়, তাকে আলোর বিক্ষেপণ বলে।
❐ যে আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত কম, সেই আলোর বিক্ষেপণ তত বেশি হয়।
❐ নীল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য কম বলে, নীল আলোর বিক্ষেপণ বেশি হয় এবং আকাশ নীল দেখায়।
১৮৯. প্রেসার কুকারে পানির স্ফুটনাংক-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (মেঘনা) ☞14.4.13 📖 রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -শিউলি- ০৯.১২.১১ 📖 সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ ➺মোটরযান পরিদর্শক ☞31.8.23
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝প্রেসার কুকারে পানির স্ফুটনাংক বেশি হয়।
- বায়ুর চাপ যত বৃদ্ধি পায় পানি বা তরলের স্ফুটনাংক তত বৃদ্ধি পায়।
❐ স্থির আয়তনে প্রেসার কুকারে উচ্চ চাপের সৃষ্টি হয়। ফলে পানির স্ফুটনাংক বেড়ে যায়।
❐ প্রেসার কুকারে বাষ্পের বহির্গমন নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ চাপ বৃদ্ধির ফলে পানি ১২০°সে. বা আরো বেশি উষ্ণতায় ফুটানো যায়।
১৯০. তামার সাথে নিচের কোনটি মেশালে পিতল হয়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৫ (ঢাকা বিভাগ) ☞26.5.05 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -ক্যামেলিয়া- ১২.১০.১২
সাধারণ বিজ্ঞান
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝দুই বা ততোধিক ধাতু পরস্পরের সাথে মিশে যে সমসত্ব বা অসমসত্ব মিশ্রণ উৎপন্ন করে সেই কঠিন ধাতব পদার্থকে সংকর ধাতু বলে।
❐ যেমন: পিতল হলো তামা ও দস্তার (জিঙ্ক) সংকর ধাতু।
❐ কাঁসা বা ব্রোঞ্জ হলো কপার ও টিনের সংকর ধাতু।
১৯১. ‘গ্রীণ হাউজ ইফেক্ট’ বলতে বুঝায়-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৫ (ঢাকা বিভাগ) ☞26.5.05
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝গ্রীন হাউস ইফেক্ট:
❐ পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির মাধ্যমে পরিবর্তনশীল আবহাওয়ার প্রক্রিয়াকে গ্রীন হাউস ইফেক্ট বলে।
❐ বায়ুমন্ডলে উপস্থিত যে সব গ্যাসীয় CO₂, CFC, N₂O₂, CO, O₃ ইত্যাদি পদার্থের আবরণ পৃথিবীকে আচ্ছাদন রূপে ঢেকে রেখে পৃথিবী পৃষ্ঠ হতে বিকিরিত তাপকে মহাশূন্যে ফিরে যেতে বাধা দেয় এবং বায়ুমন্ডলকে উত্তপ্ত রাখে তাদেরকে গ্রীন হাউজ গ্যাস বলে।
❐ পরিবেশ দূষণ এবং গাছপালা কেটে ফেলার ফলে গ্রীনহাউস গ্যাসের পরিমাণ বাড়ছে ফলে সূর্য থেকে তাপ বিকিরিত হয়ে পৃথিবীতে ঢোকার পর যতটা আবার পৃথিবীর বাইরে বিকিরিত হওয়া উচিত তা হচ্ছে না, ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
❐ গ্রিন-হাউজ ইফেক্ট এর ফলে তাপ আটকে পড়ে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের সার্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।
১৯২. পরমাণুর নিউক্লিয়াসে কি কি থাকে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৫ (ঢাকা বিভাগ) ☞26.5.05 📖 দুর্নীতি দমন ব্যুরোর সহকারী উপ-পরিদর্শক.০৪ 📖 নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই ➺ সাব-স্টেশন অ্যাটেনডেন্ট ☞27.1.24
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝পরমাণুর একটি কেন্দ্র আছে, যার নাম নিউক্লিয়াস।
❐ এই নিউক্লিয়াসে প্রোটন ও নিউট্রন অবস্থান করে।
❐ সুতরাং পরমাণুর সকল ধনাত্মক আধান এবং প্রায় সম্পূর্ণ ভরই নিউক্লিয়াসে কেন্দ্রীভূত।
❐ ইলেকট্রন নিউক্লিয়াসের বাহিরে থাকে এবং তার চারদিকে ভ্রমণ করে।
❐ পরমাণু আধান নিরপেক্ষ, কারণ একটি পরমাণুতে যতটি প্রোটন আছে ততটি ইলেকট্রনও আছে।
১৯৩. দৃশ্যমান আলোর ক্ষুদ্রতম তরঙ্গ-দৈর্ঘ্য কোন রঙের আলোর?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৫ (ঢাকা বিভাগ) ☞26.5.05 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2003➯ঘ ইউনিট 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2001➯ঘ ইউনিট
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝দৃশ্যমান আলোক তরঙ্গ:
❐ তাড়িতচৌম্বকীয় বর্ণালির অতিবেগুনি রশ্মির একটি অতি ক্ষুদ্র অংশ আমাদের চোখে দৃশ্যমান হয়, একে বলা হয় দৃশ্যমান আলোক তরঙ্গ।
❐ এই তরঙ্গের তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের পরিসীমা হচ্ছে 4×10^(-7)▫m থেকে 7×10^(-7)▫m মাত্র।
❐ এই পরিসীমার বিভিন্ন তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের জন্য আলোর বিভিন্ন রঙ দেখা যায়।
❐ এদের আসমানি, সবুজ, নীল, হলুদ, বেগুনি, কমলা ও লাল এই সাতটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
❐ দৃশ্যমান আলোর মধ্যে লাল আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি।
❐ দৃশ্যমান আলোর মধ্যে বেগুনি আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম।
১৯৪. লোহার গ্যালভানাইজিং বলতে কী বোঝায়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৭ (ঢাকা বিভাগ) ☞7.9.07
সাধারণ বিজ্ঞান
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝▣ গ্যালভানাইজিং:
❐ লোহাকে গলিত দস্তায় ডুবিয়ে লোহার উপর দস্তার পাতলা প্রলেপ দেয়া হয়।
❐ ঘরের টিনে সহজে মরিচা পড়তে পারে না। গুড়া দুধের টিন বা টিনজাত খাবারের টিনগুলো মূলত লোহা ও ইস্পাতের তৈরি। এর উপর টিনে ধাতুর পাতলা প্রলেপ দেয়া থাকে ফলে এতে মরিচা ধরে না এবং ভিতরকার খাবার নষ্ট হয় না।
❐ এক ধাতুর উপর অন্য ধাতুর প্রলেপ দেয়াকেই গ্যালভানাইজিং বলে।
১৯৫. পৃথিবীর ঘূর্ণনের ফলে আমরা ছিটকে পড়ে যাই না-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৭ (ঢাকা বিভাগ) ☞7.9.07 📖 10th BCS General Apr, 1989 📖 পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের পরিবেশ অধিদপ্তরের সহ-পরিচালক(কারিগরি) সহ-পরিচালক(প্রশাসন) ও রিসার্স অফিসার-৩০.০৩.০৭
সাধারণ বিজ্ঞান
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝মাধ্যাকর্ষণ বলের জন্য পৃথিবীর ঘূর্ণনের ফলে আমরা ছিটকে পড়ি না।
❐ কোনো বস্তুকে পৃথিবী যে বল দ্বারা নিজের দিকে টানে তাকে মাধ্যাকর্ষণ বল বলে।
❐ যে বস্তুর ভর যত বেশি, তার মাধ্যাকর্ষণ শক্তিও ততই বেশি।
❐ চাঁদ পৃথিবীর চেয়ে ছোট ও তার ভর কম হওয়ায় পৃথিবীর চেয়ে চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি কম।
১৯৬. উদ্ভিদ কোষ থেকে বাষ্পাকারে পানি বের হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে বলে-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৭ (ঢাকা বিভাগ) ☞7.9.07 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -ক্রিসানথিমাম- ১২.১০.১২ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -করতোয়া- ২৪.০২.১২
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝▣ প্রস্বেদন:
❐ উদ্ভিদ মাটি থেকে যে পরিমাণ পানি শোষণ করে তার সামান্য অংশই বিভিন্ন জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় ব্যয় করে।
❐ অধিকাংশ পানি উদ্ভিদদেহ থেকে বাষ্পাকারে বের হয়ে যায়।
❐ যে শারীরতাত্ত্বিক প্রক্রিয়ায় উদ্ভিদদেহ থেকে পানি বাষ্পাকারে বের হয়ে যায় তাকে প্রস্বেদন বলে।
❐ প্রস্বেদনের প্রধান অঙ্গ উদ্ভিদের পাতা। এছাড়া প্রক্রিয়াটি কান্ড এবং তার শাখা প্রশাখার মাধ্যমেও হয়ে থাকে।
১৯৭. বহুরূপী মৌল কোনটি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৭ (ঢাকা বিভাগ) ☞7.9.07 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -বরিশাল বিভাগ- ১৮.০৪.০৮ 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (করতোয়া) ☞14.4.13
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝প্রকৃতিতে একই মৌলের বিভিন্ন ভৌত রূপে অবস্থান করার প্রবণতাকে বহুরূপতা বলে।
❐ কার্বন, ফসফরাস, সিলিকন, সালফার, জার্মেনিয়াম, বোরন, টিন ইত্যাদি মৌল বহুরূপতা প্রদর্শন করে।
❐ কার্বনের দানদার রূপভেদ হলো- গ্রাফাইট ও হীরক।
❐ অদানাদার রূপভেদ হলো- কোক কার্বন, চারকোল, কয়লা ও কার্বন ব্ল্যাক।
১৯৮. গ্রীন হাউস ইফেক্ট বলতে কী বোঝায়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৭ (ঢাকা বিভাগ) ☞7.9.07
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝▣ গ্রীন হাউস ইফেক্ট:
❐ পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির মাধ্যমে পরিবর্তনশীল আবহাওয়ার প্রক্রিয়াকে গ্রীন হাউস ইফেক্ট বলে।
❐ বায়ুমণ্ডলে উপস্থিত যে সব গ্যাসীয় CO2, CFC, N2O2, CO, O3 ইত্যাদি পদার্থের আবরণ পৃথিবীকে আচ্ছাদন রূপে ঢেকে রেখে পৃথিবী পৃষ্ঠ হতে বিকিরিত তাপকে মহাশূন্যে ফিরে যেতে বাধা দেয় এবং বায়ুমন্ডলকে উত্তপ্ত রাখে তাদেরকে গ্রীন হাউজ গ্যাস বলে।
❐ পরিবেশ দূষণ এবং গাছপালা কেটে ফেলার ফলে গ্রীনহাউস গ্যাসের পরিমাণ বাড়ছে ফলে সূর্য থেকে তাপ বিকিরিত হয়ে পৃথিবীতে ঢোকার পর যতটা আবার পৃথিবীর বাইরে বিকিরিত হওয়া উচিত তা হচ্ছে না, ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
❐ গ্রিন-হাউজ ইফেক্ট এর ফলে তাপ আটকে পড়ে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের সার্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।
১৯৯. মানবদেহে মোট কশেরুকার সংখ্যা-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৭ (ঢাকা বিভাগ) ☞7.9.07 📖 পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ➺সহকারী সচিব ও পরিচালক ☞20.1.23
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝মেরুদন্ড :
❐ অ্যাটলাস অস্থি থেকে কক্কিক্স অস্থি পর্যন্ত বিস্তৃত দন্ডাকৃতির যে গঠন মানবদেহের কেন্দ্রীয় অক্ষ গঠন করে তাকে মেরুদন্ড বা শিরদাঁড়া বলে।
❐ ৩৩টি অসম আকৃতির সীমিত সঞ্চালনক্ষম অস্থিখন্ডক সমন্বয়ে মেরুদন্ড গঠিত।
❐ এ সকল অস্থিখন্ডককে কশেরুকা বলে।
❐ কশেরুকাগুলো কোমলাস্থি নির্মিত চাকতি দ্বারা পরস্পর যুক্ত থাকে।
এদের সিমফাইসিস স্থির অবস্থায় বা চলমান অবস্থায় এটি দেহের ভারসাম্য রক্ষা করে।
২০০. গ্রীনিচ মান সময় অপেক্ষা বাংলাদেশ সময় কত ঘণ্টা আগে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৮ (পদ্মা) ☞31.10.08 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -বাগানবিলাস- ১২.১০.১২ 📖 প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (বরিশাল বিভাগ) ☞26.8.05
সাধারণ বিজ্ঞান
২
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝গ্রিনিচ মান সময়:
▣ - গ্রীনিচ মান সময় অপেক্ষা বাংলাদেশ সময় ৬ ঘণ্টা আগে।
❐ পৃথিবীতে প্রতি ডিগ্রি দ্রাঘিমার জন্যে সময়ের পার্থক্য হয় ৪ মিনিট করে।
❐ সেজন্যে বাংলাদেশ মূল মধ্যরেখা বা গ্রিনিচ মানমন্দির থেকে ৯০ ডিগ্রি পূর্বদিকে অবস্থিত হওয়ায় বাংলাদেশের সাথে গ্রিনিচের সময়ের পার্থক্য ৯০ x ৪ = ৩৬০ মিনিট বা ৬ ঘন্টা।
❐ গ্রীনিচের পূর্ব দিকে অবস্থিত স্থানগুলোর সময় গ্রীনিচের থেকে এগিয়ে থাকে।
❐ গ্রীনিচের পশ্চিমের স্থানগুলোর সময় গ্রীনিচ থেকে পিছিয়ে থাকে।
▣
২০১. ভূ-ত্বকের গড় গভীরতা প্রায়-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৮ (পদ্মা) ☞31.10.08
সাধারণ বিজ্ঞান
৩
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝ভূ-ত্বকের গঠন:
▣ - ভূ-ত্বকের গড় গভীরতা প্রায় ২০ কিলোমিটার।
❐ পৃথিবীর উপরিভাগের শক্ত আবরণ ভূ-ত্বক বিভিন্ন ধরনের খনিজ ও শিলা দ্বারা গঠিত।
❐ ভূ-ত্বক অশ্মমন্ডলেরই উপরিভাগ যার মধ্যে অক্সিজেন ও সিলিকনের পরিমাণ বেশি।
❐ আজ পর্যন্ত আবিষ্কৃত মোট ১০৫টি মৌলিক উপাদানের মধ্যে ২০টি উপাদান ভূ-ত্বকের প্রায় শতকরা ৯৯.৫ অংশ দখল করে আছে।
❐ ভূত্বকের গভীরতা সর্বত্র সমান নয়। গ্রানাইট স্তরের গড় গভীরতা ৮ কিলোমিটার।
❐ ভূ-ত্বক গঠনকারী শিলারাশির ঘনত্ব ২.৭৫ থেকে ৩.০ পর্যন্ত।
▣
২০২. কোন ভিটামিন ক্ষতস্থান থেকে রক্ত পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৮ (পদ্মা) ☞31.10.08
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝ভিটামিন কে (Vitamin K):
❐ ভিটামিন কে এর রাসায়নিক নাম ফাইটাল নেপথোকুইনোন।
❐ এটি তাপ, আর্দ্রতা ও বায়ুর সংস্পর্শে ক্ষতিগ্রস্থ হয় না।
▣ ভিটামিন কে এর উৎস:
❐ সবুজ শাক সবজি, ডিমের কুসুম, দুধ, যকৃত, মাংস, মাছ, লেটুস পাতা, বাঁধাকপি, ফুলকপি, মটরশুঁটি ইত্যাদিতে কে ভিটামিন পাওয়া যায়।
▣ ভিটামিন কে এর কাজ:
১. কোনো কারণে রক্তক্ষরণ হলে রক্ত জমাট বাঁধতে ভিটামিন কে সাহায্য করে। রক্ত জমাটকরণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন প্রোথ্রম্বিনের সক্রিয়করণে ভিটামিন কে কাজ করে ।
২. পিত্ত প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে।
৩. যকৃতের স্বাভাবিক কার্যকলাপ বজায় রাখে।
▣ ভিটামিন কে এর অভাবজনিত অবস্থা:
❐ ভিটামিন কে এর অভাবে রক্ত জমাট বাঁধা ব্যাহত হয়। ফলে, সামান্য কাটা ছেঁড়ায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।
২০৩. দক্ষিণ গোলার্ধ ও সূর্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দূরত্ব হয়-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৮ (পদ্মা) ☞31.10.08 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -মেঘনা- ২৪.০২.১২
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝সূর্যের চতুর্দিকে পৃথিবীর পরিভ্রমণের সময় পৃথিবী ২১ শে জুন তারিখে পৃথিবীর কক্ষপথের এমন এক স্থানে এসে পৌঁছে, যখন উত্তর মেরু সূর্যের দিকে সর্বাপেক্ষা বেশি ঝুঁকে থাকে অর্থাৎ কর্কটক্রান্তি রেখায় সূর্য লম্বভাবে কিরণ দেয়।
❐ বিপরীতক্রমে এই সময়ে দক্ষিণ মেরু বা মকরক্রান্তিতে পৃথিবী সূর্য হতে সবচেয়ে বেশি দূরুত্বে থাকে।
❐ যার ফলে দেখা যায়, ২১ শে জুন উত্তর গোলার্ধে দিন সবচেয়ে বড় এবং রাত্রি সবচেয়ে ছোট হয়।
❐ অপরদিকে, দক্ষিণ গোলার্ধে এই দিনটি সবচেয়ে ছোট এবং রাত্রি সবচেয়ে বড় হয়।
❐ দক্ষিণ গোলার্ধে সবচেয়ে ছোট দিন হওয়ার কারন এই দিনে সূর্য ও দক্ষিণ গোলার্ধের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দূরত্ব থাকে।
২০৪. ভিটামিন ‘এ’ সবচেয়ে বেশি কোনটিতে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৮ (পদ্মা) ☞31.10.08 📖 শিক্ষা অফিসার-১৯.০৩.০৪
সাধারণ বিজ্ঞান
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝ভিটামিন এ (Vitamin A):
❐ ভিটামিন এ এর রাসায়নিক নাম রেটিনল।
❐ প্রাণিজ উৎস হতে প্রাপ্ত ভিটামিন এ রেটিনল এবং উদ্ভিজ্জ উৎস হতে প্রাপ্ত ভিটামিন এ ক্যারোটিনরূপে পাওয়া যায়।
❐ ভিটামিন এ বর্ণহীন, তাপে স্থিতিশীল, অম্ল ও ক্ষারে অবিকৃত থাকে।
▣ ভিটামিন এ এর উৎস:
প্রাণিজ উৎস:
ডিমের কুসুম, মাছের তেল, যকৃত বা কলিজা দুধ, ডিম, ঘি, মাখন ইত্যাদি এর ভালো উৎস।
▣ উদ্ভিজ্জ উৎস:
হলুদ, কমলা ও গাঢ় সবুজ বর্ণের শাকপাতা, ফল ও সবজি ভিটামিন এ এর ভালো উৎস।
উদ্ভিদে ভিটামিন এ ক্যারোটিন রূপে থাকে। যেমন- গাজর, মিষ্টি কুমড়া, লালশাক, মিষ্টি আলু, পাকা পেঁপে, আম, কাঁঠাল, ধনে পাতা ইত্যাদিতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ক্যারোটিন থাকে।
❐ ভিটামিন ‘এ’ সবচেয়ে বেশি থাকে গাজরে।
২০৫. মানুষের মৃত্যু হয় যদি রক্ত সঞ্চালন—
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৮ (পদ্মা) ☞31.10.08
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝রক্ত সঞ্চালন:
❐ মানবদেহে রক্ত সংবহনতন্ত্রের প্রধান অংশগুলো হলো হৃদপিন্ড এবং রক্তনালী।
❐ ধমনি, শিরা এবং কৈশিক জালিকা এ তিন ধরনের রক্তবাহী নালীগুলো প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে হৃদপিন্ডের সাথে যুক্ত থেকে রক্ত সঞ্চালনে অংশ নেয়।
❐ মানুষের হৃদপিন্ড অবিরাম সংকুচিত ও প্রসারিত হয়ে ধমনি ও শিরার মাধ্যমে রক্ত পরিবহন করে।
❐ হৃদপিন্ডের স্বতঃস্ফুর্ত সংকোচনকে সিস্টোল (Systole) এবং স্বতঃস্ফুর্ত প্রসারণকে ডায়াস্টোল (Diastole) বলে।
❐ হৃদপেশির স্বাভাবিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হয় তখন তা আর সঠিকভাবে সংকোচন ঘটাতে পারে না এবং হৃদপিণ্ডের স্পন্দন থেমে যায় ও ফলে মস্তিষ্ক বিনষ্ট হয় এবং দেহের বিভিন্ন অঞ্চলে রক্ত প্রেরণে অক্ষম হয়।
❐ এক্ষেত্রে পাঁচ মিনিটের মধ্যে স্পন্দন শুরু না হলে মস্তিষ্ক বিনষ্ট ও রোগীর মৃত্যু ঘটে।
❐ অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভেন্ট্রিকুলার ফ্রাইব্রিলেশনজনিত হার্ট অ্যাটাক থেকে রোগীর মৃত্যু ঘটে।
❐ ভেন্ট্রিকুলার ফ্রাইব্রিলেশন শুরু হওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যে যদি কার্ডিওপালমোনারি সঞ্চালন করা সম্ভব হয় তবে রোগী মৃত্যুর কবল থেকে রক্ষা পেতে পারে।
২০৬. কিসের সাহায্যে সমুদ্রের ও কুয়ার গভীরতা নির্ণয় করা যায়?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (বুড়িগঙ্গা) ☞14.4.13 📖 14th BCS General Apr, 1992 📖 ১০ম বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন পরীক্ষা-(স্কুল/সমপর্যায়-২)-৩০.০৫.১৪
সাধারণ বিজ্ঞান
২
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝প্রতিধ্বনি:
❐ কোন শব্দ উৎস থেকে শব্দ করা হলে তা কোন কঠিন তলে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে আবার যদি শব্দের উৎসের নিকট ফিরে আসে, তখন সেই শব্দের পুনরাবৃত্তি শোনা যায়, শব্দের এই পুনরাবৃত্তিকেই শব্দের প্রতিধ্বনি বলে।
❐ প্রতিধ্বনি শোনার জন্য মূলধ্বনি ও প্রতিধ্বনি শোনার মধ্যবর্তী সময়ের পার্থক্য ০.১ সেকেন্ড হওয়া প্রয়োজন।
▣ শব্দের প্রতিধ্বনিকে কাজে লাগিয়ে সমুদ্রের গভীরতা নির্ণয় করা হয়।
হাইড্রোফোন নামে এক রকমের যন্ত্রের সাহায্যে মূল শব্দ এবং প্রতিধ্বনির মধ্যে সময়ের ব্যবধান নিখুঁতভাবে পাওয়া যায়।
▣ প্রতিধ্বনির ব্যবহারসমূহ-
১. হিমশৈল জাহাজের অস্তিত্ব নির্ণয়ে
২. বিভিন্ন মাধ্যমে শব্দের বেগ নির্ণয়ে
৩. পাতলা পাতের পুরুত্ব নির্ণয়ে
৪. ক্ষতিকারক অণুজীব ধ্বংস করতে প্রতিধ্বনি ব্যবহার করা হয়
৫. সমুদ্রের গভীরতা নির্ণয় করবার ক্ষেত্রে।
২০৭. আলেকজান্ডার গ্রাহামবেল কি আবিষ্কার করেন?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (বুড়িগঙ্গা) ☞14.4.13
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝১৮৭৬ সালে আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল টেলিফোন আবিষ্কার করেন।
❐ টেলিফোনের পাঁচটি অংশ থাকে। যথা-
সুইচ,
রিংগার,
কি প্যাড,
মাইক্রোফোন,
এবং স্পিকার।
২০৮. নাইট্রোজেনের প্রধান উৎস-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (বুড়িগঙ্গা) ☞14.4.13 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - আলফা- ১৮.০৪.১৪
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝বায়ুমন্ডল:
❐ বায়ুমণ্ডল নানাপ্রকার গ্যাস ও বাষ্পের সমন্বয়ে গঠিত হলেও এর প্রধান উপাদান দুইটি।
❐ যথা: নাইট্রোজেন ও অক্সিজেন।
❐ বায়ুমণ্ডলে নাইট্রোজেনের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি।
❐ অক্সিজেনের পরিমাণ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
▣ বায়ুমণ্ডলের উপাদানগুলোর শতকরা পরিমাণ,
▣ নাইট্রোজেন ৭৮.০১%,
▣ অক্সিজেন ২০.৭১%,
▣ আর্গন ০.৮০%,
▣ জলীয়বাষ্প ০.৪১%,
▣ কার্বন-ডাই-অক্সাইড ০.০৩% ইত্যাদি।
২০৯. করোটিতে কতগুলো অস্থি থাকে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (বুড়িগঙ্গা) ☞14.4.13 📖 24th BCS General Aug, 2003 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝করোটি (Skull):
❐ মুখমণ্ডলীয় ও করোটিকার অস্থি সমন্বয়ে গঠিত মাথার কঙ্কালিক গঠনকে করোটি বলে।
❐ করোটিতে মোট ২৯টি অস্থি থাকে।
▣ 👀
২১০. কোন প্রাণীকে ডেভিল মাছ বলে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (বুড়িগঙ্গা) ☞14.4.13
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝অক্টোপাস সামুদ্রিক প্রাণী।
❐ এটি মলাস্কা পর্ব ও সেফালোপডা শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত।
❐ অক্টোপাসের তিনটি হৃৎপিণ্ড রয়েছে।
❐ অক্টোপাসের বাহ্যিক গঠন ভীতির সৃষ্টি করে বলে একে ডেভিল ফিশ বলা হয়।
২১১. শব্দের তীব্রতা নির্ণায়ক যন্ত্ৰ-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (বুড়িগঙ্গা) ☞14.4.13 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মিসিসিপি- ০৮.১১.১৩ 📖 ডাক বিভাগ ➺পোস্টাল অপারেটর ☞13.5.23
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝উচ্চতা নির্ণায়ক যন্ত্র- অ্যালটিমিটার।
❐ মোটর গাড়ির গতি নির্ণায়ক যন্ত্র- ওডোমিটার।
❐ শব্দের তীব্রতা পরিমাপক যন্ত্র- অডিওমিটার।
❐ উড়োজাহাজের গতি নির্ণায়ক যন্ত্র- ট্যাকোমিটার।
❐ অ্যামিটার তড়িৎ প্রবাহের মান নির্ণয় করে।
২১২. যে প্রাণীর তিনটি হৃদপিণ্ড আছে—
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (বুড়িগঙ্গা) ☞14.4.13
সাধারণ বিজ্ঞান
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝ক্যাটল ফিস এবং অক্টোপাসের হৃৎপিণ্ড আছে ৩টি করে।
❐ ব্যাঙের হৃৎপিণ্ড ৩ প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট।
▣ অন্যদিকে,
❐ মানুষের হৃৎপিণ্ড ৪ প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট। উপরের দিকে দুটি অলিন্দ এবং নিচের দিকে দুটি নিলয়।
❐ তেলাপোকার হৃৎপিণ্ড ১৩ প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট।
২১৩. কোনটিতে আমিষের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (বুড়িগঙ্গা) ☞14.4.13
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝ডিমে প্রতি ১০০ গ্রামে আমিষ থাকে ১৩ গ্রাম।
❐ তাজা ছোট মাছে প্রতি ১০০ গ্রামে আমিষ থাকে প্রায় ২০ গ্রাম।
❐ মাংসে প্রতি ১০০ গ্রামে আমিষ থাকে ২৬ গ্রাম।
❐ শুঁটকি মাছে প্রতি ১০০ গ্রামে আমিষ থাকে ৬২ গ্রাম।
২১৪. কোন ভিটামিন ক্ষতস্থান হতে রক্তপড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (বুড়িগঙ্গা) ☞14.4.13 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ঝিলাম- ০৮.১১.১৩ 📖 Rajshahi Krishi Unnayan Bank - Officer - 20.11.15
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝ভিটামিন কে:
❐ ভিটামিন কে এর রাসায়নিক নাম ফাইটাল নেপথোকুইনোন।
❐ এটি তাপ, আর্দ্রতা ও বায়ুর সংস্পর্শে ক্ষতিগ্রস্থ হয় না।
▣ ভিটামিন কে এর উৎস:
❐ সবুজ শাক সবজি, ডিমের কুসুম, দুধ, যকৃত, মাংস, মাছ, লেটুস পাতা, বাঁধাকপি, ফুলকপি, মটরশুটি ইত্যাদিতে কে ভিটামিন পাওয়া যায়।
▣ ভিটামিন কে এর কাজ:
১. কোনো কারণে রক্তক্ষরণ হলে রক্ত জমাট বাঁধতে ভিটামিন কে সাহায্য করে। রক্ত জমাটকরণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন প্রোথ্রম্বিনের সক্রিয়করণে ভিটামিন কে কাজ করে।
২. পিত্ত প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে।
৩. যকৃতের স্বাভাবিক কার্যকলাপ বজায় রাখে।
▣ ভিটামিন কে এর অভাবজনিত অবস্থা:
❐ এর অভাবে রক্ত জমাট বাঁধা ব্যাহত হয়। ফলে, সামান্য কাটা ছেঁড়ায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।
▣ পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিনগুলো হচ্ছে বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন বি অথবা ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এবং ভিটামিন সি। বি ভিটামিনগুলোর মধ্যে ভিটামিন বি-১ বা থায়ামিন, ভিটামিন বি-২ বা রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন বি-৫, ভিটামিন বি-৬ বা পিরিডক্সিন, ফলিক এসিড, পেন্টোথেনিক এসিড, বায়োটিন, ভিটামিন বি-১২।
▣ ভিটামিন বি-২ বা রিবোফ্লাভিন (Vitamin B_ 2 ):
ভিটামিন বি-২ এর রাসায়নিক নাম রিবোফ্লাভিন ( Riboflavin )। এটি তাপে নষ্ট হয় না। তাই রান্না করলেও রিবোফ্লাভিনের পুষ্টিগুণ বজায় থাকে।
▣ বিরোফ্লাভিনের উৎস: দুধ, ডিম, মাছ, মাংস, যকৃত ইত্যাদি প্রাণিজ উৎস এবং সবুজ শাক-সবজি, বাদাম, ডাল, শস্যদানা ইত্যাদি উদ্ভিজ্জ উৎস হতে রিবোফ্লাভিন পাওয়া যায়।
▣ রিবোফ্লাভিনের কাজ :
১। শর্করা, আমিষ ও ফ্যাটের জারণ-বিজারণ ক্রিয়ায় কো-এনজাইমরূপে কাজ করে বিক্রিয়াকে প্রভাবিত করে।
২। আমিষ ও শর্করা বিপাকে ভূমিকা রাখে।
৩। ত্বকের সজীবতা রক্ষায় কাজ করে।
▣ ভিটামিন সি বা এসকরবিক এসিড (Vitamin C) :
ভিটামিন সি এর রাসায়নিক নাম এসকরবিক এসিড (Ascorbic acid)। এটি তাপ, আলো, বাতাস ও ক্ষারে খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়।
▣ এসকরবিক এসিডের উৎস: টাটকা শাক-সবজি ও ফল-মূল ভিটামিন সি এর উত্তম উৎস। টাক জাতীয় ফল যেমন- কমলা, লেবু, পেয়ারা, আমলকী, বাতাবি লেবু, আমড়া, কামরাঙা, আঙুর, আনারস ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। এছাড়া, লেটুস পাতা, কাঁচা মরিচও এর ভালো উৎস।
▣ এসকরবিক এসিডের কাজ
❐ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে।
❐ ক্ষতস্থানের ঘা শুকাতে সাহায্য করে।
❐ দেহের পেশি, কলা ও অস্থির সংযোজক কলা তৈরিতে সহায়তা করে ইত্যাদি।
২১৫. একটি পেন্ডুলাম ঘড়ি বিষুবরেখা থেকে মেরুতে নিলে ঘড়িটি—
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (বুড়িগঙ্গা) ☞14.4.13
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝একটি ভারী আয়তনহীন বস্তুকণাকে ওজনহীন, নমনীয় এবং অপ্রসারণশীল সুতা দিয়ে ঝুলিয়ে দিলে এটি যদি ঘর্ষণ এড়িয়ে স্বাধীনভাবে দুলতে পারে তবে তাকে সরল দোলক বলে।
কৌণিক বিস্তার অল্প হলে-
সরল দোলকের দোলনকাল, T = 2π √(L/g).
এখানে, t= দোলনকাল, L= কার্যকরী দৈর্ঘ্য (সূতার দৈর্ঘ্য+দোলকপিন্ডের ব্যাসার্ধ), g= অভিকর্ষজ ত্বরণ।
▣ উপরের সূত্রমতে আমরা পাই,
১. সরল দোলকের দোলনকাল কাযকরী দৈর্ঘ্য ও অভিকর্ষজ ত্বরণের উপর নির্ভরশীল।
২. একটি সরল দোলককে পৃথিবীর কেন্দ্রে নিলে তার দোলনকাল অসীম হবে, কারণ পৃথিবীর কেন্দ্রে অভিকর্ষজ ত্বরণের মান শূন্য। এক্ষেত্রে দোলকঘড়ি চলবে না।
৩. গ্রীষ্মকালে দোলকঘড়ি ধিরে চলে। কারন, অধিক তাপমাত্রার জন্য দোলকের কার্যকরী দৈর্ঘ্য বাড়ে, ফলে দোলককাল বাড়ে এবং ঘড়ি ধিরে চলে।
৪. শীতকালে দোলকঘড়ি দ্রুত চলে। কারণ, কম তাপমাত্রায় দোলকের কার্যকরী দৈর্ঘ্য কমে, ফলে দোলককাল কমে এবং ঘড়ি দ্রুত চলে।
৫. দোলকঘড়ি বিষুবরেখা হতে মেরু অঞ্চলে নিলে ঘড়ি দ্রুত চলবে। কারণ, বিষুবরেখার চেয়ে মেরু অঞ্চলে অভিকর্ষজ ত্বরণের মান বেশি। ফলে দোলনকাল কমবে এবং ঘড়ি দ্রুত চলবে।
৬. দোলককে পাহাড়ের উপর নিয়ে গেলে অভিকর্ষজ ত্বরণের মান কম বলে দোলনকাল বাড়বে।
৭. কোন সরল দোলকের কার্যকরী দৈর্ঘ্য ৯ গুণ বাড়লে দোলনকাল ৩ গুণ বাড়বে, আর মাধ্যাকর্ষণ জনিত ত্বরণ ৯ গুণ বাড়লে দোলনকাল ৩ গুণ কমবে।
২১৬. কোন রঙের বস্তুর তাপ শোষণ ক্ষমতা কম?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (বুড়িগঙ্গা) ☞14.4.13 📖 36th BCS General Jan, 2016 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - হোয়াংহো- ০৮.১১.১৩
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝সাদা রঙের বস্তুর তাপ শোষণ ক্ষমতা সবচেয়ে কম।
❐ কারণ সাদা রঙের বস্তু তার উপর আপতিত প্রায় সমস্ত আলো বা তাপ বিকিরণ করে।
▣ অপরদিকে কালো রঙের বস্তু বা কাপড়ের তাপ শোষণ ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি।
❐ কালো রঙের বস্তু বা কাপড় তাপ বিকিরণ করতে পারে না। অধিকাংশ তাপই শোষিত হয়।
২১৭. কোনটি সাবানকে শক্ত করে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (বুড়িগঙ্গা) ☞14.4.13
সাধারণ বিজ্ঞান
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝সাবান সাধারণত শক্ত এবং কোমল এই দুই শ্রেণীতে বিভক্ত।
❐ শক্ত সাবান তৈরিতে কষ্টিক সোডা এবং কোমল সাবান তৈরিতে কস্টিক পটাসের ব্যবহার হয়ে থাকে।
❐ সাধারণত তুলনামূলক শক্ত ধরনের সাবান তৈরীর জন্যে সোডিয়াম হাইড্রক্সাইড (NaOH) এবং কোমল ধরনের সাবানের জন্যে পটাশিয়াম হাইড্রক্সাইড (KOH) ব্যবহার করা হয়।
❐ এছাড়াও, সাবানকে শক্ত ও ভারী করার জন্য সোডিয়াম সিলিকেট (Na₂SiO₃) ব্যবহার করা হয়। তবে, এটা পরিমাণমত ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যাতে বেশি শক্ত হয়ে না যায়।
২১৮. স্যালিসাইক্লিক এসিড পাওয়া যায়—
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (বুড়িগঙ্গা) ☞14.4.13
সাধারণ বিজ্ঞান
১
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝আঙ্গুর, কমলা, লেবুতে থাকে সাইট্রিক এসিড;
❐ তেঁতুলে থাকে টারটারিক এসিড;
❐ টমেটোতে থাকে অক্সালিক এসিড;
❐ আমলকিতে থাকে এসকরবিক এসিড;
❐ আপেল, আনারসে থাকে ম্যালিক এসিড
❐ স্যালিসাইক্লিক এসিড পাওয়া যায় আঙ্গুর, স্ট্রবেরি, বরই ইত্যাদি ফলে।
২১৯. কেঁচোর রক্তে হিমোগ্লোবিন থাকে –
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (বুড়িগঙ্গা) ☞14.4.13
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝কেঁচো, যাকে অ্যাঙ্গেলওয়ার্মও বলা হয়, লুমব্রিকাস প্রজাতির সদস্য।
❐ সতেরোটি স্থানীয় প্রজাতি এবং ১৩ টি প্রবর্তিত প্রজাতি (ইউরোপ থেকে) পূর্ব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দেখা যায়, যার মধ্যে এল. টেরেস্ট্রিস সবচেয়ে সাধারণ। কেঁচো মাটির আর্দ্রতা এবং জৈব উপাদান টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করে।
❐ অধিকাংশ প্রজাতি লালচে বাদামী, তবে কিছু কেঁচো (যেমন, Allolobophora chlorotica, গ্রেট ব্রিটেনের স্থানীয়) সবুজ।
❐ এল. টেরেস্ট্রিসের লালচে আভা, তার রক্তরসে পিগমেন্ট হিমোগ্লোবিনের উপস্থিতির ফলে।
২২০. উদ্ভিদকোষ থেকে বাষ্পাকারে পানি বের হয়ে যাওয়ার প্রণালীকে বলে-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (বুড়িগঙ্গা) ☞14.4.13 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -ক্রিসানথিমাম- ১২.১০.১২ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -করতোয়া- ২৪.০২.১২
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝প্রস্বেদন বা বাষ্পমোচন:
❐ উদ্ভিদদেহ থেকে যে প্রক্রিয়ায় পানি বাষ্পাকারে বের হয়ে যায়, তাকে প্রস্বেদন বলা হয়।
❐ প্রস্বেদনের ফলে উদ্ভিদদেহ থেকে প্রচুর পানি বাষ্পাকারে বেরিয়ে যায়। এতে উদ্ভিদের মৃত্যুও হতে পারে।
❐ এজন্য প্রস্বেদনকে বলা হয় উদ্ভিদের জন্য এটি একটি 'Necessary evil'।
❐ প্রস্বেদনের ফলে উদ্ভিদ তার দেহ থেকে পানিকে বের করে অতিরিক্ত পানির চাপ থেকে মুক্ত করে।
❐ প্রস্বেদনের ফলে কোষরসের ঘনত্ব বৃদ্ধি পায়।
▣ কোন অঙ্গের মাধ্যমে প্রস্বেদন ঘটে তার উপর ভিত্তি করে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:
১. পত্ররন্ধ্রীয় প্রস্বেদন,
২. কিউটিকুলার প্রস্বেদন,
৩. লেন্টিকুলার প্রস্বেদন।
▣ উদ্ভিদের মোট প্রস্বেদনের ৯০-৯৫% হয় পত্ররন্ধ্রীয় প্রস্বেদনের মাধ্যম।
২২১. রক্তে হিমোগ্লোবিন থাকে—
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০১৩ (বুড়িগঙ্গা) ☞14.4.13
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝রক্তরস (Plasma):
রক্তের বর্ণহীন তরল অংশকে রক্তরস বলে। সাধারণত রক্তের শতকরা প্রায় ৫৫ ভাগ রক্তরস।
এর মধ্যে যে পদার্থগুলো থাকে তা হলো:
❐ প্রোটিন, যথা অ্যালবুমিন, গ্লোবিউলিন ও ফাইব্রিনোজেন
❐গ্লুকোজ
❐ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র চর্বিকণা
❐ খনিজ লবণ
❐ ভিটামিন
❐ হরমোন
❐ এন্টিবডি
❐ বর্জ্য পদার্থ যেমন: কার্বন ডাই-অক্সাইড, ইউরিয়া, ইউরিক এসিড ইত্যাদি।
▣ মানুষের রক্তে ৩ ধরনের রক্তকণিকা রয়েছে৷
যথা-
১. লোহিত রক্তকণিকা,
২. শ্বেত রক্তকণিকা ও
৩. অনুচক্রিকা।
▣ লোহিত রক্তকণিকা
❐ লোহিত রক্ত কণিকায় হিমোগ্লোবিন নামে একটি লৌহজাত যৌগ থাকে যার জন্য রক্ত লাল হয়।
❐ লোহিত রক্তকণিকায় নিউক্লিয়াস নেই।
❐ এ কণিকা দেখতে অনেকটা বৃত্তের মতো দ্বি-অবতল।
❐ লোহিত রক্তকণিকার গড় আয়ু ১২০ দিন।
▣ শ্বেত রক্তকণিকা
❐ শ্বেত কণিকার নির্দিষ্ট কোনো আকারনেই।
❐ এগুলো হিমোগ্লোবিনবিহীন এবং নিউক্লিয়াসযুক্ত বড় আকারের কোষ।
❐ শ্বেত কণিকার গড় আয়ু ১ থেকে ১৫ দিন।
❐ শ্বেত রক্তকণিকাকে দেহের প্রহরী বলা হয়।
▣ অণুচক্রিকা
❐ অণুচক্রিকা হলো গোলাকার, ডিম্বাকার বা রড আকারের।
❐ এতে নউক্লিয়াস থাকে না।
❐ অণুচক্রিকা দেহের রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।
❐ অনুচক্রিকার গড় আয়ু ৫ থেকে ১০দিন।
▣
২২২. মঙ্গল গ্রহের কয়টি উপগ্রহ আছে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (চট্টগ্রাম বিভাগ) ☞26.8.05 📖 30th BCS General Jul, 2010 📖 36th BCS General Jan, 2016
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
মঙ্গলের দুইটি উপগ্রহ আছে; ফোবোস ও ডেইমোস। দুইটি চাঁদের মধ্যে ফোবোস বৃহত্তম এবং এর কক্ষপথ মঙ্গলের নিকটতম । ফোবোস নামকরনটি করা হয়েছে গ্রীক ভয়ের(phobia) দেবতা phobos এর নামে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 মঙ্গল (Mars):
▣ সূর্য থেকে মঙ্গলের গড় দূরত্ব ২২.৮ কোটি কিলোমিটার।
▣ এর ব্যাস ৬,৭৮৭ কিলোমিটার।
▣ মঙ্গলগ্রহ ৬৮৭ দিনে সূর্যকে আবর্তন করে।
❐ - ডিমোস এবং ফোবোস নামক মঙ্গলের দুটি উপগ্রহ রয়েছে।
▣ বৃত্তাকার কক্ষপথে ডিমোস প্রতি ৩০ ঘণ্টা ১৭ মিনিট ৫৫ সেকেন্ড এবং ফোবস ৭ ঘণ্টা ৩৯ মিনিট ১৪ সেকেন্ডে মঙ্গলকে একবার আবর্তন করে।
▣ মঙ্গলে রয়েছে সৌরজগতের বৃহত্তম আগ্নেয়গিরি নিকস অলিম্পিকা।
▣ মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, কার্বন ডাই অক্সাইড, আর্গন প্রভৃতি গ্যাস রয়েছে।
▣ মঙ্গলের আকাশ নীল, মাটি লাল ও শুষ্ক।
▣ মঙ্গলের তাপমাত্রা ২০° সেলসিয়াস এর অধিক হয় না।
২২৩. ভিটামিন ই-এর কাজ কি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (চট্টগ্রাম বিভাগ) ☞26.8.05
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
ভিটামিন ই একটি চর্বি-দ্রবণীয় ভিটামিন এবং মানবদেহ দ্বারা ব্যবহৃত একমাত্র আলফা-টোকোফেরল। ভিটামিন ই এর প্রধান কাজ হল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করা। এটি মুক্ত র্যাডিকেলগুলিকে ধ্বংস করে যা কোষের ক্ষতি করে, ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে এবং হার্টের ধমনীতে জমাট বাঁধতে বাধা দেয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ভিটামিন ই (Vitamin E):
▣ ভিটামিন ই এর রাসায়নিক নাম টোকোফেরল।
▣ এটি তাপ ও অম্লে বিনষ্ট হয় না। তবে ক্ষারে সামান্য নষ্ট হয়।
❐ ভিটামিন ই এর উৎস:
▣ সব ধরনের উদ্ভিজ্জ তেল, যেমন- নারিকেল তেল, সরিষার তেল, চালের কুঁড়ার তেল, সয়াবিন তেল ইত্যাদি ভিটামিন ই এর ভালো উৎস।
▣ শস্যদানার ভ্রূণ, বাদাম, গোটা শস্য, শাক-সবজি, মাখন ইত্যাদিতে কিছু পরিমাণে ভিটামিন ই থাকে।
▣ ডিমের কুসুম, দুধ ও যকৃতেও ভিটামিন ই পাওয়া যায়।
❐ ভিটামিন ই এর কাজ:
❐ ১। ভিটামিন এ রক্তের লোহিত কণার জারণসহ অবাঞ্ছিত জারণ রোধ করে।
❐ ২। জননাঙ্গের বৃদ্ধি ও স্বাভাবিক ক্ষমতা বজায় রাখে ।
❐ ৩। নারী ও পুরুষের বন্ধ্যাত্ব প্রতিরোধ করে।
❐ ৪। নারী ও পুরুষের স্বাভাবিক প্রজননে সহায়তা করে।
❐ ৫। অকাল বার্ধক্য রোধ করে।
❐ ৬। ভ্রূণের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
❐ ভিটামিন ই এর অভাবজনিত অবস্থা:
❐ ১। নারী ও পুরুষের সন্তান উৎপাদন ক্ষমতা লোপ পায় এবং বন্ধ্যাত্ব দেখা দেয়।
❐ ২। ভ্রূণের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।
❐ ৩। গর্ভপাত হতে পারে।
❐ ৪। অকাল বার্ধক্য দেখা দেয়।
২২৪. রিবন রেটিং কি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (চট্টগ্রাম বিভাগ) ☞26.8.05
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
কাঁচা পাট গাছ থেকে ছাল বা বাকল আলাদা করার পর ঐ ছাল বা বাকলকে যে পদ্ধতিতে অল্প পানিতে পচানো হয়, তাকে রিবন রেটিং বলা হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 রিবন রেটিং:
▣ Ribbon শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো ফিতা এবং Retting অর্থ হলো পচানো।
❐ - কাঁচা পাট গাছ থেকে ছাল বা বাকল আলাদা করার পর ঐ ছাল বা বাকলকে যে পদ্ধতিতে অল্প পানিতে পচানো হয়, তাকে রিবন রেটিং (ribbon retting) বলা হয়।
▣ যার মাধ্যমে পাট গাছের কাঁচা ছাল ছাড়ানো হয় তাকে রিবনার (Ribboner) বলে।
▣ রিবনারের মাধ্যমে ছাল ছাড়ানোর কৌশলকে রিবনিং (Ribboning) বলে।
২২৫. মঙ্গলগ্রহ কত দিনে সূর্যকে আবর্তন করে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (চট্টগ্রাম বিভাগ) ☞26.8.05
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
সূর্য থেকে মঙ্গল গ্রহের গড় দূরত্ব প্রায় ২৩০ মিলিয়ন কিলোমিটার (১৪৩ মিলিয়ন মাইল), এবং ৬৮৭ দিনে সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করে। পৃথিবীর তুলনায় মঙ্গলের দিন সামান্য দীর্ঘ: ২৪ ঘণ্টা, ৩৯ মিনিট, ৩৫.২৪৪ সেকেন্ড। এক মঙ্গলীয় বর্ষ পৃথিবীর ১.৮৮০৯ বছর বা ১ বছর, ৩২০ দিন, এবং ১৮.২ ঘণ্টার সমান।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 মঙ্গল (Mars):
▣ সূর্য থেকে মঙ্গলের গড় দূরত্ব ২২.৮ কোটি কিলোমিটার।
▣ এর ব্যাস ৬,৭৮৭ কিলোমিটার।
❐ - মঙ্গলগ্রহ ৬৮৭ দিনে সূর্যকে আবর্তন করে।
▣ ডিমোস এবং ফোবোস নামক মঙ্গলের দুটি উপগ্রহ রয়েছে।
▣ বৃত্তাকার কক্ষপথে ডিমোস প্রতি ৩০ ঘণ্টা ১৭ মিনিট ৫৫ সেকেন্ড এবং ফোবস ৭ ঘণ্টা ৩৯ মিনিট ১৪ সেকেন্ডে মঙ্গলকে একবার আবর্তন করে।
▣ মঙ্গলে রয়েছে সৌরজগতের বৃহত্তম আগ্নেয়গিরি নিকস অলিম্পিকা।
▣ মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, কার্বন ডাই অক্সাইড, আর্গন প্রভৃতি গ্যাস রয়েছে।
▣ মঙ্গলের আকাশ নীল, মাটি লাল ও শুষ্ক।
▣ মঙ্গলের তাপমাত্রা ২০° সেলসিয়াস এর অধিক হয় না।
২২৬. একজন সাধারণ মানুষের দেহে মোট কত টুকরা হাড় থাকে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (চট্টগ্রাম বিভাগ) ☞26.8.05 📖 13th BCS General Apr, 1992 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মিসিসিপি- ০৮.১১.১৩
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
জন্মের সময় মানবদেহে ৩০০ টিরও বেশি হাড় থাকে, তবে এইগুলির মধ্যে অনেকগুলি বিকাশের সময় একসঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়, এর ফলে প্রাপ্তবয়স্কদের দেহে, অসংখ্য ছোট সিসাময়েড অস্থি বাদ দিয়ে মোট ২০৬ টি পৃথক হাড় থাকে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 মানুষের কঙ্কালতন্ত্র:
▣ একজন মানুষের দেহে ২০৬ টুকরা হাড় থাকে।
▣মানুষের কঙ্কালতন্ত্রকে প্রধান দুটি অংশে ভাগ করা হয়। যথা-
❐ (১) অক্ষীয় কঙ্কাল
❐ (২) উপানীয় কঙ্কাল।
▣ মুখমণ্ডলীয় ও করোটিকার অস্থি সমন্বয়ে গঠিত মাথার কঞ্চালিক গঠনকে করোটি বলে। করোটিতে
❐ মোট ২৯টি অস্থি থাকে।
▣ করোটির যে অংশ মস্তিষ্ক আবৃত করে রাখে তাকে করোটিকা বলে।
▣ সর্বমোট ১৪টি অস্থি নিয়ে মুখমণ্ডল গঠিত।
▣ ৩৩টি অসম আকৃতির সীমিত সঞ্চালনক্ষম অস্থিখণ্ডক সমন্বয়ে মেরুদণ্ড গঠিত।
২২৭. কোন মাধ্যমে শব্দের গতি সবচেয়ে কম?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (চট্টগ্রাম বিভাগ) ☞26.8.05 📖 23rd BCS General Mar, 2001 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -করতোয়া- ০৮.০১.১০
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
বায়বীয় মাধ্যমে শব্দের দ্রুতি সবচেয়ে কম এবং শূন্যস্থানে শব্দের বেগ শূন্য। বাতসে শব্দের গতি ঘন্টায় ৭৫৭ মাইল। লোহার মধ্যদিয়ে শব্দ বাতাসের চেয়ে ১৫ গুণ দ্রুত চলে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 শব্দের গতি:
❐ - বায়বীয় পদার্থে শব্দের গতি সবচেয়ে কম।
▣ শব্দ এক প্রকার যান্ত্রিক তরঙ্গ। তাই শব্দ চলার জন্য মাধ্যমের প্রয়োজন হয়।
▣ কঠিন পদার্থে শব্দের গতি সবচেয়ে বেশি। যেমন- ইস্পাত, লোহা ইত্যাদি।
▣ তরলে পদার্থে শব্দের গতি কঠিন পদার্থের চেয়ে কম। যেমন- পানি।
▣ বায়বীয় পদার্থে শব্দের গতি সবচেয়ে কম।
▣ আর শূন্য মাধ্যমে শব্দের বেগ শূন্য।
২২৮. গ্রীনিচ মান সময় অপেক্ষা বাংলাদেশ সময় কত ঘণ্টা আগে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (বরিশাল বিভাগ) ☞26.8.05 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2003➯ঘ ইউনিট 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -বাগানবিলাস- ১২.১০.১২
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
গ্রিনিচের (০° দ্রাঘিমার ) স্থানীয় সময়কে সমগ্র পৃথিবীর প্রমাণ সময় হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশের প্রমাণ সময় অপেক্ষা ৬ ঘণ্টা অগ্রবর্তী।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 গ্রিনিচ মান সময়:
❐ গ্রীনিচ মান সময় অপেক্ষা বাংলাদেশ সময় ৬ ঘণ্টা আগে।
❐ পৃথিবীতে প্রতি ডিগ্রি দ্রাঘিমার জন্যে সময়ের পার্থক্য হয় ৪ মিনিট করে।
❐ সেজন্যে বাংলাদেশ মূল মধ্যরেখা বা গ্রিনিচ মানমন্দির থেকে ৯০ ডিগ্রি পূর্বদিকে অবস্থিত হওয়ায় বাংলাদেশের সাথে গ্রিনিচের সময়ের পার্থক্য ৯০ x ৪ = ৩৬০ মিনিট বা ৬ ঘন্টা।
❐ গ্রীনিচের পূর্ব দিকে অবস্থিত স্থানগুলোর সময় গ্রীনিচের থেকে এগিয়ে থাকে।
❐ গ্রীনিচের পশ্চিমের স্থানগুলোর সময় গ্রীনিচ থেকে পিছিয়ে থাকে।
২২৯. সবুজ আলোতে একটি হলুদ রঙের বস্তুকে কি রঙের দেখাবে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (বরিশাল বিভাগ) ☞26.8.05 📖 স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আনসার ও ভিডিপি অধিদপ্তরের সহকারী অ্যাডজুটেন্ট-.১২.১৫ 📖 তথ্য মন্ত্রনালয়ের সহকারী পরিচালক -১২.০৪
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
কোনো বস্তু কী রঙ দেখাবে সেটা বস্তুর একটি বিশেষ ধর্ম অর্থাত্ তরঙ্গগুলিকে শোষণ করার ক্ষমতার উপর নির্ভর করে। আলোক তরঙ্গের মিশ্রণ থেকে কিছু তরঙ্গ কে শোষণ এবং কিছু তরঙ্গ কে প্রতিফলিত করার জন্য প্রতিটি বস্তুর একটি বিশেষ ধর্ম আছে। যখন কোন বস্তুর উপর আলো পড়ে তখন সেই আলো প্রতিফলিত হয়ে আমাদের চোখে আসে। বস্তুটি আলোর তরঙ্গ - মিশ্রণের থেকে বেশ কিছু বা প্রায় সব তরঙ্গই শোষণ করে নিতে পারে। কখনও কখনও আবার শোষণ না করে সমস্ত রঙের তরঙ্গগুলিকেই প্রতিফলিত করে দিতে পারে। বস্তু যখন কোনো তরঙ্গ কে শোষণ না করে প্রতিফলিত করে তখন ঐ তরঙ্গের আলো এসে আমাদের চোখে পড়ে। আমরা তখন সেই বস্তুটিকে দেখতে পাই এবং বস্তুটিকেও সেই তরঙ্গের বর্ণেরই মনে করি।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 - একটা বস্তু সব রং শোষন করে যেটা প্রতিফলিত করে, সেটাকেই তার রং বলে মনে হয়।
❐ একটি হলুদ রংয়ের বস্তুর উপর সবুজ আলো ফেললে, হলুদ রংয়ের বস্তুটি সবুজ আলো শোষন করে ফেলবে এবং কোন রং প্রতিফলিত করবে না।
❐ এই কারনে সবুজ আলোতে একটি হলুদ রঙের বস্তুকে কালো রঙের দেখায়।
২৩০. একবিংশ শতাব্দীর প্রথম ধূমকেতুর নাম কি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (বরিশাল বিভাগ) ☞26.8.05
সাধারণ বিজ্ঞান
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 - একুশ শতকের প্রথম ধূমকেতুটির নাম ছিল C/1999 S4 (LINEAR)।
❐ এটি 27 সেপ্টেম্বর, 1999 -এ লিঙ্কন নিয়ার-আর্থ অ্যাস্টেরয়েড রিসার্চ (LINEAR) প্রকল্প দ্বারা আবিষ্কৃত হয়েছিল, যা নিউ মেক্সিকোতে স্বয়ংক্রিয় টেলিস্কোপের একটি সিস্টেম ছিল যার লক্ষ্য ছিল ধূমকেতু এবং গ্রহাণু সহ পৃথিবীর কাছাকাছি বস্তুগুলি সনাক্ত করা।
❐ এই ধূমকেতুটি সবার মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল কারণ এটি সূর্যের কাছে আসার সাথে সাথে দিনের বেলাও খালি চোখে দৃশ্যমান হয়েছিল।
❐ এটি 2000 সালের জুলাই মাসে সূর্যের নিকটবর্তী হওয়ার কারণে এটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
২৩১. বৈদ্যুতিক পাখা ধীরে ধীরে ঘুরলে বিদ্যুৎ খরচ-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (বরিশাল বিভাগ) ☞26.8.05 📖 23rd BCS General Mar, 2001 📖 11th BCS General Oct, 1991
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
যখন পাখার ভোল্টেজ কমানো হয় তখন রোধটি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আর বিদ্যুৎ সরবরাহ কমার কারণে পাখার গতিও কমে যায়। কিন্তু এর ফলে পাখার ভোল্টেজ তথা গতি কমিয়ে যে বিদ্যুৎ বাঁঁচানো হয়, সেই বিদ্যুৎ এই রোধ - মধ্যস্থ তাপশক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে যায়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 - বৈদ্যুতিক পাখা ধীরে ধীরে ঘুরলে বিদ্যুৎ খরচ একই হয়।
❐ ইলেকট্রিক্যাল রেগুলেটর ব্যবহার করলে ফুল স্পিডে বা আস্তে যেভাবেই ঘুরান পাওয়ার একই খরচ হয়। কারন ইলেকট্রিক্যাল রেগুলেটর ইন্ডাকটর দ্বারা তৈরি।
❐ ফ্যান চলার সময় এই রেগুলেটর কমিয়ে দিলে ফ্যানের গতি কমে কিন্তু ইন্ডাক্টর উত্তপ্ত হয়। এই উত্তাপের কারনে বৈদ্যুতিক পাওয়ার খরচ হয়।
❐ আবার ইলেকট্রনিক রেগুলেটরের বেলায় ভিন্ন। এটি একটি ভেরিয়েবল রেজিস্টর। এটি তৈরি হয় থাইরিস্টর ইলেকট্রনিক ডিভাইস দিয়ে।
❐ এতে উত্তাপের পরিমাণ অত্যন্ত কম থাকার কারনে রেগুলেটর লসও খুবি নগন্য হয়। ফলে ফ্যানের গতি কমালে পাওয়ার কম খরচ হবে এবং ফ্যানের গতি বাড়ালে পাওয়ার খরচ বাড়বে।
❐ তাই ইলেকট্রনিক রেগুলেটর ব্যবহার করলে ফ্যানের গতি কম হলে বিদ্যুৎ খর কম হয়।
২৩২. সর্বপ্রথম সৌরজগৎ কে আবিষ্কার করেন?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (বরিশাল বিভাগ) ☞26.8.05
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
কোপার্নিকাস তাঁর ডি রেভোলিউশনিবাস অরবিয়াম কোলেস্টিয়াম ("আকাশের গোলকগুলির আবর্তন বিষয়ক") এর প্রথম পান্ডুলিপি 1532 সালে শেষ করেছিলেন। এতে কোপার্নিকাস প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন যে গ্রহগুলি পৃথিবী নয়, বরং সূর্যের চারদিকে প্রদক্ষিণ করে। তিনি সৌরজগতের মডেল এবং গ্রহগুলির গতিপথ আবিষ্কার করেছিলেন।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 - অ্যারিস্টটল দুই হাজার বছরেরও বেশি সময় আগে বড় বিজ্ঞানী ও দার্শনিক ছিলেন।
▣ তিনি মনে করতেন পৃথিবীর চারপাশে সূর্য ঘোরে।
❐ এখন থেকে প্রায় দুই হাজার বছর পূর্বে বিখ্যাত গণিতবিদ ও জ্যোর্তিবিজ্ঞানী টলেমী জোরালোভাবে বলেন যে, পৃথিবীকে কেন্দ্র করেই সবকিছু ঘুরছে।
❐ নিকোলাস কোপার্নিকাস (১৪৭৩-১৫৪৩) নামে একজন জ্যোর্তিবিদ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে সম্পূর্ণ নতুন মতবাদ নিয়ে আসেন।
❐ তিনি পৃথিবীকেন্দ্রিক মডেলের বদলে সূর্যকেন্দ্রিক মডেলের প্রস্তাব করেন।
❐ তার মডেলের মূল কথা হলো পৃথিবী সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘোরে।
❐ তিনি আরও একটি নতুন তত্ত্ব দেন 'পৃথিবী তার নিজের অক্ষের উপর আবর্তন করছে'।
❐ পরবর্তীতে বিজ্ঞানী গ্যালিলিও ও কেপলার, কোপারনিকাসের এই মতবাদের পক্ষে প্রমান হাজির করেন।
❐ বর্তমানে সূর্যকেন্দ্রিক এই মডেল প্রমাণিত এবং বিজ্ঞানী ও সাধারণ মানুষ তা গ্রহণ করেছে।
উল্লেখ্য যে,
▣ মূলত জ্যোর্তিবিজ্ঞানী নিকোলাস কোপার্নিকাস প্রথম ধারণা দেন যে, পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে ঘুরে। কিন্তু অপশন অনুযায়ী বেস্ট উত্তর হচ্ছে অ্যারিস্টটল।
২৩৩. কোন গ্যাস নিজে জ্বলে কিন্তু অন্যকে জ্বলতে সাহায্য করে না?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (রাজশাহী বিভাগ) ☞26.8.05 📖 ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়➟2017➯B ইউনিট 📖 ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়➟2013➯C ইউনিট
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 - হাইড্রোজেন গ্যাসটি নিজে জ্বলে অন্যকে জ্বলতে সাহায্য করে না।
▣ অক্সিজেন গ্যাসটি নিজে জ্বলে না কিন্তু অন্যকে জ্বলতে সাহায্য করে।
▣ কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাসটি নিজে জ্বলে না, অন্যকে জ্বলতেও সাহায্য করে না।
❏
২৩৪. জীব সংরক্ষণ ও পচন নিবারণের জন্য ব্যবহৃত হয়-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (রাজশাহী বিভাগ) ☞26.8.05
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
মিথান্যাল বা ফরম্যালডিহাইডের ৪০% জলীয় দ্রবণকে ফরমালিন বলে। ফরমালিন একটি কার্যকরী জীবাণুনাশক। তাই জীব সংরক্ষণ ও পচন নিবারণের জন্য ফরমালিন ব্যবহার করা হয়
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ফরমালিন:
▣ মিথান্যালের ৪০% জলীয় দ্রবণকে ফরমালিন বলে।
▣ ফরমালিনে ৪০ ভাগ মিথান্যাল ও ৬০ ভাগ পানি থাকে।
▣ মৃত জীবদেহ সংরক্ষণে ফরমালিন ব্যবহৃত হয়।
▣ ফরমালিন শক্তিশালী জীবাণুনাশক ও জীবাণুজনিত পচন নিরোধক।
❏
২৩৫. ইস্পাত লোহা থেকে ভিন্ন, কারণ এতে-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (রাজশাহী বিভাগ) ☞26.8.05
সাধারণ বিজ্ঞান
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 - সাধারণ লোহার সাথে সুনিয়ন্ত্রিত উপায়ে কার্বন মিশিয়ে ইস্পাত তৈরী করা হয়, তাই এটি সাধারণ লোহা থেকে ভিন্ন।
▣ ইস্পাত লোহা ও কার্বনের একটি সংকর ধাতু যার মধ্যে মোট ওজনের ০.২% থেকে ২.১% কার্বন থাকে।
▣ এছাড়াও ম্যাঙ্গানিজ, ক্রোমিয়াম এবং ট্যাংস্টেন লোহার সাথে মিশিয়ে ইস্পাত তৈরী করা যায়।
❏
২৩৬. ঘর্ষণ, তাপ, রাসায়নিক ইত্যাদি প্রক্রিয়ায় সহজেই পরমাণু থেকে নির্গত হয়-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (রাজশাহী বিভাগ) ☞26.8.05
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
পরমাণুর কেন্দ্রে অবস্থান করে প্রোটন ও নিউট্রন,, বাহিরের স্তরে অবস্থান করে ইলেকট্রন। তাপ, ঘর্ষন ও রাসায়নিক প্রকিয়ার সহজেই নির্গত হয় ইলেকট্রন
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 - তাপ, ঘর্ষন ও রাসায়নিক প্রকিয়ার সহজেই নির্গত হয় ইলেকট্রন।
▣ পরমাণুর বাইরের স্তর থেকে সহজেই ইলেকট্রন পৃথক হয়ে যেতে পারে।
▣ প্রোটন ও নিউট্রন সহজে পৃথক হয় না কারণ এগুলো আবদ্ধ শক্তির কারণে পরমাণুর ভিতরে অবস্থান করে।
২৩৭. কোন মৌলিক অধাতু সাধারণ তাপমাত্রায় তরল থাকে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (রাজশাহী বিভাগ) ☞26.8.05 📖 13th BCS General Apr, 1992 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ভলগা- ০৮.১১.১৩
সাধারণ বিজ্ঞান
১
ব্যাখ্যাঃ
ব্রোমিন হ\"ল একটি রাসায়নিক উপাদান যা প্রতীক Br এবং পারমাণবিক সংখ্যা 35। এটি একমাত্র অধাতু যা কক্ষ তাপমাত্রায় তরল হিসেবে থাকে।
২৩৮. পারমাণবিক বোমার আবিষ্কারক কে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (সিলেট বিভাগ) ☞26.8.05 📖 13th BCS General Apr, 1992 📖 পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাইফার অফিসার-৪.১২
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 - রবার্ট ওপেনহাইমার পারমাণবিক বোমা আবিষ্কার করেন।
▣ জুলিয়াস রবার্ট ওপেনহাইমার, (জন্ম 22 এপ্রিল, 1904, নিউ ইয়র্ক, নিউ ইয়র্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং মৃত্যু 18 ফেব্রুয়ারি, 1967 সালে প্রিন্সটন, নিউ জার্সি)।
▣ রবার্ট ওপেনহেইমার নিউ মেক্সিকোতে লস আলামোসের ল্যাবরেটরির পরিচালক ছিলেন যেখানে পরমাণু বোমার নকশা করা হয়েছিল।
▣ তাকে 'Father of Atomic Bomb' হিসবেও অভিহিত করা হয়।
▣ পারমাণবিক বোমা তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয় ইউরেনিয়াম-২৩৫।
▣ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলার সময় জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে লিটলবয় ও ফ্যাটম্যান নামের যে দুটি বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিল, ওই দুটি বোমা তৈরিতেই ইউরেনিয়াম ব্যবহার করা হয়েছিল।
২৩৯. ডুবোজাহাজ কোন যন্ত্রের সাহায্যে পানির নিচ থেকে ওপরের দৃশ্য দেখে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (সিলেট বিভাগ) ☞26.8.05 📖 নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে জেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী সচিব-০৭.০৫.০৪ 📖 পিটিআই ইনস্ট্রাক্টর-১৫.০৬.১৬
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
পেরিস্কোপ হচ্ছে আয়না ও লেন্সযুক্ত এমন একটি যন্ত্র, যা দিয়ে উপরের বস্তু নিচ থেকে দেখা যায়। এটি সাধারণত ডুবোজাহাজে (সাবমেরিন) ব্যবহৃত হয়। পেরিস্কোপে আলোর ক্রমিক প্রতিফলন ধর্মকে ব্যবহার করা হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 - আলোর প্রতিফলন ও প্রতিসরণকে কাজে লাগানো হয় সরল পেরিস্কোপে।
▣ প্রিজম ও আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনকে কাজে লাগিয়ে অনেক বেশি কার্যকর পেরিস্কোপ তৈরি করা যায়।
▣ কোনো দূরের জিনিস সোজাসুজি দেখতে বাধা থাকলে এই যন্ত্র ব্যবহার করা হয়।
▣ ডুবোজাহাজ (Submrine) এর নাবিকেরা পেরিস্কোপের সাহায্যে পানির নিচ থেকে উপরের দৃশ্য দেখেন।
▣ ভীড় এড়িয়ে খেলা দেখা, শত্রু সৈন্যের গতিবিধি পর্যবেক্ষণে এই যন্ত্র ব্যবহৃত হয়।
২৪০. একজন সাধারণ মানুষের দেহে মোট কত টুকরো হাড় থাকে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (সিলেট বিভাগ) ☞26.8.05 📖 13th BCS General Apr, 1992 📖 তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের সহকারী তথ্য অফিসার-১.১৩
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
একজন শিশুর জন্মের সময় হাড় থাকে ৩৫০ টি। পূর্ণ বয়স্ক মানুষের অস্থি সংখ্যা ২০৬ টি।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 মানুষের কঙ্কালতন্ত্র:
▣ একজন মানুষের দেহে ২০৬ টুকরা হাড় থাকে।
▣ মানুষের কঙ্কালতন্ত্রকে প্রধান দুটি অংশে ভাগ করা হয়।
❐ যথা-
❐ (১) অক্ষীয় কঙ্কাল,
❐ (২) উপাঙ্গীয় কঙ্কাল।
▣ মুখমণ্ডলীয় ও করোটিকার অস্থি সমন্বয়ে গঠিত মাথার কঙ্কালিক গঠনকে করোটি বলে। করোটিতে মোট ২৯টি অস্থি থাকে।
▣ করোটির যে অংশ মস্তিষ্ক আবৃত করে রাখে তাকে করোটিকা বলে।
▣ সর্বমোট ১৪টি অস্থি নিয়ে মুখমণ্ডল গঠিত।
▣ ৩৩টি অসম আকৃতির সীমিত সঞ্চালনক্ষম অস্থিখণ্ডক সমন্বয়ে মেরুদণ্ড গঠিত।
২৪১. পানিতে নৌকার বৈঠা বাঁকা দেখা যাওয়ার কারণ আলোর-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (সিলেট বিভাগ) ☞26.8.05 📖 12th BCS General Apr, 1991 📖 সামরিক ভূমি ও ক্যান্টনমেন্ট অধিদপ্তর ➺জুনিয়র শিক্ষক ☞9.9.23
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
পানি সচছ পদার্থ তাই আমরা যদি পানিতে তাকাই তাহলে তা ভেদ করে আলো অপর পাশে চলে যায় তাই পানিতে যে জিনিস আমরা যেখানে দেখতে পাই তা সেখানে নেই একটু দূরে আছে। তাই পানিতে নৌকার বৈঠা বাঁকা দেখা যায়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 প্রতিসরণ:
▣ আলো যখন এক স্বচ্ছ মাধ্যম থেকে অন্য স্বচ্ছ মাধ্যমে বাঁকাভাবে আপতিত হয় তবে মাধ্যম দুটির বিভেদতলে এর গতিপথের দিক পাল্টে যায়। একে প্রতিসরণ বলে।
▣আলোর প্রতিসরণের ফলে -
❐ ১) পুকুরের পানির ভেতর মাছকে কিছুটা ওপরে দেখা যায়।
❐ ২) একটি সরল দণ্ডকে তির্যকভাবে পানিতে ডোবালে বাঁকা দেখা যায়।
❐ ৩) পানিতে ডোবানো পয়সা উপর থেকে তাকালে কিছুটা উপরে দেখা যায়।
❐ ৪) খাঁড়াভাবে তাকালে পুকুরের গভীরতা প্রকৃত গভীরতা থেকে কম মনে হয়।
❐ ৫) পানিতে নৌকার বৈঠা বাঁকা দেখা যায়।
২৪২. লাল আলোতে নীল রঙের ফুল কেমন দেখায়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (সিলেট বিভাগ) ☞26.8.05 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ঝিলাম- ০৮.১১.১৩ 📖 সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক .০৯
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
নীল রঙের বস্তুর ওপর লাল আলোক রশ্মি আপতিত। হলে বস্তুটি আলোই আর প্রতিফলিত করে না। এজন্য লাল আলোতে নীল রঙের বস্তু কালো দেখায়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 - লাল আলোতে নীল, হলুদ ইত্যাদি রংয়ের বস্তুকে কালো দেখায়।
▣ আমরা জানি, কোন বর্ণ ঐ বর্ণের আলো ছাড়া অন্য সকল বর্ণের আলোকে শোষণ করে নেয়।
▣ এক্ষেত্রে লাল আলোতে হলুদ বস্তুর রং লাল আলো শোষণ করে নেবে।
▣ ফলে কোনো বর্ণের আলো প্রতিফলিত হবে না।
▣ সুতরাং লাল আলোতে হলুদ বস্তু কালো দেখাবে।
২৪৩. বায়োগ্রাস তৈরির পর যে অবশিষ্টাংশ থাকে তা-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (সিলেট বিভাগ) ☞26.8.05
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
বায়োগ্যাস উৎপাদনের পর অবশিষ্ট আবর্জনাটুকু উত্তম জৈব সার হিসেবে বেশ কার্যকরী
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 বায়োগ্যাস:
▣ গোবর ও অন্যান্য পঁচনশীল পদার্থ বাতাসের অনুপস্থিতিতে (অবায়বীয় অবস্থায়) পঁচানোর ফলে যে বর্ণহীন জ্বালানি গ্যাস তৈরী হয়, তাকে বায়োগ্যাস বলে।
▣ বায়োগ্যাসে শতকরা ৬০-৭০ ভাগ মিথেন থাকে, তাই একে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
▣ মিথেন ছাড়া বায়োগ্যাসে থাকে মূলত কার্বন ডাই অক্সাইড (CO_(2∗)।
▣ সাধারণত অবায়বীয় ব্যাকটেরিয়ার কার্যকারিতায় গোবর ও অন্যান্য আবর্জনা পঁচে বায়োগ্যাস সৃষ্টি হয়।
▣ এ গ্যাস উৎপাদনের পর অবশিষ্ট অংশ উন্নত মানের সার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
❐ [এখানে অধিক গ্রহণযোগ্য উত্তর হিসেবে সার হিসেবে ব্যবহার করাকে নেয়া হয়েছে কারণ অবশিষ্ট অংশ সার হিসেবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।]
❐ বায়োগ্যাস তৈরির সময় রেসিডিউ (অবশিষ্টাংশ) নিম্নলিখিত কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে -
❐ ১. উন্নতমানের জৈব সার হিসেবে জমিতে ব্যবহার করা যায়।
❐ ২. মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
❐ ৩. মাশরুম চাষ করা যায়।
❐ ৪. মুক্তা চাষে ব্যবহার করা যায়।
২৪৪. আমাদের দেহকোষ রক্ত থেকে গ্রহণ করে-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (সিলেট বিভাগ) ☞26.8.05 📖 10th BCS General Apr, 1989 📖 রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -জবা- ০৯.১২.১১
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
আমাদের দেহকোষ রক্ত হতে অক্সিজেন ও খাদ্যসার (গ্লুকোজ, অ্যামাইনো এসিড, ফ্যাটিএসিড) গ্রহণ করে। পক্ষান্তরে রক্ত দেহকোষ থেকে বিপাকের ফলে উৎপন্ন পদার্থ ও CO² গ্রহণ করে। রক্তের হিমোগ্লোবিন অক্সিজেন পরিবহন করে অক্সি - হিমোগ্লোবিন রূপে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 - আমাদের দেহে সকল কাজের জন্য অক্সিজেন দরকার।
▣ অক্সিজেন না হলে জীবকোষ বাঁচতে পারে না।
▣ রক্তের লোহিত রক্ত কণিকায় অবস্থিত হিমোগ্লোবিন ফুসফুস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে।
▣ অক্সিহিমোগ্লোবিন রূপে প্রতিটি কোষে বহন করে।
▣ দেহকোষ রক্ত হতে অক্সিজেন ও খাদ্যসার (গ্লুকোজ, অ্যামাইনো এসিড, ফ্যাটিএসিড) গ্রহণ করে।
❐
২৪৫. পানিকে সম্পূর্ণ জীবাণুমুক্ত করা যায়-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (সিলেট বিভাগ) ☞26.8.05
সাধারণ বিজ্ঞান
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 - সাধারণত যেসব প্রক্রিয়ায় পানি বিশুদ্ধ করা হয়, সেগুলো হলো পরিস্রাবণ, ক্লোরিনেশন, স্ফুটন, পাতন ইত্যাদি।
▣ নিচে এই প্রক্রিয়াগুলো বর্ণনা করা হলো -
❐ পরিস্রাবণ: পরিস্রাবণ হলো তরল আর কঠিন পদার্থের মিশ্রণ থেকে কঠিন পদার্থকে আলাদা করার একটি প্রক্রিয়া। পানিতে অদ্রবণীয় ধুলা-বালির কণা থেকে শুরু করে নানারকম ময়লা-আবর্জনার কণা থাকে। এদেরকে পরিস্রাবণ করে পানি থেকে দূর করা হয়। এটি করার জন্য পানিকে বালির স্তরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত করা হয়, তখন পানিতে অদ্রবণীয় ময়লার কণাগুলো বালির স্তরে আটকে যায়। বালির স্তর ছাড়াও খুব সূক্ষ্মভাবে তৈরি কাপড় ব্যবহার করেও পরিস্রাবণ করা যায়। বর্তমান সময়ে আমাদের অনেকের বাসায় আমরা যেসব ফিল্টার ব্যবহার করি, সেখানে আরো উন্নতমানের সামগ্রী দিয়ে পরিস্রাবণ করা হয়।
❐ ক্লোরিনেশন: যদি পানিতে রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু থাকে, তবে তা অবশ্যই দূর করতে হবে এবং সেটি করা হয় জীবাণুনাশক ব্যবহার করে। নানারকম জীবাণুনাশক পানি বিশুদ্ধ করার কাজে ব্যবহার করা হয়। এদের মাঝে অন্যতম হচ্ছে ক্লোরিন গ্যাস। এছাড়া ব্লিচিং পাউডার এবং আরও কিছু পদার্থ যার মাঝে ক্লোরিন আছে এবং জীবাণু ধ্বংস করতে পারে, সেগুলো ব্যবহার করা হয়।
❐ স্ফুটন: পানিকে খুব ভালোভাবে ফুটালে এতে উপস্থিত জীবাণু ধ্বংস হয়ে যায়। প্রশ্ন হতে পারে, জীবাণুমুক্ত করার জন্য কতক্ষণ পানি ফুটাতে হয়? স্ফুটন শুরু হওয়ার পর ১৫-২০ মিনিট ফুটালে সেই পানি জীবাণুমুক্ত হয়। বাসা-বাড়িতে খাওয়ার জন্য এটি একটি সহজ এবং সাশ্রয়ী প্রক্রিয়া।
❐ পাতন: যখন খুব বিশুদ্ধ পানির প্রয়োজন হয়, তখন পাতন প্রক্রিয়ায় পানি বিশুদ্ধ করা হয়। যেমন: ঔষধ তৈরির জন্য, পরীক্ষাগারে রাসায়নিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পুরোপুরি বিশুদ্ধ পানির প্রয়োজন হয়। এই প্রক্রিয়ায় একটি পাত্রে পানি নিয়ে তাপ দিয়ে সেটাকে বাষ্পে পরিণত করা হয়। পরে ঐ বাষ্পকে আবার ঘনীভূত করে বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় বিশুদ্ধ করা পানিতে অন্য পদার্থ থাকার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে।
❐ এখানে, অপশনের অন্যান্য উপাদানগুলো দিয়েও পানি জীবাণুমুক্ত করা যায়, কিন্তু পানিকে সম্পূর্ণ জীবাণুমুক্ত করা যায় পানিকে পরিস্রুত করে প্রবাহিত করে এবং ক্লোরিন মিশিয়ে। তাই অধিক গ্রহণযোগ্য উত্তর হিসেবে অপশন (ঘ) পানিকে পরিস্রুত করে প্রবাহিত করে, ক্লোরিন মিশিয়ে কে নেয়া হয়েছে।
❐ উৎস: বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।
২৪৬. পৃথিবী সূর্যের চারদিকে কত মাইল বেগে ঘুরে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৫ (সিলেট বিভাগ) ☞26.8.05
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে ঘন্টায় ৬৭০০০ মাইল বেগে ঘোরে। সূর্যের আলো পৃথিবীতে আসতে ৮ মিনিট ১৩ সেকেন্ড সময় লাগে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 পৃথিবী:
▣ পৃথিবীর পরিধি ৩৬০ ডিগ্রি।
▣ পৃথিবীকে বলা হয় আদর্শ গ্রহ।
▣ একমাত্র পৃথিবী গ্রহেই উদ্ভিদ ও প্রাণীর বসবাসের উপযোগী পরিবেশ রয়েছে।
▣ সূর্য থেকে পৃথিবীর গড় দূরত্ব প্রায় ১৫ কোটি কিলোমিটার।
▣ এর ব্যাস প্রায় ১৩ হাজার কিলোমিটার।
▣ পৃথিবী সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে সময় লাগে ৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড।
▣ পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ।
▣ পৃথিবী সূর্যের চারপাশে প্রায় 67,000 (107,000 km/h) মাইল প্রতি ঘন্টায় ঘুরতে থাকে।
▣ এটি প্রায় 365 দিনের মধ্যে ঘোরা সম্পূর্ণ করে।
২৪৭. কোনটি মৌলিক পদার্থ
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৬ (খুলনা বিভাগ) ☞1.12.06 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - হোয়াংহো- ০৮.১১.১৩ 📖 নন ক্যাডার~সংসদ সচিবালয় ➺ব্যাক্তিগত কর্মকর্তা ☞15.5.23
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
মৌলিক পদার্থ
যে সব পদার্থকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত করলে ওই পদার্থ ছাড়া অন্য কোন পদার্থ পাওয়া যায়না তাদেকে মৌল বা মৌলিক পদার্থ বলা হয়। এদের একটি অণু একই রকম এক বা একাধিক পরমাণুর সমন্বয়ে তৈরি। যেমন, একটি মৌলিক পদার্থ, অক্সিজেনের অণু O2 দুটি একইরকম অক্সিজেন পরমাণু O এর সমন্বয়ে গঠিত।
এ পর্যন্ত মোট ১১৮টি মৌল চিহ্নিত হয়েছে যার মধ্যে ১৮টি প্রকৃতিতে পাওয়া যায়, বাকী ২০টি কৃত্রিম উপায়ে তৈরী করা হয়। সাধারণত, একটি মৌলের পরমাণুতে প্রোটন সংখ্যা নির্দিষ্ট বা একই মৌলের প্রতিটি পরমাণুতে সমান সংখ্যা প্রোটন থাকে (অর্থাৎ তাদের প্রত্যেকের পারমাণবিক সংখ্যা একই এবং ভিন্ন ভিন্ন মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা ভিন্ন)। তাই সাধারণভাবে প্রোটন সংখ্যা দ্বারা কোন মৌল চেনা যায়। তবে, একই মৌলের ভিন্ন প্রোটন সংখ্যা বিশিষ্ট পরমাণুও রয়েছে, যাদেরকে আইসোটোপ বলে। পারমাণবিক সংখ্যার ঊর্ধ্বক্রমানুসারে সাজালে, ১১৮- টি মৌলের প্রথম ৮০টির অন্তত একটি করে আইসোটোপের স্থায়ী রূপ রয়েছে (কয়েকটি ব্যতিক্রম ছাড়া),
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 মৌলিক পদার্থ:
❐ যে পদার্থকে বিশ্লেষণ করলে ওই পদার্থ ভিন্ন ধর্ম বিশিষ্ট অন্য কোন নতুন পদার্থ পাওয়া যায় না, তাকে মৌলিক পদার্থ বা মৌল বলে।
যেমন:- হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, হিলিয়াম, কার্বন, গন্ধক, তামা, দস্তা, পারদ, সোনা, রুপা, লৌহ, নিয়ন, আর্গন প্রভৃতি মৌলিক পদার্থ।
▣ যৌগিক পদার্থ:
❐ যে পদার্থের রাসায়নিক বিশ্লেষণ করলে দুই বা তার বেশি মৌলিক পদার্থ পাওয়া যায়, তাকে যৌগিক পদার্থ বলে।
যেমন:- পানি, কার্বন-ডাই-অক্সাইড, খাদ্য লবণ, চিনি, এসিড, ক্ষার প্রভৃতি হলো যৌগিক পদার্থ।
২৪৮. কোনটি ধাতুর বৈশিষ্ট্য নয়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৬ (খুলনা বিভাগ) ☞1.12.06
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
ধাতুগুলি শক্ত, অ-আঠালো, ঠান্ডা এবং মসৃণ, তারা প্রায়শই চকচকে এবং শক্তিশালী হয় । এগুলি নমনীয় এবং নমনীয়, সহজে ভাঙ্গে না। ধাতুগুলি বিদ্যুৎ, শব্দ এবং তাপের খুব ভাল পরিবাহী।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ধাতুর বৈশিষ্ট্য:
❐ ঘাতসহনীয়তা: ধাতুকে পিটিয়ে বিভিন্ন আকার দেওয়া যায়।
❐ নমনীয়তা: ধাতুকে বাঁকানো যায়।
❐ উজ্জ্বলতা: ধাতুর আলোক বিচ্ছুরণ বা প্রতিফলন করে বলে এগুলো চকচক করে।
❐ পরিবাহিতা: ধাতুসমূহ তাপ ও বিদ্যুৎ পরিবাহি।
❐ ধাতব শব্দ: আঘাত করলে ধাতু টুন টুন শব্দ করে।
❐ গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক: ধাতুসমূহের গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক অত্যন্ত বেশি (তবে পারদ সাধারণ তাপমাত্রায় তরল)।
❐ ঘনত্ব: অধাতুর চেয়ে ধাতুসমূহের ঘনত্ব বেশি।
২৪৯. উদ্ভিদ কোষ থেকে বাষ্পাকারে পানি বের হয়ে যাওয়ার প্রণালীকে বলে-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৬ (খুলনা বিভাগ) ☞1.12.06 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -ক্রিসানথিমাম- ১২.১০.১২ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -করতোয়া- ২৪.০২.১২
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
প্রস্বেদন
প্রস্বেদন (ইংরেজি: Transpiration) হচ্ছে একটি শারীরতাত্ত্বিক প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে উদ্ভিদের পাতা ও অন্যান্য বায়বীয় অঙ্গ হতে জল বাষ্পাকারে বের হয়ে যায়। মূল এবং ফুলের মাধ্যমেও প্রস্বেদন বা বাষ্পমোচন হতে পারে। উদ্ভিদ তার মূল দিয়ে জল শোষণ করে থাকে এবং পত্ররন্ধ্রের রক্ষীকোষ দুটোর-স্ফীতি ও শিথিল অবস্থা পত্ররন্ধ্র খোলা ও বন্ধ হওয়া নিয়ন্ত্রণ করে। পত্ররন্ধ্রের মাধ্যমে বেশিরভাগ প্রস্বেদন সম্পন্ন হয়।
বাষ্পমোচনের ফলে মেসোফিল কলায় যে ব্যাপন চাপ ঘাটতি (Diffusion pressure deficit) দেখা যায় তা জাইলেম বাহিকায় যে বিশেষ চোষণ চাপ (suction pressure) সৃষ্টি করে মূল থেকে খনিজ লবণ মিশ্রিত জলকে ঊর্ধ্বমুখে পরিবাহিত করে, তাকে বাষ্পমোচন টান বা প্রস্বেদন টান বলে। এই টানের ফলেই রসের উৎস্রোত (Ascent of sap) ঘটে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 প্রস্বেদন:
❐ উদ্ভিদকোষ থেকে বাষ্পাকারে পানি বের হয়ে যাওয়ার প্রণালীকে বলা হয় প্রস্বেদন।
▣ প্রস্বেদন এর গুরুত্বসমূহ:
❐ প্রস্বেদনের কারণে উদ্ভিদ দেহ থেকে পানি বের করে দিয়ে অতিরিক্ত পানির চাপ থেকে মুক্ত হয়।
❐ প্রস্বেদন কোষরসের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে। ফলে উদ্ভিদ সহজে মূল দিয়ে পানি ও খনিজ লবণ শোষণ করতে পারে।
❐ প্রস্বেদনের কারণে উদ্ভিদদেহ ঠান্ডা থাকে এবং পাতায় আর্দ্রতা বজায় থাকে।
২৫০. কোনো স্থানের বায়ুচাপ হঠাৎ কমে গেলে কী হয়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৬ (খুলনা বিভাগ) ☞1.12.06
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
ব্যারোমিটার আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানী টরেসিলি। যে যন্ত্র দিয়ে বাতাসের চাপ মাপা হয় সে যন্ত্রকে বলা হয় ব্যারোমিটার।বায়ুমন্ডলের চাপ মাপার জন্য এখনো নির্ভরতার সঙ্গে ব্যারোমিটার ব্যবহার করা হচ্ছে। বাতাসের চাপ সবসময় স্থির থাকে না। কখনো তা বাড়ে আবার কখনো কমে। এর একমাত্র কারণ বাতাসে জলীয় বাষ্পের হ্রাস-বৃদ্ধি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে গেলে বাতাসের চাপ কমে যায় এবং তা ব্যারোমিটার ধরা পড়ে। ব্যারোমিটারের কাঁটায় সব বোঝা যায়। বাতাসের চাপ কমলে বুঝতে হবে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে এবং বাতাসের চাপ বাড়তে থাকলে আবহাওয়া পরিষ্কার হবে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 - বায়ুতে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে গেলে বায়ুচাপ কমে যায় এবং আবার বায়ুচাপ কমে গেলে বায়ুপ্রবাহ বেড়ে যায়।
❐ বায়ুতে তাপমাত্রা বাড়লে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে যায়।
❐ কোনো নির্দিষ্ট আয়তনের বায়ুতে অবস্থিত জলীয়বাষ্পের প্রকৃত পরিমাপকে তুল্য আর্দ্রতা বলে।
❐ তুল্য আর্দ্রতার সাথে শিশিরাঙ্কের সম্পর্ক রয়েছে।
❐ যে তাপমাত্রার বায়ু জলীয়বাষ্পে সম্পৃক্ত হয় তা শিশিরাঙ্ক নামে পরিচিত।
❐ অর্থাৎ বায়ুতে উপস্থিত জলীয়বাষ্প দ্বারা ঐ বায়ুতে সম্পৃক্ত করতে হলে যে তাপমাত্রা পর্যন্ত শীতল করা প্রয়োজন সেই তাপমাত্রাকে শিশিরাঙ্ক বলে।
২৫১. তাপ সঞ্চালনের প্রক্রিয়া কয়টি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৬ (খুলনা বিভাগ) ☞1.12.06 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2005➯ঘ ইউনিট 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2012➯A ইউনিট
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
তাপ সঞ্চালনের তিনটি পদ্ধতির পার্থক্য : (1) পরিবহণ ও পরিচলন
পদ্ধতিতে তাপ সঞ্চালনের জন্য জড় মাধ্যমের প্রয়োজন, কিন্তু বিকিরণ পদ্ধতিতে জড় মাধ্যমের প্রয়োজন নেই। এই পদ্ধতিতে মাধ্যম ছাড়াও তাপ সঞ্চালিত হতে পারে। (2) পরিবহণ পদ্ধতিতে তাপ সঞ্চালন এর সময় মাধ্যমের অণুগুলির কোনো স্থানচ্যুতি ঘটে
না
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 তাপ সঞ্চালন:
❐ তাপ বেশি তাপমাত্রার স্থান থেকে কম তাপমাত্রার স্থানে যেতে পারে। তাপের এই স্থান পরিবর্তনকে তাপ সঞ্চালন বলে।
❐ তাপ সঞ্চালন তিন প্রক্রিয়ায় সংঘটিত হয়।
যথা -
❆ ১। পরিবহন,
❆ ২। পরিচলন ও
❆ ৩। বিকিরণ।
২৫২. বায়ুমন্ডলের কোন উপাদান অতিবেগুনি রশ্মিকে শোষণ করে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৬ (খুলনা বিভাগ) ☞1.12.06 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ঝিলাম- ০৮.১১.১৩ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -চট্রগ্রাম বিভাগ- ১৮.০৪.০৮
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
ওজোন মণ্ডল বা ওজোন স্তর - এর গুরুত্বগুলি হলো নিম্নরূপ
1. এই স্তরে ওজোন গ্যাসের একটি পর্দা আছে, যা সূর্য থেকে বিচ্ছুরিত অতিবেগুনি রশ্মিকে (Ultra-Violet Ray) শোষণ করে ভূপৃষ্ঠে আসতে দেয় না, যার ফলে জীবজগৎ ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পায়।
2. বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য বজায় রাখে।
3. জীববৈচিত্র রক্ষা করে।
4. ওজোন গ্যাস সূর্যের তাপ ও অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করে, ফলে এই স্তরের তাপমাত্রা খুব বেশি হলেও তা বায়ুমন্ডলীয় তাপের ভারসাম্য বজায় রাখে
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 স্ট্রাটোমণ্ডল:
❐ বায়ুমণ্ডলের দ্বিতীয় স্তর স্ট্রাটোমণ্ডল।
❐ এই স্তরে ওজোন গ্যাসের স্তর বেশি পরিমাণে আছে।
❐ এই ওজোন স্তর সূর্যের আলোর বেশিরভাগ অতিবেগুনি রশ্মি শুষে নেয়।
❐ এই স্তরের বায়ুতে অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণা ছাড়া কোনো রকম জলীয়বাষ্প থাকে না। ফলে আবহাওয়া শান্ত ও শুষ্ক থাকে।
❐ ঝড়-বৃষ্টি থাকেনা বলেই এই স্তরের মধ্য দিয়ে সাধারণত জেট বিমানগুলো চলাচল করে।
২৫৩. রক্তশূন্যতা বলতে বোঝায়-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৬ (খুলনা বিভাগ) ☞1.12.06 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (শীতলক্ষ্যা) ☞14.4.13
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
রক্তশূন্যতা হলো রক্তের এমন একটি রোগ যেখানে রক্তে লোহিত রক্তকণিকা (RBC) বা হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিক সংখ্যার চেয়ে কম থাকে, বা রক্তের অক্সিজেন বহন করার ক্ষমতা হ্রাস পায়। যখন রক্তশূন্যতা ধীরে ধীরে হয়, তখন লক্ষণগুলি প্রায়ই অস্পষ্ট হয়, যেমন ক্লান্তি বোধ, দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট, মাথাব্যথা এবং ব্যায়াম করার
কম ক্ষমতা।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 রক্তশূন্যতা (Anemia):
❐ রক্তাশূন্যতার প্রধান কারণ রক্তে হিমোগ্লোবিনের ঘনত্ব স্বাভাবিকের তুলনায় কমে যাওয়া।
❐ খাদ্যের প্রধান উপাদান ভিটামিন বি১২ এর অভাবে এ রোগ দেখা যায়।
❐ বাংলাদেশ সাধারণত লৌহ ঘটিত আমিষের অভাবে এ রোগ দেখা যায়।
❐ শিশুদের ও গর্ভধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন মহিলাদের ক্ষেত্রে এ রোগ বেশি সংঘটিত হয়।
২৫৪. গ্রিনিচে যখন রবিবার সকাল ৬ টা তখন ১৮০° পূর্ব ও পশ্চিম দ্রাঘিমায় সময় যথাক্রমে-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৬ (চট্টগ্রাম বিভাগ) ☞1.12.06
সাধারণ বিজ্ঞান
২
ব্যাখ্যাঃ
গ্রীনিচে যখন সময় রবিবার সকাল ৬টা তখন এর ৯০ ডিগ্রী পূর্বদিকে অবস্থিত স্থানের সময় হবে - - - রবিবার দুপুর ১২টা।
গ্রিনিচ থেকে পূর্ব দিকে গেলে ১° = ৪ মিনিট সময় যোগ হয় সেক্ষেত্রে গ্রিনিচ থেকে ৯০° পূর্বদিকে অবস্থিত স্থানের সময়।
অতএব গ্রিনিচ এ যখন সময় রবিবার সকাল ৬টা তখন ৯০° পূর্বদিকে সময় হবে দুপুর ১২টা।
অনুরূপভাবে হিসাব করতে হবে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 পৃথিবীতে প্রতি ডিগ্রি দ্রাঘিমার জন্যে সময়ের পার্থক্য হয় ৪ মিনিট।
❆ ∴ ১৮০ ডিগ্রি = ১৮০ × ৪ = ৭২০ মিনিট
❆ = ১২ ঘন্টা।
❏ কোন স্থান থেকে পূর্বে গেলে সময় বাড়বে আর পশ্চিমে গেলে সময় কমবে।
❏ কোন স্থানে সময় যখন রবিবার সকাল ৬টা তখন -
❆ ∴ ১৮০ ডিগ্রি পূর্বে সময় হবে রবিবার সন্ধ্যা ৬ টা এবং ১৮০ ডিগ্রি পশ্চিমে সময় হবে শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা।
২৫৫. কোন বিজ্ঞানী রোগজীবাণু তত্ত্ব উদ্ভাবন করেন?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৬ (চট্টগ্রাম বিভাগ) ☞1.12.06
সাধারণ বিজ্ঞান
১
ব্যাখ্যাঃ
Girolamo Fracastoro, Agostino Bassi , Friedrich Henle প্রমুখ বিজ্ঞানী লুই পাস্তুরের অনেক পূর্বেই রোগ জীবাণু তত্ত্বের (Germ theory of disease) প্রস্তাব করেন। তবে ফরাসি বিজ্ঞানী লুই পাস্তুরই (Louis Pasteur ) সর্বপ্রথম পরীক্ষায় সাহায্যে রোগজীবাণু তত্ত্ব প্রমাণ করেন। ইংরেজ প্রকৃতি বিজ্ঞানী চার্লস রবার্ট ডারউইন প্রাকৃতিক নির্বাচন মতবাদের প্রবর্তক । গেলাপেগোস দ্বীপপুঞ্জের জীবসম্প্রদায় পর্যবেক্ষণ করে ১৮৫৯ খ্রিস্টাব্দে বিখ্যাত গবেষণা পুস্তক \"On Origin of Species by Means of Natural Selection \" - এ তিনি তাঁর মতবাদ প্রকাশ করেন। ১৭৭৪ সালে ইংরেজ বিজ্ঞানী জোসেফ প্রিস্টলি সর্বপ্রথম অক্সিজেন গ্যাস আবিষ্কার করেন। ফরাসি বিজ্ঞানী ল্যাভয়েসিয়ে এ গ্যাসের অনেকগুলো ধর্ম পরীক্ষা করে এর নাম দেন অক্সিজেন।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 বিজ্ঞানী 'লুই পাস্তুর' রোগজীবাণু তত্ত্ব উদ্ভাবন করেন।
❏ তিনি ছিলেন ফ্রেঞ্চ রসায়নবিদ এবং অণুজীববিজ্ঞানী।
❏ ১৮৮৫ সালে লুই পাস্তুর জলাতঙ্কের টিকা আবিষ্কার করেন এবং টিকাজগতে বিপ্লব ঘটান।
❏ এছাড়াও তিনি মুরগির কলেরা, গবাদি পশুর অ্যানথ্রাক্স, পাস্তুরাইজেশন পদ্ধতি প্রভৃতি উদ্ভাবন করেন।
২৫৬. বিশ্বব্যাপী বিপর্যয় সৃষ্টিকারী ‘CIH’ ভাইরাস কত তারিখে কম্পিউটার আক্রমণ করে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৬ (চট্টগ্রাম বিভাগ) ☞1.12.06
সাধারণ বিজ্ঞান
০
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 কম্পিউটার ভাইরাস একটি ক্ষতিকারক প্রোগ্রাম।
❏ কম্পিউটার ভাইরাস বাহিরের উৎস থেকে কম্পিউটারের মেমোরিতে প্রবেশ করে মেমোরিতে গোপনে বিস্তার লাভ করে মূল্যবান প্রোগ্রাম, তথ্য নষ্ট করা ছাড়াও অনেক সময় কম্পিউটারকে অচল করে দেয়।
❏ CIH ভাইরাসের রচয়িতা Chen Ing-hau (চেন ইং-হাও) যিনি তাইওয়ানের Tatung University এর ছাত্র ছিলেন।
❏ তার নামের আদ্যাক্ষর নিয়েই মূলত এই ভাইরাসের নামকরণ করা হয়েছে- Chen Ing-hau (CIH)। এই ভাইরাসকে Chernobyl বা Spacefiller-ও বলা হয়।
❏ ২৬ এপ্রিল, ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের লক্ষ লক্ষ কম্পিউটার 'CIH' বা চেরনোবিল নামক ভাইরাসের আক্রমণে বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়।
২৫৭. কোনো পরমাণুর ভর বলতে বোঝায়-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৬ PEDP-2
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
পরমাণুর ভর বলতে প্রোটন ও নিউট্রনের ভর কে বোঝায়। প্রোটন ও নিউট্রন পরমাণুর নিউক্লিয়াসে অবস্হান করে এবং ইলেকট্রন নিউক্লিয়াসের বাইরের স্তরে অবস্থান করে। প্রোটন ও নিউট্রনের ভরই পরমাণুর ভর।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 পরমাণুর ভর:
❐ - পরমাণুর ভর বলতে প্রোটন ও নিউট্রনের ভরকে বোঝায়।
▣ প্রোটন ও নিউট্রন পরমাণুর নিউক্লিয়াসে অবস্থান করে।
▣ ইলেকট্রন নিউক্লিয়াসের বাইরের স্তরে অবস্থান করে।
২৫৮. শূন্য মাধ্যমে নিচের তিনটি বস্তুকে একসাথে ছেড়ে দিলে কোনটি আগে মাটিতে পড়বে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৬ PEDP-2 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -বরিশাল বিভাগ- ১৮.০৪.০৮
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
পড়ন্ত বস্তু সম্পর্কে গ্যালিলিও তিনটি সূত্র দিয়েছেন। এগুলোকে পড়ন্ত বস্তুর ক্ষেত্রে গ্যালিলিওর সূত্র(Galileo’s Laws) বলে। যা স্থির অবস্থা থেকে বিনা বাধায় পড়ন্ত বস্তুর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
সূত্রগুলো নিম্নে প্রদত্ত হলো:
১ম সূত্র (Galileo’s 1st Law)
বায়ুশূন্য স্থানে বা বাধাহীন পথে সকল বস্তুই নিশ্চল অবস্থা হতে যাত্রা করে সমান দ্রুততায় নিচে নামে অর্থাৎ সমান সময়ে সমান দূরত্ব অতিক্রম করে।
ব্যাখ্যা: ছোট, বড় ও বিভিন্ন ওজনের কতকগুলো বস্তু একই উচ্চতা হতে ও স্থিরাবস্থা হতে ছেড়ে দিলে বাধাহীন পথে তারা সমান দ্রুততায় অর্থাৎ ত্বরণে গতিশীল থাকবে এবং একই সময়ে মাটিতে পড়বে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 গ্যালিলিওর পড়ন্ত বস্তুর পরীক্ষা:
▣ বিজ্ঞানী গ্যালিলিও পড়ন্ত বস্তুর পরীক্ষা দ্বারা প্রমাণ করেন যে, একই উচ্চতা থেকে মুক্তভাবে পড়ন্ত বস্তু একই সময়ে মাটিতে এসে পড়ে।
▣ প্রথম সূত্র:
▣ স্থির অবস্থান এবং একই উচ্চতা থেকে বিনা বাধায় বা মুক্তভাবে পড়ন্ত সকল বস্তু সমান সময়ে সমান পথ অতিক্রম করে ।
▣ দ্বিতীয় সূত্র:
▣ স্থির অবস্থান থেকে বিনা বাধায় পড়ন্ত বস্তু নির্দিষ্ট সময়ে প্রাপ্ত বেগ ঐ সময়ের সমানুপাতিক।
▣ তৃতীয় সূত্র:
▣ স্থির অবস্থান থেকে বিনা বাধায় পড়ন্ত বস্তু নির্দিষ্ট সময়ে যে দূরত্ব অতিক্রম করে তা ঐ সময়ের বর্গের সমানুপাতিক।
▣ অর্থাৎ t সময়ে বস্তু h দূরত্ব অতিক্রম করলে, h∝ t.
▣ তাই শূন্য মাধ্যমে ৩টি বস্তুকে একসাথে ছেড়ে দিলে সবকয়টি একসাথে মাটি স্পর্শ করবে।
❐
২৫৯. ঢাকা বিভাগে কয়টি জেলা?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৬ PEDP-2 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -করতোয়া- ০৮.০১.১০ 📖 পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ➺অফিস সহকারী ও কম্পিউটার ☞24.3.23
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
বর্তমানে ঢাকা বিভাগে মোট ১৩ টি জেলা রয়েছে। এগুলো হলো - ঢাকা, গাজীপুর , নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী ,মুন্সিগঞ্জ ,মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারিপুর, শরিয়তপুর, গোপালগঞ্জ ও রাজবাড়ি।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ঢাকা বিভাগে ১৩টি জেলা রয়েছে। ঢাকা বিভাগ:
▣ ১৮২৯ সালে ঢাকা বিভাগ গঠিত হয়।
▣ ১৮৬৪ সালে ঢাকা মিউনিসিপ্যালিটি গঠিত হয়।
▣ ১৯৯০ সালে ঢাকা শহরকে সিটি কর্পোরেশনে রূপান্তর করা হয়।
❐ - জেলার সংখ্যা: ১৩ টি।
▣ উন্নয়ন সার্কেল: ০১ টি (তেজগাঁও উন্নয়ন সার্কেল)।
▣ সিটি কর্পোরেশন: ০৪ টি।
২৬০. প্রাণিজগতের উৎপত্তি ও বংশ সম্বন্ধীয় বিদ্যা-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৬ PEDP-2
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
প্রাণীজগতের উৎপত্তি ও বংশ সম্বন্ধীয় বিদ্যাকে বলে জেনেটিক্স।
জীব বিজ্ঞানের যে শাখায় বংশগতির রীতিনীতি অর্থাৎ বংশানুক্রমিক, গুণাবলীর, উৎপত্তি, প্রকৃতি ও আচরণ সম্পর্কে আলোচিত হয়, সে শাখাকে বংশগতিবিদ্যা জেনেটিক্স বলে। ইভোলিউশন অর্থ অভিব্যক্তি বা বিবর্তন। এ শাখায় বিভিন্ন প্রাণীর উৎপত্তি, ধারাবাহিক পরিবর্তন ও বিকাশ সম্বন্ধে আলোচনা করা হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 জেনেটিক্স:
▣ জেনেটিক্স বা বংশগতি হলো বাবা-মা হতে সন্তান-সন্ততিতে জিনগত বৈশিষ্ট্য স্থানান্তরিত হওয়া যার মাধ্যমে বাবা-মায়ের সাথে সন্তানের অনেক সামঞ্জস্যতা দেখা যায়।
▣ জীবের বংশগতি নিয়ে যে শাখায় আলোচনা করা হয় তাকে বলা হয় জেনেটিক্স (Genetics) বা বংশগতিবিদ্যা।
❐ অন্যদিকে -
❐ ইভোলিউশন:
❐ - বিবর্তন বা অভিব্যক্তি হলো এমন একটি জীববৈজ্ঞানিক ধারণা যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে জীবের গাঠনিক ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের ক্রমপরির্তনকে বুঝায়।
❐ ইকোলজি:
▣ প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে জীবের আন্তঃসম্পর্ক নিয়ে যে শাখায় আলোচনা করা হয় তাকে ইকোলজি বা বাস্তবিদ্যা বলে।
❐ আর্কিওলোজি:
▣ বস্তুগত নিদর্শনের ভিত্তিতে অতীত পুনঃনির্মাণ করার বিজ্ঞানকেই আর্কিওলোজি বা প্রত্নতত্ত্ব বলে চিহ্নিত করা হয়।
২৬১. গোধূলির কারণ কি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৬ PEDP-2 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -জবা- ১১.০৯.০৯ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -বরিশাল বিভাগ- ১৮.০৪.০৮
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
গোধূলির প্রধান কারণ হল আলোর বিক্ষেপণ । সূর্যাস্তের সময় সূর্যের আলো বায়ুমণ্ডলে ভাসমান ধূলিকণা ,পানিকণা ইত্যাদির মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় কম তরঙ্গদৈর্ঘ্য বিশিষ্ট বেগুনী , নীল , আসমানি প্রভৃতি বর্ণের বিক্ষেপণ বেশি ঘটে ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 আলোর বিক্ষেপণ:
▣ গোধূলির প্রধান কারণ হলো আলোর বিক্ষেপণ।
▣ আলো কোন মাধ্যমে যাওয়ার পথে মাধ্যমের কণাগুলোর সাথে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে দিক পরিবর্তন করে তাকে আলোর বিক্ষেপণ বলে।
▣ সূর্যাস্তের সময় সূর্যের আলো বায়ুমণ্ডলে ভাসমান ধূলিকণা, পানিকণা ইত্যাদির মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় কম তরঙ্গদৈর্ঘ্য বিশিষ্ট বেগুনী, নীল, আসমানি প্রভৃতি বর্ণের বিক্ষেপণ বেশি ঘটে।
▣ আলোর বিক্ষেপণ এর ফলেই আকাশ নীল দেখায়।
▣ সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় আকাশের খানিকটা অংশ গাড় লাল দেখায়।
❐ অন্যদিকে -
▣ আলোর প্রতিফলন:
▣ আলো এক স্বচ্ছ মাধ্যম থেকে অন্য স্বচ্ছ মাধ্যমে প্রবেশকালে দুই মাধ্যমের বিভেদতলে আপতিত হয়ে যদি পূর্বের মাধ্যমেই ফিরে আসে তবে তাকে আলোর প্রতিফলন বলে।
▣ আলোর প্রতিসরণ:
▣ আলোক রশ্মি যখন এক স্বচ্ছ মাধ্যম থেকে অন্য স্বচ্ছ মাধ্যমে তির্যকভাবে প্রবেশ করে, তখন মাধ্যমদ্বয়ের বিভেদতলে দিক পরিবর্তন করে। এ ঘটনাকে আলোর প্রতিসরণ বলে।
২৬২. ব্ল্যাক বক্স কি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৬ PEDP-2
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
প্রতিটি বিমানেই একটি ব্ল্যাক বক্স থাকে। সাধারণত বিমান দুর্ঘটনায় পড়লে ফ্লাইট বক্স সবার আগে খোঁজা হয়। এটা মূলত ফ্লাইট রেকর্ডার। ইলেকট্রনিক রেকর্ডিং ডিভাইস। যার মধ্যে বিমানের সমস্ত তথ্য সংরক্ষিত থাকে। বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে ব্ল্যাক বক্স ব্যবহৃত হয়। এভিয়েশন বা বিমান নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা এটিকে ব্ল্যাক বক্স না বলে ফ্লাইট রেকর্ডার নামে চেনেন।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ব্ল্যাক বক্স:
▣ ব্ল্যাক বক্স একটি যন্ত্র যাতে বিমান উড্ডয়নের শুরু থেকে অবতরণ পর্যন্ত সমস্ত ঘটনা রেকর্ড করা থাকে।
❐ - এটিকে বিমানের ‘ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডারও’ বলা হয়।
▣ নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ব্ল্যাক বক্স সাধারণত বিমানের পিছনের দিকে রাখা হয়।
▣ এটি টাইটানিয়াম ধাতু দিয়ে তৈরি ও একটি টাইটানিয়াম বাক্সে আবদ্ধ থাকে।
▣ ১৯৫৩-৫৪ সালে বিমান দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় একটি ডিভাইস তৈরি করার কথা ভাবা হয়েছিল যা বিমান দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে তথ্য দিতে পারে।
▣ প্রথম দিকে এটি লাল রঙের ছিল এবং ‘রেড এগ' নামে পরিচিত ছিল।
▣ ডিভাইসটির ভিতরের দেয়ালগুলি কালো রঙের ছিল, তাই পরবর্তীতে এটি ‘ব্ল্যাক বক্স’ নামে পরিচিত পায়।
২৬৩. বিশ্বের প্রথম ক্লোন বানর শাবকের নাম কি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৭ (চট্টগ্রাম বিভাগ) ☞7.9.07
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
গত শতকের নব্বুইয়ের দশকের শেষ দিকে স্কটল্যান্ডের প্রাণিবিজ্ঞানীরা ডলি নামের একটি ক্লোন ভেড়ার জন্ম দিয়ে গোটা দুনিয়াকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। আর প্রথম clone করা বানরের নাম tetra
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
❐ <b>ক্লোন বানর:</b>
▣ চীনা বিজ্ঞানীরা জন্ম দিলেন বিশ্বের প্রথম ক্লোন বানর।
❐ <b>- বিজ্ঞানীরা কয়েক সপ্তাহ আগে গবেষণাগারে ঝং ঝং এবং হুয়া হুয়া নামের দুটি ক্লোন বানরের জন্ম দিয়েছেন।</b>
▣ গত শতকের নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে স্কটল্যান্ডের প্রাণিবিজ্ঞানীরা ডলি নামের ক্লোন ভেড়ার জন্ম দেন।
▣ ক্লোন করা বানরশাবক দুটির মধ্যে ঝং ঝং বড় আর হুয়া হুয়ার ছোট।
২৬৪. পঞ্চম মহাকাশ পর্যটক কে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৭ (চট্টগ্রাম বিভাগ) ☞7.9.07
সাধারণ বিজ্ঞান
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 পঞ্চম মহাকাশ পর্যটক:
❐ - চার্লস সিমোনি পঞ্চম মহাকাশ পর্যটক।
▣ ২০০৭ সালে সিমোনি আমেরিকান মহাকাশ পর্যটন সংস্থা স্পেস অ্যাডভেঞ্চারস, লিমিটেডের মাধ্যমে মহাকাশ গমন করেন।
▣ রাশিয়ার স্টার সিটিতে ইউরি গ্যাগারিন কসমোনট ট্রেনিং সেন্টারে তাকে ছয় মাস প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
▣ সিমোনিকে কাজাখস্তানের বাইকোনুর কসমোড্রোম থেকে ৭ এপ্রিল, ২০০৭-এ দুই রাশিয়ান মহাকাশচারী, এক্সপিডিশন ১৫ কমান্ডার ফিওদর ইয়ুরচিখিন এবং ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার ওলেগ কোটভ সহ সয়ুজ TMA-10-এ মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল।
▣ ৯ এপ্রিল তিনি ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (ISS) এ পৌঁছেন।
▣ সেখানে তিনি ১১ দিন অবস্থান করেন।
▣ তিনি সয়ুজ TMA-9-এ চড়ে পৃথিবীতে ফিরে আসেন, ২১ এপ্রিল কাজাখস্তানের স্টেপসে অবতরণ করেন।
২৬৫. ‘সবুজ গ্রহ’ বলা হয় কাকে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৭ (চট্টগ্রাম বিভাগ) ☞7.9.07 📖 রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়➟2017➯C ইউনিট 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ২৭.০৬.১৫
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
ইউরেনাস
এটি সবুজ গ্রহ নামে পরিচিত।
এটি বায়ুতে প্রচুর পরিমাণে মিথেন গ্যাস উপস্থিত হওয়ায় এটিকে সবুজ রঙের দেখা যায়।
এটি সৌরজগতের তৃতীয় বৃহত্তম গ্রহ।
এটি সৌরজগতের শীতলতম গ্রহ।
এটিতে শনির মতো একটি বলয় রয়েছে।
উইলিয়াম হার্শেল 1781 সালে গ্রহটি আবিষ্কার করেছিলেন।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 - ইউরেনাসের বায়ুমণ্ডলের উপরিভাগ অনেক শীতল।
▣ ইউরেনাসের নীলাভ সবুজ বর্ণ শীতল মিথেন গ্যাসের প্রভাবে হয়।
▣ তাই একে সবুজ গ্রহ বলে।
❐ অন্যদিকে,
▣ মঙ্গলকে লাল গ্রহ বলে।
▣ গ্রহরাজ বলা হয় বৃহস্পতিকে।
▣ বুধ হল সূর্যের নিকটতম এবং সৌরজগতের ক্ষুদ্রতম গ্রহ।
২৬৬. বাংলাদেশের একটি জীবন্ত জীবাশ্মের নাম কি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৭ (চট্টগ্রাম বিভাগ) ☞7.9.07
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
রাজ কাঁকড়া হচ্ছে ঘোড়ার ক্ষুরের মতো দেখতে উপবৃত্তাকার একটি কাঁকড়া। লিমুলাস গণের অন্তর্ভুক্ত এর বৈজ্ঞানিক নাম লিমুলাস পলিফিমাস। একে কাঁকড়া বলা হলেও প্রজাতিগত দিক থেকে মাকড়সার সঙ্গে বেশি মিল রয়েছে। বাংলাদেশের জীবন্ত জীবাশ্মের উদাহরণ হচ্ছে 'রাজ কাঁকড়া'।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 রাজ কাঁকড়া:
❐ - বাংলাদেশের একটি জীবন্ত জীবাশ্মের নাম রাজ কাঁকড়া।
▣ রাজ কাঁকড়া (অশ্বখুরাকৃতির কাকড়া বা সাগর কাঁকড়া) প্রকৃত পক্ষে কাঁকড়া নয় তবে কাঁকড়ার সহিত সাদৃশ্যযুক্ত সামুদ্রিক অ্যারাকনিড।
▣ এরা Xiphosura (গ্রীক, xiphos, তলোয়ার এবং uros, লেজ) বর্গের অর্ন্তভুক্ত।
▣ পৃথিবীব্যাপী ৩টি গনের অধীনে এদের ৪টি জীবিত প্রজাতি রয়েছে।
▣ প্রাগৈতিহাসিক এই প্রাণীকে "জীবন্ত জীবাশ্ম" বলা হয় যা প্রায় ৫৫০ মিলিয়ন বা ৫৫ কোটি বছর পূর্বে ট্রাইলোবাইট থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে।
২৬৭. ভাইরাস একটি-
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৮ (কংস) ☞31.10.08
সাধারণ বিজ্ঞান
১
ব্যাখ্যাঃ
ভাইরাস (Virus)হল একপ্রকার অতিক্ষুদ্র জৈব কণা বা অণুজীব যারা জীবিত কোষের ভিতরেই মাত্র বংশবৃদ্ধি করতে পারে।
এরা এক্যারিওটা শ্রেণির সদস্য ও আণুবীক্ষণিক এবং অকোষীয়।
এরা সরলতম জীব। তাই ভাইরাসকে এক প্রকার জীব হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
ভাইরাস মানুষ,পশু - পাখি, উদ্ভিদের বিভিন্ন রোগের জন্য দায়ী।
এমনকি, কিছু ভাইরাস ব্যাক্টেরিয়ার মধ্যে বংশবৃদ্ধি করে - এদের ব্যাক্টেরিওফেজ (Bacteriophage) বলা হয়।
এরা কোষহীন জীব।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ভাইরাসের জড় বৈশিষ্ট্য:
❏ ভাইরাস অকোষীয়।
❏ এদের সাইটোপ্লাজম, কোষ ঝিল্লী, কোষ প্রাচীর, রাইবোসোম, মাইটোকন্ড্রিয়া, নিউক্লিয়াস ইত্যাদি থাকে না।
❏ এদের বিপাকীয় এনজাইম এবং পুষ্টি প্রক্রিয়া অনুপস্থিত।
❏ এদের কোন জৈবিক কার্যকলাপ যেমন প্রজনন অন্য সজীব কোষ ছাড়া ঘটতে পারে না।
❏ ভাইরাসকে কেলাসিত করা যায়, সেন্ট্রিফিউজ করা যায়, ব্যাপন করা যায়, পানির সাথে মিশিয়ে সাসপেনশন তৈরি করা যায় এবং তলানিও করা যায়।
❏ জীবকোষের বাইরে ভাইরাস রাসায়নিক কণার ন্যায় নিষ্ক্রিয় থাকে।
▣ ভাইরাসে জীব বৈশিষ্ট্য:
❏ ভাইরাসে নিউক্লিক অ্যাসিড হিসেবে DNA বা RNA থাকে।
❏ পোষক কোষের অভ্যন্তরে এরা সংখ্যাবৃদ্ধি করতে পারে।
❏ এতে জেনেটিক রিকম্বিনেশন ঘটতে দেখা যায়।
❏ ভাইরাস মিউটেশন ঘটাতে এবং প্রকরণ তৈরি করতে সক্ষম।
❏ নতুন সৃষ্ট ভাইরাসে মূল ভাইরাসের বৈশিষ্ট্য বজায় থাকে অর্থাৎ একটি ভাইরাস তার অনুরূপ ভাইরাস জন্ম দিতে পারে।
▣
২৬৮. নিচের কোনটি ভাইরাসজনিত রোগ নয়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৮ (কংস) ☞31.10.08 📖 স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ~ ওয়ারলেস অপারেটর ~ ১১.১৮ 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (করতোয়া) ☞14.4.13
সাধারণ বিজ্ঞান
০
ব্যাখ্যাঃ
ডিপথেরিয়া মানব দেহের শ্বসনতন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া ঘটির রোগ। জন্ডিস, জলাতঙ্ক, ইনফ্লুয়েঞ্জা, হাম, এইডস, পোলিও, রানীক্ষেত, বসন্ত, প্রভৃতি ভাইরাস জনিত রোগ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ভাইরাসজনিত রোগ:
▣ ডেঙ্গু,
▣ হেপাটাইটিস,
▣ হাম,
▣ মাম্পস,
▣ এইডস,
▣ পোলিও,
▣ গুটিবসন্ত,
▣ ইনফ্লুয়েঞ্জা,
▣ নিউমোনিয়া,
▣ ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ:
▣ যক্ষ্মা,
▣ ধনুষ্টংকার,
▣ ডিপথেরিয়া,
▣ আমাশয়,
▣ কলেরা,
▣ নিউমোনিয়া,
▣ প্লেগ ইত্যাদি।
▣
২৬৯. তাপে কোন ভিটামিন নষ্ট হয়?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৮ (কংস) ☞31.10.08 📖 কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়➟2008➯A ইউনিট 📖 কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়➟2008➯C ইউনিট
সাধারণ বিজ্ঞান
০
ব্যাখ্যাঃ
ভিটামিন C হল সেই ভিটামিন যা রান্নার সময় তাপে নষ্ট হয়ে যায়। যখন আমরা ভিটামিন C ধারণ করে এমন কিছু সিদ্ধ করি, তখন এটি রান্নার অন্যান্য পদ্ধতির তুলনায় এর উপাদান কমিয়ে দেয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ভিটামিন 'সি':
❆
❏ ভিটামিন 'সি' এর রাসায়নিক নাম হচ্ছে 'এসকরবিক' এসিড।
❏ ভিটামিন 'সি' কে স্কার্ভি প্রতিরোধক ভিটামিন ও বলা হয়।
❏ বিশুদ্ধ এসকরবিক এসিড সাদা, দানাদার, সহজেই পানিতে দ্রবীভূত হয়।
❏ এ ভিটামিন খুবই অস্থিতিশীল তাপ, আলো, বাতাস, ক্ষার ও ধাতবের সংস্পর্শে তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়।
❏ পানিতে দ্রবনীয় বলে শাকসবজি পানিতে ভিজিয়ে রেখে দিলে বা সিদ্ধ করে পানি ফেলে দিলে শতকরা ৬০-৭০ ভাগ পর্যন্ত ভিটামিন 'সি' নষ্ট হয়।
❏ তরকারি চুলায় বসিয়ে রাখলে বা বারে বারে গরম করলেও ভিটামিন 'সি' নষ্ট হয়।
❏ সবজি ও ফলে সামান্য চিনি মেশালে ভিটামিন 'সি' অনেকটা বেড়ে যায়।
❏ কচুশাক, মুলাশাক, সজিনাপাতা, ধনেপাতা, লাল শাক, খেসারি শাক, বথুয়া শাক, পালং শাক, লাউ শাক, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো ইত্যাদিতে ভিটামিন 'সি' পাওয়া যায়। তবে আমলকিতে সবচেয়ে বেশি ভিটামিন 'সি' রয়েছে।
❏ ভিটামিন 'সি' এর অভাবে স্কার্ভি নামক রোগ হয়। এতে দাঁতের মাড়ি ফুলে যায়, দাঁতের গোড়া থেকে রক্ত ক্ষরণ হয়।
❏ শিশুদের হাঁটুর জয়েন্টে ব্যাথা হয় ও ফুলে যায় এবং রক্ত স্বল্পতা দেখা দেয়।
▣
২৭০. বাংলাদেশের উপর দিয়ে যে ভৌগোলিক কাল্পনিক রেখা গেছে তার নাম কি?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৮ (দড়াটানা) ☞31.10.08 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ডেলটা- ১৮.০৪.১৪ 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (করতোয়া) ☞14.4.13
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
বাংলাদেশের উপর দিয়ে যে ভৌগোলিক কাল্পনিক রেখা গেছে তার নাম কর্কট ক্রান্তীয় রেখা। পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠের উপর দিয়ে উত্তর এবং দক্ষিণ মেরু সংযোগকারী রেখাকে দ্রাঘিমা রেখা বলে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 কর্কটক্রান্তি রেখা:
▣ ভৌগোলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ কর্কট ক্রান্তি রেখা বাংলাদেশের উপর দিয়ে গিয়েছে।
❐ কর্কটক্রান্তি রেখার অপর নাম ২৩.৫° উত্তর অক্ষরেখা।
❐ বছরে সূর্য একবার বিষুবরেখা অতিক্রম করে উত্তর গোলার্ধের সর্বশেষ যে স্থান পর্যন্ত পরিক্রমা করে (২৩.৫ ডিগ্রী উত্তর অক্ষাংশ ) আবার বিষুবরেখার দিকে ফিরে আসে, সেই কাল্পনিক রেখাটিকে কর্কটক্রান্তি রেখা বলে ।
❐ ভূ-পৃষ্ঠের যে কোনো স্থানে নিরক্ষরেখার সাথে পৃথিবীর কেন্দ্র বিন্দুতে সৃষ্ট কৌণিক দূরত্বকে অক্ষাংশ বলে এবং যে কাল্পনিক রেখার মাধ্যমে একে প্রকাশ করা হয়, তাকে অক্ষরেখা বলে।
❐ ২৩.৫° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষরেখাসমূহ যথাক্রমে কর্কটক্রান্তি রেখা ও মকর ক্রান্তি রেখা নামে অভিহিত হয়।
❐ ৬৬.৫° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষরেখাসমূহ যথাক্রমে সুমেরু বৃত্ত ও কুমেরু বৃত্ত নামে অভিহিত হয়।
২৭১. নিচের কোনটি যকৃতের রোগ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৮ (দড়াটানা) ☞31.10.08 📖 প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৮ (ধানসিঁড়ি) ☞31.10.08 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (শীতলক্ষ্যা) ☞14.4.13
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
রক্তে বিলিরুবিনের পরিমাণ বেড়ে গেলে শরীর ও চোখ হলুদ বর্ণ ধারণ করে, যা জন্ডিস নামে পরিচিত। জন্ডিস হলে লিভার বড় হয়ে যায় ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 জন্ডিস:
❐ জন্ডিস হলো ভাইরাস জনিত রোগ।
❐ জন্ডিস হলে রক্তে বিলরুবিনের মাত্রা বেড়ে যায় ফলে ত্বক, চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে যায়।
❐ লোহিত রক্তকণিকার অধিক ভাঙন কিংবা যকৃত বা পিত্তনালীর কোনো সমস্যার কারণে রক্তে বিলিরুবিনের পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত হয়ে যেতে পারে।
❐ এই বিলিরুবিন তখন শরীরের বিভিন্ন অংশে জমা হতে থাকে। এ অবস্থাকে বলা হয় জন্ডিস।
❐ বিলিরুবিন তৈরি হয় যকৃতে এবং অস্থিমজ্জায়। জমা হয় প্লীহাতে।
❐ যকৃতের মধ্যে অবস্থিত প্লীহা বিলিরুবিন উৎপন্ন হওয়ার প্রধান স্থান হিসেবে স্বীকৃত।
❐ যা কনজুগেশনের মাধ্যমে যকৃতে পৌঁছায়।
২৭২. কোন বানানটি শুদ্ধ?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৮ (দড়াটানা) ☞31.10.08 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (শীতলক্ষ্যা) ☞14.4.13
সাধারণ বিজ্ঞান
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 শুদ্ধ বানান - তেজস্ক্রিয়তা।
❐ ‘তেজস্ক্রিয়তা’ শব্দটি বিশেষ্য।
❐ এটি সংস্কৃত শব্দ।
❐ ‘তেজস্ক্রিয়তা’ অর্থ: (পদার্থ) নিউক্লিয়াস বিভাজনের ফলে পরমাণুকেন্দ্র থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে আলফা, বিটা বা গামা রশ্মির বিকিরণ।
২৭৩. কোন ভিটামিন রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে?
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৮ (দড়াটানা) ☞31.10.08 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ঝিলাম- ০৮.১১.১৩ 📖 পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ~ পবিরার কল্যাণ পরিদর্শিকা -৫.১৮
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
শুঁটকি মাছ, সবুজ শাক সবজি, সয়াবিন ইত্যাদিতে ভিটামিননকে পাওয়া যায়। ভিটামিন রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 - 'ভিটামিন কে' রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।
▣ ভিটামিন কে (Vitamin K):
❐ ভিটামিন কে-এর রাসায়নিক নাম ফাইলোকুইনন বা ন্যাপথোকুইনন।
❐ এটি তাপ, আর্দ্রতা ও বায়ুর সংস্পর্শে ক্ষতিগ্রস্ত হয় না।
▣ ভিটামিন কে -এর
❐ সবুজ শাক সবজি, ডিমের কুসুম, দুধ, যকৃত, মাংস, মাছ, লেটুস পাতা, বাঁধাকপি, ফুলকপি, মটরশুঁটি ইত্যাদিতে ভিটামিন কে পাওয়ার যায়।
▣ ভিটামিন কে-এর কাজ:
❆ ১. কোনো কারণে রক্তক্ষরণ হলে রক্ত জমাট বাঁধতে ভিটামিন কে সাহায্য করে। রক্ত জমাটকরণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন প্রোথ্রম্বিনের সক্রিয়করণে ভিটামিন কে কাজ করে।
❆ ২. পিত্ত প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে।
❆ ৩. যকৃতের স্বাভাবিক কার্যকলাপ বজায় রাখে।
▣ ভিটামিন কে-এর অভাবজনিত অবস্থা:
❐ এর অভাবে রক্ত জমাট বাঁধা ব্যাহত হয়।
❐ ফলে, সামান্য কাটা ছেঁড়ায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।
২৭৪. কোনটি ভূকম্পন পরিমাপের যন্ত্র?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (করতোয়া) ☞14.4.13
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
ভূকম্পমাপক (ইংরেজি: Seismometer ভূত্বকের কম্পন পরিমাপক যন্ত্র। এই যন্ত্রের সাহায্যে প্রধানত ভূমিকম্প, অগ্নুত্পাত বা অন্য যে কোনও কারণে সংঘটিত ভূত্বকীয় বা ভূগর্ভস্থ কম্পনের তীব্রতা মাপা হয়। এই কম্পন-তীব্রতার তথ্য-উপাত্ত ভূতত্ত্ববিদদেরকে ভূগর্ভের মানচিত্র বানাতে, ভূমিকম্পের উৎস এবং তীব্রতা বিশ্লেষণে সাহায্য করে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ক্ষমতা:
❐ বৈদ্যুতিক ক্ষমতার একক ওয়াট।
❐ ক্ষমতা কাজ ও সময়ের মধ্যে সম্পর্ক নির্ধারণ করে।
❐ একটি নির্দিষ্ট সময়ে কি পরিমাণ কাজ সম্পন্ন হয় তা দ্বারা ক্ষমতার পরিমাপ করা হয়।
❐ ক্ষমতাকে P দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
❐ ক্ষমতা = বল × বেগ।
▣ অন্যদিকে, ❐ শক্তি তথা কাজের এককই তাপের একক। তাপের SI একক জুল (J)।
❐ এক সময় তাপ পরিমাপের জন্য একক ধরা হতো ক্যালরি। তাই, ১ ক্যালরি = ৪.২ জুল।
❐ বলের একক হচ্ছে নিউটন (N)।
২৭৫. বাংলাদেশে দীর্ঘতম গাছের নাম কি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (করতোয়া) ☞14.4.13 📖 সাব-রেজিস্টার পদে নির্বাচনী পরীক্ষা-২৬.০৯.০৩
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
বাংলাদেশের দীর্ঘতম গাছের নাম বৈলাম। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বা উঁচু গাছের নাম - বৈলাম । এটি ২৪০ ফুট প্রায়। চট্টগ্রাম ও রাঙামাটির গহীন অরণ্যে পাওয়া যায়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ক্ষমতা:
❐ বৈদ্যুতিক ক্ষমতার একক ওয়াট।
❐ ক্ষমতা কাজ ও সময়ের মধ্যে সম্পর্ক নির্ধারণ করে।
❐ একটি নির্দিষ্ট সময়ে কি পরিমাণ কাজ সম্পন্ন হয় তা দ্বারা ক্ষমতার পরিমাপ করা হয়।
❐ ক্ষমতাকে P দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
❐ ক্ষমতা = বল × বেগ।
▣ অন্যদিকে, ❐ শক্তি তথা কাজের এককই তাপের একক। তাপের SI একক জুল (J)।
❐ এক সময় তাপ পরিমাপের জন্য একক ধরা হতো ক্যালরি। তাই, ১ ক্যালরি = ৪.২ জুল।
❐ বলের একক হচ্ছে নিউটন (N)।
২৭৬. বৈদ্যুতিক ক্ষমতার একক-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (করতোয়া) ☞14.4.13 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -ইছামতি- ০৮.০১.১০
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
বৈদ্যুতিক ক্ষমতা (ইংরেজি: Electric power) হচ্ছে বৈদ্যুতিক সার্কিটের মধ্যে দিয়ে বৈদ্যুতিক শক্তি স্থানান্তরের হার। এর এস আই একক ওয়াট, এবং প্রতি সেকেন্ডে এক জুল কাজ হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ক্ষমতা:
❐ বৈদ্যুতিক ক্ষমতার একক ওয়াট।
❐ ক্ষমতা কাজ ও সময়ের মধ্যে সম্পর্ক নির্ধারণ করে।
❐ একটি নির্দিষ্ট সময়ে কি পরিমাণ কাজ সম্পন্ন হয় তা দ্বারা ক্ষমতার পরিমাপ করা হয়।
❐ ক্ষমতাকে P দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
❐ ক্ষমতা = বল × বেগ।
▣ অন্যদিকে, ❐ শক্তি তথা কাজের এককই তাপের একক। তাপের SI একক জুল (J)।
❐ এক সময় তাপ পরিমাপের জন্য একক ধরা হতো ক্যালরি। তাই, ১ ক্যালরি = ৪.২ জুল।
❐ বলের একক হচ্ছে নিউটন (N)।
২৭৭. ভূপৃষ্ঠে কোন ধাতু সবচেয়ে বেশি আছে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (করতোয়া) ☞14.4.13 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - হোয়াংহো- ০৮.১১.১৩ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -কর্ণফুলী- ২৪.০২.১২
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
অ্যালুমিনিয়াম পৃথিবীর পৃষ্ঠে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে প্রাপ্ত ধাতু। পৃথিবীর পৃষ্ঠের মোট ধাতুর প্রায় 8.1% হল অ্যালুমিনিয়াম।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 - ভূপৃষ্ঠে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে আছে অ্যালুমিনিয়াম ধাতু (৮.১%)।
▣ ভূত্বক:
❐ ভূপৃষ্ঠে শিলার যে কঠিন বহিরাবরণ দেখা যায় তাই ভূত্বক।
❐ ভূত্বকের পুরুত্ব খুবই কম।
❐ ভূত্বকের প্রধান উপাদান বা সবচেয়ে বেশি পরিমাণে পাওয়া যায় অক্সিজেন।
❐ ভূত্বকে অক্সিজেনের পরিমাণ- ৪২.৭%,
❐ সিলিকনের পরিমাণ- ২৭.৭%,
❐ অ্যালুমিনিয়ামের পরিমাণ- ৮.১%,
❐ লোহা বা আয়রনের পরিমাণ- ৫.১%,
❐ ক্যালসিয়ামের পরিমাণ- ৩.৭%,
❐ সোডিয়ামের পরিমাণ- ২.৮%,
❐ পটাসিয়ামের পরিমাণ- ২.৬% এবং
❐ ম্যাগনেসিয়ামের পরিমাণ- ২.১%।
২৭৮. ব্যাঙের ছাতা কোন শ্রেণির উদ্ভিদ?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (করতোয়া) ☞14.4.13 📖 রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়➟2010➯F ইউনিট 📖 সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক .০১
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
সংস্বেদজ ছত্রাক/শাকটি বাংলায় ব্যাংঙের ছাতা, ভূঁইছাতা, কোড়ক ছাতা, ছত্রাক, পলছত্রাক, ভুঁইছাতি, ছাতকুড় প্রভৃতি নামে পরিচিত, হিন্দিতে এটিকে ছাতা, ভুঁইছত্তা, ভুঁইফোড়ছত্তা, ছতোনা, সাপের ছাতা, খুমী, ধরতীফুল প্রভৃতি বলে। মাংসের মত স্বাদ বিশিষ্ট, পুষ্টিকর, প্রস্রাবকারক, মৃদু বিরেচক।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ছত্রাক:
❐ পঁচা স্যাঁতসেঁতে জায়গায় ভ্যাপসা আবহাওয়ায় ব্যাঙের ছাতা বা ছত্রাক জন্মাতে দেখা যায়।
❐ এই ব্যাঙের ছাতার আরেকটি নাম হলো এগারিকাস।
❐ বাসি, পঁচা রুটির উপর তুলার আঁশের মত এক প্রকার বস্তু জন্মাতে দেখা যায়। একে রুটির ছত্রাক বা মিউকর বলে।
❐ এসব উদ্ভিদ ক্লোরোফিলবিহীন। এ কারণে এদের রঙ সাদা।
▣ শৈবাল:
❐ আবদ্ধ জলাশয়, জমে থাকা বৃষ্টির পানি, নর্দমা, কল পাড়ের স্যাঁতসেতে মাটিতে সবুজ শেওলা জন্মে থাকে। এসব শেওলা জাতীয় উদ্ভিদকে শৈবাল বলা হয়।
❐ এদের দেহে ক্লোরোফিল থাকে তাই নিজের খাদ্য নিজেই তৈরি করতে পারে।
২৭৯. টিউমার সংক্রান্ত চর্চাকে বলে-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (করতোয়া) ☞14.4.13 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মিসিসিপি- ০৮.১১.১৩ 📖 ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন ➺স্কুল~সমপর্যায় ১☞30.12.22
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
টিউমার সংক্রান্ত চর্চাকে অঙ্কোলজি বলে।
কোষের গঠন ও কার্য কলাপ সংক্রান্ত বিদ্যাকে সাইটোলজি বলে। ইকোলজি বা বাস্তুবিদ্যা হলো জীব সম্প্রদায়ের সাথে পরিবেশের মিথস্ক্রিয়া সংক্রান্ত বিদ্যা। টিউমার লজি প্রকৃতপক্ষে কোন আলাদা বিভাগ নয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 - বাস্তুসংস্থান সম্পর্কিত যে চর্চাকে বলা হয়- ইকোলজি।
❐ টিউমার, ক্যান্সার সংক্রান্ত চর্চাকে বলা হয়- অঙ্কোলজি।
❐ কোষবিদ্যাকে বলা হয়- সাইটোলজি।
২৮০. মঙ্গলগ্রহে প্রেরিত নভোযান কোনটি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (করতোয়া) ☞14.4.13 📖 13th BCS General Apr, 1992
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
মঙ্গলের প্রথম ফ্লাই - বাই করতে সমর্থ হয় নাসার মেরিনার ৪। ১৯৬৪ সালে এই নভোযান উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। প্রথম মঙ্গলের ভূ - পৃষ্ঠে অবতরণ করে দুটি সোভিয়েত সন্ধানী যান, মার্স ২ এবং মার্স ৩। ১৯৭১ সালে উৎক্ষেপিত এই দুটি যানই সোভিয়েত মার্স প্রোব প্রোগ্রাম এর অংশ ছিল। দুঃখের বিষয় হল, অবতরণের মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মাথায় দুটি নভোযানের সাথেই পৃথিবীর মিশন কন্ট্রোলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর ১৯৭৬ সালে শুরু হয় নাসার বিখ্যাত ভাইকিং প্রোগ্রাম। এই প্রোগ্রামে দুটি অরবিটার এবং প্রতিটি অরবিটারের সাথে একটি করে ল্যান্ডার ছিল। দুটি ল্যান্ডারই ১৯৭৬ সালে মঙ্গলের ভূমিতে অবতরণ করে। ভাইকিং ১ ৬ বছর এবং ভাইকিং ২ ৩ বছর কর্মক্ষম ছিল এবং তাদের সাথে এই সময়ে পৃথিবীর যোগাযোগও ছিল। ভাইকিং ল্যান্ডারগুলোই প্রথম মঙ্গলের রঙিন ছবি রিলে করে পৃথিবীতে পাঠিয়েছিল।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 - মার্কিন মহাকাশযান সফলভাবে মঙ্গল গ্রহে উড়েছে (মেরিনার্স 4, 6 এবং 7),
❐ গ্রহকে প্রদক্ষিণ করেছে (মেরিনার 9 এবং ভাইকিংস 1 এবং 2), এবং
❐ এর পৃষ্ঠে ল্যান্ডে মডিউল স্থাপন করেছে (ভাইকিংস 1 এবং 2)।
❆ U.S. spacecraft successfully flew by Mars (Mariners 4, 6, and 7), orbited the planet (Mariner 9 and Vikings 1 and 2), and placed lander modules on its surface (Vikings 1 and 2).
২৮১. কোনটি স্তন্যপায়ী প্রাণী নয়?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (করতোয়া) ☞14.4.13 📖 18th BCS General Oct, 1996
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
কুমির একটি সরীসৃপ প্রাণী। এরা ডিম পাড়ে। তাই স্তন্যপায়ী নয়।
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 স্তন্যপায়ী প্রাণী:
❐ স্তন্যপায়ী প্রাণীর দেহে লোম দ্বারা আবৃত থাকে।
❐ স্তন্যপায়ী প্রাণীরা সন্তান প্রসব করে।
❐ শিশুরা মাতৃদুগ্ধ পান করে বড় হয়।
যেমন:- তিমি, বাদুড়, শুশুক, গরু, হাতি, মানুষ, কুকুর, বানর, ঘোড়া, ইঁদুর, জিরাফ ইত্যাদি।
▣ সরীসৃপ শ্রেণির প্রাণী:
❐ এরা বুকে ভর দিয়ে চলে, ডিম পাড়ে এবং ডিম ফুটে বাচ্চা হয়।
যেমন:- সাপ, কুমির, ঘড়িয়াল, কচ্ছপ, টিকটিকি, গিরগিটি, ডাইনোসর প্রভৃতি সরীসৃপ শ্রেণির প্রাণী।
২৮২. কোনটি একবীজপত্রী উদ্ভিদ নয়?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (করতোয়া) ☞14.4.13 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ঝিলাম- ০৮.১১.১৩ 📖 প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ➺২০০৭ (রাজশাহী বিভাগ) ☞7.9.07
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
একবীজপত্রী উদ্ভিদের পাতায় সমান্তরাল শিরাবিন্যাস দেখা যায় এবং বীজে একটিমাত্র বীজপত্র পাওয়া যায়। অপরদিকে কাঁঠাল পাতায় জালিকাকার শিরাবিন্যাস দেখা যায় এবং বীজে দুইটি বীজপত্র পাওয়া যায়। তাই কাঁঠাল একবীজপত্রী উদ্ভিদ নয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 একবীজপত্রী উদ্ভিদ:
❐ যেসব উদ্ভিদের বীজে একটি মাত্র বীজপত্র থাকে, তাদের একবীজপত্রী উদ্ভিদ বলে।
যেমন:- ধান, গম, ভুট্টা, নারিকেল, খেজুর ইত্যাদি।
▣ দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদ:
❐ যেসব উদ্ভিদের বীজে দুটি বীজপত্র থাকে, তাদের দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদ বলে।
যেমন:- আম, জাম, কাঁঠাল, ছোলা ইত্যাদি।
২৮৩. কত তাপমাত্রায় পানির ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (করতোয়া) ☞14.4.13
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
পানির একমাত্র ব্যতিক্রমী প্রসারণ হচ্ছে পানির তাপমাত্রা কমিয়ে৪° সেন্টিগ্রেডে আনলে এর ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি হয় এবং ৪° থেকে তাপমাত্রা কমিয়ে আনলে এর ঘনত্ব কমতে থাকে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 - পানির ঘুনত্ব তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে।
❐ ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পানির ঘনত্ব সর্বোচ্চ।
❐ এই তাপমাত্রায় পানির ঘনত্ব ১গ্রাম/সি.সি. বা ১০০০ কেজি/মিটার³।
❐ অর্থাৎ ১ সি.সি. পানির ভর হলো ১ গ্রাম বা ১ কিউবিক মিটার পানির ভর হলো ১০০০ কেজি।
২৮৪. কোন রঙের আলোর বিচ্যুতি সবচেয়ে কম?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (করতোয়া) ☞14.4.13 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - ডেলটা- ১৮.০৪.১৪ 📖 রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -শাপলা- ০৯.১২.১১
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
বিচ্যুতি বেগুনি রঙের সর্বাধিক এবং আলোর লাল রঙের জন্য সর্বনিম্ন। প্রশ্ন অনুসারে, বেগুনির পরে নীল আসে তাই এটি সবচেয়ে বেশি বিচ্যুত হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 - লাল রঙের আলোর বিচ্যুতি সবচেয়ে কম।
❐ যে বর্ণের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত বেশি, তার প্রতিসরণ, বিচ্যুতি ও বিক্ষেপণ তত কম।
❐ লাল আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি বলে এর বিক্ষেপণ, প্রতিসরণ ও বিচ্যুতি সবচেয়ে কম।
❐ বেগুনি আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম বলে এর বিক্ষেপণ, প্রতিসরণ ও বিচ্যুতি সবচেয়ে বেশি।
২৮৫. কোনটি খর পানিতে উত্তম ফেনা দেয়?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (করতোয়া) ☞14.4.13 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দাজলা- ০৮.১১.১৩
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
ডিটারজেন্ট খর পানিতে উত্তম ফেনা দেয়। যে পানিতে ক্যালসিয়াম ম্যাগনেশিয়াম অ্যালুমিনিয়াম প্রভৃতি সালফেট ও ক্লোরাইড জাতীয় লবণ দ্রবীভূত থাকে সেই পানিকে খর পানি বলে। সাবান খর পানিতে কম ফেনা উৎপন্ন করে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 - দেহ, কাপড়-চোপড় এবং দ্রব্য সামগ্রীর উপর জমা ময়লা পরিষ্কার করার জন্য যে সব দ্রব্যাদি ব্যবহার করা হয় তাদেরকে পরিষ্কারক সামগ্রী বলে।
❐ সাবান এবং প্রাকৃতিক উপাদান ছাড়াও আধুনিক জীবনে পরিষ্কারক হিসেবে ডিটারজেন্ট, ইমালশান, পলিশ ইত্যাদি ব্যবহৃত হচ্ছে।
▣ ডিটারজেন্ট:
❐ ডিটারজেন্ট বিশেষভাবে সিনথেটিক পদার্থ থেকে প্রস্তুত করা হয়। এই সিনথেটিক পদার্থ তৈরিতে বিভিন্ন কাচাঁমাল ব্যবহৃত হয়।
যেমন:- পেট্রোলিয়াম উপজাতসমূহ, সাবান তৈরির উপাদান, উদ্ভিজ্জ ও প্রাণিজ চর্বি ইত্যাদি।
❐ এছাড়া ডিটারজেন্টের মধ্যে থাকে গন্ধদ্রব্য, রঙ এবং কখনো জীবাণুনাশক পদার্থ।
❐ ডিটারজেন্ট খর পানিতে কাজ করে এবং উত্তম ফেনা তৈরি করে।
❐ ডিটারজেন্ট লবণের সাথে বিক্রিয়া করে দই বা চুন উৎপন্ন করে না।
❐ ডিটারজেন্টের কঠিন তলে ঢোকার ক্ষমতা বেশি।
❐ ডিটারজেন্ট ঠান্ডা পানিতে গলে যায় কিন্তু সাবান ঠান্ডা পানিতে সহজে গলে না।
২৮৬. ভূ-ত্বকে কোন উপাদান সবচেয়ে কম থাকে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (করতোয়া) ☞14.4.13
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
পৃথিবীর ভূত্বকে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে Al ধাতুটি পাওয়া যায় ৮%। সবচেয়ে কম পাওয়া যায় Na
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ভূ-ত্বক:
❐ ভূপৃষ্ঠে শিলার যে কঠিন বহিরাবরণ দেখা যায় তাই ভূত্বক।
❐ ভূত্বকের পুরুত্ব খুবই কম।
❐ ভূত্বকের প্রধান উপাদান বা সবচেয়ে বেশি পরিমাণে পাওয়া যায় অক্সিজেন।
❆ ভূ-ত্বকে,
❆ অক্সিজেনের পরিমাণ- ৪২.৭%,
❆ সিলিকনের পরিমাণ- ২৭.৭%,
❆ অ্যালুমিনিয়ামের পরিমাণ- ৮.১%,
❆ লোহা বা আয়রনের পরিমাণ- ৫.১%,
❆ ক্যালসিয়ামের পরিমাণ- ৩.৭%,
▣ সোডিয়ামের পরিমাণ- ২.৮%,
❆ পটাসিয়ামের পরিমাণ- ২.৬% এবং
❆ ম্যাগনেসিয়ামের পরিমাণ- ২.১%।
২৮৭. মানুষের ক্রোমোজমের সংখ্যা কত?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (করতোয়া) ☞14.4.13 📖 19th BCS General Dec, 1998 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - দানিয়ুব- ০৮.১১.১৩
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
মানুষের কোষে ২৩ জোড়া ক্রোমোজোম থাকে (২২ জোড়া অটোসোম এবং এক জোড়া সেক্স ক্রোমোজোম), প্রতি কোষে মোট ৪৬টি দেয়। এগুলো ছাড়াও, মানব কোষে মাইটোকন্ড্রিয়াল জিনোমের মধ্যে কয়েক শত কপি রয়েছে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 - মানুষের ক্রোমেজোমের সংখ্যা ২৩ জোড়া।
❐ এর মধ্যে ২২ জোড়া স্ত্রী ও পুরুষে একই রকম। এদের অটোজোম বলা হয়।
❐ বাকি এক জোড়া মানুষের লিঙ্গ নির্ধারণ করে বলে এদের সেক্স ক্রোমোজোম বলে।
❐ মানবেদেহে সাধারণত ক্রোমোজোমের দুই সেট থাকে।
২৮৮. ব্যাঙের হৃৎপিন্ডের কয়টি প্রকোষ্ঠ থাকে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (করতোয়া) ☞14.4.13 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2015➯ঘ ইউনিট 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2015➯ঘ ইউনিট
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 - ক্যাটল ফিস এবং অক্টোপাসের হৃৎপিণ্ড আছে ৩টি করে।
❐ ব্যাঙের হৃৎপিণ্ড ৩ প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট।
❐ মানুষের হৃৎপিণ্ড ৪ প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট।
❐ তেলাপোকার হৃৎপিণ্ড ১৩ প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট।
২৮৯. বিলিরুবিন তৈরি হয়-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (করতোয়া) ☞14.4.13 📖 27th BCS General Nov, 2005 📖 শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন সহকারী শ্রম অফিসার-১.০৩
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
যকৃতের মধ্যে অবস্থিত প্লীহা বিলিরুবিন উৎপন্ন হওয়ার প্রধান স্থান হিসেবে স্বীকৃত । যা কনজুগেশনের মাধ্যমে যকৃতে পৌঁছায়। পিত্তথলি নিঃসৃত পিত্তরস বিলিরুবিন পাওয়া যায়। কিডনির সঙ্গে বিলিরুবিন উৎপন্ন হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 - বিলিরুবিন পুরোপুরি তৈরি হয় যকৃতে এবং অস্থিমজ্জায়। এটি জমা থাকে প্লীহাতে।
▣ বিলিরুবিন:
❐ বিলিরুবিন এক ধরণের হলুদ রঙের পদার্থ, যেটা রক্তে উপস্থিত লাল রক্ত কনিকার ১২০ দিনের চক্র পূরণ হলে ভেঙ্গে তৈরি হয়।
❐ বিলিরুবিনে বিলি থাকে, যেটা লিভারে তৈরি পাচক তরল পদার্থ এবং এটি গলব্লাডারে থাকে।
❐ এটা খাবারকে হজম করতে এবং মল তৈরি হতে সাহায্য করে।
❐ জন্ডিস হবার মূল কারণ হল রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা অধিক পরিমাণে বেড়ে যাওয়া।
❐ যদি কোন কারণের ফলে বিলিরুবিন বিলির সাথে মিশতে না পারে কিংবা যখন লাল রক্ত কনিকা সামান্য থেকে কম পরিমাণে ভাঙতে শুরু করে, তখন রক্তে বিলিরুবিনের স্তর দ্রুত বাড়তে থাকে। আর এই ভাবে এটা অন্য অঙ্গে পৌঁছে সেখানে হলুদ ভাবের সৃষ্টি করে।
▣ ব্রিটানিকা থেকে -
❆ Bilirubin, a brownish-yellow pigment of bile, secreted by the liver in vertebrates, which gives to solid waste products (feces) their characteristic color.
❆ It is produced in bone marrow cells and in the liver as the end product of red-blood-cell (hemoglobin) breakdown.
২৯০. নিচের কোনটি ভাইরাসজনিত রোগ নয়?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (করতোয়া) ☞14.4.13 📖 প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক➺২০০৮ (কংস) ☞31.10.08
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
ডিপথেরিয়া মানব দেহের শ্বসনতন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া ঘটির রোগ। জন্ডিস, জলাতঙ্ক, ইনফ্লুয়েঞ্জা, হাম, এইডস, পোলিও, রানীক্ষেত, বসন্ত, প্রভৃতি ভাইরাস জনিত রোগ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 - 'ডিপথেরিয়া' একটি ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ এবং বাকিগুলো হচ্ছে ভাইরাসজনিত রোগ।
❆ ভাইরাসজনিত রোগ:
▣ ডেঙ্গু,
▣ হেপাটাইটিস,
▣ পীতজ্বর,
▣ হাম,
▣ রুবেলা,
▣ মাম্পস,
▣ এইডস,
▣ পোলিও ইত্যাদি।
▣ ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ:
▣ কুষ্ঠ,
▣ যক্ষ্মা,
▣ ধনুষ্টংকার,
▣ ডিপথেরিয়া,
▣ আমাশয়,
▣ কলেরা,
▣ নিউমোনিয়া,
▣ হুপিং কাশি ইত্যাদি।
২৯১. মানুষের রক্তে কত ধরনের রক্ত কণিকা আছে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (যমুনা) ☞14.4.13 📖 এ্যাডভোকেটশিপ তালিকাভূক্তির নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা, .১২ 📖 এ্যাডভোকেটশিপ তালিকাভূক্তির নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা, .১২
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
মানুষের রক্তে ৩ ধরনের কনিকা থাকে। যথা : ১. লোহিত রক্তকনিকা ২. শ্বেত রক্তকনিকা ৩. অনুচক্রিকা
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 মানুষের রক্তে ৩ ধরনের রক্তকণিকা রয়েছে৷
❐ যথা-
❐ ১. লোহিত রক্তকণিকা,
❐ ২. শ্বেত রক্তকণিকা ও
❐ ৩. অনুচক্রিকা।
▣ লোহিত রক্ত কণিকায় হিমোগ্লোবিন নামে একটি লৌহজাত যৌগ থাকে যার জন্য রক্ত লাল হয়।
▣ শ্বেত রক্তকণিকা হিমোগ্লোবিনবিহীন এবং নিউক্লিয়াসযুক্ত বড় আকারের কোষ৷
▣ অণুচক্রিকা হলো গোলাকার, ডিম্বাকার বা রড আকারের। এতে নিউক্লিয়াস থাকে না।
২৯২. দুধ দাঁতের সংখ্যা-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (যমুনা) ☞14.4.13
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির দাঁতের সংখ্যা ৩২ টি এবং দুধ দাঁতের সংখ্যা ২০ টি।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 - মানুষের চোয়ালে চার ধরনের দাঁত উপস্থিত থাকে।
▣ পরিণত মানুষের চোয়ালে মোট দাঁতের সংখ্যা ৩২টি।
❐ - মানুষের দুধ দাঁতের সংখ্যা ২০টি।
২৯৩. ধানের বাদামী রোগ হয়-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (যমুনা) ☞14.4.13
সাধারণ বিজ্ঞান
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ধানের রোগ:
❐ ১. বাদামি দাগ রোগ
❐ কারণ - বাইপোলারিস ওরাইজি (Bipolaris oryzae) নামক ছত্রাক।
❐ ২. ব্লাস্ট রোগ (Blast)
❐ কারণ - পাইরিকুলারিয়াগ্রিসিয়া (Pyricularia grisea) নামক ছত্রাক।
❐ ৩. খোল পচা রোগ (Sheath rot)
❐ কারণ - স্যারোক্লেডিয়াম ওরাইজি (Sarocladium oryzae) নামক ছত্রাক ।
❐ ৪. ব্যাকটেরিয়াজনিত পোড়া রোগ (Bacterial Blight)
❐ জ্যানথোমোনাস অরাইজি পিভি অরাইজি (Xanthomonas oryzae pv.oryzae) এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া।
❐ ৫. টুংরো (Tungro)
❐ কারণ - রাইস টুংরো ভাইরাস (Rice Tungro Virus) নামক এক ধরনের অতি সূক্ষ্ম জীবাণু বা ভাইরাস ।
❐ ৬. উফরা রোগ (ডাক পোড়া) (Ufra)
❐ কারণ - ডাইটিলেংকাস এ্যাংগাসটাস (Ditylenchus angustus) নামক এক ধরনের কৃমি।
২৯৪. কোন উদ্ভিদের কান্ড রুপান্তরিত হয়ে পাতার কাজ করে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (যমুনা) ☞14.4.13 📖 স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ও কারা তত্ত্বাবধায়ক এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা-১৪.০৭.০৬
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
ফণিমনসা উদ্ভিদের কাণ্ড রুপান্তরিত হয়ে পাতার কাজ করে। আদা এক ধরনের রাইজোম জাতীয় রুপান্তরিত কাণ্ড। পাথরকুঁচি উদ্ভিদ তার পাতার সাহয্যে বংশবৃদ্ধি করে। ফার্ন এক ধরনের অপুষ্পক উদ্ভিদ যার দেহ মূল, কাণ্ড ও পাতায় বিভক্ত।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ফণিমনসা:
▣ ফাইলোক্ল্যাড কাণ্ডের উদ্ভিদ হলো ফণিমনসা।
▣ এ ধরণের কান্ড পাতার মত চ্যাপ্টা ও সবুজ, যার ফলে এরা খাদ্য তৈরি করতে পারে।
▣ পাতাগুলো কাঁটায় পরিণত হয়ে উদ্ভিদের আত্মরক্ষার কাজ করে।
২৯৫. ভূ-পৃষ্ঠে বায়ুর স্বাভাবিক চাপ-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (যমুনা) ☞14.4.13 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -বরিশাল বিভাগ- ১৮.০৪.০৮ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -বেলী- ১১.০৯.০৯
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
আদর্শ অবস্থায় বায়ুমণ্ডলের চাপ ১০১৩.২৫ মিলিবার (১০১,৩২৫ প্যাসকেল) বা ৭৬০ পারদ মিমি (টর), ২৯.৯২ পারদ ইঞ্চি, বা ১৪.৬৯৬ পাউন্ড/ইঞ্চি২। এটিএম (atm) এককটি পৃথিবীর সমুদ্রপৃষ্ঠের গড় বায়ুমণ্ডলীয় চাপের সমতুল্য অর্থাৎ, পৃথিবীর সমুদ্রপৃষ্ঠের বায়ুমণ্ডলীয় চাপ প্রায় ১ এটিএম।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 - ভূপৃষ্ঠের প্রতি একক জায়গায় বায়ুর গ্যাসের অনুগুলোর সংঘর্ষের ফলে প্রদত্ত বলই হলো বায়ুর চাপ।
▣ সমুদ্রপৃষ্ঠে বায়ুর স্বাভাবিক চাপ ৭৬ সেন্টিমিটার বা ৭৬০ মিলিমিটার বা ২৯.৯২ ইঞ্চি পারদ স্তম্ভের সমান।
২৯৬. সংকর ধাতু পিতলের উপাদান হল-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (যমুনা) ☞14.4.13 📖 33rd BCS General Jun, 2012 📖 32nd BCS General Mar, 2012
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
পিতল এক প্রকারের সংকর ধাতু যা দস্তা ও তামার সংমিশ্রণে তৈরি করা হয়। পিতলে তামা ও দস্তার পরিমাণে তারতম্য ঘটতে পারে এবং এর ফলে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের বিভিন্ন ধরনের পিতল তৈরি সম্ভব।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 সংকর ধাতু:
▣ দুই বা ততোধিক ধাতু পরস্পরের সাথে মিশে যে সমসত্ব বা অসমসত্ব মিশ্রণ উৎপন্ন করে সেই কঠিন ধাতব পদার্থকে সংকর ধাতু বলে।
❐ যেমন-
▣ কাঁসা বা ব্রোঞ্জ হলো কপার ও টিনের সংকর ধাতু।
❐ - পিতল হলো তামা ও দস্তার (জিঙ্ক) সংকর ধাতু।
▣ সংকর ধাতু পিতলে ৬৫% তামা এবং ৩৫% দস্তা মিশ্রিত থাকে।
▣ সংকর ধাতু পিতলের প্রধান উপাদান হলো- তামা যা শতকরা ৬৫% থাকে।
২৯৭. কাচ তৈরির প্রধান কাঁচামাল-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (যমুনা) ☞14.4.13 📖 11th BCS General Oct, 1991 📖 রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -শিউলি- ০৯.১২.১১
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
কাচের সর্বাধিক পরিচিত এবং প্রাচীনতম প্রকারভেদ হলো বালির প্রাথমিক উপাদান সিলিকা (সিলিকন ডাই অক্সাইড, বা কোয়ার্টজ) ভিত্তিক "সিলিকেট কাচ"। প্রায় ৭০% সিলিকা সমন্বিত সোডা-লাইম কাঁচ হলো মোট উৎপাদিত কাঁচের প্রায় ৯০%।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝
▣ কাঁচ তৈরির প্রধান কাঁচামাল হলো বালি বা সিলিকা।
▣ কাঁচ তৈরির মূল উপকরন কোয়ার্টজ (সিলিকা), সোডা ও চুন।
▣ যখন এগুলির মিশ্রণকে ১২০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে উত্তপ্ত করা হয়, তখন এগুলি গলতে শুরু করে এবং তৎক্ষণাৎ যদি ঠাণ্ডা করা যায় তাহলে কাঁচের জন্ম হয়।
❐ অন্যদিকে, জিপসাম সিমেন্ট ও প্লাস্টার অব প্যারিস তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
২৯৮. সুপ্ত আগ্নেয়গিরির উদাহরণ-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (যমুনা) ☞14.4.13
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
যেসব আগ্নেয়গিরির উদগীরণ বহুদিন যাবৎ বন্ধ আছে কিন্তু যে কোনাে মুহূর্তে উদগীরণ হতে পারে বা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাকে সুপ্ত বা ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি বলে ।
সুপ্ত আগ্নেয়গিরির উদাহরণ
জাপানের ফুজিয়ামা
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 আগ্নেয়গিরির শ্রেণিবিভাগ:
❐ পৃথিবীর আগ্নেয়গিরিসমূহকে প্রধানত তিনটি ভাগে বিভক্ত করা যায়। যেমন:
❐ ক. সক্রিয় আগ্নেয়গিরি,
❐ খ. সুপ্ত আগ্নেয়গিরি এবং
❐ গ. মৃত আগ্নেয়গিরি।
❐ ক. সক্রিয় আগ্নেয়গিরি হলো সেই সব আগ্নেয়গিরি যেখান থেকে এখনও অগ্ন্যুৎপাত হয়।
▣ সক্রিয় আগ্নেয়গিরি দুই ধরনের। যেমন:
▣ যে সকল আগ্নেয়গিরি থেকে অবিরত লাভা নির্গত হয় সেগুলো অবিরাম আগ্নেয়গিরি। যেমন: ভূমধ্যসাগরের লিপারী দ্বীপের ট্রম্বলী আগ্নেয়গিরি।
▣ অন্যদিকে যে সকল আগ্নেয়গিরি থেকে সাময়িকভাবে বন্ধ থাকার পর মাঝে মাঝে অগ্ন্যুৎপাত হয়, তাকে সবিরাম আগ্নেয়গিরি বলে। যেমন: ইতালির ভিসুভিয়াস আগ্নেয়গিরি।
❐ খ. সুপ্ত আগ্নেয়গিরি সমূহ থেকে বহু বছর অগ্ন্যুৎপাত না হলেও যে কোনো সময়ে অগ্ন্যুৎপাত হবার সম্ভাবনা থাকে। যেমন : জাপানের ফুজিয়ামা।
❐ গ. মৃত আগ্নেয়গিরিসমূহ থেকে পুনরায় অগ্ন্যুৎপাত হবার সম্ভাবনা থাকে না। যেমন: পোপো আগ্নেয়গিরি। মৃত আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখে বৃষ্টির পানি জমে হ্রদ সৃষ্টি হলে, তাকে আগ্নেয় হ্রদ বলে।
২৯৯. যে বায়ু সর্বদাই উচ্চচাপ অঞ্চল হতে নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হয় তাকে কি বায়ু বলা হয়?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (যমুনা) ☞14.4.13 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -গোলাপ- ১১.০৯.০৯ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -পদ্ম- ১১.০৯.০৯
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
পৃথিবীর চারটি স্থায়ী উচ্চচাপ বলয় থেকে তিনটি স্থায়ী নিম্নচাপ বলয়ের দিকে সারা বছর ধরে নিয়মিত ভাবে ও নির্দিষ্ট গতিতে প্রবাহিত বায়ুই হল নিয়তবায়ু প্রবাহ ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 নিয়ত বায়ু:
❐ ভূপৃষ্ঠের উচ্চ চাপ বলয় থেকে নিম্ন চাপ বলয়ে যে বায়ু সারা বছর নিয়মিতভাবে প্রবাহিত হয়, তাকে নিয়ত বায়ু বলে।
▣ নিয়ত বায়ুকে প্রধানত তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। যেমন - অয়ন বায়ু বা বাণিজ্য বায়ু, পশ্চিমা বায়ু ও মেরুদেশীয় বায়ু।
❐ অয়ন বায়ু : বিষুবীয় অঞ্চলে সূর্যকিরণ লম্বভাবে পতিত হয় বলে বায়ুর চাপ কম থাকে তাতে বায়ু উপরে উঠে ছড়িয়ে যায়। এই বায়ু ক্রমাগত শীতল হয়ে নিচে নামতে না পেরে উত্তর ও দক্ষিণে ছড়িয়ে যায়। প্রায় ৩০ অক্ষাংশ বরাবর এই বায়ু নিচে নেমে তা আবার বিষুবীয় নিম্নচাপ বলয়ের দিকে প্রবাহিত হয়। ফেরেলের সূত্রানুযায়ী উত্তর গোলার্ধে উত্তর পূর্ব দিক থেকে ও দক্ষিণ গোলার্ধের দক্ষিণ পূর্ব দিক থেকে এই বায়ু প্রবাহিত হয়। এই বায়ুকেই বলা হয় অয়ন বায়ু।
❐ পশ্চিমা বায়ু : উত্তর গোলার্ধের দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ও দক্ষিণ গোলার্ধের উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে পশ্চিম বায়ু প্রবাহিত হয়। ৩০ ডিগ্রি অক্ষাংশে কিছু বায়ু পৃথিবীর গা-ঘেষে মেরুর দিকে ৬০ ডিগ্রি অক্ষাংশ পর্যন্ত পৌছালে মেরু এলাকা থেকে আগত শীতল ও ভারী বায়ু মুখোমুখি হয়। এসময় অপেক্ষাকৃত উষ্ণ ও হালকা বায়ু উপরের দিকে উঠে গেলেও এর এক অংশ মেরুবৃত্তের নিম্নচাপে প্রবাহিত হয় বলেই একে পশ্চিমা বায়ু বলা হয়। উত্তর গোলার্ধের বিশাল স্থলভাগের জন্য স্থানীয়ভাবে পশ্চিমা বায়ু পরিবর্তনশীল। আবার দক্ষিণ গোলার্ধে জলাবিস্তৃতি ভূমিরূপের কারণেই পশ্চিমা বায়ু প্রবলভাবে প্রবাহিত হয়।
❐ মেরু বায়ু : মেরু অঞ্চলের উচ্চচাপ বলয় থেকে অতিশীতল ও ভারী বায়ু উত্তর গোলার্ধে নিম্নচাপ বলয়ের দিকে প্রবাহিত হয়। এদের উত্তর গোলার্ধে উত্তর-পূর্ব দিক থেকে প্রবাহিত বায়ুকে সুমেরু বায়ু বা উত্তর-পূর্ব মেরু বায়ু বলা হয়। আবার দক্ষিণ গোলার্ধে দক্ষিণ-পূর্বদিক থেকে প্রবাহিত হয় যে বায়ু তাকে বলা হয় কুমেরু বায়ু বা দক্ষিণ-পূর্ব মেরু বায়ু। মূলত এভাবেই নিয়তবায়ু প্রবাহ সমূহ বিষুবরেখা ও মেরুর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয় এবং পৃথিবীর উষ্ণ ও শীতল এলাকার মধ্যে তাপের ভারসাম্য রক্ষা হয়।
৩০০. সূর্য অপেক্ষা পৃথিবীর উপর চন্দ্রের আকর্ষণ শক্তি প্রায়-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (যমুনা) ☞14.4.13 📖 20th BCS General Dec, 1998 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - মিসিসিপি- ০৮.১১.১৩
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
সূর্য অপেক্ষা পৃথিবীর উপর চন্দ্রের আকর্ষণ শক্তি প্রায় দ্বিগুণ। কারণ পৃথিবী থেকে চন্দ্রের দূরত্ব সূর্য অপেক্ষা অনেক কম। তাই পৃথিবী থেকে চন্দ্রের আকর্ষণ শক্তি বেশি।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 মহাকর্ষ ও মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাব:
❐ - এ মহাবিশ্বের যে কোনো পদার্থের আকর্ষণ শক্তি আছে।
▣ একটি বস্তু অন্য বস্তুকে আকর্ষণ করে।
▣ মহাবিশ্বের দুইটি বস্তুর মধ্যে পরস্পর আকর্ষণ শক্তিকে মহাকর্ষ শক্তি বা মহাকর্ষণ বলে।
▣ এই মহাকর্ষ শক্তির ফলে পৃথিবি সূর্যের চারদিকে এবং চন্দ্র পৃথিবীর চারদিকে ঘুরছে।
▣ যে বস্তু যত বড় তার আকর্ষণ তত বেশি।
▣ কিন্তু দূরত্ব বৃদ্ধি পেলে আকর্ষণ শক্তি কমে যায়।
▣ পৃথিবী এবং এর নিকটতম যে কোনো বস্তুর মধ্যকার আকর্ষণকে মাধ্যাকর্ষণ বলে।
▣ একে অভিকর্ষণ ও বলা হয়।
▣ সূর্য চন্দ্র অপেক্ষা ২.৬০ কোটি গুণ বড় হলেও পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব চন্দ্রের দূরত্ব থেকে অনেক বেশি।
▣ তাই পৃথিবীর উপর চন্দ্রের আকর্ষণ শক্তি সূর্য অপেক্ষা প্রায় দ্বিগুণ।
❐
৩০১. পরিচলন বৃষ্টি বেশি হয় কোন অঞ্চলে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (যমুনা) ☞14.4.13 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০ 📖 সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক .০৯
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
নিরক্ষীয় অঞ্চলে স্থলভাগের চেয়ে জলভাগের বিস্তৃতি বেশি এবং এখানে সূর্যকিরণ সারাবছর লম্বভাবে পড়ে। এ দুটি কারণে এখানকার বায়ুমণ্ডলে সারাবছর জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকে। জলীয়বাষ্প হাল্কা বলেই সহজেই তা উপরে উঠে শীতল বায়ুর সংস্পর্শ এ এসে পরিচলন বৃষ্টিরুপে ঝরে পড়ে।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 পরিচলন বৃষ্টি:
▣ দিনের বেলায় সূর্যের কিরণে জল বাষ্পে পরিণত হয়ে সোজা উপরে উঠে যায় এবং শীতল বায়ুর সংস্পর্শ এ এসে ওই জলীয়বাষ্প প্রথমে মেঘ ও পরে বৃষ্টিতে পরিণত হয়ে সোজাসুজি নিচে নেমে আসে।
▣ এরূপ বৃষ্টিপাতকে পরিচলন বৃষ্টি বলে।
▣ নিরক্ষীয় অঞ্চলে স্থলভাগের চেয়ে জলভাগের বিস্তৃতি বেশি এবং এখানে সূর্যকিরণ সারাবছর লম্বভাবে পড়ে।
▣ এ দুটি কারণে এখানকার বায়ুমণ্ডলে সারাবছর জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকে।
▣জলীয়বাষ্প হাল্কা বলেই সহজেই তা উপরে উঠে শীতল বায়ুর সংস্পর্শে এসে পরিচলন বৃষ্টিরুপে ঝরে পড়ে।
❐ - তাই নিরক্ষীয় অঞ্চলে সারাবছর প্রতিদিনই বিকেল অথবা সন্ধ্যার সময় এরূপ বৃষ্টিপাত হয়।
▣ নাতিশীতোষ্ণমন্ডলে গ্রীষ্মকালের শুরুতে পরিচলন বৃষ্টি হয়ে থাকে।
৩০২. সূর্যের নিকটতম গ্রহ-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (যমুনা) ☞14.4.13 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2014➯B ইউনিট 📖 কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়➟2008➯C ইউনিট
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
বুধ (ইংরেজি: Mercury; আ-ধ্ব-ব: [ˈmɜ(ɹ). kjə. ɹi]) মার্কারি) সৌরজগতের প্রথম এবং ক্ষুদ্রতম গ্রহ। এটি সূর্যের সর্বাপেক্ষা নিকটতম গ্রহ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 বুধ:
❐ - সৌরজগতের ক্ষুদ্রতম ও সূর্যের নিকটতম গ্রহ বুধ।
▣ সূর্য থেকে গড় দূরত্ব ৫.৮ কোটি কিলোমিটার।
▣ এর ব্যাস ৪,৮৫০ কিলোমিটার।
▣ সূর্যের চারদিকে একবার ঘুরে আসতে বুধের সময় লাগে প্রায় ৮৮ দিন।
▣ বুধের কোনো উপগ্রহ নেই।
৩০৩. বৃহদাকার ত্রিভুজের মতো আকৃতি-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (যমুনা) ☞14.4.13 📖 37th BCS General Sep, 2016 📖 33rd BCS General Jun, 2012
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 প্রশান্তমহাসাগর:
❐ পৃথিবীর মহাসাগরগুলোর মধ্যে সর্ববৃহৎ প্রশান্ত মহাসাগর। এটি পৃথিবীর এক তৃতীয়াংশের অধিক স্থান জুড়ে বিস্তৃত।
▣ এ মহাসাগরের আয়তন ১৬ কোটি ৬০ লক্ষ বর্গকিলোমিটার। গড় গভীরতা ৪,২৭০ মিটার এবং সর্বাধিক গভীরতা ১০,৭৯০ মিটার।
▣ বিখ্যাত নাবিক ম্যাগেলান এ মহাসাগরের নাম রাখেন প্রশান্তমহাসাগর।
❐ - প্রশান্তমহাসাগর দেখতে অনেকটা অসম ত্রিভুজের মতো।
▣ প্রশান্তমহাসাগরকে উত্তর মহাসাগরের সাথে সংযুক্ত করেছে বেরিং প্রণালি।
❐ আটলান্টিক মহাসাগর
❐ এটি পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম মহাসাগর। এ মহাসাগর আয়তনে প্রশান্তমহাসাগরের প্রায় অর্ধেক হলেও গুরুত্ব সর্বাধিক।
▣ কারণ পৃথিবীর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রধান অংশ এ মহাসাগর দিয়ে সম্পন্ন করা হয়।
▣ এ মহাসাগরের আয়তন ৮ কোটি ২৪ লক্ষ বর্গকিলোমিটার। গড় গভীরতা ৩,৯৩২ মিটার এবং সর্বাধিক গভীরতা ৯,১৮৮ মিটার।
▣ আটলান্টিক মহাসাগর তুলনামূলকভাবে প্রশান্তমহাসাগরের চেয়ে কম প্রশস্ত এবং উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে ইংরেজি S অক্ষরের মতো বিস্তৃত। পৃথিবীর সর্ববৃহৎ দ্বীপ গ্রীনল্যান্ড এই মহাসাগরে অবস্থিত।
❐ ভারত মহাসাগর
❐ আয়তনের দিক থেকে ভারত মহাসাগরের অবস্থান তৃতীয়। এ মহাসাগরের আয়তন ৭ কোটি ৩৬ লক্ষ বর্গকিলোমিটার। গড় গভীরতা ৩,৯৬২ মিটার এবং সর্বোচ্চ গভীরতা ৬,৯৯৮ মিটার।
❐ দক্ষিণ মহাসাগর
❐ দক্ষিণ মহাসাগর আয়তনে সবচেয়ে ছোট। এর আয়তন ১ কোটি ৪৭ লক্ষ বর্গকিলোমিটার। গড় গভীরতা ১৪৯ মিটার এবং সর্বোচ্চ গভীরতা ৫,৭৪০ মিটার। এ মহাসাগর এন্টার্কটিকা মহাদেশের চতুর্দিকে অবস্থিত।
৩০৪. ধ্রুবতারা ঠিক মাথার উপর অবস্থান করে-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (যমুনা) ☞14.4.13
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
যেহেতু ধ্রুবতারা উত্তর মেরু বরাবর আকাশে অবস্থান করে, তাই এটা দক্ষিণ গোলার্ধ থেকে দেখা যায় না। একদম উত্তর মেরু থেকে ধ্রুবতারা দেখা যাবে প্রায় মাথার ওপর।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 ধ্রুবতারার সাহায্যে অক্ষাংশ নির্ণয়:
❐ - ধ্রুবতারার উন্নতি জেনে কোনো স্থানের অক্ষাংশ নির্ণয় করা যায়।
▣ তবে এটি শুধুমাত্র উত্তর গোলার্ধে সম্ভব।
▣ নিরক্ষরেখায় ধ্রুবতারার উন্নতি শুন্য ডিগ্রি এবং উত্তর মেরুতে ঠিক মাথার উপর ধ্রুবতারার উন্নতি ৯০ ডিগ্রি।
❐ - উত্তর মেরুকে সুমেরু ও বলা হয়।
❐
৩০৫. সৌরজগতের দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রহ-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (যমুনা) ☞14.4.13 📖 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়➟2014➯B ইউনিট 📖 কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়➟2008➯C ইউনিট
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
শনি (ইংরেজি নাম: Saturn; স্যাটার্ন) হল সূর্য থেকে দূরত্বের নিরিখে ষষ্ঠ গ্রহ এবং বৃহস্পতির পরই সৌরজগতের দ্বিতীয়-বৃহত্তম গ্রহ।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 সৌরজগতের গ্রহসমূহ:
❐ বুধ
▣ সূর্যের নিকটতম গ্রহ বুধ। এর ব্যাস ৪,৮৫০ কিলোমিটার।
▣ সূর্যের চারদিকে একবার ঘুরে আসতে বুধের সময় লাগে প্রায় ৮৮ দিন।
▣ বুধের কোনো উপগ্রহ নেই।
❐ শুক্র
▣ ব্যস ১২,১০৪ কিলোমিটার।
▣ সূর্যের চারিদিকে ঘুরে আসতে শুক্রের সময় লাগে ২২৫ দিন।
▣ ভোর রাতে পূর্ব আকাশে শুক্র গ্রহকে বলা হয় শুকতারা। সন্ধ্যাবেলায় পশ্চিম আকাশে একে বলা হয় সন্ধ্যাতারা।
▣ শুক্র গ্রহেরও কোনো উপগ্রহ নেই।
❐ পৃথিবী
▣ পৃথিবীকে বলা হয় আদর্শ গ্রহ।
▣ ব্যস ১২,৬৬৭ কিলোমিটার।
▣ পৃথিবী সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে সময় লাগে ৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড। পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ ।
❐ মঙ্গল
▣ এর ব্যাস ৬,৭৮৭ কিলোমিটার।
▣ সূর্যের চতুর্দিকে একবার প্রদক্ষিণ করতে মঙ্গলের সময় লাগে প্রায় ৬৮৭ দিন।
▣ ডিমোস এবং ফোবোস নামক মঙ্গলের দুটি উপগ্রহ রয়েছে।
❐ বৃহস্পতি
▣ সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহ বলে একে গ্রহরাজ বলা হয়।
▣ ব্যস ১,৪২,৮০০ কিলোমিটার।
▣ বৃহস্পতির সূর্যের চারিদিকে একবার আবর্তন করতে সময় লাগে প্রায় ১২ বছর।
❐ শনি
❐ সূর্যের চারিদিকে একবার আবর্তন করতে শনির সময় লাগে ২৯ বছর।
❐ - এর ব্যাস প্রায় ১,২০,০০০ কিলোমিটার।
❐ - এটি সৌরজগতের দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রহ।
❐ ইউরেনাস
▣ দূরত্বের দিক থেকে সৌরজগতের সপ্তম গ্রহ ও তৃতীয় বৃহত্তম গ্রহ।
▣ এটি সৌরজগতের একমাত্র গ্রহ যার নাম গ্রীক পুরান থেকে নেয়া হয়েছে।
▣ ব্যস ৪৯,০০০ কিলোমিটার।
▣ ৮৪ বছরে এটি সূর্যের চতুর্দিকে নিজ কক্ষপথে ঘুরে। এ গ্রহেরও শনির মত বলয় রয়েছে। তবে বলয়গুলো উজ্জ্বল নয়।
❐ নেপচুন
▣ দূরত্বের দিক থেকে নেপচুন সৌরজগতের অষ্টম গ্রহ।
▣ এর ব্যাস প্রায় ৪৮,৪০০ কিলোমিটার।
▣ এটি ১৬৫ বছরে একবার সূর্যের চারদিকে নিজ কক্ষপথে ঘুরে।
৩০৬. মেঘাচ্ছন্ন আকাশে রাত অপেক্ষাকৃত গরম হয়, কারণ-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (যমুনা) ☞14.4.13
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
মেঘ মাটি থেকে বায়ুতে তাপের বিকরণে বাধা দেয় যার কারণে মেঘাচ্ছন্ন আকাশের রাত অপেক্ষাকৃত উষ্ণ হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 - আকাশ মেঘলা থাকলে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়ে যায়।
❐ - এই মেঘলা থাকার কারণে দিনের যে তাপ থাকে তা উপরে যেতে মেঘ বাধা দেয়।
▣ তাই এ তাপ ভূ - পৃষ্ঠে ফিরে আসে।
▣ এ তাপের জন্য মেঘলা রাতে শিশির জমে না এবং ভ্যাপসা গরম অনুভূত হয়।
৩০৭. একটি বালিকা দোলনায় বসে দোল খাচ্ছে, সে উঠে দাঁড়ালে তার দোলনকালের কি পরিবর্তন ঘটবে?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (যমুনা) ☞14.4.13 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -ডালিয়া- ১২.১০.১২ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -ইছামতি- ০৮.০১.১০
সাধারণ বিজ্ঞান
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 দোলনকাল (Time Period) :
❐ একটি পূর্ণদোলনের জন্য কোনো কণা যে সময় নেয় তাকে পর্যায়কাল বা দোলনকাল (T) বলা হয় । এর মাত্রা হলো সময়ের মাত্রা T এবং একক হলো সেকেন্ড (s)।
❐
❐ আমরা জানি, সরল দোলকের ক্ষেত্রে, T ∝ √L, যেখানে L = কার্যকরী দৈর্ঘ্য।
❐ বালিকা দোলনায় উঠে দাঁড়ালে কার্যকরী দৈর্ঘ্য কমে যাবে, ফলে দোলনকাল কমে যাবে।
৩০৮. আলোর বর্ণ নির্ধারণ করে তার-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (যমুনা) ☞14.4.13 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) -শরৎ- ১৩.০৮.১০
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
দৃশ্যমান আলোর বর্ণ বা রঙ তার তরঙ্গদৈর্ঘ্যের উপর নির্ভর করে। দৃশ্যমান আলো হল এক ধরনের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক বিকিরণ (Electromagnetic Radiation) যা তরঙ্গ আকারে ভ্রমণ করে এবং এর তরঙ্গদৈর্ঘ্য বা ফ্রিকোয়েন্সি দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। দৃশ্যমান আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য তার রঙ নির্ধারণ করে, ছোট তরঙ্গদৈর্ঘ্য নীল বা বেগুনি এবং দীর্ঘতর তরঙ্গদৈর্ঘ্য লাল বা কমলা দেখায়।
আলোর দৃশ্যমান বর্ণালী সাতটি প্রধান রং নিয়ে গঠিত: লাল, কমলা, হলুদ, সবুজ, নীল, নীল এবং বেগুনি। এই রংগুলোকে সাজানো হয়েছে তরঙ্গদৈর্ঘ্য অনুসারে- লাল রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি এবং বেগুনি সবচেয়ে ছোট।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝
▣ দৃশ্যমান আলোক তরঙ্গ:
▣ তাড়িতচৌম্বকীয় বর্ণালির অতিবেগুনি রশ্মির পরের একটি অতি ক্ষুদ্র অংশ আমাদের চোখে দৃশ্যমান হয় একে বলা হয় দৃশ্যমান বিকিরণ বা দৃশ্যমান আলোক তরঙ্গ। এই তরঙ্গের তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের পরিসর 4×10^(-7)🞍m থেকে 7×10^(-7)🞍m মাত্র।
▣ এই পরিসরের বিভিন্ন তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের জন্য আলোর বিভিন্ন বর্ণ দেখা যায়।
৩০৯. কাজের একক-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (যমুনা) ☞14.4.13 📖 প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক - গামা- ১৮.০৪.১৪ 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক -ইছামতি- ০৮.০১.১০
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
জুল হলো কাজ এবং শক্তির এস. আই. একক। ১ নিউটন বল প্রয়োগে বলের প্রয়োগবিন্দু বলাভিমুখে ১ মিটার সরলে সম্পাদিত কাজের পরিমাণকে ১ জুল বলা হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 - বলের একককে সরণের একক দিয়ে গুণ করলে কাজের একক পাওয়া যায়।
▣ বলের একক হচ্ছে নিউটন (N) এবং সরণর একক হচ্ছে (m)।
▣ অতএব, কাজের একক হবে নিউটন - মিটার (Nm)। নিউটন -মিটারকে জুল (J)বলা হয়।
▣ এটি কাজের আন্তর্জাতিক একক।
❐ অন্যদিকে, ক্ষমতার একক হচ্ছে ওয়াট।
৩১০. কোনো মাধ্যমের তাপমাত্রা বাড়ালে ঐ মাধ্যমে শব্দের গতি-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (যমুনা) ☞14.4.13 📖 ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়➟2008➯C ইউনিট
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
তাপমাত্রা বাড়ালে শব্দের গতিবেগ বাড়ে। প্রতি ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাড়ালে শব্দের গতিবেগ ০.৬ মিটারে পার সেকেন্ড হারে বাড়ে। বায়ুতে শব্দের বেগ যদি ৩৩২ মিটার পার সেকেন্ড হয় তবে ২০ ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়ালে শব্দের বেগ হবে 344 মিটার পার সেকেন্ড।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 - শব্দের বেগ মাধ্যমের প্রকৃতির উপর নির্ভর করে। তাপমাত্রা বাড়লে শব্দের বেগও বাড়ে।
❐ যেমন, পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে, শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস (0°) তাপমাত্রায় বাতাসে শব্দের গতি প্রতি সেকেন্ডে ৩৩১ মিটার।
❐ - কিন্তু প্রতি ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে এর বেগ ০.৬ মিটার/সেকেন্ড বৃদ্ধি পাবে।
▣ শব্দের বেগ মাধ্যমের ঘনত্বের উপরও নির্ভর করে। যে মাধ্যমের ঘনত্ব বেশি সে মাধ্যমে শব্দের বেগও বেশি। ফলে পানিতে শব্দের বেগ ১৪৪০ মিটার/সেকেন্ড। কঠিন পদার্থ যেমন কাঠের মধ্যে শব্দের বেগ বায়ু অপেক্ষা ১২ গুণ বেশি। ইস্পাতে শব্দের বেগ বায়ুর চেয়ে ১৫ গুণ বেশি।
❐ অর্থাৎ, যে পদার্থের ঘনত্ব বেশি সে পদার্থে শব্দের বেগও বেশি।
৩১১. দৃশ্যমান বর্ণালীর বৃহত্তম দৈর্ঘ্যের তরঙ্গ-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (যমুনা) ☞14.4.13 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2003➯ঘ ইউনিট 📖 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়➟2001➯ঘ ইউনিট
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
বর্ণালীর সাতটি রঙের মধ্যে লাল আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশী আর বেগুনী আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম। ক্রমবর্ধমান তরঙ্গ দৈর্ঘ্য অনুসারে এদের ক্রম বেগুনী <নীল < আসমানী < সবুজ < হ্লুদ <কমলা < লাল।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 দৃশ্যমান আলোক তরঙ্গ:
▣ তাড়িতচৌম্বকীয় বর্ণালির অতিবেগুনি রশ্মির একটি অতি ক্ষুদ্র অংশ আমাদের চোখে দৃশ্যমান হয়, একে বলা হয় দৃশ্যমান আলোক তরঙ্গ।
▣ এই তরঙ্গের তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের পরিসীমা হচ্ছে 4×10^(-7)🞍m থেকে 7×10^(-7)🞍m মাত্র।
▣ এই পরিসীমার বিভিন্ন তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের জন্য আলোর বিভিন্ন রঙ দেখা যায়।
▣ এদের আসমানি, সবুজ, নীল, হলুদ, বেগুনি, কমলা ও লাল এই সাতটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
▣ দৃশ্যমান আলোর মধ্যে লাল আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি।
▣ দৃশ্যমান আলোর মধ্যে বেগুনি আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম।
৩১২. বিদ্যুৎ পরিবাহকের রোধের একক-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (যমুনা) ☞14.4.13
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
কোন তারের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হওয়ার সময় যে বাধার সৃষ্টি হয় তাকে রোধ বলে। আর রোধের একক ওহম।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 রোধ:
▣ রোধ হচ্ছে বিদ্যুৎ পরিবাহীর ধর্ম।
▣ পরিবাহীর যে ধর্মের জন্য এর মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ চলাচল বাধাগ্রস্ত হয় তাই হলো রোধ।
▣ রোধের এসআই (SI) একক ও’ম (Ω)।
❐ অন্যদিকে,
❐ ক্ষমতার একক ওয়াট।
❐ চার্জের একক কুলম্ব।
❐ বিদ্যুৎ প্রবাহের একক অ্যাম্পিয়ার।
৩১৩. রেডিওঅ্যাকটিভ মৌল অনুসন্ধান করার যন্ত্র-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (যমুনা) ☞14.4.13
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
তেজস্ক্রিয় পদার্থের টুকরা থেকে প্রতিনিয়ত তেজষ্ক্রিয় বিকিরণ ঘটে। এই বিকিরণের মাত্রা গাইগার কাউন্টার (GEIGER COUNTER) এর মাধ্যমে নির্নয় করা যায়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 - Geiger কাউন্টার, যা Geiger-Muller কাউন্টার নামেও পরিচিত, একটি বহনযোগ্য ডিভাইস যা আয়নাইজিং বিকিরণ সনাক্ত এবং পরিমাপ করতে ব্যবহৃত হয়।
▣ এটি বিশ শতকের গোড়ার দিকে হ্যান্স গেইগার এবং ওয়ালথার মুলার দ্বারা উদ্ভাবিত হয়েছিল।
▣ গিগার কাউন্টারগুলি পারমাণবিক পদার্থবিদ্যা, ওষুধ, রেডিওলজি, পরিবেশ পর্যবেক্ষণ এবং পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
❐ Geiger কাউন্টারগুলি বিকিরণ সনাক্তকরণে কার্যকর হলেও, তারা বিকিরণের ধরণ বা এর শক্তি স্তর সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে না। আরো বিস্তারিত বিশ্লেষণের জন্য, অন্যান্য যন্ত্র যেমন সিন্টিলেশন ডিটেক্টর বা স্পেকট্রোমিটার ব্যবহার করা যেতে পারে গিগার কাউন্টারের সাথে।
❐ অন্যদিকে,
▣ সমুদ্রের দ্রাঘিমা পরিমাপক যন্ত্র - ক্রনোমিটার।
▣ মোটর গাড়ির গতি নির্নায়ক যন্ত্র - ওডোমিটার।
▣ ম্যানোমিটার হল গ্যাস বা তরল পদার্থের চাপ পরিমাপের জন্য ব্যবহৃত একটি যন্ত্র।
৩১৪. প্লবতা বেশি-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (যমুনা) ☞14.4.13 📖 প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক -ক্রিসানথিমাম- ১২.১০.১২
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
তরল বা বায়বীয় পদার্থে আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে নিমজ্জিত কোনো বস্তুর উপর তরল বা বায়বীয় পদার্থ লম্বভাবে যে উর্ধ্বমুখী বল ক্রিয়া করে তাকে প্লবতা বলে। সমুদ্রের পানির প্লবতা বেশি। ঘনত্ব বেশি হলে প্লবতা বেশি হয়।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 - নদীর পানি অপেক্ষা সমুদ্রের পানিতে প্লবতা বেশি হওয়ায় সমুদ্রের পানিতে সাঁতার কাটা সহজ।
▣ প্লবতা প্রবাহীর ঘনত্বের ওপর নির্ভর করে (সমানুপাতিক)।
▣ নদীর পানির তুলনায় সমুদ্রের পানির ঘনত্ব কিছু বেশি।
▣ তাই সাঁতার কাটার সময় নদীর পানির তুলনায় সমুদ্রের পানিতে বেশি উর্ধ্বমুখী বল পাওয়া যায়।
▣ এ কারণে নদীর পানি অপেক্ষা সমুদ্রের পানিতে সাঁতার কাটা সহজ।
❐
❐ উৎস : বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি ও কালের কণ্ঠ।
৩১৫. সূর্যে শক্তি উৎপন্ন হয়-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (যমুনা) ☞14.4.13 📖 তথ্য মন্ত্রনালয়ের সহকারী পরিচালক (গ্রেড-২)-৪.০৩ 📖 রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক -শাপলা- ০৯.১২.১১
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
পদ্ধতির নাম nuclear fusion. এখানে কম ভর বিশিষ্ট দুটি বা তার বেশি পরমাণু যুক্ত ভয়ে বেশি ভরের অপর একটি পরমাণুতে পরিবর্তিত হয়।
এতে কিছুটা ভর শক্তিতে রূপান্তরিত হয় E = mc^2 সমীকরণ অনুযায়ী। এই শক্তিই নক্ষত্রে শক্তির যোগান দেয়।
যেমন চারটি হাইড্রোজেন পরমাণু মিলিত হয়ে দুটি হিলিয়াম পরমাণু তৈরি করে
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝
▣ সূর্যে শক্তি উৎপন্ন হয় পরমাণুর ফিউশন পদ্ধতিতে।
▣ সূর্য থেকে যে শক্তি পাওয়ার যায় তাকে বলা হয় সৌরশক্তি।
▣ সূর্য সকল শক্তির উৎস।
▣ পৃথিবীতে যত শক্তি আছে তার সবই কোনো না কোনোভাবে সূর্যের কিরণ থেকে তৈরি হয়েছে।
▣ প্রকৃতপক্ষে সূর্যের শক্তির উৎস পারমাণবিক শক্তি, কারণ সূর্যে ফিউশন বিক্রিয়ার মাধ্যমে শক্তি উৎপন্ন হয়।
▣ এ শক্তি পৃথিবীতে বিকিরিত হয়।
৩১৬. উচ্চ পর্বতের উপর পানির স্ফুটনাঙ্ক কমে যায়, কারণ ঐ উচ্চতায়-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (শীতলক্ষ্যা) ☞14.4.13
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
পাহাড় বা পর্বতের উপর বায়ূর চাপ কম থাকায় পানির স্ফুটনাংক কমে যায় অর্থাৎ কম তাপমাত্রায় পানি ফুটতে পারে। কিন্তু মাংস, মাছ,ডিম প্রভূতি দ্রুত সিদ্ধ হয় না। এগুলো সুসিদ্ধ হওয়ার জন্য যে তাপের প্রয়োজন হয় পানি তার চেয়ে কম তাপমত্রায় ফুটে বাস্পীভূত হওয়ার জন্য মাছ, মাংস সেই পর্যাপ্ত তাপ পায় না
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 পানির স্ফুটনাঙ্ক বায়ুমণ্ডলীয় চাপের সাথে পরিবর্তিত হয়।
▣ নিম্নচাপ বা উচ্চ উচ্চতায়, স্ফুটনাঙ্ক কম থাকে।
▣ পৃথিবীর পৃষ্ঠে বায়ুর চাপ সবচেয়ে বেশি। তাই পৃথিবীর পৃষ্ঠে পানির স্ফুটনাঙ্ক সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ১০০° সেলসিয়াস।
▣ কিন্তু পৃথিবী হতে যত উপরে উঠা যায় তত বায়ুর চাপ কমে যায়, ফলে স্ফুটনাঙ্ক হ্রাস পায়।
▣ সুউচ্চ পর্বতে বায়ুর চাপ পৃথিবীর বায়ুর চাপ অপেক্ষা কম বিধায় পর্বতের উপর পানির স্ফুটনাঙ্ক কম। তাই পর্বতের উপর পানি কম তামপাত্রায় ফুটতে থাকে।
▣ মাউন্ট এভারেস্টের শীর্ষে নিম্ন বায়ুমণ্ডলীয় চাপে, বিশুদ্ধ জল প্রায় 154°F (68°C) এ ফুটতে থাকে।
৩১৭. কোন গ্যাসকে অত্যধিক চাপে তরল করে সোডা ওয়াটার তৈরি করা হয়?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (শীতলক্ষ্যা) ☞14.4.13 📖 40th BCS General May, 2019 40th 📖 ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়➟2017➯B ইউনিট
সাধারণ বিজ্ঞান
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝
▣ কার্বনেটেড ওয়াটার:
❐ - কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাসকে অত্যধিক চাপে তরল করে সোডা ওয়াটার বা কার্বনেটেড ওয়াটার তৈরি করা হয়।
▣ এটি মিষ্টি কোমল পানীয়ের প্রধান উপাদান (90% এর বেশি)।
▣ এটি একটি বুদবুদ পানীয় তৈরি করে যা স্পার্কলিং ওয়াটার, ক্লাব সোডা, সোডা ওয়াটার, সেল্টজার ওয়াটার এবং ফিজি ওয়াটার নামেও পরিচিত।
৩১৮. নিচের কোনটি ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (শীতলক্ষ্যা) ☞14.4.13
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগের নাম : যক্ষ্মা, টিটেনাস, এনথ্রাক্স, সিফিলিস, ফোড়া, প্্যারাটাইফযেড, ডিপথেরিয়া, মেনিনজাইটিস, টাইফয়েড, আমাশয়, কলেরা, হুপিংকাশি, গনোরিয়া, ইত্যাদি।
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝
▣ ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ:
▣ ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত রোগকে ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ বলে।
▣ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ: যক্ষ্মা, ডিপথেরিয়া, হুপিংকাশি, ধনুষ্টংকার, নিউমোনিয়া, মেনিনজাইটিস, কলেরা, গনোরিয়া, সিফিলিস, টাইফয়েড, আমাশয়, প্লেগ, কুষ্ঠ ইত্যাদি।
❐
▣ ভাইরাস ঘটিত রোগ:
▣ ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত রোগকে ভাইরাস জনিত রোগ বলে।
▣ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ভাইরাস জনিত রোগ: জন্ডিস, কোভিড-১৯, হার্পিস, দাদ, গুটি বসন্ত, জল বসন্ত, হাম, মাম্পস, ইনফ্লুয়েঞ্জা, বার্ড ফ্লু, সোয়াইন ফ্লু ইত্যাদি।
৩১৯. কুকুরের মুখে দাঁতের সংখ্যা কত?
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (শীতলক্ষ্যা) ☞14.4.13 📖 খাদ্য অধিদপ্তরে খাদ্য পরিদর্শক/উপখাদ্য পরিদর্শক/উচ্চমান সহকারী/অডিটর/সুপারভাইজার-২৪.০৪.০৯
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
Adult dogs have 42 permanent teeth in their mouth, as compared to a human's normal 32 teeth. Their upper jaw, called the maxilla, has 20 teeth, while their lower jaw, called the mandible, has 22 teeth
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 কুকুরের দুই সেট দাঁত থাকে।
▣ তাদের চোয়ালের উপরে ২০টি এবং নীচে ২২টি দাঁত থাকে।
▣ ২৮টি দাঁত ছয় থেকে আট সপ্তাহ বয়সের মধ্যে ফুটে ওঠে কুকুরছানার।
▣ ছয় থেকে সাত মাস বয়সে প্রাপ্তবয়স্ক কুকুরের ৪২টি দাঁত হয়।
▣ তবে কুকুর Chow Chow অন্য সব কুকুরের থেকে ভিন্ন। তাদের ৪৪টি দাঁত আছে।
❐ * অপশনে ৪২ না থাকায় কুকুরের মুখে দাঁতের সংখ্যা ৪৪টি সঠিক উত্তর হিসেবে নেয়া হয়েছে।
৩২০. উড়োজাহাজের গতি নির্ণায়ক যন্ত্র-
প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৩ (শীতলক্ষ্যা) ☞14.4.13 📖 32nd BCS General Mar, 2012 📖 খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়➟2006➯ক ইউনিট
সাধারণ বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ
A tachometer is an instrument which measures the rotation speed of a shaft or disk. It is designed to measure the revolutions per minute (RPM) of a moving object. Tachometers are typically used in motors and other machines and are widely found in the automotive and aviation industries.
ব্যাখ্যাকারী :
স্পেশাল ব্যাখ্যাঃ
📝 উড়োজাহাজের গতি নির্ণায়ক যন্ত্র ট্যাকোমিটার।
▣ ওডোমিটার হলো মোটর গাড়ির গতি নির্ণায়ক যন্ত্র।
▣ অলটিমিটার হলো উচ্চতা নির্ণায়ক যন্ত্র।
▣ ক্রনোমিটার হলো একটি নির্দিষ্ট ধরনের সময় পরিমাপের যন্ত্র।